আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

قدوم وافد فروة بن عمرو الجذامي صاحب بلاد معان بإسلامه على رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ৩৮১১


বেরিয়ে পড়বে ৷ তারপর বলল, বায়সান’ খেজুর বাগানের খবর কী ? তাতে কি ফল ধরতে শুরু
করেছে? আমরা বললাম, হী, তা ফল দিতে শুরু করেছে ৷ সে আগের বারের মত জোরে
লাফিয়ে উঠল ৷ তারপর বলল, শুনে রেখাে ৷ আমাকে বেরিয়ে আসার অবকাশ দেয়া হলে
তায়বা’ ব্যতীত সারা দুনিয়া আমি মাড়িয়ে দেব ৷ রাবী ফাতিমা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তামীম (রা)-কে ঘরের বাইরে নিয়ে আসলে তিনি লোকদের এ ঘটনা শেনোংলন ৷ নবী করীম
(সা) তখন বললেন, এ (মদীনা) হল তায়বা’ (পবিত্র ভুমি) আর ঐ লোকটি হল দাজ্জাল’ ৷

ইমাম আহমদ, মুসলিম ও অন্যান্য সুনান সৎকলকগণ এ হাদীসখানি একাধিক সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা
(বা) থেকে এ হাদীসের সমর্থক রিওয়ায়াত বিবৃত করেছেন, কিতাবুল ফিতান’ ফিতনা :
অধ্যায়ে এ হাদীসের’ বিশদ বিবরণ উল্লিখিত হবে ৷

বনু আসাদ গোত্রের প্রতিনিধিদল প্রসঙ্গ

(এ পর্যায়ে ওয়াকিদী (র) লাখমী’দের শাখা দারিস’ উপগােত্রের দশ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিনিধি দলের আগমনী বিবরণ দিয়েছেন) ৷

বিবরণটি নিম্নরুপ নবম হিজয়ীর প্রথমভাগে বনু আসাদ প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সকড়াশে উপস্থিত হয়, তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল দশ ৷ এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যিরার
ইবনুল আঘৃওয়ার, ওয়াবিসা ইবন মাবাদ, তুলায়হা ইবন খুওয়ায়লিদ (পরবর্তীতে নৰুয়তের
মিধ্যা দাবীদার এবং আরো পরে মুসলমান হয়ে র্খাটি ইসলামী জীবন যাপনকারী) ও নাফাযা
(মতান্তরে নাকাদা) ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খালাফ ৷ দল নেতা হাদরামী ইবন আমির রাসুলুল্পাহ্
(সা)কে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! নিঝুম রাতের বর্য পরিধান করে এক খরা পীড়িত বছরে
আমরা আপনার কাছে এসেছি আপনি আমাদের বিরুদ্ধে কোন বাহিনীও পাঠাননি (অর্থাৎ
স্বেচ্ছায় এসেছি) ৷ তখন তাদের সম্পর্কে নাযিল হল

ণ্ক্লী১ব্র১ :ষ্ ণ্র্চুএৰুং
া)অ্যাং
“তারা আত্মসমর্পণ করেছে ৰ্ৰুল (তামাকে ধন্য করেছে ম্ৰুন করে বল, (তামাদের

আত্মসমর্পণ আমাকে ধন্য করেছে, মনে করো না ৷ বরং আল্লা ইে ঈমানের দিকে পথ দেখিয়ে
তোমাদের প্ৰতি করুণা করেছেন; যদি তোমরা সত্যব্যদী হও (৪৯ : ১৭) ৷

এদের মাঝে বনুর-রাতিয়্যাহ (আভিধানিক অর্থে কঠোরতা সম্পন্ন) নামে একটি উপগােত্র
ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নাম পরিবর্তন করে বললেন, “তোমরা বাবুর রুশৃদা :
(সুমতিপ্রাপ্ত পরিবার) ৷ নবী করীম (সা) নাফাদা, ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন ধ্লােফ্এর কাছ
একটি উটনী হাদিয়াস্বরুপ চেয়েছিলেন, যা সহজ আরোহনীয় ও তার সাখে তার বক্ষো না
থাকলেও সহজে দোহনযোগ্য হয় ৷ কিন্তু নাফাদা অনেক খুল্লেও এমন জো গেল না ৷
অবশেষে তার এক জ্ঞাতি ভাইয়ের কাছে তা পাওয়া গেল ৷ সেটি নিম্নে অ্যাষ্ক হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) র্তীকে সেটি দােহন করতে বললেন ৷ তিনি নিজে সে দুধ পান ন্সেলন অবশিষ্ট দুধ
দোহনকারীকে পান করালেন ৷ তারপর তিনি বললেন-


جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُحَارِبِيِّ بِبَعْضِهِ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ جَامِعٍ، عَنْ طَارِقٍ بِطُولِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَالَ فِيهِ: فَقَالَتِ الظَّعِينَةُ: لَا تَلَاوَمُوا، فَلَقَدْ رَأَيْتُ وَجْهَ رَجُلٍ لَا يَغْدِرُ، مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَشْبَهَ بِالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ مِنْ وَجْهِهِ. [قُدُومُ وَافِدِ فَرْوَةَ بْنِ عَمْرٍو الْجُذَامِيِّ صَاحِبِ بِلَادِ مُعَانَ بِإِسْلَامِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] َ، وَأَظُنُّ ذَلِكَ إِمَّا بِتَبُوكَ أَوْ بَعْدَهَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ فَرْوَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ النَّافِرَةِ الْجُذَامِيُّ، ثُمَّ النُّفَاثِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولًا بِإِسْلَامِهِ، وَأَهْدَى لَهُ بَغْلَةً بَيْضَاءَ، وَكَانَ فَرْوَةُ عَامِلًا لِلرُّومِ عَلَى مَنْ يَلِيهِمْ مِنَ الْعَرَبِ، وَكَانَ مَنْزِلُهُ مُعَانَ وَمَا حَوْلَهَا مِنْ أَرْضِ الشَّامِ، فَلَمَّا بَلَغَ الرُّومَ ذَلِكَ مِنْ إِسْلَامِهِ طَلَبُوهُ حَتَّى أَخَذُوهُ، فَحَبَسُوهُ عِنْدَهُمْ فَقَالَ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৮১২
مَحْبِسِهِ ذَلِكَ: طَرَقَتْ سُلَيْمَى مَوْهِنًا أَصْحَابِي ... وَالرُّومُ بَيْنَ الْبَابِ وَالْقِرْوَانِ صَدَّ الْخَيَالُ وَسَاءَهُ مَا قَدْ رَأَى ... وَهَمَمْتُ أَنْ أُغْفِي وَقَدْ أَبْكَانِي لَا تَكْحُلِنَّ الْعَيْنَ بَعْدِي إِثْمِدًا ... سَلْمَى وَلَا تَدْنِنَّ لِلْإِتْيَانِ وَلَقَدْ عَلِمْتَ أَبَا كُبَيْشَةَ أَنَّنِي ... وَسْطَ الْأَعِزَّةِ لَا يُحَصُّ لِسَانِي فَلَئِنْ هَلَكْتُ لَتَفْقِدُنَّ أَخَاكُمُ ... وَلَئِنْ بَقِيتُ لَيَعْرِفُنَّ مَكَانِي وَلَقَدْ جَمَعْتُ أَجَلَّ مَا جَمَعَ الْفَتَى ... مِنْ جَوْدَةٍ وَشَجَاعَةٍ وَبَيَانِ قَالَ: فَلَمَّا أَجْمَعَتِ الرُّومُ عَلَى صَلْبِهِ عَلَى مَاءٍ لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: عِفْرَى بِفِلَسْطِينَ قَالَ: أَلَا هَلْ أَتَى سَلْمَى بِأَنَّ حَلِيلَهَا ... عَلَى مَاءِ عِفْرَى فَوْقَ إِحْدَى الرَّوَاحِلِ عَلَى نَاقَةٍ لَمْ يَضْرِبِ الْفَحْلُ أُمَّهَا ... مُشَذَّبَةٍ أَطْرَافُهَا بِالْمَنَاجِلِ قَالَ: وَزَعَمَ الزُّهْرِيُّ أَنَّهُمْ لَمَّا قَدَّمُوهُ لِيَقْتُلُوهُ قَالَ: بَلِّغْ سَرَاةَ الْمُسْلِمِينَ بِأَنَّنِي ... سِلْمٌ لِرَبِّي أَعْظُمِي وَمَقَامِي قَالَ: ثُمَّ ضَرَبُوا عُنُقَهُ وَصَلَبُوهُ عَلَى ذَلِكَ الْمَاءِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَرَضِيَ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ وَجَعَلَ الْجَنَّةَ مَثْوَاهُ.