আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

قصة سقيفة بني ساعدة

পৃষ্ঠা - ৪২১৯


খেলেন এবং তার ওফাত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে লোকদের কাছে বেরিয়ে গিয়ে মিম্বারের পাশে
দাড়িয়ে তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি সব সন্দেহের অপনােদন ও সব প্রশ্নের অবসান
ঘটিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের ঘোষণা দিলেন ৷ যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ আগত
লোকেরা তার কাছে সমবেত হল এবং সাহাবীদের জামাআত তার হাতে বয়আত গ্রহণ করল ৷
তবে কতক আনসারীর (বা) মনে বিষয়টিকে খটকা বীধে এবং তাদের কারো কারো কাছে
একজন আনসারীকে খলীফা মনোনয়ন সযীচীন মনে হলো ৷

কেউ আবার আপােয বফার পন্থায় মুহাজিরদের মধ্য হতে একজন আমীর এবং
আনসারদের পক্ষে একজন আমীর হওয়ার কথা বলতে লাপলেন ৷ এ পরিস্থিতিতে আবু বকর
সিদ্দীক (রা) র্তাদের কাছে স্পষ্ট করে দিলেন যে, (বিধান মতে) খিলাফতের পদাধিকারী রুপে
কুরায়শদের মধ্য হতেই কেউ মনোনীত হবেন ৷ ফলে তারা সকলে আবু বকরের আনুগত্যে
আস্থা জ্ঞাপন করলেন ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পরে আসছে ৷

বনু সাঈদা : মজলিস বরের ঘটনা

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, ইসহাক ঈসা আততাব বা (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) তার অবস্থান ক্ষেত্রে ফিরে এলেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-কে পাঠ’ গােনাতড়াম;
তিনি এসে আমাকে প্রভীক্ষমান দেখলেন-এটা ছিল উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) এর শেষ হরুজ্জর
সময় মিনার ঘটনা ৷ তখন আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) বললেন, এক ব্যক্তি উমর ইবনুল
খক্টত্তাব (বা) এর কাছে এসে বলল, অযুক’ ণ্লাক বলে যে, “উমরের মৃত্যু হলে আমি অঘুকের
হাতে বায়আত করবো ৷

তখন উমর (রা) বললেন, “ইনশাআল্লাহ ৷ আজ বিকালে আমি লোকদের সমবেত করে
ভাষণ দেব এবং এ কেফকা সম্পর্কে সতর্ক করে দেব যারা জনতার হাত থেকে তাদের
অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায় ৷ আবদুর রহমান বলেন, আমি তখন বললাম, আমীরুল ঘু’মিনীন!
এমন করবেন না ৷

কেননা, হত্তজ্জর মওসুমে অনেক সাধারণ ও থে’ড়ালমাল পাকানাে লোকের সমাবেশ ঘটে ৷
আর আপনার মজলিসে এদের সংখ্যাই বেশী থাকে ৷ তাই, আমার আশঙ্কা, হয় যে, আপনি
লোকদের সামনে কোন গুরুত্পুর্ণ কথা বললেও এ সব লোক তা বুঝে না বুঝে দৌড়াতে শুরু
করবে এবং তারা যথাযথ সংরক্ষণ করবে না, যথার্থ ক্ষেত্রে ও পাত্রে তা প্রয়ােগও করবে না ৷
বরং আপনি মদীনায় পৌছা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন! কেননা, মদীনা হচ্ছে হিজরাত ও সুন্নাতের
কেন্দ্র ৷ সেখানে আপনি উম্মাহ্র আলিমকুল ও অভিজাত গ্রেণীকে একাস্তে পারেন এবং তখন
আপনি ধীরে ন্থিরে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন ৷ ফলে তারা আপনার বক্তব্য
যথাযথ রুপে অনুধাবন ও সংরক্ষণ করে তা যথাস্থানে প্রয়োগ করবেন ৷ উমর (রা) বললেন,
“সুস্থ দেহে আমি মদীনায় পৌছুতে পারলে আল্লাহ চাহেন তো সেখানে আমার প্রথম বক্তব্য
প্রদানের সুযােগেই আমি এ বিষয় লোকদের সামনে বক্তব্য রাখব ৷ তারপর জিলহদ্বজ্জর শেষ
দিকে যখন আমরা মদীনায় পৌছলাম এবং ওক্রাড়ার দুপুর হতে না হতে আমি চোখ খুজে’


[قِصَّةُ سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى الطَّبَّاعُ، ثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ رَجَعَ إِلَى رَحْلِهِ - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَوَجَدَنِي وَأَنَا أَنْتَظِرُهُ - وَذَلِكَ بِمِنًى فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: إِنَّ رَجُلًا أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلَانًا. فَقَالَ عُمَرُ: إِنِّي قَائِمٌ الْعَشِيَّةَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فِي النَّاسِ، فَمُحَذِّرُهُمْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ أَمْرَهُمْ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَفْعَلْ فَإِنَّ الْمَوْسِمَ يَجْمَعُ رِعَاعَ النَّاسِ وَغَوْغَاءَهُمْ، وَإِنَّهُمُ الَّذِينَ يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ إِذَا قُمْتَ فِي النَّاسِ، فَأَخْشَى أَنْ تَقُولَ مَقَالَةً يَطِيرُ بِهَا أُولَئِكَ فَلَا يَعُوهَا، وَلَا يَضَعُوهَا مَوَاضِعَهَا، وَلَكِنْ حَتَّى تَقْدَمَ الْمَدِينَةَ ; فَإِنَّهَا دَارُ الْهِجْرَةِ وَالسُّنَّةِ، وَتَخْلُصُ بِعُلَمَاءِ النَّاسِ وَأَشْرَافِهِمْ، فَتَقُولُ مَا قُلْتَ مُتَمَكِّنًا، فَيَعُونَ مَقَالَتَكَ وَيَضَعُونَهَا مَوَاضِعَهَا. قَالَ عُمَرُ: لَئِنْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ سَالِمًا صَالِحًا لَأُكَلِّمَنَّ بِهَا النَّاسَ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ. فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فِي عَقِبِ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةَ عَجَّلْتُ الرَّوَاحَ صَكَّةَ الْأَعْمَى - قُلْتُ لِمَالِكٍ: وَمَا صَكَّةُ الْأَعْمَى؟ قَالَ: إِنَّهُ لَا يُبَالِي أَيَّ سَاعَةً
পৃষ্ঠা - ৪২২০


(মসজিদের দিকে) ছুটে চললাম ৷ ’ গিয়ে দেখি সাঈদ ইবন যায়দ আমার আগেই এসে
গিয়েছেন এবং মিম্বারের ডান স্তম্ভের কাছে বসে রয়েছেন ৷ আমি গিয়ে তার বরাবরে
বসলাম-এভাবে যে আমার হীটু তার হীটুকে স্পর্শ করছিল ৷ আমির বসতে না বসতেই উমর
(রা) এসে পৌছলেন ৷ তাকে দেখতে পেয়ে আমি বললাম এ অপরাহ্নে এ মিম্বরে তিনি এমন
কিছু বলবেন না ইতোপুর্ব কেউ বলেন নি, সাঈদ ইবন যায়দ এমন সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করে
বললেন ৷ কেউ বলেননি ৷ এমন র্কীইব৷ তার বলার থাকতে পারে?” তখন উমর (রা) মিম্বারে
উঠে বললেন ৷ মুআঘৃযিন (আমান পেয়ে) নিরব হলে তিনি দাড়িয়ে আল্লাহর যথোপ্যোগী ছানা
পাঠের পর বললেন, তারপরলোক সকল আমি আপনাদের সামনে একটি বিশেষ কথা
বলতে চা ই সে কথাটি বলা যেন আমার জন্যেই নির্ধারিত রাখা হয়েছে;অ আমি জানি না, হয়ত
বা তা আমার মৃত্যুর পুবাভাস ৷

সুতরাং যে তা যথাযথ অনুধাবন ও সংরক্ষণ করতে পারবে, সে যেন যেখানেই তার বাহন
তাকে পৌছে দেয়৷ সেখানেই তা বর্ণনা করে ৷ আর যে তা সংরক্ষণ করতে পারবে না, (সে
যেন তা বর্ণনা না করে, কেননা) তাকে আমার নামে অস্ত্য প্রচারের বৈধত৷ দিতে আমি
প্রস্তুত নই ৷ আল্লাহ মুহাম্মদ (না)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন এবং তার উপরে কিতাব
নাযিল করেছেন ৷ তিনি যা নাযিল করেছেন তার মাঝে রাজম’ (ব্যভিচারীকে কংকরাঘাতে
মেরে ফেলার) বিধান সম্পর্কিত আয়াতও ছিল ৷ আমরা যে আয়াত তিলাওয়াত করেছি, তার
মর্ম অনুধাবন করেছি এবং তা হৃদয়ঙ্গম করেছি ৷ এবং রাসুলুল্লাহ (না) রাজ্বম’ বাস্তবায়িত
করেছেন, আমরাও তার পরে রাজ্বম করেছি ৷ এখনৃ আমার আশংকা হচ্ছে যে দীর্ঘ সময়ের
ব্যবধানে (লোকেরা তা তুলে বা যে এবং) কেউ হয়ত বলে বলবে আল্লাহর কিতা ৷বে তো
রাজ্বম সম্পর্কিত আয়াত খুজে পা ৷চ্ছি না, ফলে তারা মহান মহীয়৷ ৷ন আল্লাহর ন ৷যিলকৃত ও
নির্ধারিত একটি ফরয বিমানের ব্যাপারে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে ৷

সুতরাং বাজ্বম (প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড) ব্যাভিচারীর জন্য আল্লাহর কিতাবের বাস্তব বিধান
যদি সে বিবাহিত হয়ে থাকে-পুরুষ ও নারী যেই হোক না কেন ৷ সাক্ষ্য প্রমাণে সাব্যস্ত হলে
কিৎবা গর্ত দেখা দিলে কিৎব৷ স্বীকারোক্তি পাওয়া গেলে ৷ গোন! আমরা কিন্তু তিলাওয়াত
করতাম ণ্ম্রা ৷ ব্লু); ওে;;:গ্লুও :৷ ণ্£;াএ১£ :াদ্বু ণ্£১া ৷ :ং ৷ ,১ব্র: )ঘ্র “তোমরা তোমাদের পিতৃ
পুরুষের প্ৰতি অনীহ৷ বোধ কর না ৷ কেননা, পুর্ব পুরুষের প্রতি অনীহ৷ বোধ তোমাদের জন্য
কুফরী তুলা ৷ “শো ন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,

শৃ

“তোমরা আমার প্রশংসা ও মর্যাদা দানে ব ৷ড়াব৷ ৷ড়ি করে৷ না ৷ যেমনটি ঈসা ইবন মারয়ামের
ব্যাপারে বাড়াবাড়ি (করে তাকে খােদ৷ ও খােদার পুত্র সাব্যত) করা হয়েছে, আমিতাে একজন
বান্দা মাত্র ৷ তাই তোমরা বলবে আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল ৷” আমার কানে পৌছেছে যে



১ এখানে ব্যস্ততা বুঝাবার জন্য মুল আরৰীতে ৰু ,এন্খু ৷ ন্ারুএে রুাঙু)এ :ান্; রয়েছে যার আক্ষরিক অর্থ
অহ্মের হুমড়ি খাওয়ার মত তাড়াতাড়ি গেলাম ৷ অধস্তন রাবীর প্রশ্নের জবাবে উর্ধ্বতন রাবী মালিক (র) ন্া&ষ্ণ্
- :;১া৷ র তরজমা করেছেন শীত-গ্রীল্ম (বর্ষার) পরােয়৷ না করে বেরিয়ে পড়া ৷ অনুবাদক


خَرَجَ، لَا يَعْرِفُ الْحَرَّ وَالْبَرْدَ. أَوْ نَحْوَ هَذَا - فَوَجَدْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ عِنْدَ رُكْنِ الْمِنْبَرِ الْأَيْمَنِ قَدْ سَبَقَنِي، فَجَلَسْتُ حِذَاءَهُ تَحُكُّ رُكْبَتِي رُكْبَتَهُ، فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ طَلَعَ عُمَرُ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ قُلْتُ: لَيَقُولَنَّ الْعَشِيَّةَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ مَقَالَةً مَا قَالَهَا عَلَيْهِ أَحَدٌ قَبْلَهُ. قَالَ: فَأَنْكَرَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ ذَلِكَ وَقَالَ: مَا عَسَيْتَ أَنْ يَقُولَ مَا لَمْ يُقِلْ أَحَدٌ؟ فَجَلَسَ عُمَرُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَلَمَّا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ قَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّي قَائِلٌ مَقَالَةً قَدْ قُدِّرَ لِي أَنْ أَقُولَهَا، لَا أَدْرِي لَعَلَّهَا بَيْنَ يَدَيْ أَجَلِي، فَمَنْ وَعَاهَا وَعَقَلَهَا فَلْيُحَدِّثْ بِهَا حَيْثُ انْتَهَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَمَنْ لَمْ يَعِهَا فَلَا أُحِلُّ لَهُ أَنْ يَكْذِبَ عَلَيَّ، إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا، وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: لَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ. فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ قَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصَنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ ; إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ، أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوِ الِاعْتِرَافُ، أَلَا وَإِنَّا قَدْ كُنَّا نَقْرَأُ: لَا تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، فَإِنَّ كُفْرًا بِكُمْ أَنْ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ. أَلَا وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُطْرُونِي كَمَا أُطْرِيَ عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ، فَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ قَائِلًا مِنْكُمْ يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلَانًا. فَلَا يَغْتَرَّنَّ امْرُؤٌ أَنْ يَقُولَ: إِنَّ بَيْعَةَ أَبِي بَكْرٍ كَانَتْ فَلْتَةً. أَلَا وَإِنَّهَا كَانَتْ كَذَلِكَ، أَلَا إِنَّ اللَّهَ وَقَى شَرَّهَا، وَلَيْسَ فِيكُمُ الْيَوْمَ مَنْ تُقْطَعُ إِلَيْهِ الْأَعْنَاقُ مِثْلَ أَبِي بَكْرٍ، وَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪২২১


তোমাদের কেউ কেউ এমন উক্তি করে যে, উমরের মৃত্যু হলেই আমি তখন অমুকের হাতে
আনৃগত্যের বায়অড়াত করব ৷ শোন কেউ যেন এমন কথা বলে আত্ম প্রতারণার শিকার না হয়
যে, আবু বকর (রা)এর বায়আত ছিল আকস্মিক ও অচিন্তাপ্রসুত ব্যাপার যা শেষ হয়ে
গিয়েছে ৷ শোনা তা যেমন হওয়ার ছিল তেমনই হয়েছে সে যা-ই হোক, সে পরিস্থিতির
অকল্যাণ হতে আল্লাহ হিফাজত করেছেন ৷ আর আজ তোমাদের মাঝে এমন কেউ নেই, আবু
বকরের ন্যায় যার সামনে সকলেরই মাথা নুয়ে যেতে পারে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত লগ্রে
তিনিই ছিলেন আমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ৷ আলী ও যুবায়র এবং তাদের সমর্থকরা রাসুল তনয়া
ফাতিমা (রা)-র ঘরে অবস্থান করে তা থেকে বিরত রইলেন ৷ আর পিছিয়ে রইলেন আনসাৰীরা
সকলেই-বনু সাকীফার মজলিস ঘরে ৷ এ দিকে সুহাজিররা সমবেত হলেন আবু বকরের কাছো
তখন আমি তাকে বললাম, আবু বকর ! চলুন আমরা আমাদের আনসারী ভাইদের কাছে যাই ৷
আমরা র্তাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে দুজন পুণ্যবান লোক আমাদের সাথে সাক্ষাত করে ঐ
সম্প্রদায়ের কর্মসুচী সম্পর্কে আমাদের অবহিত করলেন ৷ তীরা বললেন, মুহাজির সমাজ !
আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? আমি বললাম, আমরা আমাদের আনসারী ভইিদের উদ্দেশ্য বের
হয়েছি ৷ তারা বললেন, “তাদের কাছে যাওয়া আপনাদের জন্য অপরিহার্য কিছু নয়; ঘুহাজির
সমাজ ! আপনারা তো নিজেদের বিষয়টি নিজেবইি ফায়সালা করে নিতে পারেন ৷ ”

আমি বললাম, আল্লাহর কলম ৷ আমরা অবশ্যই তাদের কাছে যাচ্ছি ৷ সে মতে আমরা
চলতে থাকলাম এবং বনু সাঈদা-য় তাদের উন্মুক্ত মজলিস ঘরে উপনীত হয়ে দেখলাম তারা
সেখানে সমবেত রয়েছেন এবং তাদের মাঝখানে বস্ত্রাবৃত এক ব্যক্তি ৷ আমি বললাম, ইনি কে ?
র্তারা বললেন ইনি সাদ ইবন উবাদা৪ ৷ আমি বললাম, তার কী হয়েছে? র্তারা বললেন অসুস্থ ৷
আমরা বসে পড়লে তাদের মুখপাত্র বক্তা দাড়িয়ে আল্লাহ্র যথােপযোগী প্রশংসা স্তুতি করার
পরে বললেন, এরপর, আমরা তো আল্লাহর (দীনের) আনসার এবং ইসলামের সেনানী, আর
হে যুহাজির সমাজ! আপনারা আমাদের নবীর সম্প্রদায়-ইতোমধ্যে আপনাদের একটি গোপন
চক্র আংন্দালন শুরু করেছে আপনাদের ইচ্ছা আমাদের মুল থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করা
এবং খিলাফতের বিষয়টিতে আমাদের জন্য প্রতিবন্ধক দাড় করানো ৷ মুখপাত্র তার বক্তব্য
শেষ করে নিরব হলে আমি উমর তার জবাবে কথা বলতে উদ্যত হলাম ৷ ইভােপুর্বে আমি
একটি ভাষণ সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছিলাম যা আমার খুবই মনঃপুত ছিল এবং আমার ইচ্ছা ছিল
তা আবু বকরের সামনেই উপস্থাপন করব ৷

তিনি যেহেতু ছিলেন স্বভাব উদার, তাই তার ব্যাপারে আমি এক বিশেষ পরিমাণ উদারতার

কথা ভাবছিলাম ৷ তবে তিনি ছিলেন আমার চাইতে অধিক প্রজ্ঞাবান ও অধিক ভৈস্থর্যের অধিকারী

শ্রদ্ধার পাত্র ৷ আল্লাহ্র কলম! তিনি যখন বলতে শুরু করলেন তখন তার তাৎক্ষণিক অথচ

ৎক্ষিপ্ত সারগর্ভ বক্তব্যে এমন একটি শব্দও বাদ রাখলেন না যা সাজানো পােছোনাে আমার
প্রস্তুতকৃত বক্তৃতায় আমাকে আত্মপ্রীত করে রেখেছিল ৷

তিনি বললেন, এরপর আপনারা যা উল্লেখ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে আপনাদের প্রাপ্য ৷
তবে এ নেতৃত্বের বিষয়টি আরববাসীরা এ কুরায়শ গোত্র ব্যতীত অন্য কারো জন্য স্বীকার
করে না ৷ এরা অভিজাত্য ও অবস্থান বিচারে আরবের মধ্যমণি ৷ আমি আপনাদের জন্য এ


كَانَ مِنْ خَبَرِنَا حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُمَا تَخَلَّفُوا فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَخَلَّفَتْ عَنَّا الْأَنْصَارُ بِأَجْمَعِهَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوَانِنَا مِنَ الْأَنْصَارِ. فَانْطَلَقْنَا نَؤُمُّهُمْ حَتَّى لَقِيَنَا رَجُلَانِ صَالِحَانِ، فَذَكَرَا لَنَا الَّذِي صَنَعَ الْقَوْمُ فَقَالَا: أَيْنَ تُرِيدُونَ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ؟ فَقُلْتُ: نُرِيدُ إِخْوَانَنَا هَؤُلَاءِ مِنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَا: لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَقْرَبُوهُمْ، وَاقْضُوا أَمْرَكُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَنَأْتِيَّنَهُمْ. فَانْطَلَقْنَا حَتَّى جِئْنَاهُمْ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَإِذَا هُمْ مُجْتَمِعُونَ، وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ رَجُلٌ مُزَّمَّلٌ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ فَقُلْتُ: مَا لَهُ؟ قَالُوا: وَجِعٌ. فَلَمَّا جَلَسْنَا قَامَ خَطِيبُهُمْ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ وَكَتِيبَةُ الْإِسْلَامِ، وَأَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ رَهْطٌ مِنَّا، وَقَدْ دَفَّتْ دَافَّةٌ مِنْكُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَخْتَزِلُونَا مِنْ أَصْلِنَا وَيَحْضُنُونَا مِنَ الْأَمْرِ. فَلَمَّا سَكَتَ أَرَدْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، وَكُنْتُ قَدْ زَوَّرْتُ مَقَالَةً أَعْجَبَتْنِي أَرَدْتُ أَنْ أَقُولَهَا بَيْنَ يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ كُنْتُ أُدَارِي مِنْهُ بَعْضَ الْحَدِّ، وَهُوَ كَانَ أَحْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ،
পৃষ্ঠা - ৪২২২


দুজন মহান ব্যক্তির যে কোন একজন গ্রহণের কথা সানন্দ সমর্থন করছি-এ দুজনের যাকে
আপনাদের পসন্দ হয় ৷ একথা বলে তিনি আমার হাতে এবং আবু উবায়সাঃ ইবনুল জাবৃরাহ্-
এর হাতে ধরলেন ৷ তখন তার কোন কথাই আমার অপসন্দ হল না; কিন্তু আমার নাম প্রস্তাব
সম্পকীর্ত তীর এ কথাটি আমার কাছে অসহনীয় মনে হল ৷ আল্লাহর কলম! আমার ণর্দান
উড়িয়ে দেয়ার জন্য আমাকে এগিয়ে দেয়া, যদি তা কোন পাপের ব্যাপার না হতো, তা ছিল
আমার কাছে আবু বকরের উপস্থিতিতে কোন জাতির উপরে আমার নেতা সেজে বসার চাইতে
অধিকতর পসন্দনীয়, তবে যদি মৃত্যুকালে আমার মনঃজণতে কোন বিকৃতি সাধিত হয় সে
ভিন্ন কথা ৷ তখন আনক আনসারী ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন,“আমিই এ ষ্যাধির পরীক্ষিত
মলৌষধ এবং এ রোগের ধন্বন্তরী মন্ত্র”১ আমার কাছেই রয়েছে এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ৷
আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর এবং আপনাদের মধ্য হতে একজন আমীর আমার
কুরায়াশী ভাইয়েরা ! “বর্ণনা কাবী বলেন, আমি মালিক (ইবন আনাস) কে বললাম, ডাঃ১১ গ্র
কথাটির অর্থ কি ? তিনি বললেন, সে যেন বলতে চাচ্ছিল,
“আমার কাছেই রয়েছে এ সমস্যা সমাধানের সৃচিস্তিত অভিমত ৷ ফলে গোলামাল বেড়ে গেল
এবং হৈচৈ শুরু হয়ে গেল এবং বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দিল ৷ তখন আমি (উমর)
বললাম, আবু বকর ! আপনার হাত প্রসারিত করুন ! তিনি হাত প্রসারিত করলে আমি বায়আত
(আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করলাম এবং ঘুহাজিরগণ তার হাতে বায়আত হলেন ৷ তারপর
আনসারগণও তার হাতে বায়আত করলেন ৷ আমরা তখন সাদ ইবন উবাদা৪ (রা)-র উপরে
হুমড়ি যেয়ে পড়লাম ৷ তখন তাদের একজন বলে উঠল-তোমরা তাে সাদকে শেষ করে
দিচ্ছেড়া ৷ আমি বললাম, আল্লাহ্ই সাদকে শের করেছেন ৷ উমর (রা) বলেন, গোন৷ আল্লাহর
কসম ৷ আমরা তখন যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম তাতে আবু বকরের হাতে বায়আত
করার চেয়ে উপযোগী কোন সমাধান আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না ৷

কেননা, আমাদের আশংকা ছিল যে, কোন প্রকার বায়আত অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে যদি আমরা
সমবেত লোকদের ঐ অবস্থায় রেখে যাই তবে হয়ত আমাদের অনুপস্থিতিতে তারা কোন নতুন
বায়আত সম্পাদিত করবে ৷ তখন হয়ত আমাদের অসন্তুষ্টি সত্বেও আমরা তাদের সে
বায়আতের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবো ৷ কিৎবা তাদের বিরোধিতা করব, যার পরিণতি হবে-
বিশৃৎখলা ৷ কেননা, মুসলিম জনতার সাথে আলোচনা পরামর্শ ব্যতিরেকে কেউ আমীররুভৈপ
কারো হাতে বায়আত গ্রহণ করলে যে বায়আত করল এবং যার হাতে বায়আত করল এর
কােনটাই গ্রহণযোগ্য নয় তারা উভয়ই মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার উপযুক্ত ৷” রাবী মালিক (র) বলেন,
ইবন শিহাব (র) উরওয়া (র) হতে আমাকে খবর দিয়েছেন যে, পথে সাক্ষাতকারী লোক
দুজন ছিলেন উয়ায়ম ইবন সাঈদা৪ ও মাআন ইবন আদী (রা) ৷ ইবন শিহাব (র) বলেন,
আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (র) আমাকে অবহিত করেন যে, ন্১ল্)^এষ্ ডাঃ১১ গ্রো উক্তিটি
করেছিলেন হুবাব ইবনৃল মুনযির (বা) ৷ সিহাহ্ সিত্তা বিদগণ তাদের গ্রহুসমুহে হাদীসটি যুহরী



১ গু-১)ঠো ৷ৰুম্বুপ্লু১; , এ-ৰু-শ্এ মোঃ ১-ন্ fl (আক্ষরিক অর্থে খুজলী আক্রান্ত উটের পা চুলকাবার জন্য গাছের
গুড়ি এবং পাথর জড়ো করে গোড়ার ঠেস দেয়া দীর্ঘকায় খেজুর গাছ) অর্থাৎ মনের মত বিষয় ও নিরুপায়ের
উপায় ৷ ন্


فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: عَلَى رِسْلِكَ. فَكَرِهْتُ أَنْ أُغْضِبَهُ، وَكَانَ أَعْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ، وَاللَّهِ مَا تَرَكَ مِنْ كَلِمَةٍ أَعْجَبَتْنِي فِي تَزْوِيرِي إِلَّا قَالَهَا فِي بَدِيهَتِهِ وَأَفْضَلَ حَتَّى سَكَتَ. فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَمَا ذَكَرْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَأَنْتُمْ أَهْلُهُ، وَلَمْ تَعْرِفِ الْعَرَبُ هَذَا الْأَمْرَ إِلَّا لِهَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ ; هُمْ أَوْسَطُ الْعَرَبِ نَسَبًا وَدَارًا، وَقَدْ رَضِيتُ لَكُمْ أَحَدَ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ أَيَّهُمَا شِئْتُمْ. وَأَخَذَ بِيَدِي وَيَدِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، فَلَمْ أَكْرَهْ مِمَّا قَالَ غَيْرَهَا، وَكَانَ وَاللَّهِ أَنْ أُقَدَّمَ فَتُضْرَبَ عُنُقِي لَا يُقَرِّبُنِي ذَلِكَ إِلَى إِثْمٍ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أَتَأَمَّرَ عَلَى قَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ، إِلَّا أَنْ تَغَيَّرَ نَفْسِي عِنْدَ الْمَوْتِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ، مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ - فَقُلْتُ لِمَالِكٍ: مَا يَعْنِي أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ؟ قَالَ: كَأَنَّهُ يَقُولُ: أَنَا دَاهِيَتُهَا - قَالَ: فَكَثُرَ اللَّغَطُ وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ حَتَّى خَشِيتُ الِاخْتِلَافَ. فَقُلْتُ: ابْسُطْ يَدَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ. فَبَسَطَ يَدَهُ، فَبَايَعْتُهُ وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ، ثُمَّ بَايَعَهُ الْأَنْصَارُ، وَنَزَوْنَا عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: قَتَلْتُمْ سَعْدًا. فَقُلْتُ: قَتَلَ اللَّهُ سَعْدًا. قَالَ عُمَرُ: أَمَا وَاللَّهِ مَا وَجَدْنَا فِيمَا حَضَرْنَا أَمْرًا هُوَ أَوْفَقُ مِنْ مُبَايَعَةِ أَبِي بَكْرٍ، خَشِينَا إِنْ فَارَقْنَا الْقَوْمَ وَلَمْ تَكُنْ بَيْعَةٌ أَنْ يُحْدِثُوا بَعْدَنَا بَيْعَةً، فَإِمَّا أَنْ نُبَايِعَهُمْ عَلَى مَا لَا نَرْضَى، وَإِمَّا أَنْ نُخَالِفَهُمْ فَيَكُونَ فِيهِ فَسَادٌ، فَمَنْ بَايَعَ أَمِيرًا عَنْ غَيْرِ مَشُورَةِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا بَيْعَةَ لَهُ، وَلَا بَيْعَةَ لِلَّذِي بَايَعَهُ تَغِرَّةَ أَنْ يُقْتَلَا. قَالَ مَالِكٌ: فَأَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ الرَّجُلَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৩


(র) হতে বর্ণনা করেছেন ! ইমাম আহমদ (র) আরে! বলেছেন, মুআবিয়! (র!) এবং হুস!য়ন
ইবন আলী (র!) আবদুল্লাহ (অর্থাৎ) ইবন ম!সউদ (র!) হতে, বর্ণনা করেন তিনি বলেন যে,
র!সুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে আনসারীরা বললেন, আমাদের মধ্যথেকে একজন
আমীর ও আপনাদের (ঘুহাজিরদের) মধ্য থেকে একজন আমীর হবেন ! তখন উমর (র!)
তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে আনসারী সমাজ ! তোমার! কি অবগত নও যে, রাসুলুল্লাহ (স!)
আবু বকরকে লোকদের ইম!মত করার হুকুম দিয়েছিলেন? এখন তোমাদের মাঝে এমন কে
আছে যে, আবু বকরের চাইতে অ্যাবর্তী হওয়া তার মনঃপুত হবে ? তখন আনস!রীগন বললেন,
নউযুবিল্লাহ আবু বকরের চাইতে অ্যাবর্তী হওয়ার ব্যাপারে আমরা আল্লাহর কাছে পান!হ্
চাচ্ছি ৷ ন!স!ঈ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়!ত করেছেন ইসহাক ইবন র!হ্ওয়ায়হ্ ও হ!নৃন!দ ইব্ৰুস
স!রী (র) সুত্রে ৷ আলী ইবনুল ম!দীনী (র) হাদীসটি রিওয়!য়!ত করেছেন হুসায়ন ইবন আলী
(র!) হতে এবং মন্তব্য করেছেন এটি সহীহ; তবে আসিম (র) হতে য!ইদ! (র) সুত্রেই কেবল
আমি হাদীসটি পেয়েছি ! ন!সাঈ (র) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রেও অনুরুপ রিওয়ায়!ত করেছেন ৷
উমর (র!) হতে অন্য একটি সনদেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ! এ ছাড়! মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) সুত্রে উমর (র!) সনদেও ৰিবৃত হয়েছে তিনি ( উমব) বলেছেন, আমি বললাম, “হে
মুসলিম জ!৩ !তি!অ আল্লাহর নবীর কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে অগাধিক! রী ও সর্বাধিক উপযোগী
ব্যক্তি হলেন “দুজনের দ্বিতীয় জন-যখন তার! গুহায় ছিলেন” ১ (এবং) সবার অ্যাণী ও
বয়ােজেষ্ঠ্য আবু বকর (র!) ! “এ কথা বলার পরে আমি আবু বকরের হাত ধরতে গেলাম !
ইতোমধ্যে এক আনসারী ব্যক্তি আমাকে হারিয়ে দিয়ে আমি আবু বকরের হাত ধরার আগেই
সে তীর হাত ধরে (বায়আত করে) ফেলল এবং আমিও তখনই ব!য়আত করলাম এবং অন্য
লে!কের!ও ব!য়আত করতে থাকল ৷ আরিম ইবনুল ফ!বল (র) মুহাম্মাদ ইবন সাদ (র!) সুত্রে
রিওয়!য়াত করেছেন এবং প্রায় অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ! তিনি সিদ্দীক (রা) এর হাতে উমর
ইবনুল খ!ত্তাব ব(রা) এর আগে ব!য় আত গ্রহণক! !বী ঐ আনসারী ব্যক্তির নাম নির্ণয় করে
বলেছেন “তিনি হলেন নু মান ইবন ব!শীর (রা) এর পিতা ব!শীর ইবন সা দ (র!) !



১ সুরা তাওব!৪ : : অ !য়াতের প্রতি ইৎ !ভু!ত ! হিজরাতের পথে ছাত্তর গৃহ!য় অবস্থান কালে নবী করীম
(স!) ও তার সহচর আবু বকর (র!) এর কথোপকথন ! অনুবাদক


اللَّذَيْنِ لَقِيَاهُمَا: عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ وَمَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَنَّ الَّذِي قَالَ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ. هُوَ الْحُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ وَقَدْ أَخْرَجَ هَذَا الْحَدِيثَ الْجَمَاعَةُ فِي كُتُبِهِمْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا زَائِدَةُ، ثَنَا عَاصِمٌ، (ح) وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ - قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتِ الْأَنْصَارُ: مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ. فَأَتَاهُمْ عُمَرُ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَؤُمَّ النَّاسَ؟ فَأَيُّكُمْ تَطِيبُ نَفْسُهُ أَنْ يَتَقَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ؟ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: نَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ نَتَقَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ وَهَنَّادِ بْنِ السَّرِيِّ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ الْجُعْفِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَقَالَ: صَحِيحٌ لَا أَحْفَظُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ زَائِدَةَ، عَنْ عَاصِمٍ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عُمَرَ مِثْلَهُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৪২২৪
رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نَحْوُهُ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ. وَجَاءَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِأَمْرِ نَبِيِّ اللَّهِ ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ ; أَبُو بَكْرٍ السَّبَّاقُ الْمُبِينُ. ثُمَّ أَخَذْتُ بِيَدِهِ، وَبِدَرَنِي رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَضَرَبَ عَلَى يَدِهِ قَبْلَ أَنْ أَضْرِبَ عَلَى يَدِهِ، ثُمَّ ضَرَبْتُ عَلَى يَدِهِ وَتَتَابَعَ النَّاسُ. وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَارِمِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، فَذَكَرَ نَحْوًا مِنْ هَذِهِ الْقِصَّةِ، وَسَمَّى هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي بَايَعَ الصِّدِّيقَ قَبْلَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: هُوَ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ وَالِدُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ