আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم علي بن أبي طالب وخالد بن الوليد إلى اليمن قبل حجة الوداع

পৃষ্ঠা - ৩৮৫২


০ : ৷৷ওে fl ই$

১৯২ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া

মদীনায় বিভিন্ন মজলিসে এবং যার য়ার সাথে আমার সাক্ষাত হল তাদের কাছে আলীর নামে
অনুযােগ করলাম ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন এমন অবস্থায় একদিন আমি
সেখানে পৌছলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাকে তার দু’চেখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তার
কাছে বলে না পড়া পর্যন্ত তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন ৷ আমি তার কাছে বসে
পড়লে তিনি বললেন, ,,-ন্প্রুম্রা ১দ্বু প্রুান্ধ্র (া৷ )শ্১ ঞাদ্বু এ “খোলা আমুর ইবন শাস! আল্লাহর
কসম! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো ৷ আমি বললাম, ইন্নড়া লিল্লাহি ওয়া ইন্নড়া ইলায়হি রড়াজিউন
(অর্থাৎ তরে তো তা আমার জন্য চরম মুসীবতের ব্যাপার ৷) ৷ আল্লাহর রড়াসুলকে মনােকষ্ট
দেয়ার ব্যাপারে আমি আল্লাহ এবং ইসলামের আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ তিনি বললেন, এেট্টন্ণ্ষ্ ং,;
এেন্ষ্ট্র৷ এে প্রুন্এ আলীকে যে কষ্ট দেয় সে আমাকেই কষ্ট দিল ৷ বায়হাকী অন্য একটি সুত্রে
ইবন ইসহাকের মাধ্যমে এর একটি সমার্থক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷

এ প্রসঙ্গে হাফিজ বায়হাকী বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র)বার৷ (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়ামানবাসীদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে
থালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-কে তাদের কাছে পাঠালেন ৷ তারা তীর আহ্বানে সাড়া দিল না ৷
পরবর্তী সময়ে য়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব (রা) কে পাঠালেন এবং তাকে থালিদ
বাহিনীকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়ে দিলেন ৷ তবে যারা খড়ালিদ (রা)-এর সাথে ছিল,
তাদের কেউ আলী (রা)এর সাথে থাকতে চাইলে তার জন্য সেরুপ অনুমতি থাকবে ৷ বারা (বা)
বলেন, আলী (রা)প্এর সাথে বয়ে যাওয়া লোকদের মাঝে আমিও ছিলাম ৷ আমরা প্রতিপক্ষীয়
সম্প্রদায়ের কাছে পৌছলে তারা আমাদের কাছে বেরিয়ে এল ৷ আলী (রা) সামনে এগিয়ে গিয়ে
আমাদের সালাতে ইয়ামতি করলেন ৷ পরে আমাদের একটি সারিতে সারিবদ্ধ করার পর
আমাদের সামনে এগিয়ে গেলেন এবং আগত লোকদের রাসৃলুল্লাহ্ (সা)এর চিঠি পড়ে
া:শানান্বলন ৷ ফলে সমুদয়ষ্শ্হামাদান গোত্র ইসলাম কবুল করল ৷ আলী (বা) য়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর
বরাবয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের কথা জানিয়ে চিঠি লিখলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঢিঠির বিবয়বস্তু
অবগত হয়ে সিজদাবনত হলেন ৷ পরে মাথা তুলে বললেন, ;ণ্ ণ্ট্টএেন্ :ট-ঞা ভ্রু ণ্ট্টএেৰু
শ্রোঞা “হামাদানীদের প্রতি সালাম হামাদানীদের প্রতি শাস্তি ! বায়হাকী বলেন, বৃথারী এ
হাদীসখানা অন্য একটি সুত্রে সংক্ষিপ্ত আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বায়াহাকী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন মুহাম্মদ ইবনৃল ফাঘৃল আল কাত্তান (র)আবু সাঈদ
আলৰুখুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব
(রা)কে ইয়ামানে পাঠালেন ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, র্তার সাথে পমনকাৰীদের মাঝে আমিও
ছিলাম ৷ তিনি য়াকাতের উট সংপ্রহ করলে আমরা সেগুলোকে বাহনরুপে ব্যবহার করার এবং
আমাদের উটগুল্যেকে বিশ্রাম দেয়ার আবেদন জানালার ৷ আমাদের উটগুলোতে আমরা শীর্ণতা
ও দুর্বলতা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ৷ আলী (রা) অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তিনি বললেন,
এতে তোমাদের অংশ অনাড়ান্য মুসলমানদের সমান ৷ বর্ণনাকরীি (আবু সাঈদ রা) বলেন, আলী
(বা) তার কর্তব্য সম্পাদন করার পর ইয়ামান থেকে ফিরে যেতে লাগলে এক ব্যক্তিকে আমাদের
আমীর নিয়োগ করলেন এবং নিজে দ্রুত গতিতে সফর করে (বিদায়) হব্লুজ্জ শামিল হলেন ৷ হজ্জ
সম্পাদনের পরে নবী করীম (না) তাকে বললেন,


قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ وَلَا الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ ".» وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مُعَاذًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ قَاضِيًا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْيَمَنِ، وَحَاكِمًا فِي الْحُرُوبِ، وَمُصَدِّقًا ; إِلَيْهِ تُدْفَعُ الصَّدَقَاتُ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ الْمُتَقَدِّمُ. وَقَدْ كَانَ بَارِزًا لِلنَّاسِ يُصَلِّي بِهِمُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ، كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، أَنَّ مُعَاذًا لَمَّا قَدِمَ الْيَمَنَ صَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَقَرَأَ: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125] (النِّسَاءِ: 125) . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: لَقَدْ قَرَّتْ عَيْنُ أُمِّ إِبْرَاهِيمَ. انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. [بَعْثُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ] بَابُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، ثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ قَالَ: «بَعَثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৩


“ তোমার সহযোগীদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের
সাথে মিলিত হও ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, আলী (রা) যাকে তীর স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করে
গিয়েছিলেন, আমরা তার কাছে সে আবেদনটি জানিয়েছিলাম যা গ্রহণে আলী (রা) আমাদের
অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ৷ ভারপ্রাপ্ত আমীর তাতে সম্মত হলেন ৷ আলী (রা) যখন যাকাতের
উটপাল দেখে বুঝতে পারলেন যে সেগুলো বাহনরপে ব্যবহৃত হয়েছে এবং সেগুলোতে
আরোহণ চিহ্ন দেখতে পেলেন তখন ভারপ্রাপ্ত আমীরকে সামনে ডাকড়ালেন এবং তাকে তিরষ্কার
করলেন ৷ আমি তখন বললাম, আল্লাহ্র কসম ! মদীনায় পৌছুতে পারলে আমি অবশ্যই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে (বিষয়টি) আলোচনা করব এবং আমাদের প্রতি আরোপিত
কঠোরতা ও বড়ােৰাড়ির বিষয় ও ৷ কে অবহি৩ কররই ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, আমরা
মদীনায় ফিরে গোলে আমার হলফকৃত বিষয়টি সম্পন্ন করার সংকর নিয়ে আমি সকলে বেলা
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এ র উদ্দেশ্যে বের হলাম ৷ আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরকার থেকে
বেরিয়ে আসার মুখে র্তার সাথে আমার (প্রথম) সস্ফোত হল ৷ তিনি আমাকে দেখতে পেয়ে
আমার সাথে দাড়িয়ে পড়লেন এবং আমাকে স্বাগত সম্ভাষণ জানিয়ে আমার কুশলাদি জিজ্ঞেস
করলেন ৷ আমিও তার কুশলাদির জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, কখন এসে পৌছেছ? আমি
বললাম, গত রাতে ৷ আমার সাথে তিনি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে ফিরে গেলেন ৷ তিনি
ভিতরে প্রবেশ করে বললেন, সাদ ইবন মালিক ইবনুশ শাহীদ এসেছেন! নবী করীম (সা)
বললেন, তাকে আমার অনুমতি দাও ৷ তখন আমি ঢুকে পড়লাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
সালাম করলাম ৷ তিনি আমার স্যলামের জবাব দিলেন এবং আমার দিকে ঘৃখ করে বসে
আমাকে আমার নিজের ও পরিবারের বিষয় জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি খুটে খুটে আমাকে সব
কিছু জিজ্ঞেস করতে থাকলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! কঠোর আচরণ, দৃর্ব্যবহার ও
সংকীর্গতা আলী (রা)-এর কাছ থেকে পেয়েছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন শান্ত স্থির হয়ে
বসন্সেন ৷ আমি আলী (রা)-এর আচরণের অভিযোগ পুনঃপুনঃ ব্যক্ত করতে থাকলাম ৷
একবারের কথার মাঝখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার উরুতে থাপ্পড় দিলেন ৷ আমি র্তার একড়াত
কাছে বসা ছিলাম ৷ তিনি বললেন-


“ওহে সাদ ইবন মালিক ইবনুশ শাহীদ ! তোমার ভাই আলীর সম্বন্ধে তোমার এ ধরনের
কতক উক্তি বন্ধ করা কেননা, আল্লাহর কসম ! আমি উত্তমরুপে অবগত ররেছি যে, সে
অড়াল্লাহ্র পথে ’ উত্তম আচরণ করেছে ৷” আবু সাঈদ (রা) বলেন, আমি তখন বললাম , সড়াদ
ইবন মালিক ! তোমার মা পুত্র হড়ারড়া হোক ! (অর্থাৎ তুমি মরে যাও ! ) তিনি (নবী না) যা অপসন্দ
করেন, আমি নিজেকে তাতেই লিপ্ত দেখতে পেলাম! কি আমি কী হয় ৷ অবশ্য অবশ্যই
আল্লাহ্র কসম ! আর কোন দিন তার নিন্দাবাদ করব না, গোপনেও নয়, প্রকড়ারুংত্বাও নয় ৷ এটি
নড়াসাঈ (র)-এর শর্তানুরুপ উত্তম সনদ ৷ তবে বিশুদ্ধ ছয় গ্রন্থের সংকলকবর্গের কেউ এটি
রিওয়ায়াত করেন নি ৷ অপরদিকে ইউনুস (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে
বল্যেছনইয়াহ্য়া ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আবু উমর (ব) ইয়ড়াষীদ ইবন তালহড়া ইবন
-২৫ ণোণোণো(ট্রুা’ব্রড়া€র্নো০ওেতাে



رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى الْيَمَنِ. قَالَ: ثُمَّ بَعَثَ عَلِيًّا بَعْدَ ذَلِكَ مَكَانَهُ قَالَ: " مُرْ أَصْحَابَ خَالِدٍ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يُعَقِّبَ مَعَكَ فَلْيُعَقِّبْ، وَمَنْ شَاءَ فَلْيُقْبِلْ ". فَكُنْتُ فِيمَنْ عَقَّبَ مَعَهُ. قَالَ: فَغَنِمْتُ أَوَاقِيَ ذَاتَ عَدَدٍ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا رُوحُ بْنُ عُبَادَةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مَنْجُوفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ لِيَقْبِضَ الْخُمُسَ، وَكُنْتُ أُبْغِضُ عَلِيًّا، فَأَصْبَحَ وَقَدِ اغْتَسَلَ، فَقُلْتُ لِخَالِدٍ: أَلَا تَرَى إِلَى هَذَا؟ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ. فَقَالَ: يَا بُرَيْدَةُ تُبْغِضُ عَلِيًّا؟ ". فَقُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ: " لَا تُبْغِضْهُ فَإِنَّ لَهُ فِي الْخُمُسِ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَبْدُ الْجَلِيلِ قَالَ: «انْتَهَيْتُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৪
حَلْقَةٍ فِيهَا أَبُو مِجْلَزٍ، وَابْنُ بُرَيْدَةَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ: حَدَّثَنِي أَبِي بُرَيْدَةُ قَالَ: أَبْغَضْتُ عَلِيًّا بُغْضًا لَمْ أُبْغِضْهُ أَحَدًا قَطُّ. قَالَ: وَأَحْبَبْتُ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ لَمْ أُحِبَّهُ إِلَّا عَلَى بُغْضِهِ عَلِيًّا. قَالَ: فَبُعِثَ ذَلِكَ الرَّجُلُ عَلَى خَيْلٍ فَصَحِبْتُهُ مَا أَصْحَبُهُ إِلَّا عَلَى بُغْضِهِ عَلِيًّا. قَالَ: فَأَصَبْنَا سَبْيًا. قَالَ: فَكَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ابْعَثْ إِلَيْنَا مَنْ يُخَمِّسُهُ. قَالَ: فَبَعَثَ إِلَيْنَا عَلِيًّا، وَفِي السَّبْيِ وَصِيفَةٌ مِنْ أَفْضَلِ السَّبْيِ. قَالَ: فَخَمَّسَ وَقَسَمَ، فَخَرَجَ وَرَأَسُهُ يَقْطُرُ، فَقُلْنَا: يَا أَبَا الْحَسَنِ، مَا هَذَا؟ فَقَالَ: أَلَمْ تَرَوْا إِلَى الْوَصِيفَةِ الَّتِي كَانَتْ فِي السَّبْيِ، فَإِنِّي قَسَمْتُ وَخَمَّسْتُ فَصَارَتْ فِي الْخُمُسِ، ثُمَّ صَارَتْ فِي أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَارَتْ فِي آلِ عَلِيٍّ، وَوَقَعْتُ بِهَا. قَالَ: فَكَتَبَ الرَّجُلُ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: ابْعَثْنِي. فَبَعَثَنِي مُصَدِّقًا، فَجَعَلْتُ أَقْرَأُ الْكِتَابَ وَأَقُولُ: صَدَقَ. قَالَ: فَأَمْسَكَ يَدِي وَالْكِتَابَ فَقَالَ: " أَتُبْغِضُ عَلِيًّا؟ " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " فَلَا تُبْغِضْهُ، وَإِنْ كُنْتَ تُحِبَّهُ فَازْدَدْ لَهُ حُبًّا، فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لِنَصِيبُ آلِ عَلِيٍّ فِي الْخُمُسِ أَفْضَلُ مِنْ وَصِيفَةٍ ".» قَالَ: فَمَا كَانَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ بَعْدَ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ عَلِيٍّ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ: فَوَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ مَا بَيْنِي وَبَيْنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ غَيْرُ أَبِي بُرَيْدَةُ. تَفَرَّدَ بِهِ بِهَذَا السِّيَاقِ عَبْدُ الْجَلِيلِ بْنُ عَطِيَّةَ الْفَقِيهُ أَبُو صَالِحٍ الْبَصْرِيُّ ; وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَابْنُ حِبَّانَ، وَقَالَ الْبُخَارِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৫


ইয়াযীদ ইবন রুকানা (যা) থেকে, তিনি (ইয়াযীদ র) বলেন, আলী (রা)-এর সাথে ইয়ামানে
অবস্থানরত তার বাহিনীর মন খারাপ করার কারণ ছিল এই যে, তারা যখন অ্যাপামী হচ্ছিল
তখন আলী (বা) এক ব্যক্তিকে তাদের জন্য স্থলাভিষিক্ত আমীর নিয়োগ করে তড়াড়াহুড়া করে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন ভারপ্রাপ্ত আমীর এই কাজ
করলেন যে, তিনি (বাহিনীর) প্রতিটি লোককে নতুন জোড়াবস্ত্র দিলেন ৷ পিছনে পিছনে সফর
করে তারা যখন তার কাছে এল তখন তিনি তাদের সাক্ষাত দেয়ার জন্য (র্তাবু হতে) তাদের
সামনে বেরিয়ে এলেন ৷ তিনি তাদের পায়ে নতুন পোশাক দেখতে পেয়ে বললেন, এ কী
দেখছি?” তারা বলল, অমুক (ভারপ্রাপ্ত আমীর) আমাদের পােশাকস্বরদ্রুপ দিয়েছেন ৷ তিনি
আনীরকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সকাশে গমনের আগেই এ কাজে কোন বিষয়
তোমাকে উদ্বুদ্ধ করল? সেখানে পৌছার পর তিনি (নবী না) যা ইচ্ছা করতেন! তিনি তাদের
সব পোশাক খুলিয়ে নিলেন ৷ বাহিনী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ফিরে এলে তারা তার কাছে
আলী (রা)-এর নামে এ বিষয়ে অভিযোগ করল ৷ কারণ ঐ এলাকার লোকেরা মুলত রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে সন্ধিবদ্ধ হয়েছিল এবং তিনি আলী (রা)-কে পাঠিয়েছিলেন নির্ধারিত জিঘৃয়া
উসৃল করার কাজে ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : এ বর্ণনাটি বায়হার্কী (র)-এর বর্ণনার কাছাকাছি ৷ কারণ, (তাতে
রয়েছে যে) আলী (বা) হজ্জ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে বাহিনীর আগে চলে এসেছিলেন এবং সাথে
করে তিনি কারবালার উট১ নিয়ে এসেছিলেন ৷ তিনি নবী কবীম (না)-এর ইহ্রামের ন্যায়
ইহ্রামের নিয়ত করেছিলেন ৷ নবী করীম (সা) তাকে (হব্জ্জর শেষ সময় পর্যন্ত) ইহ্রাম
অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেন ৷ বাবা ইবন আযিব (রা)এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, তিনি (আলী
রা) বলেন, আমি কুরবানীর উট সাথে নিয়েছিলাম এবং কিরড়ান’২ হজ্জ করেছিলাম ৷

এ আলোচনার উদ্দেশ্য হল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হযরত আলী (রা) এর সম্বন্ধে একটি সাফ৷ ই
প্রদান করা ৷ তার বাহিনীকে যাকারু৩ র উট ব্যবহারের অনুমতি না দেয়া এবং তার মায়ের ও
ভারপ্রাপ্তের প্রদত্ত জোড়াবস্ত্র বাহিনীর লোকদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার কারণে আলী
(রা) এর সম্বন্ধে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও উচচবাচ্য শুরু হয়ে যায় ৷ অথচ আলী (বা) তার
কর্মকাণ্ডে নির্দোষ ছিলেন ৷ কিন্তু হজ্জ যাত্রীদের মাঝে তার বিষয় বিরুপ সমালোচনা ছড়িয়ে
পড়ে ৷ এ কারণেই৩ (৩ বে আল্লাহই সমধিক অবগত) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হজ্জ সফর সম্পন্ন
করে ও আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পাদনের পর মদীনায় প্ৰত্যড়াবর্তনকালে গাদীরে খুম (জলাশয়)
অতিক্রমকালে সেখানে লোকদের মাঝে দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন ৷ এতে তিনি আলী (রা) এর
অবস্থানকে অভিযেম্পোমুক্ত ঘোষণা করলেন ৷ এবং তার উন্নত পদমর্যাদার কথা ব্যক্ত করে তার
মড়াহড়াদুত্ম্যর ব্যাপারে লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ৷ যাতে করে মানুষের মনে তার
ব্যাপারে যে বিরুপ ধারণাটি ছড়িয়ে পড়েছিলণ্ তা বিদুরিত হয়ে যায় ৷



১ মক্কা শরীফ তথা হ্যরামে জবাই করার উদ্দেশ্যে হৃক্তিণ যে - ; ল্যাং নিয়ে যান তাকে হৃন্দী বলা হয়
২ একই সাথে উমরা ও হজ্জ সস্পাদঃনর সংযুক্ত ইহ্হু;ন্ যে: ব ট্টণ্£রা আন ৷য়ের পর ইহ্র ম অবস্থায় থেকে
ঐ ইহ্রামে হজ্জ আদায়ের পন্থাকে মিঃ সংযুক্ত হষ্ ন্মে হয়


إِنَّمَا يَهِمُ فِي الشَّيْءِ بَعْدَ الشَّيْءِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثَنَا أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ خَالِهِ عَمْرِو بْنِ شَاسٍ الْأَسْلَمِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي خَيْلِهِ الَّتِي بَعَثَهُ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ، فَجَفَانِي عَلِيٌّ بَعْضَ الْجَفَاءِ، فَوَجَدْتُ فِي نَفْسِي عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ اشْتَكَيْتُهُ فِي مَجَالِسِ الْمَدِينَةِ وَعِنْدَ مَنْ لَقِيتُهُ، فَأَقْبَلْتُ يَوْمًا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا رَآنِي أَنْظُرُ إِلَى عَيْنَيْهِ نَظَرَ إِلَيَّ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا جَلَسْتُ إِلَيْهِ قَالَ: " إِنَّهُ وَاللَّهِ يَا عَمْرُو بْنَ شَاسٍ لَقَدْ آذَيْتَنِي ". فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، أَعُوذُ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ أَنْ أُوذِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: " مَنْ آذَى عَلِيًّا فَقَدْ آذَانِي ".» وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ أَبَانَ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مَعْقِلِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ، عَنْ خَالِهِ عَمْرِو بْنِ شَاسٍ، فَذَكَرَهُ بِمَعْنَاهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৬
الْمُزَكِّي، أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ الْجَوْزَجَانِيُّ، ثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ «عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ يَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ. قَالَ الْبَرَاءُ: فَكُنْتُ فِيمَنْ خَرَجَ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَأَقَمْنَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ يَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمْ يُجِيبُوهُ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُقْفِلَ خَالِدًا، إِلَّا رَجُلًا كَانَ مِمَّنْ مَعَ خَالِدٍ فَأَحَبَّ أَنْ يُعَقِّبَ مَعَ عَلِيٍّ فَلْيُعَقِّبْ مَعَهُ. قَالَ الْبَرَاءُ: فَكُنْتُ فِيمَنْ عَقَّبَ مَعَ عَلِيٍّ، فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنَ الْقَوْمِ خَرَجُوا إِلَيْنَا فَصَلَّى بِنَا عَلِيٌّ، ثُمَّ صَفَّنَا صَفًّا وَاحِدًا، ثُمَّ تَقَدَّمَ بَيْنَ أَيْدِينَا، وَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَتْ هَمْدَانُ جَمِيعًا، فَكَتَبَ عَلِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِسْلَامِهِمْ، فَلَمَّا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِتَابَ خَرَّ سَاجِدًا، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: " السَّلَامُ عَلَى هَمْدَانَ، السَّلَامَ عَلَى هَمْدَانَ ".» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُخْتَصَرًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ إبْرَاهِيمَ بْنِ يُوسُفَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৭


ৰুখাৰী (র) বলেন, কুতায়বা (র)আবু সাঈদ আল থুদরী (বা) সুত্রে বলেন, আলী ইবন
আবু তালিব (বা) ইম্নামান থেকে একটি পাকা চামড়ার করে কিছু অপরিশোধিত (খমির মাটি
মিশ্রিত) সৌং গ্াঠাক্ষা ৷ বর্ণৰাকারী বলেন, নবী কৰীম (না) সে স্বর্ণ চারজন লোকের মাঝে
ৰণ্টা করে দিলেন (১) মোঃ ইবন বদর, (২) আকরা ইবন হাবিব, (৩) বাজে আল-খায়ল
(আল ৰ্ায়র) এবং চর্ষে ব্যক্কি মোঃ ইবন উলাছা কিংবা আমির ইবনুত তুফায়ল (বা) ৷
এতে তার সহচরদের জো বসে ৷স্ফো ৷ আমরা এ লোকগুলাের তুলনায় অগ্রগণ ছিলাম ৷
এ মন্তব্য নবী করীম (না)-এর কানে পৌছলে তিনি বললেন-
ন্ট্রু প্লুছুৰুট্রু ম্রা
“তোমরা আমাকে বিশ্বস্ত মনে করছো না? অথচ আসমানে যিনি ৱয়েছেনত তার কাছেও আমি
বিশ্বস্ত , আসমানের খবর৷ দি সক৷ ৷ল-বিকালে আমার কাছে এসে থাকে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
তখন একটি লোক যার চোখ দু’টি কােটরাপত, গণ্ডদ্বয় ফেলো ও কপাল উথিত এবং দাড়ি ঘন,
মাথা কামানাে ও লুঙ্গি গুটানাে দাড়িয়ে বলল, ইয়৷ রাসৃলাল্লাহ্৷ আল্পাহ্কে ভয় করুন ! নবী
কৰীম (সা) বললেন, রে ধুর্ভাগা, আল্লাহুকে ৩য় পাওয়ার ক্ষেত্রে আমিই কি সর্বাধিক হকদার
নই? বর্ণনাকারী বলেন, তখন ৷লাকঢি চলে যেতে লাগলে খালিদ ইবনুল ওলীদ (বা) বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! “এর পদ ৷ ন উড়িয়ে দেব না কি ? ’তিনি বললেন, না; (কেননা) হতে পারে যে
সে সালাত আদায় করে থাকে ৷ খালিদ (বা) বললেন, “কত মুসল্লীই তো মুখে এমন কথা বলে
যা অন্তরে নেই! তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
এপ্যা é ছো
(তা হোক) আমি মানুষের অন্তরে সিদ কেটে দেখতে আর তাদের ভিতর কেড়ে দেখতে

আদিষ্ট হই নি ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকটির দিকে তাকালেন, তখন
সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছিল ৷ তখন তিনি ইরশাদ করলেনৰুৰু

এে ,ৰুা৷
“এই যে এথেকে এমন একটি সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়ে যারা অহরহ আল্লাহর কিতাব
(কুরআন) তিলাওযাত করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না; দীন থেকে তারা
এম্নিভাবে ছিটকে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেন,
আমার ধারণা নবী করীম (সা) একথাও বলেছিলেন ১)এেট মৌ ণ্শু-ঠোস্ম ণ্ণ্ডওও)এ৷ (া’া৷ আমার
জীবদ্দশায় আমি তাদের পেয়ে গেলে ছাঘুদের নিধনজজ্ঞের ন্যায় তাদের নিধন করব ৷ বুখারী
(ব) তার কিতাবের বিভিন্ন স্থানে এবং মুসলিম (র)ত তার কিতাবুয যাকাতে একা ৷ধিক সুত্রে এ
হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আলী (রা) এর বিচার দক্ষতা প্রসঙ্গে ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াহ্য়া (র) আলী



(র) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ইয়ামানে পাঠালেন, আমি তখন বয়সে
তরুণ ৷ তিনি বলেন আমি বললাম, আমাকে এমন একটি সম্প্রদায়ের দায়িত্ব দিয়ে পাঠাচ্ছেন


الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَنْبَأَنَا أَبُو سَهْلِ بْنُ زِيَادٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقَاضِي، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْيَمَنِ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَكُنْتُ فِيمَنْ خَرَجَ مَعَهُ، فَلَمَّا أَخَذَ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ سَأَلْنَاهُ أَنْ نَرْكَبَ مِنْهَا وَنُرِيحَ إِبِلَنَا - وَكُنَّا قَدْ رَأَيْنَا فِي إِبِلِنَا خَلَلًا - فَأَبَى عَلَيْنَا وَقَالَ: إِنَّمَا لَكُمْ فِيهَا سَهْمٌ كَمَا لِلْمُسْلِمِينَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ وَانْطَلَقَ مِنَ الْيَمَنِ رَاجِعًا، أَمَّرَ عَلَيْنَا إِنْسَانًا وَأَسْرَعَ هُوَ فَأَدْرَكَ الْحَجَّ، فَلَمَّا قَضَى حَجَّتَهُ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْجِعْ إِلَى أَصْحَابِكَ حَتَّى تَقْدَمَ عَلَيْهِمْ ". قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: وَقَدْ كُنَّا سَأَلْنَا الَّذِي اسْتَخْلَفَهُ مَا كَانَ عَلِيٌّ مَنْعَنَا إِيَّاهُ، فَفَعَلَ، فَلَمَّا عَرَفَ فِي إِبِلِ الصَّدَقَةِ أَنَّهَا قَدْ رُكِبَتْ، وَرَأَى أَثَرَ الرَّاكِبِ ذَمَّ الَّذِي أَمَّرَهُ وَلَامَهُ، فَقُلْتُ: أَمَا إِنَّ لِلَّهِ عَلَيَّ لَئِنْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ لَأَذْكُرَنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَأُخْبِرَنَّهُ مَا لَقِينَا مِنَ الْغِلْظَةِ وَالتَّضْيِيقِ. قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ غَدَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيدُ أَنْ أَفْعَلَ مَا كُنْتُ حَلَفْتُ عَلَيْهِ، فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ خَارِجًا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآنِي وَقَفَ مَعِي وَرَحَّبَ بِي، وَسَاءَلَنِي وَسَاءَلْتُهُ وَقَالَ: مَتَى قَدِمْتَ؟ فَقُلْتُ: قَدِمْتُ الْبَارِحَةَ. فَرَجَعَ مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَ وَقَالَ: هَذَا سَعْدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৮
مَالِكِ بْنِ الشَّهِيدِ. فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ ". فَدَخَلْتُ فَحَيَّيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَيَّانِي، وَأَقْبَلَ عَلَيَّ وَسَأَلَنِي عَنْ نَفْسِي وَأَهْلِي، وَأَحْفَى الْمَسْأَلَةَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لَقِينَا مِنْ عَلِيٍّ مِنَ الْغِلْظَةِ وَسُوءِ الصُّحْبَةِ وَالتَّضْيِيقِ؟ فَانْتَبَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَعَلْتُ أَنَا أُعَدِّدُ مَا لَقِينَا مِنْهُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي وَسَطِ كَلَامِي، ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فَخِذِي، وَكُنْتُ مِنْهُ قَرِيبًا، وَقَالَ: " يَا سَعْدُ بْنُ مَالِكِ بْنِ الشَّهِيدِ مَهْ بَعْضَ قَوْلِكَ لِأَخِيكَ عَلِيٍّ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ أَخْشَنَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". قَالَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ! أَلَا أَرَانِي كُنْتُ فِيمَا يَكْرَهُ مُنْذُ الْيَوْمِ وَمَا أَدْرِي، لَا جَرَمَ وَاللَّهِ لَا أَذْكُرُهُ بِسُوءٍ أَبَدًا سِرًّا وَلَا عَلَانِيَةً.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ عَلَى شَرْطِ النَّسَائِيِّ، وَلَمْ يَرْوِهِ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. وَقَدْ قَالَ يُونُسُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ قَالَ: إِنَّمَا وَجَدَ جَيْشُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ بِالْيَمَنِ ; لِأَنَّهُمْ حِينَ أَقْبَلُوا خَلَّفَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا، وَتَعَجَّلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَعَمَدَ الرَّجُلُ فَكَسَا كُلَّ رَجُلٍ حُلَّةً، فَلَمَّا دَنَوْا خَرَجَ عَلِيٌّ يَسْتَقْبِلُهُمْ، فَإِذَا عَلَيْهِمُ الْحُلَلُ، قَالَ عَلِيٌّ: مَا هَذَا؟ قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৩৮৫৯


যেখানে বিভিন্ন ধরনের ঘটনার অবতারণা হবে, অথচ বিচার কাজে আমার বিশেষ কোন
অভিজ্ঞতা নেই ৷ তিনি বললেন, এপ্রুাদ্বু মোঃঙু এ্যা৷ এে১শু-ত্র-ণ্ডা ণ্আ ঞা “আল্লাহ্ তোমার
জিহ্বাকে সুপথ দেখাবেন এবং তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় রাখবেন ৷” আলী (বা) বলেন, ফলে
আমি কোন ব্যক্তির মাঝে ফায়সালা প্রদানে কখনো দ্বিধা-দ্বন্দের শিকার হই নি ৷ ইবন মজাে
(র) এ হাদীস উল্লিখিত সনদে আমাশ (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আসওয়াদ ইবন আমির (র) আলী (বা) সুত্রে বণ্নাি
করেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ইয়ামানে নিয়োগ দিয়ে পাঠালেন ৷ আলী (বা)
বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার চেয়ে প্রবীণদের মাঝে আমাকে
পাঠাচ্ছেন; অথচ আমি বয়সে তরুণ, বিচার কার্যে আমি পারদর্শী নই ৷ আলী (রা) বলেন, নবী
করীম (সা) তার হাত আমার বুকে রেখে বললেন, ফো ^৮ ষ্ষ্-ণ্এ ;ন্ ব্রণ্ ণ্ঠো “হে আল্লাহ্ ৷
আপনি তার জিহ্বায় (ভাষা) দৃঢ়তা দান করুন এবং তার হৃদয়কে সৎপধে পরিচালিত করুন ৷
(তিনি আরো ইরশাদ করলেন)

গ্রা দুপ্লুণ্ড্রগ্ৰা১ঞা ৷১৷ এওঙএদ্বু১া৷

“হে আলী ! যখন দুই প্রতিপক্ষ তোমার কাছে উপস্থিত হয়ে তখন তাদের মাঝে বিচার-
মীমাংসা করবে না, যতক্ষণ না দ্বিতীয় পক্ষের কাছ থেকে ঐ বিষয়টি শুনে নাও, যা প্রথম
পক্ষের কাছে শুনেছ; কারণ, এমন করলেই তোমার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷” আলী
(বা) বলেন, এর পর থেকে কোন বিচার-ফায়সালায় আমি দ্বিধআেস্ত হই নি৷ (কিৎবা তিনি
বলেছেন,) এরপর থেকে কোন বিচার্ষ বিষয় আমার কাছে জটিল মনে হয় নি ৷ আহমদ (র),
আবু দাউদ (র) ও তিরমিষী (র) বিভিন্ন সুত্রেআলী (রা) থেকে এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা)
থেকে , এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, একটি দল (তিনজন) একই তৃহর অজ্যি নারীর সাথে সঙ্গম
করল ৷ আলী (বা) (এর কাছে এ নারীর সন্তানের বিষয় মীমাংসা চাওয়া হলে তিনি ঐ দলের)
দুওম্পোখাে (আি৩ৰ্ রে ) ৷৬খো বললেন, “তোমরা দুজন ঐ (তৃতীয়) ব্যজ্যি জন্য সন্তানের দাবী
পরিত্যাগে সন্তুষ্ট রয়ােছো ?” তারা বলল, না’ ৷ তখন আলী (রা) (এ দুজনের একজনের সাথে
তৃতীয় ব্যক্তিকে মিলিয়ে) দুজনকে বললেন, “তোমরা দুজন ঐ ব্যক্তির অনুকুলে সন্তানের দাবী
পব্রিত্যাগে সন্তুষ্ট হতে পার ?” তারা দৃজনও বলল, না ৷ (অর্থাৎ প্রত্যেকেই অন্যের দাবী
প্রত্যাখ্যান করল ৷) তখন আলী (বা) বললেন, “তোমরা দেখছি ব্রেম বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন
অংশীদার ৷” তারপর বললেন, “আমি তোমাদের মাঝে কুরআ’ (লটারী) কঃব ৷ যার নামে লটারী
উঠরে; তার বিরুদ্ধে দিয়তের (রক্তপণ) দুই-তৃতীয়াংশের ভিক্রী প্রদান ক্যব এবং সন্তানের
সম্বন্ধ তার সাথে সাব্যম্ভ করে দেব ৷ বর্পনকােরী বলেন, পরে নবী করীম (না)-এর কাছে এ





১ “তুহ্র’ ( র্গো) শব্দটির অর্থ পবিত্রতা ৷ ত্রীলোকের দুই মালিকের মধ্যবর্তী পবিত্র থাকার সময়কে
ফিকহের পরিভাষায় তুহ্র’ বলা হয় ৷


كَسَانَا فُلَانٌ. قَالَ: فَمَا دَعَاكَ إِلَى هَذَا قَبْلَ تَقْدَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَصْنَعُ مَا شَاءَ؟ فَنَزَعَ الْحُلَلَ مِنْهُمْ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَكَوْهُ لِذَلِكَ، وَكَانُوا قَدْ صَالَحُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّمَا بَعَثَ عَلِيًّا إِلَى جِزْيَةٍ مَوْضُوعَةٍ. قُلْتُ: هَذَا السِّيَاقُ أَقْرَبُ مِنْ سِيَاقِ الْبَيْهَقِيِّ، وَذَلِكَ أَنْ عَلِيًّا سَبَقَهُمْ لِأَجْلِ الْحَجِّ، وَسَاقَ مَعَهُ هَدْيًا، وَأَهَلَّ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَمْكُثَ حَرَامًا. وَفِي رِوَايَةِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: إِنِّي سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا كَثُرَ فِيهِ الْقِيلُ وَالْقَالُ مِنْ ذَلِكَ الْجَيْشِ ; بِسَبَبِ مَنْعِهِ إِيَّاهُمُ اسْتِعْمَالَ إِبِلِ الصَّدَقَةِ، وَاسْتِرْجَاعِهِ مِنْهُمُ الْحُلَلَ الَّتِي أَطْلَقَهَا لَهُمْ نَائِبُهُ، وَعَلِيٌّ مَعْذُورٌ فِيمَا فَعَلَ، لَكِنِ اشْتُهِرَ الْكَلَامُ فِيهِ فِي الْحَجِيجِ، فَلِذَلِكَ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّتِهِ وَتَفَرَّغَ مِنْ مَنَاسِكِهِ وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَمَرَّ بِغَدِيرِ خُمٍّ، قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَبَرَّأَ سَاحَةَ عَلِيٍّ، وَرَفَعَ مِنْ قَدْرِهِ وَنَبَّهَ عَلَى فَضْلِهِ ; لِيُزِيلَ مَا وَقَرَ فِي نُفُوسِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ، وَسَيَأْتِي هَذَا مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ شُبْرُمَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي نُعْمٍ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ: «بَعَثَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ فِي أَدِيمٍ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬০


যীমাংসার কথা আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, ধ্া০ এ্যাৰুশু ৷ ১৷ ণ্১ণ্৷ >ৰু “আলী যা বলছে,
তা ব্যতীত আমিও অন্য কিছু জানি না ৷

আহমদ (র) আরো বলেন, শৃরারহ ইবনুন নুমান (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা) থেকে
এ মর্মে বষ্নাি করেন যে, আলী (রা ) এর ইয়ামানে অবস্থুন্যেকড়ালে তীর কাছে তিন ব্যক্তিকে
উপস্থিত করা হল, যাদের প্রত্যেকেই একটি শিশুকে তার নিজের সন্তান বলে দাবী করছিল,
আলী (বা) তাদের মাঝে লটাবী করলেন এবং যার নামে লটাবী উঠল তার বিরুদ্ধে দিয়তেব
দৃই-তৃতীয়াংশের রায় প্রদান করে সন্তানের অধিকার তাকে দিয়ে দিলেন ৷ মায়দ ইবন আরকাম
(রা ) বলেন, আমি নবী কবীম (সা) এর খিদমতে হাযির হয়ে আলী (রা ) এর এ বিচারের কথা
র্তাকে অবহিত করলাম ৷ নবী কবীম (না) এমনভাবে হাসলেন যে তীর মাড়ির র্দাত পর্যন্ত দেখা
গেল ৷ আবু দাউদ (র) ও নড়ানাঈ, আহমদ ও ইবন মাজা এ হাদীসখানা বিতিন্নসৃত্রে বিওয়য়োত
করেছেন ৷

মাসআলা : লটাবীর মাধ্যমে নসব ও বংশ সুত্র নির্ণয় প্রসঙ্গে ইমামগণের মাযহড়াব নসব
নির্ণয়ে কুরআ ও লটাবীর আশ্রয় নেয়ার অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আহমদ (র) এবং এ
অভিমত একাকী জরই ৷ আহমদ (র) আবু সাঈদ (র) আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, নবী কয়ীম (সা) আমাকে ইয়ামানে পাঠালেন, এক সময় আমরা এমন একটি
দলের কাছে পৌছলাম মারা সিংহ শিকারের জন্য খাদ এর ফীদ পেতেছিল ৷ (সিংহ তার মনের
মত ঝুপড়ি পেয়ে সে খাদে অবস্থান নিল ৷) লোকেরা হৈ-হল্লা করতে করতে আসছিল ৷
অতর্কিত এক ব্যক্তি খড়াদে পড়ে গেল, তার সাথে ধাক্কা লেগে গিয়ে আর এক ব্যক্তি এবং তার
সাথে আর এক ব্যক্তি এভাবে যেটি চার ব্যক্তি খাদে পড়ে গেল ৷ সিংহ তাদের সবাইকে বখম
করে দিল ৷ এক ব্যক্তি তার বল্লম দিয়ে সিংহের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে মেরে ফেলল ৷ আর
ঐ বখযী লোকগুলো সকলেই মারা গেল ৷ তখন নিহত প্রথম ব্যক্তির আপনজানরা অন্য ব্যক্তির
আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্যত হল এবং তারা আর হাতে বেড়িয়ে পড়ল ৷ এ
ঘটনার পরপরই আলী (বা) তাদের কাছে উপস্থিত হ্ণেপ ৷ তিনি ৩ ৷ শে র বললেন, তোমরা
পরস্পর হানাহানিতে উদ্যত হচ্ছে) অথচ আল্লাহর রাসুল (সা) এখনও জীবদ্দশায় রয়েছেন ৷
এসো ! আমি তোমাদের মাঝে বিচার-যীমাংসা করে দিচ্ছি, সন্তুষ্টচিত্তে তোমরা তা মেনে নিতে
পারলে উত্তম ৷ অন্যথায় আমি তোমাদের পরস্পরকে প্রতিহত করে রাখব, যতক্ষণ না তোমরা
নবী কবীম (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ৷ তিনি তোমাদের বিচার-মীমাংসা করে দেবেন ৷
এরপরেও যারা বড়াড়াবাড়ি করবে, তাদের কোন ন্যারসঙ্গত অধিকার থাকবে না ৷ গর্ত খননে
যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ৷:পাত্রসমুহ হতে রক্তপণ সংগ্রহ কর ৷ দিয়তের এক-চতৃর্থাংশ,
দিরতের এক-তৃতীয়াংশ, দিয়তের অর্বাংশ এবং একটি পুর্ণাঙ্গ দিয়ত ৷ প্রথম ব্যক্তির জন্য হবে
দিয়তের এক-চতুর্থাংশ ৷ (কেননা, সে সিংহের আঘাতে মারা গিয়েছে বটে, তবে অন্য
তিজােনর মৃত্যুর কারণও হয়েছে, দ্বিতীয় বজ্যি পরবর্তী দৃ’জনের ক্ষেত্রে মাধ্যম কড়ারণ’
তৃতীয় ব্যক্তি একজনের ক্ষেত্রে মাধ্যম কারণ’ হয়েছে; চতুর্থ ব্যক্তি তা হয় নি) ৷ দ্বিতীয় ব্যক্তি
এৰু-ভৃতীরাংশ দিয়ত, তৃতীয় ব্যক্তি অর্ধেক দিয়ত এবং চতুর্থ ব্যক্তি পুর্ণ দিতে পারে ৷
ণহ্মসমুহ এতে সম্মতি প্রদানে অস্বীকৃত হল ৷ পরে তারা নবী করীম (সা ) এর কাছে উপস্থিত

৫০ শে)



مَقْرُوظٍ، لَمْ تُحَصَّلْ مِنْ تُرَابِهَا. قَالَ: فَقَسَمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ ; بَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَالْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ، وَزَيْدِ الْخَيْلِ، وَالرَّابِعُ إِمَّا عَلْقَمَةُ - يَعْنِي بْنَ عُلَاثَةَ - وَإِمَّا عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: كُنَّا نَحْنُ أَحَقُّ بِهَذَا مِنْ هَؤُلَاءِ. فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَلَا تَأْمَنُونِي وَأَنَا أَمِينُ مَنْ فِي السَّمَاءِ، يَأْتِينِي خَبَرُ السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً؟! ". قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ، مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ، نَاشِزُ الْجَبْهَةِ، كَثُّ اللِّحْيَةِ، مَحْلُوقُ الرَّأْسِ، مُشَمَّرُ الْإِزَارِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اتَّقِ اللَّهَ. فَقَالَ: " وَيْلَكَ، أَوَلَسْتُ أَحَقَّ النَّاسِ أَنْ يَتَّقِيَ اللَّهَ؟! ". قَالَ: ثُمَّ وَلَّى الرَّجُلُ. قَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا أَضْرِبُ عُنُقَهُ؟ قَالَ: " لَا، لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ يُصَلِّي ". قَالَ خَالِدٌ: وَكَمْ مِنْ مُصَلٍّ يَقُولُ بِلِسَانِهِ مَا لَيْسَ فِي قَلْبِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لَمْ أُؤْمَرُ أَنْ أُنَقِّبَ عَنْ قُلُوبِ النَّاسِ، وَلَا أَشُقَّ بُطُونَهُمْ ". قَالَ: ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُقْفٍ، فَقَالَ: " إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمٌ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ رَطْبًا لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ". أَظُنُّهُ قَالَ: " لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ ثَمُودَ ".» وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬১
الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنْ كِتَابِهِ، وَمُسْلِمٌ فِي كِتَابِ الزَّكَاةِ مِنْ " صَحِيحِهِ " مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ إِلَى عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ. قَالَ: فَقُلْتُ: تَبْعَثُنِي إِلَى قَوْمٍ يَكُونُ بَيْنَهُمْ أَحْدَاثٌ وَلَا عِلْمَ لِي بِالْقَضَاءِ. قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ سَيَهْدِي لِسَانَكَ، وَيُثَبِّتُ قَلْبَكَ ". قَالَ: فَمَا شَكَكْتُ فِي قَضَاءٍ بَيْنَ اثْنَيْنِ بَعْدُ» وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ. قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَبْعَثُنِي إِلَى قَوْمٍ أَسَنَّ مِنِّي وَأَنَا حَدَثٌ لَا أُبْصِرُ الْقَضَاءَ؟! قَالَ: فَوَضْعُ يَدَهُ عَلَى صَدْرِي وَقَالَ ": اللَّهُمَّ ثَبِّتْ لِسَانَهُ، وَاهْدِ قَلْبَهُ. يَا عَلِيُّ، إِذَا جَلَسَ إِلَيْكَ الْخَصْمَانِ فَلَا تَقْضِ بَيْنَهُمَا حَتَّى تَسْمَعَ مِنَ الْآخَرِ كَمَا سَمِعْتَ مِنَ الْأَوَّلِ فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ تَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ ". قَالَ: فَمَا اخْتَلَفَ عَلَيَّ قَضَاءٌ بَعْدُ. أَوْ: مَا أُشْكِلَ عَلَيَّ قَضَاءٌ بَعْدُ.» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَأَبُو دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬২


হল ৷ তিনি তখন (বিদায় হজ্জ সম্পাদনরত) মক্যেমে ইবরাহীম’-এর কাছে অবস্থান করছিলেন ৷
তারা তীর কাছে ঘটনার পুর্ণ বিবরণ দিলে তিনি বললেন, আমি তোমাদের মাঝে ফড়ায়সালা করে
দিচ্ছি ৷ তখন আগত দলের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া বহসৃলাল্লাহ্! আলী (রা) তো আমাদের বিচার
করে দিয়েছিলেন ৷ এ কথা বলে সে বিচার ঘটনার পুর্ণ বিবরণ দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জর
অনুমোদন দিয়ে তা বহাল রাখবেন ৷ ইমাম আহমদ (র) এ হাদীস ওয়ার্কী (র)আলী (রা)
সনদেও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ যার বর্ণনা পুর্বানুরুপ ৷

দশম হিজরীতে অনুষ্ঠিত হফ্তেন্তুল বিদা

এ হজ্জটি একাধিক নামে পরিচিত ৷ যেমন, হাজ্জাভুল বালাপ (প্রচার অভিযানের হজ্জ)
হাজ্জড়াতুল ইসলাম (ইসলামের হজ্জ) এবং হাজ্জাতুল বিদা (বিদায় হজ্জ) ইত্যাদি ৷

যেহেতু নবী করীম (সা) এ হত্তজ্জ মুসলিম জনতাকে বিদায় বার্তা জ্ঞাপন করেছেন এবং
এরপরে আর হজ্জ করেন নি ৷ তাই এটিকে ৰিদায় হজ্জ’ নামে অভিহিত করা হয় ৷ আর
ইসলামের হজ্জ নামকরণের যুক্তি হল নবী করীম (সা ) মদীনা হতে (ইসলামী বিমানের
অন্তর্ভুক্ত হজ্জরুপে) আর কোন হজ্জ করেন নি; অবশ্য হিজরতের আগে নৰুয়াতপ্রাপ্তির আগে
পরে একাধিকবার হজ্জ করেছিলেন ৷ কথিত রয়েছে যে, হজ্জ ফরজ হওয়ার বিধান এ বছরই
অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ মতড়ান্তরে নবম হিজরী ও ষষ্ঠ হিজরীর কথাও বলা হয়েছে এবং একটি বিরল
ও একক বর্ণনায় হিজরত পুর্বকালে হজ্জ করব হওয়ার কথাও বর্ণিত হয়েছে ৷ হাজ্জাতুল বালাগ
বা প্রচার অভিযানের হজ্জ নামকরণের কারণ হল নবী করীম (না) এ সময় হজ্জ সম্পর্কে
আল্লাহ পাকের দেয়া বিধিবিধান বাণী ও কর্মের’ মাধ্যমে জনতাকে পৌছিয়ে দিয়েছিলেন এবং
ইসলামের নীতি আদর্শ ও মৌলিক বিধি সবগুলোই বর্ণনা করে দিয়েছিলেন ৷ নবী করীম (সা)
জনতার সামনে হজ্জ বিধান ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়াদির যথাযথ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রদান করে
ইসলামী শরীআত পৌছে দেয়ার দায়িতু সম্পাদন করেছিলেন ৷ তার অড়ারড়াফাতে অবস্থানঃ
কালেই মহান-মহীয়ান আল্লাহ্ এ আয়াত নাযিল করলেন-

“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ
সম্পন্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম” (৫ : ৩) ৷

আনুষঙ্গিক সব কিছুর বিশদ বিবরণ দেয়ার প্রয়াস আমরা পড়ার ৷ নবী কৰীম (না)-এর
বিদায় হৰ্জ্জর যথাযথ ও পুর্ণাঙ্গ রুপরেখা তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য ৷ কারণ, বিষয়টিতে
বপনাকারীদের যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে ৷ র্তারা যার যার জানা মতে বিবরণ দিয়েছেন, বিধায়
এত অধিক পার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ বিশেষত সাহাবী (রা)-এর পরবর্তী স্তরে এ মতপার্থকেব্রুর
আরো বিন্তুতি ঘটেছে ৷ আমরা আল্লাহ পাকের মদদ ও তাওফীকে ইমামগণের গ্রন্থসমুহে
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংগৃহীউ রিওয়ায়াতসমুহ উদ্ধৃত করব এবং সেগুলেড়ার মাঝে এমনভাবে সমন্বয়
সাধনের প্রয়াস পান বা এ বিষয় গভীর দৃষ্টি ও একনিষ্ঠ মনোযোগ প্রদানকারী এবং হাদীসের
শব্দ ও অর্থ এতদুভয়ের সুষম সমন্বয় প্ররাসী নিঃদ্যাত্সম্ভহীদ্দের গোইদা যিটিংয় তাদের প্ৰশান্তি
আনয়ন করবে ৷ আল্লাহ্ ক্রো এবং ত্তিন্থি আঃ!


شَرِيكٍ، وَالتِّرْمِذِيِّ مِنْ حَدِيثِ زَائِدَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حَنَشِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ - وَقِيلَ: ابْنِ رَبِيعَةَ الْكِنَانِيِّ الْكُوفِيِّ - عَنْ عَلِيٍّ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ «أَنَّ نَفَرًا وَطِئُوا امْرَأَةً فِي طُهْرٍ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِاثْنَيْنِ: أَتَطِيبَانِ نَفْسًا لِذَا؟ فَقَالَا: لَا. فَأَقْبَلَ عَلَى الْآخَرِينَ فَقَالَ: أَتَطِيبَانِ نَفْسًا لِذَا؟ فَقَالَا: لَا. فَقَالَ: أَنْتُمْ شُرَكَاءٌ مُتَشَاكِسُونَ. فَقَالَ: إِنِّي مُقْرِعٌ بَيْنَكُمْ. فَأَيُّكُمْ قَرَعَ أَغْرَمْتُهُ ثُلْثَيِ الدِّيَةِ، وَأَلْزَمْتُهُ الْوَلَدَ. قَالَ: فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " لَا أَعْلَمُ إِلَّا مَا قَالَ عَلِيٌّ ".» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا الْأَجْلَحُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، «عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ أَنَّ عَلِيًّا أُتِيَ فِي ثَلَاثَةِ نَفَرٍ، إِذْ كَانَ فِي الْيَمَنِ، اشْتَرَكُوا فِي وَلَدٍ، فَأَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَضَمِنَ الَّذِي أَصَابَتْهُ الْقُرْعَةُ ثُلْثَيِ الدِّيَةِ وَجَعَلَ الْوَلَدَ لَهُ. قَالَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ بِقَضَاءِ عَلِيٍّ، فَضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، وَالنَّسَائِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، كِلَاهُمَا عَنِ الْأَجْلَحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৩
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْخَلِيلِ - وَقَالَ النَّسَائِيُّ فِي رِوَايَتِهِ: عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْخَلِيلِ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ: إِنَّ ثَلَاثَةَ نَفَرٍ أَتَوْا عَلِيًّا يَخْتَصِمُونَ فِي وَلَدٍ، وَقَعُوا عَلَى امْرَأَةٍ فِي طُهْرٍ وَاحِدٍ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ: فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَقَدْ رَوَيَاهُ - أَعْنِي أَبَا دَاوُدَ وَالنَّسَائِيَّ - مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ أَوِ ابْنِ الْخَلِيلِ، عَنْ عَلِيٍّ قَوْلَهُ فَأَرْسَلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا عَنْ خُشَيْشِ بْنِ أَصْرَمَ، وَابْنِ مَاجَهْ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ صَالِحٍ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ بِهِ. قَالَ شَيْخُنَا فِي " الْأَطْرَافِ ": لَعَلَّ عَبْدَ خَيْرٍ هَذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْخَلِيلِ، وَلَكِنْ لَمْ يَضْبُطِ الرَّاوِي اسْمَهُ. قُلْتُ: فَعَلَى هَذَا يَقْوَى الْحَدِيثُ، وَإِنْ كَانَ غَيْرُهُ كَانَ أَجْوَدَ لِمُتَابَعَتِهِ لَهُ، لَكِنَّ الْأَجْلَحَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيَّ فِيهِ كَلَامٌ مَا، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৪


গ্রাম ষুদ্যে৷ ৩ পরবর্তী যুগের শীর্ষস্থানীয় ইমামগণের অনেবেইি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ
স্টে! ন্সা ৰিা:গ্ৰ্ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন ৷ এমনকি আবু মুহাম্মদ ইবন হড়াষ্াম আল-
র্টদুষ্কৃদী (র) বিদায় হজ্জ শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন ৷ এতে তিনি
লোঃ পারদৰীতাি ও বত’নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন ৷ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি ৰিচ্যুতির
ট্যাং হয়েছেন আমরা য়থাস্থালে যে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করব ৷ আল্লাহ্ই আমাদের সহায় !

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ ও উমরার সং থ্যা প্রসঙ্গ

নবী কবীম (সা) মদীনা হতে একবার মাত্র হজ্জ করেছেন এবং তার আগে তিনবার উমরা
পালন করেছেন ৷ বুখাবী ও মুসলিম (র), হুদরা (র)আনাস (রা) সুত্রে এ মদ্বেইি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আনাস (র ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মোট চারটি উমরা আদায় করেছেন; এর
প্রতিটি ছিল যিলকদ মাংস, তবে তার হৰুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরাটি এর ব্যতিক্রম (সেটি
ছিল জ্জিহজ্জ মাসে) ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র)আবু হুরায়রা (রা) হতে হাদীসটি অনুরুপ ৷রিওয়ায়ভে
ৰ্হৃরছেন ৷ তার মা দ ইবন মানসুর (র) দারাওয়ারদী (র) আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনটি উমরা করেছিলেন; একটি উমরা
শাওয়াল মাসে এবং দুটি উমরা জিলকদ মাসে ৷ ইবন বুকায়র (র)হিশাম ইবন উরওয়া
(রা) সুত্রে হাদীসটি অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আমৃর ইবন শুআয়ব (র)৩ তীর পিতা তার দাদা
সনদে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ৷৩) ৷তিনরার উমরা আদায় করেছেন; প্রতিবারই ছিল জিলকদ মাসে ৷ অন্য
একটি রিওয়ায়াতে আহমদ (র) বলেন, আবুন নাবৃর (র) (দাউদ আল আক্তার (র)
সনদে)ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) চারবার উমরা
যাত্রা করেছেন ৷ হুদায়বিয়ার উমর৷ , (পরবর্তী বছরে) উমরাতুল কাযা , তৃর্তীয়বার (হুনায়ন
অভিযান শেরে) জিইবৃরানা হতে এবং চতুর্থরার যেটি ছিল তীর হরুজ্জর সাথে ৷ আবু দাউদ,
তিরমিষী ও নাসাঈ (র)-ও এ হাদীসখানা দাউদ আল আত্তার (র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন
এবং তিরমিযী এটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন ৷

(উমর তল জিইররানা অনুচ্ছেদে সং শ্রিষ্ট বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে
নবী করীম (সা ) ৷কিরান হজ্জ আদায় করেছিলেন শীর্ষক আরো আলোচনা করা হবে ৷)

উল্লিখিত উমরাসমুহের প্রথমটি হুদায়ৰিয়ার উমরা যাতে নবী করীম ( সা) (মক্কাবাসীন্সের
দ্বারা) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ তার পরে উমরাতৃল কাযা যা উমরা৩ টুল কিসাস ও উমরাতুল
কাযিয়্যা নামেও (সবগুলো বদলী উমরা অর্থে) অভিহিত হয়েছে ৷

তারপর উমরাতুল জিইররানা তাইফ অভিযানরু হতে ৩প্ৰত্যাবতনকড়ালে যখন হুনায়ন অভিযানে
লব্ধ গনীমত বণ্টন করেছিলেন, তখন জিইবৃরানা নামক স্থান হতে ইহ্রাম বেধে যে উমরা
আদায় করেছিলেন ৷ আমরা যথান্থানে এ সবগুলোর আলোচনা করে এসেছি ৷ চতুর্থ উমর৷ হল
নবী করীম (সা ) এর হব্লুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরা ৷ এ উমরার ব্যাপারে বর্ণনাকাবীদের
ৰিজ্যি অভিমতের প্রতি আমরা আলোকপাত করব ৷ এ বিষয় মুল মত পার্থক্য মোট :ি -টি


ذَهَبَ إِلَى الْقَوْلِ بِالْقُرْعَةِ فِي الْأَنْسَابِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَهُوَ مِنْ أَفْرَادِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَانْتَهَيْنَا إِلَى قَوْمٍ قَدْ بَنَوْا زُبْيَةً لِلْأَسَدِ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ يَتَدَافَعُونَ إِذْ سَقَطَ رَجُلٌ فَتَعَلَّقَ بِآخَرَ، ثُمَّ تَعَلَّقَ رَجُلٌ بِآخَرَ، حَتَّى صَارُوا فِيهَا أَرْبَعَةً فَجَرَحَهُمُ الْأَسَدُ، فَانْتَدَبَ لَهُ رَجُلٌ بِحَرْبَةٍ فَقَتَلَهُ، وَمَاتُوا مِنْ جِرَاحَتِهِمْ كُلُّهُمْ، فَقَامَ أَوْلِيَاءُ الْأَوَّلِ إِلَى أَوْلِيَاءِ الْآخَرِ فَأَخْرَجُوا السِّلَاحَ لِيَقْتَتِلُوا، فَأَتَاهُمْ عَلِيٌّ عَلَى تَفِئَةِ ذَلِكَ فَقَالَ: تُرِيدُونَ أَنْ تَقَاتَلُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيٌّ؟! إِنِّي أَقْضِي بَيْنَكُمْ قَضَاءً إِنْ رَضِيتُمْ فَهُوَ الْقَضَاءُ، وَإِلَّا حَجَزَ بَعْضُكُمْ عَنْ بَعْضٍ حَتَّى تَأْتُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَكُونُ هُوَ الَّذِي يَقْضِي بَيْنَكُمْ، فَمَنْ عَدَا بَعْدَ ذَلِكَ فَلَا حَقَّ لَهُ، اجْمَعُوا مِنْ قَبَائِلِ الَّذِينَ حَضَرُوا الْبِئْرَ رُبْعَ الدِّيَةِ، وَثُلُثَ الدِّيَةِ، وَنِصْفَ الدِّيَةِ، وَالدِّيَةَ كَامِلَةً، فَلِلْأَوَّلِ الرُّبُعُ ; لِأَنَّهُ هَلَكَ مَنْ فَوْقَهُ وَلِلثَّانِي ثُلْثُ الدِّيَةِ، وَلِلثَّالِثِ نِصْفُ الدِّيَةِ، وَلِلرَّابِعِ الدِّيَةُ. فَأَبَوْا أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৫
يَرْضَوْا، فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عِنْدَ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ، فَقَصُّوا عَلَيْهِ الْقِصَّةَ، فَقَالَ: " أَنَا أَحْكُمُ بَيْنَكُمْ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَلِيًّا قَضَى فِينَا. فَقَصُّوا عَلَيْهِ الْقِصَّةَ، فَأَجَازَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ فَذَكَرَهُ.