আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر حجة من ذهب إلى أنه عليه الصلاة والسلام كان قارنا وسرد الأحاديث في ذلك

ذكر حجة من ذهب إلى أنه عليه الصلاة والسلام كان قارنا وسرد الأحاديث في ذلك

পৃষ্ঠা - ৩৯১৮

রয়েছে ৷ অনুরুপ ওণদার (র)আবু ওয়াইল (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সাৰী ইবন
মাবাদ (র) বলেন, আমি খৃস্ট ধমৰিলম্বী এক ব্যক্তি ছিলাম; আমি ইসলাম গ্রহণ এবং (এক
সময়) আমি হজ্জ ও উমরার ইহরাম ৰীধলাম ৷ যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাৰীআ
আমাকে ঐ দৃকাজেব্ল জন্য তালৰিয়া উচ্চারণ করতে শুনলেন ৷ তখন তারা বললেন, এ
ণ্লাকটি তার বাড়িওয়ালার উটের চইিতেও বিভ্রান্ত ৷ তাদের দুজানর কথায় আমার মাথায় যেন
পাহাড় ভেঙ্গে পড়ল ৷ আমি উমর(রা)এর কাছে ট্রপাছলে তাকে এ বিষয় অবগত করলাম ৷
তিনি ঐ দৃ’জনের কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাদের তিরস্কার করলেন এবং আমার কাছে
এসে বললেন, “তুমি নবী করীম (না)-এর সৃন্নতের প্ৰতি হিদায়াত প্রাপ্ত হরেহ ৷

আবদা (র) বলেন, আবু ওরইিল (র) বলেছেন, আমি এবং মড়াসরাক এ হাদীস সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক সময় সাবী ইবন মাবাদ (র)-এর কাছে ষেতাম ৷

উল্লিখিত সনদগুলো সহীহ্ (বুখারী)এর শর্তানুরুপ বেশ উত্তম ৷ আবু দাউদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজা ও আবু ওয়াইস লার্কীকইবন সালাম৷ (র) হতে উল্লিখিত সনদের বিজ্যি সুত্রে এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নাসাঈ (র) তার সুনানের কিতাবুল হজ্জ-এ বলেছেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন আলী ইবনুল হাসান ইবন শাকীক (এ শাকীকই হলেন আবু ওয়ইিল) উমর (রা) সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের যুতআ (তামাত্তু)
করতে নিষেধ করছি; অথচ তা অবশ্যই আল্লাহ্র কিতাৰেও রয়েছে এবং নবী করীম (সা)ও
তা অবশ্যই করেছেন (তবুও একটি বিশেষ কারণে আমি নিষেধ করছি) ৷ এ হাদীসের সনদ
জামািদ বেশ উত্তম ৷

আযীরম্স মৃমিনীন উদ্যান ও আমীরম্স মৃমিনীন আলী (বা) হতে আগত রিঅ্যাংত ষ্ক ইমাম
আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িাব (র) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (মক্কার) উসফানে আলী ও উছমান (রা) একত্রিত হলেন ৷ উছমান (বা)
যুতআ (তামাত্তু) কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ, হজ্যের সাথে) উমরা করতে নিষেধ করতেন ৷ আলী
(বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে কাজ করেছেন সে ব্যাপারে আপনার এ কেমন ইচ্ছা যে, তা
নিষেধ করছেন ! উছমান (বা) বললেন, এ ব্যাপারে আপনি আমাকে আমার মত করতে দিন !
ইমাম আহমদ এভাবে সংক্ষিপ্ত আকারেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুবরীি-মুসলিমে ইমামদ্বয় এ
হাদীস আহরণ করেছেন তারা (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (র)-এর বরাতে, তিনি বলেন,
আলী ও উছমান (বা) তামাত্তুর ব্যাপারে মত ভৈদ্বধতায় লিপ্ত হলেন, তখন র্তারা উসফ্যা:ন
অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গিয়েস্ফো এমন এক কাজে
আপনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান?আলী (বা) এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে একত্রে দৃটির
(হজ্জ ও উমরা) ইহরাম ৰীধলেন ৷ বুখারী (র)-এর ভাষ্য-শব্দ অনুরুপ ৷

বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র) ;মারওয়ান ইবনুল হাকাম (র)
হতে, তিনি বলেন, আমি উছমান ও আলী (না)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম, যখন উছমান (বা)
তামাত্তু এবং (হজ্জ ও উমরা এ) দুটি একত্রিত করা নিষেধ করছিলেন ৷ আলী (বা) অবস্থা
দেখে দৃটির তন্যে ইহরাম তালৰিয়া উচ্চারণ করে বললেন ল্গুষ্কপ্ ন্)^হু এ , “আপনার
সকাশে হাষির ৷ উমরা ও হজ্জ সহ ! তিনি বললেন, “কারো কথার আমি নবী কয়ীম (না)-এর


وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَمَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، سَمِعْتُ غُنَيْمَ بْنَ قَيْسٍ، سَأَلْتُ سَعْدًا عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. وَفِي رِوَايَةِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. وَهَذَا كُلُّهُ مِنْ بَابِ إِطْلَاقِ التَّمَتُّعِ عَلَى مَا هُوَ أَعَمُّ مِنَ التَّمَتُّعِ الْخَاصِّ، وَهُوَ الْإِحْرَامُ بِالْعُمْرَةِ وَالْفَرَاغُ مِنْهَا، ثُمَّ الْإِحْرَامُ بِالْحَجِّ، وَمِنَ الْقِرَانِ، بَلْ كَلَامُ سَعْدٍ فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى إِطْلَاقِ التَّمَتُّعِ عَلَى الِاعْتِمَارِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ، وَذَلِكَ أَنَّهُمُ اعْتَمَرُوا وَمُعَاوِيَةُ بَعْدُ كَافِرٌ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْحَجِّ، إِمَّا عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ أَوْ عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَهُوَ الْأَشْبَهُ، فَأَمَّا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ فَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ أَسْلَمَ مَعَ أَبِيهِ لَيْلَةَ الْفَتْحِ، وَرُوِّينَا أَنَّهُ قَصَّرَ مِنْ شَعْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ فِي بَعْضِ عُمَرِهِ، وَهِيَ عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ لَا مَحَالَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ حُجَّةِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ قَارِنًا وَسَرْدُ الْأَحَادِيثِ فِي ذَلِكَ] رِوَايَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيِّ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৯১৯


সুন্নত ণ্াপরিভ্যাগক রী হতে প৷ ৷রি না ৷” নাসা ৷ঈ (র) এ হাদীস একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা ফর (র)আবদুল্পাহ্ ইবন শার্কীক
(র) বলেন, উছমান (বা) তামাভু নিষেধ করতেন আর আলী (বা) তা করতে বলতেন ৷ এ সুত্রে
উছমান (রা) আলী (রা)-কে বললেন, আপনি শুধু এমন এমন ! (ঝামেলা লাগান); পরে আলী
(বা) বললেন, আপনি তো নিশ্চিতই জানেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তামাভু
করেছিলাম ৷ উছমান (রা) বললেন, ছুা, তাই ৷ তবে আমরা তখন নিরাপত্তার ব্যাপারে শংকিত
ছিলাম ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তারা (র) সুত্রে ৷ মোট কথা, এতে আলী
(রা) এর বর্ণনার প্রতি উছমান (রা) এর স্পষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে ৷ আর এ কথা তো বিদিত
হয়েছে যে, বিদায় হজের বছর আ ৷লী (রা) নবী করীম (সা) এর ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম একথা
উচ্চারণ করে ইহরাম করেছিলেন এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ নবী কবীম (মা) তাকে
ইহ্রাম অবস্থায় থাকা র নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং নবী করীম (সা) তার হ দীতেও র্তা চেক শরীক
করে নিয়েছিলেন ৷ বর্ণনা পরে আসছে ৷

ইমাম মা ৷লিক (র) তার মুঅ ৷ত্তার বিওয়ায়াত করেছেন ৷ জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) তার
পিতা হতে এ মর্মে যে, মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (বা) সুকয়ায় হযরত আ ৷লী ইবন আবু
তালিব (না)-এর কাছে গেলেন, তখন তিনি উটের বাচ্চাদের পাত৷ ও আট৷ যেশানো খাবার
তৈরি করে দিচ্ছিলেন ৷ মিকদাদ (বা) বললেন, এই যে, উছমান ইবন আফ্ফান (রা) হজ্জ ও
উমরা একত্রিত করতে নিষেধ করছেন ৷ তখন আলী (রা) বেরিয়ে এলেন, তার হাতে মাখানাে
আট৷ ও পাতায় চিহ্ন লেগেছিল; তার দু বাহুতে লেগে থাকা পাতা ও আটার চিহ্নের কথা আমি
ভুলে যাব না ৷ তিনি এসে উন্ছমান (রা) এর কাছে প্রবেশ করে বললেন, হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করতে আপনি নিষেধ করছেন? উছমান (রা) বললেন, ওটা আমার (ব্যক্তিগত)
অভিমত ৷ আলী (বা) তখন রাপান্বিত হয়ে বেরিয়ে এলেন এবং বলতে লাগলেন, “লাব্বায়কা
আল্পাহুম্মা লাব্বায়কা হাষির ইয়৷ আল্লাহ! হাযির এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার নিয়তে ৷ আবু
দউিদ (র) তার সুনানে বলেছেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন মাঈন (র) বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন আলী (রা)-কে ইয়ামানেয় প্রশাসক নিয়োগ
করলেন তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম ৷ আলী (রা)-এর হাজ্জ আগমন সম্পর্কিত হাদীসের
বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আলী (রা) বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে বললেন, ধ্ত্রমোঃ এ;শ্$ তৃমি
কেমন ইহ্রাম বেধেছো? আলী (রা) বলেন আমি বললাম, “আমি (তা নবী করীম (না)-এর
ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম করেছি ৷ রাসুল কবীম (সা) বললেন চ্-াঢুএঢ় ;;১শুএ’ ণ্:াম্বু; ষ্১ষ্ আমি
তো হাদী নিয়ে এসেছি এবং (হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে) কিরান করেছি ৷”

নাসাঈ (র)ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ইয়াহ্য়া ইবন মাঈন (র) হতে উল্লিখিত

সনদে ৷ এ সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুরুপ ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) এ কথা বলে এ
হাদীসের সমালোচনা করেছেন যে, জাবির (রা) বর্ণিত হাদীসে এ (কিরান) শব্দটি উল্লিখিত হয়



১ মক্কাগামী পথে একটি সংযোগবস্তি ও কাফেলোর সুকয়৷ বা পানি উঠানাের স্থান ৷


بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الْمُقْرِئُ بِبَغْدَادَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَلْمَانَ قَالَ: قُرِئَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَأَنَا أَسْمَعُ: حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ الْهَرَوِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، ثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «أَتَانِي جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَا بِالْعَقِيقِ فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ رَكْعَتَيْنِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ. فَقَدْ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» ". ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَبِي زَيْدٍ الْهَرَوِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا سَيَّارٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَ نَصْرَانِيًّا، يُقَالُ لَهُ: الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ فَأَرَادَ الْجِهَادَ، فَقِيلَ لَهُ: ابْدَأْ بِالْحَجِّ. فَأَتَى الْأَشْعَرِيَّ فَأَمَرَهُ أَنْ يُهِلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، فَفَعَلَ، فَبَيْنَمَا هُوَ يُلَبِّي إِذْ مَرَّ بِزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، وَسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ. فَسَمِعَهَا الصُّبَيُّ فَكَبُرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمَ أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ مَرَّةً أُخْرَى
পৃষ্ঠা - ৩৯২০
يَقُولُ: وُفِّقْتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الصُّبَيِّ بْنِ مَعْبَدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَهُ وَقَالَ: إِنَّهُمَا لَمْ يَقُولَا شَيْئًا، هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ بِهِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، وَعَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: «قَالَ الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ: كُنْتُ رَجُلًا نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ، فَأَهْلَلْتُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، فَسَمِعَنِي زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَأَنَا أُهِلَّ بِهِمَا، فَقَالَا: لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ. فَكَأَنَّمَا حُمِّلَ عَلَيَّ بِكَلِمَتِهِمَا جَبَلٌ، فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمَا فَلَامَهُمَا، وَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . قَالَ عَبْدَةُ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: كَثِيرًا مَا ذَهَبْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ إِلَى الصُّبَيِّ بْنِ مَعْبَدٍ نَسْأَلُهُ عَنْهُ. وَهَذِهِ أَسَانِيدٌ جَيِّدَةٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ فِي كِتَابِ الْحَجِّ مِنْ " سُنَنِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯২১


নি ৷ কিন্তু এ সমালোচনার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর
হাদীসেও কিরান’ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইনশাআল্লাহ্ ! একটু পরেই তা উল্লেখ করছি ৷ ইবন হ্নিা৷ম
(র) তার সহীহ্’ গ্রন্থে আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনা হতে সফর করলেন ৷ আমি সফর শুরু করলাম ইয়ামান হতে ৷ আমি
ইহ্রামের সময় বললাম, লাব্বায়ক আমি হাঘির আপনার সকাশে ৷ নবী কয়ীম (সা) ইহ্রামের
ন্যায় ইহ্রামের সাথে ৷ তখন বললেন ৷ ; ং -ং§) ণ্:১ঠা এ্যা৷ ,,ওএে আমি তো হজ্জ ও
উমরার জন্য একত্রিত ইহ্রাম ণ্বধেছি ৷

আনাস ইবন মালিক (রা)-এর রিওয়ায়াত : তাবিঈদের একটি দল আনাস (বা) হতে এ
বিষয় রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বর্ণনা বিন্যাসের স্বার্থে আমর৷ (আরবী) বর্ণ ক্রমিক অনুসারে রিওয়ায়াতগুলো উদ্ধৃত করছি ৷

(১) বকর ইবন আবদুল্লাহ আল-সুমানী (র) বলেন, ত্া৷ নাস ইবন মালিক (রা)ৰুকে আমি
বর্ণনা দিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্দ্বুক একত্রে হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ ইবন উমর (রা)-এর কাছে আমি এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি
বললেন, তিনি কেবল হব্লুজ্জর তালৰিয়া ইহরাম করেছেন ৷ আমি আসলে (রা)এর সাথে
সক্ষোত করে তার কাছে ইবন উমর (রা) এর উক্তি ৰিবৃত করলাম ৷ তিনি বললেন, (ইা)
আমাদের ক্লেব্ল শিশু ঠাওরানো হচ্ছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শ্যুনছি এ-ম
া;, :)এষ্ঠ “হাযির আপনার কাছে উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷”

বুখারী (র) ও মুসলিম (র) এ হাদীসখান৷ বিভিন্ন সনলে ৰিওরারাত করেছেন ৷
(২) ছাবিত আল-বুনানী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী (র)
(ইবন আবু ছাবিত) আনাস (বা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বলেছেন-

ম্-া০ ব্রৰুণ্ , ট>^ ও এ-ম৷ হাঘির আপনার সকাগাে এক সঙ্গে উমরা ও হজ্জ নিয়ে ! এ সুত্রে
আনাস (বা) থেকে হাসান নসরী (র) একাকী বৰ্ন্নি৷ করেছেন৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, রাওহ (র) আনাস ইবন মালিক (র) সুত্রে এ মর্মেবর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)
ও তার সাহাৰীগণ মক্কায় উপনীত হলেন, এ অবস্থায় যে, র্তারা হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ কঃরছিলেন ৷ র্তার৷ বায়তৃল্লাহ্ব তাওয়াফ ও সফো-মারওয়ায় সাঈ করার পরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং একে উমরা সাব্যস্ত করতে

বললেন ৷ মনে হল যেন সব লোক এতে ৰিব্রত হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ১া;৷

ণ্া৷: ১৷ ৷ন্এে ;:াঘ্র , ,শ্রা “আমি যদি হাদী নিয়ে না আসতাম, তবে অবশ্যই হালাল হয়ে
যেতাম ৷”

তখন লোকেরা হালাল৷ হল এবং তামাত্তু (উমরার সমাপ্তিতে নতুন ইহরামে হজ্জ) করল ৷
হাফিজ আবু বকর আলবায্যার (র) বলেন, হাসান ইবন কাঘৃ আ (র) (হাসান) আনাস
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) নিজে এবং তার সাহা-র্বীগপ হজ্জ ও
উমরার ইহরাম তালৰিয়া করেছেন ৷ র্তারা মক্কায় উপনীত হয়ে বায়ভুল্লাহ্র তাওয়াফ এবং
সাফা-মারওয়ায় সাঈ করলে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) র্তাদের হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন; এতে


الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، ثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ السُّكَّرِيِّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: «وَاللَّهِ إِنِّي لَأَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّهَا لَفِي كِتَابِ اللَّهِ، وَقَدْ فَعَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. رِوَايَةُ أَمِيرَيِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «اجْتَمَعَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ بِعُسْفَانَ، وَكَانَ عُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ أَوِ الْعُمْرَةِ فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا تُرِيدُ إِلَى أَمْرٍ فَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَنْهَى عَنْهُ! فَقَالَ عُثْمَانُ: دَعْنَا مِنْكَ.» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُخْتَصَرًا. وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «اخْتَلَفَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ وَهُمَا بِعُسْفَانَ فِي الْمُتْعَةِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَنْهَى عَنْ أَمْرٍ فَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَهَكَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ،
পৃষ্ঠা - ৩৯২২
عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: «شَهِدْتُ عُثْمَانَ وَعَلِيًّا وَعُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ، وَأَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُمَا، فَلَمَّا رَأَى عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا: لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ، قَالَ: مَا كُنْتُ لِأَدَعَ سُنَّةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِ أَحَدٍ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ: كَانَ عُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ وَعَلِيٌّ يَأْمُرُ بِهَا، فَقَالَ عُثْمَانُ لِعَلِيٍّ: إِنَّكَ لَكَذَا وَكَذَا. ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّا تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: أَجَلْ، وَلَكِنَّا كُنَّا خَائِفِينَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. فَهَذَا اعْتِرَافٌ مِنْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِمَا رَوَاهُ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَعْلُومٌ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَحْرَمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدْ سَاقَ الْهَدْيَ، وَأَمَرَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنْ يَمْكُثَ حَرَامًا، وَأَشْرَكَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَدْيِهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَرَوَى مَالِكٌ فِي " الْمُوَطَّأِ " عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ دَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالسُّقْيَا، وَهُوَ يَنْجَعُ بَكَرَاتٍ لَهُ دَقِيقًا
পৃষ্ঠা - ৩৯২৩


তারা রুিবত হলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এেগ্রা ;;ঞা শু-এে : স্১-ধ্শু ঙু-ষ্১
তোমরা হালাল হয়ে যাও; আমার সাথে যদি হাদী না থাকত, তবে আমিও হালাল হয়ে
যেতাম ৷ তখন র্তারা হালাল হলেন এমনকি শ্রী গমন পর্যন্ত করলেন ৷ রিওয়ায়াত করার পরে
বাঘৃযার (র) মন্তব্য করেছেন, আনাস (রা)-এর শাগরিদ হাসান (র) হতে আশআছ ইবন
আবদুল মালিক ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা
(৩) হুমায়দ ইবন তীরুয়া আততাবীল (র) আনাস (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
ইয়াহ্য়া (র) হুমায়দ (র) হতে (তিনি বলেন) আমার (রা)-ফে বলতে শুনেছি (যে, তিনি বলেন,)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বরত্তে শ্যুনছি হ্র--১-’) ং)^মুে ব্রঙ্কু-১- ঞা “আপনার সক্যাশ হাযির হাযির ৷
হজ্জ উমরা ও হজ্জ নিঃর !” এ সনদটি একটি ন্হ্রলাহী (তিন সুত্রীয়) সনদ১ এবং এটা দুই প্রধান
ইমাম (বুখাৰী-মুসলিম)-এর শর্তানুকুল ৷ তবে তারা দুজন এবং ছয় গ্রন্থমালার সংকলকদের
কেউ এ সুত্রে হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র),হুমায়দ (র) ও অন্য দুজন ওনেছেন আনাস ইবনমালিক (রা)-
কে “তিনি বলেন, ; আমি: রা সু লুল্লাহ্ (না)-কে ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরাম করতে শুনেছি
“আপনার সকাশে হাযিবা উমরাও হস্তজ্জা জন্য; আপনার সকাশে হাষির হাষির! উমরা ও
হরুজ্জর জন্য ! ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, ইয়ামুর ইবন ষুসৃর (র)আনাস ইবন মালিক
(বা) সুত্রে তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনেকগুলো উটহাদীরুপে সাথে নিলেন এবং বললেন,
“আপনার সকাশে হাযির! উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷ ” তখন আমি তার (বাহন) ণ্উটনীয় বাম উরুর
কাছে ছিলাম (এ সুত্রেও আহমদ (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন) ৷

(৪) হুমায়দ ইবন হিলাল আল-আদাবী আল-বসৃয়ী (র) আনাস (রা) সুত্রে হাফিজ আবু
বকর আন-বায্যার (র) তার র্মুসনাদে বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল শ্মুছান্ন৷ (র):আনাস ইবন
মালিক(রা) সুত্রে, তিনি বলেন, আমি আবু তালহ৷ (রা)-এর (উটে) সহ-আরোহী ছিলাম, আর
তার ছুাট্রু রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর ছুাটু স্পর্শ করছিল ৷ আর তিনি হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করছিলেন ৷ এ সনদটি সহীহ্-এর শত ৷র্তানুরুপ বেশ উত্তম ও মজবুত সনদ, তবে সিহাহ্
গ্রন্থকারগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ ওদিকে বায্যার (র) ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, যিনি হজ্জ ও
উমরার তা ৷লবিয়৷ উচ্চারণ করছিলেন তিনি আবু তালহ৷ (রাসুল সা নন), তবে নবী কৰীম
(না) তাতে আপত্তি করেন নি ৷ করে বায্য৷ র (র) এর এ ব্যাখ্যার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷
বরং এটি অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ৷ কেননা, আনাস (বা) হতে অনব্রুান্য সুত্রেও (রাসুল সা এর
রুিরালের) বিষয়টি সাব্যন্ন্তু হয়েছে ৷ (পুর্বাপর বর্ণনা দ্রষ্টব্য) তাছা ৷ড়৷ তিনি ( ঙু১) সর্বনড়ামটি তার
পুর্বে উল্লিখিত দুই শব্দ (আবু তা ৷লহ৷ ও র ৷সুলুরড়াহ্) এর নিকটবর্তী শব্দ (রাসুলুরাহ্) এর সাথে



১ রাসুলুরাহ (সা) হতে মাত্র তিন সুত্র মাধ্যহ্ম আহরিত হাদীছক্কক হ্রনাহী তিন সুত্রীয় হড়াদীছ বলা হয় ৷
এ ধরনের সনদ ও হাদীছ ৰিৰুল্ ও বিংশ ৷ষ মর্যাদা সম্পন্ন ৷ অ্নুবাদক
২ অর্থাৎ বামৃষার (র)-এর মতে এ হাদীছে আবু৷ তা লহার কিরান হজ্জ এবং তাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিরর অনুমোদন সাবন্তে হলেও খােদ নবী করীম (সা) এর কিরান হজ্জ করা সাব্যস্তহয় না ৷-অনুবাদক


وَخَبَطًا فَقَالَ: هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. فَخَرَجَ عَلِيٌّ وَعَلَى يَدِهِ أَثَرُ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ - مَا أَنْسَى أَثَرَ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ عَلَى ذِرَاعَيْهِ - حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَنْتَ تَنْهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ؟! فَقَالَ عُثْمَانُ: ذَلِكَ رَأْيِي. فَخَرَجَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا وَهُوَ يَقُولُ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ ": ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ ثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْيَمَنِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي قُدُومِ عَلِيٍّ، قَالَ عَلِيٌّ: فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَيْفَ صَنَعْتَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: إِنَّمَا أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " إِنِّي قَدْ سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، بِإِسْنَادِهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَعَلَّلَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بِأَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا اللَّفْظَ فِي سِيَاقِ حَدِيثِ جَابِرٍ الطَّوِيلِ، وَهَذَا التَّعْلِيلُ فِيهِ نَظَرٌ ; لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ الْقِرَانُ مِنْ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَرَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৩৯২৪


সম্পৃক্ত হওয়াই অধিক উপযোগী এবং সে ক্ষেত্রে বত্তল্যটি সুস্পষ্ট অর্থ নির্দেশক হবে ৷ আল্পাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত সালিম ইবন আবুল জাদ (র)-এর রিওয়ায়াত
উল্লিখিত ব্যাখ্যার সরাসরি প্রত্যাখ্যান রয়েছে ৷

যায়দ ইবন আসলাম (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর আলৰুবাবৃযার (র) আনাস
(রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী করীম (না) হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেছিলেন ৷
হাসান ইবন আবদুল আযীয আল-জ্বাবারী ও মুহাম্মদ ইবন মিসকীন (ব) আনাস (রা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

মন্তব্য : এটি সহীহ্ বুখারীর শর্তানুরুপ একটি বিশুদ্ধ সনদ, তবে এ সুত্রে সিহাহ্
গ্রস্থাকারগণ হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) এ বর্ণনার চেয়ে
ৰিশদভাবে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবু আবদৃল্লাহ্ আল-হাফিজ ও
আবু বকর আহমদ ইবনুলহাসান আলকাযী (ব)যায়দ ইবন আসলাম (র) প্রুযুখ্ সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, একবাক্তিৰুইবন উমর (রা)-এর কাছে এসে বলল, রাসুলুল্পাহ্ (সা) কী
বলে ইহরাম বেধেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, “হজ্যের ইহরাম বেধেছিলেন ৷” লোকটি
চলে গেল এবং পরের বছর আমার তার কাছে এসে বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কী বলে ইহরাম
করেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, তৃযি গত বছর আমার কাছে এসে ছিলে না ? সে
বলল, জী হী, তবে আনাস ইবন মালিক (রা) বলে থাকেন যে, তিনি কিরান করেছিলেন ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, আনাস ইবন মালিক “তো নারীদের মাঝে আসা-যাওয়া করতেন, যখন
তাদের মাথা খোলা থাকত (অর্থাৎ তখন তীর বয়স কম ছিল) ৷ আর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উটনীর ছায়াতলে ছিলাম, তার উটনীটির লালা আমার গায়ে লাগছিল, আমি তাকে (শুধু)
হাজ্জর ইহরাম করতে শ্যুনছি ৷

(৬) সালিম ইবন আবুল জা দ আল-গাতফানী আল কুফী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, য়াহ্য়া ইবন আদম (র),-আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (সনদটি)
নবী করীম (সা) পর্যন্ত উন্নীত করে বলেছেন যে, তিনি (নবী করীম সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করে বললেন, আপনার সকাশে বারংবার হাযির,এক সাথে হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এর
সনদ হাসান উত্তম, তবে তারা (বিশিষ্ট হয় হাদীস গ্রন্থকার) তা উদ্ধৃত করেন নি ৷ ইমাম
আহমদ (র) আরো বলেন, আফ্কান (ব)হাসান ইবন আলীর আযাদকৃত গোলাম সাদ (ব)
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা আলী (রা)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা খুল-
হুলায়ফায় পৌছলে আলী (বা) বললেন, আমি হজ্জ ও উমরা একত্রিত করার ইরাদা করছি,
সুতরাং যারা তা ইচ্ছা করবে তারা যেন তেমনি বলে যেমনটি আমি বলছি ৷ এ কথা বলার পর
তিনি এই বলে তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন, চ >ণ্ ; ল্গু-১ এ এ “আপনার সকাশে হায়ির, এক
সাথে হজ্জ ও উমরা নিম্নে ! বর্ণনাকারী বলেন, সালিম (র) বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (রা)
আমাকে অবগত করেন ৷ তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র কসম৷ আমার পা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পা
স্পর্শ করছিল (প্রায়) ৷ তিনি অবশ্যই ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরামের তালৰিয়া উচ্চারণ
করছিলেন ৷ এ সুত্রেও এটি জায়িাদ, বেশ উত্তম সনদ ৷ তবে সিহাহ্ গ্রহুকারগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷ এ বর্ণনা আনাস (রা) থেকে গৃহীত হুমায়দ ইবন হিলাল (র)-এর হাদীস সংক্রান্ত


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَخَرَجْتُ أَنَا مِنَ الْيَمَنِ، وَقُلْتُ: لَبَّيْكَ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَإِنِّي أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا ".» رِوَايَةُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَقَدْ رَوَاهُ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَنَحْنُ نُورِدُهُمْ مُرَتَّبِينَ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ: بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، أَنْبَأَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ: لَبَّى بِالْحَجِّ وَحْدَهُ. فَلَقِيتُ أَنَسًا فَحَدَّثْتُهُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ: مَا تَعُدُّونَا إِلَّا صِبْيَانًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ، عَنْ سُرَيْجِ بْنِ يُونُسَ، عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ. وَعَنْ أُمَيَّةَ بْنِ بِسْطَامٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ بِهِ. ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯২৫
رَوْحٌ، ثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ قَدِمُوا مَكَّةَ وَقَدْ لَبَّوْا بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، أَنْ يُحِلُّوا وَأَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَكَأَنَّ الْقَوْمَ هَابُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْلَا أَنِّي سُقْتُ هَدْيًا لَأَحْلَلْتُ ".» فَأَحَلَّ الْقَوْمُ وَتَمَتَّعُوا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَكَّةَ طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحِلُّوا، فَهَابُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَحِلُّوا، فَلَوْلَا أَنَّ مَعِيَ الْهَدْيَ لَأَحْلَلْتُ " فَحَلُّوا حَتَّى حَلُّوا إِلَى النِّسَاءِ.» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنِ الْحَسَنِ إِلَّا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ. حُمَيْدُ بْنُ تِيرَوَيْهِ الطَّوِيلُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ ".» هَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. لَكِنْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৯২৬


বায্যার (র) এর প্রদত্ত ব্যাখ্যা খণ্ডন করে (পুর্বে আলোচিত হয়েছে) ৷ আল্পাহই সমধিক
অবগত ৷

(৭) সুলায়মান ইবন তারখান আততায়মী (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর
আল-বাঘৃযড়ার (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন হাবীব ইবন আৱাবী (র)আনাস ইবন মানিক (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি নবী করীম (না)-কে ঐ দু’টি একত্রিত করে তালবিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ তারপর বাঘৃযার (র) বলেছেন, (সুলায়মান) তায়মী (র) হতে তার
ছেলে মুতা ৷মির (র) ব্যতীত আ র কেউ হাদীস শুনে নি ৷ আর তার নিকট হতে ইয়াহ্য়া ইবন
হাবীব আল-আরাবী (র) ব্যর্তীত আর কেউ শ্যুন নি (অর্থাৎ সনদঢি আস্বা৷ গোড়া একক
সুত্রীয়) ৷ আমার মস্তব্যং হাদীসটি সহীহ্-এর শতানুরুপ, যদিও সহীহ গ্রন্থক৷ ৷রগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷ ৰু ,

(৮) সুওয়ায়দ ইবন হুজ্যয়র (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ
ইবন জাফর (র)(সুওয়ায়দ আবু কাযাআ) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ (চলার সময়) আবু তালহা (র) এর হীটু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাটুর সাথে লেগে যাচ্ছিল প্রায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ ও উমরার কথা
উল্লেখ করে ত ৷লবিয়৷ পাঠ করছিলেন ৷ এটি একটি জা ৷ব্যিদ, বেশ উত্তম সনদ যা আহমদ (র)
একা ৷কী গ্রহণ করেছেন; তবে তা সহীহ গ্রন্থক৷ রাগণ উদ্ধৃত করেন নি ৷ এ বর্ণনায় হ ফিজ
বাঘৃযার (র) এর ব্যাখ্যা র স্পষ্ট খণ্ডন রয়েছে ৷

(৯) আবদুল্লাহ ইবন যারদ আবু কিলাবা আল-জারমী (র), আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক (র)(আবু কিলাবা) আনাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা’)-এর সহ-আরােহী ছিলাম তখন নবী করীম (না)-এর পাশাপাশি পথ
চলছিলেন ৷ তিনিশুরলেন, (অবস্থা এমন ছিল) যে, আমার পা নবী ন্করীম (না)-“এর (বাহনের)
পাদানী স্পর্শ করছিল; আমি তখন তাকে এক সাথে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া ন্ন্ পাঠ করতে
শুনলাম ৷ বুখারী (র)ন্ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আয়ুাব (র) (আবু কিলাবা) আনাস
হতে একাধিক সুত্রে তিনি (আবাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যুহ্র সালাত মদীনায় চার
রাকআত আদায় করলেন এবং আসর আদায় করলেন যুল-হুলায়ফায় দুই রাকআত আদায়
করলেন ৷ তারপর সকাল পর্যন্ত সেখানে রাত কটিালেন ৷ তারপর তার শ্বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ তারপর বাহন তাকে নিয়ে প্রাম্ভরে সোজা হয়ে র্দাড়ালে আল্পাহ্র হাৰুমৃদ, তাসৰীহ্ ও
তাকৰীর (আলহ্যমদু লিল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ্ ও আল্লাহ আকবার) উচ্চারণ করলেন এবং হজ্জ ও
উমরার ইহরাম বীধলেন ৷ সােকেরাও ঐ দু’ঢির একত্রিত ইহরাম র্বীধলো ৷ তার অন্য একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে “আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরােহী ছিলাম, , লোকেরা একত্রে ঐ
দুটির, হজ্জ ও উমরার কথা উট্চ্চ৪স্বরে বলছিল” ৷ আয়ুাব (র) আনাস (রা) সুত্রে বুখ৷ ৷রীর
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে তিনি (জানান) বলেন তারপর রাত যাপন
করলেন, অবশেষে সকাল হলে ফজর সালাত আদায় করার পর তার বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ অবশেষে তা তাকে নিয়ে প্রম্ভেরে স্থির হলে উমরা ও হহ্বজ্জর ইহরাম-তান্সবিয়া পাঠ
করলেন ৷


إِسْحَاقَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ وَحُمَيْدٍ أَنَّهُمْ سَمِعُوا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا: «لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا، لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْمَرُ بْنُ بِشْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُدْنًا كَثِيرَةً وَقَالَ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ ". وَإِنِّي لَعِنْدَ فَخِذِ نَاقَتِهِ الْيُسْرَى.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا. حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ الْعَدَوِيُّ الْبَصْرِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَحَدَّثَنَاهُ سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ وَحُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: إِنِّي رِدْفُ أَبِي طَلْحَةَ، وَإِنَّ رُكْبَتَهُ لَتَمَسُّ رُكْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَقَدْ تَأَوَّلَهُ الْبَزَّارُ عَلَى أَنَّ الَّذِي كَانَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ أَبُو طَلْحَةَ، قَالَ: وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا التَّأْوِيلُ فِيهِ نَظَرٌ وَلَا حَاجَةَ إِلَيْهِ ; لِمَجِيءِ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ عَنْ أَنَسٍ، كَمَا مَضَى وَكَمَا سَيَأْتِي، ثُمَّ عَوْدُ الضَّمِيرِ إِلَى أَقْرَبِ الْمَذْكُورَيْنِ أَوْلَى، وَهُوَ فِي هَذِهِ الصُّورَةِ أَقْوَى دَلَالَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي فِي رِوَايَةِ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَنَسٍ صَرِيحُ الرَّدِّ عَلَى هَذَا التَّأْوِيلِ.
পৃষ্ঠা - ৩৯২৭
زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: رَوَى سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ.» حَدَّثَنَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْجَرَوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ قَالَا: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَنَسٍ. قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، فَقَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، أَنْبَأَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ «عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَغَيْرِهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ: بِمَ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَهَلَّ بِالْحَجِّ. فَانْصَرَفَ ثُمَّ أَتَاهُ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فَقَالَ: بِمَ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ أَلَمْ تَأْتِنِي عَامَ أَوَّلٍ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَزْعُمُ أَنَّهُ قَرَنَ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: إِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى النِّسَاءِ وَهُنَّ مُكَشِّفَاتُ الرُّءُوسِ، وَإِنِّي كُنْتُ تَحْتَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَسُّنِي لُعَابُهَا، أَسْمَعُهُ يُلَبِّي بِالْحَجِّ.» سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيُّ الْكُوفِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯২৮


(১০) আবদুল আযীয ইবন সুহড়ায়ব (র) আনাস (রা)সুত্রে হুমায়দ আত-তারীল (ক)-এর
রিওয়ায়াত মুসলিম (র) আহরিত-এর সাথে র্তার রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

(১১) আলী ইবন যড়ায়দ ইবন জাদআন (র) আনাস (বা) সুত্রে হাফিজ আবু বকর আল-
বাঘৃযার (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন সাঈদ (র) (আলী ইবন যড়ায়দ) আনাস (রা) সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে দুটি একত্রিত করে র্তালবিয়া পাঠ করলেন ৷ এ সুত্রে এটি
গরীব বিরল ৷ সুনান গ্রন্থকারদের কেউ এটি উদ্ধৃত করেন নি, তবে এটি তাদের শর্ত পুরণ করে ৷

(১২) কড়াতাদা ইবন দি আনা আস-সাদুসী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমম (র)
বলেন, বাহ্য (র) ও অড়াবদৃসন্সড়ামড়াদ (র)কাতাদা (র) সুত্রে বলেন, আমি আনাস ইবন
মালিক (রা) কে প্রশ্ন করলাম বললাম, নবী কৰীম (সা) কতবার হজ্জ করেছেন? তিনি
বললেন, একবার হজ্জ করেছেন;অ আর চারবার উমরা করেছেন ৷ (১) হুদায়বিয়ার সময়; (২)
যিলকা ৰুদ মাসে মদীনা হতে তার উমরাতুল কাযা; (৩) যিলকাদ মাসে জিইররানা থেকে তার
উমরা, যেখানে হুনায়ভ্রুনর পনীমত বৃউন করেছিলেন এবং (৪) হরুজ্জর সাথে তার উমরা ৷
বুখাবী-মুললিম্ (র) তাদের গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷

(১৩) যুস আব ইবন সুলায়ম আবৃযুবায়রী (র) (যুবায়রীদের আযাদকৃত গোলাম) আনাস
(বা) হতে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) (মুসআব বলেন, আমি শুনেছি,) আনাস
(বা) বলেছেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরার তঙ্কুলৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ এ হাদীস
আহমদ (র) এক কী বর্ণনা করেছেন ৷

(১৪) ইয়াহয়া ইবন ইসহড়াক আল-হাযরামী (র) আনাস সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
হুশায়ম (র) (ইয়াহ্য়া ইবন ইসহাক, আবদুল আযীয ইবন সুহায়ব ও হুমায়দ আততাবীল র
সকলে) আনাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, এরা তাকে বলতে শুন্যেছন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে এন্১এ এ্যা “আপনার সকাশে হাষির! আপনার
সকাশে হাযির ! বলে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি ৷” পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, মুসলিম (র)-
ও এ হাদীস ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) হুশায়ম সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেছেন, আবদুল আ লীে (র) (ইয়াহ্য়া) আনাস (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা

রাসৃলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলাম; (তিনি বলেন) আমি তাকে বলতে
ওনলাম আপনার লক বেশ হাযির উমরা ও হস্তুজ্জর উদ্দেশ্যে ৷ ন্

(১৫) আবুস সড়ায়কড়া ড়াল (র) আনাস (রা) থেকে ইমড়াম অ হমদ (র) বলেন, হাসান (র) ও
আহমদ ইবন আবদুল-মালিক (র)(আবু আসমা আস-সায়কা ন্ল) আন স ইবন মালিক (বা)

হতে, তিনি বলেন, আমরা বের হলাম তখন আমরা সশ ব্দে হভৈজ্জর তালবিয়া উচ্চারণ
করছিলাম; যখন আমরা মক্কায় পৌছলাম তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) সেটিকে উমরায় পরিণত

করতে আমাদের নির্দেশ দিলেন এবং মললেনষ্-
হ্র১ক্রা অ্যাংষ্ধ্,১

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

مَالِكٍ يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالَ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا» حَسَنٌ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ عَلِيٍّ فَأَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَمَنْ أَرَادَ ذَلِكَ فَلْيَقُلْ كَمَا أَقُولُ. ثُمَّ لَبَّى قَالَ: لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا. قَالَ: وَقَالَ سَالِمٌ: وَقَدْ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ رِجْلِي لَتَمَسُّ رِجْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لِيُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَهَذَا أَيْضًا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَهَذَا السِّيَاقُ يَرُدُّ عَلَى الْحَافِظِ الْبَزَّارِ مَا تَأَوَّلَ بِهِ حَدِيثَ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَنَسٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، ثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِهِمَا جَمِيعًا» . ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَمْ يَرْوِهِ عَنِ التَّيْمِيِّ إِلَّا ابْنُهُ الْمُعْتَمِرُ، وَلَمْ يَسْمَعْهُ إِلَّا مِنْ يَحْيَى بْنِ حَبِيبٍ الْعَرَبِيِّ عَنْهُ. قُلْتُ: وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. سُوَيْدُ بْنُ حُجَيْرٍ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي قَزَعَةَ سُوَيْدِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ فَكَانَتْ رُكْبَةُ أَبِي طَلْحَةَ تَكَادُ أَنْ تُصِيبَ رُكْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৩৯২৯


“বা আমি পরে বুঝেছি, তা যদি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে অবশ্যই আমি এটিকে
উমরায় পরিণত করতাম; জ্যি আমি হাদী নিয়ে এসেছি এবং হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছি ৷
আর নাসাঈ (র) এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন, আবুল আহওয়াস (র) (আবু আসমা
আস-সায়কাল) আনাস ইিবৃন মালিক (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ঐ
দু টির তালৰিয়া উচ্চারণ করতে ওনেছি ৷

(১৬) আবু কুদাম৷ আল হ্ানাফী (মুহাম্মদ ইবন উবায়দ) (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, রাওহ ইবন উবাদ৷ (র)আবু কুদাম৷ আল-হানাকী (র) সুত্রে তিনি
বলেন, আমি আনাস (রা)ন্ণ্ক লোঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা)রুি দিয়ে তালৰিয়া পড়ছিলেন? তিনি
বললেন, আমি তাকে সাতবার (দশ-বিশ অর্থাৎ একাধিকবার) শুনেছি যে, উমরা ও হজ্জ-এর
তালবিয়৷ পাঠ করছেন ৷ ইমাম আহমদ (ব) একাকী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটি
একটি সুদৃঢ় ও বেশ উত্তম সনদ ৷ (মার প্রাপ্তিতে) আল্লাহ্বই জন্য যাবতীয় হামৃদ; তাবই সব
অনুকম্পা এবং তিনিই তাওফীক দাতা ও হিফাজতকারী ৷

ইবন হাব্বান (র) তায় সহীহ্ গ্রন্থে আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ ,(সা) হুজ্জ ও উমরা একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন, উার সাথের
লোকেরাও একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বিন্তুতভ্যন্নে এ সব সুত্রের কোন
া:কানটি উপস্থাপন করেছেন ৷ তারপর তিনি এগুলোর সমালোচনা পর্যালোচনার এমন কিছু মত
বা করেছেন যাতে ভিন্নমত রয়েছে ৷ তার বক্তব্যের সার কথা হল এক্ষেত্রে থােদ আনাস (রা)-
ই তালগােল পাকিয়ে ফেলেছেন ৷ তার পরবর্তী রাৰীগণ নয় ৷ অন্য একটি সম্ভাবনা হতে পারে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) অন্য কাউকে কিরান পদ্ধতির ইহরাম ও তালৰিয়া শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন
আনাস (বা) তা শুনতে পেয়েছিলেন এবং াসেটিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইহরাম মনে
করেছিলেন ৷ অথচ নবী করীম (সা) নিজের হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেন নি ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ তিনি আরো বলেছেন যে, আনাস ইবন মালিক (রা) ব্যতিরেকে অন্যান্যরা এ
বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত নয় ৷

গ্রহুকারের মন্তব্য : এ মন্তব্যে যে বাহ্যতই দ্বিমত (পাষণের অবকাশ রয়েছে, যে কেউ ণ্
একটু চিন্তা করলেই তা তার কাছে স্পষ্ট প্রতিভাত হবে ৷ বরং এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন না
করাই যে ইমাম বায়হাকীর জন্য উত্তম ছিল, এ কথা নির্থিধায় বলা যায় ৷ কেননা, এতে একজন
মহান সাহাবীর স্মরণ শজাি ব্যাপারে প্রশ্ন তোলায় অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে অথচ যেমন আমরা
বর্ণনা করে এলাম, বিষয়টি তার কাছ থেকে উপর্বুপরি বহু সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এছাড়া কোন
সাহাবী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য একটি বড় ধরনের গর্হিত বিষয় এবং তা হটকারিত৷ ও
অন্যায় সমালোচনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ৷ আল্পাহ্ তা আলাই সমধিক অবগত ৷

কিরান সম্পর্কে বারা ইবন আযিব (রা) এর হাদীস

হাফিজ আবু বকর আল বায়হাকী (র) বলেন, আবুল হুনায়ন ইবন বুশরান (র);;বাৱা
ইবন আযিব (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসৃলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমরা করেছেন
যার সবগুলোই ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন অইিশা (রা) বললেন, তিনি তো ভাল করেই জানেন


فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ بِهِمَا.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَفِيهِ رَدٌّ عَلَى الْحَافِظِ الْبَزَّارِ صَرِيحٌ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ أَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ وَهُوَ يُسَايِرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَإِنَّ رِجْلِي لَتَمَسُّ غَرْزَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ مَعًا.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللَّهَ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ، وَأَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ وَإِنَّهُمْ لَيَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا ; الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى الصُّبْحَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ الْبَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ. عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ: تَقَدَّمَتْ رِوَايَتُهُ عَنْهُ مَعَ رِوَايَةِ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْهُ عِنْدَ مُسْلِمٍ. عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّى بِهِمَا جَمِيعًا.» هَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ السُّنَنِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِهِمْ. قَتَادَةُ بْنُ دِعَامَةَ السَّدُوسِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ وَعَبْدُ الصَّمَدِ، الْمَعْنَى قَالَا: ثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا قَتَادَةُ قَالَ: «سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ: كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: حَجَّةً وَاحِدَةً، وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; عُمْرَتُهُ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَتُهُ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَعُمْرَتُهُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، فِي ذِي الْقَعْدَةِ حَيْثُ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ، وَعُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى بِهِ. مُصْعَبُ بْنُ سُلَيْمٍ الزُّبَيْرِيُّ مَوْلَاهُمْ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُمْ سَمِعُوهُ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا، لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا» وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُسْلِمًا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৩১


যে, তিনি তবে যে উমর ৷টির সাথে হজ্জ করেছিলেন সেটিকে সহ চা ৷রবার উমরা করেছেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয় ৷ আমার মতে (এটি সং রক্ষিত, কেননা)
আইশ ৷৷ (রা) এর সাথে সংযুক্ত বিশুদ্ধ সনদে এর অনুরুপ হাদীস একটু পরেই উল্লিখিত হবে ৷

জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র)
বলেন, আবু বকর ইবন আবু দাউদ ও মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন রামীস, আবু উবায়দ কাসিম
ইবন ইসমাঈল ও উছমান ইবন জাফর আল লাব্বান (র) প্রমুখ(সৃফয়ান ছাওরী র)

জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিনবার হজ্জ করেছেন;
দৃবার হিজরত করার আগে আর একবার হাজ্জর সাথে উমরা সৎ যুক্ত করেছেন ৷ তিরমিষী ও
ইবন মাজা (র) ও এ হাদীস সুফিয়ান ইবন সাঈদ আছ-ছাওরী (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিরমিষী (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ
(র) যায়দ ইবন হবার মাধ্যমে, সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ তারপর তিনি বলেছেন, সুফিয়ান (র) এর
হাদীস বিরল পর্যায়ের ৷ কেননা, যায়দ ইবনুল হ্বাব (র) ব্যতীত অন্য কো ন সুত্রে আমরা
হাদীসটির পরিচিতি লাভ করি নি ৷ আর আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান, রাযী (র) কে আ ৷মি
দেখেছি যে, তার পাণ্ডুলিপিাত তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ (র) সুত্রেই হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমি মুহাম্মদ (বুখারী)কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এর
পরিচিতি স্বীকার করলেন না এবং র্তাকে আ ৷মি দেখেছি যে, তিনি এটিকে সৎরক্ষিত পর্যায়ের
মনে করছেন না ৷ তিনি বলেছেন যে, ছাওরী (র) মৃজা ৷হিদ (র) সনদে মুরসাল (সাহাবীর
সাথে সং যুক্ত নয়) রুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হাকী (র) কৃত আস-সুনানুল কাৰীর এ রয়েছে ৷
আবু ঈসা তিরমিষী (র) বলেছেন, আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (র) কে এ হ দীস
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটি একটি ত্রুটিপুর্ণ (সনদের) হাদীস; প্রকৃতপক্ষে
এটি ছাওরী (র) সুত্রে মুরসাল’রুাপ রিওয়ায়াত হয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, যায়দ
ইবনুল হুবাব (র) যখন ক্রটিপুর্ণ (সনদে) রিওয়ায়াত করতেন, তখন তার কোন কিছুাত ভ্রাস্তির
শিকার হাতন ৷ অবশ্য ইবন মাজা (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন কাসিম ইবন মুহাম্মদ
ইবন আব্বাস আল-ষুহাল্পাবী (র) সুত্রে সুফিয়ান ছাওরী (র) হতে, উল্লিখিত সনদে (অর্থাৎ এ
সনদে যায়দ ইবনুল হুবাৰ্ (র) যেই ৷ অনুবাদক) ৷ এটি এমন একটি সুত্র যার অবনতি
তিরমিষী ও বায়হাকী (র) লাভ করতে পারেন নি এবং এমনকি সম্ভবত বুখারী (র)-ও নয় ৷
যেহেতু তিনি যায়দ ইবনুল হুবাব (র) কে এ হাদীসের একক বর্ণনাক৷ রী ধারণা করে তার
ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ অথচ বাস্তবে তিনি একক নন ৷ এ হাদীসের শ্া৷হিদ
(সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগ্াত ৷

জাবির (বা) হতে অন্য একটি সুত্র ও আবু ঈসা তিরমিষী (র)ষ্বলেন, ইবন আবু উমর
(আবুয-যুবায়র) জাবির (রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
মিলিয়ে করলেন এবং সে দৃটির জন্য অভিন্ন তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর তিরমিষী (র)
বলেছেন, এটি একটি উত্তম হাদীস (তিরমিষীর কোন কোন সংস্করণে হাসান (উত্তম) স্থলে
সহীহ্ (বিশুদ্ধ) শব্দ রয়েছে) ৷ ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি জাবিব (রা) সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তার হজ্জ ও উমরার জন্য একটি মাত্র


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَكَّةَ. قَالَ: فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» أَبُو أَسْمَاءَ الصَّيْقَلُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنٌ، ثَنَا زُهَيْرٌ، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الصَّيْقَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «خَرَجْنَا نَصْرُخُ بِالْحَجِّ، فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً، وَقَالَ: " لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً، وَلَكِنِّي سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ الْحَجَّ بِالْعُمْرَةِ ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ هَنَّادٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الصَّيْقَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِهِمَا.» أَبُو قُدَامَةَ الْحَنَفِيُّ - وَيُقَالُ: إِنَّ اسْمَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ - عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ «عَنْ أَبِي قُدَامَةَ الْحَنَفِيِّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي؟ فَقَالَ: سَمِعْتُهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩২
وَهُوَ إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَبِهِ التَّوْفِيقُ وَالْعِصْمَةُ. وَرَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَرَنَ الْقَوْمُ مَعَهُ» وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بَعْضَ هَذِهِ الطُّرُقِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ثُمَّ شَرَعَ يُعَلِّلُ ذَلِكَ بِكَلَامٍ فِيهِ نَظَرٌ، وَحَاصِلُهُ أَنَّهُ قَالَ: وَالِاشْتِبَاهُ وَقَعَ لِأَنَسٍ لَا لِمَنْ دُونَهُ، وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ سَمِعَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُ غَيْرَهُ كَيْفَ يُهِلُّ بِالْقِرَانِ، لَا أَنَّهُ يُهِلُّ بِهِمَا عَنْ نَفْسِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ غَيْرِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَفِي ثُبُوتِهِ نَظَرٌ. قُلْتُ: وَلَا يَخْفَى مَا فِي هَذَا الْكَلَامِ مِنَ النَّظَرِ الظَّاهِرِ لِمَنْ تَأَمَّلَهُ، وَرُبَّمَا كَانَ تَرْكُ هَذَا الْكَلَامِ أَوْلَى مِنْهُ، إِذْ فِيهِ تَطَرُّقُ احْتِمَالٍ إِلَى حِفْظِ الصَّحَابِيِّ مَعَ تَوَاتُرِهِ عَنْهُ كَمَا رَأَيْتَ آنِفًا، وَفَتْحُ هَذَا يُفْضِي إِلَى مَحْذُورٍ كَبِيرٍ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. حَدِيثُ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فِي الْقِرَانِ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهُ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي حَجَّ مَعَهَا.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৩
আজঃকািায়াংওক্রোনিহাব্য ২৩৫
তাওয়াফ্ করেছিলেন ৷ (প্রাসংগিক মন্তব্য) তিরমিযীর সনদের হাজ্জাজ হলেন ইবন আরতাৎ-
ই ৷ ইমামদের অনেকেই র্ডার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷

তবে একটি সুত্রেও (আবুয যুবায়রএর মাধ্যমে) হযরত জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে
বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন ন্হাফিজ আবু বকর আর বাঘৃমার (র) তার মুসনাদে বলেছেন, মুকদ্দোম
ইবন মুহাম্মদ (র) (আবুয-যুব্যয়র) জাৰির (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) (মক্কার) এলেন এবং হজ্জ ও উমরা মিলিয়ে করলেন এক তিনি হাদী সাথে নিয়ে এলেন
এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, ওন্ণ্ষ্০ শ্লে ;প্ঞা ১ন্ণ্ ণ্এ (এে “যারা হড়াদীকে মালা পরার
নি তারা এটিকে উমরায় পরিণত করুক ৷ তারপর ৰাঘৃযার (র) বলেন, “এ সম্পর্কে জাবির
(বা) হতে এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷
বস্তুত বড়ামৃযার (র) জর মুসনাদে এ সুত্রে একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ এ সুত্রের সনদটি অতি
বিরল ধরনের এবং এ সুত্রে হয় গ্রন্থের কোন একটিতেও হাদীসটি উদ্ধৃত হয় নি ৷ অল্লোহ ই
সমধিক অবগত ৷

অৰবুতাদহা বাবদ: ইবন সাহস অনেসরীি (না)-এর ৰিওয়ারাত

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআৰিয়াইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আবু তালহ৷ (বা) আমাকে অবগত করেছেন যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রে করেছেন ৷ ” ইবন মজাে (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র)
(আবু মুআৰিয়া) সনদে তার ভাষ্য “রাসুলুল্পাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা কিরানরুপে করেছেন ৷
(এ সনদের অন্যতম) রানী হাজ্জাজ ইবন আরতাত (র)-এর কিছু দৃর্বলতা রয়েছে ৷ অল্লোহ্
সমধিক অবগত ৷

সুরক্ষা ইবন ম্দাি ইবন ল্যাং বো)এম্ ব্লিওয়শ্নোত
ইমন্ম আহমদ (য়) ধ্ল্দোন্ মাকী ইবন্ ইব্রাহীম (র) সুরকাে (রা) সুত্রে বলেন আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি



“কিয়ামত পর্যস্তের জন্য উমর হলোঃ মাঝে প্ৰবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ” তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বিদায় হচজ্জ কিরান করেছিলেন ৷

-স৷ দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) এর রিওয়ায়াত, এ মর্মে যে, নবী কয়ীম (সা) উমরার সাথে
হজ্জ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন, আর তাই হল কিরান ৷

ইমাম মালিক (র) বলেন, ইবন শিহাব (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন নাওফন ইবনুদ
হাশ্রিহু ইবন আবদুস মুত্তালিব তাকে (ইবন শিহাবকে) এ মর্মে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি
সাদ ইবন আবু ওয়কােস ও যাহ্হড়াক ইব ন কারস (না)-কে মুআবিয়া ইবন আবু সৃফিয়ান (রা)-
এর হজ্জ করার বছর হলোঃ সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় আলোচনা করতে
শুনেছেন ৷ যাহ্হাক (রা) বললেন, “আল্লাহর বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ ণ্লাকেরা ছাড়া কেউ তা
করতে পারে না ৷ সাদ (রা) বললেন, ভাতিজা ! খুবই মন্দ কথা তুমি বললে ! মাহ্হাক (র)


لَيْسَ هَذَا بِمَحْفُوظٍ. قُلْتُ: سَيَأْتِي بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ إِلَى عَائِشَةَ نَحْوُهُ. رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ رُمَيْسٍ، وَالْقَاسِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرٍ اللَّبَّانُ وَغَيْرُهُمْ، قَالُوا: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الصُّوفِيُّ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ حِجَجٍ ; حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ، وَحَجَّةٌ قَرَنَ مَعَهَا عُمْرَةً.» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ بِهِ. أَمَّا التِّرْمِذِيُّ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنْ سُفْيَانَ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، وَرَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - يَعْنِي الدَّارِمِيَّ - رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي كُتُبِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا، فَلَمْ يَعْرِفْهُ، وَرَأَيْتُهُ لَا يَعُدُّهُ مَحْفُوظًا. قَالَ: وَإِنَّمَا رُوِيَ عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلًا. وَفِي " السُّنَنِ الْكَبِيرِ " لِلْبَيْهَقِيِّ قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيَّ، عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ خَطَأٌ، وَإِنَّمَا رُوِيَ هَذَا عَنِ الثَّوْرِيِّ مُرْسَلًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَكَانَ زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ إِذَا رَوَى حِفْظًا رُبَّمَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৪


বললেন, তা হলে উমর ইবনুল পাতায় (বা) যে তা নিষেধ করতেন্যম্বী তখন মাস (বা)
বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না) তো তা করেছেন এবং তার সঙ্গে থেকে আমরাও তা করেছি ৷;
তিরমিষী ও নাসাঈ (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) মালিকসনদে ৷
তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন এটি একটি সহীহ্ হাদীস ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেছেন,
ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র)গুনায়ম (র) বলেন, আমি ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-কে তামাত্তু
হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, “আমরা তা করেছি, যখন এ ণ্লাকটি মক্কায়
কাফির অবস্থায় ছিল” ৷ এতে তিনি মুআবিয়৷ (রা) কে বুঝিয়েছিলেন ৷ আহমদ (র) এভাবে

ৎহ্মেগে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) এর গ্রন্থে এ রিওয়ায়তে সুফিয়ান ইবন
সাঈদ আছ ছাওরী, ও না, মারওয়ান আল ফাযারী ও ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ আল কাততান
(র) ণ্ডনায়ম ইবন কায়স (র) সুত্রে (বলেন) আমি না দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) কে তামাত্তু
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, আমর৷ তাে তা করেছিই , আর তখন এ লোকটি
মক্কায় অবস্থানকারী কাফিয় ছিল ৷ ” রাবী ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) তার রিওয়ায়া তে ব্যলছেন-
অর্থাৎ মুআবিয়৷ (বা) ৷ আর আবদুর রায্যাক (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুতামির
ইবন সুলায়মান (র) ও আবদুল্লাহ্ ইবনৃল ঘুবারক (র) ওনায়ম ইবন কায়স (র) বলেন, আমি
স৷ দ (রা) কে হরুংজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি
বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে তা করেছি, তখন এ সােকটি কাফির ছিল ৷ অর্থাৎ
মক্কায় এবং সােকটি দ্বার৷ উদ্দিষ্ট হলেন মুআবিয়া (রা) ৷ দ্বিতীয় হাদীসটি সনদের মানদণ্ডে
অধিকতর বিশুদ্ধ এরং আমরা তা উল্লেখ করলাম সবলকরণ উদ্দেশ্যে; এর উপর নির্ভর করে
নয় ৷ কেননা, প্রথম হাদীসটিও বিশুদ্ধ সনদযুক্ত এবং এটির তাষ্য অনাটির র্তুলনায় অধিকতর
স্পষ্ট ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ ন্

আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : তাবারানী (র) বলেন, সাঈদ ই-বৃন

তিনি বলেন, রাসুলুলাহ্ (না) হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করেছিলেন ৷ এ কারণে যে, তিনি বুবাক্ত ত
পেরেছিলেন যে ঐ বছরের ?ারে হজ্জ করতে পারবেন না ৷

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবুন নাবৃর (র)
(দাউদ আল কাত্তান)ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
চারটি উমরা করেছেন (এক) হুদায়ৰিয়ার উমরা (দুই) কায৷ উমরা, (তিন) জ্জিররানা হতে
এবং (চার) যেটি ছিল তার হলোঃ সাখে ৷ আবু দাউদ, তিরমিষী ও ইবন মাজা (র) এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেনইবন আব্বাস (রা)-এর সনদে বিভিন্ন সুত্রে তিরমিষী (র) বলেছেন,
হাসান গরীব একক সুত্রীয় উত্তম বর্ণনা ৷ অনুরুপ, তিরমিষী (র) সাঈদ ইবন আবদুর রহমান
(র)ইকরিম৷ সনদেও যুরসালরুগে এটি রিওয়ায়াত করেছেন৷ হাফিজ বায়হাকী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয আল-বাগাবী
(র)(দাউদ ইবন আবদুর রহমান আল অভােব)সনদে ৷ এতে তিনি বলেছেন, “চতুর্থ :যেটি
তিনি তার হষ্কজ্জর সাথে সং যুক্ত করেছিলেন ৷” তারপর আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয
বলেন, দাউদ ইবন আবদুর রহমান ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে


غَلَطَ فِي الشَّيْءِ. وَأَمَّا ابْنُ مَاجَهْ فَرَوَاهُ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بِهِ. وَهَذِهِ طَرِيقٌ لَمْ يَقِفْ عَلَيْهَا التِّرْمِذِيُّ وَلَا الْبَيْهَقِيُّ، وَرُبَّمَا وَلَا الْبُخَارِيُّ حَيْثُ تَكَلَّمَ فِي زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ ظَانًّا أَنَّهُ انْفَرَدَ بِهِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ جَابِرٍ: قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، وَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا.» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَفِي نُسْخَةٍ: صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «لَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا طَوَافًا وَاحِدًا لِحَجِّهِ وَلِعُمْرَتِهِ.» قُلْتُ: حَجَّاجٌ هَذَا هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ، وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَلَكِنْ قَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا، كَمَا قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا مُقَدَّمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُقَدَّمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خَيْثَمَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ فَقَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَسَاقَ الْهَدْيَ. وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ لَمْ يُقَلِّدِ الْهَدْيَ فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ".» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: وَهَذَا الْكَلَامُ لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنْ جَابِرٍ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৫
بِهَذَا الْإِسْنَادِ. انْفَرَدَ بِهَذِهِ الطَّرِيقِ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ "، وَإِسْنَادُهَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَلَيْسَتْ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ السِّتَّةَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ أَبِي طَلْحَةَ زَيْدِ بْنِ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا حَجَّاجٌ - هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ - عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِإِسْنَادِهِ، وَلَفْظُهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ فِيهِ ضَعْفٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ الزَّرَّادَ، يَقُولُ: «سَمِعْتُ النَّزَّالَ بْنَ سَبْرَةَ صَاحِبَ عَلِيٍّ يَقُولُ: سَمِعْتُ سُرَاقَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ". قَالَ: وَقَرَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ.» رِوَايَةُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَمَتَّعَ بِالْحَجِّ إِلَى الْعُمْرَةِ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৬


বর্ণনা করেন নি ৷ তারপর বায়হাকী (র) বুখাবী (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
দাউদ ইবন আবদুর রহমান সত্যবাদীরাবী, তবে মাঝে মধ্যে তিনি ৰিভ্রান্তির শিকার হন ৷ আর
উমর (বা) হতে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বুখারী (র)-এর রিওয়ায়াত পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে তিনি বলেছেন, ওয়াদীল আকীকে’ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে করেছি, “আমার
প্ৰতিপালকের পক্ষ হতে জনৈক আপমনকারী আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করল এবং বলুন হরুজ্জর সাথে উমরা ৷ ” সম্ভবত এ হাদীসই ইবন
আব্বাস (না)-এর বর্ণনার সনদ ও উৎস ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

আবদুল্লাহ্ন্ ইবন উমর (না)-এর রিওয়ায়াত : বুখারী ও মুসলিম (র)-এর বিওয়ায়াত পুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে, লায়ছ (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, বিদায় হভ্রুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্
(সা) তামাত্তু করেছিলেন এবং হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ হাদী নিয়ে এসেছিলেন যুল-হুলড়ায়ফা
থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) প্রথমে উমরার ইহরাম ৰাধেন তারপর হরুজ্জর নিয়াত করেন ৷ সাঈ
ইত্যাদির পরেও হালাল না হওরাসহ পুর্ণ হাদীস ইতােপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ বিশদ
আলোচনার পরে সে ক্ষেত্রে আমরা সাবাস্ত করে এসেছি যে, নবী করীম (সা) এর এ তামাত্তু
ৰিশেস তামাত্তু অর্থে ফি! না; বরং তিনি কিরান করেছিলেন ৷ কেননা, এ কথা উদ্ধৃত হয়েছে
যে, তিনি তামাত্তু পালনকাৰী ছিলেন না ৷ যেহেতু তিনি হজ্জ ও উমরার জন্য অভিন্ন সাঈ
করেছিলেন, যা কিরান পালনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটাই জম্হুরের’ অভিমত ৷ বর্ণনা
পরে আসছে ৷

হাফিজ আবু য়ালা আল-মাওসিলী (মসুল) বলেছেন, আবু খারছামা (র) ইবন উমর (রা)
সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার কিরানের জন্য একটি মাত্র তাওয়াফ করছিলেন এবং সে দুরের
(হজ্জ ও উমরা) মাঝে হলোল হন নি এবং পথ থেকে হাদী খব্লিদ করে নিয়ে এসেছিলেন ৷ এ
সনদটি জ্যয়িৰুদ, বেশ উওম ৷ এর রাবীগণ সকলেই নির্ত্যযােগ্য ৷ তবে (আবু খায়ছামার
ন্-শারর) ইরাহ্য়া ইবনৰুয়ামড়ান (র); মুসলিম শরীফের রাবী : তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও সুফিয়ান
ছাওরী (বা) হতে গৃহীত তীর হাদীসসয়ুহে অ্যাহণযোণ্যতা রয়েছে ৷ আল্লাহুই সমধিক অবগত ৷
তাছাড়া ইবন উমর (রা)-এর রিওয়ায়াতের ইফরাদ’ এর উদ্দেশ্য হ্যজ্জ র কার্যক্রমকে ইফরাদ
ও স্বতন্ত্রকরণ ৷ ইমাম শাফিঈ (র) এর অনুসারীবর্পের স্থিব্লিকুত বািশষ ইফরাদ’ তথা প্রথমে
হজ্জ করার পরে যিলহজ্জ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে উমরা পালন ইবন উমর (রা) এর
উদ্দিষ্ট ছিল না ৷ আমার এ বক্তব্যের প্রাধান্য প্রমাণ করবে শাফিঈ (র) এর বক্তব্য মালিক
(র)ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাজ্জয় আগে উমরা পালন ও হাদী নিয়ে আসা
হক্কজ্জ্বর পরে যিলহজ্যের অবশিষ্ট দিনগুলোর্তে উমরা পালনের চাইতে আমার কাছে অধিক
পসন্দনীয় ৷

আবদুল্লাহ ইবন আমর (না)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আমর
(রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহু (সা) কিরান করেছিলেন বায়তৃল্লাহ্ হতে
বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশং কার ৷ আর তইি তিনি বলেছিলেন :)শ্৩ন্এ ণ্া-: ষ্র্ন্তএ ণ্৷ :৷ হজ্জ না
করা গেলে এটা হবে উমরা ৷ সনদ ও মতন (মুল পাঠ) বিচারে এ হাদীসটি বিরল ৷ ইমাম
আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সনদের বিরলতা থােদ ইমাম আহমদ (র) (আবু


الْقِرَانُ: قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ، «أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَامَ حَجَّ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ يَذْكُرُ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقَالَ الضَّحَّاكُ: لَا يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلَّا مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ. فَقَالَ سَعْدٌ: بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي. فَقَالَ الضَّحَّاكُ: فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَنْهَى عَنْهَا. فَقَالَ سَعْدٌ: قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ،» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ - يَعْنِي التَّيْمِيَّ - حَدَّثَنِي غُنَيْمٌ قَالَ: «سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: فَعَلْنَاهَا وَهَذَا كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ.» هَكَذَا رَوَاهُ مُخْتَصَرًا. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، وَشُعْبَةَ وَمَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ طَرْخَانَ التَّيْمِيِّ، سَمِعْتُ غُنَيْمَ بْنَ قَيْسٍ «سَأَلْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فِي رِوَايَتِهِ: يَعْنِي مُعَاوِيَةَ.» وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، كِلَاهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ «سَأَلْتُ سَعْدًا عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ: فَعَلْتُهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৭
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ» يَعْنِي مَكَّةَ، وَيَعْنِي بِهِ مُعَاوِيَةَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي أَصَحُّ إِسْنَادًا، وَإِنَّمَا ذَكَرْنَاهُ اعْتِضَادًا لَا اعْتِمَادًا، وَالْأَوَّلُ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَهُوَ أَصْرَحُ فِي الْمَقْصُودِ مِنْ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ الطَّبَرَانِيُّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: «إِنَّمَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ ; لِأَنَّهُ عَلِمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ حَاجًّا بَعْدَ ذَلِكَ الْعَامِ.» رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي الْعَطَّارَ - عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَالثَّالِثَةَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، وَالرَّابِعَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارِ الْمَكِّيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلًا. وَرَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৮


আহমদের শায়খ) রাৰী : ইউনুস ইবনুল হায়িস আচ্ওহাকাফী (র) সম্পর্কে বলেছেন, ইনি
হাদীসে অস্থির বর্ণনাদাতা (মুখতাবিব) ৷ তিনি তাকে মাঈফ্ন্ও বলেছেন ৷ অনুরুপ ইয়াহয়া
ইবন মাঈন (র) তার এক বর্ণনার ক্ষেত্রে এবং নসােঈ (র)-ও (সার্বিকভাবে) তাকে যাঈফ
সাবস্ত করেছেন ৷ আর মতন ও মুল পাঠের বিরলতা এ কারণে যে, তিনি যে বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিরান করেছিলন ৷ বায়তুল্পাহ্ হতে বধোপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকায়’, এখানে প্রশ্ন
আগে যে, নবী কয়ীম (না)-কে বায়তুল্লাহ্ হতে বাধা দেওয়ার মত এমন কে ছিল তখন? তখন
তো আল্লাহ্ তার জন্য ইসলামকে সরল ও বিজয়ী করে দিয়েছেন, পবিত্র শহর (মক্কা) বিজিত
হয়ে গিয়েছে এবং বিগত বছর হজের মওসৃমে মিনার অঙ্গনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে, এ
বছরের পরে কোন মুশরিক হজ্জ করবে না, কোন ট্যাগ বায়তুল্পাহ্ তাওরাক করবে না ৷
তাছাড়া বিদায় হাজ্জ (মদীনা হতেই) প্রায় চল্লিশ হাজার লোক নবী কৰীম (না)-এর সহযাত্রী
হয়েছিলেন ৷

সুতরাং বায়তুল্পাহ্ হতে বাধা গ্ৰাপ্ত হওয়ার অশেঙ্কায় তার এ উক্তিটি তেমনি বিস্ময়কর
যেমন বিস্ময়কর আলী (রা)-কে বলা আষীরুল মুমিনীন উছমান (রা)-এর উক্তি ৷ যখন আলী
(রা) তাকে বলেছিলেন, “আপনি তো জানেনই যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এসে
তামাত্তু (কিরান) করেছিলাম ৷ জবাবে উছমান (রা) বলেছিলেন, হী, তবে আমরা তখন শঙ্কিত
ছিলাম ৷ জ্যি আমি বুঝতে পারি না এ ভয় ও শষ্কাকে কোন অর্থেপ্ৰয়োগ করা হবেঃ তা যে
কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই হোক না কেন, তবে ইা, যেহেতু এটি একড্ডা মহান সাহাৰীর
বিওয়ায়াত যা তিনি তার ধারণাকৃত কোন অর্থে প্রয়োগ করে বিবৃত করেছেন ৷ অতএব তার
বর্ণনা তো বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য; তবে তার ধারণাটি ত্রুটি মুক্ত নয় ৷ সুতরাং তা বষ্নািকারীর
ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং অন্যদের মুকাবিলায় তা প্ৰমাণরাপে গণ্য হবে না ৷ তবে, এতে
তার রিওয়ড়ায়াতটি প্রত্যাখ্যান হওয়া অনিবার্য হবে না ৷ আবদুল্লাহ ইবন আমৃর (রা)-এর
বিওয়ড়ায়াতটিও যদি তার পর্যন্ত সনদ সুত্র সাব্যস্ত হয়ে যায়, অনুরুপ (বিশুদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধারণা

প্ৰসুত) সাব্যস্ত হবে ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

ইমরান ইবন হুসায়ন (না)-এর বিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন
জাফর ও হাজ্জাজ (র)মুতাররিফ (র) সুত্রে বলেন, ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) আমাকে
বললেন, আমি তোমার কাছে একখানি হাদীস বর্ণনা করছি, আশা করি আল্পাহ্ তা দিয়ে
তোমাকে উপকৃত করবেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না) তার হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছিলেন এবং
তার ওকাত পর্যন্ত তা আর নিষেধ করে মান নি এবং এ বিষয়টি হারাম ঘোষণা করে কুরআনও
অবতীর্ণ হয় নি ৷ আর (একটি বিষয়) এই যে, তিনি আমাকে সালাম করতেন, পরে আমি
কায়’১ লাপালে তিনি (সালাম চ্দয়া হতে) বিরত রইলেন ৷ অবাের আমি তা বর্জন করলে তিনি
পুনরায় আমাকে সালাম দিতে শুরু করলেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইরনুল মুছান্না ও
মুহাম্মদ ইবন ইয়সাের (র) সুত্রে এবং ইমাম নাসাঈ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল অলো (র)



১ করে ( , প্ৰু) রাত আষ্ঠীয় রোপের প্রবল প্ৰকোণে দোহ৷ গরম করে তবে দাগ দেয়ার কক্টদায়ক চিকিত্সা
ব্যবস্থা ৷ অনুবাদক


الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْحَسَنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْبَغَوِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الرَّبِيعِ وَشِهَابِ بْنِ عَبَّادٍ، كِلَاهُمَا عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارِ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ: الرَّابِعَةُ الَّتِي قَرَنَهَا مَعَ حَجَّتِهِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَيْسَ أَحَدٌ يَقُولُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. ثُمَّ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْبُخَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ: دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ صَدُوقٌ، إِلَّا أَنَّهُ رُبَّمَا يَهِمُ فِي الشَّيْءِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِوَادِي الْعَقِيقِ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» فَلَعَلَّ هَذَا مُسْتَنَدُ ابْنِ عَبَّاسٍ فِيمَا حَكَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَأَهْدَى فَسَاقَ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ. وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي عَدَمِ إِحْلَالِهِ بَعْدَ السَّعْيِ، فَعُلِمَ كَمَا قَرَّرْنَاهُ أَوَّلًا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا التَّمَتُّعَ الْخَاصَّ، وَإِنَّمَا كَانَ قَارِنًا ; لِأَنَّهُ اكْتَفَى بِطَوَافٍ وَاحِدٍ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৯


মুতাররিক (র) সুত্রে ইমরান (বা) হতে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অনুরুপ, মুসলিম
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াত শুব৷ (র)-ণ্ডু সাঈদ ইবন আবু আরুবা (ব)ইমরান ইবনুল
হুসারন (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছেন
(পুর্ণ হাদীস) ৷ হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র) বলেছেন, হুমায়দ ইবন হিলাল (র) শুবা
(র)-এর হাদীসটি (অনুচ্ছেদের প্রথম বিওরায়াত) বিশুদ্ধ ৷ আর মুতাররিফ (র) হতে কাতাদা
(র) সুত্রে গৃহীত শুব৷ (র)-এর হাদীস, তা বাকিয়্যা ইবনুল ওলীদ (ব)-ও শুব৷ (র) হতে
অনুরুপ ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর গুনদার (র) প্রমুখ রিওয়ারাত করেছেন (সাঈদ ইবন আবু
আরত্রা সুত্রে) কাতাদা (র) থেকে ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : নাসাঈ (র)-ও তার সুনানে আমুর ইবন আলী আল ফাললাস (র) সুত্রে,
ইমরান ইবনুল হুসড়ায়ন (বা) হতে এ হাদীসটি রিওয়ারাত করেছেন ৷ আল্লাহ যথার্থ অবগত ৷
তবে সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে হাম্মাম (র) (কতোদা মুতাররিক) ইমরান ইবনুল হুসায়ন (বা)
হতে প্রামাণ্য রিওয়ান্নাত রয়েছে যে, তিনি (ইমরান) বলেন, “আমরা ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুাগ
তামাত্তু (কিরান) করেছি ৷ তারপর তা হারাম সাবাস্ত করে কুরআন নাযিল হয় নি এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার ওফাত পর্যন্ত তা নিষিদ্ধ করে যান নি ৷”

আল হিরমাস ইবন যিয়াদ আল বাইিলী (রা)-এর বিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র)-এব পুত্র
আবদুল্লাহ (র) বলেন, রারুৰ্ শহরের বাসিন্দা আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ইবন ইমরান ইবন আলী
(র) (মুলত যিনি ইসপাহানী ছিভ্রুল্যা)আল হিরমাস (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি আমার
পিতার সহআরােহী ছিলাম ৷ তখন নবী কবীম (না)-কে দেখলাম তিনি একটি উটের পিঠে
ছিলেন আর তিনি বলছিলেন ওগ্লুণ্ , হ্৮ ১এ এন্াহুত্র “আপনার সকাশে হাযির এক সাথে
হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এ হাদীস সুনান গ্রহসমুহের শর্তানুরুপ, তবে তার! এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷

উম্মুল মুসির্নীন হাফ্স৷ ৰিনৃত উমর (রা)-এর ব্লিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র) বলেন,
আবদুর রহমান (র)হাফ্সা (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী কবীম (না)-কে
বললেন, আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন? জবাবে তিনি বললেন-


“আমি মাথা (আঠাল দ্রব্য দিয়ে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে ’মাল৷ পব্লিয়েছি, তইি
কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হলোল হন না ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়েও এ হাদীসটি উদ্ধৃত হয়েছে ৷
র্তাদের ভায্যে রয়েছে যে, হাফ্সা (বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! লোকদের অবস্থা কী ? তারা
তো উমরা থেকে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন?
তিনি বললেন, “আমি আমার হাদীকে মালা’ পরিচয়ছি এবং মাথা জড়িয়েছি, তইি (হাদী)
যবইি না করা পর্যন্ত আমি হালাল হন না ৷ ” ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, শুআয়ব ইবন
আবু হামমা (র)নাফি (র) সুত্রে বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলতেন, নবী কয়ীম
(না)-এর সহধর্মিণী হাফসা (রা) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জা
সময় তার সহধর্মিণীগণকে হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন ৷ তখন তাদের একজন র্তাকে
বললেন, “আপনাকে হালাল হওয়াতে বিরত রাখছে কোন বিষয়?” তিনি বললেন-


الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ عَنْ حَجِّهِ وَعُمْرَتِهِ، وَهَذَا شَأْنُ الْقَارِنِ عَلَى مَذْهَبِ الْجُمْهُورِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ طَوَافًا وَاحِدًا لِإِقْرَانِهِ، لَمْ يُحِلَّ بَيْنَهُمَا وَاشْتَرَى مِنَ الطَّرِيقِ. يَعْنِي الْهَدْيَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ، إِلَّا أَنَّ يَحْيَى بْنَ يَمَانٍ - وَإِنْ كَانَ مِنْ رِجَالِ مُسْلِمٍ - فِي أَحَادِيثِهِ عَنِ الثَّوْرِيِّ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّا يُرَجِّحُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَرَادَ بِالْإِفْرَادِ الذى رَوَاهُ إِفْرَادَ أَفْعَالِ الْحَجِّ، لَا الْإِفْرَادَ الْخَاصَّ الَّذِي يَصِيرُ إِلَيْهِ أَصْحَابُ الشَّافِعِيِّ - وَهُوَ الْحَجُّ ثُمَّ الِاعْتِمَارُ بَعْدَهُ فِي بَقِيَّةِ ذِي الْحِجَّةِ - قَوْلُ الشَّافِعِيِّ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: لَأَنْ أَعْتَمِرَ قَبْلَ الْحَجِّ وَأُهْدِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَعْتَمِرَ بَعْدَ الْحَجِّ فِي ذِي الْحِجَّةِ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ - يَعْنِي الزُّبَيْرِيَّ - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا قَرَنَ خَشْيَةَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ، وَقَالَ: " إِنْ لَمْ تَكُنْ حَجَّةٌ فَعُمْرَةٌ ".» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ سَنَدًا وَمَتْنًا. تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ الْإِمَامُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪০
أَحْمَدُ. وَقَدْ قَالَ أَحْمَدُ فِي يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ الثَّقَفِيِّ هَذَا: كَانَ مُضْطَرِبَ الْحَدِيثِ. وَضَعَّفَهُ، وَكَذَا ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فِي رِوَايَةٍ عَنْهُ، وَالنَّسَائِيُّ. وَأَمَّا مِنْ حَيْثُ الْمَتْنِ فَقَوْلُهُ: إِنَّمَا قَرَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَشْيَةَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ. فَمَنِ الَّذِي كَانَ يَصُدُّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَنِ الْبَيْتِ؟ وَقَدْ أَطَّدَ اللَّهُ لَهُ الْإِسْلَامَ، وَفَتَحَ الْبَلَدَ الْحَرَامَ، وَقَدْ نُودِيَ بِرِحَابِ مِنًى أَيَّامَ الْمَوْسِمِ فِي الْعَامِ الْمَاضِي أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَقَدْ كَانَ مَعَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ قَرِيبٌ مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَمَا هَذَا بِأَعْجَبَ مِنْ قَوْلِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّا تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: أَجَلْ وَلَكِنَّا كُنَّا خَائِفِينَ. وَلَسْتُ أَدْرِي عَلَامَ يُحْمَلُ هَذَا الْخَوْفُ؟ وَلَا مِنْ أَيِّ جِهَةٍ كَانَ؟ إِلَّا أَنَّهُ تَضَمَّنَ رِوَايَةَ الصَّحَابِيِّ لِمَا رَوَاهُ، وَحَمَلَهُ عَلَى مَعْنًى ظَنَّهُ، فَمَا رَوَاهُ صَحِيحٌ مَقْبُولٌ، وَمَا اعْتَقَدَهُ فَلَيْسَ بِمَعْصُومٍ فِيهِ، فَهُوَ مَوْقُوفٌ عَلَيْهِ، وَلَيْسَ بِحُجَّةٍ عَلَى غَيْرِهِ، وَلَا يَلْزَمُ مِنْهُ رَدُّ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ. وَهَكَذَا قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو لَوْ صَحَّ السَّنَدُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عِمْرَانِ بْنِ حُصَيْنٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَحَجَّاجٌ، قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، سَمِعْتُ مُطَرِّفًا قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৯৪১



“আমি আমার মাথা (আঠাল দ্রবাে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে মালা পরিয়েছি, তইি
আমার হড়াদী যবাই না করা পর্যন্ত হালাল হচ্ছি না ৷ আহমদ (র) আরো বললেন, ইয়াকুব ইবন
ইবরাহীম (র)আেবদৃল্লাহ্ ইবন উমর) হাফসা বিনৃত উমর (বা) হতে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ র্তার (পরিবারের) নারীদের উমরা করে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আমরা
বললাম, “আমাদের সাথে আপনার হালাল হয়ে যাওয়াতে কোন বিষয় বাধা সৃষ্টি করছে ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, “আমি হড়াদী নিয়ে এসেছি এবং মাথায় আঠাল্যে বস্তু লাগিয়েছি,
তইি আমার হাদী যৰাই না করা পর্যন্ত হালাল হব না ৷ তারপর আহমদ (র) রিওয়ারাত
করেছেন, কাহীর ইবন হিশাম (র)হাফসা (রা) সুত্রে ৷ এ হাদীসে তো এ কথাই রয়েছে যে,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উমরা পালনকারী ছিলেন এবং তা থেকে হালাল হন নি৷ আর ইভােপুর্বে
উল্লিখিত ইফরাদঔ সম্পর্কিত হাদীসসমুহে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি হজ্যেরও ইহরাম
করেছিলেন ৷ সুতরাং এ দৃই হড়াদীসের সমন্বিত অর্থ দাড়ায় এই যে তিনি কিরান করেছিলেন ৷
সেই সাথে এ বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা সম্বলিত রিওয়ারাতসমুহ তাে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

উম্মুল ঘু মিনীন হযরত আইশা (রা)-এর রিওয়ারাত : বুখারী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
মাসলামা নবী সহধর্মিণী অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বিদায় হচ্ছে আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা উমরার জন্য ইহরাম করলাম ৷ তারপর নবী
কবীম (সা) ইরশাদকরলেন

“যার যা ড়াথে হাদী রয়েছে যে উমরার সাথে হজ্যে ইহরাম বেধে সেরে, তারপর সে হালাল
হয়ে না, অবশেষে একত্রে দু’টি থেকে হালাল হবে ৷” (অইিশা রা বলেন) আমি মক্কায়

পৌছলাম ঋতুবভী অবস্থায় ৷ তইি আমি বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করলাম না, সফোমারওয়ায়ও
না ৷ আমি এ বিষয় রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে করিয়াদ জানালাম ৷ তিনি বললেন-

“তোমার বেনী (ণ্খড়াপা) খুলে ফেল, চিরুনী ব্যবহার কর এবং হরুজ্জর ইহরাম বীধো ও
উমরা ছেড়ে দাও ৷” (আইশা রা বলেন) আমি তাই করলাম ৷ আমি হজ্জ সমাধা করলে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে (আমার ভাই) আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা)এর সাথে
তানঈমে’ পাঠিয়ে দিলেন ৷ তখন আমি উমরা করলাম ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন :ম্বর্ন্তস্ :১১
এত্র)এশ্ “এটি তোমার উমরার (ইহৱামের) স্থান ৷” অইিশা (রা) বললেন, মারা উমরার ইহরাম
করেছিলেন তারা ৰায়তুল্পাহ্র তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পর হালাল হয়ে
গেলেন ৷ তারপর মিনা হতে ফেরার পরে তারা আর একবার তাওয়াফ সাঈ করলেন ৷ আর
যারা হজ্জ্ব-উমরা একত্রিত করেছিলেন তারা একরাবই মাত্র (সাফা-মারওয়ার) সাঈ করলেন ৷
মুসলিম (র) ও মালিক (র) সুত্রে এরুপ রিওয়ারাত করেছেন ৷ তারপর তিনি (মুসলিম) আবদৃ
ইবন হুমায়দ (র)অইিশা (বা) সুত্রেও রিওয়ারাত করেছেন ৷ অইিশা (রা) বলেন, বিদায়


قَالَ لِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ ; «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَمَعَ بَيْنَ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ، ثُمَّ لَمْ يَنْهَ عَنْهُ حَتَّى مَاتَ، وَلَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ فِيهِ يُحَرِّمُهُ، وَإِنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ، فَلَمَّا اكْتَوَيْتُ أَمْسَكَ عَنِّي، فَلَمَّا تَرَكْتُهُ عَادَ إِلَيَّ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ» الْحَدِيثَ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدِيثُ شُعْبَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ مُطَرِّفٍ صَحِيحٌ، وَأَمَّا حَدِيثُهُ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، فَإِنَّمَا رَوَاهُ عَنْ شُعْبَةَ كَذَلِكَ بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَقَدْ رَوَاهُ غُنْدَرٌ وَغَيْرُهُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا النَّسَائِيُّ فِي " سُنَنِهِ " عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلَّاسِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، وَفِي نُسْخَةٍ: عَنْ سَعِيدٍ. بَدَلَ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، فَذَكَرَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৪২
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ: «تَمَتَّعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ يُحَرِّمُهُ، وَلَمْ يُنْهَ عَنْهَا حَتَّى مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» رِوَايَةُ الْهِرْمَاسِ بْنِ زِيَادٍ الْبَاهِلِيِّ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي عَلِيٍّ أَبُو مُحَمَّدٍ، مِنْ أَهْلِ الرَّيِّ وَكَانَ أَصْلُهُ أَصْبَهَانِيًّا، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنِ الْهِرْمَاسِ قَالَ: «كُنْتُ رِدْفَ أَبِي فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى بَعِيرٍ وَهُوَ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا ".» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. رِوَايَةُ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «عَنْ حَفْصَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لَكَ لَمْ تُحِلَّ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي، فَلَا أُحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ. زَادَ الْبُخَارِيُّ: وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ. زَادَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৩


হজের বছর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাথে বের হলড়াম ৷ আমি উমরার ইহরড়াম রাধলাম ৷
আমি হাদী সাথে নেই নি ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “যার সাথে হাদী রয়েছে সে যেন তার
উমরার সাথে হভ্রুজ্জর ইহরড়াম বেধে নেয়, যে বানান হবে না ৷ অবাশষে দু টি হতে একত্রে
হাসাল হবে

এখানে হাদীসটি উল্লেখে আমার উদ্দেশ্য, নবী করীম (সা)-এর বাণী “যার সাথে হাদী
রয়েছে যে উমরার সাথে হাজ্জ্বর ইহরাম বীধবে ৷ এখন নবী কবীম (সা)-এর সাথে যে হড়াদী
ছিল তা তো সকলেরই জানাকথা ৷ তা হলে, এ বিধান বাস্তবায়নে তিনিই সর্বপ্রথম ও সবার
আগে থাকবেন ৷ কেননা, স্বীকৃত নীতি অনুসারে যিনি যা বলেন, তা তার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম
প্রযোজ্য ৷ দ্বিতীয়ত আইশা (বা) বলেছেন, র্যার৷ হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করার নিয়ত করেছিলেন
র্তারা একবার সাঈ করেছিলেন ৷ অন্য দিকে ঘুসলিম (র) আইশা (বা) হতে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফা-মারওয়ার মাঝে একবারমাত্র সাঈ করেছিলেন ৷ এতে বুঝা
যায় যে, তিনিও হজ্জ-উ মর৷ এ কত্রে করেছিলেন ৷ এছাড়া মুসলিম (র) এর আর একটি
রিওয়ায়াত রয়েছে হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) আইশা (বা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাদী তো ছিল
নবী কবীম (সা) এর সাথে এবং আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সঙ্গতিসম্পন্নদের সাথে ৷
তৃতীয়ত আইশা (বা) উত্তহুপে করেছেন যে, নবী করীম (সা) হজ্জ ও উমর৷ দুটির মধ্যখানে
হালাল হন নি; সুতরাং তিনি তামাত্তু পালনকারী ছিলেন না ৷

হযরত আইশা (রা) আরো উল্লেখ করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে র্তাকে
তানঈম হতে উমর৷ করাবার আবদার জানিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
লোকেরা হজ্জ ও উমর৷ নিয়ে যাচ্ছে আর আমি শুধু হজ্জ নিয়ে বারো ? তখন নবী করীম (সা)
তাকে তার ভাই আবদুর রহম্ান ইবন আবু বকর (বা) এর সাথে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি তাকে
তানঈম হতে উমরার ইহরাম বাধিয়ে আনলেন ৷ কিং নবী করীম (সা) নিভ্রুজও হহ্মের পরে
উমর৷ করেছেন এমন উল্লেখ পাওয়া যায় না ৷ সুতরাং ড়াতিনি ইকরাদ পালনকারী ছিলেন না ৷
অথচ বিদায় হজ্যে তিনি যে উমরাও আদায় করেছিলেন, তাতে রয়েছে বর্ণনাকাবীদের
ঐকমত্য ৷ কাজেই বুঝা গেল যে, তিনি কিরান পালন করেছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক
অবগত ৷

তাছাড়া হাফিজ বায়হাকী (র)-এর পুর্বোল্লিখিত্ত রিওয়ায়াত : ইয়াষীদ ইবন হারুন (র)
বাবা ইবন আযিব (বা) সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনবার
উমর৷ করেছেন, যার সবগুলো ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন আইশা (বা) বললেন, তিনি (বাবা)
তো জানেন যে, রাসুলুল্লাই (সা) তার হভ্রুজ্জর সাথের উমরাটি নিয়ে (মোট) চারটি উমরা
করেছিলেন ৷ বায়হড়াকী (র) ৰিরােধপুর্ণ’ ( ধ্ষ্এেএ১া৷ ) অনুচ্ছেদে বলেছেন ৷ ককীহ্ আবু বকর
ইবনুল হারিছ (র) যুজাহিদু (র) সুত্রে তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) কে জিজ্ঞেস করা হল
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়টি উমর৷ করেছিলেন? তিনি বললেন, দু বার ৷ তখন আইশা (রা)
বললেন, ইবন উমর (রা) অবশ্যই জানেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমর৷ করেছিলেন যে
উমরাটি ছাড়া যা তিনি বিদায় হ্যজ্জর সাথে একত্রে করেছিলেন ৷ তারপর বায়হাকী (র)
বলেছেন, এটি একটি নিদেষি’ সনদ ৷ তবে এটি ঘুরসাল’ কেননা, অনেক যুহাদ্দিছের উক্তি


مُسْلِمٌ: وَابْنِ جُرَيْجٍ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. «وَفِي لَفْظِهِمَا أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي قَلَّدْتُ هَدْيِي، وَلَبَّدْتُ رَأْسِي، فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ قَالَ: قَالَ نَافِعٌ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ: «أَخْبَرَتْنَا حَفْصَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ. فَقَالَتْ لَهُ فُلَانَةُ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَحِلَّ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلَسْتُ أُحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي ".» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ، «أَنَّهَا قَالَتْ: لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ بِعُمْرَةٍ، قُلْنَا: فَمَا يَمْنَعُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ تَحِلَّ مَعَنَا؟ قَالَ: " إِنِّي أَهْدَيْتُ وَلَبَّدْتُ فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، فَذَكَرَهُ. فَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مُتَلَبِّسًا بِعُمْرَةٍ، وَلَمْ يَحِلَّ مِنْهَا، وَقَدْ عُلِمَ بِمَا تَقَدَّمَ مِنْ أَحَادِيثِ الْإِفْرَادِ أَنَّهُ كَانَ قَدْ أَهَلَّ بِحَجٍّ أَيْضًا، فَدَلَّ مَجْمُوعُ ذَلِكَ أَنَّهُ قَارِنٌ، مَعَ مَا سَلَفَ مِنْ رِوَايَةِ مَنْ صَرَّحَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৪


মতে মুজাহিদ (র) আইশা (বা) থেকে (সরাসরি) হাদীস শুনেন নি ৷ আমার মতে, শুবা (র)
তা (আইশা (বা) হতে মুজা হিদের সরাসরি শ্রবণ) অস্বীকার করেছেন, কিন্তু বুখারী-মুসলিম
(ব) তো তার যথার্থতা গ্নমাণিত করেছেন৷ আল্লাহ্ই সমধিব ন্ অবগত ণ্

অন্য দিকে, কাসিম ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর ও উরওয়া ইবনুয যুবায়র (ব)
প্রমুখ সুত্রে আ ৷ইশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, বিদায় হরুজ্জর সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে হাদী ছিল ৷ সেই সাথে তানঈম হতে হযরত আ ৷ইশার কার্যক্রম এবং পরে মুহাসসাবে
মক্কাব৷ ৷সীদের কাছে নবী করীম (সা) এর অবতরণকালে (আ ইশা-এব) তার সাথে একত্রিত
হওয়া এবং সেখানে অবস্থান করে মক্কায় ফজর সালাত আদায় করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন এ সব
প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) র্তার ঐ হদুজ্জর পরে উমর৷ করেন নি এবং কোনও
সাহাৰী ত৷ উদ্ধৃত করেছেন বলে আমার জ ৷ন৷ নেই ৷ আর এ কথাও জানা রয়েছে যে, তিনি দুটি
পর্বের (হজ্জ ও উমরার) মাঝে হল ৷ল হন নি এবং কেউ এমন বিওয়ায়াও ও করেন নি যে,
বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ায় সা ৷ঈর পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা ঘুণ্ডন কবিয়েছেন,
কিৎবা চুল ছেটেছেন বা (অন্য কােনভ৷ বে) হালাল হয়েছেন ৷ বরং সর্বসম্মতভা বে তিনি
ইহরামের অবস্থায় রয়েছেন এবং এমন উদ্ধৃতিও পাওয়া যায় নি যে, তিনি মিনায় যাওয়ার
প্রকারুল (সাতআট তারিখে) হরুজ্জর জন্য নতুন ইহরাম বেধেছেন ৷ অতএব, প্রমাণিত হল যে, ন্
তিনি তামাত্তু পালনঃকারী ছিলেন না ৷

মােটকথা, এ কথা সর্বসম্মত যে, নবী করীম (সা) ৰিদৃায় হবুজ্জর বছর উমরা করেছিলেন,
তারপর দুই আমলের মাঝে হালাল হন নি; হৰ্জ্জ্বর জন্য নতুন ইহরাম বাত্তবন নি এবং হরুজ্জর
পরে উমরাও করেন নি ৷ সুতরাং কিরান হওয়া অবধাবিত ৷ এ যুজিং জবাব সত্যই কঠিন ৷
আল্লা ৷হ্ই সমধিক অবগত

ভিন্ন দৃষ্টিকোণে ইফরাদ ও ভাষা ৷ভু সম্পর্কিত বিওয়ায়াতকাবিগণ যে ৰিষয়টিতে অস্বীকৃতি

কিংবা নিরবতা অবলম্বন করেছেন ৷ কিরানের বিওয়ায়াত ৩াই সাব্যস্ত করেছেন ৷ অতএব,
উসুলে হাদীসের’ বিধান (নির্ভরযোগ্য রাবীর অতিরিক্ত বর্ণন৷ গ্রহণযোগ্য) মতে কিরান বিষয়ক
বিওয়ায়াত অহ্া৷ ৷ধিকা ৷রযোগ্য ৷

আবু ইমরান (ব) হতে বর্ণিত, তিনি তার মাওলা১দের সাথে হজ্জ করতে গেলেন ৷ তিনি
বলেন, আ ৷মি উম্মু স৷ ৷লামা (রা) এর ক৷ ছে গিয়ে বললাম, হে উম্মুল মু মিনীন! আ ৷মি আগে কখনো
হজ্জ করি নি; এখন কো ৷নটি দিয়ে শুরু করব উমরা দিয়ে না কি হজ্জ দিয়ে? তিনি বললেন,
“তোম৷ ৷ব যা ৷ইচ্ছা সেটি দিয়ে শুরু করতে পড়ার ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, তারপর আ ৷মি উম্মুল মু মিনীন
সাফিয়্যা (রা) এর কাছে গিয়োতাকেও জিজ্ঞা ৷সা করলাম, তিনিও আম৷ বুক অনুরুপ বললেন ৷

তখন আমি আবার উম্মু সালাম৷ (রা) এর কাছে এসে তার্কে সাফিয়্যা (বা) এর উক্তি
সম্পর্কে অবহিত করলাম ৷ এবার উম্মু সালাম৷ (রা) আম৷ ৷কে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
আমি বলতে ১-ওনেছি




১ আযাদকারী মনিব ও আষাদকৃত গোলাম উভয়কে মাওলা ( ষ্এঙুশ্১) বলা হয় ৷ অনৃবাদক


بِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ، ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهَا جَمِيعًا ". فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ فَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ، وَدَعِي الْعُمْرَةَ ". فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ، فَقَالَ: " هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ ". قَالَتْ: فَطَافَ الَّذِينَ كَانُوا أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ حَلُّوا، ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى، وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا.» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ، وَلَمْ أَكُنْ سُقْتُ الْهَدْيَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ عُمْرَتِهِ، لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا ".» وَذَكَرَ تَمَامَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৫
الْحَدِيثِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَالْمَقْصُودُ مِنْ إِيرَادِ هَذَا الْحَدِيثِ هَاهُنَا قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ ".» وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ، فَهُوَ أَوَّلُ وَأَوْلَى مَنِ ائْتَمَرَ بِهَذَا ; لِأَنَّ الْمُخَاطِبَ دَاخِلٌ فِي عُمُومِ مُتَعَلَّقِ خِطَابِهِ عَلَى الصَّحِيحِ، وَأَيْضًا فَإِنَّهَا قَالَتْ: وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا. يَعْنِي بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ طَوَافًا وَاحِدًا.» فَعُلِمَ مِنْ هَذَا أَنَّهُ كَانَ قَدْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: فَكَانَ الْهَدْيُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَذَوِي الْيَسَارِ» . وَأَيْضًا فَإِنَّهَا ذَكَرَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَتَحَلَّلْ مِنَ النُّسُكَيْنِ، فَلَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا، وَذَكَرَتْ أَنَّهَا سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، وَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَرْجِعُ النَّاسُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَنْطَلِقُ بِحَجٍّ؟ فَبَعَثَهَا مَعَ أَخِيهَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، فَأَعْمَرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ بَعْدَ حَجَّتِهِ فَلَمْ يَكُنْ مُفْرِدًا، فَعُلِمَ أَنَّهُ كَانَ قَارِنًا ; لِأَنَّهُ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৬


হে মুহাম্মদ পরিবার! তোমাদের মাঝে যারা হজ্জ করবে তারা যেন হস্কজ্জর সাথে উমরার
ইহরাম বীধে ৷” ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর
ইবন হামম (র) হাজ্জাতুল ৰিদা’-এ এ হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন লায়ছ ইবন সাদ (ব)
উম্মু সালামা (রা) সুত্রে ৷

অনুচ্ছেদ : বিওরায়াতসমুহের সমন্বয় সাধন

কেউ যদি প্রশ্ন করেন আপনারা সাহাৰীদের অনেকের বরাতে এ মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন
যে, নবী করীম (সা) ইফরাদ হজ্জ করেছিলেন ৷ তারপর সে অভিন্ন মনীষীবর্গ ও অন্যদের বরাতে
এ রিওয়ায়াতও করেছেন যে, তিনি হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছিলেন ৷ এখন এতে সমন্বয় হবে
কী রুপে ? এর জবাব এই যে, যারা তার ইফরাদ হজ্জ করার রিওয়ায়ড়াত বর্ণনা করছেন তা এ
অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে যে, তিনি হাজ্জব আ ৷নুষ্ঠানিকতা ৷গুলোকে এককতাবে আদায় করেছেন
এবং উমরা (এর ক্রিয়াওলো) নিয়ত ,কর্য ও সময়ের দিক থেকে হভ্রুজ্জ্বর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল ৷
আর এতেই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি হজ্জ-এর জন্যে কৃত তাওয়াফ্ ও সাঈকে হজ্জ ও উমরা
উতয়টির জন্যে যথেষ্ট মনে করেছেন যা কিরান ক্ষেত্রে জমহুর ও গরিষ্ঠ সংখ্যক ইমামের
মাযহাব ৷ তবে এ £ক্ষাত্র ইমাম আবু হানীফা (র)-এর দ্বিমত রয়েছে ৷ যেহেতু তিনি কিরান
পালনকারীর জন্য দু টি ৩াওয়া শ্ এবং দু টি সা ঈ পালনের অভিমত পোষণ করেছেন এবং এ
বিষয় হযরত আলী (রা) হতে বণিত হাদীসের উপরে নির্ভর করেছেন ৷ অবশ্য তার সাথে ঐ
হাদীসের সনদের সম্পৃক্তি প্ৰশ্নাতীত নয় ৷ আর যে বর্গনাকারিগণ তামাত্তু সম্পর্কিত রিওয়ায়াতের
পরে কিরান সম্পর্কিত রিওয়ায়াতও করেছেন, তার জবাব তো আমরা আগেই উল্লেখ করে
এসেছি যে, পুর্ববর্তী যুগের আলিমগণের বক্তব্যে তামাত্তু শব্দ ব্যাপক অর্থে ৰিশেব তামাত্তু ও
রুিরান’ এ উতয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ৷ ববং হরুজ্জর মাসওলোতে’ শুধু উমরা করা তার সাথে
হজ্জ একেবারেই না থাকলেও, একেও তারা ঐ নামে অভিহিত করতেন ৷ যেমন সাদ ইবন আবু
ওরকোস (রা) বলেছেন, ”আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে থেকে তামাত্তু’ করেছি, যখন এ
সোকটি, অর্থাৎ ঘুআবিয়৷ (রা) মক্কায় কাফিররুগে জীবন-যাপন করছিল ৷ এ ক্ষেত্রে অবশ্যই
হুদায়বিয়া অথবা উমরাতৃল কায৷ এ দুঢির কোন একটি বুঝিয়েছেন ৷ কেননা, জিইররানার
উমরার সময় তো মুআৰিয়৷ (রা) মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন ৷ কারণ, তা ছিল মক্কা বিজয়ের
পরে ৷ আর বিদায় হজ্জ তাে ছিল তারও পরে দশম হিজরীতে ৷ সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷

যদি এমন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় যে, আবু দাউদ তায়ালিসী (র)-এর ঘুসনাদে বর্ণিত
রিওয়ায়াতটির জবাব কী? হিশীম (ব)মুআৰিরা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এব একদল সাহাবীকে বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) চিতা বাঘের
চামড়া ব্যবহার নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, ছু৷ (তাই) ৷ মৃআবিয়৷ (রা)
বললেন, আমিও সে সাক্ষী দিচ্ছি ৷ মুআৰিয়া বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (পুরুষের জন্য) খণ্ডিত
আকারে ছাড়া স্বর্ণালং কার পরিধান নিষেধ করেছেন ৷ তারা বললেন, আল্লাহর কলম! হা
(তাই) ৷ তিনি বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করতে
নিষেধ করেছেন? তীরা বললেন, আল্পাহ্ সাক্ষী না (তেমন নয়) ৷ তখন মুআবিয়৷ (রা) বললেন,


بِاتِّفَاقِ النَّاسِ قَدِ اعْتَمَرَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّهُ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهُ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي حَجَّ مَعَهَا.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الْخِلَافِيَّاتِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حِبَّانَ الْأَصْبَهَانِيُّ، أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ شَرِيكٍ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ: كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَرَّتَيْنِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ ثَلَاثًا، سِوَى الْعُمْرَةِ الَّتِي قَرَنَهَا مَعَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ.» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا إِسْنَادٌ لَا بَأْسَ بِهِ لَكِنْ فِيهِ إِرْسَالٌ ; مُجَاهِدٌ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَائِشَةَ فِي قَوْلِ بَعْضِ الْمُحَدِّثِينَ. قُلْتُ: كَانَ شُعْبَةُ يُنْكِرُهُ، وَأَمَّا الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ فَإِنَّهُمَا أَثْبَتَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৭
وَفِي إِعْمَارِهَا مِنَ التَّنْعِيمِ وَمُصَادَفَتِهَا لَهُ مُنْهَبِطًا عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ وَبَيْتُوتَتِهِ بِالْمُحَصَّبِ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ بِمَكَّةَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ.» وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَعْتَمِرْ بَعْدَ حَجَّتِهِ تِلْكَ، وَلَمْ أَعْلَمْ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ نَقَلَهُ. وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ لَمْ يَتَحَلَّلْ بَيْنَ النُّسُكَيْنِ، وَلَا رَوَى أَحَدٌ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ طَوَافِهِ بِالْبَيْتِ وَسَعْيِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَلَقَ وَلَا قَصَّرَ وَلَا تَحَلَّلَ، بَلِ اسْتَمَرَّ عَلَى إِحْرَامِهِ بِاتِّفَاقٍ، وَلَمْ يُنْقَلْ أَنَّهُ أَهَلَّ بِحَجٍّ لَمَّا سَارَ إِلَى مِنًى، فَعُلِمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا. وَقَدِ اتَّفَقُوا عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَلَمْ يَتَحَلَّلْ بَيْنَ النُّسُكَيْنِ، وَلَا أَنْشَأَ إِحْرَامًا لِلْحَجِّ، وَلَا اعْتَمَرَ بَعْدَ الْحَجِّ، فَلَزِمَ الْقِرَانُ وَهَذَا مِمَّا يَعْسُرُ الْجَوَابُ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَيْضًا فَإِنَّ رِوَايَةَ الْقِرَانِ مُثْبِتَةٌ لِمَا سَكَتَ عَنْهُ أَوْ نَفَاهُ مَنْ رَوَى الْإِفْرَادَ وَالتَّمَتُّعَ، فَهِيَ مُقَدَّمَةٌ عَلَيْهَا، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي عِلْمِ الْأُصُولِ. وَعَنْ أَبِي عِمْرَانَ أَنَّهُ حَجَّ مَعَ مَوَالِيهِ، قَالَ: «فَأَتَيْتُ أُمَّ سَلَمَةَ فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي لَمْ أَحُجَّ قَطُّ، فَبِأَيِّهِمَا أَبْدَأُ ; بِالْعُمْرَةِ أَمْ بِالْحَجِّ؟ قَالَتْ: ابْدَأْ بِأَيِّهِمَا شِئْتَ. قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُ صَفِيَّةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَسَأَلْتُهَا، فَقَالَتْ لِي مِثْلَ مَا قَالَتْ. قَالَ: ثُمَّ جِئْتُ أُمَّ سَلَمَةَ فَأَخْبَرْتُهَا بِقَوْلِ صَفِيَّةَ، فَقَالَتْ لِي أُمُّ سَلَمَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " يَا آلَ مُحَمَّدٍ، مَنْ حَجَّ مِنْكُمْ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فِي