আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

باب ما يذكر من آثار النبي صلى الله عليه وسلم التي كان يختص بها في حياته

ذكر ما ورد في المكحلة التي كان عليه الصلاة والسلام يكتحل منها

পৃষ্ঠা - ৪৫১৪


তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আবু বকর বিন আয়ুব্রবের পুত্র বাদশাহ্ আল আশরাফ মুসা অঢেল
অর্থের বিনিময়ে তা খরিদ করতে চইিলেন ৷ কিন্তু ব্যবসায়ীটি তা বিক্রি করতে অস্বীকার
করলেন ৷ ঘটনাক্রমে এর কিছুদিন পর তার মৃত্যু হলে তা উল্লেখিত বাদশাহ্র অধিকারে এসে
যায় ৷ তিনি তা গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদার সংরক্ষণ করেন ৷ তারপর যখন তিনি তথাকার
কিল্লার পার্শে দারুল হাদীস আল আশরাফিয়া নির্মাণ করেন তখন তার একটি ভাণ্ডারে তা

ৎরক্ষাণর ব্যবস্থা করেন এবং মাসিক চল্লিশ দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করে এ জন্যে স্বতন্ত্র
তত্তুাবধায়ক নিয়োগ করেন ৷ উল্লেখিত দারুল হাদীসে তা আজও বিদ্যমান রয়েছে ৷ তিরমিযী
শামাইলে মুহাম্মাদ ইবন রাফি প্রমুখ সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ ( সা )-এর একটি কৌটা ছিল, যা থেকে তিনি সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ৷

নবী করীম (না)-এর পানপাত্রের বিবরণ

ইমাম আহমদ (র) ইয়াহ্য়া ইবন আদম সুত্রে আসিম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,,
আমি হযরত আনাস (রা)-এর কাছে নবী করীম (সা )-এর পানপাত্র দেখেছি, তা’ রুপার পাতে
মােড়ানাে ছিল ৷ হাফিয বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ বৃখারী আসিম
আলু আহ্ওয়াল সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত আনাস ইবন মালিকের কাছে
নবী কবীম (না)-এর পেয়ালা দেখেছি, তা ফেটে যাওয়ার কারণে রুপার পাত দিয়ে তিনি তা
মুড়িয়ে নিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেন, তা ছিল অত্যুৎকৃষ্ট কাঠের চওড়া ও উত্তম পানপাত্র ৷ হযরত
আনাস বলেন, এই পানপাত্রে আমি নবী করীম (না)-কে এত এত বারের অধিক পান
করিয়েছি ৷ তিনি বলেন, ইবন সীরীন বর্ণনা করেছেন, তাতে লোহার একটি কড়া সংযুক্ত ছিল ৷
পরবর্তীতে হযরত আনাস (রা) তাতে স্বর্ণ বা রৌপোর কড়া সংযুক্ত করতে চইিলেন ৷ তখন
আবু তালহা (রা) তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তৈরী কোন বন্তুতে পরিবর্ত্য৷ সাধন
করে৷ না, তখন আনাস (রা ) তার ইচ্ছা পরিত্যাগ করলেন ৷ এ ছাড়া ইমাম আহমদ (র ) রাওহ
ইবন উবাদা সুত্রে হাজ্জাজ ইবন আনাস থেকে বর্ণনা করে বলেন, একবার আমরা হযরত
আমাদের কাছে ছিলাম ৷ তখন তিনি একটি পানপাত্র আনলেন, যাতে তিনটি লোহার পাত এবং
একটি লোহার আৎটা সংযুক্ত ছিল ৷ তিনি একটি কাল গিলাকের (আবরণের) ভিতর হতে তা
বের করলেন ৷ আর তা ছিল এক চতু ৎশের চেয়ে কম এবং এক অষ্টমাংশের চেয়ে বেশি ৷
এরপর আনাস ইবন মালিকের নির্দেশে তাতে পানি তবে আমাদের কাছে আনা হল ৷ তখন
আমরা তা থেকে পান করলাম এবং আমাদের মাথায় ও মুখে ঢেলে নিলাম এবং দরুদ
পড়লাম ৷ এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷

নবী করীম (না)-এর ব্যবহৃত সুরমাদানি

ইমাম আহমদ য়াযীদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি সুরমাদানি ছিল ৷ প্রতিদিন নিদ্র৷ যাওয়ার সময় তিনি তা থেকে
উভয় চোখে তিনবার করে সুরমা লাগাতেন ৷ ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজা ইয়াযীদ ইবন
হারুনের হাদীস থেকে তা বর্ণনা করেছেন ৷ আলী ইবন মাদীনী বলেন, আমি ইয়াহ্য়া ইবন
সায়ীদকে বলতে শুনেছি (একবার) আমি আব্বাস ইবন মনসুরকে বললাম, আপনি কি


لَنَا فِيهِ مَاءٌ فَأُتِينَا بِهِ، فَشَرِبْنَا وَصَبَبْنَا عَلَى رُءُوسِنَا وَوُجُوهِنَا، وَصَلَّيْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ. [ذِكْرُ مَا وَرَدَ فِي الْمُكْحُلَةِ الَّتِي كَانَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ يَكْتَحِلُ مِنْهَا] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ أَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُكْحُلَةٌ يَكْتَحِلُ مِنْهَا عِنْدَ النَّوْمِ ثَلَاثًا فِي كُلِّ عَيْنٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ: قُلْتُ لِعَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ: سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ عِكْرِمَةَ؟ فَقَالَ: أَخْبَرَنِيهِ ابْنُ أَبِي يَحْيَى عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْهُ. قُلْتُ: وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ مَزَارًا فِيهِ أَشْيَاءٌ كَثِيرَةٌ مِنْ آثَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اعْتَنَى بِجَمْعِهَا بَعْضُ الْوُزَرَاءِ الْمُتَأَخِّرِينَ، فَمِنْ ذَلِكَ مُكْحُلَةٌ، وَمِيلٌ، وَمُشْطٌ وَغَيْرُ ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.