سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

পৃষ্ঠা - ৩৮৬৬


ষ্ : শ্যেম্পো ধরনের হজ্জ উমরা আদায় করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হস্কজ্জর আগে উমরা
গ্ষ্ল্টো এবং তা থেকে হালাল’ হয়ে গিয়েছিলেন কিংবা (খ) হড়াদী’১ সাথে নিয়ে
মোঃ মিঃ হাললে হতে পারেন নি ৷ দুই : তিনি হরুজ্জর সাথে সম্মিলিতভাবে উমরা
মোঃ ন্ন্ব্বান২ ধরনের হজ্জ সম্পাদন করেছিলেন ৷ এ দাবীর প্রমাণবহ হাদীস
ন্নে ফ্যাস্থানে উল্লেখ করব ৷ তিন : কিৎবা তিনি উমরা থেকে সম্পুর্ণ পৃথকরুপে হজ্জ আদায়
ন্সর ইব্বাদং ধরনের হজ্জ পালন করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হজ্জ সম্পাদনের পরে উমরা আদায়
ৰদ্বছিলেন ৷ নবী করীম (না)-এর ইফরাদ হজ্জ পালনের অভিমত পোষণকারিগণ এক্ষেত্রে
ইফরাদের অনুরুপ ব্যাখ্যাই দিয়েছেন ৷ যেমনটি ইমাম শাফিঈ (র)-এর অভিমত বলে প্রসিদ্ধি
রয়েছে ৷ নবী করীম (সা) ইহরাম শুরু করার সময় ইফরড়াদ কিৎবা কিরান কিৎবা তামাডু এর
নিয়ত করেছিলেন এ বিষয়ের আলোচনা ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টির নিষ্পত্তির প্রয়াস পাব ৷

বুখারী (র) বলেন, আমৃর ইবন খালিদ (র)যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে এ মর্মে

বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) উনিশঢি পাযওয়া (যুদ্ধ) করেছেন এবং হিজরত করে
যাওয়ার পরে তিনি একবার মাত্র হজ্জ পালন করেছেন; (মধ্যবর্তী রড়াবী) আবু ইসহাক (র)
বলেন, আর (এর আগে) মক্কায় তিনি আর একটি হজ্জ আদায় করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) এ
হড়াদীসটি আহরণ করেছেন যুহায়র (র) থেকে ৷ তবে আবু ইসহাক (র)-এর এ বক্তব্য যে, নবী
করীম (সা) মক্কায় আর একটি হজ্জ আদায় করেছেন ৷ যাতে বাহ্যত তিনি বুঝাতে চেয়েছেন
যে, মক্কা শরীফে তিনি একবারের অধিক হজ্জ করেন নি ৷ এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কেননা,
রিসালাতপ্রাপ্তির পরে নবী করীম (সা) হস্কজ্জর মওসৃমে নিয়মিত উপস্থিত থেকে লোকদের

আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতেন এবং তাদের বলতেন-

— এ্যা১ এ ১০ ঞ
“এমন কোন পুরুষ রয়েছে যে আমাকে আশ্রয় দেবে, যাতে আমি আমার প্ৰতিপালকের

বাণী পৌছিয়ে দিতে পারি; কেননা, কুরায়শীরা আমার মহান ও মহীয়ান প্ৰতিপালকের বাণী

পৌছিয়ে দেয়ায় আমাকে বাধা দিয়েছে ৷ অবশেষে আল্লাহ তার জন্য আনসায়ীদের দলটিকে

নিবেদিত করে দিলেন, যারা আকাবার রাতে’ অর্থাৎ জিলহরুজ্জর দশ তারিখের সল্যায়

জামরড়াতুল আকাবার’ কাছে পর পর তিন বছর তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং এর শেষ বছরে
তারা তার হাতে আকাবার দ্বিতীয় বায়আত সম্পাদন করেন ৷ এটি ছিল তার সাথে তাদের



১ তামাত্ত্ব (প্লুৰু^১ ) বহিরাগত হাজীদের জন্য প্রথমে শুধু উমরার ইহরামে উমরা সম্পাদনের পর (ইহরাম খুলে
হালাল হয়ে) পুনরায় হ্যজ্জর নিকটবর্তী সময়ে শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বেধে তা সম্পাদন করাকে তামাভু হজ্জ বলে
এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুতামাত্তি’ বলে ৷ তামাডু শব্দটির অর্থ ফায়দ৷ হাসিল করা, উপকার লাভ করা ৷

২ মক্কা শরীফে জবাই করার উদ্দেশ্যে হাজী সাহেবান যে পশু (উট) সাথে নিয়ে যান, তাকে হাদী’ বলা হয় ৷

৩ কিরান ( @)এ ) একসাথে হজ্জ ও উমরার সম্মিলিত ইহরাম বেধে প্রথমে উমরা আদায় করে (হড়ালাল না
হয়ে) যথাসময় ঐ ইহরাম দিয়ে হজ্জ আদায় করা হলে তাকে কিরান; (সম্মিলিত) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ
আদায়কারীকে কারিন বলা হয় ; অনুৰাদক

৪ হ₹জ্জর সময় শুধুমাত্র হন্থজ্জর ইহরাম বেধে (উমরা সংযুক্ত না করে) তা আমার করলে তাকে ইফরাদ
(একক বা স্বতন্ত্র) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুফরিদ বলা হয় ৷ অনুবাদক


[حَجَّةُ الْوَدَاعِ فِي سَنَةِ عَشْرٍ] [حَجَّةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَتْ] كِتَابُ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي سَنَةِ عَشْرٍ وَيُقَالُ لَهَا حَجَّةُ الْبَلَاغِ، وَحَجَّةُ الْإِسْلَامِ، وَحَجَّةُ الْوَدَاعِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَدَّعَ النَّاسَ فِيهَا، وَلَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا. وَسُمِّيَتْ حَجَّةَ الْإِسْلَامِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ غَيْرَهَا، وَلَكِنْ حَجَّ قَبْلَ الْهِجْرَةِ مَرَّاتٍ قَبْلَ النُّبُوَّةِ وَبَعْدَهَا. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ فَرِيضَةَ الْحَجِّ نَزَلَتْ عَامَئِذٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ. وَقِيلَ: قَبْلَ الْهِجْرَةِ. وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَسُمِّيَتْ حَجَّةَ الْبَلَاغِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَلَّغَ النَّاسَ شَرْعَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ قَوْلًا وَفِعْلًا، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ مِنْ دَعَائِمِ الْإِسْلَامِ وَقَوَاعِدِهِ شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ بَيَّنَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَلَمَّا بَيَّنَ لَهُمْ شَرِيعَةَ الْحَجِّ وَوَضَّحَهُ وَشَرَحَهُ أَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَيْهِ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا} [المائدة: 3] (الْمَائِدَةِ: 3) وَسَيَأْتِي إِيضَاحٌ لِهَذَا كُلِّهِ. وَالْمَقْصُودُ ذِكْرُ حَجَّتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَيْفَ كَانَتْ، فَإِنَّ النَّقَلَةَ اخْتَلَفُوا فِيهَا اخْتِلَافًا كَثِيرًا جِدًّا، بِحَسَبِ مَا وَصَلَ إِلَى كُلٍّ مِنْهُمْ مِنَ الْعِلْمِ، وَتَفَاوَتُوا فِي ذَلِكَ تَفَاوُتًا كَثِيرًا، لَا سِيَّمَا مَنْ بَعْدَ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَنَحْنُ نُورِدُ بِحَمْدِ اللَّهِ وَعَوْنِهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ مَا ذَكَرَهُ الْأَئِمَّةُ فِي كُتُبِهِمْ مِنْ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ، وَنَجْمَعُ بَيْنَهَا جَمْعًا يُثْلِجُ قَلْبَ مَنْ تَأَمَّلَهُ وَأَنْعَمَ النَّظَرَ فِيهِ، وَجَمَعَ بَيْنَ طَرِيقَتَيِ الْحَدِيثِ وَفَهِمِ مَعَانِيهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِاللَّهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৭
اعْتَنَى النَّاسُ بِحَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتِنَاءً كَثِيرًا مِنْ قُدَمَاءِ الْأَئِمَّةِ وَمُتَأَخِّرِيهِمْ، وَقَدْ صَنَّفَ الْعَلَّامَةُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ الْأَنْدَلُسِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، مُجَلَّدًا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَجَادَ فِي أَكْثَرِهِ، وَوَقَعَ لَهُ فِيهِ أَوْهَامٌ، سَنُنَبِّهُ عَلَيْهَا فِي مَوَاضِعِهَا، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৮




তৃডীয়বারের একত্রিত হওয়ার ঘটনা ৷ এ এ ৷ রআওের শ্লেশ্রুত্যি৩ হিজরত সংঘটিত হল (যার
বিশদ বিবরণ যথাস্থানে আমরা প্রদান করে এসেছি) ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

হযরত জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) সুত্রে জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন
(বা) এর রিওয়ায়াতে রয়েছে জাৰির (বা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত মদীনায়
অবস্থান করলেন ৷ তখনো তিনি হজ্জ করেন নি ৷ তারপর লোকদের মাঝে হজ্জ যাত্রার ঘোষণা
দিলেন ৷ ফলে মদীনায় বিশাল জনসমাগম হল ৷ যিলকদের পড়াচ দিন কিৎবা চারদিন বাকী
থাকাকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাত্রা শুরু করলেন ৷ যুল হুলায়ফায় উপনীত হয়ে তিনি সালাত
আদায় করণেণ, তারপর ওার বাহনে আরোহণ করণোণ ৷ বাহন ওাফ্লো নিয়ে প্রাম্ভরের পথ
বয়সে তিনি তালবিয়ড়া (লাব্বায়কা ) পাঠ করলেন; আমরাও সাথে সাথে লাব্বায়ক উচোরণ
করলাম ৷ আমাদের তখন হজ্জ ব্যতিরেকে অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ মুসলিম (র) বর্ণিত
সুদীর্ঘ হাদীসটি পরে বিবৃত হবে এ হাদীসের ভাষ্য ৷

আবু দুজানা সিমাক ইবন হারশা আর সাঈদী (বা) (মতাতরে) সিবা ইবন
উঃাকাতা আল গিফারী (বা)-কে মদীনায় স্থলাভিষিক্ত করে

রফ্তোহ্ (না)-এর বিদায় হহ্রজ্জ্ব যাত্রা শুরু

মুহাম্মদ ইবন ইগ্হাৰ (র) বলেন দশম হিকর্ভৰীর যিলকদ মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হহ্বজ্জ্বর
প্রস্তুতি নিতে লাগ্দ্যে এবং সেস্ফোকও প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ এ বিষয় আবদুর
রহমান ইবনুল কাসিম (ইবন মুহাম্মদ) (র)ননী জ্জীম (না) সহধ্নীি হযরত স্রাইশা (রা)-
এর বরাতে আমাকে বলেছেন, অইিশা (বা) বলেন, ৰিলকদের পাচ রাত বাকী থাকতে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ এ সনদটি বেশ উত্তম ৷ ইমাম মালিক (র)
র্তার মুআত্তা গ্রন্থে ইয়াহ্য়ড়া ইবন সাঈদ আলআনসারী (র) হতেআইশা (বা)-এর বরাতে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ হাদীসটি সহীহ্ বুখারী-ঘৃসলিমসহ সুনানই নাসাঈ, ইবন মড়াজা ও
মুসান্নাফ ইবন আবু শায়বাতে ইয়াহ্য়ড়া ইবন সাঈদ আল-আনসারী (র) থেকে বিভিন্ন সুত্রে
আইশা (বা) হতে উল্লিখিত হয়েছে তিনি বলেন, আমরা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে বের হলাম
যিলকদ মাসের পড়াচদিন বাকী থাকতেই আমরা হজ্জ ব্যতিরেকে আর কিছু ভাবছিলাম না
(সুদীর্ঘ হাদীস) বুখারী (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আল-ঘুকড়াদ্দাঘী (র)ইবন
আববাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী করীম (মা) বাবা আচড়িয়ে তেল লাগিয়ে সেলাইৰিহীন
লুঙ্গি পরে ও চাদর পায়ে দিয়ে মদীনা থেকে রওনা করলেন ৷ জাফরান দিয়ে রং করা কাপড়
যা গায়ের তুরেৰু হলদে রং মেখে দেয় তেমন কাপড় ব্যতীত কোন লুঙ্গি ও চাদর ব্যবহার করা
তিনি শিবের করলেন না ৷ যুল হুলায়ফায় সকাল বেলা তিনি নিজের বাহনে আরোহণ করলেন
এবং অবশেষে বায়দা প্রান্তরে উপস্থিত হলেন ৷ এটা ছিল যিলকদের পড়াচ দিন বাকী থাকাকালে
এবং যিলহক্রুজ্জর পড়াচ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তিনি মক্কায় এসে পৌছলেন ৷ বুবারী (র)
এককডাবে এ বংনাি দিয়েছেন ৷

পর্যালোচনা ০ং যিলকদের পড়াচদিন বাকী থাকাকালেশ্ এটা যুলশ্হুলায়ফায় অবস্থানের
সকাল বেলায় কথা হলে ইবন হাঘৃম (র) ইবন ইসহাক (র) এর বক্তব্য যথার্থ হবে ৷ তীর দাবী

৬ ণোণোণো(হ্রান্ব্রা৷€গাে০ওোড়া





[بَيَانُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَّا حَجَّةً وَاحِدَةً وَأَنَّهُ اعْتَمَرَ قَبْلَهَا ثَلَاثَ عُمَرٍ] بَابُ بَيَانِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَّا حَجَّةً وَاحِدَةً وَأَنَّهُ اعْتَمَرَ قَبْلَهَا ثَلَاثَ عُمَرٍ كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، عَنْ هُدْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، إِلَّا الَّتِي فِي حَجَّتِهِ.» الْحَدِيثَ. وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ ; عُمْرَةٌ فِي شَوَّالٍ وَعُمْرَتَيْنِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ.» وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৯
وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ اعْتَمَرَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي الْعَطَّارَ - عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَةُ الْقَضَاءِ، وَالثَّالِثَةُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، وَالرَّابِعَةُ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ الْعَطَّارِ، وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ. وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْفَصْلُ عِنْدَ عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ وَسَيَأْتِي فِي فَصْلِ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ قَارِنًا. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. فَالْأُولَى مِنْ هَذِهِ الْعُمَرِ عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ الَّتِي صُدَّ عَنْهَا، ثُمَّ بَعْدَهَا عُمْرَةُ الْقَضَاءِ - وَيُقَالُ: عُمْرَةُ الْقِصَاصِ. وَيُقَالُ: عُمْرَةُ الْقَضِيَّةِ - ثُمَّ بَعْدَهَا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ، مَرْجِعَهُ مِنَ الطَّائِفِ حِينَ قَسَّمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ فِي مَوَاضِعِهِ، وَالرَّابِعَةُ عُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ، وَسَنُبَيِّنُ اخْتِلَافَ النَّاسِ فِي عُمْرَتِهِ هَذِهِ مَعَ الْحَجَّةِ ; هَلْ كَانَ مُتَمَتِّعًا بِأَنْ أَوْقَعَ الْعُمْرَةَ قَبْلَ الْحَجَّةِ وَحَلَّ مِنْهَا؟ أَوْ مَنَعَهُ مِنَ الْإِحْلَالِ مِنْهَا سَوْقُهُ الْهَدْيَ؟ أَوْ كَانَ قَارِنًا لَهَا مَعَ الْحَجَّةِ؟ كَمَا نَذْكُرُهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الدَّالَّةِ عَلَى ذَلِكَ، أَوْ كَانَ مُفْرِدًا لَهَا عَنِ الْحَجَّةِ بِأَنْ أَوْقَعَهَا بَعْدَ قَضَاءِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৭০


হল নবী করীম (সা) বৃহস্পতিবার মদীনা হতে বের হয়ে জুমআর (পুর্ববর্তী) রাত যুল-
হুলায়ফায় অবস্থান করেন এবং জুমআর দিন সকাল সেখানেই হয় ৷ তা ছিল যিলকদের পচিশ
তারিখ ৷

আর যদি যিলকদের পাচদিন বাকী থাকাকালে বলে ইবন আব্বাস (বা) চুল আচড়ানাে,
তেল লাগানো ও ইয়ার-চাদর পরিবারের পর নবী করীম (না)-এর মদীনা হতে রওনা হওয়ার
দিন বুঝিয়ে থাকেন যেমন আইশা ও জাৰির (বা) বলেছেন যে, যিলকদের পা“চদিন বাকী
থাকতে র্তার৷ মদীনা’ হতে বের হয়েছিলেন ৷ তা হলে ইবন হাঘৃম (রা)-এর বক্তব্য অগ্রাহ্য
হয়ে যাবে এবং তা গ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে ৷ তখন ভিন্নমতই গ্রহণীয় হবে ৷ কিন্তু
যিলকদকে পুর্ণ ত্রিশদিনের মাস ধরলে রওনা হওয়ার দিনটি শুক্রবার বলা ছাড়া ভিন্ন মতের
অবকাশ থাকবে না (কেননা, ঐ বছরের যিলহজ্জ মাস বৃহস্পতিবারে শুরু হওয়া নিশ্চিত ৷
অতএব, যিলকদ মাস পুর্ণ ত্রিশদিনের মাস হলে পাচদিন বাকী থাকতে অর্থাৎ পচিশ তারিখ
শুক্রবার হতে হয়) ৷ অথচ মদীনা থেকে নবী করীম (সা)-এর শুক্রবার রওনা হওয়াও স্বীকৃত
নয় ৷ কেননা, বুখারী (র)এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, মুসা ইবন ইসমাঈল (র)আনাস ইবন
মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সাথে নিয়ে মদীনায়
চার বাকআত যুহরের সালাত আদায় করলেন, আর আসর আদায় করলেন যুলহুলায়ফায়
দু’রড়াকআত৷ তারপর সকাল হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর বাহনে আরোহণ
করে বায়দা প্রাতরেণ্ গিয়ে উপস্থিত হন ৷ তিনি মহা ড়ান-মহীয়ান আল্লাহর হাম্দ ও তাসবীহ্ পাঠ
করলেন,৩ তারপর হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাধলেন ৷ মুসলিম ও নাসাঈ (র) উভয় এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন, কুতায়বা (র)আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) যুহর সালাত মদীনায় চার বাকঅড়াত আদায় করলেন আর আসর যুল-হুলায়ফায় দুই
রাকআত আদায় করলেন ৷ আহমদ (র) বলেছেন, আবদুর রহমান (র)আনড়াস ইবন মালিক
(বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহর মদীনায় চার রাকআত আদায়
করলেন আর আসর আদায় করলেন যুল-হুলায়ফাতে দুই রাকআত ৷ বুখারী (র) মুসলিম আবু
দাউদ, নাসাঈ (র) প্রমুখও বিভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

আহমদ (র) আরো বলেছেন ইয়াকুব (ব)আনাস ইবন মালিক আল-অড়ানসাৰী (বা)
হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সাথে নিয়ে মদীনায় তার মসজিদে যুহর চার
রাকআত আদায় করলেন ৷ তারপর আমাদের নিয়ে আসর আদায় করলেন দুই রাকআত যুল-
হুলায়ফায় বিদায় হদুজ্জ্বর সময় শং কাহীন নিরাপত্তা কোলে (অর্থাৎ এটা সালাতুল খাওফ বা শত্রু

শ্ৎকায় কসর ছিল৷ না ) ৷ এ শেষ সনদে আহমদ (র) একাকী বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে সনদটি
বুখারী যুসলিমের শ ৷র্তড়ানৃরুপ ৷ এসব রিওয়ায়াত রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সফর সুচনা শুক্রবারে
হওয়াকে নিশ্চি৩রব্পে নাব১া> করে দেয় এবং এগুলোর দৃষ্টিতে ইবন হাঘৃম (র)-এর
বক্তব্যানৃসারে বৃহস্পতিবারে সফর আরম্ভ হওয়াও সম্ভব নয় ৷ কেননা সে দিনটি ছিল
যিলকদের চব্বিশ তারিখ ৷ কেননা, সে বছরের যিলহৰ্জ্জর প্রথম তারিখ বৃহস্পতিবার হওয়াতে
কোন দ্বিমত নেই ৷ যেহেতু উপর্বুপরি অকাট্য (তাওয়াতুর) বর্ণনা ও ইজম৷ (সর্বসম্মত) সুত্রে

সাব্যস্ত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) আৱাফা তে অবস্থান করেছিলেন শুক্রবার, আ র তা ছিল

€০া৷া



الْحَجَّةِ؟ وَهَذَا هُوَ الَّذِي يَقُولُهُ مَنْ يَقُولُ بِالْإِفْرَادِ كَمَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنِ الشَّافِعِيِّ، وَسَيَأْتِي بَيَانُ هَذَا عِنْدَ ذِكْرِنَا إِحْرَامَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَ، مُفْرِدًا أَوَمُتَمَتِّعًا أَوْ قَارِنًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَمَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً. قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: وَبِمَكَّةَ أُخْرَى. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ - زَادَ الْبُخَارِيُّ: وَإِسْرَائِيلَ - ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السَّبِيعِيِّ، عَنْ زَيْدٍ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ أَبُو إِسْحَاقَ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ بِمَكَّةَ حَجَّةً أُخْرَى ; أَيْ أَرَادَ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ مِنْهُ بِمَكَّةَ إِلَّا حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ، كَمَا هُوَ ظَاهِرُ لَفْظِهِ، فَهُوَ بَعِيدٌ، فَإِنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ بَعْدَ الرِّسَالَةِ يَحْضُرُ مَوَاسِمَ الْحَجِّ، وَيَدْعُو النَّاسَ إِلَى اللَّهِ وَيَقُولُ: «مَنْ رَجُلٌ يُؤْوِينِي حَتَّى أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي؟ فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ ".» حَتَّى قَيَّضَ اللَّهُ لَهُ جَمَاعَةَ الْأَنْصَارِ يَلْقَوْنَهُ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، أَيْ عَشِيَّةَ يَوْمِ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ، ثَلَاثَ سِنِينَ مُتَتَالِيَاتٍ، حَتَّى إِذَا كَانُوا آخِرَ سَنَةٍ بَايَعُوهُ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ الثَّانِيَةِ، وَهِيَ ثَالِثُ اجْتِمَاعِهِ لَهُمْ بِهِ، ثُمَّ كَانَتْ بَعْدَهَا،
পৃষ্ঠা - ৩৮৭১
الْهِجْرَةُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ، ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ، فَاجْتَمَعَ بِالْمَدِينَةِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ لِأَرْبَعٍ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ صَلَّى، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَخَذَتْ بِهِ فِي الْبَيْدَاءِ لَبَّى، وَأَهْلَلْنَا لَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ.» وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِطُولِهِ، وَهُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " وَهَذَا لَفْظُ الْبَيْهَقِيِّ، مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৭২


তর্কাভীতত ৷বে যিলহ্যক্রো নয় তারিখে ৷ এখন যদি ধরে নেয়া হয় যে, যিলকদের চব্বিশ

তারিখ বৃহস্পতিবার নবী করীম (সা) সফর শুরু করেছিলেন তা হলে মাসের ছয় রাত অবশ্যই
বাকী থাকা জরুরী হয় ৷ রাত ছয়টি হল শুক্রবার, শনিবার, রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার ও
বুধবারের (পুর্ব) রাতসমুহ ৷ অথচ ইবন আব্বাস, আইশা ও জাবির (বা) সকলেই বলেছেন যে,
যিলকদের পাচদিন বাকী থাকার সময় তিনি রওনা করেছিলেন ৷ আর সে দিনটি আনাস (রা)
বর্ণিত হাদীসের আলোকে শুক্রাড়ার হওয়া অসম্ভব ৷

সুতরাং একমাত্র এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে হবে যে, নবী করীম (সা) মদীনা হতে বের
হয়েছিলেন শনিবার এবং তা ছিল যিলকদের পচিশ ৩ারিখ ৷৩ তাই স্বভাবত বর্ণনা কারীর৷ মাস
পুর্ণ ত্রিশ দিনে হওয়ার ধারণা করে পাচদিন অবশিষ্ট থাকা ৷র কথা বলেছেন ৷ কিন্তু৷ বা তবে সে
বছর ঐ নামে একদিন কম হয়েছিল বিধায় (উনত্রিশ তারিখ) বুধবারে মাস শেষ হয়ে গেল
এবং বৃহ স্পতিবারের (পুর্ববর্তী) সন্ধ্যায় যিলহদুজ্জর নতুন র্চাদ দেখা যায় ৷ জ৷ ৷বির (বা) এর
(দ্ব্যর্থভাবােধক) রিওয়ায়াত পড়াচ দিন বাকী থাকতে কিৎবা চারদিন আমাদের এ বক্তব্যকে
সমর্থন করে : ভাছড়াে সব দিক বিবেচনা করলে এ সমন্বয় বিবৃতি অনিবার্য যা প্রত্যাখ্যান
স্তোর হুকচ্ন উপায় নেই ৷-ন্সাল্লহ্বহ্ই সমধিক অবগত ৷

হজ্জ উপলক্ষে নবী বল্পীম (না)-এর মক্কার উদ্দেশ্যে

মদীনা ত্যাগের বিবরণ

বুখারী (র) বলেন, ইবরাহীম ইবৰুল ঘুনষির (র)আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর (রা) হত এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পাছ১ এর (পার্শ্ববর্তী) পথে বের হয়ে যেতেন এবং
ঘুআররাস (রাত যাপনক্ষেত্র)-এর পথে ফিরে আসতেন এবং এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা
অভিমুখে রওনা করলে গাছ এর কাছের (যুল-হুলায়ফা) মসজিদে সালাত আদায় করতেন
এবং ফিরতি পথে (ও) যুল-হুলায়ফার নিম্ন (সমতল) ভুমিতে সালাত আদায় করতেন (পরে যা
যুল-হুলায়ফা র মসজিদ হয়েছে) ৷ সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতেন ৷ এ সুত্রে হাদীসটি
বুখাবী (র) একাকী বর্ণনা করেছেন ৷

হাফিজ আবু বকর আল বায্যার (র) বলেন, আমার লিপিতে পেয়েছি আমর ইবন মালিক
(র)আনাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (না) একটি জীর্ণ গদী’তে বসে
হজ্জ (এর সফর) করেন, তার নীচে ৰিছানাে ছিল একটি মোটা চাদর এবং তিনি বলেছিলেন-
ড়ুস্ শ্বদ্বু é ;ট্হ্র) ১৷ ন্১১ “এমন হজ্জ (আমরা করব) যাতে লোক দেখানো ও খ্যাতি
লাভের উদ্দেশ্য নেই ৷ ষুখারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে হাদীসটি মুআল্লাকরুপে উল্লেখ
করেছেন৷ তিনি বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (র) বলেছেন, ইয়াযীদ ইবন যুরায়
(র) ছুমাম৷ (র) সুত্রে তিনি বলেন, আবাস (বা) একটি জীর্ণ পদী ব্যবহার করে হজ্জ
করলেন, তিনি কিন্তু কৃপণ ছিলেন না, বরং তিনি সুন্নত পালনে এমন করেছিলেন, কারণ তিনি



১ যুল-হুলায়ফার মসজিদের এক প্রান্তে (মদীনায় বিপরীত দিকের প্রান্ত) একটি গাছ ছিল আর অন্য প্রান্তে
(মদীনায় দিকের প্রান্ত) সাধারণত ঘুসাফিররা অবকাশ যাপন করত ৷ এ প্রান্তদ্বয়কেই গাছ এর পথ ও
রাতযাপন ক্ষেত্রের পথ বলা হয়েছে ৷


[تَارِيخُ خُرُوجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنَ الْمَدِينَةِ لِحَجَّةِ الْوَدَاعِ] بَابُ تَارِيخِ خُرُوجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنَ الْمَدِينَةِ لِحَجَّةِ الْوَدَاعِ بَعْدَ مَا اسْتَعْمَلَ عَلَيْهَا أَبَا دُجَانَةَ سِمَاكَ بْنَ خَرَشَةَ السَّاعِدِيَّ، وَيُقَالُ: سِبَاعُ بْنُ عُرْفُطَةَ الْغِفَارِيُّ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُو الْقَعْدَةِ - مِنْ سَنَةِ عَشْرٍ - تَجَهَّزَ لِلْحَجِّ، وَأَمَرَ النَّاسَ بِالْجِهَازِ لَهُ، فَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحَجِّ لِخَمْسِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. وَرَوَى الْإِمَامُ مَالِكٌ فِي " مُوَطَّئِهِ " عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْهَا، وَهُوَ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَ " سُنَنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৩
النَّسَائِيِّ " وَابْنِ مَاجَهْ وَ " مُصَنَّفِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ "، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ لَا نُرَى إِلَّا الْحَجَّ.» الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ بَعْدَ مَا تَرَجَّلَ وَادَّهَنَ، وَلَبِسَ إِزَارَهُ وَرِدَاءَهُ، وَلَمْ يَنْهَ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْأَرْدِيَةِ وَلَا الْأُزُرِ إِلَّا الْمُزَعْفَرَةِ الَّتِي تَرْدَعُ عَلَى الْجِلْدِ، فَأَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الْبَيْدَاءِ، وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ، فَقَدِمَ مَكَّةَ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. فَقَوْلُهُ: وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ. إِنْ أَرَادَ بِهِ صَبِيحَةَ يَوْمِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ صَحَّ قَوْلُ ابْنِ حَزْمٍ فِي دَعْوَاهُ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَبَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَأَصْبَحَ بِهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৪


এ সময় বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) একটি গদীতে বসেই হজ্জ করেছিলেন ৷ ’ আর
সেটিও ছিল তার আসবাবপত্রবড়াহী উট ৷ এভাবেই বড়াঘৃযার (র) ও বুখারী (র) হাদীসটি সনদের
শেষ অংশ য়ুআল্লাকরুপে উল্লেখ করেছেন ৷ তবে বড়ায়হাকী (র) তার সুনড়ান গ্রন্থে হাদীসটি পুর্ণ
সংযুক্ত সনদে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী
আল-ঘুক্রী (র)ইয়াষীদ ইবন যুরড়ায় (র) (অনুরুপ) ৷

হাফিজ আবু ইয়াল৷ আল মাওসিলী (র) তীর যুসনড়াদ গ্রন্থে আনড়াস ইবন মালিক (বা) হতে
অন্য একটি সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি ব ণে ণ্৷ , আলী ইবনুল জাদ
(র)আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুপুরাহু (সা) একটি জীর্ণ গদীতে এবং
চার দিরহামের সমমুল্য (কিংবা বর্ণনা ব্যতিক্রম সমমুল্যও নয়) এমন একটি চাদরে বসে হজ্জ
পালন করেছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন ৷গ্লু এ ণ্ণ্ড্রু,ষ্ ১ ৰুকু১ ণ্ণ্ন্গ্রা হে আল্লাহ্! হজ্জ যাতে রিয়া
নেই ৷ ”

শামাইল গ্রন্থে তিরযিষী (র) আবু দাউদ ভায়ালিসী ও সুফিয়ড়ান ছড়াওবী (র) এর বরড়াতে
এবং ইবন মাজা (র) ও ওয়াকী ইবনুল জার্রাহ (র) সুত্রে (তিনজনই) একটি দুর্বল সনদে এ
হাদীস রিওয়ারড়াত করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাশিম (র) (সাঈদ) সুত্রে বলেন, আমি ইবন উমর (রা )
এর সাথে সফরে রের হলড়াম ৷ আমাদের পাশ দিয়ে একটি ইয়ামানী কাফেলা চলে গেল ৷
যাদের (উটের পিঠের) গদীগুলো ছিল চামড়ার এবং তাদের উটগুল্যের লাগান ছিল সাধারণ
ইয়স্ফোনী রশির তৈরি ৷

আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাৰীগণ যখন বিদায় হরুজ্জ
আগমন করেছিলেন, তাদের (অবস্থার) সাথে অধিকতর সাদৃশ্যপুর্ণ এ বছরে আগত কাফে লড়া
সমুহের মাঝে কোন কাফেলা কেউ দেখতে চাইলে সে যেন এ (ইয়ামানী) কাফেলাটিকে দেখে
নেয় ৷ আবু দাউদ (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন হানৃনড়াদ (র) ইবন উমর (রা ) সুত্রে ৷

হাফিজ আবু বকর বড়ায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আলগুহাফিজ, আবু তাহির আল-
ফকীহ্, আবু যাকড়ারিয়্যা ইবন আবু ইসহাক, আবু বকর ইবনুল হাসান ও আবু সাঈদ ইবন আবু
আঘৃর (র) (সকলে) ৰিশৃর ইবন কুদড়ামাহ আবৃ-যাবাবী (রা) হতে ৷ তিনি বলেন, “আমার
দু’চােখ আমার প্রিয়তম রাসুলুল্লাহ্ (সা)ফে দেখেছে জনতার সাথে আরাফাতে অবস্থানরত,
তীর কড়াসৃওয়া নামের লাল উটনীর পিঠে তীর নীচে ছিল একটি বাওলানী’ চাদর ৷ তিনি তখন





ণ্শুশ্রা

“হে আল্লাহ্! এটিকে রিয়াবিহীন, ( ?) এবং খ্যাতি লিন্সাৰিহীন হরুজ্জ পরিণত করুন ৷ ”
লোকেরা তখন পরস্পরে বলাবলি করছিল, ইনি আল্লাহ্র রাসুল (সা) ৷ ইমাম আহমদ (র)
বণে ণ্৷ , আরধুস্লাহু ইবন ইদরীস (র)আসমড়া ৰিনৃত আবু বকর (রা) সুত্রে বলেছেন, আমরা





১ অর্থাৎ দুরদুরাম্ভের সফর হওয়া সত্বেও পান্ধী (হাওদা)-তে বসেন নি ৷ শুধু শক্ত নদী ব্যবহার করেছেন :


وَهُوَ الْيَوْمُ الْخَامِسُ وَالْعِشْرُونَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ. وَإِنْ أَرَادَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِقَوْلِهِ: وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ. يَوْمَ انْطِلَاقِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنَ الْمَدِينَةِ بَعْدَمَا تَرَجَّلَ وَادَّهَنَ وَلَبِسَ إِزَارَهُ وَرِدَاءَهُ - كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ وَجَابِرٌ: إِنَّهُمْ خَرَجُوا مِنَ الْمَدِينَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ - بَعُدَ قَوْلُ ابْنِ حَزْمٍ وَتَعَذَّرَ الْمَصِيرُ إِلَيْهِ، وَتَعَيَّنَ الْقَوْلُ بِغَيْرِهِ، وَلَمْ يَنْطَبِقْ ذَلِكَ إِلَّا عَلَى يَوْمِ الْجُمُعَةِ، إِنْ كَانَ شَهْرُ ذِي الْقَعْدَةِ كَامِلًا. وَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ خُرُوجُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنَ الْمَدِينَةِ كَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ; لِمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ مَعَهُ بِالْمَدِينَةِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ رَكِبَ، حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ، حَمِدَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ، ثُمَّ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ» وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ - يَعْنِي ابْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৫
الْمُنْكَدِرِ - وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ.» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ فِي مَسْجِدِهِ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ صَلَّى بِنَا الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، آمِنًا لَا يَخَافُ، فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ الْآخَرَيْنِ وَهُمَا عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَهَذَا يَنْفِي كَوْنَ خُرُوجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَطْعًا، وَلَا يَجُوزُ عَلَى هَذَا أَنْ يَكُونَ خُرُوجُهُ يَوْمَ الْخَمِيسِ كَمَا قَالَ ابْنُ حَزْمٍ ; لِأَنَّهُ كَانَ يَوْمَ الرَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ ;
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৬
لِأَنَّهُ لَا خِلَافَ أَنَّ أَوَّلَ ذِي الْحِجَّةِ كَانَ يَوْمَ الْخَمِيسِ ; لِمَا ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ وَالْإِجْمَاعِ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَقَفَ بِعَرَفَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَهُوَ تَاسِعُ ذِي الْحِجَّةِ بِلَا نِزَاعٍ، فَلَوْ كَانَ خُرُوجُهُ يَوْمَ الْخَمِيسِ الرَّابِعَ وَالْعِشْرِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ، لَبَقِيَ فِي الشَّهْرِ سِتُّ لَيَالٍ قَطْعًا ; لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ، وَالسَّبْتِ، وَالْأَحَدِ، وَالِاثْنَيْنِ، وَالثُّلَاثَاءِ، وَالْأَرْبِعَاءِ، فَهَذِهِ سِتُّ لَيَالٍ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَائِشَةُ، وَجَابِرٌ: إِنَّهُ خَرَجَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ. وَتَعَذَّرَ أَنَّهُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ ; لِحَدِيثِ أَنَسٍ، فَتَعَيَّنَ عَلَى هَذَا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ يَوْمَ السَّبْتِ، وَظَنَّ الرَّاوِي أَنَّ الشَّهْرَ يَكُونُ تَامًّا، فَاتَّفَقَ فِي تِلْكَ السَّنَةِ نُقْصَانُهُ فَانْسَلَخَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ، وَاسْتَهَلَّ شَهْرُ ذِي الْحِجَّةِ لَيْلَةَ الْخَمِيسِ، وَيُؤَيِّدُهُ مَا وَقَعَ فِي رِوَايَةِ جَابِرٍ: لِخَمْسٍ بَقِينَ أَوْ أَرْبَعٍ. وَهَذَا التَّقْرِيرُ عَلَى هَذَا التَّقْدِيرِ لَا مَحِيدَ عَنْهُ، وَلَا بُدَّ مِنْهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৭


হজ্জযাত্রী হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা আরজে’ উপনীত হলে
রাসৃলুল্লাহ্ (না) সেখানে অবতরণ করলেন ৷ আইশা (রা) গিয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)এর পাশে
বদল; আমি আমার আব্বার কাছে বমলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু বকর (পরিবারের)
আসবড়াবপত্রবাহী উট ছিল একটিই; যা আবু বকরের গোলড়ামের দায়িত্বে ছিল ৷ আবু বকর (রা)
বসে বসে গোলায়ের এসে পৌছার অপেক্ষা করতে লাপলেন ৷ এক সময় সে এসে পৌছল,
কিন্তু তার সাথে কোন উট ছিল না ৷ আবু বকর বললেন, তে তামার উট ৫কাথায়? গোলামটি
বলল, গত রাতে আমি তা হারিয়ে ফেলেছি ৷ আবু বকর (রড়া ) বললেন, একটি মাত্র উট, তাও
হারিয়ে ফেলেছ, একথা বলে তিনি গোলামকে পেটাতে লাপলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু
হড়াসছিলেন আর বলছিলেন গ্লু১এা শু ণ্)এেএট এিএ ;) ট্টগ্রএ শ্ঐষ্ হজ্যের ইহরড়ামধাবী এ
ল্যেকটি এবং তার কাণ্ড সেখ ৷ আবু দাউদ (র) ইবন মজ্যে (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
কিন্তু আবু বকর আলবড়াঘৃযার (র) তার মুসনাদে যে হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন এভাবে-
ইসমাঈল ইবন হাফ্স (র)আবু সাঈদ (বা) হতে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা ) ও তার
সাহাবীগণ মদীনা হতে মক্কা পর্যন্ত পায়ে হেটে হজ্যের সফর করেছিলেন; তারা নিজেদের
কােমর বেধে নিয়েছিলেন এবং তাদের চলার গতি ছিল হড়ারওয়ালা’ হালকা দৌড়ের মত ৷ এটি
একটি দুর্বল সনদের মুনকড়ার হাদীস ৷ কারণ, এ সনদের ম ধ্যবর্তী রাবী হড়ামযড়া ইব ন হড়াবীর
ত্মাঘৃ-যায়ব্রড়াত দৃর্বল’ অনির্তরযোগ্য এবং তার শায়খ (হুমরান) ও পরিত্যক্ত রাবী ৷ বাবৃয়ড়ার
(র) নিজেও মন্তব্য করেছেন যে এ সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এ বর্ণনা পাওয়া যায় না;
যদিও আমার মতে সনদটি উত্তম ৷ ( তার মতে) হড়াদীসটি যদি সাবম্ভে হয়, তবে তার অর্থ এমন
হতে পারে যে, তারা পদব্রজে কোন উমরা আদায় করেছিলেন ৷ ৫কননা, নবী কবীম (সা)
মদীনান্ <ন্ষ্ ভএকবার মন্ত্র হজ্জ করেছিলেন এবং তিনি তখন আরােহী ছিলেন ও সাহাবীদের
মাঝে কেউ কেউ পদ্ব্ৰজেও গিয়েছিলেন ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : নবী করীম (সা) পদব্রজে কোন উমরা পালন করেন নি ৷ হুদায়রিয়ড়াতে
নয়, উমরড়াতুল কড়াযাতেও নয় ৷ জিইররানার উমরাতে নয় এবং বিদায় হজ্যেও নয় ৷ নবী কবীম
(সা) এর অবস্থা ও কার্যক্রম সুপরিচিত ও সর্বজনরিদিত ছিল ৷ জনতার কাছে তা গোপন
থাকার অবকাশ কোথায়? বরং হাদীনটি নির্ত্যৰুযোগ্য বর্ণনার বিরোধী এবং সুরকার পর্যায়ের যা
কিছুতেই স্বীকৃত হতে পারে না ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত

যুল-হলায়ফায় অবস্থান ও আনুসাংগিক প্রসংপ

পুর্বেই বিবৃত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) মদীনায় চার রাকআত জুহর সালতে আদায়
করেছিলেন,৩ তারপর সেখান থেকে যুল হুলায়ফায় গিয়েছিলেন এটি হল আর্কীক উপত্যকা ৷
সেখানে আরবের নামায দু’ রড়াকড়াত আদায় করেছিলেন ৷ এতে বুঝা যায় যে, তিনি দিনের
বেলায় আসরের সময় যুল-হুলড়ায়ফার পৌছে ছিলেন এবং সেখানে “কসর’ করে আসন্বরব
সালড়াত আদায় করেছিলেন ৷ স্থানটি মদীনা থেকে তিন মাইলের দুরত্বে অবস্থিত ৷ তারপর-
সেখানে মাগরিব ও ইশা আদায় করে সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন এবং সহ্রহশ্বদুষ্ন্র
দিয়ে ফজর সালাত আদায় করে তাদের এ মর্মে খবর দেন যে রহ্বত্তত তার কাছে ইহব্রক্ষুমৰ-
প্রয়োজনীয় হুদ্র্দেশ সম্বলিত ওহী এসেছে ৷ যেমন ইমাম হরুহজ্জ্ব (র) বলেন ইস্কো ইৰ্ ৰ


[صِفَةُ خُرُوجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ لِلْحَجِّ] بَابُ صِفَةِ خُرُوجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ لِلْحَجِّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ عُمَرَ - عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَخْرُجُ مِنْ طَرِيقِ الشَّجَرَةِ، وَيَدْخُلُ مِنْ طَرِيقِ الْمُعَرَّسِ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ الشَّجَرَةِ، وَإِذَا رَجَعَ صَلَّى بِذِي الْحُلَيْفَةِ بِبَطْنِ الْوَادِي، وَبَاتَ حَتَّى يُصْبِحَ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: وَجَدْتُ فِي كِتَابِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عَزْرَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ، وَتَحْتَهُ قَطِيفَةٌ، وَقَالَ: " حَجَّةٌ لَا رِيَاءَ فِيهَا وَلَا سُمْعَةَ ".» وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " فَقَالَ: وَقَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৮
الْمُقَدَّمِيُّ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ عَزْرَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ ثُمَامَةَ قَالَ: «حَجَّ أَنَسٌ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ، وَلَمْ يَكُنْ شَحِيحًا. وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ.» هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبَزَّارُ وَالْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا، مَقْطُوعَ الْإِسْنَادِ مِنْ أَوَّلِهِ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " سُنَنِهِ " فَقَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقْرِئُ، أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ الْقَاضِي ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوصِلِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ: «حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَنْبَأَنَا الرَّبِيعُ بْنُ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ، وَقَطِيفَةٍ تُسَاوِي - أَوْ لَا تُسَاوِي - أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَجَّةً لَا رِيَاءَ فِيهَا ".»
পৃষ্ঠা - ৩৮৭৯


আদম আরদুল্লাহ্ ইব ন উমার (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) সম্পর্কে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
তিনি যুল-ছুলায়ফার রাত্রি যাপনের স্থানে উপনীত হলে তাকে ওহী যােগে বলা হল ঞা
ণ্ারুপ্লুাএ্ প্শু১ৰু ১হুহু আপনি একটি বরকতময় কংকর প্রাতরে রয়েছেন ৷

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে এ হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে মুসা উবন উকরা (র) সুত্রে উল্লেখিত
সনদে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন আল হুমায়দী (র) ইবন আব্বাস (রা) ইবন উমার (রা)
কে বলতে শুনেছেন আমি ওয়াদিল আর্কীকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি যে,

মণ্ ণ্ ,ৰু ওগ্লুণ্ এও, এ,াহুৰুা৷ প্রু১া,৷৷ ৷ ট্র১ é: এপ্রু এাদ্বুণ্ড্র শুরু, এ এ ব্লুা,৷া৷ দ্রে১াওা

আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে জনৈক আগমনকারী আমার কাছে এসে
র ল শে ণ্৷ , এ ররক৩ম য় উপত্যকায় সালাতশ্ আদায় কর এবং বল হব্লুজ্জর সাথে উমরা ৷ বুখায়ী
(র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম (র) তা বর্ণনা করেন নি ৷ সুতরাং বাহ্যত বলা
যায় যে, ওয়াদিল আর্কীকে নবী করীম (না)-কে সালাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান যুহরের
সালড়াত আদায় করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার নির্দোশর স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে ৷ কেননা,
এ নির্দেশ তার কাছে এসেছিল রাতে আর সাহাৰীগণকে তিনি অবগত করেছিলেন ফজর
সালাতের পরে ৷ অতএব, (নির্দেশ পালনের জন্য) পরবর্তী যুহর সালাতই একমাত্র সুত্ররুপে
অবশিষ্ট রইল ৷ সুতরাং তিনি সেখানে যুহর আদায় করার পরে ইহরাম সম্পাদনে আদিষ্ট
হয়েছিলেন ৷ এ জন্যই তিনি ইরশাদ করেছিলেন যে, আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ
হতে একজন অগন্তুক এসে আমাকে বললেন, এ ররকতময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন
এবং বলুন হরুজ্জর সাথে উমরার ইহরাম বাধছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হজ্জ কিরান হওয়ার
দড়াবীদারগণ এ হাদীস তাদের প্রমাণরুপে উল্লেখ করেছেন এবং বাস্তবেও এটি তাদের সরল
প্রমাণ যথাস্থানে বিশদ আলোচনা করা হবে ৷

এ আলোচনা আমাদের উদ্দেশ্যে এ কথা প্রমাণ করা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (পরের দিন)
যুহর পর্যন্ত ওয়াদিল আকীকে অবস্থানে আদিষ্ট হয়েছিলেন ৷ নবী করীম (সা) এ আদেশ
যথাযথ পালন করেছিলেন এবং সেখানে অবস্থান করে ঐ দিনের সকালে তার সহধর্মিনীদের
সান্নিধ্যে যান ৷ তারা ৎখ্যায় ছিলেন নয় জন এবং এ সফরে র্তাদের সকলেই তার সহযাত্রী
হয়েছিলেন ৷ তিনি যুহরের সড়ালাত আদায় করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলেন ৷ যেমন ইব ন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত, আবু হাসসান আল আরাজ (র)-এর হাদীলে ৰিবৃত হবে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলাফায় যুহর সালড়াত আদায় করলেন ৷ তারপর তার উটটিকে কুররানীর
উট বলে চিহ্নিত করলেন ৷ তার উটে আরোহণ করে তালৰিরা বা লাব্বায়েক ধ্বনি উচ্চারণ
করলেন ৷ এটি মুসলিমের বংনাি ৷ ইমাম আহমদ (র)ও বলেছেন, রাওহ (র) আনাস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহর সালাত আদায় করলেন ৷
তারপর তার রাহনে আরোহণ করলেন এবং প্রাম্ভরের চড়াইয়ে উঠলে লাব্বায়ক ধ্বনি দিলেন ৷
আবু দাউদ (র) আহমদ ইবন হাম্বল (র) হতে এবং নাসাঈ (র) ইসহড়াক ইবন রাহওয়ায়হ (র)
হতে, নাযর ইবন শুমায়ল (র) সুত্রে অনুরুপ অর্থ সম্পন্ন এবং আহমদ ৰনৃল আযহার (র) সুত্রে
আরো পুণসি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ বর্ণনা ইবন হাযম (র) এর দিনের প্রথমাংশে ইহরাম
হওয়ার ধারণা নাকচ করে দেয় ৷ তবে তিনি বৃখারী (র) বর্ণিত আনার (রা) সুত্রের রিওঝঝোত

ওেতাে



وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعِ بْنِ الْجَرَّاحِ ثَلَاثَتُهُمْ عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ بِهِ. وَهُوَ إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ مِنْ جِهَةِ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ الرَّقَاشِيِّ، فَإِنَّهُ غَيْرُ مَقْبُولِ الرِّوَايَةِ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «صَدَرْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ، فَمَرَّتْ بِنَا رُفْقَةٌ يَمَانِيَةٌ، وَرِحَالُهُمُ الْأُدُمُ وَخَطْمُ إِبِلِهِمُ الْجُرُرُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى أَشْبَهِ رُفْقَةٍ وَرَدَتِ الْعَامَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ إِذْ قَدِمُوا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذِهِ الرُّفْقَةِ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ هَنَّادٍ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮০
الْعَاصِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، وَأَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَسَنِ، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو قَالُوا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ - هُوَ الْأَصَمُّ - أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَكِيمٍ الْكِنَانِيُّ - رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ مِنْ مَوَالِيهِمْ - عَنْ بِشْرِ بْنِ قُدَامَةَ الضِّبَابِيِّ قَالَ: «أَبَصَرَتْ عَيْنَايَ حِبِّي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا بِعَرَفَاتٍ مَعَ النَّاسِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ حَمْرَاءَ قَصْوَاءَ، تَحْتَهُ قَطِيفَةٌ بَوْلَانِيَّةٌ وَهُوَ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا حَجَّةً غَيْرَ رِئَاءٍ وَلَا هَبَاءٍ وَلَا سُمْعَةٍ ". وَالنَّاسُ يَقُولُونَ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، ثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُجَّاجًا، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَتْ عَائِشَةُ إِلَى جَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِ أَبِي، وَكَانَتْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮১
زِمَالَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزِمَالَةُ أَبِي بَكْرٍ وَاحِدَةً مَعَ غُلَامِ أَبِي بَكْرٍ، فَجَلَسَ أَبُو بَكْرٍ يَنْتَظِرُ أَنْ يَطْلُعَ عَلَيْهِ فَطَلَعَ وَلَيْسَ مَعَهُ بَعِيرُهُ، فَقَالَ: أَيْنَ بَعِيرُكَ. فَقَالَ: أَضْلَلْتُهُ الْبَارِحَةَ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: بَعِيرٌ وَاحِدٌ تُضِلُّهُ! فَطَفِقَ يَضْرِبُهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْتَسِمُ وَيَقُولُ: " انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْمُحْرِمِ وَمَا يَصْنَعُ ".» وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ. وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ بِهِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ " قَائِلًا: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، ثَنَا حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، عَنْ حُمْرَانَ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مُشَاةً مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ قَدْ رَبَطُوا أَوْسَاطَهُمْ، وَمَشْيُهُمْ خِلْطُ الْهَرْوَلَةِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ ضَعِيفُ الْإِسْنَادِ، وَحَمْزَةُ بْنُ حَبِيبٍ الزَّيَّاتُ ضَعِيفٌ، وَشَيْخُهُ مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ. وَقَدْ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا يُرْوَى إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَإِنْ كَانَ إِسْنَادُهُ حَسَنًا عِنْدَنَا، وَمَعْنَاهُ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي عُمْرَةٍ إِنْ ثَبَتَ الْحَدِيثُ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِنَّمَا حَجَّ حَجَّةً وَاحِدَةً وَكَانَ رَاكِبًا وَبَعْضُ أَصْحَابِهِ مُشَاةً. قُلْتُ: وَلَمْ يَعْتَمِرِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنْ عُمَرِهِ مَاشِيًا ; لَا فِي الْحُدَيْبِيَةِ، وَلَا فِي الْقَضَاءِ، وَلَا الْجِعْرَانَةِ، وَلَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَأَحْوَالُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮২


স্বপহ্মে টানতে পারেন, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলায়ফায় রাত কটিড়ান্সেন;
তাববুশঘে সকাল হলে তিনি ফজর সালাত আদায় করলেন, তারপর তার বড়াহনে আরোহণ
করলেন ৷ বাহন প্রাম্ভরে গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি হজ্জ ও উমরত্ত্বর ইহরাম বীধলেন ৷ তবে এ
হাদীসের সনদে তাজ্ঞাতনামা জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন; সম্ভবত তিনি আবু কিলাবা (র) ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷

ইমাম মুসলিম (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন হাবীব আল হারিহী (র) আইশা (রা) সুত্রে, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলাম, তারপর তিনি তার সহবর্মিণীদের
সান্নিধ্যে গমন করেন ৷ তারপর ইহরাম বীধলেন, তখনও তীর সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল ৷ বুখারী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন শুবা (র) সুত্রে ৷ আবার বুখত্ত্বরী মুসলিম (র) উভয় তা উদ্ধৃত
করেছেন আবু আওয়নাে (র) সুত্রে (এ সনদে মুসলিম (র)-এর অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে) ৷
অনুরুপ মিসআর ও সুফয়ান ইবন সাঈদ ছাওয়ী (র) এ চারজন পুর্বোল্লিখিত সনদে ৷ এ ছাড়া
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবনৃল মুনতাশির (ব) ( এর পিতা মুহাম্মদ (র) হতে নেয়া মুসলিম (র)-
এর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে মুহাম্মদ (র) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রড়া)এর কাছে
সুগন্ধি মাখিয়ে ইহরাম সম্পাদনকারী ব্যক্তির মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, সুপন্ধি
ছড়াতে ছড়াতে মুহরিম হব তা আমি পসন্দ করি ণ্া৷ ; তেমন করার চেয়ে আমি আলকাতরড়া
মাখড়াব তা বরং আমার কাছে অধিক পসন্দনীয় ৷ (এ জবাব শুনতে পেয়ে) আইশা (রা)
বললেন, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) (ক তার ইহরামের সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছিলাম ৷ তারপর
তিনি তার দ্রীদেব কাছে ঘুরে এসেছেন; তাবপরে মুহরিম হয়েছেন ৷

মুসলিম (র) বর্ণিত এ ভাম্যের দাবী হল স্তীদের সাথে মিলনের আগে নবী করিম ( সৰু )
সুগন্ধি মাখতেন, যাতে তা তার নিজের কাছে সৃখকর ও দ্রীদের কাছে পছন্দনীয় হয় ৷ তারপর
জানাবভে এর জন্য গোসল এবং সে সাথে ইহরামের গোসলের সময় ইহরামেব উদ্দেশ্যে
নীিয় বার সুপন্ধি ব্যবহার করতেন ৷ যেমন তিবমিযী ও নড়াসড়াঈ (ব) আবদুর রহমান ইবন
আবয যিনড়াদ (র)যড়ায়দ ইবন ছাৰিত (রা ) সুত্রের হাদীস রিওয়য়োত করেছেন যে , তিনি
(যারদ রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরামের জন্য থেলােমেলা ভাবে গোসল করতে দেখেছেন ৷ এ
হাদীস সম্পর্কে তিরমিযী (র)-র মন্তব্য হল একক সুত্রীয় উত্তম (হাসান পরীব) ইমাম আহমদ
(র) বলেন, যাকারিয়া ইবন আদী (র)আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইহরাম বীধার ইচ্ছা করতেন তখন র্তার মাথা (সুগন্ধিযুক্ত) খিতমী ও
উসমান (মাস) দিয়ে ধুইতেন এবং তার কিছু তেল মাথায় দিতেন ৷ এটা আহমদ (র)-এর
একক বর্ণনা ৷ আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন
উরব্বয়ন৷ (র ) , আইশা (রা ) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তার ইহরাম র্বীধড়ার সময় এবং
ইহরাম খোলার সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ আমি (উরওয়া) র্তাকে বললাম, (কান
সুগন্ধি দিয়ে? তিনি বললেন, সব চাইতে উত্তম সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম ও বুখাবী (র) ভিন্ন ভিন্ন
সুত্রে এ হাদীসটি বংনাি করেছেন ৷

বৃখায়ী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (রা ) থেকে তিনি বলেন,
আর্মি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-ফে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম তার ইহরামেব জন্য, যখন তিনি ইহরাম




وَالسَّلَامُ، أَشْهَرُ وَأَعْرَفُ مِنْ أَنْ تَخْفَى عَلَى النَّاسِ، بَلْ هَذَا الْحَدِيثُ مُنْكَرٌ شَاذٌّ لَا يَثْبُتُ مِثْلُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [صَلَاةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ] فَصْلٌ (صَلَاةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ) تَقَدَّمَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، ثُمَّ رَكِبَ مِنْهَا إِلَى الْحُلَيْفَةِ، وَهِيَ وَادِي الْعَقِيقِ، فَصَلَّى بِهَا الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ جَاءَ الْحُلَيْفَةَ نَهَارًا فِي وَقْتِ الْعَصْرِ، فَصَلَّى بِهَا الْعَصْرَ قَصْرًا، وَهِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى ثَلَاثَةِ أَمْيَالٍ، ثُمَّ صَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، وَبَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ جَاءَهُ الْوَحْيُ مِنَ اللَّيْلِ بِمَا يَعْتَمِدُهُ فِي الْإِحْرَامِ. كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أُتِيَ فِي الْمُعَرَّسِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ قَالَا: ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، ثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৩
يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي، فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ» ". تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَمَرَهُ عَلَيْهِ، الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِالصَّلَاةِ فِي وَادِي الْعَقِيقِ هُوَ أَمْرٌ بِالْإِقَامَةِ بِهِ إِلَى أَنْ يُصَلِّيَ صَلَاةَ الظُّهْرِ ; لِأَنَّ الْأَمْرَ إِنَّمَا جَاءَهُ فِي اللَّيْلِ، وَأَخْبَرَهُمْ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَلَمْ يَبْقَ إِلَّا صَلَاةُ الظُّهْرِ، فَأُمِرَ أَنْ يُصَلِّيَهَا هُنَالِكَ، وَأَنْ يُوقِعَ الْإِحْرَامَ بَعْدَهَا، وَلِهَذَا قَالَ: " أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ". وَقَدِ احْتُجَّ بِهِ عَلَى الْأَمْرِ بِالْقِرَانِ فِي الْحَجِّ، وَهُوَ مِنْ أَقْوَى الْأَدِلَّةِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ قَرِيبًا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أُمِرَ بِالْإِقَامَةِ بِوَادِي الْعَقِيقِ إِلَى صَلَاةِ الظُّهْرِ، وَقَدِ امْتَثَلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَأَقَامَ هُنَالِكَ، وَطَافَ عَلَى نِسَائِهِ فِي تِلْكَ الصَّبِيحَةِ، وَكُنَّ تِسْعَ نِسْوَةٍ، وَكُلُّهُنَّ خَرَجَ مَعَهُ وَلَمْ يَزَلْ هُنَالِكَ حَتَّى صَلَّى الظُّهْرَ. كَمَا سَيَأْتِي فِي حَدِيثِ أَبِي حَسَّانَ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ أَشْعَرَ بَدَنَتَهُ ثُمَّ رَكِبَ فَأَهَلَّ» . وَهُوَ عِنْدَ مُسْلِمٍ. وَهَكَذَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا أَشْعَثُ - هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ - عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৪


র্বাধতেন এবং তীর ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার জন্য, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফের আগে ভাগে ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবদ ইবন হুমায়দ (র)অ আইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, বিদায়
হরুজ্জ ইহরাম বাধা ও খোলার সময় আমি আমার দু’হড়াত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যারীরাহ
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ মুসলিম (র) সুফিয়ড়ান ইবন উয়ায়নড়া (র) (যুহরী) , আইশা (বা) সুত্রে
আর একটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি আমার এ দু’হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি, তার ইহরামের জন্য ৷ যখন তিনি ইহরাম বেধেছেন এবং তীর
হালাল হওয়ার জন্য তার বায়তুল্লাহ্ তাওয়ফে করার আগে ৷

মুসলিম (র) আরো বলেন, আহমাদ ইবন মানী ও ইয়াকুব আদ দাওরাকী (র), আইশা
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আ ৷মি নবী করীম (সা) কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতড়াম র্তার
ইহরাম বাবা ও তার হালাল হওয়ার আগে এবং নড়াহর দিবসে (জিলহাজ্জ্বর দশ তারিখে) র্তার
বায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করার আগে, যেশৃকষুক্ত সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম (র) বলেন, আবু বকর
ইবন আবুশ্ ৷ড়ায়বা ও যুহায়র ইবন হারব (র) আ ৷ইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সিথিতে মেশ কের ঔশ্বর্য, যখন তিনি তাল্বিয়া পাঠ করছিলেন, যেন আমি
এখনও দেখতে পাচ্ছি ৷ মুসলিম (র) ও বুথারী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন, আশআছ (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, মনে হয় যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চুলের গোড়া ওলিং৩ , তার ইহরাম অবস্থায়, সুগন্ধির
ঔজ্জ্বল্য আমার নজরে ভাসছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আ ইিশা (বা) হতে,
তিনি বলেন নবী করীম (সা) এর ইহরাম বাধার কয়েকদিন পরেও যেন আমি তার সিথিতে
সুগন্ধির ঝলক দেখতে পাচ্ছি ৷ আবদুল্লাহ ইবনৃয যুবায়র আ ল হুমড়ায়দী (র) বলেন, সুফিয়ান
ইবন উয়ায়ন৷ (রা) আ ইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর সিথিতে তার
ইহরামের তিন দিন পরে আমি সুগন্ধি দেখেছি ৷

এ সব হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা) গোসলের পরে সুগন্ধি ব্যবহার
করেছিলেন ৷ কেননা, গোসলের আগে সুগন্ধি লাগানো হয়ে থাকলে গোসল তা ( ধুয়ে) শেষ
করে দিত এবং তার কোন চিহ্ন বিশেষত ইহরড়ামের তিন দিন পরেও অবশিষ্ট থাকত না ৷

পুর্বসুরীদের অনেকে, যীদের মাঝে ইবন উমর (রা) উন্থল্লখযোগ্য, ইহরড়ামের প্ৰক্কালে সুগন্ধি
ব্যবহার মাকরুহ হওয়ার অভিমত পোষণ করেছেন ৷ তবে আমরা আইশা (বা) হতে ইবন উমর
(রা) সুত্রের হাদীস ও রিওয়ায়াত করেছি ৷ যেমন, হাফিয বায়হার্কী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন
ইবন বুশরান (র) ইবন উমার (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আইশা (বা) থেকে ৷ এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে তার ইহরামের সময় উত্তম দামী
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ এ সনদঢি একক ও বিরল উৎসের ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) তার
মাথায় আঠালাে বস্তু লাপিয়েছেন যাতে তা তীর মাথার সুগন্ধিকে রক্ষা করতে পারে এবং ধুলা
বা বালু জমে যাওয়া থেকে উত্তমভাবে হিফাজত হয় ৷ মালিক (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে



১ যারীরাহ ( ৪ )া)১ ) উন্নতমানের সুগন্ধি বিশেষ, সুগন্ধি রেণু ৷ অনুবাদক


رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَالنَّسَائِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ عَنِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ عَنْ أَشْعَثَ، بِمَعْنَاهُ، وَعَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَشْعَثَ أَتَمَّ مِنْهُ. وَهَذَا فِيهِ رَدٌّ عَلَى ابْنِ حَزْمٍ حَيْثُ زَعَمَ أَنَّ ذَلِكَ فِي صَدْرِ النَّهَارِ. وَلَهُ أَنْ يَعْتَضِدَ بِمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَيُّوبَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى الصُّبْحَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ الْبَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ.» وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ رَجُلٌ مُبْهَمٌ وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَبُو قِلَابَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৫
قَالَ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، ثَنَا خَالِدٌ - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ، ثُمَّ يُصْبِحُ مُحْرِمًا يَنْضَحُ طِيبًا» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ - زَادَ مُسْلِمٌ: وَمِسْعَرٍ وَسُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ - أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنِ الرَّجُلِ يَتَطَيَّبُ ثُمَّ يُصْبِحُ مُحْرِمًا. قَالَ: مَا أُحِبُّ أَنِّي أُصْبِحُ مُحْرِمًا أَنْضَحُ طِيبًا لَأَنْ أَطَّلِيَ بِقَطِرَانٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَفْعَلَ ذَلِكَ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَنَا طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ إِحْرَامِهِ، ثُمَّ طَافَ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৬

বলেছেন যে, নবী করীম (সা)-এর সহধর্মিণী হযরত হাফস৷ (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্পাহ্!
ব্যাপারটি কী যে, লোকেরা তাদের উমর৷ হতে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা
হতে হালাল হলেন না ? তিনি বললেন,
);§ এেন্১১ ৷ );১ ১২১ ওা১১ এগ্রদ্বুদ্বু ব্লোম্দুগ্লু এ১গ্লু! , ,ন্া৷
(চুল ৰিন্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে) আ ৷মি আমার মাথায় আঠালো দ্রব্য ব্যবহার করেছি এবং
আমার কুররানীৱ উটের (গলায়) কিলাদা (চামড়া, চপ্পল ইত্যাদির তৈরী মালা) পরিয়েছি, (দশ
তারিখে) কুরবানী করা পর্যন্ত অ৷ ৷মি হালাল হচ্ছি না ৷ বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ্
গ্রন্থদ্বয়ে মা ৷লিক (র) এর বরাতে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া নাফি (র) হতেও এ
হাদীসের একাধিক সুত্র রয়েছে ৷

বড়ায়হাকী (র) বলেন, হাকিম (র) ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মধু দিয়ে তা ৷র মাথা আঠ৷ ৷লাে করেছিলেন ৷ এ সনদঢি উত্তম ৷৩ তারপর নবী
করীম (সা)৩ তার কুরবানীর উটটিকে (যখম করে) চিহ্নিত করলেন এবং যুল-হুলাফায় সেটিকে
মালা পরালেন ৷ লায়ছ (র) ইবন উমর সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জ হজ্জ ও
উমরা মিলিয়ে তামাভু হজ্জ আদায় করেছিলেন এবং কুরবানীর পশু সাথে নিয়েছিলেন অর্থাৎ
যুল-হুলায়ফা হতে নিজের সাথে কুরবানীর উট পরিচালিত করেছিলেন ৷ পুর্ণাৎগ হাদীসের
বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ এ হাদীস সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে ৷ পরবর্তী আলোচনায় এ হাদীসের
পর্যালোাচনাও করা হবে, ইনশাআল্লাহ্ ৷ মুসলিম (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্ন৷ (র)
ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায়
পৌছলে তার উটনী নিয়ে আসতে বললেন এবং তার কুজের ডান পাশে যখম করে রক্ত লেপটে
দিলেন এবং তাকে দৃখানি চপ্পলের মালা পরিয়ে দিলেন ৷

তারপর তিনি তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ সুনান গ্রন্থের চতুষ্টয় স কলণগণ আবু দাউদ,
তিরমিষী, নাসাঈ, ইবন মাজা এ হাদীসখান৷ ক ৷তাদা (র) থেকে একা ৷ধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ হাদীস নির্দেশ করে যে, নবী করীম (সা)৩ তার পবিত্র হাত ৩দিয়েই ঐ উটনীটি
চিহ্নিত করেন ও মালা পরানাের কাজ সম্পাদন করেছিলেন এবং অবশিষ্ট কুরবানীর
পশুগুলোকে যখম করা ও তাদের মালা পরাবার দা ৷য়িত ৩অন্যদেরকে অর্পণ করেছিলেন ৷ কারণ
কুরবানীর পশু ছিল উল্লেখযোগ্য সং খ্যক একশউটি কিংবা তা ৷র চেয়ে সামান্য কম ৷ তিনি তার
পবিত্র হাতে তেষট্টিটি উট যবেহ করেছিলেন এবং আ ৷লী (রা) কে দায়িৎ দিলে তিনি বাকীগুলি
যবেহ করেছিলেন ৷

এ প্রসং গে জা ৷বির (রা) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, আলী (রা) ইয়ড়ামান থেকে নবী করীম
(সা) এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এসেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক (র)-এর বিবরণে রয়েছেন যে,
নবী করীম (সা) তার কুরবানীর উটে আলী (রা)-কে শবীক করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷ অন্যদের বর্ণনায় রয়েছে নবী করীম (সা) ও আলী (বা) মিলে মোট একশত উট
কুরবানী করেছিলেন ৷ এ বংনাির ভিত্তিতে বলা যায় যে, এ সব পশু তিনি যুলহুলায়ফা থেকে
সাথে নিয়েছিলেন কিৎবা কিছু সং খ্যক পথে ইহরাম অবস্থায় কিনে নিয়েছিলেন ৷



نِسَائِهِ ثُمَّ أَصْبَحَ مُحْرِمًا.» وَهَذَا اللَّفْظُ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ يَقْتَضِي أَنَّهُ كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَطَيَّبُ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ عَلَى نِسَائِهِ، وَكَأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَطَيَّبَ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ عَلَى نِسَائِهِ ; لِيَكُونَ ذَلِكَ أَطْيَبَ لِنَفْسِهِ وَأَحَبَّ إِلَيْهِنَّ، ثُمَّ لَمَّا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ وَلِلْإِحْرَامِ تَطَيَّبَ أَيْضًا لِلْإِحْرَامِ طِيبًا آخَرَ. كَمَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ «أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَجَرَّدَ لِإِهْلَالِهِ وَاغْتَسَلَ.» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُحْرِمَ غَسَلَ رَأْسَهُ بِخَطْمِيٍّ وَأُشْنَانٍ، وَدَهَنَهُ بِشَيْءٍ مِنْ زَيْتٍ غَيْرِ كَثِيرٍ.» الْحَدِيثُ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: «سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: طَيَّبْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৭
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُرْمِهِ وَلِحِلِّهِ. قُلْتُ لَهَا: بِأَيِّ طِيبٍ؟ قَالَتْ: بِأَطْيَبِ الطِّيبِ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ وُهَيْبٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَخِيهِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِإِحْرَامِهِ حِينَ يُحْرِمُ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ.» وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ وَالْقَاسِمَ يُخْبِرَانِهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ بِذَرِيرَةٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ لِلْحِلِّ وَالْإِحْرَامِ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৮

রাসুলুল্পাহ (সা) এর ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠের স্থান নির্ণয়
এবং বর্ণনাকারীদের মতবিরোধ ও তার মীমাষ্স৷

আওযাঈ (র) উমর (রা) থেকে বর্ণিত, বুখায়ীর হাদীস ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে উমার (রা) বলেছেন, ওয়াদিল আকীকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-£ক বলতে তনেছি, আমার
প্ৰতিপালকের নিকট হতে একজন আগন্তুক আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন হব্লুজ্জর সাথে উমর৷ ৷ বুখারী (র) আরো
বলেছেন অনুচ্ছেদ৪ ষুল হুলায়কা মসজিদের কাছে ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠ৪ ংআলী ইবন
আবদুল্লাহ (র)আবদুল্পাহ্ ইবন উমার (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ অর্থাৎ বুল-
হুলায়ফার মসজিদ-এর নিকট ব্যতীত অন্য কোথাও ইহরাম ৰীধেন নি ৷ ইবন মাজা বাতিরেকে
সিহাহ সিত্তার ইমামণণ সকলেই এ হাদীস (উল্লিখিত সনদের মধ্যবর্তী বাবী) মুসা ইবন
উকৰা (র) হতে ৩বিতিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) এর অন্য একটি রিওয়ায়ড়াতে
অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তিনি (নবী করীম সা) তখন বললেন, লাব্বায়েক ৷ বুখারী মুসলিমের অন্য
একটি রিওয়ায়াতে (মালিক, মুসা, সালিম) রয়েছে যে, সালিম (র) বলেন, ৩া৷রদুস্নাহু ইর ন
উমর (রা) বলেছেন, তোমাদের এ খোলা মাঠ, যাতে (ত ৷মরা (ইহরাম বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ইহরাম করেছিলেন মসজিদের
কাছে থেকে ৷ আবার এই ইবন উমর (রা) হতেই এর বিপরীত বর্ণনা রয়েছে ৷ যেমন
প্রতিপক্ষে আলোচনা করা হবে-ব যাবুখারী, মুসলিম (র)ত তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক (র)
ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ (ইবন উমর রা) বললেন,ত তবে ইহরাম ও
তালবিয়৷ পাঠের বিষয়টি তা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) £ক ইহরাম-তালবিয়৷ পাঠ করতে প্রত্যক্ষ
করি নি যতক্ষণ না তার বাহন৩ তাকে নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করল ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র)সাঈদ ইবন জুবায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) কে আমি বললাম, (হ আবুল আব্বাস ’ রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর ইহরাম-৩ ৷লবিয়৷ ব্যাপারে যে, কখন তিনি তা সস্পা ধ ন করলেন ৷ রাসুণুহুমাহু (সা)-
এর সাহাবীণণের পরস্পর বিরোধী বর্ণনায় আমরা তাজ্জব যাচ্ছি ৷ তিনি বললেন, আমি ই এ
বিষয়ে সৰ্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যেহেতু (মদীনা থেকে) মাত্র একবার ই হজ্জ
করেছিলেন ৷ তাই তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হভ্রুজ্জর উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ পরে যখন যুল হলায়ফায় তার সালাতের স্থানে ইহরাম বাধার উদ্দেশে ৷৷ দু রাকআত
নামায আদায় করলেন এবং ঐ বসা অবস্থায়ত তার হভ্রুজ্জর ইহরামের নিয়ত করলেন ৷ তখন
কিছু লোক তার কাছে তা শুনতে গেল এবং তারা তাই স্মরণ রাখল ৷ তারপর তিনি বাহনে
আরোহণ করলেন; পরে যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির হয়ে র্দাড়াল তখন তিনি তালবিয়া
উচ্চারণ করলেন এবং অন্য কিছু লোক তখন তার নিকট হতে তা স্মরণ রাখলো, এর কারণ
হল এই যে, লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে আসছিল, তাই তাদের এক দল শুনতে পেল






عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ هَاتَيْنِ لِحُرْمِهِ حِينَ أَحْرَمَ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ.» وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَا: ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أُطَيِّبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ، وَيَوْمَ النَّحْرِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ بِطِيبٍ فِيهِ مِسْكٌ.» وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَا: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الْمِسْكِ فِي مَفَارِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُلَبِّي.» ثُمَّ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الْمِسْكِ فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، كِلَاهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৯
عَنْهَا. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي أُصُولِ شَعْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفْرِقِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَيَّامٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ.» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «رَأَيْتُ الطِّيبَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯০

আল-বিদড়ায়ড়া ওয়ান নিহড়ায়ড়া ২১ ১

তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির দাড়ড়াবার সময় তিনি তালৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ তা ইি তারা
(তাদের অভিজ্ঞতা মতে) বলতে লাগল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো তালবিয়ড়া উচ্চারণ করেছিলেন
যখন তার উট তাকে নিয়ে স্থির হয়ে দীড়িয়েছিল ৷ তারপর বাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে লাগলেন,
যখন তিনি বায়দা প্রাতরের চড়াইতে উঠলেন তখন (আবার) তালবিয়া উচ্চারণ করলেন, তখন
অন্য কিছু লোক তা তাদের স্মরণে রাখলো এবং তারা বলতে লাগলো যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) তো
তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন বয়েদা প্রাম্ভরের চড়াইতে উঠেছিলেন ৷ আল্লাহর কসমা
তিনি অবশ্যই নিয়ত (ও ইহরাআঃতড়ালবিয়া) তড়ালৰিয়া করেছিলেন তার বাসায় পড়ার স্থানে এবং
তালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির সড়াড়িয়েছিল্ এবং তালবিয়া
উচ্চারণ করেছিলেন যখন তিনি বায়দড়া প্রান্তরের চড়াইতে উঠেছিলেন তখনও ৷

অতএব, যারা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি গ্রহণ করেছেন যে, নবী কবীম (সা)
র্তার নামাযের স্থানে ইহরড়াম-তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন, ? তিরমিবী ও নড়াসাঈ (র) উভয়
কুতায়বা (র)থুসায়ফ (র) থেকে এ হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিবী
(র) মন্তব্য করেছেন, একক সুত্রীয় উত্তম; (কুতায়বার উর্ধ্বত ন রাবী) আবদুস সালাম (র)
ব্যতীত আর (কউ তা রিওয়ায়ড়াত করেন নি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে খুসায়ফ (র)
সুত্রে ইমাম আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৩ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

গ্রন্থকারের মস্তব্য৪ ংউক্ত হাদীসটি সহীহ্ সড়াবস্তে হলে তা সং শ্রিট হাদীসসমুহের মধ্যে
সমন্বয় সাধন করতে পড়ারত এবং বাস্তবে এর পরিপস্থি বর্ণনক্যেবীদের বর্ণনার কারণরুপে গৃহীত
হতে পড়ারভো কিন্তু এর সনদে দৃর্বলতা রয়েছে ৷ এ ছাড়া ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (বা)
হতে তাদের পুর্বোল্লিখিত রিওয়ায়াতের বিপরীত রিওয়ায়াত ও রয়েছে (পরবর্তীতে তার ব্যাখ্যা
বিশ্লেষণ পেশ করা হবে) ৷ যারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, নবী কবীম (সা) তার বাহন
তাকে নিয়ে স্থির দাড়ালে তালৰিয়া উচ্চারণ করেছিলেন তারাও অনুরুপ রিওয়ায়তে উল্লেখ
করেছেন ৷

বুখাবী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) , আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন যে, নবী কবীম (সা) মদীনায় চার রাকআত (যুহর) আদায় করলেন এবং
মুলহুলায়ফায় দুই বাকআত আদড়ায় করলেন, তারপর যুল-হুলায়ফায় রাত যাপন করলেন ৷
পরে যখন তার বাহনে আরোহণ করলেন এবং বাহন তড়াদুক নিয়ে স্থির হন, তখন তিনি
তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন ৷

আর বুখড়াবী, মুসলিম (র) ও সুনান গ্রছসমুহের সং কলকবৃন্দ (পুর্বোল্লিজ্যি সনদের) মুহাম্মদ
ইবনুল মুনকার্দির (র) এবং ইবরাহীম ইবন মড়ায়েসারড়া (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে আবাস (বা)
থেকে এ হাদীসটি রিওয়য়ােত করেছেন ৷ ওদিকে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে মালিক (র)ইবন
উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীস, ইবন উমর (রা) বলেন, ইহরাম তালবিয়ড়া বিষয়টি তা আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক ত ড়ালৰিয়ড়া উচ্চারণ করতে প্রত্যক্ষ করি নি, যতক্ষণ তার বাহন তাকে নিয়ে
দ্রুত চলতে শুরু করে নি ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বরে ইবন ওয়ড়াহব (র) , ইবন উমর সুত্রে এ মর্মে
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুলহুলায়ফায় তার বড়াহনে আরোহণ করার পরে তা
তাকে নিয়ে সোজা হয়ে সড়াড়ান্সে তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷


فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ.» فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ دَالَّةٌ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تَطَيَّبَ بَعْدَ الْغُسْلِ، إِذْ لَوْ كَانَ الطِّيبُ قَبْلَ الْغُسْلِ لَذَهَبَ بِهِ الْغُسْلُ، وَلَمَا بَقِيَ لَهُ أَثَرٌ، وَلَا سِيَّمَا بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ يَوْمِ الْإِحْرَامِ، وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ السَّلَفِ، مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ إِلَى كَرَاهَةِ التَّطَيُّبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ. وَقَدْ رَوَيْنَا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ ; فَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ بِبَغْدَادَ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْغَمْرِ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَالِيَةِ الْجَيِّدَةِ عِنْدَ إِحْرَامِهِ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ عَزِيزُ الْمَخْرَجِ، ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَبَّدَ رَأْسَهُ لِيَكُونَ أَحْفَظَ لِمَا فِيهِ مِنَ الطِّيبِ، وَأَصْوَنَ لَهُ مِنَ اسْتِقْرَارِ التُّرَابِ وَالْغُبَارِ. قَالَ مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: إِنَّ حَفْصَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯১
مَالِكٍ وَلَهُ طُرُقٌ كَثِيرَةٌ عَنْ نَافِعٍ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّدَ رَأْسَهُ بِالْغُسْلِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَشْعَرَ الْهَدْيَ وَقَلَّدَهُ وَكَانَ مَعَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ.» قَالَ اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ وَأَهْدَى، فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَالْكَلَامُ عَلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، هُوَ الدَّسْتُوَائِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ دَعَا بِنَاقَتِهِ فَأَشْعَرَهَا فِي صَفْحَةِ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ، وَسَلَتَ الدَّمَ وَقَلَّدَهَا
পৃষ্ঠা - ৩৮৯২
نَعْلَيْنِ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ» وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ طُرُقٍ عَنْ قَتَادَةَ، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تَعَاطَى هَذَا الْإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيدَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ فِي هَذِهِ الْبَدَنَةِ، وَتَوَلَّى إِشْعَارَ بَقِيَّةِ الْهَدْيِ وَتَقْلِيدَهُ غَيْرُهُ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ هَدْيٌ كَثِيرٌ ; إِمَّا مِائَةُ بَدَنَةٍ، أَوْ أَقَلَّ مِنْهَا بِقَلِيلٍ، وَقَدْ ذَبَحَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً، وَأَعْطَى عَلِيًّا فَذَبَحَ مَا غَبَرَ. وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ أَنَّ عَلِيًّا قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ بِبُدْنٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَشْرَكَ عَلِيًّا فِي بُدْنِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّهُ ذَبَحَ هُوَ وَعَلِيٌّ يَوْمَ النَّحْرِ مِائَةَ بَدَنَةٍ. فَعَلَى هَذَا يَكُونُ قَدْ سَاقَهَا مَعَهُ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَقَدْ يَكُونُ اشْتَرَى بَعْضَهَا بَعْدَ ذَلِكَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৩


বুখারী (র) আরো বলেছেন, অনুচ্ছেদ : বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াবার পর যারা তালবিয়া
উচ্চারণ করেন আবু আসিম (র), ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম
(সা)কে নিয়ে তার বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াৰার সময় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ মুসলিম
ও নাসাঈ (র) এ হাদীসটি (উল্লিখিত সনদে) ইবন জুরায়জ (র) হতে রিওয়ারাত করেছেন ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র), ইবন উনার (বা) থেকে তিনি
বলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) যখন বাহনের পা দানীতে তার পা রাখলেন এবং তার বাহন তাকে নিয়ে
উঠে র্দাড়াল তখন ঘুল-হলায়ফায় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ এ বর্ণনা সুত্র একাকী
মুসলিম (র)-এর ৷ বুখারী মুসলিম (র) অন্য একটি সুত্রে উবায়দুল্পাহ্ ইবন উমর (র) , ইবন উমর
(রা) সনদে হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা ও কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া উচ্চারণ প্ৰসংগে, আবু মামার
(র) বলেছেন, নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) যুল-হুলায়ফায় ফজরের সলোত
আদায় করার পর তার বাহন প্রস্তুতির নির্দেশ দিতেন, তখন তাতে ণদী আটা হলে তিনি তাতে
আরোহণ করতেন ৷ বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে তিনি কিংলামুখী হয়ে র্দাড়াতেন,
পরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন ৷ হারাম শরীফ উপনীত হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতো ৷
তারপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন ৷ অবশেষে ঘু-তুওয়ায় উপনীত হলে সেখানে রাত
কাটাতেন ৷ ফজরের সলোত আদায়ের পরে গোসল করতেন এবং বলতেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)
এমন করেছেন ৷ তারপর বুখারী (র) বলেছেন, গোসল করার বিষয় ইসমাঈল (র) , আয়ুৰে (র)
সুত্রে সমার্থক রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ মুসলিম এবং আবু দাউদও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর বুখারী (র) বলেছেন, সুলায়মান আবুর-রাবী (র), নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন,
ইবন উমার (বা) মক্কা অভিমুখে সফর করার নিয়ত করলে, এমন তেল মাখতেন যাতে কোন
সুঘ্রাণ থাকতো না ৷ তারপর যুল-হুলায়ফার মসজিদে পৌছে সালাত আদায় করতেন ৷ তারপর
বাহনে চড়তেন ৷ তার বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে ইহরাম বাধ্তেনঃ ৷ তারপর
বলতেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি এভাবেই করতে দেখেছি ৷ এ সুত্রে বুখারী (র) এ হাদীসটি
একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে তিনি বলেন, তোমাদের এ খােলা প্রাতর যেখানে (ইহরাম করা)-এর কথা বলে
তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক, আল্লাহর কলম; রাসুলুল্পাহ্ (না)
(ঐ) গাছঢির কাছে ছাড়া অন্য কোন স্থান হতে ইহরাম ৰীধেন নি ৷ তিনি ইহরাম বেধেছিলেন,
যখন তার উট তাকে নিয়ে র্দাড়িয়েছিল ৷ এ হাদীসটি ইবন উমর (রা)-এর পুর্বোল্পিখিত
রিওয়ায়াত ও এখানকার রিওয়ায়াতগুলির মাঝে সমন্বয় সাধন করে ৷ তা এভাবে যে, ইইরাম
হয়েছিল (পরবর্তী সময় নির্মিত) মসজিদের কাছ থেকেই ৷ তবে তা ছিল তার আরোহণ এবং
বাহন তাকে নিয়ে বায়দা প্রাম্ভরে অর্থাৎ সমতল ভুমিতে সোজা হয়ে র্দাড়াবার পরে ৷ আর তা
ছিল বায়দা প্ৰম্ভেরে (ইহরামের স্থানরুপে জনতার মাঝে) পরিচিত স্থানটির কাছে পৌছার
আগেই ৷

তাছাড়া বুখারী (র) অন্যত্র বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আল মুকাদ্দাযী (র),
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী করীম (সা) মাথা আচড়ানাে, তেল


[الْمَوْضِعُ الَّذِي أَهَلَّ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] بَابُ بَيَانِ الْمَوْضِعِ الَّذِي أَهَلَّ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَاخْتِلَافِ النَّاقِلِينَ لِذَلِكَ، وَتَرْجِيحِ الْحَقِّ فِي ذَلِكَ ذِكْرُ مَنْ قَالَ أَنَّهُ أَحْرَمَ مِنَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ الْإِهْلَالِ عِنْدَ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، سَمِعْتُ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ: «مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ. يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৪
عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ وَنَافِعٍ وَحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَذَكَرَهُ، وَزَادَ: فَقَالَ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ". وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ.» وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ خِلَافُ هَذَا كَمَا يَأْتِي فِي الشِّقِّ الْآخَرِ، وَهُوَ مَا أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَ حَدِيثًا فِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ: «وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: «قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، عَجَبًا لِاخْتِلَافِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِهْلَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَوْجَبَ! فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ، إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ، فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا ; خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجًّا، فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ، فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ.» فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، فَحَفِظُوا عَنْهُ، ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالًا، فَسَمِعُوهُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৫


লাগানো এবং লুঙ্গি ও চাদর গায়ে দেয়ার পর তিনি ও তার সাহাবীণণ মদীনা থেকে চলতে
লাগলেন ৷ কোনও ধরনের চাদর-লুঙ্গি পরিধান নিষেধ করলেন না ৷ তবে জাফরানী বংকৃত
কাপড় যা দেহ-ত্ককে রং গিয়ে দেয়, তা ছাড়া তারপর যুল হুলায়ফায় সকাল করলেন এবং
তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ বাহন প্রাতরের বুকে সোজা হয়ে র্দাড়ালেগু তিনি ও তার
সহচরণণ তালবিয়৷ উচ্চারণ করলেন এবং তিনি কুরবানীর উটকে মালা পরালেন ৷ এটা ছিল
জিলকদ মাসের পাচ দিন বাকী থাকতে ৷ তারপর (মক্কায় পৌছে) তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ
করলেন এবং সাফাওয়া-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন ৷ কিন্তু, কুরবানীর পশু সাথে থাকার
করেংণ তিনি হালাল হলেন না ৷ কেননা, তিনি হাদীকে মালা পবিয়েছিলেন ৷ হাদীর উট
মক্কার চড়৷ ৷ই অঞ্চলে হ জ্জান রক্ষিত ছিল ৷ তিনি হরুজ্জর ইহরাম-ত ৷লবিয়৷ শুরু করলেন ৷
তবে ইতো ৩াপুর্বের তাওয়াফের পরে তিনি আরাফাত থেকে ফিরেঅ অসা৷ পর্যন্ত পুনরায়
(তাওয়াফের উদ্দেশ্যে) বা বা শরীফের নিকটবর্তী হলেন না ৷

তবে সাথীদের হুকুম দিয়েছিলেন, তারা যেন বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায়
দৌড়াবার পরে মাথা ছেটে নেয় এবং (উমরার ইহরাম হতে) হালাল হয়ে যায় ৷ এ নির্দেশ ছিল
তাদের জন্য যাদের সাথে মালা পরানো হাদীর উট ছিল না ৷ এদের মাঝে যার যার সাথে
তাদের শ্ৰীর৷ ছিল, সে ত্রী এবং সুগন্ধি ও (া;সলাইযুক্ত) কাপড় তাদের জন্য হালাল হল ৷
একাকী বুখারী (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন,
বাহ্য ইবন আসাদ, হাজ্জাজ, রাওহ্ ইবন উবাদ৷ ও আফ্ফান ইবন মুসলিম (র) সকলে ইবন
আব্বাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায় (পরের দিনের) যুহর সালাত
আদায় করলেন, তারপর তার হাদীর উটটি নিয়ে আসতে বললেন ৷ তারপর তার কুজের ডান
পাশে যখম করে তার রক্ত লেপটে দিলেন এবং তাকে দুটি চপ্পলের মালা পবিয়ে দিলেন ৷
তারপর র্তার রাহর্ননিয়ে আসতে বললেন ৷ বাহনটি (তাকে নিয়ে) খোলা মাঠে সোজা হয়ে
র্দাড়ালে তিনি হরুজ্জর তালবিয়৷ ষ্ উচ্চারণ করলেন ৷ আহমদ (র), মুসলিম (র) এবং সুনান
সংকলকবৃন্দ তাদের সংকলনসমুহেও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) হতে
বিভিন্ন সুত্রে আহরিত এ বিওয়ায়াতসমুহের ভাষ্য হল নবী করীম (না)-এর বাহন তাকে নিয়ে
সোজা হয়ে র্দাড়াবার পরে তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন ৷ সনদের বিচারে এ
রিওয়ায়াতগুলাে সাঈদ ইবন ষুবায়র সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) হতে আহরিত থুসায়ফ আল-
জাবারী (র)-এর বিওয়ায়াতের তুলনায় অধিকতর প্রামাণ্য ও বিশুদ্ধ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷ অনুরুপ বাহন তাকে নিয়ে সোজা দীড়ালে তা ৷র ইহরাম ত ৷লবিয়৷ ৷র বিশদ রর্ণনাযুক্ত
রিওয়ায়াত গুলাে অন্যান্য বিওয়ায়াতের চেয়ে অ্যাধিক৷ ৷রযােগ্য হবে ৷ কেননা, বাহন তাকে নিয়ে
স্থির হলে মসজিদের কাছ হতেই তার ইহরাম বাধার মজবুত সম্ভাবনা বিদ্যমান ৷ অতএব,
বাহনে আরোহণ সম্বলিত বিওয়ায়াতে অতিবিক্ত ইল্ম’ ও বিষয় থাকা ৷র যুক্তিতে তা অন্যান্য
বিওয়ায়াতের তুলনায় অগ্ৰাধিকার পাবে ৷ আল্লাহ্ইত৷াল জানেন ৷

মােটকথা , এ প্রসঙ্গে আনাস (রা) থেকে প্রাপ্ত রিওয়ায়াত পরস্পর ৰিরােধিতামুক্ত ৷ অনুরুপ,
সহীহ্ মুসলিমে জাফর সাদিক (র) সুত্রীয়জাবির ইবন’ আবদুল্লাহ্ (রা)-এর সুদীর্ঘ
রিওয়ায়াত (পরবর্তীতে উল্লিখিত হবে) (নবী করীম (না)-এর বাহন তাকে নিয়ে সোজা হলে
তিনি তালবিয়৷ উচ্চারণ করলেন)-ও দ্বন্দ্ব ও দ্ব্যর্থতামুক্ত ৷ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে


حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ. ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ. وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلَّاهُ، وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ، وَأَهَلَّ حِينَ عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ. فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلَّاهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ بِهِ نَحْوَهُ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ عَبْدِ السَّلَامِ. كَذَا قَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ لَهُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْهُ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْقَطِيعِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ قَالَ: خُصَيْفٌ الْجَزَرِيُّ غَيْرُ قَوِيٍّ، وَقَدْ رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْفَعُ مُتَابَعَةُ الْوَاقِدِيِّ، وَالْأَحَادِيثُ الَّتِي وَرَدَتْ فِي ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَسَانِيدُهَا قَوِيَّةٌ ثَابِتَةٌ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. قُلْتُ: فَلَوْ صَحَّ هَذَا الْحَدِيثُ لَكَانَ فِيهِ جَمْعٌ لِمَا بَيْنَ الْأَحَادِيثِ مِنَ الِاخْتِلَافِ، وَبَسْطُ الْعُذْرِ لِمَنْ نَقَلَ خِلَافَ الْوَاقِعِ، وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ خِلَافُ مَا تَقَدَّمَ عَنْهُمَا، كَمَا سَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ وَنُبَيِّنُهُ، وَهَكَذَا ذَكَرَ مَنْ قَالَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৬
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَنَسٍ. وَثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَرْكَبُ رَاحِلَتَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ يُهِلُّ حِينَ تَسْتَوِي بِهِ قَائِمَةً» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৭

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইহ্রাম ও তালবিয়া পাঠের স্থান নির্ণয়
এবং বচ্নািকারীদের মতবিরোধ ও তার মীমাংসা

আওযাঈ (র)উমর (বা) থেকে বর্ণিত, বুখড়ারীর হাদীস ইতোপুর্ধে উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে উমার (রা ) বলেছেন, ওমাদিল আকীকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে বলতে ওনেছি, আমার
প্রতিপালকের নিকট হতে একজন আগন্তুক আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সড়ালাত আদায় করুন এবং বলুন হৰুজ্জর সাথে উমরা ৷ বৃখারী (র) আরো
বলেছেন অনুচ্ছেদ : যুল-হুলায়ফা মসজিদের কাছে ইহরাম ও তালৰিয়া পাঠ ও আলী ইবন
আবদুল্লাহ (র)আবদৃল্লাহ্ ইবন উমার (রা) বলেন বড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ অর্থাৎ যুল-
হুলায়ফার মসজিদএর নিকট ব্যতীত অন্য কোথাও ইহরাম ৰীধেন নি ৷ ইবন মড়াজা ব্যতিরেকে
সিহাহ সিত্তার ইমামণণ সকলেই এ হাদীস (উল্লিখিত সনদের মধ্যবর্তী রড়াবী) মুসা ইবন
উকবা (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে বিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর অন্য একটি বিওরয়োতে
অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তিনি (নবী করীম সা) তখন বললেন, লাব্বায়েক ৷ বৃখারী মুসলিমের অন্য
একটি রিওয়য়োতে (মালিক, মুসা, সালিম) রয়েছে যে, সালিম (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা) বলেছেন, তোমাদের এ খোলা মাঠ, যাতে ৷তােমরা (ইহরাম বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্
(সা)এব নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইহরাম করেছিলেন মসজিদের
কাছে থেকে ৷ আবার এই ইবন উমর (রা) হতেই এর বিপরীত বচ্নাি রয়েছে ৷ যেমন
প্রতিপক্ষে আলোচনা করা হবেণ্ যা বৃখারী, ফুসলিম (ব) তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক (র)
ইবন উমর (রা) সুত্রে বংনাি করেছেন যে, আবদুল্লাহ (ইবন উমর রা ) বললেন, তবে ইহরাম ও
তালবিয়া পাঠের বিষয়টি তা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরাম-তালবিয়া পাঠ করতে প্রত্যক্ষ
করি নি যতক্ষণ না তীর বাহন তাকে নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করল ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র)সাঈদ ইবন জুৰায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)কে আমি বললড়াম , হে আবুল আব্বাস ! বাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ইহরড়াম-তালবিয়া ব্যাপারে যে, কখন তিনি তা সম্পাদন করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর সড়াহড়াবীণণেব পরস্পর বিরোধী বর্ণনায় আমরা তাজ্জব যাচ্ছি ৷ তিনি বললেন, আমি-ই এ
বিষয়ে সর্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লট্রুহ্ (সা) যেহেতু (মদীনা থেকে) মাত্র একবার-ই হজ্জ
করেছিলেন ৷ তাই তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (না) হত্তজ্জ্বর উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ পরে যখন যুল-হুলায়ফায় তার সালাতের স্থানে ইহরাম বীধার উদ্দেশ্যে দু’রাকআত
নামায আদায় করলেন এবং ঐ বসা অবস্থায় তার হত্তজ্জর ইহরামের নিয়ত করলেন ৷ তখন
কিছু লোক জর কাছে তা শুনতে গেল এবং তারা তাই স্মরণ রড়াখল ৷ তারপর তিনি বড়াহনে
আরোহণ করলেন; পরে যখন তার বাহন র্তাকে নিয়ে স্থির হয়ে র্দাড়াল তখন তিনি তালবিমা
উচ্চারণ করলেন এবং অন্য কিছু লোক তখন র্তার নিকট হতে তা স্মরণ রাখল্যে, এর কারণ
হল এই যে, লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে আসছিল, তাই তাদের এক দল শুনতে পেল


وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَانْبَعَثَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً أَهَلَّ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ عَنْهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ الْإِهْلَالِ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ، قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَرُحِلَتْ، ثُمَّ رَكِبَ، فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَائِمًا، ثُمَّ يُلَبِّي حَتَّى يَبْلُغَ الْحَرَمَ، ثُمَّ يُمْسِكُ، حَتَّى إِذَا جَاءَ ذَا طُوًى بَاتَ بِهِ حَتَّى يُصْبِحَ، فَإِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ اغْتَسَلَ، وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ ذَلِكَ.» ثُمَّ قَالَ: تَابَعَهُ إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ فِي الْغُسْلِ. وَقَدْ عَلَّقَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا هَذَا الْحَدِيثَ فِي كِتَابِ الْحَجِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ. وَأَسْنَدَهُ فِيهِ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ هُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، وَعَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৮
حَنْبَلٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ أَبُو الرَّبِيعِ، ثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «كَانَ ابْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، إِذَا أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى مَكَّةَ ادَّهَنَ بِدُهْنٍ لَيْسَ لَهُ رَائِحَةٌ طَيِّبَةٌ، ثُمَّ يَأْتِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ فَيُصَلِّي، ثُمَّ يَرْكَبُ فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً أَحْرَمَ، ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، وَاللَّهِ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ حِينَ قَامَ بِهِ بَعِيرُهُ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ يَجْمَعُ بَيْنَ رِوَايَةِ ابْنِ عُمَرَ الْأُولَى وَهَذِهِ الرِّوَايَاتِ عَنْهُ، وَهُوَ أَنَّ الْإِحْرَامَ كَانَ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ، وَلَكِنْ بَعْدَمَا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ - يَعْنِي الْأَرْضَ - وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمَكَانِ الْمَعْرُوفِ بِالْبَيْدَاءِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي كُرَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৯


আওযাঈ (র) সুত্রে বুখারী (র) রিওয়ায়৷ ত করেছেন যে, যুল হুলায়ফায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ইহরামতালবিয়া পাঠের সময় ছিল, যখন তার বাহন৩ তাকে নিয়ে স্থির দাড়িয়েছিল (এ সব
রিওয়ায়াত বাহনা ৷রোহী হওয়ার পরে ইহরাম-তা লবিয়া পাঠফেই প্রমাণ করে) তবে আইশা
বিনৃত সাদ (র) হতে বর্ণিত মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার (র)-এর হাদীস সাদ
বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আল ফার’-এর পথ ধরে চললে তালবিয়ড়া উচ্চারণ করতেন, যখন
তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির হত ৷ আর অন্য কোন পথ ধরে চড়লে প্রাম্ভরের চড়াইয়ে উঠার
পরে তালবিয়া উচ্চারণ করতেন ৷ আবু দ ৷উদ (র), বায়হাকী (র) ও ইবন ইসহাক (র) সুত্রে এ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ হাদীস ৰিৱলতা ও অপ্রামাণ্যতা দোষযুক্তৃ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷

মাে,টকথা উল্লিখিত সব সুত্রেই সুনিশ্চিত কিৎবা প্রায় সুমিশ্চিতভা রে প্রতীয়মান হয় যে, নবী
করীম আলা ৷ইহিস সালাম সালাং৩ তর পরেই এবং তার বাহনে আরোহণ করার পরে বাহন তাকে
নিয়ে চলতে শুরু করার পরেই তিনি ইহরাম রেধেছিলেন ৷ সেই সাথে ইবন উমর (রা)-এর
তার রিওয়ড়ায়াতে অধিক তথ্য প্রদান করেছেন যে, তিনি (সা) তখন কিবলামুথী ছিলেন ৷

নবী করীম (সা) এর হজ্জ র্কীরুপ ছিল? ইফরাদ, তামাত্তু নাকি কিরলোঃ

এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন আইশা (রা)-এর রিওয়ায়াত আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন
ইদরীস ইমাম শ্ ৷ড়াফিঈ (র) বলেন, মালিক (র)অ আইশা (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ইফরাদ (উমরাবিহীন শুধু) হজ্জ করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) ইমাম আহমদ,
ইবন মাজা ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সনদে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেন,
ইসহাক ইবন ঈসা (র)আ ড়াড়াইশ ড়া(রা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ হ(সা) ইফরাদ হজ্জ
করেছিলেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুর রহমান (র) আইশা (রা) সুত্রে৩ তিনি
বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমাদের মাঝে কেউ কেউ হহ্বজ্জর
ইহরাম বাধলো এবং আমাদের কেউ (কউ উমরার ইহরাম বী ধলাে ৷ আমাদের কেউ কেউ হজ্জ
ও উমরা উভয়টির ইহরাম রীধালা ৷ রাসুলুল্লাহ্শ্ (না) (শুধু) হরুজ্জর ইহরাম বাধলেন ৷ যারা
উমরার ইহরাম বেধেছিলেন, র্তারা বায়তুল্লাহ্র তাওয়াক ও সাফা-মারওয়ড়ায় সাঈ করার পর
হালাল হয়ে গেলেন ৷ আর র্যারা হজ্জ কিংবা হজ্জ ও উমরার ইহরাম বেধেছিলেন ৷ র্তারা দশ

তারিখ’ পর্যন্ত হালাল হল না ৷ বুখারী (র), মুসলিম (র) ও আহমদ (র)৩ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

তবে আহমদ (র) অন্য এক বর্ণনায় কুতায়বা ইব ন সাঈদ (র) আইশা (রা) ’ সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হহুজ্জ লোকদের নির্দেশ দিয়ে বললেন, যে ব্যক্তি
হরুজ্জর আগে উমরা দিয়ে শুরু করতে চায় সে তাই করুক, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে শুধু
হৰজ্জর নিয়ব্রুত করলেন, উমরার নিয়াত করলেন না ৷ এটি অতিশয় বিরল একটি হাদীস যা
আহমদ ইবন হাম্বল (র) এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর সনদে কোন ত্রুটি নেই ৷ কিন্তু
এর কোন কোন শব্দ একান্তই আঃহণযােগ্য, তা হল এবং তিনি উমরা করেন নি ( ণ্দু-শ্-হ্র ণ্-ন্এ),
কেননা, এ কথার উদ্দেশ্য যদি হ্যজ্জর সাথে বা তার আগে উঃমরা না করা বুঝানো হয়, তবে
তা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইফরাদ হত্তজ্জর অভিমত পােষণকারীদের অনুকুল হবে ৷ আর যদি


رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ بَعْدَمَا تَرَجَّلَ وَادَّهَنَ وَلَبِسَ إِزَارَهُ وَرِدَاءَهُ، هُوَ وَأَصْحَابُهُ، فَلَمْ يَنْهَ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْأَرْدِيَّةِ وَالْأُزُرِ تُلْبَسُ إِلَّا الْمُزَعْفَرَةَ الَّتِي تَرْدَعُ عَلَى الْجِلْدِ، فَأَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، وَقَلَّدَ بُدْنَهُ، وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ، فَقَدِمَ مَكَّةَ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَمْ يُحِلَّ مِنْ أَجْلِ بُدْنِهِ ; لِأَنَّهُ قَلَّدَهَا، ثُمَّ نَزَلَ بِأَعْلَى مَكَّةَ عِنْدَ الْحَجُونِ وَهُوَ مُهِلٌ بِالْحَجِّ، وَلَمْ يَقْرَبِ الْكَعْبَةَ بَعْدَ طَوَافِهِ بِهَا حَتَّى رَجَعَ مِنْ عَرَفَةَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ يُقَصِّرُوا مِنْ رُءُوسِهِمْ، ثُمَّ يُحِلُّوا، وَذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ بَدَنَةٌ قَلَّدَهَا، وَمَنْ كَانَتْ مَعَهُ امْرَأَتُهُ فَهِيَ لَهُ حَلَالٌ، وَالطِّيبُ وَالثِّيَابُ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ وَحَجَّاجٍ، وَرَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، وَعَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ الْأَعْرَجَ الْأَجْرَدَ وَهُوَ مُسْلِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ دَعَا بِبَدَنَتِهِ فَأَشْعَرَ صَفْحَةَ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ، وَسَلَتَ الدَّمَ عَنْهَا، وَقَلَّدَهَا نَعْلَيْنِ، ثُمَّ دَعَا بِرَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ هُشَيْمٍ، أَنْبَأَنَا أَصْحَابُنَا، مِنْهُمْ شُعْبَةُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ رَوْحٍ، وَأَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَوَكِيعِ
পৃষ্ঠা - ৩৯০০
بْنِ الْجَرَّاحِ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ نَحْوَهُ. وَمِنْ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " وَأَهْلُ السُّنَنِ فِي كُتُبِهِمْ. فَهَذِهِ الطُّرُقُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ أَنَّهُ، ( «عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَصَحُّ» وَأَثْبَتُ مِنْ رِوَايَةِ خُصَيْفٍ الْجَزَرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا الرِّوَايَةُ الْمُثْبِتَةُ الْمُفَسِّرَةُ أَنَّهُ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ الرَّاحِلَةُ مُقَدَّمَةٌ عَلَى الْأُخْرَى، لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ أَحْرَمَ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَيَكُونُ رِوَايَةُ رُكُوبِهِ الرَّاحِلَةَ فِيهَا زِيَادَةُ عِلْمٍ عَلَى الْأُخْرَى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرِوَايَةُ أَنَسٍ فِي ذَلِكَ سَالِمَةٌ عَنِ الْمُعَارِضِ، وَهَكَذَا رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ، عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ، عَنْ جَابِرٍ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ الَّذِي سَيَأْتِي، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ. سَالِمَةٌ عَنِ الْمُعَارِضِ.» وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْأَوْزَاعِيِّ، سَمِعْتُ عَطَاءً، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ إِهْلَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯০১
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ قَالَتْ: «قَالَ سَعْدٌ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا عَلَا عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ.» فَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَهَذِهِ الطُّرُقُ كُلُّهَا دَالَّةٌ - عَلَى الْقَطْعِ أَوِ الظَّنِّ الْغَالِبِ - أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَحْرَمَ بَعْدَ الصَّلَاةِ وَبَعْدَمَا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَابْتَدَأَتْ بِهِ السَّيْرَ. زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ: وَهُوَ مُسْتَقْبِلٌ الْقِبْلَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৯০২


হতজ্জর সাথে কিৎবা আগে বা পরে একেবারেই উমর৷ না করা বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে কোন
আলিম এহেন মত পোষণ করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ তা ছাড়া এ দাবী তখন আইশা
(রা) প্রমুখ হতে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত রিওয়ায়াত নবী করীম (সা) চারবার উমরা
করেছিলেন, বিদায় হদুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরাটি ব্যতীত যার প্রতিটি ছিল যিলকদ
মাসে ৷ ’-এর সাথে সরাসরি বিরােধপুর্ণ হবে (কিরান শীর্ষক অনুচ্ছেদে এ বিষয়ের বিশদ বর্ণনা
দেয়া হবে) ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

অনুরুপ ইমাম আহমদ (র)-এর মুসনাদে বর্ণিত, তার আর একটি রিওয়ায়াত রাওহ (র)
নবী করীম (সা) এর সহধর্গিনীন্ আইশা (রা) সুত্রে বলেছেন, বিদায় হরুজ্জ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ
ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম বীধলেন এবং সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) নিলেন; তীর সন্সের
কিছু লোক (শুধু) উমরার ইহরাম বাধলেন এবং হাদী সাথে নিলেন এবং অন্য কিছু লোক
উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে তারা কো ন ৷হাদী সাথে নিলেন না ৷ আ ৷ইশা (রা) বলেন, আমি
ছিলাম সে দলে যারা উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে আ ৷মি হাদী সাথে নিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্
যখন মক্কায় উপনীত হলেন তখন বললেন-

ধ্১া, ৰুন্া৷প্রু
ণস্তো ত্া৷ ¢:fl ৷১৷ মোঃ স্ র্টু১গ্ত্রুপ্র ণ্া৷ মোঃ ণ্ঞ্জো ১কুন্৷ ণ্৷ শ্রুণ্ট্র

“ তোমাদের মাঝে যারা উমরার ইহরাম বেধেছে এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছে তারা যেন
বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করে, আর তাদের হজ্জ সমাধ৷ না করা
এবং দশ তারিখে তাদের হাদী কুরবানী না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর তোমাদের মাঝে যার৷ উমরার ইহরাম বেধেছে তবে সাথে হাদী
নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করে,
তারপর চুল ভুাটে ও হালাল হয়ে যায় ৷ পরে যেন (যথাসময়) হত্তজ্জর ইহরাম করে এবং
হাদী কুরবানী করে; অবশ্য যারা তাতে সমর্থ না হয়ে তাদের জন্য হস্কজ্জর দিনগুল্যেতে
তিনটি এবং যখন বা ৷ড়িতে ফিরে যাবে তখন সাতটি (মো ৷ট দশটি) রােয৷ ৷ আ ৷ইশা (রা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন হজ্জ যা ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে সমাধা
করলেন, পরে উমরা করলেন ৷ এ হাদীসটিও ইমাম আহমদ (র) এর একক বর্ণনা ৷ এর
কতক শব্দ অপরিচিতি দুষ্ট; তবে কতকের আবার বিশুদ্ধ বর্ণনার সমর্থক’ (শাহিদ)
রয়েছে৷ ৷ত৷ ছাড়া (সনদের দ্বিতীয়) রাৰী সালিহ ইবনুল আখযার (তার শায়খ ইব ন শি ৷হাব)
যুহরী (র) এর সেরা ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত নয়; বিশেষত যখন অন্যান্য রা ৷বী তার প্রতিকুল
বিবরণ দেয় ৷ যেমন এ ক্ষেত্রে তার বর্ণিত কতক শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ তদুপরি হজ্জ যা
ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে আদায় করলেন এবং উমর৷ পিছিয়ে দিলেন ৷
উক্তিটি এ হাদীসের প্রথমাং শের হজ্জ ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম করলেন’ এর সাথে
সঙ্গভিপুর্ণ নয় ৷ কেননা, এ কথার উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে, যে ৷টামুটিভাবে হজ্জ ও উমরা
উভয়ের ইহরাম (অর্থাৎ নিয়াত) করেছিলেন এবং হরুজ্জর কার্যক্রম আগে সম্পন্ন করেন এবং


[بَسْطُ الْبَيَانِ لِمَا أَحْرَمَ بِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي حَجَّتِهِ هَذِهِ مِنَ الْإِفْرَادِ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ] بَابُ بَسْطِ الْبَيَانِ لِمَا أَحْرَمَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي حَجَّتِهِ هَذِهِ مِنَ الْإِفْرَادِ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ بِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ مُفْرِدًا رِوَايَةُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ: قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُوَيْسٍ، وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي الْمُنْكَدِرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ»
পৃষ্ঠা - ৩৯০৩


তা সম্পন্ন করার পরে উমরার ইহরাম করলেন ৷ যেমনপ্শ্ ইফরাদের অভিমত পােবণকারিগণ
বলে থাকেন,তবে সেটাই তো আমাদের প্রতিপাদ্য ৷ আর যদি এমন উদ্দেশ্য হয় যে, আগে
থেকেই উমরার ইহরাম করা সত্বেও তার কার্যক্রম পুরোপুরি পিছিয়ে দিয়েছেন তবে,
আলিমগণের মাঝে এহেন অভিমত পােবণকারী এমন কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই ৷
আর যদি এ কথার উদ্দেশ্য এমন হয় যে, হয়ুজ্জর কার্যক্রম আদায়ের উমরার কার্যক্রম আদায়
হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ উমরাটি হরুজ্জ্বর মাঝে অনুপ্রবিষ্ট’ হয়ে গিয়েছে (বিধায় উমরার জন্য
স্বতন্ত্র তাওরাফ ইত্যাদি কার্যক্রম প্রয়োজনীয় নয়) ৷ তবে, তা তো তাদের বক্তব্য যারা (নবী
করীম (সা) এর হজ্জ) কিরান ধরনের হওয়ার অভিমত পােবণ করেছেন ৷ তবে এ অভিমত
পােবণকারিগণ সে সব হাদীস যাতে এরুপ বর্ণনা রয়েছে যে, নবী কবীম (সরু) ইফরাদ (অর্থাৎ
স্বতন্ত্র ) হজ্জ করেছিলেন এ গুলোর ব্যাখ্যা এভাবে দিয়ে থাকেন যে, তিনি হরুজ্জর জন্যই
(শুধু) স্বতন্ত্র আমল ও কার্যক্রম সমাধা করেছিলেন, যদিও হত্তজ্জর সাথে উমরারও নিয়ত
করেছিলেন (যেহেতু উমরা হসুজ্জর মাঝে অনুপ্রৰিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলে) ৷ তাদের এ ব্যাখ্যার
পিছনে যুক্তি হল এই যে, (র্তীরা বলেন) যে সব বর্ণনাকারী কিরান’ হজ্জ হওয়ার রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, র্তীরাই সকলে ইফরাদ হজ্জ হওয়ারও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বর্ণনা সামনে আসছে
অর্থাৎ র্তীদের দৃষ্টিতে কিরান ও ইফরাদ মুলত অভিন্ন বিষয় ৷ নিয়তের বিচারে কিরান এবং
কার্যক্রমের বিচারে তাই ইফরাদ ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু ঘুআবিয়া (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) হতে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু) তীর হৰুজ্জ শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম করেছিলেন ৷ এ হাদীসের সনদ মুসলিম,
(র)-এব শর্তানুরুপ উত্তম ৷ বায়হাকী (র) এ হাদীস রিওয়ায়ড়াত করেছেন হাকিম (র)
প্রযুখজাবির (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর হব্জ্জ (শুধু) হরুজ্জর ইহরাম
করলেন, যার সাথে উমরা ছিল না ৷ এ শেষের বর্ধিত অংশটুকু একান্ত বিরল ধরনের এবং
আহমদ ইবন হাবল (র) এর রিওরায়াত অধিক বিশুদ্ধ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
মুসলিমে জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) জাৰির (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা হভ্রুজ্জর ইহরাম
বীধলড়াম, আমরা হভৈপুজ্জর সময় উমরাও যে করা যায় তা জানতাম না ৷ ইবন মজ্যে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, হিশাম ইবন অস্ফোর (র) জাৰির (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু)
ইফরাদ হজ্জ করেছেন ৷ এটি একটি উত্তম’ সনদ ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুল
ওয়াহ্হড়াব আছ-ছাকাফী (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সরু) নিজে এবং তার সাহাবীগণ হত্তজ্জর ইহরাম র্যড়াধলেন; নবী কবীম (সরু) এবং
তালহা (রা) ব্যতীত র্তাদের কারো সাথে হাদী ছিল না (এরপর হাদীসটি আনুপুর্বিক উল্লেখ
করেছেন) ৷ এ দীর্ঘ হাদীস বুখায়ী (র)এর সহীহ্ গ্রন্থে রয়েছে যা পরে আসবে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইসমাঈল ইবন ঘৃহাম্মদ (র) ইবন্ উমর (রা)-এর বরাতে
বলেন, আমরা নবী করীম (সা) এর সাথে ইফরাদ হয়ুজ্জর ইহরাম র্যড়াবলাম ৷ মুসলিম (র)
তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসখানড়া ভিন্ন সনদে রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷

হাফিজ আবু বকর আলবাবযড়ার (র) বলেছেন, হাসান ইবন আবদুল আষীয ও মুহাম্মদ
ইবন যিসকীন (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সন্ব) হয়ুজ্জর


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ عَنْهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ» وَقَالَ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ عُرْوَةَ - عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ كَذَلِكَ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ فَأَحَلُّوا حِينَ طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَلَمْ يُحِلُّوا إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯০৪
بْنِ يُوسُفَ وَالْقَعْنَبِيِّ وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ مَالِكٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ نَحْوَهُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ النَّاسَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ: " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَبْدَأَ بِعُمْرَةٍ قَبْلَ الْحَجِّ فَلْيَفْعَلْ ". وَأَفْرَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ وَلَمْ يَعْتَمِرْ.» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَلَكِنْ لَفْظُهُ فِيهِ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ، وَهُوَ قَوْلُهُ: فَلَمْ يَعْتَمِرْ. فَإِنْ أُرِيدَ بِهَذَا أَنَّهُ لَمْ يَعْتَمِرْ مَعَ الْحَجِّ وَلَا قَبْلَهُ، فَهُوَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْإِفْرَادِ، وَإِنْ أُرِيدَ أَنَّهُ لَمْ يَعْتَمِرْ بِالْكُلِّيَّةِ لَا قَبْلَ الْحَجِّ وَلَا مَعَهُ وَلَا بَعْدَهُ، فَهَذَا مِمَّا لَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ الْعُلَمَاءِ قَالَ بِهِ، ثُمَّ هُوَ مُخَالِفٌ لِمَا صَحَّ عَنْ عَائِشَةَ وَغَيْرِهَا مِنْ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ إِلَّا الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ. وَسَيَأْتِي تَقْرِيرُ هَذَا فِي فَصْلِ الْقِرَانِ مُسْتَقْصًى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ قَائِلًا فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯০৫


অর্থাৎ ইকরাদ ইহরড়াম করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ বেশ উত্তম ৷ তবে ছয় গ্রন্থকড়ারপণ তা
আহরণ করেন নি ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, রাওহ্ ইবন উবড়াদা (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বাধলেন ৷ যিলহয়ুজ্জর চারদিন
অতিক্রাম্ভ হলে তিনি মক্কায় পৌছলেন এবং আমাদের নিয়ে বার্তৃহড়ায়’ (ৰায়তুল্লাহ্র কাছে
কৎকরময় ভুমিতে) ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর বললেন ৰু৬ৰুপ্রু () এে (,এে
শ্শ্লে ট)এং “যে এটিকে উমরা বানাতে চার যে তা করতে পারে ৷ ” পরে তিনি (বায়হড়াকী)
বলেছেন যে, মুসলিম (র) ও এ হাদীসখানা রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর ইবন আব্বাস (বা)
হতে কাতাদা (র) এর এ রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যুল হুলায়ফায়
যুহরের সড়ালড়াত আদায় করলেন, পরে তার হাদীর উট নিয়ে আসা হলে সেটির কুজের ডান
পাশে যখম করলেন ৷ পরে তার বাহন নিয়ে আসা হলে তাতে আরোহণ করলেন ৷ তারপর
বাহন তাকে নিয়ে প্রাতরে স্থির হয়ে র্দাড়ালে তিনি হব্লুজ্জর ইহরাম বীবলেন ৷ সহীহ্ যুসলিমে এ
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে ৷

হাফিজ আবুল হাসান দারড়া কুতনী’ (র) বলেছেন, হুসায়ন ইবন ইসমাঈল (র)
আসওয়াদ (র) সুত্রে তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনি শুধু
হজ্জ করেছেন; উমর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন এবং উছমান
(রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন ৷ ’ ছাওবী (র) আবু হুসড়ায়ন (র) সুত্রে
এ হাদীসের অনুপড়ামী (ভাবি) হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এখানে (খলীফাপণের আমলের) এ
বিষয়টি উল্লেখ করার যুক্তি এই যে, বড়াহ্যত ইসলামের এ পুরােধা ব্যক্তিবর্গ (রা) এ আমল
তাওফীকী (অর্থাৎ শরীআত প্রবর্তক নবী করীম (সা) এর অনুসরণের) পদ্ধতিতেই করে
থাকবেন ৷ এ বনািয় শুধু হজ্জ বলতে ইফরাদ হজ্জ বুঝানো হয়েছে ৷ দড়ারা কুতনী (র) আরো
বলেছেন, আবু উবায়দুল্লাহ্ কাসিম ইবন ইসমাঈল ও মুহাম্মদ ইবন মাখলাদ (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী কৰীম (সা) আত্তাব ইবন আসীদ (র) কে হরুজ্জর
আমীর নিয়োগ করলেন, তিনি ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷

তারপর নবম হিজরীতে আবু বকর (রা)£ক আষীরুল হজ্জ নিয়োগ করলেন, তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর দশম হিজরীতে নবী করীম (সা) (নিজে) হজ্জ করলেন ৷
তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গেল এবং আবু বকর
(বা) খলীফা মনোনীত হলেন ৷ তিনি উমর (রা)-কে আমীকল হজ্জরুপে পাঠালেন ৷ তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (বা) (নিজে) হজ্জ করতে ৷:পলেন ৷ তিনিও ইফরড়াদ
হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (রা) এর ওফাত হল এবং উমর (রা) খলীফা মনোনীত
হলেন; তিনি আবদুর রহমান ইবন আওক (রা)-ক্লে হরুজ্জ পাঠালেন, তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ
করলেন ৷

তারপর তিনি নিজে হজ্জ করলেন এবং ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর উছমড়ান (রা)
অবরুদ্ধ হলে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রন্ব)-ভ্রুক জনতার জন্য প্রতিনিধি বানড়ালেন ৷ তিনিও
ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ এ সনদে অন্যতম রাৰী রয়েছেন আবদুল্লাহ ইবন উমর আল-উময়ী


رَوْحٌ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ، ثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ وَسَاقُوا الْهَدْيَ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ يَسُوقُوا هَدْيًا. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَكُنْتُ مِمَّنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ أَسُقْ هَدْيًا، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَا يَحِلُّ مِنْهُ شَيْءٌ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَيَنْحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ يَسُقْ مَعَهُ هَدْيًا فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ لْيُقَصِّرْ وَلْيُحْلِلْ، ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ الَّذِي خَافَ فَوْتَهُ، وَأَخَّرَ الْعُمْرَةَ.» فَهُوَ حَدِيثٌ مِنْ أَفْرَادِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَفِي بَعْضِ أَلْفَاظِهِ نَكَارَةٌ، وَلِبَعْضِهِ شَاهِدٌ فِي الصَّحِيحِ، وَصَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ لَيْسَ مِنْ عِلْيَةِ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ، لَا سِيَّمَا إِذَا خَالَفَهُ غَيْرُهُ، كَمَا هَاهُنَا فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ سِيَاقِهِ هَذَا. وَقَوْلُهُ: فَقَدَّمَ الْحَجَّ الَّذِي يَخَافُ فَوْتَهُ وَأَخَّرَ الْعُمْرَةَ. لَا يَلْتَئِمُ مَعَ أَوَّلِ الْحَدِيثِ: أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. فَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ أَهَلَّ بِهِمَا فِي الْجُمْلَةِ وَقَدَّمَ أَفْعَالَ الْحَجِّ، ثُمَّ بَعْدَ فَرَاغِهِ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ - كَمَا يَقُولُهُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْإِفْرَادِ - فَهُوَ مِمَّا نَحْنُ فِيهِ هَاهُنَا، وَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ أَخَّرَ الْعُمْرَةَ بِالْكُلِّيَّةِ بَعْدَ إِحْرَامِهِ بِهَا فَهَذَا لَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ الْعُلَمَاءِ صَارَ إِلَيْهِ، وَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ الْمَقْضِيُّ بِأَفْعَالِ الْحَجِّ عَنْ أَفْعَالِ الْعُمْرَةِ، وَدَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ، فَهَذَا قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْقِرَانِ، وَهُمْ يُؤَوِّلُونَ قَوْلَ مَنْ رَوَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَفْرَدَ الْحَجَّ. أَيْ أَفْرَدَ أَفْعَالَ الْحَجِّ وَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯০৬


(র) ৷ যিনি দুর্বল ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন যে, বিশুদ্ধ সনদে এ হাদীসের সমর্থক
(শাহিদ) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷

নবী করীম (না) আশা ত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত

পোষণকা ৷রিগণের প্রসঙ্গ

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে বলেন, বিদায়
হৰ্জ্জ রাসুলুল্পাহ্ (সা) হকজ্জর সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন ৷ তিনি যুলহুলায়ফায়
ইহরাম বেধে হাদী সঙ্গে নিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) সুচনায় উমরার ইহরাম করলেন, তারপর
হরুজ্জর ইহরাম র্বীধলেন ৷ লোকদের মাঝে কিছু এমন ছিলেন যারা হাদী সাথে নিয়েছিলেন,
তারা যুলহুলায়ফা হতে হাদী সঙ্গে নিলেন এবং তাদের মাঝে এমন কিছু ছিলেন যারা হাদী
সাথে নিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় পৌছলে লোকদের বললেন, “তোমাদের মাঝে যারা
হাদী নিয়ে এসেছে তারা হজ্জ সম্পাদন না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর যারা হাদী নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে ও
সাফা মারওয়৷ সাঈ করে এবং চুল ছেটে হালাল হয়ে যায়; তারপর (যথাসময়) হজ্জ করে
(তড়ামড়াডু হভ্রুজ্জর) দম’ কুরবানী করে ৷ দম’ কুরবানী করতে যারা সমর্থ না হয়ে তারা যেন
(হহুজ্জর দিনণ্ডলােতে) তিন দিন এবং যখন বাড়িতে ফিরে যাবে তখন সাত দিন সিয়াম পালন
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় উপনীত হয়ে তাওয়াফ করলেন ৷ প্রথমত হাজ়য়ে আসওয়াদ চুম্বন
করলেন৷ ,
তারপর সাত চক্করের তিনটিতে দ্রুতগতিতে এবং হোলদুলে (বমল করে) চললেন এবং
চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে ইাটলেন ৷ বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ শেষ করে মাকামে ইবরাহীমে
দু’রাকআত নামায আদায় করলেন এবং সালাম ফিরিয়ে সাফায় পৌছে সাফা-মারওয়ায় সাঈ
করলেন ৷ তারপর যা কিছু হারাম হয়েছিল তার কিছুই তীর জন্য হালাল হল না যতক্ষণ না
তিনি তার হজ্জ সম্পাদন করলেন এবং দশ তারিখে তীর হাদী কুরবানী করলেন এবং
আরাফাত-মুযদড়ালিফা হতে চলে এসে রায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ (তাওয়াফে যিয়ারত বা ইফায়া)
করলেন ৷ লোকদের মাঝে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন, জরাও রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
আমলের অনুরুপ আমল করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, হাজ্জ ৷জ (র) উরওয়৷ ইবনুম যুরায়র (র) থেকে এ ময়ে
বর্ণনা করেন যে, আ ৷ইশা (রা) তাকে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে হরুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
তামাত্তু’ করার এবং র্তার সাথে অন্য লোকদের তামা ত্তু করার কথা অবগত করেছেন ৷ যেমন
সালিম ইবন আব,দুল্লাহ্ (র) আবদুল্লাহ (ইবন উমর) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে আমাকে
(উরওয়াকে) অবগত করেছেন ৷ বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ (র) ও নাসাঈ (র)ও
(সকলে) এ হাদীস উরওয়া আইশা (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (রা)এর বর্ণনার অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নবী করীম (না)-এর হল্কজ্জর প্ৰকরণ সম্পর্কিত তিনটি অভিমতের
-প্ৰতিটির প্রেক্ষিতেই হাদীসটি জটিল ৷ ইফরাদ অভিমত পােষণক৷ রীদের জন্য জটিল এ কারণে
যে, এতে উমরার কথা রয়েছে হভুজ্জর পুর্বে কিৎব৷ তার সাথেই (অর্থাৎ পরে নয়) ৷ আর বিশেষ


كَانَ قَدْ نَوَى مَعَهُ الْعُمْرَةَ، قَالُوا: لِأَنَّهُ قَدْ رَوَى الْقِرَانَ كُلُّ مَنْ رَوَى الْإِفْرَادَ. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فِي الْإِفْرَادِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْحَجِّ.» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ فِي حَجَّتِهِ بِالْحَجِّ لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ.» وَهَذِهِ الزِّيَادَةُ غَرِيبَةٌ جِدًّا، وَرِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَحْفَظُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَهَلَلْنَا بِالْحَجِّ لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ» . وَقَدْ رَوَى ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ وَحَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، كِلَاهُمَا عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا حَبِيبٌ - يَعْنِي الْمُعَلِّمَ -
পৃষ্ঠা - ৩৯০৭
عَنْ عَطَاءٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ، لَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَلْحَةَ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ، وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بِطُولِهِ، كَمَا سَيَأْتِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لِلْإِفْرَادِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا عَبَّادٌ - يَعْنِي ابْنَ عَبَّادٍ - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «أَهْلَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا» وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ، قَالَا: ثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» يَعْنِي مُفْرَدًا. إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. رِوَايَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ لِلْإِفْرَادِ: رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯০৮


ধরনের তামাত্তু১-এর অভিমত পােষণকড়ারীদের জানা জটিল এ কারা;ণ যে, এখানে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, তিনি (সা) সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পরেও তীর ইহরাম হতে হালাল হন নি ৷
অথচ এটা তামাত্তু হজ্জ পালনকারীর অবস্থা নয় ৷ তবে এ ক্ষেত্রে যারা এ দাবী করেছেন যে,
(বিশেষ তামাতু হওয়া সত্বেও) সাথে হাদী নিয়ে যাওয়া তার হালাল হওয়ার ব্যাপারে অম্ভরায়
সৃষ্টি করেছিল যা হযরত হাফসা (বা) হতে (ইবন উমর রা ) সুত্রে হাদীসের মর্ম; যাতে তিনি
বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ব্যাপারটি কী, লোকেরা তাদের উমরা হতে হালাল হয়ে গেল,
আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না ? তখন তিনি বলেছিলেন, আমি আমার মাথায়
আঠাল দ্রব্য জড়িরেছি এবং আমার হাদীকে মল্দো’ পরিয়েছি; অতএব, কুরবানী না করা পত্তি
আমি হড়ালাল হচ্ছি না ৷ এ বক্তব্যও যুক্তিসিদ্ধ নয় ৷ কেননা, কিরান’ সম্পর্কিত হাদীসসমুহ এ
বক্তব্য নাকচ করে দেয় এবং তা নবী করীম (সা) প্রথম উমরার ইহরাম করেছিলেন, পরে
সাফা-মড়ারওয়ড়ায় সাঈর পরে পুনরায় হব্পুজ্জর ইহরাম বেধেছিলেন ৷ এ বর্ণনাকেও নাকচ করে
দেয় ৷ কেননা, বিশুদ্ধ সনদে, বরং উত্তম (হাসান) সনদে, এমনকি দুর্বল সনদেও কোন
বর্ণনাকারী এক্ষেত্রে এ ধরনের ইহরাম, উমরা ও হরুজ্জর কথা উদ্ধৃত করেন নি ৷

তাছাড়া উল্লিখিত হাদীসে বিদায় হরুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্ (সা) হল্কজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
তামাত্তু করেছিলেন এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি ৰিণেষ তামাক্কু’ হয়; যাতে সাঈর পরে হালাল
হওয়া যায়; তা হলে ; তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ৰুণ্ কেননা, হাদীসের পুর্বাপর , বর্ণনা এ ব্যাখ্যা
অস্বীকার করে ৷ তদুপরি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর হরুজ্জর সাথে উমরা মিলানাের প্রমাণ্যতাও এ
দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে ৷ আর যদি এ তামাভু দ্বারা ব্যাপক অর্থের (আভিধানিক) তামাতু
উপকার ও সুযোগ লাভ বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে তাতে তে ৷ বক্ষমান আলোচ্য বিষয়ের
উদ্দেশ্য কিরানও অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ৷

, পরবর্তী উক্তি, রড়াসক্ট্র-বুল্যুহ্ (না) প্রথমে উমর র ইহরাম বাধলেন, পরে হরুজ্জর ইহরাম
বাধলেন ৷ এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি এ কথা বুঝা নো হয় যে, প্রথমে উযরা’ শব্দ এবং তার পরে
হজ্জ’ শব্দ উচ্চারণ করে এভাবে বলেছেন যে, ৷১ম্পু ং>শ্প্ণ্ ণ্শুণ্স্রা এ-;এ্যা ইয়া আল্লাহ! উমরা ও
হরুজ্জ্বর উদ্দেশ্য আপনার সকাশে হাযির হচ্ছি! তবে এ ব্যাখ্যা সহজ এবং তা কিরান-এর
প্রতিকুল নয় ৷ আর যদি এ কথা বুঝানো উদ্দেশ্য হয় যে, তিনি প্রথমে উমরার ইহরাম
করেছেন, তারপর বিলস্বে তার সাথে হজ্জকেও শামিল করেছেন তবে তাওয়াফ শুরু করার
আগে; তবে সে ক্ষেত্রেও কিরান’ সাব্যস্ত হবে৷ আর যদি উদ্দেশ্য এমন হয় যে, প্রথমে তিনি
উমরার ইহরাম বেধে তার কার্যক্রম সমাধা করেছেন ৷ তারপর হালাল হয়েছেন কিংবা হাদী
নিয়ে আসার কারণে হড়ালাল হতে পারেন নি (যেমন কেউ কেউ দাবী করেছেন) ৷ এভাবে



১ তামাভু দৃপ্রকার; বিশেষত তামাত্তু অর্থাৎ বিশেষ অর্থে তথা পারিভাষিক অর্থে তামাত্তু যাতে প্রথমে
উমরার ইহরাম করা হয় এবং বায়তুল্লাহ্ তাওয়ষ্কে ও সাফা-যারওয়ায় সৌড়াবার পরে মুহরিম হালাল হয়ে যায় ৷
পরে হহ্বজ্জয় তার আগে (৭ তারিখে) মক্কায় হরুজ্জর ইহরাম করে হজ্জ সম্পাদন করা হয় ৷ আর একটি তামাভু
ব্যাপক অর্থে অর্থাৎ আভিধানিক (একই সফরে একাধিক আমলের) উপকার ও সুযোগ লাভ ৷ এ তামাতু মুলত
কিরান (এক সাথে হজ্জ ও উমরার নিয়তে করে প্রথমে উমরা পালন করে হালাল না হয়ে যথাসময় হজ্জ পালন
করা) এর সমর্থক ৷ আলোচ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থের তামাভু হতে পারে না ৷ যেহেতু ন্


عُبَادَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، فَقَدِمَ لِأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَصَلَّى بِنَا الصُّبْحَ بِالْبَطْحَاءِ، ثُمَّ قَالَ: " مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا ".» ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ رَوْحٍ. وَتَقَدَّمَ مِنْ رِوَايَةِ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ أَتَى بِبَدَنَةٍ فَأَشْعَرَ صَفْحَةَ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ، ثُمَّ أَتَى بِرَاحِلَتِهِ فَرَكِبَهَا، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَهُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَيْضًا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ الدَّارَقُطْنِيُّ: ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو هِشَامٍ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: حَجَجْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فَجَرَّدَ، وَمَعَ عُمَرَ فَجَرَّدَ، وَمَعَ عُثْمَانَ فَجَرَّدَ. تَابَعَهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ. وَهَذَا إِنَّمَا ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا لِأَنَّ الظَّاهِرَ أَنَّ هَؤُلَاءِ الْأَئِمَّةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، إِنَّمَا يَفْعَلُونَ هَذَا عَنْ تَوْقِيفٍ، وَالْمُرَادُ بِالتَّجْرِيدِ هَاهُنَا الْإِفْرَادُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ثَنَا أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ، قَالَا: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْبَزَّازُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ عَتَّابَ بْنَ أَسِيدٍ عَلَى الْحَجِّ فَأَفْرَدَ، ثُمَّ اسْتَعْمَلَ أَبَا بَكْرٍ سَنَةَ تِسْعٍ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ عَشْرٍ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، فَبَعَثَ عُمَرَ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، وَتُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ وَاسْتُخْلِفَ عُمَرُ، فَبَعَثَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ حَجَّ عُمَرُ سِنِيهِ كُلَّهَا فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ تُوُفِّيَ عُمَرُ وَاسْتُخْلِفَ عُثْمَانُ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ حُصِرَ عُثْمَانُ، فَأَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ لِلنَّاسِ فَأَفْرَدَ الْحَجَّ» . فِي إِسْنَادِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، لَكِنْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: لَهُ شَاهِدٌ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ. [ذِكْرُ مَنْ قَالَ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ مُتَمَتِّعًا] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنَا عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ وَأَهْدَى، فَسَاقَ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى فَسَاقَ الْهَدْيَ مِنْ ذِي
পৃষ্ঠা - ৩৯০৯


উমরার কার্যক্রম সমাধা করার পরে মিনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে হরুজ্জর ইহরাম
বেধেছিলেন ৷ তবে তা হবে এমন বিষয় যা সাহাৰীদের কেউই বর্ণনা করেন নি ৷ পরবর্তীদের
মাঝে যারা এ দাবী করেছেন, তাদের দাবী কোন বর্ণনায়ই না পাওয়া যাওয়ার কারণে এবং
কিরান বিষয়ক হড়াদীসসমুহের এমনকি ইফরাদ বিষয়ক হাদীসসমুছের পরিপন্থী হওয়ার কারণে
প্রত্যাখ্যাত হবে ৷ অড়ারড়াহইি সমধিক অবগত ৷

বড়াহ্যত (যুহরী সালিম) ইবন উমর (বা) হতে লায়ছ (র)-এর এ হাদীস ইবন উমর (বা)
হতে অন্য একটি সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে, যাতে ইফরাদ হজ্যের ইহরাম র্বাধার বর্ণনা রয়েছে ৷
অনুরুপ হড়াজ্জাজ যখন ইবনুয যুবায়র (রা)-কে অবরোধ করেছিল ৷ তখন ইবন উমর (রা)-
কে বলা হয়েছিল, “লোকদের মাঝে কোন কিছু (সংঘাত-সংঘর্ষ) সংঘটিত হতে পারে; তইি
আপনার হজ্জ যদি এ বছরের জন্য ঘুলতবী করতেন ! জবাবে ইবন উমর (রা) বলেছিলেন,
“তা হলে আমি তেমনই করব, যেমনটি নবী করীম (সা) করেছিলেন অর্থাৎ হুদারবিয়ার
অবরুদ্ধ হওয়ার বছর ৷ এ কথা বলে তিনি যুল-হুলায়ফা হতে উমরার ইহরাম বীধলেন ৷
পরে প্রাতরের উচুতে উঠলে তিনি বললেন, ও দুটি (উমরা ও হজ্জ)-এর ব্যাপার তো আমি
অতিন্নই দেখতে পাচ্ছি ৷ তইি তিনি উমরার সাথে হভ্রুজ্জ্বরও ইহরাম বীধলেন ৷ ইবন উমর
(রা)-এর এ কর্মপন্থা দেখে রাবী মনে করেছেন যে, রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) হুবহু অনুরুপই
করেছিলেন ৷ অর্থাৎ উমরার ইহরাম বেধেছিলেন, পরে হজ্যের ইহরাম বেধেছিলেন (এক
সঙ্গে উমরা ও হরুজ্জর ইহ্রাম করেন নি) ৷ তইি বর্ণনাকারীরা অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তবে এতে চিন্তার কারণ রয়েছে (পরবর্তীতে এর বিবরণ দেব) ৷

আবদৃল্লাহ্ ইবন ওয়াহ্ব (র) বর্ণিত বর্ণনায় এ হাদীসের বিশদ বিবরণ রয়েছে ৷ মালিক ইবন
আনাস (র) প্রমুখকে নাফি (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ফিতনার’১ সময় আবদৃল্লাহ্ ইবন
উমর (রা) উমরার উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং বললেন, “বায়তুল্লাহ্ পৌছতে বাধাপ্রাপ্ত হলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেমন করেছিলেন আমারড়াও তেমনই করব ৷” সুতরাং বের হয়ে তিনি উমরার
ইহুরাম করলেন এবং লেতে লাগলেন ৷ যখন বায়দা প্রাতরের উচু স্থানে চড়লেন, তখন তার
সহযাত্রীদের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে বললেন, হজ্জ ও উমরার ব্যাপার তো অজ্যিই, আমি তোমাদের
সাক্ষী করছি যে, আমি উমরার সাথে হবজ্জরও নিয়তে করলাম ৷ তারপর সফর করলেন ৷ অবশেষে
বায়ত্নল্লাহ্-এ পৌছে তার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ করলেন ৷ তার
চইিতে বেশী করলেন না এবং এ কার্বক্রমবেইি তিনি যথেষ্ট মনে করলেন, আর হাদী কুরবানী
করলেন ৷ মুসলিম অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আর আবদুর রড়াঘৃযাক (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত প্রসঙ্গে
অতিরিক্ত যোগ করেছেন, ইবন উমর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এরুপ করেছেন ৷

বুখারী (র)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, কুতায়বা (র) নাফি (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন

যে, হাজ্জাজ ইবনুয যুবায়র (রা)-ণ্ক অবরোধ করার বছর ইবন উমর (রা) হস্কজ্জ্ব যাওয়ার
নিয়াত করলেন ৷ তখন তাকে বলা হল যে, “লোকদের মাঝে লড়াই আসন্ন মনে হচ্ছে,



১ মক্কার আবদুল্পাহ্ ইবনুয বুৰারর (রা)-এর বিরুদ্ধে উমাইয়াদের ইরাকী গভর্ণর (ও সেনাপতি) হাজ্জাজের
অভিযান ও অবরোধজনিত দাঙ্গা ৷


الْحُلَيْفَةِ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ: " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لَا يُحِلُّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلْيُقَصِّرْ وَلْيُحْلِلْ، ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ". وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ، اسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ، ثُمَّ خَبَّ ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ، وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ رَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَانْصَرَفَ، فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ لَمْ يُحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ، وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، وَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَهْدَى فَسَاقَ الْهَدْيَ مِنَ النَّاسِ» قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَمَتُّعِهِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، وَتَمَتُّعِ النَّاسِ مَعَهُ بِمِثْلِ الَّذِي أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْبُخَارِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ شُعَيْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِيهِ، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْمُخَرَّمِيِّ، عَنْ حُجَيْنِ بْنِ الْمُثَنَّى، ثَلَاثَتُهُمْ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯১০


আমাদের আশংকা যে, তারা আপনাকে (হজ্জ পালনে) বাধা দেবে ৷ তিনি বললেন, “ তোমাদের
জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর মাঝে অবশ্যই উত্তম আদর্শ বিদ্যমান; সেক্ষেত্রে তেমনই করব
যেমনটি করেছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে ৷ আমি তোমাদের সাক্ষী বানাচ্ছি এ মর্মে যে, আমি
উমরার নিয়ত করলাম ৷ তারপর বের হয়ে বায়দা প্রান্তরের উচু স্থানে পৌছলে তিনি বললেন,
হজ্জ ও উমরার অবস্থা তো আমি অভিন্নই দেখতে পাচ্ছি; আমি তোমাদের সাক্ষী বড়ানাচ্ছি যে,
আমি আমার উমরার সাথে হরুজ্জরও নিয়ত করলাম ৷ তিনি তখন সাথে একটি হাদী নিয়ে
নিলেন, যা তিনি কাদীদে’ খরিদ করেছিলেন ৷ এবং (একবার তাওয়াফ ও সাঈ) ছাড়া বেশী
কিছু তিনি করলেন না ৷ হাদী জবাই করলেন না, যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল তার কিছুই
হালাল হল না, তিনি মাথা কামালেন না, চুল ছুাটলেন না ৷ অবশেষে দশ তারিখ এসে গেলে
কুরবানী করলেন এবং মাথা কামালেন এবং তিনি মনে করলেন যে, হজ্জ ও উমরা, উভয়ের
জন্য প্রয়োজনীয় তাওয়াফ সাঈ তিনি প্রথম তাওয়াফ সায়ী দিয়েই সমাধা করেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে
ইবন উমর (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) এরুপই করেছেন ৷

বুখারী (র) আরো বলেছেন, ইয়াকুব ইবন রাহীম (র)নাফি (র) হতে, এ মর্মে বর্ণনা
করেন যে, ইবন উমর (রা)-এর কাছে তার ছেলে আবদুল্লাহ (র) এলেন, তখন তার পিঠ
কর্দমাক্ত ছিল ৷ তিনি (পিতাকে) বললেন, “এ বছর লোকদের মাঝে লড়াই সংঘর্ষ হওয়ার
আশঙ্কা হচ্ছে ৷ তাই তারা বায়তুল্পাহ্র উপনীত হওয়ার ব্যাপারে আপনাকে বাধা দিতে পারে ৷
আপনি যদি থেকে যেতেন ! ইবন উমর (রা) বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও তো বের
হয়েছিলেন; কুরায়শী কাফিররা তার ও বায়তুল্পাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল ৷ তাই আমার ও
বায়তুল্লাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক দেখা দিলে রাসুলুল্পাহ্ (না) যেমন করেছিলেন, তেমনটি করব ৷
কেননা, তোমাদের জন্য রাসুলুল্পাহ্ (সা)ৰুএর মধ্যে অবশ্যই উত্তম আদর্শ রয়েছে ৷ সুতরাং
তেমন হলে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যেমন আমল করেছিলেন, আমিও তেমনটি করব ৷ আমি
তোমাদের সাক্ষী রাখছি এ মর্মে যে, আমি আমার উমরার সাথে হস্তুজ্জর নিয়ব্রত করে ফেলেছি ৷
এরপর তিনি মক্কায় পৌছে গিয়ে হজ্জ ও উমরা দৃ’টির জন্য একটি তাওয়াফ করলেন ৷ বুখারী
(র) ও মুসলিম (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

অতএব, এ কথা বলা যায় যে, শত্রু দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে হালাল হওয়ার ব্যাপারে
এবং হজ্জ ও উমরার জন্য একটি তাওয়াফকে যথেষ্ট মনে করার ব্যাপারে ইবন উমর (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনুসরণ করেছিলেন ৷ আর , তা এভাবে যে, প্রথমে তিনি তামাত্তু হজ্জ
পালনের মানসে শুধু উমরার ইহরাম করেছিলেন; কিন্তু অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা যথারীতি রয়ে
গেলে, দৃ’টিকে একত্রিত করলেন এবং উমরার আগে তাওয়াফের আগেই হজ্জকে শামিল
করে কিরান হজ্জ পালনকারী হয়ে গেলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, আমি এ দু’টির ব্যাপার
অভিন্নই দেখতে পাচ্ছি’ ৷

অর্থাৎ শুধু হজ্জ বা শুধু উমরা কিংবা এর উভয়টিতে বাধাখস্ত হওয়াতে কারো ব্যাপারে কোন
ব্যবধান নেই ৷ তাই যখন তিনি মক্কায় পৌছে গেলেন তখন তার প্রথম তাওয়াফকে উভয়
আমল সম্পাদনের জন্য যথেষ্ট মনে করলেন ৷ যেমন আমাদের পুরুবাল্লিখিত একক বর্ণনায়
স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ রাবীর এ উক্তি যে, তিনি (ইবন উমর) মনে করলেন


بِهِ. وَأَخْرَجَاهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ كَمَا ذَكَرَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنَ الْمُشْكِلَاتِ عَلَى كُلٍّ مِنَ الْأَقْوَالِ الثَّلَاثَةِ ; أَمَّا قَوْلُ الْإِفْرَادِ فَفِي هَذَا إِثْبَاتُ عُمْرَةٍ إِمَّا قَبْلَ الْحَجِّ أَوْ مَعَهُ، وَأَمَّا عَلَى قَوْلِ التَّمَتُّعِ الْخَاصِّ فَلِأَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يُحِلَّ مِنْ إِحْرَامِهِ بَعْدَمَا طَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَيْسَ هَذَا شَأْنَ الْمُتَمَتِّعِ، وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ إِنَّمَا مَنَعَهُ مِنَ التَّحَلُّلِ سَوْقُ الْهَدْيِ كَمَا قَدْ يُفْهَمُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ «عَنْ حَفْصَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي، فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» فَقَوْلُهُمْ بِعِيدٌ ; لِأَنَّ الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي إِثْبَاتِ الْقِرَانِ تَرُدُّ هَذَا الْقَوْلَ وَتَأْبَى كَوْنَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِنَّمَا أَهَلَّ أَوَّلًا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ بَعْدَ سَعْيِهِ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، فَإِنَّ هَذَا عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ لَمْ يَنْقُلْهُ أَحَدٌ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ، بَلْ وَلَا حَسَنٍ وَلَا ضَعِيفٍ. وَقَوْلُهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ. إِنْ أُرِيدَ بِذَلِكَ التَّمَتُّعُ الْخَاصُّ، وَهُوَ الَّذِي يُحِلُّ مِنْهُ بَعْدَ السَّعْيِ، فَلَيْسَ كَذَلِكَ، فَإِنَّ فِي سِيَاقِ الْحَدِيثِ مَا يَرُدُّهُ، ثُمَّ فِي إِثْبَاتِ الْعُمْرَةِ الْمُقَارِنَةِ لِحَجِّهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مَا يَأْبَاهُ، وَإِنْ أُرِيدَ بِهِ التَّمَتُّعُ الْعَامُّ دَخَلَ فِيهِ الْقِرَانُ، وَهُوَ الْمُرَادُ. وَقَوْلُهُ: «وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ. إِنْ أُرِيدَ بِهِ بَدَأَ بِلَفْظِ الْعُمْرَةِ عَلَى لَفْظِ الْحَجِّ بِأَنْ قَالَ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» فَهَذَا سَهْلٌ وَلَا يُنَافِي الْقِرَانَ، وَإِنْ أُرِيدَ بِهِ أَنَّهُ أَهَلَّ
পৃষ্ঠা - ৩৯১১
بِالْعُمْرَةِ أَوَّلًا، ثُمَّ أَدْخَلَ عَلَيْهَا الْحَجَّ بِتَرَاخٍ، وَلَكِنْ قَبْلَ الطَّوَافِ، قَدْ صَارَ قَارِنًا أَيْضًا، وَإِنْ أُرِيدَ بِهِ أَنَّهُ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ فَرَغَ مِنْ أَفْعَالِهَا تَحَلَّلْ أَوْ لَمْ يَتَحَلَّلْ بِسَوْقِ الْهَدْيِ - كَمَا زَعَمَهُ زَاعِمُونَ - وَلَكِنَّهُ أَهَلَّ بِحَجٍّ بَعْدَ قَضَاءِ مَنَاسِكِ الْعُمْرَةِ وَقَبْلَ خُرُوجِهِ إِلَى مِنًى، فَهَذَا لَمْ يَنْقُلْهُ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ كَمَا قَدَّمْنَا، وَمَنِ ادَّعَاهُ مِنَ النَّاسِ فَقَوْلُهُ مَرْدُودٌ ; لِعَدَمِ نَقْلِهِ، وَمُخَالَفَتِهِ الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي إِثْبَاتِ الْقِرَانِ كَمَا سَيَأْتِي، بَلْ وَالْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي الْإِفْرَادِ كَمَا سَبَقَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالظَّاهِرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّ حَدِيثَ اللَّيْثِ هَذَا عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَرْوِيٌّ مِنَ الطَّرِيقِ الْأُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ حِينَ أَرَادَ الْحَجَّ زَمَنَ مُحَاصَرَةِ الْحَجَّاجِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ شَيْءٌ، فَلَوْ أَخَّرْتَ الْحَجَّ عَامَكَ هَذَا؟ فَقَالَ: إِذَنْ أَفْعَلُ كَمَا فَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي زَمَنَ حُصِرَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ. فَأَحَرَمَ بِعُمْرَةٍ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ لَمَّا عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ قَالَ: مَا أَرَى أَمْرَهُمَا إِلَّا وَاحِدًا. فَأَهَلَّ بِحَجٍّ مَعَهَا، فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَكَذَا فَعَلَ سَوَاءً ; بَدَأَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، فَرَوَوْهُ كَذَلِكَ، وَفِيهِ نَظَرٌ ; لِمَا سَنُبَيِّنُهُ. وَبَيَانُ هَذَا فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَغَيْرُهُ، أَنَّ نَافِعًا حَدَّثَهُمْ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ خَرَجَ فِي الْفِتْنَةِ مُعْتَمِرًا وَقَالَ: «إِنْ صُدِدْتُ عَنِ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَخَرَجَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، وَسَارَ حَتَّى إِذَا ظَهَرَ عَلَى ظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৩৯১২


যে, হজ্জ ও উমর৷ পালনের জন্য প্রয়োজনীয় তাওমাফ তিনি র্তার প্রথম তাওয়ড়াফ দিয়েই সমাধা
করে ফেলেছেন ৷

ইবন উমর (রা) এর অন্য উক্তি, “রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) অনুরুপ করেছেন ৷ ” অর্থাৎ তিনি হজ্জ ও
উমরড়ার জন্য একটি তাওয়ফে তথা সাঈকে যথেষ্ট মনে করেছেন ৷

এ বর্ণনায় প্রতীয়মান হয় যে, ইবন উমর (রা) কিরড়ান’ হভ্রুজ্জর রিওয়য়োতে করেছেন ৷ এ
কারণেই নাসাঈ (র) রিওয়য়ােত করেছেন ৷ ঘুহড়াম্মদ ইবন মনসুর (র)নাফি (র) হতে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা ) হজ্জ ও উমরড়া মিলিয়ে আদায় করেছিলেন এবং একটি
তাওয়াক করেছেন ৷ নাসাঈ (র)-এর পরবর্তী রিওয়ায়ড়াত আলী ইবন মায়মুন আর রড়াক্কী
(র)নাফি (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা) যুল-হুলায়ফা পৌছে উমরার
ইহরাম করলেন ৷ তখন জর আশঙ্কা হল যে, বড়ারতুল্লাহ্তে পৌছুতে বড়াধাপ্রস্ত হবেনএভারে
উমরড়ার সাথে হজ্জাক শাযিল করে কিরড়ান হজ্জ পালনের পুর্ণ বিবরণ সম্বলিত হাদীস উল্লেখ
করেছেন ৷

এ আলোচনায় আমার উদ্দেশ্য হল এ কথাটি স্পষ্ট করে দেয়া যে, রাবীদের কেউ কেউ
যখন ইবন উমর (রা) এর উক্তি দু’টি তেমন পরিস্থিতিতে আমি তেমনই করব যেমন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) করেছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) অপুরাপই করেছেন শুণেছেন তখন তারা
ধারণা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু) প্রথমে উমরড়ার ইহরাম বেধেছিলেন, পরে হবুজ্জর ইহরড়াম
করে উমরড়ার সাথে হজ্জকে শামিল করেছিলেন তাওয়ড়াফের আগেই (যেমনটি তিনি ইবন উমর
(রা) এর আমল থেকে বৃঝেছেন) ৷ অথচ ইবন উমর (বা) তা বুঝাতে চান নি ৷ তিনি তো
বুঝাতে চেয়েছিলেন তাই, না আমরা উল্লেখ করে এসেছি (আল্লাহ সঠিক বিষয় অধিক
অবগত) ৷ এ ছাড়া যদি মনে হয় যে, তিনি প্রথমে উমরড়ার ইহরাম র্বীধার পরে তা ওমাফ করার
আগে উমরড়ার সাথে হজ্জাক শামিল করেছিলেন তার তাতেও কিরড়ান পালনকারী সক্যেম্ভ
হবেন ৷ বিশেষ ধরনের তামাভু পালনকারী সাবম্ভে হবেন না; যাতে তামাত্তু সর্বোত্তম হওয়ার
অভিমত ৫পড়ারণকড়ারীদের অনুকুল প্রমাণ হতে পারত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

তবে তার সহীহ্ গ্রন্থে আহরিত বুখারী (র) এর হাদীস মুসা ইবন ইসমাঈল (র)ইমরড়ান
(বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা নবী করীম (সা) এর যুগে তামাত্তু হজ্জ পালন
করেছি, তখন তো কুরআন নাযিল হত; তারপর যে কেউ যেমন ইচ্ছা তার মত প্রকাশ করতে
লড়াপল (এবং কিরড়ান’কে প্রাধান্য দিতে প্রয়াস পেল!) ৷ (এ সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য হল)
ইমাম মুসলিম (র)-ও এ হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইরনুল ঘুছান্না (র) কড়াতড়াদা
(র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে বর্ণনা করেন যে, এ হাদীসের তড়ামাত্তু শব্দটি কিরড়ান ও বিশেষ
তামড়াতু এ উতরকে অম্ভভুক্তকারী (আভিধানিক) ব্যাপক অর্থের তামাত্তুরুপে প্রযোজ্য ৷
আমাদের এ দাবীর প্রমাণ হল মুসলিম (র) বর্ণিত হাদীস : শুবা ও সাঈদ ইবন আবু আরুবড়া
(র) ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রড়া) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও
উমরড়া একত্রিত করেছিলেন (এরপর তিনি পুর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন) ৷ আর প্রাথমিক যুগের
অধিকড়াৎশ আলিম তামাত্তু ও যুতআ শব্দটি কিরড়ান’ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন ৷ যেমন বুখারী

৫০ শে)





وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ. فَخَرَجَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ، فَطَافَ بِهِ وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا لَمْ يَزِدْ عَلَيْهِ، وَرَأَى أَنَّ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ وَأَهْدَى.» وَقَدْ أَخْرَجَهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ بِهِ. وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ عَنْ نَافِعٍ بِهِ نَحْوَهُ، وَفِيهِ: ثُمَّ قَالَ فِي آخِرِهِ: هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ، وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ. قَالَ: {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} [الأحزاب: 21] . (الْأَحْزَابِ: 21) ، إِذًا أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً. ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ: مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلَّا وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي. فَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ، وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ، وَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ، وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الْأَوَّلِ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯১৩


(র)-এর রিওয়ায়াত এ বিষয় ইঙ্গিত করছে : কুতড়ায়বা (র)সাঈদ ইবনৃল যুসাব্যিব (র)
হতে ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী ও হযরত উছমান (রা) ঘুতআ হন্থজ্জ্বর ব্যাপারে মতানৈক্যে
লিপ্ত হলেন, তখন তারা উসফানে’ অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, আপনি তো
এমন একটি বিষয় নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন যা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে করে গিয়েছেন ৷ আলী
ইবন আবু তালিব (বা) ঐ পরিস্থিতি প্ৰ৩ ত্যক্ষ করলেন একত্রে (হজ্জ ও উমরা) দু টির ইহরাম
(অর্থাৎ কিরান) করলেন ৷ ভিন্ন সুত্রে এ মমে মুসলিম (র) এর আর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷
তাতে আছে আলী (রা) বললেন, “কোন মানুষের কথায় আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সুন্নত
পরিত্যাগ করতে পারি না ৷ শুবা (র) হতে ভিন্ন সনদে মুসলিম (র)এর আর একটি
রিওয়ায়াতআলী (রা) র্তাকে (উছমানকে) বললেন, “আপনি তো অবগত রয়েছেনই যে,
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তামাত্তু (অর্থাৎ কিরান) হজ্জ পালন করেছিলাম ৷ উছমান
(রা) বললেন, হী, তবে (সে সময়) আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে শ্ ৎকাগ্রস্ত ছিলাম (এ বর্ণনা
স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তৎকালে তাযাভু শব্দ পরবর্তী পরিভাষায় কিরান’-এর সমর্থক
ছিল অনুবাদক) ৷

তবে মুসলিম (র) বর্ণিত অন্য হাদীস : গুণদার (র)ইবন আব্বাস (রা) বলতেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমরা ৷র ইহরাম করলেন এবং তার সহযাত্রী সাহাবীগণ হরুজ্জর ইহরাম করলেন ৷
পরে রৰুসুলুল্লাহ্ (সা) হড়ার্লাল হলেন না এবং তার সাহাবীদের মাঝে অন্য যারা হাদী সাথে
নিয়েছিলেন তারাও হালাল হলেন না এবং অন্যানরাে হালাল হয়ে গেলেন ৷ আবু দউিদ তায়ালিসী
(র) তার ঘুসনাদে এবং রাওহ্ ইবন উবাদা (র)-ওইবন আব্বাস (বা) হতে এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর ইহরাম বীধলেন ৷ আবু
দাউদের বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তার সাহাবীগণ হৰ্জ্জর ইহরাম বীধলেন ৷ তাদের মাঝে
যার সাথে তামা ত্তুর হ দী ছিল না, তা ৷রা তো হালাল হলেন, আর যাদের সাথে হাদী ছিল তা ৷রা
হালাল হলেন না (পুর্ণ হাদীস) ৷ শ্

এ ক্ষেত্রে আমরা দু টি রিওয়ড়ায়াত্যকই (সমম্বিততাবে) বিশুদ্ধ বললে কিরান’ সাব্যস্ত হয়ে
যায় ৷ আর প্রতিটি রিওয়ায়াতে স্বতন্ত্র অবস্থান নিলে দলীলও স্থবির হয়ে যাবে অর্থাৎ কোন
পক্ষের দলীল সাব্যত হতে পারবে না ৷ আর যদি আমরা মুসলিম (র) এর শুধু উমরা সম্পর্কিত
রিওয়ায়াতকে প্রাধান্য দিই, তবে বলব যে, ইবন আব্বাস (রা) হত ৩ইফরাদ সম্পর্কিত (মুসলিম
র-এর) রিওরাযা য় ৷তইতোপুৰর্দুর্ব উল্লিখিত হয়েছে ৷

আর ইফরাদ হল শুধু হৰ্জ্জর ইহরাম ৷ তা হলে সে রিওয়ায়াতের হরুজ্জ্বর সাথে বর্তমান
রিওয়ায়াত্ত তর উমরা যুক্ত হয়ে অবশেষে কিরান সাব্যম্ভ হয়ে যাবে ৷ বিশেষত ইবন আব্বাস (রা)
হতে এরুপ প্রমাণবহ হাদীস একটু পরেই বিবৃত হচ্ছে ৷
মুসলিম (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন, গুনদার ও ঘুআয ইবন ঘুআয (র) ইবন
আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
প্রুন্ট্র ত্রুগ্লুএ্ মোঃ৷ ম্ভ)শুণ্ :১১


نَافِعٍ «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ دَخَلَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَظَهْرُهُ فِي الدَّارِ فَقَالَ: إِنِّي لَا آمَنُ أَنْ يَكُونَ الْعَامَ بَيْنَ النَّاسِ قِتَالٌ فَيَصُدُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ فَلَوْ أَقَمْتَ. قَالَ: قَدْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ، فَإِنْ يُحَلْ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، أَفْعَلْ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} [الأحزاب: 21] ". إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ مَعَ عُمْرَتِي حَجًّا. ثُمَّ قَدِمَ فَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي النُّعْمَانِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ نَافِعٍ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِهِمَا عَنْ أَيُّوبَ بِهِ. فَقَدِ اقْتَدَى ابْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي التَّحَلُّلِ عِنْدَ حَصْرِ الْعَدُوِّ، وَالِاكْتِفَاءِ بِطَوَافٍ وَاحِدٍ عَنِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ أَحْرَمَ أَوَّلًا بِعُمْرَةٍ لِيَكُونَ مُتَمَتِّعًا، فَخَشِيَ أَنْ يَكُونَ حَصْرٌ فَجَمَعَهُمَا، وَأَدْخَلَ الْحَجَّ عَلَى الْعُمْرَةِ قَبْلَ الطَّوَافِ، فَصَارَ قَارِنًا، وَقَالَ: مَا أَرَى أَمْرَهُمَا إِلَّا وَاحِدًا. يَعْنِي لَا فَرْقَ بَيْنَ أَنْ يُحْصَرَ الْإِنْسَانُ عَنِ الْحَجِّ أَوِ الْعُمْرَةِ أَوْ عَنْهُمَا. فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ اكْتَفَى عَنْهُمَا بِطَوَافِهِ الْأَوَّلِ، كَمَا صَرَّحَ بِهِ فِي السِّيَاقِ الْأَوَّلِ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ، وَهُوَ قَوْلُهُ: وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الْأَوَّلِ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي أَنَّهُ اكْتَفَى عَنِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافٍ وَاحِدٍ. يَعْنِي بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَفِي هَذَا دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَوَى الْقِرَانَ ; وَلِهَذَا رَوَى النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯১৪
عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا. ثُمَّ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مَيْمُونٍ الرَّقِّيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، وَأَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، وَأَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ نَافِعٍ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، فَخَشِيَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ.» فَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ مِنْ إِدْخَالِهِ الْحَجَّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَصَيْرُورَتِهِ قَارِنًا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ بَعْضَ الرُّوَاةِ لَمَّا سَمِعَ قَوْلَ ابْنِ عُمَرَ: «إِذًا أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَوْلَهُ: كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. اعْتَقَدَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدَأَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ فَأَدْخَلَهُ عَلَيْهَا قَبْلَ الطَّوَافِ،» فَرَوَاهُ بِمَعْنَى مَا فَهِمَ، وَلَمْ يُرِدِ ابْنُ عُمَرَ ذَلِكَ وَإِنَّمَا أَرَادَ مَا ذَكَرْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. ثُمَّ بِتَقْدِيرِ أَنْ يَكُونَ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، أَوَّلًا ثُمَّ أَدْخَلَ عَلَيْهَا الْحَجَّ قَبْلَ الطَّوَافِ، فَإِنَّهُ يَصِيرُ قَارِنًا لَا مُتَمَتِّعًا التَّمَتُّعَ الْخَاصَّ، فَيَكُونُ فِيهِ دَلَالَةٌ لِمَنْ ذَهَبَ إِلَى أَفْضَلِيَّةِ التَّمَتُّعِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنِي مُطَرِّفٌ، عَنْ عِمْرَانَ قَالَ: «تَمَتَّعْنَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَزَلَ الْقُرْآنُ، قَالَ رَجُلٌ بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ» فَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯১৫


“এটি এমন একটি উমরা যা আমরা তামাত্তু (হভ্রুজ্জর সাথে অতিরিক্ত সৃয়েড়াগ)-রুপে গ্রহণ
করলাম ৷ এখন যাদের সাথে হড়াদী নেই, তারা পুরোপুরিতাবে হলােল হয়ে যেতে পারে; কেননা,
কিয়ামত পর্বতের জন্য উমরা হরুজ্জর সাথে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ” বুখারী (র) ৰিওয়ায়াত
করেছেন, আদম ইবন আবু ইয়াস (র) হতে এবং মুসলিম (র) ক্তাদার (র) হতে (শুবড়ার
মাধ্যমে) আবু আমরা (র) হতে ৷ তিনি বলেন, আমি তামাত্তু (এক সাথে হজ্জ ও উমরার
ইহরাম) ৰীধলাম; কিছু লোক আমাকে তা করতে নিষেধ করলে আমি ইবন আব্বাস (রা)-কে
জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাকে তা করে যেতে বললেন ৷ আমিস্বপ্লে দেখলাম, যেন একজন
লোক বলছে, মাবরুর (পুণ্যময় ও গৃহীত) হজ্জ ও মাকবুল ঘুতআ আমি ইবন আব্বাস (রা)-
কে (এ স্বপ্নের) খবর দিলে তিনি বললেন, “আল্লাহ আকবারশ্ আল্লাহ সবার চেয়ে মহান ও
তো আবুল কাসিম (মুহাম্মদ) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত ৷ ” এ বর্ণনার ঘুতআ
শব্দের উদ্দেশ্য কিরান’ ৷

কুআয়নী (র) প্রমুখ হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (র) বর্ণনা করেন যে, মুআৰিয়া (রা)-
এর হভ্রুজ্জ আগমনের বছর সাদ ইবন আবু ওয়াকাস (রা) ও যাহ্হাক ইবন কায়স (রা)-কে
হভ্রুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় আলোচনা করতে করেছেন ৷ আলোচনায়
যাহ্হাক (রা) বললেন, “আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে অজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই তা করতে
পারে না ৷ তখন সাদ (বা) বললেন, “ভাতিজা ! তুমি অতিশয় অসুন্দর কথা বললে ! যাহ্হাক
(র) বললেন, তবে উমর ইবনুল খন্ডোব (বা) যে তা নিষেধ করতেন? সাদ (বা) বললেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা করেছেন এবং আমরাও তার সাথে থেকে তা করেছি ৷ তিরমিষী ও
নাসাঈ (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) থেকে এবং তিরমিষী (র) এ
সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন সহীহ্ বিশুদ্ধ ৷

আবদুর রাঘৃযাক (র)(গুনায়ম র বলেন) আমি সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (না)-এর
কাছে হভ্রুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সান্নিধ্যে থেকে আমি তা করেছি, যখন এ লোকটি মক্কায় কাফির ছিল ৷
ল্যেকটি হল মুআৰিয়া (বা) ৷ মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে এ হড়াদীসটি ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷

উল্লিখিত সব রিওয়ায়াতেই তামাত্তু (ও ঘুতআ) শব্দ এমন ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা
হয়েছে বা বিশেষ তামাত্তু তথা উমরার ইহরাম বেধে তা সম্পাদন করার পর হরুজ্জর ইহরাম
ৰীধা এবং কিরান (তথা এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার ইহরাম করে হজ্জ শেষে একবারে হালাল
হওয়া)-এ উতয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ৷ বরং সাদ (রা) এর রিওয়ায়াতে ভো হরুজ্জর মাসসমুহে
উমরা পালনকেও তামাত্তু বলার ইঙ্গিত রয়েছে ৷ কেননা, মুআবিয়া (রা)-এর মক্কাতে কাফির
থাকা অবস্থায় র্তাদের হন্বজ্জর পুর্বে উমরা পালন করার অর্থ হুদায়বিয়ার উমরা কিংবা
উমরাতুল-কাযা ৷ তবে দ্বিতীয়টি এ ক্ষেত্রে অধিকতর প্রযোজ্য ৷ তা কখনো জিইররানার উমরা
হতে পারে না ৷ কেননা, মুআৰিয়া (রা) তো তার পিতার সাথে মক্কা বিজয়ের রাতে ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ৷ আমাদের এ রিওয়ায়াত রয়েছে যে, কোন এক উমরার মুআৰিয়া (রা)
একটি র্কাচি দিয়ে নবী করীম (না)-এর কিছু কেশ হেটে দিয়েছিলেন ৷ সেটিকে জিইররানার
উমরা না বলে পতন্তের নেই ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷


قَتَادَةَ بِهِ. وَالْمُرَادُ بِهِ الْمُتْعَةُ الَّتِي أَعَمُّ مِنَ الْقِرَانِ وَالتَّمَتُّعِ الْخَاصِّ. وَيَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. وَأَكْثَرُ السَّلَفِ يُطْلِقُونَ الْمُتْعَةَ عَلَى الْقِرَانِ، كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَعْوَرُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: اخْتَلَفَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَهُمَا بِعُسْفَانَ فِي الْمُتْعَةِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَنْهَى عَنْ أَمْرٍ فَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ أَيْضًا، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ عَنْهُمَا بِهِ. وَقَالَ عَلِيٌّ: مَا كُنْتُ لِأَدَعَ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِ أَحَدٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ أَيْضًا، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْهُمَا، فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: «وَلَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّا تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: أَجَلْ، وَلَكِنَّا كُنَّا خَائِفِينَ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯১৬

নবী কবীম (সা) কিরান হজ্জ পালন করেছিলেন-
অভিমত পে’াষণকারীদের যুক্তি প্রমাণ

আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর রিওয়ায়াত : আবু আমৃর আল-আওযাঈ
(র) হতে গৃহীত বুখারী (র)-এর রিওয়ড়ায়াত (যা পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে), ইয়াহয়া ইবন আবু
কাহীর (র) উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আকীক উপত্যকায়
রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে আমি এ কথাঢবলতে শ্যুনছিষ্ “আমার মহান-মহীয়ান প্ৰতিপালকের পক্ষ
হতে একজন আগমনকারী আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময় উপত্যকায় সালাত
আদায় করুন এবং বলুন হভ্রুজ্জ্বর সাথে উমরা ( এর নিয়ত করছি) ৷ হাফিজ ৰায়হৃকী (র)
বলেছেন, আলী ইবন আহমদ উমর ইবনুল খড়াত্তাব (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা)
বলেছেন

ঠো১

“জিবরীল আলায়হিস সালাম আমার কাছে এলেন, তখন আমি আকীকে ছিলাম ৷ তিনি
বললেন, এ বরকতময় উপত্যকায় দৃ’রাকআত সালাত আদায় করুন এবং বলুন “হত্তজ্জর সাথে
উমরা; কেননা, কিযামত পর্যন্তের জন্য উমরা হরুজ্জর মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
বিওয়ায়াত শেষে বায়হার্কী (ব) বলেছেন, বুখারী (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেন, হাশিম (র) আবু ওয়াইল (র) সুছুএ এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, আসসাবি
ইবন মা বাদ নামে জক্ট্রনক খৃল্টান ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি জ্বিহাদ কর র ৷ইরাদা করলে ত্যাক বলা
হল, হজ্জ দিয়ে শুরু কর ৷ তখন সাবী (র) আশ আরী (রা) এর কাছে গেলে তিনি তাকে
একত্রে হজ্জ ও উমরড়ার ইহরাম ৰীধতে বললেন ৷ সাবী (র) তাই করলেন ৷ তালবিয়া
উচ্চারণকালে তিনি যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাবীআ (র)-এর পাশ দিয়ে
যাচ্ছিলেন ৷ তখন ঐ দৃ”জনের একজন অন্য জনকে বলল, “এ ণ্লাকঢি তার পরিবারের উটটির
চাইতেণ্ড অধিক বিভ্রান্ত ৷” কথাটি সাবী (র)-এর কানে পৌছলে তা তার কাছে গুরুতর মনে
হল ৷ যখন (মক্কায়) পৌছে গেলেন তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)এর কাছে গিয়ে বিষয়টি
উত্থাপন করলেন ৷ উমর (রা) তাকে বললেন, “তুমি তোমার নবী করীম (না)-এর সুন্নাত প্রাপ্ত
হয়েছ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, অন্য একবার আমি তাকে এভাবে বলতে শুনেছি ”তুমি তোমার
নবী করীম (না)-এর সুন্নাতের তাওফীক পেয়েছো ৷” ইমাম আহমদ (র) এ হড়াদীসটি ইয়াহ্য়া
ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (র)(সাবী ইবন মড়াবাদ) উমর ইবনুল খত্তোব (রা) সনদেও
রিওয়ায়াত করে (অনুরুপ) উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে রয়েছে তিনি (উমর রা) আংরা বলেছেন,
ন্ “ওরা দুজন কোন কাজের কথা বলে নি; তুমি তোমার নবী করীম (সা)ন্এর সুন্নাহ্র হিদায়ড়াত
প্রাপ্ত হয়েছ ৷ আবদুর রায্যাক (র)আবু ওয়াইল (র) উল্লিখিত সনদে এ রিওয়ায়াত


وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ مِخْرَاقٍ الْقُرِّيِّ «سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعُمْرَةٍ، وَأَهَلَّ أَصْحَابُهُ بِحَجٍّ، فَلَمْ يَحِلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَحَلَّ بَقِيَّتُهُمْ.» فَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " وَرَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُسْلِمٍ الْقُرِّيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ - وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ - فَمَنْ كَانَ مِنْهُمْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مُتْعَةُ هَدْيٍ حَلَّ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ لَمْ يَحِلَّ. . .» الْحَدِيثَ. فَإِنْ صَحَّحْنَا الرِّوَايَتَيْنِ جَاءَ الْقِرَانُ، وَإِنْ تَوَقَّفْنَا فِي كُلٍّ مِنْهُمَا وَقَفَ الدَّلِيلُ، وَإِنْ رَجَّحْنَا رِوَايَةَ مُسْلِمٍ فِي " صَحِيحِهِ " فِي رِوَايَةِ الْعُمْرَةِ فَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ رَوَى الْإِفْرَادَ، وَهُوَ الْإِحْرَامُ بِالْحَجِّ، فَتَكُونُ هَذِهِ زِيَادَةٌ عَلَى الْحَجِّ، فَيَجِيءُ الْقَوْلُ بِالْقِرَانِ لَا سِيَّمَا وَسَيَأْتِي عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ. وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ وَمُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ «هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا، فَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ فَإِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯১৭
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ آدَمَ بْنِ أَبِي إِيَاسٍ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، كِلَاهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: «تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ، فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَمَرَنِي بِهَا، فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَجُلًا يَقُولُ: حَجٌّ مَبْرُورٌ وَمُتْعَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ. فَأَخْبَرْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ سُنَّةُ أَبِي الْقَاسِمِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.» وَالْمُرَادُ بِالْمُتْعَةِ هَاهُنَا الْقِرَانُ. وَقَالَ الْقَعْنَبِيُّ وَغَيْرُهُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، «أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَامَ حَجَّ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَهُمَا يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقَالَ الضَّحَّاكُ: لَا يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلَّا مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ. فَقَالَ سَعْدٌ: بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي. فَقَالَ الضَّحَّاكُ: فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَنْهَى عَنْهَا. فَقَالَ سَعْدٌ: قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، كِلَاهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، حَدَّثَنِي غُنَيْمُ بْنُ قَيْسٍ، «سَأَلْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ قَالَ: فَعَلْتُهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ فِي الْعُرُشِ.» يَعْنِي مَكَّةَ وَيَعْنِي بِهِ مُعَاوِيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৯১৮

রয়েছে ৷ অনুরুপ ওণদার (র)আবু ওয়াইল (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সাৰী ইবন
মাবাদ (র) বলেন, আমি খৃস্ট ধমৰিলম্বী এক ব্যক্তি ছিলাম; আমি ইসলাম গ্রহণ এবং (এক
সময়) আমি হজ্জ ও উমরার ইহরাম ৰীধলাম ৷ যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাৰীআ
আমাকে ঐ দৃকাজেব্ল জন্য তালৰিয়া উচ্চারণ করতে শুনলেন ৷ তখন তারা বললেন, এ
ণ্লাকটি তার বাড়িওয়ালার উটের চইিতেও বিভ্রান্ত ৷ তাদের দুজানর কথায় আমার মাথায় যেন
পাহাড় ভেঙ্গে পড়ল ৷ আমি উমর(রা)এর কাছে ট্রপাছলে তাকে এ বিষয় অবগত করলাম ৷
তিনি ঐ দৃ’জনের কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাদের তিরস্কার করলেন এবং আমার কাছে
এসে বললেন, “তুমি নবী করীম (না)-এর সৃন্নতের প্ৰতি হিদায়াত প্রাপ্ত হরেহ ৷

আবদা (র) বলেন, আবু ওরইিল (র) বলেছেন, আমি এবং মড়াসরাক এ হাদীস সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক সময় সাবী ইবন মাবাদ (র)-এর কাছে ষেতাম ৷

উল্লিখিত সনদগুলো সহীহ্ (বুখারী)এর শর্তানুরুপ বেশ উত্তম ৷ আবু দাউদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজা ও আবু ওয়াইস লার্কীকইবন সালাম৷ (র) হতে উল্লিখিত সনদের বিজ্যি সুত্রে এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নাসাঈ (র) তার সুনানের কিতাবুল হজ্জ-এ বলেছেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন আলী ইবনুল হাসান ইবন শাকীক (এ শাকীকই হলেন আবু ওয়ইিল) উমর (রা) সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের যুতআ (তামাত্তু)
করতে নিষেধ করছি; অথচ তা অবশ্যই আল্লাহ্র কিতাৰেও রয়েছে এবং নবী করীম (সা)ও
তা অবশ্যই করেছেন (তবুও একটি বিশেষ কারণে আমি নিষেধ করছি) ৷ এ হাদীসের সনদ
জামািদ বেশ উত্তম ৷

আযীরম্স মৃমিনীন উদ্যান ও আমীরম্স মৃমিনীন আলী (বা) হতে আগত রিঅ্যাংত ষ্ক ইমাম
আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িাব (র) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (মক্কার) উসফানে আলী ও উছমান (রা) একত্রিত হলেন ৷ উছমান (বা)
যুতআ (তামাত্তু) কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ, হজ্যের সাথে) উমরা করতে নিষেধ করতেন ৷ আলী
(বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে কাজ করেছেন সে ব্যাপারে আপনার এ কেমন ইচ্ছা যে, তা
নিষেধ করছেন ! উছমান (বা) বললেন, এ ব্যাপারে আপনি আমাকে আমার মত করতে দিন !
ইমাম আহমদ এভাবে সংক্ষিপ্ত আকারেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুবরীি-মুসলিমে ইমামদ্বয় এ
হাদীস আহরণ করেছেন তারা (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (র)-এর বরাতে, তিনি বলেন,
আলী ও উছমান (বা) তামাত্তুর ব্যাপারে মত ভৈদ্বধতায় লিপ্ত হলেন, তখন র্তারা উসফ্যা:ন
অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গিয়েস্ফো এমন এক কাজে
আপনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান?আলী (বা) এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে একত্রে দৃটির
(হজ্জ ও উমরা) ইহরাম ৰীধলেন ৷ বুখারী (র)-এর ভাষ্য-শব্দ অনুরুপ ৷

বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র) ;মারওয়ান ইবনুল হাকাম (র)
হতে, তিনি বলেন, আমি উছমান ও আলী (না)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম, যখন উছমান (বা)
তামাত্তু এবং (হজ্জ ও উমরা এ) দুটি একত্রিত করা নিষেধ করছিলেন ৷ আলী (বা) অবস্থা
দেখে দৃটির তন্যে ইহরাম তালৰিয়া উচ্চারণ করে বললেন ল্গুষ্কপ্ ন্)^হু এ , “আপনার
সকাশে হাষির ৷ উমরা ও হজ্জ সহ ! তিনি বললেন, “কারো কথার আমি নবী কয়ীম (না)-এর


وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَمَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، سَمِعْتُ غُنَيْمَ بْنَ قَيْسٍ، سَأَلْتُ سَعْدًا عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. وَفِي رِوَايَةِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. وَهَذَا كُلُّهُ مِنْ بَابِ إِطْلَاقِ التَّمَتُّعِ عَلَى مَا هُوَ أَعَمُّ مِنَ التَّمَتُّعِ الْخَاصِّ، وَهُوَ الْإِحْرَامُ بِالْعُمْرَةِ وَالْفَرَاغُ مِنْهَا، ثُمَّ الْإِحْرَامُ بِالْحَجِّ، وَمِنَ الْقِرَانِ، بَلْ كَلَامُ سَعْدٍ فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى إِطْلَاقِ التَّمَتُّعِ عَلَى الِاعْتِمَارِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ، وَذَلِكَ أَنَّهُمُ اعْتَمَرُوا وَمُعَاوِيَةُ بَعْدُ كَافِرٌ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْحَجِّ، إِمَّا عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ أَوْ عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَهُوَ الْأَشْبَهُ، فَأَمَّا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ فَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ أَسْلَمَ مَعَ أَبِيهِ لَيْلَةَ الْفَتْحِ، وَرُوِّينَا أَنَّهُ قَصَّرَ مِنْ شَعْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ فِي بَعْضِ عُمَرِهِ، وَهِيَ عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ لَا مَحَالَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ حُجَّةِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ قَارِنًا وَسَرْدُ الْأَحَادِيثِ فِي ذَلِكَ] رِوَايَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيِّ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৯১৯


সুন্নত ণ্াপরিভ্যাগক রী হতে প৷ ৷রি না ৷” নাসা ৷ঈ (র) এ হাদীস একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা ফর (র)আবদুল্পাহ্ ইবন শার্কীক
(র) বলেন, উছমান (বা) তামাভু নিষেধ করতেন আর আলী (বা) তা করতে বলতেন ৷ এ সুত্রে
উছমান (রা) আলী (রা)-কে বললেন, আপনি শুধু এমন এমন ! (ঝামেলা লাগান); পরে আলী
(বা) বললেন, আপনি তো নিশ্চিতই জানেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তামাভু
করেছিলাম ৷ উছমান (রা) বললেন, ছুা, তাই ৷ তবে আমরা তখন নিরাপত্তার ব্যাপারে শংকিত
ছিলাম ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তারা (র) সুত্রে ৷ মোট কথা, এতে আলী
(রা) এর বর্ণনার প্রতি উছমান (রা) এর স্পষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে ৷ আর এ কথা তো বিদিত
হয়েছে যে, বিদায় হজের বছর আ ৷লী (রা) নবী করীম (সা) এর ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম একথা
উচ্চারণ করে ইহরাম করেছিলেন এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ নবী কবীম (মা) তাকে
ইহ্রাম অবস্থায় থাকা র নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং নবী করীম (সা) তার হ দীতেও র্তা চেক শরীক
করে নিয়েছিলেন ৷ বর্ণনা পরে আসছে ৷

ইমাম মা ৷লিক (র) তার মুঅ ৷ত্তার বিওয়ায়াত করেছেন ৷ জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) তার
পিতা হতে এ মর্মে যে, মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (বা) সুকয়ায় হযরত আ ৷লী ইবন আবু
তালিব (না)-এর কাছে গেলেন, তখন তিনি উটের বাচ্চাদের পাত৷ ও আট৷ যেশানো খাবার
তৈরি করে দিচ্ছিলেন ৷ মিকদাদ (বা) বললেন, এই যে, উছমান ইবন আফ্ফান (রা) হজ্জ ও
উমরা একত্রিত করতে নিষেধ করছেন ৷ তখন আলী (রা) বেরিয়ে এলেন, তার হাতে মাখানাে
আট৷ ও পাতায় চিহ্ন লেগেছিল; তার দু বাহুতে লেগে থাকা পাতা ও আটার চিহ্নের কথা আমি
ভুলে যাব না ৷ তিনি এসে উন্ছমান (রা) এর কাছে প্রবেশ করে বললেন, হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করতে আপনি নিষেধ করছেন? উছমান (রা) বললেন, ওটা আমার (ব্যক্তিগত)
অভিমত ৷ আলী (বা) তখন রাপান্বিত হয়ে বেরিয়ে এলেন এবং বলতে লাগলেন, “লাব্বায়কা
আল্পাহুম্মা লাব্বায়কা হাষির ইয়৷ আল্লাহ! হাযির এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার নিয়তে ৷ আবু
দউিদ (র) তার সুনানে বলেছেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন মাঈন (র) বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন আলী (রা)-কে ইয়ামানেয় প্রশাসক নিয়োগ
করলেন তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম ৷ আলী (রা)-এর হাজ্জ আগমন সম্পর্কিত হাদীসের
বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আলী (রা) বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে বললেন, ধ্ত্রমোঃ এ;শ্$ তৃমি
কেমন ইহ্রাম বেধেছো? আলী (রা) বলেন আমি বললাম, “আমি (তা নবী করীম (না)-এর
ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম করেছি ৷ রাসুল কবীম (সা) বললেন চ্-াঢুএঢ় ;;১শুএ’ ণ্:াম্বু; ষ্১ষ্ আমি
তো হাদী নিয়ে এসেছি এবং (হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে) কিরান করেছি ৷”

নাসাঈ (র)ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ইয়াহ্য়া ইবন মাঈন (র) হতে উল্লিখিত

সনদে ৷ এ সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুরুপ ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) এ কথা বলে এ
হাদীসের সমালোচনা করেছেন যে, জাবির (রা) বর্ণিত হাদীসে এ (কিরান) শব্দটি উল্লিখিত হয়



১ মক্কাগামী পথে একটি সংযোগবস্তি ও কাফেলোর সুকয়৷ বা পানি উঠানাের স্থান ৷


بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الْمُقْرِئُ بِبَغْدَادَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَلْمَانَ قَالَ: قُرِئَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَأَنَا أَسْمَعُ: حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ الْهَرَوِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، ثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «أَتَانِي جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَا بِالْعَقِيقِ فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ رَكْعَتَيْنِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ. فَقَدْ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» ". ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَبِي زَيْدٍ الْهَرَوِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا سَيَّارٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَ نَصْرَانِيًّا، يُقَالُ لَهُ: الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ فَأَرَادَ الْجِهَادَ، فَقِيلَ لَهُ: ابْدَأْ بِالْحَجِّ. فَأَتَى الْأَشْعَرِيَّ فَأَمَرَهُ أَنْ يُهِلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، فَفَعَلَ، فَبَيْنَمَا هُوَ يُلَبِّي إِذْ مَرَّ بِزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، وَسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ. فَسَمِعَهَا الصُّبَيُّ فَكَبُرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمَ أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ مَرَّةً أُخْرَى
পৃষ্ঠা - ৩৯২০
يَقُولُ: وُفِّقْتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الصُّبَيِّ بْنِ مَعْبَدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَهُ وَقَالَ: إِنَّهُمَا لَمْ يَقُولَا شَيْئًا، هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ بِهِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، وَعَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: «قَالَ الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ: كُنْتُ رَجُلًا نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ، فَأَهْلَلْتُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، فَسَمِعَنِي زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَأَنَا أُهِلَّ بِهِمَا، فَقَالَا: لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ. فَكَأَنَّمَا حُمِّلَ عَلَيَّ بِكَلِمَتِهِمَا جَبَلٌ، فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمَا فَلَامَهُمَا، وَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . قَالَ عَبْدَةُ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: كَثِيرًا مَا ذَهَبْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ إِلَى الصُّبَيِّ بْنِ مَعْبَدٍ نَسْأَلُهُ عَنْهُ. وَهَذِهِ أَسَانِيدٌ جَيِّدَةٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ فِي كِتَابِ الْحَجِّ مِنْ " سُنَنِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯২১


নি ৷ কিন্তু এ সমালোচনার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর
হাদীসেও কিরান’ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইনশাআল্লাহ্ ! একটু পরেই তা উল্লেখ করছি ৷ ইবন হ্নিা৷ম
(র) তার সহীহ্’ গ্রন্থে আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনা হতে সফর করলেন ৷ আমি সফর শুরু করলাম ইয়ামান হতে ৷ আমি
ইহ্রামের সময় বললাম, লাব্বায়ক আমি হাঘির আপনার সকাশে ৷ নবী কয়ীম (সা) ইহ্রামের
ন্যায় ইহ্রামের সাথে ৷ তখন বললেন ৷ ; ং -ং§) ণ্:১ঠা এ্যা৷ ,,ওএে আমি তো হজ্জ ও
উমরার জন্য একত্রিত ইহ্রাম ণ্বধেছি ৷

আনাস ইবন মালিক (রা)-এর রিওয়ায়াত : তাবিঈদের একটি দল আনাস (বা) হতে এ
বিষয় রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বর্ণনা বিন্যাসের স্বার্থে আমর৷ (আরবী) বর্ণ ক্রমিক অনুসারে রিওয়ায়াতগুলো উদ্ধৃত করছি ৷

(১) বকর ইবন আবদুল্লাহ আল-সুমানী (র) বলেন, ত্া৷ নাস ইবন মালিক (রা)ৰুকে আমি
বর্ণনা দিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্দ্বুক একত্রে হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ ইবন উমর (রা)-এর কাছে আমি এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি
বললেন, তিনি কেবল হব্লুজ্জর তালৰিয়া ইহরাম করেছেন ৷ আমি আসলে (রা)এর সাথে
সক্ষোত করে তার কাছে ইবন উমর (রা) এর উক্তি ৰিবৃত করলাম ৷ তিনি বললেন, (ইা)
আমাদের ক্লেব্ল শিশু ঠাওরানো হচ্ছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শ্যুনছি এ-ম
া;, :)এষ্ঠ “হাযির আপনার কাছে উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷”

বুখারী (র) ও মুসলিম (র) এ হাদীসখান৷ বিভিন্ন সনলে ৰিওরারাত করেছেন ৷
(২) ছাবিত আল-বুনানী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী (র)
(ইবন আবু ছাবিত) আনাস (বা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বলেছেন-

ম্-া০ ব্রৰুণ্ , ট>^ ও এ-ম৷ হাঘির আপনার সকাগাে এক সঙ্গে উমরা ও হজ্জ নিয়ে ! এ সুত্রে
আনাস (বা) থেকে হাসান নসরী (র) একাকী বৰ্ন্নি৷ করেছেন৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, রাওহ (র) আনাস ইবন মালিক (র) সুত্রে এ মর্মেবর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)
ও তার সাহাৰীগণ মক্কায় উপনীত হলেন, এ অবস্থায় যে, র্তারা হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ কঃরছিলেন ৷ র্তার৷ বায়তৃল্লাহ্ব তাওয়াফ ও সফো-মারওয়ায় সাঈ করার পরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং একে উমরা সাব্যস্ত করতে

বললেন ৷ মনে হল যেন সব লোক এতে ৰিব্রত হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ১া;৷

ণ্া৷: ১৷ ৷ন্এে ;:াঘ্র , ,শ্রা “আমি যদি হাদী নিয়ে না আসতাম, তবে অবশ্যই হালাল হয়ে
যেতাম ৷”

তখন লোকেরা হালাল৷ হল এবং তামাত্তু (উমরার সমাপ্তিতে নতুন ইহরামে হজ্জ) করল ৷
হাফিজ আবু বকর আলবায্যার (র) বলেন, হাসান ইবন কাঘৃ আ (র) (হাসান) আনাস
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) নিজে এবং তার সাহা-র্বীগপ হজ্জ ও
উমরার ইহরাম তালৰিয়া করেছেন ৷ র্তারা মক্কায় উপনীত হয়ে বায়ভুল্লাহ্র তাওয়াফ এবং
সাফা-মারওয়ায় সাঈ করলে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) র্তাদের হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন; এতে


الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، ثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ السُّكَّرِيِّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: «وَاللَّهِ إِنِّي لَأَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّهَا لَفِي كِتَابِ اللَّهِ، وَقَدْ فَعَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. رِوَايَةُ أَمِيرَيِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «اجْتَمَعَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ بِعُسْفَانَ، وَكَانَ عُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ أَوِ الْعُمْرَةِ فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا تُرِيدُ إِلَى أَمْرٍ فَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَنْهَى عَنْهُ! فَقَالَ عُثْمَانُ: دَعْنَا مِنْكَ.» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُخْتَصَرًا. وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «اخْتَلَفَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ وَهُمَا بِعُسْفَانَ فِي الْمُتْعَةِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَنْهَى عَنْ أَمْرٍ فَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَهَكَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ،
পৃষ্ঠা - ৩৯২২
عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: «شَهِدْتُ عُثْمَانَ وَعَلِيًّا وَعُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ، وَأَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُمَا، فَلَمَّا رَأَى عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا: لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ، قَالَ: مَا كُنْتُ لِأَدَعَ سُنَّةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِ أَحَدٍ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ: كَانَ عُثْمَانُ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ وَعَلِيٌّ يَأْمُرُ بِهَا، فَقَالَ عُثْمَانُ لِعَلِيٍّ: إِنَّكَ لَكَذَا وَكَذَا. ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّا تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: أَجَلْ، وَلَكِنَّا كُنَّا خَائِفِينَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. فَهَذَا اعْتِرَافٌ مِنْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِمَا رَوَاهُ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَعْلُومٌ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَحْرَمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدْ سَاقَ الْهَدْيَ، وَأَمَرَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنْ يَمْكُثَ حَرَامًا، وَأَشْرَكَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَدْيِهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَرَوَى مَالِكٌ فِي " الْمُوَطَّأِ " عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ دَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالسُّقْيَا، وَهُوَ يَنْجَعُ بَكَرَاتٍ لَهُ دَقِيقًا
পৃষ্ঠা - ৩৯২৩


তারা রুিবত হলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এেগ্রা ;;ঞা শু-এে : স্১-ধ্শু ঙু-ষ্১
তোমরা হালাল হয়ে যাও; আমার সাথে যদি হাদী না থাকত, তবে আমিও হালাল হয়ে
যেতাম ৷ তখন র্তারা হালাল হলেন এমনকি শ্রী গমন পর্যন্ত করলেন ৷ রিওয়ায়াত করার পরে
বাঘৃযার (র) মন্তব্য করেছেন, আনাস (রা)-এর শাগরিদ হাসান (র) হতে আশআছ ইবন
আবদুল মালিক ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা
(৩) হুমায়দ ইবন তীরুয়া আততাবীল (র) আনাস (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
ইয়াহ্য়া (র) হুমায়দ (র) হতে (তিনি বলেন) আমার (রা)-ফে বলতে শুনেছি (যে, তিনি বলেন,)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বরত্তে শ্যুনছি হ্র--১-’) ং)^মুে ব্রঙ্কু-১- ঞা “আপনার সক্যাশ হাযির হাযির ৷
হজ্জ উমরা ও হজ্জ নিঃর !” এ সনদটি একটি ন্হ্রলাহী (তিন সুত্রীয়) সনদ১ এবং এটা দুই প্রধান
ইমাম (বুখাৰী-মুসলিম)-এর শর্তানুকুল ৷ তবে তারা দুজন এবং ছয় গ্রন্থমালার সংকলকদের
কেউ এ সুত্রে হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র),হুমায়দ (র) ও অন্য দুজন ওনেছেন আনাস ইবনমালিক (রা)-
কে “তিনি বলেন, ; আমি: রা সু লুল্লাহ্ (না)-কে ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরাম করতে শুনেছি
“আপনার সকাশে হাযিবা উমরাও হস্তজ্জা জন্য; আপনার সকাশে হাষির হাষির! উমরা ও
হরুজ্জর জন্য ! ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, ইয়ামুর ইবন ষুসৃর (র)আনাস ইবন মালিক
(বা) সুত্রে তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনেকগুলো উটহাদীরুপে সাথে নিলেন এবং বললেন,
“আপনার সকাশে হাযির! উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷ ” তখন আমি তার (বাহন) ণ্উটনীয় বাম উরুর
কাছে ছিলাম (এ সুত্রেও আহমদ (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন) ৷

(৪) হুমায়দ ইবন হিলাল আল-আদাবী আল-বসৃয়ী (র) আনাস (রা) সুত্রে হাফিজ আবু
বকর আন-বায্যার (র) তার র্মুসনাদে বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল শ্মুছান্ন৷ (র):আনাস ইবন
মালিক(রা) সুত্রে, তিনি বলেন, আমি আবু তালহ৷ (রা)-এর (উটে) সহ-আরোহী ছিলাম, আর
তার ছুাট্রু রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর ছুাটু স্পর্শ করছিল ৷ আর তিনি হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করছিলেন ৷ এ সনদটি সহীহ্-এর শত ৷র্তানুরুপ বেশ উত্তম ও মজবুত সনদ, তবে সিহাহ্
গ্রন্থকারগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ ওদিকে বায্যার (র) ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, যিনি হজ্জ ও
উমরার তা ৷লবিয়৷ উচ্চারণ করছিলেন তিনি আবু তালহ৷ (রাসুল সা নন), তবে নবী কৰীম
(না) তাতে আপত্তি করেন নি ৷ করে বায্য৷ র (র) এর এ ব্যাখ্যার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷
বরং এটি অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ৷ কেননা, আনাস (বা) হতে অনব্রুান্য সুত্রেও (রাসুল সা এর
রুিরালের) বিষয়টি সাব্যন্ন্তু হয়েছে ৷ (পুর্বাপর বর্ণনা দ্রষ্টব্য) তাছা ৷ড়৷ তিনি ( ঙু১) সর্বনড়ামটি তার
পুর্বে উল্লিখিত দুই শব্দ (আবু তা ৷লহ৷ ও র ৷সুলুরড়াহ্) এর নিকটবর্তী শব্দ (রাসুলুরাহ্) এর সাথে



১ রাসুলুরাহ (সা) হতে মাত্র তিন সুত্র মাধ্যহ্ম আহরিত হাদীছক্কক হ্রনাহী তিন সুত্রীয় হড়াদীছ বলা হয় ৷
এ ধরনের সনদ ও হাদীছ ৰিৰুল্ ও বিংশ ৷ষ মর্যাদা সম্পন্ন ৷ অ্নুবাদক
২ অর্থাৎ বামৃষার (র)-এর মতে এ হাদীছে আবু৷ তা লহার কিরান হজ্জ এবং তাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিরর অনুমোদন সাবন্তে হলেও খােদ নবী করীম (সা) এর কিরান হজ্জ করা সাব্যস্তহয় না ৷-অনুবাদক


وَخَبَطًا فَقَالَ: هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. فَخَرَجَ عَلِيٌّ وَعَلَى يَدِهِ أَثَرُ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ - مَا أَنْسَى أَثَرَ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ عَلَى ذِرَاعَيْهِ - حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَنْتَ تَنْهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ؟! فَقَالَ عُثْمَانُ: ذَلِكَ رَأْيِي. فَخَرَجَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا وَهُوَ يَقُولُ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ ": ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ ثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْيَمَنِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي قُدُومِ عَلِيٍّ، قَالَ عَلِيٌّ: فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَيْفَ صَنَعْتَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: إِنَّمَا أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " إِنِّي قَدْ سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، بِإِسْنَادِهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَعَلَّلَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بِأَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا اللَّفْظَ فِي سِيَاقِ حَدِيثِ جَابِرٍ الطَّوِيلِ، وَهَذَا التَّعْلِيلُ فِيهِ نَظَرٌ ; لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ الْقِرَانُ مِنْ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَرَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৩৯২৪


সম্পৃক্ত হওয়াই অধিক উপযোগী এবং সে ক্ষেত্রে বত্তল্যটি সুস্পষ্ট অর্থ নির্দেশক হবে ৷ আল্পাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত সালিম ইবন আবুল জাদ (র)-এর রিওয়ায়াত
উল্লিখিত ব্যাখ্যার সরাসরি প্রত্যাখ্যান রয়েছে ৷

যায়দ ইবন আসলাম (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর আলৰুবাবৃযার (র) আনাস
(রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী করীম (না) হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেছিলেন ৷
হাসান ইবন আবদুল আযীয আল-জ্বাবারী ও মুহাম্মদ ইবন মিসকীন (ব) আনাস (রা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

মন্তব্য : এটি সহীহ্ বুখারীর শর্তানুরুপ একটি বিশুদ্ধ সনদ, তবে এ সুত্রে সিহাহ্
গ্রস্থাকারগণ হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) এ বর্ণনার চেয়ে
ৰিশদভাবে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবু আবদৃল্লাহ্ আল-হাফিজ ও
আবু বকর আহমদ ইবনুলহাসান আলকাযী (ব)যায়দ ইবন আসলাম (র) প্রুযুখ্ সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, একবাক্তিৰুইবন উমর (রা)-এর কাছে এসে বলল, রাসুলুল্পাহ্ (সা) কী
বলে ইহরাম বেধেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, “হজ্যের ইহরাম বেধেছিলেন ৷” লোকটি
চলে গেল এবং পরের বছর আমার তার কাছে এসে বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কী বলে ইহরাম
করেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, তৃযি গত বছর আমার কাছে এসে ছিলে না ? সে
বলল, জী হী, তবে আনাস ইবন মালিক (রা) বলে থাকেন যে, তিনি কিরান করেছিলেন ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, আনাস ইবন মালিক “তো নারীদের মাঝে আসা-যাওয়া করতেন, যখন
তাদের মাথা খোলা থাকত (অর্থাৎ তখন তীর বয়স কম ছিল) ৷ আর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উটনীর ছায়াতলে ছিলাম, তার উটনীটির লালা আমার গায়ে লাগছিল, আমি তাকে (শুধু)
হাজ্জর ইহরাম করতে শ্যুনছি ৷

(৬) সালিম ইবন আবুল জা দ আল-গাতফানী আল কুফী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, য়াহ্য়া ইবন আদম (র),-আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (সনদটি)
নবী করীম (সা) পর্যন্ত উন্নীত করে বলেছেন যে, তিনি (নবী করীম সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করে বললেন, আপনার সকাশে বারংবার হাযির,এক সাথে হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এর
সনদ হাসান উত্তম, তবে তারা (বিশিষ্ট হয় হাদীস গ্রন্থকার) তা উদ্ধৃত করেন নি ৷ ইমাম
আহমদ (র) আরো বলেন, আফ্কান (ব)হাসান ইবন আলীর আযাদকৃত গোলাম সাদ (ব)
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা আলী (রা)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা খুল-
হুলায়ফায় পৌছলে আলী (বা) বললেন, আমি হজ্জ ও উমরা একত্রিত করার ইরাদা করছি,
সুতরাং যারা তা ইচ্ছা করবে তারা যেন তেমনি বলে যেমনটি আমি বলছি ৷ এ কথা বলার পর
তিনি এই বলে তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন, চ >ণ্ ; ল্গু-১ এ এ “আপনার সকাশে হায়ির, এক
সাথে হজ্জ ও উমরা নিম্নে ! বর্ণনাকারী বলেন, সালিম (র) বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (রা)
আমাকে অবগত করেন ৷ তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র কসম৷ আমার পা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পা
স্পর্শ করছিল (প্রায়) ৷ তিনি অবশ্যই ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরামের তালৰিয়া উচ্চারণ
করছিলেন ৷ এ সুত্রেও এটি জায়িাদ, বেশ উত্তম সনদ ৷ তবে সিহাহ্ গ্রহুকারগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷ এ বর্ণনা আনাস (রা) থেকে গৃহীত হুমায়দ ইবন হিলাল (র)-এর হাদীস সংক্রান্ত


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَخَرَجْتُ أَنَا مِنَ الْيَمَنِ، وَقُلْتُ: لَبَّيْكَ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَإِنِّي أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا ".» رِوَايَةُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَقَدْ رَوَاهُ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَنَحْنُ نُورِدُهُمْ مُرَتَّبِينَ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ: بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، أَنْبَأَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ: لَبَّى بِالْحَجِّ وَحْدَهُ. فَلَقِيتُ أَنَسًا فَحَدَّثْتُهُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ: مَا تَعُدُّونَا إِلَّا صِبْيَانًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ، عَنْ سُرَيْجِ بْنِ يُونُسَ، عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ. وَعَنْ أُمَيَّةَ بْنِ بِسْطَامٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ بِهِ. ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯২৫
رَوْحٌ، ثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ قَدِمُوا مَكَّةَ وَقَدْ لَبَّوْا بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، أَنْ يُحِلُّوا وَأَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَكَأَنَّ الْقَوْمَ هَابُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْلَا أَنِّي سُقْتُ هَدْيًا لَأَحْلَلْتُ ".» فَأَحَلَّ الْقَوْمُ وَتَمَتَّعُوا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَكَّةَ طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحِلُّوا، فَهَابُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَحِلُّوا، فَلَوْلَا أَنَّ مَعِيَ الْهَدْيَ لَأَحْلَلْتُ " فَحَلُّوا حَتَّى حَلُّوا إِلَى النِّسَاءِ.» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنِ الْحَسَنِ إِلَّا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ. حُمَيْدُ بْنُ تِيرَوَيْهِ الطَّوِيلُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ ".» هَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. لَكِنْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৯২৬


বায্যার (র) এর প্রদত্ত ব্যাখ্যা খণ্ডন করে (পুর্বে আলোচিত হয়েছে) ৷ আল্পাহই সমধিক
অবগত ৷

(৭) সুলায়মান ইবন তারখান আততায়মী (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর
আল-বাঘৃযড়ার (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন হাবীব ইবন আৱাবী (র)আনাস ইবন মানিক (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি নবী করীম (না)-কে ঐ দু’টি একত্রিত করে তালবিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ তারপর বাঘৃযার (র) বলেছেন, (সুলায়মান) তায়মী (র) হতে তার
ছেলে মুতা ৷মির (র) ব্যতীত আ র কেউ হাদীস শুনে নি ৷ আর তার নিকট হতে ইয়াহ্য়া ইবন
হাবীব আল-আরাবী (র) ব্যর্তীত আর কেউ শ্যুন নি (অর্থাৎ সনদঢি আস্বা৷ গোড়া একক
সুত্রীয়) ৷ আমার মস্তব্যং হাদীসটি সহীহ্-এর শতানুরুপ, যদিও সহীহ গ্রন্থক৷ ৷রগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷ ৰু ,

(৮) সুওয়ায়দ ইবন হুজ্যয়র (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ
ইবন জাফর (র)(সুওয়ায়দ আবু কাযাআ) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ (চলার সময়) আবু তালহা (র) এর হীটু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাটুর সাথে লেগে যাচ্ছিল প্রায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ ও উমরার কথা
উল্লেখ করে ত ৷লবিয়৷ পাঠ করছিলেন ৷ এটি একটি জা ৷ব্যিদ, বেশ উত্তম সনদ যা আহমদ (র)
একা ৷কী গ্রহণ করেছেন; তবে তা সহীহ গ্রন্থক৷ রাগণ উদ্ধৃত করেন নি ৷ এ বর্ণনায় হ ফিজ
বাঘৃযার (র) এর ব্যাখ্যা র স্পষ্ট খণ্ডন রয়েছে ৷

(৯) আবদুল্লাহ ইবন যারদ আবু কিলাবা আল-জারমী (র), আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক (র)(আবু কিলাবা) আনাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা’)-এর সহ-আরােহী ছিলাম তখন নবী করীম (না)-এর পাশাপাশি পথ
চলছিলেন ৷ তিনিশুরলেন, (অবস্থা এমন ছিল) যে, আমার পা নবী ন্করীম (না)-“এর (বাহনের)
পাদানী স্পর্শ করছিল; আমি তখন তাকে এক সাথে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া ন্ন্ পাঠ করতে
শুনলাম ৷ বুখারী (র)ন্ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আয়ুাব (র) (আবু কিলাবা) আনাস
হতে একাধিক সুত্রে তিনি (আবাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যুহ্র সালাত মদীনায় চার
রাকআত আদায় করলেন এবং আসর আদায় করলেন যুল-হুলায়ফায় দুই রাকআত আদায়
করলেন ৷ তারপর সকাল পর্যন্ত সেখানে রাত কটিালেন ৷ তারপর তার শ্বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ তারপর বাহন তাকে নিয়ে প্রাম্ভরে সোজা হয়ে র্দাড়ালে আল্পাহ্র হাৰুমৃদ, তাসৰীহ্ ও
তাকৰীর (আলহ্যমদু লিল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ্ ও আল্লাহ আকবার) উচ্চারণ করলেন এবং হজ্জ ও
উমরার ইহরাম বীধলেন ৷ সােকেরাও ঐ দু’ঢির একত্রিত ইহরাম র্বীধলো ৷ তার অন্য একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে “আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরােহী ছিলাম, , লোকেরা একত্রে ঐ
দুটির, হজ্জ ও উমরার কথা উট্চ্চ৪স্বরে বলছিল” ৷ আয়ুাব (র) আনাস (রা) সুত্রে বুখ৷ ৷রীর
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে তিনি (জানান) বলেন তারপর রাত যাপন
করলেন, অবশেষে সকাল হলে ফজর সালাত আদায় করার পর তার বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ অবশেষে তা তাকে নিয়ে প্রম্ভেরে স্থির হলে উমরা ও হহ্বজ্জর ইহরাম-তান্সবিয়া পাঠ
করলেন ৷


إِسْحَاقَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ وَحُمَيْدٍ أَنَّهُمْ سَمِعُوا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا: «لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا، لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْمَرُ بْنُ بِشْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُدْنًا كَثِيرَةً وَقَالَ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ ". وَإِنِّي لَعِنْدَ فَخِذِ نَاقَتِهِ الْيُسْرَى.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا. حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ الْعَدَوِيُّ الْبَصْرِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَحَدَّثَنَاهُ سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ وَحُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: إِنِّي رِدْفُ أَبِي طَلْحَةَ، وَإِنَّ رُكْبَتَهُ لَتَمَسُّ رُكْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَقَدْ تَأَوَّلَهُ الْبَزَّارُ عَلَى أَنَّ الَّذِي كَانَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ أَبُو طَلْحَةَ، قَالَ: وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا التَّأْوِيلُ فِيهِ نَظَرٌ وَلَا حَاجَةَ إِلَيْهِ ; لِمَجِيءِ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ عَنْ أَنَسٍ، كَمَا مَضَى وَكَمَا سَيَأْتِي، ثُمَّ عَوْدُ الضَّمِيرِ إِلَى أَقْرَبِ الْمَذْكُورَيْنِ أَوْلَى، وَهُوَ فِي هَذِهِ الصُّورَةِ أَقْوَى دَلَالَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي فِي رِوَايَةِ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَنَسٍ صَرِيحُ الرَّدِّ عَلَى هَذَا التَّأْوِيلِ.
পৃষ্ঠা - ৩৯২৭
زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: رَوَى سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ.» حَدَّثَنَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْجَرَوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ قَالَا: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَنَسٍ. قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، فَقَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، أَنْبَأَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ «عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَغَيْرِهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ: بِمَ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَهَلَّ بِالْحَجِّ. فَانْصَرَفَ ثُمَّ أَتَاهُ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فَقَالَ: بِمَ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ أَلَمْ تَأْتِنِي عَامَ أَوَّلٍ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَزْعُمُ أَنَّهُ قَرَنَ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: إِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى النِّسَاءِ وَهُنَّ مُكَشِّفَاتُ الرُّءُوسِ، وَإِنِّي كُنْتُ تَحْتَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَسُّنِي لُعَابُهَا، أَسْمَعُهُ يُلَبِّي بِالْحَجِّ.» سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيُّ الْكُوفِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯২৮


(১০) আবদুল আযীয ইবন সুহড়ায়ব (র) আনাস (রা)সুত্রে হুমায়দ আত-তারীল (ক)-এর
রিওয়ায়াত মুসলিম (র) আহরিত-এর সাথে র্তার রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

(১১) আলী ইবন যড়ায়দ ইবন জাদআন (র) আনাস (বা) সুত্রে হাফিজ আবু বকর আল-
বাঘৃযার (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন সাঈদ (র) (আলী ইবন যড়ায়দ) আনাস (রা) সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে দুটি একত্রিত করে র্তালবিয়া পাঠ করলেন ৷ এ সুত্রে এটি
গরীব বিরল ৷ সুনান গ্রন্থকারদের কেউ এটি উদ্ধৃত করেন নি, তবে এটি তাদের শর্ত পুরণ করে ৷

(১২) কড়াতাদা ইবন দি আনা আস-সাদুসী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমম (র)
বলেন, বাহ্য (র) ও অড়াবদৃসন্সড়ামড়াদ (র)কাতাদা (র) সুত্রে বলেন, আমি আনাস ইবন
মালিক (রা) কে প্রশ্ন করলাম বললাম, নবী কৰীম (সা) কতবার হজ্জ করেছেন? তিনি
বললেন, একবার হজ্জ করেছেন;অ আর চারবার উমরা করেছেন ৷ (১) হুদায়বিয়ার সময়; (২)
যিলকা ৰুদ মাসে মদীনা হতে তার উমরাতুল কাযা; (৩) যিলকাদ মাসে জিইররানা থেকে তার
উমরা, যেখানে হুনায়ভ্রুনর পনীমত বৃউন করেছিলেন এবং (৪) হরুজ্জর সাথে তার উমরা ৷
বুখাবী-মুললিম্ (র) তাদের গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷

(১৩) যুস আব ইবন সুলায়ম আবৃযুবায়রী (র) (যুবায়রীদের আযাদকৃত গোলাম) আনাস
(বা) হতে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) (মুসআব বলেন, আমি শুনেছি,) আনাস
(বা) বলেছেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরার তঙ্কুলৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ এ হাদীস
আহমদ (র) এক কী বর্ণনা করেছেন ৷

(১৪) ইয়াহয়া ইবন ইসহড়াক আল-হাযরামী (র) আনাস সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
হুশায়ম (র) (ইয়াহ্য়া ইবন ইসহাক, আবদুল আযীয ইবন সুহায়ব ও হুমায়দ আততাবীল র
সকলে) আনাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, এরা তাকে বলতে শুন্যেছন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে এন্১এ এ্যা “আপনার সকাশে হাষির! আপনার
সকাশে হাযির ! বলে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি ৷” পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, মুসলিম (র)-
ও এ হাদীস ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) হুশায়ম সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেছেন, আবদুল আ লীে (র) (ইয়াহ্য়া) আনাস (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা

রাসৃলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলাম; (তিনি বলেন) আমি তাকে বলতে
ওনলাম আপনার লক বেশ হাযির উমরা ও হস্তুজ্জর উদ্দেশ্যে ৷ ন্

(১৫) আবুস সড়ায়কড়া ড়াল (র) আনাস (রা) থেকে ইমড়াম অ হমদ (র) বলেন, হাসান (র) ও
আহমদ ইবন আবদুল-মালিক (র)(আবু আসমা আস-সায়কা ন্ল) আন স ইবন মালিক (বা)

হতে, তিনি বলেন, আমরা বের হলাম তখন আমরা সশ ব্দে হভৈজ্জর তালবিয়া উচ্চারণ
করছিলাম; যখন আমরা মক্কায় পৌছলাম তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) সেটিকে উমরায় পরিণত

করতে আমাদের নির্দেশ দিলেন এবং মললেনষ্-
হ্র১ক্রা অ্যাংষ্ধ্,১

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

مَالِكٍ يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالَ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا» حَسَنٌ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ عَلِيٍّ فَأَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَمَنْ أَرَادَ ذَلِكَ فَلْيَقُلْ كَمَا أَقُولُ. ثُمَّ لَبَّى قَالَ: لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا. قَالَ: وَقَالَ سَالِمٌ: وَقَدْ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ رِجْلِي لَتَمَسُّ رِجْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لِيُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَهَذَا أَيْضًا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَهَذَا السِّيَاقُ يَرُدُّ عَلَى الْحَافِظِ الْبَزَّارِ مَا تَأَوَّلَ بِهِ حَدِيثَ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَنَسٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، ثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِهِمَا جَمِيعًا» . ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَمْ يَرْوِهِ عَنِ التَّيْمِيِّ إِلَّا ابْنُهُ الْمُعْتَمِرُ، وَلَمْ يَسْمَعْهُ إِلَّا مِنْ يَحْيَى بْنِ حَبِيبٍ الْعَرَبِيِّ عَنْهُ. قُلْتُ: وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. سُوَيْدُ بْنُ حُجَيْرٍ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي قَزَعَةَ سُوَيْدِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ فَكَانَتْ رُكْبَةُ أَبِي طَلْحَةَ تَكَادُ أَنْ تُصِيبَ رُكْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৩৯২৯


“বা আমি পরে বুঝেছি, তা যদি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে অবশ্যই আমি এটিকে
উমরায় পরিণত করতাম; জ্যি আমি হাদী নিয়ে এসেছি এবং হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছি ৷
আর নাসাঈ (র) এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন, আবুল আহওয়াস (র) (আবু আসমা
আস-সায়কাল) আনাস ইিবৃন মালিক (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ঐ
দু টির তালৰিয়া উচ্চারণ করতে ওনেছি ৷

(১৬) আবু কুদাম৷ আল হ্ানাফী (মুহাম্মদ ইবন উবায়দ) (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, রাওহ ইবন উবাদ৷ (র)আবু কুদাম৷ আল-হানাকী (র) সুত্রে তিনি
বলেন, আমি আনাস (রা)ন্ণ্ক লোঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা)রুি দিয়ে তালৰিয়া পড়ছিলেন? তিনি
বললেন, আমি তাকে সাতবার (দশ-বিশ অর্থাৎ একাধিকবার) শুনেছি যে, উমরা ও হজ্জ-এর
তালবিয়৷ পাঠ করছেন ৷ ইমাম আহমদ (ব) একাকী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটি
একটি সুদৃঢ় ও বেশ উত্তম সনদ ৷ (মার প্রাপ্তিতে) আল্লাহ্বই জন্য যাবতীয় হামৃদ; তাবই সব
অনুকম্পা এবং তিনিই তাওফীক দাতা ও হিফাজতকারী ৷

ইবন হাব্বান (র) তায় সহীহ্ গ্রন্থে আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ ,(সা) হুজ্জ ও উমরা একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন, উার সাথের
লোকেরাও একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বিন্তুতভ্যন্নে এ সব সুত্রের কোন
া:কানটি উপস্থাপন করেছেন ৷ তারপর তিনি এগুলোর সমালোচনা পর্যালোচনার এমন কিছু মত
বা করেছেন যাতে ভিন্নমত রয়েছে ৷ তার বক্তব্যের সার কথা হল এক্ষেত্রে থােদ আনাস (রা)-
ই তালগােল পাকিয়ে ফেলেছেন ৷ তার পরবর্তী রাৰীগণ নয় ৷ অন্য একটি সম্ভাবনা হতে পারে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) অন্য কাউকে কিরান পদ্ধতির ইহরাম ও তালৰিয়া শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন
আনাস (বা) তা শুনতে পেয়েছিলেন এবং াসেটিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইহরাম মনে
করেছিলেন ৷ অথচ নবী করীম (সা) নিজের হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেন নি ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ তিনি আরো বলেছেন যে, আনাস ইবন মালিক (রা) ব্যতিরেকে অন্যান্যরা এ
বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত নয় ৷

গ্রহুকারের মন্তব্য : এ মন্তব্যে যে বাহ্যতই দ্বিমত (পাষণের অবকাশ রয়েছে, যে কেউ ণ্
একটু চিন্তা করলেই তা তার কাছে স্পষ্ট প্রতিভাত হবে ৷ বরং এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন না
করাই যে ইমাম বায়হাকীর জন্য উত্তম ছিল, এ কথা নির্থিধায় বলা যায় ৷ কেননা, এতে একজন
মহান সাহাবীর স্মরণ শজাি ব্যাপারে প্রশ্ন তোলায় অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে অথচ যেমন আমরা
বর্ণনা করে এলাম, বিষয়টি তার কাছ থেকে উপর্বুপরি বহু সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এছাড়া কোন
সাহাবী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য একটি বড় ধরনের গর্হিত বিষয় এবং তা হটকারিত৷ ও
অন্যায় সমালোচনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ৷ আল্পাহ্ তা আলাই সমধিক অবগত ৷

কিরান সম্পর্কে বারা ইবন আযিব (রা) এর হাদীস

হাফিজ আবু বকর আল বায়হাকী (র) বলেন, আবুল হুনায়ন ইবন বুশরান (র);;বাৱা
ইবন আযিব (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসৃলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমরা করেছেন
যার সবগুলোই ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন অইিশা (রা) বললেন, তিনি তো ভাল করেই জানেন


فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ بِهِمَا.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَفِيهِ رَدٌّ عَلَى الْحَافِظِ الْبَزَّارِ صَرِيحٌ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ أَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ وَهُوَ يُسَايِرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَإِنَّ رِجْلِي لَتَمَسُّ غَرْزَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ مَعًا.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللَّهَ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ، وَأَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا جَمِيعًا.» وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: كُنْتُ رَدِيفَ أَبِي طَلْحَةَ وَإِنَّهُمْ لَيَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا ; الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى الصُّبْحَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ الْبَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ. عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ: تَقَدَّمَتْ رِوَايَتُهُ عَنْهُ مَعَ رِوَايَةِ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْهُ عِنْدَ مُسْلِمٍ. عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْهُ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّى بِهِمَا جَمِيعًا.» هَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ السُّنَنِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِهِمْ. قَتَادَةُ بْنُ دِعَامَةَ السَّدُوسِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ وَعَبْدُ الصَّمَدِ، الْمَعْنَى قَالَا: ثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا قَتَادَةُ قَالَ: «سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ: كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: حَجَّةً وَاحِدَةً، وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; عُمْرَتُهُ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَتُهُ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَعُمْرَتُهُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، فِي ذِي الْقَعْدَةِ حَيْثُ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ، وَعُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى بِهِ. مُصْعَبُ بْنُ سُلَيْمٍ الزُّبَيْرِيُّ مَوْلَاهُمْ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُمْ سَمِعُوهُ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا، لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا» وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُسْلِمًا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৩১


যে, তিনি তবে যে উমর ৷টির সাথে হজ্জ করেছিলেন সেটিকে সহ চা ৷রবার উমরা করেছেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয় ৷ আমার মতে (এটি সং রক্ষিত, কেননা)
আইশ ৷৷ (রা) এর সাথে সংযুক্ত বিশুদ্ধ সনদে এর অনুরুপ হাদীস একটু পরেই উল্লিখিত হবে ৷

জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র)
বলেন, আবু বকর ইবন আবু দাউদ ও মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন রামীস, আবু উবায়দ কাসিম
ইবন ইসমাঈল ও উছমান ইবন জাফর আল লাব্বান (র) প্রমুখ(সৃফয়ান ছাওরী র)

জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিনবার হজ্জ করেছেন;
দৃবার হিজরত করার আগে আর একবার হাজ্জর সাথে উমরা সৎ যুক্ত করেছেন ৷ তিরমিষী ও
ইবন মাজা (র) ও এ হাদীস সুফিয়ান ইবন সাঈদ আছ-ছাওরী (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিরমিষী (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ
(র) যায়দ ইবন হবার মাধ্যমে, সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ তারপর তিনি বলেছেন, সুফিয়ান (র) এর
হাদীস বিরল পর্যায়ের ৷ কেননা, যায়দ ইবনুল হ্বাব (র) ব্যতীত অন্য কো ন সুত্রে আমরা
হাদীসটির পরিচিতি লাভ করি নি ৷ আর আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান, রাযী (র) কে আ ৷মি
দেখেছি যে, তার পাণ্ডুলিপিাত তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ (র) সুত্রেই হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমি মুহাম্মদ (বুখারী)কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এর
পরিচিতি স্বীকার করলেন না এবং র্তাকে আ ৷মি দেখেছি যে, তিনি এটিকে সৎরক্ষিত পর্যায়ের
মনে করছেন না ৷ তিনি বলেছেন যে, ছাওরী (র) মৃজা ৷হিদ (র) সনদে মুরসাল (সাহাবীর
সাথে সং যুক্ত নয়) রুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হাকী (র) কৃত আস-সুনানুল কাৰীর এ রয়েছে ৷
আবু ঈসা তিরমিষী (র) বলেছেন, আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (র) কে এ হ দীস
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটি একটি ত্রুটিপুর্ণ (সনদের) হাদীস; প্রকৃতপক্ষে
এটি ছাওরী (র) সুত্রে মুরসাল’রুাপ রিওয়ায়াত হয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, যায়দ
ইবনুল হুবাব (র) যখন ক্রটিপুর্ণ (সনদে) রিওয়ায়াত করতেন, তখন তার কোন কিছুাত ভ্রাস্তির
শিকার হাতন ৷ অবশ্য ইবন মাজা (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন কাসিম ইবন মুহাম্মদ
ইবন আব্বাস আল-ষুহাল্পাবী (র) সুত্রে সুফিয়ান ছাওরী (র) হতে, উল্লিখিত সনদে (অর্থাৎ এ
সনদে যায়দ ইবনুল হুবাৰ্ (র) যেই ৷ অনুবাদক) ৷ এটি এমন একটি সুত্র যার অবনতি
তিরমিষী ও বায়হাকী (র) লাভ করতে পারেন নি এবং এমনকি সম্ভবত বুখারী (র)-ও নয় ৷
যেহেতু তিনি যায়দ ইবনুল হুবাব (র) কে এ হাদীসের একক বর্ণনাক৷ রী ধারণা করে তার
ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ অথচ বাস্তবে তিনি একক নন ৷ এ হাদীসের শ্া৷হিদ
(সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগ্াত ৷

জাবির (বা) হতে অন্য একটি সুত্র ও আবু ঈসা তিরমিষী (র)ষ্বলেন, ইবন আবু উমর
(আবুয-যুবায়র) জাবির (রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
মিলিয়ে করলেন এবং সে দৃটির জন্য অভিন্ন তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর তিরমিষী (র)
বলেছেন, এটি একটি উত্তম হাদীস (তিরমিষীর কোন কোন সংস্করণে হাসান (উত্তম) স্থলে
সহীহ্ (বিশুদ্ধ) শব্দ রয়েছে) ৷ ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি জাবিব (রা) সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তার হজ্জ ও উমরার জন্য একটি মাত্র


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَكَّةَ. قَالَ: فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ".» أَبُو أَسْمَاءَ الصَّيْقَلُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنٌ، ثَنَا زُهَيْرٌ، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الصَّيْقَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «خَرَجْنَا نَصْرُخُ بِالْحَجِّ، فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً، وَقَالَ: " لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً، وَلَكِنِّي سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ الْحَجَّ بِالْعُمْرَةِ ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ هَنَّادٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الصَّيْقَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِهِمَا.» أَبُو قُدَامَةَ الْحَنَفِيُّ - وَيُقَالُ: إِنَّ اسْمَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ - عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ «عَنْ أَبِي قُدَامَةَ الْحَنَفِيِّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي؟ فَقَالَ: سَمِعْتُهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩২
وَهُوَ إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَبِهِ التَّوْفِيقُ وَالْعِصْمَةُ. وَرَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَرَنَ الْقَوْمُ مَعَهُ» وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بَعْضَ هَذِهِ الطُّرُقِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ثُمَّ شَرَعَ يُعَلِّلُ ذَلِكَ بِكَلَامٍ فِيهِ نَظَرٌ، وَحَاصِلُهُ أَنَّهُ قَالَ: وَالِاشْتِبَاهُ وَقَعَ لِأَنَسٍ لَا لِمَنْ دُونَهُ، وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ سَمِعَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُ غَيْرَهُ كَيْفَ يُهِلُّ بِالْقِرَانِ، لَا أَنَّهُ يُهِلُّ بِهِمَا عَنْ نَفْسِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ غَيْرِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَفِي ثُبُوتِهِ نَظَرٌ. قُلْتُ: وَلَا يَخْفَى مَا فِي هَذَا الْكَلَامِ مِنَ النَّظَرِ الظَّاهِرِ لِمَنْ تَأَمَّلَهُ، وَرُبَّمَا كَانَ تَرْكُ هَذَا الْكَلَامِ أَوْلَى مِنْهُ، إِذْ فِيهِ تَطَرُّقُ احْتِمَالٍ إِلَى حِفْظِ الصَّحَابِيِّ مَعَ تَوَاتُرِهِ عَنْهُ كَمَا رَأَيْتَ آنِفًا، وَفَتْحُ هَذَا يُفْضِي إِلَى مَحْذُورٍ كَبِيرٍ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. حَدِيثُ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فِي الْقِرَانِ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهُ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي حَجَّ مَعَهَا.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৩
আজঃকািায়াংওক্রোনিহাব্য ২৩৫
তাওয়াফ্ করেছিলেন ৷ (প্রাসংগিক মন্তব্য) তিরমিযীর সনদের হাজ্জাজ হলেন ইবন আরতাৎ-
ই ৷ ইমামদের অনেকেই র্ডার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷

তবে একটি সুত্রেও (আবুয যুবায়রএর মাধ্যমে) হযরত জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে
বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন ন্হাফিজ আবু বকর আর বাঘৃমার (র) তার মুসনাদে বলেছেন, মুকদ্দোম
ইবন মুহাম্মদ (র) (আবুয-যুব্যয়র) জাৰির (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) (মক্কার) এলেন এবং হজ্জ ও উমরা মিলিয়ে করলেন এক তিনি হাদী সাথে নিয়ে এলেন
এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, ওন্ণ্ষ্০ শ্লে ;প্ঞা ১ন্ণ্ ণ্এ (এে “যারা হড়াদীকে মালা পরার
নি তারা এটিকে উমরায় পরিণত করুক ৷ তারপর ৰাঘৃযার (র) বলেন, “এ সম্পর্কে জাবির
(বা) হতে এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷
বস্তুত বড়ামৃযার (র) জর মুসনাদে এ সুত্রে একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ এ সুত্রের সনদটি অতি
বিরল ধরনের এবং এ সুত্রে হয় গ্রন্থের কোন একটিতেও হাদীসটি উদ্ধৃত হয় নি ৷ অল্লোহ ই
সমধিক অবগত ৷

অৰবুতাদহা বাবদ: ইবন সাহস অনেসরীি (না)-এর ৰিওয়ারাত

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআৰিয়াইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আবু তালহ৷ (বা) আমাকে অবগত করেছেন যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রে করেছেন ৷ ” ইবন মজাে (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র)
(আবু মুআৰিয়া) সনদে তার ভাষ্য “রাসুলুল্পাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা কিরানরুপে করেছেন ৷
(এ সনদের অন্যতম) রানী হাজ্জাজ ইবন আরতাত (র)-এর কিছু দৃর্বলতা রয়েছে ৷ অল্লোহ্
সমধিক অবগত ৷

সুরক্ষা ইবন ম্দাি ইবন ল্যাং বো)এম্ ব্লিওয়শ্নোত
ইমন্ম আহমদ (য়) ধ্ল্দোন্ মাকী ইবন্ ইব্রাহীম (র) সুরকাে (রা) সুত্রে বলেন আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি



“কিয়ামত পর্যস্তের জন্য উমর হলোঃ মাঝে প্ৰবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ” তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বিদায় হচজ্জ কিরান করেছিলেন ৷

-স৷ দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) এর রিওয়ায়াত, এ মর্মে যে, নবী কয়ীম (সা) উমরার সাথে
হজ্জ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন, আর তাই হল কিরান ৷

ইমাম মালিক (র) বলেন, ইবন শিহাব (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন নাওফন ইবনুদ
হাশ্রিহু ইবন আবদুস মুত্তালিব তাকে (ইবন শিহাবকে) এ মর্মে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি
সাদ ইবন আবু ওয়কােস ও যাহ্হড়াক ইব ন কারস (না)-কে মুআবিয়া ইবন আবু সৃফিয়ান (রা)-
এর হজ্জ করার বছর হলোঃ সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় আলোচনা করতে
শুনেছেন ৷ যাহ্হাক (রা) বললেন, “আল্লাহর বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ ণ্লাকেরা ছাড়া কেউ তা
করতে পারে না ৷ সাদ (রা) বললেন, ভাতিজা ! খুবই মন্দ কথা তুমি বললে ! মাহ্হাক (র)


لَيْسَ هَذَا بِمَحْفُوظٍ. قُلْتُ: سَيَأْتِي بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ إِلَى عَائِشَةَ نَحْوُهُ. رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ رُمَيْسٍ، وَالْقَاسِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرٍ اللَّبَّانُ وَغَيْرُهُمْ، قَالُوا: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الصُّوفِيُّ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ حِجَجٍ ; حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ، وَحَجَّةٌ قَرَنَ مَعَهَا عُمْرَةً.» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ بِهِ. أَمَّا التِّرْمِذِيُّ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنْ سُفْيَانَ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، وَرَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - يَعْنِي الدَّارِمِيَّ - رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي كُتُبِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا، فَلَمْ يَعْرِفْهُ، وَرَأَيْتُهُ لَا يَعُدُّهُ مَحْفُوظًا. قَالَ: وَإِنَّمَا رُوِيَ عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلًا. وَفِي " السُّنَنِ الْكَبِيرِ " لِلْبَيْهَقِيِّ قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيَّ، عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ خَطَأٌ، وَإِنَّمَا رُوِيَ هَذَا عَنِ الثَّوْرِيِّ مُرْسَلًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَكَانَ زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ إِذَا رَوَى حِفْظًا رُبَّمَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৪


বললেন, তা হলে উমর ইবনুল পাতায় (বা) যে তা নিষেধ করতেন্যম্বী তখন মাস (বা)
বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না) তো তা করেছেন এবং তার সঙ্গে থেকে আমরাও তা করেছি ৷;
তিরমিষী ও নাসাঈ (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) মালিকসনদে ৷
তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন এটি একটি সহীহ্ হাদীস ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেছেন,
ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র)গুনায়ম (র) বলেন, আমি ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-কে তামাত্তু
হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, “আমরা তা করেছি, যখন এ ণ্লাকটি মক্কায়
কাফির অবস্থায় ছিল” ৷ এতে তিনি মুআবিয়৷ (রা) কে বুঝিয়েছিলেন ৷ আহমদ (র) এভাবে

ৎহ্মেগে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) এর গ্রন্থে এ রিওয়ায়তে সুফিয়ান ইবন
সাঈদ আছ ছাওরী, ও না, মারওয়ান আল ফাযারী ও ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ আল কাততান
(র) ণ্ডনায়ম ইবন কায়স (র) সুত্রে (বলেন) আমি না দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) কে তামাত্তু
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, আমর৷ তাে তা করেছিই , আর তখন এ লোকটি
মক্কায় অবস্থানকারী কাফিয় ছিল ৷ ” রাবী ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) তার রিওয়ায়া তে ব্যলছেন-
অর্থাৎ মুআবিয়৷ (বা) ৷ আর আবদুর রায্যাক (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুতামির
ইবন সুলায়মান (র) ও আবদুল্লাহ্ ইবনৃল ঘুবারক (র) ওনায়ম ইবন কায়স (র) বলেন, আমি
স৷ দ (রা) কে হরুংজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি
বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে তা করেছি, তখন এ সােকটি কাফির ছিল ৷ অর্থাৎ
মক্কায় এবং সােকটি দ্বার৷ উদ্দিষ্ট হলেন মুআবিয়া (রা) ৷ দ্বিতীয় হাদীসটি সনদের মানদণ্ডে
অধিকতর বিশুদ্ধ এরং আমরা তা উল্লেখ করলাম সবলকরণ উদ্দেশ্যে; এর উপর নির্ভর করে
নয় ৷ কেননা, প্রথম হাদীসটিও বিশুদ্ধ সনদযুক্ত এবং এটির তাষ্য অনাটির র্তুলনায় অধিকতর
স্পষ্ট ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ ন্

আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : তাবারানী (র) বলেন, সাঈদ ই-বৃন

তিনি বলেন, রাসুলুলাহ্ (না) হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করেছিলেন ৷ এ কারণে যে, তিনি বুবাক্ত ত
পেরেছিলেন যে ঐ বছরের ?ারে হজ্জ করতে পারবেন না ৷

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবুন নাবৃর (র)
(দাউদ আল কাত্তান)ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
চারটি উমরা করেছেন (এক) হুদায়ৰিয়ার উমরা (দুই) কায৷ উমরা, (তিন) জ্জিররানা হতে
এবং (চার) যেটি ছিল তার হলোঃ সাখে ৷ আবু দাউদ, তিরমিষী ও ইবন মাজা (র) এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেনইবন আব্বাস (রা)-এর সনদে বিভিন্ন সুত্রে তিরমিষী (র) বলেছেন,
হাসান গরীব একক সুত্রীয় উত্তম বর্ণনা ৷ অনুরুপ, তিরমিষী (র) সাঈদ ইবন আবদুর রহমান
(র)ইকরিম৷ সনদেও যুরসালরুগে এটি রিওয়ায়াত করেছেন৷ হাফিজ বায়হাকী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয আল-বাগাবী
(র)(দাউদ ইবন আবদুর রহমান আল অভােব)সনদে ৷ এতে তিনি বলেছেন, “চতুর্থ :যেটি
তিনি তার হষ্কজ্জর সাথে সং যুক্ত করেছিলেন ৷” তারপর আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয
বলেন, দাউদ ইবন আবদুর রহমান ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে


غَلَطَ فِي الشَّيْءِ. وَأَمَّا ابْنُ مَاجَهْ فَرَوَاهُ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بِهِ. وَهَذِهِ طَرِيقٌ لَمْ يَقِفْ عَلَيْهَا التِّرْمِذِيُّ وَلَا الْبَيْهَقِيُّ، وَرُبَّمَا وَلَا الْبُخَارِيُّ حَيْثُ تَكَلَّمَ فِي زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ ظَانًّا أَنَّهُ انْفَرَدَ بِهِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ جَابِرٍ: قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، وَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا.» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَفِي نُسْخَةٍ: صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «لَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا طَوَافًا وَاحِدًا لِحَجِّهِ وَلِعُمْرَتِهِ.» قُلْتُ: حَجَّاجٌ هَذَا هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ، وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَلَكِنْ قَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا، كَمَا قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا مُقَدَّمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُقَدَّمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خَيْثَمَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ فَقَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَسَاقَ الْهَدْيَ. وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ لَمْ يُقَلِّدِ الْهَدْيَ فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ".» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: وَهَذَا الْكَلَامُ لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنْ جَابِرٍ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৫
بِهَذَا الْإِسْنَادِ. انْفَرَدَ بِهَذِهِ الطَّرِيقِ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ "، وَإِسْنَادُهَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَلَيْسَتْ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ السِّتَّةَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ أَبِي طَلْحَةَ زَيْدِ بْنِ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا حَجَّاجٌ - هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ - عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِإِسْنَادِهِ، وَلَفْظُهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ» . الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ فِيهِ ضَعْفٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ الزَّرَّادَ، يَقُولُ: «سَمِعْتُ النَّزَّالَ بْنَ سَبْرَةَ صَاحِبَ عَلِيٍّ يَقُولُ: سَمِعْتُ سُرَاقَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ". قَالَ: وَقَرَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ.» رِوَايَةُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَمَتَّعَ بِالْحَجِّ إِلَى الْعُمْرَةِ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৬


বর্ণনা করেন নি ৷ তারপর বায়হাকী (র) বুখাবী (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
দাউদ ইবন আবদুর রহমান সত্যবাদীরাবী, তবে মাঝে মধ্যে তিনি ৰিভ্রান্তির শিকার হন ৷ আর
উমর (বা) হতে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বুখারী (র)-এর রিওয়ায়াত পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে তিনি বলেছেন, ওয়াদীল আকীকে’ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে করেছি, “আমার
প্ৰতিপালকের পক্ষ হতে জনৈক আপমনকারী আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করল এবং বলুন হরুজ্জর সাথে উমরা ৷ ” সম্ভবত এ হাদীসই ইবন
আব্বাস (না)-এর বর্ণনার সনদ ও উৎস ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

আবদুল্লাহ্ন্ ইবন উমর (না)-এর রিওয়ায়াত : বুখারী ও মুসলিম (র)-এর বিওয়ায়াত পুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে, লায়ছ (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, বিদায় হভ্রুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্
(সা) তামাত্তু করেছিলেন এবং হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ হাদী নিয়ে এসেছিলেন যুল-হুলড়ায়ফা
থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) প্রথমে উমরার ইহরাম ৰাধেন তারপর হরুজ্জর নিয়াত করেন ৷ সাঈ
ইত্যাদির পরেও হালাল না হওরাসহ পুর্ণ হাদীস ইতােপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ বিশদ
আলোচনার পরে সে ক্ষেত্রে আমরা সাবাস্ত করে এসেছি যে, নবী করীম (সা) এর এ তামাত্তু
ৰিশেস তামাত্তু অর্থে ফি! না; বরং তিনি কিরান করেছিলেন ৷ কেননা, এ কথা উদ্ধৃত হয়েছে
যে, তিনি তামাত্তু পালনকাৰী ছিলেন না ৷ যেহেতু তিনি হজ্জ ও উমরার জন্য অভিন্ন সাঈ
করেছিলেন, যা কিরান পালনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটাই জম্হুরের’ অভিমত ৷ বর্ণনা
পরে আসছে ৷

হাফিজ আবু য়ালা আল-মাওসিলী (মসুল) বলেছেন, আবু খারছামা (র) ইবন উমর (রা)
সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার কিরানের জন্য একটি মাত্র তাওয়াফ করছিলেন এবং সে দুরের
(হজ্জ ও উমরা) মাঝে হলোল হন নি এবং পথ থেকে হাদী খব্লিদ করে নিয়ে এসেছিলেন ৷ এ
সনদটি জ্যয়িৰুদ, বেশ উওম ৷ এর রাবীগণ সকলেই নির্ত্যযােগ্য ৷ তবে (আবু খায়ছামার
ন্-শারর) ইরাহ্য়া ইবনৰুয়ামড়ান (র); মুসলিম শরীফের রাবী : তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও সুফিয়ান
ছাওরী (বা) হতে গৃহীত তীর হাদীসসয়ুহে অ্যাহণযোণ্যতা রয়েছে ৷ আল্লাহুই সমধিক অবগত ৷
তাছাড়া ইবন উমর (রা)-এর রিওয়ায়াতের ইফরাদ’ এর উদ্দেশ্য হ্যজ্জ র কার্যক্রমকে ইফরাদ
ও স্বতন্ত্রকরণ ৷ ইমাম শাফিঈ (র) এর অনুসারীবর্পের স্থিব্লিকুত বািশষ ইফরাদ’ তথা প্রথমে
হজ্জ করার পরে যিলহজ্জ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে উমরা পালন ইবন উমর (রা) এর
উদ্দিষ্ট ছিল না ৷ আমার এ বক্তব্যের প্রাধান্য প্রমাণ করবে শাফিঈ (র) এর বক্তব্য মালিক
(র)ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাজ্জয় আগে উমরা পালন ও হাদী নিয়ে আসা
হক্কজ্জ্বর পরে যিলহজ্যের অবশিষ্ট দিনগুলোর্তে উমরা পালনের চাইতে আমার কাছে অধিক
পসন্দনীয় ৷

আবদুল্লাহ ইবন আমর (না)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আমর
(রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহু (সা) কিরান করেছিলেন বায়তৃল্লাহ্ হতে
বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশং কার ৷ আর তইি তিনি বলেছিলেন :)শ্৩ন্এ ণ্া-: ষ্র্ন্তএ ণ্৷ :৷ হজ্জ না
করা গেলে এটা হবে উমরা ৷ সনদ ও মতন (মুল পাঠ) বিচারে এ হাদীসটি বিরল ৷ ইমাম
আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সনদের বিরলতা থােদ ইমাম আহমদ (র) (আবু


الْقِرَانُ: قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ، «أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَامَ حَجَّ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ يَذْكُرُ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ، فَقَالَ الضَّحَّاكُ: لَا يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلَّا مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ. فَقَالَ سَعْدٌ: بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي. فَقَالَ الضَّحَّاكُ: فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَنْهَى عَنْهَا. فَقَالَ سَعْدٌ: قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ،» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ - يَعْنِي التَّيْمِيَّ - حَدَّثَنِي غُنَيْمٌ قَالَ: «سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: فَعَلْنَاهَا وَهَذَا كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ.» هَكَذَا رَوَاهُ مُخْتَصَرًا. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، وَشُعْبَةَ وَمَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ طَرْخَانَ التَّيْمِيِّ، سَمِعْتُ غُنَيْمَ بْنَ قَيْسٍ «سَأَلْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الْمُتْعَةِ فَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فِي رِوَايَتِهِ: يَعْنِي مُعَاوِيَةَ.» وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، كِلَاهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ «سَأَلْتُ سَعْدًا عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ: فَعَلْتُهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৭
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ» يَعْنِي مَكَّةَ، وَيَعْنِي بِهِ مُعَاوِيَةَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي أَصَحُّ إِسْنَادًا، وَإِنَّمَا ذَكَرْنَاهُ اعْتِضَادًا لَا اعْتِمَادًا، وَالْأَوَّلُ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَهُوَ أَصْرَحُ فِي الْمَقْصُودِ مِنْ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ الطَّبَرَانِيُّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: «إِنَّمَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ ; لِأَنَّهُ عَلِمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ حَاجًّا بَعْدَ ذَلِكَ الْعَامِ.» رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي الْعَطَّارَ - عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَالثَّالِثَةَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، وَالرَّابِعَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارِ الْمَكِّيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلًا. وَرَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৮


আহমদের শায়খ) রাৰী : ইউনুস ইবনুল হায়িস আচ্ওহাকাফী (র) সম্পর্কে বলেছেন, ইনি
হাদীসে অস্থির বর্ণনাদাতা (মুখতাবিব) ৷ তিনি তাকে মাঈফ্ন্ও বলেছেন ৷ অনুরুপ ইয়াহয়া
ইবন মাঈন (র) তার এক বর্ণনার ক্ষেত্রে এবং নসােঈ (র)-ও (সার্বিকভাবে) তাকে যাঈফ
সাবস্ত করেছেন ৷ আর মতন ও মুল পাঠের বিরলতা এ কারণে যে, তিনি যে বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিরান করেছিলন ৷ বায়তুল্পাহ্ হতে বধোপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকায়’, এখানে প্রশ্ন
আগে যে, নবী কয়ীম (না)-কে বায়তুল্লাহ্ হতে বাধা দেওয়ার মত এমন কে ছিল তখন? তখন
তো আল্লাহ্ তার জন্য ইসলামকে সরল ও বিজয়ী করে দিয়েছেন, পবিত্র শহর (মক্কা) বিজিত
হয়ে গিয়েছে এবং বিগত বছর হজের মওসৃমে মিনার অঙ্গনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে, এ
বছরের পরে কোন মুশরিক হজ্জ করবে না, কোন ট্যাগ বায়তুল্পাহ্ তাওরাক করবে না ৷
তাছাড়া বিদায় হাজ্জ (মদীনা হতেই) প্রায় চল্লিশ হাজার লোক নবী কৰীম (না)-এর সহযাত্রী
হয়েছিলেন ৷

সুতরাং বায়তুল্পাহ্ হতে বাধা গ্ৰাপ্ত হওয়ার অশেঙ্কায় তার এ উক্তিটি তেমনি বিস্ময়কর
যেমন বিস্ময়কর আলী (রা)-কে বলা আষীরুল মুমিনীন উছমান (রা)-এর উক্তি ৷ যখন আলী
(রা) তাকে বলেছিলেন, “আপনি তো জানেনই যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এসে
তামাত্তু (কিরান) করেছিলাম ৷ জবাবে উছমান (রা) বলেছিলেন, হী, তবে আমরা তখন শঙ্কিত
ছিলাম ৷ জ্যি আমি বুঝতে পারি না এ ভয় ও শষ্কাকে কোন অর্থেপ্ৰয়োগ করা হবেঃ তা যে
কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই হোক না কেন, তবে ইা, যেহেতু এটি একড্ডা মহান সাহাৰীর
বিওয়ায়াত যা তিনি তার ধারণাকৃত কোন অর্থে প্রয়োগ করে বিবৃত করেছেন ৷ অতএব তার
বর্ণনা তো বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য; তবে তার ধারণাটি ত্রুটি মুক্ত নয় ৷ সুতরাং তা বষ্নািকারীর
ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং অন্যদের মুকাবিলায় তা প্ৰমাণরাপে গণ্য হবে না ৷ তবে, এতে
তার রিওয়ড়ায়াতটি প্রত্যাখ্যান হওয়া অনিবার্য হবে না ৷ আবদুল্লাহ ইবন আমৃর (রা)-এর
বিওয়ড়ায়াতটিও যদি তার পর্যন্ত সনদ সুত্র সাব্যস্ত হয়ে যায়, অনুরুপ (বিশুদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধারণা

প্ৰসুত) সাব্যস্ত হবে ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

ইমরান ইবন হুসায়ন (না)-এর বিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন
জাফর ও হাজ্জাজ (র)মুতাররিফ (র) সুত্রে বলেন, ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) আমাকে
বললেন, আমি তোমার কাছে একখানি হাদীস বর্ণনা করছি, আশা করি আল্পাহ্ তা দিয়ে
তোমাকে উপকৃত করবেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না) তার হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছিলেন এবং
তার ওকাত পর্যন্ত তা আর নিষেধ করে মান নি এবং এ বিষয়টি হারাম ঘোষণা করে কুরআনও
অবতীর্ণ হয় নি ৷ আর (একটি বিষয়) এই যে, তিনি আমাকে সালাম করতেন, পরে আমি
কায়’১ লাপালে তিনি (সালাম চ্দয়া হতে) বিরত রইলেন ৷ অবাের আমি তা বর্জন করলে তিনি
পুনরায় আমাকে সালাম দিতে শুরু করলেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইরনুল মুছান্না ও
মুহাম্মদ ইবন ইয়সাের (র) সুত্রে এবং ইমাম নাসাঈ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল অলো (র)



১ করে ( , প্ৰু) রাত আষ্ঠীয় রোপের প্রবল প্ৰকোণে দোহ৷ গরম করে তবে দাগ দেয়ার কক্টদায়ক চিকিত্সা
ব্যবস্থা ৷ অনুবাদক


الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْحَسَنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْبَغَوِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الرَّبِيعِ وَشِهَابِ بْنِ عَبَّادٍ، كِلَاهُمَا عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارِ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ: الرَّابِعَةُ الَّتِي قَرَنَهَا مَعَ حَجَّتِهِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَيْسَ أَحَدٌ يَقُولُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. ثُمَّ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْبُخَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ: دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ صَدُوقٌ، إِلَّا أَنَّهُ رُبَّمَا يَهِمُ فِي الشَّيْءِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِوَادِي الْعَقِيقِ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ، وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» فَلَعَلَّ هَذَا مُسْتَنَدُ ابْنِ عَبَّاسٍ فِيمَا حَكَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَأَهْدَى فَسَاقَ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ. وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي عَدَمِ إِحْلَالِهِ بَعْدَ السَّعْيِ، فَعُلِمَ كَمَا قَرَّرْنَاهُ أَوَّلًا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا التَّمَتُّعَ الْخَاصَّ، وَإِنَّمَا كَانَ قَارِنًا ; لِأَنَّهُ اكْتَفَى بِطَوَافٍ وَاحِدٍ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৩৯


মুতাররিক (র) সুত্রে ইমরান (বা) হতে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অনুরুপ, মুসলিম
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াত শুব৷ (র)-ণ্ডু সাঈদ ইবন আবু আরুবা (ব)ইমরান ইবনুল
হুসারন (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছেন
(পুর্ণ হাদীস) ৷ হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র) বলেছেন, হুমায়দ ইবন হিলাল (র) শুবা
(র)-এর হাদীসটি (অনুচ্ছেদের প্রথম বিওরায়াত) বিশুদ্ধ ৷ আর মুতাররিফ (র) হতে কাতাদা
(র) সুত্রে গৃহীত শুব৷ (র)-এর হাদীস, তা বাকিয়্যা ইবনুল ওলীদ (ব)-ও শুব৷ (র) হতে
অনুরুপ ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর গুনদার (র) প্রমুখ রিওয়ারাত করেছেন (সাঈদ ইবন আবু
আরত্রা সুত্রে) কাতাদা (র) থেকে ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : নাসাঈ (র)-ও তার সুনানে আমুর ইবন আলী আল ফাললাস (র) সুত্রে,
ইমরান ইবনুল হুসড়ায়ন (বা) হতে এ হাদীসটি রিওয়ারাত করেছেন ৷ আল্লাহ যথার্থ অবগত ৷
তবে সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে হাম্মাম (র) (কতোদা মুতাররিক) ইমরান ইবনুল হুসায়ন (বা)
হতে প্রামাণ্য রিওয়ান্নাত রয়েছে যে, তিনি (ইমরান) বলেন, “আমরা ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুাগ
তামাত্তু (কিরান) করেছি ৷ তারপর তা হারাম সাবাস্ত করে কুরআন নাযিল হয় নি এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার ওফাত পর্যন্ত তা নিষিদ্ধ করে যান নি ৷”

আল হিরমাস ইবন যিয়াদ আল বাইিলী (রা)-এর বিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র)-এব পুত্র
আবদুল্লাহ (র) বলেন, রারুৰ্ শহরের বাসিন্দা আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ইবন ইমরান ইবন আলী
(র) (মুলত যিনি ইসপাহানী ছিভ্রুল্যা)আল হিরমাস (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি আমার
পিতার সহআরােহী ছিলাম ৷ তখন নবী কবীম (না)-কে দেখলাম তিনি একটি উটের পিঠে
ছিলেন আর তিনি বলছিলেন ওগ্লুণ্ , হ্৮ ১এ এন্াহুত্র “আপনার সকাশে হাযির এক সাথে
হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এ হাদীস সুনান গ্রহসমুহের শর্তানুরুপ, তবে তার! এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷

উম্মুল মুসির্নীন হাফ্স৷ ৰিনৃত উমর (রা)-এর ব্লিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র) বলেন,
আবদুর রহমান (র)হাফ্সা (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী কবীম (না)-কে
বললেন, আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন? জবাবে তিনি বললেন-


“আমি মাথা (আঠাল দ্রব্য দিয়ে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে ’মাল৷ পব্লিয়েছি, তইি
কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হলোল হন না ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়েও এ হাদীসটি উদ্ধৃত হয়েছে ৷
র্তাদের ভায্যে রয়েছে যে, হাফ্সা (বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! লোকদের অবস্থা কী ? তারা
তো উমরা থেকে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন?
তিনি বললেন, “আমি আমার হাদীকে মালা’ পরিচয়ছি এবং মাথা জড়িয়েছি, তইি (হাদী)
যবইি না করা পর্যন্ত আমি হালাল হন না ৷ ” ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, শুআয়ব ইবন
আবু হামমা (র)নাফি (র) সুত্রে বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলতেন, নবী কয়ীম
(না)-এর সহধর্মিণী হাফসা (রা) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জা
সময় তার সহধর্মিণীগণকে হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন ৷ তখন তাদের একজন র্তাকে
বললেন, “আপনাকে হালাল হওয়াতে বিরত রাখছে কোন বিষয়?” তিনি বললেন-


الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ عَنْ حَجِّهِ وَعُمْرَتِهِ، وَهَذَا شَأْنُ الْقَارِنِ عَلَى مَذْهَبِ الْجُمْهُورِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ طَوَافًا وَاحِدًا لِإِقْرَانِهِ، لَمْ يُحِلَّ بَيْنَهُمَا وَاشْتَرَى مِنَ الطَّرِيقِ. يَعْنِي الْهَدْيَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ، إِلَّا أَنَّ يَحْيَى بْنَ يَمَانٍ - وَإِنْ كَانَ مِنْ رِجَالِ مُسْلِمٍ - فِي أَحَادِيثِهِ عَنِ الثَّوْرِيِّ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّا يُرَجِّحُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَرَادَ بِالْإِفْرَادِ الذى رَوَاهُ إِفْرَادَ أَفْعَالِ الْحَجِّ، لَا الْإِفْرَادَ الْخَاصَّ الَّذِي يَصِيرُ إِلَيْهِ أَصْحَابُ الشَّافِعِيِّ - وَهُوَ الْحَجُّ ثُمَّ الِاعْتِمَارُ بَعْدَهُ فِي بَقِيَّةِ ذِي الْحِجَّةِ - قَوْلُ الشَّافِعِيِّ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: لَأَنْ أَعْتَمِرَ قَبْلَ الْحَجِّ وَأُهْدِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَعْتَمِرَ بَعْدَ الْحَجِّ فِي ذِي الْحِجَّةِ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ - يَعْنِي الزُّبَيْرِيَّ - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا قَرَنَ خَشْيَةَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ، وَقَالَ: " إِنْ لَمْ تَكُنْ حَجَّةٌ فَعُمْرَةٌ ".» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ سَنَدًا وَمَتْنًا. تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ الْإِمَامُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪০
أَحْمَدُ. وَقَدْ قَالَ أَحْمَدُ فِي يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ الثَّقَفِيِّ هَذَا: كَانَ مُضْطَرِبَ الْحَدِيثِ. وَضَعَّفَهُ، وَكَذَا ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فِي رِوَايَةٍ عَنْهُ، وَالنَّسَائِيُّ. وَأَمَّا مِنْ حَيْثُ الْمَتْنِ فَقَوْلُهُ: إِنَّمَا قَرَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَشْيَةَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ. فَمَنِ الَّذِي كَانَ يَصُدُّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَنِ الْبَيْتِ؟ وَقَدْ أَطَّدَ اللَّهُ لَهُ الْإِسْلَامَ، وَفَتَحَ الْبَلَدَ الْحَرَامَ، وَقَدْ نُودِيَ بِرِحَابِ مِنًى أَيَّامَ الْمَوْسِمِ فِي الْعَامِ الْمَاضِي أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَقَدْ كَانَ مَعَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ قَرِيبٌ مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَمَا هَذَا بِأَعْجَبَ مِنْ قَوْلِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّا تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: أَجَلْ وَلَكِنَّا كُنَّا خَائِفِينَ. وَلَسْتُ أَدْرِي عَلَامَ يُحْمَلُ هَذَا الْخَوْفُ؟ وَلَا مِنْ أَيِّ جِهَةٍ كَانَ؟ إِلَّا أَنَّهُ تَضَمَّنَ رِوَايَةَ الصَّحَابِيِّ لِمَا رَوَاهُ، وَحَمَلَهُ عَلَى مَعْنًى ظَنَّهُ، فَمَا رَوَاهُ صَحِيحٌ مَقْبُولٌ، وَمَا اعْتَقَدَهُ فَلَيْسَ بِمَعْصُومٍ فِيهِ، فَهُوَ مَوْقُوفٌ عَلَيْهِ، وَلَيْسَ بِحُجَّةٍ عَلَى غَيْرِهِ، وَلَا يَلْزَمُ مِنْهُ رَدُّ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ. وَهَكَذَا قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو لَوْ صَحَّ السَّنَدُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عِمْرَانِ بْنِ حُصَيْنٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَحَجَّاجٌ، قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، سَمِعْتُ مُطَرِّفًا قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৯৪১



“আমি আমার মাথা (আঠাল দ্রবাে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে মালা পরিয়েছি, তইি
আমার হড়াদী যবাই না করা পর্যন্ত হালাল হচ্ছি না ৷ আহমদ (র) আরো বললেন, ইয়াকুব ইবন
ইবরাহীম (র)আেবদৃল্লাহ্ ইবন উমর) হাফসা বিনৃত উমর (বা) হতে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ র্তার (পরিবারের) নারীদের উমরা করে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আমরা
বললাম, “আমাদের সাথে আপনার হালাল হয়ে যাওয়াতে কোন বিষয় বাধা সৃষ্টি করছে ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, “আমি হড়াদী নিয়ে এসেছি এবং মাথায় আঠাল্যে বস্তু লাগিয়েছি,
তইি আমার হাদী যৰাই না করা পর্যন্ত হালাল হব না ৷ তারপর আহমদ (র) রিওয়ারাত
করেছেন, কাহীর ইবন হিশাম (র)হাফসা (রা) সুত্রে ৷ এ হাদীসে তো এ কথাই রয়েছে যে,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উমরা পালনকারী ছিলেন এবং তা থেকে হালাল হন নি৷ আর ইভােপুর্বে
উল্লিখিত ইফরাদঔ সম্পর্কিত হাদীসসমুহে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি হজ্যেরও ইহরাম
করেছিলেন ৷ সুতরাং এ দৃই হড়াদীসের সমন্বিত অর্থ দাড়ায় এই যে তিনি কিরান করেছিলেন ৷
সেই সাথে এ বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা সম্বলিত রিওয়ারাতসমুহ তাে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

উম্মুল ঘু মিনীন হযরত আইশা (রা)-এর রিওয়ারাত : বুখারী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
মাসলামা নবী সহধর্মিণী অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বিদায় হচ্ছে আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা উমরার জন্য ইহরাম করলাম ৷ তারপর নবী
কবীম (সা) ইরশাদকরলেন

“যার যা ড়াথে হাদী রয়েছে যে উমরার সাথে হজ্যে ইহরাম বেধে সেরে, তারপর সে হালাল
হয়ে না, অবশেষে একত্রে দু’টি থেকে হালাল হবে ৷” (অইিশা রা বলেন) আমি মক্কায়

পৌছলাম ঋতুবভী অবস্থায় ৷ তইি আমি বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করলাম না, সফোমারওয়ায়ও
না ৷ আমি এ বিষয় রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে করিয়াদ জানালাম ৷ তিনি বললেন-

“তোমার বেনী (ণ্খড়াপা) খুলে ফেল, চিরুনী ব্যবহার কর এবং হরুজ্জর ইহরাম বীধো ও
উমরা ছেড়ে দাও ৷” (আইশা রা বলেন) আমি তাই করলাম ৷ আমি হজ্জ সমাধা করলে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে (আমার ভাই) আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা)এর সাথে
তানঈমে’ পাঠিয়ে দিলেন ৷ তখন আমি উমরা করলাম ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন :ম্বর্ন্তস্ :১১
এত্র)এশ্ “এটি তোমার উমরার (ইহৱামের) স্থান ৷” অইিশা (রা) বললেন, মারা উমরার ইহরাম
করেছিলেন তারা ৰায়তুল্পাহ্র তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পর হালাল হয়ে
গেলেন ৷ তারপর মিনা হতে ফেরার পরে তারা আর একবার তাওয়াফ সাঈ করলেন ৷ আর
যারা হজ্জ্ব-উমরা একত্রিত করেছিলেন তারা একরাবই মাত্র (সাফা-মারওয়ার) সাঈ করলেন ৷
মুসলিম (র) ও মালিক (র) সুত্রে এরুপ রিওয়ারাত করেছেন ৷ তারপর তিনি (মুসলিম) আবদৃ
ইবন হুমায়দ (র)অইিশা (বা) সুত্রেও রিওয়ারাত করেছেন ৷ অইিশা (রা) বলেন, বিদায়


قَالَ لِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ ; «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَمَعَ بَيْنَ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ، ثُمَّ لَمْ يَنْهَ عَنْهُ حَتَّى مَاتَ، وَلَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ فِيهِ يُحَرِّمُهُ، وَإِنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ، فَلَمَّا اكْتَوَيْتُ أَمْسَكَ عَنِّي، فَلَمَّا تَرَكْتُهُ عَادَ إِلَيَّ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ» الْحَدِيثَ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدِيثُ شُعْبَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ مُطَرِّفٍ صَحِيحٌ، وَأَمَّا حَدِيثُهُ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، فَإِنَّمَا رَوَاهُ عَنْ شُعْبَةَ كَذَلِكَ بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَقَدْ رَوَاهُ غُنْدَرٌ وَغَيْرُهُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا النَّسَائِيُّ فِي " سُنَنِهِ " عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلَّاسِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، وَفِي نُسْخَةٍ: عَنْ سَعِيدٍ. بَدَلَ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، فَذَكَرَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৪২
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ: «تَمَتَّعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ يُحَرِّمُهُ، وَلَمْ يُنْهَ عَنْهَا حَتَّى مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» رِوَايَةُ الْهِرْمَاسِ بْنِ زِيَادٍ الْبَاهِلِيِّ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي عَلِيٍّ أَبُو مُحَمَّدٍ، مِنْ أَهْلِ الرَّيِّ وَكَانَ أَصْلُهُ أَصْبَهَانِيًّا، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنِ الْهِرْمَاسِ قَالَ: «كُنْتُ رِدْفَ أَبِي فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى بَعِيرٍ وَهُوَ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا ".» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. رِوَايَةُ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «عَنْ حَفْصَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لَكَ لَمْ تُحِلَّ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي، فَلَا أُحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ. زَادَ الْبُخَارِيُّ: وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ. زَادَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৩


হজের বছর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাথে বের হলড়াম ৷ আমি উমরার ইহরড়াম রাধলাম ৷
আমি হাদী সাথে নেই নি ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “যার সাথে হাদী রয়েছে সে যেন তার
উমরার সাথে হভ্রুজ্জর ইহরড়াম বেধে নেয়, যে বানান হবে না ৷ অবাশষে দু টি হতে একত্রে
হাসাল হবে

এখানে হাদীসটি উল্লেখে আমার উদ্দেশ্য, নবী করীম (সা)-এর বাণী “যার সাথে হাদী
রয়েছে যে উমরার সাথে হাজ্জ্বর ইহরাম বীধবে ৷ এখন নবী কবীম (সা)-এর সাথে যে হড়াদী
ছিল তা তো সকলেরই জানাকথা ৷ তা হলে, এ বিধান বাস্তবায়নে তিনিই সর্বপ্রথম ও সবার
আগে থাকবেন ৷ কেননা, স্বীকৃত নীতি অনুসারে যিনি যা বলেন, তা তার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম
প্রযোজ্য ৷ দ্বিতীয়ত আইশা (বা) বলেছেন, র্যার৷ হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করার নিয়ত করেছিলেন
র্তারা একবার সাঈ করেছিলেন ৷ অন্য দিকে ঘুসলিম (র) আইশা (বা) হতে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফা-মারওয়ার মাঝে একবারমাত্র সাঈ করেছিলেন ৷ এতে বুঝা
যায় যে, তিনিও হজ্জ-উ মর৷ এ কত্রে করেছিলেন ৷ এছাড়া মুসলিম (র) এর আর একটি
রিওয়ায়াত রয়েছে হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) আইশা (বা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাদী তো ছিল
নবী কবীম (সা) এর সাথে এবং আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সঙ্গতিসম্পন্নদের সাথে ৷
তৃতীয়ত আইশা (বা) উত্তহুপে করেছেন যে, নবী করীম (সা) হজ্জ ও উমর৷ দুটির মধ্যখানে
হালাল হন নি; সুতরাং তিনি তামাত্তু পালনকারী ছিলেন না ৷

হযরত আইশা (রা) আরো উল্লেখ করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে র্তাকে
তানঈম হতে উমর৷ করাবার আবদার জানিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
লোকেরা হজ্জ ও উমর৷ নিয়ে যাচ্ছে আর আমি শুধু হজ্জ নিয়ে বারো ? তখন নবী করীম (সা)
তাকে তার ভাই আবদুর রহম্ান ইবন আবু বকর (বা) এর সাথে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি তাকে
তানঈম হতে উমরার ইহরাম বাধিয়ে আনলেন ৷ কিং নবী করীম (সা) নিভ্রুজও হহ্মের পরে
উমর৷ করেছেন এমন উল্লেখ পাওয়া যায় না ৷ সুতরাং ড়াতিনি ইকরাদ পালনকারী ছিলেন না ৷
অথচ বিদায় হজ্যে তিনি যে উমরাও আদায় করেছিলেন, তাতে রয়েছে বর্ণনাকাবীদের
ঐকমত্য ৷ কাজেই বুঝা গেল যে, তিনি কিরান পালন করেছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক
অবগত ৷

তাছাড়া হাফিজ বায়হাকী (র)-এর পুর্বোল্লিখিত্ত রিওয়ায়াত : ইয়াষীদ ইবন হারুন (র)
বাবা ইবন আযিব (বা) সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনবার
উমর৷ করেছেন, যার সবগুলো ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন আইশা (বা) বললেন, তিনি (বাবা)
তো জানেন যে, রাসুলুল্লাই (সা) তার হভ্রুজ্জর সাথের উমরাটি নিয়ে (মোট) চারটি উমরা
করেছিলেন ৷ বায়হড়াকী (র) ৰিরােধপুর্ণ’ ( ধ্ষ্এেএ১া৷ ) অনুচ্ছেদে বলেছেন ৷ ককীহ্ আবু বকর
ইবনুল হারিছ (র) যুজাহিদু (র) সুত্রে তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) কে জিজ্ঞেস করা হল
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়টি উমর৷ করেছিলেন? তিনি বললেন, দু বার ৷ তখন আইশা (রা)
বললেন, ইবন উমর (রা) অবশ্যই জানেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমর৷ করেছিলেন যে
উমরাটি ছাড়া যা তিনি বিদায় হ্যজ্জর সাথে একত্রে করেছিলেন ৷ তারপর বায়হাকী (র)
বলেছেন, এটি একটি নিদেষি’ সনদ ৷ তবে এটি ঘুরসাল’ কেননা, অনেক যুহাদ্দিছের উক্তি


مُسْلِمٌ: وَابْنِ جُرَيْجٍ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. «وَفِي لَفْظِهِمَا أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي قَلَّدْتُ هَدْيِي، وَلَبَّدْتُ رَأْسِي، فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ قَالَ: قَالَ نَافِعٌ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ: «أَخْبَرَتْنَا حَفْصَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ. فَقَالَتْ لَهُ فُلَانَةُ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَحِلَّ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلَسْتُ أُحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي ".» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ، «أَنَّهَا قَالَتْ: لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ بِعُمْرَةٍ، قُلْنَا: فَمَا يَمْنَعُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ تَحِلَّ مَعَنَا؟ قَالَ: " إِنِّي أَهْدَيْتُ وَلَبَّدْتُ فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، فَذَكَرَهُ. فَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مُتَلَبِّسًا بِعُمْرَةٍ، وَلَمْ يَحِلَّ مِنْهَا، وَقَدْ عُلِمَ بِمَا تَقَدَّمَ مِنْ أَحَادِيثِ الْإِفْرَادِ أَنَّهُ كَانَ قَدْ أَهَلَّ بِحَجٍّ أَيْضًا، فَدَلَّ مَجْمُوعُ ذَلِكَ أَنَّهُ قَارِنٌ، مَعَ مَا سَلَفَ مِنْ رِوَايَةِ مَنْ صَرَّحَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৪


মতে মুজাহিদ (র) আইশা (বা) থেকে (সরাসরি) হাদীস শুনেন নি ৷ আমার মতে, শুবা (র)
তা (আইশা (বা) হতে মুজা হিদের সরাসরি শ্রবণ) অস্বীকার করেছেন, কিন্তু বুখারী-মুসলিম
(ব) তো তার যথার্থতা গ্নমাণিত করেছেন৷ আল্লাহ্ই সমধিব ন্ অবগত ণ্

অন্য দিকে, কাসিম ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর ও উরওয়া ইবনুয যুবায়র (ব)
প্রমুখ সুত্রে আ ৷ইশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, বিদায় হরুজ্জর সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে হাদী ছিল ৷ সেই সাথে তানঈম হতে হযরত আ ৷ইশার কার্যক্রম এবং পরে মুহাসসাবে
মক্কাব৷ ৷সীদের কাছে নবী করীম (সা) এর অবতরণকালে (আ ইশা-এব) তার সাথে একত্রিত
হওয়া এবং সেখানে অবস্থান করে মক্কায় ফজর সালাত আদায় করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন এ সব
প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) র্তার ঐ হদুজ্জর পরে উমর৷ করেন নি এবং কোনও
সাহাৰী ত৷ উদ্ধৃত করেছেন বলে আমার জ ৷ন৷ নেই ৷ আর এ কথাও জানা রয়েছে যে, তিনি দুটি
পর্বের (হজ্জ ও উমরার) মাঝে হল ৷ল হন নি এবং কেউ এমন বিওয়ায়াও ও করেন নি যে,
বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ায় সা ৷ঈর পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা ঘুণ্ডন কবিয়েছেন,
কিৎবা চুল ছেটেছেন বা (অন্য কােনভ৷ বে) হালাল হয়েছেন ৷ বরং সর্বসম্মতভা বে তিনি
ইহরামের অবস্থায় রয়েছেন এবং এমন উদ্ধৃতিও পাওয়া যায় নি যে, তিনি মিনায় যাওয়ার
প্রকারুল (সাতআট তারিখে) হরুজ্জর জন্য নতুন ইহরাম বেধেছেন ৷ অতএব, প্রমাণিত হল যে, ন্
তিনি তামাত্তু পালনঃকারী ছিলেন না ৷

মােটকথা, এ কথা সর্বসম্মত যে, নবী করীম (সা) ৰিদৃায় হবুজ্জর বছর উমরা করেছিলেন,
তারপর দুই আমলের মাঝে হালাল হন নি; হৰ্জ্জ্বর জন্য নতুন ইহরাম বাত্তবন নি এবং হরুজ্জর
পরে উমরাও করেন নি ৷ সুতরাং কিরান হওয়া অবধাবিত ৷ এ যুজিং জবাব সত্যই কঠিন ৷
আল্লা ৷হ্ই সমধিক অবগত

ভিন্ন দৃষ্টিকোণে ইফরাদ ও ভাষা ৷ভু সম্পর্কিত বিওয়ায়াতকাবিগণ যে ৰিষয়টিতে অস্বীকৃতি

কিংবা নিরবতা অবলম্বন করেছেন ৷ কিরানের বিওয়ায়াত ৩াই সাব্যস্ত করেছেন ৷ অতএব,
উসুলে হাদীসের’ বিধান (নির্ভরযোগ্য রাবীর অতিরিক্ত বর্ণন৷ গ্রহণযোগ্য) মতে কিরান বিষয়ক
বিওয়ায়াত অহ্া৷ ৷ধিকা ৷রযোগ্য ৷

আবু ইমরান (ব) হতে বর্ণিত, তিনি তার মাওলা১দের সাথে হজ্জ করতে গেলেন ৷ তিনি
বলেন, আ ৷মি উম্মু স৷ ৷লামা (রা) এর ক৷ ছে গিয়ে বললাম, হে উম্মুল মু মিনীন! আ ৷মি আগে কখনো
হজ্জ করি নি; এখন কো ৷নটি দিয়ে শুরু করব উমরা দিয়ে না কি হজ্জ দিয়ে? তিনি বললেন,
“তোম৷ ৷ব যা ৷ইচ্ছা সেটি দিয়ে শুরু করতে পড়ার ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, তারপর আ ৷মি উম্মুল মু মিনীন
সাফিয়্যা (রা) এর কাছে গিয়োতাকেও জিজ্ঞা ৷সা করলাম, তিনিও আম৷ বুক অনুরুপ বললেন ৷

তখন আমি আবার উম্মু সালাম৷ (রা) এর কাছে এসে তার্কে সাফিয়্যা (বা) এর উক্তি
সম্পর্কে অবহিত করলাম ৷ এবার উম্মু সালাম৷ (রা) আম৷ ৷কে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
আমি বলতে ১-ওনেছি




১ আযাদকারী মনিব ও আষাদকৃত গোলাম উভয়কে মাওলা ( ষ্এঙুশ্১) বলা হয় ৷ অনৃবাদক


بِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رِوَايَةُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ، ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهَا جَمِيعًا ". فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ فَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ، وَدَعِي الْعُمْرَةَ ". فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ، فَقَالَ: " هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ ". قَالَتْ: فَطَافَ الَّذِينَ كَانُوا أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ حَلُّوا، ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى، وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا.» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ، وَلَمْ أَكُنْ سُقْتُ الْهَدْيَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ عُمْرَتِهِ، لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا ".» وَذَكَرَ تَمَامَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৫
الْحَدِيثِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَالْمَقْصُودُ مِنْ إِيرَادِ هَذَا الْحَدِيثِ هَاهُنَا قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ ".» وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَدْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ، فَهُوَ أَوَّلُ وَأَوْلَى مَنِ ائْتَمَرَ بِهَذَا ; لِأَنَّ الْمُخَاطِبَ دَاخِلٌ فِي عُمُومِ مُتَعَلَّقِ خِطَابِهِ عَلَى الصَّحِيحِ، وَأَيْضًا فَإِنَّهَا قَالَتْ: وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا. يَعْنِي بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ طَوَافًا وَاحِدًا.» فَعُلِمَ مِنْ هَذَا أَنَّهُ كَانَ قَدْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: فَكَانَ الْهَدْيُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَذَوِي الْيَسَارِ» . وَأَيْضًا فَإِنَّهَا ذَكَرَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَتَحَلَّلْ مِنَ النُّسُكَيْنِ، فَلَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا، وَذَكَرَتْ أَنَّهَا سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، وَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَرْجِعُ النَّاسُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَنْطَلِقُ بِحَجٍّ؟ فَبَعَثَهَا مَعَ أَخِيهَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، فَأَعْمَرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ بَعْدَ حَجَّتِهِ فَلَمْ يَكُنْ مُفْرِدًا، فَعُلِمَ أَنَّهُ كَانَ قَارِنًا ; لِأَنَّهُ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৬


হে মুহাম্মদ পরিবার! তোমাদের মাঝে যারা হজ্জ করবে তারা যেন হস্কজ্জর সাথে উমরার
ইহরাম বীধে ৷” ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর
ইবন হামম (র) হাজ্জাতুল ৰিদা’-এ এ হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন লায়ছ ইবন সাদ (ব)
উম্মু সালামা (রা) সুত্রে ৷

অনুচ্ছেদ : বিওরায়াতসমুহের সমন্বয় সাধন

কেউ যদি প্রশ্ন করেন আপনারা সাহাৰীদের অনেকের বরাতে এ মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন
যে, নবী করীম (সা) ইফরাদ হজ্জ করেছিলেন ৷ তারপর সে অভিন্ন মনীষীবর্গ ও অন্যদের বরাতে
এ রিওয়ায়াতও করেছেন যে, তিনি হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছিলেন ৷ এখন এতে সমন্বয় হবে
কী রুপে ? এর জবাব এই যে, যারা তার ইফরাদ হজ্জ করার রিওয়ায়ড়াত বর্ণনা করছেন তা এ
অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে যে, তিনি হাজ্জব আ ৷নুষ্ঠানিকতা ৷গুলোকে এককতাবে আদায় করেছেন
এবং উমরা (এর ক্রিয়াওলো) নিয়ত ,কর্য ও সময়ের দিক থেকে হভ্রুজ্জ্বর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল ৷
আর এতেই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি হজ্জ-এর জন্যে কৃত তাওয়াফ্ ও সাঈকে হজ্জ ও উমরা
উতয়টির জন্যে যথেষ্ট মনে করেছেন যা কিরান ক্ষেত্রে জমহুর ও গরিষ্ঠ সংখ্যক ইমামের
মাযহাব ৷ তবে এ £ক্ষাত্র ইমাম আবু হানীফা (র)-এর দ্বিমত রয়েছে ৷ যেহেতু তিনি কিরান
পালনকারীর জন্য দু টি ৩াওয়া শ্ এবং দু টি সা ঈ পালনের অভিমত পোষণ করেছেন এবং এ
বিষয় হযরত আলী (রা) হতে বণিত হাদীসের উপরে নির্ভর করেছেন ৷ অবশ্য তার সাথে ঐ
হাদীসের সনদের সম্পৃক্তি প্ৰশ্নাতীত নয় ৷ আর যে বর্গনাকারিগণ তামাত্তু সম্পর্কিত রিওয়ায়াতের
পরে কিরান সম্পর্কিত রিওয়ায়াতও করেছেন, তার জবাব তো আমরা আগেই উল্লেখ করে
এসেছি যে, পুর্ববর্তী যুগের আলিমগণের বক্তব্যে তামাত্তু শব্দ ব্যাপক অর্থে ৰিশেব তামাত্তু ও
রুিরান’ এ উতয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ৷ ববং হরুজ্জর মাসওলোতে’ শুধু উমরা করা তার সাথে
হজ্জ একেবারেই না থাকলেও, একেও তারা ঐ নামে অভিহিত করতেন ৷ যেমন সাদ ইবন আবু
ওরকোস (রা) বলেছেন, ”আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে থেকে তামাত্তু’ করেছি, যখন এ
সোকটি, অর্থাৎ ঘুআবিয়৷ (রা) মক্কায় কাফিররুগে জীবন-যাপন করছিল ৷ এ ক্ষেত্রে অবশ্যই
হুদায়বিয়া অথবা উমরাতৃল কায৷ এ দুঢির কোন একটি বুঝিয়েছেন ৷ কেননা, জিইররানার
উমরার সময় তো মুআৰিয়৷ (রা) মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন ৷ কারণ, তা ছিল মক্কা বিজয়ের
পরে ৷ আর বিদায় হজ্জ তাে ছিল তারও পরে দশম হিজরীতে ৷ সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷

যদি এমন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় যে, আবু দাউদ তায়ালিসী (র)-এর ঘুসনাদে বর্ণিত
রিওয়ায়াতটির জবাব কী? হিশীম (ব)মুআৰিরা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এব একদল সাহাবীকে বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) চিতা বাঘের
চামড়া ব্যবহার নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, ছু৷ (তাই) ৷ মৃআবিয়৷ (রা)
বললেন, আমিও সে সাক্ষী দিচ্ছি ৷ মুআৰিয়া বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (পুরুষের জন্য) খণ্ডিত
আকারে ছাড়া স্বর্ণালং কার পরিধান নিষেধ করেছেন ৷ তারা বললেন, আল্লাহর কলম! হা
(তাই) ৷ তিনি বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করতে
নিষেধ করেছেন? তীরা বললেন, আল্পাহ্ সাক্ষী না (তেমন নয়) ৷ তখন মুআবিয়৷ (রা) বললেন,


بِاتِّفَاقِ النَّاسِ قَدِ اعْتَمَرَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّهُ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهُ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي حَجَّ مَعَهَا.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الْخِلَافِيَّاتِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حِبَّانَ الْأَصْبَهَانِيُّ، أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ شَرِيكٍ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ: كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَرَّتَيْنِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ ثَلَاثًا، سِوَى الْعُمْرَةِ الَّتِي قَرَنَهَا مَعَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ.» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا إِسْنَادٌ لَا بَأْسَ بِهِ لَكِنْ فِيهِ إِرْسَالٌ ; مُجَاهِدٌ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَائِشَةَ فِي قَوْلِ بَعْضِ الْمُحَدِّثِينَ. قُلْتُ: كَانَ شُعْبَةُ يُنْكِرُهُ، وَأَمَّا الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ فَإِنَّهُمَا أَثْبَتَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৭
وَفِي إِعْمَارِهَا مِنَ التَّنْعِيمِ وَمُصَادَفَتِهَا لَهُ مُنْهَبِطًا عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ وَبَيْتُوتَتِهِ بِالْمُحَصَّبِ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ بِمَكَّةَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ.» وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَعْتَمِرْ بَعْدَ حَجَّتِهِ تِلْكَ، وَلَمْ أَعْلَمْ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ نَقَلَهُ. وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ لَمْ يَتَحَلَّلْ بَيْنَ النُّسُكَيْنِ، وَلَا رَوَى أَحَدٌ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ طَوَافِهِ بِالْبَيْتِ وَسَعْيِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَلَقَ وَلَا قَصَّرَ وَلَا تَحَلَّلَ، بَلِ اسْتَمَرَّ عَلَى إِحْرَامِهِ بِاتِّفَاقٍ، وَلَمْ يُنْقَلْ أَنَّهُ أَهَلَّ بِحَجٍّ لَمَّا سَارَ إِلَى مِنًى، فَعُلِمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مُتَمَتِّعًا. وَقَدِ اتَّفَقُوا عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَلَمْ يَتَحَلَّلْ بَيْنَ النُّسُكَيْنِ، وَلَا أَنْشَأَ إِحْرَامًا لِلْحَجِّ، وَلَا اعْتَمَرَ بَعْدَ الْحَجِّ، فَلَزِمَ الْقِرَانُ وَهَذَا مِمَّا يَعْسُرُ الْجَوَابُ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَيْضًا فَإِنَّ رِوَايَةَ الْقِرَانِ مُثْبِتَةٌ لِمَا سَكَتَ عَنْهُ أَوْ نَفَاهُ مَنْ رَوَى الْإِفْرَادَ وَالتَّمَتُّعَ، فَهِيَ مُقَدَّمَةٌ عَلَيْهَا، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي عِلْمِ الْأُصُولِ. وَعَنْ أَبِي عِمْرَانَ أَنَّهُ حَجَّ مَعَ مَوَالِيهِ، قَالَ: «فَأَتَيْتُ أُمَّ سَلَمَةَ فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي لَمْ أَحُجَّ قَطُّ، فَبِأَيِّهِمَا أَبْدَأُ ; بِالْعُمْرَةِ أَمْ بِالْحَجِّ؟ قَالَتْ: ابْدَأْ بِأَيِّهِمَا شِئْتَ. قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُ صَفِيَّةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَسَأَلْتُهَا، فَقَالَتْ لِي مِثْلَ مَا قَالَتْ. قَالَ: ثُمَّ جِئْتُ أُمَّ سَلَمَةَ فَأَخْبَرْتُهَا بِقَوْلِ صَفِيَّةَ، فَقَالَتْ لِي أُمُّ سَلَمَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " يَا آلَ مُحَمَّدٍ، مَنْ حَجَّ مِنْكُمْ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৮


আল্লাহর কসম ! এটিও অবশ্য ঐওলোর সাথে রয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান
(র) আবু সারহ অল-হনাঈ (র) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সড়াহ!বীগণের একটি
জামাআতের সাথে আমিও মুআবিয়া (রা)-এর কাছে ছিলাম ৷ ঘুআবিয়া (বা) বললেন, আল্লাহর
নামে কলম দিয়ে আমি আপনাদের বলছি, আপনারা তো জানেনই যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) চিতা
বাঘের চামড়ার চড়ে বসা নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, তাই ! তিনি বললেন,
আপনারা তাে জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স!) খণ্ডিত আকার ব্যতীত সোনা ব্যবহার নিষেধ
করেছেন ৷ র্তারা বললেন, আল্লাহ সাক্ষী, তাই ! তিনি বললেন, আপনারা আরে! জানেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সােনা-রুপার পড়াত্রে পান করা নিষেধ করেছেন! তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী !
তাই! তিনি বললেন, আর এ ও জানেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (স!) তড়ামাত্তু (কিরান) হজ্জ নিষেধ
করেছেন ৷ তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী ! তা নয়! আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন
জাফর (র)আবু সারহ আল-হুনাঈ (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি মুআবিয়া
(রা)-এর কাছে উপস্থিত ছিলেন, তখন তার কাছে নবী করীম (সা)এর সাহ!বীগণের একটি
জামআেত ছিল ৷ যুআৰিয়া (বা) তড়াদের বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ঢিতা বাঘের চামড়ার বসতে নিষেধ করেছেন? তার! বললেন, হী ! তিনি বললেন, আপনারা
জানেন যে, আল্লাহর রাসুল (স!) রেশম পরিধান করা নিষেধ করেছেন! তীর! বললেন, আল্লাহ্
সাক্ষী, ভু৷ (তইি)! তিনি বললেন, আপনার! কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স!) সােনা-রুপার পাত্রে
পান করা নিষেধ করেছেন? তার! পেলেন, আদ্মাহ্ সাক্ষী, হ!! তিনি বললেন, আপনারা জানেন
কি যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমর! একত্রে নিষেধ কারছেঃ? তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী !
না! ঘুআবিয়া (রা) বললেন, তবে আল্লাহর কলম! অবশ্যই এটিও সেগুলোর সাথে রয়েছে ৷
হদ্যোদ (র)-ও (কাতাদা হতে) অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি অতিরিক্ত
বলেছেনতাব আপনারা তা তুলে গিয়েছেন ৷ অনুরুপ (এ অতিরিক্ত অংশ) মুল পাঠসহ
রিওয়ায়াত করেছেন আশআছ ইবন সেবার প্রমুখ (কাতাদা থেকে) ৷ আর মাতার আল
ওয়াররাক ও বুহড়ায়স ইবন কাহ্দান (র) ও আবু সারহ (র) সুত্রে তমােত্ত্ব হজ্জ সম্পর্কে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অন্য দিকে আবু দাউদ (র) ও নাসাঈ (র) এ হাদীস আবু সারহ আল
হুনাঈ হতে উল্লিখিত সনদের একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

এ হাদীসটির সনদ বেশ উত্তম ৷ তবে এ হাদীসে হজ্জ ও উমর! একত্রিত করা নিষিদ্ধ
হওয়ার অংশটুকু হযরত ঘুআবিয়া (রা) বরাতে রিওয়ায়াত হওয়া অতি বিরল ৷ তবে এমন হতে
পারে যে, মুল হাদীসটি শুধু মুতা বিবাহ সম্পর্কিত রাবী সেটিতে তমােত্তু হজ্জ স ক্রান্ত বলে
ধারণা করেছেন ৷ অথচ তা ছিল মুতআ বিবাহ সষ্ ক্রান্ত ৷ তবে উপস্থিত সাহাবীগণের কাছে
যুতআ বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়া বিষয়ক কোন রিওয়ায়াত ছিল না (বিধায় তারা না সুচক জবাব
দিয়েছেন) কিৎবা এমনও হতে পারে যে, মুল রিওয়ায়াতে কিরান’ সং যুক্তিকরণ নিষিদ্ধ হওয়ার
কথা ছিল বটে ! তবে তা (হকৃজ্জর কিরান নয় বরং সমপরিমাণে প্রদত্ত চাদার পয়সায় কেনা বা
দলবদ্ধভারে সংগৃহীত খেজুর (ইত্যাদি খাওয়ার সময়) সং যুক্ত করা অর্থাৎ এক সঙ্গে দৃ দৃ টি
মুখে তুলে দেয়া নিষেধ হওয়া সম্পর্কিত ৷ যেমন ইবন উমর (বা) হতে বর্ণিত হাদীসে
রয়েছে ৷ কিন্তু রাবী (কিরান শব্দ থাকার কারণে) হকৃজ্জর কিরান বলে ধারণা করেছেন ৷ অথচ
বাস্তব ব্যাপার তা নয় ৷ কিৎবা এমনও হতে পারে যে, ঘুআৰিয়া (বা) যখন বলেছিলেন, তখন


حَجَّةٍ ".» رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ حَزْمٍ فِي " حَجَّةِ الْوَدَاعِ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. [الْجَمْعُ بَيْنَ الرِّوَايَاتِ الَّتِي قَالَتْ أَنَّ النَّبِيَّ أَفْرَدَ بِالْحَجِّ وَالرِّوَايَاتِ الَّتِي قَالَتْ أَنَّهُ حَجَّ قَارِنًا] فَصْلٌ (الْجَمْعُ بَيْنَ الرِّوَايَاتِ الَّتِي قَالَتْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ بِالْحَجِّ وَالرِّوَايَاتِ الَّتِي قَالَتْ أَنَّهُ حَجَّ قَارِنًا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ) إِنْ قِيلَ: قَدْ رَوَيْتُمْ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَفْرَدَ الْحَجَّ، ثُمَّ رَوَيْتُمْ عَنْ هَؤُلَاءِ بِأَعْيَانِهِمْ وَعَنْ غَيْرِهِمْ، أَنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَمَا الْجَمْعُ بَيْنَ ذَلِكَ؟ فَالْجَوَابُ: أَنَّ رِوَايَةَ مَنْ رَوَى أَنَّهُ أَفْرَدَ الْحَجَّ مَحْمُولَةٌ عَلَى أَنَّهُ أَفْرَدَ أَفْعَالَ الْحَجِّ، وَدَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِيهِ نِيَّةً وَفِعْلًا وَوَقْتًا، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ اكْتَفَى بِطَوَافِ الْحَجِّ وَسَعْيِهِ عَنْهُ وَعَنْهَا، كَمَا هُوَ مَذْهَبُ الْجُمْهُورِ فِي الْقَارِنِ، خِلَافًا لِأَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، حَيْثُ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْقَارِنَ يَطُوفُ طَوَافَيْنِ وَيَسْعَى سَعْيَيْنِ، وَاعْتَمَدَ عَلَى مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَفِي الْإِسْنَادِ إِلَيْهِ نَظَرٌ. وَأَمَّا مَنْ رَوَى التَّمَتُّعَ ثُمَّ رَوَى الْقِرَانَ، فَقَدْ قَدَّمْنَا الْجَوَابَ عَنْ ذَلِكَ بِأَنَّ التَّمَتُّعَ فِي كَلَامِ السَّلَفِ أَعَمُّ مِنَ التَّمَتُّعِ الْخَاصِّ وَالْقِرَانِ، بَلْ وَيُطْلِقُونَهُ عَلَى الِاعْتِمَارِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ حَجٌّ، كَمَا قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৯


এভাবে বলেছিলেন, আপনারা জা নেন নি যে, এ বিষয়টি নিয়েধ করা হয়েছে অর্থাৎ তিনি
(ক্রিয়ার কর্তৃরুপ ব্যবহার না করে) কর্মরুপ ব্যবহার করেছিলেন ৷ কিন্তু পরবর্তী রাবী সেটিকে
নবী করীম (সা) এর সাথে সম্পৃক্ত (করে কর্তৃরুপে রুপান্তরিত করে নিষের করেছেন’রুপে
ব্যক্ত) করেছেন এবং তাতে ভ্রান্তির শিকার হয়েছেন ৷ কেননা, হভ্রুজ্জর ঘুতঅড়া যিনি নিষেধ
করতেন, তিনি হলেন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ৷ তবে তার এ নিষেধ ও হারাম’ সাব্যস্ত করার
রুপে এবং চুড়াত পর্যায়ের ছিল না (যেমন পুর্বে আলোচনা করে এসেছি) ৷ বরং তার
নিয়েধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল রাতে হজ্জ হতে ভিন্ন করে উমরার জন্য স্বতন্ত্র সফর করে আসা হয়
এবং তার ফলে রায়তুল্লাহ্র যিরারতে আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৷ আর যেহেতু সাধারণ
সাহাবীগণ (বা) তাকে খুব বেশী সমীহ করতেন ৷

তাই প্রায়শ মুখের উপরে তার ব্যিরাধিতা বা তার সাথে দ্বিমত পােষণের দৃসােহস তারা
দেখাতেন না ৷ অথচ তার পুত্র আবদুল্লাহ্ (র)-ও এ বিষয়ে তার সাথে ভিন্নমত পােবণ করতেন
এবং তাকে এ কথা বলা হলো যে, আপনার পিতা- ভৈতড়া তা (হক্রুজ্জর আগে উমরা করা) নিষেধ
কর ওে ণ্রু ; তিনি ণ্যাওেণ, “আমার আশঙ্কা হয় যে, তোমাদের উপরে আন্দামান হতে পাথর না
বর্নিত হয় £ রাসুলুল্লা হ্ (সা) তো নিজে তা করেছেন ৷ তা হলে রাসুলুল্লড্রু :(সা)-এর সুন্নাত
অনুসরণ করা হবে নাকি উমর ইরনৃল থাত্তাব (রা) এর আচরিত রীতির অনুসরণ করা হবে?
অনুরুপ উহুমান (রা) তা নিষেধ করতেন আর আলী ইবন আবু তালিব (রা) তীর বিরোধিতা
করেছেন (পুবেই আলোচনা হয়েছে) ৷ আলী (রা) বলতেন, কোন মানুষের কথায় আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুন্নাহ্ পরিত্যাগ করব না ৷ আর ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) পরিস্কার
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে তামাত্তু (কিরান) করেছি; তারপর তা হারাম
সাব্যস্ত করে কুরআন নাযিল হয় নি এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও তার ওফাত পর্যন্ত তা নিষেধ করে
যান নি ৷ (বুখারী-যুসলিম)সহীহ্ মুসলিমে সাদণ্ৰু (রা) হতে বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি মুআবিরা
(রা)ণ্ণ্এর যুতআর অস্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমরা তো রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সঙ্গে থেকে তা করেছি, যখন নাকি এ ল্যেকটি মক্কায় কাফিররুপে জীবন-যাপন করছিল ৷ অর্থাৎ
যুআৰিরা (রা) ন্

গ্রস্থুকারের বক্তব্য : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিরান হজ্জ করেছেন এবং এর আনুষঙ্গিক
রিওয়ড়ায়াতসমুহ ইতোপুর্বে বিবৃত হয়েছে ৷ আর বিদায় হজ্জ ও রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর ওফাতের
মাঝে এক শি দিন (এর বেশী) ও ছিল না এবং প্রায় চল্লিশ্ হাজার সাহাবী (বা) তার হজ্জ
বিষয়ক উক্তিসমুহ গুনেছেন এবং এ সং ক্রান্ত কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেছেন ৷ সুতরাং এত অধিক
লোক তার যে হজ্জ প্রত্যক্ষ করলেন তাতে যদি তিনি কিরান নিষিদ্ধ করতেন তবে সাহাবীগণের
মাত্র একজন তা বর্ণনা করা এবং তাদের মাঝে শ্রো তা-অগ্রোতা এক সমষ্টির তা প্রত্যাখ্যান করার
মত পরিস্থিতি সৃষ্টির অবকাশ হত না ৷ আর এ সব কিছু প্রমাণ করে যে, ঐ বিষয়টি উল্লিখিত
রুপে মুআ ড়াৰিয়া (রা) হতে ংস রক্ষিত নয় ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত ৷

আবু দাউদ (র) বলেন, আহমদ ইবন সালিহ (র) স ন্মঈদ ইবনুল ঘুসায়িব্লব (র)এর
বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) ১ এর জনৈক সাহাবী উমর ইবনুল থাত্তাব
(রা) এর কাছে এসে এ মর্মে সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার অন্তিম



ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো

وَقَّاصٍ «تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا - يَعْنِي مُعَاوِيَةَ - يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي بِمَكَّةَ» . وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِهَذَا إِحْدَى الْعُمْرَتَيْنِ ; إِمَّا الْحُدَيْبِيَةَ أَوِ الْقَضَاءَ، فَأَمَّا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ فَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ قَدْ أَسْلَمَ ; لِأَنَّهَا كَانَتْ بَعْدَ الْفَتْحِ، وَحَجَّةُ الْوَدَاعِ بَعْدَ ذَلِكَ سَنَةَ عَشْرٍ، وَهَذَا بَيِّنٌ وَاضِحٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [الْجَوَابُ عَنْ حَدِيثِ الطَّيَالِسِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ] فَصْلٌ (الْجَوَابُ عَنْ حَدِيثِ الطَّيَالِسِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ) إِنْ قِيلَ: فَمَا جَوَابُكُمْ عَنِ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، وَاسْمُهُ حَيْوَانُ بْنُ خَالِدٍ «، أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِنَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ صُفَفِ النُّمُورِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَأَنَا أَشْهَدُ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ الذَّهَبِ إِلَّا مُقَطَّعًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهَا لَمَعَهُنَّ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫০
قَالَ: كُنْتُ فِي مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: «أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ جُلُودِ النُّمُورِ أَنْ يُرْكَبَ عَلَيْهَا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ لِبَاسِ الذَّهَبِ إِلَّا مُقَطَّعًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الشُّرْبِ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ؟ - يَعْنِي مُتْعَةَ الْحَجِّ - قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: أَمَا إِنَّهَا مَعَهُنَّ.» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، أَنَّهُ شَهِدَ مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ جَمْعٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُمْ مُعَاوِيَةُ: «أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ رُكُوبِ جُلُودِ النُّمُورِ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُشْرَبَ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْمَلُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ جَمْعٍ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: فَوَاللَّهِ إِنَّهَا لَمَعَهُنَّ.» وَكَذَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَزَادَ: وَلَكِنَّكُمْ نَسِيتُمْ. وَكَذَا رَوَاهُ أَشْعَثُ بْنُ بَزَّارٍ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫১

২৪৬ আলৰিদায়৷ ওয়াননিহায়া

অসুস্থতার সময় flfi§ আগে উমরা পালন নিষেধ করতে শুনেছেন ৷ প্রথমত এ সনদটি
সমালোচনার উরুর্ধ্ব নয় ৷ দ্বিতীয়ত এ সাহাবী বলতে যদি মুআৰিয়া (রা)-£ক বুঝানে হয়, তবে
সে বিষয় ইতোপুর্বেই আলোচিত হয়েছে; এ ছাড়া নিয়েয়াজ্ঞাটি যুতঅ৷ (তামাত্তু) সম্পর্কিত
কিরান সম্পর্কিত নয় ৷ আর সে সাহাবী অন্য কেউ হল্যেব্তাতে কিছুটা জটিলতা অবশ্যই
রয়েছে, তবুও তাও কিরান সম্পর্কিতনয় ৷ : আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

ইহরামকালে হজ্জ উমরা নির্দিষ্ট না বম্মা সম্পর্কিত রিওয়ায়াত ষ্ক যারা বলেছেন যে, নবী
করীম (সা) প্রথমদিকে হজ্জ বা উমরার কথা নির্দিষ্ট করে ইহরাম বার্ধেন নি, পরে তা নির্দিষ্ট
করেছিলেন তাদের প্রমাণের উৎস পর্যালোচনা ইমাম শাফিঈ (র) সম্পর্কেণ্ড কথিত হয়েছে যে,
তিনি এ পদ্ধতিকে উত্তম বলেছেন, তবে এটি তার নামে উদ্ধৃত দুর্বল অসমর্থিত উক্তি ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) (ইবন তাউস, ইব্রাহীম ইবন মায়সার৷ ও হিশাম ইবন
ণ্হুজায়র (র) সুত্রে এরা) তাউস (র)-(ক বলতে তনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা হতে বের
হলেনঃ, তখন তিনি হজ্জ-উমরার কথা নির্দিষ্ট করে না বলে আসমানী কায়সালার প্রভীক্ষায়
ছিলেন, তারপর তার সাফা-মারওয়ায় অবস্থানকালে ফায়সালা নাযিল হল ৷ তখন তিনি তার
সাহাবীপণকে হকৃম দিলেন তোমাদের মধ্যে যারা হভ্রুজ্জর ইহরাম বেধেছে এবং তার ন্সীথে হাদী
আনে নি, তারা সেটিকে উমরায় পরিণত করবে এবং বললেন-


“আমার ব্যাপার যা আমি পরে বুঝেছি তা যদি আভ্রুষ্৷ বুঝতে পারতাম তবে হাদী নিয়ে
ন্ জানতাম না; কিন্তু আমি তো মাথায় আট৷ জড়িয়েছি এবং আমার হাদী সাথে নিয়ে এসেছি;
অতএব আমার হাদী হালাল’ হওয়ার ক্ষেত্র ব্যভীরেকে আমার জন্য হালাল হওয়ার অবকাশ
নেই ৷ ” তখন সুরাক৷ ইবন মালিক (বা) তীর সামনে দাড়িয়ে বললেন, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমাদের জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে দিন যেন আজই র্তাদের জন্ম হয়েছে আমাদের এ
উমরাটি শুধু আমাদের এ বছরের জন্য (সীমিত) নাকি অনন্তকালের জন্য (উন্মুক্ত)? তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ;


“(না) বরং অনতকালের জন্য, কিয়ড়ামত পর্যতকালের জন্য হরুজ্জর মাঝে উমরা প্রৰিষ্ট হয়ে
গিয়েছে ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন, ইতোমধ্যে ইয়ামান হতে আলী (বা) এসে পৌছলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তুমি কী বিষয়ের ইহরাম করেছ ? তিনি বললেন, (একজনের বর্ণনা) আপনার
সকাশে হড়াযির! নবী কবীয় (সা) এর ন্যায় ইহরাম সহকারে (অন্যজানর বর্ণনা) আপনার
সকাশে হাযির৷ নবী কয়ীম (সা) এর ন্যায় হজ্জ সহকারে! এ হাদীস (তাৰিঈ) তাউস (র) এর
মুরসাল (অসং যুক্ত) এবং এতে বিরলতা ও রয়েছে ৷ তাছাড়া শাফিঈ (র) এর নীতি হল
অন্য সনদ দ্বারা সমর্থিত না হলে শুধু মুরসাল রিওয়ায়াত তিনি গ্রহণ করেন না; তবে যদি
অগত্যা তা প্রবীণ ;তাবিঈগণের রিওয়ায়া-ত হয় ৷ (যেমন, তার আর রিসালাহ’-র বক্তব্য ব্যাখ্যা
করা হয়েছে) কেননা, প্রবল ধারণান্ করা যায় যে, প্রবীণ তাবিঈগণ সাহাবীগণের নিকট হতেই


وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، بِأَصْلِهِ. وَرَوَاهُ مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، وَبَيْهَسُ بْنُ فَهْدَانَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ فِي مُتْعَةِ الْحَجِّ. فَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ بِهِ. وَهُوَ حَدِيثٌ جَيِّدُ الْإِسْنَادِ، وَيُسْتَغْرَبُ مِنْهُ رِوَايَةُ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، النَّهْيَ عَنِ الْجَمْعِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَلَعَلَّ أَصْلَ الْحَدِيثِ النَّهْيُ عَنِ الْمُتْعَةِ، فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّهَا مُتْعَةُ الْحَجِّ، وَإِنَّمَا هِيَ مُتْعَةُ النِّسَاءِ، وَلَمْ يَكُنْ عِنْدَ أُولَئِكَ الصَّحَابَةِ رِوَايَةٌ فِي النَّهْيِ عَنْهَا، أَوْ لَعَلَّ النَّهْيَ عَنِ الْإِقْرَانِ فِي التَّمْرِ، كَمَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ، فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّ الْمُرَادَ الْقِرَانُ فِي الْحَجِّ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، أَوْ لَعَلَّ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِنَّمَا قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نُهِيَ عَنْ كَذَا؟ فَبَنَاهُ لِمَا لَمْ يُسَمَّ فَاعِلُهُ، فَصَرَّحَ الرَّاوِي بِالرَّفْعِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَهِمَ فِي ذَلِكَ ; فَإِنَّ الَّذِي كَانَ يَنْهَى عَنْ مُتْعَةِ الْحَجِّ إِنَّمَا هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَمْ يَكُنْ نَهْيُهُ عَنْ ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ التَّحْرِيمِ وَلَا الْحَتْمِ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَإِنَّمَا كَانَ يَنْهَى عَنْهَا لِتُفْرَدَ عَنِ الْحَجِّ بِسَفَرٍ آخَرَ ; لِتَكْثُرَ زِيَارَةُ الْبَيْتِ، وَقَدْ كَانَ الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَهَابُونَهُ كَثِيرًا، فَلَا يَتَجَاسَرُونَ عَلَى مُخَالَفَتِهِ غَالِبًا وَكَانَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫২


মুরসা ল (অসংযুক্ত) বিওয়ায়াত বর্ণনা করে থাকবেন ৷ (যাতে রাসুল (সা) এর সাথে হাদীসের
হ্যৌগ প্রতিপন্ন করা যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

কিন্তু এ মুরসা ল রিওয়ায়াতটি ঐ ধরনের নয়; বরং এঢি^পুর্যোল্লিথিস্তু সব হাদীস ইফরাদ,
তাম৷ ৷ত্তু ও কিবান সম্পর্কিত সব হাদীসের বিপরীত এবং ঐওলো যেমন বর্ণিত হয়েছে সবই
মুসনাদ ও স০ যুক্ত বর্ণনা ৷ সুতবাং সেগুলো ৷ই বিধান মতে অগাধিকায়য়োগ৷ ৷ ত্যছ৷ ৷ড়া ঐগুলো
এমন একটি (অতিরিক্ত) বিষয় সাব্যম্ভকারী যা এ মুবসড়াল হাদীসে নেই ৷ আর বিধান মতে
ইতিবাচক (সাব্যম্ভকা রীা) হাদীস নেতিবাচক ;(অসাব্যস্তকারী) হাদীসের চেয়ে অগ্রাধিক৷ রযোগ্য
যদি উভয় প্রক৷ র (সনদের বিচারে) সমতুল্য হয় ৷ অথচ বতমান আলোচ্য ক্ষেত্রে একদিকে
রয়েছে মুসনাদ ও সহীহ্ এবং অপরদিকে মুরসাল যা সনদ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে
প্ৰমাণ’ রুপে দাড়াতে পারে না ৷ আল্লাহ তা আল ৷৷ই সমধিক অবগত

(অন্য একটি বিওয়ায়াত) হা ৷ফিজ আবু বকর বায়হার্কী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল
হাফিজ (র)(আসওয়াদ) আ ৷ইশ৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সাথে বের হলাম, তখন আমরা হজ্জ ও উমরা (-এর কোন একটি নির্দিষ্ট করে)
উল্লেখ করি নি ৷ আমরা (মক্কায়) উপনীত হলে তিনি আমাদের হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ প্রত্যাধর্ত্যনয় রাত এলে সার্কিয়া৷ বিনৃত হুয়ায় (রা)ন্থন্এব ঋতুস্রাব শুরু হল ৷ নবী
করীম (না) (তা জানতে পেয়ে) বললেন, মনে হচ্ছে ও তােমাদেবকে আটকিয়ে রাখবে ৷ তিনি
আবার বললেন, দশ তারিখে তড়াওয়াফ করেছিলে কি? তিনি বললেন, হী ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, তবে চলো’ ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া বাসুলাল্লাহ্৷ আমি তো উমবার
ইহবাম বাধি নি ৷ তিনি বললেন, ণ্ঠু-গ্ম্রা (১^ এে>শ্গুৰুআক্ট তবে যাও তানঈম হতে উমবার ইহবাম
বেধে আলো ৷ বর্ণনাকাবী (আসণ্ডয়াদ) বলেন, তখন তার ভাই আর সাথে চট্রুালেন ৷ আইশা
আপনাদের একত্রিত হতে হবে ৷ বায়হাকী (র) এভারেই হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর
বুখারী (র) এ ণ্ হাদীস ৰুণ্রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ (র) (যিনি ইয়াহ্য়৷ আয-যুহালী র-এর
পুত্র) ঐ সনদে তবে, তাতে তিনি বলেছেন, “আমরা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বের হলাম
আমরা হজ্জ ব্যতীত অন্য কিছুর আলোচনা করি নি ৷ এ বর্ণনা আইশ৷ (বা) হতে বর্ণিত
পুর্বোল্লিখিত হাদীসসমুহের সাথে অধিক সঙ্গতিপুর্ণ ৷ তবে মুসলিম (ব) রিওয়ায়াত করেছেন,
সুওয়ায়দ ইবন সাঈদ (র)(আসওয়াদ) আ ৷ইশা (রা) সুত্রে তিনি বলেন, “আমরা ব ৷সুলুল্লাহ্
(না) এর সাথে বের হলাম আমরা হজ্জ বা উমরা কো ৷ন টিবই উল্লেখ করি নি ৷” অন্য দিকে
বুখারী ও ঘুসলি ম (র) মানসুর (র)(আসওয়াদ) আইশা (রা) সুত্রে এটা উদ্ধৃত করেছেন,
তিনি বলেন, “আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বের হলাম, আমরা সেটিকে হজ্জ ব্যতীত অন্য
কিছু মনে করি নি ৷” এটি অধিকতর বিশুদ্ধ ও প্রামাণ্য ৷ অ ৷ল্লাহ্ সমধিক অবগত ৷

এ সুত্রেই তার (আইশা রা ) অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে, “আমরা তালবিয়া পাঠ করতে
করতে বের হলাম, তবে আমরা হজ্জ বা উমরা কো ৷নটিবই উল্লেখ করছিলাম না” এ হাদীসের
অবশ্য এভাবে বা৷খ্যা দেয়া যায় যে, তালৰিয়াব সাথেন্র্তাব৷ হজ্জ বা উমবার কথা উল্লেখ করতেন
না, যদিও ইহরাম বীধায় মুহুর্তে তারা তা “নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলেন ৷ যেমন আনাস (রা)এর


يُخَالِفُهُ، فَيُقَالُ لَهُ: إِنَّ أَبَاكَ كَانَ يَنْهَى عَنْهَا. فَيَقُولُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْكُمْ حِجَارَةٌ مِنَ السَّمَاءِ، قَدْ فَعَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفَسُنَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُتَّبَعُ أَمْ سُنَّةُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ؟ وَكَذَلِكَ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَنْهَى عَنْهَا، وَخَالَفَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - كَمَا تَقَدَّمَ - وَقَالَ: لَا أَدَعُ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ «تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ يُحَرِّمُهُ، وَلَمْ يَنْهَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَاتَ.» أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " «عَنْ سَعْدٍ أَنَّهُ أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ إِنْكَارَهُ الْمُتْعَةَ، وَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ، أَنَّهُ كَانَ حِينَ فَعَلُوهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَافِرًا بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ.» قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ قَارِنًا، بِمَا ذَكَرْنَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَبَيْنَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا أَحَدٌ وَثَمَانُونَ يَوْمًا، وَقَدْ شَهِدَ تِلْكَ الْحَجَّةَ مَا يُنَيِّفُ عَلَى أَرْبَعِينَ أَلْفَ صَحَابِيٍّ قَوْلًا مِنْهُ وَفِعْلًا، فَلَوْ كَانَ قَدْ نَهَى عَنِ الْقِرَانِ فِي الْحَجِّ الَّذِي شَهِدَهُ مِنْهُ النَّاسُ ; لَمْ يَنْفَرِدْ بِهِ وَاحِدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَيَرُدَّهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْهُ وَمَنْ لَمْ يَسْمَعْ، فَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذَا هَكَذَا لَيْسَ مَحْفُوظًا عَنْ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৩
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ الْخُرَاسَانِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ «أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَشَهِدَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ يَنْهَى عَنِ الْعُمْرَةِ قَبْلَ الْحَجِّ.» وَهَذَا الْإِسْنَادُ لَا يَخْلُو عَنْ نَظَرٍ، ثُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا الصَّحَابِيُّ هُوَ مُعَاوِيَةَ فَقَدْ تَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَى ذَلِكَ، وَلَكِنْ فِي هَذَا النَّهْيِ عَنِ الْمُتْعَةِ لَا الْقِرَانِ، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِهِ فَهُوَ مُشْكِلٌ فِي الْجُمْلَةِ، لَكِنْ لَا عَلَى الْقِرَانِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ مُسْتَنَدِ مَنْ قَالَ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَطْلَقَ الْإِحْرَامَ وَلَمْ يُعَيِّنْ حَجًّا وَلَا عُمْرَةً أَوَّلًا] ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ صَرْفَهُ إِلَى مُعَيَّنٍ وَقَدْ حُكِيَ عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ الْأَفْضَلُ، إِلَّا أَنَّهُ قَوْلٌ ضَعِيفٌ. قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، سَمِعَا طَاوُسًا يَقُولُ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ لَا يُسَمِّي حَجًّا وَلَا عُمْرَةً يَنْتَظِرُ الْقَضَاءَ، فَنَزَلَ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ: مَنْ كَانَ مِنْهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৪


হাদীসে রয়েছে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি ও)শ্ণ্ণ্ ণ্ ৷ৰুহু ণ্ৰুম্রা এ,শুা৷ “আপনার
সকাশে হাযিরভ্র ইয়৷ আল্লাহ ! হজ্জ ও উমরাব উদ্দেশ্যে!” আনাস (বা) আরো বলেন, আমি তাদ্যো
একত্রে ঐ দুটি নিয়ে উচ্চস্বরে ধ্বনি দিতে শুনেছি ৷ তবে :মুসলিম (র) দাউদ ইবন আবু হিন্দ
(র) (আবু নাযর৷ সুত্রে) হযরত জাবির আবু সাঈদ খুদরী (বা) হতে যে হাদীস রিওয়ায়ড়াত
করেছেন আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এগিয়ে এলাম, আমরা উচ্চস্বরে হজ্জ’-এর
তালবিয়া উচ্চারণ করছিলাম ৷ এটি অবশ্য এক্ষেত্রে জটিল ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তালবিয়াপ্রস্যা
ইমাম শ৷ ড়াফিঈ (র) বলেন, মালিক (র) (নাকি) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তালবিয়া ছিল-
এ এ ,ৰু ১৷ এ৷ এা৷, এ৷ এো,া৷ ,;৷ ,এ ন্৷ এ৷ এ ,দ্ব ১৷ এৰু৷ ণ্এ ৷ স্পোপুা৷ এ ষ্া

হাযির ইয়ু৷ আল্পাহ্ হাবিব! হাবিব! আপনার কোন ন্ণ্রীিৰু-অংশী নেই, হাবিব হামৃদ-স্তুতি
ও নিআমত আপনাবই! রাজ্য-রাজৎ আপনারই, আপনার কোন শয়ীক নেই ৷” আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা) এতে বাড়িয়ে বলতেন-

“আপনার সকাণে হাবিব! ল্পোণ flfiflfi flfi, মঙ্গল আপনার কুদবতের দু হাতে ৷ হাষির
পরম আগ্রহআকর্যণ আপনাতে আর আমল! বুঘুা৷রী (র) আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) সুত্রে
এবং মুসলিম (র) ইয়াহ্য়াণ্ইবৃর্ল ইরাহ্য়৷ (র) সুত্রেমালিক থেকে ঐ সনদে এ ন্হাদীসখানা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ন্ইবন আব্বাদ (র);(নাফি ও
হাময৷ প্রমুখ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, যুল হুলায়ফা
মসজিদের কাছে রাসুলুল্পাহ (সা) কে নিয়ে যখন তার বাহন সোজা হয়ে দাড়াত তখন তিনি
ইহৱাম-তালৰিয়া উচ্চারণ করতেন ৷ তিনি বলতেন-

এা
“অন্যদের বর্ণনার আবদুল্পাহ্(রা)রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর তালৰিরার বিবরণে বলতেন-
আর নাফি (র)-এরৰুবনািয় আবদুল্লাহ (রজ)-এর সাথে ৰুবর্ধিত করতেন-ট ণ্


মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্ন৷ (র)(নাফি) ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে তালবিয়া’ পেয়েছি (এভাবে) বলে তিনি পুর্বানুরুপ হাদীস উল্লেখ
করেছেন ৷ হারমালা ইবন ইয়াহয়৷ (র) (সালিম ইবন) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে খবর
দিয়েছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তালবিয়া উচ্চারণ করে বলতে শুনেছি-

ণ্ধ্ শ্রা এ্যা

এ শব্দমালার চাইতে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলতেন না ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)
বলতেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন ৷ তারপর তার
উটনী যুল-হুলায়ফায় মসজিদের কাছে তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে এ শব্দমালা উচ্চারণ


أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَلَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ، أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً، وَقَالَ: " لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمَا سُقْتُ الْهَدْيَ، وَلَكِنْ لَبَّدْتُ رَأْسِي وَسُقْتُ هَدْيِي، فَلَيْسَ لِي مَحِلٌّ إِلَّا مَحِلَّ هَدْيِي ". فَقَامَ إِلَيْهِ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْضِ لَنَا قَضَاءَ قَوْمٍ كَأَنَّمَا وُلِدُوا الْيَوْمَ ; أَعُمْرَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا، أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَلْ لِلْأَبَدِ، دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ". قَالَ: فَدَخَلَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ فَسَأَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِمَ أَهْلَلْتَ؟ " فَقَالَ أَحَدُهُمَا عَنْ طَاوُسٍ: قُلْتُ: لَبَّيْكَ إِهْلَالَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْآخَرُ: لَبَّيْكَ حَجَّةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَهَذَا مُرْسَلُ طَاوُسٍ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ. وَقَاعِدَةُ الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنَّهُ لَا يُقْبَلُ الْمُرْسَلُ بِمُجَرَّدِهِ حَتَّى يَعْتَضِدَ بِغَيْرِهِ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ كَمَا عُوِّلَ عَلَيْهِ كَلَامُهُ فِي " الرِّسَالَةِ " ; لِأَنَّ الْغَالِبَ أَنَّهُمْ لَا يُرْسِلُونَ إِلَّا عَنِ الصَّحَابَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا الْمُرْسَلُ لَيْسَ مِنْ هَذَا الْقَبِيلِ، بَلْ هُوَ مُخَالِفٌ لِلْأَحَادِيثِ الْمُتَقَدِّمَةِ كُلِّهَا ; أَحَادِيثِ الْإِفْرَادِ وَأَحَادِيثِ التَّمَتُّعِ وَأَحَادِيثِ الْقِرَانِ، وَهِيَ مُسْنَدَةٌ صَحِيحَةٌ كَمَا تَقَدَّمَ، فَهِيَ مُقَدَّمَةٌ عَلَيْهِ ; وَلِأَنَّهَا مُثْبِتَةٌ أَمْرًا نَفَاهُ هَذَا الْمُرْسَلُ، وَالْمُثْبِتُ مُقَدَّمٌ عَلَى النَّافِي لَوْ تَكَافَآ، فَكَيْفَ وَالْمُسْنَدُ صَحِيحٌ وَالْمُرْسَلُ مِنْ حَيْثُ لَا يَنْهَضُ حُجَّةً لِانْقِطَاعِ سَنَدِهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَاضِرٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৫
حَجًّا وَلَا عُمْرَةً، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ النَّفْرِ حَاضَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " حَلْقَى عَقْرَى، مَا أُرَاهَا إِلَّا حَابِسَتَكُمْ ". قَالَ: " هَلْ كُنْتِ طُفْتِ يَوْمَ النَّحْرِ؟ " قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " فَانْفِرِي ". قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَكُنْ أَهْلَلْتُ. قَالَ: " فَاعْتَمِرِي مِنَ التَّنْعِيمِ ". قَالَ: فَخَرَجَ مَعَهَا أَخُوهَا. قَالَتْ: فَلَقِينَا مُدَّلِجًا، فَقَالَ: " مَوْعِدُكَ كَذَا وَكَذَا» هَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدٍ - قِيلَ: هُوَ ابْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ - عَنْ مُحَاضِرِ بْنِ الْمُوَرِّعِ بِهِ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ إِلَّا الْحَجَّ. وَهَذَا أَشْبَهُ بِأَحَادِيثِهَا الْمُتَقَدِّمَةِ.» لَكِنْ رَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ حَجًّا وَلَا عُمْرَةً.» وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৬

করতেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) আরো বলতেন, “উমর , ইবনুল খাত্তাব (বা) নবী করীম
(সা)এর তালবিয়া পাঠের অনুকরণে এই শব্দমাল৷ দিয়ে তালবিয়৷ পড়তেন ৷ তিনি বলতেন-

এ্যা

এ পর্যন্ত মুসলিম (র)-এর তা ৷ষ্য ৷ এ ছাড়া ও জ ৷বির (রা) এর হাদীসে ইবন উমর (রা) এর
হাদীসের অনুরুপ তা ৷লবিয়া উদ্ধৃত হয়েছে ৷ একটু পরে দীর্ঘ হাদীস উল্লিখিত হবে ৷ নুসন্ধিম
(র) একাকী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ণ্

বুখারী (র) তার পুর্নোল্লিখিত মালিক (র) :ইবন উমর (রা) এর রিওয়ায়াতের পরে
বহ্বলট্রুছেন্ মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র)অ৷ ৷ইশা (বা) সুত্রে বংনাি করেন, তিনি বলেন, আমি
সুনিশ্চিতই জানি, নবী করীম (সৃা) কীভাবে তালবিয়৷ পাঠ করতেন-

৫এ্যা ণ্গ্লুশ্রা ঞা

আবু মু আবিয়া (র)শুবা (র) থেকে এর সমর্থ্যন রিওয়ায়া ৷ত করেছেন ৷ আর শুব৷ (র)
বলেছেন, সুলায়মান (র) ক্ষ্মাইশা (বা) কে বলতে শুনেছি বুখারী ণ্ (র) এ হাদীস ষ্এক৷ ৷কী
বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ (র)-ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অনুরুপ আবু দাউদ তায়ালিসী (র)-ও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন,
মুহাম্মদ ইবন ফুযায়ল (র) তিনি আ ৷ইশা (বা) সুত্রে তিনি বলেন, আমি অবশ ৷৷ই জানি

বাসুলুল্লা হ্ (সা) কীরুপে তালবিয়৷ পাঠ করতেন ৷ বর্ণনাক৷ রী (আবু আতিয়্যা) বলেন, তারপর
আমি তাকে তালবিয়া পড়তে শুনলড়াম তিনি বললেন-

ণ্গ্লুশ্রা এ্যা

-অর্থাৎ একমাত্র এ বর্ণনা টিতে এ এহু > ট্ট ! এ্যা ; রেশ্রী রহ্রয়ছুছ ৷

বায়হাকী (র) বলেন হ কিম (র) অ ৷বু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনাি করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তালবিয়ার একটি অংশ ছিল এ-১া৷ ণ্া৷ এা৷৷ এ হাদীস নাস৷ ৷ঈ (র) এবং
ইবন মাজা (র)৩ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার মা ৷সাঈ (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ
ইবনুল ফায্ল (র) থেকে আবদুল আ ৷যীয (র) ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীস ঘুসনাদ রুপে
রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমার জ ৷ন৷ যেই ৷ আর ইসন৷ ঈল ইবন উমায়্যা (র) এটি ঘুরসাল
বিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম শা ৷ফিঈ (ব) বলেন, সাঈদ ইব ন সা ৷র্লিম অ৷ ল কাদদ৷ হ (ব),মুজ ৷হিদ (র) সুৰুত্র বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন যে, নবী করীম (সা) (এর ত ৷লবিয়া শবিশে ৷ষ) প্ৰক৷ ৷শ কররুতন এ,া
এ,এে৷ ণ্শুএা৷ (প্ৰচলিত তা ৷লৰিয়৷ উল্লেখ করেছেন) তিনি বলেন, অবশেষে একদিন এমন হল যে,
যখন লোকেরা তার কাছ থেকে চলে যাচ্ছিল, তখন তার সে অবস্থা ও অবস্থান যেন তাকে
বিমােহিত করল ৷ “ ন্ ক্ষ্

তখন তিনি তাতে বাড়িয়ে বলৰুলনঃণ্ওপ্প্রুষ্শ্বা :ৰু১:হুট্টণ্ন্ ৰুস্পো৷ () এপ্রু৷ হাযির ! জীবন হলো
আথিরাতের জীবন ৷ (মধ্যবর্তীরুরাবী) ইবন জুরায়জ (র) বলেন, আমার ধারণা এটা; ছিল
আরাফ৷ দিবসে ৷ এ হাদীসও এ সুত্রে ঘুরসাল’ ৷



عَنْهَا قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى إِلَّا أَنَّهُ الْحَجُّ. وَهَذَا أَصَحُّ وَأَثْبَتُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ: خَرَجْنَا نُلَبِّي وَلَا نَذْكُرُ حَجًّا وَلَا عُمْرَةً.» وَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهُمْ لَا يَذْكُرُونَ ذَلِكَ مَعَ التَّلْبِيَةِ، وَإِنْ كَانُوا قَدْ سَمَّوْهُ حَالَ الْإِحْرَامِ، كَمَا فِي حَدِيثِ أَنَسٍ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ حَجًّا وَعُمْرَةً ". قَالَ أَنَسٌ: وَسَمِعْتُهُمْ يَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا.» فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَا: «قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا، فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُشْكِلٌ عَلَى هَذَا.» وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَالَ الشَّافِعِيُّ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ ".» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَزِيدُ فِيهَا: لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ، وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ. وَرَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৭
الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، وَمُسْلِمٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، كِلَاهُمَا عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، ثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَنَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً عِنْدَ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ أَهَلَّ، فَقَالَ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ ". قَالُوا: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ: هَذِهِ تَلْبِيَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . قَالَ نَافِعٌ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَزِيدُ مَعَ هَذَا: لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ، وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ. حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «تَلَقَّفْتُ التَّلْبِيَةَ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ.» حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: فَإِنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَخْبَرَنِي عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৮
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ مُلَبِّدًا يَقُولُ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ ".» لَا يَزِيدُ عَلَى هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ، وَإِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَعُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ النَّاقَةُ قَائِمَةً عِنْدَ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ أَهَلَّ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ.» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ «: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُهِلُّ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ، وَهُوَ يَقُولُ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ، لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ.» هَذَا لَفْظُ مُسْلِمٍ، وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ مِنَ التَّلْبِيَةِ كَمَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ، وَسَيَأْتِي مُطَوَّلًا قَرِيبًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ مُنْفَرِدًا بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ، بَعْدَ إِيرَادِهِ مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَا تَقَدَّمَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ كَيْفَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ ". تَابَعَهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ. وَقَالَ شُعْبَةُ: أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ، سَمِعْتُ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، سَمِعْتُ عَائِشَةَ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ الْوَادِعِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৩৯৫৯
عَنْ عَائِشَةَ فَذَكَرَ مِثْلَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ سَوَاءً. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، كَمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ سَوَاءً. وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، وَرَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ بِهِ، كَمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " عَنْ شُعْبَةَ سَوَاءً. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ قَالَ: «قَالَتْ عَائِشَةُ: إِنِّي لَأَعْلَمُ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي. قَالَ: ثُمَّ سَمِعْتُهَا تُلَبِّي، فَقَالَتْ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ. فَزَادَ فِي هَذَا السِّيَاقِ وَحْدَهُ: وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْفَضْلِ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: «كَانَ مِنْ تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَبَّيْكَ إِلَهَ الْحَقِّ ".» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬০


হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) বলেন, আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফাতে খুতব৷ দিচ্ছিলেন ৷ (তাতে) তিনি যখন এ্যা
এ প্রু৷ ণ্গ্লু-শ্রা বললেন, তখন বলেছিলেন চস্ ম্বা;এ-;ন্নুগ্রা এে প্রকৃত কল্যাণ তো আখিরাতের
কল্যাণ ৷ এটি বিরল প্রকৃতির সনদ এবং এ সনদ সুনান গ্রহুসবুহের শর্তানুরুপ ; তবে সুনান
সর্দ্ধলকগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, রাওহ (র)(মুত্তালিব) আবু হুরায়র৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন-
, ,দ্বুগ্লুা
“জিবরীল (আ) আমাকে তালবিয়৷ পাঠের সময়ে আওয়ায উচু করতে বলেছেন ৷ কেননা,
তা হচ্ছে হত্রুজ্জর অন্যতম প্রতীক ৷ ” এ বিওয়ায়ার্ত একাকী আহমদ (র)-এর ৷ আর বায়হাকী
(র) ও এ হাদীস বিওয়ায়াতৰুরেছেন, ৰুহ্যাকমণ্ আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অনুরুপ হাদ্রীস উল্লেখ
করেছেন ৷ আবদুর রামযাক (ব) ও বলেছেন ৷ সুফিয়ান ছাওর্বী (র)যায়র্দ ইবন র্খালিদ
(রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন, জিবরীল (আ) নবী কয়ীম (সা) এর কাছে এসে
বললেন-
“আপনার সাহাবীদের উচট্স্বরে তালবিয়া পাঠ করতে ,বলুন কেননা, তা হচ্ছে হভৈজ্জর

প্রতীক ৷ ইবন মাজা (র) ও অনুরুপ রিওমায়তে করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ঈবৎ শাব্দিক
পবিবর্ত্যাসহ হাদীসটি বণ্নাি করেছেন ৷

সাইব আনসারী (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বরুলরুছনপ্রু
ণ্ গ্এশ্রো
ন্

“জি বরীল (আ) আমার কাছে এসে আমাকে নির্দেশু দিলেনন্ যেন আমি আমার সাহাৰীগণ্কে
কিংব৷ যারা আমার সাথে রয়েছেন তাদেরকে নির্দেশ নেই যে, তারা তালুবিয় ৷ পাঠে কিংবা
ইহরাম উচ্চারণে তাদের আওয়ায যেন উচু করে ৷ শাফিঈ (র) ও আবু দাউদ (র) মালিক (ব)
সুত্রে অনুরুপ বিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ এবং তিরমিষী, নাসাঈ ও ইবন মাজা (র)
ত্মি ভিন্ন সুত্রে হাদীসখানি বিওয়ায়ার্ত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন এ হাদীসটি
হাসান সহীহ্ ৷ হাফিজ্ব বায়হাকী (ব) ও আহমদ (র) বলেছেন, ইবন জুরায়জ (র)-ও এ
হাদীসটির সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এৱ হজ্জ সম্পর্কে জাবিৱ ইবন
আবদুল্লাহ (রা)-এব সুদীর্ঘ হাদীস

আমাদের পুৰ্বালোচিত ন্তালবিয়া ইত্যাদি ও পরবর্তী বিবয়ার্বলীর বিবরণের ক্ষেত্রে জাবির
(রা) এর হাদীস একাই একটি অধ্যায়ে তুলা ৷ তইি, সেটিকে স্বতন্ত্র অনুচ্ছেদে উপস্থাপন করা


حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِهِ. قَالَ النَّسَائِيُّ: وَلَا أَعْلَمُ أَحَدًا أَسْنَدَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ إِلَّا عَبْدَ الْعَزِيزِ، وَرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ مُرْسَلًا. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ سَالِمٍ الْقَدَّاحُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ الْأَعْرَجُ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُظْهِرُ مِنَ التَّلْبِيَةِ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ". فَذَكَرَ التَّلْبِيَةَ. قَالَ: حَتَّى إِذَا كَانَ ذَاتَ يَوْمِ، وَالنَّاسُ يُصْرَفُونَ عَنْهُ كَأَنَّهُ أَعْجَبَهُ مَا هُوَ فِيهِ، فَزَادَ فِيهَا: " لَبَّيْكَ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الْآخِرَةِ» ". قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ وَحَسِبْتُ أَنَّ ذَلِكَ يَوْمَ عَرَفَةَ. هَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنِي أَبُو أَحْمَدَ يُوسُفُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ، ثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، ثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ الْحَسَنِ، ثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ بِعَرَفَاتٍ، فَلَمَّا قَالَ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ "، قَالَ: " إِنَّمَا الْخَيْرُ خَيْرُ الْآخِرَةِ ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬১
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَرَنِي جِبْرِيلُ بِرَفْعِ الصَّوْتِ فِي الْإِهْلَالِ ; فَإِنَّهُ مِنْ شَعَائِرِ الْحَجِّ ".» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَهُ. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ حَنْطَبٍ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مُرْ أَصْحَابَكَ أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ، فَإِنَّهَا شِعَارُ الْحَجِّ.» وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «جَاءَنِي جِبْرِيلُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مُرْ أَصْحَابَكَ فَلْيَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ، فَإِنَّهَا شِعَارُ الْحَجِّ ".»
পৃষ্ঠা - ৩৯৬২
قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي كِتَابِهِ " الْأَطْرَافِ ": وَقَدْ رَوَاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ وَقَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ: مُرْ أَصْحَابَكَ فَلْيَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالْإِهْلَالِ ".» وَقَالَ أَحْمَدُ: قَرَأْتُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، وَحَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا مَالِكٌ، يَعْنِي ابْنَ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي - أَوْ مَنْ مَعِي - أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ - أَوْ بِالْإِهْلَالِ - ".» يُرِيدُ أَحَدَهُمَا. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৩
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، فَذَكَرَهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا خَلَّادٍ فِي إِسْنَادِهِ. قَالَ: وَالصَّحِيحُ رِوَايَةُ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَذَلِكَ قَالَهُ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ. كَذَا قَالَ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي مُسْنَدِ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادِ بْنِ سُوَيْدٍ أَبِي سَهْلَةَ الْأَنْصَارِيِّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ وَرَوْحٌ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَأْمُرَ أَصْحَابَكَ أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ وَالْإِهْلَالِ ".» وَقَالَ رَوْحٌ: بِالتَّلْبِيَةِ أَوْ بِالْإِهْلَالِ. قَالَ: وَلَا أَدْرِي أَيُّنَا وَهِلَ ; أَنَا أَوْ عَبْدُ اللَّهِ أَوْ خَلَّادٌ فِي الْإِهْلَالِ أَوِ التَّلْبِيَةِ. هَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ فِي " مُسْنَدِهِ ". وَكَذَلِكَ ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِي أَطْرَافِهِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ كَرِوَايَةِ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৪


আমরা সমীচীন মনে করছি ৷ প্রথমে হাদীসটির মুলপাঠ উল্লেখ করার পরে আমরা তার সমর্থক
(শাইিদ) রিওয়ায়াতগুলাে উল্লেখ করব ৷ আল্লাহ সহায়!

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) মুহাম্মদ সুত্রে বলেন যে, তিনি
বলেছেন জা ৷বির (রা) এর কাছে গেলাম, তিনি তখন বনু সালিমায় অবস্থান করেছিলেন ৷
আমরা জ ৷কে রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাদেরকে
জানালেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত ৩হজ্জ না করে মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর
সাধারণ্যে ঘোষণা দেয়া হল যে, র৷ সুলুল্পা হ্ (না) এ বছর হজ্জ পালন করবেন ৷ বর্ণনাক৷ রী
(জাবির) বলেন, ফলে মদীনায় অনেক লোকের সমাগম হল যাদের প্রত্যেকের বাসনা ছিল
রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) এর সাথে হজ্জ করা এবং তিনি যা যা করবেন তা করা ৷ যিলকদ মাসের পাচ
দিন বাকী থাকতে রাসুলুল্লা হ্ (সা) বের হলেন ৷ আমরাও তার সাথে বের হলাম ৷ অবশেষে
তিনি যুলহুলায়ফ৷ য় উপনীত হলে আসমা বিনত উমায়স (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-
কে প্ৰসব করে নিফস্ফোস্থ৷ হলেন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে লোক পা ৷ঠিট্য় জা নত্তুত

চাইলেন যে, তিনি কী করবেন? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন ;;দ্বু;; প্রু,া;ন্;;;৷ ণ্ট্ট ষ্এঞা
-ষ্াব্৷ ণ্ট্ট “গোসল করে নাও তারপর ণ্;কান কাপড় দিয়ে পট্টি’ জড়িয়ে নাও, তারপর ইহরাম
ৰীধো ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন এবং যখন জ ৷র ৷উটনী তাকে নিয়ে প্রান্তরে স্থির
হয়ে দাড়ালো তখন তাওহীদ সহ তালৰিয়া পড়লেন--

এাএ;ভো য় এা;৷া, এ৷ এো, ৰু;;১া৷ ষ্৷ এ;;৷ এ৷ এ;,:; য় এএ এ ; ;৷ স্পোা৷৷ এ; ;৷ ,
গ্লু এা;;;;া৷ ৷ ;

লোকেরা ত ৷লবিয়া উচ্চারণ করতে লাগল ৷ তারা সুউচ্চ আসমানস্মুহেৱ অধিক্র্তা এবংএ

ধরনের অন্যান্য শব্দ বেশী বলছিন ৷ নবী করীম (না) তা শুনেও আপত্তি করেন নি ৷ আমার
দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত নজর দৌডিংয় জ৷ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে আরোহী ও পথচ৷ বীদের
দেখতে পেলাম, জার পিছরুনও তেমনি, তার ডান দিকেও( তমনি এবং তার বাম দািকও
তেমনি লোকে লোক ৷রণ৷ দেখতে পেলাম ৷ জা ৷বির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন
আমাদের মাঝে এমন অবস্থায় তার উপরে কুরআন অবতীর্ণ হলো ৷ তিনি তার ব্যাখ্যা জানতেন
এবং সে অনুসারে তিনি যে কোন আমল করতেন আমরাও সে আমল করতাম ৷ আমরা যখন
বের হই তখন হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ অবশেষে আমরা কাবায়
উপনীত হলে নবী করীম (সা) হাজার ৰুআসওয়াদ চুম্বন করলেন; তারপর তাওয়াফের তিন
চক্করে রমল’ করলেন এবং চার চক্করে স্বাভাৰিকভাবে ছুাটলেন ৷ তাওয়াফ শেষ করে তিনি
মাকামে ইব্রাহীম-এর দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার পুেছনে দু’রাকআত সালাত আদায়
করলেন ৷

তারপর তিলাওয়াত করলেন ষ্ট্ঞা ণ্:স্তো)গ্লু৷ ণ্াণ্গ্;; এ ৷,১;;া, “ এবৎ (বলেছিলাম)
তোমরা ইবরাহীমের র্দাড়াবার স্থানকে ণ্সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর” (২ : ১২৫) ৷ আহমদ
(র) বলেন, আবু আবদুল্পাহ্শুবলেছেন, সে দু’রাকআতে তিনিসুরা ইখলাস ও কাফিরুন
পড়েছিলেন ৷ তারপর হাজার আসওয়াদ চুম্বন করে সাফার উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷ (সেখানে)


[فَصْلٌ فِي إِيرَادِ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وَهُوَ وَحْدَهُ مَنْسَكٌ مُسْتَقِلٌّ، رَأَيْنَا أَنَّ إِيرَادَهُ هَاهُنَا أَنْسَبُ ; لِتَضَمُّنِهِ التَّلْبِيَةَ وَغَيْرَهَا مِمَّا سَلَفَ وَمَا سَيَأْتِي، فَنُورِدُ طُرُقَهُ وَأَلْفَاظَهُ، ثُمَّ نُتْبِعُهُ بِشَوَاهِدِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي مَعْنَاهُ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: «أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَهُوَ فِي بَنِي سَلَمَةَ، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ فِي الْمَدِينَةِ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ، ثُمَّ أُذِّنَ فِي النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجٌّ هَذَا الْعَامَ. قَالَ: فَنَزَلَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ، كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْعَلَ مَا يَفْعَلُ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَشْرٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، حَتَّى إِذَا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ نَفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ: " اغْتَسِلِي ثُمَّ اسْتَثْفِرِي بِثَوْبٍ، ثُمَّ أَهِلِّي ". فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ، أَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ ". وَلَبَّى النَّاسُ، وَالنَّاسُ