আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
فصل في عبادته عليه الصلاة والسلام واجتهاده في ذلك
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৮

মন দিয়ে আল্লাহ্র কালাম শুনছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, প্রশংসা ঐ আল্লাহ্র,
যিনি আমার উম্মতের মাঝে এমন লোক পয়দা করেছেন, যাদের সংস্পর্শে নিজকে ধৈর্য সহকারে
রাখতে আমাকে আদেশ করা হয়েছে ৷ রাবী বলেন, তখন চক্রাকারে উপবিষ্ট সকলে ঘুরে বসল
এবং তাদের চেহারা প্রকাশ পেল ৷ (তিনি বলেন) কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের মাঝে একমাত্র
আমাকে ব্যতীত কাউকেই চিনলেন না ৷ তখন তিনি বললেন, হে দরিদ্র-নিঃস্ব মুহাজির
সম্প্রদায় ৷ তোমরা কাল কিয়ামত দিবসের পুর্ণ নুর ও জ্যোতির সুসংবাদ গ্রহণ কর ৷ ধনীদের
অর্ধ-দিবস পুর্বেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে আর তা হবে (এ দুনিয়ার) পাচশ বছর ৷
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী হাম্মাদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ থেকে হুমায়দ
আনাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেছেন, তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
চাইতে প্রিয়৩ র কেউ ছিল না ৷ আনাস (রা) বলেন, তারা (সড়াহাবাগণ) যখন তাকে দেখতে
পেতেন (অর্থাৎ তার আণমনকালে ) তার সম্মানার্থে উঠে দাড়ান্থ৩ ন না ৷ কেননা তিনি যে তা
পছন্দ করতেন না তা তাদের জানা ছিল ৷

পরািচ্ছদ
নবী করীম (না)-এর ইবাদত বন্দেগী এবং এ ব্যাপারে তার চেষ্টা সাধনা

হযরত আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এমনভাবে (ক্রমাগত) রােযা রেখে যেতেন
যে, আমরা বলাবলি কর৩ তাম, তিনি বুঝি আর রােযা ক্ষান্ত দেবেন না ৷ আবার এমনভাবে
ক্রাগত রােয৷ না রেখে রেখে থাকতেন যে, আমরা বলাবলি করতাম,৩ তিনি বুঝি আর রােযা
রাখবেন না ৷ তুমি ইচ্ছা করলে রাত্রে তাকে (নামাঘে) দণ্ডায়মান দেখতে পেতে, ইচ্ছা করলে
ঘুমত ৷ তিনি বলেন, রমযানে কিংবা অন্য কোন সময়ে (রাত্রিকালে ইশার পর) তিনি এগার
রড়াকআতের বেশি পড়েননি ৷ প্রথমে চার রাকআত পড়তেন-এই চার রাকআত কেমন দীর্ঘ
ছিল বা কেমন সুন্দর ছিল, সে সম্পর্কে তোমার প্রশ্ন করার কিছু নেই ৷ তারপর চার রাকআত
৷ ৩াও দৈর্থো ও সৌন্দর্যে অনুপম ও প্রশ্নাভীত, তারপর তিনি তিন রাক আত বিত্র পড়তেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন সুরা৩ তিলাওয়াত করতেন তখন তারভীলের (ধীর
স্থিরত৷ ও সুস্পষ্টতার) কারণে তা অনেক অনেক দীর্ঘ হয়ে যেত ৷ তিনি বলেন, তিনি এত দীর্ঘ
সময়ে নামাযে দাড়িয়ে থাকতেন যে, তার র্দাড়ানাের কষ্ট দেখে আমার তার জন্য বড় করুণা
হতো ইবন মাসউদ (রা) উল্লেখ করেন যে, তিনি এক রাত্রে তার সাথে নামায পড়লেন, তখন
তিনি প্রথম রাকআতে সুরা বাকারা , নিসা ও আলে ইমরান তিলাওয়াত করলেন ৷ তারপর তার
সমপরিমাণ সময় রুকু করলেন এবং রুকুর পর সমপরিমাণ সময় কিয়াম করলেন, তারপর
সমপরিমাণ সময় সিজদা করলেন ৷

হযরত আবু যার (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামাযে দাড়িয়ে
এই আয়াত পড়তে পড়তে সকাল করে ফেললেন :

শ্

ন্ঠু;,;াষ্ ণ্ধ্ণ্,ন্প্লুদ্ টু, ৷
“আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তাহলে তারা তাে আপনারই বন্দো, আর যদি তাদেরকে
ক্ষমা করেন তাহলে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়” (৫ মায়িদা : ১১৮) ৷


[فَصْلٌ فِي عِبَادَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَاجْتِهَادِهِ فِي ذَلِكَ] قَالَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ: لَا يُفْطِرُ. وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ: لَا يَصُومُ. وَكَانَ لَا تَشَاءُ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ قَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ، وَلَا تَشَاءُ تَرَاهُ نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ. قَالَتْ: وَمَا زَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ وَلَا فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ. قَالَتْ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ السُّورَةَ فَيُرَتِّلُهَا حَتَّى تَكُونَ أَطْوَلَ مِنْ أَطْوَلَ مِنْهَا. قَالَتْ: وَلَقَدْ كَانَ يَقُومُ حَتَّى أَرْثِيَ لَهُ؛ مِنْ شِدَّةِ قِيَامِهِ» . وَذَكَرَ ابْنُ مَسْعُودٍ «أَنَّهُ صَلَّى مَعَهُ لَيْلَةً فَقَرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الْأَوْلَى بِالْبَقَرَةِ وَالنِّسَاءِ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫৯
وَآلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ رَكَعَ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، وَرَفَعَ نَحْوَهُ وَسَجَدَ نَحْوَهُ» . وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ يَقْرَأُ هَذِهِ الْآيَةَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عَبَّادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] » [الْمَائِدَةِ: 118] . رَوَاهُ أَحْمَدُ. وَكُلُّ هَذَا فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا مِنَ الصِّحَاحِ، وَمَوْضِعُ بَسْطِ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ ". وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ حَتَّى تَفَطَّرَتْ قَدَمَاهُ، فَقِيلَ لَهُ: أَلَيْسَ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ؟! قَالَ: " أَفَلَا أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا» . وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُبِّبَ إِلَيَّ الطِّيبُ وَالنِّسَاءُ، وَجُعِلَتْ قُرَّةُ عَيْنِي فِي الصَّلَاةِ» " رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ جِبْرِيلَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ قَدْ حُبِّبَ إِلَيْكَ الصَّلَاةُ فَخُذْ مِنْهَا مَا شِئْتَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৬০

এই হাদীসখানি ইমাম আহমদ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর এসবই বুখারী মুসলিম এবং
হাদীসের অন্যান্য সহীহ্ গ্রন্থে বিদ্যমান ৷ আর এ সকল বিষয় বিশদতাবে আলোচনার ক্ষেত্র হল
কিতড়াবুল আহকাম আল-কাবীয়’ ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) এত দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাড়িয়ে থাকতেন যে, তার পদদ্বয় ফেটে যেত ৷ এ প্রসঙ্গে
তাকে বলা হল, আল্লাহ্ কি আপনার পুর্বাপর সকল ত্রুটি বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেননি ? তখন
তিনি বলৰ্ত তন আমি কি তার শোকরগুযার (কৃতজ্ঞ) বান্দ৷ হবে৷ না ? আর সালাম ইবন
সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহে হযরত আনাস সুত্রে ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদ করেছেন, আমার কাছে সুগন্ধি ও নারীকে প্রিয় করা হয়েছে আর নড়ামাযে আমার চক্ষুর
শীত লত৷ রাখা হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ ও নাসাঈ হাদীসখড়ানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ, আফ্ফান ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জিবরাঈল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক
বললেন :



“আপনার কাছে নামাযকে প্রিয় করা হয়েছে ৷ সুতরাং আপনি তা থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ
করুন ৷’
বুখারী ও মুসলিংম হযরত আবুদ দারদা থেকে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, (একবার)
রমযান মাসে প্রচণ্ড গরমের মাঝে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সফরে বের হলড়াম ৷ এ
সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহড়া ব্যতীত আমাদের কেউ রােযাদার ছিল
না ৷ মানসুরের হাদীস সংগ্রহ থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে আলকামার বরাতে বর্ণিত আছে ৷
তিনি বলেন, আমি হযরত আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইরাদত-বন্দেগীর জন্য কি
রাসুলুল্লাহ (সা) বিশেষ কোন দিন নির্ধারিত করতেন? জবাবে তিনি বললেন, না ৷ তার আমল
ছিল নিয়মিত ৷ আর আল্লাহর রাসুল যা পারতেন তেমািদের কে তা পারবে? হযরত আনাস,
আবদুল্লাহ ইবন উমর, আবু হুরায়রা ও আয়েশা বর্ণিত হাদীস থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে
একথা প্রামাণ্যরুপে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে (সাওমে বিছাল) বিরামহীনভাবে
রোয৷ রাখতেন; কিন্তু তার সাহাবীগণকে তা থেকে বারণ করেছেন এবং বলেছেন, আমিতাে
তোমাদের কারও মত নই ৷ আমি যখন আমার প্রতিপালকের কাছে (বিশেষ ব্যবস্থায়) রাত্রি
যাপন করি তখন তিনি আমাকে (বিশেষ ব্যবস্থায়) পানাহার করান ৷ আমি বলি, বিশুদ্ধ মত
হল, এই পানাহার হচ্ছে আধ্যাত্মিকভারে (বাহ্যিক পানাহার নয়) যেমন ইবন আসিম বর্ণিত
হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমরা তোমাদের অসুস্থদের পানাহারে বাধ্য
করােনা , কেননা, আল্লাহ তাআলা তাদের (বিশেষ) পানাহারের ব্যবস্থা করেন ৷ র্জ্যনক করি কী
সুন্দরই না বলেছেন :

;াহু৷ ;)এ লোঃম্র
তোমার স্মৃতির মধুর আলোচনা তাকে পানাহার ও পাথােয়র কথা বিস্মৃত করে দেয় ৷

নযর ইবন শুমায়ল, মুহাম্মদ ইবন আমর আবু হুরায়রড়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি
বলেছেন, প্রতিদিন আমি আল্লাহর কাছে একশ’বার তাওবা-ইসতিগৃফার করি ৷ বুখারী ফারয়াবী


وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ» . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخُصُّ شَيْئًا مِنَ الْأَيَّامِ؟ قَالَتْ: لَا، كَانَ عَمَلُهُ دِيمَةً، وَأَيُّكُمْ يَسْتَطِيعُ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَطِيعُ؟» ! وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوَاصِلُ، وَنَهَى أَصْحَابَهُ عَنِ الْوِصَالِ وَقَالَ: " إِنِّي لَسْتُ كَأَحَدِكُمْ، إِنِّي أَبَيْتُ عِنْدَ رَبِّي يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِي» ". وَالصَّحِيحُ أَنَّ هَذَا الْإِطْعَامَ وَالسُّقْيَا مَعْنَوِيَّانِ، كَمَا وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تُكْرِهُوا مَرْضَاكُمْ عَلَى الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ؛ فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُمْ وَيَسْقِيهِمْ» وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ بَعْضُهُمْ: لَهَا أَحَادِيثُ مِنْ ذِكْرَاكَ تَشْغَلُهَا ... عَنِ الشَّرَابِ وَتُلْهِيهَا عَنِ الزَّادِ وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪৬৬১
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ» ". وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ الْفِرْيَابِيِّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اقْرَأْ عَلَيَّ ". فَقُلْتُ: اقْرَأُ عَلَيْكَ، وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي ". قَالَ: فَقَرَأْتُ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ: {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلَاءِ شَهِيدًا} [النساء: 41] . قَالَ: " حَسْبُكَ ". فَالْتَفَتُّ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ» . وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ «أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ يَجِدُ التَّمْرَةَ عَلَى فِرَاشِهِ فَيَقُولُ: لَوْلَا أَنِّي أَخْشَى أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لَأَكَلْتُهَا» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا: وَكِيعٌ، ثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ «رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ تَحْتَ جَنْبِهِ تَمْرَةً مِنَ اللَّيْلِ فَأَكَلَهَا، فَلَمْ يَنَمْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَقَالَ بَعْضُ نِسَائِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرِقْتَ اللَّيْلَةَ. قَالَ: " إِنِّي وَجَدْتُ تَحْتَ جَنْبِي تَمْرَةً فَأَكَلْتُهَا، وَكَانَ عِنْدَنَا تَمْرٌ مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَخَشِيتُ أَنْ تَكُونَ مِنْهُ» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ هَذَا هُوَ اللَّيْثِيُّ؛ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬২

আবদুল্লাহ্ আমর আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বললেন, আমাকে তিলাওয়াত করে শুনাও৷ তখন আমি বললাম,
আপনাকে কী তিলাওয়াত করে শুনাবাে, আপনার উপরই তাে তা নাযিল হয়েছে? তিনি
বললেন, আমি তা অন্যের থেকে শুনতে তালবাসি ৷ তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন, তখন আমি সুরা
আন-নিসা তিলাওয়াত শুরু করলাম ৷ অবশেষে আমি যখন এই আয়াতে পৌহ্না৷মং

-যখন প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষীরুপে উপস্থিত করব, তখন কী অবস্থা হবে”? (৪ নিসাং : : ১ )
তখন তিনি বললেন; থাম, যথেষ্ট হয়েছে! তখন আমি তার দিকে ফিরে দেখলাম ,তার
চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত ৷ সহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, নবী করীম (সা) মাঝে মধ্যে তার বিছানায়
কোন খেজুর পােতন, তখন তিনি বলতেন, আমার যদি এই আশঙ্কা না হত যে তা সদকার
হতে পারে, তাহলে আমি তা খেতাম ৷ ইমাম আহমদ (বা) ওয়াকী আমর ইবন
শুআয়বের দাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, (একবার) রাত্রিকালে তার পার্শ্বদেশের নীচে একটি
খেজুর পেয়ে তা খেয়ে ফেললেন, এরপর তিনি আর সেই রাত্রে ঘুমাতে পারলেন না ৷ তখন
তার এক সহধ্র্মিণী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি বিনিদ্র রাত কটিালেন? জবাবে তিনি
বললেন, পার্শ্বদেশের একপাশে একটি খেজুর পেয়ে আমি তা খেয়ে ফেলেছি ৷ আর এ সময়
আমাদের গৃহে কিছু সাদকার খেজুর ছিল, তখন আমার আশঙ্কা হল, খেজুরটি ঐ খেজুরও হতে
পারে ৷ হাদীসটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ আর এই হাদীসের রাবী উসামা ইবন যায়দ
(লড়ায়হী) ইমাম মুসলিমের অন্যতম রাবী ৷ আমি বলি, আমাদের বিশ্বাস, এই খেজুরটি
সাদকার খেজুর ছিল না ৷ যেহেতু নবী করীম (সা) ইসমতেরই , অধিকারী ছিলেন; কিন্তু তিনি
তার খোদাভীতি ও তাকওয়ার পুর্ণতার কারণে সেই রাত্রে বিনিদ্র থেকেছেন ৷ কেননা, বুখারী
শরীফে তার সম্পর্কে ’প্ৰড়ামাণ্য বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র শপথ ! আমি
তোমাদের মাঝে সর্বাধিক মুত্তাকী (সতর্ক ও সংযমী) এবং কোন ব্যাপারে আমাকে সাবধান
হতে হবে সে সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত ৷ অন্য হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেছেন, সন্দেহযুক্ত বিষয়
ত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয় গ্রহণ করবে ৷ আর হাম্মাদ ইবন সালামা,শ্ছাব্লিত মুতার্বাফ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন শিখখীর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : একদা আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসলাম ৷ তখন তিনি নামায পড়ছিলেন ৷ আর তার উদরাভ্যন্তর
থেকে ডেগৃচির টগবগ করার ন্যায় শব্দ শোনা যাচ্ছিল ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আছে, কান্নার কারণে
তার বুকের অভ্যন্তরে ডেগের টগবগ করার ন্যায় শব্দ শোনা যাচ্ছিল ৷ বায়হাকী আবু কুরায়ব
মুহাম্মা ইবন আলা ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : একদা আবু
ন্ বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আপনি দেখছি বার্ধক্যে পৌছে গেছেন ৷ তখন তিনি
বললেন, সুরা হ্রদ, ওয়াকি আ, মুরসালাত, নাব৷ ও তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলছে!
আবুকুরায়ব সাঈদ সুত্রে তার ভিন্ন একটি রিওয়ায়াতে আছে, তিনি (আবু সাঈদ) বলেন,

১ ইসৃমাত৪ আল্লাহ্ প্রদত্ত ঐ যোগ্যতা যা আল্লাহর নাফরমানী ও তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখে ৷
এটা একমাত্র নবীগণের বৈশিষ্ট্য ৷


رِجَالِ مُسْلِمٍ. وَالَّذِي نَعْتَقِدُ: أَنَّ هَذِهِ التَّمْرَةَ لَمْ تَكُنْ مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ؛ لِعِصْمَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَلَكِنْ مِنْ كَمَالِ وَرَعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَرِقَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي الصَّحِيحِ أَنَّهُ قَالَ: «وَاللَّهِ إِنِّي لَأَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمُكُمْ بِمَا أَتَّقِي» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ أَنَّهُ قَالَ: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ» . وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يُصَلِّي، وَلِجَوْفِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَلِ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَفِي صَدْرِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الرَّحَى مِنَ الْبُكَاءِ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي كُرَيْبٍ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَلَاءِ الْهَمْدَانِيِّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَاكَ شِبْتَ. فَقَالَ: " شَيَّبَتْنِي هُودٌ وَالْوَاقِعَةُ وَالْمُرْسَلَاتُ وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ» ".
পৃষ্ঠা - ৪৬৬৩
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْرَعَ إِلَيْكَ الشَّيْبُ. فَقَالَ: " شَيَّبَتْنِي هُودٌ وَأَخَوَاتُهَا؛ الْوَاقِعَةُ، وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ، وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ» "