আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل المعنوية
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৭

ওহী, যা আল্লাহ আমার কাছে প্রেরণ করেছেন, আমি আশা করি কিয়ামতের দিন আদর
সকলের ত্যুঃনায় আমার অনুসারীর সংখ্যা অধিক হবে ৷ লায়ছ ইবন সাদের হাদীস সংগ্রহ থেকে
বুখারী ও মুসলিম হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এর মর্মার্থ হল, প্রতেক নবীবেইি তার
নবুওয়াতের সত্যতা এবং প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আনীত রিসালাতের যথার্থতা প্রমাণকাবী
যথেষ্ট পরিমাণ দ্গীল ও প্রমাণ প্রদান করা হয়েছে ৷ এরপর কোন কোন সম্প্রদায় তার প্রতি
ঈমান এনে তাদের ঈমানের সাওয়াব লাভ করেছে আর কোন কোন সম্প্রদায় দম্ভ প্রদর্শন করে
শাস্তির উপযুক্ত হয়েছে ৷ আর তার এই বক্তব্য এেস্
ণ্৷ ৷ ধ্াপু ৷ অর্থাৎ আমাকে যা দেয়া হয়েছে তার প্রধান বা বৃহত্তর অংশ হল ওহী যা আল্লাহ
আমার কাছে প্রেরণ করেছেন ৷” আর তা হল আল-কুরআন যা তার কালে ও পরবর্তী সময়ে
স্থায়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রমাণ ও দলীল স্বরুপ ৷ কেননা, অন্যান্য নবীগণের প্রমাণাদি ছিল সাময়িক
বা তাদের জীবদ্দশা পর্যস্তই, এখন শুধু সেগুলোর বিবরণ রয়ে গেছে ৷ কিণ্ডু আল-কুরআন হল
সুপ্রতিষ্ঠিত স্থায়ী প্রমাণ, যেন তার শ্রোতা স্বয়ং রাসুলের পবিত্র মুখ থেকে তা’ শ্রবণ করছে ৷
এভাবে এই কুরআনের দ্বারা আল্লাহর এই প্রমাণ রাসুলের জীবদ্দশায় ও তার ইনতিকালের
পরেও বিদ্যমান ৷ এ জন্যই তিনি বলেছেন, আমি আশা করি, কাল কিয়ামতের দিন আমার
অনুসারীর সংখ্যা সকলের চাইতে অধিক হবে ৷ অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে যে পরিপুর্ণ প্রমাণ এবং
অকাট্য যুক্তিসমুহ দান করেছেন তার স্থায়ীত্বের কারাণ ৷ আর এ কারণেই কাল কিয়ামতের দিন
তিনি সর্বাধিক সংখ্যক অনুসারীর অধিকারী হবেন ৷

পরিচ্ছেদ

নবী করীম (সা)-এর নবুওয়াতের অভ্যন্তরীণ প্রমাণড়াদির অন্যতম হল, তার পুত-পবিত্র
স্বডাব-চরিত্র, নিখুত ও সুঠাম দেহাবয়ব, বীরতু, সহনশীলতা, মহানুভবতা, ভোগ বিমুখতা,
অল্পে তুষ্টি, তাগ-তিতিক্ষা, সহচর-বা;ৎসল্য, সততা, বিশ্বস্ততা, আল্লাহ ভীতি, ইবাদত-বন্দেগী,
বংশ কােলিন্য, জন্মস্থান ও লালন ক্ষেত্রের পবিত্রতা, যেমন আমরা যথর্ব্যন্থানে তা বিশদভাবে
উল্লেখ করেছি ৷ ইয়াহুদী ও নাসারাদের বিভিন্ন দল উপদলের ভ্রাতদাবিসমুহ প্রত্যাখ্যানে
আমাদের শায়খ ইবন তায়মিয়্যা তার রচিত গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা কতই না
চমৎকার! ঐ প্রন্থেই শেবাংশে তিনি নুবুওয়াতের যথার্থতার প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন এবং
তাতে অত্যন্ত সুন্দর বিশুদ্ধ, সার্থকভাবে অত্যন্ত অলঙ্কারপুর্ণ বিবরণ দিয়েছেন, বা যে কোন
বোধসম্পন্ন ও চিম্ভাশীল ব্যক্তি অকুষ্ঠে মেনে নিতে বাধ্য ৷ উল্লেখিত এই গ্রন্থের শেষে তিনি
বলেছেন, রাসুলের জীবন চরিত, স্বতাব-চরিত্র, কথাবার্তা, কাজকর্ম তার নুবুওয়াতের প্রমাণ ও
নিদর্শন ৷ ইবন তইিমিয়্যা (র) বলেন, তার আনীত শরীয়ত, তারউষ্মত, উম্মতের ইল্ম ও
জ্ঞান, তাদের দীন, এমন কি তার উষ্মতের পুণ্যবান ব্যক্তিদের কারামতসমুহ তার নবুওয়াতের
প্রমাণ ৷ আর তা সুস্প্ষ্টিভাবে জন্ম থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তি পর্যন্ত এবং নবুওয়াত প্রাপ্তি থেকে মৃত্যু
পর্যন্ত তার জীবনী পর্যালোচনা করলে এবং তার জন্মস্থান, বংশ গোত্র পরিচয় সম্পর্কে সম্যক
অবগতি লাভ করলে ৷ কেননা তিনি ছিলেন পৃথিবীর সভ্রান্ততম বংশের সন্তান, হযরত ইববাহীম
(আ) এর অধস্তেন বং শধর, যার বং শধরদের আল্লাহ নবুওয়াত ও কিতাব দান করেছিলেন ৷
উল্লেখ্য যে, হযরত ইবরাহীমের পর তার অধ৪স্তন বংশধরদের মধ্যে কোন নবী আসেননি ৷ আর


فَاسْتَحَقُّوا الْعُقُوبَةَ، وَقَوْلُهُ، «وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُ» أَيْ جُلُّهُ وَأَعْظَمُهُ الْوَحْيُ الَّذِي أَوْحَاهُ إِلَيْهِ، وَهُوَ الْقُرْآنُ الْحَجَّةُ الْمُسْتَمِرَّةُ الدَّائِمَةُ الْقَائِمَةُ فِي زَمَانِهِ وَبَعْدَهُ، فَإِنَّ الْبَرَاهِينَ الَّتِي كَانَتْ لِلْأَنْبِيَاءِ انْقَرَضَ زَمَانُهَا فِي حَيَاتِهِمْ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلَّا الْخَبَرُ عَنْهَا، وَأَمَّا الْقُرْآنُ فَهُوَ حُجَّةٌ قَائِمَةٌ، كَأَنَّمَا يَسْمَعُهُ السَّامِعُ مِنْ فَلْقٍ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحُجَّةُ اللَّهِ قَائِمَةٌ بِهِ فِي حَيَّاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَبَعْدَ وَفَاتِهِ، وَلِهَذَا قَالَ «فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ» أَيْ لِاسْتِمْرَارِ مَا آتَانِيَ اللَّهُ مِنَ الْحُجَّةِ الْبَالِغَةِ وَالْبَرَاهِينِ الدَّامِغَةِ، فَلِهَذَا يَكُونُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ الْأَنْبِيَاءِ تَبَعًا. [الدَّلَائِلُ الْمَعْنَوِيَّةُ] فَصْلٌ وَمِنَ الدَّلَائِلِ الْمَعْنَوِيَّةِ أَخْلَاقُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ الطَّاهِرَةُ وَخُلُقُهُ الْكَامِلُ، وَشَجَاعَتُهُ، وَحِلْمُهُ، وَكَرَمُهُ، وَزُهْدُهُ، وَقَنَاعَتُهُ، وَإِيثَارُهُ، وَجَمِيلُ صُحْبَتِهِ، وَصِدْقُهُ، وَأَمَانَتُهُ، وَتَقْوَاهُ، وَعِبَادَتُهُ، وَكَرِيمُ أَصْلِهِ، وَطِيبُ مَوْلِدِهِ وَمَنْشَئِهِ وَمُرَبَّاهُ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ مَبْسُوطًا فِي مَوَاضِعِهِ، وَمَا أَحْسَنَ مَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ تَيْمِيَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِهِ الَّذِي رَدَّ فِيهِ عَلَى فِرَقِ النَّصَارَى وَالْيَهُودِ وَمَنْ أَشْبَهَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَغَيْرِهِمْ، فَإِنَّهُ ذَكَرَ فِي آخِرِهِ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ، وَسَلَكَ فِيهَا مَسَالِكَ حَسَنَةً صَحِيحَةً مُنْتَخَبَةً بِكَلَامٍ بَلِيغٍ يَخْضَعُ لَهُ كُلُّ مَنْ تَأَمَّلَهُ وَفَهِمَهُ. قَالَ فِي أَوَاخِرِ هَذَا الْكِتَابِ الْمَذْكُورِ: فَصْلٌ وَسِيرَةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْلَاقُهُ وَأَقْوَالُهُ وَأَفْعَالُهُ مِنْ آيَاتِهِ - أَيْ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৮

আল্লাহ তাকে দুই পুত্র দান করেছিলেন, ইসমাঈল ও ইসাহক ৷ তাওরাতে উভয়ের উল্লেখ

রয়েছে এবং ইসমাঈলের অধ৪স্তনদের মাঝে সংঘটিতব্য বিষয়ের সৃসংবাদ প্রদান করা হয়েছে ৷
আর ইসমাঈলেয় অধ৪স্তন পুরুষদের মাঝে তিনি (রাসুলুল্লাহ্ সা) ব্যতীত এমন কেউ ছিলেন
না, র্ষাৱ মাঝে এই সকল ভবিষ্যদ্বাণীয় লক্ষণাদি প্রকাশ পেয়েছিল ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)
ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরদের জন্য দৃআ করলেন যেন আল্লাহ তাদের মাঝে তাদেরই
একজনকে রাসুল করে পাঠান ৷ এই রাসুল হলেন কুরায়শ গোত্রীয় যারা ইব্রাহীম সন্তানদের
শ্রেষ্ঠতম গোত্র-তারপর তিনি হলেন বানুহাশিমের সদস্য-যারা কুরায়শ গোত্রের শ্রেষ্ঠ
উপ্যগাত্র ৷ আর তিনি হলেন উম্মুল কুরা মক্কার অধিবাসী, যেখানে ঐ পবিত্র গৃহ রয়েছে যা
হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মাণ করেছিলেন এবং মানব জাতিকে তার হভৈজ্জর দিকে আহ্বান

জানিয়েছিলেন ৷ আর হযরত ইব্রাহীমের যামড়ানা থেকে এই গৃহের হজ্জ করা হচ্ছে এবং

নবীপণের গ্রন্থসমুহে তা সর্বোত্তম্ বিশেষণ ও বিবরপে উল্লেখিত হয়ে আসছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিপালিত হয়েছিলেন পুর্ণাঙ্গ মানুষরুপে, তার সততা, সদাচড়ারিতা,
ন্যায়পরায়ণতা, যুলুম ও অশ্লীলত৷ রজ্যি পুত চরিত্রের কথা ছিল তার চেনা-জানা সকলের
পু নিকট সুবিদিত ৷ নবুওয়াতের পুর্বে থেকে যারাই তাকে জানত তারা সকলে এক বাভৈক্য এর
সাক্ষী দিত ৷ এ ক্ষেত্রে তার নবুওয়াতে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কারোরই দ্বিমত ছিল না ৷ তার
কথাবার্তা, কাজকর্ম ও স্বভাব চরিত্রে নিন্দনীয় কিছু জ্জি না ৷ জীবনে কখনও তিনি একটি মিথ্যা
বলেছেন বা কোন অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম করেছেন, এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ তার দেহের
গঠন ও আকৃতি ছিল সুন্দরতম ও পুর্ণা ঙ্গতম এবং তার অভ্যন্তরীণ পুর্ণতার ষ্প্রমাণবহ
সৌন্দর্যরাশির ধারক ৷ তিনি ছিলেন নিরক্ষ্ণর এক সম্প্রদায়ের অক্ষরজ্ঞানশুন্য এক সদস্য ৷ তিনি
বা তবে সম্প্রদায় কেউই তাওরাত, ইনজিল, সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না যা আহ্লকিতাবগণ
অবগত ছিলেন ৷ তিনি কোন মানবীয় জ্ঞান অর্জন করেননি কিংবা কোন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেননি,
কোন শাস্ত্রবিদের সাহচর্যেও তিনি কােনদিন অবস্থান করেননি ৷ তার বয়স চল্লিশ পুর্ণ হওয়ার
পুর্বে তিনি নবুওয়াত দাবি করেননি ৷ এরপর তিনি এমন এক বিষয়ের অবতারণা করলেন যা
ছিল অতি গুরতর ও আশ্চর্যজনক এবং এমন কথা ণ্শানাভৈলন যা ইতিপুর্বে কেউ কখনো
ণ্শানেনি, এমন একটি বিষয় অবহিত করলেন যে তার দেশ ও সম্প্রদায় কেউ তার পরিচয়
জানত না ৷ তারপর সর্বকালে যারা নবীদের অনুসারী হয়ে থাকে, সেই অসহায় দৃর্বলেরাই তার
অনুসরণ করল, আর নেতৃত্ব ও কর্তৃতুাধিকারীরা তাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরালো এবং তার সাথে
শত্রুতা শুরু করল ৷ উপরন্তু তারা তাক্লে ও তার অনুসারীদের ধ্বংস করার সর্বড়াত্মক চেষ্টা করল
যেমন পুর্বকালের কাফিররা তাদের নবী ও তাদের অনুসারীদের সাথে করত ৷ আর যারা তার
অনুসরণ করলেন তার৷ কোন কিছু পাওয়ার আশায় বা কোন কিছু হারাবায় ভয়ে তাকে অনুসরণ
করেননি, কেননা, তাদেরকে দেয়ার মত কোন সম্পদ বা পদ কিছুই তার কর্তৃত্বে জ্জি না ৷ না
জ্জি তার কোন তরবারি (অস্ত্রশক্তি) ৷ বরং তরবারি, প্রভাবৰুপ্রতিপত্তি ও সম্পদ সবই জ্জি তাব্র
শত্রুদে-র হাতে ৷ ওরা তার অনুসারীদের নানাভাবে নির্যাতন করভাে ৷ আর তার অনুসারীগণ্
আল্লাহর কাছে ছওয়াবের প্রত্যাশায় ভৈধর্যের সাথে তাদের নতুন দীনে অবির্চল থাকলেন, কেননা,
ঈমান ও মা রিফাতের (আল্লাহর পরিচয়) মিষ্টত৷ তাদের অম্ভরের অতস্থলে পৌছে গিয়েজ্যি ৷
— ১ ৫


دَلَائِلِ نُبُوَّتِهِ - قَالَ: وَشَرِيعَتُهُ مِنْ آيَاتِهِ، وَأُمَّتُهُ مِنْ آيَاتِهِ، وَعِلْمُ أُمَّتِهِ مِنْ آيَاتِهِ، وَدِينُهُمْ مِنْ آيَاتِهِ، وَكَرَامَاتُ صَالِحِي أُمَّتِهِ مِنْ آيَاتِهِ، وَذَلِكَ يَظْهَرُ بِتَدَبُّرِ سِيرَتِهِ مِنْ حِينَ وُلِدَ إِلَى أَنْ بُعِثَ، وَمِنْ حِينَ بُعِثَ إِلَى أَنْ مَاتَ، وَتَدَبُّرِ نَسَبِهِ وَبَلَدِهِ وَأَصْلِهِ وَفَصْلِهِ فَإِنَّهُ كَانَ مِنْ أَشْرَفِ أَهْلِ الْأَرْضِ نَسَبًا؛ مِنْ صَمِيمِ سُلَالَةِ إِبْرَاهِيمَ الَّذِي جَعَلَ اللَّهُ فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ، فَلَمْ يَأْتِ بَعْدَ إِبْرَاهِيمَ نَبِيٌّ إِلَّا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَجَعَلَ اللَّهُ لَهُ ابْنَيْنِ؛ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ، وَذَكَرَ فِي التَّوْرَاةِ هَذَا وَهَذَا، وَبَشَّرَ فِي التَّوْرَاةِ بِمَا يَكُونُ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، وَلَمْ يَكُنْ فِي وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ مَنْ ظَهَرَ فِيهِ مَا بَشَّرَتْ بِهِ النُّبُوَّاتُ غَيْرُهُ، وَدَعَا إِبْرَاهِيمُ لِذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ بِأَنْ يَبْعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ، ثُمَّ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قُرَيْشٍ صَفْوَةِ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ صَفْوَةِ قُرَيْشٍ، وَمِنْ مَكَّةَ أُمِّ الْقُرَى وَبَلَدِ الْبَيْتِ الَّذِي بَنَاهُ إِبْرَاهِيمُ وَدَعَا النَّاسَ إِلَى حَجِّهِ، وَلَمْ يَزَلْ مَحْجُوجًا مِنْ عَهْدِ إِبْرَاهِيمَ مَذْكُورًا فِي كُتُبِ الْأَنْبِيَاءِ بِأَحْسَنِ وَصْفٍ. وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَكْمَلِ النَّاسِ تَرْبِيَةً وَنَشْأَةً، لَمْ يَزَلْ مَعْرُوفًا بِالصِّدْقِ، وَالْبِرِّ، وَمَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ، وَالْعَدْلِ، وَتَرْكِ الْفَوَاحِشِ، وَالظُّلْمِ وَكُلِّ وَصْفٍ مَذْمُومٍ، مَشْهُودًا لَهُ بِذَلِكَ عِنْدَ جَمِيعِ مَنْ يَعْرِفُهُ قَبْلَ النُّبُوَّةِ، وَمَنْ آمَنَ بِهِ وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ النُّبُوَّةِ، وَلَا يُعْرَفُ لَهُ شَيْءٌ يُعَابُ بِهِ؛ لَا فِي أَقْوَالِهِ، وَلَا فِي أَفْعَالِهِ، وَلَا فِي أَخْلَاقِهِ، وَلَا جَرَتْ عَلَيْهِ كِذْبَةٌ قَطُّ، وَلَا ظُلْمٌ، وَلَا فَاحِشَةٌ. وَكَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَلْقُهُ وَصُورَتُهُ مِنْ أَحْسَنِ الصُّوَرِ وَأَتَمِّهَا وَأَجْمَعِهَا لِلْمَحَاسِنِ الدَّالَّةِ عَلَى كَمَالِهِ، وَكَانَ أُمِّيًّا مِنْ قَوْمٍ أُمِّيِّينَ لَا يَعْرِفُ لَا هُوَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৮৯

হযরত ইবরাহীম (আ)-এর কাল থেকে আরবগণ মক্কায় (কারা গৃহের) হজ্জ করতে
আসত ৷ ফলে হভ্রুজ্জর মৌসুমে সেখানে আরব গোত্র সমুহের সমাবেশ ঘটত ৷ তইি এ সময়
তিনি মিথ্যা প্রতিপন্নকারীর মিথ্যাচার, দুর্ব্যহারকারীর রুঢ়তা ও উপেক্ষাকারীর উপেক্ষায় ধৈর্য
ধারণ করে তাদের কাছে যেতেন এবং তাদেরকে আল্পাহ্র দিকে আহ্বান করতেন এবং তার
রিসালাতের পয়গাম পৌছিয়ে দিতেন ৷ অবশেষে তিনি ইয়াহুরিববাসীদেয় সাথে মিলিত হলেন,
আর এরা ছিলেন ইয়াহুদীদের প্রতিবেশী, ইতিপুর্বে তারা ইয়াহুদীদের থেকে তার বৃত্তান্ত
শুনেছিলেন এবং তার মর্যাদার কথা জোনছিলেন ৷ তইি তার মুখে ইসলামের দাওয়াত (পরেই
তারা বুঝতে পারলেন যে, ইনিই সেই বহুল প্রভীক্ষিত নবী-যীর কথা তারা ইয়াহ্রদীদের কাছেও
শুনেছিলেন ৷ কেননা, তার নবুওয়াত লাভের বিষয়টি দশ বার বছর যাবৎ প্রচারিত হজ্জি ৷ তাই
তারা তার প্রতি ঈমান আনলেন এবং তীর ও তার মক্কড়াবাসী সহচরদের তাদের শহরে
হিজরতের ব্যাপারে এবং তার সাথে জিহৰুদে শরীক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার হাতে
বায়আত করলেন ৷ এরপর তিনি ও তারঅনুসারীগণ মদীনায় হিজরত করলেন ৷ সেখানে
অবস্থানকারী মুজাহির ও আনসারদের মাঝে এমন কেউ ছিলেন না যিনি কোন পার্থিব প্রাপ্তি
কিত্বা কোন কিছু হারাবার ভয়ে ঈমান এসেছিলেন ৷ হী, অল্পসংখ্যক আনসার এরুপও ছিলেন
যারা প্রথমে বাহ্যিকভাবে ঈমান এসেছিলেন, পরে অবশ্য তাদের অনেকেই নিষ্ঠাবান সৃসলমানে
পরিণত হয়েছিলেন ৷

এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিহাদের অনুমতি প্রদান করা হল, তারপর জিহাদের নির্দেশ
প্রদান করা হল ৷ আর তিনি পুর্ণ সততা, ন্যায়পৱায়ণতা ও বিশ্বস্ততার সাথে অক্ষরে অক্ষরে
আল্লাহর নির্দেশ পালন করে চললেন ৷ কারো প্রতি কোন মিথ্যাচার, অনাচার অবিচার কিত্ৰা
প্রতারণার আচরণ তার দ্বারা কখনো সংঘটিত হয়নি ৷ বরং তিনি ছিলেন সবপ্লিক সত্যবাদী,
ন্যায়পরায়ণ ও প্রতিশ্রুতিপুর্ণকারী ৷ বিভিন্ন অবস্থা যেমন যুদ্ধ-সন্ধি, ভয়-ভীতি, স্বস্ফোতা,
অস্বচ্ছলতা, ক্ষমতা, অক্ষমতা, প্রতিষ্ঠা, দুর্বলতা, আধিক্য, স্বল্পতা, বিজয়ী অবস্থা বা
বিজিতাবস্থা সর্বাবস্থায়ই তিনি এ সকল গুণে পুর্পরুপে গুণাৰিত ছিলেন ৷ অবশেষে গোটা
আরবভুমিতে এই দাওয়াত প্রতিষ্ঠা লাভ করল, যা ছিল প্রতিমা পুজা, গণকদের ভবিষ্যদ্বাণী
স্রষ্টার মুকাবিলায় সৃষ্টির আনুগত্য, অবৈধ রক্তপাত এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকরণ
ইত্যাদিতে পরিপুর্ণ ৷ তারা আখিরাত ও পরকাল বলে কিছু জানত না ৷ কিত্তু এরইি গোটা
পৃথিবীর সর্বোধিক জ্ঞানী, ধার্মিক, ন্যায়পরায়ণ ও শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হল ৷ এমনকি তাদের
একদল যখন শামদেশে গমন করলেন তখন সেখানকার খ্রিষ্টানরা তাদের সার্বিক অবস্থা দেখে
মন্তব্য করল, হযরত ঈসা মসীহ্ এর সহচরগণও এদের চাইতে উত্তম ছিলেন না ৷ আর
পৃথিবীতে বিদ্যমান র্তাদের ইলম ও আমলের প্রমাণাদি এবং অন্যদের প্রমাণাদির মধ্যে জ্ঞানীরা
পার্থক্য করতে পারল ৷ আর তিনি তার কর্তৃত্বের বিস্তার এবং অনুসারীদের একনিষ্ঠ আনুগত্য,
র্তাদের জানমাল তার জন্য সদা উৎসর্পিত হওয়া সত্বেও মৃত্যুকালে একটি দিরহাম, দীনার
কিংবা উট বা যেষ রেখে যাননি, শুধুমাত্র তার খচ্চরটি এবং জিহাদের অস্ত্র; এর মধ্যে তার
বর্মখানি আবার তার পােয্য পরিজনের জন্য ত্রিশ ওসাক পরিমাণ যব খরিদ করা বাবদ জনৈক
ইয়াহুদীর কাছে বন্ধক রাখা ছিল ৷ এছাড়া তার অধিকারে একখণ্ড ভুমি ছিল যার আয়ের কিছু
অংশ তিনি তার পোষ্যপরিজনের জা ব্যয় করতেন আর অবশিষ্টাত্শ ব্যয় করতেন মুসলমানদের
কল্যাণমুলক কাজে ৷ ওফাতের পুর্বেই তিনি এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেউ তার
উত্তরাধিকারী হবেনা এবং তার উক্তাহধিকায়ীগণ তা থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না ৷


وَلَا هُمْ مَا يَعْرِفُهُ أَهْلُ الْكِتَابِ؛ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ، وَلَمْ يَقْرَأْ شَيْئًا مِنْ عُلُومِ النَّاسِ، وَلَا جَالَسَ أَهْلَهَا، وَلَمْ يَدَّعِ نُبُوَّةً إِلَى أَنْ أَكْمَلَ اللَّهُ لَهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَأَتَى بِأَمْرٍ هُوَ أَعْجَبُ الْأُمُورِ وَأَعْظَمُهَا، وَبِكَلَامٍ لَمْ يَسْمَعِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ بِنَظِيرِهِ، وَأَخْبَرَ بِأَمْرٍ لَمْ يَكُنْ فِي بَلَدِهِ وَقَوْمِهِ مَنْ يَعْرِفُ مِثْلَهُ. ثُمَّ اتَّبَعَهُ أَتْبَاعُ الْأَنْبِيَاءِ، وَهُمْ ضُعَفَاءُ النَّاسِ، وَكَذَّبَهُ أَهْلُ الرِّيَاسَةِ وَعَادَوْهُ، وَسَعَوْا فِي هَلَاكِهِ وَهَلَاكِ مَنِ اتَّبَعَهُ بِكُلِّ طَرِيقٍ، كَمَا كَانَ الْكَفَّارُ يَفْعَلُونَ بِالْأَنْبِيَاءِ وَأَتْبَاعِهِمْ، وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُ لَمْ يَتَّبِعُوهُ لِرَغْبَةٍ وَلَا لِرَهْبَةٍ؛ فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مَالٌ يُعْطِيهِمْ وَلَا جِهَاتٌ يُوَلِّيهِمْ إِيَّاهَا، وَلَا كَانَ لَهُ سَيْفٌ، بَلْ كَانَ السَّيْفُ وَالْمَالُ وَالْجَاهُ مَعَ أَعْدَائِهِ، وَقَدْ آذَوْا أَتْبَاعَهُ بِأَنْوَاعِ الْأَذَى وَهُمْ صَابِرُونَ مُحْتَسِبُونَ لَا يَرْتَدُّونَ عَنْ دِينِهِمْ؛ لِمَا خَالَطَ قُلُوبَهُمْ مِنْ حَلَاوَةِ الْإِيمَانِ وَالْمَعْرِفَةِ. وَكَانَتْ مَكَّةُ يَحُجُّهَا الْعَرَبُ مِنْ عَهْدِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَيَجْتَمِعُ فِي الْمَوْسِمِ قَبَائِلُ الْعَرَبِ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِمْ يُبَلِّغُهُمُ الرِّسَالَةَ، وَيَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ صَابِرًا عَلَى مَا يَلْقَاهُ مِنْ تَكْذِيبِ الْمُكَذِّبِ، وَجَفَاءِ الْجَافِي، وَإِعْرَاضِ الْمُعْرِضِ، إِلَى أَنِ اجْتَمَعَ بِأَهْلِ يَثْرِبَ، وَكَانُوا جِيرَانَ الْيَهُودِ، وَقَدْ سَمِعُوا أَخْبَارَهُ مِنْهُمْ وَعَرَفُوهُ، فَلَمَّا دَعَاهُمْ عَلِمُوا أَنَّهُ النَّبِيُّ الْمُنْتَظَرُ الَّذِي يُخْبِرُهُمْ بِهِ الْيَهُودُ، وَكَانُوا قَدْ سَمِعُوا مِنْ أَخْبَارِهِ أَيْضًا مَا عَرَفُوا بِهِ مَكَانَتَهُ، فَإِنَّ أَمْرَهُ كَانَ قَدِ انْتَشَرَ وَظَهَرَ فِي بِضْعِ عَشْرَةَ سَنَةً، فَآمَنُوا بِهِ وَبَايَعُوهُ عَلَى هِجْرَتِهِ، وَهِجْرَةِ أَصْحَابِهِ إِلَى بَلَدِهِمْ، وَعَلَى الْجِهَادِ مَعَهُ، فَهَاجَرَ هُوَ وَمَنِ اتَّبَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৪৬৯০

সব সময় তিনি অভিনব নিদর্শনাদি ও বিজ্যি প্রকার অলৌকিক কার্য প্রদর্শন করতেন, যার
ফিরিন্তি অনেক দীর্ঘ ৷ আর তিনি অতীত ও ভবিষ্যতের সংবাদ অবহিত করতেন, তিনি
তাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দিতেন এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করতেন, পাক বন্তুসমুহ
তাদের জন্যে হালাল সাব্যস্ত করতেন এবং নাপাক বন্তুসমুহ তাদের জন্য হারাম সাব্যন্তু
করতেন ৷ একটু একটু করে তিনি শরীয়াতের বিধি-বিধান জারী করতেন ৷ অবশেষে আল্লাহ্
তার ঐ দীনকে পরিপুর্ণ করলেন যা দিয়ে তিনি তার রাসুলকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ এভাবে তার
আনীত শরীয়ত পুর্ণাঙ্গতম শরীয়াতে পরিণত হল ৷ আর সুস্থ মানব বিবেকের বিবেচনায় যা কিছু
ভাল বিবেচিত তিনি তার নির্দেশ দিলেন এবং যা মন্দ বিবেচিত তা থেকে বারণ করলেন ৷
এমন কোন বিষয়ের নির্দেশ তিনি দেননি যে তারপরে একথা বলা হয়েছে, হার! যদি তিনি তার
নির্দেশ না দিতেন ! তাদ্র্যপ এমন কোন বিষয় থেকে তিনি বারণ করেননি যে, পরে বলা হয়েছে
হায় ৷ যদি তিনি তা থেকে বারণ না করতেন! তিনি তার অনুসারীদের জন্য সকল প্রকার পাক
বন্তু হালাল সাব্যস্ত করেছেন, তার কােনটিকে পরবর্তীতে হারাম সাব্যস্ত করেননি, যেমনটি
অন্যান্য নবীগণের শরীয়তে করা হয়েছিল ৷ তেমনি তিনি যে সকল বন্তুকে হারাম সাব্যস্ত
করেছেন তার কােনটিকেই পরবর্তীতে হালাল করেননি, যেমনটি অন্যরা করেছিলেন ৷ তিনি
পুর্ববর্তী সকল উম্মতের উত্তম বৈশিষ্ট্য সমুহের সমন্বয় “ঘটিয়ে ছিলেন; তাওরাত, যাবুর,
ইনজিলে আল্লাহ সম্পর্কে ফেরেশতা সম্পর্কে এবং শেষ দিবস সম্পর্কে যে খবরই উল্লেখিত
হয়েছে তাই তিনি পুর্ণাঙ্গরু পে উপস্থাপন করেছেন এবং এমন অনেক বৃত্তান্ত আনয়ন করেছেন,
যা পুর্ববর্তী গ্রছসমুহে নেই ৷ এ সকল প্রন্থেন্যায়পরায়র্গতার সমর্থন, শ্রেষ্ঠ বিচার, সৎ স্বভাব ও
গুণের প্রতি উৎসাহ প্রদান, নেক আমলসমুহে আগ্রহ সৃষ্টি ইত্যাদি যা কিছু বিদ্যমান তিনি তার
সবই এসেছেন এবং তার থেকে উত্তম বিষয়ও এসেছেন ৷ কোন বুদ্ধিমান যদি ঐ ইবাদতসমুহের
যা তিনি প্রবর্তন করেছেন এবং অন্য উম্মতেৱ জন্য প্রবর্তিত ইবাদতসমুকৃহ্ব প্রতি লক্ষ্য করে
তাহলে তার কাছে তার প্রবর্তিত ইবাদতসমুহের প্রাধান্য ও গ্রেষ্ঠত্টু সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ৷ এবইি
অবস্থা তার শরীয়ত নির্ধারিত শান্তি ও বিধি বিধান এবং অন্যান্য শরীয়্তসমুহের নির্ধারিত শান্তি
ও বিধি-বিধানের মাঝে ৷ সকল সদগুণে ও বৈশ্যিষ্ট্য তার উষ্মত হল পুর্ণতম উম্মত ৷ যদি তাদের
ইলম ও জ্ঞানের তুলনা করা হয় অন্য সকল উষ্মতের ইলম ও জ্ঞানের সাথে তাহলে তাদের
ইলমের শ্রেষ্ঠতৃ প্রকাশ পাবে ৷ তদ্রাপ তাদের ধার্মিকতা, ইবাদত-বন্দেগী ও আল্পাহ্র
আনুগত্যকে অন্যদের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে, তারা অন্যদের তুলনায়
অধিকতর ধার্মিক ৷ আর যদি আল্লাহ্র পথে তাদের সাহসিকতা ও জিহাদ এবং আল্লাহ্র
খাতিরে বষ্টি-দুর্দশায় তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা পরিমাপ করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে,
জিহাদে তারা শ্রেষ্ঠতর এবং অন্তরের সাহসিকতায় শ্রেয়তর ৷ তদ্র্যপ যদি তাদের দানশীলতা,
সদাচারিতা ও মনের উদারতার অন্যদের সাথে তুলনা করা হয় তাদের দেখা যাবে তারা
অন্যদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি অগ্রসর ৷
আর এ সকল সদগুণই তারা লাভ করেছেন তার (সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম)
ওসীলায়; শিখেছেন তারই কাছে, তিনিই তাদেরকে এগুলির নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তার
আবির্ভাবের পুর্বে তারা (উম্মত) এমন কোন কিতাবের অনুসারী ছিলেন না যার পুর্ণতা প্রদানের
জন্য তিনি আগমন কা:রছিলেন,যেমন মাসীহ (আ) তাওৱাতের শরীয়তকে পুর্ণতা প্রদানের জন্য


إِلَى الْمَدِينَةِ وَبِهَا الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، لَيْسَ فِيهِمْ مَنْ آمَنَ بِرَغْبَةٍ دُنْيَوِيَّةٍ وَلَا بِرَهْبَةٍ إِلَّا قَلِيلًا مِنَ الْأَنْصَارِ أَسْلَمُوا فِي الظَّاهِرِ ثُمَّ حَسُنَ إِسْلَامُ بَعْضِهِمْ. ثُمَّ أُذِنَ لَهُ فِي الْجِهَادِ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ، وَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا بِأَمْرِ اللَّهِ عَلَى أَكْمَلِ طَرِيقَةٍ وَأَتَمِّهَا مِنَ الصِّدْقِ وَالْعَدْلِ وَالْوَفَاءِ، لَا يُحْفَظُ لَهُ كِذْبَةٌ وَاحِدَةٌ، وَلَا ظُلْمٌ لِأَحَدٍ، وَلَا غَدْرٌ بِأَحَدٍ، بَلْ كَانَ أَصْدَقَ النَّاسِ وَأَعْدَلَهُمْ وَأَوْفَاهُمْ بِالْعَهْدِ مَعَ اخْتِلَافِ الْأَحْوَالِ عَلَيْهِ مِنْ حَرْبٍ وَسِلْمٍ، وَأَمْنٍ وَخَوْفٍ، وَغِنًى وَفَقْرٍ، وَقُدْرَةٍ وَعَجْزٍ، وَتَمَكُّنٍ وَضَعْفٍ، وَقِلَّةٍ وَكَثْرَةٍ، وَظُهُورٍ عَلَى الْعَدُوِّ تَارَةً وَظُهُورِ الْعَدُوِّ تَارَةً. وَهُوَ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ لَازِمٌ لِأَكْمَلِ الطُّرُقِ وَأَتَمِّهَا، حَتَّى ظَهَرَتِ الدَّعْوَةُ فِي جَمِيعِ أَرْضِ الْعَرَبِ الَّتِي كَانَتْ مَمْلُوءَةً مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، وَمِنْ أَخْبَارِ الْكُهَّانِ، وَطَاعَةِ الْمَخْلُوقِ فِي الْكُفْرِ بِالْخَالِقِ، وَسَفْكِ الدِّمَاءِ الْمُحَرَّمَةِ، وَقَطِيعَةِ الْأَرْحَامِ، لَا يَعْرِفُونَ آخِرَةً وَلَا مَعَادًا، فَصَارُوا أَعْلَمَ أَهْلِ الْأَرْضِ وَأَدْيَنَهُمْ وَأَعْدَلَهُمْ وَأَفْضَلَهُمْ، حَتَّى إِنَّ النَّصَارَى لَمَّا رَأَوْهُمْ حِينَ قَدِمُوا الشَّامَ قَالُوا: مَا كَانَ الَّذِينَ صَحِبُوا الْمَسِيحَ بِأَفْضَلَ مِنْ هَؤُلَاءِ. وَهَذِهِ آثَارُ عِلْمِهِمْ وَعَمَلِهِمْ فِي الْأَرْضِ وَآثَارُ غَيْرِهِمْ، يَعْرِفُ الْعُقَلَاءُ فَرْقَ مَا بَيْنَ الْأَمْرَيْنِ. وَهُوَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ ظُهُورِ أَمْرِهِ، وَطَاعَةِ الْخَلْقِ لَهُ، وَتَقْدِيمِهِمْ لَهُ عَلَى الْأَنْفُسِ وَالْأَمْوَالِ، مَاتَ وَلَمْ يَخْلُفْ دِرْهَمًا وَلَا دِينَارًا، وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا، إِلَّا بَغْلَتَهُ وَسِلَاحَهُ، وَدِرْعَهُ مَرْهُونَةً عِنْدَ يَهُودِيٍّ عَلَى ثَلَاثِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ ابْتَاعَهَا لِأَهْلِهِ، وَكَانَ بِيَدِهِ عَقَارٌ يُنْفِقُ مِنْهُ عَلَى أَهْلِهِ، وَالْبَاقِي يَصْرِفُهُ فِي مَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ، فَحَكَمَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৯১

এসেছিলেন ৷ত তাই হযরত ঈসার (আ) অনুসারীদের কতক সদগুণ ও জ্ঞান ছিল তাওরাত থেকে
সংগৃহীত, কতক যাবুর থেকে, কতক বিভিন্ন (ঐশী) ভবিষ্যদ্বাণী থেকে, কতক হযরত মাসীহ
(আ) থেকে, কতক তার পরবর্তী হাওয়ারী দের থেকে এবং কতক এদেরও পরবর্তীদের থেকে ৷
আর তারা দার্শনিক প্রতৃতিদের মতবাদের সাহায্য গ্রহণ করেছে, এমনকি তারা যখন মাসীহের
দীনকে পরিবর্তিত ৩করেছে তখন এতে কাফিরদের এমন সব বিষয়াদির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে যা
মাসীহ (আ) এর দীনের সম্পুর্ণ পবিপন্থী ৷ আর মুহাম্মদ (সা) এ-র উষ্মতগণ ইতিপুর্বে কোন
ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতেন না; বরং তাদের সিৎহভাগই তার মাধ্যমেই হযরত মুসা, ঈসা, দাউদ
এবৎ ৩াওরা৩ , ইনজ্বিল ও যাবুরের প্রতি ঈমান এসেছেন ৷ তিনি তাদেরকে সবক্ষ্য নবীর প্রতি
ঈমান আমার এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সবম্স কিতাবকে আল্লাহ্র কিতাব বলে স্বীকার
করার নির্দেশ দিয়ােছা, এবং রাসুলগণের মাঝে কোনরুপ তারতম্য করতে নিষেধ করেছেন ৷
তার আনীত গ্রন্থে আল্লাহ তা আলা বলেনং

ণ্ প্









“তোমরা বল, আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম,
ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা কিছু তাদের
প্রতিপালকের নিকট হতে মুসা, ঈস৷ ও অন্যান্য নবীর্গণকে দেয়া হয়েছে সে সবের প্রতি ৷
আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তার নিকট আত্মসমর্পণকারী” (২
বাকারাং : ১৩৬) ৷

আল্লাহ্ তা আলা বলেন০ ং





“ রাসুল তার প্রতি তার প্ৰতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে সে সবের প্ৰতি
ঈমান এসেছে এবং মুমিনরা তারা সকলে ঈমান এন্যেছ আল্লাহ্তে; তার (ফরেশতাকুলের
প্রতি, তার কিতাব সমুহের প্রতি ও তার রাসুলগণের প্রতি ৷ (তারা বলে) আমরা তার
রাসুলগণের মাঝে কোন তারতম্য করিনা, আর তারা বলে, আমরা শ্যুনছি এবং মান্য করেছি,
হে আমাদের প্রতিপালক ৷ আমরা তোমার ক্ষমা চাই, আর প্রত্যাব৩ ন তােমারই নিকট ৷ আল্লাহ্
কারও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িতু অর্পন করেন না, যা তার সাধ্যাভীত ৷ সে ভাল যা
অর্জন করে তা তারই এবং সে মন্দ যা উপার্জন করে তাও তারই” (২বাকারা : ২৮৫-২৮৬) ৷


بِأَنَّهُ لَا يُورَثُ، وَلَا يَأْخُذُ وَرَثَتُهُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ. وَهُوَ فِي كُلِّ وَقْتٍ يُظْهِرُ مِنْ عَجَائِبِ الْآيَاتِ وَفُنُونِ الْكَرَامَاتِ مَا يَطُولُ وَصْفُهُ، وَيُخْبِرُهُمْ بِمَا كَانَ وَمَا يَكُونُ، وَيَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ، وَيَشْرَعُ الشَّرِيعَةَ شَيْئًا بَعْدَ شَيْءٍ، حَتَّى أَكْمَلَ اللَّهُ دِينَهُ الَّذِي بَعَثَهُ بِهِ، وَجَاءَتْ شَرِيعَتُهُ أَكْمَلَ شَرِيعَةٍ، لَمْ يَبْقَ مَعْرُوفٌ تَعْرِفُ الْعُقُولُ أَنَّهُ مَعْرُوفٌ إِلَّا أَمَرَ بِهِ، وَلَا مُنْكَرٌ تَعْرِفُ الْعُقُولُ أَنَّهُ مُنْكَرٌ إِلَّا نَهَى عَنْهُ، لَمْ يَأْمُرْ بِشَيْءٍ فَقِيلَ: لَيْتَهُ لَمْ يَأْمُرْ بِهِ. وَلَا نَهَى عَنْ شَيْءٍ فَقِيلَ: لَيْتَهُ لَمْ يَنْهَ عَنْهُ. وَأَحَلَّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ لَمْ يُحَرِّمْ شَيْئًا مِنْهَا كَمَا حُرِّمَ فِي شَرْعِ غَيْرِهِ، وَحَّرَمَ الْخَبَائِثَ لَمْ يُحِلَّ مِنْهَا شَيْئًا كَمَا اسْتَحَلَّهُ غَيْرُهُ، وَجَمَعَ مَحَاسِنَ مَا عَلَيْهِ الْأُمَمُ، فَلَا يُذْكَرُ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالزَّبُورِ نَوْعٌ مِنَ الْخَبَرِ عَنِ اللَّهِ وَعَنِ الْمَلَائِكَةِ وَعَنِ الْيَوْمِ الْآخِرِ إِلَّا وَقَدْ جَاءَ بِهِ عَلَى أَكْمَلِ وَجْهٍ، وَأَخْبَرَ بِأَشْيَاءَ لَيْسَتْ فِي الْكُتُبِ، فَلَيْسَ فِي الْكُتُبِ إِيجَابٌ لِعَدْلٍ، وَقَضَاءٌ بِفَضْلٍ، وَنَدْبٌ إِلَى الْفَضَائِلِ، وَتَرْغِيبٌ فِي الْحَسَنَاتِ إِلَّا وَقَدْ جَاءَ بِهِ وَبِمَا هُوَ أَحْسَنُ مِنْهُ، وَإِذَا نَظَرَ اللَّبِيبُ فِي الْعَبَّادَاتِ الَّتِي شَرَعَهَا وَعِبَادَاتِ غَيْرِهِ مِنَ الْأُمَمِ ظَهَرَ فَضْلُهَا وَرُجْحَانُهَا، وَكَذَلِكَ فِي الْحُدُودِ وَالْأَحْكَامِ وَسَائِرِ الشَّرَائِعِ. وَأُمَّتُهُ أَكْمَلُ الْأُمَمِ فِي كُلِّ فَضِيلَةٍ، وَإِذَا قِيسَ عِلْمُهُمْ بِعِلْمِ سَائِرِ الْأُمَمِ ظَهَرَ فَضْلُ عِلْمِهِمْ، وَإِنْ قِيسَ دِينُهُمْ وَعِبَادَتُهُمْ وَطَاعَتُهُمْ لِلَّهِ بِغَيْرِهِمْ ظَهَرَ أَنَّهُمْ أَدْيَنُ مِنْ غَيْرِهِمْ، وَإِذَا قِيسَ شَجَاعَتُهُمْ وَجِهَادُهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَصَبْرُهُمْ عَلَى الْمَكَارِهِ فِي ذَاتِ اللَّهِ ظَهَرَ أَنَّهُمْ أَعْظَمُ جِهَادًا وَأَشْجَعُ قُلُوبًا، وَإِذَا قِيسَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৯২

আর তার উষ্মত তার আনীত বিষয় ব্যতীত দীনের ক্ষেত্রে নতুন কিছুর অস্তিতু দানবক বৈধ
মনে করেনা, এবং এমন কোন বিদআত বা অভিনব বিষয়ের অবতারণা করে না যার সপক্ষে
আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি ৷ > তদ্র্যপ দীনের এমন কোন বিধান প্রবর্তন করেনা, যার
অনুমতি আল্লাহ্ দেননি ৷ কিত্তু তিনি তাদেরকে পুর্ববর্তী নবী ও উষ্মতসমুহের যে বৃত্তান্ত
শুনিয়েছেন, তারা তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে ৷ আর আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের লোকজন
তাদের দীনের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ যা কিছু তাদেরকে বর্ণনা করেছেন তারা তা বিশ্বাস করেছে,
আর যে বিষয়ের সভ্যতা ও অসতাতা প্রমাণিত হয়নি তারা সে ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন
করেছে ৷ আর যে বিষয়কে তারা মিথ্যা জেনেছেত তারা তা প্ৰভ্যাখান করেছে ৷ আর দীনের
বিষয়ে যারা ভারতীয়, পারসিক, গ্রীক ও অন্যান্য দার্শনিকদের মতামতের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে
তারা তাদের কাছে ধর্মদ্রোহী ও বিদআভীরুপে বিবেচিত হয়েছে ৷ এটইি হল ঐ দীনের পরিপুর্ণ
অবয়ব যার অনুসারী ছিলেন তা ল্লোহ্-রাসুলের সাহাবীগণ ও তাবিঈগণ, তদ্র্যপ এরই অনুসারী
হলেন ণ্নতৃন্থানীয় আলিম ও ইমামগণ, যাদের মর্যাদা ও স্বীকৃতি গোটা উম্মতে রয়েছে এবং
যাদের অনুসারী সিৎহভাগ সাধারণ মুসলমান ৷ আর যে ব্যক্তি দীনের এই কাঠামো থেকে বের
হয়ে গেল সে সকলের কাছে নিন্দিত ও বিতাড়িত ৷ আর তা হল আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাআতের মাযহাব-যারা কিয়ামত পর্যন্ত প্রবল থাকবে ৷ যাদের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন :
“আমার উম্মতের একটি দল (সবসময়) সত্যে অবিচল ও প্রবল থাকবে, তাদের বিরোধী
ও অসহযাের্গীরা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না”

দীন ইসলামের মুল বিষয় যা ব্যাপক অর্থে সকল রাসুলের দীম্ণ্ এবং বিশেষ অর্থে মুহাম্মদ
(সা) এর দীন তাতে একমত থাকার পর কখনও কোন কোন মুসলমান পারস্পরিক কলহ
বিবাদে লিপ্ত হয় ৷ আর যারা এই মুল বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে তারা তাদের কাছে
ধর্মদ্রোহী ও ভ€সনারপাত্র ৷ তবে তারা ঐ সকল নাসারাদের মত নয় যারা একটি নতুন দীনের
উক্তা ঘটিয়েছে, যার অজ্যিাবকতু করেছে তাদের বড় বড় ধর্মযাজক্ ও সা ধকগণ, আর তাদের
রাজা-বাদশারা তার খাতিরে যুদ্ধ করেছে এবং সাধারণ প্রজারা তাতে সংশ্লিষ্ট হয়েছে ৷ আর
এটা হল নব উদ্ভাবিত দীন’ ৷ এটা যেমন ঈসা মাসীহের দীন নয় তেমনি অন্য নবীদের দীনও
নয় ৷ আল্লাহ্ তাআল৷ তার রাসুলগণকে কল্যাণকরইল্ম ও লেক আমল দিয়ে প্রেরণ করেছেন ৷
যারা রাসুলগণের অনুসারী হবে তারা দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্য লাভ করবে, আর যারা
ইল্ম ও আমলে নবীদের অনুসরণে অবহেলা করবে তারা বিদআঃতর অনুসারী হবে ৷ আল্লাহ্
তা আলা যখন মুহাম্মদ (সা) কে হিদায়াত ও সতাদীন সহ প্রেরণ করলেন, তখনমৃসলমানগণ
তীর থেকে তা গ্রহণ করল ৷ তাই মুহাম্মদ (সার্চু-এর উষ্মত যে কল্যাণকর জ্ঞান এবং পুণ্যকর্মের
অনুসারী, তার সবই তারা গ্রহণ করেছে তাদের নবী থেকে ৷ যেমনভাবে প্রত্যেক বুদ্ধিসম্পন্ন

১ শরীয়তের পরিভাষায় এ জাতীয় কাজকে বেদাআত বলা হয়ে থাকে ৷ মুল আরবী পাঠেও এ শব্দটিও রয়েছে ৷
প্সম্পাদক


سَخَاؤُهُمْ وَبَذْلُهُمْ وَسَمَاحَةُ أَنْفُسِهِمْ بِغَيْرِهِمْ ظَهَرَ أَنَّهُمْ أَسْخَى وَأَكْرَمُ مِنْ غَيْرِهِمْ. وَهَذِهِ الْفَضَائِلُ بِهِ نَالُوهَا، وَمِنْهُ تَعَلَّمُوهَا، وَهُوَ الَّذِي أَمَرَهُمْ بِهَا، لَمْ يَكُونُوا قَبْلَهُ مُتَّبِعِينَ لِكِتَابٍ جَاءَ هُوَ بِتَكْمِيلِهِ كَمَا جَاءَ الْمَسِيحُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِتَكْمِيلِ شَرِيعَةِ التَّوْرَاةِ، فَكَانَتْ فَضَائِلُ أَتْبَاعِ الْمَسِيحِ وَعُلُومُهُمْ بَعْضُهَا مِنَ التَّوْرَاةِ، وَبَعْضُهَا مِنَ الزَّبُورِ، وَبَعْضُهَا مِنَ النُّبُوَّاتِ، وَبَعْضُهَا مِنَ الْمَسِيحِ، وَبَعْضُهَا مِمَّنْ بَعْدَهُ كَالْحَوَارِيِّينَ وَمَنْ بَعْدَ الْحَوَارِيِّينَ، وَقَدِ اسْتَعَانُوا بِكَلَامِ الْفَلَاسِفَةِ وَغَيْرِهِمْ حَتَّى أَدْخَلُوا - لَمَّا غَيَّرُوا دِينَ الْمَسِيحِ - فِي دِينِ الْمَسِيحِ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الْكُفَّارِ الْمُنَاقِضَةِ لِدِينِ الْمَسِيحِ. وَأَمَّا أُمَّةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَكُونُوا قَبْلَهُ يَقْرَؤُونَ كِتَابًا، بَلْ عَامَّتُهُمْ مَا آمَنُوا بِمُوسَى وَعِيسَى وَدَاوُدَ وَالتَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالزَّبُورِ إِلَّا مِنْ جِهَتِهِ، وَهُوَ الَّذِي أَمَرَهُمْ أَنْ يُؤْمِنُوا بِجَمِيعِ الْأَنْبِيَاءِ، وَيُقِرُّوا بِجَمِيعِ الْكُتُبِ الْمُنَزَّلَةِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، وَنَهَاهُمْ أَنْ يُفَرِّقُوا بَيْنَ أَحَدٍ مِنَ الرُّسُلِ، فَقَالَ تَعَالَى فِي الْكِتَابِ الَّذِي جَاءَ بِهِ: {قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 136] الْآيَةَ، [الْبَقَرَةِ: 285 - 286]
পৃষ্ঠা - ৪৬৯৩


ব্যক্তির কাছে এ বিষয়টি দিবালোকের মত সুস্পষ্ট যে, তার উষ্মতই সকল ইলমী ও আমলী
ফযীলত ও গুণের ক্ষেত্রে পুর্ণাঙ্গতম উম্মত ৷ আর এ কথাও সুবিদিত শাখারুপী শিক্ষার্ণীর সকল
পুর্ণতা মুলরুপী শিক্ষক থেকে উৎসারিত ৷ আর এর দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, নবী করীম
(মা) ছিলেন ইল্মে ও দীনদারীতে পুর্ণতম মানব ৷ আর আমাদের আলোচিত উপরোক্ত
বিষয়সমুহ অপরিহার্যভাবে একথা সাব্যস্ত করে যে, তিনি তার এ কথায় সতবােদী যে, আমি
তোমাদের সকলের প্রতি আল্লদ্ধিহ্র (প্রেরিত) রাসুল, তিনি মিথ্যাশ্রয়ী বা মিথ্যারটনাকারী নন ৷
কেননা, এ কথা সতবােদী, পুর্ণাঙ্গতম ও সর্বোত্তম মানব ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারে না ৷ আর
যদি কোন মিথ্যাবাদী এরুপ কথা বলে, তাহলে সে সৰ্বাধিক ঘৃণ্য হবে ৷ আর নবী করীম
(না)-এর উল্লেখিত জ্ঞানের পুর্ণতা ও দীনদারী সকল নিকৃষ্টতা, পৈশাচিকতা ও অজ্ঞতার
পরিপন্থী ৷ সুতরাং এ কথা সুসাব্যস্ত ও নির্ধারিত হল যে, তিনি ইল্মে ও দীনদারীতে সর্বোচ্চ
পুর্ণতার অধিকারী ৷ আর এ সিদ্ধান্তের অপরিহার্য দাবি হল , তার এ বক্তব্যে তিনি সতবােদী,
যাতে তিনি বলেছেন, “আমি তোমাদের সকলের প্রতি আল্লাহ্র (প্রেরিত) রাসুল” কেননা,
সত্য না বলার কারণ হয় ইচ্ছাকৃত কিত্বা ভুলবশত ৷ আর যদি তিনি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলে
থাকেন তিনি অবশ্যই একজন পথভ্রষ্ট ও অনাচারী, আর ভৃলবশত বলে থাকলে তিনি অবশ্যই
অজ্ঞ ও বিভ্রান্ত, অথচ মুহাম্মদ (না)-এর জ্ঞান বা অজ্ঞতার পরিপন্থী আর তার পরিপুর্ণ দীনদারী
ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচারের পরিপন্থী ৷ তীর সকল চারিত্রিক গুণড়াবলীর অবগতি এই অবগতিকে
অপরিহার্যরুপে সাব্যস্ত করে যে, তিনি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতে পারেন না, অবগতি বা জ্ঞান ছাড়া
মিথ্যা বলার মত অজ্ঞও তিনি হতে পারেন না ৷ আর উভয়টিই যখন তার পক্ষে অসম্ভব তখন এ
বিষয়টি সুনির্ধারিত হল যে, তিনি সতবােদী ছিলেন, এবং নিজের সত্যবাদিতার অবগতিও তীর
ছিল ৷ তাই আল্পাহ্ তাআলা এই দুটি বিষয় থেকে তাকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করেছেন :

টু-ষ্ণর্ম্প টু
; ষ্১র্দু;ছুষ্
“শপথ নক্ষত্রের, যখন তা অস্তমিত হয় ৷ তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়
এবং সে মনগড়া কথাও বলেনা, এ তো ওহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (৫৩ নাজ্বমঃ ১ ৪ )
রাসুলের উপর অবতীর্ণ এই ওহীর বাহক ফেরেশতা সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন :
শ্প্রু;১০ন্ন্^দু é
“নিশ্চয় এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবাহকের আনীত বাণী, যে সায়র্থ্যশালী, আরশের
মালিকের নিকট মর্যাদা সম্পন্ন, যাকে সেখানে মান্য করা হয় এবং যে বিশ্বাসভাজন” (৮১
তাক্ভীর : ১৯-২১) ৷
তারপর তিনি তার রাসুল সম্পর্কে বলেন :

’ :

০ শ্ : শ্ ;

× : —


وَأُمَّتُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَا يَسْتَحِلُّونَ أَنْ يَأْخُذُوا شَيْئًا مِنَ الدِّينِ غَيْرَ مَا جَاءَ بِهِ، وَلَا يَبْتَدِعُونَ بِدَعَةً مَا أَنْزَلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ، وَلَا يَشْرَعُونَ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ، لَكِنَّ مَا قَصَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ أَخْبَارِ الْأَنْبِيَاءِ وَأُمَمِهِمُ اعْتَبَرُوا بِهِ، وَمَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَهْلُ الْكِتَابِ مُوَافِقًا لِمَا عِنْدَهُمْ صَدَّقُوهُ، وَمَا لَمْ يَعْلَمُوا صِدْقَهُ وَلَا كَذِبَهُ أَمْسَكُوا عَنْهُ، وَمَا عَرَفُوا أَنَّهُ بَاطِلٌ كَذَّبُوهُ، وَمَنْ أَدْخَلَ فِي الدِّينِ مَا لَيْسَ مِنْهُ مِنْ أَقْوَالِ مُتَفَلْسِفَةِ الْهِنْدِ أَوِ الْفُرْسِ أَوِالْيُونَانِ أَوْ غَيْرِهِمْ، كَانَ عِنْدَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْإِلْحَادِ وَالِابْتِدَاعِ، وَهَذَا هُوَ الدِّينُ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالتَّابِعُونَ، وَهُوَ الَّذِي عَلَيْهِ أَئِمَّةُ الدِّينِ الَّذِينَ لَهُمْ فِي الْأُمَّةِ لِسَانُ صِدْقٍ، وَعَلَيْهِ جَمَاعَةُ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتُهُمْ، وَمَنْ خَرَجَ عَنْ ذَلِكَ كَانَ مَذْمُومًا مَدْحُورًا عِنْدَ الْجَمَاعَةِ، وَهُوَ مَذْهَبُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَهُمُ الظَّاهِرُونَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ، الَّذِينَ قَالَ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ وَلَا مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ» . وَقَدْ يَتَنَازَعُ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ مَعَ اتِّفَاقِهِمْ عَلَى هَذَا الْأَصْلِ الَّذِي هُوَ دِينُ الرُّسُلِ عُمُومًا، وَدِينُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُصُوصًا، وَمَنْ خَالَفَ فِي هَذَا الْأَصْلِ كَانَ عِنْدَهُمْ مُلْحِدًا مَذْمُومًا، لَيْسُوا كَالنَّصَارَى الَّذِينَ ابْتَدَعُوا دِينًا قَامَ بِهِ أَكَابِرُ عُلَمَائِهِمْ وَعُبَّادِهِمْ، وَقَاتَلَ عَلَيْهِ مُلُوكُهُمْ، وَدَانَ بِهِ جُمْهُورُهُمْ، وَهُوَ دِينٌ مُبْتَدَعٌ لَيْسَ هُوَ دِينَ الْمَسِيحِ وَلَا دِينَ غَيْرِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَرْسَلَ رُسُلَهُ بِالْعِلْمِ النَّافِعِ، وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ، فَمَنِ اتَّبَعَ الرُّسُلَ حَصَلَ لَهُ سَعَادَةُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِنَّمَا دَخَلَ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৬৯৪

“এবং তোমাদের সঙ্গী উম্মাদ নয়, সে তাে তাকে স্পষ্ট দিগম্ভে দেখেছে, সে অদৃশ্য বিষয়
সম্পর্কে কৃপণ নয় এবং এটা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয় ৷ সুতরাং তোমরা কোথায় চলেছ ?
এটা তাে শুধু বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ” ’ (৮১ তাক্ভীর : ২২ ২৭ ) ৷

আ ল্পাহ্ তাআলা কুরআন সম্পর্কে বলেন ং

ছু ন্১ ট্রু;,টুকুএ

,

ণ্


“আল-র্কুরআন জগতসমুহের প্রতিপালক হতে অবতীর্ণ, জিবরীল তা নিয়ে অবতরণ
করেছে তোমার হৃদয়ে; যাতে করে তুমি সতর্ককারী হতে পার ৷ অবতীর্ণ করা হয়েছে সুস্পষ্ট
আরবী ভাষায়” (২৬ শুআরা : ১৯ ২-১৯৫) ৷

ৰঠু১১১এা

ভোমাদেবকে কি আমি আমার যে, কার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়? তারাতে৷ অবতীর্ণ
হয় প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট , তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাং
মিথ্যাবাদী (২৬ আরো : ২২১-২২৩) ৷

আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, যে ব্যক্তি আপন কুমতলব চরিতার্থ করার জন্য প্রয়াসী, তার
উপরই শয়তান অবতীর্ণ হয় ৷ কেননা, শয়তান সর্বদা অনিষ্ট ও অকল্যাণকামী ৷ আর অনিষ্ট হল
মিথ্যা ও পাপাচার ৷ সে কখনও সত্য ও ইনসাফকামী হয় না ৷ তাই সে তারই সহচর হয়, যার
মাঝে মিথ্যার অস্তিত্ব থাকে ৷ সে মিথ্যা চাই ইচ্ছাকৃত হোক, চাই ভুলবশত বা পাপাসক্তির
কারশ্চেইি হোক ৷ দীনের ব্যাপারে এ জাতীয় ভুলও শয়তানের পক্ষ থেবেইি হয়ে থাকে-যেমন
আবদুল্পাহ্ ইবন মাসউদ (রা) যখন একটি মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হলেন তখন তিনি
বললেন, (এরপর) আমি আমার রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব, যদি তা সঠিক হয় তাহলে
আল্লাহ্র পক্ষ থেকে, আর যদি তা জ়৷ হয় তাহলে আমার নিজের পক্ষ থেকে এবং শয়তানের
পক্ষ থেকে, আল্লাহ্ ও তার রাসুল এর দায় মুক্ত ৷ কেননা ইচ্ছাকৃত ও ত্যুাবশত উভয় অবস্থায়ই
আল্লাহ্র রাসুল শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকেন ৷ তবে রাসুল ছাড়া অন্যদের ব্যাপার আলাদা;
কেননা, তার ভুল কখনও কখনও শয়তান থেকে হয়ে থাকে, যদি তা ক্ষমাও পেয়ে যায় আর
যেহেতু তার সম্বন্ধে এমন কোন কথা জানা যায়নি, যাতে তার প্রদত্ত সংবাদ ভুল প্রমাণিত
হয়েছে, কিংবা এমন কোন নির্দেশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, যাতে তিনি আল্লাহ্র অবাধ্যতা
করেছেন ৷ তাই একথা প্রমাণিত হল যে, তার উপর শয়তান নাযিল হয়নি, নাযিল হয়েছেন

সম্মানিত ফেরেশত৷ ৷ এজন্য তিনি অন্য আয়াতে নবী করীম (সা) সম্পর্কে বলেছেন ?

>াট্রু€ংপ্রু ৰুা১ হ্১ট্রুশু’শু ;’ও ধ্রুইপ্ ১এেএ ১এান্ এর্দুএশু ১১ ন্থে১,ণ্ছু১ব্র এর্দুপ্রু’ন্১ ’এঠুন্’ব্লএ ক্রো

;

’গো৷ মোঃ র্শ্বএেন্থে

“নিশ্চয় এই কুরআন এক সম্মানিত রাসুলের বাহিত বার্তা, এ কোন কবির রচনা নয়,
তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর ৷ এ কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর ৷ এ
জগৎসমুহের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ (৬৯ আল-হাক্কা : ৪ :-৪৩) ৷


الْبِدَعِ مَنْ قَصَّرَ فِي اتِّبَاعِ الْأَنْبِيَاءِ عِلْمًا وَعَمَلًا، وَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ، تَلَقَّى ذَلِكَ عَنْهُ الْمُسْلِمُونَ أُمَّتُهُ، فَكُلُّ عِلْمٍ نَافِعٍ وَعَمَلٍ صَالِحٍ عَلَيْهِ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذُوهُ عَنْ نَبِيِّهِمْ، مَعَ مَا يَظْهَرُ لِكُلِّ عَاقِلٍ أَنَّ أُمَّتَهُ أَكْمَلُ الْأُمَمِ فِي جَمِيعِ الْفَضَائِلِ الْعِلْمِيَّةِ وَالْعَمَلِيَّةِ، وَمَعْلُومٌ أَنَّ كُلَّ كَمَالٍ فِي الْفَرْعِ الْمُتَعَلِّمِ هُوَ فِي الْأَصْلِ الْمُعَلِّمِ، وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ أَكْمَلَ النَّاسِ عِلْمًا وَدِينًا، وَهَذِهِ الْأُمُورُ تُوجِبُ الْعِلْمَ الضَّرُورِيَّ بِأَنَّهُ كَانَ صَادِقًا فِي قَوْلِهِ: {إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا} [الأعراف: 158] لَمْ يَكُنْ كَاذِبًا مُفْتَرِيًا، فَإِنَّ هَذَا الْقَوْلَ لَا يَقُولُهُ إِلَّا مَنْ هُوَ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ وَأَكْمَلِهِمْ إِنْ كَانَ صَادِقًا، أَوْ مَنْ هُوَ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ وَأَخْبَثِهِمْ إِنْ كَانَ كَاذِبًا، وَمَا ذُكِرَ مِنْ كَمَالِ عِلْمِهِ وَدِينِهِ يُنَاقِضُ الشَّرَّ وَالْخُبْثَ وَالْجَهْلَ، فَتَعَيَّنَ أَنَّهُ مُتَّصِفٌ بِغَايَةِ الْكَمَالِ فِي الْعِلْمِ وَالدِّينِ، وَهَذَا يَسْتَلْزِمُ أَنَّهُ كَانَ صَادِقًا فِي قَوْلِهِ {إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ} [الأعراف: 158] لِأَنَّ الَّذِي لَمْ يَكُنْ صَادِقًا إِمَّا أَنْ يَكُونَ مُتَعَمِّدًا لِلْكَذِبِ أَوْ مُخْطِئًا، وَالْأَوَّلُ يُوجِبُ أَنَّهُ كَانَ ظَالِمًا غَاوِيًا، وَالثَّانِي يَقْتَضِي أَنَّهُ كَانَ جَاهِلًا ضَالًّا، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَالُ عِلْمِهِ يُنَافِي جَهْلَهُ، وَكَمَالُ دِينِهِ يُنَافِي تَعَمُّدَ الْكَذِبِ، فَالْعِلْمُ بِصِفَاتِهِ يَسْتَلْزِمُ الْعِلْمَ بِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مُتَعَمِّدًا لِلْكَذِبِ، وَلَمْ يَكُنْ جَاهِلًا يَكْذِبُ بِلَا عِلْمٍ، وَإِذَا انْتَفَى هَذَا وَذَاكَ تَعَيَّنَ أَنَّهُ كَانَ صَادِقًا عَالِمًا بِأَنَّهُ صَادِقٌ؛ وَلِهَذَا نَزَّهَهُ اللَّهُ عَنْ هَذَيْنَ الْأَمْرَيْنِ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى} [النجم: 1] ثُمَّ قَالَ عَنْهُ: {وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُونٍ وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ} [التكوير: 22]
পৃষ্ঠা - ৪৬৯৫
أَيْ؛ بِمُتَّهَمٍ أَوْ بَخِيلٍ كَالَّذِي لَا يُعَلِّمُ إِلَّا بِجُعْلٍ، أَوْ لِمَنْ يُكْرِمُهُ: {وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ} [التكوير: 25] إِلَى قَوْلِهِ: {هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ} [الشعراء: 221] [الْحَاقَّةِ: 40 - 43] انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَهَذَا عَيْنُ مَا أَوْرَدَهُ بِحُرُوفِهِ.