আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

وفادة الحارث بن حسان البكري إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ৩৮০৬


এস্এি



সম্ভবত তোমাদের এ সাথী আল্লাহর কাছে বাদশাহ সুলায়মান (আ)-এর চাইতেও উত্তম ৷
কােনা, মহান মহীয়ান আল্লাহ পাক যত নবী পাঠিয়েছেন, প্রত্যেকটি একটি বিশেষ দুঅড়াব
ইখতিয়ার দিয়েছেন ৷ নবীগণেব কেউ কেউ সে দুআটি পার্থিব প্রয়োজন পুরণে গ্রহণ করেছেন,
তাই দুনিয়ার জকে তাই দেয়া হয়েছে ৷ কোন কোন নবী তার কওম তীর অবাধ্য হলে তাদের
জন্য বদ-দুআ করেছেন, ফলে তাদের ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ৷ আল্লাহ্ আমাকেও একটি
বিশেষ দুআর ইখতিয়ার দিয়েছেন, আমি তা কিয়ড়ামতের দিন আমার প্রতিপালকের দরবারে
আমার উম্মতের জন্য শাকাআত করার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রেখেছি ৷”

তারিক ইবন আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গীদের আগমন প্রসঙ্গ

হাফিজ বায়হাকী (র) আবু খাব্বাব আল-কালবী (ব) থেকে তারিক ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে
বলেন, তিনি বলেছেন, “আমি যুল মাজায’ বাজারে দাড়িয়েছিলাম ৷ তখন জুববা পরিহিত এক
ব্যক্তি এগিয়ে আসলে ৷ সে বলছিল, লোক সকল! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ স্বীকার করে নাও,
তোমরা সফলতা লাভ করবে ৷ আর এক ব্যক্তি তাকে কঙ্কর ছুড়তে ছুড়তে তার পিছু পিছু
আসছিল ৷ সে বলছিল, লোক সকল ! এ লোকটি মিথুদ্রক ৷ আমি বললাম, (সামনের) এ লোকটি
কে? লোকেরা বলল, এ হচ্ছে বনু হাশিম পরিবারের এক তরুণ যে নিজেকে আল্লাহর রাসুল
বলে দাবী করে থাকে ৷ ’ আমি বললাম, আর যে লোকটি তার সাথে এ আচরণ করে চলেছে সে
লোকটি কে? তারা বলল, যে তার চাচা আবদুল উঘৃবা ৷ তারিক (বা) বলেন, এরপর লোকেরা
ইন্সাম গ্রহণ করে যখন হিজ্যাত করল, তখন মদীনা থেকে খেজুর ও রসদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে
আমরা রাবামা থেকে মদীনা অভিমুখে সফর করলাম ৷ মদীনায় বাগ-বাগিচার ও খেজুর ৰিথীর
কাছাকাছি পৌছলে আমি বললাম, এখানে নেমে পড়ে আমাদের পোশাক পাল্টে নিলে মন্দ হয়
না ৷ ইতোমধ্যে দু’খানা পুরান কাপড় পরা এক ব্যক্তি এসে আমাদের সালাম করে বলল, এ
ক্রো৷ কােথেকে আসছে? আমরা বললাম, রাবাবা থেকে ৷ লোকটি বললো, গতব্য কোথায়?
স্কো কালাম, এ মদীনায় উদ্দেশ্যেই আগমন ৷ লোকটি বলল, এখানে কী প্রয়োজনে
তোমাদের আগমন? আমরা বললাম, বেচাকেনা করে এখানকার খেজুর সংগ্রহ করবো ৷
আমাদের সাথে এক হাওদানাশীনা ও তার বাহন রয়েছে, আরও রয়েছে নাকে রশি পাথা একটি
দল উট ৷ সে বলল, ণ্তামাদের এ উটটি আমার কাছে রেচবে কি ? আমরা বললাম, হী, এত
এত মা১ খুরমার বিনিময়ে ৷ তারিক (বা) বলেন, লোকটি আমাদের দাবীকৃত শুন্য থেকে কিছু
ৰ্ষ্ম করতে না বলেই উটের দড়ি ধরে চলে যেতে লাগল ৷ লোকটি বাগানের বেষ্টনী দেয়াল ও
ড্রো সারির আড়ালে চলে গেলে আমরা বলড়াবলি করলাম ৷ কাজটা কী করলাম, আল্লাহর
ৰ্ষ্াৰদ্র আমরা তো কোন পরিচিত লোকের কাছে উটটি বিক্রি করি নি, তবুও তার কাছ থেকে



১ স্য (ল্লুস্কষ্) সাড়ে তিন থেকে পৌনে চার সের; আট পাউন্ড (বা এক গ্যালন) ওযনের সমপরিমাণ ৷
ষ্ধ্ষ্ট্যাং ৷ অনুবাদক

[وِفَادَةُ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانٍ الْبَكْرِيِّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي أَبُو الْمُنْذِرِ سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّحْوِيُّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الْحَارِثِ الْبَكْرِيِّ قَالَ: «خَرَجْتُ أَشْكُو الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَرَرْتُ بِالرَّبَذَةِ، فَإِذَا عَجُوزٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مُنْقَطِعٌ بِهَا، فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنَّ لِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجَةً، فَهَلْ أَنْتَ مُبَلِّغِي إِلَيْهِ؟ قَالَ: فَحَمَلْتُهَا، فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَإِذَا الْمَسْجِدُ غَاصٌّ بِأَهْلِهِ، وَإِذَا رَايَةٌ سَوْدَاءُ تَخْفِقُ وَبِلَالٌ مُتَقَلِّدٌ السَّيْفَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُ النَّاسِ؟ قَالُوا: يُرِيدُ أَنْ يَبْعَثَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَجْهًا. قَالَ: فَجَلَسْتُ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ - أَوْ قَالَ: رَحْلَهُ - فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي، فَدَخَلْتُ فَسَلَّمْتُ، فَقَالَ: " هَلْ كَانَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ تَمِيمٍ شَيْءٌ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ، وَكَانَتِ الدَّائِرَةُ عَلَيْهِمْ، وَمَرَرْتُ بِعَجُوزٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مُنْقَطِعٌ بِهَا، فَسَأَلَتْنِي أَنْ أَحْمِلَهَا إِلَيْكَ، وَهَاهِيَ بِالْبَابِ. فَأَذِنَ لَهَا فَدَخَلَتْ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ تَمِيمٍ حَاجِزًا فَاجْعَلِ الدَّهْنَاءَ.
পৃষ্ঠা - ৩৮০৭
فَحَمِيَتِ الْعَجُوزُ وَاسْتَوْفَزَتْ، وَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيْنَ يُضْطَرُّ مُضَرُكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: إِنَّمَا مَثَلِي مَا قَالَ الْأَوَّلُ: مِعْزًى حَمَلَتْ حَتْفَهَا. حَمَلْتُ هَذِهِ وَلَا أَشْعُرُ أَنَّهَا كَانَتْ لِي خَصْمًا، أَعُوذُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ أَنْ أَكُونَ كَوَافِدِ عَادٍ. قَالَ: " هِيهِ، وَمَا وَافِدُ عَادٍ؟ " وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْحَدِيثِ مِنْهُ، وَلَكِنْ يَسْتَطْعِمُهُ. قُلْتُ: إِنَّ عَادًا قُحِطُوا فَبَعَثُوا وَافِدًا لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: قَيْلٌ. فَمَرَّ بِمُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرٍ، فَأَقَامَ عِنْدَهُ شَهْرًا يَسْقِيهِ الْخَمْرَ، وَتُغَنِّيهِ جَارِيَتَانِ يُقَالُ لَهُمَا: الْجَرَادَتَانِ. فَلَمَّا مَضَى الشَّهْرُ خَرَجَ إِلَى جِبَالِ مَهَرَةَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَجِئْ إِلَى مَرِيضٍ فَأُدَاوِيهْ، وَلَا إِلَى أَسِيرٍ فَأُفَادِيهْ، اللَّهُمَّ اسْقِ عَادًا مَا كُنْتَ تَسْقِيهْ. فَمَرَّتْ بِهِ سَحَابَاتٌ سُودٌ فَنُودِيَ مِنْهَا: اخْتَرْ. فَأَوْمَأَ إِلَى سَحَابَةٍ مِنْهَا سَوْدَاءَ فَنُودِيَ مِنْهَا: خُذْهَا رَمَادًا رَمْدَدًا، لَا تُبْقِي مِنْ عَادٍ أَحَدًا. قَالَ: فَمَا بَلَغَنِي أَنَّهُ أُرْسِلَ عَلَيْهِمْ مِنَ الرِّيحِ، إِلَّا بِقَدْرِ مَا يَجْرِي فِي خَاتَمِي هَذَا، حَتَّى هَلَكُوا. قَالَ أَبُو وَائِلٍ