سنة إحدى عشرة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৪১৪৩

একাদশ হিজরী সাল

এ বছরের নতুন চাদ উকি দিল যখন বিদায় হজ্জ শেষে নবী করীম (না)-এর মুবারক বাহন
মদীনা ঘুনাওয়ারায় ফিরে এসে থামলো এ বছরের ঘটনাবলীর তালিকায় রয়েছে অনেক
গুরুত্বপুর্ণ ও উল্লেখ্যযাগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা ৷ সেগুলির মাঝে সর্বাধিক মর্যান্তিক হচ্ছে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর ওফাত ৷ তবে কিনা তা র ওফাংতর মর্মার্থ হল আল্লাহ পাক তাকে অস্থায়ী জগত হতে

জান্নাতের সুউচচ মর্যাদা ও উন্নত অবস্থানে স্থানান্তরিত করে দেন, যার চাইতে উন্নত ও সঘুজ্জ্বল
কোন মর্যাদা নেই যেমন, মহান আল্লাহ তা জানা ইরশ দ করেন-

-ব্লেত্রএওৰুগ্র : )১ব্র;ষ্ দ্বু

“ণ্তমার জন্য পরবর্তী সময় (আ খিরাত) পুর্ববর্তী সময় (দুনিয়া) অপেক্ষা ণ্শ্রয় অচিরেই
তোমার প্ৰতিপালক তোমাকে (অক্বাহ) দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে” (৯৩ : : ৫ )

আল্লাহ তা আলা তার প্রিয় নবীকে যে ৰিসালাতের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তা পৌছিয়ে
দেয়ার কর্তব্য প্রতিপালনের পরে এবং উম্মতের কল্যাণ কামনা, দুনিয়া আখিরাতে তাদের জন্য
কল্যাণকর রুপে অবগত বিযয়া দিতে তাদের পথ নির্দো দান এবং তাদের জন্য অনিষ্ট ও
ক্ষতিকর বিষয়াদির নিযেধা জ্ঞা ও স৩ তর্কীকিরণ এ সব গুরু দায়িত্ব সুচড়া রুভ বে প্ৰতিপালনের পর
আল্লাহ পাক তাকে নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিলেন সহীহ্ গ্রন্থকা রদ্বয় উমর ইবনুল খাত্তা ন (বা)
হতে সংশ্রিষ্ঠ বিষয়ে যে রিওয়ায়াত উপস্থাপন করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে,
আয়তটি আরফা ত দিবস শুক্রবারে রাসুলুল্লাহ (না)-এর আরাফাত অবস্থান কালে নাযিল
হয়েছিল যা পুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া, বেশ উত্তম সুত্রে আমরা রিওয়ায়াত করেছি
যে, এ আয়াত নাযিল হওয়ার সময় উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) কেদে দিয়েছিলেন তখন তাকে
তার এ কন্নর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন “পুর্ণতার পরে তো
অপুর্ণতা ব্যতীত কিছুই থাকে না (জােয়রের শে ষেই তো ভাটির টান শুরু হয়) অর্থাৎ তিনি
যেন এ আয়াতে নবী করীম (সা) এর ওফাং তর পুর্বাভায পেয়েছিলেন ইবন জুরয়জ (র)
সুত্রে জ বির (রা) এর সনদে বর্ণিত মুসলিম শরীফের হদীসে নবী করীম (সা) এ দিকে
ইৎগিত দিয়েছিলেন এভাবে যে, রসুলুল্লাহ (সা) জামরাতুল আকবর কাছে থেমে র্দড়লেন
এবং আমাদের (সাহাবীদের) বললেন ১১
“তোমাদের হজ্জ্ব-উমরার রীতিনীতি আমার কাছে শিখে নাও, এমন হতে পারে যে, আমার এ
বছরের পরে আমি আর হজ্জ পালনে অসব না ”

এ ছাড়া মুসা ইবন উবায়দা আর-রবােযী (র)ইবনৃ উমর (রা) সনদে উদ্ধৃত হাদীস
শাস্তের দুই হাফিজ মনীষী আবু বকর অল-বয্যর ও বয়হকী (র) এর রিওয়ায়াতও আমরা

ণোমোঃ ওেতাে

[سَنَةُ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ مَرَضِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ] اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَقَدِ اسْتَقَرَّ الرِّكَابُ الشَّرِيفُ النَّبَوِيُّ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ الْمُطَهَّرَةِ مَرْجِعَهُ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَقَدْ وَقَعَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمُورٌ عِظَامٌ، مِنْ أَعْظَمِهَا خَطْبًا وَفَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نَقَلَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هَذِهِ الدَّارِ الْفَانِيَةِ إِلَى النَّعِيمِ الْأَبَدِيِّ فِي مَحَلَّةٍ عَالِيَةٍ رَفِيعَةٍ، وَدَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ لَا أَعْلَى مِنْهَا وَلَا أَسْنَى، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْأُولَى - وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى} [الضحى: 4 - 5] [الضُّحَى: 4، 5] . وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أَكْمَلَ أَدَاءَ الرِّسَالَةِ الَّتِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِإِبْلَاغِهَا، وَنَصَحَ أُمَّتَهُ، وَدَلَّهُمْ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ، وَحَذَّرَهُمْ وَنَهَاهُمْ عَمَّا فِيهِ مَضَرَّةٌ عَلَيْهِمْ فِي دُنْيَاهُمْ وَأُخْرَاهُمْ. وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَالَ: نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا} [المائدة: 3] يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪১৪৪
গাঘৃওয়৷ ও সমরাভিযানসমুহ এবং তার প্রেরিত পত্রাবলী ও দুতপণের বিষয় মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক ইবন ইয়াসার, আবু জাফর ইবন জারীর ও আবু বক্র বায়হার্কী প্রমুখ (র) ইমামপণের
ওফাত পুর্ববর্তী শিরোনামে উপস্থাপিত আলোচনার সার সংক্ষেপ পাঠক সমীপে পেশ করব ৷
তারপর মুল বিষয় ওফাতুন্নড়াবী (সা) এর বিশদ আলোচনা করব ৷

সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে আগত আবু ইসহড়াক আস-সৃবায়ঈ (র)-এর
হাদীসে রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশটি পাঘৃওয়া’১ পরিচালনা করেছেন এবং হিজরাতের
পরে একবার, অর্থাৎ বিদায় হজ্জ পালন করেছেন ৷ এর পরে আর কোন হজ্জ করেন নি ৷ আবু
ইসহাক বলেছেন, আর একটি ( (হজ্জ) মক্কায় থাকাকালে ৷ এরুপ বর্পনইি দিয়েছেন আবু
ইস্হাক আপ সুবায়ঈ (র) ৷ যায়দ ইবনুল হুবাব (রা) বলেছেন, সুফিয়ান ছাওরী (র) জাবির
(বা) হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তিনবার হজ্জ পালন করেছেন, দুটি হজ্জ
হিজরাতের আগে এবং একটি হিজরাতের পরে ৷ যার সাথে উমরাও ছিল এবং ছিষট্টটি উট
নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ আর আলী (রা) ইয়ামড়ান হতে নিয়ে এসেছিলেন একশটি পুর্ণ হওয়ার
অবশিষ্টগুলি ৷ এ ছাড়া, সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের বরাতে আনাস ইবন মালিক (রা) প্রমুখ একাধিক
সাহাৰী হতে ইতোপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (সা) চার বার উমর৷ পালন
করেছিলেন ৷ হুদায়বিয়ার উমরা, কাযা উমরা, জিঈবৃরানা হতে (ইহরাম)কৃত উমরা এবং
বিদায় হজের সাথে আদায়কৃত উমরা ৷

পায্ওয়া প্রসংগ : বুখারী (র) আবু আসিম অনৃ-নুবায়ল (র)সালামা ইবনুল আক্ওয়া
(বা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি (সালামা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে আমি
সাতটি গাঘৃওয়৷ অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছি ৷ আর যায়দ ইবন হারিছা (রা)-এর সাথে নয়টি
অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে আমাদের আমীর নিয়োগ করতেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে কুতায়বড়া
(র) সালাম৷ (বা) সনদে বিবৃত হয়েছে ৷ সালামড়া (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে
সাতটি গাবৃওয়া অভিযানে আমি অংশ্যাহণ করেছি; আর তিনি যে সব বাহিনী পাঠাতেন তার
নয়টি অভিযানে ৷ কখনো আমাদের আমীর হতেন আবু বকর (যা) আবার কখনো আমীর
হতেন উসাম৷ ইবন যায়দ (বা) ৷ সহীহ্ ৰুখাবীতে ইসরাঈল (র)বারা (রা) সনদের হাদীস ৷
যারা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) পনরটি পাঘৃওয়৷ অভিযান পরিচালনা করেছেন ৷ বুখারী-
মুসলিমেশুবা (র) , যারা (রা)-এর হাদীস, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশটি পাঘৃওয়া অভিযান
পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে সতেরটিতে তিনি (বারা ) নবী করীম (সা)-এর সাথে উপস্থিত
ছিলেন, যার প্রথমটি ছিল আল উশায়রস্ফো’ চ),১গ্রা কিৎবা আলু উসায়র ( স্পে’) ৷
মুসলিম (র) আহমদ ইবন হাবল (র) সুত্রে ইবন বুরায়দ৷ তার পিতা হতে সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি (বুরায়দা) রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে ষোলটি পাঘৃওয়ায় অংশ
গ্রহণ করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর অন্য একটি রিওয়াযাতে হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ (র)
বুরায়দা (বা) হতে এ মর্মে যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে উনিশটি গাঘৃওয়া অভিযানে



১ পাঘৃওয়৷ ও বড় ধরনের নমরাভিযান এবং সারিয়্যা ছোট ধরনের সমরাভিযান ৷ তবে হাদীস ও ইসলামী
ইতিহাসের পরিভাষায় স্বয়ং নবী করীম (না)-এর অংশ্যাহণকৃত সমরাভিযান গায ওয়৷ নামে এবং নবী কৰীম
(সা) কর্তৃক অন্য কাউকে আমীর করে প্রেরিত অভিযানকে সারিয়ব্রুা নামে অভিহিত করা হয় ৷ অনুবাদক ৷


وَرُوِّينَا مِنْ طَرِيقٍ جَيِّدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ حِينَ نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ بَكَى، فَقِيلَ: مَا يُبْكِيكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ بَعْدَ الْكَمَالِ إِلَّا النُّقْصَانُ. وَكَأَنَّهُ اسْتَشْعَرَ وَفَاةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ أَشَارَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى ذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ وَقَالَ لَنَا: " خُذُوا عَنِّي مَنَاسِكَكُمْ ; فَلَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ عَامِي هَذَا» . وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ الْحَافِظَانِ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ الرَّبَذِيِّ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَزَلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] . فِي أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ الْوَدَاعُ، فَأَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ الْقَصْوَاءِ فَرُحِّلَتْ. ثُمَّ ذَكَرَ خُطْبَتَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَهَكَذَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ; حِينَ سَأَلَهُ عَنْ تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ بِمَحْضَرِ كَثِيرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; لِيُرِيَهُمْ فَضْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَتَقَدُّمَهُ وَعِلْمَهُ، حِينَ لَامَهُ بَعْضُهُمْ عَلَى تَقْدِيمِهِ وَإِجْلَاسِهِ لَهُ مَعَ مَشَايِخِ بَدْرٍ، فَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ حَيْثُ تَعْلَمُونَ. ثُمَّ سَأَلَهُمْ وَابْنُ عَبَّاسٍ حَاضِرٌ عَنْ تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا - فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1 - 3] [: 1 - 3] .
পৃষ্ঠা - ৪১৪৫


ৎশঃাহণ করেছেন, যার মাঝে আটঢিদুত তক্ষে সং ঘর্ষ হয়েছে ৷ এ সনদুদ তার আর একটি
রিওয়ায়াদুত আরো রয়েছে যে, নবী করীম (সা) চব্বিশটি সারিয়্যা বাহিনী পাঠিদুয়দুছন এবং
লড়াই করেছেন বদর, উহুদ, আহ্যাব (খন্দক) , মুরায়সী, খায়বার, মক্কা বিজয় ও হুনায়ন-এর
অভিযানসমুহে ৷ সহীহ্ ঘুসলিদুম জাৰির (বা) হতে আবুবৃ-ষুবায়র (র) এর হাদীস ৷ এ মর্মে
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একুশটি সমরাভিযান পরিচালনা করেছেন, যার মাঝে উনিশটি অভিযানে
আমি তীর সাথে অৎশ্যাহণ করেছি ৷ বদর এবং উহুদুদ আমি আমার পিতার ধারণ করার কারণে

ৎশ নিতে পারিনি ৷ উহুদুদর যুদ্ধে আমার আব্বা শহীদ হয়ে যাওয়ার পর হতে নবী করীম
(না)-এর পরিচালিত কোন পাঘৃওয়া-অভিযাদুন আমি অনুপস্থিত থাকি নি ৷

আবদুর রাঘৃযাক (র) বলেন, মামার (র) যুহ্রী (র) সুত্রে বলেছেন যে তিনি বলেন, সাঈদ

ইবনুল মুসায়্যাব (র)-দুক আমি বলতে শুদুনছি রাসুলুল্লাহ (সা) আঠারটি পাঘৃওয়৷ অভিযান
পরিচালনা করেছেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন, কখনো তাদুক চব্বিশঢি পাঘৃওয়া”ও বলতে শুদুনছি ৷
তাই, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে, ব্যাপারটিদুত আমার স্মৃতি বিভ্রাট ঘটেছে কিৎবা
তা পরবর্তী সময়ে তারই কাছে শ্রুত কোন বিষয় ৷ কড়া৩াদ৷ (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
াউনিশ্ টি সমরাভিযান করেছেন, যার মাঝে আটটিদুত প্ৰতক্ষে লড়৷ ই হয়েছে এবংচ চব্বিশটি

বাহিনী (অন্যদের পরিচ৷ ৷লনায়) পাঠিদুয়দুছন৷ ৷সুতরাং তার গায্ওয়া ও সারিয়্যার সমষ্টি হবে
দুততাল্লিশ ৷ সং শ্লিষ্ট বিবয়াভিজ্ঞ ইমামগণ এবং মাঝে রাবীপদুণর উরওয়৷ ইব নৃষ্ যুবায়র, যুহ্রী
ও মুসা ইবন উক্ব৷ এবং মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে,
নবী করীম (সা) দ্বিতীয় ইিজরী সনের রামাযাদুন বদর যুদ্ধ পরিচালনা করেন, তারপর তৃতীয়
ইিজরীর শাওয়াদুল উহুদ যুদ্ধ, চতুর্থ ইিজরীর মতান্তরে পঞ্চম ইিজরীর শাওয়াদুল খন্দক
(পরিথা) ও বনু কুরায়যা অভিযান, পঞ্চম ইিজরীর শাবান মাসে বনুল মুসতালিদুকর বিরুদ্ধে
মুরায়সী অভিযান, সপ্তম ইিজরীর সফর মাসে খায়বা র অভিযান তদুবষ্ কারো ক ৷দুর৷ মদুত ষষ্ঠ
হিজরীদুত এবং তথ্য বিশ্লেষদুণ ষষ্ঠ ইিজরীর শেষ ভাগ এবং সপ্তম ইিজরীর সুচনা য় খড়ায়বার
অভিযা ৷ন সং ঘটিত হয় ৷ তারপর আট ইিজরীর রামাযাদুন মক্কা ৷বাসীদুদর বিরুদ্ধে (মক্কা বিজয়),

হাওয়াযিন অভিয৷ ৷ন ও তা ৷ইফ অবরোধ যথাক্রমে অষ্টম ইিজরীর শাওয়৷ ল ও যিলহজ্জ মাসের
কোন অং শে (বিশদ বর্ণনা পুর্ববর্তী অনুদুচ্ছদসমুহে দ্রষ্টব্য) ৷ অষ্টম হিজরীতে মক্কা র না ৷ইব
প্রশাসক আত্তাব ইবন আসাদ (বা) লোকদের নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তারপর নবম
হিজরীদুত হজ্জ পরিচালনা করেন আবু বকর সিদ্দীক (বা) ৷ তারপর দশম হিজরীতে দুখাদ
রাসুলুল্লাহ (সা) মুসলমানদের সাথে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর বরকতময় সত্তার
উপস্থিতি ধন্য পাঘৃওয়ার সং খ্যা সমষ্টি সাতাশ ৷ ( ১ ) ৷৷য্ওয়৷ ওয়াদ্দান, যা পাযুওয়া-আব ওয়া’
নামে পরিচিত; (২) রাঘৃওয়৷ (দু; >-শু) পর্বতমালার কাছে পাঘৃওয়া বুয়াত , (৩) ইয়ামবু
সমতল ভুমিতে পাঘৃওয়৷ আলু উশায়রা; (৪) প্রথম বদর অভিযান কুরয ইবন জাবিরদুক
দমদুনর উদ্দেশ্যে; (৫) বিখ্যাত বদর যুদ্ধ বা বড় বদর যাতে কুরায়শী সর্দারর৷ নিহত হয়;



১ বর্তমান সৌদী আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে মক্কা ও ইয়ামবু এর মধ্যবর্তী একটি পর্বত শ্রেণী ৷ অনুবাদক


فَقَالُوا: أُمِرْنَا إِذَا فُتِحَ لَنَا أَنْ نَذْكُرَ اللَّهَ وَنَحْمَدَهُ وَنَسْتَغْفِرَهُ. فَقَالَ: مَا تَقُولُ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ؟ فَقَالَ: هُوَ أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُعِيَ إِلَيْهِ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ مَا يَدُلُّ عَلَى قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ وُجُوهٍ، وَإِنْ كَانَ لَا يُنَافِي مَا فَسَّرَهَا بِهِ الصَّحَابَةُ أَيْضًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَكَذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَجَّ بِنِسَائِهِ قَالَ: «إِنَّمَا هِيَ هَذِهِ الْحَجَّةُ، ثُمَّ الْزَمْنَ ظُهُورَ الْحُصُرِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ جَيِّدٍ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ النُّفُوسَ اسْتَشْعَرَتْ بِوَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ ذَلِكَ وَنُورِدُ مَا رُوِيَ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ وَالْآثَارِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَلْنُقَدِّمْ عَلَى ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ الْأَئِمَّةُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَأَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ قَبْلَ الْوَفَاةِ ; مِنْ تَعْدَادِ حِجَجِهِ وَغَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ إِلَى الْمُلُوكِ، فَلْنَذْكُرْ ذَلِكَ مُلَخَّصًا مُخْتَصَرًا، ثُمَّ نُتْبِعُهُ بِالْوَفَاةِ. فَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ،
পৃষ্ঠা - ৪১৪৬


(৬) রনু সৃলায়ম অভিযান যা কৃদার১ জলাশয় পর্বত সম্প্রসারিত হয়েছিল; (৭) আবু সুফিয়ান
ইবন হড়াবব এর বিরুদ্ধে গাবওরা সাবীক (ছাতু অভিযান); (৮) গাত্ফান অভিযান, যাবু-
আমর অভিযান নামেও পরিচিত; (৯) নাজ্বরান অভিযান, হিজাব-এর একটি খনিজ এলাকা;
(১০) উহুদ যুদ্ধ; (১১) হামরড়াউলু আসাদ অভিযান; (১২) রনু নাযীর অভিযান; (১৩) নাখৃল
এলাকার যাতুররিকা অভিযান; (১৪) শেষ বদর; (১৫) দুযাতুলু-জানদাল অভিযান; (১৬)
খন্দক (পরিযা) বুদ্ধ; (১ ৭) বনু কৃরায়যা অভিযান; (১৮) হুযায়ল এর শাখা বনু লিহ্য়ড়ানের
বিরুদ্ধে অভিযান; (১৯) য়ু-করোদ অভিযান; (২০) খুযাআর অন্তর্গত বনু মুসৃতালিক অভিযান;
(২১) হুদায়বিরা অভিযান, এতে লড়াই উদ্দেশ্য ছিল না ৷ মুশরিকেরা র্তাকে উমরা পালনে বাধা
দিয়েছিল; (২২) খাররার অভিযান; (২৩) উমরাতুল কাযা; (২৪) মক্কা বিজয় অভিযান; (২৫)
হুনায়ন অভিযান; (২৬) তাইফ অভিযান এবং (২৭) তাবুক অভিযান ৷ ইবন ইসহাক (র)
বলেছেন, এগুলির মাঝে নয়টি গাবওরার তিনি (সা) লড়াই করেছেন ৷ বদর (বড়), উহুদ,
খন্দক , বনু কুরারযা, মুসৃতালিক, খড়াররার, ফাত্হ্ (মক্কা বিজয়), হুনায়ন ও তাইফ অভিযান ৷
অড়ানুবংগিক প্রমড়াণাদিসহ এসব অভিযান সম্পর্কিত যুক্তিসহ বিশদ আলোচনা আমরা ইতােপুর্বে
পরিবেশন করে এসেছি আল্পাহ্রই জন্য যাবতীয় হড়ামৃদ ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, নবী করীম (সা) কর্তৃক প্রেরিত ক্ষুদ্র বাহিনী, প্রতিনিধি দল
এবং সাবিয়্যা সমুহের সংখ্যা ছিল আটত্রিশ ৷ তারপর তিনি এগুলির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন ৷

আল্লাহ্র ফযলে আমরা যথান্থানে এর প্রায় সবগুলির আলোচনা সন্নিবেশিত করে এসেছি ৷
আমরা এখানে ইবন ইসহাক (র) প্রদত্ত বিবরণের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেছি (১)
ছানিয়্যাতুলমুররা (মুবরা গিরিপথ) এর নিকটে প্রেরিত উবায়দা ইবনুল হারিছ (রা) এর
অভিযান (২) ঈসএর উপকুলবর্তী এলাকার হামুযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) এর
অভিযান ৷ কোন কোন বর্ণনাকার এ দ্বিতীয়টিচক উবায়দার অভিযানের পুর্ববর্তী সাৰাস্ত
করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত (পুর্বাল্যেচনড়া দ্রষ্টব্য) (৩) জিরার অভিমুখে সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস (রড়া)-এর কাফেলা (৪) বাজীলা অভিমুখে আবদুল্লাহ ইবন জাহ শ (রা)-এর
অভিযান; (৫) কারাদা অভিমুখে যায়দ ইবন হারিছা (রা)-এর অভিযান; (৬) কাব ইবনুল
অম্পোরাফকে দমনে মুহাম্মদ ইবন যাসলামা (রা) এর নৈশ অভিযান; ( ৭ ) রাজী অভিমুখে
মড়ারছাদ ইবন আবু যারছাদ (রা )-এর অভিযান; (৮) ৰীরৈ মাউন৷ অভিমুখে মুবঘির ইবন
আমুর (রা) এর অভিযান; (৯) যুলপ্কাসৃসার উদ্দেশ্যে প্রেরিত আবু উবড়ায়দা (রা) অভিযান;
(১০) রনু আমির অঞ্চলের মরুবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত উমর ইবনৃল খন্ডোব (রড়া)এর
অভিযান; (১ ১) ইয়ামান অভিমুখে আলী (রা)এর অভিযান; ( ১ ২) কুদায়দ অভিমুখে গালিব
ইবন আবদুল্লাহ আলু-কত্বলবী (রড়া)-এর অভিযান ৷ এ বাহিনী ভৈনশ অভিযানে বনুল যালুহরুক
আক্রমণ করে তাদের পরাস্ত করে এবং তাদের কতককে নিহত করে তাদের পশুপাল তাড়িয়ে
নিয়ে আসলে তাদের একটি বাহিনী পশুপাল উদ্ধারের জন্য পাল্টা আক্রমণে উদ্বুদ্ধ হয় ৷ কিন্তু
তারা প্রতিপহ্মের কাছাকাছি পৌছলে চলে প্লাবিত একটি উপত্যকা তাদের গতি রুখে দেয় ৷ এ
অভিযানেই বন্দী হয়েছিলেন হারিছ ইবন মালিক ইবনুল রারসা ৷ ইবন ইসহাক এ প্রসৎগটি




«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَحَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، وَلَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا.» قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: وَوَاحِدَةً بِمَكَّةَ. كَذَا قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ. وَقَدْ قَالَ زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ ثَلَاثَ حَجَّاتٍ ; حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ، وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ، مَعَهَا عُمْرَةٌ، وَسَاقَ سِتًّا وَثَلَاثِينَ بَدَنَةً، وَجَاءَ عَلِيٌّ بِتَمَامِهَا مِنَ الْيَمَنِ» . وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَعُمْرَةَ الْجِعْرَانَةِ وَالْعُمْرَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ» . وَأَمَّا الْغَزَوَاتُ فَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَمَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ تِسْعَ غَزَوَاتٍ يُؤَمِّرُهُ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَفِيمَا يَبْعَثُ مِنَ الْبُعُوثِ تِسْعَ غَزَوَاتٍ، مَرَّةً عَلَيْنَا أَبُو بَكْرٍ، وَمَرَّةً عَلَيْنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ.»
পৃষ্ঠা - ৪১৪৭


তিনবার বললেন, তখন আবু যায়দ ইবন আম্র নামে আগন্তুক দলের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া
রাসুলল্লাহৰু যারা জীবিত রয়েছে, আমাদের খাতিরে তাদের মুক্ত করে দিন; আর যারা নিহত
হয়েছে তাদের বিষয়টি আমার এ পদতলে (রহিত করার দায়-দায়িতু আমি গ্রহণ করব) ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ (না) তাদের সাথে আলী ইবন আবু তালিব (রা)-কে পাঠাবার ঘোষণা দিলেন ৷
আলী (বা) বললেন, যায়দ তো আমার আনুগত্য মেনে নিতে স্বীকৃত হবে না ৷ ”

তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বিশেষ নির্দশন স্বরুপ স্বীয় তরবারী আলী (রা)-কে দিয়ে দিলেন ৷
আলী (বা) তাদেরই একটি উটে করে তাদের সাথে সফর শুরু করলেন এবং ফায়ফড়া’ আল-
ফাহ্লাতায়ন (দুই পাহাড়ের মরু প্রাম্ভর)-এ যায়দ (রা)-ও তার বাহিনীর সাক্ষাত গেলেন এবং
তাদের আহরিত যাবতীয় সামগ্রী ও বন্দীদের যথাযথ অবস্থায় পেয়ে গেলেন ৷ আলী (বা)
ন্ প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের লুষ্ঠিত সব কিছুই প্রত্যার্পণ করলেন, একটা কিছুও তাদের
অপ্রাপ্ত রইল না (২২) ওয়াদি-ল কুরায় বসবাসরত বনু ফামারা অভিমুখে যায়দ ইবন হারিছা
(রা)এর আর একটি অভিযান ৷ এতে তার সহযোদ্ধাদের অনেবেইি শহীদ হন ৷ শহীদদের
মাঝে জকে (যায়দ) আঘাতে জর্জরিত অবস্থায় খুজে পাওয়া গেল ৷ তিনি ফিরে এলে শপথ
করলেন যে, পুনরায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা না করা পর্যন্ত তিনি ত্রী গমন করবেন
না ৷ জর যখম শুকিয়ে গিয়ে সুস্থ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি বাহিনী দিয়ে পুনরায় র্তাকে
অভিযানে পাঠড়ালেন ৷ ওয়াদিল কুরায় তিনি শত্রুদের নিধন করলেন এবং উম্মু কারফা ফাতিমা
বিনৃত রাবীআ ইবন বদরকে বন্দী করলেন ৷ সে ছিল মালিক ইবন হুযায়ফড়া ইবন বদ্রএর
কাছে এবং তার সাথে র্তার একটি কন্যাও ছিল ৷

যায়দ ইবন হারিছা (বা) কায়স ইবনুল মিসহার আলু ইয়ামুয়ীকে হুকুম করলে তিনি উম্মু
কারফাকে হত্যা করলেন এবং তার কন্যাটিকে জীবিত রাখলেন ৷ উম্মু কারফা ছিল এক
অভিজাত পরিবারের নারী এবং আভিজাতা প্রকাশে তার নাম প্রবাদতুল্য প্রসিদ্ধ ছিল ৷ তার ঐ
কন্যাটি (গনীমতের বন্টিত অংশরুপে) সালামা ইবনুল আক্ওয়া (রা)-এর ভাগে পড়ে ৷
রাসুলুল্লাহ (না) তার কাছে কন্যাটিকে হেবা করে দিতে বললে সালামা (বা) তাকে নবী করীম
(সা) এর হাতে সমর্পণ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন তাকে হেবা হিসাবে তার মামা হুয্ন
ইবন আবু ওয়াহব (রা)-এর হাতে তুলে দিলেন ৷ র্তীরই গর্ভে তার এক পুত্র আবদুর রহমানের
ণ্ জন্ম হয়; (২৩) খায়বার অভিমুখে দুইবার প্রেরিত আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহার অভিযান ৷ প্রথম
বারের ঘটনার বিবরণঃ এ অভিযানে ইউসায়র ইবন রিযামকে হত্যা করা হয় ৷ ইউসায়র
রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গাত্ফানীদের সৎঘবদ্ধ করতো ৷ তাই,
রাসুলুল্লাহ (মা) (তাকে দমন করার লক্ষে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর অধীনে একটি
বাহিনী পাঠালেন ৷ এ বাহিনীর অন্যতম মুজাহিদ ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (বা) ৷ বাহিনী
ইউসায়র এ র এলাকায় পৌছে যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে বিভিন্ন উপায়ে তাকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
সমীপে উপস্থিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে লাগল ৷ ফলে সে কড়াফেলার সাথে রওয়ড়ানা হয়ে
গেল ৷ কিন্তু খায়বার হতে হয় মাইল দুরবর্তী কারকারা-য় পৌছেই ইউসায়র তার এ সফর
সিদ্ধান্তে অণু৩াপ অণু৩ব করতে লাগল ৷ আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (বা) তার এ মনােভাবের
কথা আচ করতে পারলেন, তাকে তরবারী ব্যবহারে উদ্যত দেখে আবদুল্লাহ তরবারীর আঘাতে




وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ عَشْرَةَ غَزْوَةً.» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، شَهِدَ مَعَهُ مِنْهَا سَبْعَ عَشْرَةَ، أَوَّلُهَا الْعُشَيْرُ أَوِ الْعُسَيْرُ.» وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ مُعْتَمِرٍ، عَنْ كَهَمْسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّ عَشْرَةَ غَزْوَةً» . وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ مِنْ طَرِيقِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، قَاتَلَ مِنْهَا فِي ثَمَانٍ.» وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ بِهَذَا الْإِسْنَادِ: وَبَعَثَ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ سَرِيَّةً، قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ وَأُحُدٍ، وَالْأَحْزَابِ، وَالْمُرَيْسِيعِ وَقُدَيْدٍ، وَخَيْبَرَ، وَمَكَّةَ، وَحُنَيْنٍ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا إِحْدَى وَعِشْرِينَ غَزْوَةً، غَزَوْتُ مَعَهُ مِنْهَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً،
পৃষ্ঠা - ৪১৪৮


তার পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন ৷ ইউসায়র ও শাওহাত’ কাঠের একটি বীক৷ লাঠি দিয়ে
আবদুল্লাহ (রা)-এর মাথায় সজােরে আঘাত করে তাকে গুরুতর যখন করে ৷ তখন মুসলিম
বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভীদের প্রত্যেকের কাছের ইয়াহুদীর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে তাদেরকে
হত্যা করেন ৷ তবে একজন লোক ৫কড়ানরকমে দৌড়ে পালাল ৷ আবদুল্লাহ ইবন উনায়সৃ (বা)
ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ (সা) তার মাথায় লালা লাগিয়ে দিলেন, ফলে তীর য়খঃমের পচন
নিবারিত হল এবং কষ্টের উপশম হয় ৷

আমার (গ্রন্থকারের) ধারণা দ্বিতীয় অভিযানটি ছিল খায়বারে (ইয়ড়াহুদীদের কাছে বর্গা পত্তনী
দেয়া) খেজুয়ের উৎপাদন পরিমাণ সম্পর্কে আগাম পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহই
সৰ্বাধিক অবগত; (২৪) খায়বড়ার অভিমুখে উবায়দুল্লাহ ইবন আতীক ও তার সংর্গীদের
অভিযান, এরা আবু রাফি ইয়াহুদীকে নিধনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন; (২৫) খালিদ ইবন
সুফিয়ান ইবন নুবড়ায়হ্কে দমনের লক্ষেক্ত প্রেরিত আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (রা)-এর অভিযান
তারা প্ৰতিপক্ষ্যক আরফোতে হত্যা করেন ব্ল ইবন ইসহাক (র) এ ক্ষেত্রে তার ঘটনার দীর্ঘ
বিবৃতি দিয়েছেন ৷ (আমাদের গ্রন্থে পঞ্চম হিজবীর আলোচনায় তা বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত); (২৬) যায়দ ইবন হারিছা , আরব ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়ড়াহা (বা), তিন
সেনাধ্যক্ষের শাম (সিরিয়া) সীমান্তের ঘু’তা অভিযান যাতে তারা তিন জনই পরপর শাহাদাত
বরণ করেছিলেন (পুর্বে আলোচিত হয়েছে); (২৭) শাম (সিরিয়া) দেশের য়ড়াতু-আত্লাহ্
অভিমুখে কাব ইবন উমায়র (আসর) (রা)-এর অভিযান ৷ এতে এ বাহিনীর সকলেই শাহাদাত
বরণ করেন; (২৮) তাযীম-এর শাখা বনুলু “আমার অভিমুখে প্রেরিত উয়ায়না ইবন হিসৃন ইবন
হুযায়ফা ইবন বদর (বা)এর অভিযান ৷ এ বাহিনী প্রভিপক্ষের উপর অতর্কিত আক্রমণ
চালিয়ে তাদের অনেক লোককে হতাহত করে ৷ পরে তাদের প্রতিনিধিদল বন্দীদের ব্যাপারে
আলোচনার উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) সকাশে উপনীত হলে নবী কবীর (না) তাদের কতককে
সরাসরি যুক্তি দিয়ে দেন এবং অন্য কতককে ঘুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেন; (২৯) রনু
যুবরড়া-র অঞ্চলাভিমুখে গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) এর আর একটি অভিযান ৷ এতে যুবরা-র
অন্যতম মিত্র জুহায়নড়ার শাখা হুরশো গোত্রের মিরদড়াস ইবন নড়াহীক নিহত হয় ৷ উসামা ইবন
যায়দ (বা) ও অন্য একজন আনসাবী ব্যক্তি তাকে হত্যা করেন ৷ ভীরত্ব দুজন তাকে নাগালে
পেয়ে গেলেন ৷ তারা র্তরবাবী উত্তোলন করলে মিরদাস বলে উঠল ঞা ১’ ৷ শ্া৷ ১’ (এক আল্লাহ
ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই) ৷ তারা দুজন (উসামা ও আনসাবী) ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ
(সা) তাদের শক্ত ভন্থসন৷ করলেন ৷ সে (তা শুধু জীবন রক্ষার উপায় হিসাবে কালিমা
বলেছিল’ ৷ এ কথা বলে ভীর৷ দুজন নিজেদের দোব স্থালনের যুক্তি পেশ করলেন ৷

তখন নবী কবীম (সা) উসামা (রা)-ফে বললেন, হ্যা (১১ এ্যা ;াণ্শু “তুমি কি তার হৃদয়
চিরে দেখেছিলে এবং বার বার তিনি উসামা (রা)ফে বলতে লাগলেন শ্ঞা ১’৷ ৰুা৷ ১া ঞ (,এে
রু^ষ্ন্শ্রো ণ্ফু-৷ কিয়ামতের দিন লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ্-এর জবড়ারে তোমার পক্ষে (ক দীড়ারে?”
উসামা (রা) বলেছেন, নবী কবীর (না) এ বাক্যটি এত অধিক পুনরুক্তি করতে লাপলেন যে,
আমার এমন বাসনাও হতে লাগল যে, যদি এ ঘটনার আগ পর্যন্ত আমি ঘুসলমানই না হতাম
(বা হাদীসটি পুরুকী আলোচিত হয়েছে); (৩০) বনু আয়র৷ অঞ্চলের যাতুসৃ সালাসিল অভিমুংখ


وَلَمْ أَشْهَدْ بَدْرًا وَلَا أُحُدًا، مَنَعَنِي أَبِي، فَلَمَّا قُتِلَ أَبِي يَوْمَ أُحُدٍ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا.» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ يَقُولُ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ غَزْوَةً. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ مَرَّةً أُخْرَى يَقُولُ: أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ غَزْوَةً. فَلَا أَدْرِي أَكَانَ ذَلِكَ وَهْمًا أَوْ شَيْئًا سَمِعَهُ بَعْدَ ذَلِكَ» . وَقَالَ قَتَادَةُ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ عَشْرَةَ، قَاتَلَ فِي ثَمَانٍ مِنْهَا، وَبَعَثَ مِنَ الْبُعُوثِ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ، فَجَمِيعُ غَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعُونَ» . وَقَدْ ذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَالزُّهْرِيُّ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةٍ هَذَا الشَّأْنِ، «أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ اثْنَتَيْنِ، ثُمَّ فِي أُحُدٍ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ فِي الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ فِي شَوَّالٍ أَيْضًا مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ، وَقِيلَ: خَمْسٍ. ثُمَّ فِي بَنِي الْمُصْطَلِقِ بِالْمُرَيْسِيعِ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ خَمْسٍ، ثُمَّ فِي خَيْبَرَ فِي صَفَرٍ سَنَةَ سَبْعٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: سَنَةَ سِتٍّ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ وَآخِرِ سِنَةِ سِتٍّ، ثُمَّ قَاتَلَ
পৃষ্ঠা - ৪১৪৯


আমৃর ইবনুল আস (রা)-এর অভিযান ৷ এ গোত্রটি আরবদের সিরিয়া গমনে উদ্বুদ্ধ করত এবং
মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াত ৷ আমর (রা)-কে পাঠানোর পিছনে যুক্তি ছিল এই যে,
আস ইবন ওয়াইল-এর যা ছিল বালী’ গোত্রের যেয়ে ৷ এ কারণে তাদেরকে দলে ভিড়াবার
উদ্দেশ্যে অড়ামর (রা)-কে পাঠানো হল, যাতে আত্মীয়তার দাবীতে তার আহবান তাদের মাঝে
অধিক কার্যকর প্রতিপন্ন হয় ৷ আমর (রা) সালসাল নামে তাদের একটি কুপের কাছে পৌছলে
তীর মনে শত্রুদের ব্যাপারে ভীতির সঞ্চার হল ৷

তাই তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে সাহায্যকারী বাহিনী চেয়ে পাঠালেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ (না)
আবু উবায়দা ইবনুল জাবৃবাহ্ (রা)-এর পরিচালনাবীনে একটি বাহিনী পাঠিয়ে দিলেন ৷ আবু
বকর ও উমর (রা)-ও ছিলেন এ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ৷ এরা সকলে তীর কাছে পৌছে পেলে
আম্র (বা) নিজেকে সম্মিলিত বাহিনীর আমীর ঘোষণা করে বললেন, আপনারা তাে আমার
সাহায্যকারী বাহিনীরুপে প্রেরিত হয়েছেন ৷ আবু উবায়দা (বা) এতে আপত্তি করলেন না ৷ তিনি
ছিলেন সহজ সরল ও পার্থিব বিষয়ে নিমেহি কোমল প্রকৃতির ৷ তাই তিনি আমর (রা)-এর
নেতৃত্বে মেনে নিলেন ৷ ফলে আমৃর (রা) র্তাদের সকলের ইমাম হয়ে সালাত আদায় করতেন
এবং ফিরে এ মে তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ “আপনার কাছে সর্বাধিক প্রিয় লোক কে? নবী
করীম (সা) বললেন, আইশা ৷ আমৃর (রা) বললেন, তবে পুরুষদের মাঝে? নবী করীম (সা)
বললেন, তার (আইশার) পিতা; (৩১) ঘাত্ন-আদম অভিমুখে আবদুল্লাহ ইবন আবু হাদ্রাদ
(রা)-এর অভিযান ৷ এ অভিযান ছিল মক্কা বিজয়ের আগে এবং এয়ুজী সংঘটিত হয়েছিল
মুহাল্লাম ইবন জাছুছাসার ঘটনা ৷

সপ্তম হিজবীর ঘটনাবলীর আওতায় এর বিশদ বিবরণ ইতোপুর্বেন্থ আলোচিত হয়েছে;
(৩২) পাবা অভিমুখে ইবন আবু হাদরাদ (রা)-এর অন্য একটি অভিযান; (৩৩) দুমাতুল-
জানৃদাল অভিমুখে আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-এর অভিযান ৷ এ অভিযানের প্রস্তুতি
পর্বের প্রাসংগিক ঘটনা বর্ণনায় মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আমার কাছে অবিশ্বম্ভ নয়
এমন ব্যক্তিআতা’ ইবন আবু রাবাহ (র) হতে, তিনি বলেন, কোন মানুষ পাগড়ী বীধার
সময় পাগড়ী (শামলা) ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয় জনৈক বসৃরাবাসী ব্যক্তিকে আমি আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করতে শুনলাম ৷ আতা’ বলেন; জবাবে আবদুল্লাহ (বা)
বললেন, ইনৃশাআল্লাহ্ এ বিষয় আমি তোমাকে যথাযথ খবর’ দিচ্ছি ৷ তুমি জেনে নাও যে,
আমি নবী কবীম (সড়া)এর মসজিদে তার সাহাবীগণের দশ জনের একটি জামাআতে দশম
ব্যক্তিরুপে উপস্থিত ছিলাম ৷ (১) আবু বকর, (২) উমর, (৩) উছমান, (৪ ) আলী, (৫) আবদুর
রহমান ইবন আওফ, (৬) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, (৭) মুআয ইবন জাবাল, (৮) হুযায়ফা
ইবনৃল ইয়ামান, (৯) আবু সাঈদ খুদরী এবং (১০) আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে উপস্থিত
ছিলাম ৷ তখন এক আনসারী তরুণ উপস্থিত হয়ে রাসুলল্লাহ (সা)কে সালাম ছিল এবং বসে
পড়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! মু’মিনদের মাঝে শ্রেষ্ঠ কে? নবী করীম (সা) বললেন ,ৰু;ন্া
থ্রে১ “যে তাদের মাঝে চরিত্রগুণে উত্তম ৷ ” অড়ানসারী বললো, তবে, ঘু’মিনদের মাঝে সর্বাধিক

ধীমান কে ? নবী কবীম (সা) বললেন-



أَهْلَ مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَقَاتَلَ هَوَازِنَ وَحَاصَرَ أَهْلَ الطَّائِفِ فِي شَوَّالٍ وَبَعْضِ ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ ثَمَانٍ، كَمَا تَقَدَّمَ تَفْصِيلُهُ، وَحَجَّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ بِالنَّاسِ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ نَائِبُ مَكَّةَ ثُمَّ فِي سَنَةِ تِسْعٍ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، ثُمَّ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُسْلِمِينَ سَنَةَ عَشْرٍ» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ جَمِيعُ مَا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ سَبْعًا وَعِشْرِينَ غَزْوَةً ; غَزْوَةَ وَدَّانَ وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَبْوَاءِ ثُمَّ غَزْوَةَ بُوَاطٍ مِنْ نَاحِيَةِ رَضْوَى ثُمَّ غَزْوَةَ الْعُشَيْرَةِ مِنْ بَطْنِ يَنْبُعَ ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْأُولَى يَطْلُبُ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْعُظْمَى الَّتِي قَتَلَ اللَّهُ فِيهَا صَنَادِيدَ قُرَيْشٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى بَلَغَ الْكُدْرَ، ثُمَّ غَزْوَةَ السَّوِيقِ يَطْلُبُ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ غَطَفَانَ وَهِيَ غَزْوَةُ ذِي أَمَرٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ نَجْرَانَ - مَعْدِنٍ بِالْحِجَازِ - ثُمَّ غَزْوَةَ أُحُدٍ ثُمَّ حَمْرَاءَ الْأَسَدِ ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي النَّضِيرِ، ثُمَّ غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْآخِرَةِ، ثُمَّ غَزْوَةَ دُومَةِ الْجَنْدَلِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْخَنْدَقِ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي قُرَيْظَةَ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ مِنْ هُذَيْلٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ ذِي قَرَدٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْحُدَيْبِيَةِ لَا يُرِيدُ قِتَالًا فَصَدَّهُ الْمُشْرِكُونَ، ثُمَّ غَزْوَةَ خَيْبَرَ ثُمَّ عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْفَتْحِ، ثُمَّ غَزْوَةَ حُنَيْنٍ ثُمَّ غَزْوَةَ الطَّائِفِ ثُمَّ غَزْوَةَ تَبُوكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ قَاتَلَ مِنْهَا فِي تِسْعِ غَزَوَاتٍ ; غَزْوَةِ بَدْرٍ وَأُحُدٍ، وَالْخَنْدَقِ،
পৃষ্ঠা - ৪১৫০


“ইবন আওফ ! এ (পতাকা)-টি নাও, সম্মিলিত শক্তিতে আল্লাহর রাহে লড়াই করবে,
তোমরা লড়বে তাদের সাথে যারা আল্লাহর সাথে কুফবী করে; খিয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতা
করবে না; নিহত ব্যক্তিকে নাক কান কেটে বিকৃত করবে না, কোন শিশুকে হত্যা করবে না ৷ এ
হচ্ছে আল্লাহর অংপীকার এবং তোমাদের জন্য তোমাদের নবীর আদর্শ ৷ এ সময় আবদুর
রহমান ইবন আওফ (বা) পতাকা হাতে নিলেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, তখন ইবন
আওফ দুমাতুল জানৃদাল অভিমুখে যাত্রা করলেন; (৩৪) আবু উবায়দা ইবনুল জাররাস্থ (রা)
এর বাহিনী, তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিনশত অশ্বারােহী এবং র্তাদের গন্তব্য ছিল সমুদ্র
উপকুলবর্তী এলাকা ৷ নবী করীম (সা) এ বাহিনীকে এক বস্তা খুরমা পাথেয়রুপে দিয়েছিলেন ৷
এ অভিযানেই আমার মাছের ঘট না ঘটেছিল ৷ সাগরের তরংগ এক বিশাল মাছ তাদের জন্য
সৈকত ঠেলে দিয়েছিল এবং তারা সকলে মিলে প্রায় এক মাস যাবত মাছ খেয়ে খেয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট
হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারা মাছটির অনেকগুলি টুকরা কেটে নিয়ে নিজেদের সাথে করে রাসুলল্লাহ
(না)-এর কাছে ফিরে এসেছিলেন এবং তাকে তা হতে পাবার জন্য হাদিয়া দিলে তিনি তা
থেয়েও ছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, ইবন ইসহাক
(র) এ স্থানে একটি অভিযানের কথা উল্লেখ করেন নি ৷ তাহল যুবায়র ইবন আলী ও তার
সংগীদের (বা) শহীদ করার পরে আবু সুফিয়ান সাখৃর ইবন হাবৃবকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে
প্রেরিত আম্র ইবন উমায়ব্রুড়া আঘৃ যামারী (রা)-এর বাহিনী ৷ এ সম্পর্কিত ঘটনা আমরা
ইতোপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ আম্র ইবন উমায়ার অন্যতম সংগী ছিলেন জাববার ইবন
সাখৃর (বা) ৷ তবে তারা দু’জন আবু সুফিয়ানকে হত্যা করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন নি ৷
বরং অন্য এক ব্যক্তিকে হত্যা করে খুবায়ব (রা)-কে শুলী কাষ্ঠ হতে নামিয়ে নিয়ে এসেছিলেন;
(৩৫) সালিস ইবন উমায়র বাককাঈর (রা) অভিযান যা বনু আম্র ইবন আওফের অন্যতম
আবু ইফ্ক এর বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়েছিল ৷ রাসুলল্লাহ (সা) হারিছ ইবন সুওয়য়দ ইবনুস্
সামিতকে হত্যার নির্দেশ প্রদান করলে (পুবদ্রিলাচনা দ্র ) ইবন ইফ্ক এর মুনাফিকী ও কপটতা
প্রকাশ পেয়ে যায় ৷ হারিহ এর জন্য শোক পাথা এবং নতুন ধর্ম গ্রহণের নিন্দাবাদ করে সে
কবিতা রচনা করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাকে কুশ্ৰী করুন ৷ দীর্ঘকাল ধরে জীবন-যাপন করছি ৷ কোন
পরিবার বা কোন সমাজ দেখিনি যারা চুক্তিবদ্ধ মিত্রের আহ্বানে অভিজাত ও বাহাদুর কায়লা-র
সন্তানদের চেয়ে, অধিক অংগীকার পুরণকারী ও বিশ্বস্ত ৷

যারা পাহাড় বসিয়ে দেয় কিন্তু নিজেরা বিনীত হতে জানে না ৷ তাদের দ্বিধা বিভক্ত করল
এক আরোহী হড়ালাল, হারাম ও বৈধ-অরৈধ যার কাছে একাকার ৷ হায় ! যদি তোমার ইজ্জত,
আভিজাত্যের মান রক্ষা করতে ৷ কিৎবা রাজকীয় মর্যাদার অধিকড়ারীদের আনুগত্য করতে ৷”
রাসুলুল্লাহ (সা) এ কবিতার বিষয় অবগত হয়ে বললেন ৷ এপ্লু১১এ ৷১শুন্ ণ্৷ ঞ ” কে আছে
আমার পক্ষ থেকে এ উক্তির জবাব দিবে ? তখন সালিম ইবন উমায়র নবী করীম (সা) এর
আহবানে সাড়া দিয়ে আবু ইফ্ক কে হত্যা করে আসলেন ৷ এ প্রসংগে উমামা আলু মাযীদিয়্যা
কবিতা রচনা করেছিলেন-

ঞ১ ধ্াট্রর্চুট্টা
জো) )১£ ক্লেঠু;; ৷১১২ নীিগ্যে;হুশ্লোস্লেপুৰু-ণ্ডামোঃশ্বাএ্যা গ্লু১ ত্এে১১ গ্রা ১১

وَقُرَيْظَةَ، وَالْمُصْطَلِقِ، وَخَيْبَرَ، وَالْفَتْحِ، وَحُنَيْنٍ، وَالطَّائِفِ. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَبْسُوطًا فِي أَمَاكِنِهِ بِشَوَاهِدِهِ وَأَدِلَّتِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَتْ بُعُوثُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَسَرَايَاهُ ثَمَانِيًا وَثَلَاثِينَ، مِنْ بَيْنِ بَعْثٍ وَسَرِيَّةٍ. ثُمَّ شَرَعَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي ذِكْرِ تَفْصِيلِ ذَلِكَ. وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ أَوْ أَكْثَرَهُ مُفَصَّلًا فِي مَوَاضِعِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَلْنَذْكُرْ مُلَخَّصَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ ; بَعْثُ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ إِلَى أَسْفَلِ ثَنِيَّةِ الْمَرَةِ. ثُمَّ بَعْثُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى السَّاحِلِ مِنْ نَاحِيَةِ الْعِيصِ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُقَدِّمُ هَذَا عَلَى بَعْثِ عُبَيْدَةَ، كَمَا تَقَدَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ إِلَى الْخَرَّارِ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ إِلَى نَخْلَةَ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الْقَرَدَةِ. بَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ إِلَى كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ. بَعْثُ مَرْثَدِ بْنِ أَبِي مَرْثَدٍ إِلَى الرَّجِيعِ. بَعْثُ الْمُنْذِرِ بْنِ عَمْرٍو إِلَى بِئْرِ مَعُونَةَ. بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ. بَعْثُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِلَى تُرْبَةَ فِي أَرْضِ بَنِي عَامِرٍ. بَعْثُ عَلِيٍّ إِلَى الْيَمَنِ. بَعْثُ غَالِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْكَلْبِيِّ إِلَى الْكَدِيدِ فَأَصَابَ بَنِي الْمُلَوَّحِ، أَغَارَ عَلَيْهِمْ فِي اللَّيْلِ، فَقَتَلَ طَائِفَةً مِنْهُمْ وَاسْتَاقَ نَعَمَهُمْ، فَجَاءَ نَفِيرُهُمْ فِي طَلَبِ النَّعَمِ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا حَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ وَادٍ مِنَ السَّيْلِ، وَأَسَرُوا فِي مَسِيرِهِمْ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৪১৫১


আল্লাহর দীন এবং মহান মানব মুহাম্মদ (সা) কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছ ! কসম ! যে
তোমাকে বীর্যপাত করেছে কতই নিকৃষ্ট যে বীর্যপ!ত করেছে একজন৩ তাওহীদ বাদী তোমাকে
শেষ রাতে একটি বল্লমের আঘাত উপহার দিয়েছে; আবু ইফ্ক বুড়াে বয়সে নিয়ে নাও ওটি !

(৩৬) বনু উম!য়্যা ইবন য!য়দ-এর মহিলা কবি আসৃম!’ বিনত ম!রওয়!নকে হত্যার
উদ্দেশ্যে প্রেরিত উম!য়র ইবন অ!দী অ!ল্-খিত মী (রা) এর অভিযান এ অ!সমড়া ইসলাম ও
মুসলমানদের সম্পর্কে বাংগ কবিতা রচনা করত ! পুর্বোল্লিখিত অ৩!বু ইফ্ক নিহত হলে আসম!
তার মুনাফিকী ও কপটতা !র পর্দা উন্মো চিত করে দেয় এবং এ প্ৰস০ গে কবিতা রচনা করে !

চরম দুর্দশা! বনু ম! !লিক, বনুন না !বীত ও আওফ গোষ্ঠীর জন্য; চরম দুর্দশা বনুল খ!যর!জ
৫গ!ষ্ঠীর! তোমরা অনুগ৩ ! স্বীকা !র করে নিয়েছে! এক বিজ! র্তীয় ভিনদেশীর যে লোকটি ঘুর!দ
গোষ্ঠীরও নয় ম!যহিজ্জ গোষ্ঠীরও নয় !৫ তোমাদের ম!থাগুলোর (৫নতৃবর্গের) নিধন যজ্ঞের পরেও
তাকে আশা ভরস!র পাত্র বানিয়ে রেখেছো, এ যে মর! গাছে নতুন পাতা গজ!ব!র দুর!শা !

হায় ! নেই কী আত্মমর্য!দ!বােধে উদ্বুদ্ধ কোন বাহাদুর যে, সুযে!গের সদ্বব্যহ!র করে এ
আশাব!দের রশি ছিড়ে দিতে ৩প!রে এর জবাবে হ!সৃসান ইবন ছ! !বিত (রা) পাল্টা কবিতা
রচনা করলেন বনু ওয়া !ইল, বনু ওয়া !কিফ ও খি৩ যীর!, বনুল-খ!যব!জ ব্যতিরেকে ! যখন
কপ!ল গোড়ার! নির্বৃদ্ধি৩ !র দরুন নিজেদের চরম সর্বন!শ ডেকে অ!নে ! অ!ন্দে!লিত করে
ঐতিহ্যময় প ! র ! !>! ৩ ও বদ!ণ!৩!র অধিকারী এক তরুণকে; ভেতরে ব! !ইরে স্বভ!বে-অ!চরণে
অভিজাত ! সে তরুণ ধুলা লুষ্ঠিত করে দিল ঐ অভিজাতপর্বী সুপথ বিদ্বেষী অপদ!র্থদের,
তাতে সে কোন অন্যায় করেনি !



ৰিনৃত
০!;)এ “বিনত ম!রওয়!নের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমাকে শান্ত করবে কী কেউ ?” উম!য়র ইবন
আদী (বা) তা’ শুনেছিলেন ! সন্ধ্য! ঘনিয়ে এলে ঐ রাতেই তিনি বিনত ম!রওয়!নের বাড়ীতে
ভৈনশ অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করলেন ৷ তার পর সকালে এসে বললেন, ইয়! র!সুল!ল্লাহ !
তাকে খতম করে দিয়েছি! র!সুলুল্লাহ্ “উম!য়র
তুমি আল্লাহ এবং তার র!সুলকে সহায়তা করেছ !” উম!য়র বললেন, ইয়! র!সুলুল্লাহ্ ! তা
ব্যাপারে কি আমার উপর কে
ওতে তুমি দু ’টো বে!চ!রও অ!শং ক! করে! ন! ! তখন উম!য়র (র!) তার স্বগােত্রে ফিরে
গেলেন ! গোত্রের লে!করা তখন বিনত ম!রওয়!নের হত্যার ব্যাপারে তর্ক বিতর্ক ও মতবিরোধ
করছিল! বিনত ম!রওয়!নের ছিল প!চ পুত্র ! উম!য়র (র!) বললেন, “আমিই তাকে খুন
করেছি; এখন তোমরা সদলবলে আমার বিরুদ্বে চক্র!ন্ত কর এব০ তাতে আমাকে কোন
অবকাশ দেয়ার প্রয়োজন নেই ! এটাই ছিল প্রথম দিন, যে দিন খি৩ মীদের ম!ঝে ইসলাম
সগৌরবে অ!৩ তা প্রকাশ করল ! ফলে ইসলামের প্ৰতিপত্তি দর্শনে সেদিন গোত্রের অনেক লোক
ইসলামের ছ!য়!৩ তলে আশ্রয় নিল !

অভিযান তালিকায় এর পরে রয়েছে (৩৭) ছুম!ম! ইবন উঃছ!ল আলু হ!ন!ফী (রা)-কে
পাকড়!ওকারী বাহিনীর কথা এবং তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী! সহীহ্ হ!দীসসমুহের

ণোণোণো

الْحَارِثَ بْنَ مَالِكِ بْنِ الْبَرْصَاءِ. وَقَدْ حَرَّرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا هَاهُنَا، وَتَقَدَّمَ بَيَانُهُ. بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى أَرْضِ فَدَكَ. بَعْثُ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ، أُصِيبَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ. بَعْثُ عُكَّاشَةُ إِلَى الْغَمْرَةِ. بَعْثُ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ إِلَى قَطَنٍ، وَهُوَ مَاءٌ بِنَجْدٍ لِبَنِي أَسَدٍ. بَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ إِلَى الْقُرَطَاءِ مِنْ هَوَازِنَ. بَعْثُ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ إِلَى بَنِي مُرَّةَ بِفَدَكَ، وَبَعْثُهُ أَيْضًا إِلَى نَاحِيَةِ حُنَيْنٍ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الْجَمُومِ مِنْ أَرْضِ بَنِي سُلَيْمٍ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى جُذَامٍ مِنْ أَرْضِ بَنِي خُشَيْنٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهِيَ مِنْ أَرْضِ حِسْمَى. وَكَانَ سَبَبُهَا، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ عِنْدِ قَيْصَرَ وَقَدْ أَبْلَغَهُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوهُ إِلَى اللَّهِ، فَأَعْطَاهُ مِنْ عِنْدِهِ تُحَفًا وَهَدَايَا، فَلَمَّا بَلَغَ وَادِيًا فِي أَرْضِ بَنِي جُذَامٍ يُقَالُ لَهُ: شَنَارٌ. أَغَارَ عَلَيْهِ الْهُنَيْدُ بْنُ عَوْصٍ وَابْنُهُ عَوْصُ بْنُ الْهُنَيْدِ الصُّلَيْعِيَّانِ، وَالصُّلَيْعُ بَطْنٌ مِنْ جُذَامٍ، فَأَخَذَا مَا مَعَهُ، فَنَفَرَ حَيٌّ مِنْهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، فَاسْتَنْقَذُوا مَا كَانَ أُخِذَ لِدِحْيَةَ فَرَدُّوهُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَجَعَ دِحْيَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، وَاسْتَسْقَاهُ دَمَ الْهُنَيْدِ وَابْنِهِ عَوْصٍ، فَبَعَثَ حِينَئِذٍ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فِي جَيْشٍ إِلَيْهِمْ، فَسَارُوا إِلَيْهِمْ مِنْ نَاحِيَةِ الْأَوْلَاجِ، فَأَغَارَ بِالْمَاقِصِ مِنْ نَاحِيَةِ الْحَرَّةِ، فَجَمَعُوا مَا وَجَدُوا مِنْ مَالٍ وَنَاسٍ، وَقَتَلُوا الْهُنَيْدَ وَابْنَهُ وَرَجُلَيْنِ مِنْ بَنِي الْأَحْنَفِ وَرَجُلًا مِنْ بَنِي خَصِيبٍ، فَلَمَّا احْتَازَ زَيْدٌ أَمْوَالَهُمْ وَذَرَارِيَّهِمُ اجْتَمَعَ نَفَرٌ مِنْهُمْ بِرِفَاعَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَكَانَ قَدْ جَاءَهُ كِتَابٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৫২


উদ্ধৃতিতে এ সম্পন্ধীয়ি আলোচনা আমরা ইতোপুর্বে পেশ করে এসেছি ৷ ইবন হিশাম (র)
উল্লেখ করেছেন যে, এ ছুমামা (রা)-ই হচ্ছেন যে ব্যক্তি যার প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন- প্£শ্হুষ্ রুস্-আে ষ্ন্৷ মোঃ ;এশ্রোদ্বু ১১৮ ৰু ,এে ধ্,এন্ এওৰুৰু ঞ)ৰুশ্রা “ঈমানদার এক
আতে খায় আর কাফির খায় সাত আতে ৷ কেননা ইসলাম গ্রহণের পর ছুমড়ামা (রা)-এর
খাবারের পরিমাণ কমে গিয়েছিল ৷ আরো উল্লেখ করেছেন, ছুমড়ামা (রা) মদীনা হতে প্ৰস্থান
করে উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় উপনীত হলেন এবং তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ মক্কাবাসীরা
তাকে তাতে বাধা দিতে আসলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন এবং ইয়ড়ামামা থেকে
মক্কাবাসীদের জন্য আগত রসদ বন্ধ করে দেয়ার পাল্টা হুমকি দিলেন ৷ ইয়ামামড়ায় ফিরে গিয়ে
সত্যসত্যই তিনি মক্কাগাযী শস্য চালানোর রসদ বন্ধ করে দিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার কাছে পত্র লিখে পাঠালে পুনরায় তিনি রসদ পাঠানোর অনুমতি দিলেন ৷ বনু হানীফার
জনৈক রাবির ভাষায়-
-ণ্ফো,)ণ্ডন্ণ্ম্বা এ

“সে বাহাদুর আমাদেরই লোক যিনি পবিত্র মাসে ইহরাম করে মক্কাতে আবু সুফিয়ানের

নাকের ডপায় তালবিয়া ধ্বনি উচ্চারণ করেছিলেন ৷ ”

(৩৮) ভ্রাতৃ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আলকড়ামা ইবন মুজাঘৃযায আলু মিদলাজী (না)-এর
অভিযান ৷ ঘু-কারাদ অভিযানে ওয়াক্কাস ইবন মুজায্যায শাহাদত বরণ করলে আলকড়ামা
(বা) দুশমনের পশ্চদ্বাবনের অনুমতি চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জকে একটি বাহিনীর আমীর
নিযুক্ত করে অভিযানের অনুমতি দিলেন ৷ অভিযানে রওয়ানা হওয়ার পর আলকাম৷ একটি
ছোট্ট দলকে অ্যাবর্তী অভিযানের অনুমতি দিয়ে আবদুল্লাহ ইবন হুযাফ৷ (রা)-কে তাদের নেতা
মনোনীত করলেন ৷ আবদুল্লাহ (রা) ছিলেন কৌতুক প্রবণ ও মারাত্মক ধরনের রসিকতায়
অভ্যস্ত লোক ৷ তিনি আগুন জ্বালাবার হুকুম দিলেন এবং তার অধীনস্ত বাহিনীকে তাতে ঝাপ
দিতে আদেশ করলেন ৷ তাদের কেউ কেউ (দল নেতার আদেশ মেনে নিয়ে) ঝাপ দিতে
উদ্যত হলে আবদুল্লাহ (রা) বললেন, আমি তো রসিকতা করছিলাম ৷ নবী কৰীম (না)-এর
কাছে এ ঘটনার খবর পৌছলে তিনি বললেন-০গ্লুৰুও ও ১াএ্ন্ ত্রা ষ্াষ্এ্যা ণ্£)শু৷ প্রু; “আল্লাহর
অবাধ্যতার কোন আদেশ কেউ তোমাদের করলে তোমরা তার আনুগত্য করবে না ৷” এ
সম্পর্কিত হাদীস বিবৃত হয়েছে, ইবন হিশাম (র) , দারওয়ারদী (র) আবু সাঈদ খুদরী (রা)
সনদে ৷ কুরঘৃ ইবন জাবির (রা) এর বাহিনী একদল ৰিদ্রোহীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাজীলার শাখা
কায়স গোত্রের একদল লোক মদীনায় এসেছিল ৷ মদীনায় আবহাওয়া তাদের সাস্থোর প্রতিকুল
হল এবং তারা ব্যধিগ্রস্ত হয়ে পড়ন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে তার (সাদাকার) উট পালের
বিচরণ ক্ষেত্রে গিয়ে তার পেশার ও দুধ ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন ৷ তাতে তারা সুস্থ হয়ে উঠলে
পালের যিম্মাদার রাখলে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গোলাম ইয়াসার (রা)-কে হত্যা করল ৷
তারা প্রথমে তাকে যবাই করে তার দু’চোখে র্কাটা বিধিয়ে রাখল (এবং অংণপ্ৰতাংণ কেটে
বিকৃত করল) এবং (দুগ্ধবতী) উটগুলি তাড়িয়ে নিয়ে গেল ৷ তখন নবী করীম (সা) সাহাবীদের
একটি দলসহ কুবৃয ইবন জাবির (রা)-কে তাদের পাকড়াও করার জন্য পাঠালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ঘু-কারাদ ণড়াযওয়া থেকে প্রত্যাবর্তন কালে এ বাহিনী বাজীলার ঐ বিদ্রোহী দলটিকে ন্


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، فَقَرَأَهُ عَلَيْهِمْ رِفَاعَةُ، فَاسْتَجَابَ لَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ وَلَمْ يَكُنْ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ يَعْلَمُ بِذَلِكَ، فَرَكِبُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَأَعْطَوْهُ الْكِتَابَ، فَأَمَرَ بِقِرَاءَتِهِ جَهْرَةً عَلَى النَّاسِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ أَصْنَعُ بِالْقَتْلَى؟ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: أَبُو زَيْدِ بْنُ عَمْرٍو: أَطْلِقْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كَانَ حَيًّا، وَمَنْ قُتِلَ فَهُوَ تَحْتَ قَدَمِي هَذِهِ. فَبَعَثَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ زَيْدًا لَا يُطِيعُنِي. فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ عَلَامَةً، فَسَارَ مَعَهُمْ عَلَى جَمَلٍ لَهُمْ، فَلَقُوا زَيْدًا وَجَيْشَهُ وَمَعَهُمُ الْأَمْوَالُ وَالذَّرَارِيَّ بِفَيْفَاءِ الْفَحْلَتَيْنِ، فَسَلَّمَهُمْ عَلِيٌّ جَمِيعَ مَا كَانَ أُخِذَ لَهُمْ لَمْ يَفْقِدُوا مِنْهُ شَيْئًا. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَيْضًا إِلَى بَنِي فَزَارَةَ بِوَادِي الْقُرَى، فَقُتِلَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَارْتَثَّ هُوَ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى، فَلَمَّا رَجَعَ آلَى أَنْ لَا يَمَسَّ رَأْسَهُ غُسْلٌ مِنْ جَنَابَةٍ حَتَّى يَغْزُوَهُمْ أَيْضًا، فَلَمَّا اسْتَبَلَّ مِنْ جِرَاحِهِ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَانِيًا فِي جَيْشٍ، فَقَتَلَهُمْ بِوَادِي الْقُرَى، وَأَسَرَ أُمَّ قِرْفَةَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَبِيعَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَكَانَتْ عِنْدَ مَالِكِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا، فَأَمَرَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ قَيْسَ بْنَ الْمُسَحَّرِ الْيَعْمَرِيَّ، فَقَتَلَ أُمَّ قِرْفَةَ وَاسْتَبْقَى ابْنَتَهَا، وَكَانَتْ مِنْ بَيْتِ شَرَفٍ، يُضْرَبُ بِأُمِّ قِرْفَةَ الْمَثَلُ فِي عِزِّهَا، وَكَانَتْ بِنْتُهَا مَعَ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، فَاسْتَوْهَبَهَا مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَالِهِ حَزْنِ بْنِ أَبِي وَهْبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ إِلَى خَيْبَرَ مَرَّتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا الَّتِي أَصَابَ فِيهَا الْيُسَيْرَ بْنَ رِزَامٍ،
পৃষ্ঠা - ৪১৫৩


(রা)-৫কও ঐ বাহিনীর অর্ন্তভুক্ত হওয়ার দাবী করেছেন তারা ৰিভ্রাস্তির শিকার হয়েছেন ৷
কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা যখন কঠিন আকার ধারণ করে তখন উসামা বাহিনী
জুরুফে’ ভীবুতে অবস্থান করছিল ৷

ওদিকে নবী করীম (সা) আবু বকর (রা)-কে লােকেদের সালাতে ইমামতি করার নিদের্শ
দিয়েছিলেন, যা’ পরে আসছে ৷ তা হলে বিশ্ব জগতের প্রতিপালক রাববুল আলামীনের দুত ও
রাসুলের অনুমোদনক্রমে ইমামুল ঘুসলিমীনরুপে বরিত হওয়্যা সত্বেও তিনি কি করে বাহিনীর
তালিকাভুক্ত হবেন? আর তর্কের খাতিরে বহিনীর সাথে তার তালিকাভুক্তি মেনে নেয়া হলেও
খােদ শরীআত প্রবর্তক নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই তো তীকে ব্যতিক্রম সাব্যস্ত
করেছেন এবং তা-ও করেছেন ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বপ্রধান করুন ও স্তম্ভ সালাতে ইমাম
নিযুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে ৷ ’

পরে নবী করীম আলাইহিস সালাতু ওয়াস্সালামএর ওফাত হয়ে গেল (আবু বকর)
সিদ্দীক (বা) উসামা (রা)কে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)কে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করলে
তিনি তাকে থলীফাতুল মুসলিযীন সিদ্দীক (রা)-এর কাছে অবস্থান করার অনুমতি দেন এবং
খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (বা) উসামা বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেন ৷ বিশদ
বর্ণনা যথাস্থানে আসছে ইনৃশাআল্লাহ ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পুৰ্বাভাষ সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমুহ : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর ওফাত পুর্বকালীন অসুস্থতার সুচনা প্রসংগ : অড়াল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন-
ষ্ঠাংশৌ
মোঃ)প্লুম্রাদ্বু):ঙ্ ণ্ব্লুগ্লুহুওদ্বু ণ্এত্র ওওওা১ ধ্ );দ্বুদ্বু এও :দ্বু১এগ্র ণ্ৰুণ্ন্তু ণ্:স্ণ্ণ্ :ঞে ১শ্রো গ্রাহুহ্র
ড্রোরৈ
০ওএে৷ <গ্লু১৷ ঞ প্রু এেহ্ ১দ্বু এপ্রুগুগ্লু শ্ব৷ মোঃ দ্বু এেঙুষ্৷ টু ষ্ণেম্বু ৷ ঙুশ্রো ওন্ষ্;৷ প্রু )ঙ
é“ এেট্রু-?ন্ধ্রুশু ড্রো ঞা শুগ্রি
ঞগ্লুর্ন্তশ্রোগ্
তুমি তো মৃত্যু পথযাত্রী এবং ওরাও মৃত্যুপথ যাত্রী ৷ তারপর কিয়ামতের দিন ৫তড়ামরা
পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সামনে বাকবিতণ্ডা করবে (৩৯ : ৩০-৩ ১ ) ৷ আল্লাহ তাআলা
আরো বলেন, “আমি তোমার আগে আর কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিমি; সুতরাং

তোমার মৃত্যু হলেই ওরা কি চিরজীবি হয়ে থাকবে ?” জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার, আমি
ভাল ও মন্দ দিয়ে তোমাদের বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা



১ সিরিয়া অভিমুথী উসামা বাহিনী গঠিত হয়েছিল আবু বকর (রা)-কে সালাতে ইমামতি করার নির্দেশ
প্রদানের আগে ৷ সুতরাং অন্যান্য প্রবীণ মুহাজিরদের সাথে র্তড়ারও তালিকাভুক্তি অসম্ভব ব্যাপার নয় ৷ এ ছাড়া
প্ৰমাণ্য বর্ণনায় এমনও পাওয়া যায় যে, উমর (রা)-কে রেখে যাওয়ার ব্যাপারে যেমন অনুরোধ করেছিলেন ৷
খিলাফতের দায়িত্ব পালনের যুক্তিতে তিনি নিজের জন্যও নৈতিকভাবে অনুমতি নিয়ে তালিকা মুক্ত হয়েছিলেন ৷
দ্র মাওলানা তফাজ্জ্বল হুসায়ন হযরত মুহাম্মদ মুম্ভফা পৃ ৯২৪ ৷

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র সে ও র্নো : ৫০ তো

وَكَانَ يَجْمَعُ غَطَفَانَ لِغَزْوِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي نَفَرٍ، مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ، فَقَدِمُوا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَزَالُوا يُرَغِّبُونَهُ ; لِيُقْدِمُوهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَارَ مَعَهُمْ، فَلَمَّا كَانُوا بِالْقَرْقَرَةِ عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ مِنْ خَيْبَرَ نَدِمَ الْيُسَيْرُ عَلَى مَسِيرِهِ، فَفَطِنَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَهُوَ يُرِيدُ السَّيْفَ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ فَأَطَنَّ قَدَمَهُ، وَضَرَبَهُ الْيُسَيْرِ بِمِخْرَشٍ مِنْ شَوْحَطٍ فِي رَأْسِهِ فَأَمَّهُ، وَمَالَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى صَاحِبِهِ مِنَ الْيَهُودِ فَقَتَلَهُ، إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا أَفْلَتَ عَلَى رِجْلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمَ ابْنُ أُنَيْسٍ تَفَلَ فِي رَأْسِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَقِحْ جُرْحُهُ وَلَمْ يُؤْذِهِ. قُلْتُ: وَأَظُنُّ الْبَعْثَ الْآخَرَ إِلَى خَيْبَرَ لَمَّا بَعَثَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَارِصًا عَلَى نَخِيلِ خَيْبَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتِيكٍ وَأَصْحَابِهِ إِلَى خَيْبَرَ فَقَتَلُوا أَبَا رَافِعٍ الْيَهُودِيَّ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ إِلَى خَالِدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ نُبَيْحٍ، فَقَتَلَهُ بِعُرَنَةَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّتَهُ هَاهُنَا مُطَوَّلَةً، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهَا فِي سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ إِلَى مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَأُصِيبُوا، كَمَا تَقَدَّمَ. بَعْثُ كَعْبِ بْنِ عُمَيْرٍ إِلَى ذَاتِ أَطْلَاحٍ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَأُصِيبُوا جَمِيعًا أَيْضًا. بَعْثُ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ إِلَى بَنِي الْعَنْبَرِ مِنْ تَمِيمٍ، فَأَغَارَ عَلَيْهِمْ، فَأَصَابَ مِنْهُمْ أُنَاسًا، وَسَبَى مِنْهُمْ أُنَاسًا،
পৃষ্ঠা - ৪১৫৪


পুনআেনীত হবে (২১ : ৩৪-৩৫) ৷ তিনি আরো ইরশাদ করেন (জীব মাত্রই মৃত্যুস্বাদ গ্রহণ
করবে), কিবামত্যে৷ দিন তােমাদেরকে ণ্তড়ামাদের কর্মফল পুর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে ৷ যাকে আগুন
হতে দুরে রাখা হল এবং জান্নাতে দাখিল করা হল সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনড়াময়
ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়”(৩ : ১৮৫) ৷ অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন ৷ “মুহাম্মাদ একজন রাসুল
বৈ নন ৷ তার পুর্বে অনেক রাসুল গত হয়েছেন ৷

সুতরাং যদি তিনি মারা যান অথবা তাকে হত্যা করা হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠপ্ৰদর্শন
করবে ? এবং কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনােও আল্লাহর ক্ষতি করবে না ৷ বরং আল্লাহ
শীঘ্রই শুক্র আদায়কারীদের পুরস্কৃত করবেন (৩ : ১৪৪) ৷ এই শেষের আয়াতটিই সে
আয়াত, যা আবু বকর (রা) তিলড়াওয়াত করেছিলেন, রাসুল (সা) এর ওফাত দিবসে মসজ্যিদ
সমবেত সাহাবীগণের সামনে ৷ ল্যেকেদের তা শুনে মনে হতে লাগল যেন ইতেড়াপুর্টব তারা
আয়ড়াতটি শুনে নি ৷

এ ছাড়াও আল্লাহ তাআলড়া বলেছেন ,

এই হ্র-ণ্হু১-ষ্ ব্লুচ্ৰুশুংন্হুণ্ ধ্রু-ৰুাও-ংণ্া :শ্রীৰু :এঠু ণ্ব্লু :১র্দুব্লুওর্দ্র ,াট্রুা৷ এ্যা১দ্বু র্দুৰুশুৰুন্ও ;ন্ও৩৷ ;;:;ব্ৰ ;াহ্ন ৷ওা
’ ’ , ৷ট্রু৷ ঠুট্রু ; ৷দ্বু ণ্াপু৷ ন্ বু,হু;বুণুৰুাদ্বু

“যখন এসে যাবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, এবং তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর
দীনে প্রবেশ করতে ৷ তখন তুমি তোমার প্ৰতিপালকের প্রসংশাসহ তার পৰিত্রতা ঘোষণা করতে
থাকবে ৷ তিনি তো তাওবা কবুলকারী (১১০ : ১-৩) ৷ এ সুরা সম্পর্কে উমর ইবনৃল খাত্তাব ও
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, এ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মৃত্যু ঘোষণা, যা তাকে আগাম
পরিবেশন করা হয়েছে ৷ ইবন উমর (রা) বল্যেছন, বিদায় হভৈজ্জ আইয়্যামে তড়াশরীকের মধ্যম
(মধ্যবর্তী) দিনে এ সুরাটি নাযিল হয়েছিল ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুধাবন করছিলেন যে, এ হচ্ছে বিদায় রাতা ৷ তাই তিনি লোকদের সামনে
ভাষন দিলেন এবং তাতে প্রয়োজনীয় আদেশ-নিষেধ বর্ণনা করলেন ৷ যেমনটি পুর্বে আলোচিত
হয়েছে ৷ জাৰির (রা) বলেছেন, আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) জামরাগুলিতে কংকর মারার পর
থেমে র্দাড়ালেন এবং বললেন, “তোমরা আমার নিকট হতে তোমাদের হজ্জ-উমরার নিয়মাবলী
লিখে নাও ৷ কেননা সম্ভবত আমার এ বছরের পরে আমি আর হজ্জ করব না ৷ ” নবী করীম (না)
তার কন্যা ফাতিমা (রা) কে বলেছিলে (বিশদ বর্ণনা পরে আসছে) ৷

এেএৰু
শুা ১৷ ধ্ন্াএদ্দুহ্র৷ খু৷ গ্রা১
“জিবরীল (আ) প্ৰতি বছর আমাকে একবার করে কুরআন শরীফ শুনাতেন ৷ কিন্তু এ বার তিনি
আমাকে তা দৃবার শুনালেন ৷ আমার ধারণা, আমার শেষ সময়ের নিকটবর্তীতাই এর কারণ ৷”
সহীহ্ বুখারীতে আবু বক্র ইবন আয়্যাশ (র) আবু হুরায়রা (রা) সনদের হাদীসে রয়েছে তিনি
(আবু হুরায়রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্ৰতি রমযান মাসে (শেষ) দশ দিনের ইতিকাফ করতেন ৷
কিন্তু তার ওফাতের বছর বিশ দিন ইতিকাফ করলেন ৷ প্ৰতি বছর এক বার র্তাকে (পুর্ণ) কুরআন
শুনানাে হতো ৷ আর তার ওফাতের বছর র্তাকে দু’বার কুরআন শুনানাে হয় ৷


ثُمَّ رَكِبَ وَفْدُهُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَسْرَاهُمْ، فَأَعْتَقَ بَعْضًا وَفَدَى بَعْضًا. بَعْثُ غَالِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا إِلَى أَرْضِ بَنِي مُرَّةَ، فَأُصِيبَ بِهَا مِرْدَاسُ بْنُ نَهِيكٍ حَلِيفٌ لَهُمْ مِنَ الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ، قَتَلَهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ أَدْرَكَاهُ، فَلَمَّا شَهَرَا السِّلَاحَ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَلَمَّا رَجَعَا لَامَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ اللَّوْمِ، فَاعْتَذَرَا بِأَنَّهُ مَا قَالَ ذَلِكَ إِلَّا تَعَوُّذًا مِنَ الْقَتْلِ، فَقَالَ لِأُسَامَةَ هَلَّا شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ؟ ! وَجَعَلَ يَقُولُ لِأُسَامَةَ «مَنْ لَكَ بِلَا إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟» قَالَ أُسَامَةُ: فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ. بَعْثُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى ذَاتِ السَّلَاسِلِ مِنْ أَرْضِ بَنِي عُذْرَةَ يَسْتَنْفِرُ الْعَرَبَ إِلَى أَرْضِ الشَّامِ وَذَلِكَ أَنَّ أُمَّ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ كَانَتْ مِنْ بَلِيٍّ، فَلِذَلِكَ بَعَثَ عَمْرًا يَسْتَنْفِرُهُمْ ; لِيَكُونَ أَنْجَعَ فِيهِمْ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى مَاءٍ لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: السَّلْسَلُ. خَافَهُمْ، فَبَعَثَ يَسْتَمِدُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً ; فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَعَلَيْهَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ تَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ عَمْرٌو، وَقَالَ: إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مَدَدًا لِي. فَلَمْ يُمَانِعْهُ أَبُو عُبَيْدَةَ ; لِأَنَّهُ كَانَ رَجُلًا سَهْلًا لَيِّنًا، هَيِّنًا عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا، فَسَلَّمَ لَهُ وَانْقَادَ مَعَهُ، فَكَانَ عَمْرٌو يُصَلِّي بِهِمْ كُلِّهِمْ، وَلِهَذَا لَمَّا رَجَعَ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ " عَائِشَةُ " قَالَ فَمِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا» بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ إِلَى بَطْنِ إِضَمٍ، وَذَلِكَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَفِيهَا قِصَّةُ مُحَلِّمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪১৫৫


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, জিলহজ মালেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হজ্জ থেকে
ফিরে এলেন ৷ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলিসহ ঘুহাররম ও সফর মাস মদীনায় অবস্থান করলেন
এবং উসামা ইবন যায়দ (রা) কে অভিযানে পাঠাবার ঘোষণা দিলেন ৷ লোকজন যখন এ
অবস্থায় (অভিযানের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত) ছিল তখন সফর মাসের শে য রা৩ গুলিতে ৎবা
রবীউল আওয়াল মাসের প্রথম তা ৷গে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সে অসুস্থতার সুচনা হল যাতে
আল্লাহ তাকে তুলে নিয়েছিলেন, তার পসন্দের রহমত ও মর্যাদার জগতে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সড়া)-এর এ অসুস্থতার সুচনা সম্পর্কে আমি যে বিবরণ পেয়েছি তা হল নবী
করীয় (সা) মধ্য রাতে বাকী পােরম্ভানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন এবং সেখানে
কবরবাসীদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করলেন, তারপর নিজের পরিজনদের কাছে ফিরে
গেলেন ৷ পরবর্তী সকাল হতে তার অসুস্থতার সুচনা হল ৷ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেন,
আবদুল্লাহ ইবন জাফর (র) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু মুওয়াহিবা (বা)
হতে বংনাি করেন তিনি বলেন, মাঝরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জাগিয়ে তুলে দিয়ে

আবু মুওয়ায়হিবা এ বার্কীবাসীদের জন্য ইসৃতিগফার করতে আমি অদিষ্ট হয়েছি ৷৩ তা,ই
আমার সাথে চল ৷” ৩া৷মি তার সাথে চলমান ৷ যখন তিনি তাদের মাঝে গিয়ে দাড়ালেন, তখন

বললেন-
ভো৷ এা ;ব্র৷ প্রুন্ান্নু ফ্রোগ্রা ব্লু ;,৷ ৮ এ্ৰুন্নু ণ্দ্দু:ষ্ৰুষ্৷ ৮, ণ্ও৷ ঞা এাঞ্জো৷ @ ৷ ৷খু ণ্ও,া; ণ্)া৷
ম্পু ব্লু-ন্ত্র চুম্মুা
“কবর বাসীর৷ ! তােমদের উপর শান্তি বর্ধিত হোক ! লোকজন যার মাঝে রয়েছে তার
তুলনায় তোমরা যার মাঝে রয়েছে তা তোমাদের জন্য সুখবর হোক ! ফিতনা যেয়ে আসছে
তাধার রাতের টুকরাগুলির মত, যার পরবর্তীটি পুর্ববর্তীটির সাথে লেগে রয়েছে; পরেরটি
আগের টির চাইতে নিকৃষ্ট ৷” এরপর আমার দিকে লক্ষ্য করে বললেন,
এ্যাএ
“আবু মুওয়ায়াহিবা ! পৃথিবীর তাণ্ডারসমুহের চাবিংওচ্ছ ও তাতে স্থায়ী থাকার এবং তার
পরে জান্নাত (এর প্রভাব) আমাকে দেয়া হয়েছে ৷ তারপর আমাকে ঐ সব বিষয় এবং আমার
প্ৰতিপালকের সাক্ষাত সান্নিধ্য ও জ ৷ন্নাত ৩এ দুয়ের মাঝে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ ” বর্ণনাকারী
বলেন, আ ৷মি বললাম, আমার মা বাবা আপনার জন্য উৎসগীতি ! তা হলে আপনি পৃথিবীর
তাণ্ডারসমুহের চাবিগুচ্ছ ও তাতে স্থায়িতৃ এবং তার পরে জান্নাত গ্রহণ করুন না ! তিনি
বললেন ন্থ১১এাগ্লু ধ্াগ্লু :শ্রো এপ্লু;াহ্৷ ১ণ্া৷ ব্লুার্ধাশুগ্র ৷ষ্ এ৬ ) না; আল্লাহর কসম! হে আবু
মুওয়ায়হিবা “আ মি আমার প্ৰতিপড়ালকের সাক্ষাত সান্নিধ্য ও জ ৷ন্নাত বেছে নিয়েছি ৷ তারপর
তিনি বার্কীবাসীদের জন্য ইস্তিগৃফা র করে ফিরে চললেন ৷ এরপরেই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সে
অসুস্থতার সুচনা হল যাতে আল্লাহ জকে তুলে নিলেন ৷ প্রসিদ্ধ (ছয়) গ্রন্থসমুহের সংকলকপণ
এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷


جَثَّامَةَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مُطَوَّلًا فِي سَنَةِ سَبْعٍ. بَعْثُ ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ أَيْضًا إِلَى الْغَابَةِ. بَعْثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ إِرْسَالِ الْعِمَامَةِ مِنْ خَلْفِ الرَّجُلِ إِذَا اعْتَمَّ. قَالَ: فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أُخْبِرُكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، عَنْ ذَلِكَ بِعِلْمٍ ; كُنْتُ عَاشِرَ عَشَرَةِ رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِهِ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، وَأَنَا، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ أَقْبَلَ فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَفْضَلُ؟ قَالَ " أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا ". قَالَ فَأَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَكْيَسُ؟ قَالَ " أَكْثَرُهُمْ ذِكْرًا لِلْمَوْتِ، وَأَحْسَنُهُمُ اسْتِعْدَادًا لَهُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ بِهِ، أُولَئِكَ الْأَكْيَاسُ " ثُمَّ سَكَتَ الْفَتَى، وَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ، خَمْسُ خِصَالٍ إِذَا نَزَلْنَ بِكُمْ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ ; إِنَّهُ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلَّا ظَهَرَ فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا، وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلَّا أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمُؤْنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ، وَلَمْ يَمْنَعُوا الزَّكَاةَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ إِلَّا مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ، فَلَوْلَا الْبَهَائِمُ مَا مُطِرُوا، وَمَا نَقَضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ، فَأَخَذَ بَعْضَ مَا كَانَ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৫৬


(আমাকে কাফন পরার, তামার জানাযা সালাত আদায় করব এবং (আমাকে দাফন করব ৷

আইশা (বা) বলেন আমি বললাম, আল্লাহর কলম! আমার তো নিশ্চি৩ ই মনে হয় যেন, এমন
করলে তো আপনি আমার ঘরে ফিরে এসেই সেখানে আপনার (অন্য) কোন শ্ৰীকে নিয়ে বাসর
করবেন ৷ ” আইশা (রা) বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হাসলেন এবং তার অসুস্থতা নিয়েই
তিনি সহধর্মিনীগণের ঘরে ঘরে পালা রক্ষা করতে লাপলেন ৷ অবশেষে মায়মুনা (রা)ণ্এব ঘরে
তীর অসুস্থতা কঠিন আকার ধারণ করলে তিনি সহধর্মিনীগণকে সেখানে ডাকলেন এবং আমার
ঘরে সেবা ড্ডাষা পওেয়ন্র ;গ্র; ওা£দর ক৷ ৷ছে ৩াপুনতি হ্ব>াইণে ওার৷ সকলে অণুমতি দিয়ে
দিলেন ৷ আ ৷ইশা ৷৷(রা) বলেনঃ তখন বাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার হুন্দালের দুজন লোকের উপর ভর
দিয়ে বের হয়ে আসলেন্ একভ্রুণ্ষ্ হ্হুণ্ন্ষ্হুল্ ইবন অব্বর্চস এবং ভ্রন্যে একন্ধ্রন লোক ৷ তার মাথায়

&

ছিল পট্টি বাধা এবং র্তহ্’ পধ্ন্ হু গ : ৷ৰু,স্ ণ <’ ট্টষ্ হল ?

এভাবে তিনি আমার বৰ্র €প্হুরুলন ; <; < বব ট্টনায়ধুপ্লা ২ (র) বলেন, আমি তখন
ইবন আব্বাস (বহ্ব ) ব্লুক কহু বুন্শ্নত্বলে ম্পি বললেন ৩াম কি জান, দ্বিতীয় ল্যেকটি কে ?
তিনি হলেনঅ ল ইবন অকৃবু তৰুলিব (রা) এ হাদড়াসের অনেক সমর্থক রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ যা
পরে আসছে ৷ বায়হফী (র) হাড়াকম (র) নাইশা (রা) সুত্রে প্রায় অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আমার মনে হচ্ছে রাসু ল্লাহ্ (না) নিউযোনিয়া জাতীয় ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছেন;৩ ৩ইি তাকে
মুখে ওষুধের ফৌটা দেয়ার ব্যবস্থা কর ৷ তারা তাকে মুখে ওযুধের কে টা দিলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, fl» ঞহু গ্র-এ “এ কাজ কে করেছে?” ৷ননন আপনার চাচা
আব্বাস; তার আশঙ্কা হয়েছিল যে, নিউমে ৷নিয়া আপনাকে আক্রমণ করেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন “ওটা তো হয়ে থাকে শয়তানের পক্ষ হতে, আল্লাহ্ তাকে আমার উপরে
প্রতিপত্তি দিবেন না; আমার চাচা আব্বাস ব্য৩ তীত ঘরের কাউকে বাদ না দিয়ে প্রত্যেকের মুখে
ওষুধ ঢেলে দিতে হবে ৷ তখন ঘরের সকলের মুখে ওষুধ ঢেলে দেয়া হল ৷ ণ্ণ্ঙ্কুনকি মায়মুনা
(রা) রোযাদাব ছিলেন, তাকেও বাদ দেয়া হল না এবং এসব করা হল বস্নেধ্ ( ণ্া৷ ) এর
দৃষ্টির সামনে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন আমার ঘরে অসৃস্থতাকাল ৷ন লেক শুশ্রুন্বণ্ প্ান্ : বার জন্য
তীর সহধর্মিণীগণের কাছে অনুমতি ভৈ>ইিণো ৩ার৷ ণ্ডান১া৷র্ডি দিয়ে ন্বদলেন প্ < < ণ্ প্ বর্ণনা
পুবন্থিরুপ ৷ তবে সেখানে ফযল ইবন ত ৷ব্বাসেব স্থলে আব্বাস (বা ) এ ব নাম রয়েছে

বুখারী (র) সাঈদ ইবন উকায়র আবদুল্লাহ ইবন উৎবা সুত্রে খবর দিয়েছেন যে, নবী
করীম (সা) এর সহধর্মিণী আ ৷ইশা (রা) বলেছেন, বা’সুলুল্লাহ্ (না) যখন রােপভারে শ্ৰুয্যাশায়ী
হলেন এবং তীর বব্রা’ধি প্রকট আকার ধারণ করল (বাকী অংশ পুবন্থিরুপ) ৷

পরবউকািলে নবী সহধর্মিনী আইশা (রা) বলতেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আমার ঘরে
আগমন করলেন এবং তীর অসুস্থতা আরো প্রকট হল তখন তিনি বললেন ;স্পে ০ ৷,শুও ; ),:
হু)শুড়ুাও ) ঠো১ওণ্১ খ্-১ক্ট ৫গু তাংা৷৷ ব্লুা শুৰু,:; ,,এে “আমার উপরে সাত মশ্ক প্ষ্টদ্ ঢেলে
দাও, যেগুলির মুখের বাধন খোলা হয়নি ৷ আশা করছি আমি লে ক ধে < ;হু











ন্, ১
বৃষ্গ্বৃব





১ বন্ধন খোলা হহ্; নিঅ র্খাৎ পৃর্ণটি ৩৷ কিহুবর্কু বড়াবৃত :ল্দো গ্রু হ হ ৩ সে ক ; হ্ত্ন্ ২ :; ; < <ষ্ণ্ৰুশ্ :
দ্র প্রিচ্ছন্নভ্র শ্ক্ষ বক্রুক্তৃহু (বৃকবব টিক ভ্রবল্দ্বন্ন ৷ শ্শ্-ট্টস্কৃবস্বদ্ব
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

أَيْدِيهِمْ، وَمَا لَمْ يَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَتَحَيَّرُوا فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمُ بَيْنَهُمْ» قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أَنْ يَتَجَهَّزَ لِسَرِيَّةٍ بَعَثَهُ عَلَيْهَا، فَأَصْبَحَ وَقَدِ اعْتَمَّ بِعِمَامَةٍ مِنْ كَرَابِيسَ سَوْدَاءَ، فَأَدْنَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَقَضَهَا، ثُمَّ عَمَّمَهُ بِهَا، وَأَرْسَلَ مِنْ خَلْفِهِ أَرْبَعَ أَصَابِعَ أَوْ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا " يَا ابْنَ عَوْفٍ فَاعْتَمَّ ; فَإِنَّهُ أَحْسَنُ وَأَعْرَفُ " ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ، فَدَفَعَهُ إِلَيْهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ: " خُذْهُ يَا ابْنَ عَوْفٍ، اغْزُوا جَمِيعًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَاتَلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ، لَا تَغُلُّوا وَلَا تَغْدِرُوا وَلَا تُمَثِّلُوا وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا "، فَهَذَا عَهْدُ اللَّهِ وَسِيرَةُ نَبِيِّهِ فِيكُمْ، فَأَخَذَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ اللِّوَاءَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَخَرَجَ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ. بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابِهِ، وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ رَاكِبٍ إِلَى سِيفِ الْبَحْرِ، وَتَزْوِيدُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِيَّاهُمْ جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ، وَفِيهَا قِصَّةُ الْعَنْبَرِ، وَهِيَ الْحُوتُ الْعَظِيمُ الَّذِي دَسَرَهُ الْبَحْرُ، وَأَكْلُهُمْ كُلِّهِمْ مِنْهُ قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ حَتَّى سَمِنُوا، وَتَزَوَّدُوا مِنْهُ وَشَائِقَ - أَيْ شَرَائِحَ - حَتَّى رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَطْعَمُوهُ مِنْهُ، فَأَكَلَ مِنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ بِذَلِكَ الْحَدِيثُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمِمَّا لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنَ الْبُعُوثِ - يَعْنِي هَاهُنَا - بَعْثُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ لِقَتْلِ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ بَعْدَ مَقْتَلِ خُبَيْبِ
পৃষ্ঠা - ৪১৫৭


ও তাদের অৎগীকার নেবাে ৷” আইশা (রা) বলেন, আমরা তখন তাকে নবী সহধর্মির্নী হড়াফ্সা
(রা)-এর একটি মামলায় বসালাম এবং তার উপর বর্ণিত পাত্র হতে পানি ঢালতে লাগলড়াম
এমনকি তিনি তার হাত দিয়ে আমাদের দিকে ইংগিত করে বুঝালেন যে, তোমরা যথেষ্ট
করেছ ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে তিনি লোকদের কাছে (মসজিদে) বেরিয়ে গিয়ে তাদের
নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ বুখারী (র) তার সহীহ্-এর
একাধিক অনুচ্ছেদে এবং মুসলিম (র) ও যুহ্রী (র) হতে ঐ সনদে হাদীসঢি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
বুখারী (র) আরো বলেছেন, ইসমাঈল (র) আইশা (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেছে যে, যে
অসুস্থতার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত হলো, যে অসুস্থতা কালে তিনি (বার বার) জিজ্ঞাসা
করতেন ৷ মোঃ গ্র ঞা ষ্১ং “ ঞা “আগামী কাল আমি কার ঘরে থাকর ? আগামী কাল আমি
কার ঘরে থাকর? উদ্দেশ্য ছিল আইশা (রা)-এর ঘরে থাকার দিন করে হবে? তখন তার
সহধর্মিনীপণ জর যেখানে মর্জি সেখানে থাকার ব্যাপরে সম্মতি জানালেন ৷ তখন তিনি
আইশার ঘরে থাকতে লাপলেন এবং সেখানেই ওফাত বরণ করলেন ৷ আইশা (বা) বলেছেন,
পালার হিসাব মতে যে দিন তার আমার ঘরে থাকার কথা ছিল সেদিনই আমার ঘরে তীর
ওফাত হল ৷ আল্লাহ্ র্তাকে তুলে নিলেন যখন তার মাথা ছিল আমার বুকের উপর এবং আমার
লালা মিশে গিয়েছিল (আমার চাবিয়ে দেয়৷ মিসওয়াক ব্যবহার করার কারণে) তার লালার
ৎগে ৷ আইশা ম্(রা) বলেন, আবদুর রহমান ইবনঃ আবু বকর (রা) মরে ঢুকলেন, তার কাছে
একটি মিসৃওয়াক ছিল যা দিয়ে তিনি মিসৃওয়াক করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দিকে দৃষ্টি
দিলে আমি তাকে বললাম, আবদুর রহমান, আমাকে এ মিসৃওয়াকটি দিন ! তিনি সেটি আমাকে
এগিয়ে দিলে আমি তা চিৰিয়ে নরম করে দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এগিয়ে দিলাম ৷ তিনি
আমার বুকে হেলান দিয়ে মিসৃওয়াক করলেন ৷” এ সুত্রে হাদীসটি বুখারী (র)-এর একক
বর্ণনা ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আইশা (বা) হতে, তিনি
বলেন, নবী করীম (সা) ওফাতবরণ করলেন, তখন তিনি ছিলেন আমার চিবুক ও কণ্ঠার
মাঝে ৷ সুতরাং নবী কবীম (না)-এর ওফাতকালীন অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পরে আমি আর কারো
জন্য মৃত্যু যাতনাকে অপসন্দনীয় মনে করি না ৷

বুথারী (র) আরো বলেন, হায়্যান (র) আইশা (না) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অসুস্থতা বোধ করলে যুআবৃ ৰিযাত’ (সুরা ফালাক ও সুরা নড়াস)-এ পাঠ করে নিজের পায়ে কু
দিতেন এবং হাত দিয়ে পা মুছে নিতেন ৷ পরে যখন তিনি তার যে অসুস্থতার আক্রান্ত হলেন,
যাতে তার ওফাত হল তখন আমি যে ঘুআবৃবিযাত পড়ে তাকে ফু দিতে লাগলাম যেগুলি
দিয়ে তিনি নিজে কু দিতেন ৷ নবী করীম (না)-এর হাত দিয়েই তার দেহ মুছিয়ে দিতে
লাগলাম, মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, ইবন ওয়াহ্ব (র)যুহ্রী সনদের এবং
ফাল্লাস (র) ও মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম (র) সুত্রে

সহীহ্ গ্রস্থদ্বয়ে আবু আওয়ানা (র) আইশা (বা) সমদে উদ্ধৃত হয়েছে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরিবারের নারীগণ তার কাছে সমবেত হলেন ৷ তাদের একজনও বাদ
থাকলেন না ৷ কাতিমা (রা)-ও হেটে হেটে আসলেন ৷ তার হীটার ধরন তীর পিতার হীটার


بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا قَدَّمْنَاهُ، وَكَانَ مَعَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ جَبَّارُ بْنُ صَخْرٍ، وَلَمْ يَتَّفِقْ لَهُمَا قَتْلُ أَبِي سُفْيَانَ، بَلْ قَتَلَا رَجُلًا غَيْرَهُ، وَأَنْزَلَا خُبَيْبًا عَنْ جِذْعِهِ. وَبَعْثُ سَالِمِ بْنِ عُمَيْرٍ أَحَدِ الْبَكَّائِينَ إِلَى أَبِي عَفَكٍ أَحَدِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَكَانَ قَدْ نَجَمَ نِفَاقُهُ حِينَ قَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَارِثَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ الصَّامِتِ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَقَالَ يَرْثِيهِ وَيَذُمُّ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، الدُّخُولَ فِي الدِّينِ: لَقَدْ عِشْتُ دَهْرًا وَمَا إِنْ أَرَى ... مِنَ النَّاسِ دَارًا وَلَا مَجْمَعَا أَبَرَّ عُهُودًا وَأَوْفَى لِمَنْ ... يُعَاقِدُ فِيهِمْ إِذَا مَا دَعَا مِنَ اوْلَادِ قَيْلَةَ فِي جَمْعِهِمْ ... يَهُدُّ الْجِبَالَ وَلَمْ يَخْضَعَا فَصَدَّعَهُمْ رَاكِبٌ جَاءَهُمْ ... حَلَالٌ حَرَامٌ لَشَتَّى مَعَا فَلَوْ أَنَّ بِالْعِزِّ صَدَّقْتُمُ ... أَوِ الْمُلْكِ تَابَعْتُمُ تُبَّعَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لِي بِهَذَا الْخَبِيثِ؟ فَانْتُدِبَ لَهُ سَالِمُ بْنُ عُمَيْرٍ هَذَا، فَقَتَلَهُ. فَقَالَتْ أُمَامَةُ الْمُرَيْدِيَّةُ فِي ذَلِكَ تُكَذِّبُ دِينَ اللَّهِ وَالْمَرْءَ أَحْمَدَ ... لَعَمْرُ الَّذِي أَمْنَاكَ بِئْسَ الَّذِي يُمْنِي
পৃষ্ঠা - ৪১৫৮
হায়া



৩ ৭ :

ধরন হতে একটু ও ভিন্ন ছিল না ৷ নবী করীম (সা) বললেন ষ্,-ব্লু১ ঠা ত্রু১১;এ “স্বাগতম ৷ আমার
কন্যা ! পরে তাকে নিজের ডান কিৎব৷ বাম পাশে বসালেন ৷ পরে তার কানে কানে কিছু
বললে তিনি কেধে ৷ ৷শ্ষ্ লে ন ৷ আংহ্রৰুর কানেকা নে কিছু বললে ফাতিমা (বা) হেসে উঠলেন ৷

আমি (আ ৷ইশ ৷৷)৩ তখন তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (না) নিলে ৷ষ করে তে আমার সাথেই কানে কানে
কথা বলেলন তবুও তুমি কাং ছে৷ ? পরে ফড়া ৷তিম৷ (রা) চলে যেতে ৬ প্য৩ হলে আমি তাকে
বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (না) তোমাকে গোপনে কী বলেছেন তা আমার বলো না ? ফাতিমা (বা)
বললেন, “ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রহস্য ফাস করতে আমি প্রস্তুত নই ৷ ”

পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে আমি তাকে (ফাতিমাকে) বললাম, তোমার
উপরে আমার যে হক ও অধিকার রয়েছে তার দাবীতে তোমাকে আমি জিজ্ঞাসা করছি;
আমাকে তোমার বলতেই হবে ৷” সে বলল, অবশ্য এ রন (বলা যেতে পারে) সে বলতে
লাগল-প্ৰথম বারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে কানে কত্ত্বক্রুন বললেন, জিবয়ীল (আ) প্রতি বছর
আমাকে একবার কুরআন শরীফ শুনাতেন অথচ এ বছর :ি০ি আমাকে দু’বার তা শুনিরেছেন ৷
“এবং আমি মনে করি যে, ৩া৷ ম ৷ র ধুঙু৷ র ষ্মোঃ ত্ত্ব:ণ্<ণ্ন্ঢ<; é? হওয়া ব্যতীত এর অন্য কোন কারণ
নেই ৷ তাই, ঙুমি আদু;া৷ হুধ্হুক ৩য় করে ভোরে এবং সবর অবলম্বন করএে ৷ তোমার ওশ্যে আমি
কতইনড়া উত্তম পুর্বসুরী’ ! “গুার একথা শুনে আমি কেদেছিলাম ৷ আবার তিনি কানে কানে
আমাশো বললেন ৷ আ ধ্ন্ ৷ র মৃত্যুর পর তুমিই সবার আগে আমার সাথে মিলিত হবে-















ব্লু০শ্রা ক্রো

তুমি কি এতে তুষ্ট হতে পড়ার না যে, তুমিই জান্নাতের ঈমানদার নাৰীকুলের কিংবা (তিনি
বলেছিলেন) এ উম্মতের নারীকুলের সর্দার হবে ৷ ” এ কথা শৃনে আমি (হলেছিলাম ৷ আইশা
(বা) হতে এ হাদীসের আরো একাধিক বর্ণনা সুত্র রয়েছে ৷

আলী ইবন আবদুল্লাহ (র) , আইশা (রা) সনদে বুখাবী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আইশা
(রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা কালে আমরা তার মুখে ওষুধ ঢেলে দিলাম ৷ তিনি
আমাদের ইংগিত করতে লাপলেন যে “আমাকে মুখে ওষুধ ঢেলে দিও না ৷ ” আমরা বলাবলি
করলাম, ” ওষুধের প্ৰতি রোগীর স্বভাবজাত অনীহা ৷ পরে তিনি চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন,
“আমি কি তোমাদের নিষেধ করি নি যে, আমার মুখে ওষুধ ঢেলে দিও না ! ? আমরা বললাম,
আমরা মনে করেছিলাম এটা বুঝি ওষুধের প্রতি অসুস্থ ব্যক্তির অনীহা ৷ তখন তিনি বললেন,
ঘরের (কউ বাকী থাকবে না, যায় মুখে ওষুধ ঢেলে দেয় না হবে; আর আমি (তা) দেখতে
থাকর; তবে আব্বাসকে নয়, কেননা তিনি তে আমাদের মধ্যে ছিলেন না ৷ বুখারী (র)
বলেছেন, ইবন আবুঘৃ যিনাদ (র) আাইং ৷৷ (রা) ননদে নবী করীম (না) হতে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বুখায়ী (র) বলেন, ইউনুস (র) আইশা (রা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে অসুস্থতার
ওফা৩ পা৩ করলেন ৩া৷৩ তিনি বলওেন,



১ এর্মী


حَبَاكَ حَنِيفٌ آخِرَ اللَّيْلَ طَعْنَةً أَبَا عَفَكٍ خُذْهَا عَلَى كِبَرِ السِّنِّ وَبَعْثُ عُمَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ الْخَطْمِيِّ لِقَتْلِ الْعَصْمَاءِ بِنْتِ مَرْوَانَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ زَيْدٍ، وَكَانَتْ تَهْجُو الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَلَمَّا قُتِلَ أَبُو عَفَكٍ الْمَذْكُورُ أَظْهَرَتِ النِّفَاقَ وَقَالَتْ فِي ذَلِكَ: بِاسْتِ بَنِي مَالِكٍ وَالنَّبِيتِ وَعَوْفٍ وَبِاسْتِ بَنِي الْخَزْرَجِ ... أَطَعْتُمْ أَتَاوِيَّ مِنْ غَيْرِكُمْ فَلَا مِنْ مُرَادٍ وَلَا مَذْحِجِ ... تُرَجُّونَهُ بَعْدِ قَتْلِ الرُّءُوسِ كَمَا يُرْتَجَى مَرَقُ الْمُنْضَجِ ... أَلَا أَنِفٌ يَبْتَغِي غِرَّةً فَيَقْطَعَ مِنْ أَمَلِ الْمُرْتَجِي قَالَ: فَأَجَابَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ: بَنُو وَائِلٍ وَبَنُو وَاقِفٍ ... وَخَطْمَةُ دُونَ بَنِي الْخَزْرَجِ مَتَى مَا دَعَتْ سَفَهًا وَيْحَهَا ... بِعَوْلَتِهَا وَالْمَنَايَا تَجِي فَهَزَّتْ فَتًى مَاجِدًا عِرْقُهُ ... كَرِيمَ الْمَدَاخِلِ وَالْمَخْرَجِ فَضَرَّجَهَا مِنْ نَجِيعِ الدِّمَا ... ءِ بَعْدَ الْهُدُوِّ فَلَمْ يَحْرَجِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَلَغَهُ ذَلِكَ: " أَلَا آخِذٌ لِي مِنَ ابْنَةِ مَرْوَانَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৫৯


পথহার৷ হবে না ৷ ” তখন তারা (উপস্থিত লোকজন) মতবিরোধ করল ৷ কেউ বলল, লিখিয়ে
নাও ৷ কেউ বলল, এ অসুস্থতার সময় কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই ! অ ৷ল্লাহ্র কিতাব আমাদের
জন্য যথেষ্ট হবে ৷ অথচ নবীর সাক্ষাতে কলহ বিরোধ লযীচীন নয় ৷ তার৷ (কেউ কেউ) বলল,
তার অবস্থা কি, তিনি (কি তার অসুস্থতার প্রচণ্ডতায়) আসংলগ্ন কথা বলছেন? আচ্ছা, তাকে
জিজ্ঞাসা করে নাও ৷ তখন তারা পুনরায় তীর কাছে জিজ্ঞাস্য করতে গেলে তিনি বললেন ৷
প-ঠো ওণ্-এএ ষ্-এে)এ-ন্ ৭-,ত্রএ fl এে১এৰুএ ঐ;রুওএ “আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷ কেননা,
আমি যার মধ্যে রয়েছি তা তোমরা যে দিকে আমাকে আহ্বান করছ তার চাইতে উওম ৷”
এরপর তিনি তাদের তিনটি বিষয়ের ৩৷ ৷ পর ৩ করে রপ লে ন



ঐএ ঠুএপ্ত)ষ্টুশ্গ্লুড়ু৷ ষ্গ্র্চু১ৰ্)১ধ্



“(এক) আরব উপদ্বীপ হতে মুশারকওদর রাহ্ধন্ার কর <: ( ই) প্ৰাও৷ ণ্ম্ ধ দ৫৷ ও পু৩ৰু;দর
উপচৌকনাদি দেবে ৷ যেমনটি আমি তাদের দিতাম এবং ( নৈ ) তৃত্তীয়টি বলার ব্যাপারে তিনি
নীরর৩ ৷ অবলম্বন করলেন ৷ কিৎব৷ তিনি তা বলো <ৰুলন তবে আনি তা ভুলে গিয়েছি’ ৷ বুখারী
(র) এ হাদীসটি তার গ্রন্থের অন্য একটি স্থানে এবং মুসলিম (র) ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়না
(র) সুত্রে ঐ লনধে রি ওহ্ৰু ৷ র৷ ৩ কণ্,রহুছুন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আলী ইবন
আবদুল্লাহ, ইবন আব্বাস (র) হাত, তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত যখন লন্নিকট
হল মরে তখন অনেক ৷লাক ছিল তখন নবী করীম (সা) বললেন, ১৷ ৷াত্তে ণ্গ্র এ্যা৷ ৷ফ্রাং
৷ ১া৷ :১ ৷ প্রুা;শুও “ এসো তোমাদের একটি লিপি লিখে দিয়ে যা ৷ই, যার পরে তোমরা কখনো
বিএা৷ওর শি৷ কার হয়ে না ৷ ” তখন উপস্থিতরুদর কেউ কেউ বলল, ব্যাধির প্ৰকােপ রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে পরাভুত করে ফেলেছে, আর তোমাদের কাছে তো (দীনের পুর্ণতা প্ৰদও ) আল
কুরআন রয়েছে ; আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট ৷

এভাবে ঘরের লোকেরা মতভেদ করল এবং বিতণ্ডায় লিপ্ত হল ৷ তাদের কেউ বলছিল,
(তার) কাছে (কাগজ কলম) এগিয়ে দাও, তিনি তোমাদের জন্য একটি লিপি লিখিয়ে দিয়ে
যাবেন ৷ যার পরে তোমরা পথ হার৷ হবে না ৷ অন্য কেউ অন্য কিছু বলছিল ৷ যখন র্তারা
মতবিরােধের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ৷;ষ্ণ্এঙুও “ ( এ খনি থেকে)
উঠে যাও ৷ ” রাৰী বলেন, এ পর্যায়ে ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, বিপদ ! মহা বিপদ ৷ !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং উপস্থিত লে৷ করুদ র জ়ন৷ তার একটি পত্র লিখে দেয়ার মাঝে তাদের
ৰিরোধ্ ও বিতণ্ডা ৷র করণে যে প্ৰতিবন্ধকত৷ সৃষ্টি হল৩ তা চিরদিলের জন্য এক সমাধানবিহীন
সমস্যা হয়ে রয়েছে ৷ মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মদ ইবন রাফি ও
আবদুল্লাহ ইবন হুমায়দ৷ (র) (আবদুর রাঘৃযাক) হতে অনুরুপ ৷ বুখঃাবী (র) মামার ও ইউনুস
(র) সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটি তার সহীহ্ গ্রন্থের আরো একাধিক স্থানে সন্নিবেশিত করেছেন ৷
শীঅ৷ ও ৩ানা৷ ন৷ রা৷ তিলপন্থী ক৩ক হ্ল মেধার পণ্ডিত এ হাদীসের সুত্র ধরে কল্পনার ফ্লাদ্যো
বিচরণ করতে শুরু করেছে ৷ ৩াপের প্ৰওোওকর দাবী হল নবী কয়ীম (ল) ঐ পত্রে এমন
একটি বিষয় লিখে দিতে চেয়েছিলেন যা তাদের ট্টরর ন্ত্বওণ্;ত্ র কল্প না প্লু ষ্ওও তাদের
নিজেদের পসন্দ মাফিক তার৷ নবী করীম (সা) এর নামে ন্রে প কপুরক্রুছনএ সব দাবামৃ

৫০ ৷ড়া













فَسَمِعَ ذَلِكَ عُمَيْرُ بْنُ عَدِيٍّ، فَلَمَّا أَمْسَى مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ سَرَى عَلَيْهَا فَقَتَلَهَا، ثُمَّ أَصْبَحَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَتَلْتُهَا. فَقَالَ " نَصَرْتَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَا عُمَيْرُ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَيَّ شَيْءٌ مِنْ شَأْنِهَا؟ قَالَ: " لَا يَنْتَطِحُ فِيهَا عَنْزَانِ " فَرَجَعَ عُمَيْرٌ إِلَى قَوْمِهِ وَهُمْ يَخْتَلِفُونَ فِي قَتْلِهَا، وَكَانَ لَهَا بَنُونَ خَمْسَةٌ، فَقَالَ: أَنَا قَتَلْتُهَا فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونَ. فَذَلِكَ أَوَّلُ يَوْمٍ عَزَّ الْإِسْلَامُ فِي بَنِي خَطْمَةَ، فَأَسْلَمَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ لَمَّا رَأَوْا مِنْ عِزِّ الْإِسْلَامِ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَعْثَ الَّذِينَ أَسَرُوا ثُمَامَةَ بْنَ أُثَالٍ الْحَنَفِيَّ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي إِسْلَامِهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ، وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعَيً وَاحِدٍ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ» لِمَا كَانَ مِنْ قِلَّةِ أَكْلِهِ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، وَأَنَّهُ لَمَّا انْفَصَلَ عَنِ الْمَدِينَةِ دَخَلَ مَكَّةَ مُعْتَمِرًا وَهُوَ يُلَبِّي، فَنَهَاهُ أَهْلُ مَكَّةَ عَنْ ذَلِكَ فَأَبَى عَلَيْهِمْ، وَتَوَعَّدَهُمْ بِقَطْعِ الْمِيرَةِ عَنْهُمْ مِنَ الْيَمَامَةِ فَلَمَّا عَادَ إِلَى الْيَمَامَةِ مَنَعَهُمُ الْمِيرَةَ حَتَّى كَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعَادَهَا إِلَيْهِمْ. وَقَالَ بَعْضُ بَنِي حَنِيفَةَ وَمِنَّا الَّذِي لَبَّى بِمَكَّةَ مُحْرِمَا بِرَغْمِ أَبِي سُفْيَانَ فِي الْأَشْهُرِ الْحُرْمِ وَبَعَثَ عَلْقَمَةَ بْنِ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيِّ ; لِيَأْخُذَ بِثَأْرِ أَخِيهِ وَقَّاصِ بْنِ مُجَزِّزٍ يَوْمَ قُتِلَ بِذِي قَرَدٍ، فَاسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; لِيَرْجِعَ فِي آثَارِ الْقَوْمِ، فَأَذِنَ لَهُ وَأَمَّرَهُ عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَلَمَّا قَفَلُوا أَذِنَ لِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ فِي التَّقَدُّمِ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ، وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ، فَاسْتَوْقَدَ نَارًا وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوهَا، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৪১৬০

মুতাশাবিহ১ দিয়ে প্রামাণীকরণ এবং মুহকঘে’ বর্জনের প্রয়াস মাত্র ৷ (যা বৈধ পন্থা নয়) ৷
আহ্লে সুন্নাত ক্তামড়াঅর্ষভ (ন্শ্দ্রয়প্ভু শু;,ত্রৰু ও এণ্দ্বুণ্ণ্ৰুত্ত্বণ্ক্ট্রৰু বিংণ্ন ও গবেযকবর্ণ) মহকত্ত্বম’ কে
প্রমাণরুক্রুপ্ গ্রহণ করে ৰুতশবিৰুক মুহকমের ন্খে ন্ৰুম্পৃৰু করে থাকেন এবং

ও ৩
মহান ণ্ৰুন্থে হন্ৰু ণ্ন্ ও প্ইহ্ন ভ্রষ্ষ্ণ্হ প্কর ণ্;ন্ ৰু বচ্ন্ শ্ন’খ্ র এটাই শ্রকহ্রভর ইলষ্মে





প্ৰড্ডা<ৰুশ্লে ও ণুহ্রএৰু স্ৰু<৷ ণ্ৱওওও ন্ণ্প্ল্লু ঙ্ণুহ্ ; প্ন্ £ন্দুন্ন্নন্ন্গুট্ট একুস্ প্র্শ্বন্ম্ভন্ন হ্ র্টবুহু :শৃনক
নামী দামী বা তল পন্থী ও বিভ্রান্ত ; গু< ণ্ণ্ র
সত্য ও ন্যৰুয় পথেও অনুসরণ করা এবং ৩১ € পা ট্রুৰুন্<£ ষ্ধ্ < ড :ণ্শ্<ব্লু ;হ্ : < § : হ্; :
থাকা (

ধোননৰু, ণাওব ৷বৰু>এে, রাসুপুল্লাহ্ (সা) যা লিদ্যোয শের র ইচ্ছে কণ্;র ব্র্দুছুস্কেণ্ তা তার
উদ্দেশ্যের স্পষ্ট অভিব্যক্তি সহ বিভিন্ন সহীহ্ হাদীলে প্রাঞ্জল ভাষায় <ৰুৰু৩ ২ ত্ ; £কণ্শ্ণ্শ্
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ঘুআস্মিল (র) (ইবন আবু যুলায়কা) আইশ্ (রা) হতে, তিনি
বলেন, “যখন সে অসুস্থতা দেখা দিল যাতে রপুিলুল্লাহ্ (সা)৫ক তুলে নেয়া হল তখন ৰু তিনি
বললেন,






ধ্

ষ্


শু

ন্ )
( ৭
, ৷

(৭
( ৭










আবু বকর ও তার ছেলে (আবদুর রহমান) কে আমার কাছে ডেকে আন যাতে কোন
লালসাকারী আবু বকরের বিষয়টিতে লালায়িত না হয় এবং কোন বাসনা পােষণকারী তাতে
বাসনা পােযন না করে ৷

“তারপর বললেন :,,ৰুণ্ব্লুফুশু গ্রষ্ক১ ;ঞা ন্ ৰুএ (আচ্ছা ঠিক আছে) আল্লাহ এবং
ঈমানদারগণ তা ( আবু বকর ত্)ন্ ও ৩ গ্রণ্প্ণু কৰুক্লো ণে ৰুফ্লু হু ) প্ৰচ্যাথ্যান করবেন ৷” দু’বাৱ
বললেন ) আইশা (ব ) বলেন (বাস্তবেও হল তাই) আল্লাহ তা রহিত করলেন এবং
ঈমানদারগণ ণ্ন্ তা প্ন্ত্যাখ্যান করলেন ৷ এ সুত্রে আহমদ (র) হাদীসটি একাকী বর্ণনা
করেছেন ন্ আহমদ (ব ) আরো বলেছেন, আবু ঘুআবিয়া (র) আইশা (রা) হতে, তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা ভারী ও প্রকট হয়ে গোল তিনি আবদুর রহমান ইণ্হুন আবু বকর
(রা)-ফে বললেন





রু দ্বুঙা ঞ& পৌষ্

“ভ্রশদ্শ্র কাছে কোন হাড় বা (কাঠ, হড়ে বাপ্ শেথরের ) পাত নিয়ে আল, আমি আবু বকর
সম্পর্কে কএং ) ন্ল্লী ;ল লিখে দিয়ে যাব, যাতে তার সাথে কেউ বিবাে ধ করতে না আসে ৷ ”
তখন ত্ত্ববনুর রন্ মান উঠতে উদ্যত হলে নবী করীম (সা) বললেন, ( ();০ণ্১৩১এএষ্দ্বু ঞা ষ্া
)ত্: প্ষ্ক প্ এ;ৰুণ্১ এন্ট্টষ্১ন্ণ্ “আল্লাহ এবং ঈমানপারগণ এম্বীকার করবেন তোমার সাথে কোন
ব্যিরত্ত্বধে লিপ্ত হওয়াকে গ্ “হে আবু বকর !” এ সুত্রেও হাদীসটি একাকী ইমাম আহমদ (র)





১ কুরআন ও হাদীসে যে সব আয়াত ও বাণীমলা ড়ার অর্থ ও ভাষা দ্ব্যর্থত বিহীন ও সুস্পষ্ট প্রা ঞ্জল সেগুলিকে
কাম ( ণ্ও১শু) সুদৃঢ়তা সম্পন্ন) বলে আর দ্ব্যর্থতা সম্পন্ন ও সাদৃ ত্বদ্রপুর্ণ ভ (ষ্যসমুহব্লুক বলা হয় ঘুতাশ ড়া:বিহ (প্ (’শ্রুৰু
সাদৃশ্য পুর্ণ অস্পষ্ট ) ৷ শরীআতে তর উসুল ও মুলনীতি অনুসারে মুতাশাবীহএর আয়াত ও হাদীলের সে অংইি
গ্রহণযোগ্য যা সংশ্লিষ্ট বিষয় ঘুহকাম আয়াত ও হাদীস প্রতিপন্ন করে থাকে ৷ অনৃবাদক
-—— : ৮

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র সে ও র্নো : ৫০ তো

عَزَمَ بَعْضُهُمْ عَلَى الدُّخُولِ قَالَ: إِنَّمَا كُنْتُ أَضْحَكُ. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَمَرَكُمْ بِمَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلَا تُطِيعُوهُ» وَالْحَدِيثُ فِي هَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ. وَبَعَثَ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ لِقَتْلِ أُولَئِكَ النَّفَرِ الَّذِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَكَانُوا مِنْ قَيْسِ كُبَّةَ مِنْ بَجِيلَةَ، فَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ وَاسْتَوْبَئُوهَا، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَى إِبِلِهِ فَيَشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، فَلَمَّا صَحُّوا قَتَلُوا رَاعِيَهَا، وَهُوَ يَسَارٌ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَبَحُوهُ وَغَرَزُوا الشَّوْكَ فِي عَيْنَيْهِ، وَاسْتَاقُوا اللِّقَاحَ، فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ فِي نَفَرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَجَاءَ بِأُولَئِكَ النَّفَرِ مِنْ بَجِيلَةَ مَرْجِعَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ، فَأَمَرَ فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسُمِلَتْ أَعْيُنُهُمْ، وَهَؤُلَاءِ النَّفَرُ إِنْ كَانُوا هُمُ الْمَذْكُورِينَ فِي حَدِيثِ أَنَسٍ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ: أَنَّ نَفَرًا ثَمَانِيَةً مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ. الْحَدِيثَ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُمْ هُمْ، فَقَدْ تَقَدَّمَ قِصَّتُهُمْ مُطَوَّلَةً، وَإِنْ كَانُوا غَيْرَهُمْ فَهَا قَدْ أَوْرَدْنَا عُيُونَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَغَزْوَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْيَمَنِ، غَزَاهَا مَرَّتَيْنِ، قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْمَدَنِيُّ: بَعَثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى الْيَمَنِ، وَخَالِدًا فِي جُنْدٍ آخَرَ، وَقَالَ إِنِ اجْتَمَعْتُمْ فَالْأَمِيرُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: وَقَدْ ذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪১৬১


বর্ণিত ৷ বুখারী (র) রিওয়ায়াত করেছে ইয়াহয়া ইবন ইয়াহ্য়া (ব) আইশা (বা) হতে, তিনি
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
-ওেহ্নশ্ৰুহ্নিশু ৰুগ্ৰুশু^ৰুভো ওেআে এএৰু£ ¢ ৰু€ংৰুএ ¢é) এৰু€ ড্রেম্নষ্ «:“ প্লে )র্ণী ঠো মোঃ fl
“আমি ইচ্ছা করছি যে, আবু বকর ও তীর ছেলের কাছে সংবাদ পাঠিয়ে অংপীকার ঘোষণা
করে যাব-এ আশংকায় যে, দাবীদাররা দাবী করে বলবে কিৎবা বাসনা পোষণকাবীবা বাসনা
করতে শুরু করবে ৷ পরে বললেন১ শুহুৰু,া ষ্ ণ্ধো ণ্গু১৷ দ্বু :গ্লু১দ্বুগ্রা ণ্গু১াদ্বু দ্বু৷ ঞা ড্রেহুরু ৰু
-();শুএেলোঃ “আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করবেন এবং মু’মিনগণ প্রতিরোধ করবেন ৷ কিৎবা নবী

কবীম (সা) বলেছিলেন, আল্লাহ্ প্রত্যিবাধ করবেন এবং মুমিনগণ প্রত্যাখ্যান করবেন” (অর্থাৎ
আবু বকর ব্যতীত অন্য কারো ( তৃতৃ) ৷

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফে রয়েছে ইবরড়াহীম ইবন সাদ (র) মুহম্মেদ (ইবন জুবায়র
ইবন মুত্ইম)-এর পিতা (জুবায়র) (বা) হতে, তিনি বলেন, একটি মেয়েলোক রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর কাছে এসে (কোন কিছু পাওয়ার আবেদন জানিয়ে) ছিল ৷ নবী করীম (না) তাকে
আবার আসতে বললে সে বলল দেখুন (বলে দিন) হৃদি আমি এসে আপনাকে না পাই (সে
যেন নবী কবীম (সা)-এব ওফাত হয়ে যাওয়ার কথা বলতে চাচ্ছিল) তখন আমি কী করব?
নবী করীম (সা) বললেন, )র্ন্তআে ,-’ ষ্ষ্১-ন্এ ণ্এ ;; “আমাকে না পেলে তুমি আবু বকরের
কাছে যাবে ৷” বাহ্যত (ময়েলোকটি নবী করীম (সা)কে এ কথা বলেছিল তার যে অসুস্থতার
সময় যাতে তিনি ওফাত বরণ করেছিলেন ৷ তবে আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

এ ছাড়া নবী করীম (সা) তার ওফাতের পাচ দিন আগে বৃহস্পতিবার একটি অভীব
গুবুতুপুর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন যাতে তিনি সকল সাহাৰীর তুলনায় (আবু বকর) সিদ্দীক (রা)-এর
মড়াহাত্ম্য শ্রেষ্ঠতৃ ৰিবৃত করে দিয়েছিলেন ৷ সেই সাথে রয়েছে সকল সাহাৰীর উপস্থিতিতে
তাদের সকলের ইমামত করার ব্যাপারে নবী করীম (সা)-এর সুস্পষ্ট নিদের্শ ৷ বর্ণনা পরে
আসছে ৷ এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি তার লিপিতে যা লিখে দেয়ার ইচ্ছা করেছিলেন, তার
এ ভাষণটি ছিল তারই বিকল্প ৷ এ মড়াহান অভিভড়াষণের আগে নবী করমী (সা) গোসল
করেছিলেন ৷ ঘরের লোকেরা এমন সাতটি মশক হতে তীর প’ায়ে পানি ঢাললেন, যেগুলোর
মুখের বাবন’ খোলা হয়নি ৷ এ বিষয়টি সাত’ সংখ্যা যােগে নিরাময় লাভ সম্পর্কিত ৷ অন্যত্র
এ বিষয় অনেক হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে ৷ মোট কথা, বাসুলুল্লাহ্ (সা) গোসল করার পরে বের
হয়ে এসে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন; তারপর তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷
আইশা (বা) বর্ণিত পুভ্রুবল্লিখিত হাদীসে যেমন বলা হয়েছে ৷



১ বুখারী, খলীফা মনোনয়ন অনুচ্ছেদে ( ২য় খণ্ড ১০৭১ পৃ) রয়েছে fl ণ্ট্ট “এরপর আমি মনে মনে)
বললাম অর্থাৎ নবী করীম (না) যখন আবু বকরকে ডাকার ইচ্ছা করেছিলেন তখনই তার মনে পরবর্তী
কথাটির উদয় হয়েছিল ; অনুবাদক


ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْثَ خَالِدٍ، وَلَمْ يَذْكُرْهُ فِي عَدَدِ الْبُعُوثِ وَالسَّرَايَا، فَيَنْبَغِي أَنْ تَكُونَ الْعِدَّةُ فِي قَوْلِهِ تِسْعَةً وَثَلَاثِينَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الشَّامِ وَأَمَرَهُ أَنْ يُوَطِّئَ الْخَيْلَ تُخُومَ الْبَلْقَاءِ وَالدَّارُومَ مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، فَتَجَهَّزَ النَّاسُ، وَأَوْعَبَ مَعَ أُسَامَةَ الْمُهَاجِرُونَ الْأَوَّلُونَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَهُوَ آخِرُ بَعْثٍ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْثًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، فَطَعَنَ النَّاسُ فِي إِمَارَتِهِ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمَارَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحِبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ. وَقَالَ: حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ. وَقَدِ انْتَدَبَ كَثِيرٌ مِنَ الْكِبَارِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ وَالْأَنْصَارَ فِي جَيْشِهِ، فَكَانَ مِنْ أَكْبَرِهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ فِيهِمْ. فَقَدْ غَلِطَ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَدَّ بِهِ الْمَرَضُ وَجَيْشُ أُسَامَةَ مُخَيِّمٌ بِالْجُرْفِ، وَقَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، كَمَا سَيَأْتِي، فَكَيْفَ يَكُونُ فِي الْجَيْشِ وَهُوَ إِمَامُ الْمُسْلِمِينَ بِإِذْنِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ؟ ! وَلَوْ فُرِضَ أَنَّهُ كَانَ قَدِ انْتُدِبَ مَعَهُمْ، فَقَدِ اسْتَثْنَاهُ الشَّارِعُ مِنْ بَيْنِهِمْ بِالنَّصِّ عَلَيْهِ لِلْإِمَامَةِ فِي الصَّلَاةِ الَّتِي هِيَ أَكْبَرُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ، ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ اسْتَطْلَقَ الصِّدِّيقُ مِنْ أُسَامَةَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَأَذِنَ لَهُ فِي الْمُقَامِ عِنْدَ الصِّدِّيقِ، وَنَفَّذَ الصِّدِّيقُ جَيْشَ أُسَامَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৪১৬২

ওফাত পুর্বকালীন নবী করীম (সা) এর ভাষণ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে

বায়হার্কী (র) বলেন, হাকিম (র) আয়ুব্রব ইবন বাশীর (রা ) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন

যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার (অন্তিম) অসুস্থতা কালে বললেন,
ষ্ডাঃগ্রা

সাতটি ভিন্ন ভিন্ন কুয়েড়ার সাত মশক হতে আমার উপরে পানি ঢেলে দাও; যাতে আমি বের
হতে পারি এবং লোকদের অংপীকার নিতে ও উপদেশ দিতে পারি ৷” র্তার৷ তা পালন করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে এসে যিস্বরে উপদেশ ৷ন করলেন ৷ তখন অশ্নোহুর হ্ামৃদ ও তা র
ছানার পদুর নবী করীম (না) প্রথম যে বিষয়টি আলোচনা করলেন৩ তা ছিল উহুদের ন্াহীদগণের
আঃণো৯শ্শুন্ তিনি: ৷ ণ্শ্ র ওম্পো মাগফিরতে প্রার্থনা করলেন এবং তাদের জন্য দুআ করলেন ৷
তারপর তিন বলহ্বল্প ণ্ষ্ ,





ত্রুইএং ণ্রণ্ংম্র ১হু)ট্ট >’ ম্পে ণ্ংএ-রট্ট থাঃ এএত্রএ)এ ণ্ং১প্রুঞা ৰু-ৰুএষ্ ঞগ্লু ষ্ৰুণ্ণ্ঝা ঞ-ন্মোঃ ধ্র
ঢুদ্বুা৷

“ £হ মুহাজির জানন্মোতা ভোরো বৃদ্ধি শুংভৈর চক্রুন্ভ্রুছৰু আর আনসায়ীর৷ তাদের ন্থিতাবস্থায়
রয়েছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে না ৷ ওরা আমার যে ( স্রক্ষি ) ৷ স্ শু র১ হুৰু-াশ্বও আমি অশ্রের গিয়েছি ৷৩ তাই
তাদের মধ্যকার সজ্জনদের সম্মান করবে এবং ররুন্যারকরািদের মার্জনা করবেঃ ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র ন ণে ন , ণো ৷ ক সরম্পো আ র ৷ হু পা র্তার বান্দাদে র মাঝে এক বান্দাকে দুনিয়া
এবং আল্লাহর কাছে যা রয়েছে এ দৃয়ের মাঝে একটি বেছে নেয়ার ইখতিয়ড়ার দিলেন, সে
রল্দো আল্লাহর কাছে যা রয়েছে’ তাই ইখতিয়ার করল ৷ ” জনতার মাঝে আবু বকর রড়াযিয়াল্লাহু
আনহু এ কথার গুভ্রহ্র৩শুট্রু ৩৷ ণুর ৷ র ন র১ৰুর রৰুলোঃও লাপলেন এবং রললেন,“বরং আমরা আমাদের
জীবন, আম্যাদর সতানশ্সম্ভতি ও সম্পদ-সম্পত্তি আপনার জন্য উৎসর্পিত করছি ৷ রাসুলুল্লাহ্
( সা) বললেন ,
০া< ৷রু ম্মু৷ ত্রৈ১ড্রুএন্ট্র ১ন্ঞাত্র৷ এেং রণ্প্রুশ্রোাগ্লুশৃ৷ :১১ প্লু৷ ৷,প্লু১:প্রুাগ্লুওপ্রু া৷ ন্৷ এ্যাম্প্র এো;


ধীরে আবু বকর! (ব্যস্ত হয়াে না !)নসজিদ মুখী এ দরমাগুলাের দিকে লক্ষ্য কর !
এ গুলো বন্ধ করে দেবে আবু রকয়ের ঘর হতে যেটি রয়েছে সেটি বাদে ৷ কেননা সঙ্গী
হিসাবে আমার কাছেও তার চাইতে শ্রোঠ কাউকে আমি জানি না ৷ এ হাদীসটি মৃরসাল (সনদ
বিযুওও ) তবে এর অনেক শাইিদ (সমর্থক) রিওয়য়োত ৩রয়েছে ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন তার ণ্ন্হ্ব
ইবন যুরড়ারদ নবী কবীর (সা) সহধর্মিনী উম্মু সালামা (রা) হতে বর্ণনা কারন ৷ ণ্ বক্রু ন্ন








[فَصْلٌ فِي الْآيَاتِ وَالْأَحَادِيثِ الْمُنْذِرَةِ بِوَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] َ، وَكَيْفَ ابْتُدِئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ - ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ} [الزمر: 30 - 31] [الزُّمَرِ: 30، 31] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِنْ مِتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ - كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ} [الأنبياء: 34 - 35] [الْأَنْبِيَاءِ 34، 35] . وَقَالَ تَعَالَى: {كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ} [آل عمران: 185] . وَقَالَ تَعَالَى {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144] وَهَذِهِ الْآيَةُ هِيَ الَّتِي تَلَاهَا الصِّدِّيقُ يَوْمَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا سَمِعَهَا النَّاسُ كَأَنَّهُمْ لَمْ يَسْمَعُوهَا قَبْلَ ذَلِكَ. وَقَالَ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৪১৬৩
{إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا} [النصر: 1 - 2] {فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 3] قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَابْنُ عَبَّاسٍ: هُوَ أَجْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُعِيَ إِلَيْهِ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: نَزَلَتْ أَوْسَطَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ، فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ أَنَّهُ الْوَدَاعُ، فَخَطَبَ النَّاسَ خُطْبَةً أَمَرَهُمْ فِيهَا وَنَهَاهُمْ. الْخُطْبَةُ الْمَشْهُورَةُ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ جَابِرٌ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يَرْمِي الْجِمَارَ، فَوَقَفَ وَقَالَ " لِتَأْخُذُوا عَنِّي مَنَاسِكَكُمْ، فَلَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ عَامِي هَذَا» . «وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لِابْنَتِهِ فَاطِمَةَ، كَمَا سَيَأْتِي " إِنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُنِي بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً، وَإِنَّهُ عَارَضَنِي الْعَامَ مَرَّتَيْنِ، وَمَا أَرَى ذَلِكَ إِلَّا لِاقْتِرَابِ أَجَلِي» . وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْتَكِفُ فِي كُلِّ شَهْرِ رَمَضَانَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْعَامِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا، وَكَانَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ كُلَّ رَمَضَانَ مَرَّةً، فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ عَرَضَ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ مَرَّتَيْنِ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: «رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي ذِي
পৃষ্ঠা - ৪১৬৪
الْحِجَّةَ، فَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ بَقِيَّتَهُ وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرًا، وَبَعَثَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، فَبَيْنَا النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ ابْتُدِئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَكْوِهِ الَّذِي قَبَضَهُ اللَّهُ فِيهِ إِلَى مَا أَرَادَهُ اللَّهُ مِنْ رَحْمَتِهِ وَكَرَامَتِهِ، فِي لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ صَفَرٍ أَوْ فِي أَوَّلِ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا ابْتُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ، فِيمَا ذُكِرَ لِي، أَنَّهُ خَرَجَ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَاسْتَغْفَرْ لَهُمْ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ ابْتُدِئَ بِوَجَعِهِ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ مَوْلَى الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنْ أَبِي مُوَيْهِبَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَقَالَ: " يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ، إِنِّي قَدْ أُمِرْتُ أَنْ أَسْتَغْفِرَ لِأَهْلِ هَذَا الْبَقِيعِ فَانْطَلِقْ مَعِي ". فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ أَظْهَرِهِمْ قَالَ: " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْمَقَابِرِ، لِيَهْنِ لَكُمْ مَا أَصْبَحْتُمْ فِيهِ مِمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ فِيهِ، أَقْبَلَتِ الْفِتَنُ كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يَتْبَعُ آخِرُهَا أَوَّلَهَا، الْآخِرَةُ شَرٌّ مِنَ الْأُولَى ". ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ " يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ، إِنِّي قَدْ أُوتِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدَ فِيهَا ثُمَّ الْجَنَّةَ، فَخُيِّرْتُ بَيْنَ ذَلِكَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّي وَالْجَنَّةِ ". قَالَ: قُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَخُذْ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدَ فِيهَا ثُمَّ الْجَنَّةَ. قَالَ: " لَا وَاللَّهِ يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ لَقَدِ اخْتَرْتُ لِقَاءَ رَبِّي وَالْجَنَّةَ ". ثُمَّ اسْتَغْفَرَ لِأَهْلِ الْبَقِيعِ ثُمَّ انْصَرَفَ، فَبُدِئَ بِرَسُولِ اللَّهِ وَجَعُهُ الَّذِي قَبَضَهُ اللَّهُ فِيهِ» . لَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ
পৃষ্ঠা - ৪১৬৫
الْكُتُبِ، وَإِنَّمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوَيْهِبَةَ قَالَ: «أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى أَهْلِ الْبَقِيعِ فَصَلَّى عَلَيْهِمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّالِثَةُ قَالَ: يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ أَسْرِجْ لِي دَابَّتِي قَالَ: فَرَكِبَ وَمَشَيْتُ، حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِمْ، فَنَزَلَ عَنْ دَابَّتِهِ، وَأَمْسَكْتُ الدَّابَّةَ فَوَقَفَ - أَوْ قَالَ: قَامَ - عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: لِيَهْنِكُمْ مَا أَنْتُمْ فِيهِ مِمَّا فِيهِ النَّاسُ، أَتَتِ الْفِتَنُ كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يَتْبَعُ بَعْضُهَا بَعْضًا، الْآخِرَةُ أَشَدُّ مِنَ الْأُولَى، فَلْيَهْنِكُمْ مَا أَنْتُمْ فِيهِ مِمَّا فِيهِ النَّاسُ) ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ: يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ، إِنِّي أُعْطِيتُ - أَوْ قَالَ: خُيِّرْتُ بَيْنَ - مَفَاتِيحِ مَا يُفْتَحُ عَلَى أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي وَالْجَنَّةِ أَوْ لِقَاءِ رَبِّي ". قَالَ: فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَاخْتَرْنَا. قَالَ: " لَأَنْ تُرَدَّ عَلَى عَقِبِهَا مَا شَاءَ اللَّهُ، فَاخْتَرْتُ لِقَاءَ رَبِّي " فَمَا لَبِثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَّا سَبْعًا أَوْ ثَمَانِيًا حَتَّى قُبِضَ» .
পৃষ্ঠা - ৪১৬৬


“এক টুকরা কাপড় দিয়ে মাথায় পট্টি বেধে “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন, তিনি মিম্বরের উপর
স্থির হলে উপস্থিত লোকেরা মিম্বরের চারদিক ঘিরে ফেলল এবং রেষ্টনী বানিয়ে ফেলল ৷ তখন
নবী করীম (সা) বললেন, ব্লুণ্এেক্ট ৷)এঙু১শ্রী ণ্ডাএ৪ ণ্শ্রো শু-ঐ ফ্তেগ্লু শু-ঞওঐ এেম্রাঙু “যার হাতে
আমার জীবন তার শপথ ! এ মুহুর্তে আমি অবশ্যই হাওয (-ই কাওছার)এর উপরে অবস্থান
করছি ৷” তারপর তিনি তাশাহ্হুদ (হামৃদ ও সালাত) আদায় করলেন ৷ তাশাহ্হুদ শেষে তিনি
প্রথম যে কথাটি বললেন, তা ছিল এই যে, উহুদের শহীদদের জন্য মাগফিরাতের দুআ ৷
তারপর বললেন, আল্লাহর বান্দাদের মাঝে একজন বান্দা দুনিয়া এবং আল্লাহর কাছে যা রয়েছে
(এ দু’য়ে)-এর মাঝে ইখতিয়ার প্রদত্ত হয়ে সে বান্দা আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তা পসন্দ
করল ৷ এ কথা শুনে আবু বকর (বা) র্কাদতে শুরু করলেন ৷ আমরা তার যে কান্নায় বিস্ময়বােধ
করলাম ৷ তিনি বললেন, আমার মা-বাপের কসম ! আমরা আপনার জন্য উৎসর্গ করছি আমাদের
পিতাদের আমাদের মাতাদের এবং আমাদের জীবন ও সম্পদসমুহ! এতে থােদ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
ই ছিলেন ইখতিয়ারপ্রাপ্ত বান্দা এবং আবু বকর (রা) ছিলেন আমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর ব্যাপারে সর্বাধিক বিজ্ঞজন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীকে বলতে লাগ্যলন “ ধীরে ! (ব্যস্ত হয়াে না !) ৷ ইমাম আহমদ (র)
বলেন, আবু আমির (র) , আবু সাঈদ (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকদের সামনে
ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ একজন বান্দাকে দুনিয়া এবং তার (আল্লাহর) কাছে যা
রয়েছে তার মাঝে (পসন্দ ও বাছাই করার) ইথতিয়ার দিলে সে বান্দা আল্লাহর কাছে যা রয়েছে
তা পসন্দ করল ৷ ” বণনিঃাকারী বলেন, এতে আবু বকর (রা) কেদে দিলেন ৷ ” বর্ণনড়াকারী বলেন,
আমরা তার কান্না দেখে বিস্মিত হলাম এ কারণে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো কোনও বান্দা সম্পর্কে
খবর দিচ্ছিলেন (তাতে কান্নার কি রয়েছে? পরে বুঝা গেল যে) অথচ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ই ছিলেন
ইখতিয়াৱ প্রদত্ত ব্যক্তি এবং আবু বকর ছিলেন সে বিষয় আমাদের মাঝে সর্বাধিক ৰিজ্ঞ ৷ পরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
ম্ তাংগ্রা ষ্ঠাং ঠো

ৎসর্গ ও সংগ সালে এবং সম্পদ দিয়ে আমার প্রতি সর্বাধিক ইহ্সান অনুগ্রহকারী ব্যক্তি
হলেন আবু বকর ৷ আমার প্ৰতিপালক ব্যতীত অন্য কাউকে যদি আমি খালীল ও অম্ভ
বংগরুপে গ্রহণ করাতাম, তাহলে আবু বকরকেই করতাম৷ তবে হী ইসলামী বন্ধুতৃ ও
সম্প্রীতি ৷ মসজিদের (দিকের) কোন দরযা বন্ধ করে দেয়া ব্যতিরেকে থাকবে না (সব দরযাই
বন্ধ করে দেয়া হবে) ৷ তবে আবু বকরের দরযা ব্যতীত ৷ আবু আমির আল আকাদী (র) এর
বরাতে বুখারী (র)-ও হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) তার পরবর্তী
রিওয়ায়াত গ্রহণ করেছেন ইউনুস (র) আবু সাঈদ (বা) হতে ৷ তদ্রুপ বৃখারী মুসলিম (র৷ €
ফুলায়হ ও মালিক ইবন আনাস (র) আবু সাঈদ (রা) সনদে অনুরুপ রিওয়র্ফয়র্ধ্বভ্র কারছেন
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল ওলীদ (র)আবুল মুআল্লা (র!) থেকে এ মর্মে
বর্ণনা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) একদিন ভাষণ দান কালে বললেন-


وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَأُعْطِيتُ الْخَزَائِنَ، وَخُيِّرْتُ بَيْنَ أَنْ أَبْقَى حَتَّى أَرَى مَا يُفْتَحُ عَلَى أُمَّتِي وَبَيْنَ التَّعْجِيلِ، فَاخْتَرْتُ التَّعْجِيلَ» " قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَهُوَ شَاهِدٌ لِحَدِيثِ أَبِي مُوَيْهِبَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَقِيعِ فَوَجَدَنِي وَأَنَا أَجِدُ صُدَاعًا فِي رَأْسِي، وَأَنَا أَقُولُ: وَارَأْسَاهْ. فَقَالَ: بَلْ أَنَا وَاللَّهِ يَا عَائِشَةُ وَارَأْسَاهْ) قَالَتْ: ثُمَّ قَالَ: وَمَا ضَرَّكِ لَوْ مُتِّ قَبْلِي فَقُمْتُ عَلَيْكِ وَكَفَّنْتُكِ، وَصَلَّيْتُ عَلَيْكِ وَدَفَنْتُكِ قَالَتْ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَكَأَنِّي بِكَ لَوْ قَدْ فَعَلْتَ ذَلِكَ لَقَدْ رَجَعْتَ إِلَى بَيْتِي فَأَعْرَسْتَ فِيهِ بِبَعْضِ نِسَائِكَ. قَالَتْ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَتَامَّ بِهِ وَجَعُهُ وَهُوَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ، حَتَّى اسْتُعِزَّ بِهِ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ، فَدَعَا نِسَاءَهُ، فَاسْتَأْذَنَهُنَّ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي فَأَذِنَّ لَهُ. قَالَتْ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ مِنْ أَهْلِهِ ; أَحَدُهُمَا الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَرَجُلٌ آخَرُ، عَاصِبًا رَأْسَهُ، تَخُطُّ قَدَمَاهُ، حَتَّى دَخَلَ بَيْتِي. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الْآخَرُ؟ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَوَاهِدُ سَتَأْتِي قَرِيبًا.
পৃষ্ঠা - ৪১৬৭
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ وَهُوَ يُصْدَعُ، وَأَنَا أَشْتَكِي رَأْسِي، فَقُلْتُ: وَارَأْسَاهْ. فَقَالَ: " بَلْ أَنَا وَاللَّهِ يَا عَائِشَةُ وَارَأْسَاهْ ". ثُمَّ قَالَ: " وَمَا عَلَيْكِ لَوْ مُتِّ قَبْلِي فَوَلِيتُ أَمْرَكِ، وَصَلَّيْتُ عَلَيْكِ وَوَارَيْتُكِ " فَقُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَحْسَبُ لَوْ كَانَ ذَلِكَ لَقَدْ خَلَوْتَ بِبَعْضِ نِسَائِكَ فِي بَيْتِي مِنْ آخِرِ النَّهَارِ. فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ تَمَادَى بِهِ وَجَعُهُ فَاسْتُعِزَّ بِهِ وَهُوَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ، فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: إِنَّا لِنَرَى بِرَسُولِ اللَّهِ ذَاتَ الْجَنْبِ، فَهَلُمُّوا فَلْنَلُدُّهُ. فَلَدُّوهُ، فَأَفَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ فَعَلَ هَذَا؟ فَقَالُوا: عَمُّكَ الْعَبَّاسُ تَخَوَّفَ أَنْ يَكُونَ بِكَ ذَاتُ الْجَنْبِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهَا مِنَ الشَّيْطَانِ، وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَهُ عَلَيَّ، لَا يَبْقَى فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ إِلَّا لَدَدْتُمُوهُ إِلَّا عَمِّي الْعَبَّاسَ " فَلُدَّ أَهْلُ الْبَيْتِ كُلُّهُمْ حَتَّى مَيْمُونَةُ وَإِنَّهَا لِصَائِمَةٌ، وَذَلِكَ بِعَيْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ. فَخَرَجَ وَهُوَ بَيْنَ الْعَبَّاسِ وَرَجُلٌ آخَرُ لَمْ تُسَمِّهِ، تَخُطُّ قَدَمَاهُ بِالْأَرْضِ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: الرَّجُلُ الْآخَرُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৪১৬৮
شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ، اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ وَهُوَ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجُلَاهُ الْأَرْضَ بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ - يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ - بِالَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ: هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الْآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هُوَ عَلِيٌّ. فَكَانَتْ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ لَمَّا دَخَلَ بَيْتِي وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ، قَالَ: " هَرِيقُوا عَلَيَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ، لَعَلِّي أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ " فَأَجْلَسْنَاهُ فِي مِخْضَبٍ لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ طَفِقْنَا نَصُبُّ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْقِرَبِ، حَتَّى طَفِقَ يُشِيرُ إِلَيْنَا بِيَدِهِ أَنْ قَدْ فَعَلْتُنَّ. قَالَتْ عَائِشَةُ: ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَصَلَّى لَهُمْ وَخَطَبَهُمْ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنْ " صَحِيحِهِ " وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْأَلُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَيْنَ أَنَا غَدًا أَيْنَ أَنَا غَدًا؟ يُرِيدُ يَوْمَ عَائِشَةَ، فَأَذِنَ لَهُ أَزْوَاجُهُ أَنْ يَكُونَ حَيْثُ شَاءَ، فَكَانَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ حَتَّى مَاتَ عِنْدَهَا. قَالَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: فَمَاتَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي كَانَ يَدُورُ عَلَيَّ فِيهِ فِي بَيْتِي، وَقَبَضَهُ اللَّهُ وَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ৪১৬৯
رَأْسَهُ لَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَخَالَطَ رِيقُهُ رِيقِي. قَالَتْ: وَدَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَهُ سِوَاكٌ يَسْتَنُّ بِهِ. فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: أَعْطِنِي هَذَا السِّوَاكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ، فَأَعْطَانِيهِ فَقَضَمْتُهُ، ثُمَّ مَضَغْتُهُ فَأَعْطَيْتُهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَنَّ بِهِ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى صَدْرِي» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لَبَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي، فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ، وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ، فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ طَفِقْتُ أَنْفُثُ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِي كَانَ يَنْفُثُ، وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ الْأَيْلِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৭০

ন্অ: শ্ৰিদায়শ্ব ওয়ান নিহায়া ৩৮১


গ্রা১ স্র৯এ :শু
ঠেৰুৰুখৃ ঠো
ৎ ন্-ছু খাওয়ার ইচ্ছা তা যাওয়া এবং তার
প্ৰতিপালব্লুকর সান্নিধ্যে গমনএ দৃয়ের মাঝে ;<ষ্ সে তার গ্রভিপালাকর সড়ান্নিধ্যকেই ইখতিয়ার
করল ৷ ” এ কথা শুনে আবু বকর (রা) কন্যেত্ত শুরু করলে শ্বসৃলুল্লাহৃ (না)-এর সড়াহাবীগণ (রা)
বললেন, এ বৃদ্ধ ব্যক্তির আচরণে তোমার কি বিস্মিত হচ্ছেক্ষ না ? কারণ আল্লাহ্ পাক একজন ভাল
মানুষকে দুনিয়ার বেচে থাকা এবং তার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে গমন এ দুয়ের মাঝে একটি বেছে
নিতে বললেন ৷ তিনি নিজের প্রতিপালকের সান্নিধ্যে পমনকে পসন্দ করলেন ৷ এতে র্কাদার কী
আছে? আবু বকর (রা)শ্ই ছিলেন রড়াসুলুল্লাহৃ (সা)এব বক্তব্য (রহস্য) তানৃধাবনে তাদের মাঝে সব
চেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি ৷ তাই আবু বকর (বা) বললেন, “বরং আমরা আমাদের সন্তানসম্ভতি ও সহায়-
সম্পদ আপনার বিনিময়ে উৎসর্গ করব ৷ তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন
১১;১০ ণ্ন্ৰুহ্র ,১দ্বু বশুএেদ্বু তাষ্ক ঞ৷ ৰু, :১া এ্যা১দ্বু ষ্ঠাং পেন্ এেরু; দো ১১৷ ডাঃগ্রা ( ন্ খ্ৰু
মোঃ
ঠো ত্তী
আমাকে সংগ-সান্নিধ্য দান ও স্বীয় মালিকানা অধিকারের ৰিবয়াদিতে ইবন আবু কুহাফার
চাইতে আমার প্ৰতি অধিকতর অনুগ্রহকারী আর কেউই নেই £ কাউকে আমি অম্ভরংণ (খলীল)
বন্ধুরুপে গ্রহণ করলে ইবন আবু কুহাফা (আবু বকর)-হ্রকই গ্রহণ করতান ৷ তবে ভালবাসা
সষ্প্রীতি, ভ্রাতৃতু ও ঈমান (এর সম্পর্ক); তবে সষ্প্রীতি, ভ্রাতৃতু ও ঈমানী সম্বন্ধ (দু বার
বললেন) এবং তোমাদের এ সাথী’ নহানমহীয়ান আল্লাহ্র খালীল ও অম্ভরংণ বন্ধু ৷
একাকী আহমদ (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন, ইসহাক ইব ন ইবরাহীন (অর্থাৎ ইবন রড়াহ্ওয়ায়হ্ র ) জুনদুব
(রা) এর বরাতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাতের পীচ দিন পুর্বে তিনি তাকে
বলতে শুনেছেন-শ্
শুপু ঞ্জে ১গ্রা এৰু£ গ্লু১দ্বু বঘুত্রহ্ ৰু, ৰু)প্লু১১ ;)হ্র ত্রু)ঙ ৰু)প্লুশু ও১$দ্বু প্য়ুদ্বু১ হুদ্বু ওগ্লু১ ণ্দ্বুদ্বুৰু ত্রু) :ফুৎ ও
ৰু-শ্যাই ঠোএ
শুষ্এে ৰুড্রুশ্গ্রা
এ্যাত্রি ইেন্ ণ্র্চুট্ব্লু১ন্
“ তোমাদের মাঝে আমার ভাই ও ন্ধু সম্পর্কের অনেকেই ছিল ৫ আমি এখন যে কোন অভ
ত্গের সাথে তার অন্তরংগতা ৰিবয় দায়ৰুক্তি ঘোষণা করছি : ( কেননা) আমার উম্মতের মাঝে
কাউকে আমি তান্তরংণরুপে গ্রহণ করলে অবশ্যই আঃধু বকরণ্ডে গ্রহণ করতাম ৷ নিশ্চয় আমার
প্রতিপালক আমাকে খলীলরদ্পে গ্রহণ করেছেন ( যেমন ইবরাহীম (আ)-৫ক খলীলরুপে গ্রহণ
করেছিলেন : “তোমাদের পুর্বেকত্ত্বর কোন কোন জাতি তাদের নবীগণের এবং পুণ্যবানদের

ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো



وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «اجْتَمَعَ نِسَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَهُ لَمْ يُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةٌ، فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي، مَا تُخْطِئُ مِشْيَتُهَا مِشْيَةَ أَبِيهَا، فَقَالَ: " مَرْحَبًا بِابْنَتِي " فَأَقْعَدَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ شِمَالِهِ، ثُمَّ سَارَّهَا بِشَيْءٍ فَبَكَتْ، ثُمَّ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ، فَقُلْتُ لَهَا: خَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسِّرَارِ وَأَنْتَ تَبْكِينَ؟ ! فَلَمَّا أَنْ قَامَ قُلْتُ لَهَا: أَخْبِرِينِي مَا سَارَّكِ؟ فَقَالَتْ: مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا تُوُفِّيَ قُلْتُ لَهَا: أَسْأَلُكِ بِمَا لِي عَلَيْكِ مِنَ الْحَقِّ لَمَا أَخْبَرْتِنِي. قَالَتْ: أَمَّا الْآنَ فَنَعَمْ. قَالَتْ: سَارَّنِي فِي الْأُولَى، قَالَ لِي إِنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُنِي بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً وَإِنَّهُ عَارَضَنِي فِي هَذَا الْعَامِ مَرَّتَيْنِ وَلَا أَرَى ذَلِكَ إِلَّا لِاقْتِرَابِ أَجَلِي فَاتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي، فَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ " فَبَكَيْتُ، ثُمَّ سَارَّنِي فَقَالَ " أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ؟ " أَوْ " سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الْأُمَّةِ؟ " فَضَحِكْتُ. وَلَهُ طُرُقٌ عَنْ عَائِشَةَ» . وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَالْفَلَّاسِ وَمُسَدَّدٍ، وَمُسْلِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَدَدْنَا
পৃষ্ঠা - ৪১৭১
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ، فَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا أَنْ لَا تَلُدُّونِي. فَقُلْنَا: كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ. فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ لَا تَلُدُّونِي؟ ! قُلْنَا: كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ. فَقَالَ " لَا يَبْقَى أَحَدٌ فِي الْبَيْتِ إِلَّا لُدَّ - وَأَنَا أَنْظُرُ - إِلَّا الْعَبَّاسَ ; فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ» قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ: " يَا عَائِشَةُ مَا أَزَالُ أَجِدُ أَلَمَ الطَّعَامِ الَّذِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ، فَهَذَا أَوَانُ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبْهَرِي مِنْ ذَلِكَ السُّمِّ» هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الْأَشْقَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مُوسَى، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ الْأَيْلِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَأَنْ أَحْلِفَ تِسْعًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُتِلَ قَتْلًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ وَاحِدَةً أَنَّهُ لَمْ يُقْتَلْ، وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ اتَّخَذَهُ نَبِيًّا وَاتَّخَذَهُ شَهِيدًا.
পৃষ্ঠা - ৪১৭২
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيِّ، وَكَانَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَحَدَ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ «أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَبَا الْحَسَنِ، كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ بَارِئًا. فَأَخَذَ بِيَدِهِ عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ وَاللَّهِ بَعْدَ ثَلَاثٍ عَبْدُ الْعَصَا، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَأَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوْفَ يُتَوَفَّى مِنْ وَجَعِهِ هَذَا، إِنِّي لَأَعْرِفُ وُجُوهَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عِنْدَ الْمَوْتِ، اذْهَبْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْنَسْأَلْهُ فِيمَنْ هَذَا الْأَمْرُ؟ إِنْ كَانَ فِينَا عَلِمْنَا ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِنَا عَلِمْنَاهُ فَأَوْصَى بِنَا. فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّا وَاللَّهِ لَئِنْ سَأَلْنَاهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَسْأَلُهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يَوْمُ الْخَمِيسِ وَمَا يَوْمُ الْخَمِيسِ؟ اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعُهُ، فَقَالَ: " ائْتُونِي أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ
পৃষ্ঠা - ৪১৭৩
أَبَدًا " فَتَنَازَعُوا، وَلَا يَنْبَغِي عِنْدَ نَبِيٍّ تَنَازُعٌ، فَقَالُوا: مَا شَأْنُهُ يَهْجُرُ؟ اسْتَفْهِمُوهُ. فَذَهَبُوا يَرُدُّونَ عَنْهُ، فَقَالَ: " دَعُونِي فَالَّذِي أَنَا فِيهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُونِي إِلَيْهِ " فَأَوْصَاهُمْ بِثَلَاثٍ ; قَالَ: " أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَأَجِيزُوا الْوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيزُهُمْ " وَسَكَتَ عَنِ الثَّالِثَةِ أَوْ قَالَ: فَنَسِيتُهَا» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا حُضِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي الْبَيْتِ رِجَالٌ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلُمُّوا أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوا بَعْدَهُ " فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَلَبَهُ الْوَجَعُ، وَعِنْدَكُمُ الْقُرْآنُ، حَسْبُنَا كِتَابُ اللَّهِ. فَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْبَيْتِ وَاخْتَصَمُوا، فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: قَرِّبُوا يَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوا بَعْدَهُ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ غَيْرَ ذَلِكَ، فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغْوَ وَالِاخْتِلَافَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُومُوا» ". قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৪১৭৪


কবরগুলিকে সিজদা করার স্থানে (মসজিদ) পরিণত করেছিল, তে ৷মর৷ কিন্তু কবর (স্থান) কে
মসজিদে পরিনত করেন ৷৷ ৷আমি এ বিষয়টি তে ৷মাদের নিষেধ করছি” ৷ মুসলিম (র) ও তার
সহীহ্ গ্রন্থে হাদীসটি ইসৃহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ্ (র) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নবী
কবীম (সা) এর ওফাং তর পাচ দিন আগেকার এ দিনটিই ইবন আব্বাস (রা) এর পুরুবল্পিখিত
হাদীসে বর্ণিত বৃহস্পতিবার ৷ আমরা এ ভাষণটি ইবন আব্বাস (রা) সুত্রেও রিওয়ায়াত
করেছি ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ আল মুক্বী (র) ইবন
আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন নবী করীম (সা) তার ওক৷ তক৷ ৷লীন
অসুস্থতার এক টুকর৷ কাপ ড় দিয়ে মাথায় পট্টি বেধে (হুজরা খ্দুণ্ ) বের হয়ে এসে মিম্বরে
আরোহণ করলেন এবং আ: হ্বহ হাম্দ ও ছান৷ পাঠের পরে বললেন-
০শ্রো ;>এ
)ন্নুগ্লু চোা৷ ৷
“মানুষদের মাঝে এমন কেউ নেই যে তার জান ও মাল্ দিয়ে আ ষ্ডার উপরে আবু বকরের
লোঃই অধিকতর ইহ্সান-অনুগ্নহকারী ৷ মানুষের মাঝে কাউকে আমি খলীল (অন্তরংগ)
বানানে আবু বকরবেইি বানাতাম ৷ তবে কিনা ইসলামী বন্ধুতু ও সম্প্রীতিই শ্রেষ্ঠ ৷ মসজিদের
সবগুলি খিড়র্কী দরযা বন্ধ করে দাও, আবু বকরের খিড়কী দরয৷ ব্যতিরেকে ৷” বুখারী (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন উবায়দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আলু জুফী (র) (ওয়াহ্ব ইবন জারীর
সুত্রে) ঐ সনদে ৷ নবী কৰীম (না)-এর নির্দেশ বাণীপ্ষ্ “আবু বকরের খিড়র্কী দরয৷ ব্যতীত
মসজিদ সুখী সব খিড়কী দরয৷ অর্থাং ছোট দরযাসমুহ বন্ধ করে দাও ৷” এতে তার খিলাফতের
প্ৰতি ইংগিত রয়েছে অর্থাৎ যাতে তিনি মুসলমানদের নিয়ে সালাতে ইমামাতের জন্য বেরিয়ে
আসতে পারেন ৷ বুখারী (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন, আবদুর রহমান ইবন সৃলায়মান,
ইবন আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ওফাতকালীন অসুস্থতার সময় বের
হয়ে এলেন, মাথায় তিনি পট্টি বেধে রেখেছিলেন তেলচটা’ এক টুকরা কাপড়পট্টি দিয়ে এবং
দুই র্কাধে জড়িয়ে রেখেছিলেন একটি কম্বল (জাতীয় কাপড়) ৷ তারপর তিনি মিম্বরে উপবেশন
করলেন এরপর তিনি উক্ত ভাযণটির উল্লেখ করেছেন, যাতে আনসড়ারগণের সাথে সত্তাব
সদাচারণ সম্পর্কে উপদেশমালার ছিল ৷

অবশেষে তিনি (ইবন আব্বাস) বলেছেন এটাই ছিল ওফাতের আগে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
শেষ বৈঠক ও উপৰেশব, অর্থাৎ নবী করীম (সা) প্রদত্ত সর্বশেষ অতিভাবণ ৷ হাদীসটি ইবন
আব্বাস (বা) হতে অন্য একটি সুত্রে বিরল স ন শে ও বিরল শব্দে বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন,
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আব্বাস (বা) হতে, তিনি ফাঘৃল
ইবন আব্বস (বা) ২৫৩ , তিনি ব লে ন, রাসুণুপ্নাহু (সা) আমার কাছে আগমন করলেন, তখন
তিনি প্রবল জ্বরে র্কাপছিলেন এবং মাথায় পট্টি বেধে রেখেছিলেন ৷ তিনি বললেন, ফাবল ৷
আমার হাত ধর !” ফাযল (রা) বলেন, আমি র্তার হাত ধরলে তিনি গিয়ে মিম্বরে উপবেশন
করলেন ৷ তারপর বললেন, “ফাঘৃল লোকদের মাঝে ঘোষণা দিয়ে দাও ৷ ” তখন আমি ঘোষণা

৫০ শে)





الرَّزِيَّةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ مَا حَالَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ ذَلِكَ الْكِتَابَ لِاخْتِلَافِهِمْ وَلَغَطِهِمْ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ مِنْ " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ وَيُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِمَّا قَدْ تَوَهَّمَ بِهِ بَعْضُ الْأَغْبِيَاءِ مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ، كُلٌّ يَدَّعِي أَنَّهُ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَكْتُبَ فِي ذَلِكَ الْكِتَابِ مَا يَرْمُزُونَ إِلَيْهِ مِنْ مَقَالَاتِهِمْ، وَهَذَا هُوَ التَّمَسُّكُ بِالْمُتَشَابِهِ وَتَرْكُ الْمُحْكَمِ، وَأَهْلُ السُّنَّةِ يَأْخُذُونَ بِالْمُحْكَمِ وَيَرُدُّونَ مَا تَشَابَهَ إِلَيْهِ، وَهَذِهِ طَرِيقَةُ الرَّاسِخِينَ فِي الْعِلْمِ، كَمَا وَصَفَهُمُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فِي كِتَابِهِ، وَهَذَا الْمَوْضِعُ مِمَّا زَلَّ فِيهِ أَقْدَامُ كَثِيرٍ مِنْ أَهْلِ الضَّلَالَاتِ، وَأَمَّا أَهْلُ السُّنَّةِ فَلَيْسَ لَهُمْ مَذْهَبٌ إِلَّا اتِّبَاعُ الْحَقِّ يَدُورُونَ مَعَهُ كَيْفَمَا دَارَ، وَهَذَا الَّذِي كَانَ يُرِيدُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنْ يَكْتُبَهُ قَدْ جَاءَ فِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ التَّصْرِيحُ بِكَشْفِ الْمُرَادِ مِنْهُ ; فَإِنَّهُ قَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، ثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا كَانَ وَجَعُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ قَالَ: " ادْعُوا لِي أَبَا بَكْرٍ وَابْنَهُ فَلْيَكْتُبْ ; لِكَيْ لَا يَطْمَعَ فِي أَمْرِ أَبِي بَكْرٍ طَامِعٌ وَلَا يَتَمَنَّى مُتَمَنٍّ " ثُمَّ قَالَ يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُؤْمِنُونَ مَرَّتَيْنِ. قَالَتْ عَائِشَةُ:
পৃষ্ঠা - ৪১৭৫
فَأَبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُؤْمِنُونَ» . انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْقُرَشِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ " ائْتِنِي بِكَتِفٍ أَوْ لَوْحٍ حَتَّى أَكْتُبَ لِأَبِي بَكْرٍ كِتَابًا لَا يُخْتَلَفُ عَلَيْهِ " فَلَمَّا ذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَقُومَ قَالَ أَبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ أَنْ يُخْتَلَفَ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ» انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أُرْسِلَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَابْنِهِ فَأَعْهَدَ ; أَنْ يَقُولَ الْقَائِلُونَ أَوْ يَتَمَنَّى مُتَمَنُّونَ، فَقُلْتُ: يَأْبَى اللَّهُ وَيَدْفَعُ الْمُؤْمِنُونَ أَوْ يَدْفَعُ اللَّهُ وَيَأْبَى الْمُؤْمِنُونَ» . وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَ " مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَتَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَيْهِ. فَقَالَتْ: أَرَأَيْتَ إِنْ جِئْتُ وَلَمْ أَجِدْكَ؟ كَأَنَّهَا تَقُولُ: الْمَوْتَ. قَالَ: " إِنْ لَمْ تَجِدِينِي فَأْتِي أَبَا بَكْرٍ " وَالظَّاهِرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّهَا إِنَّمَا قَالَتْ ذَلِكَ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ» .
পৃষ্ঠা - ৪১৭৬
وَقَدْ خَطَبَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ خُطْبَةً عَظِيمَةً، بَيَّنَ فِيهَا فَضْلَ الصِّدِّيقِ مِنْ بَيْنِ سَائِرِ الصَّحَابَةِ، مَعَ مَا كَانَ قَدْ نَصَّ عَلَيْهِ أَنْ يَؤُمَّ الصَّحَابَةَ أَجْمَعِينَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ مَعَ حُضُورِهِمْ كُلِّهِمْ، وَلَعَلَّ خُطْبَتَهُ هَذِهِ كَانَتْ عِوَضًا عَمَّا أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَهُ فِي الْكِتَابِ، وَقَدِ اغْتَسَلَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَيْنَ يَدَيْ هَذِهِ الْخُطْبَةِ الْكَرِيمَةِ، فَصَبُّوا عَلَيْهِ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ، وَهَذَا مِنْ بَابِ الِاسْتِشْفَاءِ بِالسَّبْعِ، كَمَا وَرَدَتْ بِهَا الْأَحَادِيثُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ، وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اغْتَسَلَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ خَطَبَهُمْ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ فِي مَرَضِهِ " أَفِيضُوا عَلَيَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ مِنْ سَبْعِ آبَارٍ شَتَّى، حَتَّى أَخْرُجَ فَأَعْهَدَ إِلَى النَّاسِ " فَفَعَلُوا، فَخَرَجَ فَجَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا ذَكَرَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ذَكَرَ أَصْحَابَ أُحُدٍ فَاسْتَغْفَرَ لَهُمْ وَدَعَا لَهُمْ، ثُمَّ قَالَ " يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ، إِنَّكُمْ أَصْبَحْتُمْ تَزِيدُونَ، وَالْأَنْصَارُ عَلَى هَيْئَتِهَا لَا تَزِيدُ، وَإِنَّهُمْ عَيْبَتِي الَّتِي أَوَيْتُ إِلَيْهَا، فَأَكْرِمُوا كَرِيمَهُمْ وَتَجَاوَزُوا عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৭৭
مُسِيئِهِمْ " ثُمَّ قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ قَدْ خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَ اللَّهِ " فَفَهِمَهَا أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ بَيْنِ النَّاسِ فَبَكَى، وَقَالَ: بَلْ نَحْنُ نَفْدِيكَ بِأَنْفُسِنَا وَأَبْنَائِنَا وَأَمْوَالِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " عَلَى رِسْلِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، انْظُرُوا إِلَى هَذِهِ الْأَبْوَابِ الشَّارِعَةِ فِي الْمَسْجِدِ فَسُدُّوهَا، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ بَيْتِ أَبِي بَكْرٍ، فَإِنِّي لَا أَعْلَمُ أَحَدًا عِنْدِي أَفْضَلَ فِي الصُّحْبَةِ مِنْهُ» هَذَا مُرْسَلٌ لَهُ شَوَاهِدُ كَثِيرَةٌ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي فَرْوَةُ بْنُ زُبَيْدِ بْنِ طُوسَى، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ، عَنْ أُمِّ ذَرَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَاصِبًا رَأْسَهُ بِخِرْقَةٍ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى الْمِنْبَرِ تَحَدَّقَ النَّاسُ بِالْمِنْبَرِ وَاسْتَكَفُّوا، فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لِقَائِمٌ عَلَى الْحَوْضِ السَّاعَةَ ثُمَّ تَشَهَّدَ فَلَمَّا قَضَى تَشَهُّدَهُ كَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنِ اسْتَغْفَرَ لِلشُّهَدَاءِ الَّذِينَ قُتِلُوا بِأُحُدٍ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ خُيِّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَ اللَّهِ، فَاخْتَارَ الْعَبْدُ مَا عِنْدَ اللَّهِ " فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ فَعَجِبْنَا لِبُكَائِهِ، وَقَالَ: بِأَبِي وَأُمِّي نَفْدِيكَ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا وَأَنْفُسِنَا وَأَمْوَالِنَا. فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْمُخَيَّرَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ " عَلَى رِسْلِكَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، ثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৭৮

আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৮৩

দিলাম স্শ্লন্ণ্দুভর জাণ্ত্রুাভ্র ত (এ হাযির হও) বর্ণনাকা রী (ফাঘৃল) বললেনা ফলে লোকজন

সমবেত ন্ন্:ন্ রহ্বসুলু ল্লহ্বহ (সা) র্দাড়িয়ে তাযণ দিলেন ৷ তিনি বললেন-


ণ্র্চুাদ্র

এ্ ণ্, এ্ ১২া াদ্বু ধ্ান্ন্া ;ৰুদ্বু ১া ঙুম্ এ্া ;া১২া এে ৰু,ন্ণ্,,ন্ণ্ জ্যো ,;গ্লু,ৰুা১,া ১,,দ্বুা এশুা

,;া , রুপ্রু,এ এ্যাহুও (, প্ঞা এ্শ্রো ঞাদ্বু ছোঙুইএাএ জ্যো , ,ষ্গ্লু;া ;াপ্লুদ্বুাশু; ণ্া এ্যা

,; নদ্বু :াৰু এাদ্বু১১২া এ ণ্ জা ণ্ব্লুা১া :াদ্বু ব্লেন্ত্রঠু১ ড্রু)ণ্৩ ১াগ্লু ,ওএে প্রুা গ্রান্া :শ্রোা এাগ্লু শ্বা

“এরপর লোক সকল ! আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে (তোমাদের মধ্য হতে বিদায় নিয়ে
যাবার এবং আমার স্থালাভিষিক্ত কির্ণারর সময় সন্নিকট হয়েছে) তোমাদের মাঝে আমার কিছু
কিছু আচরণ বদলা নেয়ার মত রয়েন্ গিয়েছে খ্াহ্বহ্ তােম রা নিশ্চয় হ্তামাদের মাঝে এ স্থানে আমাকে
আর দেহুবে না আমি মনে করতাম যে, ঐ আচরণ ও ব্যবস্থা বতিরেংক আমার কাজ সমাধা
করতে পারবে না; যতক্ষণ নাআমি তা তোমাদের মাঝে বাস্তবায়িত করিা শ্যেনৰু তাই,
তোমাদের মাঝে আামি কারো পিঠে (যদি) চাবুক লাগিয়ে থাকি (পিটিয়ে) তা হলে এই যে,
আমার পিঠ রয়েছে; সে যেন সমপ্ৰতিশোাধ (কিসাসা) নিয়ে (নয় ! আর যদি আমি কারো
সম্পদ নিয়ে থাকি, তাহল এই যে আমার মাল সম্পদ; সে যেন এ থেকে নিয়ে (নয়া আর
কাউকে আমি পানি দিয়ে মানইজ্জত নষ্ট করে থাকি, তা হলে এই রইল আমার ইজ্জত, সে
যেন বিনিময় প্রতিশোধ নিয়ে নেয়া(কউ ফো এ কথা না বলে যে, রাসুলুল্লাহ্ (মা) এবং
বিশ্বের অসব্লুষ্টির ভ্রণ্:শ্ ষ্×কায় আা ডীত হচ্ছি কেননা, ৫ন্ান! বিদ্বেষ ঘৃণা আমার মযাদা সুলভও
নয় এবং আমারাভ্রত্ত্বব ণ্া ৩ নয়া ( আমাদের মাঝে আমার সর্বাধিক প্রিয় হবে ঐ ব্যক্তি যে
তার হক ও পাওণ্শ্া আদায় করে নিয়ে যদি তা আমার কাছে থেকে থাকে, কিৎবা আমাকে
দায়মুক্ত কয়ে পেরো কর ৩ আমি ৩াদু:াহুর সান্নিধ্যে হাযির হব এমন অবস্থায় যে আমার কাছে
কারো কোন জুলুম নিপীঢ়ক্রুনর দাবী থাকবে না

কনািকারী বলেন, তলে তাদের মাঝ হতে এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আপনার কাছে আমার ণ্ন্নটিাণ্ম্রহাম ( বৌপ্ মুদ্রা পাওনা) রয়েছো “নবী কবীম (সা)
বললেন, “আামি তো কোন ত্ত্বরীদারক্রুকাথ্যাবাদী বলব না এবং (ও তার কাছে হলফও দায়ী করব
না কি×বা) শপাথ করে দাবীফে প্ৰ ন্ ড়াশ্ণ করার দাবীও করব না (তবে) কী বাপায়ে আমার কাছে
থা কল ? গোকটি নলল আপনার কি মনে পড়ছে না যে, এক প্রার্থী আপনার কাছে এসেছিলা
তখন আপনি আমাকে হুকুম করলে তাকে আমি তিনটি দিরহাম দিয়ো শুষ্াপুহ্ হলা ন ৷” নবা করায
(সা) বললেন, জো ন্ রু ণ্া হৃযল ৩াকে দিয়ে না ও বর্ণনাকায়ী (ফাযল) বলেন নবী কবীম
(সা)৩ তাকে আদেশ করলে সে বলে পড়লা’ ’াবর্ণনাক বী বলেন, পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পুর্ব
বক্তব্য ধারায় ফিরে এলেন এবং বললেন :১)ন্ওক্ট , প্রুৰুা^ইণ্ এসো (শ্১ :৬৪ ;)এাশ্রো ঞ্জাৰু লোক
সকল! কারো কাছে (সরকারী সাল হতে) আত্মসাৎকৃত কিছু থাকলে তা সে ফেরত দিয়ে দিকা
“তখন এক ব্যক্তি র্দাড়িয়ে বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার কাছে ভিনিটি দিরহায রয়েছে যা

(হ্রফ্তেশ্রা€র্নো০ ওোা







بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ فَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ، فَاخْتَارَ ذَلِكَ الْعَبْدُ مَا عِنْدَ اللَّهِ " قَالَ: فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ. قَالَ: فَعَجِبْنَا لِبُكَائِهِ أَنْ يُخْبِرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَبْدٍ خُيِّرَ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْمُخَيَّرَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَنَا بِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِنَّ أَمَنَّ النَّاسِ عَلَيَّ فِي صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ، لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا غَيْرَ رَبِّي لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ، وَلَكِنْ خُلَّةُ الْإِسْلَامِ وَمَوَدَّتُهُ، لَا يَبْقَى فِي الْمَسْجِدِ بَابٌ إِلَّا سُدَّ، إِلَّا بَابَ أَبِي بَكْرٍ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَامِرٍ الْعَقَدِيِّ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ فُلَيْحٍ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ وَبُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ فُلَيْحٍ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ وَعُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ هِشَامٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৭৯
عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْمُعَلَّى، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: " إِنَّ رَجُلًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ أَنْ يَعِيشَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَعِيشَ فِيهَا يَأْكُلُ مِنَ الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ " فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا الشَّيْخِ أَنْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا صَالِحًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ، فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ؟ ! فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: بَلْ نَفْدِيكَ بِأَمْوَالِنَا وَأَبْنَائِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ عَلَيْنَا فِي صُحْبَتِهِ وَذَاتِ يَدِهِ مِنَ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ، وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءٌ وَإِيمَانٌ، وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءٌ وَإِيمَانٌ مَرَّتَيْنِ وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. قَالُوا: وَصَوَابُهُ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْمُعَلَّى. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ - هُوَ ابْنُ رَاهَوَيْهِ - ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي جُنْدُبٌ، «أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُتَوَفَّى بِخَمْسٍ وَهُوَ يَقُولُ: " قَدْ كَانَ لِي مِنْكُمْ إِخْوَةٌ وَأَصْدِقَاءُ، وَإِنِّي أَبْرَأُ إِلَى كُلِّ خَلِيلٍ مِنْ خُلَّتِهِ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِي خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا
পৃষ্ঠা - ৪১৮০
بَكْرٍ خَلِيلًا، وَإِنَّ رَبِّي اتَّخَذَنِي خَلِيلًا كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَإِنَّ قَوْمًا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصُلَحَائِهِمْ مَسَاجِدَ، فَلَا تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ، فَإِنِّي أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ بِنَحْوِهِ. وَهَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَانَ قَبْلَ وَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ هُوَ يَوْمُ الْخَمِيسِ الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فِيمَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ رُوِّينَا هَذِهِ الْخُطْبَةَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُقْرِئُ، أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ قَالَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، ثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ ثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ عَاصِبًا رَأْسَهُ بِخِرْقَةٍ، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ " إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ عَلَيَّ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنَ النَّاسِ خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنْ خُلَّةُ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ، سُدُّوا عَنِّي كُلَّ خَوْخَةٍ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرَ خَوْخَةِ أَبِي بَكْرٍ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৮১
أَبِيهِ بِهِ. وَفِي قَوْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «سُدُّوا عَنِّي كُلَّ خَوْخَةٍ فِي الْمَسْجِدِ - يَعْنِي الْأَبْوَابَ الصِّغَارَ النَّافِذَةَ إِلَى الْمَسْجِدِ - غَيْرَ خَوْخَةِ أَبِي بَكْرٍ» إِشَارَةٌ إِلَى الْخِلَافَةِ ; أَيْ لِيَخْرُجَ مِنْهَا إِلَى الصَّلَاةِ بِالْمُسْلِمِينَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَنْظَلَةَ، ابْنِ الْغَسِيلِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ عَاصِبًا رَأْسَهُ بِعِصَابَةٍ دَسْمَاءَ، مُلْتَحِفًا بِمِلْحَفَةٍ عَلَى مَنْكِبَيْهِ، فَجَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَذَكَرَ الْخُطْبَةَ، وَذَكَرَ فِيهَا الْوَصَاةَ بِالْأَنْصَارِ، إِلَى أَنْ قَالَ: فَكَانَ آخَرَ مَجْلِسٍ جَلَسَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قُبِضَ. يَعْنِي آخِرَ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ» . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِإِسْنَادٍ غَرِيبٍ وَلَفْظٍ غَرِيبٍ ; فَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا ابْنُ أَبِي قُمَاشٍ، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو عِمْرَانَ الْجَبُّلِيُّ، ثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِيَاسٍ اللَّيْثِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «أَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا، وَقَدْ عَصَبَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: خُذْ بِيَدِي
পৃষ্ঠা - ৪১৮২
يَا فَضْلُ قَالَ: فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ حَتَّى قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ، ثُمَّ قَالَ: نَادِ فِي النَّاسِ يَا فَضْلُ فَنَادَيْتُ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. قَالَ: فَاجْتَمَعُوا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطِيبًا فَقَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ قَدْ دَنَا مِنِّي حُقُوقٌ مِنْ بَيْنِ أَظْهَرُكُمْ، وَلَنْ تَرَوْنِي فِي هَذَا الْمَقَامِ فِيكُمْ، وَقَدْ كُنْتُ أَرَى أَنَّ غَيْرَهُ غَيْرُ مُغْنٍ عَنِّي حَتَّى أَقُومَهُ فِيكُمْ، أَلَا فَمَنْ كُنْتُ جَلَدْتُ لَهُ ظَهْرًا فَهَذَا ظَهْرِي فَلْيَسْتَقِدْ، وَمَنْ كُنْتُ أَخَذْتُ لَهُ مَالًا فَهَذَا مَالِي فَلْيَأْخُذْ مِنْهُ، وَمَنْ كُنْتُ شَتَمْتُ لَهُ عِرْضًا فَهَذَا عِرْضِي فَلْيَسْتَقِدْ، وَلَا يَقُولَنَّ قَائِلٌ: أَخَافُ الشَّحْنَاءَ مِنْ قِبَلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَلَا وَإِنَّ الشَّحْنَاءَ لَيْسَتْ مِنْ شَأْنِي وَلَا مِنْ خُلُقِي، وَإِنَّ أَحَبَّكُمْ إِلَيَّ مِنْ أَخَذَ حَقًّا إِنْ كَانَ لَهُ عَلَيَّ، أَوْ حَلَّلَنِي فَلَقِيتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلَيْسَ لِأَحَدٍ عِنْدِي مَظْلِمَةٌ " قَالَ: فَقَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِي عِنْدَكَ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ. فَقَالَ: " أَمَّا أَنَا فَلَا أُكَذِّبُ قَائِلًا وَلَا مُسْتَحْلِفُهُ عَلَى يَمِينٍ، فِيمَ كَانَتْ لَكَ عِنْدِي؟ " قَالَ: أَمَا تَذْكُرُ أَنَّهُ مَرَّ بِكَ سَائِلٌ فَأَمَرْتَنِي، فَأَعْطَيْتُهُ ثَلَاثَةَ دَرَاهِمَ. قَالَ: " أَعْطِهِ يَا فَضْلُ " قَالَ: وَأَمَرَ بِهِ فَجَلَسَ. قَالَ: ثُمَّ عَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَالَتِهِ الْأُولَى، ثُمَّ قَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْغُلُولِ شَيْءٌ فَلْيَرُدَّهُ " فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عِنْدِي ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ غَلَلْتُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ. قَالَ: " فَلِمَ غَلَلْتَهَا؟ " قَالَ: كُنْتُ إِلَيْهَا مُحْتَاجًا. قَالَ: " خُذْهَا مِنْهُ يَا فَضْلُ " ثُمَّ عَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَالَتِهِ الْأُولَى وَقَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ أَحَسَّ مِنْ نَفْسِهِ شَيْئًا فَلْيَقُمْ أَدْعُو اللَّهَ لَهُ " فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَمُنَافِقٌ، وَإِنِّي
পৃষ্ঠা - ৪১৮৩
لَكَذُوبٌ، وَإِنِّي لَنَئُومٌ. فَقَالَ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيْحَكَ أَيُّهَا الرَّجُلُ لَقَدْ سَتَرَكَ اللَّهُ، لَوْ سَتَرَتْ عَلَى نَفْسِكَ! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ فُضُوحُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ فُضُوحِ الْآخِرَةِ. اللَّهُمَّ ارْزُقْهُ صِدْقًا وَإِيمَانًا، وَأَذْهِبْ عَنْهُ النَّوْمَ إِذَا شَاءَ " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عُمَرُ مَعِي وَأَنَا مَعَ عُمَرَ وَالْحَقُّ بَعْدِي مَعَ عُمَرَ» وَفِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ. [ذِكْرُ أَمْرِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِالصَّحَابَةِ أَجْمَعِينَ] َ مَعَ حُضُورِهِمْ كُلِّهِمْ وَخُرُوجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَصَلَّى وَرَاءَهُ مُقْتَدِيًا بِهِ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ، وَإِمَامًا لَهُ وَلِمَنْ بَعْدَهُ مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৪


বললে তখন আমি একমত্রে এ ধারণইি করেছিলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এ ব্যাপারে আমাকে
হুকুম করেছেন, তা না হলে তো আমি সালাতে ইমামতি করতাম না ৷ বর্ণনাকারী (ইবন যামৃআ
বলেন, আমি বললাম, অল্লোহর কসম! রাসুলুল্লাহ্ (না) (সরাসরি আপনাকে বলার জন্য )
আমাকে হুকুম করেন নি, তবে আমি যখন আবু বকরকে দেখতে পেলাম না তখন সালাতে
ইমামতির জন্য উপন্থিতদের মাৰে৷ আপনাকে যােগ্যতম মনে করলাম ৷ আবু দাউদ (র)-ও
অনুরুপ ষুহ্রী (র) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ আর ইউনুস ইবন বুকায়র (র) হাদীসটি
অনুরুপ রিওায়ায়াত করেছেন ৷ ইবন ইস্হাক আবদুল্লাহ ইবন যামৃআ (বা) সুত্রে উল্লেখ
করেছেন ৷ আবু দাউদ (র) আরো বলেছেন, আহমদ ইবন সালিহ্ (র) আবদুল্লাহ ইবন যাম্আ
(বা) (উবায়দুল্লাহু ইবন আবদুল্লাহ ইবন উত্বাকে) খবর দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম
(সা) যখন উমর (রা)-এর আওয়ায শুনলেন, ইবন যাম্আ বলেন, নবী করীম (সা) বের হয়ে
এলেন, (অর্থাৎ) হুজরা থেকে মাথা গলিয়ে দেখার পরে বললেন শ্বা :শ্মোঃ-৷ ,£-, ১৷ শ্বম্বু
হ্ৰুএে ;,-- শ্লো “না, না, ইবন আবু কুহড়াফা (আবু বকর) ব্যতীত অন্য কেউ লোকদের
সালাতে ইমামতি করবে না ৷ তিনি তা বলছিলেন অসম্ভষ্টির সাথে ৷

বুখারী (র) বলেন উমর ইবন হাফস (র) আসৃওয়াদ (র) হতে, তিনি বলেছেন, আমরা
আইশা (রা)-এর কাছে ছিলাম এবং আমরা সালাতে নিয়মানুবর্তিতা ও অধ্যাবসায় এবং তার
গুরুত্ব প্রদান বিষয় আলোচনা করছিলাম ৷ অইিশা (রা) বললেন, নবী করীম (না) যখন সে
অসুস্থতার আক্রান্ত হলেন যাতে তিনি ইন্তিকাল করেন তখন সালাত-এর সময় উপস্থিত হলে
ৰিলাল (রা) আযান দিলেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন, “আবু বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত
আদায় করতে বল ৷ তখন র্তাকে বলা হল,আবু বকর একজন কোমল প্রাণ মানুষ, তিনি যখন
আপনার স্থানে র্দাড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে সমর্থ হবেন না ৷ নবী
করীম (না) তার আদেশের পুনরাবৃত্তি করলে র্তারাও তাদের কথার পুনরুক্তি করলেন ৷ নবী
করীম (সা) তৃতীয়বার তার হুকুমের পুনরুক্তি করলেন ৷ তিনি বললেন শুএেঙুন্নু ৰু া , :ম্রা
ফ্রোগ্রাঙ্ মোঃ )র্ন্তহুষ্ট-া »» “তোমরা তাে দেখছি ইউসুফ (আ)-এর যুগে নারীদের মত ৷ ১
আবু বকরকে বল লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে ৷ তখন আবু বকর (রা) (সালাত
আদায়ের জন্য) বের হলেন ৷ পরে (কোন এক সালাতের সময়) নবী করীম (না) (রোগের
প্রকোপ কমে গিয়ে) একটু হাল্কা বোধ করলে দুজন লোকের র্কাধে ভর করে বের হলেন, আমি
ন্ যেন (এখনও) দেখছি র্তার পা দুখানি, রোগ ভাবে (মাটিতে) দাগ কোট যাচ্ছে ৷ নবী করীম
(সা) এর উপস্থিতি টের পেয়ে আবু বকর (বা) (ইমামের স্থান হতে) পিছনে সরে যেতে উদ্যত
হলে নবী করীম (সা) র্তাকে ইৎগিতে নিজ স্থানে থাকতে বললেন ৷ এভাবে তাকে নিয়ে আসা
হলে তিনি তার (আবু বকরের) পাশে বসে পড়লেন ৷ মধ্যবর্তী রাবী আমাস (র)-কে জিজ্ঞাসা
করা হল, তবে কি তখন নবী করীম (সা) সালাত আদায় করছিলেন এবং আবু বকর তাকে



১ ইউসুফ (আ)-এর সহচরী অর্থাৎ অযীয়ের শ্রীর চা-চহ্রক্রা আহবানে আগত শহরের সম্রাস্ত নারীগণ যেভাবে
উচ্চ প্ৰসংশার জালে আবদ্ধ করে ইউসুফ (আ)-কে সঠিক পন্থা হতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ৷ তােমরাও
তেমনি আমাকে আমার যথার্থ করণীয় হতে বিচ্যুত করতে সচেষ্ট হচ্ছে৷ ৷ অনুবাদক


أَسَدٍ قَالَ: «لَمَّا اسْتُعِزَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا عِنْدَهُ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، دَعَا بِلَالٌ لِلصَّلَاةِ، فَقَالَ: " مُرُوا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ " قَالَ: فَخَرَجْتُ فَإِذَا عُمَرُ فِي النَّاسِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ غَائِبًا فَقُلْتُ: قُمْ يَا عُمَرُ فَصَلِّ بِالنَّاسِ. قَالَ: فَقَامَ، فَلَمَّا كَبَرَّ عُمَرُ سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَهُ، وَكَانَ عُمَرُ رَجُلًا مُجْهِرًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَيْنَ أَبُو بَكْرٍ؟ ! يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ، يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ " قَالَ: فَبَعَثَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَجَاءَ بَعْدَ مَا صَلَّى عُمَرُ تِلْكَ الصَّلَاةَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَمْعَةَ: قَالَ لِي عُمَرُ: وَيْحَكَ مَاذَا صَنَعْتَ يَا ابْنَ زَمْعَةَ، وَاللَّهِ مَا ظَنَنْتُ حِينَ أَمَرْتَنِي إِلَّا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَكَ بِذَلِكَ، وَلَوْلَا ذَلِكَ مَا صَلَّيْتُ. قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ حِينَ لَمْ أَرَ أَبَا بَكْرٍ رَأَيْتُكَ أَحَقَّ مَنْ حَضَرَ بِالصَّلَاةِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ. وَرَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، فَذَكَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮৫
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَمْعَةَ أَخْبَرَهُ بِهَذَا الْخَبَرِ، قَالَ: «لَمَّا سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَ عُمَرَ. قَالَ ابْنُ زَمْعَةَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَطْلَعَ رَأْسَهُ مِنْ حُجْرَتِهِ، ثُمَّ قَالَ " لَا لَا لَا، لِيُصَلِّ لِلنَّاسِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ " يَقُولُ ذَلِكَ مُغْضِبًا» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ الْأَسْوَدُ: «كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرْنَا الْمُوَاظَبَةَ عَلَى الصَّلَاةِ وَالتَّعْظِيمَ لَهَا، قَالَتْ: لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَأَذَّنَ بِلَالٌ، فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ. وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ، فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ، فَقَالَ " إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৬

অনুসরণ করে সালাত আদায় করছিলেন, আর লোকেরা আবু বকরের সালাতের অনুকরণে
সালাত আদায় করছিল ? আমান (র) তার মাথা দিয়ে ইংগিত করলেন, হী ৷ এরপরে বুৰ্াৰী
(র) বলেছেন, আবু দাউদ (র) শুবড়া (র) হতে এ হাদীসের অংশবিশেষ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আর আমাশ (র) হতে গৃহীত রিওয়ায়াতে আবু ঘুআৰিয়ড়া (র) অধিক বলেছেন “নবী করীম
(সা) আবু বকর (রা) এর বাম দিকে উপবেশন করলেন এবং আবু বকর (বা) দাড়িয়ে সালাত
আদায় করছিলেন ৷ বুখড়ারী (র) র্তার গ্রন্থের একাধিক স্থানে এবং মুসলিম , নড়াসাঈ ও ইবন মজো
(র) আমান (র) হতে একাধিক সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র)
আরো বলেন, অবেদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (বা) হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তার অসুস্থতার সময় বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করতে বল ! ইবন শিহড়াব (র) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা
(রা) এর বরাতে আমাকে খবর’ দিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এ বিষয় নবী কৰীম
(সা)কে বিকল্প প্রস্তাব দিলাম ৷ এ বিকল্প প্রস্তাব দানে আমাকে উদ্বুদ্ধ করছিল ৷ শুধু আমার এ
দৃশ্চিত্তা যে, লোকের আবু বকরকে (অপয়া) মনে করবে এবং শুধু আমার এ উপলব্ধি যে, যে
কেউ তীর স্থানে র্দড়োয়ে লোকেরা র্তাকে কুলক্ষ্যণ মনে করবেই ৷ তাই, আমি চাচ্ছিলাম যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকরকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বলুন ৷

আবদুর রাঘৃযাক (র) যুহ্রী (র) সনদে সহীহ্ যুসলিমে রয়েছে (যুহ্রী বলেন) হাঘৃযা
আবদুল্লাহ ইবন উমর (র) আইশা (বা) হতে আমাকে খবর দিয়েছেন, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্
(না) যখন আমার ঘরে এলেন তখন বললেন, “আবু বকরকে বলে দাও, লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করতে ৷” “আইশা (রা) বলেন, আমি বললায়, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আবু বকর
একজন কোমল প্রাণ মানুষ কুরআন পাঠ করতে লাগলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন না ৷
তাই, আপনি যদি আবু বকর ব্যতীত অন্য কাউকে আদেশ করতেন ! ” আইশা (রা ) বলেছেন,
(এরুপ বলার পিছনে) আমার মাঝে কাজ করছিল শুধু এই দুশ্চিন্তা যে, সর্বড়াগ্রে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর স্থানে র্দাড়ড়ানাে ব্যক্তিকে লোকেরা কুলক্ষাণ মনে করবে ৷ আইশা (রা) বলেন, তাই,
দুবার কিংবা তিন বার আমি তার কাছে পুনঃপুনঃ অড়াবদার জানড়ালাম ৷ তিনি বললেন এ- ন্া
শু-ঞণ্ডা চ--া১ন্এ :র্ন্তএএি ,াহ্নক্লো :এগ্রা-৷ আবু বকরই লোকদের নিয়ে (ইমামতি করে) স্যলাত
আদায় করবেন; তোমরা নিশ্চয় ইউসুফ (আ) এর যুগের নারীদের তুল্য ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে
আবদুল মালিক ইবন উমায়র (র)-এর বরাতে, আবু মুসার পিতা হতেও অনুরুপ রিওয়ায়াত
রয়েছে তাতে অতিরিক্ত আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায়ই
আবু বকর (লোকদের ইমাম হয়ে) সালড়াত আদায় করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী (র) , উবড়ায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ (র)
হতে, তিনি বলেন, আইশা (রা)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে আমি বললাম , রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর
অসুস্থতা সম্পর্কে আপনি আমাকে হাদীস ণ্শানায়েন কি? তিনি বললেন, “কেন নয়? রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর অসুস্থতা প্রবল্ট হল ৷ তিনি বললেন, প্রুগ্রো ,,াৰু ক্ট লোকরা কি সালাত আদায়
করেছে? আমরা বললাম, জী না ৷ র্তীরড়া আপনার প্রতীক্ষ্যয় রয়েছে ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ তিনি


بِالنَّاسِ " فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى، فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ الْأَرْضَ مِنَ الْوَجَعِ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَكَانَكَ، ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ. قِيلَ لِلْأَعْمَشِ: فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاتِهِ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ؟ فَقَالَ بِرَأْسِهِ نَعَمْ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ بَعْضَهُ، وَزَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ، وَمُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ، مِنْهَا مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، وَمُسْلِمٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮৭
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ " قَالَتْ عَائِشَةُ: قُلْتُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ، لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ، فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ: قُولِي لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ، فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْ إِنَّكُنَّ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ " فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ: مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ. قَالَ عُرْوَةُ: فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ كَمَا أَنْتَ. فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاةِ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৮


বললেন এ্যা ষ্-গ্ ণ্ধ্ প্-ষ্ ১১ ১ গামলায় আমার জন্য পানি ঢেলে দাও, আমরা তা
করলাম ৷ অইিশা (বা) বলেন, তিনি গোসল করার পরে উঠে র্দাড়াতে গেলে সংজ্ঞা হারিয়ে
ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, গ্রাগ্রা এশ্া লোকেরা কি সালাত আদায়
করেছে? আমরা কালাম দ্বী না, তারা আপনার প্রতীক্ষায় রয়েছে ইয়া বা সুল ৷ল্পাহ্ ! তিনি
বললেন, আমার জন্য গামলায় পানি চোল দাও ৷” আমরা তা করলাম ৷ তখন তিনি গোসল
করলেন ৷ পরে র্দড়ােডে উদ্যত হলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেললেন ৷

তারপর চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, “লোকেরা কি সালাত আদায় করেছে ?” আমরা
বললাম ল্লী, না ৷ র্তার৷ আপনার জন্য অপেক্ষা কাছে ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, আমার
জন্য গামলায় পানির ব্যবস্থা কর ৷ আমরা তা করলে তিনি গোসল করলেন এবং পরে উঠে
র্দাড়াতে গেলে চেতনা হারিয়ে ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, লোকেরা কি
সালাত আদায় করেছে ? আমরা বললাম, জী না, ইয়া রাসুলাল্পাহ ! তারা আপনার প্রভীক্ষায়
রয়েছে ৷” অইিশা বলেন, লোকেরা মসজিদে নিশ্চল হয়ে ইশার সালাতের জন্য রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রভীক্ষা করছিল ৷

তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করার জন্য আবু বকর (রা)-এর
কাছে লোক পাঠালেন ৷ আবু বকর (বা) ছিলেন কোমল প্রাণ মানুষ ৷ তইি তিনি বললেন, হে
উমর! লোকদের সালাতে ইমামতি করুন !” তিনি বললেন, “এ বিষয় অগ্নগণ্য ৷ ” তখন তিনি
(আবু বকর) ঐ দিনগুলিতে তাদের সালাতে ইমামতি করলেন ৷ পরে (একদিন) রাসুলুল্লাহ্
(সা) খানিকটা সুস্থতা বোধ করলে দুইজন লোকের উপর (ভর দিয়ে) যুহ্র সালাতের জন্য
বের হলেন ৷ সে দুজনের একজন হলেন আব্বাস (রা) ৷ আবু বকর (রা) (সালাতে থেকে)
তাকৈ (আগমন উদ্যত) দেখতে পেয়ে পিছনে সরে যেতে লাগলে নবী করীম (সা) র্তাকে
ইৎগিত করলেন যেন, পিছনে সরে না যান এবং ঐ দৃজনকে বললে র্তারা তাকে তার (আবু
বকরের) পাশে বসিয়ে দিলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) দাড়িয়ে সালাত আদায় করতে থাকলেন
এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) বসে বসে সালাত আদায় করলেন ৷” (আইশার বর্ণনা সমান্ত) উবায়দৃল্লাহ
(র) বলেন, পরে আমি ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে গিয়ে তাকে বললাম, “ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-
এর অসুস্থতা কালীন ঘটনাবলী সম্পর্কে আইশা (বা) আমাকে যা শুনিয়েছেন তা আপনার
কাছে উপস্থাপন করব কি ? “তিনি বললেন, আচ্ছা তা করতে পার ৷ তখন আমি র্তাকে
(আনুপুর্বিক্) বিবরণ দিলে তিনি তার কিছুই অস্বীকার করলেন না ৷ তবে তিনি এতটুকু
বললেন, আব্বাসের সাথে অন্য যে লোকটি ছিলেন, তিনি (আইশা) কি তোমার কাছে তার
নাম বলেছেন ? আমি বললাম, জী না ৷ তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী (বা) ৷ বুখারী ও
মুসলিম (র) উভয় আহমদ ইবন ইউনুস (র), (যাইদা) হতেও (ঐ সনদে) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে,“তখন আবু বকর (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সালাতের
অনুসরনে দাড়িয়ে সালাত আদায় করতে লাগলেন; আর লোকেরা আবু বকরের সালাতের
অনুসরণে সালাত আদায় করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন উপবিষ্ট ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন,
এ বর্ণনায় প্রতীয়মান হয় যে, এ সালাতে নবী করীম (সা) অ্যাবর্তী হয়ে (বসে) ছিলেন এবং
আবু বকর (বা) রাসুল (সা)-এর সালাতের সাথে নিজের সালাতকে সম্পৃক্ত করে দিয়েছিলেন ৷


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ بِهِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعُهُ، قِيلَ لَهُ فِي الصَّلَاةِ، فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ. فَقَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَعَاوَدَتْهُ مِثْلَ مَقَالَتِهَا، فَقَالَ: " أَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: لَقَدْ عَاوَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، وَمَا حَمَلَنِي عَلَى مُعَاوَدَتِهِ إِلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ، وَإِلَّا أَنِّي عَلِمْتُ أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ مَقَامَهُ أَحَدٌ إِلَّا تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ إِلَى غَيْرِهِ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتِي قَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৯
أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ لَا يَمْلِكُ دَمْعَهُ، فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ. قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا بِي إِلَّا كَرَاهِيَةُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَوَّلِ مَنْ يَقُومُ فِي مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَرَاجَعْتُهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. فَقَالَ " لِيُصَلِّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ» . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لَا يَسْتَطِعْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ. قَالَ: فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ " قَالَ: فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: أَلَا تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بَلَى، ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " فَقُلْنَا: لَا، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " فَفَعَلْنَا، قَالَتْ: فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ: " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " قُلْنَا: لَا، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯০


আইশা (বা) হতে আসওয়ড়াদ ও উরওয়া (র) অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তদ্রাপ , ইবন
আব্বাস (বা) হতে আরকাম ইবন শুরাহ্বীল (র)-এর রিওয়ড়ায়াতও , অর্থাৎ এখানে উদ্দিষ্ট বিষয়
হল আহমদ (র) এর রিওয়ায়াত ইয়াহ্যা ইবন যাকারিয়্যা ইবন আবু যাইদা (র) (আরকাম
ইবন শুরড়াহ ৰীল সুত্রে ) ইবন আব্বাস (বা) হতে তিনি বলেন, পুর্বানৃরুপ বর্ণনা করে তাতে
অতিরিক্ত যোগ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) গিয়ে আবু বকরের পাশে তার বাম দিকে বসে পড়লেন
এবং আবু বকর (বা) যে আয়াত পর্যন্ত পৌছেছিলেন সে আয়াত হতে তিলাওয়াত আরম্ভ
করলেন ৷ পরে আহমদ (র) ওয়ার্কী (র) আরকাম (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে আরো বিশদ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ওয়াকী (র) তার বর্ণনায় কখনও বলতেন, “আবু বকর (রা) নবী করীম
(সা)এর ইকতিদা অনুগমন করছিলেন এবং লোকেরা আবু বকর (রা)-এর ইকতিদা অনুগমন
করছিল ৷ ” ইব ন মাজা (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আলী ইবন মুহাম্মদ (র), ইবন
আব্বাস (বা) সুত্রে অনুরুপ ৷ পক্ষান্তরে; ইমাম আহ্ মদ (র) বলেছেন, শাবাব৷ ইবন যাওয়ার
(র) আইশা (রা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যে অসুস্থতার ইন্তিকাল করেছিলেন
তাতে তিনি আবু বকরের পিছনে’ উপবিষ্ট হয়ে সালাত আদায় করেছেন ৷” তিরমিযী ও নাসাঈ
(র)ও হাদীসটি শুবা বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিযী (র) হাসান সাহীহ বলে মন্ত
যা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র ) আরো বলেন, বকর ইবন ঈসা (র) (শুবা) (মসবৃকৃক) আইশা
(র) হতে এ মর্মে যে, আবু বকর (রা) লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, রাসুলুল্লাহ্
(মা) ছিলেন (ঘুক্তাদীদের) কাতারে ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, আবুল হুসায়ন ইবন ফাষ্ল
আল-কাত্তান (র) আইশা (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকরের পিছনে
(মুক্তড়াদী হয়ে) সালাত আদায় করেছেন ৷

এ সনদটি বেশ উত্তম (জাব্যিদ) সনদ; তবে (ছয়) গ্রহকারগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷
বায়হাকী (র) বলেছেন, অনুরুপ হুমায়দ (র) আনাস ইবন মালিক (বা) হতে এবং ইউনুস (র)
হাসান (রা) হতে হাদীসটি মুরসালরুপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে আবার হাদীসটি সনদযুক্ত
রিওয়ায়াত করেছেন, হুশায়ম (র) সুত্রে (হুশায়ম-ইউসুস-হসােন এবং হুশায়ন-হুময়েদ-আনাস
ইবন মালিক) এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন, আবু বকর (বা) তখন লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করছিলেন ৷ তিনি (না) গিয়ে তার পাশে উপবেশন করলেন ৷ তখন তার পায়ে
ছিল একটি চাদব, যার দুপ্রান্ত তিনি বিপরীত যুথী করে (দু’র্কাধে ফেলে) রেখেছিলেন ৷ তিনি
তখন তার (আবু বকরের) সালাত অনুসারে (মুক্তাদী হয়ে) সালাত আদায় করলেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান (র) আনাস (বা) সুত্রে বলেছেন,
রাসৃলুল্লাহ্ (সা) শেষ যে সালাত জামাআতের সাথে আমার করেছেন তা তিনি আদায়
করেছিলেন আবু বকরের পিছনে এক কাপড়ে তা চাদরের ন্যায় জড়িয়ে ৷

ন্থকারের মন্তব্য : এটি একটি বেশ উত্তম সনদ, যা সহীহ্ (বৃখারী) গ্রন্থের শতইনৃকং
তবে (হয়) গ্রন্থকরগণ তা উ’জ্বও করেন নি ৷ এ ছড়ো মানুষের (ক্তাম হৃষ্ন্:তর ৷ স্:ঘ আন্হ্ব
<দ্বু৩ ন্থ ন্ ;ণ্ :ণ্হু ক — ইহি ওকসাল্লাক্রুমর £শ্ন্ট্টষ ঙ্গাল্ভ এ অতিরিক্ত স্ৰুবৃক্তিটুকু ক্রে;ছুব বহন
করে ন্ হারহই হু৷ ক্রুল্হ্বমষ্ন্ ইব ন্ষ্ হিন্ ন্ষ্ল্ ও ইহ্বন্হ্হ্ভ্র ইবন্ অ বুৰে ৷হুদ্ ন্ষ্ট্রব্রুও ভ্রুণ্ন্ন্ হ্
হতে ক্টন্হুশ্ন্খ কশুরক্রু-হপ্শ্ যে ন্ই“ ষ্কম্বীম ৰু ন্৷ ভ্র’বৃ বকং ৷রর্দা-£ব শ্যিন্£ন ণ্ন্ন্মোস্তু আঃন্ন্হ্ব





اللَّهِ. قَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " قُلْنَا: لَا هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَتْ: وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ، فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ بِأَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلًا رَقِيقًا، فَقَالَ: يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ. فَقَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ. فَصَلَّى بِهِمْ تِلْكَ الْأَيَّامَ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ خِفَّةً، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ، أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ لَا يَتَأَخَّرَ، وَأَمْرَهُمَا فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِهِ، فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي قَاعِدًا» . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَدَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقُلْتُ: أَلَا أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: هَاتِ. فَحَدَّثْتُهُ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: سَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ هُوَ عَلِيٌّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ زَائِدَةَ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي هَذَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقَدَّمَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ، وَعَلَّقَ أَبُو بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৪১৯১


করলেন ৷ একখানি কাপড়, চাদর পরিধান করে, তার দৃ’প্রান্ত বিপরীত সুখী করে (র্কাধের
উপর) রেখে, পরে যখন র্দাড়াবার ইচ্ছা ব্বলেন, তখন বললেন, “আমার জন্য উসামা ইবন
যড়ারদকে ডেকে আন ৷ উর্সামা এসে গেলে তিনি নিজের পিঠ তার বুকের সাথে লাগ্যালন
(এবং উঠে র্দাড়ালেন) ৷ এ সালাতই ছিল জব আদায় কৃত শেষ সালাত ৷ বায়হাকী বলেন, এ
বণ্নাি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ সালাত ছিল ওফাতের দিন সোমবারের ফজর সালাত ৷
কেননা, তা-ই হ্নি^৷ তার আদায়কৃত গেম সালাত ৷ কেননা, এ কথা প্রমাণিত যে, তিনি
সোমবার প্রথম প্রহরে ইন্তিকাপ্স করেছিলেন ৷

গ্রস্থুকারের কথা : বায়হাকী(র) তার কথিত এ বক্তবটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ (সম্ভবত) মুসা
ইবন উক্বার মাপাযী’ গ্রন্থ থেকে হুবহু ৷ কেননা, মুসা (র) অনুরুপই উল্লেখ করেছেন, আবুল
আসৃওয়াদ (র) ও উরওয়া (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ জ্যি এ বত্তল্যটি দুর্বল ও
অসমর্থিত, বরৎ এটি হবে জামাআতের সাথে আদায়কৃত নবী করীম (না)-এর শেষ সালাত ৷
যেমন পুর্বোল্লিখিত্ত একটি রিওয়ারাতে এরুর্পবিবৃত হয়েছে ৷ আর মুল হাদীস যেহেতু এক
ও অত্যি ৷ সুতরাং নির্গয়বিহীন ও উন্মুক্ত (সুত্লাক) বর্ণনাকে নির্ণয়যুক্ত বিশিষ্ট (ষুকায়াদ)
বর্ণনার অধীন বস্মা হবে ৷ সুজ্ঞাৎ এ কথা বলার অবকাশ থাকছে না যে, তা ওফাত দিবস
ণ্সামবারের ফজরের সালাত ছিল ৷ কেননা, সে সালাত তিনি জামাআতের সাথে আদায়
করেন নি, বরৎ দৃর্বলতার কারণে নবী কবীম (সা) সে সালাত আদায় করেছিলেন তীর
হুজরায় ৷ এ ব্যাপারে আমার কাছে প্রমাণ হল সহীহ্ গ্রন্থে বুখারী (র)-এর বিবৃতি আবুল
ইয়ামান (র) আনাস ইবন মালিক (রা)-এর বরাতে খবর দিয়েছেন, তিনি ছিলেন নবী কবীম
(না)-এর সার্বক্ষণিক খাদিম ও বিশ্বত সহচর, এ মর্মে যে নবী করীম (সা) যে অসুস্থতার
ইন্তিকাল করলেন, যে সময় আবু বকর (রা) তাদের (ইমাম) হয়ে সালাত আদায় বম্মতেন ৷
এভাবে সোমবার (সকালে) তারা সালাতে সারিবদ্ধ ছিলেন ৷

তখন নবী কবীম (সা) তীর হুড্ডার পদা তুলে আমাদের দিকে তাকালেন; তিনি তখন
র্দাড়িয়েছিলেন এবং তার চেহারা যুবারক ছিল হাসিতে উদ্ভাসিত ৷ যেন তা পবিত্র গ্রন্থের
পাতা ৷ নবী করীম (না)-কে দেখার কারণে আমাদের আনন্দাতিশয্যে বিশৃৎখল ও আত্মহারা
হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ আবু বকর (রা) কাতারে নাযিল হওয়ার উদ্দেশ্যে পিছু হট্তে
উদ্যত হলেন ৷ কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে, নবী করীম (সা) সালাতের জন্য বেরিয়ে
আসছেন ৷ তখন নবী করীম (সা) আমাদের ইংগিত করলেন যে, তোমরা তোমাদের
সালাত পুর্ণ করে নাও ৷ পরে তিনি পর্দা ছেড়ে দিলেন এবং ঐ দিনই ইস্তিকাল বম্মলেন ৷
“মুসলিম (র) এ হাদীসটি জ্যি সুত্রের রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র) পরবর্তী রিওরায়াত



১ অর্থ উসুন (মুলনীতি) শাক্সের বিধান মতে কোন অতিরিক্ত বর্ণনা বিহীন ভাষ্য (যাকে পরিভাষায়
মুত্লাক ফ্লো শ্ উন্মুক্ত বলা হয়) অতিরিক্ত বর্ণনা যুক্ত ভাষ্যের (পরিভাষার মুকায়্যাদাও সীমিত ও সৎকীর্ণ)
সমান্তরালে প্রয়োগ করা হবে ৷ এটাই অজ্জি বিষয় পরস্পর বিরোধী বর্ণনাসমুহের ভৈবপয়ীত্য নিরসনের স্বীকৃত
পন্থা ৷-অনুৰাদক


صَلَاتَهُ بِصَلَاتِهِ قَالَ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْأَسْوَدُ وَعُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْأَرْقَمُ بْنُ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. يَعْنِي بِذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَرْقَمِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، ثُمَّ وَجَدَ خِفَّةً فَخَرَجَ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِ أَبُو بَكْرٍ أَرَادَ أَنْ يَنْكِصَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ يَسَارِهِ، وَاسْتَفْتَحَ مِنَ الْآيَةِ الَّتِي انْتَهَى إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَرْقَمَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِأَطْوَلَ مِنْ هَذَا. وَقَالَ وَكِيعٌ مَرَّةً: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأْتَمُّ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ يَأْتَمُّونَ بِأَبِي بَكْرٍ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَرْقَمَ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ قَاعِدًا فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
পৃষ্ঠা - ৪১৯২
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا بَكْرُ بْنُ عِيسَى، سَمِعْتُ شُعْبَةَ بْنَ الْحَجَّاجِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ صَلَّى بِالنَّاسِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّفِّ» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَيُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا. ثُمَّ أَسْنَدَ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ هُشَيْمٍ ; أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ هُشَيْمٌ: وَأَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ وَهُوَ فِي بُرْدَةٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهَا فَصَلَّى بِصَلَاتِهِ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا عُبَيْدُ بْنُ شَرِيكٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الْقَوْمِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُلْتَحِفًا بِهِ، خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» . قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَهَذَا التَّقْيِيدُ جَيِّدٌ بِأَنَّهَا آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩


আবু মামার (র) , আনাস ইবন মালিক (বা) হতে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিন দিন
বের হলেন না ৷ এদিকে সালাতের ইমামাত বলা হলে আবু বকর (বা) (যথারীতি) ড্ডাবভী
হয়ে গেলেন ৷ ওদিকে নবী করীম (না) বললেন, পদা তুলে দাও ৷ পর্দা তুলে দিলে তীর
ঘুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ তার চেহারা যখন উদ্ভাসিত হল তখন আমাদের মনে হল যে,
আমরা নবী কবীম (না)-এর ঢেহারার চাইতে অধিকতর মােহনীয় কোন দৃশ্য আমরা কোন
দিন দেখি নি ৷” নবী কবীম (না) তখন তার হাত দিয়ে আবু বকরকে অগ্নবর্তী থাকার
ইংগিত করলেন ৷ তিনি পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন ৷

তারপর ওফাত পর্বত আর মসজিদে আগমন করতে সমর্থ হলেন না ৷” মৃসলিম (র)
ভিন্ন সনদে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুতরাং এ হাদীসটি পুর্বোল্লির্থিত দাবীর স্পষ্ট
প্রমাণ যে, নবী করীম (সা) সোমবারের ফজর সালাত জনতার সাথে আদায় করেন নি এবং
তিনি তাদের কাছে থেকে (পেয়ে বারের মত) চলে যাওয়ার পর তিন দিন যাবত তাদের
কাছে আর আলেননি ৷ সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, শেব যে সালাত তিনি র্তাদের সাথে
আদায় করেছিলেন তা হবে যুহর সালড়াত ৷ যেমন, আইশা (না)-এর পুর্বোল্লিখিত হাদীসে
স্পষ্ট বিবৃত হয়েছে এবং তা হবে বৃহস্পতিবারের ঘটনা ৷ শনিবারেরও নয় £রাববারেরও
নয় যা নাকি মুসা ইবন উকবার মাগাযীর দুর্বল সুত্রে বড়ায়হড়াকী (র) উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ
ছাড়াও আমাদের অনৃকুলে রয়েছে আমাদের পুর্বোল্লিখিত বৃহস্পতিবার যুহর সালাতের পরে
প্রদত্ত নবী করীম (না)-এর ভাষণ এবং তিন দিন জামাআত হতে তীর বিচ্ছিন্ন থাকার
বিবরণ ৷ দিন তিনটি হল শুক্র, শনি ও রবিবার, পুর্ণ তিন দিন ৷ যুহ্বী (র) আবু বকর: ইবন
আবু সড়াবরড়া (রা) এর ররাতে বলেছেন, “আবু বকর (রা) র্তাদের নিয়ে সতের ওয়াক্ত
সালাত আদায় করেছিলেন ৷ অন্যান্যরা বলেছেন, বিশ ওয়াক্ত সালাত ৷” আল্লাহই সমধিক
অবগত ৷ তারপর সোমবারের প্রত্যুষে তাদের দিকে শেষবারের মত তাকিয়ে তাদের নিকট
থেকে বিদায় (নন ৷ তীর সে মােহনীয় দৃষ্টিপাতে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার দরুন তাদের
সালাতে বিঘ্র সৃষ্টির উপক্রম হয়েছিল ৷ এ দর্শনই ছিল প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়ড়াসাল্লমোঃক সাহাবী জনতার শেষ দর্শন এবং র্তাদের অবস্থা থেকে এ অভিব্যতিঃ৷ প্রকাশ
ঘটছিল ৷ (কবির ভাষায়)-

“যুহুর্তের বিরহে মরমে পশিল বিচ্ছেদের অসহ জ্বালড়া , হাশর অবধি সে বিচ্ছেদ জ্বালা সইব
কেমনে বল ৷”

বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, হাফিজ বায়হাফী (র)এর ন্যায় ভীক্ষ্ণবী হাদীস বিশারদ এ
হাদীসটি উল্লিখিত দুই সুত্রেই বর্ণনা করেছেন এবং বৈপরীতা নিরসনে তিনি যা বলেছেন তার
সড়ার কথা হল সম্ভবত নবী করীম (সা) প্রথম রাকড়াআতের সময় পর্দায় আড়ালে ছিলেন; পরে
দ্বিতীয় রাকআতের সময় বেরিয়ে এসে আবু বকর (রড়া)-এর পিছনে সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ যেমন উরওয়৷ (র)-ও মুসা ইবন উক্বা (র) বলেছেন এবং বিষয়টি আনাস ইবন

৫০ ৷ড়া



وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ وَيَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ بُرْدٍ مُخَالِفًا بَيْنَ طَرَفَيْهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ قَالَ: " ادْعُ لِي أَسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ " فَجَاءَ فَأَسْنَدَ ظَهْرَهُ إِلَى نَحْرِهِ، فَكَانَتْ آخِرَ صَلَاةٍ صَلَّاهَا» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي هَذَا دَلَالَةٌ أَنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ كَانَتْ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمَ الْوَفَاةِ ; لِأَنَّهَا آخِرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا لِمَا ثَبَتَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ ضُحَى يَوْمِ الِاثْنَيْنِ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ الْبَيْهَقِيُّ أَخَذَهُ مُسَلِّمًا مِنْ " مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ " فَإِنَّهُ كَذَلِكَ ذَكَرَ. وَكَذَا رَوَى أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَذَلِكَ ضَعِيفٌ، بَلْ هَذِهِ آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَ الْقَوْمِ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْيِيدُهُ فِي الرِّوَايَةِ الْأُخْرَى، وَالْحَدِيثُ وَاحِدٌ فَيُحْمَلُ مُطْلَقُهُ عَلَى مُقَيَّدِهِ، ثُمَّ لَا يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمِ الْوَفَاةِ، لِأَنَّ تِلْكَ لَمْ يُصَلِّهَا مَعَ الْجَمَاعَةِ، بَلْ فِي بَيْتِهِ لِمَا بِهِ مِنَ الضَّعْفِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَكَانَ تَبِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَدَمَهُ وَصَحِبَهُ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪
وَجَعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلَاةِ فَكَشَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتْرَ الْحُجْرَةِ يَنْظُرُ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ، تَبَسَّمَ يَضْحَكُ، فَهَمَمْنَا أَنْ نَفْتَتِنَ مِنَ الْفَرَحِ بِرُؤْيَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ، وَظَنَّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَارِجٌ إِلَى الصَّلَاةِ، فَأَشَارَ إِلَيْنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ، وَأَرْخَى السِّتْرَ، فَتُوُفِّيَ مِنْ يَوْمِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَصَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ وَمَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، ثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَمْ يَخْرُجِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا، فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ، فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ: " عَلَيْكُمْ بِالْحِجَابِ " فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ وَجْهُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وَضَحَ لَنَا، فَأَوْمَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ، وَأَرْخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِجَابَ، فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ. فَهَذَا أَوْضَحُ دَلِيلٍ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يُصَلِّ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّاسِ، وَأَنَّهُ كَانَ قَدِ انْقَطَعَ عَنْهُمْ ; لَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ ثَلَاثًا.
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫


মালিক (রা) এর কাছে অজ্ঞাত ৷ কিত্ৰা তিনি হাদীসের অংশবিশেষ উল্লেখ করেছেন এবং তার ,
শেষ অংশের উল্লেখ থেকে বিরত থেকেছেন ৷ (আমার মতে ) বায়হাকী (র)-এর এ সমন্বয়
প্রয়াস বাস্তবতা হতে যথেষ্ট দুরের ৷ কেননা, আনাস (বা) পরিস্কার বলেছেন যে, “ইনতিকাল
পর্যন্ত তিনি আর তাতে (অর্থাৎ আমাআতে হাবিব হতে) সমর্থ হন নি ৷” অন্য এক বিওয়ায়াতে

তিনি বলেছেন, “এটাই ছিল তার শেষ দর্শন ৷ আর এ ধরনের ক্ষেত্রে সাহাবীর উক্তি তাবিঈ
উক্তির তুলনায় অগ্রপণ্য ৷ আল্লাহ্ব সমধিক অবগত ৷

এ আলোচনায় আমাদের লক্ষ্য হল ইসলামের সর্ব প্রধান আমলী রুক্ন ও প্রধান কর্মসুচী
সালাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা) আবু বকর সিদ্দীক (না)-কেই সকল সাহাবীর ইমাম
রুপে অগবর্তী করে দিয়েছিলেন ৷ শায়খ আবুল হাসান আশআবী (র) বলেছেন, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ্
(সা) কর্তৃক তাকে ইমাম নিযুক্ত করা দীন-ইসলামের একটি সর্বজন স্বীকৃত ব্যাপার ৷” তিনি
আরো বলেছেন, এবং তাকে অগ্নবর্তী করে দেয়া এ কথারও প্রমাণ বহন করে যে, তিনি
সাহারা-ই কিরামের মাঝে সৰ্বাধিক প্রজ্ঞে ও শ্রেষ্ঠ কুরআনবিদ ছিলেন ৷ কেননা, সকল
আলিমের কাছে সর্বসম্মত বিশুদ্ধ বলে স্বীকৃত হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেস্ফো
ষ্এ ৷ফুওএে ()ৰুব্ল


“কওমের ইমামত করবে আল্লাহর কিতাবের সম্পর্কে সৰ্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ কুরআনের
ইলুমে র্তারা সম পযায়ের হলে র্তাদেব মাঝে শ্রেষ্ঠ হাদীসবিশারদ; সুন্নাহ্র ইলুমে জরা সম
পর্যায়ের হলে তার তাদের মাঝে বয়োজ্যেষ্ঠ এবং বয়সে সকলে সমান হলে তাদের মাঝে
ইসলাম গ্রহণ প্রবীণ ও অগ্রবর্তী ব্যক্তি ৷ (আমার মতে) আশআরী (র)-এর এ অভিমতটি
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার উপযুক্ত ৷ এ ছাড়া এখানে লক্ষণীয় যে, উল্লিখিত সব কটি বিশেমণই
সমবেত হয়েছে মহান সিদ্দীকের মাঝে (আল্লাহ তার প্রতি রাষী থাকুন এবং র্তাকে তুষ্ট
করুন) ৷

প্রসংগত বিভিন্ন সহীহ্ রিওয়ড়ায়াত সুত্রে প্রমাণিত কোন কোন সলােতে আবু বকর (রা)-এর
পিছনে নবী করীম (না)-এর সলোত আদায় এবং অন্যান্য বিশুদ্ধ বিওয়ড়াতের বর্ণনামতে নবী
করীম (না)-এর অনুগামী যুক্তাদী হয়ে সালাত আদায়, এ দৃয়ের মাঝে মুলত কোন বিরোধ
নেই ৷ কেননা, এ দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময় ও ভিন্ন ভিন্ন সলােতের ঘটনা ৷ যেমন ইমাম শাফিঈ (র)
প্রমুখ হাদীস বিশারদ ও বিদ্বানবর্গ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷

প্রন্সংণিক আলোনাে : নবী কবীম (না)-এর উপবিষ্ট হয়ে সালাত আদায় এবং আবু বকর
(রা)-এর র্দাড়ানাে অবস্থায় নবী কয়ীম (না)-এর ইক্তিদা এবং অন্যান্য মুসল্লীপণেরও দাড়িয়ে
আবু বকর (রা)-এর ইক্তিদা (যা আলোচ্য হাদীসের উপজীব্য) ৷ এ ঘটনার সুত্রে ইমাম
মালিক, শাফিঈ ও অন্যান্য বিশিষ্ট আলিমগণ বিশেষত ইমাম বুখারী (র) এ বিষয়ের পুর্ববর্তী
বিধান রহিত হওয়ার অভিমত রক্তে করেছেন এবং নবী করীম (সা) ওফাত-পুর্ব অসুস্থতাকালীন
এ আমলকে র্তাদের এ অভিমতের দলীলরুপে উপস্থাপন করেছেন ৷ পুর্ববর্তী বিধান সাব্যস্ত
হয়েছে বুখারী যুসলিমের সমন্বিত রিওয়ড়ায়াত সুত্রে ৷ বর্ণনা মতে নবী কবীম (সা) একবার


قُلْنَا فَعَلَى هَذَا يَكُونُ آخِرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَهُمُ الظَّهْرَ، كَمَا جَاءَ مُصَرَّحًا بِهِ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ الْمُتَقَدِّمِ، وَيَكُونُ ذَلِكَ يَوْمَ الْخَمِيسِ لَا يَوْمَ السَّبْتِ، وَلَا يَوْمَ الْأَحَدِ كَمَا حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْ " مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ "، وَهُوَ ضَعِيفٌ ; لِمَا قَدَّمْنَا مِنْ خُطْبَتِهِ بَعْدَهَا، وَلِأَنَّهُ انْقَطَعَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةَ، وَالسَّبْتِ، وَالْأَحَدِ، وَهَذِهِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ كَوَامِلُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ صَلَّى بِهِمْ سَبْعَ عَشْرَةَ صَلَاةً. وَقَالَ غَيْرُهُ: عِشْرِينَ صَلَاةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ بَدَا لَهُمْ وَجْهُهُ الْكَرِيمُ صَبِيحَةَ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَوَدَّعَهُمْ بِنَظْرَةٍ كَادُوا يَفْتَتِنُونَ بِهَا، ثُمَّ كَانَ ذَلِكَ آخِرَ عَهْدِ جُمْهُورِهِمْ بِهِ، وَلِسَانُ حَالِهِمْ يَقُولُ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ: وَكُنْتُ أَرَى كَالْمَوْتِ مِنْ بَيْنِ سَاعَةٍ ... فَكَيْفَ بِبَيْنٍ كَانَ مَوْعِدَهُ الْحَشْرُ وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ أَوْرَدَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ هَاتَيْنِ الطَّرِيقَيْنِ، ثُمَّ قَالَ مَا حَاصِلُهُ: فَلَعَلَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، احْتَجَبَ عَنْهُمْ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، ثُمَّ خَرَجَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، فَصَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ، كَمَا قَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَخَفِيَ ذَلِكَ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَوْ أَنَّهُ ذَكَرَ بَعْضَ الْخَبَرِ وَسَكَتَ عَنْ آخِرِهِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ أَيْضًا بَعِيدٌ جِدًّا ; لِأَنَّ أَنَسًا قَالَ: فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ. وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ. وَقَوْلُ الصَّحَابِيِّ مُقَدَّمٌ عَلَى قَوْلِ التَّابِعِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ إِمَامًا لِلصَّحَابَةِ كُلِّهِمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬
الصَّلَاةِ الَّتِي هِيَ أَكْبَرُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ الْعَمَلِيَّةِ. قَالَ الشَّيْخُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ: وَتَقْدِيمُهُ لَهُ أَمْرٌ مَعْلُومٌ بِالضَّرُورَةِ مِنْ دِينِ الْإِسْلَامِ. قَالَ: وَتَقْدِيمُهُ لَهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ أَعْلَمُ الصَّحَابَةِ وَأَقْرَؤُهُمْ ; لِمَا ثَبَتَ فِي الْخَبَرِ الْمُتَّفِقِ عَلَى صِحَّتِهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ، فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ، فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَكْبُرُهُمْ سِنًّا، فَإِنْ كَانُوا فِي السِّنِّ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا» قُلْتُ: وَهَذَا مِنْ كَلَامِ الْأَشْعَرِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، مِمَّا يَنْبَغِي أَنْ يُكْتَبَ بِمَاءِ الذَّهَبِ، ثُمَّ قَدِ اجْتَمَعَتْ هَذِهِ الصِّفَاتُ كُلُّهَا فِي الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَصَلَاةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَهُ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ، كَمَا قَدَّمْنَا بِذَلِكَ الرِّوَايَاتِ الصَّحِيحَةَ، لَا يُنَافِي مَا رُوِيَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ائْتَمَّ بِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ ; لِأَنَّ ذَلِكَ فِي صَلَاةٍ أُخْرَى، كَمَا نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَائِدَةٌ: اسْتَدَلَّ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَمِنْهُمُ الْبُخَارِيُّ، بِصَلَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَاعِدًا، وَأَبُو بَكْرٍ مُقْتَدِيًا بِهِ قَائِمًا، وَالنَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ، عَلَى نَسْخِ قَوْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي الْحَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭


উপবিষ্ট অবস্থায় র্তার কতক সাহাৰীকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন ৷ কারণ তিনি একটি
ঘোড়ার পিঠ হতে পড়ে যাওয়ার কারণে তার পাজরে আঘাত পেয়েছিলেন ৷ সাহাবীগণ তার
পিছনে (দাড়িয়ে) সালাত আদায় করতে শুরু করলে, তিনি তাদের বলে পড়ার ইৎগিত
করলেন ৷ সালাত সমাপনাতে তিনি বললেন-
ণ্শ্গ্র
এে৷ (;)াদ্বু,) প্রু,াপ্রু
“এণ্ডাবেই তো যার হাতে আমার জীবন তার কন্যা তোমরা করে থাক পারসিক ও
রোমানদের ন্যায় আচরণ ৷ ওরা ওদের প্রধানদের সামনে দাড়িয়ে থাকে আর নেতারা থাকে
উপবিষ্ট (না, এমন করো না)৷ ৷তিনি আরো বললেন ইএড়াম গ্রহণের উদ্দেশ্যই হল, তার
অনৃণমন করা ৷ তাই ইমাম তাক্বীর বললে তোমরা তহ্বকবীর বলবে ৷ তিনি রুকু করলে
তোমরা রুকু করবে, তিনি রুকু হতে মাথা তৃললে তােমরাও মাথা তুলবে; তিনি সিজদা
করলে তােমরাও সিজদায় যাবে এবং ইমাম বসে বসে সালাত আদায় করলে তোমরাও
সকলেই বসে বসে সালাত আদায় করবে ৷ বিদ্বান ও ঘুজতাহিদ আলিমগণ বলেছেন,
পরবর্তীতে ওফা৩ তপুর্ব অসুস্থতাকালে নবী করীম (সা) বসে বলে তাদের ইমড়ামত করেছেন এবং
তারা র্দাড়৷ ৷নাে ছিলেন ৷ সুতরাং পুর্ববর্তী বিধান রহিত হওয়া প্রমাণিত হল ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷
তবে এ অভিমতের প্রতিকুল অভিমত পােযণকারীগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে এর বিভিন্ন জবাব
উপস্থাপন করেছেন ৷ (কিতাবুল আহ্কাম আলকাবীর এ প্রসৎগে বিশদ আলোচনার উপযোগী
ণ্ক্ষাত্র সে সব জবাবের সারসংক্ষেণ হল (ক) কারো কারো মতে এ শেষোক্ত সালাতে সাহাবীগণ
উপবিষ্ট ছিলেন, নবী করীম (না)-এর পুর্ববর্তী নির্দো৷ অনুসরণে ৷ শুধু আবু বকর (রা) একাকী
দীড়িয়েছিলেন বিশেষ প্রয়োজনে, অর্থাৎ নবী কয়ীম (না)-এর অবস্থা ঘুসল্লীদের পােচবীভুত করার
উদ্দেশ্যে; (খ) কারো কারো মতে প্রকৃতপক্ষে এ সালাতে আবু বকর (রা)-ই ইমাম ছিলেন (যেমন
পুর্ববর্তী কোন কোন রিওয়ায়াতে স্পষ্ট বিবরণ রয়েছে) ৷ তবে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি আবু বকর
(রা)-এর পরম আদর ও গ্রিষ্টিাচার রোধের কারনে তিনি অগ্রবর্তী না হয়ে বরং বাহ্যত তীর মুক্তাদী
ও অনৃগামী রুপে আচরণ করছিলেন ৷ তা হলে এখন বলা যায়, নবী করীম (সা) ইমামের জন্য
ইমাম ছিলেন ৷ সাধারণ ঘুসল্লীদের ইমাম ছিলেন না ৷ সাধারণ ঘুসল্লীরা যেহেতু আবু বকর (রা)-
এর পিছনে মুক্তাদী ছিলেন এবং র্তীদের ইমাম (আবু বকর) যেহেতু দাড়িয়ে ছিলেন, তইি
ঘুসল্লীগণ ও র্দ৷ ড়িয়ে স ৷লাত আদায় করেছেন ৷ অপরদিকেড়া র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুকরণে সিদ্দীক
(রা)ন নাবস৷ র কারণ হল৩ তিনিই ছিলেন মুলত কওমের ইমাম এবং তদুপরি তিনি কওমের কাছে
নবী করীম ( সা) এর কর্ম ধারা, আচার-আচরণ, উঠা-বসা ইত্যাদি পৌছে দেয়ার দায়িতৃ পালন
করছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমাধিক অবগত; (গ) কেউ কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে ইমাম যখন
দাড়িয়ে সালাত শুরু করেন এবং কোন কারণবশত সালাতের মাঝে বসে পহ শ্ন্ সে ;আঃ ন্ভ্রব্
পিছনে সালাত আদায় করা যেমন উল্লিখিত ঘটনা ঘটেজ্জি এবং শুরু হতে ঝস বমুন্ সালাত
আদায়কারী ইমামের পিছনে সালাত অদ্দোয় বলা, এ দৃয়ের স্চ্ক বিবরন পার্থক্য রয়েছে ক্ষ্ মোঃ


الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ «حِينَ صَلَّى بِبَعْضِ أَصْحَابِهِ قَاعِدًا، وَقَدْ وَقَعَ عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ فَصَلَّوْا وَرَاءَهُ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: " كَذَلِكَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ تَفْعَلُونَ كَفِعْلِ فَارِسَ وَالرُّومِ ; يَقُومُونَ عَلَى عُظَمَائِهِمْ وَهُمْ جُلُوسٌ. وَقَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا، وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ» قَالُوا: ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَمَّهُمْ قَاعِدًا، وَهُمْ قِيَامٌ فِي مَرَضِ الْمَوْتِ، فَدَلَّ عَلَى نَسْخِ مَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَنَوَّعَتْ مَسَالِكُ النَّاسِ فِي الْجَوَابِ عَنْ هَذَا الِاسْتِدْلَالِ عَلَى وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، مَوْضِعُ ذِكْرِهَا كِتَابُ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ أَنَّ مِنَ النَّاسِ مَنْ زَعَمَ أَنَّ الصَّحَابَةَ جَلَسُوا لِأَمْرِهِ الْمُتَقَدِّمِ، وَإِنَّمَا اسْتَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ قَائِمًا لِأَجْلِ التَّبْلِيغِ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: بَلْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ الْإِمَامُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ كَمَا صَرَّحَ بِهِ بَعْضُ الرُّوَاةِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لِشِدَّةِ أَدَبِهِ مَعَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُبَادِرُهُ بَلْ يَقْتَدِي بِهِ، فَكَأَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَارَ إِمَامَ الْإِمَامِ، فَلِهَذَا لَمْ يَجْلِسُوا لِاقْتِدَائِهِمْ بِأَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ قَائِمٌ وَلَمْ يَجْلِسِ الصِّدِّيقُ لِأَجْلِ أَنَّهُ إِمَامٌ، وَلِأَنَّهُ يُبَلِّغُهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَرَكَاتِ وَالسَّكَنَاتِ وَالِانْتِقَالَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ فَرْقٌ بَيْنَ أَنْ يَبْتَدِئَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮
الصَّلَاةَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي حَالِ الْقِيَامِ فَيَسْتَمِرَّ فِيهَا قَائِمًا وَإِنْ طَرَأَ جُلُوسُ الْإِمَامِ فِي أَثْنَائِهَا كَمَا فِي هَذِهِ الْحَالِ، وَبَيْنَ أَنْ يَبْتَدِئَ الصَّلَاةَ خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ فَيَجِبُ الْجُلُوسُ لِلْحَدِيثِ الْمُتَقَدِّمِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: هَذَا الصَّنِيعُ وَالْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ الْقِيَامِ وَالْجُلُوسِ وَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا سَائِغٌ جَائِزٌ ; الْجُلُوسُ لِمَا تَقَدَّمَ وَالْقِيَامُ لِلْفِعْلِ الْمُتَأَخِّرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯


ক্ষেত্রে মুকতড়াদিগণ দাড়িয়ে থাকবেন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বসে পড়া ওয়াজিব ও অনিবার্য হবে; (ঘ)
তবে কেউ কেউ উভয় কুল রক্ষা করে সমন্বয় বিধান করেছেন ৷

তড়ারা বলেছেন, ইমাম বসে বসে সালাত আদায় করার সময় যুক্তড়াদীর জন্য দীড়ানাে

ত্বা বসা উভয়টি জাইয, প্ৰথমােক্ত ৰিধানের কারণে উপবিষ্ট ইমামের পিছনে উপবিষ্ট হয়ে
এবং শেষোক্ত ঘটনার প্রমানে উপৰিষ্ট ইমামের পিছনে দাড়িয়ে সালাত আদায় করা, উভয়
পদ্ধতি বৈধ ও শরীঅড়াত সম্মত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ভ্র

নবী সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়াসাল্লামের জীবন সায়াহ্ন ও ওফাত

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআবিয়া (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে, তিনি
বলেন, আমি নবী করীম (না)-এর কাছে গেলাম, তখন তিনি ভীব্রে জ্বরে ভুগছিলেন ; আমি তার
গায়ে হাত বুলালাম এবং বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা আপনি তো প্রচন্ড জ্বরে ভুগছেন ! তিনি
বললেন, ইশ্, তাই, আমি তোমাদের মত দৃ’জনের জ্বরের প্রচণ্ডতা ভোগ করে থাকি ৷ ” আমি
বললাম তাতে কি আপনার জন্য দ্বিগুণ ছাওয়াব ? তিনি বললেন-
ণ্ত্রা ট্রু১খুব্ ংন্ প্লু ঞ গ্রঠু )শ্১ ক্ট্রএেট্র মোঃ ণ্ৰুএে গ্রছু১ )খুষ্ শুণ্ড্র ¢ : ১প্লু৷ ম্নেণ্ণ্ডড্রুৰু এেশ্রা ব্লু ণ্স্ট্

য়ুৰুদ্বুঞা ওফো৷ ৬১ও

“হী, যার হাতে আমার জীবন তার শপথ! পৃথিবীর বুকে কোনও মুসলমান কোন রোগ
ব্যাধি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয় না, যার দ্বারা আল্লাহ তার গোনড়াহগুলি ঝরিয়ে না দেন ৷ যেমনটি
গাছ তার পাতা ঝরিয়ে দেয় ৷ বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি সুলায়মান আলু আমড়াল ইবন
মিহ্রান (র) হতে একাধিক সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷ হাফিজ আবু ইয়ালা আল-মাওসিলী (র)
তার মুসনাদে বলেছেন, ইসহাক ইবন আবু ইসরাঈল (জনৈক ব্যক্তি সুত্রে) আবু সাঈদ খুদরী
(বা) হতে, তিনি বলেন, তিনি নিজের হাত নবী করীম (না)-এর পায়ে রাখার পরে বললেন,
আল্লাহর কসম! আপনার জ্বরের প্রচণ্ডতায় আমি তো আপনার গায়ে হাত রাখতে পারছি না ৷ ”
তখন নবী করীম (না) বললেন-
শ্রো

ঠোএ ত্-মিঃন্নী
ংট্ট)ত্রৰু-’ :এ১এশুন্থ ণ্র্চু প্হ্লা-ঠোগু :এ১এশু ঠোএএে

“আমরা নবীগণের জামাআত ৰিপদড়াপদ ও পরীক্ষা আমাদের জন্য দ্বিগুন করা হয়, আবার
ছড়াওয়াবও আমাদের জন্য দ্বিগুণ হয় ৷ কোন নবী উকুন (দ্বার পোকা) ইত্যাদি দিয়ে বিপদগ্রস্ত
হতেন এমন কি তা তার জীবন নাশ করে দিত ৷ কোন নবী তীব্র শীতে বস্ত্রহীনতায় বিপদগ্রস্ত
হয়ে সাবাজুব্বা জড়িয়ে নিতে বাধ্য হতেন ৷ তবুও তারা নিশ্চিতই বিপদ ও পরীক্ষায় আনন্দিত
হতেন যেমন আনন্দিত হতেন সচ্ছলতায় ৷ এ সনদে জনৈক অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছেন,
যার আদৌ কোন পরিচয় পাওয়া যায় নি ৷ আল্লাহ সমাধিক অবগত ৷

বুখারী (র) সুফিয়ান ছাওরী ও শুরা ইবনুল হাজ্জাজ (র) হতে এবং মুসলিম (র) এ দুজন
সহ জারীর (র) হতে (তিনজনই আমড়াশ হতে) (মাসরুক সুত্রে) অইিশা (বা) হতে রিওয়ায়াত

৫ : ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওেড়াড়া

[فَصْلٌ فِي كَيْفِيَّةِ احْتِضَارِهِ وَوَفَاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُوعَكُ، فَمَسَسْتُهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا! قَالَ: «أَجَلْ، إِنِّي أُوعَكُ كَمَا يُوعَكُ الرَّجُلَانِ مِنْكُمْ» قُلْتُ: إِنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا عَلَى الْأَرْضِ مُسْلِمٌ يُصِيبُهُ أَذًى مِنْ مَرَضٍ، فَمَا سِوَاهُ إِلَّا حَطَّ اللَّهُ عَنْهُ بِهِ خَطَايَاهُ، كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا» وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪২০০


করেছেন, আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেয়ে কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত হতে কাউকে
আমি দেখি নি ৷” সহীহ্ বুখারীতে ইয়াযীদ ইবনৃল জাদ (র) আইশা (রা) সনদের হাদীসে
রয়েছে, আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন আমার চিবুক ও কষ্ঠার
মাঝে, সুতরাং (তার মৃত্যু যাতনা প্রত্যক্ষ করার পর) নবী করীম (সা)-এর পরে আর কারো
মৃত্যু-যাতনাকে আমি অপসন্দনীয়তার দৃষ্টিতে দেখব না ৷ সহীহ্ বুখারীর অন্য একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন-

প্)ৰুাএ শুএ পৰু১১ং ১১ট্ট মোঃ এে;া১ পে ”$ :াএ

“কঠিনতম বিপদ ও পরীক্ষার সম্মুখীন হন নবীগণ, তারপর পুণ্যবস্ফোণ, ক্রমাম্বয় আদর্শবড়ান
ভাল মানুষ, এ ক্রমধারায় (পরীক্ষা চলে) মানুষ তার দীনদারীর পরিমাণে পরীক্ষার সম্মুখীন ও
বিপদগ্রত হয় ৷ ধর্মপরায়ণতায় কেউ কেউ মযবুত হলে তার পরীক্ষাও কঠিন করা হয় ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যায়দ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে আমি এবং আমার সাথে অনেক লোক মদীনায় উচু
অঞ্চল হতে (মুল) মদীনায় এসে অবতরণ করলাম এবং রড়াসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে উপস্থিত
হলাম ৷ তখন তার জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছে বিধায় তিনি কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না ৷
সুতরাং তিনি নিজের দৃহাত আসমানের দিকে তুলে পুনরায় তা নিজের মুখমণ্ডলের দিকে নামিয়ে
আনছিলেন যাতে আমি বুঝতে পারি যে, তিনি আমার জন্য দুআ করছেন ৷ তিরমিষী (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু কুরায়ব সুত্রে এবং মন্তব্য করেছেন, এটি হাসান গারীব ৷
ইমাম মালিক (র) তীর মুআত্তা গ্রন্থে বলেছেন, ইসমাঈল ইবন আবু হার্কীম (র) উমর ইবন
আবদুল আযীয (র)কে বলতে গুনেছেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বশ্যেষ যে সব কথা বলেছিলেন
যে সবের মাঝে ছিল তিনি বললেন,

ঞণ্ড্র

“আল্লাহ ইয়াহুদী ও নাসারা ৷দিগকে ধ্বং স করুন! ওরা ওদের নবীগণের সমাধিসমুহকে
সিজদা-স্থলে পরিণত করেছে ৷ আরব ভুমিতে কে ৷ন ৷অবস্থায়ই দুটি ধর্মের অস্তিতৃ থাকবে না ৷
ইমাম মালিক (র) আমীরুল মুমিনীন উমর ইবন আবদুল সাযীয (র) হতে এভাবেই মুরসাল
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অবশ্য বুখারী ও মুসলিম (র) যুহ্রী (র)-এর হাদীস বরাতে উবায়দুল্লাহ্
ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন উতবার মাধ্যমে আইশা ও ইবন আব্বাস (রা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন,
তারা দুজন বলেন ৷ “অসুস্থতা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে পেয়ে বসলে তিনি তার একটি চাদর টেনে
টোন নিজের মুখের উপরে রাখতে লাপলেন এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে আবার তা চেহারা
থেকে হটিয়ে দিতে লাপলেন ৷ এরকম (অন্থিরতার) অবস্থায় তিনি বললেন,

ম্র৷ ত্রএে

“ইয়াহুদী-বৃস্টানদ্যে! উপর আল্লাহর লানত ওরা ওদের নৰীগণের সমাধিসমুহকে সিজদার
স্থানে পরিণত করেছে ৷ তিনি ওদের কর্মধারার ব্যাপারে (মুসলমানদের) সর্তক করছিলেন ৷

€মাো


سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: وَضَعْتُ يَدِي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أُطِيقُ أَنْ أَضَعَ يَدِي عَلَيْكَ مِنْ شِدَّةِ حُمَّاكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّا مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ يُضَاعَفُ لَنَا الْبَلَاءُ كَمَا يُضَاعَفُ لَنَا الْأَجْرُ، إِنْ كَانَ النَّبِيُّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ لَيُبْتَلَى بِالْقُمَّلِ حَتَّى يَقْتُلَهُ، وَإِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيُبْتَلَى بِالْعُرْيِ حَتَّى يَأْخُذَ الْعَبَاءَةَ، فَيُجَوِّبُهَا، وَإِنْ كَانُوا لَيَفْرَحُونِ بِالْبَلَاءِ كَمَا تَفْرَحُونَ بِالرَّخَاءِ ".» فِيهِ رَجُلٌ مُبْهَمٌ، لَا يُعْرَفُ بِالْكُلِّيَّةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، زَادَ مُسْلِمٌ: وَجَرِيرٍ، ثَلَاثَتُهُمْ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ الْوَجَعَ عَلَى أَحَدِ أَشَدَّ مِنْهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي، فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ الَّذِي رَوَاهُ، فِي " صَحِيحِهِ " قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৪২০১
«أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ، فَالْأَمْثَلُ، يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ، فَإِنْ كَانَ، فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ شُدِّدَ عَلَيْهِ، فِي الْبَلَاءِ.» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ مَعِي إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَصْمَتَ، فَلَا يَتَكَلَّمُ، فَجَعَلَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ يَصُبُّهَا عَلَيَّ، أَعْرِفُ أَنَّهُ يَدْعُو لِي.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ، فِي " مُوَطَّئِهِ " عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ: كَانَ مِنْ آخِرِ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ: «قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى ; اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ، لَا يَبْقَيَنَّ دِينَانِ بِأَرْضِ الْعَرَبِ» هَكَذَا رَوَاهُ مُرْسَلًا، عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২০২


হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু রজাে আলু আদীব (র) জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের তিনদিন আগে আমি
তাকে বলতে শুনেছিষ্ মোঃ :গ্রো ৷প্রুও ৷ ”আল্লাহর প্ৰতি সুধারণা’ পোষণ করবে ৷” আমাশ
(র) জাবির (বা) সনদে মুসলিম (র) বর্ণিত কোন কোন হড়াদীসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বন্ক্কন্ান,শ্ৰুাধ্-৷ ¢- -fi :ন্এ - ষ্ ঙুগ্র ম্বা ণ্£১১ :ও রুপ্রু শ্ব “আল্লাহর প্রতি সুধারথা না নিয়ে তোমাদের
কেউ যেন মৃত্যু পথবাত্রী না হয় ৷” অন্য একটি (হাদীসে কুদসীতে) আল্লাহ তআলা ইরশাদ
করেন, ”আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণা
মুতাবিক থাকি ৷ সুতরাং সে যেন আমার প্রতি উত্তম ধারণা রাখে ৷

বায়হাকী (র) আরো বলেন, হাকিম (র) আনাস (বা) হতে, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর ওফাতের সময় উপস্থিত হলে তার ব্যাপক ও বারংবার উচ্চারিত ওসিয়াত ছিল গ্র ওহ্রা;া
ণ্ন্ধ্রদ্বুাষ্ ৷ ণ্দ্বুা “সালাত এবং তােমাদেও মালিকানাধীন (গোলাম-বীদী) ৷ এমন কি বলতে
বলতে কথাটি তার কণ্ঠে বড় বড় করতে থাকল; তীর জিহ্বা তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করতে
পারছিলেন না ৷ ” নাসাঈ (র) ও ইবন মাজা (র) হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আসৃবাত ইবন মুহাম্মাদ (র) আনন্দ ইবন মালিক (র) হতে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওকাত আসন্নকালে তীর ব্যাপক ভিত্তিক বারংবার উচ্চারিত
ওসিয়াত ছিল “সালাত এবং যা তোমাদের মালিকানা কর্তৃতুড়াধীন (গোলাম-বাদী)! এমন কি
কথাটি বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বুকের মাঝে ঘড়ঘড় করছিল এবং তার জিহবা তা প্রকাশ করতে
পারছিল না ৷ নাসাঈ ও ইবন মাজা (র) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ (র)
বলেন, বক্র ইবন ঈসা আর-রাসির্কী (র) আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি তখতি নিয়ে আসতে বললেন, যাতে তিনি এমন কিছু লিখে
দেবেন বার পরে তার উম্মত বিভ্রান্ত হবে না ৷ আলী (বা) বলেন, আমার আশংকা হলো যে,
(এখন আমি দুরে গেলে) তার শেষ নিঃশ্বাস আমি পাব না ৷ ” (তাই) আমি বললাম, ”(আপনি
বললে) আমি মুখস্ত করে বাখব এবং ৎরক্ষণ করে রাখব ৷ তিনি (সা) বললেন, , ণ্ন্গুা
ণ্গুক্ট ৰু-প্লু মোঃ মৈএ ওএেগ্লু , শুট্টক্রো-৷ ”আমি ওসিয়ত করছি সালাত, যাকাত এবং তোমাদের
মালিকানা (গোলামবীদী) বিষয়ে ৷” এ সুত্রে আহমদ (র) হাদীসটি একাকী বণ্নাি করেছেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) বলেন, উম্মু সালামা (বা) হতে, তিনি বলেন, ওফাতের সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বারবার ওসিয়ত বল্মছিলেন ”সালাত এবং তোমাদের মালিকানাধীন! এমন কি
তা তীর বুকের মাঝে আটকে যেতে লাগল এবং জিহবা তা উচ্চারণ করতে পারছিল না ৷ ” নাসাঈ
(র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন হুমড়ায়দ ইবন মাসৃআদা (র) উম্মু সালড়ামা (বা) সনদে অনুরুপ

৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, আফ্ফান (র) উম্মু সালমাে (বা) সনদের রিওয়ায়াতটি বিশুদ্ধ ৷ ইবন
মাজা এবং নাসাঈ (র) হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আহমদ (র) বলেন, ইউনুস (র) আইশা (বা) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি দেখেছি, তখন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিলেন, তার কাছে পানি
ভর্তি একটি পেয়ালা ছিল; তিনি নিজের হাত পেয়ালায় ডুবিয়ে পানি দিয়ে নিজের মুখে দিচ্ছিলেন

এবং বলছিলেন, এএেঝা ৰু;ন্গ্লুষু ;,-এণ্ণ্ , ১;-৷ ণ্-ন্ত্র-ম্রা ”ইয়া আল্লাহ ! মৃত্যু যাতনায় আমাকে


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَا: لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهُوَ كَذَلِكَ: «لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى ; اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي رَجَاءٍ الْأَدِيبُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلَاثٍ: " أَحْسِنُوا الظَّنَّ بِاللَّهِ ".» وَفِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ كَمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ طَلْحَةَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ تَعَالَى» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى «أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، فَلْيَظُنَّ بِي خَيْرًا» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، حَدَّثَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيُّ، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَتْ عَامَّةُ وَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَضَرَهُ الْمَوْتُ: «الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ يُغَرْغِرُ بِهَا فِي صَدْرِهِ، وَمَا
পৃষ্ঠা - ৪২০৩


সাহায্য করুন ৷ তিরমিষী, নাসাঈ ও ইবন মজাে (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী
(র) এটা গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) অইিশা (বা) হতে, যে নবী করীম (সা) বলেছেন,
“আমার কাছে সুখকর মনে হয় যে,
জান্নঙ্কতে আইশার হাতের (তালুর) শুভ্রতা দেখতে পেয়েছি ৷ ” এটি আহমদ (র)-এর একক
বর্ণনা সনদ অভিযােগমুক্ত ৷ এবং এটা না অইিশা (রা)-এর প্ৰতি নবী করীম (না)-এর পরম
ভালবাসার প্রমাণবহ ৷ লোকজন তাদের প্রেমাধিক্য প্রকাশে বহুবিধ তার ব্যঞ্জনার আশ্রয় নিয়ে
থাকে; কিন্তু কেউ অর্থবহ সংক্ষিপ্ত উজ্যিত এ প্রকাশ তংগীর পযজ্যি উপনীত হতে পারে নি ৷
এর কারণ হল, তাদের বক্তব্য থাকে বাস্তবতার সাথে সন্বন্ধ বর্জিত বাগড়াম্বর ৷ আর এ বাণীটি
সন্দেহাভীত বাস্তব সত্য ৷

হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) অইিশা (রা)-এর বরাতে বলেহ্নেষ্ক যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইনতিকাল করেছেন আমার ঘরে এবং তার ওফাত হয়েসাি আমার বুকে ঠেস দেয়া অবস্থায় ৷
তিনি ইতোপুর্বে অসুস্থ হলে জিবরীল (আ) একটু দৃআ পড়ে তাকে আল্লাহ্র আশ্রয়ে সমর্পণ
করতেন ৷ তইি, আমিও র্তাকে (সব অনিষ্ট হতে) আল্লাহর আশ্রয়ে সমর্পণ করতে গেলে তিনি
নিজের দৃষ্টি আকাশ পানে তুলে বললেন, ষ্ষ্০ মা ১-ণ্ডা ষ্-৭ টু ম্বা ;ন্,া,ও)ত্র ষ্ক্ট “মহান বন্ধুর
সকাশে, বন্ধুর সকাংশ ৷ আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (ঘরে) প্রবেশ করলেন, তার হাতে
ছিল একটি তাজা (থেত্ত,য়ুর) শাখা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন সে ডালটির দিকে তাকাতে থাকলে
আমার ধারণা হল যে, এটার প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করছেন ৷

আইশা (রা) বলেন, সুতরাং আমি সেটি নিয়ে চিবিয়ে নরম করে তা নবী করীম (না)-কে
দিলাম ৷ তিনি সেটি দিয়ে উত্তমরুপে র্দাত মাজ্যলন ৷ পরে তিনি সেটি আমাকে দিতে গেলে তা
তার হাত থেকে পড়ে গেল ৷ আইশা (বা) বলেন, এভাবে দুনিয়ার ণ্শষ দিনে এবং আখিরড়াতের
প্রথম দিনে আল্লাহ পাক তার লালা ও আমার লালা একত্রিত করলেন ৷ বুখারী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন সুলায়মান ইবন আবীর হাম্মাদ ইবন মায়দ (র) হতে ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, হাফিজ আবু আবদুল্লাহ (র) আইশা (রা)-এর বরাতে বলেন যে, তিনি বলতেন,
“আমার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের একটি হল এই যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমার পালা’র
দিনে, আমার ঘরে এবং আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় ইনতিকাল করেছেন এবং ওফাতের
সময় আল্লাহ্ তার লড়ালা ও আমার লালার মাঝে সম্মিলন ঘটিয়েছেন ৷ ” (এ প্রসংগে) তিনি
পুৰ্বানুরুপ মিসওয়াকের ঘটনা আরো বিশদভাবে উল্লেখ করেন ৷

তাতে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে,পাত্রে রক্ষিত পানি দিয়ে চেহারা ঘুছতে মুছতে তিনি
বলছিলেন-ৰু ঠো)ৰুম্ ষ্ঝো ণ্ াট্ট ঞা মা fl“)! “লা-ইলাহড়া ইল্পাল্লাহ ! এক আল্লাহ ব্যতীত আর
কোন ইলাহ নেই! নিশ্চয় মৃত্যুর অনেক যাতনা রয়েছে ৷ তারপর ৰামহাতের আৎগুল উচিয়ে
বলতে লাগলেন, “মহান বন্ধুর সকাশে, মহান বন্ধুর সকাশে ৷ এ ভাবে তার ওফাত হয়ে গেল
এবং তার হাত পানিতে (পাত্রে) ঢলে পড়ল ৷” বুখারী (র)-ও হাদীসটি ভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷


يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَتْ عَامَّةُ وَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَضَرَهُ الْمَوْتُ: «الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُغَرْغِرُ بِهَا صَدْرُهُ، وَمَا يَكَادُ يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ طَرْخَانَ، وَهُوَ التَّيْمِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلنَّسَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَاحِبٍ لَهُ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا بَكْرُ بْنُ عِيسَى الرَّاسِبِيُّ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ آتِيَهُ بِطَبَقٍ يَكْتُبُ فِيهِ مَا لَا تَضِلُّ أُمَّتُهُ مِنْ بَعْدِهِ. قَالَ: فَخَشِيتُ أَنْ تَفُوتَنِي نَفْسُهُ. قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي أَحْفَظُ وَأَعِي. قَالَ: «أُوصِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: كَانَ عَامَّةُ وَصِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৪
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ مَوْتِهِ: «الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ، وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ يُلَجْلِجُهَا فِي صَدْرِهِ، وَمَا يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ مَسْعَدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ سَفِينَةَ حَدَّثَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَالصَّحِيحُ مَا رَوَاهُ عَفَّانُ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا يُونُسُ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَمُوتُ، وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ، فَيُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ، ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ يَقُولُ «اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى سَكَرَاتِ الْمَوْتِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: غَرِيبٌ
পৃষ্ঠা - ৪২০৫


আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেছেন, শৃবা (র) আইশা (বা) হতে, তিনি বলেন, “আমাদের
মধ্যে এরুপ আলোচনা হতো যে, কোন নবীর ইনতিকাল হয় না যতক্ষণ না তাকে দুনিয়া ও
অখিরাত এ দুটির একটি বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দেয়া হয় ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে যখন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর অন্তিম অসুস্থতা দেখা দিল তখন (একবার) তার গলার আওয়ায বসে
গেলে আমি র্তাকে বলতে শুনলাম

াপ্রুল্গু এ্যা,৷ : প্রু মোঃ, ; ৷ ১,ৰু £ট্ট , ম্পো, ঞা৷ গ্লু ন্ ণ্,ৰু শুণ্; ৰুা৷ ণ্ন্ও৷ ঞা৷ ৫

“ যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন অর্থাং নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং পুণ্যবানদের

ৎগে (রাখুন!) ওয়া সংপীরুপে কতই না উত্তম” (৪ : ৬৯) ৷ আইশা (রা) বলেন, তখন
আমাদের ধারণা জন্মাল যে, তিনি ইখতিয়ার লাভ করেছেন ৷ “বুখারী-ঘুসলিম (র) হাদীসটি
আহরণ করেছেন শুবা (র) থেকে ৷ যুহ্রী (র) বলেছেন, সাঈদ ইবনুল ঘুসারািব ও উরওয়া
ইবনুবৃ ষুবায়র (র) সহ একদল আলিম আমাকে অবহিত করেন যে, আইশা (রা) বলেছেন,
রাসুলুল্পাহ সুস্থ থাকাকালে বলতেন যে, স্পে ণ্ট্ট হা; ১ত্র৷ গ্লু ন্ :১দ্বুপ্ , ;গ্লুপ্লু ত্রুও- , ষ্ ;ও ষ্; ;ব্লুপ্লু ণ্৷া;া
কােন নৰীকেই ভুলে নেয়া হয় নি যতক্ষণ না র্তাকে ঞ্জান্নাতে তার অবস্থান ক্ষেত্র দেখিয়ে দিয়ে
তাকে ইখৃতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে যখন রাসুলুল্লাহ (সা) অসুখে
পড়লেন এবং তার মাথা ছিল আমার কেক্রো ৷ তখন কিছু সময়ের জন্য তিনি চেতনা হারিয়ে
ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে তিনি নিজের দৃষ্টি ঘরের ছাদে নিবদ্ধ রেখে বললেন-
ষ্ন্ধ্র; মা ;ক্ট্রন্ও)ঐ ণ্-৫-টী ইয়া আল্লাহ ! মহান বন্ধু ! আমি তখন বুঝতে পারলাম যে, এই হচ্ছে
সে হাদীসের বস্তবায়ন যা তিনি সুস্থ থাকা কালে আমাদের বলতেন যে, জ্যন্নাতের অবস্থান
ক্ষেত্র দেখিয়ে ইখতিয়ার না দেয়া পর্যন্ত বহুৰুনও ৷: ত্ত্বন্হ্ নবী(ক তুলে দেয়া হয়নি ৷ ” আইশা
(বা) বলেন, তখন আমি বললাম, ত৷ হদুল এখন আর আপনি আমাদের (সাথে অবস্থানকে)
গ্রহণ করছেন না ! আইশা (বা) আরো বলেছেন, এটাই ছিল রাসুলুল্পাহ (না)-এর উচ্চারিত
অন্তিম বাক্য৪ ষ্৮ য়া এর) মহান বন্ধু! যুহরী (র) হতে একাধিক সুত্রে বুখারীষ্মুসলিম (র)
হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ সুফিয়ন্ন ছাওৰী (র) আইশা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন , রাসুলুল্লাহ (সা) তার মাথা আমার কোলে থাকা অবস্থায় চেতনা হারিয়ে ফেলেন ৷ আমি
তার ঢেহারায় হাত বুলিয়ে দিতে লৰুগলব এবং নিরাময়ের দুআ করতে থাকলাম ৷ এমন সময়
তিনি বলে উঠলেন-
১া

“না , বরং আল্পাহ্র কাছে আমার প্রণেনিঃ৷ যিনি মহান বন্ধু বরকতময়, জিবরীল, যীকাঈল ও
ইসৃরাফীল (আ)-এর সংগে !

নাসাঈ (র) হান্নীনটি সুফিয়ান ছহ্ওরী (র) থেকে রিওয়ায়ত করেছেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন,
হাফিহ্নর্ব হর্দীস সহবু আবদুল্লাহ (র) প্রমুখ যুবায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে আইশা (রা) র্তাকে
বলেছেন যে ওফাংতর পুর্বে যখন নবী করীম (সা) আইশার বুকে হেলান দিয়েছিলেন, তখন
তিনি
-é;éfi ,—:§ fi; ইয়া আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে রহম করুন এবং আমাকে


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهُ لَيُهَوِّنُ عَلَيَّ أَنِّي رَأَيْتُ بَيَاضَ كَفِّ عَائِشَةَ، فِي الْجَنَّةِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى شِدَّةِ مَحَبَّتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لِعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقَدْ ذَكَرَ النَّاسُ مَعَانِيَ كَثِيرَةً فِي كَثْرَةِ الْمَحَبَّةِ، وَلَمْ يَبْلُغْ أَحَدُهُمْ هَذَا الْمَبْلَغَ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُمْ يُبَالِغُونَ كَلَامًا لَا حَقِيقَةَ لَهُ، وَهَذَا كَلَامٌ حَقٌّ لَا مَحَالَةَ وَلَا شَكَّ فِيهِ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي بَيْتِي، وَتُوُفِّيَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَكَانَ جِبْرِيلُ يُعَوِّذُهُ بِدُعَاءٍ إِذَا مَرِضَ، فَذَهَبْتُ أَدْعُو بِهِ، فَرَفَعَ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: «فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى» وَدَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَبِيَدِهِ جَرِيدَةٌ رَطْبَةٌ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا، فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ بِهَا حَاجَةً. قَالَتْ، فَأَخَذْتُهَا فَنَفَضْتُهَا فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ، فَاسْتَنَّ بِهَا أَحْسَنَ مَا كَانَ مُسْتَنًّا، ثُمَّ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا، فَسَقَطَتْ مِنْ يَدِهِ. قَالَتْ: فَجَمَعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الْآخِرَةِ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنِي أَبُو نَصْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سَهْلٍ
পৃষ্ঠা - ৪২০৬
الْفَقِيهُ بِبُخَارَى، ثَنَا صَالِحُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَافِظُ الْبَغْدَادِيُّ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ زُهَيْرٍ الضَّبِّيُّ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، أَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ أَبَا عَمْرٍو ذَكْوَانَ مَوْلَى عَائِشَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ: إِنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ فِي يَوْمِي، وَفِي بَيْتِي، وَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَأَنَّ اللَّهَ جَمَعَ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ عِنْدَ الْمَوْتِ. قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ أَخِي بِسِوَاكٍ مَعَهُ وَأَنَا مُسْنِدَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَدْرِي فَرَأَيْتُهُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَقَدْ عَرَفْتُ أَنَّهُ يُحِبُّ السِّوَاكَ وَيَأْلَفُهُ، فَقُلْتُ: آخُذُهُ لَكَ؟ فَأَشَارَ بِرَأْسِهِ ; أَيْ نَعَمْ. فَلَيَّنْتُهُ لَهُ، فَأَمَرَّهُ عَلَى فِيهِ. قَالَتْ: وَبَيْنَ يَدَيْهِ رِكْوَةٌ أَوْ عُلْبَةٌ فِيهَا مَاءٌ، فَجَعَلَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْمَاءِ، فَيَمْسَحُ بِهَا وَجْهَهُ، ثُمَّ يَقُولُ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، إِنَّ لِلْمَوْتِ لَسَكَرَاتٌ " ثُمَّ نَصَبَ أُصْبُعَهُ الْيُسْرَى، وَجَعَلَ يَقُولُ: " فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى " حَتَّى قُبِضَ، وَمَالَتْ يَدُهُ فِي الْمَاءِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ عُرْوَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنَّا نُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَتْ: فَلَمَّا كَانَ مَرَضُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي مَاتَ فِيهِ عَرَضَتْ
পৃষ্ঠা - ৪২০৭


রাফীকে আলার সাথে মিলিত করুন ৷” ৰুখারী-মুসলিম (র) হিশাম ইবন উরওয়া: (র)-এর
বরাতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইয়াকুব (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আইশা (রা) বলতেন, রাসুলুল্লাহ
(না) ইস্তিকাল করেছেন আমার বুকে ঠেস দেয়া অবস্থায় এবং আমার পালার দিনে এবং তাতে
আমি (হক নষ্ট করে) কারো প্রতি যুলুম করি নি ৷ তবে আমার বয়সের স্বল্পতা ও অপরিপক্কতার
দরুন রাসুলুল্লাহ (না) আমার কোলে ওফাত বরণ করলেন আর তখন আমি বালিশে তার মাথা
রেখে দিয়ে উঠে গিয়ে নারীদের মাতম-বিলাপে অংশ নিয়ে মুখমণ্ডলে করাঘাত করতে
লাগলাম ৷

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (র)আইশা (বা)
থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলতেন,

-জৌ : ৷মোঃ খা ৷১ )টু৷ এ এে শো শুরু! ১)এ এ ৰুষ্ক্তা এেম্র ণ্’৷ খো :৫হুই১ মা শু;এ এ ৮

“কোন নবীই এর ব্যতিক্রম নন যে, (প্রথমে) তার আত্মা ভুলে নেয়া হয় তারপর তার
প্রাপ্য বিনিময় (জান্নাত) তাকে দেখিয়ে দিয়ে আত্মা তার কাছে ফেরত পাঠানো হয় এবং তখন
তার কাছে ফেরত পাঠানো কিংবা তার (উর্ধজগতে) মিলিত হওয়া এ দৃয়ের মাঝে ইখৃতিয়ার
দেয়া হয় ৷ আমি তার এ বাণী মনে পেথে রেখেছিলাম ৷ আমি র্তাকে নিজের বুকের সাথে
হেলান দিয়ে রেখেছিলাম ৷ সুতরাং যখন তার ঘাড় ঢলে পড়ল তখন আমি তার দিকে তাকালাম
এবং বললাম “তাকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে ৷ তখন তিনি যা আগে বলেছিলেন আমি তার বাস্ত
বতা উপলব্ধি করলাম ৷ (এর আগে) তিনি যখন দৃষ্টি তুলে তাকিয়েছিলেন তখন আমি তাকে
দেখেছিলাম ৷ আইশা (বা) বলেন, তখন আমি বলেছিলাম ৷ এখন তা হলে, আল্লাহর কসম !
আমাদের আর গ্রহণ করবেন না ৷ তখন তিনি বলেছিলেন ৷ মহান বন্ধুর সংগে জান্নড়াতে;
আল্লাহ যাদের অনুগৃহীত করেছেন নবীগণ সিদ্দীকগণ, শহীদগণ এবং নেককারগণের সংগে;
ওরা কতইনা উত্তম বন্ধু ৷ আহমদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন;
সিহাহ্সিত্তার সংকলকগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, আফ্ফান (র)অইিশা (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-
কে ভুৰে ;নযা হল, তখন তার মাথা ছিল আমার বুকে ৷ আইশা (বা) বলেন, তার শেষ নিঃশ্বাস
বেরিয়ে এলে তার চাইতে সুরভিত কোন ঘ্রাণ আমি আর কোন দিন পইি নি ৷ এটি একটি সহীহ্
সনদ যা সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শতানুরুপ, তবে ছয় গ্রন্থের কোন গ্রন্থকারই তা উদ্ধৃত করেন নি ;
ৰায়হাকী (র) হাদীসটি জ্যি সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ
আলহাজ্জি (র)উম্মু সালামা (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যে দিন ইনতিকাল
ৰ্ল্পলেন, আমি তার বুকে হাত রাখলাম ৷ এরপর অনেক সপ্তাহ চলে গেল, আমি পানাহার করতাম
ষ্টধু (গোসল) করতাম কিন্তু আমার হাত হতে মিশৃকের প্রাণ তিরোহিত হচ্ছিল না ৷

ষ্হেমদ (র) বলেন, আফ্ফান ও বাহ্য্ (র) আবু বুরদার (র) হতে তিনি বলেন, আমি
ঘাশ্ব৷ (রা)-এর কাছে গেলাম ৷ তিনি ইয়ামানে তৈরী হয় এমন একটি লুঙ্গি এবং মুলাব্বাদা
ন্মঃ প্ক্ষিত একটি চাস্ব্ আমাদের সামনে বের করে দিয়ে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুই


لَهُ بُحَّةٌ. فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيَّيْنِ وَالصِّدِّيقَيْنِ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَظَنَنَّا أَنَّهُ كَانَ يُخَيَّرُ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ صَحِيحٌ: «إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ، ثُمَّ يُخَيَّرُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَلَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِي غُشِيَ عَلَيْهِ سَاعَةً، ثُمَّ أَفَاقَ، فَأَشْخَصَ بَصَرَهُ إِلَى سَقْفِ الْبَيْتِ، وَقَالَ «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى» فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَدِيثُ الَّذِي كَانَ حَدَّثَنَاهُ وَهُوَ صَحِيحٌ: «إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: إِذًا لَا تَخْتَارُنَا. قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَتْ تِلْكَ الْكَلِمَةُ آخَرَ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الرَّفِيقَ الْأَعْلَى ". أَخْرَجَاهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ سُفْيَانُ، هُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي حِجْرِي، فَجَعَلْتُ أَمْسَحُ وَجْهَهُ، وَأَدْعُو لَهُ بِالشِّفَاءِ، فَقَالَ: «لَا، بَلْ أَسْأَلُ اللَّهَ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى الْأَسْعَدَ مَعَ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ» رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৮


কাপড় পরিহিত অবস্থায় ওফাত প্রাপ্ত হয়েছেন ৷ নাসাঈ (র) ব্যতিরেকে জামাআতের (ছয়
গ্রন্থকারের) সকলেই এ হাদীসটি একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিযী (র) এটি
হ্াড়াড়ানসহীহ্ মন্তব্য করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, বাহ্য্ (র)ইয়াফীদ ইবন বারনুস (র) হতে, তিনি বলেন,
আমার একজন সংগীসহ আমরা অইিশা (রা)-এর কাছে গিয়ে তার কাছে প্রবেশের অনুমতি
চাইলাম ৷ তিনি আমাদের জন্য একটি বালিশ এগিয়ে দিয়ে নিজের জন্য পর্দা টেনে দিলেন,
তখন আমার সংপীটি বলল, হে উম্মুল মুমিনীন! ইরাক (এা;এা) সম্পর্কে আপনার অভিমত
কি? তিনি বললেন, ইরাক আবার কী ? তখন আমি আমার সংগীর কাধে ধোচা দিলে আইশা
(বা) বললেন, থামাে! সাথীকে ব্যথা দিচ্ছে৷ কেন? তারপর বললেন, ইরাক তো ঋতৃ স্রড়াবা
তোমরা তফুই বলবে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেছেন ৷ তারপর বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে এক চাদরে আবৃত করে নিতেন এবং আমার মাথা ধরে সােহাগ
করতেন-তখন আমার ও তার মাঝে একটি মাত্র কাপড়ের আবরণ থাকত এবং আমি তখন
ঋতৃবতী থাকতাম ৷ পরে তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখনই আমার দরযা অতিক্রম করে
যেতেন তখন কোন না কোন একটি কথা আমাকে বলে যেতেন যা দিয়ে আল্লাহ্ আমাকে
উপকৃত করতেন ৷

এভাবে একদিন তিনি চলে গেলেন কিন্তু কিছুই বললেন না ৷ আমার চলে গেলেন, কিছুই
বললেন না, এ ভাবে দুবার কিৎবা তিনবার গেলেন ! তখন আমি দাসীকে বললাম, “আমার
জন্য দরযার কাছে একটি বালিশ ৰিছিয়ে দাও : আর আমি মাথায় পট্টি বাধলাম তখন নবী
করীম (সা) আমার কাছ দিয়ে যেতে যেতে বললেন, ঞ; ৮া:;াণ্ “আইশা! তোমার কী
হয়েছে? আমি বললাম, মাথায় পীড়া বোধ করছি ৷ তিনি বললেন, উহ! আমারও তো ভীষণ
মাথা ব্যথা ! একটু পরেই তাকে একটি যেঢাি চাদরে জড়িয়ে নিয়ে আসা হল এবং আমার ঘরে
এসে তিনি অন্য সহধর্মিনীদের কাছে খবর ণাঠালেন এবং বললেন, “আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি
এবং পালা করে তোমাদের ঘরে ঘরে যাওয়ার সামর্থ হারিয়ে ফেলেছি ৷ তাই তোমরা আমাকে
অনুমতি দিলে আমি আইশার কাছে থাকর ৷ তখন থেকে আমি তার সেরা শুশ্রুষা করতড়াম
এবং ইতােপুর্বে আমি কোন রোগীর সেবা করতে অভ্যস্ত ছিলাম না ৷ এরকম অবস্থায়
একদিনের ঘটনা ৷ তার মাথা ছিল আমার র্কাধের উপর, হঠাৎ তার মাথা আমার মাথার দিকে
এগিয়ে পড়লে আমি ভাবলাম যে, আমার মাথায় (মুখে) তার কোন চাহিদা’ রয়েছে ৷ তখন
তার মুখ হতে একটি শীতল ফোটা বের হয়ে আমার বুকের ঢালুতে পড়ল ৷ তাতে আমার গা
শিহরিত হয়ে উঠল ৷ তখন আমি ধারণা করলাম যে, তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেছেন ৷ এসময়
আমি তাকে একটি কাপড় দিয়ে আবৃত করে দিলাম ৷ তখন উমর ও যুপীরা ইবন শুবা (রা)
এসে অনুমতি চাইলে তাদের দুজনকে অনুমতি দিয়ে আমি নিজের সামনে পর্দা টেনে দিলাম ৷
তখন উমর (রা) র্তাকে দেখে বললেন, “ হায় ! চেতনা হীনত৷ ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ
অচেতনতড়া কতই না গভীর ! পরে র্তীরা দুজন উঠে যেতে লাগলেন এবং দরযার কাছে
পৌছলে ঘুগীরা বললেন, হে উমর! রড়াসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ! তখন আমি বললাম
তুমি মিথ্যা বলেছ, বরং তুমি এমন একজন লোক যে ফিত্না ও বিশৃৎখলায় উসৃকানী দিতে


الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَصْغَتْ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ وَهُوَ مُسْنِدٌ إِلَى صَدْرِهَا يَقُولُ «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي، وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ» أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي وَفِي دَوْلَتِي، وَلَمْ أَظْلِمْ فِيهِ أَحَدًا، فَمِنْ سَفَهِي وَحَدَاثَةِ سِنِّي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ وَهُوَ فِي حِجْرِي، ثُمَّ وَضَعْتُ رَأْسَهُ عَلَى وِسَادَةٍ وَقُمْتُ أَلْتَدِمُ مَعَ النِّسَاءِ، وَأَضْرِبُ وَجْهِي. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا تُقْبَضُ نَفْسُهُ، ثُمَّ يَرَى الثَّوَابَ، ثُمَّ تَرُدُّ إِلَيْهِ، فَيُخَيَّرُ بَيْنَ أَنْ تُرَدَّ إِلَيْهِ وَبَيْنَ أَنْ يَلْحَقَ» فَكُنْتُ قَدْ حَفِظْتُ ذَلِكَ مِنْهُ، فَإِنِّي لَمُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ حِينَ مَالَتْ عُنُقُهُ، فَقُلْتُ: قَدْ قَضَى، فَعَرَفْتُ الَّذِي قَالَ، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৯
حِينَ ارْتَفَعَ فَنَظَرَ. قَالَتْ: قُلْتُ: إِذًا وَاللَّهِ لَا يَخْتَارُنَا، فَقَالَ: «مَعَ الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الْجَنَّةِ " مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينِ وَالصِّدِّيقِينِ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأَسُهُ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي. قَالَتْ: فَلَمَّا خَرَجَتْ نَفْسُهُ لَمْ أَجِدْ رِيحًا قَطُّ أَطْيَبَ مِنْهَا. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحَيْنِ وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَنْبَلِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَفَّانَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ ثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ أَبِي عُرْوَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: وَضَعْتُ يَدِي عَلَى صَدْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ، فَمَرَّتْ بِي جُمَعٌ آكُلُ وَأَتَوَضَّأُ، وَمَا يَذْهَبُ رِيحُ الْمِسْكِ مِنْ يَدِي. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ وَبَهْزٌ، قَالَا: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، ثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا إِزَارًا غَلِيظًا
পৃষ্ঠা - ৪২১০


তালবাস ৷ আল্লাহ মুনাফিকদের ৰিনাশ করে না দেয়া পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল ব্বাবন
না ৷ আইশা (রা) বলেন, এরপরে আবু বকর (বা) এলে আমি পর্দা তুলে দিলাম ৷ তিনি তার
দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে উঠলেন, ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলায়হি রাজিউন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তো
ইনতিকাল করেছেন ৷

তারপর তার মাথার কাছে গিয়ে নিজের মুখ নামিয়ে (তাকে) কপালে চুমু খেলেন ৷ তারপর
বললেন, ওয়া নাবিয়্যাহ হয়ে নবীজী ! তারপর মাথা তৃললেন এবং আবার নিজের মুখ নামিয়ে
তার কপালে চুমু খেলেন; তারপর বললেন, ওয়া সাফিয়্যাহ৷ হে আল্লাহ্র মনোনীত জন! পরে
মাথা তুলে আবার মুখ নামিয়ে এসে তার কপালে চুমু খেলেন এবং পরে বললেন, ওয়া
খালীলাহ্! হে আল্লাহর বন্ধু ! রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ৷ এ কথা বলে আবু বকর
মসজিদের দিকে বেরিয়ে গেলেন, সেখানে তখন উমর (রা) কথা বলছিলেন এবং লোকদের
সামনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন, “আল্লাহ মুনাফিকদের বিনাশ না করা পর্যন্ত
রাসুলুল্লাহ্র ওফাত হতে পারে না ৷” তখন আবু বকর (বা) কথা বললেন, আল্লাহর হামদ ও
ছানা পাঠ করার পরে বললেন, আল্লাহ্ পাক ইবশাদ কররুছনন্মুইএে ণ্শুএাঙু এদ্বু০ এ্যা তুমি
মরণশীল ওরাও মরণশীল (৩৯ : ৩) পুর্ণ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ৷
গ্লুপ্রুপ্রু ণ্£হুাম্বুণ্৷ হ্া; ৷ ঞ,৷ ;ৰুত্রু :১৷ ;া)া৷ এ্া,ব্ল : এ; ১ব্ল এ,গ্লু মু৷ মোঃ ৮,

(এবং মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্র; তার আগে অনেক রাসুল গত হয়েছেন ৷ সুতরাং যদি
সে মারা যায় অথবা সে হত্যার শিকার হয়, তবে তোমরা কি পিছন দিকে ফিরে যাবে ? এবং
যে পিছন দিকে ফিরে যাবে (৩ : ১৪ ৪) পুর্ণ আয়াত তিলাওরাত করলেন ৷

তারপর বললেন, সৃতরাৎয যারা আল্লাহর ইবাদাত করেছে তারা জোন র ৷থুক আল্লাহ্
চিরঞ্জীব, মৃত্যুবরণ করবেন না ৷ আর যারা মুহাম্মাদের পুজা করত তাে, মুহাম্মদ তো মারা
গেলেন ৷ ” তখন উমর (রা) বললেন ৷ এ আয়াতও কি আল্লাহ্র কিভাবে রয়েছে ৷ আমার তো
ঘোজই ছিল না যে এসব আয়াত কুরআনে রয়েছে !” পরে উমর (রা) বললেন, “এই তো
আবু বকর ইনিই মুসলমানদের (বিভক্তিতে) সম্মিলন ক্ষেত্র ৷ সুতরাং সকলে তার হাতে
বায়াআত কর, তার হাতে বায়আত কর ৷ আবু দাউদ (র) এবং শামাইল গ্রন্থে তিরমিষী (র)
মারহুম ইবন আবদুল আযীয আল সাত্তার (র) সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটির অংশবিশেষ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিজ (র) আইশা
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আবু বকর (রা) সুনৃহ (মহল্লা) এ অবস্থিত তার
বাড়ি থেকে একটি ঘোড ায় চড়ে মদীনায় এসে মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ কিন্তু সেখানে কোন
কথা না বলে আ ৷ইশা (রা) এর কাছে খেলেন এবংব ৷সুলুল্পাহ (সা)-কে দেখার উদ্দেশ্যে তার
কাছে খেলেন ৷ তাকে তখন একখানি বুটিদার চাদর দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়েছিল ৷
আবু বকর (রা) নবী করীম (সা) এর ঢেহ ৷রা উন্মুক্ত করলেন এবং ঝুকে পড়ে চুযু খেলেন ও
পরে কেদে ফেলবেন ৷ তারপর বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহা আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য
কুরবান! আল্লাহর কসম! আল্লাহ কখনোই আপনা তে দুটি মৃত্যু সমবেত করবেন না ৷ আর যে


مِمَّا صُنِعَ بِالْيَمَنِ، وَكِسَاءً مِنَ الَّتِي يَدْعُونَ الْمُلَبَّدَةَ، فَقَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ فِي هَذَيْنِ الثَّوْبَيْنِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ بَابَنُوسَ قَالَ: ذَهَبْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي إِلَى عَائِشَةَ، فَاسْتَأْذَنَّا عَلَيْهَا، فَأَلْقَتْ لَنَا وِسَادَةً، وَجَذَبَتْ إِلَيْهَا الْحِجَابَ، فَقَالَ صَاحِبِي: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، مَا تَقُولِينَ فِي الْعِرَاكِ؟ قَالَتْ: وَمَا الْعِرَاكُ؟ فَضَرَبْتُ مَنْكِبَ صَاحِبِي، فَقَالَتْ: مَهْ آذَيْتَ أَخَاكَ. ثُمَّ قَالَتْ: مَا الْعِرَاكُ! الْمَحِيضُ، قُولُوا: مَا قَالَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ الْمَحِيضُ. ثُمَّ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَشَّحُنِي وَيَنَالُ مِنْ رَأْسِي، وَبَيْنِي وَبَيْنَهُ ثَوْبٌ وَأَنَا حَائِضٌ. ثُمَّ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا مَرَّ بِبَابِي مِمَّا يُلْقِي الْكَلِمَةَ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهَا، فَمَرَّ ذَاتَ يَوْمٍ، فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا، ثُمَّ مَرَّ فَلَمْ يَقِلْ شَيْئًا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَقُلْتُ: يَا جَارِيَةُ، ضَعِي لِي وِسَادَةً عَلَى الْبَابِ، وَعَصَبْتُ رَأْسِي فَمَرَّ بِي، فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ مَا شَأْنُكِ؟» فَقُلْتُ: أَشْتَكِي رَأْسِي، فَقَالَ «أَنَا، وَارَأْسَاهْ!» فَذَهَبَ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى جِيءَ بِهِ مَحْمُولًا فِي كِسَاءٍ، فَدَخَلَ عَلَيَّ، وَبَعَثَ إِلَى النِّسَاءِ، فَقَالَ «إِنِّي قَدِ اشْتَكَيْتُ،
পৃষ্ঠা - ৪২১১
وَإِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَدُورَ بَيْنَكُنَّ، فَأْذَنَّ لِي، فَلْأَكُنْ عِنْدَ عَائِشَةَ» فَكُنْتُ أُمَرِّضُهُ، وَلَمْ أُمَرِّضْ أَحَدًا قَبْلَهُ، فَبَيْنَمَا رَأْسُهُ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى مَنْكِبِي إِذْ مَالَ رَأْسُهُ نَحْوَ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يُرِيدُ مِنْ رَأْسِي حَاجَةً، فَخَرَجَتْ مِنْ فِيهِ نُقْطَةٌ بَارِدَةٌ، فَوَقَعَتْ عَلَى ثَغْرَةِ نَحْرِي، فَاقْشَعَرَّ لَهَا جِلْدِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ غُشِيَ عَلَيْهِ، فَسَجِيَّتُهُ ثَوْبًا، فَجَاءَ عُمَرُ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَاسْتَأْذَنَا، فَأَذِنْتُ لَهُمَا وَجَذَبْتُ إِلَيَّ الْحِجَابَ، فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: وَاغَشْيَاهْ! مَا أَشَدَّ غَشْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَامَا، فَلَمَّا دَنَوَا مِنَ الْبَابِ قَالَ الْمُغِيرَةُ: يَا عُمَرُ، مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: كَذَبْتَ بَلْ أَنْتَ رَجُلٌ تَحُوسُكَ فِتْنَةٌ ; إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُفْنِيَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ. قَالَتْ: ثُمَّ جَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَرَفَعْتُ الْحِجَابَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ أَتَاهُ مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ، فَحَدَرَ فَاهُ، فَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ ثُمَّ قَالَ: وَانَبِيَّاهْ! ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ حَدَرَ فَاهُ، وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: وَاصَفِيَّاهْ! ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَحَدَرَ فَاهُ وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ، وَقَالَ: وَاخَلِيلَاهْ! مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَخَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَعُمَرُ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَيَتَكَلَّمُ وَيَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُفْنِيَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ. فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] . حَتَّى فَرَغَ مِنَ الْآيَةِ. {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] . حَتَّى فَرَغَ مِنَ الْآيَةِ، ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪২১২


মৃত্যু আপনার জন্য লিখে দেয়া হয়েছিল, তা তো তিনি আপনি বরণ করেছেন ৷” যুহ্রী (র)
বলেন, আবু সলমা (র) ইবন আব্বাস (রা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, আবু বকর (বা)
(আইশার হুজর হতে) বের হয়ে লোকদের সাথে কথা বলতে লর্গলেন ৷ তিনি বললেন, উমর
বসা কিন্তু উমর (রা) বসতে অস্বীকৃত হলেন ৷ তিনি আবার বললেন, উমর! বলে পড়! উমর
(রা) এবরও বসতে স্বীকৃর্ভ হলেন না তখন আবু বকর (র)ভ ৩ষণ পুর্ববর্তী হমদ ও ছানা
পাঠ শুরু করলে লোকেরা র্তর দিকে মনেযোগী হল তিনি বললেন, এরপর আপনাদের মাঝে
যারা মুহম্মেদের পুজা করত, (তারা জেনে রাখুক) মুহাম্মদ (সা) ইনতিকাল করেছেন আর
যারা আল্লাহর ইৰাদত করত তারা জেনে র খুক আল্লাহ চিরঞ্জীব, তার মৃত্যু নেই! আল্লাহ
তা আলা ইরশদ করেছেন-


ধ্প্লুণ্ড্র


(৩ : ১৪৪) বর্ণনাকায়ী বলেন, আল্লাহ্র কলম মনে হচ্ছিল যে, আবু বকর (বা)
আয়াতটি তিলাওয়াত করার আগে পর্যন্ত লোকেরা অবগতই ছিল না যে, আল্লাহ পাক এ
আয়াতটি নাযিল করেছিলেন লোকেরা তখন আয়৩ টি মুখে মুখে লুফে নিল এবং মজলিসে
এমন একজন লোকও ছিল না য কে তা তিলাওয়াত ৩করতে শোনা গেল না যুহবী (র) আরো
বলেছেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (র) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, উমর (রা) বলেছেন,
“আল্লাহ্র কসম ব্যাপারটি এ ছাড়া আর কিছুই নয় যে, আবু বকর যখন আয়াতিটি
তিলাওয়াত করলেন তখনই আমার উপলব্ধি হল যে, হী এটাই বাস্তব ও মহা সত ত আমি
যেন অবশ হয়ে গেলাম , আমার পা দুখনি আমাকে দাড় করিয়ে রাখতে পারছিল না এমন
কি আমি মাটিতে পড়ে গেলাম আবু বকরের তিলাওয়াত শুনে আমার বোধোদয় হল যে,
রসুলুল্লাহ (সা) সত্যই ইনতিকাল করেছেনা” বুখরী (র) হদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ইয়হ্য় ইবন বুকায়র (ব ) সুত্রে

হাফিজ বয়হার্কী (র) ইবন লহীআ (র) সুত্রেররাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত বিষয়ক
আলোচনায় উরওয়া ইবনুঘৃ ঘুবয়র (র) হতেতিনি বলেন, “উমর ইবনুল খত্তাব (বা)
দাড়িয়ে লোকদের সামনে বক্তৃতা করতে লাগলেন এবং হুমকি দিতে লপলেন এই বলে-যে
বলবে মারা গিয়েছেন’ তাকে খুন করবো এবং কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবাে তিনি
বলতে লাগলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) চেতনা হারিয়েছেন কেউ তিনি মারা গেছেন বললে তকে
খুন করা হবে, কােট ফেলা হবে ” ওদিকে আমর ইবন কয়েস ইবন যইদ ইবনুল আলম
ইবন উন্মু মাকতুম (রা) মসজিদের শেষ প্রান্তে তিলাওয়াত করছিলেন,


মসজিদে সমবেত লোকদের কন্নর ঢেউ উঠছিল কেউ কারো কথা শোনার অবকাশ ছিল
না তখন আব্বাস ইবনুল মুত্তালিব (বা) লোকদের সামনে বেরিয়ে এসে বললেন “লোক
সকল! রসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত সম্পর্কে তোমাদের কারো কাছে র্তার কোন বাণী-
অংগীকর রয়েছে কি? তবে তা আমাদের শোনাও তর বলল, না তিনি বললেন, উমর

فَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، فَقَالَ عُمَرُ: وَإِنَّهَا لَفِي كِتَابِ اللَّهِ؟ ! مَا شَعَرْتُ أَنَّهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ، وَهُوَ ذُو شَيْبَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَبَايِعُوهُ، فَبَايَعُوهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، فِي " الشَّمَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ مَرْحُومِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ بِهِ بِبَعْضِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مِلْحَانَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ، حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَيَمَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ، فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ، ثُمَّ بَكَى، ثُمَّ قَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَا يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَبَدًا، أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ خَرَجَ وَعُمَرُ
পৃষ্ঠা - ৪২১৩


“তোমার কি এ বিষয় কিছু জানা আছে? তিনিও বললেন, না ৷ তখন আব্বাস (বা) বললেন,
লোক সকল! সাক্ষী থাক ! রাসুলুল্লাহ (সা) তার ওফাত (না হওয়া) সম্পর্কে কারো কাছে কোন
বাণী-অং র্গীক৷ ৷র রেখে গিয়েছেন বলে কেউ সাক্ষ্য দিচ্ছেনা ৷ যে আল্লাহ ব্যতীত আর কোন
ইলাহ্ নেই! তার কন্যা! রাসুলুল্পাহ (সা) অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করছেন ৷ রর্ণনাকারী
বলেন, ওদিকে আবু বকর (বা) জ৷ ৷র সুনহ (মহল্পা)-র বাড়ী হতে একটি রাহনে চড়ে এসে
মসজিদের দরযায় অবতরণ করলেন ৷ তিনি বিপর্যস্ত ও দুঃখ ভ ৷রক্রান্ত হয়ে আসবেন ৷ প্রথমে
তিনি আপন কন্যা অইিশা (রা) এর ঘরে প্রবেশ অনুমতি চাইলেন ৷ আ ৷ইশা (রা) জাকে
অনুমতি দিলেন তিনি প্রবেশ করলেন ৷ ওদিকে রাসুলুল্লা হ (সা) এর ওফাত হয়ে যাওয়ায়
র্তাকে বিছানায় (শুইয়ে) রেখে মহিলারা জার পাশে সমবেত ছিলেন ৷ জারা এখন নিজেদের মুখ
ওড়না আবৃত করে আবু বকর (বা) হতে পর্দা করলেন ৷

তবে আইশা (বা) ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ তখন আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ (সা)এর চেহারা
উন্মুক্ত করে ইাটু (গড়ে রসলেন এবং তাকে চুমু খেতে ও বমদাত লাগলেন ৷ এবং বললেন ৷
“ইবনুল খাত্তাব যা বলছে তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় ৷ র্ষার হাতে আমার জীবন জার শপথ !
রাসুলুল্লাহ (না) ওফাত বরণ করেছেন ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আপনার উপরে আল্লাহর রহমত বর্ধিত
হোক ৷ জীবনে ও মরণে আপনি কতই না সুন্দর সুরভিত ৷ এরপর জাকে আচ্ছাদিত করে দিয়ে
দ্রুত মসজিদের দিকে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের ডিংগিয়ে ডিংগিয়ে মিম্বর পর্যন্ত পৌছলেন ৷
আবু বকর কে জার দিকে আগত দেখে উমর (রা) বসে পড়লেন ৷ আবু বকর (বা) মিম্বরের
পাশে দাড়িয়ে লোকদের সম্বোধন করলেন ৷ তারা বসে গিয়ে নিবব হলে আবু বকর (বা) জার
তড়াশাহ্হুদ (হামৃদ ও দুরুদ) পাঠ করলেন এবং বললেন, মহান মহীয়ান আল্লাহর নবী তোমাদের
মাঝে হারাতে থাকাকালেই স্বয়ং তার কাছে তার মৃত্যুর আগাম শোক সংবাদ ও পুরভিাষ
দিয়েছিলেন এবং তোমাদের কাছেও তোমাদের মৃত্যুসংৰাদ জানিয়ে দিয়েছেন ৷ মৃত্যুই
অনিবার্য ৷ (মৃত্যুর হাত হতে কারো রেহাই নেই) এমন কি এক মাত্র মহান মহীয়ান আল্লাহ
ব্যতীত কেউ বিদ্যম৷ ৷ন থা ৷কবে না ৷ আল্লাহ তাআ ৷ল৷ ইরশাদ করেছেন এশ্যে ১৷ ৷ মোঃ ৮১
-হেঞা)প্রী ঞ প্লে ণ্এ১ ১এ তখন উমর (রা) বললেন, এ আয়া ৷তটি কুরআন শরীফে রয়েছে ?
আল্লাহর কসম আমার তা (যেন) জা ৷নাই ছিল না যে, এ আয়াত টি আজকের আগে নাযিল করা

হয়েছে ! আল্লাহ তা আলা মুহাম্মদ (না)-কে আরো বলেছেন ৷া র্দু মৈং ণ্ন্ণ্ন্ওাস্ ঙা,াএ এা৷ আপনি
মরণশীল, তাদেরও মরতে হবে (৩৯ : ৩০) ৷

আল্লাহ তাআলা আরো ইরশ ৷ড়াদ কারন এোচ্ গ্রিও১া৷ ণ্া৷ মশুধ্ শ্বা এা৷ণ্ড্র হুষ্১ণ্ট্টন্ এও
-০ প্রুএ গ্রএ আল্লাহর সত্তু৷ ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল ৷ বিধান তারই এবং তারই নিকট
তোমরা প্ৰত্যাবতিত হবে ৷ (২৮০ : ৮৮) তিনি আরো ইরশাদ করেন-

ণ্ষ্এৰুৰ্বা১ ৷ ক্রো৯এ১ এও) “—) শুই^ ১ ঠোএ ত্রৈ-ত্তীং ষ্ঠাং ঠেৰু
“ভু-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই নশ্বর; অবিনশ্বর (করল তোমরা প্ৰতিপালকের সত্তুা, যিনি
মহিমাময়, মহানুতব (৫৫ : ২৬-২ ৭) ৷ তিনি আরো ইরশাদ করেন-

ড়ু ণ্ক্রোা


يُكَلِّمُ النَّاسَ. فَقَالَ: اجْلِسْ يَا عُمَرُ. فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ، فَقَالَ: اجْلِسْ يَا عُمَرُ، فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ، فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. قَالَ: فَوَاللَّهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ هَذِهِ الْآيَةَ، حَتَّى تَلَاهَا أَبُو بَكْرٍ، فَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ، فَمَا سُمِعَ بَشَرٌ مِنَ النَّاسِ إِلَّا يَتْلُوهَا. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَنَّ عُمَرَ قَالَ: وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ تَلَاهَا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ، فَعَقِرْتُ حَتَّى مَا تُقِلُّنِي رِجْلَايَ، وَحَتَّى هَوَيْتُ إِلَى الْأَرْضِ، وَعَرَفْتُ حِينَ سَمِعْتُهُ تَلَاهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَاتَ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ بِهِ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ لَهِيعَةَ، ثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي ذِكْرِ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ النَّاسَ وَيَتَوَعَّدُ مَنْ قَالَ: مَاتَ. بِالْقَتْلِ وَالْقَطْعِ، وَيَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَشْيَتِهِ لَوْ قَدْ قَامَ قَتَلَ وَقَطَعَ. وَعَمْرُو بْنُ قَيْسِ بْنِ زَائِدَةَ بْنِ الْأَصَمِّ بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَقْرَأُ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৪
وَالنَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ يَبْكُونَ، وَيَمُوجُونَ لَا يَسْمَعُونَ، فَخَرَجَ عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، هَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مَنْ عَهْدٍ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي وَفَاتِهِ فَلْيُحَدِّثْنَا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: هَلْ عِنْدَكَ يَا عُمَرُ مِنْ عِلْمٍ؟ قَالَ: لَا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: أَشْهَدُ أَيُّهَا النَّاسُ، أَنَّ أَحَدًا لَا يَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَهْدٍ عَهِدَهُ إِلَيْهِ فِي وَفَاتِهِ، وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَقَدْ ذَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَوْتَ. قَالَ: وَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ السُّنْحِ عَلَى دَابَّتِهِ حَتَّى نَزَلَ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، وَأَقْبَلَ مَكْرُوبًا حَزِينًا، فَاسْتَأْذَنَ فِي بَيْتِ ابْنَتِهِ عَائِشَةَ، فَأَذِنَتْ لَهُ فَدَخَلَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تُوُفِّيَ عَلَى الْفِرَاشِ وَالنِّسْوَةُ حَوْلَهُ، فَخَمَّرْنَ وُجُوهَهُنَّ، وَاسْتَتَرْنَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ عَائِشَةَ، فَكَشَفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَنَى عَلَيْهِ يُقَبِّلُهُ، وَيَبْكِي وَيَقُولُ: لَيْسَ مَا يَقُولُهُ ابْنُ الْخَطَّابِ شَيْئًا، تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَطْيَبَكَ حَيًّا وَمَيِّتًا. ثُمَّ غَشَّاهُ بِالثَّوْبِ، ثُمَّ خَرَجَ سَرِيعًا إِلَى الْمَسْجِدِ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ، حَتَّى أَتَى الْمِنْبَرَ، وَجَلَسَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَبَا بَكْرٍ مُقْبِلًا إِلَيْهِ، وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى جَانِبِ الْمِنْبَرِ، وَنَادَى النَّاسَ فَجَلَسُوا وَأَنْصَتُوا، فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ بِمَا عَلِمَهُ مِنَ التَّشَهُّدِ، وَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، نَعَى نَبِيَّهُ إِلَى نَفْسِهِ وَهُوَ حَيٌّ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَنَعَاكُمْ إِلَى أَنْفُسِكُمْ، وَهُوَ الْمَوْتُ حَتَّى لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ تَعَالَى {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. فَقَالَ عُمَرُ هَذِهِ الْآيَةُ فِي الْقُرْآنِ؟ ! وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ أُنْزِلَتْ قَبْلَ الْيَوْمِ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৫


“জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ৷ কিয়ামতে তর দিন তােমাদেরকে তোমাদের কর্মফল
পুর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে (৩৪ ১৮৫) ৷

আবু বকর (বা) আরো বললেন, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (না)-কে জীবন দিয়েছিলেন
এবং ততদিন বিদ্যমান রেখেছিলেন যতদিনে তিনি আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
আল্লাহর আদেশ প্রকাশ করেছেন ৷ আল্লাহর রিসালাত ও পয়গাম পৌছে দিয়েছেন এবং
আল্লাহর পথে জিহাদ করেছেন ৷ এরপর আল্লাহ তাকে ঐ অবস্থায় তুলে নিয়েছেন ৷ তিনি তো
তােমাদেরকে যথার্থ পথের উপর রেখে গিয়েছেন ৷ সুতরাং এখন কেউ ধ্বং স হলে তা হবে
একমাত্র প্রমাণপ্রাপ্তি ও নিরাময়’ ব্যবস্থার পরে (অর্থাৎ যে নিজের ধ্বংসের দায়িতৃ অন্যের
ঘাড়ে চাপাতে পারবে না) ৷ সুতরাংঅাল্লাহ যার প্রতিপালক তা আল্লাহ তো চিরঞ্জীব, তার মৃত্যু
নেই ৷ আ র যারা মুহাম্মদের পুজা করেছে এবৎত ড়াকে ইলাহ এর মর্যাদার অতিসিক্ত করেছে,
তার ইলাহ তো হালাক হয়ে গেল ৷ অতএব, লোক সকল ৷ আল্লাহ্কে ভয় করে চল, তোমাদের
দীনকে মযবুত আকড়ে ধর এবং তোমাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখো ৷ কেননা,
আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত, আল্লাহর কালিমা পুর্ণতাপ্রাপ্ত এবং যে আল্লাহকে সাহায্য করবে ও তার
দীনকে স্বমযদািয় অধিষ্ঠিত করবে আল্লাহ তার সাহায্যকারী ৷ আল্লাহর কিতাব আমাদের মাঝে
রয়েছে ৷ তা হচ্ছে নুর ও জ্যেন্তি শিক্ষা ও নিরাময় ৷ এবং তা দিয়ে আল্লাহ পথ দেখিয়েছেন
মুহাম্মদ (না)-কে ৷ তাতে রয়েছে আল্লাহর হালাল ও হারামের বিধান ৷ আল্লাহর কসমা
আল্লাহর সৃষ্টি জগতের যে কেউ আমাদের বিরুদ্ধে সেনা সমাবেশ ঘটালে তার আমরা তােয়াক্কা
করব না (কেননা) আল্লাহর তরবারি কােষমুক্ত; তা আমরা এখনও রেখে দেই নি৷ আমরা
আল্লাহর রাসুল (না)-এর সংগে থেকে যে ভাবে জিহাদ করেছি এখনও আমাদের প্রতিপক্ষ ও
বিরুদ্ধৰাদীদের সাথে জিহাদ অব্যাহত রাখব ৷ সুতরাং কেউ বাড়াবাড়ি করতে চাইলে তা সে
আত্মঘাভীরুপেই করবে ৷

এ সারগর্ত ও অতাবিত ভাষণের পর মুহাজিরগণ আবু বকর (রা)-এর সংগে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর কাছে ফিরে গেলেন ৷ এ পর্যায়ে রাবী নবী করীম (না)-এর গোসল, কাফন, তার
জানাযার সলােত ও তার দাফন সম্পর্কিত বিবরণ দেন ৷ (আমরা অবিলম্বে যথাস্থানে সে সবের
প্রমাণ সমৃদ্ধ বিবরণ উপস্থাপন করব ইনশা আল্লাহ তাআলা) ৷

ওয়াকিদী (র) তার উস্তাদপণের বরাতে উল্লেখ করেছেন, তারা বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর ওফাতের ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিলে কেউ বলল তিনি ইনতিকাল করেছেন, অন্য কেউ
বলল, তিনি ইনতিকাল করেন নি ৷ তখন আসমা’ বিনত উমায়স (বা) তার হাত রাসুলুল্লাহ
(না)-এর দুই র্কাধের মাঝে রেখে দিয়ে বললেন: রাসুলুল্লাহ (সা) নিশ্চিতরুপেই ইনতিকাল
করেছেন ৷ (কেননা) তার প্রীবা-সন্ধি হতে নবুয়তের মােহর তুলে নেয়া হয়েছে ৷ সুতরাং এ
আলামত দিয়েই তার ওফাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) ও তার
দালাইলুন নাবুওয়্যাহ গ্রন্থে ওয়াকিদী সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ তিনি দুর্বল রাবী এবং তার
শায়খ ও উর্ধতন রাবীদেরও নাম পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তদুপরি রিওয়ায়াতটি সর্ব
বিবেচনায় ঘুনকাতি’ সনদ বিচ্ছিন্ন এবং প্রামাণ্য বর্ণনার পরিপন্থী ৷ তা ছাড়াও এতে রয়েছে

চরম অভিনবত, অর্থাৎ নবুওয়ড়াতের মােহর উঠিয়ে নেওয়ার দাবী ৷ আল্লাই সমধিক অবগত


وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ لَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ} [القصص: 88] وَقَالَ تَعَالَى {كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ} [الرحمن: 26] [آلِ عِمْرَانَ: 185] ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَمَّرَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبْقَاهُ حَتَّى أَقَامَ دِينَ اللَّهِ، وَأَظْهَرَ أَمْرَ اللَّهِ، وَبَلَّغَ رِسَالَةَ اللَّهِ وَجَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ تَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ، وَقَدْ تَرَكَكُمْ عَلَى الطَّرِيقَةِ، فَلَنْ يَهْلِكَ هَالِكٌ إِلَّا مِنْ بَعْدِ الْبَيِّنَةِ وَالشِّفَاءِ، فَمَنْ كَانَ اللَّهُ رَبَّهُ، فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا وَيُنَزِّلُهُ إِلَهًا فَقَدْ هَلَكَ إِلَهُهُ، فَاتَّقُوا اللَّهَ أَيُّهَا النَّاسُ، وَاعْتَصِمُوا بِدِينِكُمْ، وَتَوَكَّلُوا عَلَى رَبِّكُمْ، فَإِنَّ دِينَ اللَّهِ قَائِمٌ، وَإِنَّ كَلِمَةَ اللَّهِ تَامَّةٌ، وَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرٌ مَنْ نَصَرَهُ، وَمُعِزٌّ دِينَهُ، وَإِنَّ كِتَابَ اللَّهِ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، وَهُوَ النُّورُ وَالشِّفَاءُ، وَبِهِ هَدَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهِ حَلَالُ اللَّهِ وَحَرَامُهُ، وَاللَّهِ لَا نُبَالِي مَنْ أَجْلَبَ عَلَيْنَا مِنْ خَلْقِ اللَّهِ، إِنَّ سُيُوفَ اللَّهِ لَمَسْلُولَةٌ مَا وَضَعْنَاهَا بَعْدُ، وَلَنُجَاهِدَنَّ مَنْ خَالَفَنَا كَمَا جَاهَدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَا يُبْقِيَنَّ أَحَدٌ إِلَّا عَلَى نَفْسِهِ. ثُمَّ انْصَرَفَ، وَانْصَرَفَ مَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي غُسْلِهِ وَتَكْفِينِهِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَدَفْنِهِ. قُلْتُ: كَمَا سَنَذْكُرُهُ مُفَصَّلًا بِدَلَائِلِهِ وَشَوَاهِدِهِ. إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ، قَالُوا: وَلَمَّا شُكَّ فِي مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৪২১৬
بَعْضُهُمْ: مَاتَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَمُتْ. وَضَعَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ يَدَهَا بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَتْ: قَدْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رُفِعَ الْخَاتَمُ مِنْ بَيْنِ كَتِفَيْهِ. فَكَانَ هَذَا الَّذِي قَدْ عُرِفَ بِهِ مَوْتُهُ. هَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ " مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَشُيُوخُهُ لَمْ يُسَمَّوْا، ثُمَّ هُوَ مُنْقَطِعٌ بِكُلِّ حَالٍ، وَمُخَالِفٌ لِمَا صَحَّ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ، وَهُوَ رَفْعُ الْخَاتَمِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ فِي الْوَفَاةِ أَخْبَارًا كَثِيرَةً فِيهَا نَكَارَاتٌ وَغَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ، أَضْرَبْنَا عَنْ أَكْثَرِهَا صَفْحًا ; لِضَعْفِ أَسَانِيدِهَا وَنَكَارَةِ مُتُونِهَا، وَلَا سِيَّمَا مَا يُورِدُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْقُصَّاصِ الْمُتَأَخِّرِينَ وَغَيْرُهُمْ، فَكَثِيرٌ مِنْهُ مَوْضُوعٌ لَا مَحَالَةَ، وَفِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ وَالْحَسَنَةِ وَالْمَرْوِيَّةِ فِي الْكُتُبِ الْمَشْهُورَةِ غُنْيَةٌ عَنِ الْأَكَاذِيبِ وَمَا لَا يُعْرَفُ سَنَدُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৭


ওয়াকিদী ও অন্যান্যরা ওফাত প্ৰসংগে অনেক আজগুবী ও অভিনব বিবরণ দিয়েছেন ৷ আমরা
সেগুলির সনদের দুর্বলতা এবং মুল পাঠের অপ্রামাণ্যতা লক্ষ্য করে তার অধিকাংশই বর্জণ
করাই শ্রেয় মনে করেছি ৷ বিশেষতঃ শেষ যুগের পেশাদার ওয়ায়েজ ওকথকদের উপস্থাপিত
অভিনব ও ঘুখরোচক কাহিনী সমুহ, যার অধিকাংশ্ইি নিঃসন্দেহে জাল ও বানােয়টি ৷ তা ছাড়া
প্রসিদ্ধ গ্রন্থসমুহে বিবৃত সহীহ্ ও হাসান পর্যায়ের হাদীসসমুইে প্রাসংগিক বিশদ বিবরণের জন্য
যথেষ্ট এবং অপরিজ্ঞাত সনদ যুক্ত ও হাদীস নামে প্রচলিত মিথ্যা জাল কথাগুলি দিয়ে গ্রন্থের
কলেবর বৃদ্ধি করার কোন প্রয়োজন কিংবা যৌক্তিকতা নেই ৷ আল্লাহই সম্যক অবগত ৷

রাসুল (না)-এর ওফাতের পরে ও তার দাফনের পুর্বে
সৎঘটিত গুরুত্বপুর্ণ ঘটনাবলী

এ সময়ের ঘটনাবলীর মাঝে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ইসলাম ও মুসলিম
উম্মাহ্র জন্য সর্বাধিক ররকতপুর্ন ঘটনা হলো আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হতে বায়আত ও
তীর খিলাফড়াতের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা ও স্বীকৃতি ৷ এ ঘটনার সুত্র হল, যে দিন রড়াসুলুল্লাহ
(না)-এর ওফাত হল ঠিক যে দিন ভোর বেলায়ই আবু বকর সিদ্দীক (বা) মুসলমানদের ইমাম
হয়ে ফজরের সালাত আদায় করেছিলেন ৷ এ সালাতের সময় রাসুলুল্লাহ (না) তার বিগত
কয়েক দিনের অসুস্থতাজনিত দুর্বলতা ও অচেতনতা হতে সাময়িক সুস্থতা বোধ করেছিলেন
এবং দরযার পর্দা তুলে ধরে আবু বকর (রা)-এর পিছনে সারিবদ্ধ হয়ে সালাত আদায়রত
মুসলমানদের প্রত্যক্ষ করে তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন এবং তার চেহারা অনড়াবিল হাসিতে
উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল ৷ এমন কি মুসলমান যুসল্লীবৃন্দ তাদের প্রিয়তম নবীর সুস্থতা দর্শনের
আনন্দাতিশয্যে তাদের সালাতে থাকার কথা ভুলে যেতে বলেছিলেন এমন কি সালাত ছেড়ে
দিয়ে ছুটে আসার উপক্রম করছিলেন এবং আবু বকর (বা) নিজেও নবী করীম (না)-এর
আগমন সম্ভাবনার ইমামের স্থান ছেড়ে দিয়ে পিছনে যুকতাদীর সারিতে শামিল হতে উদ্যত
হয়েছিলেন, তখন নবী করীম (সা) তাদের নিজ নিজ অবস্থার’ থাকার ইংগিত করে পর্দা
ঝুলিয়ে দিলেন এবং এটাই ছিল নবী করীম (সা)কে মুসলমানদের শেষ দর্শন ৷ আবু বকর
(বা) সালাত শেষে নবী করীম (না)-এর কাছে গেলেন এবং আইশা (রা)কে বললেন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর অসুস্থতা কম হতে চলেছে দেখছি ৷ আর আজ ৰিনত খারিজার (আবু বকর
(রা)-এর দু’শ্ৰীর একজন যিনি মদীনায় পুর্ব প্রান্তে অবস্থিত সৃনহ্ মহল্লায় বসবাস করতেন)
পালার দিন (তাই সেখান থেকে ঘুরে আসি) ৷ সুতরাং তিনি ঘোড়ার চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হলেন ৷ ওদিকে রাসুলুল্পাহ (সা)-এর ওফাত হয়ে গেল সে দিনই প্রথম প্রহরের শেষ
দিকে, মতাম্ভরে দুপুরের সময় ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

তার ওফাতের পর সাহারা-ই কিরামের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিল ৷ কেউ বললেন,
বড়াসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন, কেউ বলছিলেন, ইনতিকাল করেন নি ৷ তখন সালিম
ইবন উবারদ (রা) সুনৃহে সিদ্দীক (রা)-এর কাছে গিয়ে র্তাকে রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওফাত
সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ সিদ্দীক (রা) খবর পাওয়া মাত্র তার বাড়ি হতে রওয়ানা করে এনে
রাসুলুল্লাহ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তার ঢেহারার আবরণ উন্মুক্ত করে তাকে চুমু


[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أُمُورٍ مُهِمَّةٍ وَقَعَتْ بَعْدَ وَفَاتِهِ وَقَبْلَ دَفْنِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] وَمِنْ أَعْظَمِهَا وَأَجَلِّهَا وَأَيْمَنِهَا بَرَكَةً عَلَى الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ بَيْعَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا مَاتَ كَانَ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ صَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ صَلَاةَ الصُّبْحِ، وَكَانَ إِذْ ذَاكَ قَدْ أَفَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِفَاقَةً مِنْ غَمْرَةِ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْوَجَعِ، وَكَشَفَ سِتْرَ الْحُجْرَةِ، وَنَظَرَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ، فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَتَبَسَّمَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، حَتَّى هَمَّ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يَتْرُكُوا مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الصَّلَاةِ ; لِفَرَحِهِمْ بِهِ، وَحَتَّى أَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ ; لِيَصِلَ الصَّفَّ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنْ يَمْكُثُوا كَمَا هُمْ، وَأَرْخَى السِّتَارَةَ، وَكَانَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ الصَّلَاةِ دَخَلَ عَلَيْهِ، وَقَالَ لِعَائِشَةَ: مَا أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَدْ أَقْلَعَ عَنْهُ مِنَ الْوَجَعِ، وَهَذَا يَوْمُ بِنْتِ خَارِجَةَ. يَعْنِي إِحْدَى زَوْجَتَيْهِ، وَكَانَتْ سَاكِنَةً بِالسُّنْحِ شَرْقِيِّ الْمَدِينَةِ فَرَكِبَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ وَذَهَبَ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اشْتَدَّ الضُّحَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ. وَقِيلَ: عِنْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ فَلَمَّا مَاتَ وَاخْتَلَفَ الصَّحَابَةُ فِيمَا بَيْنَهُمْ، فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْ قَائِلٍ: لَمْ يَمُتْ. فَذَهَبَ سَالِمُ بْنُ عُبَيْدٍ وَرَاءَ الصِّدِّيقِ إِلَى السُّنْحِ،
পৃষ্ঠা - ৪২১৮
فَأَعْلَمَهُ بِمَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ الصِّدِّيقُ مِنْ مَنْزِلِهِ حِينَ بَلَغَهُ الْخَبَرُ، فَدَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلَهُ وَكَشَفَ الْغِطَاءَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَبَّلَهُ، وَتَحَقَّقَ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ، فَخَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ إِلَى جَانِبِ الْمِنْبَرِ، وَبَيَّنَ لَهُمْ وَفَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَدَّمْنَا، وَأَزَاحَ الْجِدَالَ، وَأَزَالَ الْإِشْكَالَ، وَرَجَعَ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلَيْهِ، وَبَايَعَهُ فِي الْمَسْجِدِ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَوَقَعَتْ شُبْهَةٌ لِبَعْضِ الْأَنْصَارِ، وَقَامَ فِي أَذْهَانِ بَعْضِهِمْ جَوَازُ اسْتِخْلَافِ خَلِيفَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَتَوَسَّطَ بَعْضُهُمْ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ أَمِيرٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَأَمِيرٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، حَتَّى بَيَّنَ لَهُمُ الصِّدِّيقُ أَنَّ الْخِلَافَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا فِي قُرَيْشٍ، فَرَجَعُوا إِلَيْهِ، وَأَجْمَعُوا عَلَيْهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ وَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৯


খেলেন এবং তার ওফাত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে লোকদের কাছে বেরিয়ে গিয়ে মিম্বারের পাশে
দাড়িয়ে তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি সব সন্দেহের অপনােদন ও সব প্রশ্নের অবসান
ঘটিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের ঘোষণা দিলেন ৷ যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ আগত
লোকেরা তার কাছে সমবেত হল এবং সাহাবীদের জামাআত তার হাতে বয়আত গ্রহণ করল ৷
তবে কতক আনসারীর (বা) মনে বিষয়টিকে খটকা বীধে এবং তাদের কারো কারো কাছে
একজন আনসারীকে খলীফা মনোনয়ন সযীচীন মনে হলো ৷

কেউ আবার আপােয বফার পন্থায় মুহাজিরদের মধ্য হতে একজন আমীর এবং
আনসারদের পক্ষে একজন আমীর হওয়ার কথা বলতে লাপলেন ৷ এ পরিস্থিতিতে আবু বকর
সিদ্দীক (রা) র্তাদের কাছে স্পষ্ট করে দিলেন যে, (বিধান মতে) খিলাফতের পদাধিকারী রুপে
কুরায়শদের মধ্য হতেই কেউ মনোনীত হবেন ৷ ফলে তারা সকলে আবু বকরের আনুগত্যে
আস্থা জ্ঞাপন করলেন ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পরে আসছে ৷

বনু সাঈদা : মজলিস বরের ঘটনা

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, ইসহাক ঈসা আততাব বা (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) তার অবস্থান ক্ষেত্রে ফিরে এলেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-কে পাঠ’ গােনাতড়াম;
তিনি এসে আমাকে প্রভীক্ষমান দেখলেন-এটা ছিল উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) এর শেষ হরুজ্জর
সময় মিনার ঘটনা ৷ তখন আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) বললেন, এক ব্যক্তি উমর ইবনুল
খক্টত্তাব (বা) এর কাছে এসে বলল, অযুক’ ণ্লাক বলে যে, “উমরের মৃত্যু হলে আমি অঘুকের
হাতে বায়আত করবো ৷

তখন উমর (রা) বললেন, “ইনশাআল্লাহ ৷ আজ বিকালে আমি লোকদের সমবেত করে
ভাষণ দেব এবং এ কেফকা সম্পর্কে সতর্ক করে দেব যারা জনতার হাত থেকে তাদের
অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায় ৷ আবদুর রহমান বলেন, আমি তখন বললাম, আমীরুল ঘু’মিনীন!
এমন করবেন না ৷

কেননা, হত্তজ্জর মওসুমে অনেক সাধারণ ও থে’ড়ালমাল পাকানাে লোকের সমাবেশ ঘটে ৷
আর আপনার মজলিসে এদের সংখ্যাই বেশী থাকে ৷ তাই, আমার আশঙ্কা, হয় যে, আপনি
লোকদের সামনে কোন গুরুত্পুর্ণ কথা বললেও এ সব লোক তা বুঝে না বুঝে দৌড়াতে শুরু
করবে এবং তারা যথাযথ সংরক্ষণ করবে না, যথার্থ ক্ষেত্রে ও পাত্রে তা প্রয়ােগও করবে না ৷
বরং আপনি মদীনায় পৌছা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন! কেননা, মদীনা হচ্ছে হিজরাত ও সুন্নাতের
কেন্দ্র ৷ সেখানে আপনি উম্মাহ্র আলিমকুল ও অভিজাত গ্রেণীকে একাস্তে পারেন এবং তখন
আপনি ধীরে ন্থিরে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন ৷ ফলে তারা আপনার বক্তব্য
যথাযথ রুপে অনুধাবন ও সংরক্ষণ করে তা যথাস্থানে প্রয়োগ করবেন ৷ উমর (রা) বললেন,
“সুস্থ দেহে আমি মদীনায় পৌছুতে পারলে আল্লাহ চাহেন তো সেখানে আমার প্রথম বক্তব্য
প্রদানের সুযােগেই আমি এ বিষয় লোকদের সামনে বক্তব্য রাখব ৷ তারপর জিলহদ্বজ্জর শেষ
দিকে যখন আমরা মদীনায় পৌছলাম এবং ওক্রাড়ার দুপুর হতে না হতে আমি চোখ খুজে’


[قِصَّةُ سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى الطَّبَّاعُ، ثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ رَجَعَ إِلَى رَحْلِهِ - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَوَجَدَنِي وَأَنَا أَنْتَظِرُهُ - وَذَلِكَ بِمِنًى فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: إِنَّ رَجُلًا أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلَانًا. فَقَالَ عُمَرُ: إِنِّي قَائِمٌ الْعَشِيَّةَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فِي النَّاسِ، فَمُحَذِّرُهُمْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ أَمْرَهُمْ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَفْعَلْ فَإِنَّ الْمَوْسِمَ يَجْمَعُ رِعَاعَ النَّاسِ وَغَوْغَاءَهُمْ، وَإِنَّهُمُ الَّذِينَ يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ إِذَا قُمْتَ فِي النَّاسِ، فَأَخْشَى أَنْ تَقُولَ مَقَالَةً يَطِيرُ بِهَا أُولَئِكَ فَلَا يَعُوهَا، وَلَا يَضَعُوهَا مَوَاضِعَهَا، وَلَكِنْ حَتَّى تَقْدَمَ الْمَدِينَةَ ; فَإِنَّهَا دَارُ الْهِجْرَةِ وَالسُّنَّةِ، وَتَخْلُصُ بِعُلَمَاءِ النَّاسِ وَأَشْرَافِهِمْ، فَتَقُولُ مَا قُلْتَ مُتَمَكِّنًا، فَيَعُونَ مَقَالَتَكَ وَيَضَعُونَهَا مَوَاضِعَهَا. قَالَ عُمَرُ: لَئِنْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ سَالِمًا صَالِحًا لَأُكَلِّمَنَّ بِهَا النَّاسَ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ. فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فِي عَقِبِ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةَ عَجَّلْتُ الرَّوَاحَ صَكَّةَ الْأَعْمَى - قُلْتُ لِمَالِكٍ: وَمَا صَكَّةُ الْأَعْمَى؟ قَالَ: إِنَّهُ لَا يُبَالِي أَيَّ سَاعَةً
পৃষ্ঠা - ৪২২০


(মসজিদের দিকে) ছুটে চললাম ৷ ’ গিয়ে দেখি সাঈদ ইবন যায়দ আমার আগেই এসে
গিয়েছেন এবং মিম্বারের ডান স্তম্ভের কাছে বসে রয়েছেন ৷ আমি গিয়ে তার বরাবরে
বসলাম-এভাবে যে আমার হীটু তার হীটুকে স্পর্শ করছিল ৷ আমির বসতে না বসতেই উমর
(রা) এসে পৌছলেন ৷ তাকে দেখতে পেয়ে আমি বললাম এ অপরাহ্নে এ মিম্বরে তিনি এমন
কিছু বলবেন না ইতোপুর্ব কেউ বলেন নি, সাঈদ ইবন যায়দ এমন সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করে
বললেন ৷ কেউ বলেননি ৷ এমন র্কীইব৷ তার বলার থাকতে পারে?” তখন উমর (রা) মিম্বারে
উঠে বললেন ৷ মুআঘৃযিন (আমান পেয়ে) নিরব হলে তিনি দাড়িয়ে আল্লাহর যথোপ্যোগী ছানা
পাঠের পর বললেন, তারপরলোক সকল আমি আপনাদের সামনে একটি বিশেষ কথা
বলতে চা ই সে কথাটি বলা যেন আমার জন্যেই নির্ধারিত রাখা হয়েছে;অ আমি জানি না, হয়ত
বা তা আমার মৃত্যুর পুবাভাস ৷

সুতরাং যে তা যথাযথ অনুধাবন ও সংরক্ষণ করতে পারবে, সে যেন যেখানেই তার বাহন
তাকে পৌছে দেয়৷ সেখানেই তা বর্ণনা করে ৷ আর যে তা সংরক্ষণ করতে পারবে না, (সে
যেন তা বর্ণনা না করে, কেননা) তাকে আমার নামে অস্ত্য প্রচারের বৈধত৷ দিতে আমি
প্রস্তুত নই ৷ আল্লাহ মুহাম্মদ (না)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন এবং তার উপরে কিতাব
নাযিল করেছেন ৷ তিনি যা নাযিল করেছেন তার মাঝে রাজম’ (ব্যভিচারীকে কংকরাঘাতে
মেরে ফেলার) বিধান সম্পর্কিত আয়াতও ছিল ৷ আমরা যে আয়াত তিলাওয়াত করেছি, তার
মর্ম অনুধাবন করেছি এবং তা হৃদয়ঙ্গম করেছি ৷ এবং রাসুলুল্লাহ (না) রাজ্বম’ বাস্তবায়িত
করেছেন, আমরাও তার পরে রাজ্বম করেছি ৷ এখনৃ আমার আশংকা হচ্ছে যে দীর্ঘ সময়ের
ব্যবধানে (লোকেরা তা তুলে বা যে এবং) কেউ হয়ত বলে বলবে আল্লাহর কিতা ৷বে তো
রাজ্বম সম্পর্কিত আয়াত খুজে পা ৷চ্ছি না, ফলে তারা মহান মহীয়৷ ৷ন আল্লাহর ন ৷যিলকৃত ও
নির্ধারিত একটি ফরয বিমানের ব্যাপারে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে ৷

সুতরাং বাজ্বম (প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড) ব্যাভিচারীর জন্য আল্লাহর কিতাবের বাস্তব বিধান
যদি সে বিবাহিত হয়ে থাকে-পুরুষ ও নারী যেই হোক না কেন ৷ সাক্ষ্য প্রমাণে সাব্যস্ত হলে
কিৎবা গর্ত দেখা দিলে কিৎব৷ স্বীকারোক্তি পাওয়া গেলে ৷ গোন! আমরা কিন্তু তিলাওয়াত
করতাম ণ্ম্রা ৷ ব্লু); ওে;;:গ্লুও :৷ ণ্£;াএ১£ :াদ্বু ণ্£১া ৷ :ং ৷ ,১ব্র: )ঘ্র “তোমরা তোমাদের পিতৃ
পুরুষের প্ৰতি অনীহ৷ বোধ কর না ৷ কেননা, পুর্ব পুরুষের প্রতি অনীহ৷ বোধ তোমাদের জন্য
কুফরী তুলা ৷ “শো ন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,

শৃ

“তোমরা আমার প্রশংসা ও মর্যাদা দানে ব ৷ড়াব৷ ৷ড়ি করে৷ না ৷ যেমনটি ঈসা ইবন মারয়ামের
ব্যাপারে বাড়াবাড়ি (করে তাকে খােদ৷ ও খােদার পুত্র সাব্যত) করা হয়েছে, আমিতাে একজন
বান্দা মাত্র ৷ তাই তোমরা বলবে আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল ৷” আমার কানে পৌছেছে যে



১ এখানে ব্যস্ততা বুঝাবার জন্য মুল আরৰীতে ৰু ,এন্খু ৷ ন্ারুএে রুাঙু)এ :ান্; রয়েছে যার আক্ষরিক অর্থ
অহ্মের হুমড়ি খাওয়ার মত তাড়াতাড়ি গেলাম ৷ অধস্তন রাবীর প্রশ্নের জবাবে উর্ধ্বতন রাবী মালিক (র) ন্া&ষ্ণ্
- :;১া৷ র তরজমা করেছেন শীত-গ্রীল্ম (বর্ষার) পরােয়৷ না করে বেরিয়ে পড়া ৷ অনুবাদক


خَرَجَ، لَا يَعْرِفُ الْحَرَّ وَالْبَرْدَ. أَوْ نَحْوَ هَذَا - فَوَجَدْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ عِنْدَ رُكْنِ الْمِنْبَرِ الْأَيْمَنِ قَدْ سَبَقَنِي، فَجَلَسْتُ حِذَاءَهُ تَحُكُّ رُكْبَتِي رُكْبَتَهُ، فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ طَلَعَ عُمَرُ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ قُلْتُ: لَيَقُولَنَّ الْعَشِيَّةَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ مَقَالَةً مَا قَالَهَا عَلَيْهِ أَحَدٌ قَبْلَهُ. قَالَ: فَأَنْكَرَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ ذَلِكَ وَقَالَ: مَا عَسَيْتَ أَنْ يَقُولَ مَا لَمْ يُقِلْ أَحَدٌ؟ فَجَلَسَ عُمَرُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَلَمَّا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ قَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّي قَائِلٌ مَقَالَةً قَدْ قُدِّرَ لِي أَنْ أَقُولَهَا، لَا أَدْرِي لَعَلَّهَا بَيْنَ يَدَيْ أَجَلِي، فَمَنْ وَعَاهَا وَعَقَلَهَا فَلْيُحَدِّثْ بِهَا حَيْثُ انْتَهَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَمَنْ لَمْ يَعِهَا فَلَا أُحِلُّ لَهُ أَنْ يَكْذِبَ عَلَيَّ، إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا، وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: لَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ. فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ قَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصَنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ ; إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ، أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوِ الِاعْتِرَافُ، أَلَا وَإِنَّا قَدْ كُنَّا نَقْرَأُ: لَا تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، فَإِنَّ كُفْرًا بِكُمْ أَنْ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ. أَلَا وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُطْرُونِي كَمَا أُطْرِيَ عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ، فَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ قَائِلًا مِنْكُمْ يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلَانًا. فَلَا يَغْتَرَّنَّ امْرُؤٌ أَنْ يَقُولَ: إِنَّ بَيْعَةَ أَبِي بَكْرٍ كَانَتْ فَلْتَةً. أَلَا وَإِنَّهَا كَانَتْ كَذَلِكَ، أَلَا إِنَّ اللَّهَ وَقَى شَرَّهَا، وَلَيْسَ فِيكُمُ الْيَوْمَ مَنْ تُقْطَعُ إِلَيْهِ الْأَعْنَاقُ مِثْلَ أَبِي بَكْرٍ، وَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪২২১


তোমাদের কেউ কেউ এমন উক্তি করে যে, উমরের মৃত্যু হলেই আমি তখন অমুকের হাতে
আনৃগত্যের বায়অড়াত করব ৷ শোন কেউ যেন এমন কথা বলে আত্ম প্রতারণার শিকার না হয়
যে, আবু বকর (রা)এর বায়আত ছিল আকস্মিক ও অচিন্তাপ্রসুত ব্যাপার যা শেষ হয়ে
গিয়েছে ৷ শোনা তা যেমন হওয়ার ছিল তেমনই হয়েছে সে যা-ই হোক, সে পরিস্থিতির
অকল্যাণ হতে আল্লাহ হিফাজত করেছেন ৷ আর আজ তোমাদের মাঝে এমন কেউ নেই, আবু
বকরের ন্যায় যার সামনে সকলেরই মাথা নুয়ে যেতে পারে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত লগ্রে
তিনিই ছিলেন আমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ৷ আলী ও যুবায়র এবং তাদের সমর্থকরা রাসুল তনয়া
ফাতিমা (রা)-র ঘরে অবস্থান করে তা থেকে বিরত রইলেন ৷ আর পিছিয়ে রইলেন আনসাৰীরা
সকলেই-বনু সাকীফার মজলিস ঘরে ৷ এ দিকে সুহাজিররা সমবেত হলেন আবু বকরের কাছো
তখন আমি তাকে বললাম, আবু বকর ! চলুন আমরা আমাদের আনসারী ভাইদের কাছে যাই ৷
আমরা র্তাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে দুজন পুণ্যবান লোক আমাদের সাথে সাক্ষাত করে ঐ
সম্প্রদায়ের কর্মসুচী সম্পর্কে আমাদের অবহিত করলেন ৷ তীরা বললেন, মুহাজির সমাজ !
আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? আমি বললাম, আমরা আমাদের আনসারী ভইিদের উদ্দেশ্য বের
হয়েছি ৷ তারা বললেন, “তাদের কাছে যাওয়া আপনাদের জন্য অপরিহার্য কিছু নয়; ঘুহাজির
সমাজ ! আপনারা তো নিজেদের বিষয়টি নিজেবইি ফায়সালা করে নিতে পারেন ৷ ”

আমি বললাম, আল্লাহর কলম ৷ আমরা অবশ্যই তাদের কাছে যাচ্ছি ৷ সে মতে আমরা
চলতে থাকলাম এবং বনু সাঈদা-য় তাদের উন্মুক্ত মজলিস ঘরে উপনীত হয়ে দেখলাম তারা
সেখানে সমবেত রয়েছেন এবং তাদের মাঝখানে বস্ত্রাবৃত এক ব্যক্তি ৷ আমি বললাম, ইনি কে ?
র্তারা বললেন ইনি সাদ ইবন উবাদা৪ ৷ আমি বললাম, তার কী হয়েছে? র্তারা বললেন অসুস্থ ৷
আমরা বসে পড়লে তাদের মুখপাত্র বক্তা দাড়িয়ে আল্লাহ্র যথােপযোগী প্রশংসা স্তুতি করার
পরে বললেন, এরপর, আমরা তো আল্লাহর (দীনের) আনসার এবং ইসলামের সেনানী, আর
হে যুহাজির সমাজ! আপনারা আমাদের নবীর সম্প্রদায়-ইতোমধ্যে আপনাদের একটি গোপন
চক্র আংন্দালন শুরু করেছে আপনাদের ইচ্ছা আমাদের মুল থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করা
এবং খিলাফতের বিষয়টিতে আমাদের জন্য প্রতিবন্ধক দাড় করানো ৷ মুখপাত্র তার বক্তব্য
শেষ করে নিরব হলে আমি উমর তার জবাবে কথা বলতে উদ্যত হলাম ৷ ইভােপুর্বে আমি
একটি ভাষণ সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছিলাম যা আমার খুবই মনঃপুত ছিল এবং আমার ইচ্ছা ছিল
তা আবু বকরের সামনেই উপস্থাপন করব ৷

তিনি যেহেতু ছিলেন স্বভাব উদার, তাই তার ব্যাপারে আমি এক বিশেষ পরিমাণ উদারতার

কথা ভাবছিলাম ৷ তবে তিনি ছিলেন আমার চাইতে অধিক প্রজ্ঞাবান ও অধিক ভৈস্থর্যের অধিকারী

শ্রদ্ধার পাত্র ৷ আল্লাহ্র কলম! তিনি যখন বলতে শুরু করলেন তখন তার তাৎক্ষণিক অথচ

ৎক্ষিপ্ত সারগর্ভ বক্তব্যে এমন একটি শব্দও বাদ রাখলেন না যা সাজানো পােছোনাে আমার
প্রস্তুতকৃত বক্তৃতায় আমাকে আত্মপ্রীত করে রেখেছিল ৷

তিনি বললেন, এরপর আপনারা যা উল্লেখ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে আপনাদের প্রাপ্য ৷
তবে এ নেতৃত্বের বিষয়টি আরববাসীরা এ কুরায়শ গোত্র ব্যতীত অন্য কারো জন্য স্বীকার
করে না ৷ এরা অভিজাত্য ও অবস্থান বিচারে আরবের মধ্যমণি ৷ আমি আপনাদের জন্য এ


كَانَ مِنْ خَبَرِنَا حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُمَا تَخَلَّفُوا فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَخَلَّفَتْ عَنَّا الْأَنْصَارُ بِأَجْمَعِهَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوَانِنَا مِنَ الْأَنْصَارِ. فَانْطَلَقْنَا نَؤُمُّهُمْ حَتَّى لَقِيَنَا رَجُلَانِ صَالِحَانِ، فَذَكَرَا لَنَا الَّذِي صَنَعَ الْقَوْمُ فَقَالَا: أَيْنَ تُرِيدُونَ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ؟ فَقُلْتُ: نُرِيدُ إِخْوَانَنَا هَؤُلَاءِ مِنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَا: لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَقْرَبُوهُمْ، وَاقْضُوا أَمْرَكُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَنَأْتِيَّنَهُمْ. فَانْطَلَقْنَا حَتَّى جِئْنَاهُمْ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَإِذَا هُمْ مُجْتَمِعُونَ، وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ رَجُلٌ مُزَّمَّلٌ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ فَقُلْتُ: مَا لَهُ؟ قَالُوا: وَجِعٌ. فَلَمَّا جَلَسْنَا قَامَ خَطِيبُهُمْ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ وَكَتِيبَةُ الْإِسْلَامِ، وَأَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ رَهْطٌ مِنَّا، وَقَدْ دَفَّتْ دَافَّةٌ مِنْكُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَخْتَزِلُونَا مِنْ أَصْلِنَا وَيَحْضُنُونَا مِنَ الْأَمْرِ. فَلَمَّا سَكَتَ أَرَدْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، وَكُنْتُ قَدْ زَوَّرْتُ مَقَالَةً أَعْجَبَتْنِي أَرَدْتُ أَنْ أَقُولَهَا بَيْنَ يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ كُنْتُ أُدَارِي مِنْهُ بَعْضَ الْحَدِّ، وَهُوَ كَانَ أَحْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ،
পৃষ্ঠা - ৪২২২


দুজন মহান ব্যক্তির যে কোন একজন গ্রহণের কথা সানন্দ সমর্থন করছি-এ দুজনের যাকে
আপনাদের পসন্দ হয় ৷ একথা বলে তিনি আমার হাতে এবং আবু উবায়সাঃ ইবনুল জাবৃরাহ্-
এর হাতে ধরলেন ৷ তখন তার কোন কথাই আমার অপসন্দ হল না; কিন্তু আমার নাম প্রস্তাব
সম্পকীর্ত তীর এ কথাটি আমার কাছে অসহনীয় মনে হল ৷ আল্লাহর কলম! আমার ণর্দান
উড়িয়ে দেয়ার জন্য আমাকে এগিয়ে দেয়া, যদি তা কোন পাপের ব্যাপার না হতো, তা ছিল
আমার কাছে আবু বকরের উপস্থিতিতে কোন জাতির উপরে আমার নেতা সেজে বসার চাইতে
অধিকতর পসন্দনীয়, তবে যদি মৃত্যুকালে আমার মনঃজণতে কোন বিকৃতি সাধিত হয় সে
ভিন্ন কথা ৷ তখন আনক আনসারী ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন,“আমিই এ ষ্যাধির পরীক্ষিত
মলৌষধ এবং এ রোগের ধন্বন্তরী মন্ত্র”১ আমার কাছেই রয়েছে এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ৷
আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর এবং আপনাদের মধ্য হতে একজন আমীর আমার
কুরায়াশী ভাইয়েরা ! “বর্ণনা কাবী বলেন, আমি মালিক (ইবন আনাস) কে বললাম, ডাঃ১১ গ্র
কথাটির অর্থ কি ? তিনি বললেন, সে যেন বলতে চাচ্ছিল,
“আমার কাছেই রয়েছে এ সমস্যা সমাধানের সৃচিস্তিত অভিমত ৷ ফলে গোলামাল বেড়ে গেল
এবং হৈচৈ শুরু হয়ে গেল এবং বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দিল ৷ তখন আমি (উমর)
বললাম, আবু বকর ! আপনার হাত প্রসারিত করুন ! তিনি হাত প্রসারিত করলে আমি বায়আত
(আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করলাম এবং ঘুহাজিরগণ তার হাতে বায়আত হলেন ৷ তারপর
আনসারগণও তার হাতে বায়আত করলেন ৷ আমরা তখন সাদ ইবন উবাদা৪ (রা)-র উপরে
হুমড়ি যেয়ে পড়লাম ৷ তখন তাদের একজন বলে উঠল-তোমরা তাে সাদকে শেষ করে
দিচ্ছেড়া ৷ আমি বললাম, আল্লাহ্ই সাদকে শের করেছেন ৷ উমর (রা) বলেন, গোন৷ আল্লাহর
কসম ৷ আমরা তখন যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম তাতে আবু বকরের হাতে বায়আত
করার চেয়ে উপযোগী কোন সমাধান আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না ৷

কেননা, আমাদের আশংকা ছিল যে, কোন প্রকার বায়আত অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে যদি আমরা
সমবেত লোকদের ঐ অবস্থায় রেখে যাই তবে হয়ত আমাদের অনুপস্থিতিতে তারা কোন নতুন
বায়আত সম্পাদিত করবে ৷ তখন হয়ত আমাদের অসন্তুষ্টি সত্বেও আমরা তাদের সে
বায়আতের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবো ৷ কিৎবা তাদের বিরোধিতা করব, যার পরিণতি হবে-
বিশৃৎখলা ৷ কেননা, মুসলিম জনতার সাথে আলোচনা পরামর্শ ব্যতিরেকে কেউ আমীররুভৈপ
কারো হাতে বায়আত গ্রহণ করলে যে বায়আত করল এবং যার হাতে বায়আত করল এর
কােনটাই গ্রহণযোগ্য নয় তারা উভয়ই মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার উপযুক্ত ৷” রাবী মালিক (র) বলেন,
ইবন শিহাব (র) উরওয়া (র) হতে আমাকে খবর দিয়েছেন যে, পথে সাক্ষাতকারী লোক
দুজন ছিলেন উয়ায়ম ইবন সাঈদা৪ ও মাআন ইবন আদী (রা) ৷ ইবন শিহাব (র) বলেন,
আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (র) আমাকে অবহিত করেন যে, ন্১ল্)^এষ্ ডাঃ১১ গ্রো উক্তিটি
করেছিলেন হুবাব ইবনৃল মুনযির (বা) ৷ সিহাহ্ সিত্তা বিদগণ তাদের গ্রহুসমুহে হাদীসটি যুহরী



১ গু-১)ঠো ৷ৰুম্বুপ্লু১; , এ-ৰু-শ্এ মোঃ ১-ন্ fl (আক্ষরিক অর্থে খুজলী আক্রান্ত উটের পা চুলকাবার জন্য গাছের
গুড়ি এবং পাথর জড়ো করে গোড়ার ঠেস দেয়া দীর্ঘকায় খেজুর গাছ) অর্থাৎ মনের মত বিষয় ও নিরুপায়ের
উপায় ৷ ন্


فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: عَلَى رِسْلِكَ. فَكَرِهْتُ أَنْ أُغْضِبَهُ، وَكَانَ أَعْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ، وَاللَّهِ مَا تَرَكَ مِنْ كَلِمَةٍ أَعْجَبَتْنِي فِي تَزْوِيرِي إِلَّا قَالَهَا فِي بَدِيهَتِهِ وَأَفْضَلَ حَتَّى سَكَتَ. فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَمَا ذَكَرْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَأَنْتُمْ أَهْلُهُ، وَلَمْ تَعْرِفِ الْعَرَبُ هَذَا الْأَمْرَ إِلَّا لِهَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ ; هُمْ أَوْسَطُ الْعَرَبِ نَسَبًا وَدَارًا، وَقَدْ رَضِيتُ لَكُمْ أَحَدَ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ أَيَّهُمَا شِئْتُمْ. وَأَخَذَ بِيَدِي وَيَدِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، فَلَمْ أَكْرَهْ مِمَّا قَالَ غَيْرَهَا، وَكَانَ وَاللَّهِ أَنْ أُقَدَّمَ فَتُضْرَبَ عُنُقِي لَا يُقَرِّبُنِي ذَلِكَ إِلَى إِثْمٍ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أَتَأَمَّرَ عَلَى قَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ، إِلَّا أَنْ تَغَيَّرَ نَفْسِي عِنْدَ الْمَوْتِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ، مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ - فَقُلْتُ لِمَالِكٍ: مَا يَعْنِي أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ؟ قَالَ: كَأَنَّهُ يَقُولُ: أَنَا دَاهِيَتُهَا - قَالَ: فَكَثُرَ اللَّغَطُ وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ حَتَّى خَشِيتُ الِاخْتِلَافَ. فَقُلْتُ: ابْسُطْ يَدَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ. فَبَسَطَ يَدَهُ، فَبَايَعْتُهُ وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ، ثُمَّ بَايَعَهُ الْأَنْصَارُ، وَنَزَوْنَا عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: قَتَلْتُمْ سَعْدًا. فَقُلْتُ: قَتَلَ اللَّهُ سَعْدًا. قَالَ عُمَرُ: أَمَا وَاللَّهِ مَا وَجَدْنَا فِيمَا حَضَرْنَا أَمْرًا هُوَ أَوْفَقُ مِنْ مُبَايَعَةِ أَبِي بَكْرٍ، خَشِينَا إِنْ فَارَقْنَا الْقَوْمَ وَلَمْ تَكُنْ بَيْعَةٌ أَنْ يُحْدِثُوا بَعْدَنَا بَيْعَةً، فَإِمَّا أَنْ نُبَايِعَهُمْ عَلَى مَا لَا نَرْضَى، وَإِمَّا أَنْ نُخَالِفَهُمْ فَيَكُونَ فِيهِ فَسَادٌ، فَمَنْ بَايَعَ أَمِيرًا عَنْ غَيْرِ مَشُورَةِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا بَيْعَةَ لَهُ، وَلَا بَيْعَةَ لِلَّذِي بَايَعَهُ تَغِرَّةَ أَنْ يُقْتَلَا. قَالَ مَالِكٌ: فَأَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ الرَّجُلَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৩


(র) হতে বর্ণনা করেছেন ! ইমাম আহমদ (র) আরে! বলেছেন, মুআবিয়! (র!) এবং হুস!য়ন
ইবন আলী (র!) আবদুল্লাহ (অর্থাৎ) ইবন ম!সউদ (র!) হতে, বর্ণনা করেন তিনি বলেন যে,
র!সুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে আনসারীরা বললেন, আমাদের মধ্যথেকে একজন
আমীর ও আপনাদের (ঘুহাজিরদের) মধ্য থেকে একজন আমীর হবেন ! তখন উমর (র!)
তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে আনসারী সমাজ ! তোমার! কি অবগত নও যে, রাসুলুল্লাহ (স!)
আবু বকরকে লোকদের ইম!মত করার হুকুম দিয়েছিলেন? এখন তোমাদের মাঝে এমন কে
আছে যে, আবু বকরের চাইতে অ্যাবর্তী হওয়া তার মনঃপুত হবে ? তখন আনস!রীগন বললেন,
নউযুবিল্লাহ আবু বকরের চাইতে অ্যাবর্তী হওয়ার ব্যাপারে আমরা আল্লাহর কাছে পান!হ্
চাচ্ছি ৷ ন!স!ঈ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়!ত করেছেন ইসহাক ইবন র!হ্ওয়ায়হ্ ও হ!নৃন!দ ইব্ৰুস
স!রী (র) সুত্রে ৷ আলী ইবনুল ম!দীনী (র) হাদীসটি রিওয়!য়!ত করেছেন হুসায়ন ইবন আলী
(র!) হতে এবং মন্তব্য করেছেন এটি সহীহ; তবে আসিম (র) হতে য!ইদ! (র) সুত্রেই কেবল
আমি হাদীসটি পেয়েছি ! ন!সাঈ (র) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রেও অনুরুপ রিওয়ায়!ত করেছেন ৷
উমর (র!) হতে অন্য একটি সনদেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ! এ ছাড়! মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) সুত্রে উমর (র!) সনদেও ৰিবৃত হয়েছে তিনি ( উমব) বলেছেন, আমি বললাম, “হে
মুসলিম জ!৩ !তি!অ আল্লাহর নবীর কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে অগাধিক! রী ও সর্বাধিক উপযোগী
ব্যক্তি হলেন “দুজনের দ্বিতীয় জন-যখন তার! গুহায় ছিলেন” ১ (এবং) সবার অ্যাণী ও
বয়ােজেষ্ঠ্য আবু বকর (র!) ! “এ কথা বলার পরে আমি আবু বকরের হাত ধরতে গেলাম !
ইতোমধ্যে এক আনসারী ব্যক্তি আমাকে হারিয়ে দিয়ে আমি আবু বকরের হাত ধরার আগেই
সে তীর হাত ধরে (বায়আত করে) ফেলল এবং আমিও তখনই ব!য়আত করলাম এবং অন্য
লে!কের!ও ব!য়আত করতে থাকল ৷ আরিম ইবনুল ফ!বল (র) মুহাম্মাদ ইবন সাদ (র!) সুত্রে
রিওয়!য়াত করেছেন এবং প্রায় অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ! তিনি সিদ্দীক (রা) এর হাতে উমর
ইবনুল খ!ত্তাব ব(রা) এর আগে ব!য় আত গ্রহণক! !বী ঐ আনসারী ব্যক্তির নাম নির্ণয় করে
বলেছেন “তিনি হলেন নু মান ইবন ব!শীর (রা) এর পিতা ব!শীর ইবন সা দ (র!) !



১ সুরা তাওব!৪ : : অ !য়াতের প্রতি ইৎ !ভু!ত ! হিজরাতের পথে ছাত্তর গৃহ!য় অবস্থান কালে নবী করীম
(স!) ও তার সহচর আবু বকর (র!) এর কথোপকথন ! অনুবাদক


اللَّذَيْنِ لَقِيَاهُمَا: عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ وَمَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَنَّ الَّذِي قَالَ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ. هُوَ الْحُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ وَقَدْ أَخْرَجَ هَذَا الْحَدِيثَ الْجَمَاعَةُ فِي كُتُبِهِمْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا زَائِدَةُ، ثَنَا عَاصِمٌ، (ح) وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ - قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتِ الْأَنْصَارُ: مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ. فَأَتَاهُمْ عُمَرُ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَؤُمَّ النَّاسَ؟ فَأَيُّكُمْ تَطِيبُ نَفْسُهُ أَنْ يَتَقَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ؟ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: نَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ نَتَقَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ وَهَنَّادِ بْنِ السَّرِيِّ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ الْجُعْفِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَقَالَ: صَحِيحٌ لَا أَحْفَظُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ زَائِدَةَ، عَنْ عَاصِمٍ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عُمَرَ مِثْلَهُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৪২২৪
رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نَحْوُهُ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ. وَجَاءَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِأَمْرِ نَبِيِّ اللَّهِ ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ ; أَبُو بَكْرٍ السَّبَّاقُ الْمُبِينُ. ثُمَّ أَخَذْتُ بِيَدِهِ، وَبِدَرَنِي رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَضَرَبَ عَلَى يَدِهِ قَبْلَ أَنْ أَضْرِبَ عَلَى يَدِهِ، ثُمَّ ضَرَبْتُ عَلَى يَدِهِ وَتَتَابَعَ النَّاسُ. وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَارِمِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، فَذَكَرَ نَحْوًا مِنْ هَذِهِ الْقِصَّةِ، وَسَمَّى هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي بَايَعَ الصِّدِّيقَ قَبْلَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: هُوَ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ وَالِدُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ
পৃষ্ঠা - ৪২২৫

সাকীফা (মজলিস ঘরেজমায়েত) দিবসে আবু বকর
সিদ্দীক (রা) এর ভাষণের যথার্থতা সম্পর্কে
সাদ ইবন উবাদা (রা) এর স্বীকৃতি

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (বা) হতে, তিনি
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ তখন আবু বকর (বা) ছিলেন তীর মদীনায়
(সুনৃহ মহল্লার গ্রীষ্ম) নিবাসে ৷ বর্ণনাকায়ী বলেন, তিনি এসে তার চেহারা অনাবৃত করে তাতে
চুমু খেলেন এবং বললেন, আমার মা-বাপ আপনার জন্য উৎসর্পিতা জীবনে ও মরণে আপনি
কতই না সুরভিতা কাবার মালিকের কলম! মুহাম্মদ (সা) ওফাত বরণ করেছেন (পুর্ণ হাদীস
উল্লেখ করেছেন) : বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আবু বকর ও উমর (রা) দ্রুত গতিতে পথ চলে
তাদের (আনসার) কাছে পৌছলেন এবং আবু বকর (রা) কথা বললেন ৷ তার বক্তব্যে তিনি
আনসারদের প্রশংসায় নাযিলকৃত কুরআনের কোন আয়াত এবং এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর
কোনও বাণীই তিনি বাদ দিলেন না ৷ তিনি একথাও বললেন, আপনারা অবশ্যই অবগত
রয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,

দ্বু

“লোকেরা যদি একটি উপত্যকা দিয়ে চলে, আর আনসাররা অন্য একটি উপত্যকা দিয়ে
চলে তবে আমি (অবশ্যই) আনসারীদের পথ ধরে চলব ৷” (তিনি আরো বললেন) আর হে
সাদ আপনি ভাল করেই জানেন যে রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আপনিও তখন (মজলিসে)
উপবিষ্ট ছিলেন-

শ্ণ্গ্র-?গ্র ৫এ ণ্গ্রা-পৌ-’এ ণ্ফো ¢é! তাংগ্রাএ শু )গ্রা শ্রু গ্রেএ ঘে£১ৰু

“কুরায়শ গোত্র এ দীনের (নেতৃতু) বিষয়টির যোগ্য পাত্র; সুতরাং মানব সমাজের ভাল
লোকেরা এ (কুরায়শী)-দের ভালদের অনুপামী আর মন্দ লোকেরা এদের মন্দদের অনুগাঘী ৷
ওখন সাদ (রা) বললেন, যথার্থ বলেছেন, আপনারা আমীর (খলীফা) , আমরা উযীব
(সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ী) ৷ ইমাম আহ্মদ (র) আরো বলেন, আলী ইবন আব্বাস (র)যা-
তুসৃ সালাসিল গাঘৃওয়ায় আবু বকর (রা)-এর সহযোদ্ধা রাফি আত-তাঈ (বা) হতে, তিনি
বলেন,-আমি তাদের বড়ায়আত সম্পর্কে কথিত বক্তব্য সম্বন্ধে র্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম-
তখন আনসাররা যা বলাবলি করেছিল এবং তিনি তাদের সামনে যে কথা বলেছিলেন এবং
উমর (রা) আনসারদের জবাবে যা বলেছিলেন আমাকে এ সবের আগাগােড়া বিবরণ শুনিয়ে
তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর অসুস্থতা কালে র্তার নির্দেশে তাদের সকলের সালাতে
আমার ইমাম হওয়ার কথাও উমর (রা) উল্লেখ করলেন ৷ তখন তারা আমার হাতে বড়ায়আত
করল এবং আমিও তাদের বড়ায়আত গ্রহণ করলাম ৷ কারণ, আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (তা
না করলে) পরে কোন ভয়াবহ বিশৃৎখলা ও ধর্মত্যাগের ফিতনা দেখা দিতে পারে ৷ ” এটি

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

[ذِكْرُ اعْتِرَافِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ بِصِحَّةِ مَا قَالَهُ الصِّدِّيقُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَوْدِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ. قَالَ: فَجَاءَ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ فَقَبَّلَهُ وَقَالَ: فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي، مَا أَطْيَبَكَ حَيًّا وَمَيِّتًا، مَاتَ مُحَمَّدٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَتَقَاوَدَانِ حَتَّى أَتَوْهُمْ، فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا أُنْزِلَ فِي الْأَنْصَارِ وَلَا ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ شَأْنِهِمْ إِلَّا ذَكَرَهُ، وَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا، وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ وَادِيًا، سَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ» وَلَقِدْ عَلِمْتَ يَا سَعْدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَأَنْتَ قَاعِدٌ: «قُرَيْشٌ وُلَاةُ هَذَا الْأَمْرِ، فَبَرُّ النَّاسِ تَبَعٌ لِبَرِّهِمْ، وَفَاجِرُهُمْ تَبَعٌ لِفَاجِرِهِمْ» فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: صَدَقْتَ نَحْنُ الْوُزَرَاءُ وَأَنْتُمُ الْأُمَرَاءُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ ذِي عَصْوَانَ الْعَبْسِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৬


একটি সরল ও বেশ উত্তম সনদ ৷ এর মর্মার্থ হল, আবু বকর (রা) নেতৃতৃ গ্রহণে সম্মত
হয়েছিলেন শুধু এ আশংক্যয় যে তা গ্রহণ করার অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের ফলে কোন বড় ধরনের
ফিতনা ও জাতীয় দুর্যোগ মাথড়াচাড়া দিয়ে উঠতে পারে (আল্লাহ তার প্ৰতি তুষ্ট থাকুন এবং
তাকেও তুষ্ট করুন) ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : এটা ছিল সােমবারে দিন শেষের ঘটনা ৷ পরের দিন মংগল বারের
সকাল হলে লোকেরা মসজিদে সমবেত হল এবং ঘুহাজির আনসার নির্বিশেষে সকলে
ৰায়আত গ্রহণ করলেন ৷ এ সবই হয়েছিল রাসুলুল্লাহ (না)-এর কড়াফন-দাফনের আগে ৷
বুখারী (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন মুসা (র)আনাস ইবন মালিক (রা) বলেন যে, তিনি
উমর (রা)-এর শেষ বক্তৃতাটি শুনেছিলেন, যখন তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরবর্তী
দিন মিম্বরে বলেছিলেন ৷ আবু বকর (রা) তখন নিরব-নির্বাক বসে ছিলেন ৷ উমর (রা)
বললেন, আমার আশা ছিল রাসুলুল্লাহ (না) আমাদের মাঝে অবস্থান করে আমাদের তত্ত্ববধান
ও পরিচালনা করবেন-অর্থাৎ তিনি বুঝাতে চাচ্ছিলেন যে, তিনি (নবী সা)-ই হবেন র্তাদের
সর্ব শেষ ব্যক্তি ৷ (তিনি বলে চললেন) এখন যদি মুহাম্মদ (সা) ইনতিকাল করে থাকেন, তবে
আল্লাহ তো আপনাদের মাঝে এমন একটি নুর রেখে দিয়েছেন যা দিয়ে আপনারা হিদায়তের
পথে বিদ্যমান থাকতে পারেন ৷ আল্লাহ্ সে নুর দিয়েই মুহাম্মদ (না)-কে হিদায়তের পথে
পরিচালিত করেছিলেন ৷ আর আবু বকর আল্লাহর রাসুলের সৎগী ও সাহাবী; (ছাত্তর গুহার)
দু’জনের দ্বিতীয় জন (অতএব, রাসুল (না)-এর ঘনিষ্ঠ ও একন্তি সহচর) এবং আপনাদের
জাতীয় বিষয়াবলীতে মুসলমানদের মাঝে তিনিই অগ্রণী ও শ্রেষ্ঠ ৷ সুতরাং এগিয়ে আসুন এবং
তীর হাতে বায়আত করুন ৷ এক দল লোক ইভােপুর্বেই বনু সাঈদার মজলিস ঘরে তার হাতে
ৰায়আত হয়েছিলেন ৷ আর এ সর্বব্যাপী বড়ায়আত হচ্ছিল মিম্বরের উপরে ৷

যুহ্রী (র) বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (বা) হতে তিনি বলেন, ঐ দিন আমি আবু
বকরকে উদ্দেশ্য করে উমরকে বলতে শ্যুনছিমিম্ববে উঠে বলুন ! তার মিম্বরে না ওঠা পর্যন্ত
তিনি এভাবেই বলতে থাকলেন ৷ তখন উপস্থিত জনতা সকলেই তার হাতে বায়আত্ত করলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, যুহরী (র)-আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, (বনু সাঈদার) মজলিস ঘরে ৰায়আত অনুষ্ঠানের পরের দিন আবু বকর
(রা) মিম্ববে আসন গ্রহণ করলেন এবং আবু বকরের আগে উমর (রা) দাড়িয়ে কথা বললেন ৷
তিনি আল্লাহর শানে যথোপযােগী হামদ ও ছানা পাঠ করার পর বললেন, লোক সকল! আমি
গতকাল আপনাদের সামনে এমন কিছু কথা বলেছিলাম তা যাই হোক-তা যথার্থ ছিলনা, সে
কথা আমি আল্লাহর কিতাবেও পাইনি, এবং তা এমন কোন অংপীকারও ছিল না যা রাসুলুল্লাহ
(সা) আমাকে বলে গিয়েছিলেন ৷ বরং আমি ভাবতাম যে, রাসুলুল্লাহ (না)-ই আমাদের
পরিচালনা করতে থাকবেন র্তার এ কথার উদ্দেশ্য ছিল, তিনিই হবেন আমাদের শেষ ব্যক্তি ৷
আল্লাহর কসম ! তিনি আপনাদের মাঝে তার যে কিতাব রেখে গিয়েছেন যা দিয়ে আল্লাহর
রাসুল (সা) হিদায়ত প্রাপ্ত হয়ে হিদায়ত বিস্তার করেছিলেন ৷ এখন আপনারা তা আকড়ে ধরে
থাকলে আল্লাহ আপনাদের হিদায়াত নসীব করবেন, যেভাবে আল্লাহ্ ঐ কিতাবকে নবীর জন্য
আলোক বর্ডিংগ বানিয়েছিলেন ৷ এখন আল্লাহ আপনাদের সংহত করেছেন এবং নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব
আপনাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির হাতে সমর্থিত করেছেন, যিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহচর এবং


عُمَيْرٍ اللَّخْمِيِّ، عَنْ رَافِعٍ الطَّائِيِّ رَفِيقِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَمَّا قِيلَ فِي بَيْعَتِهِمْ، فَقَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُهُ عَمَّا تَقَاوَلَتْ بِهِ الْأَنْصَارُ، وَمَا كَلَّمَهُمْ بِهِ، وَمَا كَلَّمَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْأَنْصَارَ، وَمَا ذَكَّرَهُمْ بِهِ مِنْ إِمَامَتِي إِيَّاهُمْ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ، فَبَايَعُونِي لِذَلِكَ وَقَبِلْتُهَا مِنْهُمْ، وَتَخَوَّفْتُ أَنْ تَكُونَ فِتْنَةٌ بَعْدَهَا رِدَّةٌ، وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ. وَمَعْنَى هَذَا أَنَّهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنَّمَا قَبِلَ الْإِمَامَةَ ; تَخَوُّفًا أَنْ تَقَعَ فِتْنَةٌ أَرْبَى مِنْ تَرْكِهِ قَبُولَهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قُلْتُ: كَانَ هَذَا فِي بَقِيَّةِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ صَبِيحَةَ يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ اجْتَمَعَ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ فَتُمِّمَتِ الْبَيْعَةُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ قَاطِبَةً، وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ تَجْهِيزِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى ثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّهُ سَمِعَ خُطْبَةَ عُمَرَ الْأَخِيرَةَ حِينَ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَذَلِكَ الْغَدُ مِنْ يَوْمِ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ صَامِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ. قَالَ: كُنْتُ أَرْجُو أَنْ يَعِيشَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى يَدْبُرَنَا - يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ آخِرَهُمْ - فَإِنْ يَكُ مُحَمَّدٌ قَدْ مَاتَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ نُورًا تَهْتَدُونَ بِهِ، بِهِ هَدَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ، وَإِنَّهُ أَوْلَى النَّاسِ بِأُمُورِكُمْ، فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. وَكَانَتْ طَائِفَةٌ قَدْ بَايَعُوهُ قَبْلَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৪২২৭


পুহায় অবস্থান কালে দুজনের দ্বিতীয় জন (অর্থাৎ একান্ত ঘনিষ্ট জন) ৷ তাই, উঠুন এবং তীর
আনুগত্যের শপথ নিয়ে তার হাতে বায়আত করুন ৷” উমর (রা)-এর এ বক্তৃতার পরে লোকেরা
(গত দিনের) মজলিস ঘরের বায়আতের পরবর্তী ব্যাপক বায়আত করল ৷ তারপর আবু বকর
(বা) তার বক্তব্য পেশ করলেন ৷ তিনিও আল্লাহ পাকের শানে যথােপযোগী হামৃদ ও ছান৷ পাঠ
করার পরে বললেন, এরপর লোক সকল !

১এ শুএে

খু৷ ওা৷ এপ্লু পেন্ ১াৰু১া৷ ণ্,দ্বু ব্লু১ষ্ ঞা প্াট্রে :৷ এে৷ @ ১১৷ ত্বেমু১ থাঃ ৰু£ৰুব্র ঞব্রা৷,

ঝা ড্রুা )ধ্দ্বু

“আমাকে তোমাদের উপরে কতৃতু দেয়৷ হয়েছে অথচ আমি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি
নই! যদি আমি ভাল করি তবে তোমরা আমার সহযোগিতা করবে ৷ আর মন্দ করলে আমাকে
সোজা করে দিবে! সত্যবাদিত৷ হচ্ছে আমানত ও বিশ্বস্ত৩ ৷; মিথ্যাচার হচ্ছে খিয়ানত ও বিশ্বাস
ভৎগ ৷ তোমাদের মাঝের দুর্বল ব্যক্তি আমার কাছে সরল, যতক্ষণ, না তার দুর্বলত৷ ও সমস্যার
সমাধান করে দেই ইনশাআল্লাহ! আর তোমাদের মাঝের সরল ব্যক্তি আমার কাছে দুর্বল,
যতক্ষণ না তার নিকট হতে আমি হক ও প্রাপ্য উসুল করে দেই-ইনশাআল্লাহ! যখনই কোন
জাতি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা বর্জন করে তখনই আল্লাহ্ তাদের জন্য অপমান-লাঞ্চণা
অবধারিত করে দেন ৷ এবং কোন জাতি অশ্লীলতার বিস্তার যটালে আল্লাহ্ তাদেরকে ব্যাপক
দুর্যোগ ও মাহাবিপদে অবশ্যই আক্রান্ত করেন ৷ আমি যতক্ষণ আল্লাহ এবং তার রাসুলের
আনুগত্য করব তোমরা সে পর্যতই আমার অনুগত থাকবে ৷ আর যদি আমি আল্লাহ এবং তার
রাসুলের অবাধ্যত৷ করি তা হলে তোমাদের জন্য আমার আনুগত্যের অধিক৷ ৷র থাকবে না ৷ ”

অবধারিত করে দেন ৷ এবং কোন জা ৩অশ্লীল৩ ৷র বিস্তার যটালে আল্লাহ তাদের কে ব্যাপক
দুর্যোগ ও মাহাবিপদে অবশ্যই আক্রান্ত করেন ৷ আমি যতক্ষন আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের
আনুগত্য করব তোমরা সে পর্যতই আমার অনুগত থাকবে ৷ আর যদি আমি আল্লাহ এবং তার
রাসুলের অবাধ্যত৷ করি তা হলে তোমাদের জন্য আমার আনুগত্যের থাকবে না ৷

এবার সালাতের জন্য উঠ!অ আল্লাহ তোমাদের রহম করুন এটি একটি বিশুদ্ধ সনদ ৷ তবে
আমাকে তো মাদের কর্তৃতৃ দেয়৷ হয়েছে অথচ আ ৷মি তোম রুাদর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নই” আ বু বকরের এ
উক্তিতে রয়েছে তার স্বভাবজাত বিনয় ও শিষ্টাচারের প্রকাশ ৷ অন্যথায় তিনিই যে সাহাবীকুলের
শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম ব্যক্তি ছিলেন যে বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, হাফিযুল হাদীস আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ আলু
ইসৃফরাঈনী (র) আবু সাঈদ খুদ্রী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ওফাত হয়ে গেলে লোকেরা সাদ ইবন উবাদ৷ (রা) এর বাড়ীতে সমবেত হল ৷ র্তাদের
মাঝে আবু বকর ও উমর (রা)-ও ছিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আনসারীদের খভীব দাড়িয়ে
বললেন, আপনারা কি অবগত নন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন মুহাজিরদের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং


فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَكَانَتْ بَيْعَةُ الْعَامَّةِ عَلَى الْمِنْبَرِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ لِأَبِي بَكْرٍ: اصْعَدِ الْمِنْبَرَ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ عَامَّةً. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا بُويِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي السَّقِيفَةِ، وَكَانَ الْغَدُ جَلَسَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَقَامَ عُمَرُ فَتَكَلَّمَ قَبْلَ أَبِي بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ قُلْتُ لَكُمْ بِالْأَمْسِ مَقَالَةً مَا كَانَتْ مِمَّا وَجَدْتُهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَا كَانَتْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَرَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ سَيَدْبُرُ أَمْرَنَا - يَقُولُ: يَكُونُ آخِرَنَا - وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْقَى فِيكُمْ كِتَابَهُ الَّذِي بِهِ هَدَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ هَدَاكُمُ اللَّهُ لِمَا كَانَ هَدَاهُ لَهُ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَمَعَ أَمْرَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ ; صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَ النَّاسُ أَبَا بَكْرٍ بَيْعَةَ الْعَامَّةِ بَعْدَ بَيْعَةِ السَّقِيفَةِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ، فَإِنْ أَحْسَنْتُ فَأَعِينُونِي، وَإِنْ أَسَأْتُ فَقَوِّمُونِي، الصِّدْقُ أَمَانَةٌ وَالْكَذِبُ خِيَانَةٌ، وَالضَّعِيفُ فِيكُمْ قَوِيٌّ عِنْدِي حَتَّى أُرِيحَ عَلَيْهِ حَقَّهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَالْقَوِيُّ فِيكُمْ ضَعِيفٌ حَتَّى آخُذَ الْحَقَّ مِنْهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا يَدْعُ قَوْمٌ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا ضَرَبَهُمُ اللَّهُ بِالذُّلِّ، وَلَا تَشِيعُ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ إِلَّا عَمَّهُمُ اللَّهُ بِالْبَلَاءِ، أَطِيعُونِي مَا أَطَعْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِذَا عَصَيْتُ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ৪২২৮
وَرَسُولَهُ فَلَا طَاعَةَ لِي عَلَيْكُمْ، قُومُوا إِلَى صَلَاتِكُمْ يَرْحَمْكُمُ اللَّهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ فَقَوْلُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَلِيتُكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ. مِنْ بَابِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ، فَإِنَّهُمْ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُهُمْ وَخَيْرُهُمْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْحَافِظُ الْإِسْفَرَايِينِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا بُنْدَارُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ فِي دَارِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَفِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ. قَالَ: فَقَامَ خَطِيبُ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَخَلِيفَتُهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَنَحْنُ كُنَّا أَنْصَارَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ أَنْصَارُ خَلِيفَتِهِ كَمَا كُنَّا أَنْصَارَهُ. قَالَ: فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: صَدَقَ قَائِلُكُمْ. أَمَا لَوْ قُلْتُمْ غَيْرَ هَذَا لَمْ نُتَابِعْكُمْ. وَأَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ وَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَهُ عُمَرُ، وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ. قَالَ: فَصَعِدَ أَبُو بَكْرٍ الْمِنْبَرَ، فَنَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ الزُّبَيْرَ. قَالَ: فَدَعَا بِالزُّبَيْرِ فَجَاءَ، فَقَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَوَارِيُّهُ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! فَقَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৯


তার খলীফা ও স্থলভিষিক্তও হবেন যুহাজিরদের একজন ৷ আমরা ছিলাম আল্লাহর রাসুলের
আনসার ও সাহায্যকারী; সুতরাং আমরা এখনও তার খলীফার সাহায্যকারী থাকর, যেমন করে
আমরা তার সাহায্যকারী ছিলাম “বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় উমর (রা) দাড়িয়ে বললেন,
আপনাদের মুখপাত্র যথার্থই বলেছেন, তবে যদি আপনারা এর চাইতে অন্য কিছু বলে বসতেন
তবে আমরা আপনাদের হাতে বায়আেত হতাম না ৷ এ কথা বলে তিনি আবু বকরের হাত তুলে
ধরে বললেন, ইনিই আপনাদের নেতা, তার হাতে বায়আত করুন! তখন উমর (বা) তার হাতে
বায়আত করলেন এবং মুহাজির-আনসারগণও তার হাতে বায়আত হলেন ৷ বর্ণনাকাৰী বলেন,
তখন আবু বকর (রা) মিম্বরে উঠে বললেন এবং উপস্থিত জনতার দিকে দৃষ্টিপাত করে যুৰায়র
(রা) কে দেখতে পেলেন না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি যুবায়র-এর নাম ধরে ডাকলেন ৷ তিনি এসে গেলে বললেন,
“ভাবলড়াম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফুফাত ভাই এবং তার হাওয়ারী’ , নিঃস্বার্থ নিবেদিত প্রাণ
সহযোগী; তা আপনি কি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল সৃষ্টির সুচনা করতে যাচ্ছেন? তিনি বললেন,
আল্লাহর রাসুলের খলীফা ! না কোন সমস্যা ও আপত্তি নেই ! তখন তিনিও দাড়িয়ে বায়আত গ্রহণ
করলেন ৷ পরে আবু বকর (রা) আবার জনতার মাঝে দৃষ্টি ঘুরিয়ে আলী (রা)-কে দেখতে
পেলেন না ৷ তাই আলী ইবন আবু তালিব (রা)-এর নাম ধরে তিনি ডাকলেন ৷ তিনি এসে
গেলে বললেন, আমি ভাবছিলাম, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) এর চড়াচাত ভাই ও তার প্রিয়তমা কন্যা সুত্রে
তার জড়ামড়াতা; আপনি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল ধরাতে যাচ্ছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ্র
রাসুল (সা) এর খলীফা ! কোন অভিযোগ নেই ! পরে তিনিও বায়আত করলেন ৷ হাদীসটি
অনুরুপ কিত্বা এর সমর্থক ৷ আবু আলী আলু হাফিজ (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
ইবন খুযায়মা (র)-কে আমি বলতে শুনেছি, মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আমার কাছে এসে এ
হাদীসটি জিজ্ঞাসা করলে আমি তার জন্য এটি একটি চিরকুটে লিখে দিলাম এবং তাকে পড়ে
শুনিয়ে দিলাম ৷ এ হাদীসটি একটি উটের কিংবা এক থলে মুদ্রার সমমুল্যের ৷ বায়হাকী (র)-ও
ভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিনি আনসড়াবী মুখ পাত্রের বক্তব্যের জবাব
দানকারী রুপে উমর (রা)-এর স্থানে আবু বকর (রা)-এর নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে আরো
রয়েছে যে, যায়দ ইবন ছাবিত (বা) আবু বকর (বা) এর হাত ধরে বললেন, ইনিই আপনাদের
যােগ্যতম নেতা; সুতরাং তার হাতে বায়আত করুন ৷ তারপর তারা রওয়ানা করলেন
(মসজিদের দিকে) এবং আবু বকর (রা) মিম্বরে উঠে বললে জনতার দিকে তাকিয়ে আলী
(রা)-কে দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তখন একদল আনসড়াবী লোক উঠে
গিয়ে তাকে নিয়ে আসলেন ৷ তারপর পুবস্থিরুপ উল্লেখ করেছেন এবং আলী (রা)-ও পরে
যুবায়র (রা) এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ আলী ইবন আসিম (র)-
ও হাদীসটি আবু সাঈদ খুদরী (বা) হতে পুর্বানুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ সনদটি আবু
সাঈদ সাদ ইবন মালিক ইবন সিনান আল থুদরী (বা) হতে গৃহীত হাদীসের ক্ষেত্রে একটি
ৎরক্ষিত এবং অতি উত্তম সনদ ৷ এতে একটি গুবুতু পুর্ণ তথ্য পাওয়া যায় ৷ তা হল নবী
করীম (সা) এর ওফাংতর প্রথম কিৎবা দ্বিতীয় দিলেই আবু বকর (রা)-এর হাতে আলী ইবন
আবু তালিব (রা) এর বায়আত গ্রহণ ৷ বাস্তব ব্যাপারও তাই কোননা, আলী (রা) কখনোই
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন নি এবং তার পিছনে কোনও সালাতে


اللَّهِ. فَقَامَ فَبَايَعَهُ ثُمَّ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ عَلِيًّا فَدَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَجَاءَ. فَقَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَبَايَعَهُ. هَذَا أَوْ مَعْنَاهُ. قَالَ أَبُو عَلِيٍّ الْحَافِظُ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ يَقُولُ: جَاءَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، فَسَأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَكَتَبْتُهُ لَهُ فِي رُقْعَةٍ، وَقَرَأْتُهُ عَلَيْهِ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ يَسْوَى بَدَنَةً، فَقُلْتُ: يَسْوَى بَدَنَةً؟ ! بَلْ يَسْوَى بَدْرَةً. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَأَبِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَامِدٍ الْمُقْرِئِ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ الْأَصَمِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ شَاكِرٍ، عَنْ عَفَّانَ بْنِ سَلْمٍ، عَنْ وُهَيْبٍ بِهِ. وَلَكَنْ ذَكَرَ أَنَّ الصِّدِّيقَ هُوَ الْقَائِلُ لِخَطِيبِ الْأَنْصَارِ بَدَلَ عُمَرَ. وَفِيهِ: أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ، ثُمَّ انْطَلَقُوا. فَلَمَّا قَعَدَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ عَلِيًّا، فَسَأَلَ عَنْهُ، فَقَامَ نَاسٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَأَتَوْا بِهِ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الزُّبَيْرِ بَعْدِ عَلِيٍّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنِ الثِّقَةِ، عَنْ وُهَيْبٍ، مُخْتَصَرًا. وَقَدْ رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪২৩০


অনুপস্থিত থাকেন নি৷ বিশদ আলোচনা পরে আসছে ৷ রিদ্দা : ( ধর্যত্যাগী বিদ্রোহ) দমন
অভিযানে আবু বকর (রা)-কােষমুক্ত তরবারী নিয়ে অগ্রগামী হলে (দৃঢ় সংকল্পতা দেখালে)
যুল-কাস্সা অভিমুখে আলী (রা)-ও তার সহযোদ্ধা হয়েছিলেন ৷ তবে আবু বকর (রা)-এর
সাথে ফাতিমা (না)-এর মনােমালিন্য দেখা দিলে আলী (রা) নবী তনয়ার খাতিরে
সাময়িকভাবে বাহ্যত সম্পকহীনতার ভাব অবলম্বন করেছিলেন ৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ
ফাতিমা (রা)-এর ধারণা ছিল যে, তিনি কন্যা হিসাবে রাসুল (না)-এর (ব্যক্তি অধিকারে
সংরক্ষিত খাস ভুমির) মীরাছ পাওয়ার অধিকারীণী ৷ যেহেতু তিনি আবু বকর (রা) কর্তৃক
অবহিত করার পুর্ব পর্যন্ত নবী করীম শ্(সা)-এর এ বাণী সম্পর্কে অবগত ছিলেন না যে, নবী
করীম (সা) বলেছেন ন্এন্ন্এঙুশুক্ট ৷ার্ন্ত;ওত্রুএ গ্নেষ্দ্বু >! “আমরা (নবী-রাসুলরা) মীরাছরুপে কোন
কিছু রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা ৷ “ফাতিমা (বা) তার নিজস্ব ধারণা সুত্রে“
ঘীরাছের অধিকার দাবী করলে আবু বকর (বা) উক্ত সুস্পষ্ঠ ভায্যের জোরে তা প্রদানে
অস্বীকৃত হলেন ৷ ঐ বিধান বলেই নবী করীম (না)-এর স্তীগণ ও তার চাচা (আব্বাস)-কেও
কােনরুপ অধিকার প্রদান এবং মীরাছ প্রদানে অস্বীকৃত হলেন (যথাস্থানে বর্ণনা আছে ৷ তখন
ফাতিমা (রা) খায়বার ও ফড়াদাকে অবস্থিত সাদাকার সম্পত্তিতে (আলী কে) তত্তুাবধায়ক রুপে
দায়িত্ব অর্পণের জন্য আবু বকর (রা)-এর কাছে আবেদন জানালেন ৷ কিন্তু আবু বকর (বা)
তার এ আবেদন গ্রহ্যণ সম্মত হলেন না ৷ র্তার যুক্তি ছিল এই যে, নবী করীম (না) যে সব
দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতেন এবং তিনি যে সব অধিকার সংরক্ষণ করতেন রাসুলের খলীফা
ও স্থলাভিষিক্তরুপে তার যে সব দায়িত্ব কতর্ব্যও অধিকার রয়েছে (মোট কথা ফাতিমা (রা)-
এর আবেদন, গ্রহণে সম্মত হলেন না) ৷ তিনি এ ক্ষেত্রে ছিলেন সত্য-ন্যায়ের অনুপামী
জনকল্যাণকামীও সততাপরায়ণ পুণ্যবান খলীফা ৷ ফলে ফাতিমা (রা)-এর মনে-যিনি অবশেষে
একজন নারীই এবং যিনি স্বভাবজাত চাহিদাঅনুভুতি দুর্বলতার উচর্ধ্ব নন উস্মা ও অসন্তোষের
সৃষ্টি হল এবং মৃত্যু পর্যন্ত সিদ্দীক (রা)-এর সাথে (পুনরায় কোন আলোচনা) কথাবার্তা বললেন
না ৷ এ সব কারণে আলী (বা) কতকাংশে তার মনোরঞ্জন প্রয়োজনীয় মনে করলেন ৷ নবী
করীম (না)-এর ওফাতের ছয় মাস পরে ফাতিমা (রা)-এর ইনতিকাল হল আলী (রা) আবু
বকর (রা)-এর হাতে বায়আতের নবায়ন সমীচীন মনে করলেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের বরাতে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দাফনের পুর্বে আলী (রা)-এর বায়আত ও আনৃষৎগিক বিষয় আমরা
আলোচনা করব ৷ এ ছাড়া মাগাষীতে মুসা ইবন উকবা (র) এর উক্তি উল্লিখিত দাবীর বিশুদ্ধতা
প্ৰমাণে অন্যতম সহায়ক ৷ তিনি বলেছেন, সাদ ইবন ইবরাহীম (র) হতে, এ মর্মে যে,
ইব্রাহীম-এর পিতা আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) ঘটনার সময় উমর (রা)-এর সঙ্গে
ছিলেন, এবং মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) যুবায়র (রা)-এর তরবারী ভেৎগে ফেলেছিলেন ৷
তারপর জনতার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে আবু বকর (বা) তার বাধ্যবাধকতার কথা বর্ণনা করে
বললেন, “আমি দিবা-রাত্রির কোন মুহুর্তে আমীর পদের প্রতি লালায়িত ছিলাম না এবং
প্রকাশ্যে কিৎবা গোপনে এর জন্য কোন তদবীর বা প্রাথর্নাও করি নি ৷” তখন ঘুহাজিরগণ ৷
তার এ বক্তব্যের স্বীকৃতি দিলেন ৷ ওদিকে আলী ও যুবায়র (রা) বললেন, আমাদের উম্মার
কারণ শুধু এতর্টুকু যে, পরামর্শ ক্ষেত্রে আমাদের পেছনে রাখা হয়েছিল ৷ এবং আমরা বিশ্বাস
করি যে, আবু বকরই এ বিষয়ে সর্বাধিক হকদার ব্যক্তি ৷ কেননা তিনি পুহার (একান্ত) সঙ্গী ৷


نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ مَحْفُوظٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نَضْرَةَ الْمُنْذِرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ قِطْعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ سَعْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ الْخُدْرِيِّ، وَفِيهِ فَائِدَةٌ جَلِيلَةٌ وَهِيَ مُبَايَعَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِمَّا فِي أَوَّلِ يَوْمٍ أَوْ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي مِنَ الْوَفَاةِ. وَهَذَا حَقٌّ فَإِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ لَمْ يُفَارِقِ الصِّدِّيقَ فِي وَقْتٍ مِنَ الْأَوْقَاتِ، وَلَمْ يَنْقَطِعْ فِي صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ خَلْفَهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ وَخَرَجَ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، لَمَّا خَرَجَ الصِّدِّيقُ شَاهِرًا سَيْفَهُ يُرِيدُ قِتَالَ أَهْلِ الرِّدَّةِ كَمَا سَنُبِيِّنُهُ قَرِيبًا، وَلَكِنْ لَمَّا حَصَلَ مِنْ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَتْبٌ عَلَى الصِّدِّيقِ بِسَبَبِ مَا كَانَتْ مُتَوَهِّمَةً مِنْ أَنَّهَا تَسْتَحِقُّ مِيرَاثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ تَعْلَمْ بِمَا أَخْبَرَهَا بِهِ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» فَحَجَبَهَا وَغَيْرَهَا مِنْ أَزْوَاجِهِ وَعَمَّهُ عَنِ الْمِيرَاثِ بِهَذَا النَّصِّ الصَّرِيحِ، كَمَا سَنُبَيِّنُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، فَسَأَلَتْهُ أَنْ يَنْظُرَ عَلِيٌّ زَوْجُهَا فِي صَدَقَةِ الْأَرْضِ الَّتِي بِخَيْبَرَ وَفَدَكَ، فَلَمْ يُجِبْهَا إِلَى ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ رَأَى أَنَّ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَقُومَ فِي جَمِيعِ مَا كَانَ يَتَوَلَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ الرَّاشِدُ التَّابِعُ لِلْحَقِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَحَصَلَ لَهَا - وَهِيَ امْرَأَةٌ مِنَ الْبَشَرِ لَيْسَتْ بِوَاجِبَةِ الْعِصْمَةِ - عَتْبٌ وَتَغَضُّبٌ، وَلَمْ تُكَلِّمِ الصِّدِّيقَ حَتَّى مَاتَتْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَاحْتَاجَ عَلِيٌّ أَنْ يُرَاعِيَ خَاطِرَهَا بَعْضَ الشَّيْءِ، فَلَمَّا مَاتَتْ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَفَاةِ أَبِيهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلِيٌّ أَنْ يُجَدِّدَ الْبَيْعَةَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا سَنَذْكُرُهُ مِنْ " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، مَعَ مَا تَقَدَّمَ لَهُ مِنَ الْبَيْعَةِ قَبْلَ دَفْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَيَزِيدُ ذَلِكَ صِحَّةً قَوْلُ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "،
পৃষ্ঠা - ৪২৩১
عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ كَانَ مَعَ عُمَرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ كَسَرَ سَيْفَ الزُّبَيْرِ ثُمَّ خَطَبَ أَبُو بَكْرٍ، وَاعْتَذَرَ إِلَى النَّاسِ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ حَرِيصًا عَلَى الْإِمَارَةِ يَوْمًا وَلَا لَيْلَةً، وَلَا سَأَلْتُهَا اللَّهَ فِي سِرٍّ وَلَا عَلَانِيَةٍ. فَقَبِلَ الْمُهَاجِرُونَ مَقَالَتَهُ، وَقَالَ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ: مَا غَضِبْنَا إِلَّا لِأَنَّا أُخِّرْنَا عَنِ الْمَشُورَةِ، وَإِنَّا نَرَى أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَحَقُّ النَّاسِ بِهَا، إِنَّهُ لَصَاحِبُ الْغَارِ وَإِنَّا لَنَعْرِفُ شَرَفَهُ وَخَبَرَهُ، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ بِالنَّاسِ وَهُوَ حَيٌّ. إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৪২৩২


এ ছাড়া তার মাহড়াত্ম্য ও প্রজ্ঞতার কথা তো আমাদের জানাই রয়েছে ৷ তদুপরি, রাসুলুল্লাহ্
(না) তার জীবদ্দশায়ই তো তাকে লোকদের সড়ালাতে ইমামতি করার নিদের্শ দিয়েছিলেন ৷ এ
সনছন্টি বেশ উত্তম ৷ সমস্ত প্রশৎ না ও অনৃকম্পা আ ল্লোহ্রই ৷

অনুচ্ছেদ : উল্লিখিত আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করলে যে কোন পাঠকের
দৃষ্টিতে আবু বকর (রা) কে অগ্রণী রাখার ব্যাপারে মুহা ৷জির ও আনসার ভারত সাহাবায়ে
কিরামের ইজমড়াও ঐকমত্য সুন্ংপ্ষ্টিরুগে প্ৰতিভাত হবে ৷ সে সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
(আগাম) উক্তি “আল্লাহ এবং ঘু মিনগণ আবু বকর ব্যতীত অন্য যে কা ৷উকে প্রত্যাখ্যান করবে,
উক্তির যথার্থতা প্রতিভা ত হবে৷ এ ছাড়া এ কথারও প্রীতি জন্মাবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
খিলাফতের ব্যাপারে কোন ব্যক্তিবিশেষের অনুকুলে সুনির্দিষ্টভা ভাষ্য রেখে যান নি ৷ আবু বকর
(রা) এর অনুকুলেও নয়-যদিও আহ্লে সুন্নাত জামাআতের একদল তেমন দাবী করেছেন এবং
আলী (বা) এর অনুকুলেও নয় ৷ যেমনটি একদল রাফেষী (খারেজী) বলে থাকে ৷

তবে, হী, তিনি সুস্পষ্ট আভাষ দিয়ে গিয়েছেন ৷ সে ইঙ্গিত এতই জোরালো যে, যে কোন
বুদ্ধিমত্তার অধিকারী জ্ঞানরান তা দিয়ে আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর প্রতি ইঙ্গিত অনুধাবন
করতে পারে আলোচনা র্শীঘই আসছে ৷ যেমন বুখারী-মুসলিমে, উদ্ধৃত হয়েছে, হিশাম ইবন
উয়ওয়া (র) ইবন উনার (রা) সুত্রে এ মর্মে যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে আহত করা হলে
তাকে জিজ্ঞাসা করা হল ৷ আমীরুল ঘু’মিনীন ৷ আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না
কেন? তিনি বললেন, আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যাই, তবে (তা করতে পারি
কেননা) আমার চেয়ে যিনি উত্তম, (অর্থাৎ আবু বকর) তিনি খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন ৷
আর যদি আমি ব্যাপারটি অমীমাংসিত রেখে দিয়ে যাই, তবে (তাও করতে পারি কেননা),
আমার চাইতে যিনি উত্তম অর্থাৎ খােদ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও বিষয়টি উন্মুক্ত রেখে দিয়ে
গিয়েছিলেন ৷ ইবন উমর (রা) বলেন তার এমত জবাবদানে যখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নাম উল্লেখ করলেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি খঃলীফা মনোনীত করে যাচ্ছেন না ৷
“সুফিয়ান ছাওরী (র) বলেছেন, আসর ইবন কড়ায়স (র) আমৃর ইবন সুফিয়ান (বা) হতে, তিনি
বললেন, আলী (রা) যখন জনতার উপরে প্রাধান্য (ও বিজয়) লাভ করলেন তখন তিনি
বললেন, সমবেত জনতা! এ খিলাফত ও নেতৃত্বের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের কাছে
কোন আদেশ অঙ্গীকার রেখে যাননি ৷ আমরা অবশেষে আমাদের চিন্তা ও বিবেচনা দিয়ে এ
সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, আবু বকর (রা)-কেই খলীফা মনোনীত করা উচিত ৷ তিনি তার
কর্তব্য পালন করলেন এবং তাতে সঠিক পন্থা অনুসরণ করে অবশেষে তার পথে’ চলে
গেলেন ৷ আবু বকর (রা) তার সুচিন্তিত রায় অনুযায়ী উমর (রা)-কে খলীফা মনোনীত করে
যাওয়া সমীচীন মনে করলেন ৷ তিনিও র্তার কর্তব্য পালনে সঠিক পন্থা অবলম্বন করে চললেন
এবং তার পথে চলে গেলেন, কিৎবা বর্ণনাকারী বলেছেন তিনি দীন প্রতিষ্ঠায় তার সর্বশক্তি
নিয়োগ করে তা সর্বব্যাপী করে গেলেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র) আমৃর
ইবন সুফিয়ান (বা) হতে, তিনি বলেন, আলী (রা)-এর প্রধান্য অর্জনের সময় বসৃরা দিবসে’
এক ব্যক্তি বক্তৃতা করছিলেন ৷ আলী (রা) বললেন, ওহে প্রাঞ্জল ভাষী বক্তা ! রাসুলুল্লাহ্ (না)
(তার রিসালাতের দায়িতু সুচ৷ কভা বে আঞ্জাম দিয়ে) আগেই চলে গেলেন ৷ আবু বকর ইমাম
হয়ে সালাত আদায় করলেন এবং উমর নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন তৃতীয় পর্যায়ে ৷ তারপর


[فَصْلُ إِجْمَاعِ الصَّحَابَةِ عَلَى تَقْدِيمِ أَبِي بَكْرٍ] فَصْلٌ وَمَنْ تَأَمَّلَ مَا ذَكَرْنَاهُ ظَهَرَ لَهُ إِجْمَاعُ الصَّحَابَةِ - الْمُهَاجِرِينَ مِنْهُمْ وَالْأَنْصَارِ - عَلَى تَقْدِيمِ أَبِي بَكْرٍ، وَظَهَرَ بُرْهَانُ قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ ".» وَظَهَرَ لَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنُصَّ عَلَى الْخِلَافَةِ عَيْنًا لِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ، لَا لِأَبِي بَكْرٍ كَمَا قَدْ زَعَمَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ، وَلَا لَعَلِّي كَمَا يَقُولُهُ طَائِفَةُ الرَّافِضَةِ، وَلَكِنْ أَشَارَ إِشَارَةً قَوِيَّةً يَفْهَمُهَا كُلُّ ذِي لُبٍّ وَعَقْلٍ إِلَى الصِّدِّيقِ، كَمَا قَدَّمْنَا وَكَمَا سَنَذْكُرُهُ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لَمَّا طُعِنَ قِيلَ لَهُ: أَلَا تَسْتَخْلِفُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: إِنْ أَسْتَخْلِفْ فَقَدِ اسْتَخْلَفَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ - وَإِنْ أَتْرُكْ فَقَدْ تَرَكَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي. يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَعَرَفْتُ حِينَ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ قَالَ: لَمَّا ظَهَرَ عَلِيٌّ عَلَى النَّاسِ يَوْمَ الْجَمَلِ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৩


আমাদের এসব বক্তৃতা বিবৃতি তাদের পরে উদ্ভুত ফিত্ন৷ ও বিশৃৎখলা বৈ কিছু নয় ৷ আল্লাহ্
তাতে যা ইচ্ছা তা করবেন ৷

হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, হাফিযুল হাদীস আবু আবদুল্লাহ (র) এবং আবদুল্লাহ ইবন
রাওহ আল মাদাইনী (র) আবু ওয়াইল (র) হতে, তিনি বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (রা)-
কে জিজ্ঞেস করা হল ৷ আপনি আমাদের জন্য কি খলীফ৷ মনোনীত করবেন না ? তিনি
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তো খলীফা মনোনীত করে মান নি, তা হলে তো আমি খলীফা
মনোনীত করতাম ৷ তবে আল্লাহ যদি জনমানবের কল্যাণ পসন্দ করেন তা হলে আমার পরে
তাদেরকে তাদের মাঝের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির ব্যাপারে একতড়াবদ্ধ করে দিবেন ৷ যেমন র্তাদের নবীর
পরে তাদেরকে তাদের (শ্রষ্ঠ ব্যক্তির ব্যাপারে একমত করে দিয়েছিলেন ৷ সনদটি বেশ উত্তম;
তবে সিহাহ্ সিত্তা র গ্রস্থুকারগ ৷ণ তা উদ্ধৃত করেনি ৷ এ ছাড়া যুহ্রী (র) ইবন আব্বাস (রা)
সনদে, বুখারী (র) এর আহরিত হা ৷দীসটি আমরা ইতে তাপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ যাতে বলা
হয়েছে যে আব্বাস ও আলী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর (অসুস্থতা কড়ালে৩ তার) নিকট হতে বের
হয়ে এলে জনৈক ব্যক্তি বলল, রাসুলুল্লাহ্ (না) এখন কেমন রয়েছেন ? আলী (বা) বললেন,
আলহামদুলিল্লাহ্ ! তিনি আজ সকালে সুস্থই আছেন ৷ তখন আব্বাস (বা) বললেন, তুমি
আল্লাহ্র কলম! তিন দিন পরেই (অন্যের) লাঠির গোলাম হবে ! হাশির্মীদের ঢেহারায় মৃত্যুর
আলামত চিনতে ”আমি পারদর্শী ৷ আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর ঢেহারায় মৃত্যুর আলামত
দেখতে পাচ্ছি ৷ তাই, চলো, তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি এ (নেতৃত্বের) বিষয়টি কাদের
মাঝে থাকবেঃ যদি আমাদের মাঝেই থাকে তবে তা আমরা জেনে নিলাম ৷ আর আমাদের
ব্যতীত অন্যদের মাঝে হলে আমরা তাকে বলব ৷ তিনি তার কাছে আমাদের জন্য অসিয়ত
করে যাবেন ৷” তখন আলী (বা) বললেন, আমি কখনো তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব না ৷
আল্লাহর কলম! তিনি আমাদের জন্য নিষেধ করলে তার পরে লোকেরা কখনো তা
আমাদেরকে দিতে সম্মত হবে না ৷ ” মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) এ হাদীসটি যুহ্রী (র) হতে
সনদে উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে তিনি বলেছেন, র্তার৷ দুজন র্তা ৷র (সা) ওফা ৷ত হয়ে যাওয়ার
দিন তার কাছে গেলেন ৷ এ রিওয়ায়াতের শেষ ভাগে রয়েছে এ দিনের প্রথম প্রহরের বেলা
যে ( দ পেলে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করলেন ৷

গ্রস্থকারের ওম্ভেব্যষ্ সুতরাং ঘটনাটি ছিল ওফাত দিবস সােমবড়ারে ৷ এ বর্ণনা প্রমাণ করে
যে, নবী করীম (সা) ইমাম বা আমীর মনোনয়ন বিষয়ে কো ন অসিয়ত না করেই ইনতিকাল
করেছিলেনা ৷ (অনুরুপ) সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে ইবন আব্বাস (রা)এর উক্তি রয়েছে সংকট মহা
ৎবল্ট, যা প্ৰতিবন্ধক হয়েছিল রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তার ঐ লিখনী লিখে দেয়ার মাঝে ৷”
আগে আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (না) তাদের জন্য এমন একটি লিপি লিখে
দেয়ার বড়াসন৷ প্রকাশ করেছিলেন য়ার পরে তারা বিভ্রান্ত হবে না ৷” কিন্তু তারা তার কাছে হৈচৈ
ও মাতানৈক্য শুরু করলে তিনি বলেছিলেন “আমার এ খড়ান হতে ৩উঠে যাও ৷ কেননা আ ৷মি য়ার
মাঝে রয়েছি, তা তে তামরা মার দিকে আমাকে আহ্বান করছ তার চ৷ ৷ইতে উত্তম ৷” আমরা এ
কথার উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (না)-এর পরে বলেছিলেন,৷ অ ৷ল্লাহ্ এবং ঈমানদারগ ণ্া৷
আবু বকর ব্যতীত অন্য যে কাউকে অ্যাহ্য করবে ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে আবদুল্লাহ ইবন আওন (র) ,


لَمْ يَعْهَدْ إِلَيْنَا فِي هَذِهِ الْإِمَارَةِ شَيْئًا، حَتَّى رَأَيْنَا مِنَ الرَّأْيِ أَنْ نَسْتَخْلِفَ أَبَا بَكْرٍ، فَأَقَامَ وَاسْتَقَامَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، ثُمَّ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَأَى مِنَ الرَّأْيِ أَنْ يَسْتَخْلِفَ عُمَرَ فَأَقَامَ وَاسْتَقَامَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ. أَوْ قَالَ: حَتَّى ضَرَبَ الدِّينُ بِجِرَانِهِ إِلَى آخِرِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ثَنَا شَرِيكٌ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ قَالَ: خَطَبَ رَجُلٌ يَوْمَ الْبَصْرَةِ حِينَ ظَهَرَ عَلِيٌّ، فَقَالَ عَلِيٌّ: هَذَا الْخَطِيبُ الشَّحْشَحُ! سَبَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ، وَثَلَّثَ عُمَرُ، ثُمَّ خَبَطَتْنَا فِتْنَةٌ بَعْدَهُمْ يَصْنَعُ اللَّهُ فِيهَا مَا يَشَاءُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْمُزَكِّي بِمَرْوَ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوْحٍ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ ثَنَا شُعَيْبُ بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: قِيلَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَلَا تَسْتَخْلِفُ عَلَيْنَا؟ فَقَالَ: مَا اسْتَخْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَخْلِفَ، وَلَكِنْ إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِالنَّاسِ خَيْرًا فَسَيَجْمَعُهُمْ بَعْدِي عَلَى خَيْرِهِمْ، كَمَا جَمَعَهُمْ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ عَلَى خَيْرِهِمْ. إِسْنَادٌ جَيِّدٌ وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৪

আসৃওয়াদ (র) হতে, তিনি বলেন, আইশা (রা)-কে বলা হল, এরা তাে বলে বেড়াচ্ছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (না)-এর কাছে ওসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ আইশা (রা) বললেন, (কখন)
কোন বিষয় তার কাছে অসিয়ত করে পেলেন? (শেষ সময় তাে ) তিনি পেশার করার জন্য
একটা পাত্র আনতে বললেন; আমি তাকে আমার বুকের সাথে হেলান দেয়া অবস্থায়
রেখেছিলাম ৷ তিনি কাত হয়ে পড়লেন এবং ইনতিকাল করলেন ৷ অথচ আমি তা অনুভব
করতেও পারলাম না ৷ তা হলে এরা কোন সুত্রে দাবী করছে যে তিনি আলী (রা)-এর কাছে
ওসিয়ত করে গিয়েছেন?

সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক ইবন মিগৃওয়াল (র) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তাল্হা ইবন
ঘুসাররিফ (র) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি কোন অসিয়ত করে নিয়েছেন? তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে
আমাদের অসিয়ত করার আদেশ দেয়া হল কেন? তখন তিনি বললেন, হী তিনি মহান-মহীয়ান
আল্লাহ্র কিতাব (আকড়ে থাকা)-এর অসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ তাল্হড়া ইবন যুসাররিফ (র)
আরো বলেন, হুযায়ল ইবন শুরাহ্বীল বলেছেন, “আবু বকর নাকি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
মনোনীত ওসী-র উপরে সদরীি-মাতববরী ফালাতে গিয়েছেন ৷ আবু বকরের বাসনড়া, তিনি
ব্লাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে একটি অংগীকার ঘোষণা পেয়ে গিয়েছিলেন, আর তিনি নিজের নাকের
ডগাটা ভেত্গে দিয়েছিলেন ৷” সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে আরো রয়েছে আমাশ (র) ইবরাহীম (র)
সনদের হাদীস ৷ ইব্রাহীম তায়মী (র)-এর পিতা বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (রা)
আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, যারা বলে বেড়ায় যে, আমার কাছে আল্লাহ্র
কিতাব এবং এ সহীফা (পুস্তিকা) ৷ তার তরবারীর খাপের সাথে ঝুলানাে কতকগুলি পৃষ্ঠা যাতে
রয়েছে (যাকাতের উট সম্পর্কিত বয়সের বিবরণ এবং বিভিন্ন ধরনের যখন সম্পর্কিত কতক
দণ্ডবিধির আলোচনা) ব্যতীত অন্য কিছু রয়েছে যা আমরা (কুরআন রুপে) পাঠ করে থাকি,
তারা কি মিথ্যা বলেছে ৷ সে সহীফায় এ বিষয়টিও ছিল ৷ আলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন-

ঞা ব্লুা১ ৷ ৰুাএে ৷ট্র শু গ্র৷ ,৷ ৷ট্র ৷,ৰুৰুব্র ৫১১৷ ব্লু এদ্বুণ্ চুো৷গ্লুপ্লু; ৰু,ণ্ডু ঢ় ণ্প্লু ম্বু১প্লুা৷
ঞ ১৷ প্রুা ৷া৷, শ্ব১; ১াএ ৷এ্) মৰুাৰুওা৷ ণ্ড্রুপ্লু ত্রা ;১;প্রু ১৷ :প্লু; ষ্৷ ধ্,,ঘুা৷এ খ্যাঃা,
শ্ব১; ১াএ ৷১গ্লু মা,-ব্লুা৷ শ্রু গ্রু £া৷ এ ১৷ ঞ ১৷ প্রুা৷, খ্যাঃা, ঞা ওও৷ শ্া ান্ধ্র ণ্াপ্লুা৷ৰুমোঃ
ফ্লোএো৷এ এ্যা, ঞা ব্লু৮৷ ৰুান্ও এে )ব্লণ্রুন্৷ প্রুব্র ণ্১া১১৷ ৷, শুন্,ষ্ :১১ , স্পে৷ ম,
“মদীনা অড়ায়র (পবর্ত) হতে ছাওর (পবর্ত সীমা)পর্যম্ভ হারাম’ (হেরেম-সম্মানিত ও)
নিষিদ্ধ’ এলাকা ৷ যে এখানে কোন ৰিদআত (নতুন মতবাদ) উদ্ভাবন করবে, কিংবা কোন
বিদআতীকে আশ্রয় দেবে তার উপরে আল্লাহ্ এবং ফিরশৃতাকুল ও মানবকুলের সকলের
লানত ৷ কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার ফরয-নফল কোন ইবাদতই করল করবেন না ৷ যে

ব্যক্তি তার পিতা ব্যতীত অন্য কারো সাথে জন্ম (ও বংশ) সুত্রের দাবী করবে কিংবা যে


قَدَّمْنَا مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبَّاسًا وَعَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لَمَّا خَرَجَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ: كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ بَارِئًا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: إِنَّكَ وَاللَّهِ بَعْدَ ثَلَاثٍ عَبْدُ الْعَصَا، إِنِّي لَأَعْرِفُ فِي وُجُوهِ بَنِي هَاشِمٍ الْمَوْتَ، وَإِنِّي لِأَرَى فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَوْتَ، فَاذْهَبْ بِنَا إِلَيْهِ فَنَسْأَلُهُ فَيَمَنْ هَذَا الْأَمْرُ، فَإِنْ كَانَ فِينَا عَرَفْنَاهُ، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِنَا أَمَرْنَاهُ فَوَصَّاهُ بِنَا. فَقَالَ عَلِيٌّ إِنِّي لَا أَسْأَلُهُ ذَلِكَ، وَاللَّهِ إِنْ مَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ أَبَدًا. وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ فِي آخِرِهِ: فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اشْتَدَّ الضُّحَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ. قُلْتُ: فَهَذَا يَكُونُ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمِ الْوَفَاةِ. فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ عَنْ غَيْرِ وَصِيَّةٍ فِي الْإِمَارَةِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ الرَّزِيَّةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ مَا حَالَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ ذَلِكَ الْكِتَابَ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ طَلَبَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ كِتَابًا لَنْ يَضِلُّوا بَعْدَهُ، فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغَطَ وَالِاخْتِلَافَ عِنْدَهُ قَالَ «قُومُوا
পৃষ্ঠা - ৪২৩৫
عَنِّي فَمَا أَنَا فِيهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ» وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ» . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: قِيلَ لِعَائِشَةَ: إِنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ. فَقَالَتْ: بِمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ؟ ! لَقَدْ دَعَا بِطَسْتٍ لِيَبُولَ فِيهَا وَأَنَا مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، فَانْخَنَثَ، فَمَاتَ وَمَا شَعَرْتُ ; فِيمَ يَقُولُ هَؤُلَاءِ إِنَّهُ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ؟ ! . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى: هَلْ أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَلِمَ أُمِرْنَا بِالْوَصِيَّةِ؟ قَالَ: أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ طَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفٍ: وَقَالَ هُزَيْلُ بْنُ شُرَحْبِيلَ: أَبُو بَكْرٍ يَتَأَمَّرُ عَلَى وَصِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ !
পৃষ্ঠা - ৪২৩৬
৪১৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহারাংমােজ্যো৪
(গোলাম) তার মনির ব্যতীত অন্য কারো সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করবে তার উপরে আল্লাহর
লাট্রুনাত এবং ফিরিশতাকুল ও মানবকুলের সকলের অভিশাপ ! কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার
কোন ফরয-নফল কবুল করবেন না ৷ মুসলমানদের যিম্মা’ (নিরাপত্তা দানের অংগীকার) এক
ও অভিন্ন তা সম্পাদনে তাদের বিশিষ্ট হতে সাধারণ পর্যন্ত সকলে যথাসাধ্য করবে ৷ সুতরাং যে
ব্যক্তি কোন মুসলমানের (দেয়া অংগীকারের ব্যাপারে তার) সাথে খিয়ানভ ও ৰিশ্বাসঘাতকতা
করবে তার উপরে আল্লাহ্ এবং ফিবিশতাকুল ও মানবকুলের সকলের লানত ৷ কিয়ামত দিবসে
আল্লাহ তার ফরযও গ্রহণ করবেন না, নফলও না ৷ ” সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়সহ অন্যান্য গ্রন্থে উদ্ধৃত এ
বিশুদ্ধ হাদীসখানি, যা থােদ আলী (বা) হতে বর্ণিত, রাফিযী উপদলের তথাকথিত দাবী
প্রত্যাখ্যান করে (যাতে বলা হয়েছে) যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (না)-এর কাছে (তারই
অনুকুলে) খিলাফতের অসিয়ত করে গিয়েছিলেন ৷ কেননা, বাস্তব ব্যাপার তাদের দাবীর
অনুরুপ হলে অবশ্যই একজন সাহাৰীও তা রদ করতেন না ৷ কেননা, আল্লাহ্ এবং তার রাসুল
(সা) এর প্রতি তার হারাতে এবং তার ওফাংতর পরেও সাহাবীপণের আনুগত্য ছিল নিঃশর্ত ও
নিরংকুশ এবং সব সন্দেহও দ্বিধার উধের্ব ৷ সুতরাং রাসুল (সা) এর সুস্পষ্ট আদেশ লঙ্ঘন করে
এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে তারই মনোনীত ব্যক্তিকে পিছনে হটিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে
অগ্নবর্তী করা তাদের পক্ষে কল্পনাভীত ব্যাপার ৷ এমন হতেই পরে না ৷ কিছুতে না ! কখনো
না৷ ৷ বরং সাহাবাই কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম সম্পর্কে যে কেউ এহেন হীন ধারণা পোষণ
করবে তাদের সকলকেই ফাসির্কী ও শরীআতের সীমা লংঘন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
আদেশও স্পষ্ট ভাষ্যের সাথে হটকারিতা ও বিরুদ্ধবাদীতার আচরণে অভিযুক্ত করবে ৷

আর কোন লোকের দুঃসাহসের মাত্রা এ চরম সীমড়ায় পৌছে গেলে যে নিজের গর্দান থেকে
ইসলামের র্বাধন ছিড়ে ফেলার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হবে এবং মহান বিদ্বান ইমামপণের
সর্বসম্মত অভিমতে কাফির হয়ে যাবে ৷ ফলে তার খুন প্রবাহিত করা মদ ঢেলে ফেলে দেয়ার
চেয়ে অধিকতর হালাল ও পবিত্রতর কাজ সাব্যস্ত হবে ৷ অপর দিকে, আলী (রা)-র কাছে যদি
এ ধরনের কোন দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট নির্দেশ থেকে থাকতো তবে তিনি কেন সাহাবীপণের উপরে
তার নেতৃতৃ-কতৃতু ইমামাত সাব্যস্ত করার প্রমাণরুপে তা তাদের সামনে উপস্থাপন করলেন
না ? যদি বলা হয় যে, তার কাছে বিদ্যমান ভাষ্য ও নির্দেশ বাস্তবায়নে তিনি সক্ষম ছিলেন না;
তবে তো তিনি একজন অক্ষম অপারগ ৷ আর কোন অক্ষম ব্যক্তি নেতৃত্বের জন্য উপযোগী
পাত্র হতে পারেন না ৷

আর যদি (বেলা হয় যে) সক্ষম হওয়া সত্বেও তিনি তা করতে যান নি, তবে তো তিনি
খিয়ানতের অপরাধে অভিযুক্ত ৷ আর খিয়ানাত কড়ারী ফাসিককে তো নেতৃৎ হতে পদচ্যুতও
অপসারিত করা কর্তব্য ৷ আর যদি এ ভাষ্য সম্বন্ধে তার কোন অবগতিই না থেকে থাকে তবে
তো তিনি অজ্ঞ ৷ আবার কিছু দিন পরে সেই তিনিই কি তা জানলেন এবং অন্যদের অবগত
করলেন! অসম্ভব ! বানােয়টি ! অকাট মুর্থতা৷ বিভ্রান্তি ! ! এহেন ফুধারণা ও কুযুক্তির উৎপাদন
ক্ষেত্রে হল ইতর ও গণ্ড-মুর্থদের উর্বর মস্তিষ্ক এবং তা কেউ চিনে না এমন বিশেষজ্ঞদের
মেধাপ্রসুত, যা কোন যুক্তি প্রমাণ ব্যতািরকে শয়তান তাদের দৃষ্টিতে সৃসজ্জিত করে তোলে ৷
না, বরং এ হচ্ছে পায়ের জোরে বাগাড়ম্বর ও প্ৰলাপ, তাহা মিথ্যা ও অপবাদ ৷ ওদের এ জাল


وَدَّ أَبُو بَكْرٍ أَنَّهُ وَجَدَ عَهْدًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَزَمَ أَنْفَهُ بِخِزَامَةٍ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَطَبَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ عِنْدَنَا شَيْئًا نَقْرَؤُهُ لَيْسَ كِتَابَ اللَّهِ وَهَذِهِ الصَّحِيفَةَ - لِصَحِيفَةٍ مُعَلَّقَةٍ فِي سَيْفِهِ فِيهَا أَسْنَانُ الْإِبِلِ وَأَشْيَاءُ مِنَ الْجِرَاحَاتِ - فَقَدْ كَذَبَ. وَفِيهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ، مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا، وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا، وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ، يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ، فَمَنَّ أَخَفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا» . وَهَذَا الْحَدِيثُ الثَّابِتُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ، عَنْهُ يَرُدُّ عَلَى فِرْقَةِ الرَّافِضَةِ فِي زَعْمِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، وَلَوْ كَانَ الْأَمْرُ كَمَا زَعَمُوا لَمَا رَدَّ ذَلِكَ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَإِنَّهُمْ كَانُوا أَطْوَعَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ مِنْ أَنْ يَفْتَاتُوا عَلَيْهِ، فَيُقَدِّمُوا غَيْرَ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৭


ও তেজাল মিশ্রণ এবং রাতকান!র হড়াতড়ানাে কৃতজ্ঞতা হতে আল্লাহ্ রক্ষা করুন ! অ!ল্লাহ্ আশ্রয়
দান করুন কুরআন সুন্ন!হ জ!কড়ে থাকার সুদৃঢ় নীতি অনুসরণে, ঈমান ও ইসলামের সাথে
মৃত্যু বরণ করাতে, পরম বিশ্বাস ও অবিচলত!র সাথে জীবনপাত করে মীযান ও লেক আমলের
পাল্লা ভারী করতে এবং জাহ!ন্নামের আগুন হতে নাজাত লাভ করে জান্ন!তের বাগানের
সফলতা লাণ্ডে ! তিনি তে! করীম ও মহান, অনুকম্পাময় ও কৃপাবান, রাহীম ও রহমান!

সহীহ্ প্রন্থদ্বয়ের বরাতে আলী (র!) হতে আমাদের পুর্বে!দ্ধৃত হাদীসে তথাকথিত
তরীকতপন্থী, বহু বাণড়াম্বর কারী (ম!রফর্তী চাপাবাজ) ও অশিক্ষিত পেশাদার ওয়ায়েজ-
বক্তাদের মিথ্যা দাৰীরও খণ্ডন রয়েছে ! এ ভণ্ডদের দাবী হল, রাসুলুল্লাহ্ (স!) আলী (রা)-কে
বহুবিধ বিষয় অসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ তাদের কথিত এ অসিয়তের নমুনা হল হে আলী !
এরুপ করবে ! হে আলী ! এরুপ করবে ন! ! হে আলী ! যে এমন করবে তার এমন এমন
হবে এক দীর্ঘ ফিরিস্তি এবং এ সবের তার ও তা যে! অতি নিম্ন ম! নেয় এবং এগুলির
অধিকাং ×শের বিষয়বস্তু এমন হালকা ও বাজে প্রকৃতির যার উদ্ধৃতি ৩দিয়ে কো ন ভ !ল গ্রন্থের পৃষ্ঠ!
কলংকিত কর! সযীচীন নয় ! আল্ল!হ্ই সমধিক অবগত

হাফিজ বায়হ!কী (র) অন্যতম জাল হাদীস প্রণেত! ও যিখুকে হ!ম্ম!দ ইবন আসর আন্-
ন!সীবী সুত্রে, আলী (বা) এর নামে উদ্ধৃত করেছেন যে, আলী (র! ) বলেন, নবী করীম (স!)
বলেছেন, “হে আলী ! তোমাকে একটি (বিশেষ) অসিয়ত করছি, ত! তুমি সংরক্ষণ করবে,
ণ্কনন! যতদিন তুমি ত! সংরক্ষণ করে বা !খবে ততদিন তুমি মংণলের সাথে থাকাবে ! হে অ! !লী!
ষু মিনের তিনটি অ !ল!মত রয়েছে, স!লাত, সিয়!ম ও যাকাত ! বায়হ!কী (র) বলেছেন এভাবে
হাম্মাদ পসন্দনীয় ও আকর্ষণীয় এবং আদাব ও গ্রিষ্টি!চ!রের বিবরণ সম্বলিত এক সুদীর্ঘ হাদীসের
অবতারণা করেছে ! এটি একটি মাওযু (জাল) হাদীস এবং আমি প্রস্থ সুচন!য় শর্ত ও অংপীক!র
করে এসেছি যে, আমার জানামতে কোন মাওঘু (জাল) হাদীস এতে উদ্ধৃত করব ন! ! পরে তিনি
এ হ!ম্মাদ ইবন আম্র সুত্রে, ম!ক্হুল শামী হতে আর একটি রিওরায়াত উল্লেখ করেছেন !
ম!ক্হুল বলেন, এ হচ্ছে সে বাণী য! হুন!য়ন (যুদ্ধ) হতে প্রত্যাবর্তন কালে, যখন সুর! ন!সর
নাযিল হয়েছিল তখন র!সুলুল্পাহ্ (স!) আলী ইবন আবু ত!লিব (র!)-কে বলেছিলেনবায়হড়াকী
(র) বলেছেন, ফিতনা ও দুর্যোগ সম্পর্কিত একটি দীর্ঘ হাদীসের অবতারণা করেছেন ! এটিও
একটি প্রত্যাথ্যাত হাদীস, এর কোনভিত্তি নেই ! সহীহ্ হ!দীসসমুহই আমাদের আলোচ্য বিষয়ের
জন্য যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ই ত!ওফীক দাত! !

তবে, এখানে প্রসংপত আমরা আবু ইসম!ঈল হ!ম্মাদ ইবন আমৃর আন ন!সীবী, ভদ্রলোকের
পরিচিতি তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি ! হাম্ম!দ ন!স!বী আম!শ (র) প্রমুখ হতে রিওয়!য়!ত গ্রহণ
করেছে ! অর্থাৎ তার শায়খ ও উসত!দ তালিকায় রয়েছেন আমাশ (র) প্রমুখ প্রখ্যাত
মুহাদ্দিসগণ ! তার অধস্তন র!বী ও শাণরিদ তালিকায় রয়েছে ইবর!হীম ইবন মুসা, মুহাম্মদ
ইবন মিহর!ন ও মুল! ইবন আয়ুব্রব প্রমুখ ! বিশিষ্ট হাদীস পর্যালোচনা ৰিষ্!!রদ ইয়!হ্য়ড়া ইবন
ম!ঈন (র) বলেছেন, এ (হ!ম্মাদ) লোকটি হ!দীস জালক!রী ও মিথুব্রুকদের অন্যতম ! অ!মর
ইবন আ !লী আলু ফ !ল্লাস ও অ! বু হ! !তিম (র) বলেছেন, লে!কটির বর্ণিত বর্ণন!সমুহ প্রত্যাথ্যাত
ও অভিনয় দুর্বল ! ইব্রাহীম ইবন ইয়াকুব অল !ল-জাওয়জানী (র) বলেছেন, হ!ম্ম!দ মিথ্যা


قَدَّمَهُ، وَيُؤَخِّرُوا مَنْ قَدَّمَهُ بِنَصِّهِ، حَاشَا وَكَلَّا وَلَمَّا، وَمَنْ ظَنَّ بِالصَّحَابَةِ، رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَقَدْ نَسَبَهُمْ بِأَجْمَعِهِمْ إِلَى الْفُجُورِ وَالتَّوَاطِئِ عَلَى مُعَانَدَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُضَادَّتِهِمْ فِي حُكْمِهِ وَنَصِّهِ، وَمَنْ وَصَلَ مِنَ النَّاسِ إِلَى هَذَا الْمَقَامِ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ، وَكَفَرَ بِإِجْمَاعِ الْأَئِمَّةِ الْأَعْلَامِ، وَكَانَ إِرَاقَةُ دَمِهِ أَحَلَّ مِنْ إِرَاقَةِ الْمُدَامِ. ثُمَّ لَوْ كَانَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، نَصٌّ فَلِمَ لَا كَانَ يَحْتَجُّ بِهِ عَلَى الصَّحَابَةِ عَلَى إِثْبَاتِ إِمَارَتِهِ عَلَيْهِمْ وَإِمَامَتِهِ لَهُمْ؟ فَإِنْ لَمْ يَقْدِرْ عَلَى تَنْفِيذِ مَا مَعَهُ مِنَ النَّصِّ فَهُوَ عَاجِزٌ، وَالْعَاجِزُ لَا يَصْلُحُ لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ يَقْدِرُ وَلَمْ يَفْعَلْهُ فَهُوَ خَائِنٌ، وَالْخَائِنُ الْفَاسِقُ مَسْلُوبٌ مَعْزُولٌ عَنِ الْإِمَارَةِ، وَإِنْ لَمْ يَعْلَمْ بِوُجُودِ النَّصِّ فَهُوَ جَاهِلٌ، ثُمَّ وَقَدْ عَرَفَهُ وَعَلِمَهُ مَنْ بَعْدَهُ فَهَذَا مُحَالٌ وَافْتِرَاءٌ وَجَهْلٌ وَضَلَالٌ، وَإِنَّمَا يَحْسُنُ هَذَا فِي أَذْهَانِ الْجَهَلَةِ الطَّغَامِ وَالْمُغْتَرِّينَ مِنَ الْأَنَامِ، يُزَيِّنُهُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ بِلَا دَلِيلٍ وَلَا بُرْهَانٍ، بَلْ بِمُجَرَّدِ التَّحَكُّمِ وَالْهَذَيَانِ وَالْإِفْكِ وَالْبُهْتَانِ عِيَاذًا بِاللَّهِ مِمَّا هُمْ فِيهِ مِنَ التَّخْلِيطِ وَالْخِذْلَانِ وَالتَّخْبِيطِ وَالْكُفْرَانِ، وَمَلَاذًا بِاللَّهِ بِالتَّمَسُّكِ بِالسُّنَّةِ وَالْقُرْآنِ، وَالْوَفَاةِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالْإِيمَانِ، وَالْمُوَافَاةِ عَلَى الثَّبَاتِ وَالْإِيقَانِ وَتَثْقِيلِ الْمِيزَانِ، وَالنَّجَاةِ مِنَ النِّيرَانِ وَالْفَوْزِ بِالْجِنَانِ، إِنَّهُ كَرِيمٌ مَنَّانٌ رَحِيمٌ رَحْمَنٌ. وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ الثَّابِتِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَلِيٍّ الَّذِي قَدَّمْنَاهُ رَدٌّ عَلَى مُتَقَوِّلَةِ كَثِيرٍ مِنَ الطَّرْقِيَّةِ وَالْقُصَّاصِ الْجَهَلَةِ فِي دَعْوَاهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ بِأَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ يَسُوقُونَهَا مُطَوَّلَةً: يَا عَلِيُّ افْعَلْ كَذَا، يَا عَلِيُّ لَا تَفْعَلْ كَذَا، يَا عَلِيُّ، مَنْ فَعَلَ كَذَا كَانَ كَذَا وَكَذَا. بِأَلْفَاظٍ رَكِيكَةٍ، وَمَعَانِيَ أَكْثَرُهَا سَخِيفَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৪২৩৮
وَكَثِيرٌ مِنْهَا ضَعِيفَةٌ لَا تُسَاوِي تَسْوِيدَ الصَّحِيفَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو النَّصِيبِيِّ - وَهُوَ أَحَدُ الْكَذَّابِينَ الْوَضَّاعِينَ - عَنِ السَّرِيِّ بْنِ خَلَّادٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «يَا عَلِيُّ أُوصِيكَ بِوَصِيَّةٍ فَاحْفَظْهَا فَإِنَّكَ لَا تَزَالُ بِخَيْرٍ مَا حَفِظْتَهَا ; يَا عَلِيُّ إِنَّ لِلْمُؤْمِنِ ثَلَاثَ عَلَامَاتٍ ; الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ وَالزَّكَاةَ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا فِي الرَّغَائِبِ وَالْآدَابِ وَهُوَ حَدِيثٌ مَوْضُوعٌ، وَقَدْ شَرَطْتُ فِي أَوَّلِ الْكِتَابِ أَنْ لَا أُخَرِّجَ فِيهِ حَدِيثًا أَعْلَمُهُ مَوْضُوعًا. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو هَذَا، عَنْ زَيْدِ بْنِ رَفِيعٍ، عَنْ مَكْحُولٍ الشَّامِيِّ قَالَ: هَذَا مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ رَجَعَ مِنْ غَزْوَةِ حُنَيْنٍ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ النَّصْرِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا فِي الْفِتْنَةِ، وَهُوَ أَيْضًا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ، وَفِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ كِفَايَةٌ. وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ. وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا تَرْجَمَةَ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي إِسْمَاعِيلَ النَّصِيبِيِّ ; رَوَى عَنِ الْأَعْمَشِ وَغَيْرِهِ وَعَنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، وَمُوسَى بْنُ أَيُّوبَ وَغَيْرُهُمْ. قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: هُوَ مِمَّنْ يَكْذِبُ وَيَضَعُ الْحَدِيثَ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ وَأَبُو حَاتِمٍ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ، ضَعِيفٌ جِدًّا. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৯


বলতে অভ্যস্ত ছিল ৷ বুখারী (র) বলেছেন, হাদীস বর্ণনক্যেরী হিসাবে সে প্রত্যাথ্যাত ৷ আবু
যুরআ (র) বলেছেন, বাজে বর্ণনাকারী ৷ নাসাঈ (র) বলেছেন, পরিত্যক্ত ৷ ইবন হাব্বান (র)
বলেছেন, চরম জালিয়াত ! ইবন আদী (র) বলেছেন, তার প্রায় সবগুলি হড়াদীসই এমন যে

নির্ভরযোগ্য রাবীগণের কেউ তার অনুগামী (ভাবি) রিওয়ায়াত বর্ণনা করেনি ! দারা কুত্নী (র) ৰু
বলেন দুর্বল ৷ আবু আবদুল্লাহ হাকিম (র) বলেছেন এ সােকটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য রাৰীদের

নামে জাল হাদীস রিওয়ায়াত করে থাকে ৷ সে সম্পুইি পরিত্যাজ্য ৷

তবে হাফিজ বায়হাকী (র) আহরিত একটি হাদীস নিয়ে এখানে আলোচনা করা যেতে

পারে ! আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আলু হাফিজ (র) সাল্লিম ইবন সুলায়ম আত্

তাৰীল (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা ন্

প্রকট হয়ে গেলে আমরা আইশা (র)-র ঘরে সমবেত হলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
দিকে তাকালেন ফলে তীর চোখ দুটি অশ্রু সজল হল ৷ পরে তিনি আমাদের বললেন fl: এএ

াব্লপৌ “বিচ্ছেদ আসন্ন এভাবে তিনি নিজেই আমাদের কাছে তার মৃত্যু সংবাদ জ্ঞাপন

করলেন ! এরপর বললেন

ণ্ঘ্র! ণ্ওৰু ৷প্রুপ্রু


ঠোৰুএ
-ঞস্পো

“তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা আল্লাহ্ তোমাদের দীর্ঘজিবী করুন! আল্লাহ্ তোমাদের হিদায়াতের
উপৰুয় রাখুন! অন্ল্লৰুহ্ তেমােদের সাহায্য করুন! অন্ল্লৰুহ ণ্তামাদের মংগল করুনা অন্ল্লন্হ

তোমাদের তাওফীক দান করুন! আল্লাহ তোমাদের সরল-সঠিক পন্থায় রাখুন! আল্লাহ তোমাদের

রক্ষা করুন! আল্লাহ ণ্তামাদের সহায়তা করুন! আল্লাহ তোমাদের কবুল করুন! আমি
তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করে লেতে ওসিয়াত করছি! আর আল্লাহ্কে (তত্ত্বমাদের ওসী

বানিয়ে যাচ্ছি এবং তার তত্াবধানে তোমাদের সােপর্দ করে যাচ্ছি ৷ আমি তোমাদের জন্য

প্রকাশ্য সতর্ককারী এ ব্যাপারে যে, আল্লাহর বান্দাদের এবং জনপদসমুহের ব্যাপারে তার উপরে

ঔদ্ধত্য করো না ৷ কেননা, আল্লাহ আমাকে এবং তোমাদেরকে বলেছেন (আয়াত) ! “এ হচ্ছে ং

আখিরাতের সে আবাস যা আমি নির্ধারিত করে রেখেছি ! তাদের জন্য যারা এ পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য

হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না ! শুভ পরিণড়াম মুত্তাকীদের জন্য (২৮ : ৮৩) ৷ “ ঔদ্ধত্যদের ন্

জন্য কি জাহান্নামের কোন ঠাই (আবাস স্থল) নেই ? (৩৯ : ৬০) ৷
আমরা বললাম, “তবে আপনার নির্ধারিত সময় কখন? তিনি বললেন,
“সময় তো নিকটেই এসে গিয়েছে; এবং আল্লাহর নিকটে সিদুরাতুল ঘুনৃতাহা-র কাছে এবং
পুর্ণ পেয়ালা ও উন্নততর বিছানার দিকে প্রত্যাবর্তন (আসন্ন) ৷ আমরা বললাম, “তবে কে
আপনাকে যেড়াসল দেবে, ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেন,






يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيُّ: كَانَ يَكْذِبُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: وَاهِي الْحَدِيثِ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: مَتْرُوكٌ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: يَضَعُ الْحَدِيثَ وَضْعًا. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: عَامَّةُ حَدِيثِهِ مِمَّا لَا يُتَابِعُهُ أَحَدٌ مِنَ الثِّقَاتِ عَلَيْهِ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ضَعِيفٌ. وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: يَرْوِي عَنِ الثِّقَاتِ أَحَادِيثَ مَوْضُوعَةً. وَهُوَ سَاقِطٌ بِمَرَّةٍ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا حَمْزَةُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْعَقِبِيُّ بِبَغْدَادَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوْحٍ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمٍ الطَّوِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيُّ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ طَلِيقٍ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْتَمَعْنَا فِي بَيْتِ عَائِشَةَ، فَنَظَرَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَمَعَتْ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ لَنَا: " قَدْ دَنَا الْفِرَاقُ ". وَنَعَى إِلَيْنَا نَفْسَهُ ثُمَّ قَالَ: " مَرْحَبًا بِكُمْ، حَيَّاكُمُ اللَّهُ، هَدَاكُمُ اللَّهُ، نَصَرَكُمُ اللَّهُ، نَفَعَكُمُ اللَّهُ، وَفَّقَكُمُ اللَّهُ، سَدَّدَكُمُ اللَّهُ، وَقَاكُمُ اللَّهُ، أَعَانَكُمُ اللَّهُ، قَبِلَكُمُ اللَّهُ، أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَأُوصِي اللَّهَ بِكُمْ، وَأَسْتَخْلِفُهُ عَلَيْكُمْ، إِنِّي لَكُمْ مِنْهُ
পৃষ্ঠা - ৪২৪০


ণ্ব্লুা স্ )১ ম্বু মুে১ ট্রোং ণ্র্চুর্চু১ স্ )প্লু চ )ন্াট্টর্ন্ত মোঃ ট্টং এেপুা১ন্াক্ট এেপুা১ শ্বা ত্রুান্া ন্ ঠেফো ঠো২ ১

“আমার পরিবার পরিজনের কিছু (পুরুষ) লোকেরা, ভৈনকট্য ও ঘনিষ্টতার ক্রম অনুসারে১
অনেক ফিরিশতার সং গে যারা তোমাদের দেখতে পান এমন ক্ষেত্র হতে যে তোমরা তাদের
দেখতে পাও না ৷ “আমরা বললাম, তা হলে আমরা আপনাকে কী কাপড়ে কাফন পরাব ইয়া
রাসুলাল্লাহ ? তিনি বললেন “আমার পরিধানের এ কাপড়েই তোমাদের মনঃপুত হলে কিত্বা
ইয়ামানী বরুস্ত্র, কিৎব৷ মিশরী সাদা বস্তে ৷” আমরা বললাম, তবে আপনার জানাযা সালাত
(এর ইমাম হয়ে) কে আদায় করবে ইয়া রাসুলাল্লাহ ? তখন তিনি কাদলেন; আমরাও র্কাদলাম
এবং তিনি বললেন,


এেইপৌ১
এ্যা৷ :ণ্ণ্ ১,ৰু ১ ণ্শ্ এসো এ১ণ্ণ্ ণ্স্র ঞা)৷ ণ্ট্ট এৰুওাওপ্রুগু মোঃ১ ;;গ্রাশু ;; >খ্এ১
া১াড্রুওা
ড়ুস্ান্ষ্ওা৷ শ্রু প্লু৷ ণ্,,া৷ ১১ ৷ ঠুব্র১ শুপ্লু১ শু১ শু১;হুাৰু

“একটু ধীরে ! আল্লাহ তোমাদের মাগফিরাত করুন এবং তোমাদেরকে তোমাদের নবীর
তরফ হতে উত্তম বিনিময় দান করুন ! যখন তোমরা আমাকে গোসল দািব; আমাকে হানুত-
সুগন্ধি মাখাবে এবং আমাকে কাফন পরাবে তখন আমাকে আমার কবরের পাড়ে রেখে দিয়ে
তোমরা আমার কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য বের হয়ে যাবে ৷ কেননা, আমার জানাযার
সালাত সবার আগে আদায় করবেন আমার দৃইবন্ধু ও দুই সং গী জিবরীল ও মিকাঈল (আ) ৷
তারপর ইসরাফীল, তারপর মৃত্যুর ফিরিশতা ফিরিশ ৷তাদের একটি বা ৷হিনী সহ তাদের উপরে
শাস্তি বর্ষিত হোক ! আর (মানুষের মাঝে) আমার জানাযা সালাতের সুচনা করবে আমার
পরিবারের পুরুষেরা, এরপর তাদের নারীরা ৷ (এরপর) তোমরা আমার কাছে প্রবেশ করবে
ছোট ছোট দলে এবং এক একজন করে ৷ আর তোমরা ক্রন্দকারিনী দের দিয়ে এবং ইনিয়ে
বিনিয়ে মাতম ও আর্ত চিৎকার দিয়ে আমাকে কষ্ট দেবে না ৷ আর আমার সাহাবী (সহচর)-
দের মাঝে যারা অনুপস্থিত থাকবে তাদের কাছে আমার তরফ থেকে সালাম পৌছিয়ে দািব ৷
তোমাদের আমি সাক্ষী করলাম যে, যারা ইসলামে প্রবেশ করবে এবং আজ হতে কিয়ামতের
দিন পর্যন্ত আমার এ দীনের ক্ষেত্রে আমার অনুপমন করবে তাদের আমি সালাম জানাচ্ছি ৷ ”
আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা আপনাকে আপনার কবরে রাখবে কে? তিনি বললেন,

“আমার পরিজনের পুরুষেরা নৈকট্য ও আত্মীয়তার ক্রম অনুসারে ফিরিশতাদের সংগে, যারা
তোমাদের দেখতে পান এমন স্থান হতে যে তোমরা তাদের দেখতে পাও না ৷” এ বংনি৷ শেষে



১ যে যত অধিক ঘনিষ্ঠ তার অধিকার ততবেশী এই নিয়মে ৷ অনুবাদক


نَذِيرٌ مُبِينٌ، أَنْ لَا تَعْلُوا عَلَى اللَّهِ فِي عِبَادِهِ وَبِلَادِهِ ; فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِي وَلَكُمْ: " {تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [القصص: 83] " [الْقَصَصِ: 83] وَقَالَ: " {أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِلْمُتَكَبِّرِينَ} [الزمر: 60] " [الزُّمَرِ: 60] قُلْنَا: فَمَتَى أَجَلُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ قَدْ دَنَا الْأَجَلُ، وَالْمُنْقَلَبُ إِلَى اللَّهِ، وَالسِّدْرَةُ الْمُنْتَهَى، وَالْكَأْسُ الْأَوْفَى، وَالْفُرُشُ الْأَعْلَى. قُلْنَا: فَمَنْ يُغَسِّلُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي الْأَدْنَى فَالْأَدْنَى، مَعَ مَلَائِكَةٍ كَثِيرَةٍ يَرَوْنَكُمْ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ. قُلْنَا: فَفِيمَ نُكَفِّنُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ فِي ثِيَابِي هَذِهِ إِنْ شِئْتُمْ، أَوْ فِي يَمَنِيَّةٍ، أَوْ فِي بَيَاضِ مِصْرَ. قُلْنَا: فَمَنْ يُصَلِّي عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَبَكَى وَبَكَيْنَا. وَقَالَ: مَهْلًا، غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ، وَجَزَاكُمْ عَنْ نَبِيِّكُمْ خَيْرًا، إِذَا غَسَّلْتُمُونِي وَحَنَّطْتُمُونِي وَكَفَّنْتُمُونِي، فَضَعُونِي عَلَى شَفِيرِ قَبْرِي، ثُمَّ اخْرُجُوا عَنِّي سَاعَةً، فَإِنَّ أَوَّلَ مَنْ يُصَلِّي عَلَيَّ خَلِيلَايَ وَجَلِيسَايَ ; جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، ثُمَّ إِسْرَافِيلُ، ثُمَّ مَلَكُ الْمَوْتِ مَعَ جُنُودٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَلْيَبْدَأْ بِالصَّلَاةِ عَلَيَّ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي، ثُمَّ نِسَاؤُهُمْ، ثُمَّ ادْخُلُوا عَلَيَّ أَفْوَاجًا وَفُرَادَى، وَلَا تُؤْذُونِي بِبَاكِيَةٍ وَلَا بِرَنَّةِ وَلَا بِصَيْحَةٍ، وَمَنْ كَانَ غَائِبًا مِنْ أَصْحَابِي فَأَبْلِغُوهُ عَنِّي السَّلَامَ، وَأُشْهِدُكُمْ بِأَنِّي قَدْ سَلَّمْتُ عَلَى مَنْ دَخَلَ فِي الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَابَعَنِي فِي دِينِي هَذَا، مُنْذُ الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ قُلْنَا: فَمَنْ يُدْخِلُكَ قَبْرَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي الْأَدْنَى فَالْأَدْنَى مَعَ مَلَائِكَةٍ كَثِيرَةٍ يَرَوْنَكُمْ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ عَنْ سَلَّامٍ الطَّوِيلِ وَتَفَرَّدَ بِهِ سَلَّامٌ الطَّوِيلُ.
পৃষ্ঠা - ৪২৪১
قُلْتُ: وَهُوَ سَلَّامُ بْنُ سَلْمٍ. وَيُقَالُ: ابْنُ سُلَيْمٍ. وَيُقَالُ ابْنُ سُلَيْمَانَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، التَّمِيمِيُّ السَّعْدِيُّ الطَّوِيلُ. يُرْوَى عَنْ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ، وَحُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، وَزَيْدٍ الْعَمِّيِّ وَجَمَاعَةٍ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ أَيْضًا مِنْهُمْ ; أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، وَأَسَدُ بْنُ مُوسَى، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ، وَعَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، وَقَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ. وَقَدْ ضَعَّفَهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَالْبُخَارِيُّ، وَأَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ، وَالْجُوزَجَانِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَكَذَّبَهُ بَعْضُ الْأَئِمَّةِ، وَتَرَكَهُ آخَرُونَ. لَكِنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِهَذَا السِّيَاقِ بِطُولِهِ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ مِنْ غَيْرِ طَرِيقِ سَلَّامٍ هَذَا، فَقَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْأَحْمَسِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ ابْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: وَقَدْ رَوَى هَذَا عَنْ مُرَّةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ بِأَسَانِيدَ مُتَقَارِبَةٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْ مُرَّةَ، وَإِنَّمَا هُوَ عَمَّنْ أَخْبَرَهُ عَنْ مُرَّةَ، وَلَا أَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ غَيْرَ مُرَّةَ.