আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
تواضعه صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৬১৯

আল-বায্যড়ার সুত্রে এই সনদে তা বিওয়ড়াযাত ৩করেছেন ৷ আমি বলি, এই হাদীসখানি গরীব ও
মুনকার পর্যায়ের অর্থাৎ এতে অগ্নহণযােগতে ৷ বিদ্যমান, আর এর রাবী ঘুজালিদ ইবন সাঈদের
গ্রহণযােগ্যতার ব্যাপারেও মুহদ্দিসগণের আপত্তি’ রয়েছে ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই অধিক
জানেন ৷ তিরমিষী তার শামইিলে নবীজীর খিরাজ’ অধ্যায়ে আব্দ ইবন হ্না৷য়দ হাসান
সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, (একবার) জনৈকা বৃদ্ধা নবী করীম (না)-এর কাছে
এসে আরব করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য প্রার্থনা করুন, আল্লাহ যেন আমাকে
জান্নাতে প্রবেশ করলে ৷ তখন নবীজী তাকে বললেন, হে অমুকের মা ! কোন বৃদ্ধাতো জান্নাতে
প্রবেশ করবে না ৷ একথা শুনে বৃদ্ধা র্কাদতে র্কীদতে ফিরে চললেন ৷ তখন নবীজী বললেন,
তোমরা ওকে জানিয়ে দাও যে, বৃদ্ধা অবস্থায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, (বরং পুর্ণ যুবতী ও
কুমারী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে) কেননা স্বয়ং আল্লাহ্স্থ বলছেন & ৷ ,গুা ; ৷ ৷ ৷
,াধু ৷ র্টু,ট্রু১াঠুট্রু ১ট্রু১ “তাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি বিশেষ রুপে, তাদেরকে করেছি কুমারী’
(ওয়াকিআ : ৩৫-৩৬) ৷ অবশ্য এ সুত্রে হাদীসটি মুরসাল’ ৷ তিরমিষী আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ব লেছেন,৩ তারা (সড়াহাবাগণ) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনিও আমাদের সাথে ঠাট্টা কৌতুক করেন? তিনি বললেন, তবে (কৌতুকেও)
আমি সতৰুই বলে থাকি ৷ তিরমিষী তার জা মি গ্রন্থে এ সনদে সদাচার অধ্যায়ে হাদীসখানা
রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন, এটা মুরসাল ও হাসান’ শ্রেণীভুক্ত ৷

নবীজীর ষুহ্দ ও পার্থিব ভোগ বিমুখতা
আল-কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

é ’ ১



ণ্ :’ন্

ণ্শু’নু)


¢


;,ছু §,; ট্রু,০,ছুএে


৷া১১১,

তুমি ণ্৩ ৷মার চক্ষুদ্বয় কখনও প্রসারিত করে৷ না, তার প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন

গ্রেণীকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরুপ উপভােগের উপকরণরুপে দিয়েছি তা দ্বারা তাদেরকে

পরীক্ষা করার জন্য ৷ তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত জীবনােপকরণ উৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী ৷ (২০


وَمَا تَرْكُ قَوْمٍ - لَا أَبَالَكَ - سَيِّدًا ... يَحُوطُ الذِّمَارَ غَيْرَ ذَرْبِ مُوَاكِلِ وَأَبْيَضُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِلِ يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... فَهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ [تَوَاضُعُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وَمِنْ تَوَاضُعِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ - زَادَ النَّسَائِيُّ: وَحُمَيْدٌ - «عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا سَيِّدَنَا وَابْنَ سَيِّدِنَا، وَخَيْرَنَا وَابْنَ خَيْرِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ قُولُوا بِقَوْلِكُمْ، وَلَا يَسْتَهْوِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ تَرْفَعُونِي فَوْقَ مَا رَفَعَنِيَ اللَّهُ» . وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تُطْرُونِي كَمَا أَطْرَتِ النَّصَارَى عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ، فَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فِي أَهْلِهِ؟ قَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৪৬২০

তুমি নিজেকে ধৈর্যসহকারে রাখবে তাদেরই সংসর্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় আহ্বান করে
তাদের প্রতিপালককে, তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা
করে তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে না ৷ তুমি তার আনুগত্য করো না, যার চিত্তকে
আমি আমার স্মরণে অমনােযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়ালখুশীর অনুসরণ করে ও যার
কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে ৷ (১৮ কাহ্ফ : ২৮)

অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ তাকে উপেক্ষা করে চল, সে তাে কেবল পার্থিব জীবনই
কামনা করে ৷ (৫৩ নাজমং ২৯)

আমি তাে তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুন পুন আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহা
কুরআন ৷ আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি তার প্রতি তুমি
কখনও তোমার চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করো না, তাদের জন্য তুমি ক্ষোভ করো না, তুমি মু’মিনদের
জন্য তোমার পক্ষপুট অবনমিত কর (১৫ হিজর : ৮৭-৮৮) আর এ প্রসঙ্গে বহুসংখ্যক আয়াত
বিদ্যমান ৷

হাদীসে ভােগবিমুখতা প্রসঙ্গ

আর এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীসও রয়েছে ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবুল আব্বাস হায়ওয়া
ইবন শুরায়হ ......  মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, যে আল্লাহ তাআলা একদা হযরত জিবরাঈলের সাথে এক
ফেরেশতড়াকে তার নবীর কাছে পাঠালেন ৷ তখন সেই ফেরেশতা নবীজীকে বললেন, “আল্লাহ আপনাকে দুটি
বিষয়ের যে কোন একঢিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দিচ্ছেন, আপনি সাধারণ বান্দা ও নবী
হবেন, নাকি বাদশা ও নবী হবেন ৷ ” তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিবরাঈল আলাইহিস সালামের
দিকে এমনতাবে তাকালেন, যেন তিনি এ ব্যাপারে তার পরামর্শ জানতে চাচ্ছেন ৷ তখন
হযরত জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বিনয়ীকে বেছে নেয়ার ইঙ্গিত করলেন ৷ তখন
তিনি বললেন, আমি বরং বান্দা-নবী হব ৷ তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, এই কথা বলার পর
থেকে আল্লাহর সাক্ষাৎ পাওয়া পর্যন্ত তিনি কােনদিন হেলান দিয়ে কোন খাবার খাননি ৷ বুখারী
তাঁর 'আত তারীখে’ হাওয়াত ইবন শুরায়হ্ সুত্রে এবং নাসাঈ আমর ইবন উছমান সুত্রে
এভাবেই তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর সহীহ্ বুখারীতে প্রায় এ জাতীয় শব্দেই মুল হাদীসখানা
বিদ্যমান রয়েছে ৷ আর ইমাম আহমাদ মুহাম্মাদ ইবন ফুযায়ল আবু যুর'আ সুত্রে (আমি বলি,
আমার জানা মতে, আবু হুরায়রার সুত্র ছাড়া অন্য কারো থেকে আমি তা জানি না) ৷ তিনি
বলেন, (একবার) জিবরাঈল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে বসে আসমানের দিকে তাকালেন,
হঠাৎ এক ফেরেশতাকে অবতরণ করতে দেখা গেল ৷ তখন জিবরাঈল বললেন, সৃষ্টি হওয়ার
পর থেকে এই মুহুর্তের পুর্ব পর্যন্ত এই ফেরেশত৷ (কোথাও) অবতীর্ণ হননি ৷ অতঃপর তিনি
যখন অবতরণ করলেন তখন তিনি বললেন হে মুহাম্মদ ! আপনার রব আমাকে আপনার কাছে
পাঠিয়েছেন (আপনার মত গ্রহণ করার জন্য) যে, তিনি আপনাকে বাদশা-নবী করবেন, নাকি
বান্দা-নবী? আমি বলি, আমার কাছে রক্ষিত মুসনাদে আহমদের কপিতে আমি হাদীসখানি
এরুপ সংক্ষিপ্তভাবে পেয়েছি ৷ আর এক্ষেত্রে এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷


كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ» . وَحَدَّثَنَا وَكِيعٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ؟ قَالَتْ: كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ خَرَجَ فَصَلَّى» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ آدَمَ، عَنْ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: «سَأَلْتُ عَائِشَةَ: مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ يُرَقِّعُ الثَّوْبَ، وَيَخْصِفُ النَّعْلَ. أَوْ نَحْوَ هَذَا» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ قَالَ: عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَأَلَ رَجُلٌ عَائِشَةَ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْصِفُ نَعْلَهُ، وَيَخِيطُ ثَوْبَهُ، وَيَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ كَمَا يَعْمَلُ أَحَدُكُمْ فِي بَيْتِهِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فَاتَّصَلَ الْإِسْنَادُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْبَخْتَرِيِّ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৬২১

এছাড়া বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাসের (রা) হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত উমরের
বরাতে ঈলা১ সং ক্রাম্ভ যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাতে রয়েছে যে, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সহধর্মিণীগণের সাথে ঈলা করলেন ৷ অর্থাৎ দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত তাদের সং ত্সর্গ বর্জন করে
তার গৃহের উপর তলায় অবস্থান করলেন ৷ তারপর (একবার) হযরত উমর যখন সেখানে তার
কক্ষে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি দেখতে পেলেন, সেখানে কিছু বাংলা জাতীয় হলো গাছের
ফল তুপাকৃতির কিছু যব এবং একটি চামড়া ঝুলানাে রয়েছে ৷ আর তিনি একটি খালি চাটাইয়ে
কাত হয়ে শুয়ে আছেন, তার পার্শ্বদেশে চাটাইয়ের দাগ পড়ে গেছে ৷ আল্লাহ্র রাসুলের এই দীন
অবস্থা দেখে হযরত উমরের চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত হল, তখন নবীজী তাকে বললেন, কী ব্যাপার?
(তুমি র্কাদছ কেন) তখন আমি (উমর) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া আপনি আল্লাহ্র মনোনীত
শ্রেষ্ঠ৩ ম সৃষ্টি, (অথচ আপনার এই দীন অবস্থা) অথচ কিসরা-বগয়সারের (আরাম আয়েশ ও
ভোগ বিলাসের) কি অবস্থা? উমরের একথায় তিনি (ক্রুদ্ধ ও) রক্তিম চেহারা নিয়ে উঠে
বললেন এবং তাকে বললেন, হে খাত্তাব তনয়! তুমি কি স ৎশয়গ্রস্ত? তারপর তিনি বললেন,
ওরা তো এমন সম্প্রদায় যাদেরকে পার্থিব জীবনেই সকল আরাম-আয়েশ ও ভোগ বিলাসের
উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে ৷ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, তুমি কি এতে তৃষ্ট নও যে, তাদের
জন্য হবে দুনিয়া আর আমাদের জন্য আখিরাত? তখন আমি বললাম, অবশ্যই ! হে আল্লাহ্র
রাসুল (আমি তাতে তুষ্ট) ৷ উমর বলেন, আমি আল্লাহ্র প্রশ সা করছি ৷ তারপর এক মাস
অতিবাহিত হলে আল্লাহ্ তাকে তার ত্রীদের ইখতিয়ার প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং এই আয়াত
নাযিল করলেন :

; ন্ ; : ; ষ্ ; ; : ষ্ ; ; ণ্ণ্ ;


fl , : ন্ শ্

হে নবী তুমি তোমার ত্রীদের বল! তোমরা যদি পাথিং জীবন ও তার তুষণ কামনা কর
তবে আস আমিণ্ তামাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিই এবং সৌজন্যের সাথে
ণ্তামাদেরকে বিদায় দেই ৷ আর যদি তোমরা আল্পাহ্,৩ তার রাসুল ও আখিরাত কামনা কর
তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ্৩ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন ৷
(৩৩ আহযাবং ২৮ ২৯)
আর এ সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি
এই ইখতিয়ার প্রদানের সুচনা করেন হযরত আইশাকে দিয়ে, তিনি তাকে বলেন, আমি একটি
বিষয়ে তে আমার মত ও সিদ্ধান্ত জানতে চাই, এতে তোমার তাড়াহুড়া করার কোন প্রয়োজন
নেই যতক্ষণ না তুমি তোমার পিতা-মা৩ার পরামর্শ গ্রহণ করবে ৷ এরপর তিনি তাকে আয়াত
তেলাওয়াত করে গোনালেন ৷
আইশা বলেন, তখন জবাবে আমি বললাম, এ ব্যাপারে আমি পরামর্শ করতে যাব আমার
পিতা-মাতার সাথে? আমি (নির্ধিধায়) আল্লাহ্ ও তার রাসুল এবং আখিরা৩ কে গ্রহণ করছি ৷

১ (চার মাস বা তদুর্ধ্ব সময়) শ্রীগমন না করার শপথ করাকে পরিভাষায় ঈলা বলা হয় ৷ অনুবাদক

ওোা

أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَرًا مِنَ الْبَشَرِ، يُفَلِّي ثَوْبَهُ، وَيَحْلِبُ شَاتَهُ، وَيَخْدِمُ نَفْسَهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: قِيلَ لِعَائِشَةَ: مَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ؟ الْحَدِيثَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَهْلِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ أَلْيَنَ النَّاسِ، وَأَكْرَمَ النَّاسِ، وَكَانَ ضَحَّاكًا بَسَّامًا» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي مُسْلِمٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَعْوَرُ، سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الذِّكْرَ، وَيُقِلُّ اللَّغْوَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَيَلْبَسُ الصُّوفَ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ خِطَامُهُ مِنْ لِيفٍ» . وَفِي التِّرْمِذِيِّ، وَابْنِ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمِ بْنِ كَيْسَانَ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسٍ بَعْضُ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২২

আর এরপর তার অন্যান্য সহধর্মিনীগণও এমনই বললেন এবং তিনি তাদের প্রতি প্রসন্ন হলেন ৷
মুবারক ইবন ফুযালা আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাক্ষাতে প্রবেশ করলাম ৷ তখন তিনি পাকানাে দড়ি দিয়ে তৈরী একটি খাটে
শুয়েছিলেন, তার মাথার নীচে ছিল খেজুর গাছের আশ ভর্তি একটি চামড়ার বালিশ, এ সময়
হযরত উমর এবং আরও কয়েকজন সাহাবী তার কক্ষে প্রবেশ করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ফিরলেন, তখন উমর তার শরীরে দড়ির দাগ দেখে কেদে ফেললেন ৷ তখন নবী করীম (সা)
তড়াকে জিজ্ঞেস করলেন, উমর! তুমি কড়াদছ কেন? উমর বললেন, না কেদে আমি কিভাবে
থাকতে পারি? কিনরা-কায়সার কী আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে রয়েছে, তা আর আপনার
এ দীন অবন্থাও আমি প্রত্যক্ষ করছি ৷ তখন তিনি বললেন, হে উমর ! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও
যে, দুনিয়া তাদের জন্য হবে আর আমাদের জন্য হবে আখিরাত? তখন উমর বললেন, হী
অবশ্যই (সন্তুষ্ট) ৷ তিনি বললেন, তাহলে তােমাংক এটাও (মনে নিতে হবে ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী আল-মাসউদী ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) একখানা খালি চাটাইয়ের (খেজুর পাতার) উপর কাত হয়ে
গোয়া ছিলেন ৷ তখন তার দেহে চাটাইয়ের দাগ ফুটে উঠেছিল, তখন আমি তা মিটিয়ে দিতে
দিতে বলতে লাগলাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান ৷ আপনি কেন আমাদেরকে
জানালেন না তাহলে তার (চাটাইয়ের) উপর একটা (নরম) কিছু বিছিয়ে দিতাম; তাহলে
আপনি তার উপর শুতে পারতেন, আর তা আপনাকে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করতো ৷ তখন
তিনি বললেন, দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক! দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক ঐ অশ্বারোহী
পথচারীর ন্যায়, যে ক্ষণিকের জন্য কোন গাছের ছায়ায় আরাম করে তারপর সে স্থান ত্যাগ
করে চলে যায় ৷ ইবন মাজ৷ ইয়াহইয়া ইবন হাকীম আবু দাউদ তায়ালিসীর বরাতে এই সনদে
হাদীসখড়ানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া তিরমিযী মুসা ইবন আব্দুর রহমান কিন্দী সুত্রে তা
বর্ণনা করে মন্তব্য করেছেন, হাদীসখানি হাসান সহীহ্’, ৷ এছাড়া ইমাম আহমদ আব্দুস সামাদ
ইবন আব্বাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে (একবার) উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কক্ষে
প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, তিনি (খেজুর পাতার) চাটাইয়ে শায়িত যা তার শরীরে দাগ
ফেলে দিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি যদি এর চেয়ে কােমলতর
বিছানা গ্রহণ করতেন ! তখন তিনি বললেন, আমার সাথে দুনিয়ার কী সম্পর্ক! আমার ও
দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হল ঐ অশ্বারোহীর ন্যায়, যে গ্রীষ্মের দিবসে পথ চলে ক্ষণিকের জন্য দিনের
একাৎশে কোন বৃক্ষের ছায়ায় বিশ্রাম করে, এরপর সেখান থেকে উঠে চলে যয়ে ৷ হাদীসখানি
ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ বুখারী শরীফে ইমাম যুহরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে আবদুল্লাহ
ইবন আবদুল্লাহ আবু হুরায়রা সুত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
আমার কাছে যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও থাকত, তাহলে এটা আমার জন্য থুশির ব্যাপার
হত না যে, তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তার সামান্য অংশ আমার কাছে থাকবে,
শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ যা আমি ঋণ পরিশোধের জন্য মজুদ রাখবাে ৷ > হযরত আবু হুরায়রার
উদ্ধৃতিতে বুখারী ও মুসলিমে উমারা ইবন কা’কার হাদীস সংগ্রহ থেকে আবু হুরায়রার প্রমুখাৎ

১ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঋণ্যাস্তদের ঋণ পরিশেত্রে সাহায্য করতেন ৷ বিশেষত, যদি কেউ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা
যেতেন ৷-জালালাবাদী (সম্পাদক)


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْآدَمِيُّ الْقَارِئُ بِبَغْدَادَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَصْرِ بْنِ مَالِكٍ الْخُزَاعِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ عُقَيْلٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الذِّكْرَ، وَيُقِلُّ اللَّغْوَ، وَيُطِيلُ الصَّلَاةَ، وَيُقَصِّرُ الْخُطْبَةَ، وَلَا يَسْتَنْكِفُ أَنْ يَمْشِيَ مَعَ الْعَبْدِ، وَلَا مَعَ الْأَرْمَلَةِ، حَتَّى يَفْرُغَ لَهُمْ مِنْ حَاجَاتِهِمْ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ الْخُزَاعِيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْفَقِيهُ بِالرَّيِّ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْأَزْرَقُ، ثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَيَلْبَسُ الصُّوفَ، وَيَعْتَقِلُ الشَّاةَ، وَيَأْتِي مُرَاعَاةَ الضَّيْفِ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৩

বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ পরিবারকে ন্যুনতম
পরিমাণ জীবনােপকরণ দান করুন ৷ আর ইয়াষীদ ইবন সিনান হযরত আবু সাঈদ সুত্রের
বরাতে ইবন মাজা যে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন যে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, হে
আল্লাহ্! আমাকে নিঃা দরিদ্র অবস্থায় বীচিয়ে রাখুন এবং নিঃা দরিদ্র অবস্থায় মৃত্যু দান করুন
এবং নিঃা-দরিদ্রের সাথে আমার হাশর করুন, তা যয়ীফ, এর সনদ সুসাব্যস্ত নয় ৷ কেননা,
এতে ইয়াষীদ ইবন সিনান নামক একজন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক
অবগত ৷ অবশ্য তিরমিঘী অন্য এক সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আবদুল আলা ইবন
ওয়াসিল কুফী আনাস (রা) সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে অতিরিক্ত আছে :
তখন আইশা (বা) প্রশ্ন করলেন, কেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ? জবাবে তিনি বললেন, কেননা, তারা
তাদের ধনীদের চল্লিশ বছর পুর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে, হে আইশা ! মিসকীনকে শুন্য হাতে
ফিরিয়ে দেবে না, যদি একটি থেজুরের একাৎশ হলেও তাকে দিও ৷ হে আইশা,
নিঃা-দবিদ্রদের ডালবসেবে এবং তাদেরকে কছে টেনে নেবে; তাহলে কাল কিয়ামতের দিন
আল্লাহও তোমাকে নৈকট্য দান করবেন ৷ তারপর ইমাম তিরমিঘী মন্তব্য করেন, এটা গরীব’
শ্রেণীর হাদীস ৷ আমি বলি, উক্ত হাদীসের সনদে দৃর্বলতা, আর তার ভাবে অগহণযোগ্যতা
রয়েছে ৷ আর :নঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহুমদ আবদুস সামাদ সুত্রে সাঈদ ইবন সা’দ থেকে বর্ণনা করেন যে,
(একবার) তাকে প্রশ্ন করা হল : তিনি কিাচক্ষে (ময়দা, ভুষিযুক্ত আটা) দেখেছিলেন ? তখন
তিনি বললেন যে, রাৰুসুলুল্লাহ্ (সা)াচক্ষে ময়দা দেখেন নি এমনাকি (এ অবস্থাংয়ই) তিনি
আল্লাহ্র দরবারে চলে যাঘুণ্ব্ ৷ তখন তাকে বলা হল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আমলে কি আপনাদের
চালুনি ছিল ? তখন জবারুহ্ব্ তিনি বললেন, না সেকালে আমাদের কোন চালুনি ছিল না ৷
পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করা হৰু, তাহলে যব আপনারা কী করতেন ? জবাবে তিনি বললেন,
আমরা ভাঙানাে ও পেষা যবে ফু ক দিতাম তখন তার ভুসি যা উড়াৱ উড়ে যেত ৷ ইমাম
তিরমিঘী আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন দীনারের হাদীস সংগ্রহ থেকে এই সনদে
এভাবেই তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং নীিাক্ত অংশ বৃদ্ধি করেছেন-এরপর আমরা তা বাতাসে
উড়িয়ে তার খামীর বানাতাম ৷৩ তারপর তিনি বলেন, হাদীসখানি হাসান সহীহ্’ ৷ আর আবু
হাযিম থেকে ইমাম মালিক তা বর্ণনা করেছেন ৷ আমি বলি, ইমাম বুখারী সাঈদ ইবন আবু
মরিয়াম সাহল ইবন সা’দ (রা) সুত্রে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়াও ইমাম বুখারী ও
নাসাঈ শায়বা ,সাহ্ল (রা) সুত্রে ঐ সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আর তিরমিঘী, আব্বাস
ইবন মুহাম্মাদ আছ ছাওরী সুলায়মান ইবন আমির, থেকে বর্ণনা করেন ৷ (তিনি বলেন)
আমি আবু উমামাকে (বা) বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরিবারে যবের রুটিও বাড়তি
থাকত না ৷ তারপর তিনি হাদীসটিকে “হাসন সহীহ্ ন্ারীব্ব্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আবু হাযিম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
আবু হুরায়রা (রাকে তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে একাধিকবার ইশারা করতে দেখেছি (এবং
বলতে শুনেছি) শপথ ঐ সভার, যার হাতে আবু হরায়রার প্রাণং সাধাকুহ৷ যবের রুটিও আল্লাহর
নবী ও তার পরিবারের লোকেরা ক্রমাগত তিন দিন পেট ভরে খেতে পাক্লো নি, এমনকি তিনি
দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন ৷ ইমাম মুসলিম, তিরমিঘী ও ইবন মাজা ইয়াষীদ ইবন কায়সানের

— ১ ১


وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيِّ، عَنْ سَهْلٍ مَوْلَى غُنَيْمَةَ، أَنَّهُ كَانَ نَصْرَانِيًّا مِنْ أَهْلِ مَرِيسٍ، وَأَنَّهُ كَانَ فِي حِجْرِ عَمِّهِ، أَوْ أُمِّهِ قَالَ: «قَرَأْتُ يَوْمًا فِي مُصْحَفٍ لِعَمِّي فَإِذَا فِيهِ وَرَقَةٌ بِغَيْرِ الْخَطِّ، وَإِذَا فِيهَا نَعْتُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لَا قَصِيرٌ، وَلَا طَوِيلٌ، أَبْيَضُ ذُو ضَفِيرَتَيْنِ، بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمٌ، يُكْثِرُ الِاحْتِبَاءَ، وَلَا يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ وَالْبَعِيرَ، وَيَحْتَلِبُ الشَّاةَ، وَيَلْبَسُ قَمِيصًا مَرْقُوعًا، وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ بَرِئَ مِنَ الْكِبْرِ، وَهُوَ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ، اسْمُهُ أَحْمَدُ. قَالَ: فَلَمَّا جَاءَ عَمِّي وَرَآنِي قَدْ قَرَأْتُهَا ضَرَبَنِي، وَقَالَ: مَا لَكَ وَفَتْحَ هَذِهِ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ فِيهَا نَعْتَ أَحْمَدَ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬২৪

হাদীস সংগ্রহ থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে জারীর ইবন আবদুল
হামীদের হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন,
মদীনায় আগমনের পর থেকে তার পথে চলে যাওয়া পর্যন্ত মুহাম্মাদ পরিবারবর্গ গমের রুটিও
উপর্বুপরি তিনদিন পেট ভরে খাননি ৷ ইমাম আহমাদ হাশিম অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন
যে , তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ পরিবার তাকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত গমের রুটিও উপর্বুপরি তিন
দিন পেট ভরে খাননি এবং তাকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত তার দস্তরখানা থেকে কখনও কোন রুটির
টুকরো তুলে রাখার অবকাশ ঘটেনি ৷ ইমাম আহমদ মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ হযরত
অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পথে চলে গেছেন কিন্তুং
তার পরিবারের লোকেরা উপর্বুপরি তিন দিন সাধারণ গমের রুটিও পেট ভরে খাননি ৷ ইমাম
আহমদ হাসান হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, শপথ ঐ সত্তার,
যিনি মুহাম্মাদ (সা)-কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাকে নবী করার পর থেকে আমৃভ্যু
তিনি কখনও (আটার) চালুনি দেখেন নি এবং চালাদীআটার অর্থাৎ ময়দার রুটি খাননি ৷ রাবী
উরওয়া বলেন, আমি বললাম, কিভাবে আপনারা যব থেতেন ? তিনি বললেন, আমরা উফ্
বলতাম অর্থাৎ কুক দিয়ে তার ভুসি উড়িয়ে নিতাম ৷ এ সুত্রে হাদীসখানি ইমাম আহমাদের
একক বর্ণনা ৷

বুখারী মুহাম্মাদ ইবন কাহীর হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন,
আমরা তাে পনের দিন পর একবার উট-বকরীর কিছু পা রান্না করে যেতে পারতাম ৷ আমি
বললাম, কেন আপনারা তা করতেন ? তখন তিনি হেসে বললেন, (বৎসা) মুহাম্মাদ (না)-এর
পরিবারবর্গ কখনও পেট পুরে ব্যঞ্জনসহ রুটি খাননি, এ অবস্থা চলতে চলতেই তিনি আল্লাহর
সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছেন ৷ ইমাম আহমদ ইয়াইেয়া হযরত অইিশা সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ (না)-এর পরিবারে মাস অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু তাদের চুলা
জ্বালানাে হত না, শুধু খেজুর আর পানিই ছিল তাদের সম্বল , তবে কখনও যদি গোশত আসত
তাহলে চুলায় আগুন জ্বলত ৷ বুখারী ও মুসলিমে হিশাম ইবন উরওয়া অইিশা (রা)-এর সুত্রে
বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, আমরা মুহাম্মাদ (সা)-এর পরিবারবর্গ এমন ছিলাম যে,
আমাদের মাস অতিবাহিত হয়ে যেত কিন্তু আমরা চুলা জ্বালাতড়াম না ৷ শুধুমাত্র খেজুর ও
পানিই ছিল আমাদের সম্বল ৷ তবে আমাদের আশেপাশের আনসার প্রতিবেশীরা তাদের উট বা
বকরীর দুধ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে পাঠিয়ে দিতেন, তখন তিনি নিজে পান করতেন
এবং আমাদেরকেও সেই দুধ থেকে পান করাতেন ৷ ইমাম আহমদ বুরায়দা হযরত অইিশা
সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ উরওয়া ইবন যুবায়র সুত্রে
বর্ণনা করেন যে , তিনি হযরত অইিশাকে বলতে শুনেছেন, আমাদের মাসের পর মাস
অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু রাসুট্রণুল্লাহ্ (না)-এর কোন গৃহে আগুন জ্বাত না ৷ তিনি (উরওয়া)
বলেন, আমি বললাম, খালাম্মা ৷ তাহলে আপনারা কী থেয়ে জীবন ধারণ করতেন ? তিনি
বললেন, শুধু খেজুর আর পানির উপর চলতো ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ আবু
দাউদ তায়ালিসী শু’বা অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মৃত্যুর পুর্ব
পর্যন্ত রাসুলুল্পাহ্ (সাটুৰু কখনও ক্রমাগত দুই দিন তৃপ্তির সাথে যবের রুটিও খান নি ৷ শুবার
হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ, আবদুল্লাহ হযরত


أَنَسٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ ": ثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي تُحَدِّثُ عَنْ عَمِّهَا قَالَ: «بَيْنَا أَنَا أَمْشِي بِالْمَدِينَةِ إِذَا إِنْسَانٌ خَلْفِي يَقُولُ " ارْفَعْ إِزَارَكَ فَإِنَّهُ أَتْقَى وَأَبْقَى ". فَإِذَا هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا هِيَ بُرْدَةٌ مَلْحَاءُ. قَالَ: " أَمَا لَكَ فِيَّ أُسْوَةٌ؟» فَنَظَرْتُ، فَإِذَا إِزَارُهُ إِلَى نِصْفِ سَاقَيْهِ. ثُمَّ قَالَ: ثَنَا سُوِيدُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَأْتَزِرُ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ، قَالَ: وَقَالَ: هَكَذَا كَانَتْ إِزْرَةُ صَاحِبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ أَيْضًا: ثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ صَبِيحٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الْقِنَاعَ، كَأَنَّ ثَوْبَهُ ثَوْبُ زَيَّاتٍ» . وَهَذَا فِيهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৬২৫

আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক রাত্রে আবু বকর পরিবার একটি বকরীর
রান (রান্না করা) পাঠান, তখন আমি সেটা ধরলাম আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটা কাটালেন,
অথবা আইশা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) সেটা ধরলেন আর আমি সেটা কাটলাম ৷ তিনি বলেন,
এই কাটার কাজ ছিল কোন বাতি ছাড়া ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আছে, যদি আমাদের কাছে কোন
বাতি থাকত (অর্থাৎ বাতির তেল) তাহলে আমরা তাই ব্যঞ্জনরুপে ব্যবহার করতড়াম ৷
হুমায়দ ইবন হিলাল বলেন, হযরত আইশা (আরো) বলেন, মুহাম্মাদ (না)-এর মাস
অতিবাহিত হয়ে যেত, কিন্তু তারা কোন রুটি বানাতেন না; কোন পারে কোন কিছু রান্নাও
করতেন না ৷ আর এটি তিনি বাহ্য ইবন আসাদ থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এক রিওয়ায়াতে
এক মাসের স্থলে দুই মাসের কথা উল্লেখিত আছে ৷ হাদীসটি ইমাম আহমাদের একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ খলুফ হযরত আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
(মাঝে মাঝে) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরিবারে মাসের পর মাস অতিবাহিত হয়ে যেত; কিন্তু
তারা তাদের ঘরে না কোন রুটি বানাতেন, না কিছু পাক করতেন ৷ লোকেরা জিজ্ঞেস করল,
হে আবু হুরায়রা! তাহলে তারা কী খেয়ে জীবন ধারণ করতেন ? তিনি বললেন, দুটি কালো
বস্তু থেজুর ও পানি ৷ তবে তাদের কতক আনসার প্রতিবেশী ছিলেন-আল্লাহ্ তাদেরকে উত্তম
প্রতিদান দিন! যাদের দুধের উটনী ছিল, মাঝে মাঝে তারা তাদের কাছে কিছু দুধ পাঠিয়ে
দিতেন ৷ এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷ সহীহ্ মুসলিমে মড়ানসুর ইবন আবদুর রহমানের হাদীস
সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন
ইন্তিকাল করেন তখন লোকেরা কেবল দু’টি কাল বস্তু-থেজুর ও পানি দ্বারা তৃপ্ত হতেন ৷ ইবন
মাজা সুয়ায়দ ইবন সাঈদ সুত্রে আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে গরম গরম খাবার আনা হল, যখন তিনি তা খেয়ে অবসর
হলেন তখন আলহামদুলিল্লাহ্ বলার পর বললেন, এত এত দিন পর্যন্ত আমার পেটে কোন গরম
খাদ্য পড়েনি ৷ ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ হযরত আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, (একবার) হযরত ফাতিমা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)একে যবের রুটির একটি টুকরো
থেতে দিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, তিন দিনের মাঝে এটাই প্রথম পাক করা খাবার, যা
তেমাের পিতা থেল ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ, ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজা ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) উপর্বুপরি কয়েক রাত্র ক্ষুধার্ত থাকতেন আর তার
পরিবার-পরিজনের কোন রাতের খাবার থাকত না ৷ আর সচরাচর তাদের রুটি হত যবের
তৈরী-এই শব্দমালা ইমাম আহমদের ৷ ইমাম তিরমিযী তার শামইিলে’ আবদুল্লাহ ইবন
আবদুর রহমান আদ দারিমী আবদুল্লাহ ইবন সালামের পুত্র ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখলাম তিনি এক টুকরো যবের রুটি নিলেন
এবং তার উপর একটি খেজুর রেখে বললেন, এটা হল ওটড়ার ব্যঞ্জন ৷ তারপর তিনি তা খেয়ে
নিলেন ৷ যুহরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আইশার বরাতে বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে;
তিনি (আইশা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় পানীয় ছিল যা ঠাণ্ডা ও মিষ্ট
হতো ৷ বুখারী কাতাদার হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাসের বরাতে উল্লেখ করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ওফাতের পুর্বে কখনও (নিজগৃহে) চাপাতি রুটি কিৎবা


وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْجَعْدِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ يَلْعَبُونَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ شُعْبَةَ.