আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

كتاب الوحي وغيره بين يديه صلوات الله وسلامه عليه

পৃষ্ঠা - ৪৪৫৯


দীর্ঘস্মিন আমি করে ফেলেছি এমন কোন কিছুর ব্যাপারে তিনি (সা) আমাকে বলেননি ৷ কেন
ম্নো? আমার কোন কিছু আমি করিনি, (সে জন্য বলেননি) কেন করলে না ? একটি
রিওরান্নাত রয়েছে, আমি দশ অথবা পনের বছর যাবত তার খিদমত করেছি ৷

অঠোর : অন্যতম খাদিম আবুস সামহ (রা) ৷ আবুল আব্বাস মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ছাকাফী
(র) বলেন, মুজাহিদ ইবন মুসা (র) মাহিল ইবন খালীফা (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আবুসৃ সামহ (বা) বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমত করতাম ৷ তিনি বলেন,
নবী করীম (না) যখন গোসল করতে মনস্থ করতেন তখন আমাকে বলতেন, আমার (পানির)
পাত্রটি আমাকে এগিয়ে দাও ৷ আবুসৃ সামহ (বা) বলেন, আমি তাকে পাত্র এগিয়ে দিতাম এবং
র্তীকে আড়াল করে রাখতাম ৷ একবার হাসান বা হুসায়ন (রা)কে নিয়ে আসা হল ৷ তিনি
নবীজী (না)-এর বুবেন্ম উপর পেশার করে দিলেন ৷ আমি তা ধুয়ে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলে
তিনি বললেন, ণ্ “মেয়ের পেশার (পর্যপ্ত
পরিমাণে) ধুতে হয়; আর ছেলের পেশারে পানি ছিটিয়ে (হাল্কা) দিতে হয় ৷ ” আবু দাউদ, নাসাঈ
ও ইবন মাজ৷ (র)-ও মুজাহিদ ইবন মুসা (র) সুত্রে অনুরুপই ব্রিওয়ায়াত করেছেন ৷
উনিশ : খাদিম তালিকায় অন্যতমসর্ব বিচারে গ্রেষ্ঠতম সাহাবী আবু বকর (বা) ৷
হিজরতের সফরে, বিশেষত (হাওর) গুহায় অবস্থান কালে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে মদীনায়
উপনীত হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বহন্থে নবীজী (না)-এর যাবতীয় খিদমত আনজাম দিয়েছেন ৷
বিশদ বিবরণ যথাস্থানে বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহর জন্য সব হামদ এবং সব অনুকম্পা র্তারই ৷

ৱাসুলুরহে (না)-এর দরবারের লিখকবৃন্দ
ও অন্যান্য কর্তব্য পালনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ

এক-চার ৪১ ওহী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় লেখকবৃন্দের মাঝে রয়েছেন, খলীফা চতুষ্টয়
আবু বকর, উনার, উসমান ও আলী ইবন আবু তালিব (বা) ৷ তাদের প্রত্যেকে খিলাফত যুগের
বর্ণনায় তাদের জীবনী আলোচিত হবে ৷ ইনশাআল্লাহ!

পাচ : এ তালিকার অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আবান ইবন সাঈদ ইবনুল আন ইবন
উমায়্যা ইবন আবদ শামছ ইবন আবদ মানাফ ইবন কুসার-উমাৰী (বা) ৷ তার দুই ভাই
খালিদ ও আমৱ (রা)-এর পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ জার-ইসলাম গ্রহণের সময়টি ছিল
হুদায়ৰিয়া সন্ধির পরে ৷ ক্যেনা, চ্দায়ৰিয়া সত্যি মোঃ রসুলুল্লাহ (না) যখন উছমান (রা)-
কে দুতরুপে মক্কার পাঠিয়েছিলেন তখন এ অবােন (রা)-ই উহুম্লে (না)-কে হিফাযত
করেছিলেন ৷ তবে কারো কারো মতে, তিনি বারবার অতিবাৰ্নর প্রাক্কালে ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন ৷ কেননা, খায়বারের গণীমত বন্টন মোঃ সহীহ বুখারীতে আবু হুরায়রা (রা)
বর্ণিত হাদীসে তার নমােল্লেখ রয়েছে ৷ তার ইনদাম্ গ্রহণের কারণরুপে বিবৃত হয়েছে যে,
সিরিয়ার তেজারতী সফরে এক বুস্টান ধ্র্যযাক্রো ঝো তার সাক্ষাত হয়েছিল ৷ তার কাছে
তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিষয় আলোনো কালে তিনি তাকে বলেন, তার নাম কি? তিনি



১ বর্ণ ক্রমিকে অনুচ্ছেদের শেষাংশে তাদের খ্যাঃ জ্যো ররেহে ৷গ্অনুৰাদক


[كُتَّابُ الْوَحْيِ وَغَيْرِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ] فَصْلٌ أَمَّا كُتَّابُ الْوَحْيِ وَغَيْرِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَرَضِيَ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ فَمِنْهُمُ الْخُلَفَاءُ الْأَرْبَعَةُ: أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَسَيَأْتِي تَرْجَمَةُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَبَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ الْأُمَوِيُّ. أَسْلَمَ بَعْدَ أَخَوَيْهِ خَالِدٍ وَعَمْرٍو، وَكَانَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ; لِأَنَّهُ هُوَ الَّذِي أَجَارَ عُثْمَانَ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقِيلَ: أَسْلَمَ قَبْلَ ذَلِكَ زَمَنَ خَيْبَرَ; لِأَنَّ لَهُ ذِكْرًا فِي " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي قِسْمَةِ غَنَائِمِ خَيْبَرَ وَكَانَ سَبَبُ إِسْلَامِهِ أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِرَاهِبٍ وَهُوَ فِي تِجَارَةٍ بِالشَّامِ، فَذَكَرَ لَهُ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ: مَا اسْمُهُ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ. قَالَ: فَأَنَا أَنْعَتُهُ لَكَ. فَوَصَفَهُ بِصِفَتِهِ سَوَاءً، وَقَالَ: إِذَا رَجَعْتَ إِلَى أَهْلِكَ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ. فَأَسْلَمَ بَعْدَ مَرْجِعِهِ، وَهُوَ أَخُو
পৃষ্ঠা - ৪৪৬০


বলেন, মুহাম্মদ ৷ যাজক বললেন, তবে আমি তোমাকে তীর বিবরণ দিচ্ছি ৷ তিনি অবিকল র্তার
হুলিয়া আকৃতিপ্রকৃতির বিবরণ দিয়ে দিলেন এবং বললেন, তুমি যখন স্বদেশে ফিরে যাবে
তখন র্তাকে (আমার) সালাম বলবে ৷ এ সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের পরই তিনি মুসলমান হয়ে
গেলেন ৷ তিনিই সে আমর ইবন সাঈদ আল আশৃদাক (রড়া)-এর ভাই, আবদুল মালিক ইবন
মড়ারওয়ানের আদেশে যাকে হত্যা করা হয়েছিল ৷

আবু বকর ইবন শায়বা (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে সর্ব প্রথম ওহী-লেখক
ছিলেন উবড়ায় ইবন কাব (রা) ৷ তিনি উপস্থিত না থাকলে লিখতেন যায়দ ইবন ছাৰিত (রা) ৷
এ ছাড়া উছমড়ান, খালিদ ইবন সাঈদ ও আবড়ান ইবনে সাঈদ (রা) ও নবী করীম (না)-এর
জন্য লিপিকারের কাজ করেছেন ৷ ইবন শায়বা (রা) অনুরুপই বলেছেন ৷ তবে এ ব্যবস্থা ছিল
মদীনায় ৷ অন্যথায় মক্কায় অবতীর্ণ সুরাসমুহের অবতরণকাংল তাে আর উবড়ায় (বা) সেখানে
ছিলেন না ৷ অথচ অন্যান্য লেখক সাহাবীগণ (রা) তো মক্কায় তা লিখেছেন ৷

আবড়ান ইবন সাঈদ (রড়া) এর নৃত্যুকাল সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে ৷ মুসা ইবন উকবড়া,
ঘুসআব ইবনুব যুবায়র ও যুবায়র ইবন বড়াক্কার (র) এবং অন্যান্য বংশাবলী বিশারদগণের
মতে আজনড়াদীন যুদ্ধে তিনি শাহড়াদাত বরণ করেন ৷ অর্থাৎ দ্বাদশ হিজরীর জ্বমড়াদাল-উলা
মাসে ৷ অন্যরা বলেছেন, চর্তুদশ হিজরীতে মড়ারজুস সুফার যুদ্ধে তিনি শাহাদাত প্রাপ্ত হন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক (র) বলেছেন, আবান ও তীর ভাই আমর (রা) পনের হিজরীর রজব
মাসের পাচ তারিখে ইয়ারমুক যুদ্ধে শাহড়াদাত সুধা পান করেন ৷ কারো কারো মতে তিনি
উছমড়ান (রা) এর খিলাফাত কাল পর্যন্ত বেচে ছিলেন এবং তিনি যায়দ ইবন ছাৰিত (আঃ কে
মুসহড়াফুল ইমাম (মুল কপি) এ র শ্রুতি লিখন (করিয়ে অনৃলিপি তৈরি) করাতেন ৷ তারপর
উনত্রিশ হিজরীতে তিনি নৈতিকাল করেন ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

হয় : কড়াতিব ওহী উবড়ায় ইবন কাব ইবন কায়স ইবন উবায়দ আনঃসারী খড়াযরাব্জী (বা) ৷
কুনিয়াত আবুল যুনৃযির ৷ তাকে আবৃত তৃফায়লও বলা হত ৷ তিনি হািলন সাব্লিদুল কুব্রর,
হাফিযগণেরও প্রধান ৷ দ্বিতীয় আকাবা চুক্তি১ ও বদরসহ পরবর্তী সব অভিযানে তিনি অংশ্যাহণ
করেছেন ৷ তিনি ছিলেন মধ্যম আকৃতির শীর্ণকায় মানুষ এবং নানা মাথা ও সাদা দাড়ির
অধিকারী ৷ খিযাব ব্যবহার করে চুলের সাদা বর্ণ পরিবর্তন করতেন না ৷ আনাস (বা) বলেন,
চার ব্যক্তি কুরআন সংগ্রহ ৎকলন করেছেন ৷ অর্থাৎ আনসারীদের মধ্য হতে উবড়ায় ইবন
কাব, মুআয ইবন জাবল, যায়দ ইবন ছাৰিত এবং অন্য একজন আনসারী ব্যক্তি যিনি আবু
ইয়াষীদ (বা) নামে অভিহিত হতেন ৷ বুখড়ারী-ঘুসলিম (র) এ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ সহীহ
গ্রন্থদ্বয়ে আনাস (বা) সুত্রে আরো রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উবড়ায় (রা)-£ক বললেন, ধ্ত্রা (
ণ্ঠো;-স্রা এন্ওণ্ ৷গ্লুদ্বু৷ ড্রুা ণ্ ষ্এ)এরু “তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাবার জন্য আল্পহে আমাকে
হুকুম করেছেন ৷ উবড়ায় (রা) বললেন, তিনি কি আপনার কাছে আমার নামও বলেছেন, ইয়া
রড়াসুলল্লোহ! তিনি বললেন, হী ৷ বর্ণনাকারী (আনান) বলেন, তখন তার চোখ দুটি আনন্দের



১ হিজরাতের পুর্বে হচ্ছে আগত ৭২ সদস্য বিশিষ্ট মদীনাবাসীদের নবী কৰীম (সা)কে সহায়তা ও
আনুগত্য দানের গোপন ঢুক্তি-দ্বিতীয়বার ৷-অনৃবদ্দেক


عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ الْأَشْدَقِ الَّذِي قَتَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ كَتَبَ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، فَإِذَا لَمْ يَحْضُرْ كَتَبَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَتَبَ لَهُ عُثْمَانُ وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ وَأَبَانُ بْنُ سَعِيدٍ. هَكَذَا قَالَ، وَكَأَنَّهُ يَعْنِي بِالْمَدِينَةِ، وَإِلَّا فَالسُّوَرُ الْمَكِّيَّةُ لَمْ يَكُنْ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ حَالَ نُزُولِهَا، وَقَدْ كَتَبَهَا الصَّحَابَةُ بِمَكَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي وَفَاةِ أَبَانِ بْنِ سَعِيدٍ هَذَا، فَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَمُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَالزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَأَكْثَرُ أَهْلِ النَّسَبِ: قُتِلَ يَوْمَ أَجْنَادِينَ. يَعْنِي فِي جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَقَالَ آخَرُونَ: قُتِلَ يَوْمَ مَرَجِ الصُّفَّرِ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: قُتِلَ هُوَ وَأَخُوهُ عَمْرٌو يَوْمَ الْيَرْمُوكِ لِخَمْسٍ مَضَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৪৪৬১


অশ্রু বর্ষণ করতে লাগল ৷ তবে এখানে পড়ে গোনাবার অর্থ শুধু গােনানাে এবং পৌছানাে ৷
শিক্ষকের কাছে ছাত্রের পাঠ শোনানাে নয় ৷ বিদ্বান বুদ্ধিমানদের কারো জন্য এ কথা বলে
দেয়ার প্রয়োজন নেই ঘটে ৷

তবুও কেউ যাতে অন্য রকম ধারণা না করে বলেন, যে উদ্দেশ্যেই আমাদের এই
সতর্কীকরণ প্রয়াস ৷ অন্যত্র আমরা এরুপ পাঠ করে গােনাবার একটি কারণ উল্লেখ করেছি ৷ তা
হল-নবী কৰীম (সা) উবায় (বা) কে ;)ওও ঞট্টষ্কগ্ ৰুড্রু<১ ণ্এ পড়ে শোনান ৷ আর কা ৷রণটি এই
যে উবায় (বা) এ সুরাটি যে কিরআতে ৩(ও পঠন পদ্ধতিতে ৩) তিলাওয়াত করতেন অন্য এক
ব্যক্তিকে তা ভিন্নভাবে তিলাওয়াত করতে শুনে তিনি তার প্রতিবাদ করলেন ৷ পরে উবায় (বা)
বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (না) এর সমীপে তুললে তিনি বললেন ,ৰু এা৷ন্৷ ৰু)গ্র৷ “উবায় পড়ে শ্যেনাও ৷”
তিনি পড়ে শুনালে, নবী করীম (সা) বললেন, গ্লে)ও ৰু১ৰু^ “এ রুপেও নাযিল করা হয়েছে ৷ ”
তারপর ঐ লোকটিকে বললেন, ৰু)ৰু৷ “পড়ে গােনাও ৷ ” সেও পড়ে শোনালে নবী করীম (সা)
বললেন, “এরুপেই নাযিল করা হয়েছে ৷” উবায় (বা) বলেন, এ ঘটনায় আমি (দীনের
ব্যাপারে) এ ইে সন্দিহান হলাম যে, জা ৷হিলিয়াতে র যুগেও আমি তেমন সন্দেহবাদী ছিলাম না ৷
উবায় (বা) বলেন, তখন নবী করীম (সা) আমার বুকে হাত রাখলেন, যাতে আমি ঘামে সিক্ত
হয়ে গেলাম এবং ভয়ে আমার অবস্থা এমন হল যে, আ ৷মি যেন তা ৷ল্লাহকে দেখতে পাচ্ছিলাম ৷
এরপর কুরআনের বাস্তবতা ও সত্যতাকে সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় করার মানন্সে রাসুলুল্লাহ (সা) নিজে
এ সুরাটি (সুরা বায়িনাে) বান্দাদের প্ৰতি দয়া ও করুণাবশতঃ আল্লাহ পাক কুরআন একাধিক
পঠন ভঙ্গিতে নাযিল করেছেন ৷

ইবন আবু খায়ছামা (র) বলেছেন, তিনিই (উবায়) রাসুলুল্লাহ (সা) এর সমীপে প্রথম ওহী
লেখক ব্যক্তি ৷ তার মৃভ্যুকাল মতবিরোধ পুর্ণ ৷ কেউ বলেছেন, উনিশ হিজরীতে ৷ কারো মতে
বিশ হিজরীতে এবং কারো মতে তেইশ হিজরীতে ৩৷ এমন কি কেউ কেউ উছমান (রা) এর
শাহাদাত লাভের এক সপ্তাহ আগে হওয়ার কথাও বলেছেন ৷ আ ৷ল্লাইে সমধিক অবগত ৷

সাত : অন্যতম লিখক আরকাম ইবন আবুল আরকাম (বা) ৷ তার নাম ও বংশ সুত্র-মানাফ

ইবন আসাদ ইবন জুলদৃব ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মাখযুম ৷ সুতরাং তিনি ম খঘুমী ৷

প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ৷ সাফা-র নিকটবর্তী তার বা ৷ড়িতেই৷ রা সুলুল্লাহ
(সা) আত্মগােপন করে রয়েছিলেন ৷

এর পর হতে বাড়িটি খায়যুরা ৷ন’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ তিনি হিজরত করেন এবং বদর ও
পরবর্তী সমরাভিযান সমুহে অং শপহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল্লাহ ইবন উনায়স ও তার
মাঝে ভ্রাতৃ-বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছিলেন ৷ আজীম ইবনুল হ রিছ আ ল মুহারিবী-র জন্য ফাখ’ ও
ৎলগ্ন অঞ্চলের জমিদাবীর দলীল রাসুলুল্লাহ (না)-এর হুকুমে তিনিই লিখে দিয়েছিলেন ৷ আভীক
ইবন ইয়াকুব আয় যুবায়রী (র) সুত্রে (আবুল মালিক ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর
ইবন হাযমপিতাষ্দাদা) আমর ইবন হাযম (বা) সনদে হাফিয ইবন আসাকির (র) বর্ণিত



২ কিতাৰীদেৱ মধ্যে যারা কুবৰী করেছিল তারা এবং মুশরিকরা আপন অবিচল ছিল তাদের নিকট সুস্পষ্ট
প্রমাণ না জানা পর্যন্ত ৷ আল্লাহর ৰিকা হতে এক রাসুল যে আবৃত্তি করে পবিত্র গ্রন্থ ৷ (বাব্যিনা : ১ ২)


مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ أَنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى أَيَّامِ عُثْمَانَ، وَأَنَّهُ أَمَرَهُ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنْ يُمِلَّ الْمُصْحَفَ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، ثُمَّ تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أُبَيُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عُبَيْدٍ الْخَزْرَجِيُّ الْأَنْصَارِيُّ أَبُو الْمُنْذِرِ، وَيُقَالُ: أَبُو الطُّفَيْلِ. سَيِّدُ الْقُرَّاءِ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ الثَّانِيَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَكَانَ رَبْعَةً نَحِيفًا، أَبْيَضَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، لَا يُغَيِّرُ شَيْبَهُ. قَالَ أَنَسٌ: جَمَعَ الْقُرْآنَ أَرْبَعَةٌ - يَعْنِي مِنَ الْأَنْصَارِ - أُبَيُّ بْنُ كَعْبٌ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو زَيْدٍ. أَخْرَجَاهُ وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأُبَيٍّ: إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ قَالَ: وَسَمَّانِي لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟! قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ وَمَعْنَى " أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ " ;» قِرَاءَةَ إِبْلَاغٍ وَإِسْمَاعٍ لَا قِرَاءَةَ تَعَلُّمٍ مِنْهُ، هَذَا لَا يَفْهَمُهُ أُحُدٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَى هَذَا لِئَلَّا يُعْتَقَدَ خِلَافُهُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي مَوْضِعٍ آخَرَ سَبَبَ هَذِهِ الْقِرَاءَةِ عَلَيْهِ، وَأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ عَلَيْهِ سُورَةَ: {لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنْفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ رَسُولٌ مِنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُطَهَّرَةً فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ} [البينة: 1] وَذَلِكَ «أَنَّ أُبَيَّ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৪৪৬২
كَعْبٍ كَانَ قَدْ أَنْكَرَ عَلَى رَجُلٍ قِرَاءَةَ سُورَةٍ عَلَى خِلَافِ مَا كَانَ يَقْرَأُ أُبَيٌّ، فَرَفَعَهُ أُبَيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " اقْرَأْ يَا أُبَيُّ ". فَقَرَأَ، فَقَالَ: " هَكَذَا أُنْزِلَتْ ". ثُمَّ قَالَ لِذَلِكَ الرَّجُلِ: " اقْرَأْ ". فَقَرَأَ فَقَالَ: " هَكَذَا أُنْزِلَتْ ". قَالَ أُبَيٌّ: فَأَخَذَنِي مِنَ الشَّكِّ وَلَا إِذْ كُنْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَدْرِي فَفِضْتُ عَرَقًا، وَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى اللَّهِ فَرَقًا» . فَبَعْدَ ذَلِكَ تَلَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَذِهِ السُّورَةَ كَالتَّثْبِيتِ لَهُ وَالْبَيَانِ لَهُ أَنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَقٌّ وَصِدْقٌ، وَإِنَّهُ أُنْزِلَ عَلَى أَحْرُفٍ كَثِيرَةٍ; رَحْمَةً وَلُطْفًا بِالْعَبَّادِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: هُوَ أَوَّلُ مَنْ كَتَبَ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَعْنِي بِالْمَدَينَةِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ يَكْتُبُ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي وَفَاتِهِ، فَقِيلَ: فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةَ عِشْرِينَ. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ. وَقِيلَ: قَبْلَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ بِجُمْعَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَرْقَمُ بْنُ أَبِي الْأَرْقَمِ، وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافِ بْنُ أَسَدِ بْنِ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْمَخْزُومِيُّ. أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَهُوَ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৩


রিওয়ারড়াত সমুহের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এ জমিদাবীর দলীল ৷ তিপ্পা ৷ন্ন হিজবীতে এবং মতাতরে পঞ্চান্ন
হিজবীতে পচাশি বছর বয়সে তিনি ইনৃতিক৷ ল করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) তার সুত্রে বর্ণিত দু’টি হাদীস রিওয়ায়া ত করেছেন ৷

এক : অহেমদ ও হাসান ইবন আরফা (র) বলেন, (শব্দ ভাষ্য আহমদের) আববাদ ইবন
আব্বাদ আল মুহাল্লাবী (র)উছমান ইবন আরকাম ইবন আবুল আরকাম (বা) তার পিতা
থেকে-যিনি নবী করীম (সা)এর অন্যতম সাহাবী ছিলেন-বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলছেন,
স্টো ;ঠো ঠো

“জুযুআর দিন (খুতবার জন্য) ইমামের আগমনের পরে যে ব্যক্তি মানুষের ঘাড় টপকিয়ে

সামনে যায় এবং (পাশাপাশি বসা) দু’জনের মাঝে ব্যবধান সৃষ্টি করে সে জাহান্নামে নাড়ী-ভুড়ী
টেনে হিচড়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যস্ত ব্যক্তির ন্যায় ৷

দুই : আহমদ (র) বলেন, ইমাম ইবন খালিদ (র) (আবদুল্লাহ ইবন উছমান ইবনুল
আরকাম তার দাদা) আরকাম (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকটে
গেলে তিনি বললেন, ১-)ট্ট ঞা “ কোথায় যেতে ইচ্ছা করহ?” তিনি বলণেন, আমি ইচ্ছা
করছিইয়া রাসুলাল্লাহ৷ রাসুলুল্লাহ৷ এ দিকে-তিনি হাত দিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসের অবস্থান
ক্ষেত্রের দিকে ইংগিত করলেন ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, ংএা-১ট্ট৷ গ্রা এ২;-ন্-ন্ন্ ৰুএ “ণ্কান
বিনয় তোমাকে যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে? ব্যবসার কি ? তিনি বললেন, না, তবে আমি সেখানে
সালাত আদায় করার ইরাদ৷ করেছি ৷ তিনি বললেন, ৷ ত্যুঃ ষ্১াএত্র৷ “এ দিকে সালাত ৷ তিনি
নিজের হাত দিয়ে মক্কার দিকে ইংগিত করলেন ও১া: রু-শ্রা ণ্ডে ) শ্ হাজার সালাতের
চাইতে উত্তম ৷ ” এ সময় তিনি (উত্তরে) সিরিয়ার দিকে (বারতুল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে) ইংগিত
করলেন ৷ এ বর্ণনা একাকী আহমদ (র) এর ৷
অটিং অন্যতম (ওহী) নিবন্ধক ছাৰিত ইবন কায়স ইবন শ্া৷মমাস আনসাবী খাযরাত্তী
(র৷ ) ৷ কুনিরতষ্ আবু আবদুর রহমান ৷ তার নাম আবু মুহাম্মদ আল-মড়াদানী ও বলা হয়েছে ৷
তিনি ছিলেন আনসাবদের মুখপাত্র ৷ তবে খাভীবুন নাবী-নবী কৰীম (সা) এর মুখপাত্র নামেও
অতিহিতরু হব্ব তন ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ (র) বলেন, আ ৷লী ইবন মুহাম্মদ আ ল্ মাদ৷ ইনী (র) তার
শায়খবর্গের সনদ সুত্র রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট আগত আরবী প্রতিনিধিদল সমুহের বিবরণ
প্রসংগে অবহিত করেছেন ৷ তারা বলেছেন, মক্কা বিজয়ের পরে আবদুল্লাহ ইবন আবাস
ইরামানী ও মাসলামা ইবন হড়ারান আলু হাদ্দাবী (আ ল হিদাঈ) (রা) তাদের স্বগােত্রীয় একটি
দলের সং গে রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলেন ৷ দলটি ইসলাম গ্রহণ করে তাদের
গোত্রের পক্ষে বার আত গ্রহণ করেন ৷ নবী কবীম (সা)ত তাদের জন্য একটি সনদপত্র লিখিম্নে
দিলেন যাতে তাদের সদকা সম্পর্কে লিখেছেন ৷ তাদের উপর ফরমকৃত মাকাতের বিবরণ
ছিল ৷ সনদটির লিখক ছিলেন ছাৰিত ইবন কড়ারস ইবন শাম মাস এবং সব্জী ছিলেন সাদ ইবন
মুআম ও মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) ৷ সহীহ মুসলিমে উদ্ধৃত প্রামাণ্য বর্ণনা মতে রড়াসুলুল্লাহ

৫০ ৷ড়া



كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَخْفِيًا فِي دَارِهِ عِنْدَ الصَّفَا، وَتُعْرَفُ تِلْكَ الدَّارُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْخَيْزُرَانِ، وَهَاجَرَ وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقَدْ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ أَقْطَاعَ عُظَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُحَارِبِيِّ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِفَخٍّ وَغَيْرِهِ; وَذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَتِيقِ بْنِ يَعْقُوبَ الزُّبَيْرِيِّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ. وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ - وَقِيلَ: خَمْسٍ - وَخَمْسِينَ. وَلَهُ خَمْسٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ لَهُ حَدِيثَيْنِ; الْأَوَّلَ: قَالَ أَحْمَدُ وَالْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ: حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَرْقَمَ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ، عَنْ أَبِيهِ - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الَّذِي يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةَ، وَيُفَرِّقُ بَيْنَ الِاثْنَيْنِ بَعْدَ خُرُوجِ الْإِمَامِ كَالْجَارِّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ» وَالثَّانِيَ: قَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عِصَامُ بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৪


(স!) কর্তৃক জ!ন্থ!ল্ডের আগাম সুসংব!দ প্রদত্তদের মধ্যে ইনিও ছিলেন একজন ৷ তিরমিযী, (র)
তার ল্পাষি গ্রন্থে ষ্কৃষলিম (র)-এর শর্ত!নুকুল সনদে আবু হুর!য়র! (র!) সুত্রে রিওয়!য়!ত
করেছেন যে, র!সুলুল্পাহ (স!) বললেন,
এব্লুধ্)া
স্পো
“কতই ভাল মানুষ আবু বকর! কতস্টু ভাল মানুষ উনার! কতইভ ল মানুষ আবু উব!য়দা
ইবনুল জ!রর!হ ! কতই ভাল মানুষ উস!য়দ ইবন হুযায়ব! কতইত! !ল মানুষ ছাবিত ইবন! কা য়স
ইবন শামৃমাস ! ক ণ্ধ্ ভ !ল মানুষ মু অ!য ইবন অ!মর ইবনুল জ!মুহ (র!) ! বার হিজরীতে
আবু বকর (র!)-এর খিলাফতকালে ইয়!ম!মার যুদ্ধে ছাৰিত (র!) শহীদ হন ৷ ঐ প্রসংগে তার

একটি ঘটনা রয়েছে-য! আমরা যথ!স্থ!নে (ইয়!মামা যুদ্ধের বর্ণনায়) উপস্থাপন করব-
ইনশাআল্পাহ ৷

য : (ওহী) লেখক তালিকায় অন্যতম সাহ!বী হানজালা (ইবনুর র!বী ইবন সায়ফী ইবন
রাবাহ্ ইবনুল হ বিছ ইবন মুখ! !শিন ইবন মুঅ! !বিয়! ইবন শরীফ ইবন জ !রওয়! ইবন উস!য়দ
ইবন অ!মর ইবন ত!মীম) (র!) ইনি বনু ত!মীমের উস!য়দী উপগােত্রের লোক !ত তার ভাই! বার
(রা) ও অন্যতম সাহাবীত ! তার চাচা অ !কছাম ইবন সায়ফী ছিলেন হ!!কীমুল অ! রব’ অ!রবের
ধী-মান বলে খ্যাত ৷ ওয়! !কিদী (র) বলেন, হ! নজা !ল! (র!) নবী করীম (সা) এর জন্য একটি পত্র
লিখে দিয়েছিলেন! অন্যদের বক্তব্যে রয়েছে র!সুলুল্লাহ (স!) তাকে ত!ওয়!য়িফ’ (ক্ষুদ্র রাজ্য
অঞ্চল) ব!সীদের সংগে সন্ধি স্থাপনের উদ্যেশ্য প!ঠিয়েছিলেন ! ইরাক ও অন্যান্য অঞ্চলে খ!লিদ
(র!)-এর পরিচালিত ষুদ্ধসমুহে তার সংগে ছিলেন ! তিনি আলী (র!)-এর খিল!ফতকাল
পেয়েছিলেন; তবে জমল’ (উটের যুদ্ধ) ও অন্যান্য যুদ্ধে তার সংগে তিনি অংশগ্রহণ করেন নি !
পরবর্তী কালে কুফ!য় উছম!ন (র!)-কে গাল!প!লি কর! শুরু হলে তিনি স্থান!ন্তরে গমন করেন
এবং আলী (রা)-এর আমলের পরে তিনি ইনৃতিক!ল করেন !

উসদুল গ!ব! গ্রন্থে ইবনুল অ!হীর (র) উল্লেখ করেছেন ! হ !নজ!লা (র!) এর ইনতিক! !লে
তার ত্রী তার জন্য শোক!র্ত অন্থিরত! প্রকাশ করলে তার পড়শিনীর! তাকে তিরস্কার করল !
তখন তিনি বললেন,


“দ!দ এক দুশ্চিন্তগােস্থ দুঃখ ভ!র!ক্রান্তের ব্যাপারে বিস্মায়!ভিভুত হয়েছে ! সে র্কাদছিল
এক সাদা চুল ফ!!কাসে ঢেহ!রাধ!ৰীর জন্য !

যদি তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা কর, আমার উপর কেমন দুরবস্থ! আপতিত হয়েছে,ত তবে আমি
তোমাকে এমন একটা কথা অবহিত করব য! মিথ্যে নয় ! ক!তিব হ!নজ! ল!র জন্য ৩! !রী দুঃখ-

ণোমোঃ

عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ الْأَرْقَمِ، عَنْ جَدِّهِ الْأَرْقَمِ، أَنَّهُ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: أَرَدْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَاهُنَا. وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى حَيِّزِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ: مَا يُخْرِجُكَ إِلَيْهِ؟ أَتِجَارَةٌ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أَرَدْتُ الصَّلَاةَ فِيهِ. قَالَ: الصَّلَاةُ هَاهُنَا - وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى مَكَّةَ - خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ، وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى الشَّامِ» تَفَرَّدَ بِهِمَا أَحْمَدُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ. الْمَدَنِيُّ خَطِيبُ الْأَنْصَارِ، وَيُقَالُ لَهُ: خَطِيبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَايِنِيُّ بِأَسَانِيدِهِ عَنْ شُيُوخِهِ فِي وُفُودِ الْعَرَبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: «قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلَسٍ الثُّمَالِيُّ، وَمُسْلِيَةُ بْنَ هِرَّانَ الْحُدَّانِيُّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنْ قَوْمِهِمَا بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ فَأَسْلَمُوا وَبَايَعُوا عَلَى قَوْمِهِمْ، وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا بِمَا فُرِضَ عَلَيْهِمْ مِنَ الصَّدَقَةِ فِي أَمْوَالِهِمْ; كَتَبَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَشَهِدَ فِيهِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ» . وَهَذَا الرَّجُلُ مِمَّنْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ " بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৫
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو بَكْرٍ، نِعْمَ الرَّجُلُ عُمَرُ، نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجِرَاحِ، نِعْمَ الرَّجُلُ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، نِعْمَ الرَّجُلُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، نِعْمَ الرَّجُلُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، نِعْمَ الرَّجُلُ عَمْرُو بْنُ الْجَمُوحِ.» وَقَدْ قُتِلَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، شَهِيدًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ سَنَةَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ فِي أَيَّامِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَهُ قِصَّةٌ سَنُورِدُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى ذَلِكَ، بِحَوْلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ وَعَوْنِهِ وَمَعُونَتِهِ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، حَنْظَلَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ رَبَاحِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُخَاشِنِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ شُرَيْفِ بْنِ جِرْوَةَ بْنِ أُسَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ تَمِيمٍ التَّمِيمِيُّ الْأُسَيْدِيُّ الْكَاتِبُ. وَأَخُوهُ رَبَاحٌ صَحَابِيٌّ أَيْضًا، وَعَمُّهُ أَكْثَمُ بْنُ صَيْفِيٍّ كَانَ حَكِيمَ الْعَرَبِ. قَالَ: الْوَاقِدِيُّ: كَتَبَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ الطَّائِفِ فِي الصُّلْحِ. وَشَهِدَ مَعَ خَالِدٍ حُرُوبَهُ بِالْعِرَاقِ وَغَيْرِهَا، وَقَدْ أَدْرَكَ أَيَّامَ عَلَيٍّ، وَتَخَلَّفَ، عَنِ الْقِتَالِ مَعَهُ فِي الْجَمَلِ وَغَيْرِهِ، ثُمَّ انْتَقَلَ عَنِ الْكُوفَةِ لَمَّا شُتِمَ بِهَا عُثْمَانُ، وَمَاتَ بَعْدَ أَيَّامِ عَلَيٍّ، وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " أَنَّ امْرَأَتَهُ لَمَّا مَاتَ جَزِعَتْ عَلَيْهِ فَلَامَهَا جَارَاتُهَا فِي ذَلِكَ فَقَالَتْ: تَعَجَّبَتْ دَعْدٌ لِمَحْزُونَةٍ ... تَبْكِي عَلَى ذِي شَيْبةٍ شَاحِبِ
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৬


ক্ষো নিনশে করেই দিয়েছে আমার চোখের মণিকে ৷ আহমদ ইবন আব্দুল্লাহ আর রাকর্কী
(ৰ্া) বদ্যেছন, হানজালা (রা) মুসলমানদের ফিতনা কােন্দল থেকে সযত্ন দুরে অবস্থান করে
আলী (না)-এর আমলের পরে ইনৃতিকাল করেন ৷

হানজালা (বা) সুত্রে দুটি হাদীস বণিতি হয়েছে ৷ (গ্রন্থকারের মতে) বরং তিনটি হাদীস ৷
(এক) ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ ও আফফান (র)(ওহী লেখক) হানজালা
(রা) থেকে বণ্নাি করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-কে আমি বলতে ওনেছি-

ণ্ন্নীংএ ভোএ-গু :৪ন্নী?ন্ম্প্রএ :গ্রাএ১ঞাএ (মোঃ
“যে ব্যক্তি পড়াচ (ওয়াক্ত) সালাতে নিয়মানুবর্তিতা পালন করে লেবে, তার রুকু, তার
সিজদা এবং তার উয়ু ও সময়ের প্রতি লক্ষ্যসহকারে এবং যে বিশ্বাস করে যে এগুলি আল্লাহ্ব
পক্ষ হতে যথার্থ ৷ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে-কিত্বা তিনি বলেছিলেন (জান্নাত) তার স্লো
অবধারিত হবে ৷ হাদীসটি আহমদ (ব) একাকী রিওয়ায়াত করেছেন এবং কাতাদা (বা) ও
হানজালা (রা)-এর মাঝে এর সনদ বিচ্ছিন্ন ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

দ্বিতীয় হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ, মুসলিম, তিরমিযী ও ইবন মাজা (র) সাঈদ
আল জুরায়রী (র) হতে হানজালা (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেন,
ণ্ই-শ্ণ্এশু ;গ্ৰুংএ সিএ-৮ ণ্গ্এএ ণ্ৰুষ্ট্ম্পে গ্এ ঞ্জোন্ ণ্ন্ধ্র১এক্রো এে-গ্রিন্ণ্ ¢$)$ এে (এ)ংএ-ন্ষ্ এ
“তোমরা আমার কাছে যেমন থাক সব সময় তেমন থাকলে অবশ্যই ফিরিশতাৱা তোমাদের
মজলিসসমুহে এবং তোমাদের পথেঘাটে ও তোমাদের ৰিছানায়, তোমাদের সংগে ঘুসাফাহা
করতেন ৷ তবে কখনো কখনো তিরমিযী ও আহমদ (র) হাদীসটি ইমরান ইবন দাউদ আল
কাত্তান (র) সুত্রেহানজালা (রা)এরবরাতেও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তৃতীয় (হাদীসটি)
রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ, নসােঈ ও ইবন মাজা (র) সুফিয়ড়ান ছাওয়ী (র) থেকে ৷ হানজালা
(রা) থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারী হত্যা নিষিদ্ধ হওয়া প্রসংগে ৷ কিন্তু এ হাদীসে আহমদ (র) এরই
অন্য একটি রিওয়ায়াতে আবদুর রাযযাক (র)হানজালা (রা)এর ভইি রাবাহ থেকে-ঐ
হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ আহমদ (র)এর আরো একটি রিওয়ায়াত- সায়ন ইবন মুহাম্মদ ও
ইবরাহীম ইবন আবুল আব্বাস (র)এবং সাঈদ ইবন মানসুর ও আবু আমির আল আকদী (ব)
(চার জনই ঘুগীরা সুত্রে) রাবাহ (বা) থেকে ৷ এ ঘুগীরা (র) সুত্রে নাসাঈ ও ইবন মাজা (রও
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমার আবু দাউদ ও নাসাঈ (র)-ও উমর ইবন মুরাব্বা (ব)
সুত্রেরড়াবাহ (রা) সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুতরাং হাদীসটি রাবাহ (বা) স্যুফৌ
বর্ণিত হয়েছে ৷ হানজালা (রা) সুত্রে নয় এবং এ কারণেই আবু বকর ইবন আবু স্ফো (র)
বলতেন, সুফিয়ড়ান ছাওয়ী (র) এ হাদীসের বর্ণনায় ৰিচ্যুতির শিকার হয়েছেন ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : এখন ইবনুর রাক্কী (র)-এর এ দাবী যথার্থ প্রমাণিত হল যে, দুনিঃ
অধিক হাদীস তিনি রিওয়ায়াত করেননি ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷


إِنْ تَسْأَلِينِي الْيَوْمَ مَا شَفَّنِي ... أُخْبِرْكِ قَوْلًا لَيْسَ بِالْكَاذِبِ إِنَّ سَوَادَ الْعَيْنِ أَوْدَى بِهِ ... حُزْنٌ عَلَى حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْبَرْقِيِّ: كَانَ مُعْتَزِلًا لِلْفِتْنَةِ حَتَّى مَاتَ بَعْدَ عَلِيٍّ، جَاءَ عَنْهُ حَدِيثَانِ. قُلْتُ: بَلْ ثَلَاثَةٌ; قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، وَعَفَّانُ، قَالَا: ثَنَا هَمَّامُ، ثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ حَافَظَ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ; رُكُوعِهِنَّ وَسُجُودِهِنَّ وَوُضُوئِهِنَّ وَمَوَاقِيتِهِنَّ وَعَلِمَ أَنَّهُنَّ حَقٌّ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، دَخَلَ الْجَنَّةَ» أَوْ قَالَ: «وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ مُنْقَطِعٌ بَيْنَ قَتَادَةَ وَحَنْظَلَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْحَدِيثُ الثَّانِي رَوَاهُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ حَنْظَلَةَ: «لَوْ تَدُومُونَ كَمَا تَكُونُونَ عِنْدِي لَصَافَحَتْكُمُ الْمَلَائِكَةُ فِي مَجَالِسِكُمْ، وَفِي طُرُقِكُمْ، وَعَلَى فُرُشِكُمْ، وَلَكِنْ سَاعَةً، وَسَاعَةً» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ دَاوُدَ الْقَطَّانِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ حَنْظَلَةَ. وَالثَّالِثُ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৭


দশ : কড়াতিব তালিকায় রয়েছেন অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবী থালিদ ইবন সাঈদ (রা) (ইবনুল
আস ইবন উমায়্যা ইবন আবদ শামস ইবন আবদ মড়ানাফ) ৷ তার কুনিয়াত ছিল-আবু সাঈদ ৷
তিনি ছিলেন বনী উমড়ায়্যার লোক ৷ ইসলাম গ্রহণে প্ৰৰীণদের তালিকায় তিনি সিদ্দীক (আবু
বকর) (রড়া)এর পরে তৃতীয় বা চতুর্থ, মতাম্ভরে পঞ্চম ৷ বংনািকারীগণ তার ইসলাম গ্রহ্যণর
কারণস্বরুপ উল্লেখ করেছেন তার একটি স্বপ্নের ঘটনা ৷ ঘুমের মধ্যে একদিন তিনি দেখতে
পেলেন যে, তিনি যেন জাহান্নামের কিনারায় দাড়িয়ে আছেন ৷ তিনি জাহান্নামের এমন সুৰিশাল
পরিধির কথা উল্লেখ করেছেন যা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তিনি বলেছেন যে, (তিনি দেখলেন)
যেন তার পিতা তাকে জাহান্নামে ঠেলে দিচ্ছেন ৷ আর যেন রাসুলুল্লাহ (না) তার পড়ে যাওয়া
ঠেকাবার জন্য তার হাত ধরে রয়েছেন ৷ তিনি এ স্বপ্ন আবু বকর (রা)এর নিকট বর্ণনা করলে
তিনি তাকে বললেন, তোমার প্রতি মঙ্গলের ফায়সালা হয়েছে ৷ এই যে, আল্লাহর রাসুল (সা) ;
তার অনুগ্যান কর ৷ তোমার আশংকার ৱম্পোক্ল হতে ঢুযি ব্লেহ্!ই পেয়ে যাবে তখন রাবৃলুল্পাহ
(না)-এর নিকট গিয়ে তিনি ঘুসলামন হয়ে গেলেন ৷ তার পিতার কাছে তার ইসলাম গ্রহণের
খবর পৌছলে সে তার উপর রেগে গেল এবং তার হাতের লাঠি দিয়ে তাকে (পটাতে লাগল ৷
এমন কি লাঠিটি তার মাথা ফাঢিয়েই দিন এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তার খাবার
বন্ধ করে দিল এবং তার অন্যান্য ডইিদের তার সংগে কথা বলতেও বারণ করে দিল ৷ তখন
থেকে থালিদ (বা) দিন-রাত ৰিরতিহীনভাবে রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে থাকতে লাগলেন ৷
পরে তার ভাই আমরও ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ পরে লোকেরা হড়াবশা দেশে হিজরত করলে
এদৃ’ ভাই-ও হিজরত করলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে উম্মু হড়াৰীবা (ৱা)-এর বিবাহ
সম্পাদনে এ খালিদ (না)-ই অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷ যে কথাটি পুর্বেই
আলোচিত হয়েছে, পরে দুই ভাই জাফর (না)-এর সংগে হাবশা দেশ থেকে (মদীনায়
উদ্দেশ্যে) হিজরত করলেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট পৌছলেন থায়বার অভিযান
কালে ৷ ততক্ষণে নবী করীম (সা) কর্ত্য থায়ৰার ৰিজিত হয়ে গেছে ৷ নবী করীম (সা)
মুসলমানদের সংগে পরামর্শের ভিত্তিতে এ দৃজনকেও গনীমতের অংশ দিলেন ৷ তাদের অন্য
এক ভাই আবড়ান ইবন সাঈদ (রা)-ও (মুসলমান হয়ে) আগমন করে খড়ায়বারের বিজয়
অভিযানে অংশ নেন যেমন আমরা পুর্বেই বলে এসেছি ৷ এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ করতে থাকেন ৷ আবু কবর (রা) এর খিলাফত
আমলে তারা সমরাতিযানে সিরিয়া অভিমুখে বের হলেন এবং থালিদ ইবন সাঈদ (বা)
আজনাদায়ন’-এর যুদ্ধে শহীদ হন ৷ মতাস্তরে মড়ারজুস সুফার যুদ্ধে ৷ আল্লাহই সমধিক
অবগত ৷

আতীক ইবন ইয়াকুব (র) বলেন, আবদুল মালিক ইবন আবু বকর (র)আমর ইবন
হড়াযম (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, খড়ানিদ (রা) রাসুলুল্লাহ (সা)এর পক্ষে একটি সনদপত্র
লিখে দেন ৷



الزِّنَادِ، عَنِ الْمُرَقِّعِ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ جَدِّهِ، فِي النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ فِي الْحَرْبِ. لَكِنْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٌ قَالَ: أُخْبِرْتُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُرَقِّعِ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ رَبَاحِ بْنِ رَبِيعٍ، عَنْ جَدِّهِ رَبَاحِ بْنِ رَبِيعٍ أَخِي حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ. فَذَكَرَهُ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي الْعَبَّاسِ، كِلَاهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ وَأَبِي عَامِرٍ الْعَقَدِيِّ، كِلَاهُمَا عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُرَقِّعٍ، عَنْ جَدِّهِ رَبَاحٍ، وَمِنْ طَرِيقِ الْمُغِيرَةِ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ كَذَلِكَ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ مُرَقِّعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ رَبَاحِ، فَذَكَرَهُ. فَالْحَدِيثُ عَنْ رَبَاحٍ لَا عَنْ حَنْظَلَةَ، وَلِذَا قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: كَانَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ يُخْطِئُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. قُلْتُ: وَصَحَّ قَوْلُ ابْنِ الْبَرْقِيِّ أَنَّهُ لَمْ يَرْوِ سِوَى حَدِيثَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، أَبُو سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا. يُقَالُ بَعْدَ الصِّدِّيقِ بِثَلَاثَةٍ أَوْ
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৮
أَرْبَعَةٍ. وَأَكْثَرُ مَا قِيلَ خَمْسَةٌ. وَذَكَرُوا أَنَّ سَبَبَ إِسْلَامِهِ أَنَّهُ رَأَى فِي النَّوْمِ كَأَنَّهُ وَاقِفٌ عَلَى شَفِيرِ جَهَنَّمَ. فَذَكَرَ مِنْ سِعَتِهَا مَا اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ. قَالَ: وَكَأَنَّ أَبَاهُ يَدْفَعُهُ فِيهَا، وَكَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِذٌ بِيَدِهِ لِيَمْنَعَهُ مِنَ الْوُقُوعِ فِيهَا. فَقَصَّ هَذِهِ الرُّؤْيَا عَلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ: لَقَدْ أُرِيدَ بِكَ خَيْرٌ، هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاتَّبِعْهُ تَنْجُ مِمَّا خِفْتَهُ. فَجَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ، فَلَمَّا بَلَغَ أَبَاهُ إِسْلَامُهُ غَضِبَ عَلَيْهِ، وَضَرَبَهُ بِعَصًا فِي يَدِهِ حَتَّى كَسَرَهَا عَلَى رَأْسِهِ، وَأَخْرَجَهُ مِنْ مَنْزِلِهِ، وَمَنَعَهُ الْقُوتَ، وَنَهَى بَقِيَّةَ إِخْوَتِهِ أَنْ يُكَلِّمُوهُ، فَلَزِمَ خَالِدٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلًا وَنَهَارًا، ثُمَّ أَسْلَمَ أَخُوهُ عَمْرٌو، فَلَمَّا هَاجَرَ النَّاسُ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ هَاجَرَا مَعَهُمْ، ثُمَّ كَانَ هُوَ الَّذِي وَلِيَ الْعَقْدَ فِي تَزْوِيجِ أُمِّ حَبِيبَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَدَّمْنَا، ثُمَّ هَاجَرَا مِنْ أَرْضَ الْحَبَشَةِ صُحْبَةَ جَعْفَرٍ، فَقَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ وَقَدِ افْتَتَحَهَا، فَأَسْهَمَ لَهُمَا عَنْ مَشُورَةِ الْمُسْلِمِينَ، وَجَاءَ أَخُوهُمَا أَبَانُ بْنُ سَعِيدٍ، فَشَهِدَ فَتْحَ خَيْبَرَ كَمَا قَدَّمْنَا، ثُمَّ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوَلِّيهِمُ الْأَعْمَالَ، فَلَمَّا كَانَتْ خِلَافَةُ الصِّدِّيقِ خَرَجُوا إِلَى الشَّامِ لِلْغَزْوِ، فَقُتِلَ خَالِدٌ بِأَجْنَادِينَ، وَيُقَالُ: بِمَرْجِ الصُّفَّرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ عَتِيقُ بْنُ يَعْقُوبَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ يَعْنِي أَنَّ خَالِدَ بْنَ سَعِيدٍ «كَتَبَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابًا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا مَا أَعْطَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ رَاشِدَ بْنَ عَبْدِ رَبٍّ السُّلَمِيَّ أَعْطَاهُ غَلْوَتَيْنِ بِسَهْمٍ وَغَلْوَةً بِحَجَرٍ بِرُهَاطٍ، فَمَنْ حَاقَّهُ فَلَا
পৃষ্ঠা - ৪৪৬৯


রাহমান রড়াহীম আল্লাহর নামে ৷ এ হল (সে দলীল) মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা) যা রাশিদ
ইবন আবদ রাব্ব আস-সুলামী-কে প্রদান করেছেন ৷ তিনি তাকে হিজর-রিহাত-এর দু’
আলওয়দ্বী দৈর্ঘও এক আলওয়া প্রস্থ দান করেছেন ৷ সুতরাং যারা তার বিরোধিতা করবে
তাদের তাতে কোন সংপত অধিকার নেই ৷ এবং তার হক ও অধিকারই যথার্থ ৷ লেখকঃ
খালিদ ইবন সাঈদ ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেছেন, ওয়ড়াকিদী (র) সুত্রে-জাফার ইবন মুহাম্মদ ইবন খালিদ
(র) ষ্ঘুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উছমান ইবন আফফান (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, খালিদ ইবন সাঈদ (বা) হাবশা থেকে ফিরে আসার পরে মদীনায়ই অবস্থান
করতে থাকেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর পক্ষ হতে লেখকের দায়িতৃ পালন করতেন ৷ তিনিই
তাইফবাসী ছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের জন্য সন্ধিপত্র লিখে দিয়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ
(না)-ও তাদের মাঝে সন্ধি সম্পাদনে কার্যকর ভুমিকা রেখেছিলেন ৷

এপার : নবী কয়ীম (না)-এর কাতিব তালিকায় রয়েছেন সেনাপতি খালিদ ইবনুল ওলীদ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মাখযুম আবু সৃলায়মান-মাখবুমী (বা) ৷ তিনি হলেন দিথিজয়ী
ইসলামী বাহিনী ও মুহাম্মদী সেনাদলের অধিনায়ক ঐতিহাসিক বিজয়সমুহ ও সোনালী
অতীতের সমরাধিপতি; সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ৰিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী আবু সুলায়মান মহান
খালিদ ইবনুল ওলীদ (বা) ৷ বর্ণিত হয়েছে যে, যে বাহিনীতে খালিদ থাকতেন তা কোন দিন
পরাজয়ের মুখোযুথী হয় নি-জাহিলী যুগেও নয়, ইসলামী যুগেও নয় ৷ যুবায়র ইবন বাব্কার
(ব) বলেন, কুরায়শের সেনা পরিচালনা ও অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়কত্ব ছিল তার হাতে ৷
খালিদ, আমর ইবনুল আস ও উছমান ইবন আবু তালহা (বা) হুদায়বিয়া সব্ধির পরে এবং
খায়বাৱ অভিযানের পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) তার পা ঠানাে
বাহিনীগুলোতে তীকেই সেনাপতি করে পাঠাতেন ৷ পরে সিদ্দীকী খিলাফত যুগে তিনি সম্মিলিত
বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন ৷ পরে উমর ইবনুল থাত্তাব (বা) খলীফা মনোনীত হলে খালিদ
(বা)-কে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিলেন এবং অড়ামীনুল উম্মাহ আবু উবায়দা (বা) এ শর্তে
সেনাপতি পদে নিয়োগ প্রড়াপ্ত হলেন যে, তিনি আবু সুলায়মান (খালিদ) (বা)-এর মতামতের
ৰিরুদ্ধাচারণ করবেন না ৷ পরে উমর (রা)-এর খিলাফত কালেই খালিদ (বা) ইনৃতিকাল
করেন ৷ তার মৃত্যু সন একুশ হিজরী-মতান্তরে বাইশ হিজরী ৷ তবে প্রথমটি অধিক প্রড়ামাণ্য ৷
তার মৃত্যু হয়েছিল হিমাস থেকে মাইল খানেক দুরবর্তী এক জনপদে ৷ ওয়ড়াকিদী (র) বলেন,
আমি ঐ জনপদটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আমাকে বলা হল, দাছরাত ( এ)ট্ট)) ৷ দৃহায়ম (র)
বলেছেন, তার মৃত্যু হয় মদীনায় ৷ তবে প্রথম তথ্যটি অধিকতর বিশুদ্ধ ৷ খালিদ (বা) অনেক
হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ সে সবের পুর্ণাঙ্গ ৰিবরণের জন্য বর্তমান পরিসর সৎকীর্ণ ৷

আতীক ইবন ইয়ড়াকুব (র) বলেন, আবদুল মালিক ইবন আবু বকর (র) (পিতা সুত্রে
তিনি দাদা) আমব ইবন হাযম (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, এটি রাসুলুল্লাহ (সা) প্রদত্ত জমি
বন্দেড়াবস্তের সনদ-



১ সম্ভবতঃ শব্দটি গালওয়া (চ্চা ) তীর নিক্ষেপেব দৃরৎ পরিমাণ পরিধি ৷


حَقَّ لَهُ، وَحَقُّهُ حَقٌّ» وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الْوَاقِدِيِّ: حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: أَقَامَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ بَعْدَ أَنْ قَدِمَ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ بِالْمَدِينَةِ، وَكَانَ يَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ كِتَابَ أَهْلِ الطَّائِفِ لِوَفْدِ ثَقِيفٍ، وَسَعَى فِي الصُّلْحِ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَخْزُومٍ أَبُو سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ. وَهُوَ أَمِيرُ الْجُيُوشِ الْمَنْصُورَةِ الْإِسْلَامِيَّةِ، وَالْعَسَاكِرِ الْمُحَمَّدِيَّةِ وَالْمَوَاقِفِ الْمَشْهُودَةِ، وَالْأَيَّامِ الْمَحْمُودَةِ، ذُو الرَّأْيِ السَّدِيدِ، وَالْبَأْسِ الشَّدِيدِ، وَالطَّرِيقِ الْحَمِيدِ، أَبُو سُلَيْمَانَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي جَيْشٍ فَكُسِرَ، لَا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ كَانَتْ إِلَيْهِ فِي قُرَيْشٍ الْقُبَّةُ وَأَعِنَّةُ الْخَيْلِ. أَسْلَمَ هُوَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقِيلَ: خَيْبَرَ. وَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْعَثُهُ فِيمَا يَبْعَثُهُ أَمِيرًا، ثُمَّ كَانَ الْمُقَدَّمَ عَلَى الْعَسَاكِرِ كُلِّهَا فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَزَلَهُ وَوَلَّى أَبَا عُبَيْدَةَ أَمِينَ الْأُمَّةِ، عَلَى أَنْ لَا يَخْرُجَ عَنْ رَأْيِ أَبِي سُلَيْمَانَ، ثُمَّ مَاتَ خَالِدٌ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، وَقِيلَ: اثْنَتَيْنِ وَعِشْرِينَ.
পৃষ্ঠা - ৪৪৭০


খু ণ্গ্রাপ্লু
ংশুএে স্পো

ঞা১
০প্লুএঙ ধ্,রুষ্£ড্রু
ৰুপ্লুগ্রীং ঠো
“রাহমান রাহীম আল্লাহর নামে ! মুহাম্মদৃর রাসুলুল্লাহ হতে মু’মিনদের প্রতি-সায়দুহ (র) ও
তার শিকার শিকার ৰিত’াড়ন করা যাবে না, হত্যা করা যাবে না ৷ এর কোন কিছু করতে জাকে
দেখা যাবে তাকে চাবুক লাগাংনা হবে এবং তার কাপড়-চোপড় ছিনিয়ে নেয়া হবে ৷ এ ব্যাপারে
কেউ আইন লংঘন করলে তাকে পাকড়াও করে নবী কবীম (না)-এর নিকট পৌছিয়ে দেয়া
হবে ৷ এ সনদ নবী মুহাম্মদ (না)-এর তরফ হতে ৷ লিখেছেন খালিদ ইবনৃল ওলীদ-আল্লাহর
রাসুল (সা)-এর নির্দেশে ৷ সুতরাং কেউ যেন তা লংঘন করে মুহাম্মদ (না)-এর জারীকৃত
আদেশের ব্যাপারে নিজেকে আপরাধী সাব্যস্ত না করে ৷ ”

যায় : নবী করীম (না)-এর দরবারে লেখক তালিকায় উল্লেখষেগ্যে নাম-আবু আবদুল্লাহ
যুবায়র ইবনুল আওয়াস্ম ইবন খুওয়ায়লিদ ইবন আসাদ ইবন আবদুল উযযা ইবন কুসায়
(রা) ৷ জান্নাতের আগাম সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজা£নর একজন, শুরা (পরামর্শক পরিষদ) সদস্যদের
সে ছয় জনের অন্যতম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) যাদের প্রতি সন্তুষ্টি নিয়ে ওফাত বরণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর হড়াওয়াবী-(একান্ত ঘনিষ্ট সহযোগী), তার ফুফু সাফিয়্যা বিনত আবদুল
মুত্তালিবের পুত্র এবং আসমা বিনত আবু বকর (রা)এর স্বামী ৷ আতীক ইবন ইয়াকুব (র) তার
পুর্ব উল্লেখিত সনদে রিওয়ায়াত করেছেন যে, যুবায়র ইবনৃল আওয়াম্ম (রা-ই বনু মুআবিয়া
ইবন জারওয়ড়াল-এর জন্য সে সনদটি লিখে দিয়েছিলেন যা তাদেরকে লিখে দেয়ার জন্য
ৱাসুলুল্লাহ (সা) তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷

ইবন আসাকির (র)-ও আতীক (র)সনদে রিওয়ায়াত করেছেন, যুবায়র (রা) ইসলামের
প্রাথমিক যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন-সােল বছর বয়সে এবং মতাম্ভরে মাত্র আট বছর বয়সে ৷
দু’টি হিজরতই (হাবশা ও মদীনায়) তিনি করেছিলেন এবং সবগুলি যুদ্ধ অভিযানে তিনি
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনিই আল্লাহর রাস্তায় সর্ব প্রথম তরবাবী
কােষসুক্ত করেছিলেন ৷ ইয়ারমুক যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং তিনিই ছিলেন তাতে
ৎশ্যাহণকারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ৷ সেদিন তিনি প্রতিপক্ষ রােমকদের সেনা ব্যুহ ভেদ
করেছিলেন এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত পর্যন্ত দুই দুই বার এবং শেষ প্রান্তে পৌছে যাচ্ছিলেন
অক্ষত দেহে শুধু মাত্র গ্রীবার পিছন দিকে তরবারীর দুটি ঘা লেগেছিল ৷

খন্দকের যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ (না) তার জন্য নিজের পিতা-মাতাকে একত্রিত’ (উৎসর্গ)১
করেছিলেন এবং বলেছিলেন,)গ্রঙু১ ৰু ন্ং ৷ঙ্কো @) রু-৭১গ্ ৷দ্র)ঙু১ঙু “প্রত্যেক নবীর একজন



১ অর্থাৎ তিনি বলেছিলেন ষ্দুৰুাস্ ষ্গ্লুষ্ গ্রা১ব্ল “তোমার ত্তনাে আমার মা-বাপ কুরবান ৷


وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، بِقَرْيَةٍ عَلَى مِيلٍ مِنْ حِمْصَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَأَلْتُ عَنْهَا، فَقِيلَ لِي: دَثَرَتْ. وَقَالَ دُحَيْمٌ: مَاتَ بِالْمَدِينَةِ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَقَدْ رَوَى أَحَادِيثَ كَثِيرَةً يَطُولُ ذِكْرُهَا. قَالَ عَتِيقُ بْنُ يَعْقُوبَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَنَّ «هَذِهِ قَطَايِعُ أَقْطَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى الْمُؤْمِنِينَ أَنْ عِضَاهَ وَجٍّ لَا يُعْضَدُ، وَصَيْدَهُ لَا يُقْتَلُ، فَمَنْ وُجِدَ يَفْعَلُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَإِنَّهُ يُجْلَدُ وَتُنْزَعُ ثِيَابُهُ، وَإِنْ تَعَدَّى ذَلِكَ أَحَدٌ فَإِنَّهُ يُؤْخَذُ فَيُبْلَغُ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ هَذَا مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَا يَتَعَدَّاهُ أَحَدٌ فَيَظْلِمَ نَفْسَهُ فِيمَا أَمَرَهُ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ ابْنُ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَصَّيٍّ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَسَدِيُّ. أَحَدُ الْعَشْرَةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ، وَحَوَارِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَابْنُ عَمَّتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَطَّلِبِ، وَزَوْجِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৪৪৭১


হাওয়ারী (একান্ত ও ঘনিষ্ট সহযোগী) থাকে; আমার হাওয়াবী হল যুৰায়র ৷ তিনি ছিলেন
অনেক অনেক সদ গুণ ও বৈশিষ্ট্য মাহাত্যের অধিকারী ৷ জামাল যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷

ঘটনাটি ছিল নিম্নরুপ-তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন ৷ পথিমধ্যে ওয়াদি আস
সিৰা নামক একটি স্থানে তামীম গোত্রের তিন ব্যক্তি আমর ইবন জুরমুয, ফাযালা ইবন
হাৰিস এবং তৃতীয় জন নুফায় নামে কথিত তার কাছে আসতে দেখা ণ্গল ৷ তিনি ঘুমিরে
থাকা অবস্থায় আমর ইবণু জুব্মুয অতর্কিংত আক্রমণে তাকে হত্যা করে ৷

এটা ছিল ছত্রিশ হিজরীর জ্বমাদাল উলা মাসের দশ তারিখে এবং তখন তার বয়স হয়েছিল
সাতষট্টি বছর ৷ মৃত্যুকালে যুবায়র (বা) এক বিশাল সম্পদ রেখে গিয়েছিলেন ৷ পরিত্যক্ত
সম্পদ হতে বাইশ লাখ (দিরহাম) ঋণ গােধ করার পরে অবশিষ্ট সম্পদের এক-তৃতীয়াংণের
ওসিয়াত করে গিয়েছিলেন ৷

সুতরাং তার ঋণ পরিশোধ ও ওসিয়তের একতৃতীয়াংশ পৃথক করার পরে অবশিষ্ট সম্পদ
তার ওয়ারিসদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হল ৷ দেখা গেল, তার স্তীদের প্রত্যেকে যারা
ৎখ্যায় ছিলেন চারজন-বার লাখ দিরহাম করে ভাগে পেয়েছেন ৷

ণ্মাটকথা, (আমাদের উল্লেখিত হিসাবে) তার পরিত্যক্ত সমৃদয় অস্থাবর সম্পদের মুল্যমান ছিল
পড়াচ কোটি আটানব্বই লাখ (দিরহাম) ৷ ’ আর সম্পদের সবটাই সঞ্চিত হয়েছিল তার



১ আল ৰিদজ্যো মোঃ স্কোপাচ ন্সেটি ৰিরানব্বই গ্াধ্ ৷ ণ্৷ ইবুৰ ৰা৷ ঢা fi
তাবকোতে ট্যাং স্কো যে ত্নে (স্)-এৰ্ প্লি ষ্ৰ্বেঃ দ্যো ব্লিৰ্স্ fi মোঃ
(তিন কোটি ৰ্ক্সেব্ল ক্ষ্ম) ল্লিৰ্ «: ’ fl ক্ষ্মৰ্ দাৰ্গ্ র্হিস্ ২২০০,০০০ শ্নো fl!!!) fi :fi
শ্রীর মোঃ মোঃ ১১,০০০০০ ল্লি৷ fl: :€ শ্লেহিাএ ষ্ৰ্ষ্র্কী৷


رَوَى عَتِيقُ بْنُ يَعْقُوبَ بِسَنَدِهِ الْمُتَقَدِّمِ، «أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، هُوَ الَّذِي كَتَبَ لِبَنِي مُعَاوِيَةَ بْنِ جَرْوَلٍ الْكِتَابَ الَّذِي أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَكْتُبَهُ لَهُمْ» . رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادِهِ، عَنْ عَتِيقٍ بِهِ. أَسْلَمَ الزُّبَيْرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدِيمًا وَهُوَ ابْنُ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً، وَيُقَالُ: ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ. وَهَاجَرَ الْهِجْرَتَيْنِ، وَشَهِدَ الْمُشَاهِدَ كُلَّهَا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَلَّ سَيْفًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَقَدْ جَمَعَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ أَبَوَيْهِ، وَقَالَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حِوَارِيًّا، وَحِوَارِيَّ الزُّبَيْرُ» وَقَدْ شَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَكَانَ أَفْضَلَ مَنْ شَهِدَهَا، وَاخْتَرَقَ يَوْمَئِذٍ صُفُوفَ الرُّومِ مِنْ أَوَّلِهِمْ إِلَى آخِرِهِمْ مَرَّتَيْنِ، وَيَخْرُجُ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ سَالِمًا، لَكِنْ جُرِحَ فِي قَفَاهِ بِضَرْبَتَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَهُ فَضَائِلُ وَمَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ يَوْمَ الْجَمَلِ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ كَرَّ رَاجِعًا عَنِ الْقِتَالِ، فَلَحِقَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ وَفَضَالَةُ بْنُ حَابِسٍ، وَرَجُلٌ ثَالِثٌ يُقَالُ لَهُ: نُفَيْعٌ. التَّمِيمِيُّونَ، بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي السِّبَاعِ. فَبَدَرَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ، وَهُوَ نَائِمٌ فَقَتَلَهُ، وَذَلِكَ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ يَوْمئَذٍ سَبْعٌ وَسِتُّونَ سَنَةً، وَقَدْ خَلَّفَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَهُ تَرِكَةً عَظِيمَةً، فَأَوْصَى مِنْ ذَلِكَ بِالثُّلْثِ بَعْدَ إِخْرَاجِ أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ دَيْنًا كَانَتْ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قُضِيَ دَيْنُهُ وَأُخْرِجَ ثُلُثُ مَالِهِ قُسِمَ الْبَاقِي عَلَى وَرَثَتِهِ، فَنَالَ كُلُّ امْرَأَةٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৪৭২
نِسَائِهِ - وَكُنَّ أَرْبَعًا - أَلْفَ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ، فَمَجْمُوعُ مَا ذَكَرْنَاهُ مِمَّا تَرَكَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تِسْعَةٌ وَخَمْسُونَ أَلْفَ أَلْفٍ وَثَمَانُ مِائَةِ أَلْفٍ، وَهَذَا كُلُّهُ مِنْ وُجُوهِ حِلٍّ نَالَهَا فِي حَيَاتِهِ مِمَّا كَانَ يُصِيبُهُ مِنَ الْفَيْءِ وَالْمَغَانِمِ، وَوُجُوهِ مَتَاجِرِ الْحَلَالِ، وَذَلِكَ كُلُّهُ بَعْدَ إِخْرَاجِ الزَّكَوَاتِ فِي أَوْقَاتِهَا، وَالصِّلَاتِ الْبَارِعَةِ الْكَثِيرَةِ لِأَرْبَابِهَا فِي أَوْقَاتِ حَاجَاتِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ وَجَعَلَ جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ مَثْوَاهُ، وَقَدْ فَعَلَ ; فَإِنَّهُ قَدْ شَهِدَ لَهُ سَيِّدُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ، وَرَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ بِالْجَنَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَذَكَرَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " أَنَّهُ كَانَ لَهُ أَلْفُ مَمْلُوكٍ يُؤَدُّونَ إِلَيْهِ الْخَرَاجَ، وَأَنَّهُ كَانَ يَتَصَدَّقُ بِذَلِكَ كُلِّهِ، وَقَالَ فِيهِ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَمْدَحُهُ وَيُفَضِّلُهُ بِذَلِكَ: أَقَامَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ وَهَدْيِهِ ... حَوَارِيُّهُ وَالْقَوْلُ بِالْفِعْلِ يُعْدَلُ أَقَامَ عَلَى مِنْهَاجِهِ وَطَرِيقِهِ ... يُوَالِي وَلِيَّ الْحَقِّ وَالْحَقُّ أَعْدَلُ هُوَ الْفَارِسُ الْمَشْهُورُ وَالْبَطَلُ الَّذِي ... يَصُولُ إِذَا مَا كَانَ يَوْمٌ مُحَجَّلُ وَإِنَّ امْرَأً كَانَتْ صَفِيَّةُ أُمُّهُ ... وَمِنْ أَسَدٍ فِي بَيْتِهِ لَمُرَفَّلُ لَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ قُرْبَى قَرِيبَةٌ ... وَمِنْ نُصْرَةِ الْإِسْلَامِ مَجْدٌ مُؤَثَّلُ فَكَمْ كُرْبَةٍ ذَبَّ الزُّبَيْرُ بِسَيْفِهِ ... عَنِ الْمُصْطَفَى وَاللَّهُ يُعْطِي وَيُجْزِلُ
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৩


জীবনে প্রাপ্ত বিভিন্ন বৈধ সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমেগনীমত ও ফায়’ সুত্রে এবং বৈধ ব্যবসার
বিভিন্ন পন্থায় ৷
আর এ সব ছিল যথা সময় সমুদয় সম্পদের পুর্ণাঙ্গ যাকাত আদায়ের সাথে সাথে অধিক
হারে বিভিন্ন প্রকারের দান, আত্মীয়দের সংগে সদ্ভাব রক্ষামুলক সহায়তা অনুদান এবং
অভাবগ্রস্থদের সাহায্য-সহযোগীতা প্রদানের পরেও ৷ আল্লাহ তার প্ৰতি রাযী থাকুন, র্তাকেও
তুষ্ট রাখুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসকে তার আবাস নির্ণয় করুন-আর তা তো তিনি
করেছেনই কেননা, পুর্বাপর সর্ব যুগের মহান নেতা ও বিশ্বজপতের প্রতিপালকরাববুল
আলামীনের রাসুল (না) তো তার জন্য জ ন্ন্নাভের আগাম সুসং বাদ দিয়েই রেখেছিলেন ৷ হামদ
আল্লাহরই জন্য; অনুকম্পা তা ৷রই ৷
ইবনুল আহীর (র) তার আলপাবাতে উল্লেখ করেছেন যে, যুবায়র (না)-এর এক হাজার

গোলাম ছিল যারা তাকে খারাজ’ প্রদান করত এবং তিনি তার সবটা ই সাদকা করে দিতেন ৷
সাহাবী করি হাসসা ন ইবন ছাষিত (বা) যুবায়র (রা) এর মাহাত্ম্য ও প্রসংশা বর্ণনায়
বলেছিলেন (কবিতা)

ষ্-ষ্ভ্রু ণ্গ্র

ণ্ড্রা

এ ১>ণ্ণ্ মোঃ :া< ৰু ৷ ১৷ শুাপ্রুপ্লু প্রু১া৷ ঠোরৈ ঞাপ্রুন্£া৷ তাংএশ্রো ,;১

ণ্ণ্ন্’ট্র ১ক্টশ্ং স্পিম্বা ন্স্পে
হেএ১ এে ষ্এস্ম-ওআএ স্টো :ং খ্যাঃ )ম্ন১ং’ ধ্এত্র হ্-এৰু ণ্£ব্ল
ঞ), :; মোঃ ৷ ১া

অবিচল ছিলেন তিনি নবী করীন (সা) এর অংগীকার ও তার আদর্শে; তার হাওয়ারী
(একান্ত ঘনিষ্ট সহযোগী) এ বক্তব্য তার মাহাল্কত্ম্যর (হুবহু) সমান্তরাল পর্যায়ের ৷ অবিচল
ছিলেন নবী করীম (সা) এর প্রর্দশিত পথ ও পন্থায় ৷ হক ও ন্যায়ের অধিকারীকে
সহযোগিতা দিয়ে যেতেন-হক ও ন্যায় অধিকতর গ্রহণযোগ্য ৷ তিনি খ্যাতিমান অশ্বারোহী
এবং সে দুর্ধর্ষ বাহাদুর-তিনি বীর ৰিক্রাম ঝাপিয়ে পড়েন, যখন আগত হয় কোন সমুজ্জ্বল
বিখ্যাত দিন ৷ তিনি সেই ব্যক্তি, (নৰীজীর ফুফু) সাফিয়্যা হাড়ার জননী; আসাদ গোত্রের
অধংস্তন যে পরিবারে রয়েছেন প্রেরিত পুরুষ ৷ তার রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে
নিকট আত্মীয়তা এবং ইসলামকে সহায়তা দান সুত্রে লব্ধ সুদৃঢ় মাহাত্ম্য ৷ কতই বিপদ-
সংকট যুবায়র (বা) ৰিদুরিত করেছেন তার তরবারী দিয়ে মুস্তাফা (সা) হতে-অল্লোহ
(বিনিময়) দান করবেন এবং অঢেল দিবেন ৷ যুদ্ধ যখন উলঙ্গ রুপ ধারণ করে তখন তিনি
দৃলতে দৃলতে ঢুকে পড়েন মৃত্যুর মুখে ঝলমলে সাদা (অলি) হাতে ৷ তাদের মাঝে কেউ নেই
তার তুল্য, ছিল না তার আগেও আর হবে না যুগ যুগ ধরেও যতদিন যুদ্ধের ঘোড়াগুলি দুর্বল
ক্ষীণকায় হতে থাকবে ৷


إِذَا كَشَفَتْ عَنْ سَاقِهَا الْحَرْبُ حَشَّهَا ... بِأَبْيَضَ سَبَّاقٍ إِلَى الْمَوْتِ يُرْقِلُ فَمَا مِثْلُهُ فِيهِمْ وَلَا كَانَ قَبْلَهُ ... وَلَيْسَ يَكُونُ الدَّهْرَ مَا دَامَ يَذْبُلُ وَقَدْ تَقَدَّمُ أَنَّهُ قَتَلَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ التَّمِيمِيُّ بِوَادِي السِّبَاعِ وَهُوَ نَائِمٌ، وَيُقَالُ: بَلْ قَامَ مِنْ آثَارِ النَّوْمِ وَهُوَ دَهِشٌ، فَرَكِبَ وَبَارَزَهُ ابْنُ جُرْمُوزٍ، فَلَمَّا صَمَّمَ عَلَيْهِ الزُّبَيْرُ أَنْجَدَهُ صَاحِبَاهُ فَضَالَةُ وَنُفَيْعٌ، فَقَتَلُوهُ، وَأَخَذَ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ رَأْسَهُ وَسَيْفَهُ، فَلَمَّا دَخَلَ بِهِمَا عَلَى عَلِيٍّ قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا رَأَى سَيْفَ الزُّبَيْرِ: إِنَّ هَذَا السَّيْفَ طَالَمَا فَرَّجَ الْكَرْبَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ عَلِيٌّ فِيمَا قَالَ: بَشِّرْ قَاتَلَ ابْنِ صَفِيَّةَ بِالنَّارِ. فَيُقَالُ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ جُرْمُوزٍ لَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ قَتَلَ نَفْسَهُ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ عُمِّرَ بَعْدَ عَلِيٍّ حَتَّى كَانَتْ أَيَّامُ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَاسْتَنَابَ أَخَاهُ مُصْعَبًا عَلَى الْعِرَاقِ، فَاخْتَفَى عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ خَوْفًا مِنْ سَطْوَتِهِ أَنْ يَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ، فَقَالَ مُصْعَبٌ: أَبْلِغُوهُ أَنَّهُ آمِنٌ، أَيَحْسَبُ أَنِّي أَقْتُلُهُ بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ؟ كَلَّا وَاللَّهِ لَيْسَا سَوَاءٌ. وَهَذَا مِنْ حِلْمِ مُصَعَبٍ وَعِلْمِهِ وَرِيَاسَتِهِ. وَقَدْ رَوَى الزُّبَيْرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَلَمَّا قُتِلَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ بِوَادِي السِّبَاعِ، كَمَا تَقَدَّمَ، قَالَتِ امْرَأَتُهُ عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ تَرْثِيهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَعَنْهُ:
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৪


আগেই উল্লেখিত হয়েছে যে, ওয়াদি আস সিবা-এ ঘুমন্ত অবস্থায় আমর ইবন জুরমুয
তাষীমী যুবায়র (রা)-কে হত্যা করেছিল ৷ তবে কেউ কেউ বলেছেন, বরং তিনি ঘুমের প্রভাব
কাটিয়ে উঠেছিলেন মাত্র ৷ তখন অপ্রস্তুত ও হতভম্ব অবস্থায় তিনি বাহনে আরোহণ করলেন এবং
ইবন জুরমুয তাকে দ্বন্দ-যুদ্ধে আহ্বান জানলে ৷ যুবায়র (রা) তাকে চুড়ান্ত আঘাত হানলে তার
সংগীদ্বয়-ফাযালা ও আন নাআর তার সাহায্যে এগিয়ে এসে যুবায়র (বা)-কে হত্যা করে
ফেলল ৷ আমর ইবন জুরবুয র্তার মাথা ও তরবারী নিয়ে গেল ৷

সে যখন তা নিয়ে আলী (রা)-এর সামনে উপস্থিত হল তখন আলী (বা) যুবায়র (রা)-এর
তরবারী দেখতে পেয়ে বললেন, এ তরবারীই তো দীর্ঘকাল রাসুলুল্লাহ (না)-এর চেহারা হতে
বিপদ হটিয়ে দিয়েছে ৷ আলী (বা) এর সে সময়ের বক্তব্যের মধ্যে এ কথাও ছিল যে, সা ৷ফিয়্যা
(রা) এর পুত্রের হত্যাক৷ ৷রীকে জাহান্নামের দৃসংবাদ শুনিয়ে দাও ৷ কথিত আছে যে, ইবন জুরমুয
আলী (রা) এর বক্তব্য শুনতে পােয় আত্মহত্যা করে ৷

তবে প্রামাণ্য বর্ণনায় রয়েছে যে, আলী (রা)-এর পরেও ইবন জুরমুয বেচে ছিল ৷ অবশেষে
(আবদুল্লাহ) ইবনৃ যুবায়র (বা) (মক্কায়) খিলাফতের প্রতিষ্ঠা করলে তার ভাই মুসআব (ইবনৃয
যুবায়র) কে ইরাকে তার প্রতিনিধি নিয়োগ করে পাঠা ৷লেন ৷ তখন আমর ইবন জুরমুয সুসআব
(রা) এর প্ৰতিপত্তিতে ভীত হয়ে এবং পিতৃ হত্যার প্রতিশোধে তাকে হত্যা করা হবে এ
আশংকায় আত্মগােপন করে ৷

তখন যুসআ ব (রা) বললেন, তাকে জানিয়ে দাৰুণ্ও যে, সে নিরাপদ ৷ সে কি ধারনা করেছে
যে, আবু আবদুল্লাহ (যুবায়র) (রা)-এর ন্যায় লোকের বিনিময় তাকে আমি হত্যা করব ? কক্ষণো
নয়, আল্লাহর কসম ! এ দুই জন তো সমান নয় ৷ এটা ছিল যুসআব (রা)-এর সহনশীলতা,
বুদ্ধিমত্তা ও নেতৃতুসুলভ বিজ্ঞতার পরিচয় ৷ যুবায়র (বা) রাসুল্পাহ্ (না) থেকে অনেক হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন, যার বিবরণ আরো বিন্তুত পরিসর সাপেক্ষ ৷
ওয়াদিস সিবা এ যুবায়র (বা) নিহত হলে (পুর্ব বর্ণনা মতে) তার শ্রী আত্বিকৃ৷ ৰিনত ষায়দ
ইবন আমর ইবন নুফা য়ল (বা) স্বামীর গােকগাথা রুপে বললেন (কবিতা)
প্রুা৷ শ্ব; :ঞা ষ্ট্টণ্;; এেওা৷ ১া
১১ )ম্রা ¢§§ ণ্হু
এেএহী-ণ্’এ চু এ্যা
আে৷ ৰুহু,ঘ্রণ্ এ,া; এা ক্রোএ্যা০৷ এহুপ্রুৰুাৰু
“ইবন জুরমুয বিশ্বাসঘাতকত৷ করেছে এক অপ্ৰতিরােধ্য অশ্বারোহীর সাথে; যুদ্ধকালীন
পরিস্থিতিতে ৷ সে তো কাপুরুষ পলায়নপর ছিল না ৷ হে আমরা তুমি যদিতাকে সতর্কতার
সুযোগ দিতে, অবশ্যই তুমি তাকে দেখতে পেতে হৃদকম্প বা বাহু র্কাপনে অস্থির সে নয় ৷

কতই ৰিপদ-সংকুল ক্ষেত্রে যে ঝাপ দিয়েছে; তা থেকে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি কোন
প্রতিরোধ-হানাহানি-ও (ঢিলার পাশের) ব্যাঙের ছাতার পাে৷ (গজিয়ে ওঠা বাহাদুর) ৷

€মাো


غَدَرَ ابْنُ جُرْمُوزٍ بِفَارِسِ بُهْمَةٍ ... يَوْمَ اللِّقَاءِ وَكَانَ غَيْرَ مُعَرِّدِ يَا عَمْرُو لَوْ نَبَّهْتَهُ لَوَجَدْتَهْ ... لَا طَائِشًا رَعِشَ الْجَنَانِ وَلَا الْيَدِ كَمْ غَمْرَةٍ قَدْ خَاضَهَا لَمْ يَثْنِهِ ... عَنْهَا طِرَادُكَ يَا ابْنَ فَقْعِ الْقَرْدَدِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ إِنْ ظَفِرْتَ بِمِثْلِهِ ... فِيمَنْ مَضَى مِمَّنْ يَرَوْحُ وَيَغْتَدِي وَاللَّهِ رَبِّكَ إِنْ قَتَلْتَ لَمُسْلِمًا ... حَلَّتْ عَلَيْكَ عُقُوبَةُ الْمُتَعَمِّدِ وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، زَيْدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَوْذَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ بْنِ عَوْفِ بْنِ غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، أَبُو سَعِيدٍ. وَيُقَالُ أَبُو خَارِجَةَ. وَيُقَالُ: أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ. الْمَدَنِيُّ، قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَهُوَ ابْنُ إِحْدَى عَشْرَةَ سَنَةً ; فَلِهَذَا لَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا لِصِغَرِهِ، قِيلَ: وَلَا أُحُدًا. وَأَوَّلُ مَشَاهِدِهِ الْخَنْدَقُ، ثُمَّ شَهِدَ مَا بَعْدَهَا، وَكَانَ حَافِظًا لَبِيبًا عَالِمًا عَاقِلًا، ثَبَتَ عَنْهُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَتَعَلَّمَ كِتَابَ يَهُودَ لِيَقْرَأَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَتَبُوا إِلَيْهِ، فَتَعَلَّمَهُ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا» . وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৫
الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ أَبَاهُ زَيْدًا أَخْبَرَهُ أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ قَالَ زَيْدٌ: ذَهَبَ بِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُعْجِبَ بِي، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا غُلَامٌ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، مَعَهُ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ بِضْعَ عَشْرَةَ سُورَةً. فَأَعْجَبَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: «يَا زَيْدُ تَعَلَّمْ لِي كِتَابَ يَهُودَ ; فَإِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ يَهُودَ عَلَى كِتَابِي. قَالَ زَيْدٌ: فَتَعَلَّمْتُ لَهُ كِتَابَهُمْ، مَا مَرَّتْ بِي خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حَتَّى حَذَقْتُهُ، وَكُنْتُ أَقْرَأُ لَهُ كُتُبَهُمْ إِذَا كَتَبُوا إِلَيْهِ، وَأُجِيبُ عَنْهُ إِذَا كَتَبَ» . ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ سُرَيْجِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فِي الْأَحْكَامِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ بِصِيغَةِ الْجَزْمِ، فَقَالَ: وَقَالَ: خَارِجَةُ بْنُ زَيْدٍ فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ، وَالتِّرْمِذِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَهَذَا ذَكَاءٌ مُفْرِطٌ جِدًّا، وَقَدْ كَانَ مِمَّنْ جَمَعَ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْقُرَّاءِ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ. وَرَوَى أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَرْحَمُ أُمَّتِي بِأُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ، وَأَشَدُّهَا فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৬


ভোর মা পুত্রহারা হোক! ঐদি তুই খুজে পেতে পারিস তার তুলনা বিপতদের মাঝে; যারা
বেচে-বর্তে আছে তাদের মাঝে! তোর পালনকর্তা আল্লাহর কলম! অবশ্যই তুই একজন খড়াটি
ঘুসলিমকে খুন করেছিল; তোর জন্য সাব্যস্ত হয়েছে স্বেচ্ছাকৃত খুনের শাস্তি ৷

তেব : কতিবে ওহী তালিকায় বিশেষ উল্লেখযোগ্য সাহাবী যায়দ ইবন ছাবিত ইবনুয
যাহহাক ইবন যায়দ ইবন লুযান ইবন আমর ইবন উৰায়দ ইবন আওফ ইবন গুনম ইবন
মালিক ইবনুন নাজ্জার-আনসারী নাজ্জারী (বা) ৷ উপনাম আবু সাঈদ ৷ মতাস্তরে আবু খারিজা;
মতাম্ভার আবু আবদির রাহমান আল-মাদানী ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর মদীনায় শুভাপমনকালে
তিনি ছিলেন এ পার বছরের বালক ৷ এ কারণেই-বয়স কম হওয়ার কারণে তিনি বদরে
অংশ্যাহণ করতে পারেন নি ৷ অনেকের মতে-উহুদেও নয় ৷ সুতরাং তার প্রথম উপস্থিতি ছিল
খান্দাকে (পরিমার-র) যুদ্ধে ৷ পরবর্তী সবগুলিতে অংশ্যাহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন হাফিযুল
কুরআন, সুবুদ্ধিমান ও নিজ আলিম ৷ সহীহুল বুখড়ারীতে তার বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) তাংক ইয়াহুদীদের কিতাব (ভাষা ও লিখন রীতি) শিখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন,
যাতে তারা নবী কৰীম (না)-কে কোন কিছু লিখে পাঠালে তিনি তাকে তা পড়ে দিতে পারেন ৷
তিনি মাত্র পনের দিলে তা শিখে নেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুলায়মান ইবন দাউদ (র) খাবিজা ইবন যায়দ (র) সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা যায়দ (বা) র্তাকে অবহিষ্ঠ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
মদীনায় আগমন করলে যায়দ (বা) বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট নিয়ে যাওয়া
হল ৷ তিনি আমাকে দেখে মুগ্ধ হলেন ৷ তীরা (আমার স্বজনরা) বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহা এটি
নাজ্জার গোত্রের কিশোর ৷ আল্লাহ আপনার উপর যা নাযিল করেছেন, তা হতে দশের অধিক
সুরা তার মুখস্ত রয়েছে ৷ বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (না)-কে আনন্দিত করল তিনি বললেন, ১ন্া) ঠা
-ষ্হুৰু-ন্শু ণ্-ষ্ম্ত্র “মায়দ! আমার হয়ে তুমি
ইয়াহুদীদের লিখন পদ্ধতি শিখে ফেল ৷ কেননা, আমি-, আল্লাহর কলম! আমার লেখার
ব্যাপারে ইয়াহুদীদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি না ৷ যায়দ (বা) বলেন, আমি তার হয়ে
তাদের লেথ্য-তাষা শিখতে লাগলাম এবং পনের রাত যেতে না যেতে তাতে আমি বুৎপত্তি
অর্জন করে ফেললাম ৷ তারা নবী করীম (না)-এর কাছে কোন পত্র লিখলে আমি তা তাকে
পড়ে দিতাম এবং তিনি যখন লিখতে চাইতেন তখন আমি তীর হয়ে জবাব লিখে দিতাম ৷
আহমদ (র) তার পরবর্তী বর্ণনায় হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন শুরায়হ ইবনুন নুমান (র)
খারিজা-তার পিতা থেকে, সনদে (অনুরুপ উল্লেখ করেছেন) ৷ বৃখারী (র) তীর আহকাম’
(বিধি-বিধান) অধ্যায়ে খারিজা ইবন মাসুদ ইবন ছজ্যি (ৱা) সুত্রে তাসীক (সনদ বিহীন) রুপে
নিশ্চয়তা সুচক ভাষ্যে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, খারিজা ইবন যায়দ (র)
বলেছেন ৷ ( ঐ হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷) আবু দাউদ (র) আহমদ ইবন ইউসুফ (র) সুত্রে
এবং তিরমিযী (র) আলী ইবন হুজর (র) সুত্রে (উভয় সনদ) খারিজার পিতা থেকে
অনুরুপতাবে হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন, হাদীসটি হাসান
সহীহ ৷ এটা অবশ্যই সুতীক্ষ্ণ ও প্রখর ধী শক্তি ৷ এছাড়া সহীহগ্রন্থদ্বয়ে আনাস (রা) সুত্রে যেমন


وَأَصْدَقُهَا حَيَاءً عُثْمَانُ، وَأَقْضَاهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَعْلَمُهُمْ بِالْفَرَائِضِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» وَمِنَ الْحُفَّاظِ مَنْ يَجْعَلُهُ مُرْسَلًا إِلَّا مَا يَتَعَلَّقُ بِأَبِي عُبَيْدَةَ فَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ كَتَبَ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ، وَمِنْ أَوْضَحِ ذَلِكَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ} [النساء: 95] الْآيَةُ. دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اكْتُبْ: لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» فَجَاءَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَجَعَلَ يَشْكُوَ ضَرَارَتَهُ، فَنَزَلَ الْوَحْيُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَثَقُلَتْ فَخِذُهُ عَلَى فَخِذِي حَتَّى كَادَتْ تَرُضُّهَا، فَنَزَلَ: {غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ} [النساء: 95] فَأَمَرَنِي فَأَلْحَقْتُهَا، فَقَالَ زَيْدٌ: فَإِنِّي لَأَعْرِفُ مَوْضِعَ مُلْحَقِهَا عِنْدَ صَدْعٍ فِي ذَلِكَ اللَّوْحِ. يَعْنِي مِنْ عِظَامٍ. الْحَدِيثَ. وَقَدْ شَهِدَ زَيْدٌ الْيَمَامَةَ وَأَصَابَهُ سَهْمٌ فَلَمْ يَضُرُّهُ، وَهُوَ الَّذِي أَمَرَهُ الصِّدِّيقُ بَعْدَ هَذَا بِأَنْ يَتَتَبَّعَ الْقُرْآنَ فَيَجْمَعَهُ، وَقَالَ لَهُ: إِنَّكَ شَابٌّ عَاقِلٌ لَا نَتَّهِمُكَ، وَقَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ الْوَحْيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ فَاجْمَعْهُ. فَفَعَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ الصِّدِّيقُ، فَكَانَ فِي ذَلِكَ خَيْرٌ كَثِيرٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدِ اسْتَنَابَهُ عُمْرُ مَرَّتَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৭


বর্ণিত হয়েছে যে, যায়দ (বা) ছিলেন রাসুলুল্লাহ (না)-এর যুগে কুরআন সংগ্রহকারী কুররা
(হাফিযদের) অন্যতম ৷

আহমদ ও নাসাঈ (র) আবু কিলাবা (র) থেকে আনাস (রা) সুত্রে রাসুলুল্পাহ (সা) থেকে
রিওঘায়ত করেছেন যে, তিনি বলেছেন,

ত্রর্দুএ ণ্১ )ৰু


“আমার উন্মতের মধ্যে আমার উম্মতের প্রতি সর্বাধিক দয়াবান আবু বকর; আর আল্লাহর
দীনের ব্যাপারে তাদের মাঝে সর্বাধিক মযবুত উমর; আর তাদের মাঝে লজ্জাশীলতায় সর্বাগ্রে
উসমান; আর তাদের মাঝে সর্বাধিক বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন আলী ইবন আবু তালিব; আর তাদের
মাঝে হালাল হারামে সর্বাধিক বিজ্ঞ ঘুআয ইবন জাবাল; আর তাদের মাঝে ফারাইয (মীরাস
সম্পর্কিত বিধি-ৰিধান) বিষয় সর্বাধিক বিজ্ঞ যায়দ ইবন ছাৰিত এবং প্রতি উম্মাতে থাকে
একজন আমীন বিশ্বস্ত ব্যক্তি এ উম্মতের আমীন (ও বিশ্বাস ভাজন) হচ্ছেন আবু উবায়দা
ইবনুল জারঘাহ (রাযিঘাল্লাহু আনহুম) ৷ হাফিয (হাদীস শাস্তীয়) রাবীগণের অনেকে এ
হাদীসকে মুরসাল’ সাব্যস্ত করেছেন ৷ তবে আবু উবায়দা (বা) সম্পর্কিত বাণীটুকু এ সনদেই
সহীহ বুখারীতে (মারকু রুপে) বর্ণিত হয়েছে ৷

যায়দ (বা) একাধিক ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা) সঘীপে ওহী লিখলে সৌতাগ্য অর্জন করেছেন ৷
এ সবের মাঝে অধিকতর প্ৰকাশমান ঘটনা বা যায়দ (বা) সুত্রেই সহীহ বুখারীতে উদ্ধৃত
হয়েছে ৷ তিনি বলেন, যখন আল্লাহ তাআলার এ কালাম নাযিল হল ()ন্ ()ড্রু১ণ্শ্রো ঞৰুশু শ্ব
ঞ১এঠুঝো রুা৷৷ ষ্ঠাং ৰু এ :ঙু-র্গো৯এট্টব্) ( মুমিনদের মধ্যে যায়া-ঘরে বসে থাকে ও বাবা আল্লাহর
পথে জিহাদ করে তারা সমান বয়স (৪ : ৯৫) ৷ তখন রড়াদৃলুল্পাহ (সা) আমাকে ডেকে
বললেন, লিখ, ঞা ঠোঞ ৷ণ্১’ ঞৰুশ্-ন্ন্ঞ্চু শ্ব ইতোমধ্যে ইবন উম্মু মাখতুম (বা) এসে তার
দৃষ্টিহীনতার অনুযোগ করতে লাগলেন ৷ তখন আবার ঘাসুলুল্লাহ (না)-এর উপরে ওহী নাযিল
হতে লাগল এবং তাতে তার উরু আমার উরুর উপর ভারী বোধ হতে লাগল; এমনকি যেন তা
চুর্ণ হয়ে ঘাচিছল ৷ তখন নাযিল হল এ আঘাতের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র অংশ ;স্পোষ্ ষ্এস্ গ্লু ণ্ ণ্ যারা
অক্ষম নয়’ তখন নবী করীম (সা) আমাকে হুকুম করলে আমি তা আঘাতের মাঝে সংযুক্ত
করে দিলাম ৷ যায়দ (বা) বলেন, আমি সম্মক আমি এ আঘাতের সংযুক্তি স্থান-সে হাড়ের
ফেটে যাওয়া স্থানে (পরে সংযুক্ত করেছিলাম) ৷ (পুর্ণ হাদীস)

যায়দ (বা) ইঘামামা যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ তাতে একটি তীর তাকে ৰিদ্ধ করেছিল ৷
তবে তা তার ক্ষতির কারণ হয়নি ৷ এ ঘটনার পরেই আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে কুরআনের
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অংশগুলি অনুসন্ধান করে সংকলিত করার আদেশ করেছিলেন ৷ তিনি তাকে
বলেছিলেন, তুমি বয়সে তরুণ ও ধীমান এবং তোমার বিশ্বম্ভতায় আমাদের দ্বিধা নেই ৷ এ ছাড়া
তুমি তাে রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য ওহী লিখে রাখার দায়িত্ব পালন করতে ৷ অতএব তুমি
কোরআনের আঘাতসমুহ খুজে খুজে তা সংকলিত কর ৷ তিনি সিদ্দীক (রা)-এর আদেশ যথাযথ


فِي حَجَّتَيْنِ عَلَى الْمَدِينَةِ وَاسْتَنَابَهُ لَمَّا خَرَجَ إِلَى الشَّامِ وَكَذَلِكَ كَانَ عُثْمَانُ يَسْتَنِيبُهُ عَلَى الْمَدِينَةِ أَيْضًا، وَكَانَ عَلِيٌّ يُحِبُّهُ، وَكَانَ يُعَظِّمُ عَلِيًّا وَيَعْرِفُ لَهُ قَدْرَهُ، وَلَمْ يَشْهَدْ مَعَهُ شَيْئًا مِنْ حُرُوبِهِ، وَتَأَخَّرَ بَعْدَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ، وَقِيلَ سَنَةَ إِحْدَى - وَقِيلَ: خَمْسٍ - وَخَمْسِينَ. وَهُوَ مِمَّنْ كَانَ يَكْتُبُ الْمَصَاحِفَ الْأَئِمَّةَ الَّتِي نَفَذَ بِهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى سَائِرِ الْآفَاقِ، اللَّائِي وَقَعَ عَلَى التِّلَاوَةِ طِبْقَ رَسْمِهِنَّ الْإِجْمَاعُ وَالِاتِّفَاقُ، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي كِتَابِ فَضَائِلِ الْقُرْآنِ الَّذِي كَتَبْنَاهُ مُقَدِّمَةً فِي أَوَّلِ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، السِّجِلُّ. كَمَا وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ الْمَرْوِيُّ فِي ذَلِكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - إِنْ صَحَّ - وَفِيهِ نَظَرٌ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «السِّجِلُّ كَاتِبٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ بِهِ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: (يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكِتَابِ) [الْأَنْبِيَاءِ: 104] قَالَ: السِّجِلُّ: الرَّجُلُ. هَذَا لَفَظُهُ. وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي " تَفْسِيرِهِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكِتَابِ. عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৮
نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، وَهُوَ ثِقَةٌ مِنْ رِجَالِ مُسْلِمٍ، وَقَدْ ضَعَّفَهُ ابْنُ مَعِينٍ فِي رِوَايَةٍ عَنْهُ. وَأَمَّا شَيْخُهُ يَزِيدُ بْنُ كَعْبٍ الْعَوْذِيُّ الْبَصْرِيُّ فَلَمْ يَرْوِ عَنْهُ سِوَى نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، وَقَدْ ذَكَرَهُ مَعَ ذَلِكَ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ ". وَقَدْ عَرَضْتُ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى شَيْخِنَا الْحَافِظِ الْكَبِيرِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِزِّيِّ فَأَنْكَرَهُ جِدًّا، وَأَخْبَرَتْهُ أَنَّ شَيْخَنَا الْعَلَّامَةَ أَبَا الْعَبَّاسِ ابْنَ تَيْمِيَةَ كَانَ يَقُولُ: هُوَ حَدِيثٌ مَوْضُوعٌ، وَإِنْ كَانَ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ ". فَقَالَ شَيْخُنَا الْمِزِّيُّ: وَأَنَا أَقُولُهُ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَدِيٍّ فِي " كَامِلِهِ " مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمُلَقَّبِ بِبُومَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ النُّكْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَاتِبٌ يُقَالُ لَهُ: السِّجِلُّ. وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى: " يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكِتَابِ " قَالَ: كَمَا يَطْوِي السِّجِلُّ الْكِتَابَ كَذَلِكَ نَطْوِي السَّمَاءَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي نَصْرِ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الرَّفَّاءِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ بِهِ. وَيَحْيَى هَذَا ضَعِيفٌ جِدًّا فَلَا يَصْلُحُ لِلْمُتَابَعَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৪৭৯


পালন করেছিলেন ৷ তা বয়ে এনেছিল অনেক সুফল ও কল্যাণ (সব হামদ আল্লাহ্রই এবং
অনুকম্পাও তার) ৷

উমর (বা) তার (খিলাফতকালে তার) দুই বার হজ্জ পালন কালে যায়দ (রা)-কে মদীনায়
তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন ৷ অনুরুপ তার সিরিয়া সফর কালেও তাকে প্রতিনিধি
করে গিয়েছিলেন ৷ অনুরুপভাবে উসমান (রা)-ও তাকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে
যেতেন ৷ আলী (রা) র্তাকে ভালৰাসতেন ৷ তিনিও আলী (না)-কে শ্রদ্ধা করতেন এবং তার
মর্যাদার স্বীকৃতি দিতেন ৷ তবে তার যুদ্ধসমুহের কোনটিতে তার সংগে অংশগ্রহণ করেন নি ৷
আলী (রা)-এব পরেও তিনি বেচে ছিলেন এবং পয়তাল্লিশ হিজরীতে-মতান্তরে একান্ন; মতাম্ভ
রে পঞ্চান্ন হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তিনিই আল কুরআনের মুল গ্রন্থের অনুলিপি
তৈরী করে দিতেন যা ইসলামী রাষ্ট্রর সর্বত্র প্রচলনের আদেশ জারী করেছিলেন উসমান (বা) ৷
এবং সে অনুলিপির লিখন রীতি অনুসারে তিলাওয়াত করার ব্যাপারে সর্বসস্মৃত সিদ্ধান্ত গৃহীত
হয়েছিল ৷ (আমার তাফসীর গ্রন্থের ভুমিকারুগে সংযোজিত ফাযাইলুল কুরআন এ বিষয়টির
বিশদ বিবরণ সন্নিবেশিত করা হয়েছে আল-হামদৃ লিল্পাহ) ৷

লিখক তালিকায় আর একটি নাম উদ্ধৃত হয়েছে আস সিজিল ৷ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
বর্ণিত হাদীস বিশুদ্ধতা সাপেক্ষে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে ৷ ফলে এর বিশৃদ্ধতা প্রশ্নের উর্ধে
নয় ৷ (হাদীসটি এই) আবু দাউদ (রা) বলেন, কুতড়ায়বা ইবন সাঈদ (র) ইবন আব্বাস
(বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, সিজিল হচ্ছেন নবী করীম (না)-এর কাতিব ৷ নাসাঈ ও
কুতায়ব৷ (র) ইবন আব্বাস (রা) সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন যে, ণ্ক্রো এে১ঠএ ণ্ম্র£
এ্যা আে ,১ ধু (যে দিন আমি গুঢিয়ে ফেলব আসমান কে যেমন গুঢিয়ে ফেলে সিজিল
অর্থাৎ ণত্রগুলিআম্বির৷ ১০৪) আয়াত সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রা) বলেন, সিজিল হল এক
ব্যক্তি ৷ (নাসাঈ-র ভাষ্য এরুপই) অবু জাফর ইবন জারীর (তারাৰী) (র) তার তাফসীব গ্রন্থে
আল্লাহ পাকের কালাম এ্যা শ্লো , ন্১£ ণ্ক্রো৷ ঞএ ট্ট ণ্স্প্লু প্ৰসংগে হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত
করেছেননাসর ইবন আলী (র) সুত্রে ৷ তিনি (পুর্বোক্ত সনদের) নুহ ইবন কায়সসনদে ৷ এ
সনদের নুহ (ব) নির্ভরযোগ্য রাৰী ৷ মুসলিম শরীফের রাৰী তালিকাত্যুঃ ৷ তবে ইবন মাঈন (র)
তার একটি বর্ণনায় নুহ (র)-কে দুর্বন’ বলেছেন ৷ এ সনদে নুহ (র)-এর শায়খ যায়ীদ ইবন
কাব আল আওফী বিসরী যার নিকট থেকে নুহ ইবন কায়স ব্যতীত অন্য কেউ রিওয়ায়াত
গ্রহণ করেন নি ৷ এতদসক্কত্ত্বও ইবন হিব্বান (র) তাকে ছিকা নিভরিরুযান্া৷ তালিকাভুক্ত
করেছেন ৷

ন্ গ্রন্থকারের মন্তব্য : এ হাদীসটি আমি আমাদের শায়খ মহান হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল
মিযযী (র) এর সামনে উপস্থাপন করেছিলাম ৷ তিনি এটিকে প্রত্যাখ্যান করলেন ৷ আমি তাকে
অবহিত করেছিলাম যে, আমাদের শায়খ আবুল আব্বাস ইবন তায়মিয়া (র) বলতেন, এটি
একটি মাওযু বর্ণনা ৷ যদিও তা আবু দাউদ (র)-এর সৃনান গ্রন্থে স্থান পেয়েছে ৷ তখন
আমাদের শায়খ আল মিযষী (র) বলেন, আমিও তাই বলেছি ৷ এ ছাড়া হাফিয ইবন আলী (র)
তার কামিল গ্রন্থে হাদীসটি মুহাম্মদ ইবন সুলড়ায়মান ওরফে বুম৷ (ব) সুত্রে ইবন আব্বাস
(বা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা)-এর একজন কাতিব ছিলেন


وَأَغْرَبُ مِنْ ذَلِكَ أَيْضًا مَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ وَابْنُ مَنْدَهْ مِنْ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ الْبَغْدَادِيِّ الْمَعْرُوفِ بِحَمْدَانَ، عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَاتِبٌ يُقَالُ لَهُ: سَجِلٌّ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ " يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكِتَابِ» . قَالَ ابْنُ مَنْدَهْ: غَرِيبٌ، تَفَرَّدَ بِهِ حَمْدَانُ. وَقَالَ الْبَرْقَانِيُّ: قَالَ أَبُو الْفَتْحِ الْأَزْدِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ ابْنُ نُمَيْرٍ، إِنْ صَحَّ. قُلْتُ: وَهَذَا أَيْضًا مُنْكَرٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ كَمَا هُوَ مُنْكَرٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَدْ وَرَدَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ خِلَافُ ذَلِكَ، فَقَدْ رَوَى الْوَالِبِيُّ وَالْعَوْفِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: قَالَ: كَطَيِّ الصَّحِيفَةِ عَلَى الْكِتَابِ. وَكَذَلِكَ قَالَ مُجَاهِدٌ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ هَذَا هُوَ الْمَعْرُوفُ فِي اللُّغَةِ أَنَّ السِّجِلَّ هُوَ الصَّحِيفَةُ. قَالَ: وَلَا يُعْرَفُ فِي الصَّحَابَةِ أَحَدٌ اسْمُهُ السِّجِلُّ. وَأَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ السِّجِلُّ اسْمُ مَلَكٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ كَمَا رَوَاهُ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ يَمَانٍ، ثَنَا أَبُو الْوَفَاءِ الْأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي قَوْلِهِ " يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكِتَابِ ". قَالَ: السِّجِلُّ مَلَكٌ، فَإِذَا صَعِدَ بِالِاسْتِغْفَارِ قَالَ اللَّهُ:
পৃষ্ঠা - ৪৪৮০


যাকে সিজিল নামে ডাকা হত ৷ তার কথাই বলা হয়েছে আল্লাহ পাকের কালাম এেঙু৬ও ণ্প্-
এ্যা এ১া৷ ষ্ £ ন্ক্রো-এ ৷ অর্থাৎ সিজিল যেভাবে তার খাতাপত্র গুটিয়ে ফেলে সেভাবেই
আসমান গুটিয়ে ফেলা হবে ৷ অনুরুপ বড়ায়হাকী (র):ও হড়াদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু
নাসর ইবন কাতাদা সুত্রেইয়াহয়া ইবন আমর ইবন মালিক সনদে ৷ এ ইয়ড়াহয়াও অতি
দুর্বল ৷ সুতরাং অনুগামী (তাৰি) হিসাবেও এটি গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷ আর
আবু বকর আল খাভীব ও ইবন মানদা যা রিওয়ায়াত করেছেন তা আরো অদ্ভুত ও বিরল ৷ তা
হচ্ছে এই আহমদ ইবন সড়াঈদ বাপদাদী ওরফে হামদান ৷ ইবন উমার (রা) থেকে ৷ তিনি
বলেন, সিজিল নামে নবী করীম (না)-এর একজন কাতিব ছিলেন ৷ তাই, আল্লাহ নাযিল
করলেন, ; প্রে৷ এ ;১৷ <গ্ র্ন্ত প্ক্রোৰু ঞএ ও ণ্প্ন্ ইবন মানদা (র) নিত্তেইি মন্তব্য করেছেন
এটি একাকী হামদান বর্ণিত গরীব (বিরল) হাদীস ৷ বারকানী (র) আবুল ফাতহ আযদী (র)-
এর বরাতে বলেছেন, একাকী ইবন নুমায়র এ হড়াদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ যদি যথার্থ হয়ে
থাকে

প্রস্থুকারের মন্তব্য : ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনাটি যেমন মুনকার ও প্রত্যাথ্যাত ছিল,
ইবন উমর (রা)-এর এ র্বণনাটিও তেমনি মুনকার ৷ অথচ ইবন আব্বাস ও ইবন উমর (রা)
থেকে এর বিপরীত হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ওয়ালিৰী ও আওফী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে
রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি এ আঘাতের তাফসীরে বলেছেন, “যেমন পৃষ্ঠা লিবনীও প্রস্থকে
গুটিয়ে ধরে রাখে ৷ মুজাহিদ (র)-ও অনুরুপ বলেছেন ৷ ইবন জারীব (র) বলেছেন,
অতিধানেও এ অর্থটি প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ যে, আে হল পৃষ্ঠা (পাতা) ৷ তিনি বলেন,
সড়াহাবীপণের (রা) মাঝে সিজিল নামে কোন ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায় না ৷ এ ছাড়া সিজিল
কোন ফিরিশতার নাম হওয়ার ৰিবয়টিও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ যদিও আবু কুরায়ব (র)
ইবন ইয়ামানইবন উমর (রা) সনদে ণ্ক্রো ড্রুত্র ও ণ্ঙুহু আয়াত প্রসৎগে তেমন একটি হাদীস
উপস্থাপন করেছেন ৷ তিনি বলেন, সিজ্যি একজন ফিরিশতা ৷ তিনি যবন ইসতিপফার নিয়ে
আরোহণ করেন তখন আল্লাহ বলেন, এটিকে নুর রুপে লিখে রাখ ৷ বুনদাৱ (ব)ঠুসুদ্দী (র)
থেকে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷ অনুরুপ, আবু জাফর আল বাকির (র)-ও বলেছেন বলে
দাবী করা হয়েছে ৷ আবু কুরায়ব (র)আবু জাফর বাকিরের বরাতে বলেন, সিজিল হচ্ছেন
ফিরিশতা ৷

সিজিল কোন সড়াহাবী বা ফিরিশিতার নাম হওয়ার ব্যাপারে ইবন জারীর (র)-এর এ
প্রত্যাখ্যান অতিশয় সরল ৷ এ সম্পর্কিত রিওরায়ড়াত অতিশয় দুর্বল ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য ৷ আর
যারা তাকে সাহাবীদের (বা) নামের তালিকাভুক্ত করেছেন যেমন ইবন মানদা, আবু নুআয়ম
ইসপড়াহানী ও ইবনুল আহীর (র) তার আল গাবাতে এদের এ কার্যক্রম কেবল বর্ণিত
রিওয়ায়াতের প্রতি সুধারণা প্রসুত কিৎবা হাদীস বিশুদ্ধ প্রমাণিত হওয়ার শর্তে ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷

এ কন্তিব তালিকায় আর একটি নাম রয়েছে-সাদ ইবন আবু সারহ (রা) ৷ এ বক্তব্য
খলীফা ইবন খায়্যাত (র)-এর ৷ জ্যি এতে তিনি বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন ৷ মুলত তিনি হলেন
সাদ (রা)-এর পুত্র আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (রা) ৷ তালিকার পরবর্তী ক্রমিকে
যথাস্থানে তার কথা আলোচনা করা হবে, ইনশা আল্লাহ ৷


اكْتُبْهَا نُورًا، وَحَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، عَنْ مُؤَمَّلٍ، عَنْ سُفْيَانَ: سَمِعْتُ السُّدِّيَّ يَقُولُ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ. وَهَكَذَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ فِيمَا رَوَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْرُوفِ بْنِ خَرَّبُوذَ عَمَّنْ سَمِعَ أَبَا جَعْفَرٍ يَقُولُ: السِّجِلُّ الْمَلَكُ. وَهَذَا الَّذِي أَنْكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ كَوْنِ السِّجِلِّ اسْمَ صَحَابِيٍّ أَوْ مَلَكٍ قَوِيٍّ جِدًّا، وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ مُنْكَرٌ جِدًّا. وَمَنْ ذَكَرَهُ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ كَابْنٍ مَنْدَهْ وَأَبِي نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيِّ وَابْنِ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ "، إِنَّمَا ذَكَرَهُ إِحْسَانًا لِلظَّنِّ بِهَذَا الْحَدِيثِ، أَوْ تَعْلِيقًا عَلَى صِحَّتِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، سَعْدُ بْنُ أَبِي سَرْحٍ. فِيمَا قَالَهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَقَدْ وَهِمَ إِنَّمَا هُوَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ قَالَ: قَالَ الْزُّهْرِيُّ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَالِكٍ الْمُدْلِجِيُّ - وَهُوَ ابْنُ أَخِي سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ - أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ «سَمِعَ سُرَاقَةَ يَقُولُ، فَذَكَرَ خَبَرَ هِجْرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ فِيهِ: فَقُلْتُ
পৃষ্ঠা - ৪৪৮১
لَهُ: إِنْ قَوْمَكَ جَعَلُوا فِيكَ الدِّيَةَ. وَأَخْبَرَتْهُمْ مِنْ أَخْبَارِ سَفَرِهِمْ وَمَا يُرِيدُ النَّاسُ بِهِمْ، وَعَرَضْتُ عَلَيْهِمُ الزَّادَ وَالْمَتَاعَ، فَلَمْ يَرْزَءُونِي مِنْهُ شَيْئًا، وَلَمْ يَسْأَلُونِي إِلَّا أَنْ أَخْفِ عَنَّا، فَسَأَلْتُهُ أَنْ يَكْتُبَ لِي كِتَابَ مُوَادَعَةٍ آمَنُ بِهِ، فَأَمَرَ عَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ، فَكَتَبَ فِي رُقْعَةٍ مِنْ أَدِيمٍ، ثُمَّ مَضَى.» قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ فِي الْهِجْرَةِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ هُوَ الَّذِي كَتَبَ لِسُرَاقَةَ هَذَا الْكِتَابَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ - وَيُكَنَّى أَبَا عَمْرٍو - مِنْ مُوَلَّدِي الْأَزْدِ، أَسْوَدَ اللَّوْنِ، وَكَانَ أَوَّلًا مَوْلًى لِلطُّفَيْلِ بْنِ الْحَارِثِ أَخِي عَائِشَةَ لِأُمِّهَا أُمِّ رُومَانَ، فَأَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَارَ الْأَرْقَمِ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ - الَّتِي عِنْدَ الصَّفَا - مُسْتَخْفِيًا، فَكَانَ عَامِرٌ يُعَذَّبُ مَعَ جُمْلَةِ الْمُسْتَضْعَفِينَ بِمَكَّةَ لِيَرْجِعَ عَنْ دِينِهِ فَيَأْبَى، فَاشْتَرَاهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَأَعْتَقَهُ، فَكَانَ يَرْعَى لَهُ غَنَمًا بِظَاهِرِ مَكَّةَ وَلَمَّا هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، كَانَ مَعَهُمَا رَدِيفًا لِأَبِي بَكْرٍ، وَمَعَهُمُ الدَّلِيلُ الدُّئَلِيُّ فَقَطْ، كَمَا تَقَدَّمَ مَبْسُوطًا، وَلَمَّا وَرَدُوا الْمَدِينَةَ نَزَلَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ عَلَى سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَوْسِ بْنِ مُعَاذٍ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا، وَقُتِلَ يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَذَلِكَ سَنَةَ أَرْبَعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَكَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ أَرْبَعِينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ عُرْوَةُ وَابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، أَنَّ عَامِرًا قَتَلَهُ يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: جَبَّارُ بْنُ سُلْمَى مِنْ بَنِي كِلَابٍ. فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৪৪৮২


চৌদ্দ ও অন্যতম কাতিব আমির ইবন ফুহায়রা আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর আযাদকৃত
গোলাম ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রাযযাক (র)সৃরাকা ইবন মালিকের ভাতিজা
আবদুল মালিককে তার পিতা অবহিত করেছেন যে, তিনি সুরাকাকে বলতে শুনেছেন, তিনি
নবী করীম (না)-এর হিজ্জাতর ঘটনা ৰিবৃত করেছেন ; তাতে তিনি বলেছেন, আমি নবী
করীম (না)-কে বললাম, আপনার কওম আপনার হত্যাকারীর জন্য পুরস্কারের ঘোষণা
দিয়েছে ৷ আমি তাদেরকে তাদের সফরের বিষয়াদি অবহিত করলাম এবং লোকেরা তাদের
ব্যাপারে কী কী পরিকল্পনা করছে তা“ ও অবহিত করলাম ৷ আমি তাদেরকে পাথেয় ও আসবাব
নিতে অনুরোধ করলাম ৷ কিন্তু তারা আমার কোন কিছুই গ্রহণ করল না এবং আমার কাছে
কিছুই চাইল না ৷ শুধু তারা তাদের কথা গোপন রাখার জন্য আমাকে অনুরোধ ব্বালন ৷ আমি
তাদেরকে আমার নিরাপত্তাসুচক একটি লিপি আমাকে লিখে দিতে আবেদন ক্রোাম ৷ তখন
নবী করীম (সা) আমির ইবন ফুহায়রাকে হুকুম করলে তিনি এক খণ্ড চামড়ার তা আমাকে
লিখে দিলেন ৷৩ তারপর তিনি সেখান থেকে প্ৰস্থান করলেন ৷

গ্রস্থুকারের মম্ভব্যং হিজরত প্রসং গে ইণ্ডে তাপুর্বে হাদীসটির পুর্ণাঙ্গ বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ ণ্কান
কোন বর্ণনায় রয়েছে যে, অবু বকর (রা) নিজেই সুরাক৷ (রা) কে পত্রটি লিখে দিয়েছিলেন ৷
অল্লোহই সমধিক অবগত ৷

আমির ইবন ফুহায়রা (রা)-যার উপনাম ছিল আবু আমর-তিনি ছিলেন আয্দ গোত্রের
কৃষ্ণকায় মিশ্র আরব শ্রেণীভুক্ত এবং প্রথমে তিনি ছিলেন আইশা (বা) এর (মা উম্মু রুমান সুত্রে
তন্র)বৈমাত্রেয় ভাই ভুফায়ল ইবনুল হারিছ-এর গোলাম ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) আত্মগােপন করে
আরকাম ইবন আবুল আরকামের সাফা পাহাড়ের নিকটস্থ বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার আগেই তিনি
একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ এ কারণে মক্কার অন্যান্য দুর্বল-
অসহায়দের সংগে আমির (রা)-কেও নতুন ধর্ম থেকে বিচ্যুত করার লক্ষে৷ নির্যাতন করা হত ৷
কিন্তু তিনি ছিলেন অটল-অৰিচল ৷

পরে আবু বকর (যা) তাকে ক্রয় করে যুক্তি দিয়ে দিলেন ৷ এরপর থেকে তিনি মক্কার
পাদদেশে আবু বকর (রা)-এয় ছাগপাল চরাতেন ৷ পরে আবু বকর (রা)-কে সংগে নিয়ে
রাসুলুল্লাহ (সা) ইিজরত করলে তিনিও তার সংগী হলেন এবং আবু বকর (রা) এর বাহনে
সহ-আরোহী হলেন ৷ তাদের স০ গে তখন আর ছিল দায়লী গোত্রের মরু পথ নির্দেশক, যার
বিশদ বিবরণ ইতােপুর্বে দেয়৷ হয়েছে ৷ তারা মদীনায় উপনীত হওয়ার পরে আমির (ইবন
ফুহায়রা) (বা) সাদ ইবন খায়ছামা (রা)-এর বাড়িতে অতিথি হলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা)
আওস ইবন ঘুআয (রা)-এর সংগে তার ভ্রাতৃ-বন্ধন রচনা করে দিলেন ৷ তিনি বদর ও উহুদে
অংশ্যাহণ করেন এবং বীর-ই-মাউনার ঘটনায় শাহড়াদাত বরণ করেন ৷ যেমনটি আমরা পুর্বে
বলে এসেছি ৷ এ ঘটনা হিজরী চতুর্থ সালের ৷ তখন তার বয়স ছিল চল্লিশ বছর ৷ আল্লাহ
সম্যক অবগত ৷ উরওয়া, ইবন ইসহাক, ওয়াকিদী (র) এবং আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন,
বীর-ই-মাউনার ঘটনার আমির (রা)-কে শহীদ করেছিল বনু কিলাব গোত্রের জাব্বার ইবন
মালয় নামের এক ব্যক্তি ৷ জ্বাব্বার বল্লম দিয়ে র্তাকে আঘাত হানলে তিনি বলে উঠলেন, ণ্ন্ )ন্গ্

এে ধ্ম্যু কা বার মালিকের শপথ! আমি সফলকাম হয়েছি” ৷ আমির (রা) এর লাশ


طَعَنَهُ بِالرُّمْحِ قَالَ: فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. وَرُفِعَ عَامِرٌ حَتَّى غَابَ عَنِ الْأَبْصَارِ حَتَّى قَالَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ لَقَدْ رُفِعَ حَتَّى رَأَيْتُ السَّمَاءَ دُونَهُ. وَسَأَلَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ عَنْهُ فَقَالَ: كَانَ مَنْ أَفْضَلِنَا وَمِنْ أَوَّلِ أَهْلِ بَيْتِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ جَبَّارٌ: فَسَأَلْتُ الضَّحَّاكَ بْنَ سُفْيَانَ عَمَّا قَالَ، مَا يَعْنِي بِهِ؟ فَقَالَ: يَعْنِي الْجَنَّةَ. وَدَعَانِي الضَّحَّاكُ إِلَى الْإِسْلَامِ فَأَسْلَمْتُ ; لِمَا رَأَيْتُ مِنْ قَتْلِ عَامِرِ بْنِ فُهَيْرَةَ، فَكَتَبَ الضَّحَّاكُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ يُخْبِرُهُ بِإِسْلَامِي وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عَامِرٍ، فَقَالَ: «وَارَتْهُ الْمَلَائِكَةُ وَأُنْزِلَ عِلِّيِّينَ» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ: قَرَأْنَا فِيهِمْ قُرْآنًا أَنْ: (بَلِّغُوا عَنَّا قَوْمَنَا، أَنَّا لَقِينَا رَبَّنَا، فَرَضِيَ عَنَّا وَأَرْضَانَا) . وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ بِتَمَامِهِ فِي مَوْضِعِهِ عِنْدَ غَزْوَةِ بِئْرِ مَعُونَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ كَانَ يَقُولُ: مَنْ رَجُلٌ مِنْكُمْ لَمَّا قُتِلَ رَأَيْتُهُ رُفِعَ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ حَتَّى رَأَيْتُ السَّمَاءَ دُونَهُ؟ قَالُوا: عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: رُفِعَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ إِلَى السَّمَاءِ فَلَمْ تُوجَدْ جُثَّتُهُ، يَرَوْنَ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ وَارَتْهُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَمَ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ الْمَخْزُومِيُّ. أَسْلَمَ
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৩


টঠিম্নে নেয়া হয় এবং তিনি অদৃশ্য হয়ে যান ৷ এমনকি হত্যাকা ৷রীদের আমির ইবনুত তুফায়ল
বলেন, র্ভাকে এত উচুতে তুলে (নয়৷ হল যে, আমি তাকে আসমানের আড়াল হতে দেখলাম ৷

আমর ইবন উমায়্যা (রা)-কে তার সম্বন্ধে জিজ্ঞাস ৷করা হলে তিনি বললেন, যে ছিল আমাদের
গ্রেষ্ঠদের একজন এবং আমাদের নবী করীম (না)-এর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রথম শহীদ ৷ জাব্বার
বলেন, আমি যাহ্হাক ইবন সুফিয়ানকে আমিরের উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তার অর্থ কী
? জংা৷বে তিনি বললেন, জান্নাত ৷ যাহ্হাক আমাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলে আমিও
মুসলমান হয়ে ণ্গলাম ৷ কারণ আমি আমির ইবন ফুহায়রার হত্যার পরবর্তী ঘটনা প্রত্যক্ষ
কারছিলাম ৷ তখন যাহহ ক (বা) আমার ইসলাম গ্রহণের সংব বাদে এবং আমির (রা)এর ঘটা
রাসুলুল্লাহ (সা) কে লিখে জ না৷লেন ৷ তিনি বললেন, মোঃ এ্যা, এ্যা ব্লুদ্দ্বু, ফিব্রিশতাগণ
তাকে অম্ভর্হিত করেন এবৎতাকে পুণ্যবা নদের অবস্থা ন ক্ষেত্রে (ইল্লিল্টীন-এ) নিয়ে রাখা হয় ৷
সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে আনাস (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, তাদের (বীর-ই-মা উনার
শহীদগণের) সম্পর্কে আমরা কুরআনের আয়াতরুপে তিলাওয়াত ক্যরছি যে, ৷ণ্৷ ধ্রুগ্রাব্ল ৷ও; !)fl »
া১া )া; ৷া৷ , ৰুাহ্লাক্ট্র ৷-া) ক্রো “আমাদের স্বজাতিকে আমাদের তরফ হতে পৌছিয়ে দাও
যে, আমরা আমাদের প্ৰতিপালকের সাক্ষাত লাভ করেছি; তিনি আমাদের প্রতি রাষী হয়েছেন
এবং আমাদের সন্তুষ্ট করে দিয়েছেন ৷ (বীর-ই-মা উন৷ ঘটনা এবং গে আমরা বিশদ বিবরণ
ইতোপুর্বে দিয়ে এসেছি) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, হিশাম ইবন উরওয়া (র) তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আযির ইবনুত তুফায়ল বলতাে তোমাদের মধ্যে কে সেই লোক
যাকে হত্যা করে, আ ৷মি তাকে দেখতে পেলাম যে, আ সম ৷ন যমীনের মধ্যবর্তী স্থানে (শুন্যে)
তাকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে-এমন কি আমি তাকে কাশকে তার নীচে দেখতে পেলাম ৷ লোকেরা
বলল, তিনি হচ্ছেন আমির ইবন ফুহায়রা (রা)৷ ৷ওয়াকিদী (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমির ইবন ফুহায়রা (রা)
কে আকাশে তুলে নেয়া হল ৷ ফলে তার লাশ পাওয়া গেল না ৷ লোকের ধারণা যে,
ফিরিশতাগণ তাকে অন্তর্হিত করে ফেলেছেন ৷

পনের : কাতিব তালিকায় অন্যতম সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন আরকাম ইবন অবুল আরকাম
মাখঃযুমী (বা) ৷ মক্কা বিজয়কালে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নবী করীম (না)-এর পক্ষ থেকে
লিখকের দায়িত্ব পালন করেন ৷ ইমাম মালিক (র) বলেন, তিনি যা কিছু করতেন সুষ্ঠভাবে
করতেন ৷ সালামা (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র
(বা) সুত্রে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) আবদুল্লাহ ইবনুল আরকাম ইবন আবদ ইয়াগুছকে কাতিৰের
দায়িত্বে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর পক্ষ থেকে রাজা-বাদশাহদের জবাব
লিখতেন ৷ তার আমানতদাবী ও বিশ্বস্ততা এ পর্যায়ের ছিল যে, নবী করীম (সা) এর হুকুমে,
তিনি কে ৷ন রাজা-বাদশাহর বরাবরে লিখতেন এবং তা ত ৷র দৃষ্টিতে আমানত সাব্যস্ত হওয়ার
কারণে যে পর্যন্ত পাঠ করে শে ৷নাতেন সে স্থানেই মোহর মেরে দিতেন ৷ তিনি আবু বকর (রা)-
এর জন্যও লিখকের (সচিবের) দায়িত্ব পালন করেন এবং বায়তুল মাল (রম্ভীয় কােষাগার)
তার হাতে ন্যস্ত করা হয় ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ও তাকে উভয়ৰিধ দায়িত্বে বহাল
রাখেন ৷ উসমান (রা) খলীফ৷ হয়ে তাকে উভয় দায়িতৃ হতে অব্যাহতি দেন ৷



১ অর্থাৎ আধুনিক রষ্ট্রযত্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেদ্রীয় ব্যাৎ এর দায়িত্ব ৷


عَامَ الْفَتْحِ، وَكَتَبَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: وَكَانَ يُنَفِّذُ مَا يَفْعَلُهُ وَيَشْكُرُهُ وَيَسْتَجِيدُهُ. وَقَالَ سَلَمَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْتَبَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْأَرْقَمِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، وَكَانَ يُجِيبُ عَنْهُ الْمُلُوكَ، وَبَلَغَ مِنْ أَمَانَتِهِ أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُهُ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى بَعْضِ الْمُلُوكِ فَيَكْتُبَ، وَيَخْتِمَ عَلَى مَا يَقْرَؤُهُ ; لِأَمَانَتِهِ عِنْدَهُ،» وَكَتَبَ لِأَبِي بَكْرٍ، وَجَعَلَ إِلَيْهِ بَيْتَ الْمَالِ، وَأَقَرَّهُ عَلَيْهِمَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ عَزَلَهُ عَنْهُمَا. قُلْتُ: وَذَلِكَ بَعْدَ مَا اسْتَعْفَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَمَ، وَيُقَالُ: إِنَّ عُثْمَانَ عَرَضَ عَلَيْهِ ثَلَاثَمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ عَنْ أُجْرَةِ عِمَالَتِهِ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا وَقَالَ: إِنَّمَا عَمِلْتُ لِلَّهِ فَأَجْرِي عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَتَبَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، فَإِذَا لَمْ يَحْضُرِ ابْنُ الْأَرْقَمِ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ كَتَبَ مَنْ حَضَرَ مِنَ النَّاسِ، وَقَدْ كَتَبَ عُمَرُ وَعَلِيُّ وَزَيْدٌ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَمُعَاوِيَةُ وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَغَيْرُهُمْ مِمَّنْ سُمِّيَ مِنَ الْعَرَبِ. «وَقَالَ الْأَعْمَشُ قُلْتُ لِشَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ: مَنْ كَانَ كَاتِبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ،» وَقَدْ جَاءَنَا كِتَابُ عُمْرَ بِالْقَادِسِيَّةِ وَفِي أَسْفَلِهِ: وَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ هَانِئٍ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৪


গ্রন্মোরর মষ্ব্য : আবদুল্লাহ ইবনুল আরকাম (রা) তাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন
করার পরেই উসমান (বা) তা মনবুর করেছিলেন ৷ বর্ণিত হয়েছে যে, উসমড়ান (বা) তার কর্তব্য
পালনের বিনিময়ে তিন লাখ দিরহাম দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন ৷ তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি
জানিয়ে বললেন, আমি তো আল্লাহর জন্য কাজ করেছি, সুতরাং আমার বিনিময় মহান মহীয়ড়ান
আল্লাহর কাছে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, যায়দ ইবন ছাবিত (রা)-ও রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাতিবের
দায়িত্ব পালন করতেন ৷ কখনো ইবনুল অরকাম ও যায়দ ইবন ছাবিত (রা) দু’জনই অনুপস্থিত
থাকলে উপস্থিত লোকদের কেউ দায়িতু পালন করতেন ৷ উমর, আলী, যায়দ, মুগীরা ইবন
শুবা, ঘুআবিয়া, খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস (রা) এরা সকলে এবং অন্যান্য অনেকেই
(যাদের নামের উল্লেখ রয়েছে) লিখার কাজ করতেন ৷ আমাশ (র) বলেন, আমি শাকীক ইবন
সালামাকে বললড়াম, নবী করীম (সা)-এর কাতিব (সচিব)-কে ছিলেন ? তিনি বললেন,
আবদুল্লাহ ইবনুল আরকাম (রা) ৷ কাদিসিয়া-য় আমাদের কাছে উমর (রা)এর ফরমান
এসেছিল ৷ তার নীচে লেখা ছিল, লিখক আবদুল্লাহ ইবনুল আরকাম ৷ বড়ায়হড়াকী (র) বলেন,
হাফিয আবু আবদুল্লাহ (র)ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নবী
করীম (না)-এর নিকট এক ব্যক্তির এক পত্র এল ৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবনুল আরকামকে
বললেন, ণ্ন্১০ ; ১৷ “আমার পক্ষ হতে জবাব দাও ৷” তিনি জবাব লিখে তা নবী করীম (সা)-
কে পড়ে গােনালেন ৷ তিনি বললেন, ঞ, ণ্পৌ ষ্ঠাং; ণ্১১ ১ “যথার্থ করেছ ৷ সুন্দর
করেছ ৷ হে আল্লাহ ৷ তাকে তাওফীক দান কর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, পরে উমর (রা) যখন
খলীফা মনোনীত হলেন তখন তিনি প্রয়োজনীয় বিষয় তার পরামর্শ গ্রহণ করতেন ৷ উমর
ইবনুল খাত্তাব (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, আল্লাহর প্রতি তার চেয়ে অধিক
ভীত-অর্খাৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে আর কাউকে আমি দেখিনি ৷ মৃত্যুর পুর্বে তিনি
দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন ৷

সােল : কাতিব তালিকার অন্যতম সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবদি রাব্বিহী
-আনসাৰী-খাযরাব্জী (বা) ৷ আষানের ঘটনার জন্য বিখ্যাত ৷ শুরুর দিকের মুসলমান; সত্তর
সদস্যের (দ্বিতীয়) আকাৰা চুক্তিতে অংশ্যাহণকারী ৷ বদর ও পরবর্তী সব যুদ্ধ অভিযানে
অংশ্যাহণকারী ৷ তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য স্বপ্ন যােগে আযান ও ইকামাতের পাঠ লাভ করা ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট তা উপস্থাপনের পরে তাতে তার অনুমোদন লাভ ৷ নবী করীম (সা)
তখন বলেছিলেন, ন্-ঞশ্ “এটা অবশ্যই
সত্য স্বপ্ন ৷ সুতরাং তা বিলালকে শুনিয়ে দাও ৷ কেননা, সে তোমার চেয়ে উচু আওয়াজের
অধিকারী ৷” আমরা যথাস্থানে হাদীসটি বিশদ বিবৃত করেছি ৷ ওয়াকিদী (র) ইবন আব্বাস
(বা) পর্যন্ত সম্পৃক্ত তার বিভিন্ন হাদীসে রিওয়ায়াত করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রা)
জারাশ গোত্রের ইসলাম গ্রহণকারীদের জন্য একটি সনদ লিখে দিয়েছিলেন যাতে তাদের প্রতি
সালাত প্রতিষ্ঠা, যাকাত প্রদান ও গনীমাতের পঞ্চমাংশ আদায়ের নির্দেশ ছিল ৷ বত্রিশ
হিজরীতে চৌষট্টি বছর বয়সে এ আবদুল্লাহ (রা) ইনতিকাল করেন ৷ উসমড়ান ইবন আফ্ফছন
(বা) তার জানাযার সলােতে ইমামতি করেন ৷


حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَيْهَقِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابُ رَجُلٍ، فَقَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَرْقَمِ: أَجِبْ عَنِّي فَكَتَبَ جَوَابَهُ، ثُمَّ قَرَأَهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَصَبْتَ وَأَحْسَنْتَ، اللَّهُمَّ وَفِّقْهُ» قَالَ: فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ كَانَ يُشَاوِرُهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَخْشَى لِلَّهِ مِنْهُ. يَعْنِي فِي الْعُمَّالِ. أُضِرَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَبْلَ وَفَاتِهِ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ. صَاحِبُ الْأَذَانِ، أَسْلَمَ قَدِيمًا، فَشَهِدَ عَقَبَةَ السَّبْعِينَ، وَحَضَرَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَمِنْ أَكْبَرِ مَنَاقِبِهِ رُؤْيَتُهُ الْأَذَانَ وَالْإِقَامَةَ فِي النَّوْمِ، وَعَرْضُهُ ذَلِكَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَقْرِيرُهُ عَلَيْهِ، وَقَوْلُهُ لَهُ: «إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٍّ فَأَلْقِهِ عَلَى بِلَالٍ ; فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتَا مِنْكَ» وَقَدْ قَدَّمْنَا الْحَدِيثَ بِذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَتَبَ كِتَابًا لِمَنْ أَسْلَمَ مِنْ جُرَشَ، فِيهِ الْأَمْرُ لَهُمْ بِإِقَامَةِ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَإِعْطَاءِ خُمُسِ الْمَغْنَمِ. وَقَدْ تُوُفِّيَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ وَثَلَاثِينَ، عَنْ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ الْقُرَشِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৫
الْعَامِرِيُّ. أَخُو عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مِنَ الرَّضَاعَةِ ; أَرْضَعَتْ أُمُّهُ عُثْمَانَ، وَكَتَبَ الْوَحْيَ، ثُمَّ ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ وَلَحِقَ بِالْمُشْرِكِينَ بِمَكَّةَ، فَلَمَّا فَتَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدْ أَهْدَرَ دَمَهُ فِيمَنْ أَهْدَرَ مِنَ الدِّمَاءِ - فَجَاءَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَاسْتَأْمَنَ لَهُ، فَأَمَّنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ، ثُمَّ حَسُنَ إِسْلَامُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ جِدًّا بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ يَكْتُبُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَزَلَّهُ الشَّيْطَانُ فَلَحِقَ بِالْكَفَّارِ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْتَلَ، فَاسْتَجَارَ لَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَأَجَارَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ بِهِ. قُلْتُ: وَكَانَ عَلَى مَيْمَنَةِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ حِينَ افْتَتَحَ عَمْرٌو مِصْرَ سَنَةَ عِشْرِينَ فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ، فَاسْتَنَابَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَمْرًا عَلَيْهَا، فَلَمَّا صَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى عُثْمَانَ عَزَلَ عَنْهَا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ، وَأَمَرَهُ بِغَزْوِ بِلَادِ إِفْرِيقِيَّةَ فَغَزَاهَا، فَفَتَحَهَا وَحَصَلَ لِلْجَيْشِ مِنْهَا مَالٌ عَظِيمٌ، كَانَ قِسْمُ الْغَنِيمَةِ لِكُلِّ فَارِسٍ مِنَ الْجَيْشِ ثَلَاثَةَ آلَافِ مِثْقَالٍ مِنْ ذَهَبٍ، وَلِلرَّاجِلِ أَلْفَ مِثْقَالٍ، وَكَانَ مَعَهُ فِي جَيْشِهِ هَذَا ثَلَاثَةٌ مِنَ الْعَبَادِلَةِ ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، ثُمَّ غَزَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ بَعْدَ إِفْرِيقِيَّةَ الْأَسَاوِدَ مِنْ أَرْضِ النُّوبَةِ فَهَادَنَهُمْ فَهِيَ إِلَى الْيَوْمِ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৬


সতের : বিশিষ্ট সাহাবী কাতিব আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ কুরায়শী, অমিরী
(বা) ৷ উসমান (রা) এর দুধ ভাই ৷ উসমান (রা)-এর মা তাকে স্তন্য দান করেছিলেন ৷ প্রথমে
ওহী লিখক ছিলেন ৷ পরে মুরতাদ (ধর্মত্যাপী) হয়ে মক্কার ঘুশরিকদের দলে ভিড়ে যান ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) যখন মক্কা জয় করলেন-যাদেরকে পাওয়া মাত্র হত্যা করা হবে বলে ঘোষিত
হয়েছিল সেই তালিকায় তিনিও একজন ছিলেন ৷ তখন তিনি উসমান (না)-এর কাছে গেলে
তিনি তার জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা) তা মনয়ুর করলেন ৷ মক্কা বিজয়
প্রসংগে আমরা তা বিশদভাবে আলোচনা করে এসেছি ৷ পরে আবদুল্লাহ ইবন সাদ (রা) উত্তম
নিষ্ঠাবান মুসলামনের জীবন-যাপন করেন ৷ আবু দাউদ (র) বলেন, আহমদ ইবন মুহাম্মদ
মারওয়াষী (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (ইবন সাদ) ইবন
আবু সারহ নবী কৰীম (সা) এর জন্য লিথকের দায়িত্ব পালন করতেন ৷ শয়তান তাকে স্থালিত
করলে তিনি কাফিরদের সংগে মিলিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে হত্যা করার আদেশ জারী
করলেন ৷ উসমান ইবন আফফান (বা) তার জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা) তার
নিরাপত্তা মনযুর করলেন ৷ নাসাঈ (র) বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন আলী ইবনুল হুসারন ইবন
ওয়াকিদ (র) সুত্রে ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : উমর (রা)-এর খিলাফতকালে বিশ হিজরীতে যখন আমর ইবনুল
আস (রা) মিশর জয় করেন তখন আবদুল্লাহ ইবন সাদ (বা) আমর (রা)-এর বাহিনীর
দক্ষিণ ভাগের অধিনায়ক ছিলেন ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) বিজয়ী সেনাপতািক (আমবকে)
মিশরে তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করলেন ৷ উসমড়ান (রা) খলীফা হওয়ার পর আমর ইবনুল আস
(রা)-কে মিশরের শাসনকর্তার পদ হতে অব্যাহতি দিয়ে পচিশ হিজরী সনে তার স্থানে
আবদুল্লাহ ইবন সাদ (রা) কে মিশরের শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন ৷

উসমান (বা) তাকে আফ্রিকিয়া অঞ্চলসমুহে অভিযানের নির্দেশ দিলে তিনি তা পালন
করলেন এবং বিজয়ী হলেন ৷ এ সব অভিযানে মুসলিম বাহিনী প্রভুত গনীমাত হাসিল করেন
এবং বাহিনীর অশ্বারোহীরা প্রত্যেকে তিন হাজার মিছকাল সোনা ও পদাতিক বাহিনীর
প্রত্যেকে এক হাজার মিছকাল সোনা গনীমাতরুপে পান ৷১ তার সংগে এ বাহিনীতে ছিলেন
তিন জন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র, আবদুল্লাহ ইবন উমর ও আবদুল্লাহ ইবন
আমর (বা) ৷ তারপর আবদুল্লাহ ইবন সাদ (রা) আফ্রিকার পর তার অভিযানের মোড় ঘুরিয়ে
দিলেন নুরাঃ অঞ্চলের আসাবিদ অভিমুখে ৷ তাদের সংগে যুদ্ধ নয় চুক্তি বা সন্ধি হল ৷ সে
চুক্তি আজ পর্যন্ত বহাল আছে ৷ এ ঘটনা ছিল একত্রিশ হিজরী সনের ৷ এরপর তিনি রোমানদের
বিরুদ্ধে সুওয়ারা-র বিখ্যাত নৌ যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ সে ছিল এক ভীষণ ও গুরুত্বপুর্ণ
লড়াই ৷ যথাস্থানে বর্ণনা দেয়া হবে-ইনশাআল্লাহ্! পরে উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু
হলে তিনি মিশরে নিজের একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করে উসমড়ান (না)-কে সাহায্য করার
উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন ৷ উসমড়ান (রা)-কে শহীদ করে দেয়া হলে তিনি আসকালানে এবং
মতাভরে রামাল্লায় অবস্থান করলেন এবং আল্লাহর নিকট এ দুআ করলেন যে, আল্লাহ যেন
তাকে সালাত আদায় কালে মৃত্যু দান করেন ৷ একদিন তিনি ফজর সালাত আদায়



১ এক হাজার মিছকাল প্রায় সাড়ে তিন কিলেগ্রোম; তিন সের দশ ছটাকের অধিক ৷ অনুবাদক


وَذَلِكَ سَنَةَ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ، ثُمَّ غَزَا غَزْوَةَ الصَّوَارِي فِي الْبَحْرِ إِلَى الرُّومِ، وَهِيَ غَزْوَةٌ عَظِيمَةٌ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهَا فِي مَوْضِعِهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، فَلَمَّا اخْتَلَفَ النَّاسُ عَلَى عُثْمَانَ خَرَجَ مِنْ مِصْرَ، وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا لِيَذْهَبَ إِلَى عُثْمَانَ لِيَنْصُرَهُ، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانِ أَقَامَ بِعَسْقَلَانَ، وَقِيلَ: بِالرَّمْلَةِ، وَدَعَا اللَّهَ أَنْ يَقْبِضَهُ فِي الصَّلَاةِ، فَصَلَّى يَوْمًا الْفَجْرَ، وَقَرَأَ فِي الْأُولَى مِنْهَا " بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ "، وَ " الْعَادِيَّاتِ "، وَفِي الثَّانِيَةِ " بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ "، وَسُورَةٍ، وَلَمَّا فَرَغَ مِنَ التَّشَهُّدِ سَلَّمَ التَّسْلِيمَةَ الْأُولَى، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُسَلِّمَ الثَّانِيَةَ فَمَاتَ بَيْنَهُمَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ. وَقِيلَ إِنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى سَنَةِ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. قُلْتُ: وَلَمْ يَقَعْ لَهُ رِوَايَةٌ فِي الْكُتُبِ السِّتَّةِ وَلَا فِي " الْمُسْنَدِ " لِلْإِمَامِ أَحْمَدَ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ وَقَدْ تَقَدَّمَ الْوَعْدُ بِأَنَّ تَرْجَمَتَهُ سَتَأْتِي فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَقَدْ جَمَعْتُ مُجَلَّدًا فِي سِيرَتِهِ، وَمَا رَوَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْآثَارِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى كِتَابَتِهِ مَا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ فِي حَدِيثِهِ حِينَ اتَّبَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ مِنَ الْغَارِ فَمَرُّوا عَلَى أَرْضِهِمْ، فَلَمَّا غَشِيَهُمْ - وَكَانَ مِنْ أَمْرِ فَرَسِهِ مَا كَانَ - سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابَ أَمَانٍ، فَأَمَرَ أَبَا بَكْرٍ فَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا، ثُمَّ أَلْقَاهُ إِلَيْهِ» . وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ الْزُّهْرِيِّ بِهَذَا السَّنَدِ أَنَّ عَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৭
আল-বিদায়া ওয়ান নিহয়োংংজ্যোঙ্কে ৫৭৫

করছিলেন-প্রথম রাকআতে তিনি সুরা ফাতিহার পরে সুরা ওয়াল আদিয়াত পাঠ করলেন এবং
দ্বিতীয় রাকআতে সুরা ফাতিহার সংগে অন্য একটি সুরা মিলালেন ৷ তশোহহুদ পাঠ সমাপ্ত করে
যখন তিনি প্রথম (ডান দিকের) সালাম ফিরালেন এবং দ্বিতীয় সালাম ফিরান্মের জন্য উদ্যত
হলেন ঠিক এ মুহুর্তে দুই সালামের মধ্যবর্তী ক্ষণে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ (রাষিরল্লোহ
আনহু) এ ঘটনা ছিল ছত্রিশ হিজরী, মতাম্ভরে সাইত্রিশ হিজরী সনের ৷ আর কাংৰা কারো মতে
তিনি উনষটি হিজরী পর্যন্ত বেচে ছিলেন ৷ তবে প্রথম অভিমতটিই সঠিক ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : হয় গ্রন্থ এবং ইমাম আহমদ (র)-এর ঘুসনড়াদ গ্রন্থের (অ্যাংও অর
সুত্রে কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি ৷

(কাতিব তালিকায় এক, তিন, চার ও দুই নম্বর মনীষী-চার খলীফার সংক্ষিপ্ত ৰিপ্লো
, ত্রুমিকের আওতায়ণ্ষ্এখড়ানে পরিবেশিত হল ৷)

একঃ আবু বকর সিদ্দীক (বা) আবদুল্লাহ ইবন উসমান (রা) (আগেই অংপীকার ব্যাং fl
হয়েছে যে, তার খিলাফতের র্বণনায় তার জীবন চরিত আংলাচনা করা হবে-মহান জিং
আল্লাহর) মর্ষী সাপেক্ষে এবং র্তারই উপরে ভরসা করে ৷ তার জীবন চরিত এবং তার ফ্ল
বর্ণিত হাদীসসমুহ ও তীর বাণীমালা সং হ করে আমি একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছি ৷ মোঃ
রুপে র্তার দায়িত্ব পালনের প্রমাণ যুহরী (র) সৃত্রেসৃরাকা ইবন মালিক হতে মুসা ইৰ্ ন
মৈং! (বা) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু বকর (বা) হিজরত কালে ফ্ফা
(হাওর) গুহা থেকে বের হয়ে সুরাকাদের এলাকা অতিক্রম করছিলেন এবং সুরাকা র্তীদের
অনুসন্ধানে ব্যপৃত ছিলেন সুরাকা তাদের পথ রোধ করলেন এবং তখন তার ঘোড়ার দৃরৰহ্য

(মাটিতে পা পেড়ে যাওয়া) ইত্যাদি ৷ অবশেষে সুরাকা তাদের কাছে একটি নিরাপত্তা কা
লিখে দেয়ার আবেদন জানালে নবী করীম (সা) আবু বকর (রা)-কে হুকুম করলেন ৷ তিনি
একটি সনদপত্র লিখে র্তাকে দিয়ে দিলেন ৷ তবে ইমাম আহমদ (র) যুহয়ী (র) সুত্রে এ
সনদেই রিওয়ায়াত করেছেন যে, আমির ইবন ফুহায়রা (র) এ পত্রটি লিখে দিয়েছিলেন ৷
সুতরাং এমন হতে পারে যে, আবু বকর (রা) নিজে পত্রটির অংশবিশেষ লিখে তন্র মম্ভেলা
আমির (রা) কে হুকুম করলে তিনি তার অবশিষ্টটুকু লিথলেন ৷ আল্পাহ্ই সমধিক অবগত ৷

তিন ও অন্যতম কড়াতিব আমীরুল যুমিনীন উছমান ইবন আফ্ফান (বা) তার জীবন চরিত
ও তার খিলাফত কালের বংনাি প্রসঙ্গে সন্নিবেশিত হবে ৷ নবী কৰীম (না)-এর দরবারে তার
লিখকরুপে কর্তব্য সম্পাদনের বিষয়টি সুপ্রসিদ্ধ ৷ (যেমন,) ওয়াকিদী (র) তার বিভিন্ন সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন যে, নাহ্শান ইবন মালিক আল-ওয়াইলী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ধিদমভে
আগমন করলে তিনি উছমান ইবন আফ্ফান (রা)কে ইসলামী শরীআভের বিধান সম্বলিত
একটি পত্র নাহ্শানকে লিখে দেয়ার আদেশ করেন এবং সে মতে তিনি পত্রৰানি লিখে দেন ৷

চার : আযীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালিব (বা) তার জীবন চরিত্র ও তার আিফ্তে
যুগ প্রসঙ্গে আলোচিত হ্যব ৷ আগেই ৰিবৃত হয়েছে যে, দশ বছরের জন্য যুদ্ধ ষিরাষ্ট ও সংঘর্ষ
নয়, প্রতারণা নয় এ ধরনের শর্ত সম্বলিত রাসুলুল্লাহ্ (না) ও কুরারশীদের ষ্যবে মোঃ
হ্লারৰিরা সন্ধিত্রে আলী (রা)-ই লিধেহিঃলন ৷ এছাড়াও, নবী কৰীম (না)-এর মোঃ স্টিং


كَتَبَهُ. فَيُحْتَمَلُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَتَبَ بَعْضَهُ، ثُمَّ أَمَرَ مَوْلَاهُ عَامِرًا فَكَتَبَ بَاقِيَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ. وَكِتَابَتُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَشْهُورَةٌ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ «أَنَّ نَهْشَلَ بْنَ مَالِكٍ الْوَائِلِيَّ لَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا فِيهِ شَرَائِعُ الْإِسْلَامِ» . وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ فِي خِلَافَتِهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ كَتَبَ الصُّلْحَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَيْنَ قُرَيْشٍ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ; أَنْ يَأْمَنَ النَّاسُ، وَأَنَّهُ لَا إِسْلَالَ، وَلَا إِغْلَالَ، وَعَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ عَشْرَ سِنِينَ، وَقَدْ كَتَبَ غَيْرَ ذَلِكَ مِنَ الْكُتُبِ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا مَا يَدَّعِيهِ طَائِفَةٌ مِنْ يَهُودَ خَيْبَرَ أَنَّ بِأَيْدِيهِمْ كِتَابًا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضْعِ الْجِزْيَةِ عَنْهُمْ، وَفِي آخِرِهِ: وَكَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَفِيهِ شَهَادَةُ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، فَهُوَ كَذِبٌ مُفْتَعَلٌ، وَبُهْتَانٌ مُخْتَلَقٌ مَوْضُوعٌ مَصْنُوعٌ، وَقَدْ بَيَّنَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَّاءِ بُطْلَانَهُ، وَاغْتَرَّ بِهِ بَعْضُ الْفُقَهَاءِ الْمُتَقَدِّمِينَ فَقَالُوا بِوَضْعِ الْجِزْيَةِ عَنْهُمْ، وَهَذَا ضَعِيفٌ جِدًّا، وَقَدْ جَمَعْتُ فِي ذَلِكَ جُزْءًا مُفْرَدًا بَيَّنْتُ فِيهِ بُطْلَانَهُ، وَأَنَّهُ مَوْضُوعٌ، اخْتَلَقُوهُ وَوَضَعُوهُ، وَهُمْ أَهْلٌ لِذَلِكَ وَبَيَّنْتُهُ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৮
وَجَمَعْتُ مُتَفَرِّقَ كَلَامِ الْأَئِمَّةِ فِيهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ فِي مَوْضِعِهَا، وَقَدْ أَفْرَدْتُ لَهُ مُجَلَّدًا عَلَى حِدَةٍ، وَمُجَلَّدًا ضَخْمًا فِي الْأَحَادِيثِ الَّتِي رَوَاهَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْآثَارِ وَالْأَحْكَامِ الْمَرْوِيَّةِ عَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُ كِتَابَتِهِ فِي تَرْجَمَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَرْقَمِ. وَمِنْهُمْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ وَاسْمُ الْحَضْرَمِيِّ عَبَّادٌ، وَيُقَالُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّادِ بْنِ أَكْبَرَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عُوَيْفِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ إِيَادِ بْنِ الصَّدِفِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُقْنِعِ بْنِ حَضْرَمَوْتَ بْنِ قَحْطَانَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، وَهُوَ مِنْ حُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُ كِتَابَتِهِ فِي تَرْجَمَةِ أَبَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْإِخْوَةِ عِشَرَةٌ غَيْرُهُ، فَمِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ الْحَضْرَمِيِّ أَوَّلُ قَتِيلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَتْلَهُ الْمُسْلِمُونَ فِي سَرِيَّةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ، وَهِيَ أَوَّلُ سَرِيَّةٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَمِنْهُمْ عَامِرُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ الَّذِي أَمَرَهُ أَبُو جَهْلٍ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فَكَشَفَ عَنْ عَوْرَتِهِ وَنَادَاهُ: وَاعَمْرَاهُ. حِينَ اصْطَفَّ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ يَوْمَ بَدْرٍ فَهَاجَتِ الْحَرْبُ، وَقَامَتْ عَلَى سَاقٍ، وَكَانَ مَا كَانَ مِمَّا قَدَّمْنَاهُ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ، وَمِنْهُمْ شُرَيْحُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، وَكَانَ مِنْ خِيَارِ الصَّحَابَةِ. قَالَ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ৪৪৮৯


আরো একাধিক পত্র লিখেছেন ৷ তবে খায়বারের একটি ইয়াহুদী দলের এ দাবী যে, তাদের
জিঘৃয়া রহিতকরণ সম্বলিত নবী কবীম (সা)এর একটি সনদ তাদের কাছে রয়েছে ৷ যার শেষে
রয়েছে, লিখেছে আলী ইবন তালিব এবং তাতে সাদ ইবন মুআয, মুআবিয়া ইবন আবু
সুফিয়ান (রা) সহ এক জামাআত সাহাবীর সাক্ষী হওয়ার কথাও রয়েছে এটি একটি সম্পুর্ণ
মিথ্যা ও জলজ্যাস্ত জালিয়াতি ৷ এক দল আলিম এটি মিথ্যা হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন ৷ তবে
পুর্বসুবী ফকীহ্দের কেউ কেউ তাদের এ জালিয়াতির রহস্য উদ্মাটনে সমর্থ না হওয়ার কারণে
তাদের জিষ্য়া রহিত হওয়ার অভিমত পোষণ করতেন ৷ কিন্তু তাদের এ অভিমত ছিল অভিনয়
দুর্বল ৷ এ বিষয় আমি একটি স্বতন্ত্র পুস্তক রচনা করেছি এবং তাতে ইমামগণের ৰিজ্যি
অভিমত সমন্বিত করেছি ও সে সৰের আলোচনা পর্যালোচনা করেছি ৷ সেই সাথে এ
ক্ষেত্রে ইয়াহুদীদের জালিয়াতির স্বরুপ উদঘাটন করেছি ৷ আমি প্রমাণ করে দিয়েছি যে ,
উল্লিখিত দলীল বড়ানােয়াট এবং তা প্রতারণা ও জালিয়াতিতে অভ্যস্ত দুর্তাগা চক্রাস্তবাজ
ইয়াহুদীদের পুরুমানুক্রমিক নদ-অভ্যাসেরই একটি নমুনা মাত্র ৷ আল্লাহ্রই জন্য হাম্দ
এবং অনুকস্পা র্তারই ৷

দুই : নবী কবীম (না)-এর দরবারের অন্যতম কাতিব আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা) ৷ যথাস্থানে তার জীবন চরিত আলোচিত হবে (এ বিষয়ে আমি একটি স্বতন্ত্র পুস্তক
ৎকলন করেছি ৷ অনুরুপ, রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে রিওয়ায়াত কৃত তার হাদীসসমুহ এবং তার
সিদ্ধাস্তসমুহ ও ৰাণীমালা সংকলিত করে আরো একটি বৃহৎ খণ্ড আমি তৈরী করেছি) ৷ আর
কাতিব হিসাবে তার কর্তব্য পালনের বিবরণ আবদুল্লাহ্ ইবনুল আরকাম (না)-এর জীবনী
আলোচনায় উদ্ধৃত হয়েছে ৷

আঠার : নবী করমি (না)-এর দরবারের বিশিষ্ট কাতিব আলা ইবৰুল হাযরামী (বা) ৷
হাযরামীর প্রকৃত নাম ছিল আব্বাস ৷ মতান্তরে, আবদুল্পাহ্ ইবন আব্বাদ ইবন আকবর ইবন
রাবীআ ইবন আবীকাং ইবন মালিক ইবনুল খাযরাজ ইবন ইয়াদ ইবনুস সিদ্ক ইবন ষারদ
ইবন মুকান্না ইবন হামরমােওত ইবন কাহতান ৷ তার বংশসুত্রের অন্য রকম বর্গনাও দেয়া
হয়েছে ৷ তিনি ছিলেন বনু উমায়্যার অন্যতম মিত্র ৷ আৰান ইবনসড়াঈনইৰ্সুষ্! আস (রা)-এর
আলোচনায় তার কাতিবরুপে কর্তব্য পালনের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে৷ তিনি ব্যতিরেকে তার
আরো দশজন ভাই ছিলেন ৷ এদের মাঝে রয়েছেন আমর ইবনুল হাযরামী, মুসলামানদের
হাতে মুশরিকদের প্রথম নিহত ব্যক্তি ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন জাহান (রা)এর বাহিনীর মুসলমান
সৈনিকরা তাকে হত্যা করে৷ আগেই ৰিবৃত হয়েছে যে, এটা ছিল মুসলমানদের প্রথম
সমরাভিযান ৷ তার এক তইিয়ের নাম ছিল আমির ইবনুল হাযরামী আবু জাহল (তার উপরে
আল্পাহ্র লানতণ্ডু) তাকে বললে সে তার কাপড় খুলে ফেলে দিয়ে একেবারে বিবস্ত্র হয়ে
গিয়েছিল ৷ বদর যুদ্ধে মুসলমান ও মুশরিকরা ব্যুহ রচনা করলে আবু জাহল ওয়া উমরা-হ
(ওয়া আমিরা) বলে চীৎকার করে উঠলে সড়ইি উত্তের্জনা মুখর হয়ে উঠল এবং ৎঘর্ষ তার
চুড়ান্ত রপ পকািহ করল (পরবর্তী ঘটনাবালীর বিবরণ আমরা বথাস্থড়ানে উপস্থাপন করে
এসেছি) ৷ আশা (রা)-এর অনাতম ডাই শুরায়হ ইবনুষ্৷ হাযরামী (বা) ৷ ইনি ছিলেন শ্রোঠ
সাহাৰীদের অ্যাংতম ৷ রাসুক্রুরাহ্ (না) তার সম্পর্কেই বলেছিলেন যে, ১গুংন্ন শ্ব এ-গু এই


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «ذَاكَ رَجُلٌ لَا يَتَوَسَّدُ الْقُرْآنَ» يَعْنِي لَا يَنَامُ وَيَتْرُكُهُ، بَلْ يَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَلَهُمْ كُلُّهُمْ أُخْتٌ وَاحِدَةٌ، وَهِيَ الصَّعْبَةُ بِنْتُ الْحَضْرَمِيِّ أُمُّ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَقَدْ «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ إِلَى الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى مَلِكِ الْبَحْرَيْنِ ثُمَّ وَلَّاهُ عَلَيْهَا أَمِيرًا حِينَ افْتَتَحَهَا،» وَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا الصِّدِّيقُ، ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى عَزَلَهُ عَنْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَوَلَّاهُ الْبَصْرَةَ فَلَمَّا كَانَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ تُوُفِّيَ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ عَنْهُ كَرَامَاتٍ كَثِيرَةً مِنْهَا ; أَنَّهُ سَارَ بِجَيْشِهِ عَلَى وَجْهِ الْبَحْرِ مَا يَصِلُ إِلَى رُكَبِ خُيُولِهِمْ، وَقِيلَ: إِنَّهُ مَا بَلَّ أَسَافِلَ نِعَالِ خُيُولِهِمْ. وَأَمَرَهُمْ كُلَّهُمْ، فَجَعَلُوا يَقُولُونَ: يَا حَلِيمُ يَا عَظِيمُ. وَأَنَّهُ كَانَ فِي جَيْشِهِ، فَاحْتَاجُوا إِلَى مَاءٍ، فَدَعَا اللَّهَ فَأَمْطَرَهُمْ قَدْرَ كِفَايَتِهِمْ. وَأَنَّهُ لَمَّا دُفِنَ لَمْ يُرَ لَهُ أَثَرٌ بِالْكُلِّيَّةِ، وَكَانَ قَدْ سَأَلَ اللَّهَ ذَلِكَ، وَسَيَأْتِي هَذَا فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. لَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثَلَاثَةُ أَحَادِيثَ ; الْأَوَّلُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَمْكُثُ الْمُهَاجِرُ بَعْدَ قَضَاءِ نُسُكِهِ ثَلَاثًا» وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْجَمَاعَةُ مِنْ حَدِيثِهِ. وَالثَّانِي: قَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا مَنْصُورٌ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، «عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৪৯০


০;শ্রা “ঐ (লোক) হল এমন এক লোক যে কুরআনকে বালিশ বানিয়ে রাখে না ৷” অর্থাৎ তা
পরিহার করে ঘুমিয়ে থাকে না; বরং দিন-রাতের মুহুর্তগুলােতে তা নিয়েই মগ্ন থাকে ৷ আর
এপা র তা ই সকলের ছিল একটি মাত্র বোন ৷ তার নাম ছিল সারা বিনতুল হাযরামী তালহা
ইবন উবায়দুল্লাহ্র মা ৷

নবী করীম (সা) অ ল্যে ইবনুল হাযরামী (রা)-কে বাহরায়নের রাজা আল-যুনযির ইবন
সাওয়া-র সকাশে (দুত রুপে) পাঠিয়েছিলেন ৷ পরে বাহরায়ন বিজিত হলে তাকেই নবী করীম
(সা) সেখানকারও আমীর নিযুক্ত করেন ৷ পরে সিদ্দীক (বা) (প্রথম খলীফা) এবং তার পরে
উমর ইবনুল খাত্তাব (মা) তাকে ঐ পদে বহাল রাখেন ৷ উমর ইবনুল থাত্তাব (যা) তাকে
সেখান হতে সরিয়ে বসরার শাসনকর্তা পদে নিয়োগ করা পর্যন্ত তিনি এ পদেই বহাল ছিলেন ৷
কিন্তু বসরা পৌছার পথে পথিমধ্যেই তিনি আখিরাতের পথে যাত্রা করেন ৷ এ ছিল একুশ
হিজরীর ঘটনা ৷

বায়হাকী (র) প্রমুখ তার অনেক কারামত’-এর বিবরণ দিয়েছেন ৷ সে সবের মাঝে
উল্লেখযেগ্যে কয়েকটি একবার তিনি তার বাহিনী নিয়ে সাগরের (পানির) উপরে লোর গতি
অব্যাহত রাখেন ৷ অথচ পানি তার বাহিনীর ঘোড়াগুলাের হীর্টু পর্যন্ত ভোবাল না ৷ বেউি কেউ
বলেছেন, ঘোড়াগুলাের পায়ের নাল-এর তলাও তিজল না ৷ তিনি বাহিনীর সকলকে হুকুম
করলে তারা বলতে থাকল ণ্১-ন্-ন্^ং -,: ণ্১-ৰু১ -,: (হে সহনশীল! হে মহান ও বিশাল! আল্লাহ্ ৷) ৷
আর একবার তিনি বাহিনী নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ বাহিনীর পানির প্রয়োজন দেখা দিল ৷ তিনি
আল্লাহর নিকট দুআ করলেন ৷ আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি দিয়ে দিলেন ৷ তীর
মৃত্যু হয়ে গেলে তার লা ব্!র কোন সন্ধান পাওয়া গেল না ৷ বলা বাহুল্য এ বিষয় তিনি
আল্লাহ্র দরবারে দু আ করেছিলেন ৷াদাল ইলুন নুবুওয়াহ্ (নবুয়তের নিদর্শনাবলী) অধ্যায়ে এ
প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

আলা (রা) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে তিনটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ এক ইমাম আহমদ
(র) বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) আলা ইবনুল হাযরামী (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন মোঃ ক্রো প্া১ভ্র ৮৷ )১াএ চাৰুন্প্লু “ঘুহাজির ব্যক্তি তার হত্তজ্জর কাজ
সম্পাদনের পরে (মক্কায়) তিন দিন অবস্থান করবে ৷ বিশিষ্ট ছয় গ্রন্থকার আলা (রা) সুত্রে এ
হাদীসঢি আহরণ করেছেন ৷ দুই আহমদ (ব) বলেন, হুশায়ম (র)আলা ইবনুল হাযরামী
(রা)এর পুত্র হতে এ মর্মে যে, তার পিতা নবী করীম (না)-এর বরাবরে একটি পত্র
লিখেছিলেন ৷ তাতে তিনি নিজের নাম দিয়ে সুচনা করেছিলেন ৷ আবু দাউদ (র) ও আহমদ
ইবন হাম্বল (র) সুত্রে হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিন আহমদ ও ইবন মজাে (র )
মুহাম্মদ ইবন য’ায়দ সুত্রে আলা (বা) হতে এ মর্মে যে, তিনি বাহরায়ন হতে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট লিখে পাঠালেনষ্ কয়েক ভাইয়ের শরীকানড়াভুক্ত বাগানের ব্যাপারে যে, তাদের
একজন ইসলাম গ্রহণ করলে ? নবী করীম (না) তাকে হুকুম পাঠালেন ইসলাম গ্রহণকারীর
নিকট হতে উশর (উৎপন্ন ফসলের দশমাংশ) নিতে এবং অযুসলিমের অংশে (নির্ধারিত
পরিমাণ) খারাজ (রাজস্ব) নিতে ৷


الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّ أَبَاهُ كَتَبَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَدَأَ بِنَفْسِهِ.» وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ. وَالْحَدِيثُ الثَّالِثِ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ حِبَّانَ الْأَعْرَجِ عَنْهُ، «أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنَ الْبَحْرَيْنِ فِي الْحَائِطِ - يَعْنِي الْبُسْتَانَ - يَكُونُ بَيْنَ الْإِخْوَةِ فَيُسْلِمُ أُحُدُهُمْ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْعُشْرَ مِمَّنْ أَسْلَمَ، وَالْخَرَاجَ. يَعْنِي مِمَّنْ لَمْ يُسْلِمْ» . وَمِنْهُمُ الْعَلَاءُ بْنُ عُقْبَةَ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: كَانَ كَاتِبًا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا ذَكَرَهُ إِلَّا فِيمَا أَخْبَرَنَا. . . ثُمَّ ذَكَرَ إِسْنَادَهُ إِلَى عَتِيقِ بْنِ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ: إِنَّ هَذِهِ قَطَائِعُ أَقْطَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ. فَذَكَرَهَا، وَذَكَرَ فِيهَا: " «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَعْطَى النَّبِيُّ مُحَمَّدٌ عَبَّاسَ بْنَ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيَّ، أَعْطَاهُ مَدْفُورًا، فَمَنْ حَاقَهُ فِيهَا فَلَا حَقَّ لَهُ، وَحَقُّهُ حَقٌّ» ". وَكَتَبَ الْعَلَاءُ بْنُ عُقْبَةَ وَشَهِدَ، ثُمَّ قَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَعْطَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ عَوْسَجَةَ بْنَ حَرْمَلَةَ الْجُهَنِيَّ، مِنْ ذِي الْمَرْوَةِ وَمَا بَيْنَ بِلْكَثَةَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৪৪৯১
الظَّبْيَةِ إِلَى الْجَعَلَاتِ إِلَى جَبَلِ الْقَبَلِيَّةِ فَمِنْ حَاقَهُ فَلَا حَقَّ لَهُ، وَحَقُّهُ حَقٌّ ". وَكَتَبَهُ الْعَلَاءُ بْنُ عُقْبَةَ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ لِبَنِي شَنْخٍ مِنْ جُهَيْنَةَ، وَكَتَبَ كِتَابَهُمْ بِذَلِكَ الْعَلَاءُ بْنُ عُقْبَةَ وَشَهِدَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " هَذَا الرَّجُلَ مُخْتَصَرًا فَقَالَ: الْعَلَاءُ بْنُ عُقْبَةَ كَتَبَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَكَرَهُ فِي حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، ذَكَرَهُ جَعْفَرٌ. أَخْرَجَهُ أَبُو مُوسَى. يَعْنِي الْمَدِينِيَّ فِي كِتَابِهِ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلِمَةَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ حَرِيشِ بْنِ خَالِدِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ مَجْدَعَةَ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ الْأَنْصَارِيُّ الْحَارِثِيُّ الْخَزْرَجِيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، وَيُقَالُ: أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَيُقَالُ: أَبُو سَعِيدٍ الْمَدَنِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ. أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَقِيلَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ وَأُسِيدِ بْنِ حُضَيْرٍ. وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَالْمَشَاهِدَ بَعْدَهَا، «وَاسْتَخْلَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْمَدِينَةِ عَامَ تَبُوكَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৪৯২


উনিশ ও অন্যতম কাতিব আলা ইবন উকবা (বা) ৷ হাফিয ইবন আসাকির (র) বলেন,
তিনিও নবী করীম (সা) এর অন্যতম কাতিব ছিলেন ৷ তবে আমাদের উল্লিখিত খবর’ ব্যতীত
অন্য কা ৷উকে আ ৷মি র্তা র কথা উল্লেখ করতে দেখিনি ৷ তারপর তিনি আতীক ইবন ইয়াকুব
(র) এর সাথে স যুক্ত তা র সনদে উল্লেখ করেছেনঅড়াবদুল মালিক ইবন আবু বকর ইবন
মুহাম্মদ ইবন আম্র ইবন হাযম (র) তার পিতা-র্তা ৷র দাদা (আমৃর ইবন হাযম) সুত্রে বর্ণনা
দিয়েছেন “এ হচ্ছে জাগীর, যা রাসুলুল্পাহ্ (না) এ সম্প্রদায়কে বন্দোবস্ত দিয়েছেন এবং
তাতে উল্লেখ আছে
“রাহমান রাহীম আল্লাহ্র নামে, এ হল (সে দলীল) যা নবী মুহাম্মদ (সা) প্রদান করেছেন
আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী (রা) কে; র্তাকে মাদমুর’ (মাযমুর) প্রদান করেছেন ৷ সুতরাং
এতে যে তার সাথে প্রতিকুল দাবী-দাওয়া উত্থাপন করবে (সং ঘাত করবে) তার এতে কোন
অধিকা ৷র থাকবে না ৷ বরং তার (আব্বাস-এর) অধিকা বই হবে প্রকৃত অধিকার ৷ লিখেছে আলা
ইবন উকবা এবং সাক্ষী হয়েছে ৷
তারপর বংনািক ড়ারী (ইবন আসা ড়ামির ইবন হাযম সুত্রে) বলেছেন-
ৰু)ম্ ব্লে১ৰু,১গ্
প্রুট্র
রাহ্মান রড়াহীম আল্পাহ্র নামে এ হল (সে দলীল) যা প্রদান করেছেন আল্পাহ্র রাসুল
মুহাম্মদ (সা) আওসাজা ইবন হারমালা জুহানীকে; ঘুল-মড়ারওয়ড়া হতে চৌহদ্দী বালকছছা হতে
জাবয়া পর্যন্ত, সেখান থেকে জিইল্লাত পর্যন্ত, সেখান থেকে কাবলিয়া পর্বত পর্যন্ত ৷ সুতরাং যে
তার সাথে স০ ঘাত-সৎবল্ট করবে তার কোন সঙ্গত অধিকার নেই; তার (আওসাজার)
অধিকা বই সঙ্গত অধিকার এবং লিখেছে আলা ইবন উকবা ৷ :
ওয়াকিদী (র) তার বিভিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুহায়নার শাখা
গোত্র বনু সায়হ-কেও জাগীর দিয়েছিলেন এবং আলা ইবন উকবা (বা) এ সম্পর্কিত র্তাদের
দলীল লিখে দিয়েছিলেন এবং সাক্ষী হয়েছিলেন ৷ ইবনুল আহীর (র) র্তার উসদুল পাবা গ্রন্থে
এ মনীষীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আলা ইবন উকবা (বা) নবী কবীম
(না)-এর তরফে কাত্যিবর দায়িতৃ আঞ্জাম দিয়েছেন ৷ র্তার উল্লেখ রয়েছে আমৃর ইবন হাযম
(রা)-এর বর্ণিত হাদীসে ৷ এ কথা উল্লেখ করেছেন জাফর (র) এবং তা নিজের কিভাবে উদ্ধৃত
করেছেন আবু মুসা আল-মদােনী (র) ৷
বিশ ও অন্যতম কাতিব সাহাবী মুহাম্মদ ইবন মাসলামা ইবন জ্বরায়স (হুৱায়শ) ইবন
খালিদ ইবন আদী ইবন মাজদাআ ইবন হারিছা ইবনুল হারিছ ইবনুল খাযরাজ (বা) আনসারী
হারিন্থী ৷ কুনিয়াত আবু আবদিল্লাহ্; মতান্তরে আবু আবদির রহমান; মতান্তরে আবু সাঈদ
শ্ আল-মাদানী; বনু আবদিল আশহাল-এর মিত্র ৷ যুসআব ইবন উমায়র (রা)-এর হাতে এবং


قَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي " الِاسْتِيعَابِ " كَانَ شَدِيدَ السُّمْرَةِ طَوِيلًا أَصْلَعَ ذَا جُثَّةٍ، وَكَانَ مِنْ فُضَلَاءِ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِمَّنْ اعْتَزَلَ الْفِتْنَةَ، وَاتَّخَذَ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ. وَمَاتَ بِالْمَدِينَةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ عِنْدَ الْجُمْهُورِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَقَدْ رَوَى حَدِيثًا كَثِيرًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُدَايِنِيِّ بِأَسَانِيدِهِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ هُوَ الَّذِي كَتَبَ لِوَفْدِ مُهْرَةَ كِتَابًا عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيُّ، وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ فِي أَيَّامِ إِمَارَتِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ ذَكَرَهُ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي كِتَابِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ سِمَاكِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ» أَبَا سُفْيَانَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالَ: تُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ. قَالَ: " نَعَمْ ". الْحَدِيثَ. وَقَدْ أَفْرَدْتُ لِهَذَا الْحَدِيثِ جُزْءًا عَلَى حِدَةٍ بِسَبَبِ مَا وَقَعَ فِيهِ مِنْ ذِكْرِ طَلَبِهِ تَزْوِيجَ أُمِّ حَبِيبَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ فِيهِ مِنَ الْمَحْفُوظِ تَأْمِيرُ أَبِي سُفْيَانَ وَتَوْلِيَتُهُ مُعَاوِيَةَ مَنْصِبَ الْكِتَابَةِ بَيْنَ يَدَيْهِ، صَلَوَاتُ
পৃষ্ঠা - ৪৪৯৩


মতান্তরে সাদ ইবন মুআয ও উসায়দ ইবন হুযায়র (না)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
রড়াসুলুল্পাহ্ (সা) তীর মদীনা আগমনের পরে তার সঙ্গে আবু উবায়দা ইবনুল জারুরাহ (রা)-এর
সঙ্গে ভাই সম্পর্ক স্থাপন করে দেন ৷ বদর ও পরবর্তী অতিযানসমুহে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ৷
তাবুক অভিযান কালে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত (ভারপ্রাপ্ত) করে
গিয়েছিলেন ৷ ইবন আবদিল বাবুর (র) তার আল-ইসভীআব’ষ্এ বলেছেন, তিনি ছিলেন
প্রকট বাদামী বর্ণের, দীর্ঘকায়, ঢাক-মাথা (বড় কপড়াল) বিশাল দেহী ৷ তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ
সাহাবীগণের অন্যতম ৷ তিনি মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ কােন্দল ও গৃহযুদ্ধে নির্জ্য৷ নিরপেক্ষতা
অবলম্বন করেছিলেন এবং এ সময় একটি কাঠের তরৰারি তৈরী করে রেখেহিলেন ৷ ’

আপামর বর্ণনাকাবীদের প্রসিদ্ধ বর্ণনা অনুসারে তেতাল্লিশ হিজবী সনে মদীনায় তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ মারওয়ান ইবন হাকাম তার জানাযায় ইমামতি করেন ৷ নবী করীম (না)
হতে তিনি অনেকগুলো হাদীস ৰিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আলী ইবন
মুহাম্মদ আল-মাদাইনী (র)-এর একাধিক সনদে উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা
(রা)-ই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দোশ বনু মুর্রা প্রতিনিধি দলের জন্য একটি সনদপত্র লিখে
দিয়েছিলেন ৷

একুশ : কাতিব তালিকায় বিশিষ্ট নাম মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান সাখর ইবন হারব
ইবন উমায়্যা উমড়াবী (বা) ৷ তার শাসন কালের আলোচনায় তার জীবন চরিত বিবৃত হবে-
ইনশাআল্লাহ্ তাআলা ৷ মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) তার গ্রন্থে (কাতিব তালিকায়) মুআবিয়া
(রা)-এর নাম উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলিম (র) তার সহীহতে রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ ইকরিমা
ইবন আত্মার (র)ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু সুফিয়ান (বা) বললেন,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! তিনটি বিষয় আমাকে দিয়ে দিন ৷ নবী করীম (সা) বললেন, ঠিক আছে; আবু
সুফিয়ান (রা) বললেন, আমাকে আমীর ও সেনাপতি নিয়োগ করবেন যাতে আমি কাফিরদের
মুকাবিলায় সেভাবে লড়ইি করতে পারি যেভাবে লড়ইি করতাম মুসলমানদের মুকাৰিলড়ায় ! নবী
করীম (সা) বললেন, ঠিক আছে (তইি হবে) ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, আর মুআবিয়াকে
আপনার দফ্তরে কাতিব (সচিব) নিয়োগ করবেন! নবী করীম (সা) বললেন, হী (তাই

এ হাদীসটি নিয়ে আমি একটি পৃথক পুস্তিক৷ তৈরী করেছি ৷ তার পেছনে কারণ হল এ
হাদীসে আবু সুফিয়ান (রা) কর্তৃক (তার কন্যা) উম্মু হড়াবীবড়াকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে
বিবাহ দানের দাবীর উল্লেখ ৷ অথচ (বাস্তবতা এর অনুকুল নয় যেহেতু) এ ক্ষেত্রে সংরক্ষিত
বিবরণ হল আবু সুফিয়ান (রা)-£ক সেনাপতি নিয়োগ এবং মুআৰিয়া (রা)-কে নবী করীম
(সা)এর সমীপে কাতিবের পদ-মর্যাদায় নিয়োগের আবেদন এবং এতটুকুই এ ক্ষেত্রে
আলিমগণের সর্বজন সম্মত মত ৷ আর প্রাসঙ্গিক হাদীসটি এরুপ হাফিয ইবন আসাকির (র)
তার তাবীখ’ গ্রন্থের এ ক্ষেত্রে এসে মুআবিয়া (রা)-এর জীবনী আলোচনার বলেছেন ৷ আবু
গালিব ইবনুল বানৃনাজাবির (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, মুআৰিয়া (রা)-কে কাতিব পদে



১ কােন্দলের প্ৰতি ৰিতৃষ্ণা ও পুর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ৷ অনুবাদক


পৃষ্ঠা - ৪৪৯৪
كَانَ كَذَّابًا. وَبِالْجُمْلَةِ فَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَيْسَ بِثَابِتٍ وَلَا يُغْتَرُّ بِهِ، وَالْعَجَبُ مِنَ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ مَعَ جَلَالَةِ قَدْرِهِ وَاطِّلَاعِهِ عَلَى صِنَاعَةِ الْحَدِيثِ أَكْثَرَ مَنْ غَيْرِهِ مِنْ أَبْنَاءِ عَصْرِهِ - بَلْ وَمَنْ تَقَدَّمَهُ بِدَهْرٍ - كَيْفَ يُورِدُ فِي " تَارِيخِهِ " هَذَا وَأَحَادِيثَ كَثِيرَةً مِنْ هَذَا النَّمَطِ، ثُمَّ لَا يُبَيِّنُ حَالَهَا، وَلَا يُشِيرُ إِلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ إِشَارَةً لَا ظَاهِرَةً، وَلَا خَفِيَّةً! وَمِثْلُ هَذَا الصَّنِيعِ فِيهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ الثَّقَفِيُّ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ فِيمَنْ كَانَ يَخْدِمُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ أَصْحَابِهِ مِنْ غَيْرِ مَوَالِيهِ، وَأَنَّهُ كَانَ سَيَّافًا عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ، عَنْ عَتِيقِ بْنِ يَعْقُوبَ بِإِسْنَادِهِ الْمُتَقَدِّمِ غَيْرَ مَرَّةٍ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ هُوَ الَّذِي كَتَبَ إِقْطَاعَ حَصِينِ بْنِ نَضْلَةَ الْأَسَدِيِّ الَّذِي أَقْطَعُهُ إِيَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَمْرِهِ. فَهَؤُلَاءِ كُتَّابُهُ الَّذِينَ كَانُوا يَكْتُبُونَ بِأَمْرِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.