আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

قدوم ضمام الأسدي

পৃষ্ঠা - ৩৭৫২
(এবং এ ভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র স্মৃতি সম্বলিত একটি ঐতিহাসিক দলীল বিলুপ্ত হয়ে
যায়) ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : সাহীহ বৃখারীতে আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, আলী (রা)
ইয়ামড়ান থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে মাটি মেশানাে কিছু (অপরিশ্যেধিত) সোনা
পাঠিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সোনা উপস্থিত চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দিয়েছিলেন ৷
তারা হলেন যায়দ আল-খড়ায়ল, আলকামা ইবন উলাছা আকরা, ইবন হাৰিস ও উতবা ইবন
বদর (রা) ৷ আলী (রা) কে য়ড়ামানে কর্মভার দিয়ে পাঠানো প্রসংগে পরবর্তীতে আরো বিশদ
আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

আদী ইবন হাতিম তাঈ (রা) এর কাহিনী

ইমাম বুখারী (র)-ভীর সাহীহ্ গ্রন্থে অনুচ্ছেদ সংযোগ করেছেন

তার প্রতিনিধি দল ও আদী ইবন হাতিম (রা) সম্পর্কিত হাদীস

মুসা ইবন ইসমাঈস (র)আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন,
আমরা উমড়ার ইবনৃল খভােব (রা) এর দরবারে একটি প্রতিনিধি দল রুপে উপস্থিত হলাম ৷
তিনি দলের এক এক জনকে নাম-ধামসহ ডাকতে লাগলেন, আমি বললাম, আষীরুল যুমিনীন
আমাকে কি আপনি চিনতে পারছেন না? তিনি বললেন, কেন নয় ? তুমি তো ইসলাম গ্রহণ
করেছো-যখন লোকজন কৃফরীতে লিপ্ত ছিল, এরা যখন পিছু হটছিল, তখন তুমি এগিয়ে
আসছিলে; এরা যখন চুক্তি তংপ করছিল, তুমি তখন চুক্তি রক্ষা করে চলছিলে, আর তুমি
সত্যের পরিচয় পেয়েছিলে এদের কাছে তা অজ্ঞাত থাকা কালেই ৷ আদী (রা) বললেন, তা
হলে আমার কোন দুঃখ নেই ৷ কোন পরোয়া নেই ৷

ইবন ইসহাক (র)-বলেছেন, আদী ইবন হাতিম (রা) এর নিজস্ব যে উক্তি আমার কাছে
পৌছেছে তা হল-তিনি বলতেন, আরবের কোন পুরুষ এমন নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কথা শুনে র্তাকে আমার চাইতে অধিক অপসন্দ করেছে ৷ তবে আমি স্বভাবে ছিলাম শরীফ
এবং ধর্মে ছিলাম খৃষ্টবাদের অনুসারী ৷ আমার কাজ ছিল চৌখ উত্তল করার জন্য গোত্র মাঝে
ঘুরে রেড়ানাে ৷ মনে মনে আমি ছিলাম একটা বিশেষ ধর্মের অনুসারী আর প্রকাশ্য আমার
সাথে আমার গোত্রের আচরণ বিচারে একজন রাজা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আবির্ভাবেৱ কথা
শুনে আমার গা জুলতে লাগল ৷ আমি আমার আরবী গোলামকে বললড়াম যে নাকি আমার
উটপালের রাখালীর কাজেও নিয়োজিত ছিল হে হতভাপা ৷ আমার উটপাল থেকে কতকগুলি
মোটা তাজা ৫পড়াষমান৷ উট বাছাই করে সেগুলিকে আমার কাছে কাছে ণ্রাখবি ৷ আর যখন
শুনতে পারি যে, মুহাম্মদের বাহিনী এ দেশের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন অবিলম্বে আমাকে
সে সংবাদ জ্ঞাত করৰি ৷ গোলাম তাই করল ৷ কিছুদিন পরে এক সকালে সে এসে আমাকে
খবর দিল যে, হে আদী ! মুহাম্মদের অশ্বড়ারােহী বাহিনী তোমাকে ঘিরে ফেলতে এগিয়ে
আসছে ৷ তোমার যা করার তা এখনই করতে পড়ার ৷ কেননা, আমি দুর থেকে কতকপুলি ফুদ্ধ
পতাকা দেখতে (পরে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে লোকেরা আমাকে বলেছে যে র্লো
মুহাম্মদের বাহিনী ৷ আদী (রা) বলেন, আমি গোলড়ামকে বললাম, আমার যে ট্যাংক


أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ عَنِ اللَّيْثِ بِهِ، وَالْعَجَبُ أَنَّ النَّسَائِيَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقٍ آخَرَ، عَنِ اللَّيْثِ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ وَغَيْرُهُ مِنْ أَصْحَابِنَا عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَذَكَرَهُ، وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَلَعَلَّهُ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ مِنَ الْوَجْهَيْنِ جَمِيعًا. [قُدُومُ ضِمَامٍ الْأَسَدِيِّ] فَصْلٌ (فِي قُدُومِ ضِمَامٍ الْأَسَدِيِّ) . وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قُدُومِ ضِمَادٍ الْأَزْدِيِّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَإِسْلَامِهِ وَإِسْلَامِ قَوْمِهِ، كَمَا ذَكَرْنَاهُ مَبْسُوطًا بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.