আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

وفد أهل نجران

পৃষ্ঠা - ৩৭২৭


“ইবরাহীম, ইসহাক₹ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহ্ এর হামদ বর্ণনা করছি ৷ তারপর আমি
তােমাদ্যে৷ দাওয়াত দিচ্ছি বান্দার পুজা বর্জন করে আল্লাহর ইবাদতে র দিকে আসতে; আমি
তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি বান্দার সা র্বভৌমতৃ বর্জন করে আল্লাহর সার্বভৌমভ্রু হ্র দিকে
আসতে ৷ তাতে যদি তোমরা অস্বীকৃত হও তাহলে জিযয়া’ প্রদানে সম্মত হও; তাতেও
অস্বীকৃত হলে৩ ৫৩ামাদের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করছি ৷ ওয়াসৃসালামা”

চিঠি পাদ্রীর কাছে পৌছলে তা পাঠ করে সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং তার দেহে প্রবলতাবে
র্কাপন ধরে ৷ চিঠির বিষয় আলোচনা করার জন্য সে নাজরানের বিশিষ্ট বাসিন্দা শুরাহ্বীল ইবন
ওদাআকে ডেকে পাঠাল ৷ শুরাহ্বীল ছিল হামাদানের লোক ৷ কোন গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে
এ ব্যক্তির আগে অন্য কাউকে ডাকা হত না ৷ এমনকি অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ
আল আতহাম, আস-সাব্যিদ ও আল-আকিবকেও না ৷ শুরাহ্বীল উপস্থিত হলে পাদ্রী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্রটি তার কাছে দিলেন ৷ যে তা পাঠ করলে পাদ্রী তাকে বললেন, আবু
মারয়াম ! এখন তোমার মতামত কি০ শুরাহ্বীল বলল, আল্লাহ পাক ইসমাঈল (আ) এর
বংশধরদের মাঝে;নবী পাঠাবার যে ওয়াদ৷ ইব্রাহীম (আ)-কে দিয়েছেন তা আপনি অবগত
আছেন ৷ আপনার কি বিশ্বাস হয় যে, এ লোকই সেই প্রতিশ্রুত নবী ! তা যাই হোক, নবুয়তের
ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই ৷ পার্থিব কো ন ব্যাপার হলে আমি সে ব্যাপারে আপনাকে
কোন সুপরামর্শ দিতে পা রতা৷ম এবং সে জন্য যথাসাধ্য যতুবান হত তাম ৷ পাদ্রী তাকে বলল,
আচ্ছা একটু পাশে বসে অপেক্ষা কর ৷ শুরাহ্বীল পাশে সরে গিয়ে বসে পড়ল ৷ প্রধান পাদ্রী
তখন নাজরানের আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন শুরাহ্বীলকে ডেকে পাঠাল ৷ সে
ছিল হিময়ার গোত্রের শাখা যু অড়াসবাহ্ গোত্রের লোক ৷ তাকে দিয়ে পত্রটি পাঠ করিয়ে তার
মতাতমত জিজ্ঞেস করা হল ৷ সেও শুরাহ্বীলের অনুরুপই জবাব দিল ৷ পাদ্রী তাকে পাশে সরে
বসে থাকতে বলল ৷ সে তাই করল ৷ পাদ্রী আবার নাজরানের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি জব্বার
ইবন ফায়যকে তােক পাঠাল ৷ সে ছিল বনুল-হ হামাস-এর শাখা গো ৷ত্র বনুল হারিছ ইবন কাব
এর লোক ৷ পাদ্রী যথারীতি তাকেও চিঠি পড়তে বলল এবং তার মতামত জিজ্ঞেস করল ৷ তার
জবাবও ছিল শুরাহ্বীল ও আবদুল্লাহ্র জবাবের অনুরুপ ৷ পাদ্রী তাকেও সরে বসতে বললে সে
উঠে গিয়ে এক পাশে বসল ৷ পাদ্রী যখন দেখল যে, সমস্যাটির সমাধানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
অভিন্ন মত পোষণ করছেন তখন সে নাকুস১ পেটাবার নির্দেশ দিল এবং তার নির্দোশ
পীজসিমুহে দৃশ্যমানভ৷ বে আগুন জ ৷লানাে হল এবং মোটা কম্বল ওড়ানাে হল ৷ নাকুস পেটাবার
আওয়ায পেয়ে এবং কম্বল ওড়ানাে দেখে গোটা উপ৩ ক্যের চড়াই উৎর৷ ই থেকে লোকজন
এসে সমবেত হতে লাগল ৷ উপত্যকা টি দৈর্ঘ্য ছিল দ্রু৩পামী সওয়ারের একদিনের পথ ৷
এখানে ছিল তিহাত্তরঢি জনপদ এবং এক লাখ বিশ হাজার যোদ্ধা ৷ পাদ্রী সমবেত লোকদের
সামনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চিঠি পড়ে শেড়ানাল এবং এ বিষয় ৩াপুের ম৩াম৩ জ্বানওে ৷>৷ ৷ই০৷ ৷
তাদের বুদ্ধিমান শ্রেণী এ ঐকমত্যে উপনীত হল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে যথাযথ

ৎবাদ ও তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা ওরাহ্বীল ইবন ওদাআ আল-হামাদানী, আবদুল্লাহ ইবন





১ নাকুস ( পৌগ্রা) পীর্জ্যসমুহে রক্ষিত ইবাদতের সময় নির্দেশক কাষ্ঠখণ্ড বা লৌহদণ্ড; ঘণ্টা ৷


أَعْطَاهُمْ لِمَا ذَكَرُوا أَنَّهُ فِي رِحَالِهِمْ، فَقَالَ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا ". فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَيْهِ أَخْبَرُوهُ بِمَا قَالَ عَنْهُ، فَقَالَ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ عَرَفَ أَنَّ الْأَمْرَ لِي مِنْ بَعْدِهِ. وَبِهَذِهِ الْكَلِمَةِ تَشَبَّثَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، حَتَّى ادَّعَى النُّبُوَّةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مَعَهُمْ بِإِدَوَاةٍ فِيهَا فَضْلُ طَهُورِهِ، وَأَمَرَهُمْ أَنَّ يَهْدِمُوا بَيْعَتَهُمْ، وَيَنْضَحُوا هَذَا الْمَاءَ مَكَانَهَا وَيَتَّخِذُوهُ مَسْجِدًا، فَفَعَلُوا، وَسَيَأْتِي ذِكْرُ مَقْتَلِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ فِي آخِرِ حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَقْتَلِ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ بَنِي حَنِيفَةَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [وَفْدُ أَهْلِ نَجْرَانَ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْحُسَيْنِ ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ: عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «جَاءَ الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ صَاحِبَا نَجْرَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدَانِ أَنْ يُلَاعِنَاهُ. قَالَ: فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَا تَفْعَلْ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلَاعَنَّاهُ لَا نُفْلِحُ نَحْنُ وَلَا عَقِبُنَا مِنْ بَعْدِنَا. قَالَا: إِنَّا نُعْطِيكَ مَا سَأَلْتَنَا وَابْعَثْ مَعَنَا رَجُلًا أَمِينًا، وَلَا تَبْعَثْ مَعَنَا إِلَّا أَمِينًا. فَقَالَ: " لَأَبْعَثَنَّ مَعَكُمْ رَجُلًا أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ ". فَاسْتَشْرَفَ لَهَا أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: " قُمْ يَا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ ". فَلَمَّا قَامَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا أَمِينُ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৮


শুরাহ্ৰীল আলআসবাহী ও জব্বার ইবন ফায়্য আল হারিহীকে পাঠিয়ে দেবে ৷ বংনািকাৰী
বলেন, প্রতিনিধি দলটি রওনা হয়ে গেল ৷ মদীনায় উপনীত হয়ে তারা সফরের কাপড়-চােপড়
খুলে রেখে ইয়ামনী পোশাক ও সোনার আংটি পরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে
তাকে সালাম করল ৷ তিনি সালামের জবাব দিলেন না ৷ তারা তীর কথা শোনার জন্য সুদীর্ঘ
সময় অপেক্ষা করে রইল ৷ কিন্তু তিনি তাদের সাথে কোন কথা বললেন না ৷ (সম্ভবত) তাদের
গায়ে ঐ বিশেষ পোশাক ও সোনার আংটি থাকার কারণে ৷ প্ তারা তখন উছমান ও আবদুর
রহমান ইবন আওফ (রা)-এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল ৷ এ দুজনের সাথে তাদের পুর্ব পরিচিত
ছিল ৷ এ দু’জনকে তারা নৃহাজির আনসারদের একটি মজলিসে খুজে পেল ৷ তারা বলল, হে
উছমান৷ আবদুর রহমান ! তোমাদের নবী আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ তাকে
জবাব দেয়ার জন্য আমরা এসেছিলাম ৷ আমরা তার কাছে গিয়ে তাকে সালাম করলাম, কিন্তু
তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না ৷

উপরন্তু আমরা সুদীর্ঘ সময় তার কথা বলার প্ৰভীক্ষায় রইলাম ৷ আমাদের চরম ক্লান্তি
সত্বেও তার মধ্যে কথা বলার কোন লক্ষণ দেখতে পেলাম না ৷ এখন তোমাদের দুজনের মত
কি ? আমাদের ফিরেযাওয়াট৷ কি তোমরা ভাল মনে কর ? তারা দু’জন মজলিসে উপস্থিত আলী
(রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবুল হাসান! এদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি? আলী
(রা) উছমান ও আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-কে বললেন, আমার মনে হয় তারা এই
নতুন পোশাক ও আংঢি খুলে তাদের সফরের পোশাক পরে পুনরায় তার কাছে যেতে পারে ৷
রেশভুষা পান্টিয়ে তারা পুনরায় গিয়ে সালাম করলে নবী করীম (না) তাদের সালামের জবাব
দিয়ে বললেন,

“কলম সেই সত্তা র, যিনি আমাকে সতাসহ পাঠিয়েছেন, আমার কাছে তাদের প্রথমবারের
আগমনক৷ লে নিশ্চয়ইশ ৷য়ত ৷ন তাদের সাথে ছিল ৷ (৩ তাই আ ৷মি তা ৷দের সালামের জবাব দেই নি

এবং কথাও বলিনি) ৷ তারপর তিনি তাদের থােজ-খবর নিলেন এবং তারাও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করল ৷ ”

তাদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল ৷ অবশেষে তারা বলল, “ঈসা (আ)
সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?” আমরা তো আমাদের স্বজাতির কাছে ফিরে যাচ্ছি ৷ আর আমরা
যেহেতু খৃস্ট ধর্মাবলম্বী; তাই আপনি যদি নবীই হয়ে থাকেন ঈসা (আ) সম্পর্কে আপনার মন্তব্য
অবশ্যই আমাদের আনন্দিত করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ মুহুর্তে তার সম্বন্ধে বিশেষ
কোন বক্তব্য নেই; তাই ৷তামবা আমাদের এখানে অপেক্ষা কর; আমি ঈসা (আ) সম্পর্কে

আল্লাহ পাকের কালাম তোমাদের অবগত করব ৷ পরের দিনের সকাল হল ৷ ইতোমধ্যে আল্লাহ্
তাআলা এ আয়াত নাযিল $§?fi¥——fl



াদ্বু£া১দ্বু৷ ল্লুব্লু১ ৷দ্বুা৷রু:র্দু চুাম্বুহ্রা৷র্চএ ) এ;ান্নুাদ্বু ,াহ্র ’ , ণ্াহু ওা;াছু শুণ্ড্র প্রুস্পো৷ ব্লু) ত্রুদ্বু£ওযু


هَذِهِ الْأُمَّةِ ".» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو سَعِيدٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ الْفَضْلِ قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ ثنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ يَسُوعَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ يُونُسُ: وَكَانَ نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمَ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ نَجْرَانَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ " طس " سُلَيْمَانَ: " بِاسْمِ إِلَهِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ، مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى أُسْقُفِّ نَجْرَانَ، وَأَهْلِ نَجْرَانَ، إِنْ أَسْلَمْتُمْ فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكُمْ إِلَهَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ ; أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَدْعُوكُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ مِنْ عِبَادَةِ الْعِبَادِ، وَأَدْعُوكُمْ إِلَى وِلَايَةِ اللَّهِ مِنْ وِلَايَةِ الْعِبَادِ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَالْجِزْيَةُ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ، آذَنْتُكُمْ بِحَرْبٍ وَالسَّلَامُ» . فَلَمَّا أَتَى الْأُسْقُفَّ الْكِتَابُ فَقَرَأَهُ فُظِعَ بِهِ وَذُعِرَ بِهِ ذُعْرًا شَدِيدًا، وَبَعَثَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: شُرَحْبِيلُ بْنُ وَدَاعَةَ - وَكَانَ مِنْ أَهْلِ هَمْدَانَ، وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ يُدْعَى إِذَا نَزَلَتْ مُعْضِلَةٌ قَبْلَهُ، لَا الْأَيْهَمُ وَلَا السَّيِّدُ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৭২৯


“আল্লাহর নিকট ঈসা (আ)-এর দৃষ্টান্ত আদমের মত ৷ তাকে তিনি মাটি হতে সৃষ্টি করেছিলেন;
তারপর তাকে বলেছিলেন, হও’, ফলে সে হয়ে গেল ৷ এ সত্য তোমার প্ৰতিপালকের নিকট
থেকে সুতরাং সংশয়বাদীদের অন্তভুক্তি হয়েড়া না ৷ তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ
বিষয়ে তোমার সাথে তর্ক করে, তাকে বল, এসো, আমরা ডেকে আনি আমাদের ছেলেদের ও
£তামাদের ছেলেদের, আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের, আমাদের নিজদের ও
তোমাদের নিজেদের; তারপর আমরা কাকুতি-মিনতি করে মিথ্যারাদীদের উপর দেই আল্লাহর
লানত” (৩ : ৫৯-৬১) ৷

কিন্ত তারা আয়াতে উল্লিখিত প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানাল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের পরের দিন
সকালে মুবাহালার’ জন্য বেরিয়ে আসলেন ৷ তিনি তখন হাসান ও হুসড়ায়ন (রা)-কে একটি
মোটা চাদরে জড়িয়ে সাথে নিলেন এবং ফাতিমা (বা) তার পিছনে হেটে চলছিলেন ৷ তখন নবী
করীম (সা) এর একাধিক সহধর্মিনী ছিলেন ৷ শুরাহ্বীল তার সঙ্গীদ্বয়কে বলল, তোমরা তো
জান যে, আমাদের উপত্যকার চড়াই উতরইিয়ের সকল লোকজন সমবেত হলে তারা আমার
মতের বিপরীতে কিছুই করে না ৷ আমি আল্লাহর কসম ! একটা কঠিন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি ৷
কেননা, আল্লাহর কলম! যদি এ লোকঢি কখনো একজন পরাক্রমশালী সম্রটি হয়ে যায়, আর
আমরাই তার সুরক্ষিত স্থানে আঘাতকারী ও তার আহ্বান প্ৰত্যড়াখ্যানকারী প্রথম আরব সড়াব্যন্ত
হই, তাহলে আমাদের চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন না করা পর্যন্ত তার এবং তার সহচরদের মন
থেকে এ আঘাত মুছে যাবে না ৷ অথচ আমরাই তাদের নিকটতম আরব প্রতিবেশী ৷

আর যদি লোকটি বান্তবেই নবী ও প্রেরিত পুরুষ হয়ে থাকে আর আমরা তার সাথে
পারস্পরিক অভিসম্পাত প্রদানের দুআয় লিপ্ত হই ৷ তা হলে এ পৃথিবীর বুকে আমাদের একটি
প্রাণীও বেচে থাকবে না ৷ সাথীদ্বয় তাকে বলল, আবু মারয়াম ! তা হলে তোমার মতে এখন কী
করক্কুঞ্চুন্ণ্সে বলল, আমার মত হলো, তার হাতেই ফায়সালড়ার তার ছেড়ে দেই; কারণ, তাকে
এমন কোন লোক বলে মনে হয় না যে কখনো অন্যায় ফায়সালা দেবে ৷ তারা দু’জন বলল,
ঠিক আছে, তোমার বুদ্ধি ও চিন্তা মতই কাজ কর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সাথীদ্বয়ের পরামভুন্ণ্রি
পর শুরাহ্বীল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাে, “আপনার সাথে থুবাহালায়
অবতীর্ণ হওয়ার চাইতে একটি উত্তম বিকল্প প্রস্তাব আমার কাছে রয়েছে ৷ তিনি বললেন, তা
কী? শুরাহ্বীল বললাে, আজ সকাল হতে সল্যা পর্যন্ত এবং সল্যা হতে সকাল পর্যন্ত আপনি
চিন্তড়া-তাবনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হোন, তারপর আপনি আমাদের ব্যাপারে যে
ফায়সালা দেবেন তাই মেনে নেয়া হবে ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-

é; ংৰুষ্ছুহুশুখু দ্বু
এও
তোমার পেছনে এমন কেউ তো থাকতে পারে যে তোমাকে দােষারােপ করবে! শুরাহ্রীল

বলল, তা আমার সঙ্গীদ্বরকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন ৷ জিজ্ঞাসিত হয়ে তারা দুজন বলল,
“থেটি৷ উপত্যকা শুরাহবীলের কথায়ই উঠা-বসড়া করে ৷”


الْعَاقِبُ - فَدَفَعَ الْأُسْقُفُّ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شُرَحْبِيلَ فَقَرَأَهُ، فَقَالَ الْأُسْقُفُّ: يَا أَبَا مَرْيَمَ مَا رَأْيُكَ؟ فَقَالَ شُرَحْبِيلُ: قَدْ عَلِمْتَ مَا وَعَدَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ فِي ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ مِنَ النُّبُوَّةِ، فَمَا يُؤْمَنُ أَنْ يَكُونَ هَذَا هُوَ ذَاكَ الرَّجُلَ، لَيْسَ لِي فِي النُّبُوَّةِ رَأْيٌ، وَلَوْ كَانَ أَمْرٌ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا لَأَشَرْتُ عَلَيْكَ فِيهِ بِرَأْيٍ وَجَهِدْتُ لَكَ. فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ: تَنَحَّ فَاجْلِسْ. فَتَنَحَّى شُرَحْبِيلُ فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَبَعَثَ الْأُسْقُفُّ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شُرَحْبِيلَ. وَهُوَ مِنْ ذِي أَصْبَحَ مِنْ حِمْيَرٍ، فَأَقْرَأهُ الْكِتَابَ، وَسَأَلَهُ عَنِ الرَّأْيِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ قَوْلِ شُرَحْبِيلَ فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ: تَنَحَّ فَاجْلِسْ. فَتَنَحَّى فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَبَعَثَ الْأُسْقُفُّ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: جَبَّارُ بْنُ فَيْضٍ. مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ أَحَدِ بَنِي الْحِمَاسِ فَأَقْرَأَهُ الْكِتَابَ، وَسَأَلَهُ عَنِ الرَّأْيِ فِيهِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ قَوْلِ شُرَحْبِيلَ وَعَبْدِ اللَّهِ فَأَمَرَهُ الْأُسْقُفُّ فَتَنَحَّى فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَلَمَّا اجْتَمَعَ الرَّأْيُ مِنْهُمْ عَلَى تِلْكَ الْمَقَالَةِ جَمِيعًا، أَمَرَ الْأُسْقُفُّ بِالنَّاقُوسِ فَضُرِبَ بِهِ، وَرُفِعَتِ الْمُسُوحُ فِي الصَّوَامِعِ، وَكَذَلِكَ كَانُوا يَفْعَلُونَ إِذَا فَزِعُوا بِالنَّهَارِ، وَإِذَا كَانَ فَزَعُهُمْ لَيْلًا ضَرَبُوا بِالنَّاقُوسِ، وَرُفِعَتِ النِّيرَانُ فِي الصَّوَامِعِ، فَاجْتَمَعَ حِينَ ضُرِبَ بِالنَّاقُوسِ وَرُفِعَتِ الْمُسُوحُ، أَهْلُ الْوَادِي أَعْلَاهُ وَأَسْفَلُهُ، وَطُولُ الْوَادِي مَسِيرَةُ يَوْمٍ لِلرَّاكِبِ السَّرِيعِ، وَفِيهِ ثَلَاثٌ وَسَبْعُونَ قَرْيَةً، وَعِشْرُونَ وَمِائَةُ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَأَلَهُمْ عَنِ الرَّأْيِ فِيهِ، فَاجْتَمَعَ رَأْيُ أَهْلِ الرَّأْيِ مِنْهُمْ عَلَى أَنْ يَبْعَثُوا
পৃষ্ঠা - ৩৭৩০
شُرَحْبِيلَ بْنَ وَدَاعَةَ الْهَمْدَانِيَّ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ شُرَحْبِيلَ الْأَصْبَحِيَّ وَجَبَّارَ بْنَ فَيْضٍ الْحَارِثِيَّ فَيَأْتُوهُمْ بِخَبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ الْوَفْدُ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالْمَدِينَةِ وَضَعُوا ثِيَابَ السَّفَرِ عَنْهُمْ، وَلَبِسُوا حُلَلًا لَهُمْ يَجُرُّونَهَا ; مِنْ حِبَرَةٍ وَخَوَاتِيمَ الذَّهَبِ، ثُمَّ انْطَلَقُوا حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمُوا، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمُ السَّلَامَ، وَتَصَدَّوْا لِكَلَامِهِ نَهَارًا طَوِيلًا، فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ وَعَلَيْهِمْ تِلْكَ الْحُلَلُ وَالْخَوَاتِيمُ الذَّهَبُ، فَانْطَلَقُوا يَتَّبَّعُونَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَكَانُوا يَعْرِفُونَهُمَا، فَوَجَدُوهُمَا فِي نَاسٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فِي مَجْلِسٍ، فَقَالُوا: يَا عُثْمَانُ وَيَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ إِنَّ نَبِيَّكُمْ كَتَبَ إِلَيْنَا بِكِتَابٍ، فَأَقْبَلْنَا مُجِيبِينَ لَهُ، فَأَتَيْنَاهُ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ سَلَامَنَا، وَتَصَدَّيْنَا لِكَلَامِهِ نَهَارًا طَوِيلًا، فَأَعْيَانَا أَنْ يُكَلِّمَنَا، فَمَا الرَّأْيُ مِنْكَمَا؟ أَتَرَوْنَ أَنْ نَرْجِعَ؟ فَقَالَا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ فِي الْقَوْمِ: مَا تَرَى يَا أَبَا الْحَسَنِ فِي هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ لِعُثْمَانَ وَلِعَبْدِ الرَّحْمَنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ: أَرَى أَنْ يَضَعُوا حُلَلَهُمْ هَذِهِ وَخَوَاتِيمَهُمْ، وَيَلْبَسُوا ثِيَابَ سَفَرِهِمْ، ثُمَّ يَعُودُوا إِلَيْهِ. فَفَعَلُوا فَسَلَّمُوا فَرَدَّ سَلَامَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: " وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ، لَقَدْ أَتَوْنِي الْمَرَّةَ الْأُولَى وَإِنَّ إِبْلِيسَ لَمَعَهُمْ ". ثُمَّ سَاءَلَهُمْ وَسَاءَلُوهُ، فَلَمْ تَزَلْ بِهِ وَبِهِمُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى قَالُوا لَهُ: مَا تَقُولُ فِي عِيسَى؟ فَإِنَّا نَرْجِعُ إِلَى قَوْمِنَا، وَنَحْنُ نَصَارَى يَسُرُّنَا إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا أَنْ نَسْمَعَ مَا تَقُولُ فِيهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩১


এ আলোচনার পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুবাহালা না করে ফিরে গেলেন ৷ পরের দিন সকালে
তারা তার কাছে আসলে তিনি তাদের এ সনদপত্র লিখে দিলেন ৷ “বিসমিল্লাহিব রাহমানির
রাহীম ! এ হল আল্লাহ্র রাসুল উত্মী ও নিরক্ষব নবী মুহাম্মদ (না)-এর পক্ষ থেকে
নাজরানবাসীদেব প্রদত্ত সনদ-এ সুত্রে যে তাদের সযুদয় লাল ও সাদা (সোনারুপা) ও সব
দাসন্দাসীর উপরে তীর হুকুমের অধিকার সাবস্তে হয়েছে ৷

তবে তিনি তাদের প্রতি অনুকম্পা করে এ ব্যাপক অ্যাংৰুাৰু বার্ষিক মাত্র দৃহাজার জোড়া
বস্তে সীমিতকরণে সদয় সম্মতি দিলেন যা সমান দুই কিম্ভিতে অর্থাৎ প্রতি রজব সালে এক
হাজার জোড়া ও প্রতি সফর সালে এক হাজার জোড়ারুগে পরিশোধ্য ৷ ” এরপরে অন্যান্য
আনুষঙ্গিক শর্তসমুহ উল্লেখ করা হল এবং আবু সুফিয়ান ইবন হাবব, পড়ায়লান ইবন আমর , বনু
নাসরা গোত্রের মালিক ইবন আওক, আক্রা ইবন হাষিস আল-হানজালী ও মুগীরা (বা)
সনদের সাক্ষীরুপে রইলেন ৷ প্রতিনিধি দল সনদপত্র হাতে পেয়ে স্বদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে
গেল এবং মথাসময় নাজরড়ানে উপনীত হল ৷ সেখানে প্ৰ ধান পড়াদ্রীর সাথে তার ভৈবমড়াত্রেয় তাই
আবু আলকামা বিশ্ব ইবন মুআবিয়া উপস্থিত ছিলেন ৷ বিশ্ব পিতৃ সুত্রে পাদ্রীর চাচাত তাইও
ছিলেন ৷ প্রতিনিধি দল সনদপত্রটি পাদ্রীর হাতে তুলে দিল ৷ পড়াদ্রী ও তার ভাই প্রতিনিধি
দলকে স্বাগতম জানাবার জন্য নগর প্রান্ত পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিল ৷ ভাই এর সাথে আরোহী
অবস্থায় থেকেই পাদ্রী পত্রটি পড়তে শুরু করল ৷ হঠাৎ মিশরের উদ্রী তাকে গিঠ থেকে উপুড়
করে ফেলে দিলে সে চিঠিটিকে কুলক্ষণে সাবম্ভে করে বদ দৃআ দিয়ে উঠল এবং তাতে সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে ইঙ্গিতের আশ্রয় নিল না ৷ পাদ্রী তখন তাকে বলল, আল্লাহ্র
কসমদ্ভ তুমি তো একজন প্রেরিত পুরুষ ও নৰীকে বদ দৃআ দিয়ে ফেললে ! ৰিশৃর বলল, তাই
নাকি ? তাহলে আল্লাহ্র কলম! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে উপনীত হওয়ার আগে এ বড়াহনের
পদী লাগামের একটি পিট থুলব না ৷ এ কথা বলামাত্রই সে তার উটনীর মুখ মদীনা তাভিঘৃখী
করে দিল ৷ পড়াদ্রীও তার উটনীর মুখ যে দিকে ফিরিয়ে ভাইকে বলল, দেখ , আমার বক্তাব্যর
অর্থ বুঝে নাও ৷ আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল যে, আমরা আরবের সেরা অভিজাত বংশ ও
ঐকবদ্ধ গোষ্ঠি হওয়া সত্বেও আমরা তার অনুসারণী হয়ে পেছি, কিৎবা তার ডাকে সাড়া
দিয়েছি, কিৎবড়া আরবের অন্য কেউ করেনি এমন আনৃকুল্য তার প্রতি প্রদর্শন করেছি ৷ এমন
ধারণার শংকত্ত্ব আমার পক্ষ থেকে আরবদের না হয়ে যায় ৷ ৰিশৃর বলল, আল্লাহ্র কসমৰু
তোমার মাথা থেকে যে দৃর্বুদ্ধি রেরিয়েছে তা আমি কোন দিন গ্রহণ করব না ৷ ৰিশৃর এ কথা
বলে পাদ্রীকে পিছনে রেখে তার উটের পেটে পােড়ালীর আঘাত করল এবং এ ছড়া কাটতে
কৰুটতে এগিয়ে চললন্শ্

এরৰুৰু

তোমার পড়ানে এগিয়ে চলছে উদ্রী র্কাপছে তার হাওদা ও তার ৰীবন; গর্ভে রয়েছে তার
বাচচা ; এখন তার ধর্ম খৃস্টধর্মের প্ৰতিকুলে ৷ ”

ৰিশৃর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী সময়ে শহীদ না
হওয়া পর্যন্ত তীর বশ্চেইি অৰিচল থাকেন ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا عِنْدِي فِيهِ شَيْءٌ يَوْمِي هَذَا، فَأَقِيمُوا حَتَّى أُخْبِرَكُمْ بِمَا يَقُولُ اللَّهُ فِي عِيسَى ". فَأَصْبَحَ الْغَدُ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَذِهِ الْآيَةَ " {إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْمُمْتَرِينَ فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ} [آل عمران: 59] " [آلِ عِمْرَانَ: 59 - 61] فَأَبَوْا أَنْ يُقِرُّوا بِذَلِكَ فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ بَعْدَ مَا أَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ، أَقْبَلَ مُشْتَمِلًا عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ فِي خَمِيلٍ لَهُ، وَفَاطِمَةُ تَمْشِي عِنْدَ ظَهْرِهِ لِلْمُلَاعَنَةِ، وَلَهُ يَوْمَئِذٍ عِدَّةُ نِسْوَةٍ، فَقَالَ شُرَحْبِيلُ لِصَاحِبَيْهِ: قَدْ عَلِمْتُمَا أَنَّ الْوَادِيَ إِذَا اجْتَمَعَ أَعْلَاهُ وَأَسْفَلُهُ لَمْ يَرِدُوا وَلَمْ يَصْدُرُوا إِلَّا عَنْ رَأْيِي، وَإِنِّي وَاللَّهِ أَرَى أَمْرًا ثَقِيلًا، وَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ مَلِكَا مُتَقَوِّيًا، فَكُنَّا أَوَّلَ الْعَرَبِ طَعَنَ فِي عَيْنِهِ وَرَدَّ عَلَيْهِ أَمْرَهُ، لَا يَذْهَبُ لَنَا مِنْ صَدْرِهِ وَلَا مِنْ صُدُورِ أَصْحَابِهِ حَتَّى يُصِيبُونَا بِجَائِحَةٍ، وَإِنَّا أَدْنَى الْعَرَبِ مِنْهُمْ جِوَارًا، وَلَئِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ نَبِيًّا مُرْسَلًا فَلَاعَنَّاهُ ; لَا يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِنَّا شَعْرٌ وَلَا ظُفْرٌ إِلَّا هَلَكَ. فَقَالَ لَهُ صَاحِبَاهُ: فَمَا الرَّأْيُ يَا أَبَا مَرْيَمَ؟ فَقَالَ: رَأْيِي أَنَّ أُحَكِّمَهُ فَإِنِّي أَرَى رَجُلًا لَا يَحْكُمُ شَطَطًا أَبَدًا. فَقَالَا لَهُ: أَنْتَ وَذَاكَ. قَالَ: فَتَلَقَّى شُرَحْبِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ خَيْرًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩২

আল-বিদায়া ওয়ান নিঃহায়া ১১১

বর্গনাকা বী বলেন, প্রতিনিধি দল নাজরানে প্রবেশ করে আার রাহিব ইবন আবু শাম্মারা
যুবায়াদীর কাছে পৌছল ৷ গীর্জা চুড়ায় অবস্থুান রড় যাজককে লক্ষ্য করে পাদ্রী বলল, তিহামা’
অঞ্চলে একজন নবী প্রেরিত হয়েছেন ৷ এরপর সে য়রুজককে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে
নাজরানের প্রতিনিধি দলের গমন, নবী করীম (সা) এর তাদের কা ছে ঘুবাহালার প্রভাব ও
তাদের তাতে আীকৃতির আনৃপুর্বিক বর্ণনা দিল এবং বিশ্ব ইবন মুআবিয়ার (মদীনায় গিয়ে
মুসলমান হওয়ার) বিষয় অবহিত করল ৷ যাজক বলল, তোমরা আমাকে নামিয়ে দাও; অন্যথায়
আমি গীজাব এই উচু চুড়া’ থেকে লাফিয়ে পড়ব ৷ তারা তাকে নামিয়ে দিলে যে নিজের সঙ্গে কিছু
হাদিয়ার উপকরণ নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (সা) কাছে গিয়ে উপস্থিত হল ৷ আজকাল খলীফারা যে চাদর
পরিধান করেন তাও ছিল সে হ দিয়াব একটি ৷ আর ছিল একটা বড় থেয়ালা ও একটি লাঠি ৷ যে
কিছু দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে অবস্থান করে ওহী শ্রবণ করে তারপরাদেশে ফিরে যায়া
তখন পর্যন্ত তার ইসলাম গ্রহণের সৌতাগ্য হয়নি ৷ সে পুনরায় ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,
কিন্তু তাও তার ভাগ্যে জুটল না এবং ইতোমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গোল ৷ প্রধান
পাদ্রী আবুল হারিছও রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর দরবারে এসেছিল ৷৩ তার সাথে ছিল আল সায়িাদ, আল
আকিব ও তার ৫৭াত্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা তার কাছে অবস্থান করে আল্লাহর কালাম
শুনল ৷ এ পাদ্রী এবং তার স্থলাভিষিক্ত নাজরানের পরবর্তী পাদ্রীদের জন্য এ সনদ লিখে দেয়া
হল, বিসমিল্লাহির রাহমানিব ৱাহীম ৷



ধ্)গ্ঐ১ :মৌৰু ম্মু ব্লু
ষ্ভোঙে মু ব্লু ণ্শ্র;া৷ মোঃ এএৰু

নবী মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে পাদ্রী আবুল হারিছ ও নাজরানের অন্যান্য পাদ্রীবর্গ,
জ্যোতিষবর্গ, ও যাজকদের জন্য এবং তাদের অধিকারভুক্ত যাবতীয় ৰিষয়াদিব জন্য আল্লাহ ও
তার রাসুলের নিরাপত্তা রইলাে ৷ কোন পাদ্রীকে তার পাদ্রীপদ হতে ,কােন যাজককে তার পদ
থেকে এবং কোন জ্যোতিষকে তার পদ থেকে রদ বদল বা অপসারণ করা হবে না ৷ তাদের
অধিকার ও কতৃ প্ৰতিপত্তি এবং তাদের পুর্বাবস্থার কোন রুপ পরিবর্তন ঘটানো হবে না ৷
যতদিন তারা শৃগ্রলা রক্ষা করে চলবে, কল্যাণকামী থাকবে, জুলুম না করবে ও নিপীড়ন
নির্যাতনে লিপ্ত না হবে ততদিন তাদের জন্য আল্লাহ ও তার বাসুলের নিরাপত্তা থাকবে ৷ লিখক
মুগীরা ইবন শুবা ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, নাজরানেব খৃস্টান প্রতিনিধিদল সত্তুবজন সদস্য
ছিলেন৷ এদের মাঝে নেতৃস্থানীয় ছিল চৌদ্দজন ৷৩ ৩ারা হল: (১) আল আকিব যার নাম ছিল
আবদুল মাসীহ্; (২) আল সায়িব্রদ যার নাম ছিল আল আতহাম (মতা ভরে আল আবহাম);
(৩) আবু হারিছা ইবন আলকামা; (৪) আওস ইবনুল হারিছ; (৫) যায়দ; (৬) কায়স; (৭)
ইয়াযীদ; (৮) নুবায়হ; (৯) থুওয়ায়লিদ; (১০) উমর; (১১) খালিদ; (১২) আবদুল্লাহ; (১৩)
ইয়ানাস; ( ১ : ) আবার এ চৌদ্দজঃনব শীর্ষে ছিণোপ ৩ালোঃ তিনজন ৷ প্রথম আল আকিব ৷

ওেতাে



مُلَاعَنَتِكَ فَقَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " فَقَالَ: حُكْمُكَ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ وَلَيْلَتَكَ إِلَى الصَّبَاحِ، فَمَهْمَا حَكَمْتَ فِينَا فَهُوَ جَائِزٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَعَلَّ وَرَاءَكَ أَحَدٌ يُثَرِّبُ عَلَيْكَ؟ " فَقَالَ شُرَحْبِيلُ: سَلْ صَاحِبَيَّ. فَسَأَلَهُمَا فَقَالَا: مَا يَرِدُ الْوَادِيَ وَلَا يَصْدُرُ إِلَّا عَنْ رَأْيِ شُرَحْبِيلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَافِرٌ - أَوْ قَالَ: جَاحِدٌ - مُوَفَّقٌ ". فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُلَاعِنْهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ أَتَوْهُ، فَكَتَبَ لَهُمْ هَذَا الْكِتَابَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا كَتَبَ مُحَمَّدٌ النَّبِيُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَجْرَانَ، أَنْ كَانَ عَلَيْهِمْ حُكْمُهُ فِي كُلِّ ثَمَرَةٍ وَكُلِّ صَفْرَاءَ وَبَيْضَاءَ وَرَقِيقٍ، فَأَفْضَلَ عَلَيْهِمْ وَتَرَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَلَى أَلْفَيْ حُلَّةٍ، فِي كُلِّ رَجَبٍ أَلْفُ حُلَّةٍ، وَفِي كُلِّ صَفَرٍ أَلْفُ حُلَّةٍ» . وَذَكَرَ تَمَامَ الشُّرُوطِ إِلَى أَنْ قَالَ: شَهِدَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَغَيْلَانُ بْنُ عَمْرٍو وَمَالِكُ بْنُ عَوْفٍ مِنْ بَنِي نَصْرٍ، وَالْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيُّ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَكَتَبَ، حَتَّى إِذَا قَبَضُوا كِتَابَهُمُ انْصَرَفُوا إِلَى نَجْرَانَ فَتَلَقَّاهُمُ الْأُسْقُفُّ وَوُجُوهُ نَجْرَانَ عَلَى مَسِيرَةِ لَيْلَةٍ مِنْ نَجْرَانَ، وَمَعَ الْأُسْقُفِّ أَخٌ لَهُ مِنْ أُمِّهِ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّهِ مِنَ النَّسَبِ يُقَالُ لَهُ: بِشْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ. وَكُنْيَتُهُ أَبُو عَلْقَمَةَ فَدَفَعَ الْوَفْدُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৩
الْأُسْقُفِّ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَقْرَأُهُ وَأَبُو عَلْقَمَةَ مَعَهُ وَهُمَا يَسِيرَانِ، إِذْ كَبَتْ بِبِشْرٍ نَاقَتُهُ، فَتَعِسَ بِشْرٌ غَيْرَ أَنَّهُ لَا يُكَنِّي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ عِنْدَ ذَلِكَ: قَدْ وَاللَّهِ تَعَّسْتَ نَبِيًّا مُرْسَلًا. فَقَالَ لَهُ بِشْرٌ: لَا جَرَمَ، وَاللَّهِ لَا أَحُلُّ عَنْهَا عَقْدًا حَتَّى آتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَضَرَبَ وَجْهَ نَاقَتِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةِ، وَثَنَى الْأُسْقُفُّ نَاقَتَهُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: افْهَمْ عَنِّي، إِنِّي إِنَّمَا قُلْتُ هَذَا لِيَبْلُغَ عَنِّي الْعَرَبَ ; مَخَافَةَ أَنْ يَرَوْا أَنَّا أَخَذْنَا حَقَّهُ، أَوْ رَضِينَا نُصْرَتَهُ، أَوْ بَخَعْنَا لِهَذَا الرَّجُلِ بِمَا لَمْ تَبْخَعْ بِهِ الْعَرَبُ، وَنَحْنُ أَعَزُّهُمْ وَأَجْمَعُهُمْ دَارًا. فَقَالَ لَهُ بِشْرٌ: لَا وَاللَّهِ لَا أَقْبَلُ مَا خَرَجَ مِنْ رَأْسِكَ أَبَدًا. فَضَرَبَ بِشْرٌ نَاقَتَهُ وَهُوَ مُوَلٍّ الْأُسْقُفَّ ظَهرَهُ، وَارْتَجَزَ يَقُولُ: إِلَيْكَ تَغْدُو قِلْقًا وَضِينُهَا ... مُعْتَرِضًا فِي بَطْنِهَا جَنِينُهَا مُخَالِفًا دِينَ النَّصَارَى دِينُهَا حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ، وَلَمْ يَزَلْ مَعَهُ حَتَّى قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ: وَدَخَلَ الْوَفْدُ نَجْرَانَ، فَأَتَى الرَّاهِبَ لَيْثَ بْنَ أَبِي شِمْرٍ الزُّبَيْدِيَّ وَهُوَ فِي رَأْسِ صَوْمَعَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: إِنَّ نَبِيًّا بُعِثَ بِتِهَامَةَ. فَذَكَرَ لَهُ مَا كَانَ مِنْ وَفْدِ نَجْرَانَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৪


ইনি হলেন দল নেতা, তাদের মধ্যে সর্বাধিক ধীমান ও প্রধান উপদেষ্টা; যার ফায়সালা তাদের
সকলে এক বড়াকে৷ মেনে নিত ৷ দ্বিতীয় আস সায়িাদ; ৰিপদে-আপদে তাদের আশ্রয়স্থুল ও
বাহন সরবধাহকাৰী ৷ তৃতীয় আবু হারিছা ইবন আলকামা প্রধান পাদ্রী ও শ্রেষ্ঠ বক্তিতৃ ৷ আবু
হারিছা ছিল বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের আরব বংশীয় লোক ৷ কিন্তু খৃস্টধর্ম গ্রহণ করার
কারণে এবং ধর্মে তার অবিচলতা প্রত্যক্ষ করে রোমহুনরা তাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত
করেছিল এবং তীর প্রতি শ্রহ্মার ম্পির্ণষ্াণ্ধ্রন্প তার জন্য গীআ নির্মাণ করে দিয়েছিল ও তাকে
প্রচুর অর্থৰিত্ত দিয়ে তার সার্বিক সেবা-যত্নের ব্যবস্থা করেছিল ৷ খৃস্টবর্মে একান্ত নিষ্ঠা সত্বেও
সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সত্যতা অনুধাবন করেছিল ৷ কিন্তু পদমর্যাদা ও আভিজাত্যের অহংকার
সত্য গ্রহণে তার জন্য অম্ভরড়ায় হয়ে র্দাড়িয়েছিল ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাক থেকে উদ্ধৃত করেছেন বৃরায়দা ইবন সৃফিয়ান (র)
সুত্রে বর্ণনা করেছেন কুবৃবৃ (মতাভরে কুয) ইবন আলকামড়া থেকে বর্ণনা করেন ৷ তবে এ
বর্ণনায় প্রধান ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা চৌদ্দজনের স্থলে চব্বিশজন বলে উল্লেখ রয়েছে ৷

নাজরান থেকে রওনা হলে আবু হারিছা তার একটি খাচচরে আরোহী হল ৷ তার ভাই কুরয ইবন
আলকমো তার পাশে পাশে পথ চলছিল ৷ হঠাৎ আবু হারিছাব খচচর আছাড় থােল কুবৃয বলে
উঠল, “দুরের ল্যেকটি নিপাত যাক !” সে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-কে লক্ষ্য করে এ কথাটি বলেছিল ৷ আবু
হারিছা বলল, বরং তোমারই সর্বনাশ হোক ! কৃবৃয বলল, ভাইজান৷ আপনি তা বলছেন কেন? আবু
হারিছা বলল, “আল্লাহ্র কসম! তিনি অবশ্যই সেই নবী যার প্রতীক্ষায় আমরা দিন গুনজ্জিাম ৷
কুরয তাকে বলল, আপনি যখন বিষয়টি জ্যনেনই, তা হলে আপনার জন্য তীকে মেনে নিতে বাধা
কোথায় ? সে বলল, এ ণ্লাকেরা আমাদের জন্য কত ফীই না করেছে; আমাদের মর্যাদা দিয়েছে,
সম্পদ দিয়েছে ও সব রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে সেবা-বণ্ড্র করেছে আর ৩ার৷ ওার ৰিরোধিতায়
অনড় ৷ এখন আমি ঐরুপ কিছু করলে তারা আমাদের সর্বব ছিনিয়ে নেরে ৷ কুরয তখন তার
মনের কথাটি গোপন রেখে চলে গেল এবং পরে মুসলমান হয়ে গেল ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, মসজিদে নববীতে প্রবেশ করার সময় প্রতিনিধির৷ জাক
জমকপুর্ণ উত্তম রেশ-তুষায় প্রবেশ করেছিল ৷ তখন আসরের সালড়াতের সময় হয়ে গিয়েছিল ৷
তারা পুর্ধমুখী হয়ে সালাত আদায় করতে শুরু করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তাদেরকে বাধা
দিও না ৷ ” পরে তাদের মধ্য হতে আবু হারিছা ইবন আলকামড়া, আস সায়িাদ ও আল আকিব
ঘুখপড়াত্রের দায়িত্ব পালন করল ৷ তখন তাদের সম্পর্কে সুরা আল-ইমরানের প্রথম দিকের
আয়ড়াতসর্মুহ এবং মুবাহালা’ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হল ৷ কিন্তু তারা তাতে রাজি হলো না
এবং তাদের সঙ্গে একজন বিশ্বস্ত লোককে পাঠাবাব আবেদন করলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের
সাথে আবু উবায়দা ইবনৃল জাবৃরাহ্ (রা)কে পড়াঠাদ্ভলন ৷ (যেমন ইতােপুর্বে বুখারী (র)-এর
রিওয়ায়াতে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ (আমার তাফসীর গ্রন্থের সুরা আল-ইমরানে আমি বিষয়টির
আনৃপুর্বিক বর্ণনা দিয়েছি ৷ আল্লাহ্ই যাবতীয় হাম্দ ও অনুকম্পার অধিকারী) ৷






رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ عَرَضَ عَلَيْهِمُ الْمُلَاعَنَةَ فَأَبَوْا، وَأَنَّ بِشْرَ بْنَ مُعَاوِيَةَ دَفَعَ إِلَيْهِ فَأَسْلَمَ، فَقَالَ الرَّاهِبُ: أَنْزِلُونِي وَإِلَّا أَلْقَيْتُ نَفْسِي مِنْ هَذِهِ الصَّوْمَعَةِ. قَالَ: فَأَنْزَلُوهُ فَأَخَذَ مَعَهُ هَدِيَّةً، وَذَهَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا هَذَا الْبَرْدُ الَّذِي يَلْبَسُهُ الْخُلَفَاءُ، وَقَعْبٌ، وَعَصَا، فَأَقَامَ مُدَّةً عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ الْوَحْيَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ، وَلَمْ يُقَدَّرْ لَهُ الْإِسْلَامُ، وَوَعَدَ أَنَّهُ سَيَعُودُ، فَلَمْ يُقَدَّرْ لَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ الْأُسْقُفَّ أَبَا الْحَارِثِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ السَّيِّدُ وَالْعَاقِبُ وَوُجُوهُ قَوْمِهِ، فَأَقَامُوا عِنْدَهُ يَسْمَعُونَ مَا يُنَزِّلُ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَكَتَبَ لِلْأُسْقُفِّ هَذَا الْكِتَابَ وَلِأَسَاقِفَةِ نَجْرَانَ بَعْدَهُ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأُسْقُفِّ أَبِي الْحَارِثِ وَكُلِّ أَسَاقِفَةِ نَجْرَانَ وَكَهَنَتِهِمْ وَرُهْبَانِهِمْ، وَكُلِّ مَا تَحْتَ أَيْدِيهِمْ مِنْ قَلِيلٍ أَوْ كَثِيرٍ، جِوَارُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، لَا يُغَيَّرُ أُسْقُفٌّ مِنْ أُسْقُفَّتِهِ، وَلَا رَاهِبٌ مِنْ رَهْبَانِيَّتِهِ، وَلَا كَاهِنٌ مِنْ كَهَانَتِهِ، وَلَا يُغَيَّرُ حَقٌّ مِنْ حُقُوقِهِمْ وَلَا سُلْطَانِهِمْ، وَلَا مِمَّا كَانُوا عَلَيْهِ، عَلَى ذَلِكَ جِوَارُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ أَبَدًا، مَا نَصَحُوا وَأَصْلَحُوا عَلَيْهِمْ، غَيْرَ مُثْقَلِينَ بِظُلْمٍ وَلَا ظَالِمِينَ " وَكَتَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ وَفْدَ نَصَارَى نَجْرَانَ كَانُوا سِتِّينَ رَاكِبًا، يَرْجِعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৫


হয়ে আক্ষেপে বলতে লাগল, হায় বনু আমির! বিদেশ বিভুয়ে এক সালুলী রমণীর ঘরে উটের
প্লেগে আক্রান্ত হয়ে আমি মরছি !

ইবন হিশাম (র) বলেন, কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে (আমির বলেছিল) উটেৱ টিউমারের
ন্যায় টিউমার ৷ আর সালুলী রমণীর মরে মৃত্যু! হাফিজ বায়হাকী (র)-এব বর্ণনায় যুবায়র ইবন
বাক্কারষুলা ইবন জামীল (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমির ইবনুত তুফায়ল
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে আসলে তিনি তাকে বললেন, আমির! মুসলমান হয়ে যাও ! সে
বলল, এ শর্তে মুসলমান হতে পারি যে, পল্লী এলাকা আমার আর শহর এলাকা তোমার
থাকবে ৷ তিনি বললেন, না (তা হতে পারে না) ৷ পুনরায় বললেন, মুসলমান হয়ে যাও! সে
বলল, এ শর্তে মুসলমান হতে পারি যে, পল্লী আমার, আর শহর তোমার থাকবে ৷

তিনি বললেন, না ৷ সে তখন এ কথা বলতে বলতে চলে গেল আল্লাহ্র কলম ! £হ
মুহাম্মদ ! দ্রুতগামী সুঠাম দেহী অশ্ব বাহিনী ও উদ্ধত উচ্ছল পদাতিক বাহিনী দিয়ে আমি এ
শহর ভরে ফেলব, আর মদীনায় প্রতিটি থের্জুর গাছে একটি করে ঘোড়া র্বীধব ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, ইয়৷ আল্লাহ্ ! আমিরের ব্যাপারে আপনি আমার জন্য যথেষ্ট হোন এবং তার
কওমকে হিদায়াত দান করুন! আমির বেরিয়ে পড়ল এবং মদীনায় নগর প্রান্তে উপনীত হয়ে
সালুলীয়্যা নাষী তার গোত্রের এক নারীর সাক্ষাত পেল ৷ ঘোড়া থেকে নেমে পড়ে ঐ রমণীর
ঘরে রাত কাটালো ৷ পলনালীতে টিউমার দেখা দেয়ায় সে বলুন হাতে নিয়ে লাফ দিয়ে ঘোড়ার
পিঠে উঠে বসল এবং এ কথা বলে বলে চক্কর দিতে লাগল, উটের টিউমার আক্রান্ত!
সালুলীয়ার ঘরে মরণ ! এ অবস্থায়ই তার মৃতদেহ ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেল !

হাফিজ আবু উমর ইবন আবদুল বার (র) তীর আল ইসভীআব গ্রন্থে সাহাবীগণের নামের
তালিকায় উল্লিখিত রাবী মুলা’ (না)-এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে বলেছেন, ইনি হলেন মুলা ইবন
কাহীফ আবৃ-যড়াবাবী আল কিলাবী আল আমিরী, বনু আমির ইবন সাসাআ-এর লোক ৷ তিনি
কুড়ি বছর বয়সে রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং একশ’ বছর
ইসলামী জীবন অতিবাহিত করেন ৷ বাশ্মীতার জন্য তাকে দুই রসনাধারী নামে অভিহিত করা
হত ৷ তার ছেলে আবদুল আষীয তার কাছ থেকে হাদীসের রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমির
ইবনুত তুফায়লের উটের টিউমার আর সালুলিয়ড়ার ঘরে মরণ!’ উক্তিটি তিনিই রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার (র) বলেন, জাম ইয়া (মতান্তরে ফাতিমা) বিনৃত আবদুল
আষীয ইবন ঘুলা ইবন কাহীফ ইবন হামীল ইবন খালিদ ইবন আমৃর ইবন ঘুআবিয়া, ইনি
হলেন আর যুবাব ইবন কিলড়াব ইবন রাবীআ ইবন আমির ইবন সাসাআযুলা (বা) থেকে
বর্ণিত যে, তিনি বিশ বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ডান হাত স্পর্শ করে তার কাছে বায়আত হয়েছিলেন ৷ তিনি
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে তার উট পাল নিয়ে এসে ৰিনৃত লাবুন (তিন বছরের মাদী উট)
দিয়ে উটপালের যাকাত আদায় করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরে আবু হ্বারর! (র!)-এর
সাহচর্যে অবস্থান করেন এবং মুসলমান হওয়ার পরেও একা’ ৰহ্ব ব্জীৰিত ৰ্াৰেন ৷ তার
বাগািতার কারণে তাকে “দুই রসনার্বাৰী ৰ্ল৷ হত ৷


أَمْرُهُمْ إِلَى أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْهُمْ، وَهُمْ الْعَاقِبُ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْمَسِيحِ وَالسَّيِّدُ وَهُوَ الْأَيْهَمُ وَأَبُو حَارِثَةَ بْنُ عَلْقَمَةَ وَأَوْسٌ وَالْحَارِثُ وَزَيْدٌ وَقَيْسٌ وَيَزِيدُ وَنُبَيْهٌ وَخُوَيْلِدٌ وَعَمْرٌو وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ وَيُحَنَّسُ وَأَمْرُ هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةَ عَشَرَ يَئُولُ إِلَى ثَلَاثَةٍ مِنْهُمْ، وَهُمْ ; الْعَاقِبُ وَكَانَ أَمِيرَ الْقَوْمِ وَذَا رَأْيهِمْ وَصَاحِبَ مَشُورَتِهِمْ، وَالَّذِي لَا يَصْدُرُونَ إِلَّا عَنْ رَأْيِهِ وَالسَّيِّدُ وَكَانَ ثِمَالَهُمْ وَصَاحِبَ رَحْلِهِمْ وَأَبُو حَارِثَةَ بْنُ عَلْقَمَةَ وَكَانَ أُسْقُفَّهُمْ وَحَبْرَهُمْ، وَكَانَ رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، وَلَكِنْ دَخَلَ فِي دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَعَظَّمَتْهُ الرُّومُ وَشَرَّفُوهُ، وَبَنَوْا لَهُ الْكَنَائِسَ، وَمَوَّلُوهُ وَأَخْدَمُوهُ ; لِمَا يَعْرِفُونَ مِنْ صَلَابَتِهِ فِي دِينِهِمْ، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ يَعْرِفُ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ صَدَّهُ الشَّرَفُ وَالْجَاهُ عَنِ اتِّبَاعِ الْحَقِّ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ عَنْ كُرْزِ بْنِ عَلْقَمَةَ قَالَ: قَدِمَ وَفْدُ نَصَارَى نَجْرَانَ سِتُّونَ رَاكِبًا، مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ رَجُلًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَالْأَرْبَعَةُ وَالْعِشْرُونَ مِنْهُمْ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ إِلَيْهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৬
يَئُولُ أَمْرُهُمْ ; الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ وَأَبُو حَارِثَةَ أَحَدُ بَنِي بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، أُسْقُفُّهُمْ وَصَاحِبُ مِدْرَاسِهِمْ، وَكَانُوا قَدْ شَرَّفُوهُ فِيهِمْ، وَمَوَّلُوهُ وَأَخْدَمُوهُ وَبَسَطُوا عَلَيْهِ الْكَرَامَاتِ، وَبَنَوْا لَهُ الْكَنَائِسَ ; لِمَا بَلَغَهُمْ عَنْهُ مِنْ عِلْمِهِ وَاجْتِهَادِهِ فِي دِينِهِمْ، فَلَمَّا تَوَجَّهُوا مِنْ نَجْرَانَ جَلَسَ أَبُو حَارِثَةَ عَلَى بَغْلَةٍ لَهُ، وَإِلَى جَنْبِهِ أَخٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ: كُرْزُ بْنُ عَلْقَمَةَ. يُسَايِرُهُ إِذْ عَثَرَتْ بَغْلَةُ أَبِي حَارِثَةَ فَقَالَ كُرْزٌ: تَعِسَ الْأَبْعَدُ. يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ أَبُو حَارِثَةَ: بَلْ أَنْتَ تَعِسْتَ. فَقَالَ لَهُ كُرْزٌ: وَلِمَ يَا أَخِي؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَلنَّبِيُّ الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُهُ. فَقَالَ لَهُ كُرْزٌ: وَمَا يَمْنَعُكَ وَأَنْتَ تَعْلَمُ هَذَا؟ فَقَالَ: مَا صَنَعَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ ; شَرَّفُونَا وَمَوَّلُونَا وَأَخْدَمُونا، وَقَدْ أَبَوْا إِلَّا خِلَافَهُ، وَلَوْ فَعَلْتُ نَزَعُوا مِنَّا كُلَّ مَا تَرَى. قَالَ: فَأَضْمَرَ عَلَيْهَا مِنْهُ أَخُوهُ كُرْزٌ حَتَّى أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ لَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ النَّبَوِيَّ دَخَلُوا فِي تَجَمُّلٍ وَثِيَابٍ حِسَانٍ، وَقَدْ حَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَقَامُوا يُصَلُّونَ إِلَى الْمَشْرِقِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوهُمْ ". فَكَانَ الْمُتَكَلِّمُ لَهُمْ أَبَا حَارِثَةَ بْنَ عَلْقَمَةَ وَالسَّيِّدَ وَالْعَاقِبَ حَتَّى نَزَلَ فِيهِمْ صَدْرُ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ وَالْمُبَاهَلَةُ، فَأَبَوْا ذَلِكَ وَسَأَلُوا أَنْ يُرْسِلَ مَعَهُمْ