আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر إيراد حديث فيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يزور البيت في كل ليلة من ليالي منى

تسمية أيام الحج

পৃষ্ঠা - ৪১১৪


নেই ৷ আর তাদের অধিকার হল সংগত পরিমাণ তাদের খােরস্বপাষ যদি তাদের প্রহার কর ৷
তবে যখন সৃষ্টি না করে তা করবে ৷ কোনও মানুষের জন্য তার অন্য ভাইরুয়র সম্পদ অতটুকুই
বৈধ্ গ্তটুকুত্বে তার মনের তুষ্টি থাকে ৷ লোক সকল ! আমি তোমাদের নিকট এমন বিষয় রেখে
যাচ্ছি যে, ণ্তামরা তা ধরে থাকলে পথ হারা হবে না (তা হল) আল্লাহর কিতাব, সুতরাং
তোমরা সে অনুযায়ী আমল করতে থাকবে ৷ (তিনি আরো বলেছেন) লোক সকল এটি কোন
দিন? লোকেরা বলল, পবিত্র দিন ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, তবে এটি কোন নগর? তারা
বলল, পবিত্র নগর ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, তবে এটি কোন মাস? তারা বলল, পবিত্র মাস ৷
নবী কবীম (সা) বললেন, সুতরাং আল্লাহ্ তোমাদের জীবন, সম্পদ ও ইজ্জতকে পবিত্র ও
নিষিদ্ধ করেছেন ৷ এ মাসে এ নগরে এ দিনটির পবিত্রতা ও নিষিদ্ধতার ন্যায় ৷ গােন তোমাদের
উপস্থিতরা তোমাদের অনুপস্থিতদের পৌছিয়ে দেবে ৷ ণ্র্ন্ত১ম্ষ্ হ্শ্ণ্ষ্ শ্ব,ষ্ ;দ্র১ম্-ষ্ ,-ও শ্ব আমার
পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন (নতুন) উম্মতও নেই ৷ তারপর নবী
কবীম (সা) তার দুহতে তুলে বললেন, ইয়া আল্পাহ্ সাক্ষী থাকুন ৷

মিনার অবস্থানের প্রতি রাতে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর রায়তুল্লাহ
যিয়ারত সম্পর্কিত হাদীসের আলোচনা

বুথারী (র) বলেন, আবু হাসৃসান (র) ইবন আব্বাস হতে উল্লিখিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) মিনার দিন গুলিতে বায়তুল্লাহ্ যিয়ারত করতেন ৷ বুথাবী (র) বিষয়টিকে এভাবেই উল্লেখ
করেছেন ৷ দৃর্বলতা সুচক ভাবে সনদভাবে ৷ এ প্রসত্গে হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন ৷
আবুল হাসান ইবন আবাদান (র)ইবন আর আরা (র) সুত্রে বলেন, যুআয ইবন হিশাম (র)
আমাদের কাছে একটি লিপি অর্পণ করলেন ৷ তিনি বললেন, আমি আমার পিতার কাছে
বিষয়টি শুনেছি ৷ তিনি তা পাঠ করেন নি ৷ তিনি বলেন, তাতে বলা হয়েছিল কতোদা (র)
আবু হাসৃসান ইবন আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যতদিন
মিনার অবস্থান করেছিলেন তার প্ৰতি রাতে তিনি বড়ায়ভুল্লাহ্ যিয়ারাত করতেন ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, এ হড়াদীসের ব্যাপারে কাউকে আমি আবু হাসৃসানের সমর্থন পাই নি ৷ বায়হাকী আরো
বলেন, আমি এ ছাওবী (র) তাউস ইবন আব্বাস (রা) সনদে রিওয়ড়ায়াত করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতি রাতে ইফামা (বায়তৃল্লাহ্ গমন) করতেন অর্থাৎ মিনার অবস্থানের
রাতগুলিতে ৷ এ সনদটি অবশ্য মুরসাল ৷

মুহাসৃসার-এ অবতরণ-অবস্থান ও বিদায়ী তাওমাফ প্রসৎগ

যিলহজ্জ মাসের ষষ্ঠ দিনের নাম কারো কারো মতে ইয়াওযুয ষীনা সাজ-সজ্জা দিবস ৷
কেননা, এ দিন উটওলিকে জিন-গদী ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয় ৷ সপ্তম দিনকে বলা হয়
ইয়াওমুৎ তার বিয়া পানি আহরণ ও সঞ্চয় দিবস ৷ কেননা, এদিন হাজীগণ পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ
করে আরাফায় অবস্থান ও পরবর্তী দিনওলির প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি বহন করার ব্যবস্থা
করে থাকেন ৷ অষ্টম দিনকে বলা হয় মিনা দিবস ৷ কেননা, ঐ দিন তারা আবতাহ হতে মিনা
অভিমুখে প্রস্থান করে থাকেন ৷ নবম দিন হল আরাফা দিবস ৷ যেহেতু ঐ দিন তারা আরাফাতে


[ذِكْرُ إِيرَادِ حَدِيثٍ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَزُورُ الْبَيْتَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ لَيَالِي مِنًى] قَالَ الْبُخَارِيُّ: يُذْكَرُ عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَزُورُ الْبَيْتَ فِي أَيَّامِ مِنًى.» هَكَذَا ذَكَرَهُ مُعَلَّقًا بِصِيغَةِ التَّمْرِيضِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَاهُ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا الْعُمَرِيُّ، أَنْبَأَنَا ابْنُ عَرْعَرَةَ قَالَ: دَفَعَ إِلَيْنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ كِتَابًا قَالَ: سَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي. وَلَمْ يَقْرَأْهُ قَالَ: فَكَانَ فِيهِ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَزُورُ الْبَيْتَ كُلَّ لَيْلَةٍ مَا دَامَ بِمِنًى. قَالَ: وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا وَاطَأَهُ عَلَيْهِ.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَى الثَّوْرِيُّ فِي " الْجَامِعِ " عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُفِيضُ كُلَّ لَيْلَةٍ. يَعْنِي لَيَالِيَ مِنًى» وَهَذَا مُرْسَلٌ. [تَسْمِيَةُ أَيَّامِ الْحَجِّ] فَصْلٌ (تَسْمِيَةُ أَيَّامِ الْحَجِّ) الْيَوْمُ السَّادِسُ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، قَالَ بَعْضُهُمْ: يُقَالُ لَهُ يَوْمُ الزِّينَةِ. لِأَنَّهُ تُزَيَّنُ فِيهِ الْبُدْنُ بِالْجِلَالِ وَغَيْرِهَا، وَالْيَوْمُ السَّابِعُ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ التَّرْوِيَةِ. لِأَنَّهُمْ يَتَرَوَّوْنَ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ৪১১৫


অবস্থান করেন ৷ দশম দিনকে বলা হয় নাহ্র দিবস ৷ আযহা (কুরাবানী) দিবস এবং বড় হজ্জ
দিবস ৷ তার সাথে সং যুক্ত পরের দিনকে বলা হয় ইয়াওমল কার ভৈস্থর্য দিবস ৷ কেননা
দিনটি তারা (হস্তুজ্জর গুরুৎ পুর্ণ বিষয়াদি সমণণান্তে) স্বস্তির সাথে অতিবাহিত করেন ৷ তবে এ
দিনে তারা কুরবড়ানীর পশুর মাথাগুলি আহার করেন, বিধায় এ দিনকে ইয়াওঘুর রুউসও বলা
হয় ৷ এ দিনটি হল আইয়ামে তাশৰীক (কুরবানীর গোশত শুকাবার দিন গুলি) এর প্রথম দিন ৷
তাশরীক এর দ্বিতীয় দিন যাকে প্রথম প্রস্থান দিবস (নাফর)ও বলা হয় ৷ কারণ, হজ্জ যাত্রীদের
জন্য ঐ দিলেও স্বদেশ পাংন প্ৰন্থানের বৈধত৷ রয়েছে ৷ তবে কারো কারো মতে এটাই হচ্ছে
মাথা ভক্ষণ দিবস নামে অভিহিত দিনটি ৷ তাশ ৷বীক এর তৃতীয় দিন (তেব তারিখ) হল শেষ
প্ৰস্থান (নাফর) দিবস ৷ এ প্ৰসৎগে আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেছেন-

ণ্াফু:; ণ্র্দুা স্রা১ )ঙুপ্লুর্দুর্ড ,হ্রদ্বু গ্রু,১ৰুব্লু ন্:৷ স্রার্দ্র ৰুড্রু;র্চুদ্বু,রুৰু,ৰু৷ ঠুহু;ষ্ দো
কেউ যদি তাড়াতাড়ি করে দুই দিনে চলে আসে (১২ তারিখের) তবে তার কোন পাপ
নেই ৷ আর যদি কেউ (১৩ তারিখ পর্যন্ত) বিলস্ব করে তবে তারও কোন পাপ নেই (২৪
২০৩) ৷ গোটকথা, শে ষ নাফর (প্ৰস্থান) দিবসে অর্থাৎ আ ৷ইয়াম তাশরীকের তৃতীয় দিন
মৎগলবার মুসলিম কা ৷ফিলাসহ মিনা হতে প্রস্থান মাসকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সওয়ারীতে আরোহণ
করলেন এবং মুহাসসাব এ পৌছে অবতরণ করলেন ৷ এটি মক্কা ও মিনার মাঝে একটি
পাহাড়ী উপত্যকা ৷ সেখানে তিনি আসরের, সালাত আদায় করলেন ৷ যেমন বুখারী (র)-এর
ভাষ্য মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্ন৷ (র) আবদুল আঘীয ইবন কফায় (র) হতে, তিনি বলেন, আমি
আনাস ইবন মালিক (রা) এর কাছে আবদার করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তালবিয়া (সপ্তম)
দিবসে যুহর সালাত কোথায় আদায় করেছিলেন? এ সম্পর্কে আপনার স্মৃতি থেকে আমাকে
অবহিত করুন ৷ তিনি বললেন, মিনার ৷ আ ৷মি বললাম, তা হলে নাফর (প্রস্থান) দিবসের
আসর, সালাত কোথায় আদায় করেছিলেন? তিনি বললেন, আবতাহে ৷ (তবে) তােমার
আমীর যেমন করেন তেমনই করবে ৷ আবার এমন রিওয়ায়া৩ ও রয়েছে যে, প্ৰস্থান দিবসের
যুহর সালাত ও নবী কবীম (সা) আবত৷ হে অর্থাৎ মুহাসৃসাব এ আমার করেছিলেন ৷-অ৷ ৷ল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ যেমন, বুখারী (র) আরো বলেন, আবদুল মু৩ তা আলা ইবন তালিব (র)
আনা ৷ণ্ব্ ইবন মালিক (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি
মুহাসৃসারে যুহর, আসর ও ইশা আদায় করলেন এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন ৷ তারপর
বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্য সওয়ারীতে আরোহণ করে তা তাওয়াফ করলেন অর্থাৎ ৰিদায়ী তাওয়াফ ৷
বুখারী (র) আরো বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবদুল ওয়াহহাব (র) থালিদ ইবনুল হারিছ
বলেন, আবদুল্লাহ (র) কে যুহাসৃসাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উবায়দুল্পাহ্ সুত্রে নাফি
(র) হতে হাদীস বর্ণনা করলেন ৷ নাফি (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং উমর (রা) ও ইবন
উমর (রা) ও মুহাসৃসারে অবতরণ করেছেন ৷ নাফি (র) হতে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, ইবন
উমর (রা) সেখানে অর্থাৎ মুাসৃসাবে যুহর, আসর (রাবী বলেন) আমার ধারণা, তিনি
মাণরিবের কথাও বলেছেন এবং খালিদ (র) বলেন, নি ংসন্দেহে ইশাও আদায় করেছেন ৷
তারপর তার সময় নিদ্র৷ যান এবং নবী করীম (না) ও সম্পর্কে এরুপ করেছেন বলে ইবন উমর
(রা) উল্লেখ করতেন ৷ ন্


مِنَ الْمَاءِ، وَيَحْمِلُونَ مِنْهُ مَا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ حَالَ الْوُقُوفِ وَمَا بَعْدَهُ، وَالْيَوْمُ الثَّامِنُ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ مِنًى. لِأَنَّهُمْ يَرْحَلُونَ فِيهِ مِنَ الْأَبْطَحِ إِلَى مِنًى. وَالْيَوْمُ التَّاسِعُ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ عَرَفَةَ. لِوُقُوفِهِمْ فِيهِ بِهَا، وَالْيَوْمُ الْعَاشِرُ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ النَّحْرِ وَيَوْمُ الْأَضْحَى وَيَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ. وَالْيَوْمُ الَّذِي يَلِيهِ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ الْقَرِّ. لِأَنَّهُمْ يَقِرُّونَ فِيهِ وَيُقَالُ لَهُ: يَوْمُ الرُّءُوسِ لِأَنَّهُمْ يَأْكُلُونَ فِيهِ رُءُوسَ الْأَضَاحِي. وَهُوَ أَوَّلُ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ. وَثَانِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلِ. لِجَوَازِ النَّفْرِ فِيهِ وَقِيلَ: هُوَ الْيَوْمُ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ الرُّءُوسِ. وَالْيَوْمُ الثَّالِثُ مِنْ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ يُقَالُ لَهُ: يَوْمُ النَّفْرِ الْآخِرِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ} [البقرة: 203] (الْبَقَرَةِ: 203) الْآيَةَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْآخِرِ، وَهُوَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ مِنْ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، وَكَانَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ، رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، فَنَفَرَ بِهِمْ مِنْ مِنًى فَنَزَلَ الْمُحَصَّبَ، وَهُوَ وَادٍ بَيْنَ مَكَّةَ وَمِنًى، فَصَلَّى بِهِ الْعَصْرَ. كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ قَالَ: «سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ: أَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ عَقَلْتَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أَيْنَ صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ؟ قَالَ: بِمِنًى. قُلْتُ: فَأَيْنَ صَلَّى الْعَصْرَ يَوْمَ النَّفْرِ؟ قَالَ: بِالْأَبْطَحِ، افْعَلْ كَمَا يَفْعَلُ أُمَرَاؤُكَ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ النَّفْرِ بِالْأَبْطَحِ، وَهُوَ الْمُحَصَّبُ.» فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪১১৬
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمُتَعَالِ بْنُ طَالِبٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ قَتَادَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ «حَدَّثَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، وَرَقَدَ رَقْدَةً بِالْمُحَصَّبِ، ثُمَّ رَكِبَ إِلَى الْبَيْتِ فَطَافَ بِهِ.» قُلْتُ: يَعْنِي طَوَافَ الْوَدَاعِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ: سُئِلَ عُبَيْدُ اللَّهِ عَنِ الْمُحَصَّبِ، فَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «نَزَلَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُمَرُ وَابْنُ عُمَرَ.» وَعَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي بِهَا - يَعْنِي الْمُحَصَّبَ - الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ - أَحْسَبُهُ قَالَ: وَالْمَغْرِبَ. قَالَ خَالِدٌ: لَا أَشُكُّ فِي الْعِشَاءِ - ثُمَّ يَهْجَعُ هَجْعَةً، وَيَذْكُرُ ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا نُوحُ بْنُ مَيْمُونٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ نَزَلُوا الْمُحَصَّبَ.» هَكَذَا رَأَيْتُهُ فِي " مُسْنَدِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ. وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ، وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ يَنْزِلُونَ الْأَبْطَحَ.» قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ، وَأَبِي رَافِعٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ،
পৃষ্ঠা - ৪১১৭


ইমাম আহমদ (র) বলেন, নুহ ইবন মায়মুন (র) ইবন উমর (বা) হতে এমর্মে বর্ণনা করেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং আবু বকর, উনার ও উসনান (রা) মুহাসৃসাবে অবতরণ করেছেন ৷
ইমাম আহম্মদ (র)-এর মুসনাদে আবদুল্লাহ আল আমরী নাফি (র) সনদের হাদীস রুপে আমি
এভাবে অধ্যয়ন করেছি ৷ তিরযিযী (র) এ হাদীসটি ব্লিওয়ায়াত করেছেন, ইসহাক ইবন মনসুর
(র) হতে ৷ ইবন মাত্রা (র) রিওয়ায়াত করেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াহয়া (র) হতে (উভয়
সনদ ) নড়াফি-ইবন উমর (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা), আবু বকর, উমর ও
উহুনান (রা) আবতাহে অবতরণ করতেন ৷ তিরযিষী (র) বলেছেন, এ প্রসৎগে আইশা, আবু
রাফি ও ইবন আব্বাস (বা) হতে রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ ইবন উনার (না) হতে আগত হাদীসটি
হাসান-পায়ীব একক সুত্রে উত্তম ৷

কেননা, শুধু আবদুর রায্মাক উবারদুল্লাই ইবন উনার (রা) সনদের হাদীস রুপে এটির
সাথে আমাদের পরিচিতি ৷ মুসলিম (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন
যিহ্রান আল রাযী (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে এমর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (না) এবং আবু বকর ও
উমর (রা) আবতাহে অবতরণ করতেন ৷ মুসলিম (র) সাখৃর ইবন জুওয়ায়রিয়া নাফি ইবন
উমর (রা) হতেও রিওরয়ােত করেছেন যে, তিনি ইবন উনার মুহাসুসাবে অবতরণ করতেন
এবং নাফর দিবসের যুহর সালাত হাসৰায় (মুহাসৃসাবে) আদায় করতেন ৷ নাফি (র) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না) এবং তীর পরবর্তী খলীফাগণ মুহাসৃসাবে অবতরণ করেছেন ৷ ইমাম আহম্মদ
(র) আরো বলেন, ইউনুস (র)ইবন উনার (র) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) যুহর,
আসর, নাপরিব ও ইশার সালাত বাতাহাযা (আবতাহে) আদায় করলেন, তারপর কিছুক্ষণ শুয়ে
থাকলেন ৷ তারপর মক্কার প্রবেশ করলেন এবং ৰারতুস্লাহ তাওয়াফ করলেন ৷ আহম্মদ (র)
আফফান (র)ইবন উমর (রা) হতেও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ রিওয়ায়াতের শেষ অংশে
অধিক রয়েছে ইবন উমর (না) ও তা করতেন ৷ আবু দাউদ (র) ও আহম্মদ ইবন হাম্বল (র)
হতে অনুরুপ ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷

বুখারী (র) বলেন, হুমারদী (র)(যুহরী)আবু হুরায়রা (বা) হতে তিনি বলেন, মিনার
নাহ্র দিবসের দশ তারিখ-এর পরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-


আমরা আগামী দিন বনু কিনানার উপত্যকায় অবতরণ করব, যেখানে তারা কুফরীতে অটল
থাকার চুক্তিতে অংর্গীরক!রাবদ্ধ হয়েছিল ৷ তিনি এ গিরিগুহা বলতে যুহাসৃসাবকে বুঝিয়েছিলাম ৷
(পুর্ণ হাদীস) মুসলিম (র) হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন, মুহায়র ইবন হারব (র)
(আওযাঈ) সুত্রে ইমাম আহম্মদ (র) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক (র) উসামা ইবন নারদ (বা)
হতে ৷ তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা) আগামী কাল কোথায় অবস্থান নেবেন?
এটি তার হাজ্জর সময়ের কথা ৷ তিনি বললেন, মু);ৰু ঞ: fl! এ)এ ঞ; আকীল ( ইবন আবু
তালিব) কি আর আমাদের কোন ঘরবাড়ি রেখেছেঃ তারপর বললেন, আগামী কাল আমরা
ইনশাআল্লাহ্ বনুকিনানার উপত্যকার অর্থাৎ মুহাসৃসাবে-অৰস্থনে নেব যেখানে তারা কুরায়শীদের
সাথে কুফরীতে ও অংগীকারাবদ্ধ হয়েছিল ৷ ঘটনাটি হল যে, বনু কিনানা বনু হাশেযীর বিরুদ্ধে
অন্যান্য কুরায়শীদের সাথে এ ব্যাপারে শপথ যুক্ত আতাত ও চুক্তি করল যে তারা হাশিমীদের

০০ শে)


وَحَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مِهْرَانَ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يَنْزِلُونَ الْأَبْطَحَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَرَى التَّحْصِيبَ سُنَّةً، وَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ يَوْمَ النَّفْرِ بِالْحَصْبَةِ. قَالَ نَافِعٌ: قَدْ حَصَّبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، ثَنَا حَمَّادٌ - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ أَيُّوبَ وَحُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْبَطْحَاءِ، ثُمَّ هَجَعَ هَجْعَةً، ثُمَّ دَخَلَ - يَعْنِي مَكَّةَ - فَطَافَ بِالْبَيْتِ.» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَهُ وَزَادَ فِي آخِرِهِ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৪১১৮


সাথে বিয়ে শাদী বম্মবে না ৷ তাদের সাথে বেচা-কেনা লেনদেন করবেন) এবং তাদের আশ্রয়
দেবে না ৷অর্থাৎ যতক্ষণ না তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের হাতে তুলে দেয় ৷ এ সময় নবী
করীম (না) আরো বলেছিলেন, স্পোগ্লুএগ্রো১’ স্ ;ব্লশ্রো ণ্াস্া ৫ষ্,ন্ম্ব মুসলমান কাফিরদের
মিরাজ পাবে না এবং কাফির ও মুসলমানের ওয়ারিছ হবে না ৷ (মধ্যবর্তী) রাৰী যুহয়ী (র)
বলেন, এ হাদীসের খায়ফ (;,া;) শব্দের অর্থ হল উপত্যকা ৷ বুখায়ী মুসলিম (র) এ হাদীস
আবদুর রাঘৃযাক (র) সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুখায়ী ও আহম্মদ (র)-এর এ হাদীস দুটি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী কয়ীম (সা)
যুহাসুসাবে অবস্থানের ইচ্ছা করেছিলেন একটি মুখ্য উদ্দেশ্য কুরায়শী কাফিররা রাসুল (সা)-
ৰিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের হাতে সোপর্দ করার দাবীতে বনু
হাশিম ও বনুল মুত্তালিবের বিরুদ্ধে চুক্তি পত্র সাক্ষর করে (আনা ঘরে ঝুলিয়ে রেখে) ৷ ছিল তার
ব্যর্থ পরিণতি ও তাতে তাদের হেনস্তা ও পরাজয়ের প্রানির স্মৃতি স্বরুপ (যেমন সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
বর্ণিত হয়েছে) ৷ ওখানে অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ অনুরুপ মক্কা বিজয়ের সময়ও সেখানে
অবতরন করেছিলেন ৷ এ দৃষ্টিকােণের বিচারে সেখানে অবতরণ একটি সুন্নাত ও কাজ্যিত বিষয়
সাব্যস্ত হবে ৷ এবং এটি আলিমগণের এ বিষয় সম্পর্কীত দুই অভিমতের একটি ৷

পক্ষান্তরে, বুখাবী (র) বলেন, আবুনুআয়ম (ব) অইিশা (রা) সুত্রে তিনি বলেন, তা তো ছিল
একটি (সাধারণ) মানযিল যেখানে নবী করীম (না) অবতরণ করতেন শুধু তার (পরবর্তী) সফর
ও প্ৰস্থানের সুবিধার্থে অর্থাৎ আবতাহ (মুহাসসাবে) থেকে ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ হিশাম (র) থেকে ঐ সনদে ৷ আর আবু দাউদ (র)-এর রিওয়ায়াত আহমদ ইবন
হাবল (র) আইশা (রা) হতে রাসুলুল্লাহ্ (না) মুহাসসাবে অবস্থান করেছিলেন শুধু তার প্রস্থান
সহজ হওয়ার উদ্দেশ্য তা সুন্নাত নয় ৷ সুতরাং যার ইচ্ছা সেখানে অবতরণ করবে, যার ইচ্ছা
অবতরণ করবে না ৷ বুখায়ী (র) বলেছেন, আলী ইবন আবদুল্লাহ (র) সুফিয়ান ইবন আব্বাস
(রা) হতে তিনি বলেন, (যুহাসসাবে অবতরণ অবস্থান) মনযিল যেখানে (স্বাভাবিক ভাবেই) নবী
করীম (না) অবস্থান করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু বকর
ইবন আবু শারবা (র) প্রমুখ সুত্রে (সুফিয়ান ইবন উয়ায়না) হতে ঐ সনদে ৷ আবু দাউদ (র)
বলেন, আহমদ ইবন হাম্বাল (র) উছমান ইবন আবু শারবা (শব্দ ভাষ্য) ও মুসাদ্দাদ (র) (অর্থ-
ভাষ্য) সুলায়মান ইবন উয়াসার (র) হতে, তিনি বলেন, আবু রাফি (রা) বলেছেন, তিনি অর্থাৎ
রাসুলুল্লাহ্ (যা) আমাকে সেখানে অবতরণ করার হুকুম করেন নি ৷ তবে সেখানে তাবু তৈরী করা
হলে তিনি সেখানে অবতরণ করলেন ৷ মুসাদ্দাদ (র) বলেছেন ৷ আবু রাফি (রা) ছিলেন নবী
কয়ীম (না)-এর বোঝা বহরের যিম্মাদার ৷ উছমান (রা) বলেছেন ৷ (সেখানে) অর্থাৎ আবতাহে
মুসলিম (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা ৷ যুহায়র ইবন হারব ও আবু বকর (র)
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) হতে ঐ সনদে ৷

এ আলোচনা লক্ষ্য হল মিনা থেকে প্রন্থান কালে নবী করীম (না)-এর মুহাসুসারে
অবতরণের ব্যাপারে এরা সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেছেন ৷ তবে তা উদিষ্ট হওয়ার ব্যাপারে
তাদের মাঝে মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ কারো কারো মতে তিনি সেখানে কোন বিশেষ


عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْغَدِ يَوْمَ النَّحْرِ بِمِنًى: " نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ ".» يَعْنِي بِذَلِكَ الْمُحَصَّبِ. الْحَدِيثَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا؟ فِي حَجَّتِهِ قَالَ: " وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مَنْزِلًا؟ " ثُمَّ قَالَ: " نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ، يَعْنِي الْمُحَصَّبَ، حَيْثُ قَاسَمَتْ قُرَيْشٌ عَلَى الْكُفْرِ ". وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي كِنَانَةَ حَالَفَتْ قُرَيْشًا عَلَى بَنِي هَاشِمٍ أَنْ لَا يُنَاكِحُوهُمْ وَلَا يُبَايِعُوهُمْ وَلَا يُؤْوُوهُمْ - يَعْنِي حَتَّى يُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ثُمَّ قَالَ عِنْدَ ذَلِكَ: " لَا يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ، وَلَا الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَالْخَيْفُ: الْوَادِي. أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَهَذَانَ الْحَدِيثَانِ فِيهِمَا دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَصَدَ النُّزُولَ فِي الْمُحَصَّبِ ; مُرَاغَمَةً لِمَا كَانَ تَمَالَأَ عَلَيْهِ كُفَّارُ قُرَيْشٍ لَمَّا كَتَبُوا الصَّحِيفَةَ فِي مُصَارَمَةِ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، حَتَّى يُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. وَكَذَلِكَ نَزَلَهُ عَامَ الْفَتْحِ، فَعَلَى هَذَا يَكُونُ نُزُولُهُ سُنَّةً مُرَغَّبًا فِيهَا، وَهُوَ أَحَدُ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৪১১৯
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «إِنَّمَا كَانَ مَنْزِلًا يَنْزِلُهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ.» يَعْنِي الْأَبْطَحَ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «إِنَّمَا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُحَصَّبَ ; لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ، وَلَيْسَ بِسُنَّةٍ، فَمَنْ شَاءَ نَزَلَهُ، وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَنْزِلْهُ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: قَالَ عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَيْسَ التَّحْصِيبُ بِشَيْءٍ، إِنَّمَا هُوَ مَنْزِلٌ نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ سُفْيَانَ - وَهُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ - بِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُسَدَّدٌ، الْمَعْنَى، قَالُوا: ثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو رَافِعٍ: «لَمْ يَأْمُرْنِي - يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ أَنْزِلَهُ وَلَكِنْ ضَرَبْتُ قُبَّتَهُ فَنَزَلَهُ.» قَالَ مُسَدَّدٌ: وَكَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ عُثْمَانُ: يَعْنِي فِي
পৃষ্ঠা - ৪১২০


উদ্দেশ্য অবতরণ করেন নি ৷ বরং তার অবতরণ ছিল ঘটনাত্রুমে যাতে প্রস্থান ও পরবর্তী
সনদের জন্য সুবিধা হয় ৷ আর কারো কারো অভিমত হল নবী করীম (সা) বিশেষ উদ্দেশ্য
সামনে রেখে সেখানে অবতরণ করেছিলেন এবং নবী করীম (সা) এর কোন বাণীকে তারা তার
উদ্দেশ্যর প্রতি আভাস বলে মনে করেছেন ৷ এটাই এ ক্ষেত্রে সাযুজ্যপুর্ণ ৷ কেননা, নবী করীম
(সা) লোকদের এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তাদের শেষ সময়ের সম্পৃক্তি যেন বায়তৃল্লাহ্-
এর সাথে হয় ৷ কেননা, ইতোপুর্বে হজ্জ যাত্রীরা যায় যেখানে থেকে যেমন ইচ্ছা প্রত্যাবর্তন
করতেন ৷ যেমন-ইবন আব্বাস (রা)-এর বক্তব্য রয়েছে ৷ মোটকথা,নবী করীম (সা) লোকদের
হুকুম দিলেন যে, তারা যেন তাদের শেষ সময় ও মর্যাদা বায়তুল্লাহ্তে সম্পাদন করে ৷ অর্থাৎ
বিদড়ায়ী তাওয়াফ করে প্রত্যাবর্তন করে ৷ এ প্রেক্ষিতে নবী করীম (মা) এবং তার সহচর
মুসলমানগণ বায়তৃল্লাহ্ এ বিদড়ায়ী তাওয়াফ আদায়ের ইচ্ছা করলেন ৷ ওদিকে মিনা হতে তিনি
প্ৰস্থান শুরু করেছিলেন দৃপুরের কাছাকাছি সময়ে ৷

সুতরাং তখন ঐদিনের অবশিষ্ট সময়ে বায়তুল্লাহ্ গমন করে তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর
মদীনায় দিককার মক্কা নগর প্রান্ত পর্যন্ত পৌছার সম্ভাবনা ছিল না ৷ কেননা, অতবড় বিশাল দল
সাথে নিয়ে কাজটি ছিল সুকঠিন ৷ তাই মক্কহ্রর কাছাকাছি কোথাও রাত্রি যাপন তার জন্য
প্রয়োজনীয় ছিল ৷ আর এ বিশাল কাফেলা সহ তার (রাতে কাটানাের জন্য মুহড়াসৃসারেই ছিল
সৰ্বাধির্কন্ন্সযীচিন স্থান ৷ আর ঘটনাচরুক্রইতো পুর্বে বনু কিনানা গোত্র ঐ স্থানেই হাশিমী ও
মুত্তালিৰীদের বিপক্ষে আতাত ও চুক্তি সম্পন্ন করেছিল ৷ কিন্তু আল্লাহ্ তাতে কুরায়শীদের
সফলতার মুখ দেখালেন না বরং তাদের পর্বুদস্ত ও ব্যর্থ মনােরথ করে দিয়েছিলেন এবং
আল্লাহ তার দীনকে বিজয় দিলেন ৷ তার নবী করীম (সা) কে সাহায্য করলেন তীর কালিমাকে
উন্নীত ও উচ্ছসিত করলেন ৷ তার (নবী কবীম সা) জন্য সুষ্ঠু ও যথার্থ দীনকে পুর্ণতা দান
করলেন ৷ তার্বদিয়ে তিনি সরল সেজাি পথ স্পষ্ট করে দিলেন ৷ ফলে নবী করীম (সা)
লোকদের নিয়ে হজ্জ পালন করে তাদের সামনে আল্লাহর শরীআত ও বিধানসমুহ এবং তার
নিদর্শনসমুহের স্পষ্ট বিবরণ দান করেন ৷

এভাবে হন্থজ্জর বিধি বিধান ও কার্যক্রম পুর্ণাৎগ সমাপণের পর প্রস্থান করে নবী করীম (সা)
সে স্থানটিতে অবতরণ করলেন যেখানে কুরায়শীরা শপথ করে যুলুম নিপীড়ন ও আত্নীয়তা ছিন্ন
করার অংগীকার আবদ্ধ হয়ে ছিল ৷ সেখানে তিনি যুহর, আসর, মাগরিব ও ইশার সালাত সমুহ
আদায়ের পর কিছুক্ষ্যণর জন্য নিদ্রামগ্ন হলেন ৷

ওদিকে উম্মুল মুমিনীন আইশা (না)-কে তানঈম হতে উমরা করিয়ে আনার জন্য পাঠিয়ে
দিয়েছিলেন তার ভাই আবদুর রহমান (রা)-এর সাথে ৷ কাজ সেরে র্তারা নবী করীম (না)-এর
নিকটে আমার কথা ছিল ৷ সে মতে আইশা (বা) উমরা সম্পন্ন করে ফিরে এল নবী করীম (সা)
মুসলমানদের প্রাচীন গৃহ (ব্রা মুক্ত ঘর কাবা ঘরের উদ্দেশ্য প্রস্থানের ঘোষণা দিলেন ৷
যেমন-আবু দাউদ (র)-এর বর্ণনা ওয়াহব ইবন বাকিয়া (র) আইশা (বা) সুত্রে তিনি বলেন,
তানঈম হতে আমি উমরার জন্য ইহরাম করলাম ৷ ৰায়তৃল্লাহ পৌছে উমরা সম্পন্ন করলাম ৷
ওদিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবতাহে ষ্ আমার প্ৰতীক্ষায় ৱইলেন ৷ আমি কাজ সেরে আসলে


الْأَبْطَحِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ قُتَيْبَةَ وَأَبِي بَكْرٍ، وَزُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَؤُلَاءِ كُلُّهُمُ اتَّفَقُوا عَلَى نُزُولِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُحَصَّبِ لَمَّا نَفَرَ مِنْ مِنًى، وَلَكِنِ اخْتَلَفُوا ; فَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: لَمْ يَقْصِدْ نُزُولَهُ وَإِنَّمَا نَزَلَهُ اتِّفَاقًا ; لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ. وَمِنْهُمْ مَنْ أَشْعَرَ كَلَامُهُ بِقَصْدِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نُزُولَهُ وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ، وَكَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَنْصَرِفُونَ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَأُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ. يَعْنِي طَوَافَ الْوَدَاعِ، فَأَرَادَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَنْ يَطُوفَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِالْبَيْتِ طَوَافَ الْوَدَاعِ، وَقَدْ نَفَرَ مِنْ مِنًى قُرَيْبَ الزَّوَالِ، فَلَمْ يَكُنْ يُمْكِنُهُ أَنْ يَجِيءَ الْبَيْتَ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهِ وَيَطُوفَ بِهِ، وَيَرْحَلَ إِلَى ظَاهِرِ مَكَّةَ مِنْ جَانِبِ الْمَدِينَةِ ; لِأَنَّ ذَلِكَ قَدْ يَتَعَذَّرُ عَلَى هَذَا الْجَمِّ الْغَفِيرِ، فَاحْتَاجَ أَنْ يَبِيتَ قِبَلَ مَكَّةَ، وَلَمْ يَكُنْ مَنْزِلٌ أَنْسَبَ لِمَبِيتِهِ مِنَ الْمُحَصَّبِ، الَّذِي كَانَتْ قُرَيْشٌ قَدْ عَاقَدَتْ بَنِي كِنَانَةَ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ فِيهِ، فَلَمْ يُبْرِمِ اللَّهُ لِقُرَيْشٍ أَمْرًا، بَلْ كَبَتَهُمْ وَرَدَّهُمْ خَائِبِينَ، وَأَظْهَرَ اللَّهُ دِينَهُ، وَنَصَرَ نَبِيَّهِ، وَأَعْلَى كَلِمَتَهُ، وَأَتَمَّ لَهُ الدِّينَ الْقَوِيمَ، وَأَوْضَحَ بِهِ الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ، فَحَجَّ بِالنَّاسِ، وَبَيَّنَ لَهُمْ شَرَائِعَ اللَّهِ وَشَعَائِرَهُ، وَقَدْ نَفَرَ بَعْدَ إِكْمَالِ الْمَنَاسِكِ، فَنَزَلَ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي تَقَاسَمَتْ قُرَيْشٌ فِيهِ عَلَى الظُّلْمِ وَالْعُدْوَانِ وَالْقَطِيعَةِ، فَصَلَّى بِهِ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، وَهَجَعَ هَجْعَةً، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৪১২১


লোকদের প্রস্থানের নির্দেশ দিলেন ৷ আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-ও ৰায়তৃল্লাহ আগমন
করে তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর বের হয়ে গেলেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে
আফলাহ ইবন হুমায়দ (র) সুত্রে ৷

আর দাউদ (র)-এর পরবর্তী বংনািঘুহাম্মদ ইবন বাশৃশার (র) আইশা (বা) হতে, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম শেষ প্রস্থান দিবসে (তের তারিখ) ৷ তিনি
মুহাস্সারে অবতরণ করলেন ৷ আবু দাউদ (র) বলেন, এপর্যায় রাবী ইবন বাশৃশার (র)
আইশা (রা) কে তানঈম পাঠাবার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি রাতের
শেষ প্ৰহরে ফিরে নবী করীম (সা) সাহাবীদের প্রস্থালের ঘোষণা দিলেন এবং তিনি নিজেও
চলতে শুরু করলেন ৷ ফজর সালাতের আগে বায়তৃল্লাহ্ উপনীত হলেন এবং ফিরে আসার ন্
সময় তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর মদীনা অভিমুখে প্রত্যাবর্তন করতে লাপলেন ৷ বুখারী (র) ও
এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র) হতে ঐ সনদে ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : বলা বাহুল্য যে, নবী করীম (সা) ঐ দিনের ফজর সালাত কাবা
শরীফের চতৃরে আদায় করেছিলেন এবং তার ঐ সালাতে তিনি সুরা (শপথ তুর পর্বতের
শপথ, কিতাবের যাহর লিখিত ৩,আছে খোলা পাতায় (উন্মুক্ত পত্রে)

,

এ-হু^ঙ্কুএ টুএএএদ্বু ক্রোএ এঙ্কো গোর্দু এএ০০ং০০ এএ তা এআে আ-র্চুএ এএ-গ্রাএ
এদ্বু ১ট্রুহুা’া

শপথ তুর পর্বতের, শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে, খোলা পাতায় (উন্মুক্ত পত্রে) শপথ
বায়তুল মাঘুরের শপথ সমুন্নত আকাশের এবং শপথ উদ্বেলিত সাগরের (সুরা তৃর০ : ১-৬) ৷

পুর্থাং প সুরা৩ তিলাওয়াত করেছিলেন ৷ এ বিষয় আমার কাছে প্রমাণ হল বুখারী (র)-র
রিওয়ায়াত ৩৷ তিনি বলেন ইসমাঈল উরওয়া ইবনুয যুবায়র যয়নাব বিনৃত উম্মু সালমা নবী
কবীম (সা)এর সহধর্মিনী উন্মু সালমা হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে আমি
অভিযোগ করলাম যে, আমি অসুস্থতাঃৰাধ করছি ৷

তিনি বললেনশ্-ন্ম্স্রাপ্লু চুা , গ্রাগ্রো প্প্লুদ্বু ()০ ষ্গুশু১ “তুমি লোকদের পিছন হতে
সওয়াবীতে হয়ে তাওয়াফ করবে ৷ তাই আমি তাওয়াফ করলাম যখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বায়তৃল্লাহর পাশে সালাত আদায় করছিলেন এবং তিনি তিলাওয়াত করছিলেন ;;শুশ্রো;
এএণ্ৰুন্-মোঃ ধ্-ষ্ন্থে১ তিরমিষী (র) ব্যতীত জামাআত (ছয় গ্রন্থকার)-এর অন্য সকলেও মালিক
(র)-এর সংগ্রহ হতে এ হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র)-এর আর একটি
রিওয়ায়াত হিশাম ইবন উরওয়া (র) উম্মু সালামা (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, যখন তিনি মক্কা য় ত্ত্বছিলেন এবং প্র৩ ব্রড়াবর্তনের ইচ্ছা করছিলেন এবং উম্মু
সালামা তাওয়াফ করেছিলেন না এবং যে অবস্থায় প্ৰস্থানের ইচ্ছা করছিলেন, তখন নবী করীম
(সা) ,র্তীকে বললেন, যখন ফজর সালাত আদায় করা হতে থাকবে তখন তুমি যখন লোকেরা
সালাতরত থাকবে তোমার উটে সওয়ায় হয়ে তাওয়াফ সোর নেবে (পুর্ণ হাদীস উল্লেখ
করেছেন) ৷


كَانَ بَعَثَ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَعَ أَخِيهَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ ; لِيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، فَإِذَا فَرَغَتْ أَتَتْهُ، فَلَمَّا قَضَتْ عُمْرَتَهَا وَرَجَعَتْ أَذَّنَ فِي الْمُسْلِمِينَ بِالرَّحِيلِ إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ. كَمَا قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَفْلَحَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَحْرَمْتُ مِنَ التَّنْعِيمِ بِعُمْرَةٍ، فَدَخَلْتُ فَقَضَيْتُ عُمْرَتِي، وَانْتَظَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَبْطَحِ حَتَّى فَرَغْتُ، وَأُمِرَ النَّاسُ بِالرَّحِيلِ. قَالَتْ: وَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ، ثُمَّ خَرَجَ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَفْلَحَ بْنِ حُمَيْدٍ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ - يَعْنِي الْحَنَفِيَّ - ثَنَا أَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْهَا - يَعْنِي عَائِشَةَ - قَالَتْ: «خَرَجْتُ مَعَهُ - تَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - النَّفْرَ الْآخِرَ وَنَزَلَ الْمُحَصَّبَ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ: فَذَكَرَ ابْنُ بَشَّارٍ قِصَّةَ بَعْثِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ - قَالَتْ: ثُمَّ جِئْتُهُ بِسَحَرٍ، فَأَذَّنَ فِي الصَّحَابَةِ بِالرَّحِيلِ، فَارْتَحَلَ، فَمَرَّ بِالْبَيْتِ قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَطَافَ بِهِ حِينَ خَرَجَ، ثُمَّ انْصَرَفَ مُتَوَجِّهًا إِلَى الْمَدِينَةِ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ بِهِ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الصُّبْحَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ الْكَعْبَةِ بِأَصْحَابِهِ، وَقَرَأَ فِي صَلَاتِهِ تِلْكَ بِسُورَةِ {وَالطُّورِ - وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ - فِي رَقٍّ مَنْشُورٍ - وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ - وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ - وَالْبَحْرِ الْمَسْجُورِ} [الطور: 1 - 6]
পৃষ্ঠা - ৪১২২
السُّورَةَ بِكَمَالِهَا. وَذَلِكَ لِمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ أَنِّي أَشْتَكِي، قَالَ: " طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ ". فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي حِينَئِذٍ إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ، وَهُوَ يَقْرَأُ: " وَالطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ» وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ بِمَكَّةَ وَأَرَادَ الْخُرُوجَ، وَلَمْ تَكُنْ أُمُّ سَلَمَةَ طَافَتْ وَأَرَادَتِ الْخُرُوجَ، فَقَالَ لَهَا: " إِذَا أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ فَطُوفِي عَلَى بَعِيرِكِ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ ".» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. فَأَمَّا مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَ مَعَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ يَوْمَ النَّحْرِ بِمَكَّةَ.» فَهُوَ إِسْنَادٌ كَمَا تَرَى عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ بِهَذَا اللَّفْظِ وَلَعَلَّ قَوْلَهُ: يَوْمَ النَّحْرِ. غَلَطٌ مِنَ الرَّاوِي أَوْ مِنَ النَّاسِخِ، وَإِنَّمَا هُوَ يَوْمُ النَّفْرِ، وَيُؤَيِّدُهُ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ