আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
فصل في شجاعته صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৪

(একবার) হযরত উমর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনাকে দ্রুত বার্ধক্য পেয়ে বসেছে ৷ তখন
তিনি বললেন, সুরা হ্রদ ও এ জাতীয় সুরাগুলি, ওয়াকি আ না বা, তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে
ফেল্যেছ

নবী করীম (না)-এর বীরত্ব প্রসঙ্গ

গ্রন্থকার বলেন, আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে অতীতকালের জনৈক পুণ্যবান পুরুষের
বরাতে উল্লেখ করেছি যে , তিনি আল্লাহ তাআলার এই বাণী দ্ভ
সুতরাং আল্লাহ্ৰ্ পথে যুদ্ধ কর, তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হবে এবং
মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কব থেকে এই সিদ্ধান্ত আহরণ করেছেন যে, একাকী অবস্থায়
মুশবিকদের মুখোমুখি হলেও রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের থেকে পলায়ন না করার জন্য আদিষ্ট
ছিলেন ৷ আর তিনি ছিলেন, সর্বাধিক সাহসী, ধৈর্যশীল এবং শক্তসমর্থ অরিচল ৷ তিনি কখনও

যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেননি, যদিও তীর সহযােদ্ধারা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন ৷ জনৈক
সাহাবী বলেন, যুদ্ধ যখন তীব্রতয় হত এবং যােদ্ধারা প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হত তখন আমরা

ষ্

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আড়ালে আত্মরক্ষা করতাম ৷ বদরের দিন তিনি যখন প্রু;ণ্ প্রু ৷ ঞাটুশ্
(চেহারাসমুহ বিকৃত হোক) বলে এক মুঠো কঙ্কর নিয়ে এক সহস্র কাফেরের দিকে ছুড়ে
মাবলেন, তখন তা তাদের সকলের উপরই পড়েছিল ৷ এভাবে হুনায়ন্সের দিলেও; যেমনটি
ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন পরবর্তী অবস্থায় তার অধিকাৎশ সহযোদ্ধারা পলায়ন
করেছিলেন, কিন্তু তিনি স্বস্থানে স্থির ও অরিচল ছিলেন, তার সাথে শুধুমাত্র বারজন ছিলেন
যাদের ম কোর সাতজন নিহত হয়েছিলেন এবং পাচজন জীবিত ছিলেন ৷ আর এ সময়েই
উরাই ইবন খালুফ নিহত হয়েছিল ৷ আল্পাহ্ তাকে অভিশপ্ত করেন এবং সতুরই জাহান্নামে
প্রেরণ করেন ৷ আর হুনায়নের দিন সকলেই পলায়ন করেছিলেন, আর তাদের সং খ্যা ছিল বার
হাজার, এ সময় তিনি (তার) একশর মত সাহৰী নিয়ে স্বস্থানে অরিচল ছিলেন, সেদিন তিনি
তীর খচ্চর হীকিয়ে শত্রুদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ আর উচ্চস্বরে নিজের নাম ঘোষণা করে
আবৃত্তি করছিলেন :

াত্রৰু১া৷

“ আমি তা ৷ল্পাহ্র নবী মিথুদ্রক কভু নই

আবদুল মুত্তা ৷লিবের সন্তান আমি হই”
এমনকি শত্রুদের কেউ তার কাছে পৌছে যেতে পারে এ আশংকায় তার খচ্চরের চলার
গতি ৩হ্রড়াস করার জন্য হযরত আব্বাস, আলী ও আবু সুফিয়ান ঐ খচ্চরের সাথে ঝুলে
পড়ছিলেন ৷ (যুদ্ধের এই কঠিন মুহুর্ত পর্যন্ত) তিনি এরুপ স্থির ও অরিচল ছিলেন, অবশেষে
আল্লাহ তার ঐ স্থানেই তাকে সাহায্য ও সমর্থন যােগালেন ৷ আর লোকেরা যখন ফিরে আসল
তখন তার সামনে কর্তিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমুহ ভুপীকৃত হয়ে পড়ে রয়েছিল ৷ আবু যুরআ আব্বাস
ইবন আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ

করেছেন, প্রচণ্ড আক্রমণের ক্ষমতা দ্বারা আমাকে লোকদের মাঝে শ্রেষ্ঠতু দান করা হয়েছে ৷


[فَصْلٌ فِي شَجَاعَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] ذَكَرْتُ فِي " التَّفْسِيرِ " عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ أَنَّهُ اسْتَنْبَطَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 84] . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مَأْمُورًا أَنْ لَا يَفِرَّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِذَا وَاجَهُوهُ، وَلَوْ كَانَ وَحْدَهُ، مِنْ قَوْلِهِ: {لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ} [النساء: 84] وَقَدْ كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَشْجَعِ النَّاسِ وَأَصْبَرِ النَّاسِ وَأَجْلِدِهِمْ، مَا فَرَّ قَطُّ مِنْ مَصَافَّ وَلَوْ تَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ. قَالَ بَعْضُ الصَّحَابَةِ: كُنَّا إِذَا اشْتَدَّ الْحَرْبُ وَحَمِيَ الْبَأْسُ نَتَّقِي بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَفِي يَوْمِ بَدْرٍ رَمَى أَلْفَ مُشْرِكٍ بِقَبْضَةٍ مِنْ حَصْبَاءَ، فَنَالَتْهُمْ أَجْمَعِينَ حِينَ قَالَ: ( «شَاهَتِ الْوُجُوهُ» وَكَذَلِكَ يَوْمَ حُنَيْنٍ كَمَا تَقَدَّمَ، وَفَرَّ أَكْثَرُ أَصْحَابِهِ فِي ثَانِي الْحَالِ يَوْمَ أُحُدٍ وَهُوَ ثَابِتٌ فِي مُقَامِهِ لَمْ يَبْرَحْ مِنْهُ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا اثْنَا عَشَرَ، قُتِلَ مِنْهُمْ سَبْعَةٌ، وَبَقِيَ الْخَمْسَةُ، وَفِي هَذَا الْوَقْتِ قُتِلَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فَعَجَّلَهُ اللَّهُ إِلَى النَّارِ، وَيَوْمَ حُنَيْنٍ وَلَّى النَّاسُ كُلُّهُمْ، وَكَانُوا يَوْمَئِذٍ اثَّنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَثَبَتَ هُوَ فِي نَحْوٍ مِنْ مِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ رَاكِبٌ يَوْمَئِذٍ بَغْلَتَهُ، وَهُوَ يَرْكُضُ بِهَا إِلَى نَحْوِ الْعَدُوِّ، وَهُوَ يُنَوِّهُ بِاسْمِهِ الْكَرِيمِ وَيُعْلِنُ بِذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৫
قَائِلًا: «أَنَا النَّبِيُّ لَا كَذِبْ، أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ» حَتَّى جَعَلَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيُّ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ يَتَعَلَّقُونَ فِي تِلْكَ الْبَغْلَةِ لِيُبَطِّؤُوا سَيْرَهَا؛ خَوْفًا عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَصِلَ أَحَدٌ مِنَ الْأَعْدَاءِ إِلَيْهِ، وَمَا زَالَ كَذَلِكَ حَتَّى نَصَرَهُ اللَّهُ وَأَيَّدَهُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ، وَمَا تَرَاجَعَ النَّاسُ إِلَّا وَالْأُسَارَى مُكَبَّلَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ صُبْحٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فُضِّلْتُ عَلَى النَّاسِ بِشِدَّةِ الْبَطْشِ» .