আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

باب بيان أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يترك شيئا يورث عنه

باب بيان أنه عليه الصلاة والسلام قال " لا نورث "

পৃষ্ঠা - ৪৩২৩

নবী করীম (না) এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ

নবী করীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন

“আমার মীরাছ বন্টিত হবে না দীনড়ারও না, দিরহামও না ৷ আমার শ্রীদের থােরপােষ এবং
আমার আমিল (কর্মচারী)-দের ব্যয় নির্বাহের পরে যা অবশিষ্ট রেখে যাব তা হবে সাদাকা ৷
বুখাবী-মুসলিম ও আবু দাউদ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন, মালিক ইবন আনাস (র),
আবু হুরায়রা (না)-এর বরাতে একাধিক সনদে, এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“আমার মীরাছ দীনাররুপে বন্টিত হবে না ৷ বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা আবদুল্লাহ ইবন
মাস্লামা (র) আইশা (না) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে নবী
সহধর্মিনীগণ তাদের মীরাছের দাবী উথাপনের উদ্দেশ্যে উছমান (রা)-কে আবু বকর (বা)
সমীগে পাঠাতে মনস্থ করলেন ৷ তখন আইশা (রা) বললেন, কেন, রাসুলুল্পাহ (না) কি এ কথা
বলে নি যে, ট্রেএপ্লুপ্রুও মহ্ও১ন্ৰু এেওঢুওত্রু আমরা (নবীগণ) ওয়ারিছ বানিয়ে যাই না, আমরা যা
রেখে যাই তা সড়াদাকা ? মুসলিম (র)-ও হাদীসটি ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) সুত্রে এবং
আবু দাউদ (র) কানাবী (র) সুত্রে এবং নাসাঈ (র) কুতায়বা সুত্রে (সকলেই) মালিক (র)
সুত্রে, অনুরুপই রিওয়ায়াত ক্যরছেন ৷

পর্যালোচনা : তা হলে ঘীরাছ প্রাপিকা স্তীদের অন্যতমা (আইশা) যদি মীরাছের কথা ধরে
নেয়া হয় স্বীকারােক্তি দিচ্ছেন যে, নবী কবীম (সা) তীর পরিত্যক্ত সম্পদকে মীরাছ নয়,
সড়াদাকা সাবম্ভে করে গিয়েছেন ৷ আর স্পষ্টতই বলা যায় যে, অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন্যাণও তার
এ রিওয়ায়াতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং নবী করীম (না)-এর বাণী র্তারা স্মরণ
করতে পেরেছেন ৷ কেননা, তার বর্ণনা ভৎগি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি র্তাদের জ্ঞাত ও
স্বীকৃত ছিল ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

বুখাবী (র) আরো বলেছেন, ইসমড়াঈল ইবন আবড়ান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে
নবী করীম (সা) বলেছেন, “আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা
সড়াদাকা ৷ ” বুখারী (র)এর একটি “অনুচ্ছেদ শ্যিরানাম : রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাণী আমরা
মীরাছ রেখে যইি না; আমরা যা রেখে যাই তা সড়াদাকা ৷ ” আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আইশা
(বা) থেকে বংনাি করেন যে, ফাতিমা ও আব্বাস (বা) বড়াসুলুল্লাহ (না)-এর উত্তরাধিকারীরুগে
তাদের প্রাপ্য মীরাছের আবেদন নিয়ে আবু বকর (না)-এর নিকটে গেলেন ৷ র্তারা ফাদাকে
নবী কৰীম (সা) এর ভুমি এবং খায়বারে তার প্রাপ্য অংশের দাবী করছিলেন ৷ আবু বকর (বা)
তাদের দু’জনকে বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছিশ্


[بَابُ بَيَانِ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَالَ " لَا نُورَثُ "] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَبْلُغُ بِهِ، وَقَالَ مَرَّةً قَالَ: قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ مِيرَاثَهُنَّ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ؟» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، وَأَبُو دَاوُدَ عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ،
পৃষ্ঠা - ৪৩২৪
كُلُّهُمْ عَنْ مَالِكٍ بِهِ. فَهَذِهِ إِحْدَى النِّسَاءِ الْوَارِثَاتِ - إِنْ لَوْ قُدِّرَ مِيرَاثٌ - قَدِ اعْتَرَفَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ مَا تَرَكَهُ صَدَقَةً لَا مِيرَاثًا، وَالظَّاهِرُ أَنَّ بَقِيَّةَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَافَقْنَهَا عَلَى مَا رَوَتْ، وَتَذَكَّرْنَ مَا قَالَتْ لَهُنَّ مِنْ ذَلِكَ، فَإِنَّ عِبَارَتَهَا تُؤْذِنُ بِأَنَّ هَذَا أَمْرٌ مُقَرَّرٌ عِنْدَهُنَّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا هِشَامٌ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ وَالْعَبَّاسَ أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمَا حِينَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَهُ مِنْ فَدَكَ وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ. فَقَالَ لَهُمَا أَبُو بَكْرٍ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ» قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللَّهِ لَا أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُهُ فِيهِ إِلَّا صَنَعْتُهُ. قَالَ: فَهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى مَاتَتْ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ.
পৃষ্ঠা - ৪৩২৫


আমরা মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা পরিত্যাগ করে যাই তা সাদাকা ৷ তবে মুহাম্মদ
পরিবার এ সম্পদ হতে (খােরপোষ) গ্রহণ করবে ৷” আবু বকর (বা) আরো বললেন,
“আল্লাহ্র কসম ! এ সম্পদে রাসুলুল্পাহ (না)-কে যা কিছু আমি করতে দেখেছি তা-ই আমি
করব ৷” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হতে ফাতিমা (বা) তার মৃত্যু পর্যন্ত আবু বকর (রা)-এর
সংগে বাক্যালাপ করতেন না ৷ ইমাম আহমদ (র)-ও হাদীসঢি আব্দুর রায্যাক (র) সুত্রে
অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বর্ণনায় আহ্মদ (র) ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (র)
অইিশা (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতের পরে ফা ৷তিমা (রা)
আবু বকর (বা) এর কাছে তার মীরাছ অর্থাৎ আল্লা হ্র দেয়া আর য’(সন্ধিলব্ধ সম্পদ) হতে নবী
করীম (সা) যা রেখে গিয়েছিলেন তা দাবী করলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) তাকে বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমরা ঘীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা ৷
ফলে ফাতিমা (রা) রল্ট হয়ে আবু বকর (রা)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এবং তার মৃত্যু
পর্যন্ত এ সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত ছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরে
ফাতিমা (রা) ছয় মাস বেচে ছিলেন ৷

এ প্রসংগে ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনা অনুরুপই ৷ তবে বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
মাগাযী’ (সময়) অধ্যায়ে হাদীসটি ইবন আবু বকর (র) আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন (যা পুর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে) ৷ তাতে তিনি অধিক বলেছেন যে, ফাতিমা (বা) মৃত্যুবরণ
করলে রাতের বেলা আলী (যা) তাকে দাফন করলেন এবং আবু বকর (রা)-কে অবহিত না
করেই তিনি নিজেই তার (জানাযা) প্সালাত আদায় করলেন ৷ ফাতিমা (রা)-এর জীবদ্দশায়
মানুষের কাছে আলী (রা)-এর বিশেষ সমাদর ছিল ৷ ফাতিমা (রা)-এর মৃত্যু হলে আলী (বা)
লোকদের ঢেহারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন ৷ তখন তিনি আবু বকর (রা)-এর সাথে সন্ধি-
সৌহার্দ গড়ে তুলতে এবং বায়আত করতে প্রয়াসী হলেন ৷ পুর্বের মাসগুলিতে তিনি বায়আত
করেননি ৷ এ উদ্দেশ্যে তিনি আবু বকর (রা) এর নিকটে সংবাদ পাঠালেন যে, আমাদের
এখানে তশ ৷রীফ আনবেন, তবে আপনার স ×গে অন্য কেউ যেন না আসে ৷ তিনি উমর (রা)-
এর স্বভ ৷ব কঠােরত৷ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন বিধায় তার আগমন পসন্দ করছিলেন না ৷ উমর
(রা) বললেন, “আল্লাহর কসম! আপনি একা ৷কী তাদের কাছে যাবেন না ৷ আবু বকর (বা)
বললেন, কেন, তারা আমার সংগে আর কী ই বা করবে ? আল্লাহর কসম ৷ আ ৷মি অবশ্যই

তাদের কাছে যাব ৷ আবু বকর (বা) সেখানে গেলেন ৷ আ ৷লী (রা) বললেন, আমরা আপনার
মাহাত্ম্য এবং আপনার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং যে কল্যাণে আল্লাহ
আপনাকে দান করেছেন তাতে আমরা আপনার প্রতি ঈযানিত নই ৷ তবে আপনারা (খিলাফত)
বিষয়টিতে একাধিপত্য বিস্ত৷ ৷র করেছেন; অথচ র ৷সুলুল্লাহ (সা) এর সংগে আমাদের আত্মীয়তা
সুত্রে আমরা ধারণা করতাম যে, বিষয়টিতে আমাদের বিশেষ হিসৃসা রয়েছে ৷” আলী (রা)
এভাবে বলতে থাকলেন যাতে শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা)-কেদে ফেললেন এবং বললেন, যার
হাতে আমার জীবন তার শপথ! রাসুলুল্লা হ (সা) এর আত্মীয়দের সংগে সদাচরণ রক্ষা করে
চলা আমার কাছে আমার নিজের আত্মীয়দের স ×গে সদাচরণের তুলনায় অধিক কাম্য ৷ আর এ


ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِيرَاثَهَا مِمَّا تَرَكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهَا أَبُو بَكْرٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» فَغَضِبَتْ فَاطِمَةُ، وَهَجَرَتْ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ تَزَلْ مُهَاجِرَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَتْ. قَالَ: وَعَاشَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ. وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. هَكَذَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي مِنْ " صَحِيحِهِ " عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَزَادَ: فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ دَفَنَهَا عَلِيٌّ لَيْلًا وَلَمْ يُؤْذِنْ بِهَا أَبَا بَكْرٍ، وَصَلَّى عَلَيْهَا، وَكَانَ لِعَلِيٍّ مِنَ النَّاسِ وَجْهٌ حَيَاةَ فَاطِمَةَ. فَلَمَّا تُوُفِّيَتِ اسْتَنْكَرَ عَلِيٌّ وُجُوهَ النَّاسِ، فَالْتَمَسَ مُصَالَحَةَ أَبِي بَكْرٍ وَمُبَايَعَتَهُ، وَلَمْ يَكُنْ بَايَعَ تِلْكَ الْأَشْهُرَ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ: ائْتِنَا وَلَا يَأْتِنَا مَعَكَ أَحَدٌ. وَكَرِهَ أَنْ يَأْتِيَهُ عُمَرُ لِمَا عَلِمَ مِنْ شِدَّةِ عُمَرَ، فَقَالَ عُمَرُ، وَاللَّهِ لَا تَدْخُلُ عَلَيْهِمْ وَحْدَكَ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَمَا عَسَى أَنْ يَصْنَعُوا بِي؟ وَاللَّهِ لَآتِيَنَّهُمْ. فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَتَشَهَّدَ عَلِيٌّ وَقَالَ: إِنَّا قَدْ عَرَفْنَا فَضْلَكَ وَمَا أَعْطَاكَ اللَّهُ، وَلَمْ نَنْفَسْ عَلَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৬
خَيْرًا سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْكَ، وَلَكِنَّكُمُ اسْتَبْدَدْتُمْ بِالْأَمْرِ، وَكُنَّا نَرَى لِقَرَابَتِنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ لَنَا فِي هَذَا الْأَمْرِ نَصِيبًا. فَلَمْ يَزَلْ عَلِيٌّ يَذْكُرُ حَتَّى بَكَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي، وَأَمَّا الَّذِي شَجَرَ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فِي هَذِهِ الْأَمْوَالِ فَإِنِّي لَمْ آلُ فِيهَا عَنِ الْخَيْرِ، وَلَمْ أَتْرُكْ أَمْرًا صَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا صَنَعْتُهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: مَوْعِدُكَ لِلْبَيْعَةِ عَشِيَّةً. فَلَمَّا صَلَّى أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، الظُّهْرَ رَقِيَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ، وَذَكَرَ شَأْنَ عَلِيٍّ وَتَخَلُّفَهُ عَنِ الْبَيْعَةِ، وَعُذْرَهُ بِالَّذِي اعْتَذَرَ بِهِ، وَتَشَهَّدَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَعَظَّمَ حَقَّ أَبِي بَكْرٍ، وَذَكَرَ فَضِيلَتَهُ وَسَابِقَتَهُ، وَحَدَّثَ أَنَّهُ لَمْ يَحْمِلْهُ عَلَى الَّذِي صَنَعَ نَفَاسَةٌ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ قَامَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَبَايَعَهُ فَأَقْبَلَ النَّاسُ عَلَى عَلِيٍّ فَقَالُوا: أَحْسَنْتَ. وَكَانَ النَّاسُ إِلَى عَلِيٍّ قَرِيبًا حِينَ رَاجَعَ الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ. فَهَذِهِ الْبَيْعَةُ الَّتِي وَقَعَتْ مِنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِأَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَ وَفَاةِ فَاطِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، بَيْعَةٌ مُؤَكِّدَةٌ لِلصُّلْحِ الَّذِي وَقَعَ بَيْنَهُمَا، وَهِيَ ثَانِيَةٌ لِلْبَيْعَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا أَوَّلًا يَوْمَ السَّقِيفَةِ، كَمَا رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَصَحَّحَهُ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، وَلَمْ يَكُنْ عَلِيٌّ مُجَانِبًا لِأَبِي بَكْرٍ هَذِهِ السِّتَّةَ الْأَشْهُرِ، بَلْ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৭


সম্পদে আপনাদের মাঝে যে কলহ দেখা দিয়েছে তাতে উত্তম পন্থা অবলম্বনে আ ৷মি শৈথিল্য
কবিনি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) করে গিয়েছেন এমন কিছু আমি ত্যাগ করিনি ৷ পরে আবু বকর (বা)
যুহর সালাত আদায়ের পর মিম্বরে উঠলেন এবং হাম্দ সালাত পাঠের পরে আলী (রা) এর
অবস্থান, বায়আত হতে তার পিছিয়ে থাকা এবং সে ব্যাপারে পেশকৃত কৈফিয়তের বিবরণ দান
করলেন ৷ আলী (রা)-ও হাম্দ ও দরুদ আদায়ের পরে আবু বকর (রা)ষ্এর অ্যাধিকার তার
মাহাত্ম্য এবং তার যোণতো ও অবদান ড্ডাগণ্যতার বিবরণ দিলেন ৷ তিনি এ কথাও বললেন
যে, তিনি যা কিছু করেছেন তার পেছনে আবু বকর (রা) এর প্রতি ঈর্ষাবােধ ছিল না ৷ তারপর
তিনি আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে দাড়িয়ে তার হাতে বায়আত করলেন ৷ তখন লোকেরা
আলী (রা)-এর কাছে এগিয়ে এসে তাকে মুবারকবাদ জ্ঞাপন করল এবং তাকে অভিনন্দিত
করলো ৷ এ ন;া৷যসংপত অবস্থানে প্ৰতব্রুাবর্তনের পর সাধারণ্যে আলী (রা) এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
পায় ৷ বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নানা ৷ঈ (র) প্রমুখও হাদীসটি যুহ্রী (র),অ আইশা (রা)
সনদে একা ৷ধিক পন্থায় প্রায় অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

পর্যালোচনাং : ফাতিম৷ (বা) এর মৃত্যুর পরে আলী (বা) কতৃক আবু বকর (বা) এর হাতে

এ রায় আত গ্রহণ ৷ছিল তাদের মাঝে সং ঘটিত আপােষ ও সস্প্রীতির মনোভারের দৃঢ়তা জ্ঞা ৷পক
বায় আত ৷ আর এ বায়৷ আত ছিল আমাদের পুর্বোল্লিখিদ্ভ সার্কীফ৷ দিবসের বায় আতের
নবায়ন ও দ্বিতীয় বারের বায়আত-যেমন ইবন থুযায়ম৷ (র) রিওয়ায়াত করেছেন এবং
মুসলিম (র) তার সহীহ গ্রন্থেও তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং আলী (বা) এ ছয় মাস যাবত
আবু বকর (রা)-কে পাশ কাটিয়ে চলেছিলেন এমন নয় ৷ বরং তিনি নিয়মিত আবু বকরের
পিছনে সালাত আদায় করছিলেন এবং মজলিসে শুরার পরামর্শ বৈঠকেও উপস্থিত থাকছিলেন
য়ুল কাসৃসা অভিয৷ ৷নও তিনি আবু বকর (রা) এর সংগে অৎশ্যাহণ ৷করেছিলেন (পরবর্তী বর্ণনা
দ্রষ্টব্য) ৷ সহীহুল বুখারীতে রয়েছে, যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতে তর কয়েক দিন পরে আবু
বকর (রা) আসর সালাত আদায় করলেন ৷ পরে মসজিদ হতে বের হয়েও তিনি হাসান ইবন
আলী (রা)-কে বালকদের সাথে খেলা করতে দেখতে পেয়ে তাকে নিজের কাধে তুলে নিলেন
এবং বলতে লাগলেন, দেখাে নবী করীম (না)-এর গঠনের সাথে এর কতই না মিল, আলী-র
সাথে নয় ! “আলী (বা) তা দেখছিলেন আর হাসছিলেন ৷ কিন্তু এ দ্বিতীয় বারের বায়আত
ৎযটিত হওয়ার কারণে বর্ণনা-কড়ারীদের মাঝে কারো কারো ধারণা জন্মেছে যে, ইতোপুর্বে
আলী (বা) বায়আত করেননি, তাই তারা তা অস্বীকার করেছেন ৷ অথচ (বিধান অনুসারে)
ইতিবাচক বিবরণ নেতিবাচকের তুলনায় অগ্নগণ্য ৷ যেমনটি যথাস্থানে বিবৃত ও স্থিরীকৃত
হয়েছে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ তবে আবু বকর রাবিয়াল্লাহ আনহুর প্ৰতি ফাতিমা
রাযি য়াল্লাহু আনহার অসন্তুষ্টির কারণ আমার বোধগম্য হয়নি ৷ যদি তা তার দাবীকৃত মীরাছ
প্রদানে আবু বকর (বা) এর অস্বীকৃতির কারণে হয় তবে তিনি তো এ বিষয় নিজের
অপরাপতার এমন কা রণ ৷দর্শিয়েছেন যা গ্রহণ না করে গতন্তের যেই ৷ তা হলত তারই পিতা ও
আল্লাহর রাসুল (সা) হতে আহরিত রিওয়ায়াত যে,৩ তিনি বলেছেন, আমরা ষীরাছ রেখে যাই
না; আমরা যা রেখে যাই তা হয়ে সাদাক৷ ৷ আর নবী করীম (সা)এর ভাষ্যের প্রতি ফাতিমা
(রা)-র অনুপত্যও প্রশ্নাভীত ব্যাপার ৷ যদিও মীরাছের দাবী করার আগে বিষয়টি তার অজ্ঞাত


كَانَ يُصَلِّي وَرَاءَهُ وَيَحْضُرُ عِنْدَهُ لِلْمَشُورَةِ، وَرَكِبَ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ صَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ، ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ، فَاحْتَمَلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: بِأَبِي شَبِيهُ النَّبِيِّ، لَيْسَ شَبِيهًا بَعَلِيٍّ، وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ. وَلَكِنْ لَمَّا وَقَعَتْ هَذِهِ الْبَيْعَةُ الثَّانِيَةُ اعْتَقَدَ بَعْضُ الرُّوَاةِ أَنَّ عَلِيًّا لَمْ يُبَايِعْ قَبْلَهَا، فَنَفَى ذَلِكَ، وَالْمُثْبِتُ مُقَدَّمٌ عَلَى النَّافِي، كَمَا تَقَدَّمَ وَكَمَا تَقَرَّرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا تَغَضُّبُ فَاطِمَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا - عَلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَمَا أَدْرِي مَا وَجْهُهُ، فَإِنْ كَانَ لِمَنْعِهِ إِيَّاهَا مَا سَأَلَتْهُ مِنَ الْمِيرَاثِ، فَقَدِ اعْتَذَرَ إِلَيْهَا بِعُذْرٍ يَجِبُ قَبُولُهُ، وَهُوَ مَا رَوَاهُ عَنْ أَبِيهَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» وَهِيَ مِمَّنْ تَنْقَادُ لِنَصِّ الشَّارِعِ الَّذِي خَفِيَ عَلَيْهَا قَبْلَ سُؤَالِهَا الْمِيرَاثَ، كَمَا خَفِيَ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَخْبَرَتْهُنَّ عَائِشَةُ بِذَلِكَ، وَوَافَقْنَهَا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ يُظَنُّ بِفَاطِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا اتَّهَمَتِ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِيمَا أَخْبَرَهَا بِهِ حَاشَاهَا وَحَاشَاهُ مِنْ ذَلِكَ، كَيْفَ وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَعَائِشَةُ؟ ! رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ قَرِيبًا، وَلَوْ تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৮
الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَوَجَبَ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْأَرْضِ قَبُولُ رِوَايَتِهِ، وَالِانْقِيَادُ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ غَضَبُهَا لِأَجْلِ مَا سَأَلَتِ الصِّدِّيقَ - إِذْ كَانَتْ هَذِهِ الْأَرَاضِي صَدَقَةً لَا مِيرَاثًا - أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا يَنْظُرُ فِيهَا، فَقَدِ اعْتَذَرَ بِمَا حَاصِلُهُ أَنَّهُ لَمَّا كَانَ خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ يَرَى أَنَّ فَرْضًا عَلَيْهِ أَنْ يَعْمَلَ بِمَا كَانَ يَعْمَلُهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَلِي مَا كَانَ يَلِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِهَذَا قَالَ: وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَدَعُ أَمْرًا كَانَ يَصْنَعُهُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا صَنَعْتُهُ. قَالَ: فَهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ، فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى مَاتَتْ. وَهَذَا الْهِجْرَانُ وَالْحَالَةُ هَذِهِ فَتَحَ عَلَى فِرْقَةِ الرَّافِضَةِ شَرًّا عَرِيضًا، وَجَهْلًا طَوِيلًا، وَأَدْخَلُوا أَنْفُسَهُمْ بِسَبَبِهِ فِيمَا لَا يَعْنِيهِمْ، وَلَوْ تَفَهَّمُوا الْأُمُورَ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ لَعَرَفُوا لِلصِّدِّيقِ فَضْلَهُ، وَقَبِلُوا مِنْهُ عُذْرَهُ الَّذِي يَجِبُ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ قَبُولُهُ، وَلَكِنَّهُمْ طَائِفَةٌ مَخْذُولَةٌ، وَفِرْقَةٌ مَرْذُولَةٌ، يَتَمَسَّكُونَ بِالْمُتَشَابِهِ، وَيَتْرُكُونَ الْأُمُورَ الْمُحْكَمَةَ الْمُقَرَّرَةَ عِنْدَ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ، مِنَ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعَيْنِ فَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْعُلَمَاءِ الْمُعْتَبَرِينَ فِي سَائِرِ الْأَعْصَارِ وَالْأَمْصَارِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَأَرْضَاهُمْ أَجْمَعِينَ.