আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر طوافه صلى الله عليه وسلم بين الصفا والمروة

পৃষ্ঠা - ৩৯৯৯


ছুটে চলুছিলেন, এমন কি চলার গতির তীব্রতা আমি তার ভুাটুদ্বয় দেখলাম, তার লুঙ্গি তার
হীটুতে জড়িয়ে যাজ্যি; তখন তিনি রলছিভৈলন,“তোমরা ছুটে চল, কেননা আল্লাহ্ তোমাদের
জন্য সাঈ আবশ্যকীয় করে দিয়েছেন ৷” আহ্মাদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আহ্মাদ (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন আবদুর রাবৃযাক (র) সাফিয়্যা বিবৃত শায়বা (র)
হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, জনৈক মহিলা র্তাকে এ মর্মে খবর’ দিয়েছিল যে, তিনি নবী
করীম (না)-কে সাফা-মারওয়া-র মাঝে বলতে শুনেছেন, ৷প্লু,াব্লু স্পোষ্ ৰুর্ফঙুএ০ ধ্ নু£ “সাঈ
তোমাদের জন্য আবশ্যকীয় করা হয়েছে, সুতরাং তোমরা সাঈ ৷” এ সনদের এ মহিলা পুর্ববর্তী
সনদদ্বয়ে স্পষ্ট উল্লিখিত হাবীবা বিবৃত আবু তাজ্বযাআই ৷ শায়রা ইবন উছমান (রা)-এর উম্মু
ওয়ালাদ১ হতে তিনি নবী করীম (সা) কে সাফাশু মারওয়ায় সাঈ করতে দেখেছেন; তখন তিনি
বলছিলেন গ্১শ্রো প্লুএশ্প্রু মা গ্লুএ ঞ “নিম্নভুমি দৌড়িয়ে-ই অতিক্রম করতে হবে ৷” নাসাঈ (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷

(গ্রন্থকারের মতে) এখানে সাঈ ভা৷ শব্দের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাফা হতে মারওয়া এবং
পুনরায় মারওয়া হতে সাফায় শুধু পমনাগমন ও চলাচল করা ৷ অর্থাৎ দুলতে দুলতে চলা কিংবা
দৌড়ে চলা এখানে উদ্দেশ্য নয় ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা তা অলৎঘনীয়রুপে আমাদের জন্য
সাব্যস্ত করেন নি, বরং কোন মানুষ যদি ঐ দুই স্থানের মাঝের সাত চক্করে স্বাভাবিক অবস্থায়
হেটে চলে এবং যাসীল তথা নিম্নভুমিতে রমল না করে, তবুও তা সকল আলিমের দৃষ্টিতে বৈধ ও
যথার্থ হবে ৷ এ বিষয় কোন মতানৈক্য যেই ৷ তিরমিযী (র) ও অনুরুপ উদ্ধৃত করে বলেছেন ৷
ইউসুফ ইবন ঈসা (র) কাহীর ইবন জাহ্মান (র) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন,
আমি ইবন উমার (রা) কে সাঈ করার স্থানে হেটে চলতে দেখে বললায, আপনি সাফা-
মারওয়া-র সাঈ ক্ষেত্রে হেটে চলছেন? তিনি বললেন, “আমি যদি দৌড়ে চলি তবে (তা
যথাযথ, কেননা) আমি তো রাসুলুল্লাহ (না)-কে দৌড়ে চলতে দেখেছি; আর আমি যদি হেটে
চলি তবে (তত্ত্ব-ও যথার্থ, কেননা) আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে হেটে চলতেও দেখেছি ৷ আর আমি
তো এখন একজন অতিবৃদ্ধ ৷” তারপর তিরমিযী (র) বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ ৷
সাঈদ ইবন জুবায়র (র)-ও ইবন আব্বাস (বা) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ,
নাসাঈ ও ইবন মাজা (র)-ও এ হাদীসখানি আতা’ ইবনৃস সাইব (র) সুত্রে ইবন উমর (রা) হতে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

সুতরাং উভয় অবস্থার প্রতাক্ষকারী হিসাবে বিবৃত ইবন উমর (রা) এর উক্তির দু’টি ব্যাখ্যা
হতে পারে ৷ এক : কোন সাঈর সময় তিনি নবী করীম (সা)-কে আপা-গোড়া হেটে চলতে
দেখেছেন, যাতে রমল ও দৌড়ে চলার এতটুকুও মিশ্রণ ছিল না ৷ দুই : সাঈর কতক পথ তিনি
নবী করীম (সা)কে দৌড়ে চলতে এবং কতক পথ হেটে চলতে দেখেছেন ৷ তবে এ দ্বিতীয়
ব্যাখ্যাটি অপেক্ষাকৃত সরল ৷ কেননা, বুখাবী ও মুসলিম উবায়দুল্লাহ ইবন উমর আল উমরী
(র) ইবন উমর (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সাফা মারওয়া সাঈ



১ উম্মু ওয়ালাদ : সন্তানের মা ৷ মনিব যে বীদীর সঙ্গে সহবাস করার পরে সন্তান হয়েছে সে বীদীকে উম্মু
ওয়ালাদ বলা হয় ৷ অনৃবাদক


[ذِكْرُ طَوَافِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ] رَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ جَابِرٍ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ الْمُتَقَدِّمِ، بَعْدَ ذِكْرِهِ طَوَافَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَصَلَاتَهُ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ قَالَ: «ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الرُّكْنِ فَاسْتَلَمَهُ، ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْبَابِ إِلَى الصَّفَا، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الصَّفَا قَرَأَ: " {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} [البقرة: 158] " أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ". فَبَدَأَ بِالصَّفَا، فَرَقِيَ عَلَيْهِ حَتَّى رَأَى الْبَيْتَ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَوَحَّدَ اللَّهَ وَكَبَّرَهُ، وَقَالَ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ ". ثُمَّ دَعَا بَيْنَ ذَلِكَ، فَقَالَ مِثْلَ هَذَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ نَزَلَ حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَّمَاهُ فِي الْوَادِي رَمَلَ، حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ، فَرَقِيَ عَلَيْهَا، حَتَّى نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ، فَقَالَ عَلَيْهَا كَمَا قَالَ عَلَى الصَّفَا.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عُمَرُ بْنُ هَارُونَ الْبَلْخِيُّ أَبُو حَفْصٍ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ بَعْضِ بَنِي يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَبِعًا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ بِبُرْدٍ لَهُ نَجْرَانِيٍّ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يُونُسُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُؤَمَّلِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪০০০


কালে নিচু অংশটুকু দ্রুতপদে অতিক্রম করতে তন ৷ আর জাবির (রা) এর পুর্বোল্লেখিত ৩হাদীসে
রয়েছে যে,“ নবী করীম (সা) সাফ৷ থেকে অবতরণ করতে লাণলেন; যখন উপত্যকার
নিম্নতুমিতে তার পদযুগল স্থির হতে লাগল তখন তিনি রমল করলেন এবং এভাবে যেতে যেতে
চড়াই পথে আরোহণ কালে হেটে হেটে মারওয়ায় পৌছলেন ৷ “এবং সকল আলিমের মতে
পসন্দনীয় (এবং জাবির (রা)-এর হাদীসেও যেমনটি রয়েছে) যে, সাফ৷ মারওয়ায় সাঈ
পালনের জন্য মুসতাহাব পদ্ধতি হল প্রতি চক্করে উপত্যকার নিভােগে অর্থাৎ দু’পাহড়াড়ের
মধ্যবর্তী নালা রুপী নিম্ন সমতলে বুমল করবে ৷ ওারা এর সীমা নির্ধারণ করেছেন সবুজ রং এর
ফলকগুলির মাঝে সাফা র দিকে মসজিদ স০ লগ্ন একটি ফলক এবং য়ারওয়া প্রান্তের ও
মসজিদ স০ লপ্ন পাশ ৷৷াপাদি ৷দু টি ফলক ৷ তবে আ ৷লিমগণের কেউ কেউ বলেছেন, বর্তমানে
ফলকসমুহের মধ্যবর্তী আয়তন রাসুলুল্লাহ (সা) এর রমল করার স্থান নালার নিম্নাঞ্চলের চেয়ে
গ্রুাস্ততর ৷ ১ আল্লাহ সমাধিক অবগত

আলোচ্য বিষয় একটি আিমত ও তা যে পর্যালোচনা

তবে হাজ্জ ৷তুল ৰিদা’ নামে সংকলিত কিভাবে মুহাম্মদ ইবন হাবৃম (র) এর উক্তি “তারপর
নবী করীম (সা) সাফা অভিমুখে বেরিয়ে পড়লেন ৷ এবং ন্আ এইএে এে ং ;াখোত্রৈ ক্রো :ৰু
আয়াত তিলাওয়াত করে বললেন, আল্লাহ যেটি দিয়ে শৃরু করেছেন আমরাও সেখান থেকে শুরু
করছি ৷ ” তারপর সাফা-মড়ারওয়াতেও (বায়ভুল্পাহ্ তাওয়াফের ন্যায়) উটের পিঠে আরোহী
হয়ে সাত চক্কর দিলেন; তিন চক্কর দ্রুত লাল এবং চার চক্কর হেটে হেটে ৷” এ উক্তির সমর্থনে
কোন রিওয়ায়াত পেশ করা হয় নি এবং৩ তার (ইবন হাযম) সঙ্গে কেউ এ মমে ভিন্নমত পোষণ
করেন নি যে, নবী করীম (সা) সাফা মারওয়ার মাঝে তিন চক্কর ছুটে চলেছেন আর চার চক্কর
হেটে হেটে ৷ প্রথমত তাে এটি একটি স্পষ্ট বিভ্রান্তি এবং তদুপরি তিনি এর অনৃকুলে কোন
দলীল উপস্থাপন করেন নি৷ বরং আলোচনার প্রমাণস্বরুপ তিনি বলেছেন, “সাফা-মারওয়ার
মাঝে রমল’-এর সংখ্যাটি আমরা পরিষ্কারতাবে পাই নি, তবে কিনা এটি সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত ৷”
(মম্ভব্যং) এখন, তিনি যদি বুঝাতে চান যে, প্রথমত তিন চকর (আগাগােড়া) রমল করা যেমন
তিনি উল্লেখ করলেন এটা ই সর্বসম্মত সিদ্ধ ত তবে তা যথার্থ ও স্বীকৃত নয়, বরং তিনি ব্যতিত
আর কেউ এ অভিমত ব্যক্ত করেন নি ৷ আর যদি প্রথম তিন চক্করের অংশ বিংশ ৷য়ে রমল করার
বিধিবদ্ধত৷ সর্বসম্মত হওয়া বুঝানো তীর উদ্দেশ্য হয়, তবে এ বর্ণনা তার কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধির
সহায়ক নয় ৷ কেননা, বিদ্বান মনীষীগণ প্রথম তিন চক্করের অৎশৰিশ্যেব রমল করার ব্যাপারে
যেমন ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন, তেমনি পরবর্তী চার চক্করে তা মুসৃতাহাব হওয়ার ব্যাপারেও
র্তারা ঐক্যমত্য পোষণ করেন ৷ সুতরাৎ ইবন হাযম (র) কতৃক প্রথম তিন চক্করে রমল মুসৃতাহাব
হওয়ার ক্ষেত্ররুপে নির্দিষ্ট করা আলিমগণের অভিমতের পরিপন্থী ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
আর, সাফা-মারওয়ার মাঝে নবী করীম (না)-এর সওয়ার হওয়া সম্পর্কিত ইবন হাবৃম (র)-এর
উক্তি (এ বিষয় আমাদের বক্তব্য হল) তা, ইবন উমার (রা) হতে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে,



১ বর্তমানে নিম্নভাগের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই ৷ তাকে সমতলে পরিণত করা হয়েছে ৷ তবে দৌড়ে চলার
সীমানা নির্ণায়র জন্য তৎকালীন নিম্নভুমির সমপরিমাণ স্থানকে সবুজ আস্তরণে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ৷
অনুবাদক


عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي تِجْرَاةَ قَالَتْ: «دَخَلْتُ دَارَ أَبِي حُسَيْنٍ فِي نِسْوَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. قَالَتْ: وَهُوَ يَسْعَى يَدُورُ بِهِ إِزَارُهُ مِنْ شِدَّةِ السَّعْيِ، وَهُوَ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ: " اسْعَوْا، إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَيْكُمُ السَّعْيَ» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُؤَمَّلِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي تِجْرَاةَ قَالَتْ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَالنَّاسُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ وَرَاءَهُمْ وَهُوَ يَسْعَى، حَتَّى أَرَى رُكْبَتَيْهِ مِنْ شِدَّةِ السَّعْيِ يَدُورُ بِهِ إِزَارُهُ، وَهُوَ يَقُولُ: " اسْعَوْا، فَإِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَيْكُمُ السَّعْيَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ وَاصِلٍ مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، «أَنَّ امْرَأَةً أَخْبَرَتْهَا أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ يَقُولُ: " كُتِبَ عَلَيْكُمُ السَّعْيُ فَاسْعَوْا» وَهَذِهِ الْمَرْأَةُ هِيَ حَبِيبَةُ بِنْتُ أَبِي تِجْرَاةَ الْمُصَرَّحُ بِذِكْرِهَا فِي الْإِسْنَادَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ. وَعَنْ أُمِّ وَلَدِ شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ أَنَّهَا أَبْصَرَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ يَقُولُ: «لَا يُقْطَعُ الْأَبْطَحُ
পৃষ্ঠা - ৪০০১


“রাসুলুল্লাহ (সা) উপত্যকায় (নালায়) নিম্নভাগে দ্রুতবেগে অতিক্রম করবেন (ঘুখারী-“ মুসলিম
রিওয়ায়াত কংরাক্রা) ৷ আর ইবন উমার (বা) হতে তিরমিঘীপ্রু (র); এর ংরিওয়ায়াত রয়েছে-
“আমি যদি দ্রুতবেগেচলি, তরেরাসুলুল্পাহ (না)-কে তােদ্রুত চলতে দেখেছি, “আর যদি হেটে
চলি, তবে রাসৃলুল্লাহী (সা)-কৈও হেটে চল্তেদেখেছি ৷ আর জাবির (রা) বলেছেন,“র্তীর
পদফ্রাং৷ যখন উপতকৌয় স্থির হয়ে বসৃতে লাগল তখন রমল করলেন, অৰ্শ্যেয যখন চড়তে
লাগলেন তখন স্বাভাৰিবভোবে ছুটিলেন (মুসলিম) ৷ এ ছাড়া আবু জাফর আলু বাকিয় (র) সুত্রে
জাবির (বা) হতে গৃহীত মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র)-এর হাদীস আমরা ইতোপুর্বেউল্লেখ করে
এসেছি ৷ (তাতে রয়েছে) যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার উট মসজিদের দয়জায় বসিয়ে দিলেন-
অখাৎ উট বসাবার পরে তাওয়ফে করেছিলেন ৷ তারপর সাফা অভিমুখে বের হওয়ার সময়
সওয়াবীতে আরোহণ করেছেনবলে উল্লিখিত হয় নি“ ৷ : ন্ ৰু : ;

এ সব উদ্ধৃতির দাবী হল এই যে, রাসুল্ করীম (সা) সাফা মারওয়ায় পায়ে হেটে সাঈ
কঃরছিলেন, তবে মুসলিম (র) এর একটি হাদীসে এর ব্যাতিক্রম রয়োছ ৷ তিনি বলেন, আবৃদু
ইবন হুমায়দ (র)ঠুজাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে, তিনি বলেন, ৰু“কািড়ায় হ্জেপ্ নবী করীম
(সা) তার বড়াহনে-একটি উট-চড়ে বায়তুল্লাহ ও সাফা-মারওয়া তাওয়াক করেছেন, যাতে
লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তিনিও উচু হতে সবাইকে দেখতে পান এবং যাতে লোকেরা
তার কাছে মাসৃআলা জিজ্ঞেস করতে পারে ৷ কেননা, জনতা তাকে ঘিরে রেখেছিল ৷”এবং
নবী করীম (সা) ও তার সাহাবীগণও সাফা মারওয়ায় একটির অধিক সাঈ করেন নি ৷ ” ইমাম
মুসলিম এ হাদীস আবু বক্র ইবন আবু শায়বা (র)আলী ইবন খাশরাম (র) এবং মুহাম্মাদ
ইবন হাতিম (র)(সব সনদই ইবন জ্বরায়জ মারফত পুর্বোক্ত উর্ধতন সনদে) তবে এগুলির
ণ্কান কােনটিতে এৰখ্ সাফা-মারওয়ায় কথাটুকু নেই ৷ আবু দউিদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন
আহ্মদ ইবন হাম্বাস (র)জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (র) বলেন, “ নবী কবীম (সা) বিদায় হৰ্জ্জ্ব
তার ৰাহনে চড়ে বায়তুল্লাহ ও সাফা-মারওয়ায় তাওয়াফ করেছেন ৷” নাসাঈ (র) রিওয়ায়াত
করেছেন ফাল্লাস (র)এবং ইমরান ইবন য়াযীদ (র) (উভয় সুত্র ইবন জুরায়জ মারফত
পুবেক্তি সনদে-) , যেটি কথা, ইবন জুরায়জ (র)-এর হাদীসরুপে এটি সংরক্ষিত ও পরিশৃদ্ধ এবং
যেহেতু এটি সমন্বয় অতিশয় জটিল ৷ কেননা, জাবির (বা) প্রমুখ হতে বর্ণিত সমুদয় রিওয়ায়াত
নির্দেশ করে যে, সাফা মারওয়া প্রদক্ষিণকালে নবী করীম (সা) পদব্রজে চলেছিলেন ৷

এখন দৃভাবে এ ব্যতিক্রমী রিওয়ায়াতটির জবাব দেয়া যায় ৷ (এক) জাবির (বা) হতে
(তার অধস্তন রাবী) আবুয্ যুবায়র (র)-এর রিওয়ায়াতের এ অতিরিক্ত অংশ অর্থাৎ সাফা-
মারওয়ায় মাঝে’ উক্তিটি সাহাবী পরবর্তী কোন রড়াবী-র অসর্তকতা প্রসুত দুর্বলতাব্র ফসল
কিংবা তা’ অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে ৷ আল্পাহ্ই সমাধিক অবগত ৷ (দুই) কিৎবা নবী করীম (সা) সাফা
মারওয়ায় তার কতক তাওয়াফ পায়ে হেটে আদায় করেছিলেন এবং অন্যান্য আনুষৎগিক
বিযয়াদিসহ তা অনেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ পরে তার চারপাশে লোকের ভিড় বেড়ে যেতে
থাকংণ্৷ তিনি ৰাহনে আরোহণ করেন (যেমন একটু পরে উদ্ধৃত ইবন আব্বাস (রা)-এর
হাদীস নির্দেশ করছে) ৷ ইবন হড়াঘৃম (র) অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন যে, নবী করীম (সা)-
এর ৰায়তুল্লাহ প্রথম তাওয়াফ ছিল পায়ে হেটে, এবং আরোহী হয়ে তাওয়াফ করা সম্পর্কিত


إِلَّا شَدًّا» رَوَاهُ النَّسَائِيُّ. وَالْمُرَادُ بِالسَّعْيِ هَاهُنَا هُوَ الذَّهَابُ مِنَ الصَّفَا إِلَى الْمَرْوَةِ، وَمِنْهَا إِلَيْهَا، وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالسَّعْيِ هَاهُنَا الْهَرْوَلَةَ وَالْإِسْرَاعَ، فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكْتُبْهُ عَلَيْنَا حَتْمًا، بَلْ لَوْ مَشَى الْإِنْسَانُ عَلَى هِينَةٍ فِي السَّبْعِ الطَّوْفَاتِ بَيْنَهُمَا وَلَمْ يَرْمُلْ فِي الْمَسِيلِ، أَجْزَأَهُ ذَلِكَ عِنْدَ جَمَاعَةِ الْعُلَمَاءِ، لَا يُعْرَفُ بَيْنَهُمُ اخْتِلَافٌ فِي ذَلِكَ. وَقَدْ نَقَلَهُ التِّرْمِذِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، ثُمَّ قَالَ: ثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ قَالَ: «رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَمْشِي فِي الْمَسْعَى فَقُلْتُ: أَتَمْشِي فِي السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ؟ فَقَالَ: لَئِنْ سَعَيْتُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْعَى، وَلَئِنْ مَشَيْتُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي، وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ.» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ، وَقَدْ رَوَى سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَ هَذَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ السُّلَمِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ. فَقَوْلُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ شَاهَدَ الْحَالَيْنِ مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْتَمِلُ شَيْئَيْنِ ; أَحَدُهُمَا أَنَّهُ رَآهُ يَسْعَى فِي وَقْتٍ مَاشِيًا لَمْ يَمْزُجْهُ بِرَمَلٍ فِيهِ بِالْكُلِّيَّةِ وَالثَّانِي أَنَّهُ رَآهُ يَسْعَى فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ وَيَمْشِي فِي بَعْضِهِ. وَهَذَا لَهُ قُوَّةٌ ; لِأَنَّهُ قَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪০০২
حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْعَى بَطْنَ الْمَسِيلِ إِذَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ.» وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نَزَلَ مِنَ الصَّفَا، فَلَمَّا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي الْوَادِي رَمَلَ، حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ. وَهَذَا هُوَ الَّذِي تَسْتَحِبُّهُ الْعُلَمَاءُ قَاطِبَةً ; أَنَّ السَّاعِيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يَرْمُلَ فِي بَطْنِ الْوَادِي فِي كُلِّ طَوْفَةٍ فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ الَّذِي بَيْنَهُمَا، وَحَدَّدُوا ذَلِكَ بِمَا بَيْنَ الْأَمْيَالِ الْخُضْرِ، فَوَاحِدٌ مُفْرَدٌ مِنْ نَاحِيَةِ الصَّفَا مِمَّا يَلِي الْمَسْجِدَ، وَاثْنَانِ مُجْتَمِعَانِ مِنْ نَاحِيَةِ الْمَرْوَةِ مِمَّا يَلِي الْمَسْجِدَ أَيْضًا. وَقَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ: مَا بَيْنَ هَذِهِ الْأَمْيَالِ الْيَوْمَ أَوْسَعُ مِنْ بَطْنِ الْمَسِيلِ الَّذِي رَمَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ حَزْمٍ فِي الْكِتَابِ الَّذِي جَمَعَهُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: ثُمَّ خَرَجَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى الصَّفَا فَقَرَأَ: {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} [البقرة: 158] أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ". فَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَيْضًا سَبْعًا رَاكِبًا عَلَى بَعِيرٍ، يَخُبُّ ثَلَاثًا وَيَمْشِي أَرْبَعًا. فَإِنَّهُ لَمْ يُتَابِعْ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَلَمْ يَتَفَوَّهْ بِهِ أَحَدٌ قَبْلَهُ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَبَّ ثَلَاثَةَ أَشْوَاطٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ مَعَ هَذَا الْغَلَطِ الْفَاحِشِ لَمْ يَذْكُرْ عَلَيْهِ دَلِيلًا بِالْكُلِّيَّةِ، بَلْ لَمَّا انْتَهَى إِلَى مَوْضِعِ الِاسْتِدْلَالِ عَلَيْهِ قَالَ: وَلَمْ نَجِدْ عَدَدَ الرَّمَلِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَنْصُوصًا، وَلَكِنَّهُ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. هَذَا لَفْظُهُ فَإِنْ أَرَادَ أَنَّ الرَّمَلَ
পৃষ্ঠা - ৪০০৩

রিওয়ড়ায়াত্গুলিয়ুক তিনি পরবর্তী তাওয়াফের ক্ষেত্রে প্রা£য়াগ করেছেন ৷ কিন্তু যেহেতু সাফা-
মারওয়াহ্ই৷ তিনি একবার মাত্র সাঈ করেছিলেন, তাই ইবন হাযম (র) দাবী করেছেন যে সাফা-
মারওয়ায় সাঈ কালে তিনি (সা) আগাংগাড়া আরোহী ছিলেন ৷ এবং এ দাবীর সাথে সমন্বয়
সাধনের জন্য জাবির (রা)প্রুএর হাদীসের উপত্যকায় তীর পদযুগল স্থির হতে লাগলে তিনি
রমল করলেন”-এর উক্তির ব্যা খ্যা দিয়েছেন এ ভাবে যে, আরোহী হওয়া অবস্থায়ও এ বিবরণ
প্রযোজ্য হতে পারে ৷ কেননা, তার বাহন উট নিম্নভুমিতে স্থির হলে উটের সাথে তীর গোটা
দেহ এবং সে সুত্রে তার পদযুগল স্থির হওয়া সাব্যস্ত হতে পারবে ৷ ইবন হাঘৃম আরো বলেছেন
যে, রমল করার ব্যাপারটিও অনুরুপ, অর্থাৎ আরোহীকে নিয়ে বাহনের দােলার তালে লো ৷
আমার মতে এ ব্যাখ্যা খুবই কষ্টকল্পিত ৷ আল্পাহই সমাধিক অবগত ৷

রমল প্ৰসংগে বিশদ আলোচনা

আবু দাউদ (র) বলেন, আবু সালড়ামা মুসা (র) আবুৎ তৃফায়ল (বা) হতে, তিনি বলেন,
আমি ইবন আব্বাস (রা)-কে বললাম, আপনার কওমের লোকেরা বলে থাকে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) বায়তৃল্লাহ তাওয়াফকালে রমল করেছেন এবং এটি তার সুন্নাতও ৷ তিনি বললেন, তীরা
সত্য ও মিথ্যা বলেছে ৷ আমি বললাম, “তারা সঠিক ও অধিক বলেছে আপনার এ কথার অর্থ
কি? তিনি বললেন, সঠিক বলেছে রাসুলুল্লাহ (সা) রমল করেছেন; আর অধিক বলেছে-
যেহেতু তা’ সুন্নত নয় ৷ (মুল ব্যাপার ছিল এই যে) হুদাইৰিয়ার সময় কুরায়শী (কাফির) রা
বলেছিল, মুহাম্মদ ও তার সাথীদের নাগাফ (নাকের কীটের) রোগে মরতে দাও ৷ ’ পরে যখন
এ মর্মে সন্ধি হল যে, পরবর্তী বছর মুসলমানগণ হজ্জ (উমরা) করতে আসবেন এবং তারা
মক্কায় তিন দিন অবস্থান করবেন এবং এ সন্ধিবলে রাসুলুল্লাহ (সা) আগমন করলেন ঘুশরিকরা
তখন কুআয়কিআন’ প্রান্তে অবস্থান করছিল ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) তার সাথীদের বললেন, প্ট্টণ্গ্রষ্
আে ভোন্নু স্লো ধ্:;,প্রুা “বায়তৃল্লাহ-এ তিন চক্করে রমল কর; এটি সুন্নত নয়, লোকদের
রাসুলুল্পাহ (সা)-এর নিকট হতে হটিয়ে দেয়া হচ্ছিল না, আর তাদের সরিয়েও দেয়া হচ্ছিল
না, তাই তিনি একটি উটের উপরে চড়ে তাওয়াফ করলেন যাতে তারা তীর কথা শুনতে পায়
এবং তার অবস্থান প্রত্যক্ষ করতে পারে, আবার তাদের হাত তীকে নাপালে না পায় ৷ আবু
দাউদ (র) এ ভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷

মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবু কামিল (র)ইবন আব্বাস (বা) হতে, এতে
বায়তুল্পাহ-এ তাওয়াফের আলোচনা পুবানুরুপ ৷ পরবর্তী অংশে রড়াবী বলেন, আমি ইবন আব্বাস
(রা)-কে বললাম, সাফা-মারওয়ায় আরোহী হয়ে তাওয়াফ করার বিষয় আমাকে অবহিত করুন,
তা কি সুন্নত ? আপনার কওমের ণ্লাকের৷ তো বলে থাকে যে, তা সুন্নত ৷ তিনি বললেন, তারা
সঠিক বলেছে, আবার অঠিকও বলেছে ৷ আমি বললাম, সঠিক বলেছে, আবার অঠিকও বলেছে’-
এর অর্থ কি? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চারপাশে অনেক লোকের সমাগম হয়ে গেল ৷
তারা বলতে লাগল এই যে মুহাম্মদ! এই যে মুহাম্মদ! এমনকি পর্দানশীন নারীকুলও ঘর ছেড়ে
বেরিয়ে পড়লেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সামনে থেকে লোকদের হটিয়ে দিতেন না ৷ তইি,



১ এ্যাগ্ উট-ছাগলের নাকে এক প্রকার কীট বা কৃষি; নাকের শুকানো ময়লা ৷


فِي الطَّوْفَاتِ الثَّلَاثِ الْأُوَلِ - عَلَى مَا ذَكَرَ - مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، فَلَيْسَ بِصَحِيحٍ بَلْ لَمْ يَقُلْهُ أَحَدٌ. وَإِنْ أَرَادَ أَنَّ الرَّمَلَ فِي الثَّلَاثِ الْأُوَلِ فِي الْجُمْلَةِ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، فَلَا يُجْدِي لَهُ شَيْئًا وَلَا يُحَصِّلُ لَهُ مَقْصُودًا، فَإِنَّهُمْ كَمَا اتَّفَقُوا عَلَى الرَّمَلِ فِي الثَّلَاثِ الْأُوَلِ فِي بَعْضِهَا عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ، كَذَلِكَ اتَّفَقُوا عَلَى اسْتِحْبَابِهِ فِي الْأَرْبَعِ الْأُخَرِ أَيْضًا، فَتَخْصِيصُ ابْنِ حَزْمٍ الثَّلَاثَ الْأُوَلَ بِاسْتِحْبَابِ الرَّمَلِ فِيهَا، مُخَالِفٌ لِمَا ذَكَرَهُ الْعُلَمَاءُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُ ابْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ رَاكِبًا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. فَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْعَى بَطْنَ الْمَسِيلِ» أَخْرَجَاهُ. وَلِلتِّرْمِذِيِّ عَنْهُ: «إِنْ أَسْعَى فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْعَى، وَإِنْ مَشَيْتُ فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي. وَقَالَ جَابِرٌ: فَلَمَّا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي الْوَادِي رَمَلَ، حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى.» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَقَالَتْ حَبِيبَةُ بِنْتُ أَبِي تِجْرَاةَ: يَسْعَى، يَدُورُ بِهِ إِزَارُهُ مِنْ شِدَّةِ السَّعْيِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ جَابِرٍ كَمَا تَقَدَّمَ أَنَّهُ رَقِيَ عَلَى الصَّفَا حَتَّى رَأَى الْبَيْتَ. وَكَذَلِكَ عَلَى الْمَرْوَةِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَاخَ بَعِيرَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، يَعْنِي حَتَّى طَافَ، ثُمَّ لَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُ رَكِبَهُ حَالَ مَا خَرَجَ إِلَى الصَّفَا. وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَقْتَضِي أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَاشِيًا. وَلَكِنْ قَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا مُحَمَّدٌ - يَعْنِي ابْنَ بَكْرٍ - أَنَا ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৪০০৪


তার কাছে সােরুক্য অধিক সমাগম হয়ে গেলে তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করলেন ৷ ইবন
আব্বাস (বা) আরো বললেন, তবে পায়ে ইটি৷ ও সাঈ করা উত্তম ৷ এ হচ্ছে মুসলিম শরীফের
ভাষ্য এবং এর দাবী হল যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যবর্তী কোন সময় তিনি সওয়ারীতে
আরোহণ করেছিলেন এবং এভাবে সব হাদীসের মাঝে সমন্বয় সাধিত হতে পারে ৷ আল্লাহই
সমাধিক অবগত ৷

তবে সহীহ মুসলিমের বিওয়ায়াত যাতে তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন রাফি (ব)
আবুৎ তুফায়ল (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা) কে বললাম, আমার যতদুর
মনে হয় রাসুলুল্লাহ (না)-কে (সাফা মারওয়ায়) আমি দেখেছি ৷ তিনি বললেন, তবে আমাকে
তীর বিবরণ দাও তো দেখি ! আমি বাংলার, তাকে আমি দেখেছি মারওয়া-র কাছে একটি
উটের পিঠে, তখন তার ওখানে লোকের তিড় হয়ে গিয়েছিল ৷ তখন ইবন আব্বাস (রা)
বললেন, (হী) ইনি-ই রাসুলুল্লাহ (না); তার নিকট হতে লোকদের হটে যেতে বাধ্য করা হত
না ৷ (মন্তব্য) এ বিওয়ায়াত একাকী মুসলিম (র)-এর এবং এতে সাফ৷ মারওয়ায় রাসুলুল্লাহ
(সা) এর আরোহী হয়ে সাঈ করার বিশেষ কোন প্রমাণ নেই ৷ কারণ, ঘটনাঢিকে বিদায় হজ্জ
বা অন্য উপলক্ষের সাথে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত করা হয়নি ৷ আর বিদায় হজে হওয়ার কথা ধরে
নিলেও এরুপ সম্ভাবনা বিদ্যমান যে, নবী করীম (সা) তার সাঈ ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি তথা
মারওয়ায় উপবেশন, সেখানে খুতব৷ প্রদান, মারা হাদী-র পশু নিয়ে আসে নি তাদের হজে
(এর ইহরাম আপাততঃ) ণ্ভ গ করে উমরায় পরিণত করার আদেশ দান এবং সেখানে মারা
হাদী আনয়নকারী নয় তাদের হালাল হয়ে যাওয়া যেভাবে জাবির (রা) এর হাদীসে বিবৃত
হয়েছে এ সব কিহ্ব পরে তার উটনী নিয়ে আসা হলে তিনি তাতে আরোহণ করলেন এবং
আবতাহ’ এ তার অবস্থান ক্ষেত্রের দিকে চলে গেলেন ৷ আলোচনা পরে আসছে ৷ এ সময়ই
আবুৎ তুকারল আনির ইবন ওয়াছিণা : আল বিকৰী (রা) তাকে দেবে থাকবেন ৷ এ আমির
(রা) শিশু সাহাৰীদের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকেন ৷

গ্রস্থুকারের মন্তব্য : ইরাকী ফকীহ্দের একদল-যেমন আবু হানীফা (র) ও তীর সহচরবৃন্দ
এবং ছাওরী (র) এ অভিমত পোষণ করেছেন যে, কিরান হজ্জ আদায়কাবী দুটি তাওরাক এবং
দুটি সাঈ (অর্থাৎ হজ্জ ও উমরায় জন্য পৃথক পৃথক) পালন করবে ৷ এবং এ অভিমত আলী,
ইবন মাসউদ (রা) , মুজাহিদ ও শাবী (র) প্রমুখ হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ র্তার৷ জাবির (না)-এর
দীর্ঘতম হাদীস দিয়েও প্রমাণ পেশ করতে পারেন ৷ সে হাদীসে সাফা-মারওয়ায় হেটে হেটে
সাঈ করার কথা আর এ হাদীসের ভাষ্য নবী করীম (না) ঐ দুই স্থানের মাঝে সওয়াবীতে
আরোহী হয়ে সাঈ করেছেন এ দৃই হাদীসের সমন্বিত ভাষ্য নির্দেশনা প্রতীয়মান করে যে,
তাওয়াক (ও সাঈ) দৃৰার করে হয়েছিল ৷ একবার হেটে হেটে এবং একবার সওয়ারীতে
আরোহী হয়ে ৷

অনুরুপ, সাঈদ ইবন মানসুর (র) হযরত আলী (রা)-র বরাতে বিওয়ায়াত করেছেন যে,
তিনি ৷ণ্ষ্ওকাধারে হজ্জ ও উমরায় ইহ্রাম করেছিলেন ৷ মক্কা শরীফে উপনীত হয়ে তিনি তার
উমরার জন্য বায়তুল্পাহ তাওয়াফ করলেন এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করলেন ৷ তারপর
পুনরায়ণ্-আরস্তু করে তার হজের জন্য বায়তুল্লাহ তাওরাফ ও সাফা-মাৰ্ওয়ায় সাঈ করলেন ৷


جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «طَافَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيَرَاهُ النَّاسُ، وَلِيُشْرِفَ وَلِيَسْأَلُوهُ ; فَإِنَّ النَّاسَ غَشَوْهُ، وَلَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا أَصْحَابُهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلَّا طَوَافًا وَاحِدًا.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ خَشْرَمٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ. وَلَيْسَ فِي بَعْضِهَا: وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «طَافَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ يَحْيَى، وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ إِسْحَاقَ، كِلَاهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ. فَهَذَا مَحْفُوظٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَهُوَ مُشْكِلٌ جِدًّا ; لِأَنَّ بَقِيَّةَ الرِّوَايَاتِ عَنْ جَابِرٍ وَغَيْرِهِ تَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ مَاشِيًا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَدْ تَكُونُ رِوَايَةُ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ بِهَذِهِ الزِّيَادَةِ -
পৃষ্ঠা - ৪০০৫
وَهِيَ قَوْلُهُ: وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ - مُقْحَمَةً أَوْ مُدْرَجَةً مِمَّنْ بَعْدَ الصَّحَابِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَوْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ بَعْضَ الطَّوْفَاتِ عَلَى قَدَمَيْهِ، وَشُوهِدَ مِنْهُ مَا ذُكِرَ، فَلَمَّا ازْدَحَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَكَثُرُوا رَكِبَ، كَمَا يَدُلُّ عَلَيْهِ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ الْآتِي قَرِيبًا. وَقَدْ سَلَّمَ ابْنُ حَزْمٍ أَنَّ طَوَافَهُ الْأَوَّلَ بِالْبَيْتِ كَانَ مَاشِيًا، وَحَمَلَ رُكُوبَهُ فِي الطَّوَافِ عَلَى مَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَادَّعَى أَنَّهُ كَانَ رَاكِبًا فِي السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، قَالَ: لِأَنَّهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَهُمَا إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً. ثُمَّ تَأَوَّلَ قَوْلَ جَابِرٍ: حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَّمَاهُ فِي الْوَادِي رَمَلَ. بِأَنَّهُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ رَاكِبًا ; فَإِنَّهُ إِذَا انْصَبَّ بِعِيرُهُ فَقَدِ انْصَبَّ كُلُّهُ وَانْصَبَّتْ قَدَمَاهُ مَعَ سَائِرِ جَسَدِهِ. قَالَ: وَكَذَلِكَ ذِكْرُ الرَّمَلِ يَعْنِي بِهِ رَمَلَ الدَّابَّةِ بِرَاكِبِهَا. وَهَذَا التَّأْوِيلُ بَعِيدٌ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنْبَأَنَا أَبُو عَاصِمٍ الْغَنَوِيُّ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: «يَزْعُمُ قَوْمُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَمَلَ بِالْبَيْتِ، وَأَنَّ ذَلِكَ سُنَّةٌ. قَالَ: صَدَقُوا وَكَذَبُوا. فَقُلْتُ مَا صَدَقُوا وَمَا كَذَبُوا؟! قَالَ: صَدَقُوا قَدْ رَمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَذَبُوا ; لَيْسَ بِسُنَّةٍ، إِنَّ قُرَيْشًا قَالَتْ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ دَعُوا مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ حَتَّى يَمُوتُوا مَوْتَ النَّغَفِ. فَلَمَّا صَالَحُوهُ عَلَى أَنْ يَجِيئُوا مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فَيُقِيمُوا بِمَكَّةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُشْرِكُونَ مِنْ قِبَلِ قُعَيْقِعَانَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪০০৬


প্-ওারপরন্ নাহর দিবস ন্(শ্প্দশতারিখ)ন্ পর্যর্ন্ত ইহরাম অবস্থায় অবস্থান করলেন (এ হচ্ছে ইবন
ৰুমানসুরের ভার্য্য) ৷ আর ^আর্বুৰুরর আলু হারণ্ডভী (র) তার “মানাসিক’ অধ্যায়ে আলী (রা) হতে
রিওগ্নায়াদ্ভ করেছেন যে, তিনি হজ্জ ওন্ৰু ওমরাপ্“এবর্চত্রে করেছেন এবং হল দৃ’টির জন্য পৃথক পৃথক
:-তাওয়াফ্ ও সাঈ ? পালন ন্ররেণ্ৰুন্ বলেছেন, “রাসুলুল্লাহ” (না)-হক এভাবেই করতে হন্দখেছি ৷ ”
অনুরুপ, বায়হাকী, দারা কুতনী ও নাসাঈ (র)-ও “আলী (রা)-এর বৈশিষ্ট্যসমুহ-এরবিবরণে
তান্রি ওয়য়ােত করেছেন ৷র ৰু য়হাকী (র) তার সুনাহন বলেছেন, ফর্কীহ আবু বকর ইবনুল হারিছ
ন্(র);গুন্আবু নাসৃররু (র) হতে, তিনি বলেন, আমি আলী ণ্ (রা)- র সাথে শ্সাক্ষাত বস্মলাম, আমি
হাজ্বরইহরাম ন্ঘেহধ্ছিলামণ্ন্রুআরণ্তিনিহজ্জৰুও উমরা: উভয়ের ইহরাম বেহধজ্জিান ৷ আমি বললায,
আপনি যেমন করেছেন আমার করার হতমন কো ন উপায় :আহছ কি ? তিনি বললেন, তা তুমি
যদি উমর৷ দিয়ে শুরু করতে ৷ আমি বললাম, তবে আমি (কখনো) এমন করতে চইি, তা
হলে কিরুহপ করব শ্প্ তিনি “পানির একটি (ছোট) পাত্র নিয়ে তা হতামার গাহয় ঢেলে হদহব ৷
তারপর দুটোর জন্য একত্রে ইহরাম বাধ্ৰুহব, তা ৷রপর ভিন্ন ভিন্নতা ৷বে তাওরাক ও সাঈ করবে

বংনাহ্র দিবসের আগে তুমি হ লাল হয়ে না ৷” মনসুর (র) বলেন, আমি মুজাহিদ (র) এর
কাছে এ বিষয়টি আলোচনা করলে তিনি বললেন, “আমরা হত৷ একটি তাওয়াফ নিয়েই ফিরে
হযতাম ৷ তবে এখন আর তা করব না ৷” হাফিয বায়হার্কী (র) আরো বলেছেন যে, সুফিয়ান
ইবন উয়ারনা; সুফিরান ছাওরী ও শুবা (র) ও এ হাদীস মনসুর (র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তবে তারা: সাঈ ,প্ৰরঙ্গ উল্লেখ করেন নি ৷ তিনি আরো বলেছেন, এ আবু নাসৃর অজ্ঞাত পরিচয়
ব্যক্তি ৷ আর ব্লিওয়ারাত বিশুদ্ধ সাব ঙ্কুহ হলে: এতে ন্,দৃই তাওয়াফ বহল তাওয়াফে কুদুম ও
তাওরাফেশু যিরারাত বুঝিয়ে থা,বনবন ৷ব বারহাকী (র) আহর৷ বলেন, এ হাদীস আরো একাধিক
সনহদ আ ৷লী ; ;(রা) হহত মারকুৰু ও মাওকৃফ রুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে সে সব সনদের হকন্দ্র
বিন্দুতে রহয়ছেহাসান ইবন ৰুউমারা, হাফ্স ইবন আবু দাৰুউদ, ঈসা, ইবন আবদুল্লাহ এবং হাম্মাদ
ইবন আবদুর রহমান প্রমুখ ৷ এদের প্রত্যেকেই দুর্বলতার জন্যে অভিযুক্ত সুতরাং এ (বিতর্কিত)
বিষয় তাদের রিওয়ায়াত প্রম্াংারুহপ গ্রহণহযাগ্য নয় ৷ আল্পা হই সমাধিক অবগত ৷ ,

গ্রস্থুকাহরর জ্যে : নহীহ্;৷ হ ৷দীসসমুহহ উদ্ধৃত বিষয়-বস্তু এর পরিপন্থি ৷ সহীহ্ বুখারীতে উদ্ধৃত
ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীহস আমরা উল্লেখ করে এসেছি হয়, তিনি প্রথমে উমরা-র
ইহরাম করে তার ,লাহথ হজ্জ অনৃপ্ররিৰুষ্ট করে কির৷ ণ পালনক৷ ৷রী হয়েছিলেন, হজ্জ ও উমরার জন্য
লম্মিলিভরুপে রুএকটি তাওয়াক করে বলেছিলেন,; “রাসৃলুল্লাহ (না) এ , ভাবেই করেছেন ৷”
ড়িরযিযী, ইবন মজোব্রওণ্ বয়েহার্কী (র) দারাওয়ারদী (র)-এর বরাতে উবায়দুল্লাহ (-নাফি-) ইবন
উমর (রা)ণ্দসনহদৰুরিওরায়াত করেছেন ৷ তিনি বহল্ন,১রাসুলুল্পাহ (সা) বহলহছা, যার৷ হজ্জ ও
উমরাএকত্রে তারা করবে দুটির জন্য “একটি তাওয়াফ করবে এবং দুটির জন্য একটি সাঈ
করবে ৷ ” তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন, এটি হাসান গরীব (একক সুত্রীয় উত্তম) হাদীস এবং
এর সনদ মুসলিহলর শ ৷র্তানুরুপ ৷

চউম্মুল মু মিনীন অইিশ৷ (বা) এর ঘটনাও অনুরুপ ৷ তিনি শুধু উমরা-র জন্য ইহ্রামকায়ী
দলভুক্ত ছিলেন ৷ যেহেতু তার সাথে কুরবানীর পশু ছিল না ৷ পরে র্তার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে
হপহলন্ রাসুলুরড়াহ (না) তাকে গোসল করায়পরে তার উমরায় সাথে হহজর ইহরাম ৰীধার


لِأَصْحَابِهِ: " ارْمُلُوا بِالْبَيْتِ ثَلَاثًا ". وَلَيْسَ بِسُنَّةٍ. قُلْتُ: يَزْعُمُ قَوْمُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ عَلَى بَعِيرٍ وَأَنَّ ذَلِكَ سُنَّةٌ. قَالَ: صَدَقُوا وَكَذَبُوا. قُلْتُ: مَا صَدَقُوا وَمَا كَذَبُوا؟! قَالَ: صَدَقُوا ; قَدْ طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ عَلَى بَعِيرٍ، وَكَذَبُوا ; لَيْسَتْ بِسُنَّةٍ، كَانَ النَّاسُ لَا يُدْفَعُونَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يُصْرَفُونَ عَنْهُ، فَطَافَ عَلَى بَعِيرٍ لِيَسْمَعُوا كَلَامَهُ، وَلِيَرَوْا مَكَانَهُ وَلَا تَنَالَهُ أَيْدِيهِمْ» هَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي كَامِلٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فَذَكَرَ فَضْلَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: أَخْبِرْنِي عَنِ الطَّوَافِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَاكِبًا، أَسُنَّةٌ هُوَ؟ فَإِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ سُنَّةٌ. قَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا. قُلْتُ: وَمَا قَوْلُكَ: صَدَقُوا وَكَذَبُوا؟! قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَثُرَ عَلَيْهِ النَّاسُ يَقُولُونَ: هَذَا مُحَمَّدٌ، هَذَا مُحَمَّدٌ. حَتَّى خَرَجَ الْعَوَاتِقُ مِنَ الْبُيُوتِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُضْرَبُ النَّاسُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلَمَّا كَثُرَ عَلَيْهِ النَّاسُ رَكِبَ» . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَالْمَشْيُ وَالسَّعْيُ أَفْضَلُ. هَذَا لَفْظُ مُسْلِمٍ، وَهُوَ يَقْتَضِي أَنَّهُ إِنَّمَا رَكِبَ فِي أَثْنَاءِ الْحَالِ، وَبِهِ يَحْصُلُ الْجَمْعُ بَيْنَ الْأَحَادِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " حَيْثُ قَالَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪০০৭


নির্দেশ দিলেন ৷ ফলে ন্ণ্তিনিওণ্:কিরায় পালনকাবিণীণ্ণ্হব্লুয়খ্ গেলেন ৷ হজ্জৰুসমাপ্তিতেৰুসিনাণ্ৰুৰুহব্লুত
তাদের প্রত্যাবর্তন কালে তিনি হজের পরে র্তীকে উমর৷ করাবার বায়ন৷ ধরলে নবী কবীম (সা) ণ্
তার মহুনারঞ্জব্লুনর জন্য তাকে উমর৷ করিয়ে আনব্লুলনৰুাৰু যেমনটিৰুৰুহ্াদীহুসন্পবিকারভাব্লুবৃন্বর্ণিত
রয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু আবদুল্পাহ৷ শা ফিঈ (র) বলেন, মুসলিম (র) , আকা’;ৰুৰু(ন)ন্ব্লুসুব্লুত্রৰু
এ মব্লুম বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আইশ৷ ৷(না) ক্লে রললেন

ঞা ড্রুাণ্ড্র

“বায়তুনাহহুএ ব্লুতামা ন (একবা হুরর) তাওযাফ এবং সাফা ৷বওযায ণ্৩ামাব (একবাব্লুবব)
সাঈ ব্লুতামায় হজ্জ ও উমরা দুটির জন্যে যথেষ্ট ৷ এ হাদীস বাহ্যত ঘুরস লে (বিয়ুক্ত সনব্লুদব)
হলেও প্রকৃত বিচ৷ ৷হুর এটি মুসন৷ দ (স যুক্ত সনদ) ৷ এ দ৷ ৷বীর প্রমাণ হচ্ছে শাফিঈ (ব) এন অন
একটি বিওয়ায়া ত ৷ আর তা হলো ইবন উয়ায়ন৷ (র) আইশ্ ৷ ৷ (বা) হতে তিনি নবী কবীম (স৷ )
থেকে শা ৷ফিঈ (র) বলেন, সুফিয়া ন (র) কখব্লুন৷ বলেছেন আতা’ অইিশ্া) ৷৷(না) হতে আবার
কখনো বলেছেন আত৷ (র) হতে এ মর্মে যে, নবী করীম (সা) আইশ৷ (রা)- (ক এনপ্৷ বলেছেন ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন ইবন আবু উমর (ন) এ হাদীস সৃফিযান ইবন উযাযন ৷(র)
সুত্রে সৎযুক্ত সনব্লুদ বিওযায তৃ করেছেন ৷ মুসলিম (ন) এ হাদীস বিওযায ৷৩ করেছেন উহাযব
( র)-এর বরা তে (ইবন আব্ব ৷সতার গিতাসুত্রে আইশ্৷ ৷৷ (যা) থেকে অনুরুপ বচ্নাি করেছেন ন্
র্মুসলিয় (রা) এর অন্য একটি রিওযাযাত ইবন জুরায়জ (ন) জ৷ ৷বির (বা) বলেন, র ৷সুলুল্ল৷ হ (স৷ )
আইশ৷ (রা)-র কাছে গিয়ে র্ত ৷ব্লুক কান্নারত ব্লুদখব্লুত পেয়ে বললেন, ব্লুতাম৷ ৷র কি হয়েছে, কাদহু
কেন? তিনি বললেন, র্কা ৷দছি এজন্য যে, ব্লুলাকের৷ হালাল হয়ে গেল, অ৷ ৷মি৷ হলে লাল হব্লুত পারলাম
না; তারা ৰায়তুল্লা হ্ তাওয়াফ্ করা, কিন্তু আ ৷মি ত ওযাফ করব্লুত পারলাম না; ওদিব্লুক হজ্জ (এর
সময) তো এসেই পডল ৷ নবী ৰুম্বীম্ (সা) বললেন ’

“এটি এমন ব্যপার য৷ আল্লাহ পারু আদম সন্তুাব্লুনর নাবীকুলেব ড্ডা ৷ নিধাবিত কব্লুর
দিয়েছেন, তা ৷,ই তুমি গোসল করে নাও এবৎ হব্লুজর ইহরাম ব্লুবব্লুধ ব্লুকল ৷ আইশ৷ (না)ৰু

বলেন, অ৷ ৷মি ত ইি করলাম ৷ আমি (ঋভু হতে) পবিত্র হলে তিনি বললেন

“তুমি ৰ্র্দুয়ভুল্লাহ্ তাওয়াক কর, সাফা মারওয়ায় সাঈ কর, তারপর তুমি তোমার হজ্জ ও
উমর৷ (উভয়টি) হতে হালাল হয়ে যাবে ৷” তখন আইশা (রা) বললেন, ::ইয়া৷ র ৷সুলুল্পাহও (না)
আমার উমরার বিষয় আমি মনের মাঝে অতপ্তিৱ ;ভাব অনুভব করছি, ফ্লোহতৃ হলোঃ (জন্য
তাওয়াফ কঃা৷র) আগে আমি (উমরার জন্য) তাওয়াফ করতে পাবিনি ; তিনি বললেন; হে:

আবদুর রহমান ! র্তাকে নিয়ে গিয়ে তান ঈম থেকে উমর৷ কবিব্লুয় আন ৷

মুসলিম (র) ইবন জুরায়জ সুত্রের আরো একটি হাদীস উদ্ধৃত কয়রছেন-জ জানির (না)
বলেন, “নবী করীম (না) এবং তার সাহাৰীগণ সাফা-মারওয়ায় একটির অধিক তাওয়াফ
(সাঈ) করেন নি ৷ আর আবু হানীফ৷ (র) এর অনুসারীদের সব্লুত ব্লুতা নবী করীম (সা) এবং :
র্তান সাহাবীপব্লুণর মাঝে যারা কুরবানীর পশু নিয়ে এসেছিলেন তারা একত্রে হজ্জ ও উময়৷ করে


«قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: أُرَانِي قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَصِفْهُ لِي. قُلْتُ: رَأَيْتُهُ عِنْدَ الْمَرْوَةِ عَلَى نَاقَةٍ وَقَدْ كَثُرَ النَّاسُ عَلَيْهِ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ذَاكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يُدَعُّونَ عَنْهُ وَلَا يُكْرَهُونَ» . فَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ مُسْلِمٌ، وَلَيْسَ فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَاكِبًا، إِذْ لَمْ يُقَيَّدْ ذَلِكَ بِحَجَّةِ الْوَدَاعِ وَلَا غَيْرِهَا، وَبِتَقْدِيرِ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَمِنَ الْجَائِزِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنَ السَّعْيِ وَجُلُوسِهِ عَلَى الْمَرْوَةِ وَخُطْبَتِهِ النَّاسَ وَأَمْرِهِ إِيَّاهُمْ مَنْ لَمْ يَسُقِ الْهَدْيَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْسَخَ الْحَجَّ إِلَى الْعُمْرَةِ، فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلَّا مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ. ثُمَّ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ أُتِيَ بِنَاقَتِهِ فَرَكِبَهَا، وَسَارَ إِلَى مَنْزِلِهِ بِالْأَبْطَحِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ قَرِيبًا، وَحِينَئِذٍ رَآهُ أَبُو الطُّفَيْلِ عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ الْبِكْرِيُّ وَهُوَ مَعْدُودٌ فِي صِغَارِ الصَّحَابَةِ. لَكِنْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَا: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مَعْرُوفٍ، يَعْنِي ابْنَ خَرَّبُوذَ الْمَكِّيَّ، حَدَّثَنَا أَبُو الطُّفَيْلِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ، ثُمَّ يُقَبِّلُهُ.» زَادَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ: «ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَطَافَ سَبْعًا عَلَى رَاحِلَتِهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، عَنْ مَعْرُوفِ بْنِ خَرَّبُوذَ
পৃষ্ঠা - ৪০০৮


কিরান পালন করেছিলেন ৷ যেমনটি পুঝোল্পিখিত হাদীসসমুহ থেকে প্রমাণিত ৷ আল্লাহই
সমাধিক অবগত ৷

শাফিঈ (র) বলেন, ইব্রাহীম ইব ন মুহাম্মদ (র)আলী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
কিরান হজ্জ আদায়কারী সম্পর্কে বলেন, দুটি করে তাওয়াফ ও সাঈ করবে ৷” শাফিঈ (র)
বলেছেন, কেউ কেউ “দুই তাওয়াফ এবং দুই নাই এবং এ বিষয় আলী (রা)-এর নামে বর্ণিত
একটি দুর্বল রিওয়ায়াত প্ৰমাণস্বরাপ উপস্থাপন করেছেন ৷ জাফর (র) বলেছেন, আলী (রা) হতে
আমাদের মাযহাব বর্ণিত হয়েছে ৷ আমরা তা নবী কয়ীম (যা) হতে রিওয়ায়াত করেছি ৷ নিস্তু
আবু দাউদ (র) বলেছেন, হারুন ইবন আবদৃল্লাহ্ ও মুহাম্মদ ইবন রাফি (র), আবৃত তৃফায়ল
(বা) সুত্রে বলেন, তিনি বলেছেন, আমি নবী কায়ীম (না)-কে তার বাহ্নে করে বায়তুল্লাহ্
তাওয়াফ করতে দেখেছি; তিনি একটি ৰীক৷ লাঠি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে সে লাঠিটি
চুম্বন করেছিলেন ৷ এ সনদের অন্যতম রাবী মুহাম্মদ ইবন রাফি অতিরিক্ত এটুকু বলেছেন ৷
এরপর সাফা-মারওয়া অভিমুখে বের হয়ে গিয়ে তার বাহনে করে তিনি সাতবার সাঈ করলেন ৷
মুসলিম (র) তার গ্রন্থে এ হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবু দাউদ আত তায়ালিসী (র) সুত্রে উল্লেখিত সনদে মুহাম্মদ ইবন রাফি (র)-এর
পরিবেশিত অতিরিক্ত অংশ্ট্রিকু ব্যতিরেকে ৷ হাফিজ বায়হাকী (র)-ও আবু সাঈদ ইবন আবু
আমর (র)ৰুআবুৎ তুফায়ল (রা) সুত্রে এ হাদীস অতিরিক্ত অংশ ব্যতিরেকে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, আবু বকর ইবনুল হাসান ও আবু যাকারিরা৷ ইবন আবু ইসহাক
(র)(আয়যান) কুদামা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আম্মার (রা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
আমি রাসুলুল্পাহ (না)-কে একটি উটেরন্ পিঠে সাফা-মারওয়ার সাঈ করতে দেখেছি; (কাউকে)
প্রহার করা সেই, তাড়ানাে নেই, হটো হটোও নেই ৷ বায়হাকী বলেন, রাবীদ্বয় এভাবেই
বলেছেন ৷ আয়মান (র) ব্যতীত একদল বর্ণনাকরীি এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, তারা
বলেছেন, দশ তারিখে জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেছিলেন (উটের পিঠে) বারহাকী (র)
বলেন, উভয় বর্ণনা বিশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান ৷

গ্রস্থুকারের মন্তব্য : ইমাম আহমদ (র) তীর মুসনাদে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, ওয়াকী
প্রমুখ একদল রাৰী আবু ইমরান মার্কী আয়মান ইবন নাযিল হাবাসী (র) থেকে যিনি বুখারীর
রাবী তালিকাভুক্ত মহান ও নির্ভরযোগ্য রাবী তিনি কুদাম৷ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আম্মার আল
কিলাবী (রা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি (জিলহাজ্জর) দশ তারিখে রাসুলুল্পাহ (সা)-
কে একটি লাল-সাদা উটনীর পিঠে উপত্যকার নিন্নভুমি হতে জামরায় কংকর নিক্ষেপ করতে
দেখেছেন কাউকে প্রহার করা সেই, তাড়ানাে নেই এবং হটো হটোও ণ্নই ৷ তিরমিষী (র) ও
আহম্মদ ইবন সামী (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

নাসাঈ (র) এ হাদীস আহরণ করেছেন ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ (র) হতে এক ইবন
মাজা (র) আবু বকর ইবন শায়ৰা (র) হতে সব সনদ আয়মান ইবন নাবিল সুত্রে কুদামা
(রা) থেকে যেমনটি ইমাম আহম্মদ (র) এর রিওয়ায়াতে রয়েছে ৷ তিরমিষী (র) তা হাসান
সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷


بِهِ، بِدُونِ الزِّيَادَةِ الَّتِي ذَكَرَهَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ مَعْرُوفٍ بِدُونِهَا. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُلَيْكٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ بِدُونِهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَسَنِ وَأَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَا: ثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دُحَيْمٍ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، قَالَا: أَنْبَأَنَا أَيْمَنُ بْنُ نَابِلٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ عَلَى بَعِيرٍ ; لَا ضَرْبٌ، وَلَا طَرْدٌ، وَلَا إِلَيْكَ إِلَيْكَ» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: كَذَا قَالَا، وَقَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ أَيْمَنَ فَقَالُوا: يَرْمِي الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ. قَالَ: وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَا صَحِيحَيْنِ. قُلْتُ: رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ " عَنْ وَكِيعٍ، وَقُرَّانَ بْنِ تَمَّامٍ، وَأَبِي قُرَّةَ مُوسَى بْنِ طَارِقٍ، قَاضِي أَهْلِ الْيَمَنِ، وَأَبِي أَحْمَدَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيِّ، وَمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ الْحَبَشِيِّ أَبِي عِمْرَانَ الْمَكِّيِّ نَزِيلِ عَسْقَلَانَ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَهُوَ ثِقَةٌ جَلِيلٌ مِنْ رِجَالِ الْبُخَارِيِّ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ الْكِلَابِيِّ، «أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪০০৯
بَطْنِ الْوَادِي عَلَى نَاقَةٍ صَهْبَاءَ ; لَا ضَرْبٌ، وَلَا طَرْدٌ، وَلَا إِلَيْكَ إِلَيْكَ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنِيعٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، وَابْنِ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ وَكِيعٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ، عَنْ قُدَامَةَ كَمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ قَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ الْعِرَاقِيِّينَ ; كَأَبِي حَنِيفَةَ وَأَصْحَابِهِ وَالثَّوْرِيِّ إِلَى أَنَّ الْقَارِنَ يَطُوفُ طَوَافَيْنِ وَيَسْعَى سَعْيَيْنِ، وَهُوَ مَرْوِيٌّ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَمُجَاهِدٍ وَالشَّعْبِيِّ، وَلَهُمْ أَنْ يَحْتَجُّوا بِحَدِيثِ جَابِرٍ الطَّوِيلِ، دَلَالَةً عَلَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَاشِيًا، وَحَدِيثُهُ هَذَا أَنَّهُ سَعَى بَيْنَهُمَا رَاكِبًا عَلَى تَعْدَادِ الطَّوَافِ بَيْنَهُمَا ; مَرَّةً مَاشِيًا وَمَرَّةً رَاكِبًا. وَقَدْ رَوَى سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ فِي " سُنَنِهِ "، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ، فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ عَادَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِهِ، ثُمَّ أَقَامَ حَرَامًا إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ. هَذَا لَفْظُهُ. وَرَوَاهُ أَبُو ذَرٍّ الْهَرَوِيُّ فِي " مَنَاسِكِهِ " «عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَطَافَ لَهُمَا طَوَافَيْنِ وَسَعَى لَهُمَا سَعْيَيْنِ، وَقَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ» .
পৃষ্ঠা - ৪০১০


অনুচ্ছেদ : সাঈর সংখ্যা ও তার সমাপ্তি ক্ষেত্র প্রসৎগ

জাৰির (রা) এর হড়াদীসে রয়েছে অবশেষে যখন মারওয়ার তার <শষ চক্কর সমাপ্ত হল তখন
তিনি ইরশ্াড়াদ করলেন


আমার যে ব্যাপারটি আমি পরে বুঝতে পেয়েছি তা আগে উপলব্ধি করলে আমি কুরবানীর
পশু নিয়ে জানতাম না (মুসলিম) ৷ এ বর্ণনা তাদের বিপক্ষে প্রমাণ হয়ে যারা বলেছেন যে
সাফা মারওয়ার সাঈ হবে চৌদ্দ যায় আশা যাওয়ায় ৷ প্ৰতি বারের যাওয়া এবং আসা মিলিয়ে
এক চক্কর হিসাবে ৷ সাফিঈ মতাবলম্বী একটি প্রবীণ দল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ এ হাদীস
তাদের অভিমত খওন করে ৷ কেননা, তাদের মতানুসারে সাঈর শেষ প্রান্ত হওয়ার কথা সাফা-
মারওয়ার নয় ৷ এ কারণেই জাৰির (রা) এর হাদীস বর্ণনা ক্ষেত্রে আহমদ (ব) বলেছেন, যখন
মারওয়ার কাছে সপ্তম বার (সমাপ্ত) হল তখন নবী করীম (সা) বললেন, লোক সকল ! আমি
যা পরে বুঝেছি তা আগে অনুধাবন করলে আমি কুরবানীর পশু নিয়ে জানতাম না এবং এটিকে
উমরায় পরিণত করতাম ৷ সুতরাং যাদের সাথে কুরবানীর পশু নেই, তারা হালাল হয়ে যাবে
এবং এ (তাওয়াফ সাঈ)-কে উমরা সাব্যস্ত করবে ৷ ফলে সকল লোক ৰু হলোল হয়ে গেল ৷ আর
মুসলিম (র)-এৱ রিওয়ায়াতে সকল লোক হালাল হয়ে গেল এবং চুল হেটে নিল; তবে নবী
করীম (না) এবং যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল তারা ইহরাম অবস্থায় রয়ে গেলেন ৷

অনুচ্ছেদ : ইহরাম তংগের নির্দেশের গুরুত্ব

কুরবানীর পশু সাথে না নিয়ে আসা লোকদের প্ৰতি হজ্জ (এর ইহরাম ) বাতিল করে উমরায়
পরিণত করা সম্পর্কিত নবী করীম (না)-এর নির্দেশটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাহাবী
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তইি তাদের সকলের বিশদ ৰিবরণের জন্য উপযোগী নয় ৷ তার পুণঙ্গি
বিবরণ আল-আহকামুল কাবীর গ্রন্থে পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ্ ! এ ব্যাপারে আলিমপণের
মতপড়ার্থক্য রয়েছে ৷ ইমাম মালিক, আবু হানিফা ও শাফিঈ (র) বলেছেন ৷ বিষয়টি উপস্থিত
সাহাবীপণের জন্যে খাস ছিল ৷ হজ্জ-এর ইহরাম বাতিল করে উমরায় পরিণত করার বৈধতা
অন্যদের জন্য পরবর্তীতে রহিত করা হয়েছে ৷ এ বিষয় তাদের দলীল হল আবু যার (রা)-এর
উক্তি হজ্জ ভৎগ করে উমরায় পরিণত করার বিধান মুহাম্মদ (সা) এর সাহাবীগণ ব্যতীত অন্য
কারো জন্য প্রাযাজ্য ছিল না (মুসলিম) ৷

কিন্তু ইমাম আহম্মদ (র) এ অভিমত প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ তার বক্তব্য হল অন্তত এগার
জন সাহাবী বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন, তা হল ঐ অভিমতের বিপরীতে এতগুলি রিওয়ায়াতের
কী হবে ? তাই তিনি সাহাবী ব্যতীত অন্যান্যদের জন্যেও (হজ্জ) বাতিল করা বৈধ হওয়ার
অভিমত পোষণ করেছেন ৷ আর ইবন আব্বাস (বা) তাে কুরবানীর পশু সাথে না নিয়ে আসা
লোকদের জন্য হস্কজ্জর ইহরাম রহিত করে উমরায় পরিণত করাকে ওযাজিব সাব্যস্ত করেছেন ৷
বরং তিনি আরো অগ্রবর্তী হয়ে বলেছেন যে, যারা হড়াদী নিয়ে আসে নি তারা শবীআতের ৰিধানে
হালাল হয়ে যাবে এবং বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ (ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ) সম্পাদন করা মাত্র
এমনিতেই হালাল হয়ে যাবে ৷ মুলত তার মতে হজ্জ দুটি পন্থায় কেবল হতে পারেন্ (এক) হড়াদী


وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، وَالدَّارَقُطْنِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ فِي " خَصَائِصِ عَلِيٍّ " فَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " سُنَنِهِ ": أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ صَاعِدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زُنْبُورٍ، ثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ - أَوْ مَنْصُورٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ - عَنْ أَبِي نَصْرٍ قَالَ: لَقِيتُ عَلِيًّا وَقَدْ أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ هُوَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَقُلْتُ: هَلْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَفْعَلَ كَمَا فَعَلْتَ؟ قَالَ: ذَلِكَ لَوْ كُنْتَ بَدَأْتَ بِالْعُمْرَةِ. قُلْتُ: كَيْفَ أَفْعَلُ إِذَا أَرَدْتُ ذَلِكَ؟ قَالَ: تَأْخُذُ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ، فَتُفِيضُهَا عَلَيْكَ، ثُمَّ تُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا، ثُمَّ تَطُوفُ لَهُمَا طَوَافَيْنِ وَتَسْعَى لَهُمَا سَعْيَيْنِ، وَلَا يَحِلُّ لَكَ حَرَامٌ دُونَ يَوْمِ النَّحْرِ. قَالَ مَنْصُورٌ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِمُجَاهِدٍ، قَالَ: مَا كُنَّا نُفْتِي إِلَّا بِطَوَافٍ وَاحِدٍ، فَأَمَّا الْآنَ فَلَا نَفْعَلُ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ، فَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ السَّعْيَ. قَالَ: وَأَبُو نَصْرٍ هَذَا مَجْهُولٌ، وَإِنْ صَحَّ فَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ أَرَادَ طَوَافَ الْقُدُومِ وَطَوَافَ الزِّيَارَةِ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ بِأَسَانِيدَ أُخَرَ، عَنْ عَلِيٍّ مَرْفُوعًا وَمَوْقُوفًا، وَمَدَارُهَا عَلَى الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ، وَحَفْصِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ، وَعِيسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَمَّادِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَكُلُّهُمْ ضَعِيفٌ لَا يُحْتَجُّ بِشَيْءٍ مِمَّا رَوَوْهُ فِي ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪০১১


সংগে নিয়ে তা ৷স৷ লোকদের জন্য ক্কিৱান এবং (দুই) হাদীবিহীন হুলাকহুদর জন্য তামাত্তু ৷
াল্পাহই সমধিক অবগত ৷

এ প্ৰসং গে ইমাম বুখাবী (র) বলেন, জ৷ ৷বির (র) ও ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাহুত বলেন
যে, তারা বলেছেন, নবী করীম (সা) এবং তার সাহাবীগণ জিলহহুজ্জব চার তা ৷রিখে মক্কায়
পৌছহুলন, তার৷ হহুজ্জর ইহরাম বেহুধ ছিলেন, তার সাথে অন্য কিছু (উমরা) মিশ্রিত ছিলনা ৷
আমরা পৌছে তাওরাফ স ঈ শেষ করলে রাসুলুল্পা হ্ (সা) এর হুকুহুম আমরা সেটিকে উমরা
পরিণত করলাম ৷ তিনি আমাদের ত্রী গমহুনরও অনুমতি দিলেন ৷ একথা টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল ৷

আত্বা (র) বহুলন, জা ৷বির (বা) বললেন, ফলে আম৷ দের কেউ কেউ মিন৷ অভিমুখে যেতে
লাগহুলা, অথচ তখন তারা সলমও করছিল ৷ এ ক্ষেত্রে জা ৷বির (বা) তার হাহুতর ইংগিহুত বিষয়টি
ব্যক্ত করছিলেন ৷ এ আলোচনা নবী করীম (সা) এর কাছে পৌছহুল তিনি বললেন--



আমার কাছে ণ্ খবর পৌহুছহুছ যে, একদল লোক এমন কথা বলছে ৷ আল্লাহর কলম! আমি
আল্লাহর তহুয়তাদেরচেয়ে অধিক ভীত (মুত্তার্কী) এবং তাদের হুচহুয় অধিক পুণ্য প্রত্যাশী আর
আমি আমার ব্যাপারে পরে যা বুঝেছি তা যদি আহুগ্ বুঝতামতহুব আমি হাদী নিয়ে আসতাম
না ৷ আর যদি শ্ আমারন্ণ্ন্সাথেট্ট হাদী নান্দ্বথাকতশ্নতহুব আমিওপ্ইঅ্যাশ্যই হালালহহুয় হুয়তাম ৷ তখন
সুরড়াক৷ ইবন জুওম (রা) দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলুল্পা হ ’ এ ব্যবস্থা শুধু আমাদের জন্য নাকি
সরকাহুলর জন্য ষ্ জবাবে তিনি বললেন, বরং সর্বকালের জন্য ৷ , ,

ইমাম মুসলিম (র) বলেন, কুতায়ব৷ (র)জ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমরা ইফরাদন্ হহুজ্জ্বর ইহরাম করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে এগিয়ে চললাম আ ৷ইশা (রা)
রওরনো হলেন,: উ;মরার ণ্ইহন্নাম করে: ৷ আমরা; সাবিফ’ন্এ উপনীত হলে তার রজঃস্রাব দেখা
দিল;৷ আমরা মক্কায়: পৌছে হুগহুলকাৰুব৷ এবং সাফাশ্মারওয়া প্রদক্ষিণ ন্ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) আমাদের মাঝে যারমার;;সাহুথ হাদী ছিল না তাদের হলােল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ ন্ জাবির ন্ বহুলন, আমরা বললাম কি ধরনের হালাল হওয়া? তিনি বললেন, পুর্ণাৎগ
হালাল ৷ তখন :আমর৷ শ্রী fi§<flfi করলাম , ৷ সুগন্ধিৰু ব্যবহার করলাম“ এবং (ইহরাম কালে
নিষিদ্ধ) পােশাক৷ ৷দি পরিধান করলাম ৷ অথচ তখন আমাদের এবৎঅ আরাফ৷ দিবসের মাঝে চার
রাহুতর অবিক ব্যবধান ছিল না ৷ এ হাদীসদহুয়র স্পষ্ট ভাষ্য হল নবী করীম (সা) বিদায়
হহুজ্জ্বর, সময় জিলহজ্জ মাসের চার ত৷ ৷বিখ সকা লে মক্কায় উপনীত হয়েছিলেন এবং তা ছিল
হুরাববার সুর্য পুর্ব দিগস্তে উচু হওয়ার পরে চাশ্াত এর সময় ৷ ৫কন না, ৷বুখারী, মুসলিম সহীহ্
গ্রঢুন্থদ্বহুয় উদ্ধৃত উমার ইবনৃল থাত্তাব (রা)-এর হাদীহুলর ভাষ্য মহুত যা পরে আসবে, আরাফা
দিবস (নয় তারিখ) হ্নিব্ ওক্রার এবং এ বিষয়টি সর্ব সম্মত ৷ সুতরাং সে বছরের জিলহহুজ্জর
মাস পহেলা ছিল নিশ্চিতরুহুপ বৃহস্পতিবার (অতএব হিসাব মহুত চার ত ৷ ৷বিথ হহুর রবিবার) ৷

, সুতরাং মাহুসরঢ়ার তারিখ রবিবার নবী কয়ীম (সা) আগমন প্ বল্মার পরের ৷য়ভুল্লা হ্র তাওয়াফ
ও:সাফামারওয়ায় সাঈ:দিহুয় :সুচন৷ বললেন, যেমনটি পুর্বে বহুল এসেছি ৷ মারওয়ায় তার তাওয়াফ


قُلْتُ: وَالْمَنْقُولُ فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ خِلَافُ ذَلِكَ، فَقَدْ قَدَّمْنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «أَنَّهُ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَأَدْخَلَ عَلَيْهَا الْحَجَّ، فَصَارَ قَارِنًا، وَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَالَ: هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الدَّرَاوَرْدِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا، وَسَعَى لَهُمَا سَعْيًا وَاحِدًا» قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. قُلْتُ: إِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَهَكَذَا جَرَى لِعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّهَا كَانَتْ مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ ; لِعَدَمِ سَوْقِ الْهَدْيِ مَعَهَا، فَلَمَّا حَاضَتْ أَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَغْتَسِلَ، وَتُهِلَّ بِحَجٍّ مَعَ عُمْرَتِهَا، فَصَارَتْ قَارِنَةً، فَلَمَّا رَجَعُوا مِنْ مِنًى طَلَبَتْ أَنْ يُعْمِرَهَا مِنْ بَعْدِ الْحَجِّ، فَأَعْمَرَهَا تَطْيِيبًا لِقَلْبِهَا، كَمَا جَاءَ مُصَرَّحًا بِهِ فِي الْحَدِيثِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا مُسْلِمٌ، هُوَ ابْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَائِشَةَ: «طَوَافُكِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ يَكْفِيكِ لِحَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ ".» وَهَذَا ظَاهِرُهُ الْإِرْسَالُ، وَهُوَ مُسْنَدٌ فِي الْمَعْنَى، بِدَلِيلِ مَا قَالَ الشَّافِعِيُّ أَيْضًا: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ الشَّافِعِيُّ: وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ: عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ. وَرُبَّمَا قَالَ: عَنْ عَطَاءٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
পৃষ্ঠা - ৪০১২
لِعَائِشَةَ - فَذَكَرَهُ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: رَوَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ مَوْصُولًا. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ وُهَيْبٍ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ بِمِثْلِهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ تَبْكِي، فَقَالَ: " مَالَكِ تَبْكِينَ؟ " قَالَتْ: أَبْكِي أَنَّ النَّاسَ حَلُّوا وَلَمْ أَحِلَّ، وَطَافُوا بِالْبَيْتِ وَلَمْ أَطُفْ، وَهَذَا الْحَجُّ قَدْ حَضَرَ. قَالَ: " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَاغْتَسِلِي وَأَهِلِّي بِحَجٍّ ". قَالَتْ: فَفَعَلْتُ ذَلِكَ، فَلَمَّا طَهَرْتُ قَالَ: " طُوفِي بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ قَدْ حَلِلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمَرَتِكِ ". قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي مِنْ عُمْرَتِي أَنِّي لَمْ أَكُنْ طُفْتُ حَتَّى حَجَجْتُ. قَالَ: " اذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ".» وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَيْضًا: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ جَابِرًا قَالَ «: لَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلَّا طَوَافًا وَاحِدًا.» وَعِنْدَ أَصْحَابِ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ الَّذِينَ سَاقُوا الْهَدْيَ كَانُوا قَدْ قَرَنُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ الْأَحَادِيثُ الْمُتَقَدِّمَةُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ،