আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

وفد بني عامر وقصة عامر بن الطفيل وأربد بن قيس

পৃষ্ঠা - ৩৭৩৭


গ্রন্থকারের মন্তব্য : স্পষ্টত আমির ইবনুত তুফায়ল এর ঘটনা ঘটেছিল মক্কা বিজয়ের পুর্বে ৷
যদিও ইবন ইসহড়াক (র) ও বায়হ্যর্কী (র) এরা উভয়েই ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের পরবর্তী
ঘটনারুপে উল্লেখ করেছেন ৷ আমার এ বক্তব্যের সুত্র হল ই(তাপু(র্ব উল্লিখিত হাফিজ বড়ায়হাকী
(র)আনড়াস (রা) থেকে গৃহীত রিওয়ড়ায়াত ৷ যাতে বিবই মাউনার ঘটনা, আমির ইবনৃত
তুফায়ল কর্তৃক আনাস (রা) এর মামা হারাম ইবন মিলহান(ক হত্যা এবং আমিরেব প্রতারণার
শিকার হয়ে আমির ইবন উমইিয়৷ ব্যতীত বিরই মাউনার সাহাবী কা(ফলড়ার সকলেরই
শাহাদাতপ্রাপ্তিব ঘটনা বিবৃত হয়েছে ৷

আওযায়ী (র) বলেন, ইয়ড়াহ্য়ড়া (র) বলেছেন, এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রিশ দিন যাবত
কজ(রর সালড়াতে আ ড়ামির ইবনৃতত্যুঃ ফায়ল(ক এই বলে বদ দৃ আ করলেন

এোগুঘ্র ণ্ব্লুম্রা
ইয়া আল্লাহ্ ৷ আমির ইবনুত তুফায়লেব ব্যাপারে আমার পক্ষে যথেষ্ট হোন যে (কান
উপায় আপনার মর্ষী হয় ৷ ’

ফলে আল্লাহ তাকে প্লেগে আক্রান্ত করলেন

হন্মোম (র)অ ন্যেন (র) থেকে ইবন মিলহড়ানের ঘটনা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, আনাস
(রা) বলেন, আমির ইবনুত তৃবন্ ৷ য়ল রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর কাছে এসে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব (পশ
করে বলেছিল, এর (কান একটি গ্রহণ কর ৷ এক সমতল ও কৃষি (ক্ষত্রের বড়াসিন্দারা (তামার,
মরু ও পশুচারণ ক্ষেত্রের বড়াসিন্দারড়া আমার থাকবে; দুই (তামার পরে আমি ( তমাব উত্তরসুরী
হব; তিন অন্যথায় পাত্ফান গোত্রের এক হাজার হলুদে-লাল উট ও এক হাজার হলুদে-লড়াল
উটনী নিয়ে (তামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷

বর্ণনাকড়ারী বলেন, এরপরে (স একটি (ময়েলোকের (ডরায় রাত কাটার এবং (সেখানে
(প্লগক্রোত হয়ে) বলতে থাকে, হার! উটের (প্লগ ! আর অমুক গোত্রের (ময়ে মানুষের বাড়িতে
মরণ! আমার ঘোড়ড়াটি নিয়ে এসো ঘোড়া নিয়ে আসা হলে তাতে (স চড়ে বসল এবং তার
পিঠে তার জীবনলীলড়া নাম হলো ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, আমিরের এ দৃর্দশা (দখে তার সাথীরা বিক্ষিপ্ত হয়ে বনু আমির
পােত্রে উপস্থিত হলো ৷ সেখানে পৌছলে গোত্রের লোকেরা এসে বলল, আররাদ ! ওদি(ক খবর
কী? (স বলল, কিছুই না ! আল্লাহর কলম! (লড়াকটি আমাদেরকে এমন কিছুর ইবড়াদত করার
ষ্হ্বান জানাচ্ছিল যে, (লড়াকটি আমার এখানে থাকলে আমার মন তার যে, তীর (মরে (মরে
নৌ লোকণ্টাকে শেষ করে (বলি ৷ এ উক্তি করার একদিন কিৎরা দুই দিন পরে আরবড়াদ
অর একটি উট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সেটি সাথে নিয়ে (বর হল ৷ আল্লাহ্ তার এবং তার
fl! উপরে বজ্রপাত ঘটড়ালেন ৷ ফলে সে এবং তার উটটি ভস্বীভুত হয়ে যায় ৷ ইবন ইসহড়াক
(ৰ্) আরও বলেন, আববড়াদ ইবন কায়স ছিল মায়ের দিক থেকে লড়াবীদ ইবন রাবীআর তাই ৷
শ্গ্ৰীৰু তাই আররাদের মৃত্যুতে লাবীদ (শাকগাথা রচনা করল ৷

মুদ্বু৷ কাউকে (রহইি দেয় না , পুত্র বৎসল পিতাকেও না, আদরেব পুত্রকেও না ৷


أَمِينًا، فَبَعَثَ مَعَهُمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ كَمَا تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [وَفْدُ بَنِي عَامِرٍ وَقِصَّةُ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ وَأَرْبَدَ بْنِ قَيْسٍ] ٍ لَعَنَهُمَا اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ بَنِي عَامِرٍ، فِيهِمْ ;» عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ وَأَرْبَدُ بْنُ قَيْسِ بْنِ جَزْءِ بْنِ خَالِدِ بْنِ جَعْفَرٍ وَجَبَّارُ بْنُ سُلْمَى بْنِ مَالِكِ بْنِ جَعْفَرٍ وَكَانَ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ رُؤَسَاءَ الْقَوْمِ وَشَيَاطِينَهُمْ، وَقَدِمَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ عَدُوُّ اللَّهِ، عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُرِيدُ الْغَدْرَ بِهِ، وَقَدْ قَالَ لَهُ قَوْمُهُ: يَا عَامِرُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْلَمُوا فَأَسْلِمْ. قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ آلَيْتُ أَلَّا أَنْتَهِيَ حَتَّى تَتْبَعَ الْعَرَبُ عَقِبِي، أَفَأَنَا أَتْبَعُ عَقِبَ هَذَا الْفَتَى مِنْ قُرَيْشٍ؟ ! ثُمَّ قَالَ لِأَرْبَدَ: إِنْ قَدِمْنَا عَلَى الرَّجُلِ، فَإِنِّي سَأَشْغَلُ عَنْكَ وَجْهَهُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ فَاعْلُهُ بِالسَّيْفِ. فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَامِرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৮
الطُّفَيْلِ يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: " لَا وَاللَّهِ حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَحْدَهُ ". قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: وَجَعَلَ يُكَلِّمُهُ، وَيَنْتَظِرُ مِنْ أَرْبَدَ مَا كَانَ أَمَرَهُ بِهِ، فَجَعَلَ أَرْبَدُ لَا يُحِيرُ شَيْئًا، فَلَمَّا رَأَى عَامِرٌ مَا يَصْنَعُ أَرْبَدُ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: " لَا حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ". فَلَمَّا أَبَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا وَرِجَالًا. فَلَمَّا وَلَّى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ ". فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَامِرٌ لِأَرْبَدَ: أَيْنَ مَا كُنْتُ أَمَرْتُكَ بِهِ، وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ رَجُلٌ أَخْوَفَ عَلَى نَفْسِي مِنْكَ، وَايْمُ اللَّهِ لَا أَخَافُكَ بَعْدَ الْيَوْمِ أَبَدًا. قَالَ: لَا أَبًا لَكَ! لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ، وَاللَّهِ مَا هَمَمْتُ بِالَّذِي أَمَرْتَنِي بِهِ إِلَّا دَخَلْتَ بَيْنِي وَبَيْنَ الرَّجُلِ حَتَّى مَا أَرَى غَيْرَكَ، أَفَأَضْرِبُكَ بِالسَّيْفِ؟ ! وَخَرَجُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ بَعَثَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ الطَّاعُونَ فِي عُنُقِهِ، فَقَتَلَهُ اللَّهُ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ، فَجَعَلَ يَقُولُ: يَا بَنِي عَامِرٍ، أَغُدَّةً كَغُدَّةِ الْبِكْرِ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ؟ ! قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: أَغُدَّةً
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৯

আরবাদের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি শঙ্কিত, সিমাক’ ও আসাদ নক্ষাংদ্বভৈয়র কুপ্রভাবে
আমি ভীত নই ৷
ওহে ক্রন্দসী চোখ ! আরবাদের জন্যে তখন তুমি র্কাদলে না কেন যখন আমরা ও
নারীর৷ ভীষণ কষ্টের মধ্যে অবস্থান করছিলাম ?

ওরা হৈ হল্লোড় আর চিৎকার জুড়ে দিলে তাতে আরবাদ কােন পরোয়৷ করে নি; ওরা
সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৷ইতম্ভত করলে আরবাদ যথার্থ সিদ্ধ ৷ন্ত দিয়ে দিতা

এমনিতে সে মিঠে অমায়িক ছিল ৷ ভারত তার সাথে মিশ্রণ ছিল জন্মুগত কটুত্বের ৷

ওহে ক্রন্দসী চোখ ! তখন কেন র্কাদলে না যখন তীব্র হিম প্রবাহ হাতপায়ে ঠক্ঠকানি
এ নে দিয়েছিল ৷

পানিতে ঠাসা ভারী বাদল মওসৃমের শেষ বৃষ্টি যখন এনে দিল ৷

পহীন বট্টনর মা নল সিংহের চেয়ে অধিক বাহাদুর চরম উচ্চল্পিাষ্কষ ৰারব্যের পরীক্ষিত ৷
দৃষ্টি৩ তার সার্বিক বাসন৷ অর্জনে সফল হয় না যে রাতে উত্তম অশ্বদলও ডীরু হয়ে যায় ৷
জুরাদ বনের অনুড়া হরিণীদের ন্যায় মিলাপ মাতমের স্গাতাউ ৷

ভীষণ ৷দৃর্যোগ পুর্ণ দিনে বীর অশ্বারােহীকে আঘাতকারী রজ্র-ৰিদ্যুত আমাকে বথিত করেছে ৷
সেদিন ত্রেন্াধ উনাত্ত দৃর্ধর্ষ যোদ্ধা, ঝাপিয়ে পড়ে বারং বার ৷

অভিজাত কুলীন সভাংনর৷ ৷যতই অধিক হো ক না কনত তাদের পরিণতি স্বল্পতায় পর্যবসিত হয় ৷

ন্থবন্৷ ইনহাক (র) এ ক্ষেত্রে একটি সুদীর্ঘ শ্যেকর্গাথার বিবরণ দিয়েছেন হ্া৷ লাবীণ তার
বৈমাত্রেয় ভাই আরবাদ ইবন কায়সের নৃঙুা(৩ র ৷> ন৷ কশ্নেছিণে৷ ৷ আমরা ত্ক্ষেপ করার
উদ্দেশ্যে নমুনা স্বরুপ স্বল্প পরিমাণ উল্লেখ করে যে বিশাল গাথা ছেড়ে দিচ্ছি ৷ ইবন হিশাম
(র) আরো ৷বলেন যায়দ ইবন আসলাম ইবন আব্বাস (বা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ
পরিপ্রেক্ষিতে ৩আল্লাহ্ পাক আমির ও আরবাদ সম্পর্কে নিম্নের আয়া৩ তসমুহ নাযিল করলেন-



প্রু ণ্শ্’ , ণ্ ) : × ’ ণ্ ষ্ )

ণ্া১১১া৷ লীেন্ন্ত্র ৷ওদ্বু ধ্ছু,দ্রও৷ এও এন্১এ ৷; ন্া;; ন্ৰুৰুা৷



“প্রভ্রু৩ ত্যক নারী যা গর্ভে ধারণ করে এবং ঙারায়ুওে যা ৷ ক ছু কমে ও রা£৬ আল্লাহ্ তা জানেন
এবং তার ৰিধানে প্রতিটি বস্তুরই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ৷আছে ৷ যা অদৃশ্য ও দৃশ৩ামান, তিনি
তা অবগত ; তিনি মহান, সবার উপরে মর্যাদারান ৷ তোমাদের মধ্যে যে কথা গোপন রাখে ও
যে তা প্রকাশ করে, যে রাতে আতাগােপন করে এবং দিনে যে চলাফের৷ করে, তারা
সনানভাৰেই আল্লাহর অবগত ৷ মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে একের পর একজন করে
পাহারাদার থাকে; ও ৷ র৷ অশ্নোহুর গ্রাপেশে তার (অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা)এর) (হকর্চভ্রুভ্র
করে ( ১৩ : ৮ ১ ১ ) ৷ তারপর আররাদের বিষয় উল্লেখ করে তা অপনৃভুদ্রর বর্ঘন:র ত্ম্যল্লহ্
প্ন্ধ ইরশ্ন্ন্ করেন-







كَغُدَّةِ الْإِبِلِ وَمَوْتًا فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ؟ . وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَوَلَةَ، عَنْ أَبِيهَا، عَنْ جَدِّهَا مَوَلَةَ بْنِ جَمِيلٍ قَالَ: أَتَى عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: " يَا عَامِرُ أَسْلِمْ ". فَقَالَ: أُسْلِمُ عَلَى أَنَّ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ؟ قَالَ: " لَا " ثُمَّ قَالَ: " أَسْلِمْ ". فَقَالَ: أُسْلِمُ عَلَى أَنَّ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ؟ قَالَ: " لَا ". فَوَلَّى وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا جُرْدًا وَرِجَالًا مُرْدًا، وَلَأَرْبِطَنَّ بِكُلِّ نَخْلَةٍ فَرَسًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرًا وَاهْدِ قَوْمَهُ ". فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَهْرِ الْمَدِينَةِ صَادَفَ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِهِ، يُقَالُ لَهَا: سَلُولِيَّةٌ. فَنَزَلَ عَنْ فَرَسِهِ، وَنَامَ فِي بَيْتِهَا، فَأَخَذَتْهُ غُدَّةٌ فِي حَلْقِهِ، فَوَثَبَ عَلَى فَرَسِهِ وَأَخَذَ رُمْحَهُ، وَأَقْبَلَ يَجُولُ وَهُوَ يَقُولُ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبِكْرِ، وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ. فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ حَالُهُ حَتَّى سَقَطَ عَنْ فَرَسِهِ مَيِّتًا. وَذَكَرَ الْحَافِظُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي " الِاسْتِيعَابِ " فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ مَوَلَةَ هَذَا، فَقَالَ: هُوَ مَوَلَةُ بْنُ كُثَيْفٍ الضَّبَابِيُّ الْكِلَابِيُّ الْعَامِرِيُّ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، فَأَسْلَمَ وَعَاشَ فِي الْإِسْلَامِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَكَانَ يُدْعَى ذَا اللِّسَانَيْنِ ; مِنْ فَصَاحَتِهِ، رَوَى عَنْهُ ابْنُهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪০
عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَهُوَ الَّذِي رَوَى قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبَعِيرِ وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ. . قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَتْنِي ظَمْيَاءُ بِنْتُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَوَلَةَ بْنِ كُثَيْفِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ خَالِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ الضِّبَابُ بْنُ كِلَابِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، قَالَتْ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَوَلَةَ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَسَحَ يَمِينَهُ، وَسَاقَ إِبِلَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَدَّقَهَا بِنْتَ لَبُونٍ، ثُمَّ صَحِبَ أَبَا هُرَيْرَةَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَاشَ فِي الْإِسْلَامِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَكَانَ يُسَمَّى ذَا اللِّسَانَيْنِ ; مِنْ فَصَاحَتِهِ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّ قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ مُتَقَدِّمَةٌ عَلَى الْفَتْحِ، وَإِنْ كَانَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْبَيْهَقِيُّ قَدْ ذَكَرَاهَا بَعْدَ الْفَتْحِ، وَذَلِكَ لِمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنْبَأَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيَّ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ إِسْحَاقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسٍ فِي قِصَّةِ بِئْرِ مَعُونَةَ وَقَتْلِ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ حَرَامَ بْنَ مِلْحَانَ - خَالَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - وَغَدْرِهِ بِأَصْحَابِ بِئْرِ مَعُونَةَ، حَتَّى قُتِلُوا عَنْ آخِرِهِمْ سِوَى عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪১


“ কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যদি আল্লাহ্ অকল্যাণের ইচ্ছা করেন, তবে তা বদ করার কেউ
(নই এবং তিনি ব্যভী৩ তাদের কোনও অভিভা ৷বক (নই ৷ তিনিইি ওে তামাদের দেখান বিজলী যা

শ্ৎকা ও আশা সঞ্চার করে এবং তিনি সৃষ্টি করেন তা ৷রী যেঘমাল৷ ৷ বজ্রপর্জন ও ফিবিশতারা
সভয়ে তার সপ্রশৎ স মহিম৷ ও পৰিত্রতা ঘোষণা করে এবং তিনি বজ্রপাত করেন এবং যাকে
ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন; তবুও তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়, অথচ তিনি
হলেন মহম্পেক্তি০ স্পিা৷লী (১৩ : ১ ১১৩) ৷”

গ্রন্থকারের কথা৪ আমার তাফসীর গ্রন্থে সুরা রাদ অং শে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার বিশদ
আলোচনা করেছি (আল্লাহ পাকের যেহেরবানী এবং প্রশৎ সা তারই জন্য) ৷ এছাড়া
উপরোল্লিখিভ ইবন হিশামের (র) ছিন্ন সুত্রে বর্ণনার সনদও আমি পেয়েছি ৷ হাফিজ আবুল
কাসিম সুলায়মান ইবন আহমদ তাররার্নী (র)-এর আল ঘুজামুল কাবীর’ গ্রন্থে ৷ তিনি বলেন,
মাসআদ৷ ইবন সাদ আল আত্তার (র)ইবন আব্বাস (যা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
আরবাস ইবন কায়স ইবন জায ইবন খালিদ ইবন জাফর ইবন কিলাব ও আমির ইবনুত
তুফায়ল ইবন মালিক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মদীনায় এল ৷ তারা তার
কাছে পৌছে তার সামনে আসন নিল ৷ তখন আমির ইবনুত তুফায়ল বলল, “আমি ইসলাম
গ্রহণ করলে তুমি আমাকে কী সুযোগ সুবিধা দিয়ে? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, মুসলিম জনতার
যা সুযোগ-সুবিধা ৫তামারও তাই হয়ে ৷

আর তাদের যা দায়িত্-কর্তব্য তোমার উপরেও তাই বর্তাবে’ ৷ আমির বলল, আমি
মুসলমান হয়ে গেলে তোমার পরে ৫নতৃৎ কর্তৃতৃ আমাকে দিতে রাযী আছ কি ? রাসুলুল্লাহ্
বললেন, “তা তোমার জন্য বাতােমার সম্প্রদায়ের জন্য হচ্ছে না; তবে তোমার জন্য রয়েছে
ঘোড়ার লাগান ৷ “সে বলল, তা আমি তো এখনও নাজ্বদ অঞ্চলের ঘোড়ার লাপাম নিয়ন্ত্রণ
করছি; এখন তুমি শহরাঞ্চলের ক৩ ৩ৎ নাও, আর আমাকে পল্লীর সেতৃতৃ দাও !” রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “কখনো না ৷” আমির নবী করীম (সা) এর কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময়
বলল, “আল্লাহর কলম! আমি তোমার বিরুদ্ধে এ মদীনায় ঘোড়নঃওয়ার ও পদাতিক বাহিনী
দিয়ে ভরে ফেলব! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহ্ তেমাকে প্রতিহত করবেন ৷”

আমির ও আররাদ প্রস্থান করার পর আমির আরবাদকে বলল, আ ৷মি কথাচ্ছলে মুহাম্মদকে
তোমার ব্যাপারে অমনােযোপী করে (ফলন, সে সুযােগে৩ তুমি তরবারি দিয়ে তার কাজ সাবাড়
কার দেবে ৷ এতে তুমি মুহাম্মদকে হত্যা করে ফেললেও তার পক্ষের লোকেরা বেশী থেকে
বেশী রক্তপণ গ্রহণে ৷রাযী হয়ে বা যে এবং যুদ্ধ রিঃাহে লিপ্ত হওয়া পসন্দ করবে না ৷ আমরা
সচ্ছন্দে তাদের রক্তপণ দিয়ে দেব ৷ আরবাদ বলল, ঠিক আছে,৩ তাই হবে ৷ এ শল৷ পরামর্শের
পরে তারা দু’ জন আবার তার কাছে ফিরে এল ৷ আমির বলল, হে মুহ্রাম্মদ ! আমার সাথে একটু
এসো! একাকী কিছু কথা বলি ৷ নবী করীম (সা) উঠে তার সাথে দেয়ালের কাছে নির্জনে গিয়ে
র্দড়োলেন এবং কথা বলতে লাগলেন ৷ ওদিকে আরৰাদ তার তরবাবি খাপ যুক্ত করতে চেষ্টিত
হন ৷ কিন্তু তরবারির হাতলে তার হাত অনুভুতি ৩শুন্য হয়ে গোল ৷ আর তাই তরবারি৷ চ ৷লনার
ৰ্প্সত৷ সে হারিয়ে ফেলল ৷ আমির আরবাদের দেরি দেখে অস্থির হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দৃষ্টি ঘোরালেন এবং আরবাদ ও তার কর্মকাণ্ড প্ৰতাক্ষ করে৷ সেখান থেকে ফিরে চলে এলেন ৷


قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: قَالَ يَحْيَى: فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو عَلَى عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ ثَلَاثِينَ صَبَاحًا: «اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ بِمَا شِئْتَ، وَابْعَثْ عَلَيْهِ مَا يَقْتُلُهُ» . فَبَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِ الطَّاعُونَ. وَرَوَى عَنْ هَمَّامٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسٍ فِي قِصَّةِ حَرَامِ بْنِ مِلْحَانَ قَالَ: وَكَانَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ قَدْ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أُخَيِّرُكَ بَيْنَ ثَلَاثِ خِصَالٍ ; يَكُونُ لَكَ أَهْلُ السَّهْلِ وَيَكُونُ لِي أَهْلُ الْوَبَرِ، وَأَكُونُ خَلِيفَتَكَ مِنْ بَعْدِكَ، أَوْ أَغْزُوكَ بِغَطَفَانَ بِأَلْفِ أَشْقَرَ وَأَلْفِ شَقْرَاءَ؟ . قَالَ: فَطُعِنَ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ فَقَالَ: أَغُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبِكْرِ وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي فُلَانٍ، ائْتُونِي بِفَرَسِي. فَرَكِبَ فَمَاتَ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ أَصْحَابُهُ حِينَ وَارَوْهُ، حَتَّى قَدِمُوا أَرْضَ بَنِي عَامِرٍ شَاتِينَ، فَلَمَّا قَدِمُوا أَتَاهُمْ قَوْمُهُمْ، فَقَالُوا: مَا وَرَاءَكَ يَا أَرْبَدُ؟ قَالَ: لَا شَيْءَ، وَاللَّهِ لَقَدْ دَعَانَا إِلَى عِبَادَةِ شَيْءٍ لَوَدَدْتُ لَوْ أَنَّهُ عِنْدِي الْآنَ، فَأَرْمِيَهُ بِالنَّبْلِ حَتَّى أَقْتُلَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪২
الْآنَ. فَخَرَجَ بَعْدَ مَقَالَتِهِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ مَعَهُ جَمَلٌ لَهُ يَبِيعُهُ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَعَلَى جَمَلِهِ صَاعِقَةً فَأَحْرَقَتْهُمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَرْبَدُ بْنُ قَيْسٍ أَخَا لَبِيدِ بْنِ رَبِيعَةَ لِأُمِّهِ، فَقَالَ لَبِيدٌ يَبْكِي أَرْبَدَ: مَا إِنْ تُعَرِّي الْمَنُونُ مِنْ أَحَدِ ... لَا وَالِدٍ مُشْفِقٍ وَلَا وَلَدِ أَخْشَى عَلَى أَرْبَدَ الْحُتُوفَ وَلَا ... أَرْهَبُ نَوْءَ السِّمَاكِ وَالْأَسَدِ يَا عَيْنُ هَلَّا بَكَيْتِ أَرْبَدَ إِذْ ... قُمْنَا وَقَامَ النِّسَاءُ فِي كَبَدِ إِنْ يَشْغَبُوا لَا يُبَالِ شَغْبَهُمُ ... أَوْ يَقْصِدُوا فِي الْحُكُومِ يَقْتَصِدِ حُلْوٌ كَرِيمٌ وَفِي حَلَاوَتِهِ ... مُرٌّ لَطِيفُ الْأَحْشَاءِ وَالْكَبَدِ وَعَيْنِ هَلَّا بَكَيْتِ أَرْبَدَ إِذْ ... أَلْوَتِ رِيَاحُ الشِّتَاءِ بِالْعَضَدِ فَأَصْبَحَتْ لَاقِحًا مُصَرَّمَةً ... حِينَ تَجَلَّتْ غَوَابِرُ الْمَدَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৩


আরবাদ ও আমিরও বেরিয়ে পড়ল এবং ওয়াকিম নামক হান্:দ্বুরা১ (পাথুরে এলাকায়) পৌছে
সেখানে অবস্থান নিল ৷ সাদ ইবন যুআয ও উসারদ ইবন হযড়ায়র (বা) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে
সেখানে পৌছে বললেন, আল্লাহর দুশমনদ্বয় তোমাদের উপরে আল্লাহ লানত পডুকষ্ উঠে
র্দাড়াও ৷ আমির জিজ্ঞেস করল, সাদ তোমার সঙ্গী এ লোকটি কে? সাদ (রা) বললেন, এ হল
উসায়দ ইবন হুযাররও একাই একশ’ ৷ পরে ওরা দুজন চলে (গল ৷ রাক্ম নামক স্থানে
পৌছলে বজ্রপাতে আরবাদের মৃত্যু ঘটে ৷ আমির হড়াবৃরার থাকাকালে আল্লাহ তার গায়ে
ফৌড়া উঠিয়ে দিলেন ৷ ফৌড়ার বিষ তাকে কাবু করে ফেললে সে সাবুল ণ্গাত্রের এক
মেয়েল্যেকের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হল ৷ সে তার গলার ফৌড়াটিতে হাত বুলাতে
বুলাতে বলতে থাকলণ্শ্ হায় ! অবশেষে উটের টিউমারে পেয়ে বসল, তাও এক সালুলীয়া
রমণীর বাড়িতে ৷

অর্থাৎ এভাবে মরেও সে শান্তি পাচ্ছিল না ৷ তাই সে তার ঘোড়া আনিয়ে তাতে চড়ে বসল
এবং তাকে দ্রুত দৌড়াতে সচেষ্ট হল ৷ মিঃ ফিরতি পথে অরধারিত মৃত্যু তাকে ঘোড়ার
পিঠেই পেয়ে বসল ৷ এ দুজনের ব্যাপারে আল্লাহ্ ,£৷ এও এস্ ও ণ্এস্- ^ৰুত্রষ্ নাযিল করলেন ৷
পরবর্তী আয়াতে আরবাদ ও তার নিধন উপৰজ্জণের উল্লেখ করে ইরশাদ করলেন, এবং তিনি
বজ্রপাত করেন এবং মাঝে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন ৷ এ বর্ণনায় পুর্বোল্লিখিত আমির ও
আরবাদের ঘটনার প্ৰতি ইঙ্গিত রয়েছে ৷ কেননা, এতে সাদ ইবন যুআয (রা)-এর আলোচনা
বিদ্যমান (আল্লাহ্ই সম্যক অবগত) ৷

তুফায়ল ইবন আমির আদু-দাওসী (বা)-এর মক্কায় প্রতিনিধিরুপে আগমন ও ইসলাম
গ্রহণের কথা ইতােপুর্বে বিবৃত হয়েছে এবং প্রসঙ্গত সেখানে তার চোখের সামনে আল্লাহ্ প্রদত্ত
আলোকবর্তিকা এবং আল্লাহর কাছে তার দৃআ করার পরে তা তার লাঠি প্রান্তে স্থানান্তরিত
হওয়ার কথাও আলোচিত হয়েছে ৷ সেখানেই বিশদ বর্ণনা রয়েছে বিধায় এখানে প্রতিধিনি
তালিকায় তার পুনরুল্লেখের প্রয়োজন দেখছি না ৷ যেমনটি বায়হাকী (র) প্রমুখ করেছেন ৷

কওমের প্রতিনিধি হয়ে যিমাম ইবন ছালাবা-এর আগমন

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবনুল ওলীদ (র)ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন, সাদ ইবন বকর গোত্র যিমাম ইবন ছালাব৷ (না)-কে তাদের
প্রতিনিধিরুপে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ণ্খদমতে পাঠাল ৷ তিনি এসে মসজিদের দরজার তার
উটটি বসালেন ৷ পরে সেটিকে বেধে রেখে মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার
সাহাবীদের নিয়ে বসা ছিলেন ৷ যিমাম ছিলেন একজন সুঠামদেহী পুরুষ ৷ তার ফ্রা’ মাথার
ভতি দুটি বেনী ছিল ৷ তিনি এগিয়ে গিয়ে সাহারা পরিবেষ্টিত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে
দাড়িয়ে বললেন, তােমাদের মাঝে আবদুল মুত্তালিব-এর বংশধর কে? রাসুলুল্পাহ্ (সা)
বললেন, এ্যা ১-ষ্ণ্ণ্ :-১ শ্নো “আমিই আবদুল যুত্তালিবের বংশধর ৷ তিনি বললেন, হে
মুহাম্মদ ! নবী করীম (সা ) বললেন, বল ! তিনি বললেন, হে আবদুল মুত্তালিৰের বংশধর ! আমি



১ হাবৃর৷ (ও > ) মরুভুমির মাঝে মধ্যে কাল ভাঙ্গাচােরা কৎকরমরতুমি ৷ যার ৰুহ্শ্নোন্ম মনে হয় যেন
আগুনে কলসানাে ৷


أَشْجَعُ مِنْ لَيْثِ غَابَةٍ لَحِمٍ ذُو نَهْمَةٍ فِي الْعُلَا وَمُنْتَقَدِ ... لَمْ تَبْلُغِ الْعَيْنُ كُلَّ نَهْمَتِهَا لَيْلَةَ تُمْسِي الْجِيَادُ كَالْقِدَدِ ... الْبَاعِثُ النَّوْحَ فِي مَآتِمِهِ مِثْلَ الظِّبَاءِ الْأَبْكَارِ بِالْجَرَدِ ... فَجَّعَنِي الْبَرْقُ وَالصَّوَاعِقُ بِالْ فَارِسِ يَوْمَ الْكَرِيهَةِ النَّجِدِ ... الْحَارِبِ الْجَابِرِ الْحَرِيبِ إِذَا جَاءَ نَكِيبًا وَإِنْ يَعُدْ يَعُدِ ... يَعْفُو عَلَى الْجَهْدِ وَالسُّؤَالِ كَمَا يَنْبُتُ غَيْثُ الرَّبِيعِ ذِي الرَّصَدِ ... كُلُّ بَنِي حُرَّةٍ مَصِيرُهُمُ قُلٌّ وَإِنْ أَكْثَرُوا مِنَ الْعَدَدِ ... إِنْ يُغْبَطُوا يُهْبَطُوا وَإِنْ أَمِرُوا يَوْمًا يَصِيرُوا لِلْهلَاكِ وَالنَّقَدِ وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ لَبِيدٍ أَشْعَارًا كَثِيرَةً فِي رِثَاءِ أَخِيهِ لِأُمِّهِ أَرْبَدَ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৪
بْنِ قَيْسٍ تَرَكْنَاهَا اخْتِصَارًا وَاكْتِفَاءً بِمَا أَوْرَدْنَاهُ، وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ لِلصَّوَابِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَذَكَرَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي عَامِرٍ وَأَرْبَدَ: {اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِمِقْدَارٍ - عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْكَبِيرُ الْمُتَعَالِ - سَوَاءٌ مِنْكُمْ مَنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَنْ جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ - لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: 8 - 11] (الرَّعْدِ: 8 - 11) . يَعْنِي مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ أَرْبَدَ وَقَتْلَهُ، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَالٍ - هُوَ الَّذِي يُرِيكُمُ الْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنْشِئُ السَّحَابَ الثِّقَالَ - وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَنْ يَشَاءُ وَهُمْ يُجَادِلُونَ فِي اللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ الْمِحَالِ} [الرعد: 11 - 13] [الرَّعْدِ: 11 - 13] . قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ فِي سُورَةِ " الرَّعْدِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَقَدْ وَقَعَ لَنَا إِسْنَادُ مَا عَلَّقَهُ ابْنُ هِشَامٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَرَوَيْنَا مِنْ طَرِيقِ الْحَافِظِ أَبِي الْقَاسِمِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَحْمَدَ الطَّبَرَانِيِّ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ " حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا مَسْعَدَةُ بْنُ سَعْدٍ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৫


আপনাকে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞেস করলো এবং আমার জিজ্ঞাসার ভাষা হবে কঠোর ৷ এতে আপনি
কিছু মনে করবেন না ৷ নবী কবীর (সা) বললেন, শ্ব “না, আমি
কিছু মনে করবো না ৷ তোমার যা মনে তার জিজ্ঞেস করতে পার ৷” তিনি বললেন, আপনার
উপাস্য ও আপনার পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের উপাস্যের নামে দোহাই দিয়ে আমি আপনাকে
জিজ্ঞেস করছি“ আল্লাহ্ই কি আপনাকে আমাদের রাসুল করে পাঠিয়েছেন ? নবী কবীম (সা)
বললেন, “আল্লাহ্র কলম ! তাই ঠিক! যিমাম বললেন, আপনার ও আপনার ও আপনার
পুর্ববর্তী এবং পরবভীদৈর উপস্যে আল্পাহ্র নামে দোহাই দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে
আমাদের এ নির্দেশ প্রদানের হুকুম করেছেন যে, আমরা যেন এককভারে র্তারই ইবাদত করি
ও র্তার সাথে কােন কিছু শরীক না করি এবং আমাদের পুর্বপুরুষের উপাষ্য এ অংশীদারদের
বর্জন করি ? নবী করীম (সা) বললেনশ্ণ্-ন্ণ্

আল্লাহ্র নামে বলছি, ভু৷ তাই ৷ যিমাম বললেন, আপনার পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের উপড়াস্য
আল্লাহ্র নামে দোহাই দিয়ে বলছি ৷ আল্লাহ্ই কি আপনাকে হুকুম দিয়েছেন, যেন আমরা এ
পাচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করি? নবী করীম (সা) বললেন, হী ৷ বনািকড়ারী বলেন, তারপর
যিমাম (বা) ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় বিষয়াবলী তথা যাকাত, সিয়াম, হজ্জ ইত্যাদি এবং
ইসলামী শবীআতের অন্যান্য জরুরী বিষয় এক একটি করে উল্লেখ করে পুরন্থিরুপ দোহাই
দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকলেন ৷ অবশেষে তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র
আল্লাহ্ ব্যতিয়েকে আর কোন ইলাহ্ নেই, আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহ্র
রাসুল ৷ আমি এ সব ফরয পালন করে বার এবং আপনি যা যা নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে
বিরত থাকর ৷ আর এতে কোন প্রকার ঘাটতি বাড়তি করব না ৷

তারপর ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তার উটের কাছে গেলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
রাসুলুলাহ্ (সা) তখন বললেন, গ্লুা১এ৷ এশু১ স্পো ঙু১ এ-এে ) “দুই £বনীধারী যদি সত্য
কথা বলে থাকে তবে সে জান্নড়াতে যাবে ৷” বর্ণনাকাবী বলেন, যিমাম তার উটের কাছে এসে
তার বাধন খুললেন এবং স্বদেশ অভিমুখে পথে বেরিয়ে পড়লেন ৷ স্বগােত্রে পৌছলে লোকেরা
তীর কাছে সমবেত হল ৷ কওমের সামনে এ সময় ণ্ভীব প্রথম উক্তি ছিল “লাভ ও উয্মা
প্রতিমা কতই না নিকৃষ্ট ! লোকেরা বলল, আহা যিমাম ! রাখ ! তোমার কি শ্বেতী ও কুষ্ঠ রোগের
তর নেই, তোমার কি উন্মাদ হয়ে যাওয়ার তর নেই! যিমাম বললেন, তোমাদের সর্বনাশ
হোক ! ও দুটি আল্লাহ্র কলম ৷ ওরা কোন অনিষ্ট করতে পারে না, কোন কল্যাণও বয়ে
আনতে পারে না ৷ আল্লাহ্র একজন রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তার কাছে কিতাব নাযিল
করেছেন; যা দিয়ে তিনি তোমাদের দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে চান ৷

আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, একমাত্র আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই মার কোন
শরীক নেই; আর মুহাম্মদ (সা) তীর বান্দা ও রাসুল ৷ এখন আমি তীর কাছ থেকে তোমাদের
জন্য র্তার আদেশ ও নিযেধের বার্তা দিয়ে এসেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ্র কলম ! সেদিন
সদ্যা নাগাদ জনপদের লোকদের মাঝে এমন কোন পুরুষ কিংবা নাৰী রইল না, যে ইসলাম
গ্রহণ কারনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, ইবন আব্বাস (বা) ৰ্লক্রো আিম ইবন হালাবা (রা ) এর
ষ্ইিতে শ্রেষ্ঠ কোন গোত্রীয় প্রতিনিধির কণা জ্জাষ্ৰ্ত্ন র্দী


أَبِيهِمَا، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَرْبَدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ جَزْءِ بْنِ خَالِدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابٍ وَعَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ بْنِ مَالِكٍ قَدِمَا الْمَدِينَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْتَهَيَا إِلَيْهِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَجَلَسَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ: يَا مُحَمَّدُ، مَا تَجْعَلُ لِي إِنْ أَسْلَمْتُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَكَ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْكَ مَا عَلَيْهِمْ ". قَالَ عَامِرٌ: أَتَجْعَلُ لِيَ الْأَمْرَ إِنْ أَسْلَمْتُ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ ذَلِكَ لَكَ وَلَا لِقَوْمِكَ وَلَكِنْ لَكَ أَعِنَّةُ الْخَيْلِ ". قَالَ: أَنَا الْآنَ فِي أَعِنَّةِ خَيْلِ نَجْدٍ، اجْعَلْ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا "، فَلَمَّا قَفَا مِنْ عِنْدِهِ، قَالَ عَامِرٌ: أَمَا وَاللَّهِ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا وَرِجَالًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَمْنَعُكَ اللَّهُ ". فَلَمَّا خَرَجَ أَرْبَدُ وَعَامِرٌ قَالَ عَامِرٌ: يَا أَرْبَدُ أَنَا أَشْغَلُ عَنْكَ مُحَمَّدًا بِالْحَدِيثِ، فَاضْرِبْهُ بِالسَّيْفِ فَإِنَّ النَّاسَ إِذَا قَتَلْتَ مُحَمَّدًا لَمْ يَزِيدُوا عَلَى أَنْ يَرْضُوا بِالدِّيَةِ، وَيَكْرَهُوا الْحَرْبَ، فَسَنُعْطِيهِمُ الدِّيَةَ. قَالَ أَرْبَدُ: أَفْعَلُ. فَأَقْبَلَا رَاجِعَيْنِ إِلَيْهِ، فَقَالَ عَامِرٌ: يَا مُحَمَّدُ، قُمْ مَعِي أُكَلِّمْكَ. فَقَامَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَلَّيَا إِلَى الْجِدَارِ، وَوَقَفَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَلِّمُهُ، وَسَلَّ أَرْبَدُ السَّيْفَ، فَلَمَّا وَضَعَ يَدَهُ عَلَى السَّيْفِ، يَبِسَتْ يَدُهُ عَلَى قَائِمِ السَّيْفِ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ سَلَّ السَّيْفِ، فَأَبْطَأَ أَرْبَدُ عَلَى عَامِرٍ بِالضَّرْبِ، فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى أَرْبَدَ وَمَا يَصْنَعُ، فَانْصَرَفَ عَنْهُمَا، فَلَمَّا خَرَجَ أَرْبَدُ وَعَامِرٌ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَا بِالْحَرَّةِ، حَرَّةِ وَاقِمٍ، نَزَلَا، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا سَعْدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৬
مُعَاذٍ وَأُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ فَقَالَا: اشْخَصَا يَا عَدُوَّيِ اللَّهِ، لَعَنَكَمَا اللَّهُ. فَقَالَ عَامِرٌ: مَنْ هَذَا يَا سَعْدُ؟ قَالَ: أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرِ الْكَتَائِبِ. فَخَرَجَا حَتَّى إِذَا كَانَا بِالرَّقَمِ أَرْسَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى أَرْبَدَ صَاعِقَةً فَقَتَلَتْهُ، وَخَرَجَ عَامِرٌ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْخُرَيْمِ، أَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ قُرْحَةً فَأَخَذَتْهُ، فَأَدْرَكَهُ اللَّيْلُ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ، فَجَعَلَ يَمَسُّ قُرْحَتَهُ فِي حَلْقِهِ وَيَقُولُ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْجَمَلِ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ! يَرْغَبُ عَنْ أَنْ يَمُوتَ فِي بَيْتِهَا، ثُمَّ رَكِبَ فَرَسَهُ فَأَحْضَرَهَا حَتَّى مَاتَ عَلَيْهَا رَاجِعًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمَا {اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ} [الرعد: 8] إِلَى قَوْلِهِ: {وَمَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَالٍ} [الرعد: 11] قَالَ: الْمُعَقِّبَاتُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ يَحْفَظُونَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ أَرْبَدَ وَمَا قَتَلَهُ بِهِ فَقَالَ: {وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَنْ يَشَاءُ} [الرعد: 13] الْآيَةَ. . وَفِي هَذَا السِّيَاقِ دَلَالَةٌ عَلَى تَقَدُّمِ قِصَّةِ عَامِرٍ وَأَرْبَدَ وَذَلِكَ لِذِكْرِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ وُفُودُ الطُّفَيْلِ بْنِ عَامِرٍ الدَّوْسِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،