আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

وفد بني ثعلبة

وفد بني محارب

পৃষ্ঠা - ৩৮১৮


বাম দিক থেকে এলাম ৷ এবারও তিনি মুখ ঘুরিয়ে নিলে আমি তার সামনে থেকে এসে
বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! মহান ও মহীয়ান আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করতে চাইলে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে
যান; আপনি আমার উপরে সন্তুষ্ট হউন আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন ! তিনি বললেন ১এ
“আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম ৷

উকায়ল ইবন কাব গোত্রের প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ

ওয়াকিদী (র) বর্ণনা দিয়েছেন, র্তারা রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে উপস্থিত হলে তাদের নামে
আল আকীক (বনু আকীলের উপত্যকা) উপত্যকা জাগীরস্বরুপ দিলেন ৷ আকীক হল থেত্ত;রে
গাছ ও পানির প্রস্রবণ বিশিষ্ট একটি ভুষ্তাগ ৷ একটি বিষয় একটি সনদপত্রও লিখে দিলেন,

ন্এো

বিসমিল্লাহির রড়াহ্মানির রাহীম, এ হল রাৰী ৷ মুতাবৃরিফ ও আনাসকে প্রদত্ত ঘুহাম্মাদৃর
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফরমান ৷ তিনি তাদের আকীক উপত্যকার জায়গীর বরাদ্দ দিয়েছেন যতদিন
তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আনুগত্য করে লেবে ৷ <;কান মুসলমানের
প্রাপ্য হক তাদের তিনি দেন নি ৷ এ সনদপত্র মুতাবৃরিফের হিফাজতে ছিল ৷ বর্ণনাকারী (ওয়াকিদী)
বলেন, আবু রাযীন লার্কীত ইবন আমির ইবনুল যুনতাফিক ইবন আমির ইবন উকায়লও এ সময়
প্রতিনিধিরুপে এসেছিলেন ৷ নবী করীম (না) তাকে আন-নাজীম’ কুপের বরাদ্দ দিলেন এবং তার
সম্প্রদায়ের অনুকুলে তার বায়আত গ্রহণ করলেন (তার আগমন ও আনুষঙ্গিক ঘটনা ও সুদীর্ঘ
হাদীস আমরা ইতোপুর্বে বিবৃত করে এসেছি আল-হড়ামদু লিল্লাহ্ ! ) ৷

কুশায়র ইবন কাব গোত্রের প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ

তাদের আগমন হয়েছিল বিদায় হরুজ্জর আগে, বরং হুনায়ন অতিযানেরও আগে ৷ তাদের
মাঝে বিশেষ উল্লেখযোগ্য নাম হল কুবৃরা ইবন হুবায়রা ইবন (আমির ইবন) সালামা আল
খড়ায়র ইবন কুশায়র, কুবৃরা (বা) ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে উপচৌকন
সামগ্রী দিলেন এবং তাকে একটি চাদরও পরিয়ে দেন ৷ তিনি তাকে তার গোত্রের যাকাত
উসুলকারী নিয়োগ করলেন ৷ কুবৃরড়া (বা) প্রত্যাবর্তনকালে এ কবিতা বললেন-

তাকে (আমার বাহন উটনী তথা তার আরোহীকে) রাসুলুল্লাহ্ (না) দান’ করলেন ৷ যখন
সে তার কাছে এসে উপস্থিত হল, তার জন্য ব্যবস্থা করলেন অফুরন্ত উপহার সামপ্রীর
রাওয়াদুল খাদির’-এ সে দ্রুত গতিতে পথ অতিক্রম করতে লাগল ৷ তখন সে মুহাম্মদের
নিকট থেকে তার প্রয়োজনওলাে পুরণ করে এসেছে ৷

তার আরােহী এক তরুণ, যার হাওদা’ দুর্নড়ামকে সহআরোহী করে না; উপায়হীন দ্বিধাপ্রস্ত
অক্ষম ব্যক্তির সেবার সে সদা আত্মনিবেদিত ৷

বনুল ৰাক্কা’ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ

বর্ণনা মতে এ দলের আগমন হয়েছিল নবম হিজরীতে এবং ৎখ্যায় এরা ছিলেন ত্রিশজন ৷
মুআবিয়া ইবন নুর ইবন (ঘুআবিয়া ইবন উবাদা উবনুল ধাক্কা) ছিলেন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ৷


[وَفْدُ بَنِي ثَعْلَبَةَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِعْرَانَةَ سَنَةَ ثَمَانٍ، قَدِمْنَا عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ، فَقُلْنَا: نَحْنُ رُسُلُ مَنْ خَلْفَنَا مِنْ قَوْمِنَا، وَهُمْ يُقِرُّونَ بِالْإِسْلَامِ. فَأَمَرَ لَنَا بِضِيَافَةٍ وَأَقَمْنَا أَيَّامًا، ثُمَّ جِئْنَاهُ لِنُوَدِّعَهُ، فَقَالَ لِبِلَالٍ: " أَجْزِهِمْ كَمَا تُجِيزُ الْوَفْدَ ". فَجَاءَ بِنُقَرٍ مِنْ فِضَّةٍ، فَأَعْطَى كُلَّ رَجُلٍ مِنَّا خَمْسَ أَوَاقٍ، وَقَالَ: " لَيْسَ عِنْدَنَا دَرَاهِمُ ".» وَانْصَرَفْنَا إِلَى بِلَادِنَا. [وَفْدُ بَنِي مُحَارِبٍ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي وَجْزَةَ السَّعْدِيِّ قَالَ: «قَدِمَ وَفْدُ مُحَارِبٍ سَنَةَ عَشْرٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَهُمْ عَشَرَةُ نَفَرٍ فِيهِمْ، سَوَاءُ بْنُ الْحَارِثِ، وَابْنُهُ خُزَيْمَةُ بْنُ سَوَاءٍ، فَأُنْزِلُوا دَارَ رَمْلَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، وَكَانَ بِلَالٌ يَأْتِيهِمْ