আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

قصة ثمامة ووفد بني حنيفة ومعهم مسيلمة الكذاب

قصة ثمامة ووفد بني حنيفة ومعهم مسيلمة الكذاب

পৃষ্ঠা - ৩৭১৭


শ্অ্যাং

“আমি নিদ্রড়ামগ্ন ছিলাম, ইতোমধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার কাকন রু তা
আমাকে চিম্ভারুিষ্ট করল, ত খন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল “ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গেল ৷ ন্

আমি (সপুে দেখা) কাকন দৃটিরব্যাধ্যা করলাম দুই ষিথ্যাৰাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনাসী, অন্য জন মুসায়লামা ৷

তারপর বৃখারী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-
এে
ড়ুণ্এেগ্ ৮,প্রুওড্রুঢ় এে১হ্র অ্যাং
“আমার নিদ্রামগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভআেরসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমরে
হাতে সোনার দু ’টি কাকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ও রী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দৃটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল : আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি ররৈছি ৷ সান্আ এর লোকটি ও ইয়ামামড়া-
এর ল্যেকটি ৷”

বুখারী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আ ল জা ৷বৃমী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ বিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মুসারলামাভুল কায্যাব মদীনায় এসে বিনৃতুল হারিছ-এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ বিনৃতুল
হারিছ ইবন কুরায়য্ ছিল তার পত্নী মহিলাটি ছিল আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবন কুরায়য-এর
মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তীর সাথে ছিলেন ছাবিত ইবন কায়স ইবন শন্মোস
(রা)-যিনি খাতিবু রাসুলিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর রাসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি যুসায়লামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে ’ কথা বললেন, মুসায়লামা তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুয়ত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
জন্যে করে দিতে পারেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ড ড়ালটিও
দাবী করলে তা ও অমি তোমাকে দেব না ! আর আমি নিশ্চিত ই তে আমাকে সেই লােকটি বলে
মনে করছি যাকে আ ড়ামি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷ আর এ ছবি ইবন কারন; সেই
আমার পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রড়া)-কে জিজ্ঞাসা
করলাম, ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমার কাছে বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, আমি নিদ্রামগ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেয়া হয়েছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

[قِصَّةُ ثُمَامَةَ وَوَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَمَعَهُمْ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابِ] ُ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَقِصَّةِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ ; حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قَبْلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ. فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ " قَالَ: عِنْدِي خَيْرٌ يَا مُحَمَّدُ، إِنْ تَقْتُلْنِي تَقْتُلْ ذَا دَمٍ، وَإِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ مِنْهُ مَا شِئْتَ. فَتَرَكَهُ حَتَّى كَانَ الْغَدُ ثُمَّ قَالَ لَهُ: " مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ " فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ. إِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ. فَتَرَكَهُ حَتَّى بَعْدَ الْغَدِ فَقَالَ: مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ. فَقَالَ: " أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ ". فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، يَا مُحَمَّدُ، وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ وَجْهٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ وَجْهِكَ، فَقَدْ أَصْبَحَ وَجْهُكَ أَحَبَّ الْوُجُوهِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ دِينٌ أَبْغَضَ
পৃষ্ঠা - ৩৭১৮


ঠো ? ১এ নৌ এেম্পুচ্গ্ — ৰুংওএৰুএণ্ শু-লোঃট্ট ত্যুঃট্র (,এে ড্রোগ্লু এে১;৷ ,এ্ন্ ৰু:ন্ৰুএ ণ্ওএে এে৷ ঘু প্রুহু

আমি দিদ্রামগ্ন ছিলাম, ইতেড়ামধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার র্কাকন ৷ তা’
দ্যো স্তিাব্লিষ্টি করল, তখন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল“ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গোল ৷

আমি (সভ্রুপ্ন দেখা ) কাকন দুটির ব্যাখ্যা করলাম দুই যিথ্যাবাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনড়াসী, অন্য জন ম্বসারলামা ৷

তারপর বুখাবী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
ৰ্সুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন
ণ্র্ণী-ন্ গ্রা
আমার নিদ্রম্নেগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভাণ্ডারসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমার
হাভে ণ্সানার দুটি র্কীকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ভারী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দুটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল ৷ আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি রভৈয়ছি ৷ সানৃআষ্ এর লোকটি ও ইয়ামামা-
এর ল্যেকটি ৷”

বুখাবী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আল জাবৃঘী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদৃল্লাহ্ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ রিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মৃসায়লামাতুল কাঘৃযাব মদীনায় এসে ৰিনতুল হারিছ এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ ৰিনতুল
হারিছু ইবন কুরড়ারঘৃ ছিল তার পত্নী মহিলড়াটি ছিল আবদুল্লাহ্ ইবনুল হারিছ ইবন কুরড়ায়যণ্এর
যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তার সাথে ছিলেন ছড়াৰিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস
(না)-যিনি খাতিবু রড়াসুলিল্লাহ্’ অর্থাৎ আল্লাহর রড়াসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
ম্বনুলুল্লাহ্ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি ঘুসায়লড়ামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে কথা বললেন, মুসারলামা র্তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুরত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
দান! করে দিতে পারেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ডালটিও
দাৰী করলে তা ও আমি তোমাকে দেব না ৷ আর আমি নিশ্চিতই তোমাকে সেই ল্যেকটি বলে
ম্নেব্বছি যাকে আমি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷” আর এ ছড়াৰিত ইবন কারন; সেই
ন্বৰ্র পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রত্ত্বসুলুল্লাহ্ (সা) চলে গেলেন ৷ ” আবদুল্লাহ্
(ৰ্) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রা ) কে জিজ্ঞাসা
স্নান, ইবন আব্বাস (বা) বললেন, আমার কাছে বণ্নাি দেয়া হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মোঃ, আমি ন্থিদামপ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেশ্ হংয়ছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়


إِلَيَّ مِنْ دِينِكَ، فَأَصْبَحَ دِينُكَ أَحَبَّ الدِّينِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ مِنْ بَلَدٍ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ بَلَدِكَ، فَأَصْبَحَ بَلَدُكَ أَحَبَّ الْبِلَادِ إِلَيَّ، وَإِنَّ خَيْلَكَ أَخَذَتْنِي وَأَنَا أُرِيدَ الْعُمْرَةَ، فَمَاذَا تَرَى؟ فَبَشَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتَمِرَ، فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ قَالَ لَهُ قَائِلٌ: صَبَوْتَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أَسْلَمْتُ مَعَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا وَاللَّهِ لَا يَأْتِيكُمْ مِنَ الْيَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ قُتَيْبَةَ عَنِ اللَّيْثِ بِهِ. وَفِي ذِكْرِ الْبُخَارِيِّ هَذِهِ الْقِصَّةَ فِي الْوُفُودِ نَظَرٌ ; وَذَلِكَ أَنَّ ثُمَامَةَ لَمْ يَفِدْ بِنَفْسِهِ، وَإِنَّمَا أُسِرَ وَقُدِمَ بِهِ فِي الْوَثَاقِ، فَرُبِطَ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ. ثُمَّ فِي ذِكْرِهِ مَعَ الْوُفُودِ سَنَةَ تِسْعٍ نَظَرٌ آخَرُ ; وَذَلِكَ أَنَّ الظَّاهِرَ مِنْ سِيَاقِ قِصَّتِهِ أَنَّهَا قُبَيْلُ الْفَتْحِ، لِأَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ عَيَّرُوهُ بِالْإِسْلَامِ وَقَالُوا: أَصَبَوْتَ؟ فَتَوَعَّدَهُمْ بِأَنَّهُ لَا يَفِدُ إِلَيْهِمْ مِنَ الْيَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ مِيرَةً، حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّ مَكَّةَ كَانَتْ إِذْ ذَاكَ دَارَ حَرْبٍ لَمْ يُسْلِمْ أَهْلُهَا بَعْدُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلِهَذَا ذَكَرَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ قِصَّةَ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَهُوَ أَشْبَهُ، وَلَكِنْ ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا اتِّبَاعًا لِلْبُخَارِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ ثنا شُعَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ ثنا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدِمَ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ اتَّبَعْتُهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৭১৯


হল ৷ তখন আমাকে হুকুম দেয়া হলে আমি যে দুটিকে কু দিলাম ৷ ফলে যে দুটি উড়ে গেল ৷
আমি যে দু’টির ব্যাখ্যা করলাম দুই মিথ্যাবাদী যারা আমার পরে ভণ্ডনবীরুপে আত্মপ্রকাশ
করবে, রাৰী উবায়দুল্লাহ বলেন, এদের একজন হল আল আনাসী যাকে ফিরুয (বা)
ইয়ামানে হত্যা করেছিলেন এবং অন্যতম হল মুসায়লামাতুল কাঘৃযাব ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু হনীিফা গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দরবারে আগমন করল ৷ তাদের মাঝে ছিল মুসায়লামা ইবন ছুমাম৷ ইবন কান্থীর ইবন হাবীব
ইবনৃল হারিছ ইবনশ্ আবদুল হারিহু ইবন হাম্মায় ইবন যুহ্ল ইবনৃয় যাওল ইবন হানীফা ৷ তার
উপনাম ছিল আবুছুমামা, মতাম্ভরে আবু হারুন ৷ রাহমান নামেও তাকে ডাকা হত এবং সে কারণে
তাকে রাহমাতুল ইয়ামামা ও বলা হত ৷ নিহত হওয়ার সময় তার বয়স হয়েছিল একশত পঞ্চাশ
বছর ৷ কিছু (ও ড ৷জী তার জ ৷ন৷ ছিল ৷ বোতলে ডিম ভরে ফেলার ক ৷রস৷ ৷জি সে দেখাতে পারত
এবং সেই ছিল এর উদ্ভাবক ৷ পাথীর পা ৷৷লক কেটে তা পুনরায় জোড় লাগিয়ে দিত ৷ সে দাবী
করত যে, পাহাড় থেকে একটি হরিণী তার ক ৷দ্ভুছ আসে এবং সে তার দুধ দােহন করে ৷

আমি বলি, তার হত্যাকাণ্ড আলোচনাকালে তার বিষয় আরো কতক অভিনব ব্যাপার উল্লেখ
করব তার উপরে আল্লাহর লানত হোক ৷”

ইবনু ইসহাক (র) বলেন, এ এ ৷ ৩ ৷ ণ্া৷ ধ সগোর অবতরণ ক্ষেত্র ছিল অন্যতম আনসারী না ৷জ্জায়ী
মহিলা বিনতুল হ বিছএব বাড়িতে ত৷ মদিন৷ বাসী জনৈক অ৷ ৷লিম আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে,
বনু হানীফার লোকেরা মুসায়লামাকে বস্ত্রাবৃত করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে নিয়ে এসেছিল,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন সাহাবীগ ণের মধ্যে উপনিবেশরত ছিলেন এবং তার হাতে ছিল পাতাযুক্ত
একটি খেজুর ড ৷,ল বস্ত্রাবৃত অবস্থায়৩ তাকে নিয়ে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ক ৷ ছে উপনীত হলে
সে তার সাথে কথা বলল এবং কিছু দাবী করল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন,“৩ তুমি আমার
কাছে এ খেজুর ড৷ ৷লটি দাবী করলে তা ও আমি তোমাকে দে ব না ৷”

ইবন ইসহাক (র) আরও বলেন, ইয়ামামাৰাসী বর্বৃ হানীফা ৷র এক বৃদ্ধ ব্যক্তি আমাকে
উল্লেখিত বর্ণন৷ ৷র সাথে ব্যতিক্রম পুর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন ৷৩ তার দাবী মতে বনু হানীফা ৷র লোকেরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হওয়ার সময় ঘুসায়লামা কে তাদের তাবুতে রেখে
এসেছিল ৷৩ তারা ইসলাম গ্রহণ করার পরে তাবুতে তার অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তারা বলল,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা আমাদের এক সৎগীকে বাহন দেখা শুনার কজে৩ তাবুতে রেখে এসেছি ৷
বর্ণনাক৷ রী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আংকও ৮ালের তাগ্যান৷ সদস্যদের সমপরিমাণ
উপচৌকন প্রদানের হুকুমের দিয়ে বললেন, এেৎ ন্ণ্ব্লু,>মট্ট১ন্ন্ :১১-৷ fl গ্র মযদাি ও অবস্থানে সে
তোমাদের মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তিটি নয় ৷ ”-এ কথা বলার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উদ্দেশ্য হলো
যেহেতু সে তার সাথীদের আসরা রপত্রের দেখাশুনার দায়িতু পালন করছিল ৷ বর্পনাকারী বলেন,
এরপর তারা রাসুলাল্লাহ (সা)-এর দরবার থেকে প্ৰস্থান করল এবং যুসায়লড়ামাকে রাসুলাল্লাহ্
(সা) এর দেয়া উপচৌকন তার কাছে নিয়ে গেল ৷ প্রতিনিধি দল ইয়ামা মায় ফিরে গেলে আল্লাহর
দুশমন ধর্মত্যাগ করে মিথ্যা নবুয়ঙে র দাৰীদার হয়ে বসল ৷ সে বলতে লাগল (নবুয়তের)
ৰিষয়টিরুট্রুত তো আ ৷মি তার অৎশীদার, তা ৷র সহগামী দলের লোকদের সাক্ষী বানিয়ে সে বলল,
তোমরা তার কাছে আমার কথা উল্লেখ করলে তিনি কি এ কথা বলেননি যে, সে (তামাদেয়

(হ্রাশ্রোা€র্নো০ ওো৷া





وَقَدِمَهَا فِي بَشَرٍ كَثِيرٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِطْعَةُ جَرِيدٍ، حَتَّى وَقَفَ عَلَى مُسَيْلِمَةَ فِي أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذِهِ الْقِطْعَةَ مَا أَعْطَيْتُكَهَا، وَلَنْ تَعْدُوَ أَمْرَ اللَّهِ فِيكَ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ، وَهَذَا ثَابِتٌ يُجِيبُكَ عَنِّي ". ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَسَأَلْتُ عَنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّكَ أُرَى الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ ". فَأَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ فِي يَدَيَّ سِوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ فَأَهَمَّنِي شَأْنُهُمَا، فَأُوحِيَ إِلَيَّ فِي الْمَنَامِ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ بَعْدِي ; أَحَدُهُمَا الْعَنْسِيُّ وَالْآخَرُ مُسَيْلِمَةُ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِخَزَائِنِ الْأَرْضِ، فَوُضِعَ فِي كَفِّي سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ، فَكَبُرَا عَلَيَّ، فَأُوحِيَ إِلَيَّ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَذَهَبَا، فَأَوَّلْتُهُمَا الْكَذَّابَيْنِ اللَّذَيْنِ أَنَا بَيْنَهُمَا ; صَاحِبَ صَنْعَاءَ، وَصَاحِبَ الْيَمَامَةِ» .
পৃষ্ঠা - ৩৭২০
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عُبَيْدَةَ بْنِ نَشِيطٍ - وَكَانَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ - أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: «بَلَغَنَا أَنَّ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَنَزَلَ فِي دَارِ بِنْتِ الْحَارِثِ، وَكَانَ تَحْتَهُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ كُرَيْزٍ، وَهِيَ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ - وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: خَطِيبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضِيبٌ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ لَهُ مُسَيْلِمَةُ: إِنْ شِئْتَ خَلَّيْتُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْأَمْرِ ثُمَّ جَعَلْتَهُ لَنَا بَعْدَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْقَضِيبَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ، وَهَذَا ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ وَسَيُجِيبُكَ عَنِّي ". فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ رُؤْيَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي ذَكَرَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ذُكِرَ لِي أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭২১
মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তি নয় é তার এ কথা বলার একমাত্র কারণ এটাই যে, তিনি জানেন যে, ঐ
বিষয়টিতে আমিও তার শয়ীক ৷ এরপর সে তাদের জন্য গদ্য কাব্য ও ছন্দেশ্ববদ্ধ উক্তি রচনা
করতে লাগল ৷ কুরআনের সমকক্ষতার দাবীতে তার রচিত গদ্য কাব্যের নমুনা-


আল্লাহ্ গর্জাভীকে নিয়ামাত দিয়েছেন; তার অভ্যন্তর থেকে স্পন্দনশীল প্রাণ উদপত করেছেন-
অন্তঃতক (গর্ত ফুল) ও অদ্রের মাঝ দিয়ে; আর তাদের জন্য মদ ও ব্যভিচার বৈধ করেছেন এবং
তাদের সালাত রহিত করে দিয়েছেন (নাউযু বিল্লাহ) ৷ এতদৃসত্তেও সে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নবী
হওয়ার সাক্ষ্য দিত ৷ বনু হানীফা তার এ দাৰীতে তার সাথে একাত্মতা ঘোমণা৷ করল ৷-ইবনৃ
ইসহাক (র) বলেন, এ দুই বর্ণনার মাঝে কোনটি ঘটেছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন ৷

সুহায়লি (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, আবৃ-রাহ্হাল ইবন উনৃফুওয়া (যার নাম ছিল নাহার
ইবন উনফুওয়া) ইসলাম গ্রহণ করে কুরআন শিক্ষা করেছিল এবং কিছু কালের জন্য রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাহচর্য লাভ করেছিল ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম
করেছিলেন ৷ তখন সে আবুহৱায়রা ও ফুরাত ইবন হায়্যান (রা)-এর সাথে বসা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের বললেন, ১ ৷ এট্রশু ;গ্রো ৰু ক্ট আো৯ ণ্র্চ১১ “তোমাদের কোন একজনের (সাড়ির)
দাত জাহান্নামে উহুদ পাহারুডঃ মত (ৰিরাটাকার) হবে ৷ ” (অর্থাৎ তোমাদের কোন একজন
জাহান্নামী হবে ৷) রাসুল (সা)-এর এ বক্তব্যের ফলে তারা দুজন সব সময় নিজেদের (ঈমানের)
ব্যাপারে শংকিত থাকতেন ৷

অবশেষে আর-রাহ্হাল ধর্ম ত্যাগ করে ঘুসায়লামার দলভুক্ত হল এবং তার পক্ষে এ রুপ
মিথ্যা সাক্ষ্য দিন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে (নবুয়তের) বিষয়টিতে তাকে শরীক করে
নিয়েছেন ৷ সে কুরআন শরীফ থেকে তার যুখস্ত করা আয়াতসমুহ ঘুসায়লামাকে শিথিয়ে দিল ৷
যুসায়লামা সেগুলি তার নিজের দাবী করে প্রচার করতে লাগল ৷ পরিণতিতে বনু হানীফার জন্য
চরম বিভ্রান্তির কারণ হল ৷ য়ামামা যুদ্ধে যায়দ ইবনুল খাত্তাব আর-রাহ্হালকে হত্যা করলেন
(পরবর্তী বর্ণনা দ্রষ্টব্য) ৷সৃহায়লি (র) বলেন, যুসায়লামার মুআঘৃযিনের নাম ছিল হুজায়র ৷ তার
সময় উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল মৃহকাম ইবনুত ভুফায়ল ৷ এ দিকে সাজাহ১-এর সাথে
এদের জাতাত হয়ে গেল ৷ সাজাহ-এর উপনাম ছিল উম্মু সাদির ৷ যুসায়লামা তাকে বিয়ে করে ৷
এ ছাড়া এ দৃজনের অবৈধ সম্পর্কের অশ্লীল কাহিনীও রয়েছে ৷ সাজাহ-এর মুঅড়াঘৃযিনের নাম
ছিল যুহায়র ইবন আমৃর মতাস্তরে জানবাে ইবন তারিক ৷ কারো কারো মতে শাৰাত ইবন রিবৃঈ
এ দায়িত্ব পালন করতো ৷ পরে শাৰাত মুসলমান হয়ে যায় এবং উমর ইবনৃল খাত্তাব (রা)-এর
শাসনামলে সাজাহও ইসলাম গ্রহণ করে খাটি যুসলিমের জীবন যাপন করে ৷



১ সাজাহ (রুাৰু) (মৃ ৫৫ হি৬৭৫ খৃ) নবী (সা)ন্এর ওফাতের পরে ইসলমের বি রুদ্ধে বনু তামীম
গোত্রের উস্কানীদাত্রী নবুয়তেরদাবীদার ৷ মুসায়্লামার সাথে আতাত কারিনী ও পরে তার পত্নী ৷ কথিত আছে
যে, ঘুসায়লামা নিহ্ত হওয়ার পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে বসরড়ায় হিজরত করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ أَنَّهُ وُضِعَ فِي يَدَيَّ سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ، فَفُظِعْتُهُمَا وَكَرِهْتُهُمَا، فَأُذِنَ لِي فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ ". فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: أَحَدُهُمَا الْعَنْسِيُّ الَّذِي قَتَلَهُ فَيْرُوزُ بِالْيَمَنِ، وَالْآخَرُ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ.» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ بَنِي حَنِيفَةَ، فِيهِمْ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْكَذَّابُ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ هُوَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ ثُمَامَةَ، وَيُكَنَّى أَبَا ثُمَامَةَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ: هُوَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ ثُمَامَةَ بْنِ كَبِيرِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ هِفَّانَ بْنِ ذُهْلِ بْنِ الدُّوَلِ بْنِ حَنِيفَةَ، وَيُكَنَّى أَبَا ثُمَامَةَ، وَقِيلَ أَبَا هَارُونَ. وَكَانَ قَدْ تَسَمَّى بِالرَّحْمَنِ، فَكَانَ يُقَالُ لَهُ: رَحْمَنُ الْيَمَامَةِ. وَكَانَ عُمُرُهُ يَوْمَ قُتِلَ مِائَةً وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَكَانَ يَعْرِفُ أَبْوَابًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭২২


ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাকের বরাতে বর্ণনা করেন, যুসায়লাম৷ রাসুলুল্লাহ
(স ) এর দরবারে এ মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল “আল্লাহর রাসুল মুসায়লামার পক্ষ থেকে
আল্লাহর রাসুল মুহম্মেদ (সা) এর প্রতি ৩৷ সালামুন আলায়কা; তারপর আমি ঐ বিবরটিতে
আপনার অংশীদার হয়েছি ৷ এ বন আমাদের জন্য অর্ধেক আর কুরায়শীদের জন্য অর্ধেক ৷ তবে
কুরায়শীরা এমন জাতি যারা বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন করে ইনসাফ করে না ৷ দুজন দুত এ
চিঠি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে নিয়ে আসে ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (না) লিখলেন, বিসমিল্লাহিব
রাহমানির রড়াহীম! আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে যিথ্যারাদী ভণ্ড ঘুসায়লামার


“হিদায়াত ও সন্ব তার অনুসারীদের প্রতি সা ৷লাম ৷ তারপর পৃথিবী আল্লাহর ম ৷,লিকান৷ তিনি
তার বান্দাদেব মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে এর উত্তরাধিকার দান করেন; শুভ পরিণাম মুত্তাকী ও
আল্লাহ্ভীরুদের জন্যই” ৷

ইবন ইসহাক বলেন চিঠি আদান প্রদানের এ ঘটনা দশম হিজরীর শের ভাগের ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাক (র) থেকে সা দ ইবন তারিক (নুআয়ম ইবন
মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুসায়লামাতুল কায্মাব এর দুতদ্বয় তার চিঠি
নিয়ে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) এর কাছে আসার সময় তাদের দু’জনকে লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) কে
আমি বলতে শুনেছি “তোমরা দু’ জনও কিতাব কথার বিশ্বাসী ষ্ তারা বলল, জী হা তিনি
বললেন

এ৷ খুড্রুা

দুতর৷ অবাধ্য না হলে তা ৷মি অবশ ৷৷ই তোমাদের পর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷

আবু দ ৷উদ তায়ালিসী (র) বলেন, আল মাসউদী (র)আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা)
থেকে ৰ্নন৷ করেন ৷ তিনি বলেছেন, ইবনুন নাওয়াহ৷ ও ইবন উছাল যুসায়লামাতুল কাবৃবাব-
এর দুতরুপে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাদের বললেন, “ তোমরা কি এ
সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল? তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেই যে, মুসায়লাম৷ আল্লাহর
রাসুল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি আল্লাহ এবং তার রাসুলগণের প্রতি ঈমান এনেছি ৷
একান্তই যদি আমি £কান দুতকে হত্যা করতাম, তাহলে তোমাদের দুজনকে অবশ্যই হত্যা
করতাম ৷” রাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা ) বলেন, “তখন থেকে দুত হত্যা না করার বিধান
চালু হয়ে গেল ৷” আবদুল্লাহ (বা ) আরও বলেন, পরব৩ ইতবন উছালের মৃত্যু হয় ৷ আর
ইবনৃন নাওয়াহ৷ আমার মনে সব সময় কাটার মত বিবতে থাকে ৷ অবশেষে আল্লাহ তাকে
কাবুতে এনে দিলেন ৷ হাফিজ রায়হাকী (র) বলেন, উছাম৷ ইবন উছাল (রা) ইসলাম গ্রহণ
করলেন এবং তার ইসলাম গ্রহণের কথা বর্ণিত আছে ৷ আর ইবনুন নাওয়াহা সম্পর্কে আবু
মাকারিয়া৷ ইবন আবু ইসহাক আল মুযানী (র)কায়স ইব ন আবু হাযিম (র) থেকে আমাদের
এ তথ্য দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর কাছে এসে
বলল, আমি বনু হানীফ৷ গোত্রের কোন একটি মসজিদের পম্পে দিয়ে পথ চলছিলাম ৷ তখন


النِّيرَجَاتِ فَكَانَ يُدْخِلُ الْبَيْضَةَ إِلَى الْقَارُورَةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ، وَكَانَ يَقُصُّ جَنَاحَ الطَّيْرِ ثُمَّ يَصِلُهُ، وَيَدَّعِي أَنَّ ظَبْيَةً تَأْتِيهِ مِنَ الْجَبَلِ فَيَحْلِبُ لَبَنَهَا. قُلْتُ وَسَنَذْكُرُ أَشْيَاءَ مِنْ خَبَرِهِ عِنْدَ ذِكْرِ مَقْتَلِهِ، لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَنْزِلُهُمْ فِي دَارِ بِنْتِ الْحَارِثِ، امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، ثُمَّ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، فَحَدَّثَنِي بَعْضُ عُلَمَائِنَا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ «أَنَّ بَنِي حَنِيفَةَ أَتَتْ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْتُرُهُ بِالثِّيَابِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ، مَعَهُ عَسِيبٌ مِنْ سَعَفِ النَّخْلِ فِي رَأْسِهِ خُوصَاتٌ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يَسْتُرُونَهُ بِالثِّيَابِ كَلَّمَهُ وَسَأَلَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْعَسِيبَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي شَيْخٌ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ مِنْ أَهْلِ الْيَمَامَةِ، أَنَّ حَدِيثَهُ كَانَ عَلَى غَيْرِ هَذَا، وَزَعَمَ أَنَّ وَفْدَ بَنِي حَنِيفَةَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَلَّفُوا مُسَيْلِمَةَ فِي رِحَالِهِمْ، فَلَمَّا أَسْلَمُوا ذَكَرُوا مَكَانَهُ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا قَدْ خَلَّفْنَا صَاحِبًا لَنَا فِي رِحَالِنَا وَفِي رَكَائِبِنَا يَحْفَظُهَا لَنَا. قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ مَا أَمَرَ بِهِ لِلْقَوْمِ وَقَالَ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا ". أَيْ لِحِفْظِهِ ضَيْعَةَ أَصْحَابِهِ، ذَلِكَ الَّذِي يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৩
انْصَرَفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَاءُوا مُسَيْلِمَةَ بِمَا أَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْيَمَامَةِ ارْتَدَّ عَدُوُّ اللَّهِ وَتَنَبَّأَ وَتَكَذَّبَ لَهُمْ، وَقَالَ: إِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ. وَقَالَ لِوَفْدِهِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ: أَلَمْ يَقُلْ لَكُمْ حِينَ ذَكَرْتُمُونِي لَهُ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا؟ " مَا ذَاكَ إِلَّا لِمَا كَانَ يَعْلَمُ أَنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ. ثُمَّ جَعَلَ يَسْجَعُ لَهُمُ السَّجَعَاتِ وَيَقُولُ لَهُمْ فِيمَا يَقُولُ ; مُضَاهَاةً لِلْقُرْآنِ: لَقَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى الْحُبْلَى أَخْرَجَ مِنْهَا نَسَمَةً تَسْعَى مِنْ بَيْنِ صِفَاقٍ وَحَشَا. وَأَحَلَّ لَهُمُ الْخَمْرَ وَالزِّنَا، وَوَضَعَ عَنْهُمُ الصَّلَاةَ، وَهُوَ مَعَ هَذَا يَشْهَدُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ نَبِيٌّ، فَأَصْفَقَتْ مَعَهُ بَنُو حَنِيفَةَ عَلَى ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ الرَّجَّالَ بْنَ عُنْفُوَةَ وَاسْمُهُ نَهَارُ بْنُ عُنْفُوَةَ كَانَ قَدْ أَسْلَمَ وَتَعَلَّمَ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ، وَصَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةً، وَقَدْ مَرَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَفُرَاتِ بِنْ حَيَّانَ، فَقَالَ لَهُمْ: " «أَحَدُكُمْ ضِرْسُهُ فِي النَّارِ مِثْلُ أُحُدٍ» ". فَلَمْ يَزَالَا خَائِفَيْنِ حَتَّى ارْتَدَّ الرَّجَّالُ مَعَ مُسَيْلِمَةَ وَشَهِدَ لَهُ زُورًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَكَهُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ، وَأَلْقَى إِلَيْهِ شَيْئًا مِمَّا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৪


তারা এমন কিরঅড়াত পড়ছিল যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়ড়া সাল্লাঘের প্রতি আল্লাহ পাক
নাযিল করেন

অর্থ গম পিষিয়ে আটা প্রস্তুতকারিণীদের শপথ! আটা য়াখিয়ের খামীর প্ৰন্তুতকারিণীদের
শপথ ! খামীর দিয়ে কটি প্রন্তুতকারিনীদের শপথ! রুটির টুকর৷ দিয়ে ছরীিদ১ প্ৰস্ত্রতকড়ারিনীদের
শপথ! গ্রামে গ্রামে উদরপুজ্যিারিপীদের শপথ ! বর্ণনাকড়ারী বলেন, আবদুল্লাহ (বা) তাদের
কাছে বাহিনী পাঠালে তাদের ধরে নিয়ে আসা হল ৷ এদের সৎ থ্যা ছিল সতুর এবং এদের
£নতহু ৷ দ ৷ ঞ্জো৷ ৩া৷বধুদ্বত্রাহু ইবণুন নাওয়াহ৷ ৷, বর্ণনড়াকারী বলেন, ইবন মাসউদ (রা) এর হুকুমে
অভিযুক্ত ইবন নাওয়ড়াহড়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল ৷ তারপর ইবন মাসউদ (রা) বললেন, এদের
মাধ্যমে কোন মতলব হাসিলের অবকাশ আমরা শয়তানকে দেব না; বরং আমরা এদের
সিরিয়ার বিতাড়িত করছি; আশা করি আল্লাহ আমাদের পক্ষে তাদের জন্য যথেষ্ট হবেন ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, বনু হড়ানীফা প্রতিনিধি দলের সদস্য ৎথ্যা ছিল দরুশ্ ৷র অধিক ৷
তাদের নেতৃতু দিচ্ছিল সালমা ইবন হানজাল৷ ৷ দলীয় সদস্যদের মাঝে ছিল আর রাহ্হাল ইবন
উনফুওয়৷ , তালুক ইবন আলী, আলী ইবন সিনান ও ঘুসায়লামা ইবন হাবীব আল কাবযাব ৷
মাসলামা বিনতুল হারিছএর বাড়িতে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হল এবং তাদের জন্য
য়থারীতি অ ড়াপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হল ৷ পুবদ্রিহ্র ও রাতে তাদের খাবার পৰিবে ন করা হত ৷
কখনো গোশত রুটি , কখনো দুধ রুটি ৷ আবার কখনো তবু রুটি, কখনো ঘি ও কটি এবং
থুরমা খেজুর দিয়ে তাদের আখ্যায়িত করা হচ্ছিল ৷ মসজিদে নবৰীতে উপস্থিত হলে তারা
ইসলাম গ্রহণ করল ৷ কিন্তু তখন তারা ঘুসায়লামাকে তাদের অবস্থান ক্ষেত্রে তাদের বাহনের
প্ৰহরায় রেখে এসেছিল ৷ তারা ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলে (রড়াসুলুল্লাহ্ সা) তাদের প্ৰতোককে
পাচ উকিয়া (দৃইশ দিরহায়) করে রৌপ্য মুদ্রা উপচৌকন দিলেন এবং তারা বাহন পাহারায়
রেখে আসা মুসায়লামার কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকেও অন্যদের সয়পরিমাণ প্রদানের
নির্দেশ দিয়ে বললেন, ৷ৰুা£প্রু ণ্£)এন্এ এেৰু নন্৷ ক্রো “শোনা সে তোমাদের তুলনায় নিকৃষ্ট নয় ৷”
সদস্যরা তার কাছে ফিরে গিয়ে তার সম্পর্কে রাসুল (সা) এর ব ওণ্ব ৷ তাঞে অবগত কর লে সে
বলল, “তিনি এ কথা এ কারণে বলেছেন, যেহেতু তিনি জানেন যে, ( নবুয ) বিষয়টি
তারপরে আমার জন্য সাব্যম্ভ রয়েছে ৷” পরবর্তীতে যে এ বক্তব্যে অৰিচলতা দেখিয়ে অবশেষে
নবুয়তের দাবী করে বসল ৷

ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে একটি পা ৷ত্র দিয়েছিলেন, যাতে
তার ওযুর অবশিষ্ট পানি ছিল ৷ তিনি তাদের উপড়াসনালয় (তলে ফেলে সে স্থানে ঐ পানি ছিটিয়ে
দিয়ে জায়গাটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করার নির্দেশ দিলেন ৷ তারা এ নির্দেশ পালন করল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবনের শেষ সময়ের আলোচনায় আল-আসওয়াদ আলআনসীর নিহত







১ ছাবীদ ( ১াদ্বুএ) গোশরুত র ঝোলে কটির টুকরা তিজিয়ে রেখে তৈরি তৎকালীন আরববড়াসীদের আকর্ষণীয়
খাবার ৷
২ বর্তমানের ইরাক ইত্যাদিসহ তৎকালের বৃহত্তর সিরিয়া ৷


يَحْفَظُهُ مِنَ الْقُرْآنِ، فَادَّعَاهُ مُسَيْلِمَةُ لِنَفْسِهِ فَحَصَلَ بِذَلِكَ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ لِبَنِي حَنِيفَةَ، وَقَدْ قَتَلَهُ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَ مُؤَذِّنُ مُسَيْلِمَةَ يُقَالُ لَهُ: حُجَيْرٌ. وَكَانَ مُدَبِّرُ الْحَرْبِ بَيْنَ يَدَيْهِ مُحَكَّمَ بْنَ الطُّفَيْلِ وَأُضِيفَ إِلَيْهِمْ سَجَاحٌ، وَكَانَتْ تُكَنَّى أُمَّ صَادِرٍ، تَزَوَّجَهَا مُسَيْلِمَةُ وَلَهُ مَعَهَا أَخْبَارٌ فَاحِشَةٌ، وَاسْمُ مُؤَذِّنِهَا زُهَيْرُ بْنُ عَمْرٍو وَقِيلَ: جَنَبَةُ بْنُ طَارِقٍ. وَيُقَالُ: إِنَّ شِبْثَ بْنَ رِبْعِيٍّ أَذَّنَ لَهَا أَيْضًا، ثُمَّ أَسْلَمَ. وَقَدْ أَسْلَمَتْ هِيَ أَيْضًا أَيَّامَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَحَسُنَ إِسْلَامُهَا. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ كَانَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَكَ، فَإِنَّ لَنَا نِصْفَ الْأَمْرِ، وَلِقُرَيْشٍ نِصْفُ الْأَمْرِ، وَلَكِنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ. فَقَدِمَ عَلَيْهِ رَسُولَانِ بِهَذَا الْكِتَابِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ " قَالَ: وَكَانَ ذَلِكَ فِي آخِرِ سَنَةِ عَشْرٍ. يَعْنِي وُرُودَ هَذَا الْكِتَابِ.
পৃষ্ঠা - ৩৭২৫


হওয়ার বিবরণ আসবে ৷ মুসায়লামাতুল কায্যাবের নিধন ও বনু হানীফার পরবর্তী অবস্থার
বিবরণ আসবে আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর খিলাকতকালের আলোচনায় ইনশাআল্লাহ্ ৷

নাজরানের প্রতিনিধি দল

বুখারী (র) বলেন, আব্বাস ইবনৃল হুসায়ন (র)হুয়ায়ফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি
বলেছেন, নাজরানের দুই নেতা আন-আকিব ও আস-সারািদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মুবাহালা’১ করার উদ্দেশ্যে তীর কাছে এল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সাথীদ্বয়ের একজন অন্যজনকে
বলল, কাজটি করো না ৷ কেননা, বম্ভেবেই যদি সে নবী হয়ে থাকে, আর তারপরেও আমরা
তার সাথে ঘুবাহালায় অবতীর্ণ হই তা হলে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী বংশধর সফলতা
লাভে বঞ্চিত থাকবে ৷ তাই তারা বলল, আমরা আপনার দাবী পুরণে সম্মত আছি; আপনি
আমাদের সাথে একজন বিশ্বস্ত’ মানুষ পাঠিয়ে দিন; বিশ্বস্ত নয় এমন ক ৷উকে নয়, একমাত্র
একজন বিশ্বম্ভ ব্যক্তিকেই পাঠাবেন ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন, আমিধ্রু আমাদের সাথে অরশইি
একজন বিশ্বম্ভ পরম বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে পাঠাব ৷ মোঃব্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাহাবীপণ
সকলেই চরম ঔৎসুক্যের দৃষ্টিতে৷ ত ৷কিয়ে থাকলেন ৷
নবী, করীম (সা) বললেন, ওঠো হে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ! তিনি উঠে দীড়ালে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, , ন্ন্ ব্লুাম্বু৷ :১১১ গ্লু, ন্৷ ৷ ট্র১ এ হল এ উম্মত (মুহম্মেদী)-এর আমীন’
(বিশ্বস্ত ব্যক্তি) ৷ বুখারী (র) অন্যত্র এবং মুসলিম (র) উল্লিখিত সুত্রে শুবা (র) থেকেও
হাদীসখানি রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ হাফিয আবু বকর বায়হাকী (র) , বলেন, আবু আবদুল্লাহ
আল-হাফিয ও আবু সাঈদ মুহম্মেব ইবন মুসা ইবনৃল ফায্ল (র)সালামা ইবন ইয়াসু তার
দাদা থেকে (মধ্যবর্তী রাবী ইউনুস (র) বলেছেন যে, সালামার দাদা খৃস্টধর্য থেকে ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ৷) সুরা তাসীন সুলায়মান২ নাযিল হওয়ার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নাজরানবাসীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ৷ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহের
নামে ৷ আল্লাহর নবী ও রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে নাজরানের প্রধান পাদ্রীর কাছে,
ইসলাম গ্রহণ কর, নিরাপত্তা পাবে; আ ৷যি তোমাদের কাছে

ণ্ধো
ণ্র্দু-ন্ষ্করা তাংন্

’,ৰুস্রা৷এ প্রু)১প্রু ,ন্নুও১১া



১ ঘুবাহাল৷ সত্য ও হকপন্থী হওয়ার দাবীতে চ্যালেঞ্জ প্ৰদানক৷ ৷বী দৃই পক্ষের প্রত্যেক পক্ষ তার সন্তানসন্ততি
(ও ত্রী পরিজন) নিয়ে খোলা মাঠে উপস্থিত হয়ে বিষয়ের ও আকৃতির সাথে কান্নাক৷ টি করার পরে পরস্পরের জন্য
বদদৃআ করে এবং মিথ্যা ও বাতিলপন্থীদের উপরে আল্লাহর লানত ও অভিনম্পাত নাযিল হওয়ার দৃআ করে ৷
হক ও বাতিলের মাঝে ফায়সালা করার জন্য গৃহীত এ ব্যবস্থাকে ঘুবাহালা বলা হয় ৷ অনুবাদক

২ সুরা আনৃ-নামৃল, যাতে সারা রানীকে লেখা হযরত সুলায়মান (আ ) এর চিঠি সম্পর্কিত আয়াত ; এওা
ণ্ন্া১)ষ্ট্র৷ রয়েছে ৷


قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فَحَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ جَاءَهُ رَسُولَا مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ بِكِتَابِهِ، يَقُولُ لَهُمَا: " وَأَنْتُمَا تَقُولَانِ مِثْلَ مَا يَقُولُ؟ " قَالَا: نَعَمْ. فَقَالَ: " أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَضَرَبْتُ أَعْنَاقَكَمَا ".» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «جَاءَ ابْنُ النَّوَّاحَةِ وَابْنُ أُثَالٍ رَسُولَيْنِ لِمُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُمَا: " أَتَشْهَدَانِ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَقَالَا: نَشْهَدُ أَنَّ مُسَيْلِمَةَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ، وَلَوْ كُنْتُ قَاتِلًا رَسُولًا لَقَتَلْتُكُمَا ".» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: فَمَضَتِ السُّنَّةُ بِأَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَأَمَّا ابْنُ أُثَالٍ فَقَدْ كَفَاهُ اللَّهُ، وَأَمَّا ابْنُ النَّوَّاحَةِ فَلَمْ يَزَلْ فِي نَفْسِي مِنْهُ حَتَّى أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَمَّا أُسَامَةُ بْنُ أُثَالٍ فَإِنَّهُ أَسْلَمَ، وَقَدْ مَضَى الْحَدِيثُ فِي إِسْلَامِهِ، وَأَمَّا ابْنُ النَّوَّاحَةِ فَأَخْبَرَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْمُزَكِّي أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنِّي مَرَرْتُ بِبَعْضِ مَسَاجِدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَهُمْ يَقْرَءُونَ قِرَاءَةً
পৃষ্ঠা - ৩৭২৬
مَا أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالطَّاحِنَاتِ طَحْنًا، وَالْعَاجِنَاتِ عَجْنًا، وَالْخَابِزَاتِ خَبْزًا، وَالثَّارِدَاتِ ثَرْدًا، وَاللَّاقِمَاتِ لَقْمًا. قَالَ: فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ فَأُتِيَ بِهِمْ، وَهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَرَأْسُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ النَّوَّاحَةِ. قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ فَقُتِلَ، ثُمَّ قَالَ: مَا كُنَّا بِمُحْرِزِينَ الشَّيْطَانَ مِنْ هَؤُلَاءِ، وَلَكِنَّا نَحُوزُهُمْ إِلَى الشَّامِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكْفِيَنَاهُمْ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ وَفْدُ بَنِي حَنِيفَةَ بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا عَلَيْهِمْ سَلْمَى بْنُ حَنْظَلَةَ وَفِيهِمْ ; الرَّجَّالُ ابْنُ عُنْفُوَةَ وَطَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ وَعَلِيُّ بْنُ سِنَانٍ وَمُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْكَذَّابُ فَأُنْزِلُوا فِي دَارِ رَمْلَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ وَأُجْرِيَتْ عَلَيْهِمُ الضِّيَافَةُ، فَكَانُوا يُؤْتَوْنَ بِغَدَاءٍ وَعَشَاءٍ ; مَرَّةً خُبْزًا وَلَحْمًا، وَمَرَّةً خُبْزًا وَلَبَنًا، وَمَرَّةً خُبْزًا، وَمَرَّةً خُبْزًا وَسَمْنًا، وَمَرَّةً تَمْرًا يُنْثَرُ لَهُمْ. فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَسْجِدَ أَسْلَمُوا، وَقَدْ خَلَّفُوا مُسَيْلِمَةَ فِي رِحَالِهِمْ، وَلَمَّا أَرَادُوا الِانْصِرَافَ أَعْطَاهُمْ جَوَائِزَهُمْ خَمْسَ أَوَاقٍ مِنْ فِضَّةٍ، وَأَمَرَ لِمُسَيْلِمَةَ بِمِثْلِ مَا