আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ركوب النبي صلى الله عليه وسلم قاصدا إلى منى قبل الزوال

ركوب النبي صلى الله عليه وسلم قاصدا إلى منى قبل الزوال

ركوب النبي صلى الله عليه وسلم قاصدا إلى منى قبل الزوال

ركوب النبي صلى الله عليه وسلم قاصدا إلى منى قبل الزوال

ركوب النبي صلى الله عليه وسلم قاصدا إلى منى قبل الزوال

পৃষ্ঠা - ৪০২০


হয় ৷ নবী করীম (সা) এ দিনের আগের দিন খুতব৷ দিয়েছিলেন বলে বর্ণিত আছে ৷ পুর্ববর্তী
দিনটি যেমন কোন কোন তালীক রিওয়ায়াত আছে ইয়াওমুবৃ-যীনা সাজ-সজ্জা দিবস নামে
অভিহিত ৷ কেননা, ঐ দিন গদী-জীন, মালা ইত্যাদি পরিয়ে উট সাজানো হয়ে থাকে ৷
আল্পাহই সমধিক অবগত ৷

হাফিজ বায়হাকী বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র) (নাকি) ইবন উমর (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তালৰিয়৷ দিবসে নবী রুয়ী-ম (সা) ভাবর্ণ দিলেতাতে তিনি ৷লাকাদর
হাজ্জর রীতি নীতি বিষয়ে অভিহিত করলেন ৷ দুপুরের আগে মতাম্ভরে দুপুাবব পরে নবী কবীম
(সা) মিনার উদ্দেশ্যে সওরাবীতে আরোহণ করলেন ৷ আর যারা হালাল হয়ে গিয়েছিলেন তারাও
মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন এবং তাদের বাহন গন্তব্যভিযুখে চলার জন্য উদ্যত হলে
আবতাহে তারা হাজ্জর ইহবাম বাধলেন ৷ আবদুল মালিক (র) আতা সুত্রে জাৰির ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) হতে উদ্ধৃত করে বলেছেন ৷ আমরা বাসুলুল্লাহু (সা)এব সাথে আগমন করলাম
এবং (উমরা পালন করে) হালাল হয়ে গেলাম ৷ যি লহাজ্জর আট তারিখ হয়ে আমরা মক্কা পিছনে
রেখে হাজ্জয় তালৰিয়৷ উচ্চারণ করলাম ৷ বুখাবী (র) সুনিশ্চিত তা লীকরুপে এ বর্ণনা উল্লেখ
করেছেন ৷ মুসলিম (র) বলেহ্নে৷ ৷ মুহাম্মদ ইবন হাতিম (ব) জাৰির (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমরা হালাল হয়ে গেলে নবী করীম (সা) আমাদের হুকুম দিলেন যেন, আমরা
মিনা অভিমুখে রওয়ান৷ হওয়ার সময় হাজ্জা ইহবাম বেধে নেই ৷ জাৰিয় বলেন, আমরা
আবতাহে ইহবাম ব্া৷ধ্লাম্ ৷ উবায়দ ইবন জুরায়জ; (র) ইবন উমর (রা)-াক বললেন, আপনাকে
লক্ষ্য করলাম, আপনি মক্কায় অবস্থান কালে ৷লাকর৷ (যিলহাজ্জর) চাদ দেখা“ মাত্রই ইহবাম
বীধে কিন্তু আপনি আট তারিখ পর্যন্ত ইহবাম না বেধেই থাকেন ৷ তিনি বললেন, নবী কবীম
(সা)-াক নিয়ে তীর বাহন উঠে না র্দাড়ানাে পর্যন্ত র্তা৷ক আমি তালবিয়৷ উচ্চারণ করতে শুনি নি
(এক দীর্ঘ হাদীসের আওতায় বুখাবী (র) হাদীসে রিওয়ায়াত করেছেন) ৷ বুখাবী (র) আরো
বলেন, আতা (ব)-াক মিনা অতিক্রম কাবীর হাজ্জা তালৰিয়াপাঠ সম্পর্কে ত্তিজােস৷ করা হল ৷
তিনি বললেন, ইবন উমর (রা) আট তারিখে যুহর সালাত আদায়ের পর তার বাহান স্থির হলে
তালৰিয়৷ উচ্চারণ করতেন ৷ আমার (গ্রন্থকার ) মতে, ইবন উমর (রা) প্রথমে উমরা
পালনকাবীরুাপ হাজ্জ আগমন করলে এরুপই করতেন ৷ উমরা হতে হালাল হয়ে য়োতন এবং
আট তারিখ আগত হলে মিনা অভিমুখে রওয়ানাকালে তার বাহন তাকে নিয়ে চলতে উদ্যত না
হওয়া পর্যন্ত তালৰিয়৷ উচ্চারণ করতেন না ৷ যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুলহুলায়ফায় যুহর সালাত
আদায়ের পরে তার বাহন তাকে নিয়ে চলতে উদ্যত না হলে ইহবাম তালবিয়৷ আদায় করতেন
না ৷ তবে নবী কবীম (সা) আট তারিখ আবতাহে যুহর সালাত আদায় করেন নি ৷ তিনি তাে তা
আদায় করেছিলেন মিনার পৌছে এবং এ বিষয়টিতে কোন মতপার্থক৷ নেই ৷

বুখাবীব অনুচ্ছেদ : শিরোনাম, তাসবিয়৷ দিবসে যুহব সালাত কোথায় আদায় কঃা৷ হবে ?

আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আবদুল আযীম ইবন রুফায় (র) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি আসলে ইবন মালিক (বা)াক বললায, আপনি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে যা আয়তু



১ বুখায়ীৱ অনুচ্ছেদ শিরোনামে উদ্ধৃত সনদ বিহীন রিওয়ায়াত ৷-অনুবাদক ৷


[رُكُوبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاصِدًا إِلَى مِنًى قَبْلَ الزَّوَالِ] فَصْلٌ (رُكُوبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاصِدًا إِلَى مِنًى قَبْلَ الزَّوَالِ) فَأَقَامَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِالْأَبْطَحِ - كَمَا قَدَّمْنَا - يَوْمَ الْأَحَدِ وَيَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الثُّلَاثَاءَ وَيَوْمَ الْأَرْبِعَاءَ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ، إِلَّا مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ، وَقَدِمَ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنَ الْيَمَنِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَمَا مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَلَمْ يَعُدْ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى الْكَعْبَةِ بَعْدَمَا طَافَ بِهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يَوْمَ الْخَمِيسِ صَلَّى بِالْأَبْطَحِ الصُّبْحَ مِنْ يَوْمَئِذٍ، وَهُوَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ، وَيُقَالُ لَهُ: يَوْمُ مِنًى ; لِأَنَّهُ يُسَارُ فِيهِ إِلَيْهَا، وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ. وَيُقَالُ لِلَّذِي قَبْلَهُ فِيمَا رَأَيْتُهُ فِي بَعْضِ التَّعَالِيقِ يَوْمُ الزِّينَةِ. لِأَنَّهُ تُزَيَّنُ فِيهِ الْبُدْنُ بِالْجِلَالِ وَنَحْوِهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ الْجُلُودِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مِهْرَانَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا أَبُو قُرَّةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ قَبْلَ يَوْمِ التَّرْوِيَةِ خَطَبَ النَّاسَ فَأَخْبَرَهُمْ بِمَنَاسِكِهِمْ.» فَرَكِبَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَاصِدًا إِلَى مِنًى قَبْلَ الزَّوَالِ، وَقِيلَ: بَعْدَهُ. وَأَحْرَمَ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ حَلُّوا بِالْحَجِّ مِنَ الْأَبْطَحِ حِينَ تَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى، وَانْبَعَثَتْ رَوَاحِلُهُمْ نَحْوَهَا.
পৃষ্ঠা - ৪০২১


করে রেখেছেন তা হতে আমাকে অবহিত করুন যে, আট তারিখের যুহর, আসর, কোথায়
আদায় করা হবো তিনি বললেন, মিনার ৷ আমি বললাম, তা হলে প্রত্যাবর্তন দিবস (বারতেব
তারিখে) আসর, সালাত কোথায় আদায় করেছিলেন ? তিনি বললেন, আবতাহে ৷ তারপর
(আনাস রা) বললেন, তোমার শাসকগণ যেমন করে, তুমিও তেমন করবে ৷ ইবন মাজা (র)
ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার সংকলকপণ এ হাদীস ইসহাক ইবন ইউসুফ আল আযরাক (র),
সুফিয়ান ছওবী থেকে (পুর্বোক্ত সনদে) বিভিন্ন সনদে উদ্ধৃত করেছেন বিধায় আহমদও অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিয়ী (র) মন্তব্য করেছেন ৷ তবে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
তারপর বুখাবী (র) আলী (রা) আবদুল আবীর ইবন রুফায় (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন ৷ আমি আনাস (রা)এর সংগে সাক্ষাত করলাম, ইসমাঈল ইবন আবাস (র)
আবদুল আবীর (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি তালবিয়া দিবসে মিনার উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হলাম তখন পাধায় চড়ে মমনরত অবস্থায় আনাস (রা)-এর সাথে আমার সাক্ষাত
হল ৷ আমি বললাম, এ দিনে নবী কবীম (সা) যুহর সালাত কোথায় আদায় করেছিলেন ? তিনি
বললেন, লক্ষ্য রাখৰে তোমার আমীররা যেখানে সালাত আদায় করবেন ত্নমিও সেখানে আদায়
করবে ৷

আহমদ (র) বলেছেন, আসওয়াদ ইবন আমির (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসৃলুল্পাহ্ (সা) মিনার পাচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছেন ৷ আহমদ (র)
আরো বলেন, আসওয়াদ ইবন আমির (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, নবী বত্রীম (সা) তালৰিয়া দিবসে যুহর সালাত মিনার আদায় করেছেন এবং আরফো
দিবসের (নয় তারিখ) চ্যেরর সালাতও তথার আদায় করেছেন ৷ আবু দাউদ (র) এ
হড়াদীছ রিওয়ায়াত করেছেন যুহায়র ইবন হারব (র)(আমাশ সুত্রে ঐ সনদে) ৷ তবে র্তার
ভাষ্য হল যুহর সালাত আরাফা দিবসে মিনার ৷ তিরমিয়ী (র) এ হাদীস আহরণ করেছেন
আল আশাজ (র) (আমান) হতে, অনুরুপ অর্থ সম্পন্ন হাদীস ৷ তিনি মন্তব্য করেছেন যে,
তারা (র) যে সব হাদীস মিকসাম (র) হতে হাকাম (র)-এর শ্রুত বলে পরিগণিত করেছেন
এ হাদীসটি তার অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ তিরমিয়ী (র) আরো বলেন, আবু সাঈদ আল আশাজ (র)
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের নিয়ে মিনার
যুহর, আসর, মড়াপরিব, ইশা ও (পরের দিন) মজর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর ভোর
বেলা আরাফাত অভিমুখে রওয়ানা হলেন ৷ তারপর তিরমিয়ী (র) বলেছেন (এ হাদীসের
মধ্যবর্তী) রাবী ইসমাঈল ইবন মুসলিম একজন বিতবিতি ব্যক্তি ৷ তবে এ প্রসংগে
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবারর ও আনাস ইবন মালিক (রা) হতেও রিন্তয়ায়াত রয়েছে ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেছেন,১ নবী করীম (না)-কে দেখেছেন এমন ব্যক্তি হতে এ মর্মে যে, নবী
বল্লীম (সা) তারবিয়া দিবসের অপরাহ্নে মিনার গমন করলেন, তার পাশে ছিলেন বিলাল
(বা) একটি কাঠের মাথায় একটি কাপড় নিয়ে যা দিয়ে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ছায়া



১ মুল পাণ্ডুলিপিতে এ স্থানটি সাদা রয়েছে ৷


قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: «قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَحْلَلْنَا، حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ وَجَعَلْنَا مَكَّةَ مِنَّا بِظَهْرٍ، لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ.» ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا مَجْزُومًا. وَقَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَحْلَلْنَا أَنْ نُحْرِمَ إِذَا تَوَجَّهْنَا إِلَى مِنًى. قَالَ: وَأَهْلَلْنَا مِنَ الْأَبْطَحِ.» وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ جُرَيْجٍ لِابْنِ عُمَرَ: «رَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلَالَ، وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى يَوْمِ التَّرْوِيَةِ. فَقَالَ: لَمْ أَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ.» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي جُمْلَةِ حَدِيثٍ طَوِيلٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَسُئِلَ عَطَاءٌ عَنِ الْمُجَاوِرِ مِنًى يُلَبِّي بِالْحَجِّ؟ فَقَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُلَبِّي يَوْمَ التَّرْوِيَةِ إِذَا صَلَّى الظُّهْرَ وَاسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ. قُلْتُ: هَكَذَا كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَصْنَعُ إِذَا حَجَّ مُعْتَمِرًا ; يَحِلُّ مِنَ الْعُمْرَةِ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ لَا يُلَبِّي حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ مُتَوَجِّهًا إِلَى مِنًى، كَمَا أَحْرَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ بَعْدَ مَا صَلَّى الظُّهْرَ وَانْبَعَثَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، لَكِنْ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ لَمْ يُصَلِّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْأَبْطَحِ، وَإِنَّمَا صَلَّاهَا يَوْمَئِذٍ بِمِنًى، وَهَذَا مِمَّا لَا نِزَاعَ فِيهِ.
পৃষ্ঠা - ৪০২২


দিচ্ছিলেন অর্থাৎ উত্তাপের কারণে ৷ এটি একাকী আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৷ আর
শাফিঈ (র) তো স্পষ্ট ভাষ্য দিয়েছেন যে, নবী করীম (সা) আবতাহ হতে মিনার উদ্দেশ্য
আরোহণ করেছিলেন দৃপুরের পরে ৷ তবে তিনি যুহর সালাত আদায় করেছিলেন মিনার ৷
সুতরাং এ হাদীসটি বিষয়টির প্ৰমাণস্বরুপ পেশ করা যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

জাফর (র) জাবির (রা)-এর সনদের হাদীসে আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন,
নবী করীম (না) এবং অন্য যাদের সাথে হাদী ছিল তারা ব্যতীত সকল লোক হালাল হয়ে গেল
এবং চুল ছোট নিল ৷ তারবিয়৷ (অষ্টম) দিবস আগত হলে তারা মিনার যাওয়ার প্রস্তুতি নিল
এবং হাজ্জর ইহরাম-তালবিয়া শুরু করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন এবং
মিনার যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও (পরের দিনের) ফজর সালাতসমুহ আদায় করলেন ৷
তারপর সুর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত অল্প সময় অপেক্ষা করে রইলেন এবং পশমের তৈরী তার
একটি তাবু খাটাবার নির্দেশ দিলে তার জন্য তা খটিানাে হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এগিয়ে
চললেন ৷ কুরায়শীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল যে, তিনি মাশআরুল হারামে (মুযদালিফায়)-ই
অবস্থান করবেন (হরমের সীমা ছাড়িয়ে আরাফাতে যাবেন না) , যেমন কুরাইশীরা জাহিলী যুগে
(তাদের জাত্যাভিমানের কারণে) করত ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) (হরমের সীমানা) অতিক্রম
করে আরাফায় উপনীত হলেন ৷ সেখানে নামিরায় তার জন্য র্তাবু তৈরী করা হয়েছে দেখতে
পেয়ে তিনি সেখানে অবতরণ করলেন ৷ সুর্য পশ্চিমে ঢলে পড়লে তিনি তার বাহন কাসওয়া
নিয়ে আসতে বললে তাতে ণদী বসানো হল ৷ তিনি উপত্যকার নিম্মতুমিতে এসে লোকদের
সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের জন্য
মর্যাদা সম্পন্ন তোমাদের এ নগরে, তোমাদের এ মাসে তোমাদের এ দিনটির মর্যাদার ন্যায় ৷
শুনে রেখ জাহিলী যুগের প্রতিটি বিষয় আমার দুপায়ের তলায় দলিত ৷ জাহিলী যুগের সব
রক্তপণ রহিত, প্রথম যে রক্তপণ রহিত ঘোষণা করছি তা আমাদের প্রাপ্য রক্তপণ রাবীআ
ইবনুল হারিছ-এর পুত্রের রক্তপণ, যে বনু সাদে স্তন্য পানরত ছিল ৷ হুলায়লীরা তাকে খুন
করেছিল ৷ জা ৷হিলী যুগের সুদ রহিত, প্রথম যে সুদ রইিত করছি তা আমাদের প্রাপ্য সুদ
আব্বাস ইবন আবদুল ঘুত্তা ৷লিবের পাওনা সুদ, তার সম্পুইি রহিত ৷ তোমরা গ্রীদের ব্যাপারে ,
আল্লাহর ভয় করে চলবে ৷

কেননা তােমরা তাদের গ্রহণ করেছে৷ আল্লাহর আমানত সুত্রে; তাদের লজ্জাস্থান হালাল
করেছে৷ আল্লাহর কালিমার মাধ্যমে ৷ তাদের উপরে তোমাদের হক ও দাবী হল তারা
তোমাদের অপসন্দনীয় কাউকে তোমাদের শয্যা মাড়াতে দিয়ে না ৷ এমন করলে তোমরা
তাদের যখম সৃষ্টি না করে প্ৰহার করতে পারবে ৷ আর তোমাদের উপরে তাদের হক ও দাবী
হল সংণতভাবে তাদের থােরপোঘের ব্যবস্থা করা ৷ তোমাদের মাঝে এমন কিছু রেখে যাচ্ছি
যে, যদি তোমরা তা আকড়ে থাক, তবে আমার পরে কক্ষণো পথহারা হবে না, (তা হল)
আল্লাহর কিতাব ৷ আর তোমরা আমার বিষয় জিজ্ঞাসিত হবে, তোমরা তখন কী বলবে ? তারা
বললেন আমরা সাক্ষ্য দেব যে, আপনি পৌছিয়ে দিয়েছেন, আপনি দায়িত্ব পালন করেছেন,
আপনি কল্যাণ কামনা করেছেন ৷ নবী কৰীম (না) তখন তার শাহাদাত আং গুল দিয়ে ইংগিত
করে আং গুলটি আক৷ ৷শের দিকে উচু করছিলেন আবার জনতার দিকে না ৷মিয়ে আনছিলেন ৷


قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ أَيْنَ يُصَلِّي الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا إِسْحَاقُ الْأَزْرَقُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ قَالَ: «سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ: أَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ عَقَلْتَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أَيْنَ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ؟ قَالَ: بِمِنًى. قُلْتُ: فَأَيْنَ صَلَّى الْعَصْرَ يَوْمَ النَّفْرِ؟ قَالَ: بِالْأَبْطَحِ. ثُمَّ قَالَ: افْعَلْ كَمَا يَفْعَلُ أُمَرَاؤُكَ.» وَقَدْ أَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ الْأَزْرَقِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ الْأَزْرَقِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ الْأَزْرَقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَيَّاشٍ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ قَالَ: لَقِيتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ. وَحَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: «خَرَجْتُ إِلَى مِنًى يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، فَلَقِيتُ أَنَسًا ذَاهِبًا عَلَى حِمَارٍ، فَقُلْتُ: أَيْنَ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا الْيَوْمَ الظُّهْرَ؟ فَقَالَ: انْظُرْ حَيْثُ يُصَلِّي أُمَرَاؤُكَ فَصَلِّ» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا أَبُو كُدَيْنَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَمْسَ
পৃষ্ঠা - ৪০২৩
صَلَوَاتٍ بِمِنًى.» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا أَبُو مُحَيَّاةَ يَحْيَى بْنُ يَعْلَى التَّيْمِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ بِمِنًى، وَصَلَّى الْغَدَاةَ يَوْمَ عَرَفَةَ بِهَا.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَحْوَصَ بْنِ جَوَّابٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ بِهِ، وَلَفْظُهُ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ وَالْفَجْرَ يَوْمَ عَرَفَةَ بِمِنًى.» وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنِ الْأَشَجِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِمَعْنَاهُ، وَقَالَ: لَيْسَ هَذَا مِمَّا عَدَّهُ شُعْبَةُ فِيمَا سَمِعَهُ الْحَكَمُ عَنْ مِقْسَمٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِنًى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ، ثُمَّ غَدَا إِلَى عَرَفَاتٍ.» ثُمَّ قَالَ: وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ قَدْ تُكُلِّمَ فِيهِ، وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، ثَنَا الْوَلِيدُ أَبُو مُسْلِمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪০২৪


তিনি ৰলহ্যিলন, হে আল্লাহ! সাক্ষী থাকুন ৷ হে আল্লাহ্ ৷ সাক্ষী থাকুন ৷ হে আল্লাহ ৷ সাক্ষী
থাকুন ৷ তিনবার ৷

আবু আবদুর রহমান (ইমাম) নাসাঈ (র) বলেন, আলী ইবন হুজ্যা (র) আমৃর আস সাদী
সুত্রে, তিনি বলেন, বিদায় হন্জ্জা আরাফা দিবসের খুতৰায় আমি রাসুলুল্পাহ (না)-কে বলতে

শুনেছি-
৷ ১৯
জােন রেখো তোমাদের জান, তোমাদের মান ও তোমাদের সম্মান তোমাদের জন্য মর্যাদা

সম্পন্ন তোমাদের এ দিনের মর্যাদাও ন্যায় ৷ তোমাদের এ মাসের মর্যাদার ন্যায় এবং তোমাদের
নগরীর মর্যাদার ন্যায় ৷

আবুদাউদ (র) এ অনুচ্ছেদ শিরোনাম ও আরফোর মিনারের উপরে খুতবা প্রদান প্রসংপ

হড়ান্নাদ (ব) বনু যামরাৱ জনৈক ব্যক্তি তার পিতা কিৎবা চাচার বরাতে বলেন, আমি
বাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক দেখেছি ৷ তিনি আরফোয় একটি মিম্বারের উপরে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এ
হাদীসের সনদ দুর্বল ৷ কেননা, এতে একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি রয়েছে ৷ তা ছাড়া জাবিব
(না)-এর পুর্বোল্পিখিত্ত দীর্ঘ হাদীস বিবৃত হয়েছে যে, নবী করীম (না) তার কাসওয়া ট্ষ্টীর
পিঠে থেকে খুতবা দিয়েছিলেন ৷ আবু দাউদ (র) তারপর বলেছেন, মুমাদ্দাদ (র) নুবায়ত (রা)
সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে আরাফায় অবস্থানকালে একটি লাল
উটের পিঠে উপবেশনরত অবস্থায় ভাষণ দিতে দেখেছেন ৷ এ সনদে ও অজ্ঞাত পরিচয় রাবী
রয়েছেন ৷

তবে জাৰির (না)-এর হাদীসে তার সমর্থন রয়েছে ৷ আবু দাউদ (ব)-এর পরবর্তী বক্তব্য
হান্নাদ ইৰ্নুস নারী ও উহুমান ইবন আবু শায়বা (র) উছমান বর্ণনা করেন যে, আল ইদা ইবন
খাদিদ ইবন হাওয়া অথবা খালিদ ইবনুস ইদা ইবন হাওযা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
£ক দেখেছি আরফো দিবসে উটের পিঠে দুই পাদানীতে দাড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ
দিতে ৷ আবু দাউদ (র) বলেন, আল আশা (র) ও ওয়াকী সুত্রে হান্নাদ (র) এ বর্গনানুরুপ
ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ অনুরুপ আব্বাস ইবন আবদুল আষীম (র) আল ইদা ইবন খালিদ (বা)
হতে অনুরুপ অর্থ সম্পন্ন ৷ সহীহ্ বুখাৰী মুসলিম ইবন আব্বাস (না) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে আরাফাত খুতবা দিতে শুনেছি-


যারচ প্পল নেই যে (চামড়ার) সোজা পরবে ৷ যার ইযার (খোলা লুত্গী) নেই যে পাজামা
পরবে (মুহরিম ব্যক্তির জন্য বলছিলেন) ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (ব) বলেন, ইয়াহয়া ইবন আব্বাস ইবন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র
(র) তার পিতা আব্বাস (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আরাফাতে
অবস্থানকালে যে ব্যক্তি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর বাণী উচ্চস্বরে লোকদের গােনাচ্ছিলেন তিনি
হলেন, রাবীআ ইবন উমায়্যা ইবন বালাক (বা) ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন-


عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، «عَمَّنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَاحَ إِلَى مِنًى يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، وَإِلَى جَانِبِهِ بِلَالٌ، بِيَدِهِ عُودٌ عَلَيْهِ ثَوْبٌ يُظَلِّلُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي مِنَ الْحَرِّ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ نَصَّ الشَّافِعِيُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، رَكِبَ مِنَ الْأَبْطَحِ إِلَى مِنًى بَعْدَ الزَّوَالِ، وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا صَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى، فَقَدْ يُسْتَدَلُّ لَهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ تَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى فَأَهَلُّوا بِالْحَجِّ، وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى بِهَا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ، ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلًا حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ، وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ لَهُ مِنْ شَعْرٍ، فَضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ، فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلَّا أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ، كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ، فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا، حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ، فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي، فَخَطَبَ النَّاسَ وَقَالَ: " إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمِي مَوْضُوعٌ، وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ، وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ، وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ، وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُ رِبَانَا ; رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ، وَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللَّهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ
পৃষ্ঠা - ৪০২৫


ট্রা১ )ধ্ক্ট (;৷ :ধ্গ্লু১দ্র ;) ৷)দ্বুদ্রণ্া;া৷ ;)প্রুএ :৷ ষ্ষ্গ্রো ৷ৰু৷ ঞ
বল লোক সকল! আল্লাহর রাসুল বলছেন, তোমরা জান কী এটি কোন মাস ? তারা বলল,
আশ শাহরুল হরােম, পবিত্র মাস ৷ তারপর বললেন-

তাদের বলে দাও, আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের জান মাল মর্যাদা সম্পুর্ণ করেছেন এ

মাসের মর্যাদার ন্যায় ৷ তারপর বললেন-

বল, লোক সকল ৷ তৌমরা জান কী এটি কোন নগরী ? (পুর্ণ হাদীস উল্লেখ্য করেছেন)
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেন, লায়ছ ইবন আবু সুলায়মান (শাহর ইবন হাওশার
সুত্রে) আমর ইবন খারিজা (বা) হতে ৷ তিনি বলেন, অত্তোব ইবন আসীদ (বা) কোন প্রয়োজনে
আমাকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট পাঠালেন ৷ তিনি তখন আরাফাতে অবস্থানঃ করছিলেন ৷
আমি তাকে বিষয়টি পৌছে দিলাম ৷ তারপর তার জ্জীর (মুখের) নীচে দাড়িয়ে গেলাম এভাবে
যে, তার লালা আমার মাথায় ঝরছিল ৷ আমি তখন ভাবে বলতে শুনলড়াম-

é“ ঘে১গ্রা

লোক সকল ! আল্লাহ পাক প্রতিটি হকদারের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন
(অর্থাৎ যীরাছের অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন) ৷ আর ওয়ারিছের জন্য ওসিয়ত করা বৈধ নয় ৷
সন্তান ৰিহানার (অধিকারীর) জন্য (অর্থাৎ অইিনগত স্বামীর জ্যাইি) ৷ ব্যভিচারীর জন্য পাথর ৷
যে তার পিতা ব্যতীত কারো নামে বংশ সুত্রে দাবী করবে কিং বা নিজের মনিব ব্যতীত অন্য
কাউকে মনিব সাব্যত করবে তার উপরে আল্লাহর লা নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের
অভিশাপ; আল্লাহ তার কোন নকল কিংবা ফরম (ইবাদত) কবুল করবেন না ৷ তিরমিযী, নাসাঈ
ও ইবন মজাে (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন কাতাদা (র) এর বরাতে (শাহব ইবন হাওসাব
সুত্রে): আমর ইবন খারিজ৷ (বা) হতে অনুরুপ ৷ তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান সহীহ্ বলে মত
ব্য করেছেন ৷

(আমার মতে) কাতাদা (র)-এর সাথে এ হাদীলেয় সনদ সংযুক্ত থাকার ব্যাপারে মতপার্থক্য
রয়েছে ৷ অল্লোহ ই সমধিক অবগত ৷ (এ খুতবার পরে দশ তারিখে নবী করীম (না) যে
গুরুতুপর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন তা তার উপদেশমালা, প্রজ্ঞাপুর্ণ বাণী ও নবী আদর্শের নীতি
বাণীসহ অনতিবিলম্বে আলোচনা কবর ৷ ইনশআল্লাহ) ৷

বুখারী (ব) প্রদত্ত অনুচ্ছেদ শিরোনাম

প্ৰতৃয্যে আরাফার উদ্দেশ্যে মিনা হতে প্ৰস্থান কালে তালবিয়া ও তাকৰীর প্ৰসংগ ৷ আবদৃল্পাহ্
ইবুন ইউসুফ (র) বলেন, আনাস ইবন মালিক (রা)-£ক সকাল বেলা মিন! হতে আরাফার দিকে
যাওয়ার সময় ডিজােসা করা হলো এ দিনে আপনারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে থেকে কী রুপ


بِالْمَعْرُوفِ، وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ ; كِتَابَ اللَّهِ، وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ " قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ. فَقَالَ بِأُصْبُعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ ". ثَلَاثَ مَرَّاتٍ.» وَقَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيُّ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ زِيَادِ بْنِ حِذْيَمِ بْنِ عَمْرٍو السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: " اعْلَمُوا أَنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، كَحُرْمَةِ شَهْرِكُمْ هَذَا، كَحُرْمَةِ بَلَدِكُمْ هَذَا ".» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: بَابُ الْخُطْبَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِعَرَفَةَ، حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي ضَمْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَمِّهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ بِعَرَفَةَ» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ ضَعِيفٌ ; لِأَنَّ فِيهِ رَجُلًا مُبْهَمًا، ثُمَّ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ الطَّوِيلِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَطَبَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ
পৃষ্ঠা - ৪০২৬
عَنْ رَجُلٍ مِنَ الْحَيِّ، عَنْ أَبِيهِ نُبَيْطٍ، «أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا بِعَرَفَةَ عَلَى بَعِيرٍ أَحْمَرَ يَخْطُبُ» . وَهَذَا فِيهِ مُبْهَمٌ أَيْضًا، وَلَكِنَّ حَدِيثَ جَابِرٍ شَاهِدٌ لَهُ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: ثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبِي عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي الْعَدَّاءُ بْنُ خَالِدِ بْنِ هَوْذَةَ - وَقَالَ هَنَّادٌ: عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ الْعَدَّاءِ بْنِ هَوْذَةَ - قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ يَوْمَ عَرَفَةَ عَلَى بَعِيرٍ قَائِمًا فِي الرِّكَابَيْنِ.» قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ ابْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ وَكِيعٍ، كَمَا قَالَ هَنَّادٌ، وَحَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ أَبُو عَمْرٍو، عَنِ الْعَدَّاءِ بْنِ خَالِدٍ بِمَعْنَاهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ بِعَرَفَاتٍ: «مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ، وَمَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسِ السَّرَاوِيلَ ".» لِلْمُحْرِمِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ قَالَ: «كَانَ الرَّجُلُ الَّذِي يَصْرُخُ فِي النَّاسِ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِعَرَفَةَ رَبِيعَةَ بْنَ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ ; قَالَ: يَقُولُ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُلْ أَيُّهَا
পৃষ্ঠা - ৪০২৭


করতেন? তিনি বললেন, আমাদের মাঝে যার ইচ্ছা তালৰিয়া উচ্চারণ করছিল ৷ তাকে বাধা
দেয়া হচ্ছিল না এবং আমাদের মাঝে মার ইচ্ছা তাকবীর ধ্বনি দিচ্ছিল, তাকে তাতে বাধা দেয়া
হজ্যি না ৷ মুসলিম (র) এ হাদীয়খানা আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখাবী (র) আরো
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা (র) সালিম ইবন আবদুল্লাহ (র) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, (খলীকা) আবদুল মানিক ইবন মারওয়ান হাজ্জাজ ইবন ইউসৃবুফ্যা কাছে হত্তজ্জর ব্যাপারে
আবদৃল্লাহ্ ইবন উমাব (রা) এর অনুসরণ করার নির্দেশ লিখে পাঠালেন ৷ আরাফা দিবসে সুর্য
ঢলে পড়ার সময় আমাকে সংগে নিয়ে ইবন উমাব (রা) তার তাবুর কাছে এসে আওয়ায দিলেন,
এ লোক কোথায় ? তখন হাজ্জাজ তার কাছে বেরিয়ে এলে ইবন উমাব (বা) বললেন, চলুন,
হাজ্জাজ বলল, এখন? ইবন উমর (রা) বললেন, ই৷ ৷ হাজ্জাজ বলল, একটু সময় দিন, একটু
গায়ে পানি ঢেলে আসি ৷ তখন ইবন উমার (রা) নেমে পড়লেন এবং হাজ্জাজ বেরিয়ে আসলে
আমরা লেতে লাগলড়াম ৷ হাজ্জাজ ছিল আমার পিতা ও আমার মাঝখানে ৷ আমি তাকে বললড়াম,
আপনি আজকের সুন্নাত (নিয়ম) সঠিকভাবে পালন করতে চইিলে ভাষণ সংক্ষিপ্ত করবেন এবং
উকুফ (অবস্থান ) শুরুর ত্বরান্বিত করবেন ৷ তখন ইবন উমাব (বা) বললেন, সে যথাইে
বলেছে ৷ বুখাবী (রা) কানাবী (র) হতে ও এ হাদীস রিওয়ারাত করেছেন ৷ নাসাঈ এ হাদীস
উদ্ধৃত করেছেন আশহাব ও ইবন ওয়াহাব (র) সুত্রে মালিক (র) থেকে ৷

বুখাবী (র) এ হাদীস রিওয়ারাত করার পরে বলেছেন ৷ লায়ছ (র) বলেছেন (একায়ল)
সালিম (র) হতে এ মর্মে যে, ইবনুয যুবায়র (রা)-এর বিরুদ্ধে অভিমানকালে হাজ্জাজ আবদুল্লাহ
(রা)-ফে জিজ্ঞাসা করল ৷ এ অবস্থান ক্ষেত্রে (আরাফায়) আপনি কী রুপ করেন? সালিম (বা)
বললেন, আপনি যদি সুন্নাত অনুসরণ করতে চান তবে আরাফ৷ দিবসে সলোত আদায় ত্বরান্বিত
করবেন ৷ তখন ইবন উমাব (বা) বললেন, যে যথার্থ বলেছে, র্তারা (সাহাবীগণ) সুন্নাত অনুসারে
যুহর ও আসর একত্রিত করে আদায় করতেন ৷ রাবী আমি, সালিম (না)-কে বললাম, রাসুলুল্পাহ্
(না)-ও কি তাই করেছেন? তিনি বললেন, তা সুন্নত ছাড়া আর কী হতে পারে ? আবু দাউদ (র)
বলেন, আহম্মদ ইবন হাবল (র) ইবন উমার (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আরাফা দিবসের (নয় তারিখে) প্রত্যুষে ফজর সালাত আদায়ের পর মিনা রওয়ানা হলেন
এবং নামিবায় অবতরণ করলেন ৷ নামিবায় হল আরাফায় অবস্থানের জন্য ইমামের অবস্থান হন ৷

অবশেষে জুহর সালাতের সময় হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রা করে বেরিয়ে পড়লেন
এবং যুহর ও আছর একত্রিত করে আদায় করলেন ৷ জাবির (রা) ও তার হাদীসে পুর্বোল্পিখিত
খুতবার বিবরণ দেয়ার পরে অনুরুপ উল্লেখ্য করে বলেছেন ৷ তারপর বিলাল (রা) আমান
দিলেন, তারপর ইকামাত বললেন, তখন নবী করীম (সা) যুহর আদায় করলেন ৷ তারপর
আবার বিলাল (বা) ইকামত বললেন, নবী করীম (সা) আসর সালাত আদায় করলেন এবং এ
দুরের মাঝে আর কোন সালাত (সুন্নাত নকল) আদায় করলেন না ৷ এ বর্ণনার দাবী হল নবী
করীম (সা) প্রথমে খুৎবা দেয়ার পরে সালাত আদায় করা হল এবং দ্বিতীয় খুতবার প্রয়োজন
অনুভব করলেন না ৷ ওদিকে ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ (র) প্রঘুখও
জাৰির (বা) হতে বর্ণনা করেন, বিদায় হজ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, নবী কয়ীম (সা) আরাফার
অবস্থান ক্ষেত্রের দিকে চললেন, সেখানে প্রথম খুতবা দিলেন, তারপর বিলাল (রা) আমান


النَّاسُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: هَلْ تَدْرُونَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟ " فَيَقُولُونَ: الشَّهْرُ الْحَرَامُ. فَيَقُولُ: " قُلْ لَهُمْ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ، كَحُرْمَةِ شَهْرِكُمْ هَذَا ". ثُمَّ يَقُولُ: " قُلْ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: هَلْ تَدْرُونَ أَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ قَالَ: «بَعَثَنِي عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ فِي حَاجَةٍ فَبَلَغْتُهُ، ثُمَّ وَقَفْتُ تَحْتَ نَاقَتِهِ، وَإِنَّ لُعَابَهَا لِيَقَعُ عَلَى رَأْسِي، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَدَّى إِلَى كُلِّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ، وَإِنَّهُ لَا تَجُوزُ وَصِيَّةٌ لِوَارِثٍ، وَالْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ، وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ، وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ، أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا ".» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غُنْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَفِيهِ اخْتِلَافٌ عَلَى قَتَادَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَنَذْكُرُ الْخُطْبَةَ الَّتِي خَطَبَهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ هَذِهِ الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ، وَمَا فِيهَا مِنَ الْحِكَمِ وَالْمَوَاعِظِ وَالتَّفَاصِيلِ وَالْآدَابِ النَّبَوِيَّةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৪০২৮


দিতে লাগলেন ৷ তারপর নবী করীম (সা) দ্বিতীয় খুতবা দিতে লাগলেন এবং তিনি খুতবা শেষ
করলেন, ওদিকে বিলালও আযান শেষ করলেন ৷ তারপর বিলাল (রা) ইকামত বললে নবী
করীম (সা) যুহর সালাত আদায় করলেন; তারপর বিলাল ইকামত দিলে আসর সালাত আদায়
করলেন ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু ইয়াহয়া (র) একাকী এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম (র) জাবির (বা) হতে বর্ণনা করেন তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সওয়ারীতে আরোহণ করে আরাফার অবস্থান ক্ষেত্রে গমন করলেন ৷ তিনি তার উটনী
কাসওয়ার পেট রাখলেন পাথরের বিশাল খণ্ডগুলাের দিকে আর পথচারী জনতাকে রাখলেন
তার সামনে এবং৩ তিনি কিবলামুথী হলেন ৷

আরাফা দিবসে রাসুল (সা) এর সিয়াম প্রসংগ

বুখারী (র) বলেন, ইয়াহয়৷ ইবন সুলায়মান (র) ইবন ওয়াহাব, মায়মুনা (বা) হতে, এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, লোকেরা নবী করীম (সা) এর সিয়াম পালনের ব্যাপারে দ্বিধায় পড়ে
গেল ৷ আমি তার কাছে দুধ পাঠিয়ে দিলাম ৷ তিনি তখন অবস্থান ক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন ৷
তিনি সে পাত্র হতে পান করলেন আর লোকেরা তা প্রত্যক্ষ করছিল ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস
উদ্ধৃত করেছেন হারুন ইবন সাঈদ আল-আয়লী (র) ইবন ওয়াহাব হতে ঐ সনদে ৷ বুখারী (র)
আরো বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) ইবন আব্বাস (রা) এর আযাদ কৃত গোলাম
উমায়র (র) হতে তিনি উম্মুল ফাযল বিনভুল হারিছ (বা) হতে এ মমে বর্ণনা করেন যে, তার

কাছে একদল লোক আরাফা দিবসে নবী করীম (সা) এর সিয়াম পালন বিষয় বিতর্কে লিপ্ত
হল ৷ কেউ কেউ বলল, তিনি ণ্রাযা আছেন ৷ আবার কেউ বলল, তিনি রােযা রাখেননি ৷ তখন
তিনি (উম্মুল ফাযল) তার কাছে এক পাত্র দুধ পা ৷ঠিয়ে দিলেন ৷ নবী করীম (না) তখন তার
উটেৰ্ পিঠে সওয়ার ছিলেন ৷ তিনি সে দুধ পান করলেন ৷ বুখারী, মুসলিম আরো একা ৷ধিক
সুত্রে আবুন নাযর (র) হতে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷

গ্রস্থুকারের মন্তব্য : উম্মুল ফাযল হলেন, উম্মুল মু মিনীন মায়মুন৷ ৰিনতুল হারিছ (রা) এর
বোন ৷ এদের দুজনের দুধ পাঠানোর ঘটনা অভিন্ন ৷ তবে তাদের প্রত্যেকের সাথে দুধ
পাঠানোর সম্পৃক্তি যথার্থ হয়েছে ৷ কেননা, তারা একত্রে একই স্থানে ছিলেন এবং সেখান হতে
দুধ পাঠানো হয়েছিল ৷ তবে হী, এমনও হতে পারে যে, প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন পাঠিয়েছিলেন
কিংবা একের পরে অন্য জন পাঠিয়েছিলেন ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ ইমাম আহমদ (র)
বলেন ৷ ইসমাঈল (র) সাঈদ ইবন জুবায়র (র) হতে তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা)-
এর সামনে গেলাম তিনি তখন আরাফার ছিলেন এবং তিনি একটি ডালিম খাচ্ছিলেন ৷ তিনি
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফার রােযা ছিলেন না ৷ উম্মুল ফাযল তার কাছে দুধ পাঠালে
তিনি তা পান করেছিলেন ৷ আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী ইবন আবু যিব (র)ইবন আব্বাস
(রা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তারা (সাহাবীগণ) আরাফা দিবসে নবী করীম (না)-এর
সিয়াম পালনের ব্যাপারে বিতণ্ডায় লিপ্ত হলে উম্মুল ফাযল (রা) রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে দুধ
পাঠালে তিনি তা পান করলেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রায্যাক ও আবু বকর
(র) আতা (র) থেকে বলেন, তিনি আরাফার দিন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) ফাযল ইবন
আব্বাস (রা)ৰুকে খান৷ খাওয়ার জন্য ডাকলে তিনি বললেন, আমি তো সিয়াম পালন করছি ৷


قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ التَّلْبِيَةِ وَالتَّكْبِيرِ إِذَا غَدَا مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الثَّقَفِيِّ «أَنَّهُ سَأَلَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَهُمَا غَادِيَانِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: كَانَ يُهِلُّ مِنَّا الْمُهِلُّ فَلَا يُنْكِرُ عَلَيْهِ، وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ مِنَّا فَلَا يُنْكِرُ عَلَيْهِ.» وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَوْفِ بْنِ رِيَاحٍ الثَّقَفِيِّ الْحِجَازِيِّ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ كَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ أَنْ يَأْتَمَّ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي الْحَجِّ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ، جَاءَ ابْنُ عُمَرَ وَأَنَا مَعَهُ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ - أَوْ زَالَتِ الشَّمْسُ - فَصَاحَ عِنْدَ فُسْطَاطِهِ: أَيْنَ هَذَا؟ فَخَرَجَ إِلَيْهِ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: الرَّوَاحُ. فَقَالَ: الْآنَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: أَنْظِرْنِي حَتَّى أُفِيضَ عَلَيَّ مَاءً. فَنَزَلَ ابْنُ عُمَرَ حَتَّى خَرَجَ، فَسَارَ بَيْنِي وَبَيْنَ أَبِي، فَقُلْتُ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُصِيبَ السُّنَّةَ الْيَوْمَ فَاقْصُرِ الْخُطْبَةَ وَعَجِّلِ الْوُقُوفَ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: صَدَقَ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَشْهَبَ وَابْنِ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ.
পৃষ্ঠা - ৪০২৯
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ رِوَايَتِهِ هَذَا الْحَدِيثَ: وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ «أَنَّ الْحَجَّاجَ عَامَ نَزَلَ بِابْنِ الزُّبَيْرِ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ: كَيْفَ تَصْنَعُ فِي الْمَوْقِفِ؟ فَقَالَ سَالِمٌ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ السُّنَّةَ فَهَجِّرْ بِالصَّلَاةِ يَوْمَ عَرَفَةَ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: صَدَقَ، إِنَّهُمْ كَانُوا يَجْمَعُونَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي السُّنَّةِ. فَقُلْتُ لِسَالِمٍ: أَفَعَلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: هَلْ تَبْتَغُونَ بِذَلِكَ إِلَّا سُنَّتَهُ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، ثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَا مِنْ مِنًى حِينَ صَلَّى الصُّبْحَ صَبِيحَةَ يَوْمِ عَرَفَةَ، فَنَزَلَ بِنَمِرَةَ، وَهِيَ مَنْزِلُ الْإِمَامِ الَّذِي يَنْزِلُ بِهِ بِعَرَفَةَ، حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ صَلَاةِ الظُّهْرِ رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهَجِّرًا، فَجَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ.» وَهَكَذَا ذَكَرَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِهِ بَعْدَ مَا أَوْرَدَ الْخُطْبَةَ الْمُتَقَدِّمَةَ، قَالَ: ثُمَّ أَذَّنَ بِلَالٌ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَطَبَ أَوَّلًا، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، وَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِلْخُطْبَةِ الثَّانِيَةِ. وَقَدْ قَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَغَيْرُهُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ،
পৃষ্ঠা - ৪০৩০


আবদৃল্লাহ্ (বা) বলেন, (আজ) সিয়াম পালন করো না ৷ কেননা, আরাফায় দিন রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর কাছে একটি পাত্র পাঠানো হল যাতে দুধ ছিল ৷ তিনি তা থেকে পান করলেন ৷
অতএব তুমি সিয়াম পালন করো না ৷ কেননা, লোকেরা তোমাদের অনুসরণ করবে ৷

আনুবংগিক বিভিন্ন প্ৰসংগ : বুখারী (র) বলেন, সুলায়মান ইবন হারব (র) ইবন আব্বাস
(বা) হতে ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে আরাফায় অবস্থান করছিলেন,
ইতোমধ্যে সে তার বাহন হতে পড়ে গেল ৷ উটনীটি তাকে ফেলে দেয়ার ফলে তীর ঘাড় মটকে
যাওয়ায় তার মৃত্যু হয় ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন, তাকে পানি ও বরই পাতা (মিশিয়ে)
দিয়ে গোসল দিবে ৷ তাকে (তার ইহরামের) দুই কাপড় কাফন পরাবে, তাকে সুগন্ধি লাপাবে
না ৷ র্তার মাথা আবৃত করবেনা এবং তাকে হানুত (কপুর ইত্যাদি) মাখাবে না ৷ কেননা,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন র্তাকে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় পুনরুথিত করবেন ৷ মুসলিম (র) ও
এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবুর রাবী আয যাহরানী (র) হতে, নাসাঈ (র) বলেন,
ইসহাক ইবন ইবরাহীম অর্থাৎ ইবন রাহওয়ায়াহ (র) , আবদুর রহমান ইবন ইয়ামুর আদ-দীলা
(বা) হতে তিনি বলেন, আমি আরাফায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি ৷ তখন নাজদবাসী
একদল লোক তার কাছে এসে তাকে হজ্জ সম্পর্কে ত্তিজ্ঞেসাে করল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন ন্

পব্লু১ ণ্ট্টা১ব্লুষ্টু ৫শ্১ ড়াে é); )১গ্রা &)“: এদ্বু ড়ুশু )£ণ্ ড়াে এ )১৷ ওে ড়ুএ )£ণ্ হ্র১ক্রা

আরাফায় অবস্থান হজ্জ ৷ সুতরাং ঘুযদালিফার রাতের ফজর শুরু হওয়ার আগে হাড়ারা
আরাফায় রাত (এর অবস্থান) পেয়ে যাবে তাদের হজ্জ পুর্ণ হয়ে যাবে ৷ সুনান গ্রন্থসমুহের
অন্যান্য সংকলনবৃন্দ এ হাদীস সুফিয়ান ছাওরী (র)-এর বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে
নাসাঈ (র) শুৰা (র) হতেও অতিরিক্ত একটি রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷

নাসাঈ (র) বলেন, কুতায়বা (র) ইয়াষীদ ইবন শায়বান (বা) হতে ৷ তিনি বলেন, আমরা
আরাফায় অবস্থান ক্ষেত্রের এক দুরবর্তী প্রান্তে অবস্থানরত ছিলাম ৷ তখন ইবন মারবা আল
আনসারী (বা) আমাদের সংবাদ দিলেন ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসুল
(না)-এর দুত ৷ তিনি তোমাদের বলছেন, তোমরা তোমাদের নিদর্শনাবলী ও স্মৃতিচিহ্নসমুহে
ন্থিতিবান থাকবে ৷ কেননা, তোমরা তোমাদের পুর্বপুরুষ ইব্রাহীম (আ)-এর উত্তরাধিকারী
প্রাপ্ত হয়েছে৷ ৷ আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ঐ সনদে ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন এর সনদ (হাসান) ৷
আমর ইবন দীনার (র) হতে প্রাপ্ত সুফিয়ান (ৱ)-এর হাদীস ব্যতীত অন্য কােন সুত্রে এ
হাদীসের পরিচিতি আমরা পইি নি ৷ আর ইবন মারবা-এর নাম হল যায়দ ইবন মারবা আ ল
আনসারী (রা) ৷ তার সুত্রে মাত্র এই একটি হাদীসই পাওয়া যায় ৷ তিরমিযী (র) আরো বলেন,
এ প্রসংগে আলী, আইশা, জুবায়র ইবন ঘুতইম ও শারীদ ইবন সুওয়ায়দ (রা) হতেও
রিওয়ায়াত রয়েছে ৷

জাবির (বা) হতে মুসলিম (র)-এর এ রিওয়ায়াত আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, এ) আঃ ব্লু৩শ্১স্া১^ খোঙু আমি এখানে উকুফ করেছি ৷ তবে গেঢাি


عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ فِي حَجَّةِ الْإِسْلَامِ قَالَ: «فَرَاحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَوْقِفِ بِعَرَفَةَ، فَخَطَبَ النَّاسَ الْخُطْبَةَ الْأُولَى، ثُمَّ أَذَّنَ بِلَالٌ، ثُمَّ أَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخُطْبَةِ الثَّانِيَةِ، فَفَرَغَ مِنَ الْخُطْبَةِ وَبِلَالٌ مِنَ الْأَذَانِ، ثُمَّ أَقَامَ بِلَالٌ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى. قَالَ مُسْلِمٌ، عَنْ جَابِرٍ: «ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى الْمَوْقِفَ، فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ إِلَى الصَّخَرَاتِ، وَجَعَلَ جَبَلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، «أَنَّ النَّاسَ شَكُّوا فِي صِيَامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِحِلَابٍ وَهُوَ وَاقِفٌ فِي الْمَوْقِفِ، فَشَرِبَ مِنْهُ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ» . وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ، عَنْ هَارُونَ بْنِ سَعِيدِ الْأَيْلِيِّ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، «أَنَّ نَاسًا تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صَوْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ صَائِمٌ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ بِصَائِمٍ. فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৪০৩১


আরাফাতই অবস্থান উকুফস্থল ৷ মালিক (র) তার সৃআত্তায় অতিরিক্ত বলেছেন, ঢে ;স্এ;৮
ন্-ন্’এং মোঃ তবে নিম্ম ভুমি হতে দুরে থাকবে ৷

অনুচ্ছেদ : আরাফা অবস্থান কালে নবী করীম (সা) এর দৃআসমুহ

নবী করীম (সা) আরাফার দিন রােযা অবস্থায় ছিলেন না, একথা পুর্বেই বিবৃত হয়েছে ৷
এতে বুঝা যায় যে, সেখানে সিয়াম পালনের চাইতে সিয়াম বিহীন অবস্থায় থাকাই উত্তম ৷
কেননা, তাতে দৃআ করার ব্যাপারে শক্তি সামর্থ পাওয়া যায়, যা ঐ দিনের এবং ঐ স্থানের
আসল লক্ষ্য ৷ এ কারণেই নবী কবীম (সা) বাহনারােহী হয়ে দুপুর হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান
করেছিলেন ৷ আবু দাউদ আত তায়ালিসী (র) এ প্ৰসংগে তার ঘুসনাদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
হাওশাব ইবন আর্কীল (র) হতে আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে (তিনি) রাসুলুল্লাহ (না) হতে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি আরাফাতে অবস্থান কালে আরাফার দিনের (যিলহভ্রুজ্জর নয়
তারিখের) সিয়াম পালন নিষেধ করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেন, আবদুর রহমান ইবন
মাহদী (র) , ইবন আব্বাস (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম ইকরিমা (বা) থেকে, তিনি বলেন,
আমি আবু হুরায়রা (রা)-এর বাড়িতে র্তার কাছে গেলাম এবং আরাফাতে অবস্থান কালে
আরাফার দিনের সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন, আরাফাতে আরাফার দিনের
রােযা থাকতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিষেধ করেছেন ৷ অনুরুপ আহমদ (র) এ হাদীস ওয়াকী
হড়াওশাব (র) সনদেও উল্লেখ করেছেন ৷ আবু দাউদ (র) নাসায়ী ও ইবন মজাে বিভিন্ন সনদে
এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হাফিজ বড়ায়হাকী (র) বলেন, আবু উসামা আল কালবী (র)
ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আরাফাতে অবস্থানকালে আরাফার দিনের
বোমা রাখতে নবী করীম (সা) নিষেধ করেছেন ৷ বায়হার্কী (র) মন্তব্য করেছেন যে, (আবু
উসামার শায়খ হাসান এর শায়খ) হারিছ ইবন উবায়দ এভাবে ইবন আব্বাস (বা) হতে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কিন্তু সংরক্ষিত সনদে রয়েছে ইকরিমা হতে ৷ তিনি আবু হুরায়রা (বা)
হতে ৷ আবু হাতিম মুহাম্মদ ইবন হিব্বান আল বুসতী (র) তার সহীহ্-এ , আবদুল্লাহ ইবন
আমর (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তাকে আরাফা দিনের সিয়াম পালন সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে হজ্জ করেছি ৷ তিনি ঐ
সিয়াম পালন করেন নি ৷ আবু বকর (রা)-এর সংগেও হজ্জ করেছি, তিনি ও ঐদিনের সিয়াম
পালন করেন নি, উমর (না)-এর সাথেও তিনি ঐ দিন রোযা রাখেন নি ৷ আর আমিও-
আমি সিয়াম পালন করি না এবং কাউকে তার হুকুমও দেই না, আবার কাউকে তা প্নিষেধও
করি না ৷

ণ্ দুআসমুহ : ইমাম মালিক (র) বলেন, যিয়াদ ইবন আবু যিয়াদ (র)-তালহা ইবন
উবায়দুল্লাহ্ ইবন কুরায়য (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-
শুএ এ,গ্লু; ১৷ ;া৷৷ >া৷ এ্া৷ ১৷ , ন্া,ব্র : ;,ৰুৰু,,া৷াএ ৷া৷ ণ্া৷ব্র ৷ ;১; হ্রাড্রু ড়ু১প্লুণ্ মোঃ প্াণ্ ১া৷ ;াএা

আরাফার দিনের শ্রেষ্ঠ দৃআ এবং আমি ও আমার পুর্বেকার নবীগণের শ্রেষ্ঠ দুআ “লড়া-
ইলাহা ইল্পালাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু , এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ৷ যিনি
একক ও না শরীক ৷ বায়হড়াকী (র) বলেছেন এ হাদীসখানা যুরসাল ৷ ইমাম মালিক (র) হতে


فَشَرِبَهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ أَيْضًا. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ بِهِ. قُلْتُ: أُمُّ الْفَضْلِ هِيَ أُخْتُ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ وَقِصَّتُهُمَا وَاحِدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَصَحَّ إِسْنَادُ الْإِرْسَالِ إِلَيْهِمَا ; لِأَنَّهُ مِنْ عِنْدِهِمَا، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ بَعْدَ ذَلِكَ، أَوْ تَعَدَّدَ الْإِرْسَالُ مِنْ هَذِهِ وَمِنْ هَذِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا أَيُّوبُ قَالَ: لَا أَدْرِي أَسَمِعْتُهُ مِنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَمْ نُبِّئْتُهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَتَيْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ بِعَرَفَةَ وَهُوَ يَأْكُلُ رُمَّانًا، وَقَالَ: أَفْطَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ، وَبَعَثَتْ إِلَيْهِ أُمُّ الْفَضْلِ بِلَبَنٍ فَشَرِبَهُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّهُمْ تَمَارَوْا فِي صَوْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَأَرْسَلَتْ أُمُّ الْفَضْلِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَبَنٍ فَشَرِبَهُ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ وَابْنُ بَكْرٍ قَالَا: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ،
পৃষ্ঠা - ৪০৩২
قَالَ: قَالَ عَطَاءٌ: «دَعَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ إِلَى الطَّعَامِ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَقَالَ: إِنِّي صَائِمٌ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَا تَصُمْ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُرِّبَ إِلَيْهِ حِلَابٌ فِيهِ لَبَنٌ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَشَرِبَ مِنْهُ، فَلَا تَصُمْ، فَإِنَّ النَّاسَ مُسْتَنُّونَ بِكُمْ.» وَقَالَ ابْنُ بُكَيْرٍ وَرَوْحٌ: إِنَّ النَّاسَ يَسْتَنُّونَ بِكُمْ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ،، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَيْنَا رَجُلٌ وَاقِفٌ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ إِذْ وَقَعَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَوَقَصَتْهُ - أَوْ قَالَ: فَأَوْقَصَتْهُ - فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْنِ، وَلَا تُمِسُّوهُ طِيبًا، وَلَا تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ، وَلَا تُحَنِّطُوهُ، فَإِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيًا ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: أَنْبَأَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - هُوَ ابْنُ رَاهَوَيْهِ - أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ الدِّيلِيِّ قَالَ: «شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ وَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ، فَسَأَلُوهُ عَنِ الْحَجِّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَجُّ عَرَفَةُ، فَمَنْ أَدْرَكَ لَيْلَةَ عَرَفَةَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ مِنْ لَيْلَةِ جَمْعٍ فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ بَقِيَّةُ أَصْحَابِ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ - زَادَ النَّسَائِيُّ: وَشُعْبَةُ - عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ بِهِ.