আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

إيراد الحديث الدال على أنه عليه الصلاة والسلام خطب بمكان بين مكة والمدينة مرجعه من حجة الوداع

إيراد الحديث الدال على أنه عليه الصلاة والسلام خطب بمكان بين مكة والمدينة مرجعه من حجة الوداع

إيراد الحديث الدال على أنه عليه الصلاة والسلام خطب بمكان بين مكة والمدينة مرجعه من حجة الوداع

পৃষ্ঠা - ৪১২৫


করীম (না)-এর মক্কার দিকে উতরাই পথে অবতরণ কালে, কিৎবা আইশা (রা)-এর অবতরণ
কালে এবং নবী করীম (না)-এর চড়াই অতিক্রম কালে তার সাথে আইশা (রা)-এর সাক্ষাত
হয়েছিল ৷ এখন ইবন হাঘৃম (র) এর দাবী হল এটা সন্দেহাতীত যে, আইশা (রা) মক্কা হতে
চড়াই পথে উঠে আসছিলেন এবং নবী করীম (না) অবতরণ করছিলেন ৷

কেননা, আইশা (রা) উমরার জন্য চলে গেলে নবী করীম (না) তার ফিরে আসা পর্যন্ত তার
জন্য প্রভীক্ষ৷ করতে থাকলেন ৷ তারপর নবী কৰীম (না) বিদায়ী তাওয়াফ সম্পাদনের উদ্যোগ
নিলে মক্কা হতে তার (আইশা ৷র) মুহাসৃসাব ফিরে আসা র সময় তার সাথে নবী করীম (সা) এর
সাক্ষাত হয়েছিল ৷ ণ্

বুখারী (র) এর অনুচ্ছেদ শিরােনাম৪ মক্কা হতে প্রত্যাব্র্তন্ কালে
ৰু তুওয়ায়’ অবতরণক৷ রীদের প্রসংগ্

মুহাম্মদ ইবন ঈসা (র) বলেছেন, হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) ইবন উমর (রা) সর্ম্পকে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, তিনি (মক্কায়) আগমন কালে য়ু-তুওয়ায় রাত কাটাতেন এবং সকাল হলে
(মক্কায়) প্রবেশ করতেন এবং প্রত্যাগমন কালেও যু-তুওয়ায় অবতরণ করে সেখানে সকাল
পর্যন্ত অবস্থান করতেন এবং উল্লেখ করতেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) অনুরুপ করতেন ৷ বুখারী
(র) হাদীসটি এভাবেই সনদ বিহীন (তালীক) রুপে নিশ্চয়তা সুচক ভায্যে উল্লেখ করেছেন ৷
আবার বুখাবী ও মুসলিম (র) হাম্মাদ ইবন ষায়দ (র)-এর বরাতে মুসনাদ (সনদ যুক্ত) রুপেও
উল্লেখ করেছেন ৷ তবে তাতে প্রত্যাবর্তন কালে য়ু-তুওয়ায় রাত যাপনের কথা উল্লিখিত হয়
নি ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

একটি দুর্লভ তথ্য ও রাসুলুল্পাহ্ (না) নিজের সাথে করে
যমৃযমের বিন্দু পানি নিয়ে গিয়েছিলেন

হাফিজ আবু ঈসা তিরমিঘী (র) বলেন, আবু কুরায়ব (র) অ ৷ইশা (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা
করেন যে, তিনি নিজের সং গে যমৃযমের পানি বহন করে নিয়ে যেতেন ৷ এ তথ্যও জানাতেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ (না) নিজেও তা বহন করে নিতেন” ৷ এরপর তিরমিঘী (র) মন্তব্য করেছেন,
এটি একটি হাসান গারীব একক সুত্রীয় উত্তম হাদীস; এ সুত্র ভিন্ন অন্য কোন সুত্রে আমরা
এর পরিচিতি লাভ করি নি ৷

বুখারী (র) আ ৷রো বলেন, মুহাম্মদ ইবন যুক৷ ৷তিল (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন কোন গাঘৃওয়৷ (সমরাভিযান), হজ্জ কিং বা উমরা
থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন প্রথমে তিনবার তাক্বীর (আল্লা হু আকবার) ধ্বনি উচ্চারণ
করতেন, এরপর বলতেন-


“এক আল্লাহ ব্যতীত আর কো ন ইলাহ্ নেই, র্তা ৷র কো ন শ্ ৷রীক যেই, রাজতু ত ৷রই, হায্দ

তারই ৷ তিনি, সব কিছুতে ক্ষমতাবান ৷ (আমরা) প্রভ্যা বক্তাকা ৷রী, প্রত্যাধাবন (তাওবা) কারী,


فَائِدَةٌ عَزِيزَةٌ: فِيهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَصْحَبَ مَعَهُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ شَيْئًا. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّهَا كَانَتْ تَحْمِلُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ، وَتُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَحْمِلُهُ.» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ - ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ وَنَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنَ الْغَزْوِ أَوِ الْحَجِّ أَوِ الْعُمْرَةِ، يَبْدَأُ فَيُكَبِّرُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ ".» وَالْأَحَادِيثُ فِي هَذَا كَثِيرَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [إِيرَادُ الْحَدِيثِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ خَطَبَ بِمَكَانٍ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ مَرْجِعَهُ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ] فَصْلٌ فِي إِيرَادِ الْحَدِيثِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَطَبَ بِمَكَانٍ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ مَرْجِعَهُ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ قَرِيبٍ مِنَ الْجُحْفَةِ، يُقَالُ لَهُ: غَدِيرُ خُمٍّ. فَبَيَّنَ فِيهَا فَضْلَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَبَرَاءَةَ عِرْضِهِ مِمَّا كَانَ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعَهُ بِأَرْضِ الْيَمَنِ، بِسَبَبِ مَا كَانَ صَدَرَ مِنْهُ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمَعْدِلَةِ الَّتِي ظَنَّهَا بَعْضُهُمْ جَوْرًا وَتَضْيِيقًا وَبُخْلًا، وَالصَّوَابُ كَانَ مَعَهُ فِي ذَلِكَ، وَلِهَذَا لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৪১২৬

ইবাদতকারী, সিজদাকারী এবং আমাদের প্রতিপালকের হাম্দ আদায়কারী ৷ আল্লাহ্ তার
ওয়াদা-অংগীকার বাস্তবায়িত করেছেন ৷ তার বান্দাকে (রাসুলকে) সাহায্য করেছেন এবং
একাকী সব দলবলকে পরাস্ত করেছেন’ ৷’ এ সম্পর্কিত হাদীসের স০ খ্যা বিপুল ৷ আ ৷ল্লাহ্রই
জন্য হামদ এবং র্তারই অনুকম্পা ৷

বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তা কালে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী জুহ্ফার
কাছাকাছি গাদীরে থুমে নবী করীম (সা) এর

ভাষণ সম্পর্কিত হাদীসের আলোচনা-

উল্লিখিত তা ৷ষণে তিনি আলী (রা) ইবন আবু তালিরের মাহা ত্ম্য, গ্রেষ্ঠব্তুর বিবরণ দেন
এবং তার সম্পর্কে ইয়ামানে তা ৷র সহকর্মী সহযোদ্ধাদের কারো করো সমলোচনার জবাবে
আলী (রা) এর নির্দোষিতা ও সাফাই বর্ণনা করেন ৷ তাদের বিরুপ সমালোচনার কারণ ছিল
সংগীদের সাথে আলী (না)-এর কিছু সংগত আচরণ যা তাদের কারো কারো দৃষ্টিতে পীড়ন,
সংকীর্ণতা ও অহেতুক কাগর্ণা রুপে প্রতিভাত হয়েছিল ৷ অথচ সে ক্ষেত্রে তার পদক্ষেপ ছিল
যথার্থ ৷ বিষয়টির গুরুত্বের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে নবী কবীম (সা) হজ্জ উমরার বিধি বিমানের
বিবরণ দেয়ার পরে তার মদীনায় প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে তিনি বিষয়টির নিস্পত্তি ঘটাতে
চাইলেন ৷ সে উদ্দেশ্যে তিনি ঐ বছরের যিলহজ্জ মাসের আঠার তারিখ রোববার খুম্ম
জলাধারের পাড়ে একটি বড় গাছের তলায় একটি গুরুত্পুর্ণ ভাষণ দিলেন ৷ এ ভাষণে তিনি
আনুযাৎগিক অনেক বিষয়ের সাথে আলী (র)-এর মাহাত্মব্র, তার বিশ্বস্ততা ও ন্যায়পয়াণতা
এবং নবী করীম (না)-এর সাথে তার ভৈনকট্য সান্নিধ্যের এমন হৃদয়গাহী বিবরণ দেন যা আলী
(বা) সম্পর্কে অনেক মানুষের মনের দ্বেষ, অসষ্প্রীতি ও বিরক্তি তার বিদুরীত করে দেয় ৷ এ
অনুচ্ছেদে আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবৃত হাদীস সমষ্টি উপস্থাপন করে সেগুলির মাঝে সরল ও
দুর্বল এবং গ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখাত হওয়ার ব্যবধান রেখা অৎ কনের প্রয়াস পাব, আল্লাহ্র
সাহায্যে নিয়ে ৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে রিওয়ায়াতের স০ খ্যা বিশা ৷৷ল ৷ ত ৷ই বিশ্ব-বিশ্রুত ইতিহাসবিদ
ও ঘুফাস্সির ইমাম আবু জা ফর মুহাম্মদ ইবন জারীর আত্-ত৷ ৷বারী (র) সংশ্লিষ্ট বিষয়ের
হাদীসসমুহ আহরণে সর্বাত্মক সাধনা নিয়োগ করে সে সব হাদীসের ভাষ্য ও মুল পাঠ এবং
সনদের সুত্রসমুহে দুইটি খণ্ডে সংকলিত করেছেন ৷ তার যুগের গ্রন্থকার স০ কলকদের সংকলন ,
ক্ষেত্রে অনুসৃত নীতি পন্থা ছিল স০ শ্রিষ্ট বিষয়ের ভ ৷ল মন্দ, প্রামাণ্য ও অপ্রামাণ্য সব কিছু
সংগৃহীত করা ৷ মনীষী তাবারী (র) এ পন্থার ব্যতিক্রম নন ৷ ত ৷ই তার সংগৃহীত ভাণ্ডা রেও
রয়েছে সরল দুর্বল এবং সমর্থিত অসমর্থিত তথ্যের মিশ্রণ ৷ অনুরুপ মহান হাফিজ আবুল

কাসিম ইবন আসাকির (র) ও এ ভাষণ সম্পর্কিত বহু স০ খ্যক হাদীস সং কলন করেছেন ৷
আমরা সেগুলির বৃহদাৎশও উদ্ধৃত করব এবং সেই সাথে আমরা এ কথাও প্রমাণ করব যে, ঐ
সব হাদীসে শীআ মহােদয়দের জন্য উদ্দীপ্ত হওয়ার কিংবা তাদের অনুকুলে প্রমাণ ও সমর্থন
যোপাবার কোন অবকাশ নেই ৷ এবারে আমরা আল্লাহ্র সাহায্যের ভরসায় শুরু করছি



১ তাফসীরে তাবারী ও তারীখে তাবারী প্ৰণেতা ৷ অনুবাদক


تَفَرَّغَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ بَيَانِ الْمَنَاسِكِ وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ بَيَّنَ ذَلِكَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، فَخَطَبَ خُطْبَةً عَظِيمَةً فِي الْيَوْمِ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ عَامَئِذٍ، وَكَانَ يَوْمَ الْأَحَدِ بِغَدِيرِ خُمٍّ تَحْتَ شَجَرَةٍ هُنَاكَ، فَبَيَّنَ فِيهَا أَشْيَاءَ، وَذَكَرَ مِنْ فَضْلِ عَلِيٍّ وَأَمَانَتِهِ وَعَدْلِهِ وَقُرْبِهِ إِلَيْهِ، مَا أَزَاحَ بِهِ مَا كَانَ فِي نُفُوسِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ مِنْهُ، وَنَحْنُ نُورِدُ عُيُونَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ، وَنُبَيِّنُ مَا فِيهَا مِنْ صَحِيحٍ وَضَعِيفٍ بِحَوْلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ وَعَوْنِهِ، وَقَدِ اعْتَنَى بِأَمْرِ هَذَا الْحَدِيثِ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ صَاحِبُ " التَّفْسِيرِ " وَ " التَّارِيخِ "، فَجَمَعَ فِيهِ مُجَلَّدَيْنِ أَوْرَدَ فِيهِمَا طُرُقَهُ وَأَلْفَاظَهُ، وَسَاقَ الْغَثَّ وَالسَّمِينَ، وَالصَّحِيحَ وَالسَّقِيمَ، عَلَى مَا جَرَتْ بِهِ عَادَةُ كَثِيرٍ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ، يُورِدُونَ مَا وَقَعَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ الْبَابِ مِنْ غَيْرِ تَمْيِيزٍ بَيْنَ صَحِيحِهِ وَضَعِيفِهِ، وَكَذَلِكَ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ أَوْرَدَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً فِي هَذِهِ الْخُطْبَةِ، وَنَحْنُ نُورِدُ عُيُونَ مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ، مَعَ إِعْلَامِنَا أَنَّهُ لَا حَظَّ لِلشِّيعَةِ فِيهِ، وَلَا مُتَمَسَّكَ لَهُمْ وَلَا دَلِيلَ، لِمَا سَنُبَيِّنُهُ وَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ، فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي سِيَاقِ حَجَّةِ الْوَدَاعِ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ قَالَ: «لَمَّا أَقْبَلَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ لِيَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ، تَعَجَّلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى جُنْدِهِ الَّذِينَ مَعَهُ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ، فَعَمَدَ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَكَسَا كُلَّ رَجُلٍ مِنَ الْقَوْمِ حُلَّةً مِنَ الْبَزِّ الَّذِي كَانَ مَعَ عَلِيٍّ، فَلَمَّا دَنَا جَيْشُهُ خَرَجَ لِيَلْقَاهُمْ، فَإِذَا عَلَيْهِمُ الْحُلَلُ، قَالَ وَيْلَكَ! مَا هَذَا؟ قَالَ: كَسَوْتُ الْقَوْمَ ; لِيَتَجَمَّلُوا بِهِ إِذَا قَدِمُوا فِي النَّاسِ. قَالَ: وَيْلَكَ! انْزِعْ قَبْلَ أَنْ تَنْتَهِيَ بِهِ إِلَى رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৪১২৭
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَانْتَزَعَ الْحُلَلَ مِنَ النَّاسِ، فَرَدَّهَا فِي الْبَزِّ. قَالَ: وَأَظْهَرَ الْجَيْشُ شَكْوَاهُ لِمَا صَنَعَ بِهِمْ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ كَعْبٍ - وَكَانَتْ عِنْدَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «اشْتَكَى النَّاسُ عَلِيًّا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا خَطِيبًا، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُو عَلِيًّا، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِي ذَاتِ اللَّهِ - أَوْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ - مِنْ أَنْ يُشْكَى ".» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ، وَقَالَ: " «إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِي ذَاتِ اللَّهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، ثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ عَلِيٍّ الْيَمَنَ فَرَأَيْتُ مِنْهُ جَفْوَةً، فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ عَلِيًّا فَتَنَقَّصْتُهُ، فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَغَيَّرُ، فَقَالَ: " يَا بُرَيْدَةُ، أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ " قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ".» وَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ أَبِي دَاوُدَ الْحَرَّانِيِّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১২৮


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বিদায় হভ্রুজ্জ বিবরণ প্রসংগে বলেছেন, ইয়াহ্য়া ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু আমরা (রা) ইয়ড়াযীদ ইবন তাল্হড়া ইবন য়াযীদ ইবন রুকানা
(র) হতে তিনি বলেন, আলী (রা) (বিদায় হজ্জকালে) , মক্কায় রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে
মিলিত হওয়ার উদ্দেশে ইয়ামড়ান হতে রওয়ানা করলেন ৷ দ্রুত রাসুলুল্লাহ (না)-এর সান্নিধ্যে
উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তার সহচরদের একজনকে তার বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আমীর
নিয়োগ করলেন ৷ ভারপ্রাপ্ত আমীর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং আলী (রা)-এর কাছে রক্ষিত বায্
কাপড়ের এক এক জোড়া পোষাক বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে প্রদান করলেন ৷ বাহিনী (মক্কার )
কাছে পৌছলে আলী (বা) তাদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি লক্ষ্য
করলেন যে, তাদের গায়ে রয়েছে নতুন জোড়া পোশাক ৷ তিনি বললেন, সর্বনাশ! কী ব্যাপার ?
আমীর বললেন, সকলকে পোশাক দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা জনসমাবেশে আমার জন্য
উপযোগী সাজগােজ করতে পারে৷ আলী (রা) বললেন, হতভাগা ! রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে পৌছার আগে এ গুলি খুলে ফেলার ব্যবস্থা কর ৷ বর্ণনকােরী বলেন, ফলে বাহিনীর
লোকদের নিকট হতে পোশাক গুলি খুলে নিয়ে বস্ত্র ভাণ্ডারে জমা করা হল ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
বাহিনীর লোকেরা তাদের প্রতি এ আচরণে ৰিক্ষুদ্ধ হয়ে আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ
করল ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এ প্রসংগে আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইব ন মামার
ইবন হাযম (র)আবু সাঈদ (খুদরী) (বা) হতে আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে, তিনি বলেন,
লোকেরা আলী (রা)-এর নামে অভিযোগ ভুলল ৷ তখন নবী করীম (সা) আমাদের সামনে
দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন ৷ আমি তাকে বলতে শুনলাম-

;)প্লু ব্লেহ্র,৷ ধ্ত্তা৷ ণ্:া১ ঘেণ্ ব্লু)ন্ক্ট্র;২১৷ ধ্া৷ ,ক্ট্রা৷ ,হ্র ৷ ;১; ৷ঞা ১৷ গ্রাণ্গ্রা ৷ধ্শ্া
লোক সকল ! তোমরা আলীকে অভিযুক্ত করো না ৷ কেননা, আল্লাহ্র কলম! নিশ্চয় সে

(আলী) আল্পাহ্র সত্তা (তার তুষ্টি)-এর ব্যাপারে কিংবা আল্লাহর পথে অধিক কঠাের ’ও
অনমনীয় (যা অভিযুক্ত হওয়ার উচর্ধ্ব) ৷

ইমাম আহ্মদ (র)ও এ হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) হতে
ঐ সনদে ৷ তাতে তিনি বলেছেন, নিশ্চিয় সে আল্লাহ্র সভার বিষয়ে কিংবা আল্লাহর পথে
অধিক অনমনীয় ৷” ইমাম আহ্মদ (র) আরো বলেন, ফায্ল ইবন দুকায়ন (র)ইবন
আব্বাস (বা) হতে, তিনি বুরায়দা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আলী (রা)-
এর সংগে ইয়ামান অভিযানে অংশ্যাহণ করেছিলাম ৷ তাতে তার কিছু কঠোরতা লক্ষ্য করি ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) সকালে ফিরে এলে আমি আলী (রা)-এর কথা আলোচনা প্রসংগে তার বিরুপ
সমালোচনা করলাম ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ (না)-এর চেহারা ৰিবর্ণ হতে লক্ষ্য করলাম ৷ তিনি
তখন বললেন ণ্,ৰুন্ন্য়ও৷ প্রু ঞওণ্ডুা৷ ,এ স্গ্ এে :১শ্রোৰুহ্র আমি ঈমানদারদের জন্য তাদের
নিজেদের চাইতে অধিক আপন ও অধিকারসম্পন্ন নই কী? “আমি বললাম, জী, হী নিশ্চয়ই
ইয়া রাসুলুল্লাহা নবী করীম (সা) বললেন,-০শ্ব; প্রুঠ্ন্দ্বু :ম্ স্-^ ;:প্রুও£ ;)এ “আমি যার
আপনজন ও অভিভাবক আলীও তার আপন জন ও অভিভাবক ৷ নাসাঈ (র)-ও এ হাদীসটি
রিওয়ায়ড়াত করেছেন আবু দাউদ আল্-জারবানী (র) হতে (আবু নুআয়ম ফড়ায্ল ইবন দুকায়ন


عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي غَنِيَّةَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ. وَقَدْ رَوَى النَّسَائِيُّ فِي " سُنَنِهِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ،، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَنَزَلَ غَدِيرَ خُمٍّ، أَمَرَ بِدَوْحَاتٍ فَقُمِمْنَ، ثُمَّ قَالَ: " كَأَنِّي قَدْ دُعِيتُ فَأُجِبْتُ، إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمُ الثَّقَلَيْنِ، أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الْآخَرِ كِتَابُ اللَّهِ وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي، فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا، فَإِنَّهُمَا لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ مَوْلَايَ، وَأَنَا وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ ". ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا وَلِيُّهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". فَقُلْتُ لِزَيْدٍ: سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا كَانَ فِي الدَّوْحَاتِ أَحَدٌ إِلَّا رَآهُ بِعَيْنَيْهِ وَسَمِعَهُ بِأُذُنَيْهِ.» تَفَرَّدَ بِهِ النَّسَائِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪১২৯
আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়াজােজ্যো৪ ৩৪৫
সুত্রে) ঐ সনদে অনুরুপ ৷ এ সনদটি উত্তম ও সরল; এর রাবীগণ সকলেই ৰিশ্বস্ত ও
নির্ভরযোগ্য ৷ নাসাঈ (র) র্তার সুনাম গ্রন্থে আরো রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবনুল
মুছান্নড়া (র) যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বিদায় হজ্জ
থেকে প্রত্যাবর্তন কালে খুম জলাশায়ে অবতরণ করলে সেখানকার বৃহৎ বৃক্ষরাজীর বনানীটি
পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিলে তা পালিত হল ৷ এরপর তিনি বললেন-
১দ্বু ধ্ওএে
-এশঃহ্যা é: ঐএপ্লু ষ্ৰু১ ধ্-ৰুএৰুহীএ শ্বে গ্রএধ্-ট্ট ৰুণ্ণ্শ্ওশু শু-এহাহ্নণ্ ধ্-এ ষ্র্ন্ত এএণ্ট্টম্এশু
“মনে হয় যেন আমি (পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার জন্য) আহুত হয়েছি এবং (তাতে) আমি
সাড়াও দিয়েছি ৷ আমি তােমদের মাঝে দুটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কিতাব
এবং আমার বংশধর আমার আহ্লে বায়ত ৷ তাই লক্ষ্য রাখবে যে, আমার অবর্তমানে এ দুটি
বিষয়ে তোমাদের আচরণ কেমন হয় ৷ কেননা, এ দু’টি হাওয্ (কাওছার)-এ আমার কাছে
উপনীত হওয়া পর্যন্ত এ দু’টো কিছুতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷ তারপর বললেন, প্রু৬ ধ্’এশ্ব;ণ্ ণ্ঞা
:ক্কুণ্ণ্ এ< é; আল্পাহ্ আমার বন্ধু ও অভিভাবক আর আমি প্রতিটি ঈমানদারের বন্ধু ও
অভিভাবক ৷ ” তারপর তিনি আলী (রা) এর হাতে ধরে বললেন,


“আমি যার বন্ধু ও অভিভাবক এ ও তার বন্ধু ও অভিভাবক ৷ ইয়া আল্লাহ ! যে তার সাথে
বন্ধুতু রক্ষা করার আপনি তার বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে বৈরীতা করবে আপনি তার প্রতি
বৈরী হোন !” এ বর্ণনার পরে আমি (আবৃত তুফায়ল) যায়দ (রা)-কে বললাম, আপনি নিজে
রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে এ কথা শুনেছেন ? তিনি বললেন, যারাই ঐ বৃক্ষরার্জীর তলায় ছিল
তারা সকলেই তাদের দৃ’চোখে তাকে (নবী সা) দেখেছে এবং দৃকান দিয়ে বাণী শুনেছে ৷ এ
সুত্রে নাসাঈ (র) একাকী এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমাদের সাথে আবু আবদুল্লাহ
যাহাবী (র) বলেছেন, এটি একটি সহীহ্ হাদীস ৷

ইবন মাজা (র) বলেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র) বারা, ইবন আযিব (বা) হতে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যে হজ্জ পালন করেছিলেন যে বিদায় হজ্জ থেকে আমরা তার সাথে
ফিরে চললাম ৷ পথে তিনি অবতরণ করলেন এবং সালাতের জন্য জামাআত অনুষ্ঠানের নির্দেশ
দিলেন ৷ তারপর আলী (রা)-এর হাত ধরে বললেন, আমি কি ঘু’মিনদের জন্য র্তাদের
নিজেদের চাইতে অধিকতর আপনজন নই? তারা বললেন, জী হী, নিশ্চয়ই ৷ তিনি (সা)
বললেন, ণ্াব্র৷ ৷এ :৩^ এত্৷ ধ্ঠো ক্রো’ আমি কি প্রত্যেক ঘুমিনের জন্য তার নিজের
চাইতে অধিকতর আপন ও অগ্রাধিকারযোগ্য নই ?” তারা বললেন, জী হী, নিশ্চয়ই ৷ তখন
তিনি বললেন, তবে আমি যাদের আপন এ (আলী) ও তাদের জন্য আপন, ইয়া আল্লাহ ! যারা
তার সাথে সম্ভব রক্ষা করার আপনি তাদের বন্ধু হোন এবং যারা তার সাথে বৈরিতা করবে
আপনি এদের প্রতি বৈরী হোন !” আবদুর রাঘৃযাক (র)-ও হড়াদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন মামার (র)(আদী সুত্রে ) বড়ারা (বা) হতে ৷ হাফিজ আবু ইয়ালা মাওয়সিলী ও
হাসান ইবন সুফিয়ান (র) বলেন, হুদরা (র) সুত্রে বারা (বা) হতে, তিনি বলেন, বিদায় হজে


سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّتِهِ الَّتِي حَجَّ، فَنَزَلَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ، فَأَمَرَ: الصَّلَاةُ جَامِعَةً. فَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " فَهَذَا وَلِيُّ مَنْ أَنَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» وَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ وَالْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا هُدْبَةُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ وَأَبِي هَارُونَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَلَمَّا أَتَيْنَا عَلَى غَدِيرِ خُمٍّ كُسِحَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ شَجَرَتَيْنِ، وَنُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةً. وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَأَخَذَ بِيَدِهِ، فَأَقَامَهُ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " فَهَذَا مُوَالِي مَنْ أَنَا مُوَالِيهِ، وَمَوْلَى مَنْ أَنَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". فَلَقِيَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪১৩০
هَنِيئًا لَكَ، أَصْبَحْتَ وَأَمْسَيْتَ مَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ.» وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، وَأَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ - وَكِلَاهُمَا ضَعِيفٌ - عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ بِهِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُثْمَانَ الْحَضْرَمِيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ جِدًّا - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ زَاذَانَ أَبِي عُمَرَ، قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا بِالرَّحْبَةِ وَهُوَ يَنْشُدُ النَّاسَ: مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ وَهُوَ يَقُولُ مَا قَالَ؟ قَالَ: فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَأَبُو عَبْدِ الرَّحِيمِ هَذَا لَا يُعْرَفُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ فِي مُسْنَدِ أَبِيهِ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ، وَعَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، قَالَا: «نَشَدَ عَلِيٌّ النَّاسَ فِي الرَّحْبَةِ: مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ إِلَّا قَامَ. قَالَ: فَقَامَ مِنْ قِبَلِ سَعِيدٍ سِتَّةٌ، وَمِنْ قِبَلِ زَيْدٍ سِتَّةٌ، فَشَهِدُوا
পৃষ্ঠা - ৪১৩১

আমরা র!সুলুল্লাহ (সা) এর সং গে ছিলাম ! আমরা খুম জলাশ য়ের কাছে উপনীত হলে
রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য দুটি গাছের তলা পরিষ্কার করা হল ৷ ক!ফেল!র মধ্যে ঘোষণা দেয়!
হয় সালাতের জামাআত সমাপত ! ওদিকে রাসুলুল্লাহ (সা) আলী (র!) কে ডেকে এসে তার
হাতে ধরে তাকে নিজের ডান পাশে
“আমি প্রতিটি মানুষের জন্য তার নিজের চ! !ইতে অধিকতর আপন নই কি ? তা !র! বললেন, জী
হী, নিশ্চয়ই! তিনি বললেন, তা হলে এ (আলী) হচ্ছে তার বন্ধু ও আপন, আমি যার বন্ধু ও
আপন ৷ ইয়া আল্লাহ! যারা তার বন্ধু হয়, আপনিও তাদের বন্ধু হোন, আর যারা তার সাথে
দুশমনী করে আপনি তাদের দুশমন হোন! “তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (র!) তার সাথে
সাক্ষাত করে বললেন, শুভেচ্ছা ঘুবারকবাদ ! আপনি তে! সকালসন্ধ্যড়ায় প্রতিটি ঈমানদার
পুরুষ ও ঈমানদার ন! !রীর বন্ধু ও আপনজন হলেন ! ইবন জ! !রীর (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন আবু যুরআ (ব) (আলী ইবন যায়দ ও আ বু হু!রুন আল আবদী সুত্রে, এ দু জনই
দুর্বল র!ষী ! আদী ইবন ছ!বিত সুত্রে বার! ইবন আ !যিব (র! ) হতে ! এ হাদীসে ইবন জারীর
(র) এর আর একটি রিওয়াযাত মুসা ইবন উছমান আল হায়রামী-এর বর!তে , যিনি অতিশয য়
দুর্বল র!বী, বার! ও যায়দ ইবন আরকাম (র!) হতে ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত !

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইবন নুমায়র (র) আবু আবদুর রহীম আল্ কিনদী--আবু উমর
যায!ন (র) হতে, তিনি বলেন, (কুফার) মসজিদ চতুরে আলী (না)-কে আমি বলতে শুনলাম,
তিনি লোকদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছিলেন যে, খুম জল!শয়ের নিকট অবস্থান কালে
রড়াসুলুল্লাহ্ (স!) এবং তিনি যা যা বলেছিলেন উপস্থিত সকলে ত! শ্যুনছেন বর্ণন!কারী বলেন,
তখন বার জন লোক র্দ!ড়!ল এবং তার! সাক্ষ্য দিল যে, তার! রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর কথা
শুনেছে, যখন তিনি বলছিলেন “আমি যার বন্ধু ও আপন জন আলীও তার বন্ধু ও আপন জন !”
আহমদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়!য়!ত করেছেন এবং এর অন্যতম রাবী আবু আবদুর
রহীম অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ৷

আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমদ (র) বলেন, তার পিতার মুসনাদে আলী ইবন হ! ক্লীয়আল্
আওদী (র)-এর এ মর্মে হাদীস রবুয়ছে শারীক (র) সাঈদ ইবন ওয়!হব ও যায়দ ইবন
ইউছায়গ (র) হতে ! তিনি বলেন, আলী (র!) মসজিদ চতুরে আল্লাহর নামে দোহ!ই দিয়ে
বললেন, খুম জলাশয়ের নিকট অবস্থান কালে যার! র!সুলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুন্যেছ, তার!
যেন অবশ্যই দাড়ায় ! বর্ণনাকারী বলেন, তখন সাঈদ (র)-এর দিক হতে ছয় জন এবং যায়দ
(র)-এর দিক হতে আর ছয় জন র্দাড়াল ! তার! সাক্ষ্য দিল যে, তার! খুম জলশ্যেয় অবস্থান
দিবসে আলী (র!) সম্পর্কে রড়াসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুন্যেছ ষ্ঠাং ঞৰুশটুএর্মীৰুশ্! শু-ঙা ঠো ওেইষ্
ণ্গ্লু!ও! “আল্লাহ কি ঈঘানদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে অধিকতর আপন নন? তার!
বলল, জী হী, নিশ্চয়ই! নবী করীম (স!) বললেন, ইয়! আল্লাহ! আমি যার বন্ধু ও আপন
আলীও তার বন্ধু ও আপন ইয়! আল্লাহ্ ! যার! তার সাথে বন্ধুতু ও সদ্ভাব রাখবে আপনিন্ত্!দের
বন্ধু হোন এবং যার! তার সাথে দুশমনী করবে আপনি তাদের দুশমন হোন! আবদুল্লাহ আরে!
বলেন, আলী ইবন হার্কীম (র) (উল্লিখিত) আবু ইসহাক (র) এর হাদীসের ন্যায় অর্থাৎ সাঈদ
ও যায়দ (র) হতে হাদীস রয়েছে ! তবে এ রিওয়ায়!তে অতিরিক্ত রয়েছে !

ণোণোণো

أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ: " أَلَيْسَ اللَّهُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " اللَّهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ، أَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرٍو ذِي مُرٍّ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ، يَعْنِي عَنْ سَعِيدٍ وَزَيْدٍ، وَزَادَ فِيهِ: «وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ، وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ ".» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَحَدَّثَنَا عَلِيٌّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ فِي كِتَابِ " خَصَائِصِ عَلِيٍّ ": حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، ثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ فِي الرَّحْبَةِ: «أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ يَقُولُ: " إِنَّ اللَّهَ وَلِيِّي وَأَنَا وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَنْ كُنْتُ وَلِيُّهُ فَهَذَا وَلِيُّهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ، وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ ".» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ.
পৃষ্ঠা - ৪১৩২


বললেন) যারা তার সাহায্য করবে
তাদের আপনি সাহায্য করুন এবং যারা তার সাহায্য বর্জন করবে আপনি তাদের সাহায্য বর্জন
করুন !” আবদুল্লাহ (র) আরো বলেন, আলী ইবন হাকীম (র)-ও শারীক (র) (আবৃৎ তুফায়ল
সুত্রে) যায়দ ইবন আরকাম (বা) সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

কিতড়াবু খাসাইস-ই আলী (আলী (র)-এর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী) শিরোনামে ইমাম নড়াসাঈ
(র) বলেন, হুসায়ন ইবন হারব (র) সাঈদ ইবন ওয়াহ্ব (র) হতে, তিনি বলেন, (মসজিদ)
চত্বরে আলী (বা) বললেন, “এমন প্রতিটি লোককে আল্পাহ্র কসম দিয়ে বলছি যারা খুম
জলাশয়ে (অবস্থান) দিবসে রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছে যে,


শুবা (র)ন্ক্তঅড়াবুইসহড়াক (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং এটি একটি বেশ
উত্তম সনদ ৷ নড়াসাঈ (র) ইসরাঈল সুত্রে ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ইসরাঈল (আবু
ইসহাক) ষু-আমর (কযাধ্যক্ষ) আম্র (র) হতে, তিনি বলেন, আলী (বা) (কুফার মসজিদ)
চতৃরে লোকদের শপথ দিলেন ৷ তখন একদল লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিল যে, তারা খৃম
জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছে “আমি যার বন্ধু ও অভিভাবক, আলীও তার
বন্ধু ও অভিভড়াবৰু ৷ ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধু বানায় আপনি তার বন্ধু হোন এবং যে তাকে
শত্রু বানায় আপনি তীর শত্রু হোন ধ্ ণ্ড্রগ্গ্লু
এবং যে তাকে তালবাসে আপনি তাকে ভাল বাসুন, যে তার প্রতি বিদ্বেষ রাখে তাকে আপনি
অপছন্দ করুন এবং যে তাকে সাহায্য করে আপনি তাকে সাহায্য করুন ! ইবন জারীর (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ ইবন মনসুর (র) (আবু ইসহাক) আলী (বা) হতে ৷
ইবন আবীর (র) অন্য একটি সনদেও রিওয়ায়াত করেছেন, আহমদ ইবন মনসুর (র)
(উৰায়দুল্লাহ্ ইবন মুসা যিনি একজন শীআ এবং বিশ্বস্ত) যায়দ ইবন ওয়ড়াহ্ব যায়দ ইবন
ইউছায়গ এবং ঘু-আমৃর আম্র (র) হতে এ মর্মে যে, আলী (বা) কুফায় লোকদের আল্লাহ্র
নামে দােহাই দিলেন (পুর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন) ন্ধ্র

আবদুল্লাহ ইবন (ইমাম) আহমদ (র) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবন উমর আল কাওয়ারীরী
(র), আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) হতে, তিনি বলেন, আমি আলী (রা)-কে
দেখলাম, মসজিদ চতৃরে লোকদের আল্লাহ্র নামে দােহাই দিতে তিনি বললেন, আমি
আল্লাহকে সাক্ষী বানাচ্ছি (তার নামে দোহাই পাড়ছি) যে, যারা খুম জলাধার দিবসে রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে এ কথা বলতে শুনেছে যে, “আমি যার বন্ধু ও আপন, আলীও তার বন্ধু ও আপন ৷
সে অবশ্যই দাড়িয়ে সাক্ষ্য দািব ৷

আবদুর রহমান (র) বলেন, তখন বড়ারজন বদরী (বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণকারী) সাহাবী
দীড়ালেন, আমি যেন তাদের প্রত্যেককে (এ যুহুর্তেও ) দেখতে পাচ্ছি ৷ তারা বললেন, গাদীর-
ই খৃম দিবসে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি ণ্ৰুন্;ন্নুও ষ্ঠাং ঞাদ্বুন্নু ষ্ ক্লে,! ধ্:ত্তা
-ণ্ও১ £« শু ঙু)’ঙু আমি কি ঈমানদড়ারদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে আপন নই ? এবং

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرٍو ذِي مُرٍّ قَالَ: «نَشَدَ عَلِيٌّ النَّاسَ بِالرَّحْبَةِ، فَقَامَ أُنَاسٌ فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ عَلِيًّا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ، وَأَحِبَّ مَنْ أَحَبَّهُ، وَأَبْغِضْ مَنْ أَبْغَضَهُ، وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ ".» وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ، وَعَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، وَهُوَ شِيعِيٌّ ثِقَةٌ، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ، وَزَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، وَعَمْرٍو ذِي مُرٍّ، أَنَّ عَلِيًّا نَشَدَ النَّاسَ بِالْكُوفَةِ. وَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَرْقَمَ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى: «شَهِدْتُ عَلِيًّا فِي الرَّحْبَةِ يَنْشُدُ النَّاسَ، فَقَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". لَمَّا قَامَ فَشَهِدَ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৪১৩৩
اثْنَا عَشَرَ بَدْرِيًّا، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أَحَدِهِمْ، فَقَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّا سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، وَأَزْوَاجِي أُمَّهَاتُهُمْ؟ " فَقُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ، فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ نِزَارٍ الْعَنْسِيُّ، أَنْبَأَنَا سِمَاكُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْعَنْسِيُّ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، فَحَدَّثَنِي أَنَّهُ شَهِدَ عَلِيًّا فِي الرَّحْبَةِ قَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَهِدَهُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ إِلَّا قَامَ، وَلَا يَقُومُ إِلَّا مَنْ قَدْ رَآهُ. فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، فَقَالُوا: قَدْ رَأَيْنَاهُ وَسَمِعْنَاهُ حَيْثُ أَخَذَ بِيَدِهِ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ، وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ، وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ ". فَقَامَ إِلَّا ثَلَاثَةً لَمْ يَقُومُوا، فَدَعَا عَلَيْهِمْ فَأَصَابَتْهُمْ دَعْوَتُهُ.» وَرُوِيَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَامِرٍ الثَّعْلَبِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৩৪

আমার শ্ৰীগণ কি তাদের যা নয় ?১ আমরা ৰললাম, জী হী নিশ্চয়ই, ইয়া রাসুলুল্লাহ্ ৷ তিনি
বললেন,আমি যার বন্ধু ও আপন, আলীও তার বন্ধু ও আপন ৷ ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধু
বানায় আপনি তার বন্ধু হোন, আর যে তাকে শত্রু বানায় আপনি তার শত্রু হোন ! এ টি বিরল
ও অসমর্থিত দুর্বল সনদ ৷

আবদুল্লাহ ইবন আহমদ (র) আরো বলেন, আহমদ ইবন উমড়ায়র আলু ওয়াকীঈ (র)
(উবায়দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ আল্ কড়ায়সী বলেন, আমি) আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা
(র) (এর কাছে গেলে তিনি) হাদীস শোনালেন যে, তিনি আলী (রা)-কে চতুরে’ এ কথা
বলাতে প্রত্যক্ষ করেছেন যে, “আমি এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ্র কসম দিচ্ছি, যে থুম্
জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে দেখেছে এবং তাকে বলতে শুনেছেশ্ সে অবশ্যই র্দাড়াবে;
বাবা তাকে দেখে নি এমন কেউ কিন্তু দীড়াবে না ! “তখন বারজন লোক দাড়িয়ে বলল,
আমরা অবশ্যই জকে দেখছি এবং তার কথা শুনেছি যখন তিনি তার (আলীর) হাত ধরে
বলেছিলেন, ইয়া আল্লাহ ৷ যারা তার সাথে বন্ধুৎ রাখবে আপনি তাদের বন্ধু হোন এবং যারা
তার সাথে দুশমনী করবে আপনি তাদের দুশমন হোন! বাবা তাকে সাহায্য করবে আপনি
তাদের সাহায্য করুন এবং যারা তার সাহায্য বর্জন করবে আপনি তাদের সাহায্য বর্জন
করুন ৷ তখন সকলেই র্দাড়িয়েছিল, তবে তিনজন এমন ছিল যারা দীড়াল না ৷

ফলে আলী (বা) তাদের জন্য বদ-দৃআ করলে তার বদ-দুআ তাদের পেয়ে বসল ৷”
আৰদুল আলা ইবন আমির তাগৃলিবী প্রমুখ, আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা সুত্রেও (ঐ
সনদে) এটি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীর (র) বলেছেন, আহমদ ইবন মনসুর (র) এবং
ইবন আবু আসিম (র)-এর রিওয়ড়ায়াত সুলায়মান আল ওলাবী হতে (উভয়), আলী (বা) হতে
এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ (সা) থুম এর গাছটির কাছে উপনীত হলেন (পুর্ণ হাদীস) তাতে
রয়েছে, “আমি যার মাওলা ও অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷” কেউ কেউ এ হাদীসটি
আবু আমির (র) আলী (বা) হতে মুনকাতি (সনদের প্ৰথমাংশ বিচ্ছিন্ন) রুপে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

ইসমাঈল ইবন আম্র আল বাজালী (অন্যতম দুর্বল রাবী) মিসআর (র) উমায়রা ইবন
সাদ (র) হতে এ মর্মে বণ্নাি করেন যে, তিনি (কুফার মসজিদের) মিম্বারে আলী (রা)-কে
রাসুলুল্পড়াহ (সা)-এর সাহাবীদের লক্ষ্য করে আল্পাহ্র নামে কসম দিতে শ্যুনছেন যে, “থুম
জলাশয় দিবসে কে কে রাসুলুল্পাহ (না)-কে বলতে শুনাে:ছ ? ” তখন বার জন লোক র্দাড়ালেন
যাদের মাঝে আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ ও আনাস ইবন মালিক (রা)-এর ন্যায় ৰিগ্রিষ্টি
সাহাবীগণও ছিলেন ৷ র্তীরা এ মর্মে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে
শুনেছেন, আমি যার মাওলা ও অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক; ইয়া আল্লাহ যে তার সাথে
বন্ধুতু করবে আপনি তার বন্ধু হোন, যে তার সাথে দৃশমনী করবে আপনি তার দুশমন হোন ৷”
উবায়দুল্লাহ ইবন মুসা (র)-ও এ হাদীস হানি ইবন আয়ুৰে (র) হতে, যিনি ৰিশ্বস্ত ও
নিভরিযােগ্য ঐ সনদে ৷



১ সুরা আহ্যাব : ৬ আয়াতের বিষয়বস্তুর প্রতি ইংগিত ৷ অনুবাদক


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، (ح) وَرَوَى ابْنُ أَبِي عَاصِمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْغَيْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْعَقَدِيِّ، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضَرَ الشَّجَرَةَ بِخُمٍّ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ، وَفِيهِ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ عَلِيًّا مَوْلَاهُ» وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي عَامِرٍ، عَنْ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ مُنْقَطِعًا. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ عُمَيْرَةَ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّهُ شَهِدَ عَلِيًّا عَلَى الْمِنْبَرِ يُنَاشِدُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ؟ فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا مِنْهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ هَانِئِ بْنِ أَيُّوبَ - وَهُوَ ثِقَةٌ - عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ بِهِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، ثَنَا شَبَابَةُ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْيَمَ وَرَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". قَالَ: فَزَادَ النَّاسُ بَعْدُ: " وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» رَوَى أَبُو دَاوُدَ بِهَذَا السَّنَدِ حَدِيثَ الْمُخْدَجِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৩৫


আবদুল্লাহ ইবন আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ ইবনুশৃ শাইর (র) , আবু মারয়াম ও আলী
(র্) এর জনৈক সতাসদ সুত্রে আলী (বা) হতে এ মর্মে যে, থুম জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ(সা)
বলেছেন, আমি যার আপন ও অভিভাবক আলীও তার আপন ও অভিভাবক ৷ বর্ণনড়াকারী
(আবু মারয়াম (আবদুল্লাহ) বলেন, পরে লোকেরা এর সাথে যে তার বন্ধু হয় আপনি তার বন্ধু
হোন এবং যে তার দুশমন হয় আপনি তার দুশমন হোন! “এ অৎশটুক বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ আবু
দাউদ (র) উল্লিখিত সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুসায়ন ইবন মুহাম্মাদ (শব্দ ভাষ্য) এবং আবু নুআয়ম (অর্থ
ভাষ্য) , আবৃত তৃফায়ল (র) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, আলী (রা) লোকদের চতুরে
সমবেত করলেন, অর্থাৎ কুফার মসজিদের চত্বরে ৷ তিনি বললেন, আমি এমন প্রতিটি লোককে
আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি, যারা থুম জলাশয় দিবসে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে বলতে শুনেছেন-
যাই শুনেছেন তারা অবশ্যই র্দাড়াবেন ৷ তখন অনেক লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিল যখন নবী
কৰীম (সা) তার (আলী) হাতে ধরে লোকদের বলেছিলেন, “তোমরা জান কি যে, আমি
ঈমানদারদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে অধিকতর আপন ও অগ্ৰাধিকার সম্পন্ন? তারা
বলল, জ্বি হী, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তিনি বললেন, আমি যার আপনি ও অভিভাবক আলীও তার
আপন ও অভিভাবক ৷ ইয়া আল্লাহ ! যে তাকে বন্ধুরুগে গ্রহণ করে আপনি তার বন্ধু হোন এবং
যে র্তার সাথে দৃশমনী করে আপনি তার দুশমন হোন !” আবৃত তুফায়ল (র) বলেন, আমি
(চত্র থেকে) বেরিয়ে এলাম এ অবস্থায় যেন, আমার মনে ঐ বিষয়টা কিছু খুত খুত
করছিল ৷ তাই আমি (সাহাবী) যায়দ ইবন আরকাম (রা)-এর সংগে সাক্ষাত করে তাকে
বললাম, আমি আলী (রা)-কে এই এই কথা বলতে শুনেছি৷ তিনি বললেন, তাতে ৷তামার
কাছে এর কোনটি অপছন্দনীয় হল? আমিও তো তাকে উদ্দেশ্য করে রাসুলুল্লাহ (না)-কে ঐ
কথা বলতে শুনেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা)-এর ঘুসনড়াদে’ (তার
সনদে প্রাপ্ত হাদীসে) এ ভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷

নড়াসাঈ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আমাশ (র) (আবুৎ তৃফায়ল), যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে (পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে) ৷ তিরমিযী (র) হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ বুনৃদার
(রা) আবুৎ তৃফায়ল (র) সুত্রে, তিনি হাদীস বর্ণনা করেন আবু সুরায়হা কিংবা যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে (সন্দেহটি মধ্যবর্তী রাবী শুবার) ৷ এ মর্মে যে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
আমি যার আপন ও অভিভাবক আলী ও তার আপন ও অভিভাবক ৷ ইবন জারীর (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আহমদ ইবন হাযিম (র)(ইয়াহ্য়া ইবন জাদা) , যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আবু আবদুল্লাহ মায়মুন (র)
হতে, তিনি বলেন, যায়দ ইবন আরকাম (র) বলছিলেন, আমি ওনছিলাম, আমরা রাসুলুল্লাহ
(সা) এর সাথে ওয়াদী থুম’ নামে অভিহিত একটি মনযিলে অবস্থান নিলাম ৷ তখন নবী করীম
(সা) সালাতের নির্দেশ দিলেন এবং আউয়াল ওয়াক্তে সে সালাত আদায় করলেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং গাছের সাথে একটি কাপড়
লট্কিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-কে ছায়া দেয়া হল, যা তাকে সুর্যের তাপ হতে ছায়া দিয়ে রাখল ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَأَبُو نُعَيْمٍ الْمَعْنَى قَالَا: ثَنَا فِطْرٌ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «جَمَعَ عَلِيٌّ النَّاسَ فِي الرَّحْبَةِ - يَعْنِي رَحْبَةَ مَسْجِدِ الْكُوفَةِ - فَقَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ كُلَّ مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ مَا سَمِعَ لَمَّا قَامَ. فَقَامَ ثَلَاثُونَ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَقَامَ نَاسٌ كَثِيرٌ فَشَهِدُوا حِينَ أَخَذَ بِيَدِهِ، فَقَالَ لِلنَّاسِ: " أَتَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". قَالَ: فَخَرَجْتُ كَأَنَّ فِي نَفْسِي شَيْئًا، فَلَقِيتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنِّي سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَمَا تُنْكِرُ؟ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ لَهُ.» هَكَذَا ذَكَرَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي مُسْنَدِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ بِهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ. وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سُرَيْحَةَ أَوْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ - شَكَّ شُعْبَةُ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ".» وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ كَامِلٍ أَبِي الْعَلَاءِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৩৬
يَحْيَى بْنِ جَعْدَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ وَأَنَا أَسْمَعُ: «نَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلًا يُقَالُ لَهُ: وَادِي خُمٍّ. فَأَمَرَ بِالصَّلَاةِ فَصَلَّاهَا بِهَجِيرٍ. قَالَ: فَخَطَبَنَا وَظُلِّلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبٍ عَلَى شَجَرَةِ سَمُرٍ مِنَ الشَّمْسِ فَقَالَ: " أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ - أَوْ: أَلَسْتُمْ تَشْهَدُونَ - أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ عَلِيًّا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، إِلَى قَوْلِهِ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". قَالَ مَيْمُونٌ: حَدَّثَنِي بَعْضُ الْقَوْمِ عَنْ زَيْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ، وَقَدْ صَحَّحَ التِّرْمِذِيُّ بِهَذَا السَّنَدِ حَدِيثًا فِي الزَّيْتِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا حَنَشُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ لَقِيطٍ الْأَشْجَعِيُّ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: «جَاءَ رَهْطٌ إِلَى عَلِيٍّ بِالرَّحْبَةِ فَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৪১৩৭


তিনি বললেন,-এেফো ণ্মুা৷ ,৷ :ফো ণ্মু)৷ “তোমরা অবগত নও কি ? ৎবা (তিনি
বলেছিলেন) তোমরা সাক্ষ্য দিচ্ছ না কি যে, আ ড়ামি প্রতিটি ঈমানদারের জন্য তার নিজের
চাইতে আপন? “তারা বলল, ত্মী হড়া, ফিরে! তিনি বললেন, ৩বে, আমি যার আপন ও

অতিভাবক নিশ্চয়ই (০ৰুএ) আ ৷লীও তার আপন ও অতিভ৷ ৷রক ৷

ইয়া আল্লাহ যে তার সংগে বন্ধুতা করে আপন তার সংগে বন্ধুতা করুন এবং যে তার

ৎগে বৈরী৩ ড়া করে আপনি তার সৎ গে বৈরিতা রাখুন ৷ “তারপর ইমাম আহমাদ হাদীসটি
রিওয়ড়ায়াত করেছেন গুনদার (র) , (ও বা)যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে, “আমি যার
অতিভাবক” পর্যন্ত (অর্থাৎ এ রিওয়ড়ায়াতে পরবর্তী অংশ যেই) ৷ মায়মুন (র) বলেন, যায়দ (বা)
হতে জনৈক ব্যক্তি আমাকে হাদীস ওনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, “ইয়া আল্লাহ যে
তার সং গে বন্ধুতা করে আপনি তার সংগে বন্ধুৎ করুন, যে তার সাথে বৈবি৩ ৷ করে আপনি
তার সাথে বৈরীতা রাখুন এ সনদটি বেশ উত্তম (জা ব্যিদ) , এর রাবী তালিকার সকলেই
নির্ভরযেগ্যে ও সুনান গ্রন্থ সমুহের শর্তানুরুপ ৷ তিরমিযী (র) এ সনদে রায়ছ (&া,৩ ) (ধীর
গাষীতাবিলম্বক্ষণ ?) সম্পর্কিত একটি হাদীস সহীহ্ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আদম (র) রাবাহ্ ইবনুল হারিছ (র) হুৰুহতে, তিনি
বলেন, চতুরে’ একদল লোক আলী (রা) সকাশে আগমন করলেন; তারা রহৃনৃড্রুলুন, আস্-
সালামু আলাইকা ইয়া মাওলানা! (হে আমাদের মওলা) তিনি (আলী) বললেন, আপনারাও
হলেন তো আরবী তো আমি কী করে আপনাদের মাওলা হতে পারি ?১ তারা বললেন, খুম
জলাশয় দিবসে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি ৷“ আমি যার মাওলা’ এ (আলী)-ও
তার মাওলা’ ৷ রাবাহ্ (র) বলেন, আগন্তুকরা চলে যেতে লাগলে আমি তাদের অনুসরণ করলাম
এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, “এ লোকদের পরিচয় কি?” তারা বললেন, “আনসারীদের
একটি দল” আবু আয়ুবে আনসারী (বা) তাদের অন্যতম ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন,
হানৃশ (র) রাবাহ্ ইবনুল হারিছ (র) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আনসাবী একদল
লোককে দেখলাম ৷ আলী (রা)-এর কাছে চত্রে আগমন করল, আলী (রা) তাদের বললেন,
“এরা কারা ? তারা বলল, আমীরুল মুমিনীন ! এরা আপনার মাওলা, পুর্বোক্ত হাদীসের মর্ম
উল্লেখ করলেন, এ হল আহমদ (র)-এর ভাষ্য এবং এটি তার একক বর্ণনা ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, আবুল জাওয়া আহমদ ইবন উছমান (র), আইশা বিনত সাদ
(র) হতে, তিনি তার পিতাকে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্পাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছি,-
জ্বহ্ফায় অবস্থানের দিন, তিনি আলী (রা)-এর হাতে ধরনের এবং ভাষণ দিলেন ৷ তাতে তিনি
বললেন, ণ্ৰুশ্ন-ষ্ঙু ষ্--াট গ্রাগ্রা শ্লো লোক সকল আমি তোমাদের অতিভাবক? তারা বললেন যথার্থ
বলেছেন” ৷ তখন তিনি আলী (না)-এর হাত উচু করে ধরে বললেন,


“এ হচ্ছে আমার আপন জন এবং (প্রয়োজনে) আমার পক্ষ থেকে কর্তব্য পালনকারী; আর যে

তীর সাথে ঘনিষ্ঠতা রাখবে আল্লাহ তার আপন হবেন এবং যে তার সাথে শত্রুতার সম্পর্ক রাখবে



১ যুদ্ধে অনারব পরাজিতরা গোলাম হত, আরবদের গোলাম বানাবড়ার বিধান ছিল না ৷ অনুবাদক


السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَانَا. قَالَ: كَيْفَ أَكُونُ مَوْلَاكُمْ وَأَنْتُمْ قَوْمٌ عَرَبٌ؟! قَالُوا: سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا مَوْلَاهُ ". قَالَ رِيَاحٌ: فَلَمَّا مَضَوْا تَبِعْتُهُمْ فَسَأَلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالُوا: نَفَرٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِيهِمْ أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، ثَنَا حَنَشٌ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: رَأَيْتُ قَوْمًا مِنَ الْأَنْصَارِ قَدِمُوا عَلَى عَلِيٍّ فِي الرَّحْبَةِ، فَقَالَ: مَنِ الْقَوْمُ؟ فَقَالُوا: مَوَالِيكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَذَكَرَ مَعْنَاهُ هَذَا لَفْظُهُ وَهُوَ مِنْ أَفْرَادِهِ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو الْجَوْزَاءِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، ثَنَا مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ - وَهُوَ صَدُوقٌ - حَدَّثَنِي مُهَاجِرُ بْنُ مِسْمَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ، سَمِعَتْ أَبَاهَا يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ الْجُحْفَةِ، وَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَخَطَبَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي وَلِيُّكُمْ ". قَالُوا: صَدَقْتَ. فَرَفَعَ يَدَ عَلِيٍّ فَقَالَ: " هَذَا وَلِيِّي وَالْمُؤَدِّي عَنِّي، وَإِنَّ اللَّهَ مُوَالِي مَنْ وَالَاهُ، وَمُعَادِي مَنْ عَادَاهُ ".» قَالَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. ثُمَّ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ حَدِيثِ يَعْقُوبَ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ، وَأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَقَفَ حَتَّى لَحِقَهُ مَنْ بَعْدَهُ، وَأَمَرَ بِرَدِّ مَنْ كَانَ تَقَدَّمَ، فَخَطَبَهُمْ. الْحَدِيثَ.
পৃষ্ঠা - ৪১৩৮


আল্লাহ তার প্ৰতি বৈরী হবেন ৷ শায়খ যাহাবী (র) বলেছেন, এ হাদীসটি হাসানগরীব ৷ ইবন
জারীর (র) এ হাদীসের পরবর্তী রিওয়ায়াত নিয়েছেন ইয়াকুব ইবন জাফর সুত্রে, হাদীসটি
আন্ব্লুপুর্বিক বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তাতে আরও রয়েছে যে, নবী করীম (সা) র্তার পিছনের
লোকদের র্তার কাছে পৌছা পর্যন্ত প্রতীক্ষা করলেন এবং সামনে চলে যাওয়া লোকদের ফিরিয়ে
আনার নির্দেশ দিলেন ৷ র্তারপর ভাষণ দিলেন ৷ কিতাবু পড়াদীর-ই খুম-এর প্রথম খণ্ডে সংকলক
আবু জাফর ইবন জারীর আত্-তাবারী (র) বলেছেন, শায়খ আবু আবদুল্লাহ আবৃ যাহাবী (র)-এর
বর্ণনা মতে এ বিবরণ ইবন জারীর হতে গৃহীত একটি পাণ্ডুলিপিতে রয়েছে ৷ মাহ্মুদ ইবন আওফ
আত্-তাঈ (র) সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে, ইবন জারীর (র) বলেন, আমার
কিভাবে যদিও কথাটি নেই, তবুও আমার ধারণায় এ সনদ উমর (রা) হতে, (তিনি বলেন)
রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি (বলতে) শুনেছি, এখন তিনি আলী (রা)-এর হাত ধরে রেখেছিলেন ৷
“আমি যার আপন ও অভিভাবক হব এও তার আপন হবে ৷ ইয়া আল্লাহ! যে তাকে বন্ধুরুপে
গ্রহণ করে আপনি তাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করুন এবং যে তার সাথে দুশমনী করে আপনি তার সাথে
দুশমনী রাখুন! এ হাদীসটি বিরল, বরং মুনকার, অ্যাহণত্তযাগ্য এবং এর সনদ দুর্বল ৷ বুখারী (র)
বলেছেন, এ (হাদীসের অন্যতম) রাবী জাঘীল ইবন উমারা বিতর্কিত ব্যক্তি ৷

আলু যুত্তালিব ইবন যিয়াদ (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আকীল (র) হতে, তিনি জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা জুহ্ফার
ঘুম জলাশয়ের পাড়ে ছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) একটি র্তীবু হতে বেরিয়ে এসে আলীর
হাত ধরলেন এবং বললেন, আমি যার মাওলা আলীও জর মাওলা ও অভিভাবক ৷ শায়খ
যাহাবী বলেন, এটি হাসান (উত্তম) সনদের হাদীস ৷ ইবন লাহীআ (র)-ও হাদীসটি বাক্র
ইবন সাওয়াদা (বা) প্রমুখ হতে আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান সুত্রে জাবির (বা) হতে
অনুরুপ রিওয়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাবয়ী ইবন জুনড়ায়দ (রা) বিদায় , হরুজ্জ
উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ;,-শ্ এেএপ্-এ শ্বষ্ গ্রুঞ্চ^ মোঃ ;ণ্^ শু-ৰুং
-শুএণ্ড্র ; ম্রা শ্বা “আলী আমার (হতে) এবং আমি আলী (হতে) এবং আমার পক্ষে একমাত্র আমি
কিংবা আলী ব্যতীত অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করবে না ৷ ইবন আবু বুকায়র (র)-এর বর্ণনায়
ষ্ষ্কণ্ড্রু ৷৷ শ্বা শুম১ ,,-৩ ,ণ্-ণ্ই;ষ্ “আমি কিংবা আলী ব্যতীত অন্য কেউ আমার পক্ষে আমার ঋণ
পরিশোধ করবে না ৷ আহমদ (র) আবু আহমদ আঘৃ যুবায়রী (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, যুবায়ৰী (র) হাবশী ইবন জুনাদা (রা) সনদেও
অনুরুপ রর্বৃকুা৷ করেছেন ৷ রাবী শারীক (র) বলেন, আমি আবু ইসহাক (র)-কে বললাম, আপনি
র্তাব (হাইর্গী কাছে এ কথা কোথায় শুনলেন? তিনি বললেন; “জাব্বানা আর সুবায় ¢,:- হ্াৰু ;
এ আমাদের একটি মজলিসের সামনে একটি ঘোড়ার পিঠে বসা অবস্থায় তিনি আমাদের জন্য
থেমে ছিলেন ৷

আহমদ (র) জ্যি সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন
সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) এটাকে হাসান সাহীহ পরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷
সুলায়মান ইবন কাবৃম যিনি একজন পরিত্যাজ্য রাবী হাবৃশী ইবন জুনাদা (বা) হতে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন যে, হাবশ (রা) খুম জলাশয় দিবসে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি,


وَقَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ فِي الْجُزْءِ الْأَوَّلِ مِنْ كِتَابِ " غَدِيرِ خُمٍّ " - قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: وَجَدْتُهُ فِي نُسْخَةٍ مَكْتُوبَةٍ عَنِ ابْنِ جَرِيرٍ -: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ نَشِيطٍ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ - قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ أَحْسَبُهُ قَالَ: عَنْ عُمَرَ. وَلَيْسَ فِي كِتَابِي -: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِ عَلِيٍّ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، بَلْ مُنْكَرٌ، وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي جَمِيلِ بْنِ عُمَارَةَ هَذَا: فِيهِ نَظَرٌ. وَقَالَ الْمُطَّلِبُ بْنُ زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «كُنَّا بِالْجُحْفَةِ بِغَدِيرِ خُمٍّ، فَخَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خِبَاءٍ أَوْ فُسْطَاطٍ، فَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ، فَقَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ".» قَالَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرٍ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ وَابْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، قَالَا: ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ - قَالَ يَحْيَى بْنُ آدَمَ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ
পৃষ্ঠা - ৪১৩৯
حَجَّةَ الْوَدَاعِ - قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ ".» وَقَالَ ابْنُ أَبِي بُكَيْرٍ: «لَا يَقْضِي عَنِّي دَيْنِي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ ".» وَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيِّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَاهُ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ مِثْلَهُ. قَالَ: فَقُلْتُ لِأَبِي إِسْحَاقَ: أَيْنَ سَمِعْتَ مِنْهُ؟ قَالَ: وَقَفَ عَلَيْنَا عَلَى فَرَسٍ لَهُ فِي مَجْلِسِنَا فِي جَبَّانَةِ السَّبِيعِ. وَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ أَسْوَدَ بْنِ عَامِرٍ، وَيَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ شَرِيكٍ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُوسَى، عَنْ شَرِيكٍ، وَابْنِ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَسُوَيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ مُوسَى، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ شَرِيكٍ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ - وَهُوَ مَتْرُوكٌ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» وَذَكَرَ الْحَدِيثَ.
পৃষ্ঠা - ৪১৪০


আমি যার মাওলা হব আলীও তার মাওলা ৷ ইয়া আল্লাহ৷ যে তার সাথে বন্ধুত্ব করে আপনি তার
বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে শক্রত৷ করে আপনি তার শত্রু হোন” (পুর্ণ হাদীস) ৷

হাফিজ আবু ইয়ালা আল মড়াওসিলী (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র), আবু
ইয়াযীদ আল-সাওদী (র) তার পিতা হতে ৷ তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (বা) মসজিদে প্রবেশ
করলে অনেক লোক তার কাছে সমবেত হল ৷ এক যুবক তার সামনে দাড়িয়ে বলল, আপনাকে
আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা)কে এ কথা বলতে শুনেছেন
যে,“আমি যার মওলা আলীও তার মওলা, ইয়া আল্লাহ যে তার সাথে বন্ধুতু রাখে আপনি তার
বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে দৃশমনী করে আপনি তার দুশমন হোন ! আবু হুরায়রা (রা)
বললেন, হী ৷ ইবন জারীর (র) এটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু কুরায়ব (র) শারীক, ঐ সনদে
এবং ইদরীস আলু আওদী (র) তার, ভাই আবু ইয়াযীদ (দাউদ ইবন ইয়াযীদ) হতে ঐ সনদে
এর সমর্থনে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) উক্ত ইদরীস ও দাউদ (র) (তাদের
পিতা সুত্রে) আবু হুরায়রা (বা) হতেও হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ কিন্তু, যামৃরা (র)
শাওয়াবআবু হুরায়রা (বা) হতে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্পাহ (সা) যখন আলী (রা)-এর হাতে ধরলেন তখন বললেন, “আমি যার মওলা আলীও
তার মওলা এবং তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করলেন ণ্£১া১ ৰুএ এ্যাষ্ ণ্ঙু ঠো
শ্স্ট্টঞ্চ^ঙ্গ--ং ণ্হ্ন ছাং জ্যো৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, যে দিনটি ছিল খুম জলাশয়ের নিকটে
অবস্থানের দিন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের (ঐ দিনটিতে) আঠার তারিখে সিয়াম পালন
করবে তার জন্য ষাট মাস সিয়াম পালনের (হওয়ার) লেখা হবে ৷ এটি একটি অত্যন্ত
মুনকার ও প্রত্যথ্যেড়াত হাদীস বরং এটি মিথ্যা ও জাল ৷ কেননা, এ বর্ণনাটি সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে
উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) হতে প্রাপ্ত হাদীসের বিপরীত ৷ কারণ তাতে বলা হয়েছে যে,
শুক্রবার আরফাত দিবসে এ আয়াত নাযিল হয়েছিল যখন রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে অবস্থান
করছিলেন (সংত্তিষ্টি অনুচ্ছেদ দ্ৰষ্টব্য) ৷

অনুরুপ তার উক্তি যিলহজের আঠার তারিখ ঘুম জলাশয় দিবসের (স্মরণে) সিয়াম
পালন সটি মাস সিয়ামের সমতুল্য এ বক্তব্য যথার্থ নয় ৷ কেননা, সহীহ্ হাদীসে প্রমাণিত
হয়েছে (যার অর্ধ ভাষ্য) যে, গোষ্ঠী রমযান মাসের সিয়ড়াম দশ মাসের সমতুল্য ৷ সুতরাং মাত্র
একদিনের সিয়াম ষাট মাসের সমতুল্য হওয়ার কাল্পনিক ব্যাপার নয় কি ? কাজেই ভাষাটি
বাতিল ও অবাস্তব ৷ শায়খ আলু হাফিজ আবু আবদুল্লাহ আয্ যাহাৰী (র) এ কারণেই এ
হাদীস উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেছেন যে, এটি চরম মুনকার ও প্রত্যাখ্যাত ৷ হাবৃশুন আলু
খাল্পাল ও আহমদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আন নায়িরীি (র) দুজন সতবােদী ও বিশ্বস্ত
রাবী যাম্রা (র) হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (যাহাৰী) বলেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব, মালিক
ইবনুল হুওয়ায়পুরিছ, আনাস ইবন মালিক ও আবু সাঈদ (রা) প্রমুখের নামেও বিভিন্ন দুর্বল ও
মনগড়া সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন, হাদীসের প্রথম অংশ বহুল সুত্রে
ঘুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত, যাতে এ নিশ্চয়তায় পৌছতে পারি যে, রাসুলুল্পাহ (না) তা
বলেছেন ৷


وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنْبَأَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي يَزِيدَ الْأَوْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «دَخَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ الْمَسْجِدَ فَاجْتَمَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ شَابٌّ فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ "؟ قَالَ: نَعَمْ.» وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ شَاذَانَ، عَنْ شَرِيكٍ بِهِ. تَابَعَهُ إِدْرِيسُ الْأَوْدِيُّ، عَنْ أَخِيهِ أَبِي يَزِيدَ - وَاسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ يَزِيدَ - بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ إِدْرِيسَ وَدَاوُدَ، عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَذَكَرَهُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ضَمْرَةُ عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِ عَلِيٍّ قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: " الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ " (الْمَائِدَةِ: 3) . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَهُوَ يَوْمُ غَدِيرِ خُمٍّ، مَنْ صَامَ يَوْمَ ثَمَانَ عَشْرَةَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ كُتِبَ لَهُ صِيَامُ سِتِّينَ شَهْرًا.» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا، بَلْ كَذِبٌ ; لِمُخَالَفَتِهِ لِمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفٌ بِهَا كَمَا قَدَّمْنَا. وَكَذَا قَوْلُهُ أَنَّ صِيَامَ يَوْمِ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَهُوَ يَوْمُ
পৃষ্ঠা - ৪১৪১


আর (মধ্যবর্তী অংশ) ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে অংশর্টুকু সরল সনদে
সমর্থিত বর্ধিত অংশ, আর (শেষ অংশটুকু) এ সিয়ামের বিষয়টি যথার্থ ও বিশুদ্ধ নয় ৷ আল্লাহ্র
কসম ঐ সময় আয়াত নাযিল হওয়ার বিষয়টিও স্বীকৃতিমােগ্য নয় ৷ কেননা, তা অবশ্যই ঘুম
জলশায় দিবসের বেশ কতক দিন আগে (নয় দিন) আরাফা দিবসেই নাযিল হয়েছিল ৷ আল্লাহ
তাআলাই সম্যক ও সমধিক অবগত ৷

তাৰারানী (র) বলেছেন, আলী ইবন ইসহাক আলু ওয়ড়াযীর আলু ইসৃপাহড়ানী (র) সাহ্ল
ইবন হুনায়ফ ইবন সাহ্ল ইবন মালিক (কাব ইবন মালিক-এর তাই) তার পিতা তীর দাদা
থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন বিদায় হজ্জ সম্পাদন করে মদীনায় ফিরে এলেন
তখন মিমারে উঠে আল্লাহর হামদ ও ছানা উচ্চারণ করলেন ৷ এরপর বললেন-ন্-
াৰুৰুা
ধ্৮ন্!শু ন্ডিং
লোক সকল! আবু বকর কোন দিন আমাকে কষ্ট দেয়নি ৷ তাই, তোমরা তার এ বিষয়টির
স্বীকৃতি দিবে ও কদর করবে ৷ লোক সকল ! আবু বকর, উমর, উছমান, আলী, তালুহা,
যুবায়র ও আবদুর রহমান ইবন আওফ এবং প্রথম যুগের যুহাজিরদের প্ৰতি রয়েছে আমার
সন্তুষ্টি, তাদের ব্যাপারে এ বিষয়টির কদর করে চলবে ৷ লোক সকল ! আমার সাহাবীগণ,
বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়কুল এবং আমার প্রিয়জনের ব্যাপারে আমার সাথে তাদের সম্পর্কের
দাবী রক্ষা করে চলবে; আল্লাহ যেন তাদের কারো সাথে দৃর্ব্যবহারের দায়ে তোমাদের দায়ী না
করেন ৷ লোক সকল! মুসলমানদের (বিরুপ সমালোচনার) ব্যাপারে তোমরা তোমাদের জিহ্বা

ত্যত রাখবে এবং তাদের কেউ মারা গেলে তার সর্ম্পকে ভাল কথা বলবে (ও সৃমন্তব্য
করবে) ৷ বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ ং



১ সম্ভবত মুল পাণ্ডুলিপিতে বিসমিল্পাহ পরবর্তী অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে ছিল ৷ কোন অনুলিপিকারের
অসতর্কতায় এখানে যুক্ত হয়েছে ৷ অনুবাদক


غَدِيرِ خُمٍّ يَعْدِلُ صِيَامَ سِتِّينَ شَهْرًا لَا يَصِحُّ ; لِأَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ مَا مَعْنَاهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ صِيَامَ شَهْرِ رَمَضَانَ بِعَشَرَةِ أَشْهُرٍ فَكَيْفَ يَكُونُ صِيَامُ يَوْمٍ وَاحِدٍ يَعْدِلُ سِتِّينَ شَهْرًا؟! هَذَا بَاطِلٌ. وَقَدْ قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ بَعْدَ إِيرَادِهِ هَذَا الْحَدِيثَ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا وَرَوَاهُ حَبْشُونُ الْخَلَّالُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ النِّيرِيُّ - وَهُمَا صَدُوقَانِ - عَنْ عَلِيِّ بْنِ سَعِيدٍ الرَّمْلِيِّ، عَنْ ضَمْرَةَ. قَالَ: وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَمَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَغَيْرِهِمْ بِأَسَانِيدَ وَاهِيَةٍ. قَالَ وَصَدْرُ الْحَدِيثِ مُتَوَاتِرٌ، أَتَيَقَّنُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَهُ وَأَمَّا: «اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ ".» فَزِيَادَةٌ قَوِيَّةُ الْإِسْنَادِ وَأَمَّا هَذَا الصَّوْمُ فَلَيْسَ بِصَحِيحٍ ; وَلَا وَاللَّهِ مَا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ إِلَّا يَوْمَ عَرَفَةَ قَبْلَ غَدِيرِ خُمٍّ بِأَيَّامٍ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ الْوَزِيرُ الْأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ سِنَانِ بْنِ مَالِكِ بْنِ مِسْمَعٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ سَهْلِ بْنِ مَالِكٍ أَخِي كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ، جَدِّهِ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ مِنْ حَجَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪১৪২
الْوَدَاعِ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ لَمْ يَسُؤْنِي قَطُّ، فَاعْرِفُوا ذَلِكَ لَهُ، يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، رَاضٍ فَاعْرِفُوا ذَلِكَ لَهُمْ، أَيُّهَا النَّاسُ، احْفَظُونِي فِي أَصْحَابِي وَأَصْهَارِي وَأَخْتَانِي لَا يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ بِمَظْلِمَةِ أَحَدٍ مِنْهُمْ، أَيُّهَا النَّاسُ، ارْفَعُوا أَلْسِنَتَكُمْ عَنِ الْمُسْلِمِينَ وَإِذَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْهُمْ فَقُولُوا فِيهِ خَيْرًا ".»