আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

قدوم الأشعريين وأهل اليمن

পৃষ্ঠা - ৩৭৬৭

বাহ্রায়ন ও ওমান এর ঘটনা

কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সুত্রে বর্ণিত যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে বলেছিলেন, বাহরায়নের মাল এসে পড়লে তোমাকে এই এই এই পরিমাণ দিয়ে
দিতাম, এই পরিমাণ তিনি তিনবার বললেন ৷ কিন্তু বাহবায়নের মাল আসার আগেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ আবু বকর (রড়া) খলীফা হলে তার কাছে সে মালামাল
এল ৷ তিনি এক ঘোষককে এ যেষ্মেণড়া দিতে বললেন, “নবী করীম (সা) এর কাছে যার কোন
পড়াওনা বা ওয়াদা রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে ৷ জারির (বা) বলেন, আমি আবু বকর
(রা)এর কাছে গিয়ে জকে জানালাম যে, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “বাহরায়নের মাল
এসে পড়লে তোমাকে এত, এত এবং এত পরিমাণ দিয়ে দিতাম ৷ তিনবার বলেছিলেন ৷
জারির (বা) বলেন, আবু বকর (বা) আমার কথায় মনোযোগ দিলেন না ৷ তাই পরে আবার
আমি তার সাথে লড়াক্ষাত করে আমার দাবী জানালার ৷ কিন্তু তখনও তিনি আমাকে কিছু দিলেন
না ৷ তৃতীয়বার আমি তার কাছে যাওয়ার পরেও তিনি আমাকে কিছু দিলেন না ৷ তখন আমি
তাকে বললাম , বারবার আমি আপনার কাছে এলায, কিন্তু আপনি আমাকে কিছুই দিলেন না ৷
হয় আপনি আমাকে কিছু দিয়ে দিন, না হয় বখিলী করুন ৷ তিনি বললেন, তুমি বখিলী’ ও
কিপটেষী করার কথা বললে? কিপটিমির চাইতে জঘন্য বদভ্যাস আর কী হতে পারে ? তিনি
কথাটি তিনবার বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, যতবারই আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি,
আমার সিদ্ধান্ত ছিল তোমাকে দেয়ার ৷ এক্ষেত্রে বুখরীি (র) হাদীসটি অনুরুপই রিওরায়াত
করেছেন ৷ মুসলিম (র) ও আমৃর আন নাকিদ (র)সুফিয়ড়ান (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওরড়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আঘৃর (র)জারির ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) কে বলতে শুনেছি,আমি আবু বকর (রড়া)এর কাছে গোলে তিনি (কিছু মুদ্রা
দিয়ে) বললেন, এগুলো গুণে ফেল ৷ গুণে দেখলাম পাচশ রয়েছে, তিনি বললেন, ওর সাথে
আরো দ্বিগুণ নিয়ে যাও ৷’

বৃখারী (র) আলী ইবনুল মাদীনী (র)জারির (বা) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অন্যত্র বুখারী (র) এবং মুসলিম (র)ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন৷ তার
অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছেন্শ্ আবু বকর (বা) তাকে নির্দেশ দিলে তিনি আজলা ভরে
দিরহড়াম ( রৌপ্যযুদ্রা) তুললেন এবং সেগুলো ওণে দেখলেন যে তাতে গাচশ’ রয়েছে ৷ তখন
আবু বকর (বা) আরো দৃবার তার সমপরিমাণ দিয়ে দানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ অর্থাৎ
তাকে প্রদত্ত মোট মুদ্রার পরিমাণ ছিল দেড়হজাের দিরহাম ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফারওয়া ইবন মিসৃসীক আলমুরড়াদীর প্রতিনিধিরুপে আগমন

ইব ন ইসহাক (র) বলেন,কিনদার সামত রজােদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফারওয়া ইবন
মিসৃসীক আল-মুরাদী রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷ ইসলামের আরিভাবের
প্রাক্কালে তার গোত্র মুরাদ’ ও পার্শ্ববর্তী হামাদড়ান গোত্রের মাঝে লড়াই বেধেছিল এবং তাতে


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَاصِرٌ خَيْبَرَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ بَعْدَ الْفَتْحِ، فَرَضَخَ لَهُمْ شَيْئًا مِنَ الْغَنِيمَةِ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ مُطَوَّلًا فِي مَوَاضِعِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: [قُدُومُ الْأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ الْيَمَنِ] وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً، وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الْإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالْفَخْرُ وَالْخُيَلَاءُ فِي أَصْحَابِ الْإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ فِي أَهْلِ الْغَنَمِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ، أَضْعَفُ قُلُوبًا، وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً، الْفِقْهُ يَمَانٍ، وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ ".» ثُمَّ رَوَيَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالْفِتْنَةُ هَاهُنَا ; هَاهُنَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৮


হামাদানীৱা তার পােত্ররুক পরিজিত করে ও তাদের রভ্রুক্তা বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ৷ এ যুদ্ধ
ইয়ড়াওযুর-রাদ্ম নামে পরিচিত ৷ এতে হামাদানীদের সেনাপতি ছিল আল-আজদা ইবন
মালিক ইবন হিশামের মতে তার নাম ফ্লি মালিক ইবনুল হুরড়ায়ম আল-হড়ামাদানী ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া ইবন মিসৃসীক ঐ যুদ্ধের স্মরণে কবিতা রচনা করেছিলেন
(সারাংশ) ৷

সুঠামদেহী অশ্বদল টণবগিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ছুটে এল ৷ যুদ্ধে জয়-পরড়াজর অনিবার্য ৷
আমরা বিজয়ী হলে সে কোন নতুন ব্যাপার নয় ৷ আর অণত্যা পরাজিত হলে ভীরুতা আমাদের
কাবু করেছে এমন মনে করার কোন কারণ নেই ৷ ও তো নির্ধারিত মৃত্যু, যা কাউকেই খাতির
করে না ৷ কালচক্রের আবর্তন এমনি, কখনো এরুপ, কখনো ওরুপ, উথাল-পাথাল করাই তার
কাজ ৷ আনন্দের পালা কখনো দীর্ঘ মেয়াদী হয়, আবার তা ওলট-পালট হয়ে আটা-পেষা করে
দেয় ৷ আমাদের দৃর্যোগে কেউ উল্লসিত হলে একটু পরেই সে কালের কুটচক্র সে টের পেয়ে
যাবে ৷ অতীতের রাজ-রজােড়ার চিরস্থায়ী হলে আমরাও চিরদিন টিকে থাকতাম, অভিজাত
ালাকেরইি শুধু বেচে থাকলে আমরাও অমর হতাম ৷ যা হোক, কালক্রে আমাদের সেরা
লোকদের নিঃশেষ করে দিয়েছে, যেমনটি পুর্ববর্তী ষুশেও ঘটেছে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওরা ইবন মিসৃসীক কিন্দার রাজ্যাবর্গের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ

করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমনের ডো রওনা করলে এ কবিতা রচনা করলেন
খ্যাঃ গ্র
ৰু;প্লুএশু

“কিন্দার রাজাদের মাঝে যখন প্রত্যক্ষ করলাম (অনৈক্য ও ঐক্যে) অনীহা-ব্যধিগ্নস্থের এক
পা যেমন অন্য পায়ের সাথে বিশ্বাস তলের আচরণ করে; আমি আমার বাহনটি কাছে নিয়ে
এলাম ঘৃহাম্মদ এর কাছে পৌছার উদ্দেশ্যে তীর অনুগ্নহ ও পুণ্য প্ৰভার আকর্ষচুণ ৷”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপনীত হলে যদ্দুর আমি
জানি তিনি তাকে বললেন-

ওএেহ্রাপ্লু

“কারওয়ড়া আর-রাদম’ যুদ্ধে তোমার গোত্রের যে পরিণতি হয়েকাি তা কি তোমার মনহ্রকষ্টের
কারণ হয়েছে?”

ফারওয়া বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এমন কোন সচেতন লোক কি আছে যার দেত্রে আমার
গোত্রের আর রড়াদম’ দিবসের পরিণতির ন্যায় দৃয়েগৈর সম্মুখীন হলে তার মনঃষ্কষ্ট হয় না ষ্
রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাকে এই বলে সাভুনা দিলেন শ্বা ণ্স্থ্রা ণ্গ্ এ ষ্দ্ৰ ১) ষ্ ণ্১ এা১ ধ্৷ ৷া
),ও গােন, ঐ ঘটনা তোমার গোত্রের জন্য ইসলাম গ্রহণ ও স্ফোলোঃ লোঃই বৃদ্ধি
করেছে ৷ পরে তাকে মুরাদ ষাবীদ ও যুবকাি মোঃসৃহ্যে৷ ন্যে ন্মোনিঙ্গেগ্ মোঃ এবং
তার সাথে খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস (ৱাক্লে সাদক্যের ল্টোন্মো ঠােলন ৷
রড়াসুলুল্পাহ্ (না)-এর ওকাত পর্যন্ত খালিদ (রা) ন্মোাহ (ন্ন)-ম্র ম্াৰে অর লোঃর
অবস্থান রত ছিলেন ৷


ثُمَّ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْإِيمَانُ هَاهُنَا - وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْيَمَنِ - وَالْجَفَاءُ وَغِلَظُ الْقُلُوبِ فِي الْفَدَّادِينَ عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الْإِبِلِ مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ رَبِيعَةَ وَمُضَرَ ".» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو. ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ مُحْرِزٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «جَاءَتْ بَنُو تَمِيمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَبْشِرُوا يَا بَنِي تَمِيمٍ ". فَقَالُوا: أَمَّا إِذْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا. فَتَغَيِّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلُهَا بَنُو تَمِيمٍ ". فَقَالُوا: قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ.» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى فَضْلِ وُفُودِ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَلَيْسَ فِيهِ تَعَرُّضٌ لِوَقْتِ