আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب جامع لأحاديث متفرقة وردت في صفة رسول الله صلى الله عليه وسلم
حديث أم معبد
পৃষ্ঠা - ৪৫৭৯

অধ্যায়
তার পবিত্র স্বভাব-চরিত্রের বিবরণ

পুর্বে আমরা তার বংশগত কুলীনতা, পবিত্রতা এবং জন্মের কথা উল্লেখ করেছি ৷ আর
আল্লাহ তাআলা স্বয়ং বলেছেন৪ ৷ এ ৷ “আল্লাহ তার ’
রিসালাণ্ডে র ভার কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন ( ৬ আন আম৪ ১২৪) ৷

বুখারী কুতায়বা আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা ) ইরশাদ করেন :

’ ’


“মানবজাতির সর্বোত্তম কালে আমি প্রেরিত হয়েছি, একের পর এককাল অতিবাহিত
হয়েছে পরিশেষে আমি যে কালে প্রেরিত হওয়ার সেকালে প্রেরিত হয়েছি” ৷

মুসলিম শরীফে ওয়াছিলা ইবন আসকা থেকে বর্ণিত ৩,আছে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদ করেছেন :
(fl ৷ ;, ৷



“আল্লাহ্ তাআলা ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরদের মাঝে কুরায়শকে মনোনীত করেছেন,
আর কুরায়শদের মধ্য থেক বনু হাশিমকে, আর বনু হাশিম থেকে আমাকে মনোনীত
করেহ্নেম্ব” ৷

আল্লাহ তড়াআলা বলেন :

০ ’ : ; ; :



“নুন-শপথ কলমের এবং তারা বা লিপিবদ্ধ করে তার, ৫৩ ড়ামার প্রতিপালকের অনুগহে
তুমি উম্মাদ নও ৷ তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন পুরষ্কার ৷ আর তুমি অবশ্যই সুমহান
চরিত্রে অধিষ্ঠিত” (৬৮ কালাম : ১৪ ) ৷
আওফী ইবন আব্বাস (রা) থেকে উক্ত আঘাতের ব্যাখ্যার বলেন, অর্থাৎ তুমি এক মহান
দীনের অনুসারী অর্থাৎ ইসলাম ৷ মুজাহিদ ইবন মালিক, সুদ্দী, যাহ্হাক এবং আবদুর রহমান
ইবন যায়দ ইবন আসলামও এমনই বলেছেন ৷ আর আতিয়্যা বলেন, এর অর্থ হল, আপনি
মহান শিষ্টাচার এর উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ সহীহ্ মুসলিমে যুরারা ইবন আওফা সুত্রে হযরত
কাতাদার হাদীস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন, (একবার) আমি উম্মুল মুমিনীন


بَيْنَهُمَا، وَالْأَهْدَبَ طَوِيلُ أَشْفَارِ الْعَيْنِ، وَجَاءَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهُ كَانَ شَبْحَ الذِّرَاعَيْنِ يَعْنِي غَلِيظَهُمَا. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. [حَدِيثُ أُمِّ مَعْبَدٍ] ٍ فِي ذَلِكَ قَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ فِي الْهِجْرَةِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ حِينَ وَرَدَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَمَوْلَاهُ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَدَلِيلُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطَ الدِّيلِيُّ، فَسَأَلُوهَا هَلْ عِنْدَهَا لَبَنٌ أَوْ لَحْمٌ يَشْتَرُونَهُ مِنْهَا، فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهَا شَيْئًا، وَقَالَتْ: لَوْ كَانَ عِنْدَنَا شَيْءٌ مَا أَعْوَزَكُمُ الْقِرَى. وَكَانُوا مُمْحِلِينَ، فَنَظَرَ إِلَى شَاةٍ فِي كَسْرِ خَيْمَتِهَا، فَقَالَ: مَا هَذِهِ الشَّاةُ يَا أُمَّ مَعْبَدٍ؟ " فَقَالَتْ: خَلَّفَهَا الْجَهْدُ. فَقَالَ: " أَتَأْذَنِينَ أَنْ أَحْلِبَهَا؟ " فَقَالَتْ: إِنْ كَانَ بِهَا حَلَبٌ فَاحْلِبْهَا. فَدَعَا بِالشَّاةِ فَمَسَحَهَا وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي حَلْبِهِ مِنْهَا مَا كَفَاهُمْ أَجْمَعِينَ، ثُمَّ حَلَبَهَا وَتَرَكَ عِنْدَهَا إِنَاءَهَا مَلْأَى، وَكَانَ يُرْبِضُ الرَّهْطَ، فَلِمَا جَاءَ بَعْلُهَا اسْتَنْكَرَ اللَّبَنَ وَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكِ هَذَا يَا أُمَّ مَعْبَدٍ وَلَا حَلُوبَةَ فِي الْبَيْتِ، وَالشَّاءُ عَازِبٌ؟! فَقَالَتْ: لَا وَاللَّهِ، إِلَّا أَنَّهُ مَرَّ بِنَا رَجُلٌ مُبَارَكٌ كَانَ مِنْ حَدِيثِهِ كَيْتَ وَكَيْتَ. فَقَالَ: صِفِيهِ لِي، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ صَاحِبَ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ. فَقَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৪৫৮০

আইশা (রা)-কে বললাম, আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করুন ৷ তখন
তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড় না? আমি বললাম অবশ্যই পড়ি ৷ তখন তিনি বললেন,
কুরআনই (অর্থাৎ কুরআনে উল্লেখিত স্বভাব চরিত্রই) তার চরিত্র ৷ ইমাম আহমদ ইসমাঈল
ইবন আলিয়্যা হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (হাসান) বলেন-হযরত আইশা
(রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর স্বভাব-চবিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন,
কুরআনই ছিল তার চরিত্র ৷ এছাড়া ইমাম আহমদ, ইমাম নাসাঈ, আর ইবন জারীর ভিন্ন ভিন্ন
সনদে জুবড়ায়র ইবন নুফায়র থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তিনি (একবার)
হজ্জ করার সময় আমি আইশা (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম, তখন আমি তাকে রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, তার চরিত্র ছিল কুরআন ৷ এর
অর্থ হল কুরআন তবে যে নির্দেংইি দিত তিনি তা’ পালন করতেন এবং যা থেকে তাকে
নিষেধ করত তিনি তা পরিহার করতেন ৷ এই মহান জন্মগত ও সহজাত স্বভাবচরিত্র দিয়েই
: আল্লাহ্ র্তাকে সৃষ্টি করেছিলেন, যার চাইতে উত্তম চরিত্র গুণের অধিকারী কোন মানুষ কোনদিন
ছিলনা এবং ভবিষ্যতেও কোনদিন হবে না৷ এবং তিনি তার জন্য ঐ মহান দীনের বিধান
দিয়েছেন, যা তার পুর্বে কাউকে দেননি ৷ সর্বোপরি তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী, সুতরাং তার পরে
কোন রাসুল নেই, কোন নবী নেই ৷ তাই তার মাঝে যে লজ্জাশীলতা , মহানুতংতা ,
সাহসিকতা, সহিষ্ণুত৷ , ক্ষমাপ্রিয়তা, দয়ার্দ্রতা এবং সকল চারিত্রিক পুর্ণতার সে অপুর্ব সমন্বয়
ঘটেছিল তার কোন সীমা নেই এবং তা বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয় ৷ ইয়াকুব ইবন
সুফিয়ান সুলায়মান সুত্রে আবুদৃ দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, (একবার)
আমি আইশা (রা) কে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি
বললেন, তার চরিত্র ছিল কুরআন ৷ কুরআনের সন্তুষ্টিতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন এবং তার
অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হতেন ৷

বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ হড়াফিয সুত্রে যায়দ ইবন য়াবনুস সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমরা আইশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর চরিত্র কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চরিত্র ছিল তারপর তিনি
বললেন, তুমি কি সুরা মু’মিনুন পড়তে পার, তাহলে পড় প্রথম দশ আয়াত-এরপর তিনি
বললেন, এমনই ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর চরিত্র ৷ নাসাঈ কুতায়বা সুত্রে এভাবেই রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর বুখারী এই আঘাতের
ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের বরাতে হিশাম ইবন উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানুষের স্বভাবসমুহের মাঝে ক্ষমা ও মার্জনার স্বভাব গ্রহণ
করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ইমাম আহমদ সাঈদ ইবন মনসুর আবুহ্ স্মায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ষ্১ধ্রুগ্র ৷ ষ্ান্ ণ্ঠুছু১৷ ;’:; ! ৷ সদগুণ ও সৎ
স্বভাবের পরিপুর্ণতা দানের জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
হাফিয আবু বকর আল খারাইতী তার কিভাবে তা ভিন্ন শব্দে উল্লেখ করেছেন, ছু- ই;ন্ট্রু ৮ ৷

ষ্১া ১৷ ৷ ণ্,াৰু; ণ্ছু;১৷ উত্তম চরিত্রগুণসমুহকে পুর্ণতাদানের জন্যেই আমি প্রেরিত হয়েছি ৷
আবু ইসহাকের হাদীস সংগ্রহ থেকে ইমাম বুখারী বারা বিন আযিব (রা) থেকে যা রিওয়ায়াত


رَأَيْتُ رَجُلًا ظَاهِرَ الْوَضَّاءَةِ، حَسَنَ الْخَلْقِ، مَلِيحَ الْوَجْهِ، لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ، وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ، قَسِيمٌ وَسِيمٌ، فِي عَيْنَيْهِ دُعْجٌ، وَفِي أَشْفَارِهِ وَطَفٌ، وَفِي صَوْتِهِ صَحَلٌ، أَحْوَرُ، أَكْحَلُ، أَزَجُّ، أَقْرَنُ، فِي عُنُقِهِ سَطَعٌ، وَفِي لِحْيَتِهِ كَثَافَةٌ، إِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ، وَإِذَا تَكَلَّمَ سَمَا، وَعَلَاهُ الْبَهَاءُ، حُلْوُ الْمَنْطِقِ فَصْلٌ، لَا نَزْرٌ وَلَا هَذْرٌ، كَأَنَّ مَنْطِقَهُ خَرَزَاتُ نَظْمٍ يَنْحَدِرْنَ، أَبْهَى النَّاسِ وَأَجْمَلُهُ مِنْ بَعِيدٍ، وَأَحْلَاهُ وَأَحْسَنُهُ مِنْ قَرِيبٍ؛ رَبْعَةٌ لَا تَشْنَؤُهُ عَيْنٌ مِنْ طُولٍ، وَلَا تَقْتَحِمُهُ عَيْنٌ مَنْ قِصَرٍ، غُصْنٌ بَيْنَ غُصْنَيْنِ فَهُوَ أَنْضَرُ الثَّلَاثَةِ مَنْظَرًا، وَأَحْسَنُهُمْ قَدًّا، لَهُ رُفَقَاءُ يَحُفُّونَ بِهِ، إِنْ قَالَ اسْتَمَعُوا لِقَوْلِهِ، وَإِنَّ أَمَرَ تَبَادَرُوا إِلَى أَمْرِهِ، مَحْفُودٌ مَحْشُودٌ، لَا عَابِسٌ وَلَا مُفَنَّدٌ. فَقَالَ بَعْلُهَا: هَذَا وَاللَّهِ صَاحِبُ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ، وَلَوْ صَادَفْتُهُ لَالْتَمَسْتُ أَنْ أَصْحَبَهُ، وَلَأَجْهَدَنَّ إِنْ وَجَدْتُ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا. قَالَ: وَأَصْبَحَ صَوْتٌ بِمَكَّةَ عَالٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ يَسْمَعُونَهُ، وَلَا يَرَوْنَ مَنْ يَقُولُهُ وَهُوَ يَقُولُ: جَزَى اللَّهُ رَبُّ النَّاسِ خَيْرَ جَزَائِهِ ... رَفِيقَيْنِ حَلَّا خَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدِ هُمَا نَزَلَا بَالْبِرِّ وَارْتَحَلَا بِهِ ... فَأَفْلَحَ مَنْ أَمْسَى رَفِيقَ مُحَمَّدِ فِيَالَ قُصَيٍّ مَا زَوَى اللَّهُ عَنْكُمُ ... بِهِ مِنْ فِعَالٍ لَا تُجَارَى وَسُؤْدُدِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮১

করেছেন তা আমরা ইতিপুর্বে বর্ণনা করে এসেছি ৷ তাতে তিনি (বাবা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা)
ছিলেন সুন্দরতম মুখাবয়ব ও সুন্দরতমাডাবের অধিকারী ৷ ইমাম মালিক যুহরী অইিশা
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখনই রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে কোন দু’টি বিষয়ের
একটি বেছে নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে তখনই তিনি সহজতরটি গ্রহণ করেছেন, যদি
তাতে কোন পাপ না হয় ৷ আর যদি তাতে পাপ থাকত তাহলে তিনি তা থেকে সবচেয়ে
দুরবর্তী মানুষ হতেন ৷ নিজ্যেষ্ জন্য তিনি কখনও প্ৰতিশোধ গ্রহণ করেননি, তবে যদি আল্লাহ্র
কোন পবিত্র বিষয় বা বিধান লগ্রিত হত তাহলে তিনি আল্লাহ্রই সভুষ্টির জন্যে তা করতেন ৷

বুখারী ও মুসলিম ইমাম মালিকের হাদীস সংগ্রহ থেকে বর্ণনা করেছেন, আবুকুরায়ব সুত্রে
এবং ইমাম মুসলিম হযরত অইিশা (রা)-এর বরাতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেন,
আল্লাহ্ররািহে জিহাদের সময় ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনও কাউকে তারাহন্তে আঘাত
করেন নি, না কোন ত্রীকে, না কোন দাস-দাসীকে এবং ব্যক্তিগত কারণে তিনি কারো থেকে
প্রতিশোধ্ গ্রহণ করেননি, তবে যদি আল্লাহর কোন বিধান লডিঘত হত, তখন তিনি আল্লাহ্র
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার বল্দো৷ নািতন ৷ ইমাম আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক আইশা (রা)
সুত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ওবা সুত্রে ইমাম আবু দাউদ, আবু আবদুল্লাহ আলজাদালী
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি অইিশা (রা)-কে হাদীস বর্ণনা করতে ওনেছি এবং
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এরাভাব-চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি
সহজাতভাবে অশ্লীলভাষী ছিলেন না, বা রাগ করেও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেন না ৷ তিনি
বাজারে বাজারে গােরগোল ও হৈ চৈকারী ছিলেন না, আর তিনি মন্দের বদলে মন্দ আচরণ
করতেন না, বরং ক্ষমা ও মার্জনা করতেন ৷ শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে ইমাম তিরমিযী এটি
রিওয়ায়াত করেছেন এবং একে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান
আদম ও আনিস ইবন আলী সালিহ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আবু
হুরায়রা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেহাবয়ব ওাভাব বর্ণনা করতেন; তিনি পুর্ণদেহে অগ্রসর হতেন
এবং পুর্ণদেহে পিছু হটতেন, আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, তিনিাতাবে বা কর্মে অশ্লীল
ছিলেন না এবং বাজারে বাজারে হৈ চৈ গোরগােলকারী ছিলেন না ৷ আদম এরপর অতিরিক্ত
বলেছেন, তার পুর্বে ও পরে আমি তার কোন তৃল্য ব্যক্তিকে দেখিনি ৷ বুখারী আবদান
আবদুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা)াভাবে ও কর্মে
অশ্লীল ছিলেন না, আর তিনি বলতেন, তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম তারা যাদেরাডাব-চরিত্র বা
আচার-ব্যবহার সর্বোত্তম ৷ মুসলিম , আমাশের হাদীস সংগ্রহ থেকে ঐ সনদে তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ ছাড়া বুখারী ফুলায়হ ইবন সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে আবদুল্পাহ্ ইবন
আমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি (আবদুল্লাহ্) বলেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে তাওরাতে
সেই গুণে গুনাষিত উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল গুণে গুণান্বিত বলে তাকে কুরআনে উল্লেখ
করা হয়েছে :

“আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরুপে, সুসংবাদদাতারুপে ও সর্জারীরুপে (৪৮ : ৮) ৷

এবং উমীদের জন্য রক্ষা কবচরুপে (তোমাকে আমি প্রেরণ করেছি) তুমি আমার বান্দা ও
আমার রাসুল তোমাকে আমি আলমুতাওয়াক্কিল (ভরসাকারী) উপাধি দিয়েছি ৷ আর তিনি রুঢ়


سَلُوا أُخْتَكُمْ عَنْ شَاتِهَا وَإِنَائِهَا فَإِنَّكُمُ إِنْ تَسْأَلُوا الشَّاةَ تَشْهَدِ ... دَعَاهَا بِشَاةٍ حَائِلٍ فَتَحَلَّبَتْ لَهُ بِصَرِيحٍ ضَرَّةُ الشَّاةِ مُزْبِدِ ... فَغَادَرَهُ رَهْنًا لَدَيْهَا لِحَالِبٍ يَدُرُّ لَهَا فِي مَصْدَرٍ ثُمَّ مَوْرِدِ وَقَدْ قَدَّمْنَا جَوَابَ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ لِهَذَا الشِّعْرِ الْمُبَارَكِ بِمِثْلِهِ فِي الْحُسْنِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَهْبٍ الْمَذْحِجِيِّ قَالَ: ثَنَا الْحُرُّ بْنُ الصَّيَّاحِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيِّ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ بِأَلْفَاظِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، وَالْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: فَبَلَغَنِي أَنَّ أَبَا مَعْبَدٍ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَأَنَّ أُمَّ مَعْبَدٍ هَاجَرَتْ وَأَسْلَمَتْ. ثُمَّ إِنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ أَتْبَعَ هَذَا الْحَدِيثَ بِذِكْرِ غَرِيبِهِ، وَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي الْحَوَاشِي فِيمَا سَبَقَ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ هَاهُنَا نُكَتًا مِنْ ذَلِكَ؛ فَقَوْلُهَا: ظَاهِرَ الْوَضَّاءَةِ. أَيْ ظَاهِرَ الْجَمَالِ. أَبْلَجَ الْوَجْهِ: أَيْ مَشْرِقَ الْوَجْهِ مُضِيئَهُ. لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ: قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: هُوَ كِبَرُ الْبَطْنِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كِبَرُ الرَّأْسِ. وَرَدَّ أَبُو عُبَيْدٍ رِوَايَةَ مَنْ رَوَى: لَمْ تَعِبْهُ نُحْلَةٌ. يَعْنِي مِنَ النُّحُولِ، وَهُوَ الضَّعْفُ. قُلْتُ: وَهَذَا هُوَ الَّذِي فَسَّرَ بِهِ الْبَيْهَقِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪৫৮২
الْحَدِيثَ، وَالصَّحِيحُ قَوْلُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَلَوْ قِيلَ: إِنَّهُ كِبَرُ الرَّأْسِ. لَكَانَ قَوِيًّا؛ وَذَلِكَ لِقَوْلِهَا بَعْدَهُ: وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ. وَهُوَ صِغَرُ الرَّأْسِ بِلَا خِلَافٍ، وَمِنْهُ يُقَالُ لِوَلَدِ النَّعَامَةِ: صَعْلٌ. لِصِغَرِ رَأْسِهِ، وَيُقَالُ لَهُ: الظَّلِيمُ. وَأَمَّا الْبَيْهَقِيُّ فَرَوَاهُ: لَمْ تَعِبْهُ نُحْلَةٌ. يَعْنِي مِنَ الضَّعْفِ كَمَا فَسَّرَهُ، وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صُقْلَةٌ: قَالَ: وَهُوَ الْخَاصِرَةُ، يُرِيدُ أَنَّهُ ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ لَيْسَ بِمُنْتَفِخٍ وَلَا نَاحِلٍ. قَالَ: وَيُرْوَى: لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ. وَهُوَ كِبَرُ الْبَطْنِ. وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ. وَهُوَ صِغَرُ الرَّأْسِ. وَأَمَّا الْوَسِيمُ فَهُوَ حَسَنُ الْخَلْقِ، وَكَذَلِكَ الْقَسِيمُ أَيْضًا. وَالدَّعَجُ: شِدَّةُ سَوَادِ الْحَدَقَةِ. وَالْوَطَفُ: طُولُ أَشْفَارِ الْعَيْنَيْنِ. وَرَوَاهُ الْقُتَيْبِيُّ: فِي أَشْفَارِهِ عَطَفٌ. وَتَبِعَهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَلَا أَعْرِفُ مَا هَذَا. وَهُوَ مَعْذُورٌ؛ لِأَنَّهُ وَقَعَ فِي رِوَايَتِهِ غَلَطٌ، فَحَارَ فِي تَفْسِيرِهِ، وَالصَّوَابُ مَا ذَكَرْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي صَوْتِهِ صَحَلٌ: وَهُوَ بُحَّةٌ يَسِيرَةٌ، وَهِيَ أَحْلَى فِي الصَّوْتِ مِنْ أَنْ يَكُونَ حَادًّا. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: وَبِالصَّحَلِ تُوصَفُ الظِّبَاءُ. قَالَ: وَمَنْ رَوَى: فِي صَوْتِهِ صَهَلٌ. فَقَدْ غَلِطَ؛ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ إِلَّا فِي الْخَيْلِ، وَلَا يَكُونُ فِي الْإِنْسَانِ. قُلْتُ: وَهُوَ الَّذِي أَوْرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ؛ قَالَ: وَيُرْوَى: صَحَلٌ. وَالصَّوَابُ قَوْلُ أَبِي عُبَيْدٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُهَا: أَحْوَرُ. فَمُسْتَغْرَبٌ فِي صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ قَبَلٌ يَسِيرٌ فِي الْعَيْنَيْنِ يُزَيِّنُهَا وَلَا يَشِينُهَا كَالْحَوَلِ. وَقَوْلُهَا: أَكْحَلُ. قَدْ تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ. وَقَوْلُهَا: أَزُجُّ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: هُوَ الْمُتَقَوِّسُ الْحَاجِبَيْنِ. قَالَ: وَأَمَّا قَوْلُهَا: أَقْرَنُ. فَهُوَ الْتِقَاءُ الْحَاجِبَيْنِ بَيْنَ الْعَيْنَيْنِ. قَالَ: وَلَا يُعْرَفُ هَذَا فِي صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا فِي هَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৩

ও কঠোর-কর্কশ নন, বাজারে বাজারে হৈ চৈ কারী নন, মন্দের বদলে মন্দ আচরণ করেন না;
বরং ক্ষমা ও মার্জনা করেন, আর আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করবেন না যতদিন না তিনি বক্র ও
গোমরাহ্ মিল্লাতকে সরল সোজা করবেন আর তা হবে৩ তাদের ল৷ ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার
করা দ্বারা ৷ আর তিনি অন্ধদৃষ্টি বধির কর্ণ এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমুহকে আবরণমুক্ত ও উন্মুক্ত
করবেন ৷ আর হাদীসখানি হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম ও কাব আহবার থেকেও বর্ণিত
আছে ৷ বুখারী মুসাদ্দাদ আবুসাঈদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করীম
(সা) পর্দানুশীন কুমারীর চাইতেও অধিকতর লজ্জাশীল ছিলেন ৷ ইবন বাশৃশার শুব৷ সুত্রে
অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷ আর তাতে আরো রয়েছে-যখন তিনি কোন কিছু অপছন্দ করতেন তখন
তা তার চেহারায় প্রকাশ পেত ৷ আর মুসলিম শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবু আমির আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) গালমন্দকারী, অভিশাপকারী কিংবা অশ্লীলভাষী ছিলেন না ৷ আমাদের
কাউকে ভর্মুসনাকালে তিনি বেশি থেকে বেশি তিনি এই বলতেন, কি হয়েছে! তার ললাট
ধুলিধুসরিত হোক মুহাম্মদ ইবন সিনান সুত্রে যুম্পায়হ থােক বুখারী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বুখারী ও মুসলিম শরীফে হান্মাদ ইবন যায়দের হাদীস সংগ্র হ থেকে আনাস (রা) থেকে
বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, (শব্দমালা মুসলিমের) রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বভাবে ও অবয়বে সুন্দরতম
মানুষ ছিলেন, তিনি ছিলেন, সবচেয়ে বদান্য ও সাহসী ব্যক্তি ৷ (একবার) কোন এক রাতে
মদীনাবাসী (এক আওয়াজে) ভীত-সস্ত্রস্ত) হয়ে পড়ল, তখন কতিপয় সাহসী ব্যক্তি শব্দের উৎস
সন্ধানে অগ্রসর হলেন ৷ এ সময় ফিরতি পথে রাসুলুল্লাহ্’ (সা) তাদের দেখা পেলেন, তাদের
পুর্বেই তিনি সেই শব্দের উৎসে পৌছে গিয়েছিলেন, আর এ সময় তিনি আবু তালহা (রা)-এৱ
একটি জিনবিহীন ঘোড়ায় সওয়ার ছিলেন এবং তার কাধে তরবারি লটকানাে ছিল আরও তিনি
বলছিলেন, তোমরা আ৩ ঙ্কিত হয়ে না আতঙ্কিত হয়ো না ৷ (বর্ণনাকারী বলেন) আমরা তাকে
অত্যন্ত দ্রুতগামী পেলাম অথবা অত্যন্ত দ্রুতগামী ছিল ৷ তিনি বলেন অথচ ঘোড়াটি ছিল
ধীরগতি সম্পন্ন ৷ তারপর মুসলিম বাক্র ইবন শায়বা আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বললেন, (একবার) মদীনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ৷ তখন নবী করীম (সা) হযরত আবু
তালহার একটি ঘোড়া ধার নিলেন, যার নাম জ্যি মানদুব’ ৷ এরপর তিনি তাতে আরোহণ
করে (ঘুরে এসে) বললেন, আমরা ভরের কিছুই দেখলাম না, আর ঘোড়াটিকে বেশ দ্রুতগামী
পেলাম ৷ আনাস (রা) বলেন, ভীতি ও আতঙ্ক যখন তীব্র হত তখন আমরা রাসুলুল্লাছু
(না)-এর আড়ালে আত্মরক্ষা করতাম ৷

আবু ইসহাক সুবায়য়ী হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,

-বদরের দিন (যুদ্ধ যখন প্রচণ্ডরুপ ধারণ করল তখন) আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আড়ালে

আত্মরক্ষা করতে লাগলাম, আর তিনি ছিলেন সর্বাধিক সাহসী যোদ্ধা ৷ ইমাম আহমদ ও
বায়হাকী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইতিপুর্বে হাওয়াযিন যুদ্ধের বর্ণনায় আমরা বলে এসেছি যে,
সে দিন যখন তার অধিকাত্শ সহযোদ্ধ৷ পলায়ন করলেন তখনও তিনি অবিচল ছিলেন ৷ এ সময়
তিনি তার খচ্চরে সওয়ার ছিলেন আর নিজের পবিত্র নাম উচ্চস্বরে উচ্চারণ করে করে আবৃত্তি
করছিলেন ৷

“আমি আল্লাহ্র নবী মিধ্যুক কভু নই ৷ আবদুল মুত্তালিবের সন্তান আমি হই ৷


الْحَدِيثِ. قَالَ: وَالْمَعْرُوفُ فِي صِفَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنَّهُ أَبْلَجُ الْحَاجِبَيْنِ. فِي عُنُقِهِ سَطَعٌ: قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: أَيْ طُولٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: نُورٌ. قُلْتُ: وَالْجَمْعُ مُمْكِنٌ بَلْ مُتَعَيِّنٌ. وَقَوْلُهَا: إِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ. أَيِ الْهَيْبَةُ عَلَيْهِ فِي حَالِ صَمْتِهِ وَسُكُوتِهِ. وَإِذَا تَكَلَّمَ سَمَا: أَيْ عَلَا عَلَى النَّاسِ. وَعَلَاهُ الْبَهَاءُ: أَيْ فِي حَالِ كَلَامِهِ. حُلْوُ الْمَنْطِقِ فَصْلٌ: أَيْ فَصِيحٌ بَلِيغٌ يَفْصِلُ الْكَلَامَ وَيُبَيِّنُهُ. لَا نَزْرٌ وَلَا هَذْرٌ: أَيْ لَا قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ. كَأَنَّ مَنْطِقَهُ خَرَزَاتُ نَظْمٍ: يَعْنِي الدُّرَّ مِنْ حُسْنِهِ وَبَلَاغَتِهِ وَفَصَاحَتِهِ وَبَيَانِهِ وَحَلَاوَةِ لِسَانِهِ. أَبْهَى النَّاسِ وَأَجْمَلُهُ مِنْ بَعِيدٍ وَأَحْلَاهُ وَأَحْسَنُهُ مِنْ قَرِيبٍ: أَيْ هُوَ مَلِيحٌ مِنْ بَعِيدٍ وَمِنْ قَرِيبٍ. وَذَكَرَتْ أَنَّهُ لَا طَوِيلَ وَلَا قَصِيرَ، بَلْ هُوَ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا وَمِنْ هَذَا. وَذَكَرَتْ أَنَّ أَصْحَابَهُ يُعَظِّمُونَهُ وَيُكْرِّمُونَهُ وَيَخْدِمُونَهُ وَيُبَادِرُونَ إِلَى طَاعَتِهِ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِجَلَالَتِهِ عِنْدَهُمْ وَعَظْمَتِهِ فِي نُفُوسِهِمْ وَمَحَبَّتِهِمْ لَهُ، وَأَنَّهُ لَيْسَ بِعَابِسٍ: أَيْ لَيْسَ يَعْبِسُ. وَلَا يُفَنِّدُ أَحَدًا: أَيْ يُهَجِّنُهُ وَيَسْتَقِلُّ عَقْلَهُ؛ بَلْ جَمِيلُ الْمُعَاشَرَةِ، حَسَنُ الصُّحْبَةِ، صَاحِبُهُ كَرِيمٌ عَلَيْهِ، وَهُوَ حَبِيبٌ إِلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو زُرْعَةَ فِي " الدَّلَائِلِ ": ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا يُوسُفُ - يَعْنِي ابْنَ صُهَيْبٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «كَانَ أَحْسَنَ الْبَشَرِ قَدَمًا» . وَهَذَا مُرْسَلٌ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৮৪

আর এ সময় তিনি তার খচ্চরকে শত্রু ব্যুহ অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার জন্য পদাঘাত
করছিলেন ৷ আর এটা যেমন ছিল তার সাহসিকতা ও বীরত্বের পরাকাষ্ঠা, তেমনি আল্লাহ্র
প্রতি পুর্ণ আস্থারও পরিচায়ক ৷ মুসলিম শরীফে ইসমাঈল ইবন উলায়্যার হাদীস সংগ্রহ থেকে
আনাস (রা) এর বরাতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনায়
আগমন করলেন তখন আবু তালহা (রা) আমাকে হাত ধরে তার কাছে নিয়ে গেলেন এবং
বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আনাস বেশ চৌকস বালক, যে আপনার খিদমত করুক ৷ আনাস
বলেন, এরপর থেকে বাড়িতে অবস্থানকালে ও সফরে আমি তার খিদমত করেছি, কিন্তু
আল্লাহ্র কলম, তিনি কখনও আমাকে আমার কৃত কোন কাজের কারণে এ কথাও বলেননি
যে, এটা তুমি এভাবে কেন করলে? এবং আমার না করা কোন কাজ সম্পর্কে এ কথা বলেন
নি, কেন তুমি এটা এভাবে করলে না? এছাড়া সাঈদ ইবন আবু বুরদার হাদীস সংগ্রহ থেকে
তার বিওয়ায়াত বিদ্যমান, যাতে আনাস (রা) বলেন, আমি দীর্ঘ নয় বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
খিদমত করেছি, কিন্তু কখনও আমাকে এ কথা বলতে শুনিনি যে, £কন তুমি এমন এমন
করেছো? আর তিনি কখনো আমার কোন দোষ ধ্রেননি ৷ এ ছাড়া ইকরিমা ইবন আম্মারের
হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাস সুত্রেত তার বিওয়ায়াত বিদ্যামান-যাতে আনাস (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বোত্তম স্বভাবের মানুষ ছিলেন ৷ একদিন তিনি আমাকে তার কােন এক
প্রয়োজনে পাঠালেন ৷ তখন আমি মুখে বললাম, আল্লাহ্র কলম, আমি যাব না-আর মনে ছিল
যে, আমি আল্লাহর রাসুলের নির্দেশ পালন করব-এরপর আমি বের হয়ে আসলাম এবং বাজারে
ক্রীড়ারত কয়েকজন বালকের খেলা দেখে দাড়িয়ে রইলাম ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমার পিছন থেকে আমার ন্ঘাড় চেপে ধরলেন ৷ আনাস বলেন, তখন আমি তার দিকে
তাকিয়ে দেখলাম, তিনি মিঢিমিটি হাসছেন ৷ তিনি বললেন হে উনায়স! (আনাসের স্নেহসুচক
রুপভেদ) যেখানে যেতে বলেছি সেখানে গিয়েছিলে? তখন আমি বললাম, জী হা ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি যাচ্ছি ৷ আনাস বলেন, আল্লাহ্র কসম, আমি দীর্ঘ নয় বছর তার খিদমত
করেছি, আমার করা কোন কাজ সম্পর্কে তাকে কোনদিন বলতে শুনিনি যে, কেন তুমি এমনটি
করলে, কিৎবা যা আমি করিনি সে সম্পর্কে র্তাকে বলতে শুনিনি যে, কেন তুমি এমনটি করলে
না ৷ ইমাম আহমদ, কাহীর সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমি দশ বছর নবী (সা) এর খিদমত করেছি, বিৎ তার কোন নির্দেশ পালনে অলসতা বা
অবহেলা করার দরুন তিনি কোনদিন আমাকে ভর্বৃসনা করেননি, আর তার পরিবারের কেউ
যদি আমাকে ভৎসনা করতো তাহলে তিনি বলগ্লু তন, ওকে ছেড়ে দাও, তিরস্কার করে৷ না,
কেননা, যদি ভাগ্যে তা হওয়ার থাকত তাহলে হতোই ( তার কি দোষ) ৷ অতঃপর ইমাম
আহমদ ভি ন্ন সুত্রেও এককভাবে আনাল (রা) থেকে তা বিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
আব্দুস সামাদ আনাস (রা) সুত্রে বলেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বোত্তম
স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী ছিলেন ৷ আবু উমায়র নামে আমার এক ভাই ছিল ৷ রাবী বলেন,
আমার ধারণা, তিনি সবেমাত্র দুধ ছেড়েছে এমন ভাই বলেছেন ৷ আনাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না) যখন তাকে এসে দেখতেন তখন বলতেন, ওগাে আবু উমায়র! কী করল তোমার
নুগায়র’১ ৷ আনন্দে বলেন, যে এই পাখিটি নিয়ে থেলত ৷ আনাস বলেন, তিনি আমাদের

১ বুলবুলি পাখীরছান৷ ৷ র্ধ




وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ أَيْضًا: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانٍ الْأَزْدِيُّ الْوَرَّاقُ، ثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ أُمِّ سَعِدٍ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَأْتِي الْخَلَاءَ فَلَا نَرَى مِنْكَ شَيْئًا مِنَ الْأَذَى؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَ مَا عَلِمْتِ يَا عَائِشَةُ أَنَّ الْأَرْضَ تَبْتَلِعُ مَا يَخْرُجُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَلَا يُرَى مِنْهُ شَيْءٌ؟» هَذَا الْحَدِيثُ يُعَدُّ مِنَ الْمُنْكَرَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.