سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ৩৬৯৭


বর্ণনাকারীর নিজস্ব অভিমত মাত্রণ্ষ্ যার সম্ভাবনা ক্ষীণ (কেননা, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী উছমান
(রা) এর কবরে অবতরণের প্রশ্নই নেই) ৷

কেননা, রাসুলদৃহিতা উম্মু কুলছুম ব্যতীত উছমান (রা)-এর অন্য কোন শ্রী থাকার তেমন
সম্ভাবনা নেই ৷ এ বছরই আয়লার রাজা, জারব৷ আর রুহবড়াসীরা এবং দুমাতুল জানদাল-এর
অধিকর্তারা সন্ধিবদ্ধ হয়, যথাস্থানে এ সরের বিবরণ প্রদত্ত হয়েছে ৷ এ বছরই একটি যুনাফিক
উপদলের নির্মিত মসজিদরুপী ষড়যস্তের আখড়া বিরার মসজিদ ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশে তা ভশ্মীতুত করা হয় ৷ এ বছরের রমযানে ছার্কীফের প্রতিনিধি
দল এসে স্বগােত্রের পক্ষে সন্ধিপত্র সাক্ষর করে নিরাপত্তার সনদ নিয়ে ফিরে যায় এবং লাত’
বিগহ ভেঙ্গে চুরমড়ার করা হয় ৷ একটু আগেই এর বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ এ বছরের শেষ ভাগে
ধরাপৃষ্ঠ থেকে বিদায় নেয় মুনাফিক প্রধান অতিশপ্ত’ আবদুল্লাহ ইবন উবাই ৷ এর কয়েক মাস
আগে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তাবুক অবস্থানকালে (এ বিষয় সম্পৃক্ত হাদীস ও বর্ণনার প্রামাণ্যতা
সাপেক্ষে) মৃত্যুবরণ করেন ৷ মুআবিয়া ইবন মুআবিয়া আললায়হী কিৎবা আল ঘৃযানী (বা)
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তার জানাযার ইমড়ামতি করেন ৷ এ বছরই আবু বকর (বা) রাসুল (সা)-
এর নির্দেশে মুসলিম জনতাকে নিয়ে (প্রথমবারের মত নিয়মিত) হল সম্পাদন করেন ৷

আর এ বছরই আরবের বিভিন্ন £গাত্রউপগােত্রের প্রতিনিধি দলসমুহের ব্যাপক আগমন
ঘটে ৷ যে কারণে “প্রতিনিধি দল বর্ষ’ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে ৷ আমরা ইমাম বুখাৰী
(র) প্রমুখ-এর পদাঙ্ক অনুসরণে তাই এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোচনার জন্য একটি পুর্ণাঙ্গ ও
স্বতন্ত্র অধ্যায় সন্নিবেশিত করছি ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে প্রতিনিধি দলসমুহের আগমন

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয় সম্পন্ন করলেন, তাবুক
অভিযান থেকে অবসর হলেন, ছাকীফ গোত্রীয়রা আনুগত্যের বায়আত করল; তারপর শুরু হল
চারদিক থেকে আরবীয় প্রতিনিধি দলের আগমন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেন, আবু উরায়দা
আমাকে বলেছেন যে, এসব ছিল নবম বর্ষে এবং এ বছরটিকে সানাতুল উফুদ’ বা
প্রতিনিধিদল বর্ষ’ নামে অভিহিত করা হয় ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আরব জাতি তাদের
ইসলামে দীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে এ কুরায়শ গোত্রটির পটপরিবর্তানর প্রতীক্ষায় ছিল ৷ কেননা,
কৃরড়ায়শই ছিল সকল গোত্রের পুরােধাও নিয়ন্ত্রক, হারাম শরীফ ও বায়তুল্লাহর সান্নিধ্যে
বসবাসকারী ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (আ)-এর প্রত্যক্ষ বংশধর ৷ আরব নেতৃত্বের এ
সত্যটিকে অস্বীকার করার জো ছিল না ৷ ওদিকে কৃরায়শীরাই রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিকদ্ধাচরণ
ও তার সাথে লাগাতার সংঘর্ষের সুচনা করেছিল ৷ সুতরাং মক্কা বিজয় ও কুরায়শীদের জর
নিকট আত্মসমর্থ্যণর ফলে ও মক্কাবড়াসীরা ইসলামের পদানত হলে অন্যান্য আরবর৷ উপলব্ধি
করলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্এর সাথে শত্রুতা পোষণ এবং ৎঘাত ও যুদ্ধ জিইয়ে রাখার
সামর্থ্য আর তাদের নেই ৷ ফলে তারা দলে দলে (যেমন মহীয়ান আল্লাহ স্বয়ং ইরশাদ
করেছেন) আল্লাহর দীনে দাখিল হতে লাগল এবং চতুল্কি থেকে এ দীনের কেন্দ্রাতিমুখে
কাফেলাসমুহের আগমন শুরু হলো ৷ যেমনটি আল্লাহ তাআলা তার নবীর কাছে বিষয়টির
অবতারণা করেছেন-


[كِتَابُ الْوُفُودِ الْوَارِدِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [بِدَايَةُ مَقْدَمِ الْوُفُودِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَفَرَغَ مِنْ تَبُوكَ وَأَسْلَمَتْ ثَقِيفٌ وَبَايَعَتْ، ضَرَبَتْ إِلَيْهِ وُفُودُ الْعَرَبِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّ ذَلِكَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ، وَأَنَّهَا كَانَتْ تُسَمَّى سَنَةَ الْوُفُودِ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَإِنَّمَا كَانَتِ الْعَرَبُ تَرَبَّصُ بِإِسْلَامِهَا أَمْرَ هَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ ; لِأَنَّ قُرَيْشًا كَانُوا إِمَامَ النَّاسِ وَهَادِيَهُمْ، وَأَهْلَ الْبَيْتِ وَالْحَرَمِ، وَصَرِيحَ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَقَادَةَ الْعَرَبِ، لَا يُنْكِرُونَ ذَلِكَ، وَكَانَتْ قُرَيْشٌ هِيَ الَّتِي نَصَبَتِ الْحَرْبَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخِلَافَهُ، فَلَمَّا افْتُتِحَتْ مَكَّةُ وَدَانَتْ لَهُ قُرَيْشٌ، وَدَوَّخَهَا الْإِسْلَامُ، عَرَفَتِ الْعَرَبُ أَنَّهُمْ لَا طَاقَةَ لَهُمْ بِحَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا عَدَاوَتِهِ، فَدَخَلُوا فِي دِينِ اللَّهِ - كَمَا قَالَ عَزَّ وَجَلَّ - أَفْوَاجًا، يَضْرِبُونَ إِلَيْهِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1] (النَّصْرِ: 1 - 3) أَيْ فَاحْمَدِ اللَّهَ عَلَى مَا أَظْهَرَ مِنْ دِينِكَ، وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا. وَقَدْ قَدَّمْنَا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلَامِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৮



ৰ্ৰ্ন ত্মসৰে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে
প্রবেশ করতে দেখরে; তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশ০ সাসহ পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা
করার এবং তার ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তিনি তো তাওবা কবুলকারী” (১১০ সুরা আন-নাসর) ৷

অর্থাৎ তোমার দীনের প্রতিষ্ঠা লাভের প্রেক্ষিতে আল্লাহর প্রশ০ সা করবে এবং তার কাছে
মাগফিরাত কামনা করবে ৷ কারণ (এমন করলে) তিনি বান্দার তাওবা কবুল করে থাকেন এবং
বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন ৷ এ প্রসঙ্গের বিন্তুত বিবরণ সম্বলিত আমুর ইবন মাসলামা
(বা) বর্ণিত হাদীস আমরা ইতােপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ যার সংক্ষেপ হল গোটা আরব
পক্ষের বিজয়ের প্রতীক্ষায় ছিল; এটি ফায়সালা হয়ে গেলে তারা ইসলাম গ্রহণ করবে ৷ তারা
তো বলতেই থাকত এ লোকটাকে তার কওমের সাথে বুঝতে দাও; যদি ওদের৷ উপরে তার
প্রাধান্য জমাতে পারে, তাহলে সে সতই নবী সাব্যস্ত হবে ৷ সুতরাং মক্কা বিজয় বাস্তবায়িত
হলে প্রতিটি কওম অ্যাবর্তী হওয়ার প্রতিযােগীতার সাথে ইসলামে দাখিল হতে লাগল ৷ আমার
কওমও ইসলাম গ্রহণে অগ্রণী ভুমিকায় ছিল ৷ আমাদের কওমের প্রতিনিধি ফিরে এসে যা
বলেছিল তা হল “আল্লাহর কসম! একজন সত্য নবীর সান্নিধ্যে থেকেই তোমাদের কাছে
আসছি; তিনি বলে থাকেন,

গ্রাএই ণ্ৰুএন্ৰুধ্ ণ্ৰু০১এ৭ ণ্ৰু০-০
“অমুক সময় অমুক সালাত এবং অমুক সময় অমুক সালাত আদায় করবে ৷ সালাতের সময়

আগত হলে তোমাদের পক্ষে একজন আমান দেবে এবং তোমাদের মাঝে কুরআনের অধিকতর
জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি তোমাদের ইমামতি করবে ৷”

( আমৃর (বা) পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন) এ হাদীসের বিবরণ রয়েছে সহীহ্ বুখারী

ধস্কারের মন্তব্য : মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) এবং র্তার পরবভীচিদর মাঝে ওয়াকিদী ও
ৰুধ্রীি (র) এবং আরও পরে বায়হাকী (র) প্রমুখ এমন অনেক প্রতিনিধি দলের তালিকা ও
ৰিৰ্ৰ্ন দিয়েছেন যাদের আণমনকাল ছিল নবম হিজয়ী বর্ষে ৷

নৌ মক্কা ৰিজয়েরও আগে এর প্রমাণ থােদ আল্লাহর কালামেও ইরশাদ হয়েছে-


১ন্া
অেমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় করেছে ও লড়াই করেছে তারা এবং

র্মো সমান নয় ৷ তারা মর্যাদার শ্রেষ্ঠ ওদের অপেক্ষা; যারা পরবভীকািলে ব্যয় করেছে ও
গ্ইেৰ্ৰ্রছে ৷ তবে আল্পাহ্ ভৈয় দলেরই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (৫৭ : ১০) এছাড়া


الْفَتْحَ فَيَقُولُونَ: اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهُوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ. فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلَامِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ حَقًّا، قَالَ: " صَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا وَصَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا ". وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ". قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ثُمَّ الْوَاقِدِيُّ وَالْبُخَارِيُّ ثُمَّ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَهُمْ، مِنَ الْوُفُودِ مَا هُوَ مُتَقَدِّمٌ تَارِيخَ قُدُومِهِمْ عَلَى سَنَةِ تِسْعٍ، بَلْ وَعَلَى فَتْحِ مَكَّةَ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى} [الحديد: 10] (الْحَدِيدِ: 10) . وَتُقَدَّمَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ: «لَا هِجْرَةَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ ".» فَيَجِبُ التَّمْيِيزُ بَيْنَ السَّابِقِ مِنْ هَؤُلَاءِ الْوَافِدِينَ عَلَى زَمَنِ الْفَتْحِ مِمَّنْ يُعَدُّ وُفُودُهُ هِجْرَةً، وَبَيْنَ اللَّاحِقِ لَهُمْ بَعْدَ الْفَتْحِ مِمَّنْ وَعَدَهُ اللَّهُ خَيْرًا وَحُسْنًى، وَلَكِنْ لَيْسَ فِي ذَلِكَ كَالسَّابِقِ لَهُ فِي الزَّمَانِ وَالْفَضِيلَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَلَى أَنَّ هَؤُلَاءِ الْأَئِمَّةَ الَّذِينَ اعْتَنَوْا بِإِيرَادِ الْوُفُودِ قَدْ تَرَكُوا فِيمَا أَوْرَدُوهُ أَشْيَاءَ لَمْ يَذْكُرُوهَا، وَنَحْنُ نُورِدُ بِحَمْدِ اللَّهِ وَمَنِّهِ مَا ذَكَرُوهُ، وَنُنَبِّهُ عَلَى مَا يَنْبَغِي التَّنْبِيهُ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ، وَنَذْكُرُ مَا وَقَعَ لَنَا مِمَّا أَهْمَلُوهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৯


নবী করীম আলায়হিস সালামের এ বাণীও পুর্বে উদ্ধৃত হয়েছে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি
বলেছিলেন প্রোঙু ১শু৫১ ()$; :;১১১ ১ “এখন থেকে (মক্কা হতে মদীনায় বিধিণ৩ ত) হিজরত
নেই; তবে জিহাদ ও নিয়ত এ আমল চিরক৷ ল অব্যাহত থাকবে ৷

অতএব, মদীনাভিঘুখী প্রতিনিধি দলসমুহের মাঝে স্তরৰিন্যাস ও পার্থক্য নির্ণয় জরুরী ৷ একটি
স্তব্র হল মক্কা বিজয়ের পুর্বে আগমনকারীদের, যাদের আগমন হিজরতরুপে স্বীকৃত ৷ অন্য স্তরটি
হল মক্কা বিজয়ের পরবর্তী সময় আগমনকাবী থোত্রীয় প্রতিনিধি দলসমুহের; যাদের জন্যও আল্লাহ্
কল্যাণ ও পুণ্যের ওয়াদ৷ করেছেন ৷ কিন্তু সময়ের পার্থক্য ও মাহাঅোর বিচারে এরা পুর্ববর্জীদর
সমতুল্য হতে পারে না ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ এ ছাড়া প্রতিনিধি দল বিষয়ক আলোচনায়
গুরুতৃারোপ সত্বেও পুর্ববর্তীদের আলোচনা থেকে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ পড়ে গিয়েছে ৷
আমরা শ্আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অপার অনৃখহে পুর্বসুরীদের আলোচনা সংেক্ষ্যপ উল্লেখ করার
সাথে সাথে সে বিষয় প্রয়োজনীয় ঢিকা-টিপ্পনী ও সংশোধন-সংযোজনসহ আমাদের প্রাপ্ত তথ্যাদি
র্তাদের পরিত্যক্ত বিষয়গুলোও সাধ্যমত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্!

ওয়াকিদী (র) বলেন, কাহীর ইবন আবদুল্লাহ আল মুযানী (র)র্তার দাদা থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে সর্বপ্রথম আগমনকারী প্রতিনিধি দল হল
মুযার’ গোত্রের শাখা মুযায়না’-র চারশ ৷’ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি কাফেলাঢি ৷ এদের আগমন
হয়েছিল পঞ্চম হিজরীর রজব মাসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের স্বদেশ ভুমিতে অবস্থান করাকেই

তাদের জন্য হিজরত তভুল্য’ সাব্যস্ত করে দিলেন ৷ তিনি বললেন,
ণ্ড্রা

“তোমরা তোমাদের বাড়ি-ঘরে থেকেই ন্মুহাজির সাব্যস্ত হবে ৷ সুতরাং তোমরা ণ্তামাদের
ধন-সম্পদের মাঝে ফিরে যাও” ৷ ফলে র্তার৷ ভীদের আবাসভুমিতে ফিরে গেল ৷ তারপর
ওয়াকিদী (র) হিশাম ইবনৃল কা ৷লবী (র) থেকে৩ারই সনদে উল্লেখ করেছেন যে, যুযায়ন৷ থেকে
সর্বাগ্রে আগমনকা ৷রী ব্যক্তি ছিলেন খুয৷ ৷ঈ ইবন আবৃদ নৃহুম এবং তার সাথে ছিল তার স্বগােত্রীয়
আরও দশজন ৷ তিনি তার কওমের পক্ষে রাসুলুল্লাহ্র হাতে ইসলামের বায়আত করলেন ৷ কিন্তু
কওমের কাছে ফিরে গেলে তাদের ব্যাপারে তার ধারণার ব্যতিক্রম দেখতে পেয়ে হতাশ হলেন ৷
কওম তীর প্রতি তেমন সাড়া দিল না ৷ এ অবস্থা জানতে পাের রাসুলুল্লাহ্ (সা) করি হাসৃসান
ইবন ছাবিত (রা) কে নির্দেশ দিলেন, থুযাঈর নিন্দা না হয়, এমনভাবে কটাক্ষ করে কবিতা
রচনা কর ৷ তিনি সে মত কয়েকটি পংক্তি রচনা করলেন ৷ এগুলো খুযাঈর কাছে পৌছলে তিনি
গোত্রের ণ্লাকদের কাছে এ ব্যাপারে অনৃযোগ করলেন ৷ তখন তারা সমবেত হয়ে ইসলাম গ্রহণ
করলে খুযাঈ তাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ৷খদমতে হ যিব হলেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন-
সেদিন পর্যন্ত তাদের সং খ্যা হাজ জারের ঘরে পৌছেছিলণ্প্ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুযায়না ৷কবীলার
পতাকাবাহী নিযুক্ত করেছিলেন এ খুয৷ ৷ঈকেই ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, ইনি হলেন আবদুল্লাহ যুল-
বিজাদায়ন (দৃই কম্বলধারী অ ৷বদুল্লাহ্) এর ভাই ৷

অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র)ইমরান ইবন হুসায়ন (না) থেকে, তিনি
বলেন, একদল বনু তামীম নবী করীম (না)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, “হে তামীষীরা ৷


أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ وَفَدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مُضَرَ أَرْبَعُمِائَةٍ مِنْ مُزَيْنَةَ، وَذَلِكَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسٍ، فَجَعَلَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْهِجْرَةَ فِي دَارِهِمْ وَقَالَ: «أَنْتُمْ مُهَاجِرُونَ حَيْثُ كُنْتُمْ، فَارْجِعُوا إِلَى أَمْوَالِكُمْ ".» فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ الْكَلْبِيِّ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ أَوَّلَ مَنْ قَدِمَ مِنْ مُزَيْنَةَ خُزَاعِيُّ بْنُ عَبْدِ نُهْمٍ وَمَعَهُ عَشَرَةٌ مِنْ قَوْمِهِ، فَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِسْلَامِ قَوْمِهِ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِمْ لَمْ يَجِدْهُمْ كَمَا ظَنَّ فِيهِمْ، فَتَأَخَّرُوا عَنْهُ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ أَنْ يُعَرِّضَ بِخُزَاعِيٍّ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَهْجُوَهُ، فَذَكَرَ أَبْيَاتًا، فَلَمَّا بَلَغَتْ خُزَاعِيًّا شَكَى ذَلِكَ إِلَى قَوْمِهِ، فَحَمُوا لَهُ، وَأَسْلَمُوا مَعَهُ، وَقَدِمَ بِهِمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِوَاءَ مُزَيْنَةَ - وَكَانُوا يَوْمَئِذٍ أَلْفًا - إِلَى خُزَاعِيٍّ هَذَا. قَالَ: وَهُوَ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ ذِي الْبِجَادَيْنِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: بَابُ وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي صَخْرَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «أَتَى نَفَرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى يَا بَنِي تَمِيمٍ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا. فَرُئِيَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ، فَجَاءَ نَفَرٌ مِنَ الْيَمَنِ، فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ ". قَالُوا: قَدْ قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ.» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭০০

ণ্র্চু ষ্

“ ৎঘাত ও লুঠতরাজকালে কত শত গোত্রের দর্প আমরা চুর্ণ করে দিয়েছি; মর্যাদার
মাহাত্ম্য অনুসরণীয় তো বটে ৷

“আমরা দৃর্তিক্ষকালে আমাদের দস্তরখানের খাবার ৰিতরিত হয় দেদার সে ভুনা কবােব;
যদি না সংকট আসন গেড়ে বলে ও বিপদ স্থায়ী রুপ নেয় ৷

¢-“ং§ ণ্ন্ :fi :তৈ ঠো ষ্ঠাং ণ্ন্তণ্ন্ম্পো,৷দ্রৰুত্র ফ্লোগ্রা ৷গ্এন্ ধ্-^গ্লু
“যেমন দেখতেই পচ্ছে, লোক সমাজের সর্দার শ্রেণী সারাদেশ থেকে সাহায্যের আশায়
আমাদের কাছে ছুটে ছুটে আসে; তখন আমরা দান দক্ষিণা করি ৷
“আমরা তখন সুস্থ-সবল উটপাল যবইি করতে থাকি আমাদের এ মরুনিৰাসে; আগন্তুক
অতিথিবৃন্দের জন্য; যারাই অতিথি হন তারা পরিতৃপ্তির সাথে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন ৷

এে
“কোন গোত্রের সাথে আমরা গৌরব প্রতিযোগিতার যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তুমি শুধু এমনটিই
দেখবে যে, তারা মরে ৰিনাশ হচ্ছে আর ছিন্ন শির জাতিতে পরিণত হচ্ছে ৷ (অথবা তুমি দেখবে

না যে আমরা যে কোন গোত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হচ্ছি) তবে হা যে গোত্রটি
ধনেজনে বলীয়ড়ান হয়ে সুসংগঠিত গোত্রে পরিণত হয়েছে ওদের মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় ৷

ওে
“সুতরাং ঐ ক্ষেত্রে মারা আমাদের সাথে পাল্লা দিতে আসে আমরা ওদের যথার্থ পরিচয়
নিয়ে সেই, ফলে সে গোত্র ফিরে যায় এমনভাবে যে তাদের নাস্তানাবুদ হওয়ার খবর কানে
কানে ছড়িয়ে পড়ে ৷
শ্রুত্ত )ড্ পৌা
“আমরাই অন্যদের প্রাধান্য অস্বীকার করে থাকি; আমাদের নেতৃত্ব শ্রেষ্ঠতু অস্বীকার করার

দৃর্যতি হয় নি কারো; কীর্তি ও কৃতিত্বের গৌরবে আমরা এভাবেই উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে
থাকি ৷ ”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, হাসৃসান ইবন ছাবিত সে সময়টিতে উপস্থিত ছিলেন না ৷
রাসুলুল্লাহ্ তার কাছে লোক পাঠালেন ৷ তিনি (হড়াসৃসান) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কাছে পৌছলে প্রতিপহ্মের করি দাড়িয়ে তার বক্তব্য পেশ করল ৷ আমিও তার মত করেই তার
উক্তির প্রত্যক্ষ পাল্টা জবাব দিলাম ৷ মোটকথা, যাব রিকান তার কবিতা শেষ করলে রড়াসুলুল্লাহ্
(সা ) হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা)-কে বললেন, হাসৃসান ! তুমি দাড়িয়ে লোকট্যর বক্তব্যের জবাব
দাও ৷ হড়াসৃসান (বা) তার কবিতা শুরু করলেন-


ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ «قَدِمَ رَكْبٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَمِّرِ الْقَعْقَاعَ بْنَ مَعْبَدِ بْنِ زُرَارَةَ. فَقَالَ عُمَرُ: بَلْ أَمِّرِ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا أَرَدْتَ إِلَّا خِلَافِي. فَقَالَ عُمَرُ: مَا أَرَدْتُ خِلَافَكَ. فَتَمَارَيَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا، فَنَزَلَتْ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ} [الحجرات: 1] (الْحُجُرَاتِ: 1) حَتَّى انْقَضَتْ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ بِأَلْفَاظٍ أُخَرَ، قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ} [الحجرات: 2] الْآيَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُفُودُ الْعَرَبِ، قَدِمَ عَلَيْهِ عُطَارِدُ بْنُ حَاجِبِ بْنِ زُرَارَةَ بْنِ عُدُسٍ التَّمِيمِيُّ فِي أَشْرَافِ بَنِي تَمِيمٍ، مِنْهُمْ ; الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ وَالزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ التَّمِيمِيُّ أَحَدُ بَنِي سَعْدٍ، وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ وَالْحَبْحَابُ بْنُ يَزِيدَ وَنُعَيْمُ بْنُ يَزِيدَ وَقَيْسُ بْنُ الْحَارِثِ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ أَخُو بَنِي سَعْدٍ، فِي وَفْدٍ عَظِيمٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَعَهُمْ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ وَقَدْ كَانَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ وعُيَيْنَةُ شَهِدَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتْحَ مَكَّةَ وَحُنَيْنًا وَالطَّائِفَ، فَلَمَّا قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৩৭০১


ফিহ্র খ্যন্দানের শীর্ষস্থানীররা এবং তাদের ভ্রড়াতৃশ্রেণী জনতার সামনে তুলে রয়েছে এমন
রাজপথের দিশা যা অনুসরণীর ৷

“যে পথ ও জীবনধারা পসন্দ করে তেমন সকল ল্যেকই, যাদের প্রকৃতি’ হল আল্লাহ্র
তাকওয়া; যা সার্বিক কল্যাণ সাধনের হেতু ৷
াগ্লু ন্নুও ৷১৷ ণ্এৰু
“ওরা এমন সম্প্রদায় যারা যুদ্ধের ময়দানে নামলে শত্রুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়ে; আর
স্বপক্ষীরদের উপকার রর্তাতে চাইলে তা তাদের দোর গোড়ার পৌছিয়ে দেয় ৷


“ওটা ওদের জন্ম জন্মাম্ভরের স্বতাব; নতুন কিছু নয়; জেনে রাখা ভাল নতুন নতুন আচরণ
হচ্ছে নিকৃষ্টতম আচরণ ৷

“যদি লোকদের মাঝে তাদের পরবর্তী স্তরের অ্যাণী কেউ থেকে থাকে, তা হলে প্রতিটি
অগ্রণী (দল) তাদের (কাছাকাছি এবং তাদের) চাইতে নিম্নতর ঐ অগ্রণী স্তরের অনুগাযী ৷
৷ গ্লু;ব্র ,
প্রতিরোধকালে তাদের পাঞ্জা যা ফেলে দেয়, তা লোকেরা তুলে উঠার না; আর তারা যা
তুলে ধরে তা লোকেরা ফেলে নীচু করে দেয় না ৷ অর্থাৎ সভ্রম ও মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করে ৷
“কখনো লোকদের সাথে প্রতিদ্বচ্ছিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের লোকেরইি প্রতিযোগিতায়

জয়মাল্য ছিনিয়ে নেয়, আর ঐতিহ্যের অধিকারীদের সাথে বদান্যতার প্রতিযোগিতায় এল এরা
ওদের হটিরে দের ৷

া )র্ন্তট্র হ্শ্;া

ওরা পুত চরিত্রের অধিকারী; ওহীর মধ্যে বিবৃত হয়েছে ওদের পুত পৰিত্রতা ৷ ওরা
লালায়িতহয় না, লোড ওদের কখনো ধ্বংস করে না ৷

ণ্ঠে

প্রতিবেশীদের প্ৰতি অনুগ্রহ বর্ষণে তাদের কার্পণ্য নেই লালসার কোন বস্তু তাদেরকে স্পর্শ করে না ৷
ব্লু )১া৷ রুৰু;ম্পুা৷ ষ্১৷ ৷১া

যখন কোন ণ্গাত্রের বিপক্ষে আমরা যুদ্ধের পতাকা উডচীন করি, আমরা (ভালুক চালে) হামাগুড়ি

দিয়ে কিংবা অতর্কিতে তাদের কাছে পৌছে না, নীল পাভী ও বন্য শিকারকে প্রতারণাপ্রলুব্ধ ক্যার জ্যা
সহত্রে’১ প্রাণী যেমন ঢাদে ঢেলে থাকে (বরং আমরা প্রকাশ্যে ও প্রচণ্ড বিক্রাম আঘাত হানতে অভ্যস্ত) ৷



১ র্চু,ন্ট্র বহুবচনে ত্রুশ্ শ্খো মাধ্যম, উপায় ৷ বন্য শিকারী প্রাণীর নাখে মিতালী পাতাবার জন্য শিকারীরা যে
পাের মানা প্রাণী ব্যবহার করে, যারা বন্য প্রাণীর সাথে তার জমিয়ে তাকে শিকারীর র্ফাদে ফেলে ৷


وَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ كَانَا مَعَهُمْ فَلَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ نَادَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَرَاءِ حُجُرَاتِهِ ; أَنِ اخْرُجْ إِلَيْنَا يَا مُحَمَّدُ. فَآذَى ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صِيَاحِهِمْ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، جِئْنَاكَ نُفَاخِرُكَ، فَأْذَنْ لِشَاعِرِنَا وَخَطِيبِنَا. قَالَ: " قَدْ أَذِنْتُ لِخَطِيبِكُمْ فَلْيَقُلْ ". فَقَامَ عُطَارِدُ بْنُ حَاجِبٍ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَهُ عَلَيْنَا الْفَضْلُ وَالْمَنُّ وَهُوَ أَهْلُهُ، الَّذِي جَعَلَنَا مُلُوكًا، وَوَهَبَ لَنَا أَمْوَالًا عِظَامًا نَفْعَلُ فِيهَا الْمَعْرُوفَ، وَجَعَلَنَا أَعَزَّ أَهْلِ الْمَشْرِقِ وَأَكْثَرُهُ عَدَدًا، وَأَيْسَرَهُ عُدَّةً، فَمَنْ مِثْلُنَا فِي النَّاسِ؟ أَلَسْنَا بِرُءُوسِ النَّاسِ وَأُولِي فَضْلِهِمْ؟ فَمَنْ فَاخَرَنَا فَلْيُعَدِّدْ مِثْلَ مَا عَدَّدْنَا، وَإِنَّا لَوْ نَشَاءُ لَأَكْثَرْنَا الْكَلَامَ، وَلَكِنْ نَسْتَحِي مِنَ الْإِكْثَارِ فِيمَا أَعْطَانَا، وَإِنَّا نُعْرَفُ بِذَلِكَ، أَقُولُ هَذَا لَأَنْ تَأْتُوا بِمِثْلِ قَوْلِنَا، وَأَمْرٍ أَفْضَلَ مِنْ أَمْرِنَا. ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَخِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ: " قُمْ فَأَجِبِ الرَّجُلَ فِي خُطْبَتِهِ ". فَقَامَ ثَابِتٌ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ خَلْقُهُ قَضَى فِيهِنَّ أَمْرُهُ، وَوَسِعَ كُرْسِيَّهُ عِلْمُهُ، وَلَمْ يَكُ شَيْءٌ قَطُّ إِلَّا مِنْ فَضْلِهِ، ثُمَّ كَانَ مِنْ قُدْرَتِهِ أَنْ جَعَلَنَا مُلُوكًا، وَاصْطَفَى مِنْ خَيْرِ خَلْقِهِ رَسُولًا، أَكْرَمَهُ نَسَبًا، وَأَصْدَقَهُ حَدِيثًا، وَأَفْضَلَهُ حَسَبًا، فَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا، وَائْتَمَنَهُ عَلَى خَلْقِهِ، فَكَانَ خِيرَةَ اللَّهِ مِنَ الْعَالَمِينَ، ثُمَّ دَعَا النَّاسَ إِلَى الْإِيمَانِ بِهِ، فَآمَنَ بِرَسُولِ اللَّهِ الْمُهَاجِرُونَ مِنْ قَوْمِهِ وَذَوِي رَحِمِهِ، أَكْرَمُ النَّاسِ أَحْسَابًا، وَأَحْسَنُ النَّاسِ وُجُوهًا، وَخَيْرُ النَّاسِ فِعَالًا، ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ الْخَلْقِ إِجَابَةً
পৃষ্ঠা - ৩৭০২

াগ্লুক্ট্র১

“যুদ্ধ আমাদের পারে তার নখর বসালে আমরা তার উরুর্ধ্ব অবস্থান করি তাকে আমাদের
কাবুতে রাখি; যেমন দল ছুট ব্যক্তি যুদ্ধের নখরাক্রমণে ভীত হয়ে পড়ে ৷”

০দ্বুগ্লুগুএপ্লু ১’

“এরা শত্রুদের পরাস্ত করলে সে জন্য পর্ব প্রকাশ করে না ৷ আবার কখনো আক্রান্ত হলে

কাপুরুষতা বা সস্ত্রম্ভতা তাদের অস্থির করে তুলে না ৷
দ্বু১গু

কঠিন যুদ্ধক্ষেত্রে যখন মৃত্যু চোখের সামনে নাচানাচি করে, ওরা তখন (ইয়ামড়ানের) হড়ালয়া

বনভুমির পেশী বিশিষ্ট সিংহ দল ৷

“ওরা যখন রাগের মাথায় থাকে তখন তাকে ক্ষমাস্বরুপ যা যতটুকু দেয়৩ তা ততটুকু

নিয়েই তুষ্ট থাক; ওরা যে বিষয়টি না করে দেয়, তাই যেন তোমার লক্ষ্য না হয় ৷”

৫গ্রাএ শুএ্ :দ্বু
ওদের সাথে সং ঘাতে লিপ্ত হওয়ার মানে হলো অকল্যাণের মাঝে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মা ন্হুতি
দেয়া যে অকল্যাণের মাঝে সাতরে যেড়ায় উট-ঘোড়ারা; অতএব, সাবধান! ওদের সাথে
শক্রতা ত্যাগ কর : ’
৫ন্ঠোট্ট ;া,শ্নো ;ও ,ত্রে ৷১৷ জো ও ট্রেএ শ্রোব্লুহু এেৰ্বা
“মহান সেই কওম, আল্লাহর রাসুল (সা) যাদের আদর্শ ও পুরােধা; যখন নাকি অন্যান্যদের
মত ও পথ বিতিন্নমুখী ও বিক্ষিপ্ত ৷
ণ্গ্লুন্ এে১মৌ
তাদের আঙ্গিনড়ায় আমার এ স্তুতি কাব্যের ভালি নিবেদন করছে এমন একটি হৃদয়, যাকে
তার প্রিয় বিষয়ে প্রবল শক্তি জােগায় এক বয়ন-শিল্পশ্দক্ষ রসনা ৷
৷ ণ্ণ্,১ঙ
“কেননা, গোত্রকুলের মাঝে ওরাই সকলের সেরা; তা মানুষেরা বাস্তব ও তথ্যভিত্তিক বক্তব্য
পেশ করুক কিৎবা হাসি ও ঠট্টিড়াচ্ছলে কোন মন্তব্য করুক ৷
ইবন হিশাম (র) বলেন, বনু তামীম গোত্রের কবিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞ জনৈক জ্ঞানী ,ব্যক্তি
আমাকে অবহিত করেছেন যে, বনু তামীম প্রতিনিধি দলের সদস্যরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
আগমন করলে করি যাবরিকান যে কবিতা আবৃত্তি করেছিল তা নিম্নরুপ-
এএে,ওা
আপনার কাছে আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন উৎসব ও পর্ব অনুষ্ঠানকালে

লোকদের মাঝে যখন বিরোধ সুচিত হয়, তখন যেন তারা আমাদের শ্রেষ্ঠৎ অনুধাবন
করতে পারে ৷

ণ্এএেস্ এৰু-১হা এেতৈ শুএ ধো ছোদ্বু (fi হেৰু শুএ তাংগ্রা পুিএএশু শু é

১ ২ ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওেতাে

وَاسْتَجَابَ لِلَّهِ حِينَ دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْنُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ وُزَرَاءُ رَسُولِهِ، نُقَاتِلُ النَّاسَ حَتَّى يُؤْمِنُوا، فَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ مَنَعَ مَالَهُ وَدَمَهُ، وَمَنْ كَفَرَ جَاهَدْنَاهُ فِي اللَّهِ أَبَدًا، وَكَانَ قَتْلُهُ عَلَيْنَا يَسِيرًا، أَقُولُ قَوْلِي هَذَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَامَ الزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ فَقَالَ: نَحْنُ الْكِرَامُ فَلَا حَيٌّ يُعَادِلُنَا ... مِنَّا الْمُلُوكُ وَفِينَا تُنْصَبُ الْبِيَعُ وَكَمْ قَسَرْنَا مِنَ الْأَحْيَاءِ كُلِّهِمْ ... عِنْدَ النِّهَابِ وَفَضْلُ الْعِزِّ يُتَّبَعُ وَنَحْنُ يُطْعِمُ عِنْدَ الْقَحْطِ مُطْعِمُنَا ... مِنَ الشِّوَاءِ إِذَا لَمْ يُؤْنَسِ الْقَزَعُ بِمَا تَرَى النَّاسُ تَأْتِينَا سُرَاتُهُمْ ... مِنْ كُلِّ أَرْضٍ هُوِيًّا ثُمَّ نَصْطَنِعُ فَنَنْحَرُ الْكُومَ عَبْطًا فِي أَرْوِمَتِنَا ... لِلنَّازِلِينَ إِذَا مَا أُنْزِلُوا شَبِعُوا فَمَا تَرَانَا إِلَى حَيٍّ نُفَاخِرُهُمْ ... إِلَّا اسْتَفَادُوا فَكَانُوا الرَّأْسَ يُقْتَطَعُ فَمَنْ يُفَاخِرُنَا فِي ذَاكَ نَعْرِفُهُ ... فَيَرْجِعُ الْقَوْمُ وَالْأَخْبَارُ تُسْتَمَعُ إِنَّا أَبَيْنَا وَلَمْ يَأْبَى لَنَا أَحَدٌ ... إِنَّا كَذَلِكَ عِنْدَ الْفَخْرِ نَرْتَفِعُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ غَائِبًا فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ حَسَّانُ: فَجَاءَنِي رَسُولُهُ، فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ إِنَّمَا دَعَانِي لِأُجِيبَ شَاعِرَ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৩
بَنِي تَمِيمٍ. قَالَ: فَخَرَجْتُ وَأَنَا أَقُولُ: مَنَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ إِذْ حَلَّ وَسْطَنَا ... عَلَى أَنْفِ رَاضٍ مِنْ مَعَدٍّ وَرَاغِمِ مَنَعْنَاهُ لَمَّا حَلَّ بَيْنَ بُيُوتِنَا ... بِأَسْيَافِنَا مِنْ كُلِّ بَاغٍ وَظَالِمِ بِبَيْتٍ حَرِيدٍ عِزُّهُ وَثَرَاؤُهُ ... بِجَابِيَةِ الْجَوْلَانِ وَسْطَ الْأَعَاجِمِ هَلِ الْمَجْدُ إِلَّا السُّؤْدُدُ الْعَوْدُ وَالنَّدَى ... وَجَاهُ الْمُلُوكِ وَاحْتِمَالُ الْعَظَائِمِ قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ شَاعِرُ الْقَوْمِ فَقَالَ مَا قَالَ، عَرَضْتُ فِي قَوْلِهِ، وَقُلْتُ عَلَى نَحْوِ مَا قَالَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ الزِّبْرِقَانُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ: " قُمْ يَا حَسَّانُ فَأَجِبِ الرَّجُلَ فِيمَا قَالَ ". فَقَالَ حَسَّانُ: إِنَّ الذَّوَائِبَ مِنْ فِهْرٍ وَإِخْوَتِهِمْ ... قَدْ بَيَّنُوا سُنَّةً لِلنَّاسِ تُتَّبَعُ يَرْضَى بِهَا كُلُّ مَنْ كَانَتْ سَرِيرَتُهُ ... تَقْوَى الْإِلَهِ وَكُلَّ الْخَيْرِ يَصْطَنِعُ قَوْمٌ إِذَا حَارَبُوا ضَرُّوا عَدُوَّهُمْ ... أَوْ حَاوَلُوا النَّفْعَ فِي أَشْيَاعِهِمْ نَفَعُوا سَجِيَّةٌ تِلْكَ مِنْهُمْ غَيْرُ مُحْدَثَةٍ ... إِنَّ الْخَلَائِقَ فَاعْلَمْ شَرُّهَا الْبِدَعُ إِنْ كَانَ فِي النَّاسِ سَبَّاقُونَ بَعْدَهُمُ ... فَكُلُّ سَبْقٍ لِأَدْنَى سَبْقِهِمْ تَبَعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৪

“এ মাহাত্ম্য যে; প্ৰল্টি এলাকায় আমরাই মানব সমাজের শীর্ষস্থানীয় এবং এ কথা যে,
হিজায ভুমিতে দারিম’ খান্দানের তুলনা নেই ৷”

ণ্ব্রা;ন্ান্;া৷
“আর আমরা চিহ্রধারী’ বীরযোদ্ধাকে হটিয়ে দেই, যদি সে অহং প্রকাশে বাড়াবাড়ি করে;
আর অপ্রতিদ্বন্দী উদ্ধত গর্দানের খুলিতে আঘাত হানি ৷
“আর (যাতে লোকদের জানা হয়ে যায় যে) যে কোন আক্রমণ অভিংান লব্ধ লুটের সম্পদে

আমরা অইিনত চতুর্থাংশের অধিকারী,১ সে আক্রমণ আরবীয় নাজ্বদ এলাকাসয় পরিচালিত
হোক, কিৎরা আজমীদের কোন দেশে ৷ ”

যাবৃরিকানের প্রতিপক্ষে হাসৃসান (রা) জবাব দেয়ার জন্য দাড়িয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন,
ণ্ওা৷স্এ৷ ৰুা৷ওপ্রুা, এ,াপ্রুা৷ :প্রুব্লু ব্লু প্রুএ্যা ৷ ১ণ্যেম্১৷ ১স্পো ১৷ ৷ ১ ১৷ ঞ
“আভিজাত্য তা তো হল সুপ্রাচীন নেতৃতৃ, বদান্যতা, রাজকীয় মর্যাদাবােধ্ ও বড় বড়
ঝক্কি-ঝড়ামেলার দায় বহন ৷”
“আমরা নবী মুহাম্মদ (না)-এর সহায়তায় অবতীর্ণ হয়েছি, তাকে সসম্মানে আশ্রয় দিয়েছি
যুআদ্দ বংশের তুষ্ট ও অতুষ্ট লোকদের অহমিকার পরােয়া না করেই ৷”
এমন একটি জনগােষ্ঠির সহায়তায় যাদের মুল অস্তিতৃ আজমী (অনারৰ) দেশের বুকের
উপরে গোলড়ান উপত্যকায় অপ্রতিরোধ্য শিকড় বিস্তার করে রয়েছে ৷ ২
ণ্ৰুট্ট্র ড্রু
“আমাদের মাঝে তার শুভ পদার্পণের পরে আমরা আমাদের অমি দিয়ে প্রতিটি উদ্ধত-
অনাচারীর বিরুদ্ধে তার সহায়তা করেছি ৷ ”

ণ্ওআে
“আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততিদের দিয়ে তার সামনে রক্ষাব্যুহ রচনা করেছি এবং গনীমত
লব্ধ সম্পদের ক্ষেত্রে তার জন্য আমাদের মন প্রাণ সন্তোষে নিবেদিত ৷
ণ্এএিঝা ঞ্জীস্টিংফো
“দু’ধারী সুডীক্ষ্ণ তরবারি দিয়ে আমরা লোকদের আঘাত হেনেছি, ফলে তারা দলে দলে
তার দীনের প্ৰতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে ৷ ”



১ প্ধ্রুএ)^প্রী এক-চতুর্থাংশ ৷ জাহিলিয়াত যুগের সমর বিধান অনুযায়ী যুদ্ধলব্ধ লুটের মালে এক-চতুর্থাংশ
সম্পদ অথবা রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনকারী কিৎবা রবি মৌসুমে প্রসবকারিণী উটের উপরে কোন গোত্র বা
গোত্রপতির আইনগত অধিকার ৷

২ গোলড়ান অঞ্চলে মুহাম্মদ (সা) এর পিতৃপুরুষ ইবরাহীম (আ) এর বংশীয় আভিজাত্যের প্রতি ইঙ্গিত ৷


لَا يَرْقَعُ النَّاسُ مَا أَوْهَتْ أَكُفُّهُمْ عِنْدَ الدِّفَاعِ وَلَا يُوهُونَ مَا رَقَعُوا ... إِنْ سَابَقُوا النَّاسَ يَوْمًا فَازَ سَبْقُهُمُ أَوْ وَازَنُوا أَهْلَ مَجْدٍ بِالنَّدَى مَتَعُوا ... أَعِفَّةٌ ذُكِرَتْ فِي الْوَحْيِ عِفَّتُهُمْ لَا يَطْمَعُونَ وَلَا يُرْدِيهِمْ طَمَعُ ... لَا يَبْخَلُونَ عَلَى جَارٍ بِفَضْلِهِمُ وَلَا يَمَسُّهُمْ مِنْ مَطْمَعٍ طَبَعُ ... إِذَا نَصَبْنَا لِحَيٍّ لَمْ نَدِبَّ لَهُمْ كَمَا يَدِبُّ إِلَى الْوَحْشِيَّةِ الذَّرَعُ ... نَسْمُوا إِذَا الْحَرْبُ نَالَتْنَا مَخَالِبُهَا إِذَا الزَّعَانِفُ مِنْ أَظْفَارِهَا خَشَعُوا ... لَا يَفْخَرُونَ إِذَا نَالُوا عَدُوَّهُمُ وَإِنْ أُصِيبُوا فَلَا خُورٌ وَلَا هُلُعُ ... كَأَنَّهُمْ فِي الْوَغَى وَالْمَوْتُ مُكْتَنِعٌ أُسْدٌ بِحَلْيَةَ فِي أَرْسَاغِهَا فَدَعُ ... خُذْ مِنْهُمْ مَا أَتَوْا عَفْوًا إِذَا غَضِبُوا وَلَا يَكُنْ هَمُّكَ الْأَمْرَ الَّذِي مَنَعُوا ... فَإِنَّ فِي حَرْبِهِمْ فَاتْرُكْ عَدَاوَتَهُمْ شَرًّا يُخَاضُ عَلَيْهِ السُّمُّ وَالسَّلَعُ ... أَكْرِمْ بِقَوْمٍ رَسُولُ اللَّهِ شِيعَتُهُمْ إِذَا تَفَاوَتَتِ الْأَهْوَاءُ وَالشِّيَعُ ... أَهْدَى لَهُمْ مِدْحَتِي قَلْبٌ يُؤَازِرُهُ فِيمَا أُحِبُّ لِسَانٌ حَائِكٌ صَنَعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৫


ণ্১ৰুাৰুঙি এষ্ ব্লু)১ট্রগ্লু
কুরায়শদের শ্রেষ্ঠ সভানকে আমরাই জন্ম দিয়েছি; বনু হাশিম পরিবারে কল্যাণের নবীকে
আমরাই জন্ম দিয়েছি ৷

ণ্এঞাষ্ এৰুট্ট
দারেমীরা৷ অত পর্ব করো না; কারণ মর্যাদা-আভিজাত্যের আলোচনা ক্ষেত্রে ঐ গর্বসমুহ
বিপদের রুপ নিতে পারে ৷
ণ্ৰুইএ ৷ট্টএপৌ গ্রুশুৰুণ্শ্ ণ্শুশ্মৈং
“তোমরা আমাদের সাথে পর্ব করে বোকামী ও হেৎলাপনড়ার পরিচয় দিয়েছো; অথচ তোমরা
হলে আমাদের সেবাদাস, কেউ বা ধাত্রী, কেউ বা গৃহপরিচড়ারিকা ৷”

ণ্১া৷ঞ্জোধ্ এ গ্রদ্বৈ
“এখন তোমরা যদি জানের হিফাজত ও গণীমতের হিস্সারুপে বণ্টন হয়ে যাওয়া থেকে
তোমাদের সম্পদের হিফাজত করার উদ্দেশ্যে এসে থাকে৷ ৷

“তা হলে অংশীবাদী বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ কর (আত্মসমর্পণ কর) এবং অনারব
কাফেরদের বেশ-ভুষা পরিধান কর না ৷ ”

ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, হড়াসৃসান ইবন ছাবিত (বা) তার কবিতা শেষ করলে আক্রা ইবন
হাবিস (বা) বললেন, আমার জন্মদাতার শপথ! এ কাব্য প্রতিভা নিঃসন্দেহে আল্পাহ্ প্রদত্ত;
তার পক্ষের বক্তা আমাদের বক্তার চাইতে অধিকতর বাশ্মী; আর তার করি আমাদের কবির
চাইতে অধিকতর কাব্য প্রতিভাসম্পন্ন এবং তাদের ধ্বনি আমাদের ধ্বনির চাইতে উচ্চতর ৷
বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যিযাগিতড়া শেষে আগত প্রতিনিধি দলের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদের যথাযােগ্য উপহার-উপটোকন দিয়ে সমাদৃত করলেন ৷ আম্র ইবনৃল
আহ্তাম ছিলেন দলে সর্বকনিষ্ঠ ৷ তাই লোকেরা তাকে র্তাবুতে রেখে এসেছিলেন ৷ কায়স ইবন
আসিম আমরের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল ৷ সে বলে উঠল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! আমাদের এক ক্ষুদে
তরুণ র্তাবুতে রয়ে গিয়েছিল ৷ তার স্বরে তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ পাচ্ছিল ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকেও অন্যান্য সদস্যদের সমতুল্য উপহার দিলেন ৷ আম্র ইবনুল আহ্তাম তার প্রতি
কায়সের তাচ্ছিল্যের কথা জানতে পেরে তাকে ব্যাস করে কবিতা রচনা করলেন ৷

“অলস নিতম্ব ৰিছিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিলে, রাসুল (না)-এর দরবারে বসে আমাকে ব্যাস
করে, কিন্তু সত্য কথা বলার সাহস তোমার হল না ৷

আমরা তো তোমাদের উপর সমুজ্জ্বল নেতৃতু দিয়ে এসেছি; আর তোমাদের নেতৃতু
ফোকলা হয়ে লেজের উপরে মুখ থুবড়ে পড়েছে ৷

হাফিয বায়হাকী (র) রিওরায়াত করেছেন, ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র)ঘৃহাম্মদ ইবনুয
যুবায়র আল-হানজালী (র) থেকেতিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যাবৃরিকান ইবন
বদর, কায়স ইবন আসিম ও আমৃর ইবনৃল আহ্তাম (রা) প্রমুখ আগমন করলেন ৷ নবী করীম
(সা) আমর ইবনুল আহ্তামকে বললেন, যাবৃরিকান সম্পর্কে তোমার মন্তব্য আমাকে বল; আর এ

৯ ১


فَإِنَّهُمْ أَفْضَلُ الْأَحْيَاءِ كُلِّهِمُ ... إِنْ جَدَّ فِي النَّاسِ جَدُّ الْقَوْلُ أَوْ شَمَعُوا وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ أَنَّ الزِّبْرِقَانَ لَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ قَامَ فَقَالَ: أَتَيْنَاكَ كَيْمَا يَعْلَمُ النَّاسُ فَضْلَنَا ... إِذَا اخْتَلَفُوا عِنْدَ احْتِضَارِ الْمَوَاسِمِ بِأَنَّا فُرُوعُ النَّاسِ فِي كُلِّ مَوْطِنٍ ... وَأَنْ لَيْسَ فِي أَرْضِ الْحِجَازِ كَدَارِمِ وَأَنَّا نَذُودُ الْمُعْلِمِينَ إِذَا انْتَخَوْا ... وَنَضْرِبُ رَأْسَ الْأَصْيَدِ الْمُتَفَاقِمِ وَأَنَّ لَنَا الْمِرْبَاعَ فِي كُلِّ غَارَةٍ ... نُغِيرُ بِنَجْدٍ أَوْ بِأَرْضِ الْأَعَاجِمِ قَالَ: فَقَامَ حَسَّانُ فَأَجَابَهُ فَقَالَ: هَلِ الْمَجْدُ إِلَّا السُّؤْدُدُ الْعَوْدُ وَالنَّدَى ... وَجَاهُ الْمُلُوكِ وَاحْتِمَالُ الْعَظَائِمِ نَصَرْنَا وَآوَيْنَا النَّبِيَّ مُحَمَّدًا ... عَلَى أَنْفِ رَاضٍ مِنْ مَعَدٍّ وَرَاغِمِ بِحَيٍّ حَرِيدٍ أَصْلُهُ وَثَرَاؤُهُ ... بِجَابِيَةِ الْجَوْلَانِ وَسْطَ الْأَعَاجِمِ نَصَرْنَاهُ لَمَّا حَلَّ بَيْنَ دِيَارِنَا ... بِأَسْيَافِنَا مِنْ كُلِّ بَاغٍ وَظَالِمِ جَعَلْنَا بَنِينَا دُونَهُ وَبَنَاتِنَا ... وَطِبْنَا لَهُ نَفْسًا بِفَيْءِ الْمَغَانِمِ وَنَحْنُ ضَرَبْنَا النَّاسَ حَتَّى تَتَابَعُوا ... عَلَى دِينِهِ بِالْمُرْهَفَاتِ الصَّوَارِمِ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৬


০ : ৷৷ওে fl ই$

৯২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

লোক (কায়স) সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই ৷ আমার ধারণা কায়স সম্পর্কে
আগে থেকে অবহিত ছিলেন ৷ আমৃর বললেন, তার সামনে সকলে তার অনুগত সে ভাবলেশ ৷হীন
অহৎকা র ও পাস্তীর্যের অধিকারী এবং পশ্চাতের বিষয়ে সতর্ক সং ৎরক্ষণকাৰী ৷ যাবৃরিকান এ মন্তব্য
শুনে বললেন, তার কথা যে বলেছে, তবে সে একথাও জানে যে তার ঐ বর্ণনার চাইতে আমি
অবশ্যই শ্রেষ্ঠ ৷ বর্ণনাক ৷য়ী বলেন, তখন আমৃর বলল, আল্লাহর কলম! তোমার সম্পর্কে আমি যা

জানি তা হল, তুমি হচ্ছে৷ বিশাল বপু, স ৎকীর্ণ আস্তাবলের মালিক, আহম্মক বাপের সন্তান আর
ইতর মামা র ভ ৷গ্নে ৷ পরে সে বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্! উভয় বক্তব্যেই আমি সত্যবাদিত৷ রক্ষা
করেছি ৷ প্রথমে সে আমাকে সন্তুষ্ট করেছিল, তাই আমি তার সম্পর্কে আমার জানা তার ভাল
গুণগুলোর উল্লেখ করেছিলাম, পরে সে আমাকে রাগিয়ে দিলে তার সম্পর্কে আমার জানা মন্দ
কথাগুলো ও বলে দিলাম ৷ বণ্নািকায়ী বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ৩১১ ;)ঞা ৰুএ
“কোন কোন তাবণে যাদুকরী হয়ে থাকে ৷ এ বর্ণন৷ সুত্রে এটি যুরসাল পর্যায়ের ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, অন্য একটি সুত্রে হাদীছটি ম’াওসুল রুপেও বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু জাফর কাযিল ইবন
আহমদ আল-ঘুসতামিলী (র)ইবন আব্বাস ং(রা) থেকে বর্ণনা করেন, ৷ তিনি বলেন, একবার
তামীম গোত্রের কায়স ইবন আসিম, যাবৃরিকান ইবন বদর ও আমৃর ইবনৃল আহতাম৩ তাযীমী
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরব৷ রে বসা ৷ছিল ৷ এ সময় যাবৃরিকান আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে পর্ব ভরে
বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্ৰু আমি তামীম গোত্রের ৷:নতা,ত তাদের মাঝে বরেণ্য ও অনুসরগীয় ৷ অত্যাচার
থেকে তাদেরকে রক্ষা করি এবৎ তাদের প্রাপ্য অধিকার উসৃল করে দেই ৷ এ আম রও আমার দাবী
সমর্থন করবে ৷ তখন আমর ইবনৃল আহ্তাম বলল, যে অবশ্যই চাপড়াবাজ, অগ্রপশ্চাত
ৎরক্ষণকারী এবৎ তার নীচতা সত্বেও বরেণ্য ৷

তখন মাবৃরিকা ৷ন বলল, আল্লাহর কসম ইয়৷ রাসুল৷ ল্লাহ্!৫ সে যা বলেছে তা ৷র চাইতে ভাল কথা
আমার সম্পর্কে যে জা নে, কিন্তু বিদ্বেব তাকে স৩ গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ আমৃর ইবনৃল আহ্তাম
বলল, আমি তোমাকে হিৎস৷ করব? আল্লাহর কসম! তুমি ইতর মাঘুর ত ৷প্নে (মাতৃকুল নিম্নশ্রেণীর),
ইদানিৎ সম্পদের অবিকা ৰী নতুন ধনী, আহম্মক বাপের সন্তান (পিতৃকুলও নিম্নস্তরের) এবৎ
সমাজে নিম্নস৷ রির ফেলন৷ লোক ৷ ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ শু আল্লাহর কসম ৷ প্রথমবারে ও আ ৷মি সত্য
বলেছি, আর শেববারেও মিথ্যার আশ্রয় নেই নি ৷ তবে আমার স্বতাব হল, আমার যেবাজ ভাল
থাকলে কারো সম্পর্কে আমার জানা ভাল গুণের কথইি বলি, আর যেযাজ বিপড়ে গেলে আমার
দৃষ্টিতে ৩তার যা মন্দ পরিচয় তাই তুলে বরি ৷ সুতরাৎঅ আমি নিঃসন্দেহে উভয় বারই সত্য কথা
বলেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, স্পো গ্রাএ৷াএ ,)াক কারো কারো বক্তৃতায় যাদৃ থাকে ৷ ” এ
বর্ণনার সনদ অতি পরিচিত ৷

এদের আগমনের কারণ বর্ণনায় ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেছেন, যে এর৷ খুযাঈদের বিরুদ্ধে
অস্ত্র শানিয়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ায়ন৷ ইবন বদর (রা)-কে পাঠালেন পঞ্চাশজন
য়ুজাহিদের অধিনায়কতৃ দিয়ে ৷ যাদের মাঝে একজনও যুহাজির বা আনসার ছিলেন না ৷ দলপতি



১ যে হাদীছের সনদে শেষ রাবীরুপে সাহাৰীর নাম উল্লিখিত না হয় তাকে ঘুরসাল ( এগু,ন্ অসৎযুক্ত বা
উন্মুক্ত) বলে ৷ এর বিপরীতে রয়েছে মা ওসুল ( এ রু প্রু ব৷ ফো সং ৎযুক্ত বা সম্পৃক্ত) ৷ আমার সাহাবীর
নাম উল্লিখিত নবী (না) এর সাথে অসম্পৃক্ত রিওয়ায়াতকেও (ব্যাপক অর্থে) মুরসাল বলা হয় ৷


وَنَحْنُ وَلَدْنَا مِنْ قُرَيْشٍ عَظِيمَهَا وَلَدْنَا نَبِيَّ الْخَيْرِ مِنْ آلِ هَاشِمِ ... بَنِي دَارِمٍ لَا تَفْخَرُوا إِنَّ فَخْرَكُمْ يَعُودُ وَبَالًا عِنْدَ ذِكْرِ الْمَكَارِمِ ... هَبِلْتُمْ عَلَيْنَا تَفْخَرُونَ وَأَنْتُمُ لَنَا خَوَلٌ مِنْ بَيْنِ ظِئْرٍ وَخَادِمِ ... فَإِنْ كُنْتُمُ جِئْتُمْ لِحَقْنِ دِمَائِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ أَنْ تُقْسَمُوا فِي الْمَقَاسِمِ ... فُلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ نِدًّا وَأَسْلِمُوا وَلَا تَلْبَسُوا زِيًّا كَزِيِّ الْأَعَاجِمِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ قَوْلِهِ، قَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ: وَأَبِي إِنَّ هَذَا لَمُؤَتًّى لَهُ، لَخَطِيبُهُ أَخْطَبُ مِنْ خَطِيبِنَا، وَلَشَاعِرُهُ أَشْعَرُ مِنْ شَاعِرِنَا، وَلَأَصْوَاتُهُمْ أَعْلَى مِنْ أَصْوَاتِنَا. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ الْقَوْمُ أَسْلَمُوا، وَجَوَّزَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَحْسَنَ جَوَائِزَهُمْ، وَكَانَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ قَدْ خَلَّفَهُ الْقَوْمُ فِي رِحَالِهِمْ، وَكَانَ أَصْغَرَهُمْ سِنًّا، فَقَالَ قَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ، وَكَانَ يَبْغُضُ عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ كَانَ رَجُلٌ مِنَّا فِي رِحَالِنَا، وَهُوَ غُلَامٌ حَدَثٌ. وَأَزْرَى بِهِ. فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ مَا أَعْطَى الْقَوْمَ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ قَيْسًا قَالَ ذَلِكَ يَهْجُوهُ: ظَلِلْتَ مُفْتَرِشَ الْهَلْبَاءِ تَشْتُمُنِي ... عِنْدَ الرَّسُولِ فَلَمْ تَصْدُقْ وَلَمْ تُصِبِ سُدْنَاكُمْ سُؤْدُدًا رَهْوًا وَسُؤْدُدُكُمْ ... بَادٍ نَوَاجِذُهُ مُقْعٍ عَلَى الذَّنْبِ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৭


উয়ড়ায়ন৷ তাদের এগা রজন পুরুষ, এগা রজন নারী ও তিনজন শিশু-কিশোর বন্দী করে তা ৷নলেন ৷ এ
বন্দীদের খাতিরে তাদের নেতারা আসতে বাধ্য হল ৷ এদের স০ খ্যা ছিল নব্বই কিংবা আ ৷শিজন ৷
উল্লেখমোঃাব্র ছিল উত ৷রিদ, যাবৃরিকান, কায়স ইবন আসিম, কায়স ইবনৃল হ রিছ, নৃ আয়ম ইবন
সাদ, আকর৷ ইবন হাবিস, রাব৷ ইবনুল হারিছ ও আমর ইবনুল আহতাম ৷ বিলাল (বা) জহরের
আমান দেয়ার পরক্ষণে তারা এসে মসজ্যিদ প্রবেশ করল ৷ লোকেরা তখন সলোঃতর জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হুজর৷ থেকে বেরিয়ে আসার প্রতীক্ষায় ছিলেন ৷ আগন্তুকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে
হুজরাসমুহের বাইরে থেকে চিৎকার দিয়ে তাকে ডাকতে লাগল ৷ তখন তাদের এ আচরণের
নিন্দাসুচক আয়াত নাযিল হল ৷ এরপর ওয়াকিদী তাদের বক্তা ও কবির বিষয় আলোচনা করেছেন
এবং উল্লেখ করেছেন যে নবী কবীম (সা) তাদের প্রত্যেককে বার উকিয়ার অধিকহারে রৌপ্য মুদ্রা
(প্রায় পাচশ’ দিরহড়াম) উপচৌকনরুপে দিয়েছিলেন ৷ তবে কনিষ্ঠতম সদস্য আমৃর ইবনুল
আহতামের বয়সে ছোট হওয়ার কারণে পাচ উকিয়া দিয়েছিলেন ৷ আ ৷ল্লাহ্ই সমধিক অবগত

ইবন ইসহাক (র) বলেন, এদের সম্পবেইি আল্লাহ পাকের এ বাণী না ৷যিল হল

; ,

ষ্’ণ্ছু১এ এটুংণ্ ঠোএ ণ্€-ন্ এব্লু-ব্লু গ্রব্রো ণ্গো
“যারা ঘরের পেছন থেকে উচচস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংইি নিবেধি ৷ তুমি বের হয়ে

, তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি“ তারা ধৈর্যধারণ করত, তাই তাদের জন্য উত্তম হত ৷ আল্লাহ্
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৪৯ : ৪ ৫) ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, আবু আম্মার আল হ্লায়ন ইবন হ্বায়ছ আল মারওয়াষী (র)বারা
(বা) সুত্রে “যারা ঘরের পিছন থেকে চিৎকার করে তোমাকে ডাকে আয়াত সম্পর্কে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তিরাসুলুলাহ্ (সাএর কাছে এসে বলল, “হে মুহাম্মদ! কারো জন্য
আমার ন্তুতি তার জন্য সৌন্দর্যবর্ধক আর আমার কুৎসা বর্ণনা তার জন্য কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম
(সা) বললেন, ঐ ব্যাপারটি মহীয়ান-গবীয়ান আল্লাহর অধিকারে ( অর্থাৎ ইজ্জত দেয়া ও
বেইজ্জত করা একমাত্র আল্লাহ্রই অধিকা ৷রে ৷ কোন মানুষের হাতে নয় ৷) এ হাদীসের সনদ
উত্তম ও অবিচ্ছিন্ন ৷ হাসান বসবী ও কা৩ ড়াদ৷ (র) থেকে এ বিওয়ায়া তটি ঘুরসাল’ রুপে বণিতি
হয়েছে ৷ ইমাম আহমদের রিওয়ায়াতে চিংক৷ ৷রকা ৷বী লোকটির নামও উল্লিখিত হয়েছে৷ ৷তিনি
বলেন, আফ্ফা ন (র)অ ৷কর৷ ইবন হাবিল (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিই এভাবে রাসুলুল-
াহ্ (না)-কে ইয়৷ মুহাম্মদ ! ইয়৷ মুহাম্মদ! বলে ডেকেছিলেন ৷ অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে-
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু কিন্তু নবী করীম (না) তার ড ৷কে জব৷ ব দেননি ৷ তখন লোকটি বলে ইয়া
রাসুলাল্পাহ্!ক কারো জন্য আমার স্তুতিত ৷র সৌন্দর্যবর্ধক এবং কারো “ব্যাপারে আমার বক্তব্য তার
জন্যে কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম (সা) বললেন, ঐ বিষয়টি মহান আল্লাহ্রই অধিকারে ৷

বনুতামীমের ফষীলভ প্রসঙ্গ

বুখারী (র) বলেন, যুহায়র ইবন হাবৃব (র)আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, তিনটি কারণে যা আ ৷মি বনু তাষীম সম্পর্কে রাসুলুলাহ্ (সা) কে বলতে
শুনেছি আমি তাদের তা ৷লবেসেই যাবং (১) দ ৷জ্জালের বিরুদ্ধে আমার উম্মতের মাঝে তারা

€মাো


وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْحَنْظَلِيِّ قَالَ: «قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ فَقَالَ لِعَمْرِو بْنِ الْأَهْتَمِ: " أَخْبِرْنِي عَنِ الزِّبْرِقَانِ فَأَمَّا هَذَا فَلَسْتُ أَسْأَلُكَ عَنْهُ ". وَأَرَاهُ كَانَ قَدْ عَرَفَ قَيْسًا. قَالَ: فَقَالَ: مُطَاعٌ فِي أَدْنَيْهِ، شَدِيدُ الْعَارِضَةِ، مَانِعٌ لِمَا وَرَاءَ ظَهْرِهِ. فَقَالَ الزِّبْرِقَانُ: قَدْ قَالَ مَا قَالَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنِّي أَفْضَلُ مِمَّا قَالَ. قَالَ: فَقَالَ عَمْرٌو: وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُكَ إِلَّا زَمِرَ الْمُرُوءَةِ، ضَيِّقَ الْعَطَنِ، أَحْمَقَ الْأَبِ، لَئِيمَ الْخَالِ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ صَدَقْتُ فِيهِمَا جَمِيعًا ; أَرْضَانِي فَقُلْتُ بِأَحْسَنِ مَا أَعْلَمُ فِيهِ، وَأَسْخَطَنِي فَقُلْتُ بِأَسْوَءَ مَا أَعْلَمُ فِيهِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا ".» وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَوْصُولًا أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ كَامِلُ بْنُ أَحْمَدَ الْمُسْتَمْلِي ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ عُثْمَانَ الْبَغْدَادِيُّ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ الْعَلَّافُ بِبَغْدَادَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ الطَّائِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو سَعْدِ بْنُ الْهَيْثَمِ بْنِ مَحْفُوظٍ عَنْ أَبِي الْمُقَوِّمِ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৮


হবে সৰ্বাধিক কঠোর; (২) অইিশা (না)-এর জনৈক! র্বাদী ঐ গোত্রের ছিল; ংরাসুলুলাহ্ (সা)
বললেন, ওকে আনন্দ করে দাও ৷ কেননা, ওত্যে ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর; (৩) তাদের
সাদাকা নিয়ে আসা হলে নবী কয়ীম (সা) বলেছিলেন, এ হচ্ছে এমন এক কওমের সাদাকা
অথবা তিনি বলেছিলেন আমার কওমেব সাদাক৷ ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও যুহায়র ইবন হাবৃব
(র) থেকে এ হাদীছটি অনুরুপ ব্লিওরায়াত করেছেন ৷ এ হাদীছখানা কাতাদা (র) প্রমুখের
বর্ণনাকে আংশিক খণ্ডন করে এবং হামসাে কাব্য সৎকলনে গৃহীত বনু তামীমের কুৎসামুলক
কবিতা প্রত্যাখ্যান করে সে কবিতায় বলা হয়েছে তাষীমীরা ইতরামীর ব্যাপারে কাতা’
পাখির চইিতে অধিকতর পারদর্শী; ওরা কল্যাণের পথে চলতে শুরু করলেও তা বিভ্রান্তিতে
পর্যবসিত হয় ৷ তাষীমীরা এমন ভীতুব ডিম যে উকুনের পিঠে আরােহী কোন চাম-উকুনকে দুর
থেকে দেখলেও ওরা লেজ গুটিয়ে দৌড়তে থাকে ৷

আবদুস কারন গোত্রের প্রতিনিধিদ্যা প্রষ্স্তো
তামীমী প্রতিনিধিদলের আঙ্গেল্দো শেষ করে বুৰ্াৰী (র) বলেছেন, “অনুচ্ছেদ ও আবদুল
কায়স প্রতিনিধিদল আবু ইসহাৰু (র)আবু হামৃধ্৷ (র) সুত্রে বলেন, আমি ইবন আব্বাস
(রা)-কে বললাম, আমার মটকাগুলির মাৰে একটিকে আমার জন্য খুরম৷ তিন্ধিন্নে রাখা হয়,
স্বাদু হলে আমি তা পান করি ৷ একটু বেশী পরিমাণে তা দান করেন দীর্ঘ সময় ধরে কোন
মজলিসে বসলে তার মাদকতায় আমার লজ্জা পাওয়ার (মত কোন কিছু করে বসার) আশংকা
হয় ৷ (এ বিষয় আপনার ফত্ওয়৷ কি ?) তিনি বললেন, আবদৃল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদল
রাসুলুল্লাহ (সা)-এৱ সকাশে আগমন করল ৷ তিনি বললেন,

-;দ্রলোঃ শ্ব১ গ্রষ্ম্রশু ):শ্ণ্ ণ্মোঃ রুহু১)ষ্
স্বাগতম ! হে কওম ! লাঞ্চনা ও অনুতাপের শংকামুক্ত ৷ তারা বলল, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ ! আপনার
এবং আমাদের মাঝে মুমার গোত্রের মুশরিকদের অবস্থান, তইি আমরা (যুদ্ধ নিষিদ্ধ থাকার)
পবিত্র মাসগুলি ব্যতীত অন্য সময় আপনার কাছে আমার অবকাশ পাই না ৷ সুতরাং আপনি
আমাদের একটা সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা দিয়ে দিন, যে অনুসারে আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ

কবতে পারব ৷ তা ছাড়া আমরা অন্যান্যদেরকেও যে দিকে দাওয়াত দোবা ৷ ” তিনি বললেন-

ফো৷ ১া
“চারটি বিষয় আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ (প্রথম চারটি
বিষয়) আল্লাহ্র প্রতি ঈমান ; তোমরা কি জান আল্লাহর প্রতি ঈমান কাকে বলে ? (তা হল)
একমাত্র আলাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ না থাকার সাক্ষ্য দেয়া, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত
আদায় করা, রমযানের সিয়াম পালন করা এ ছাড়া তোমরা গণীমতেব এক পঞ্চমাংশ
(ৰায়তৃল সালে) জমা দেবে ৷ আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি লাউয়ের খােল, গাছের কাণ্ড বা

পৌড়া খোদাই করে তৈরী পাত্র, সবুজ রংয়ের পলিশ দেয়৷ কলস এবং আলকাতরার পলিশ
দেয়৷ কলসে খুরমা ইত্যাদি ভিজ্যিয় তৈরী পানীয় ৷ ”


الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَالزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ التَّمِيمِيُّونَ، فَفَخَرَ الزِّبْرِقَانُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا سَيِّدُ بَنِي تَمِيمٍ، وَالْمُطَاعُ فِيهِمْ وَالْمُجَابُ، أَمْنَعُهُمْ مِنَ الظُّلْمِ، وَآخُذُ لَهُمْ بِحُقُوقِهِمْ، وَهَذَا يَعْلَمُ ذَلِكَ. يَعْنِي عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ: إِنَّهُ لَشَدِيدُ الْعَارِضَةِ، مَانِعٌ لِجَانِبِهِ، مُطَاعٌ فِي أَدْنَيْهِ. فَقَالَ الزِّبْرِقَانُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ عَلِمَ مِنِّي غَيْرَ مَا قَالَ، وَمَا مَنَعَهُ أَنْ يَتَكَلَّمَ إِلَّا الْحَسَدُ. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ: أَنَا أَحْسُدُكَ؟ ! فَوَاللَّهِ إِنَّكَ لَلَئِيمُ الْخَالِ، حَدِيثُ الْمَالِ، أَحْمَقُ الْوَالِدِ، مُضَيَّعٌ فِي الْعَشِيرَةِ. وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ صَدَقْتُ فِيمَا قُلْتُ أَوَّلًا، وَمَا كَذَبْتُ فِيمَا قُلْتُ آخِرًا، وَلَكِنِّي رِجْلٌ إِذَا رَضِيتُ قُلْتُ أَحْسَنَ مَا عَلِمْتُ، وَإِذَا غَضِبْتُ قُلْتُ أَقْبَحَ مَا وَجَدْتُ، وَلَقَدْ صَدَقْتُ فِي الْأُولَى وَالْأُخْرَى جَمِيعًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ سَبَبَ قُدُومِهِمْ وَهُوَ أَنَّهُ كَانُوا قَدْ شَهَرُوا السِّلَاحَ عَلَى خُزَاعَةَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُيَيْنَةَ بْنَ بَدْرٍ فِي خَمْسِينَ لَيْسَ فِيهِمْ أَنْصَارِيٌّ وَلَا مُهَاجِرِيٌّ، فَأَسَرَ مِنْهُمْ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا، وَإِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً، وَثَلَاثِينَ صَبِيًّا، فَقَدِمَ رُؤَسَاؤُهُمْ بِسَبَبِ أُسَرَائِهِمْ، وَيُقَالُ: قَدِمَ مِنْهُمْ تِسْعُونَ أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلًا فِي ذَلِكَ، مِنْهُمْ ; عُطَارِدٌ وَالزِّبْرِقَانُ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَقَيْسُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৯
الْحَارِثِ وَنُعَيْمُ بْنُ سَعْدٍ وَالْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ وَرَبَاحُ بْنُ الْحَارِثِ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ فَدَخَلُوا الْمَسْجِدَ وَقَدْ أَذَّنَ بِلَالٌ الظُّهْرَ، وَالنَّاسُ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ، فَعَجِلَ هَؤُلَاءِ، فَنَادَوْهُ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ، فَنَزَلَ فِيهِمْ مَا نَزَلَ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ خَطِيبَهُمْ وَشَاعِرَهُمْ، وَأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَجَازَهُمْ عَلَى كُلِّ رَجُلٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةٍ وَنَشًّا، إِلَّا عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ فَإِنَّمَا أُعْطِيَ خَمْسَ أَوَاقٍ لِحَدَاثَةِ سِنِّهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ فِيهِمْ مِنَ الْقُرْآنِ قَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [الحجرات: 4] . قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْمَرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ فِي قَوْلِهِ: {إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ} [الحجرات: 4] قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ حَمْدِي زَيْنٌ وَذَمِّي شَيْنٌ. فَقَالَ: ذَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ مُتَّصِلٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وقَتَادَةَ مُرْسَلًا عَنْهُمَا، وَقَدْ وَقَعَ تَسْمِيَةُ هَذَا الرَّجُلِ ; فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ ثنا وُهَيْبٌ ثنا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ أَنَّهُ «نَادَى رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ৩৭১০


মুসলিম (র) ও কুরুরা ইবন খালিদ (র)আবু হামৃযা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ সহীহ্ (বুখারী ও মুসলিমে) আবু হাম্যা (র) থেকে আরো একাধিক সুত্রে এ
হার্দসেৰুন্ানা বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু দাউদ তায়াসলিসী (র) তীর ঘুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন, শুবা
(র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বলেছেন, আবদুল কায়স-এর প্রতিনিধি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সকাশে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, এ দল কোন গোত্রের ?’ তারা বলল, আমরা রাৰীআ-
গোত্রের ৷ তিনি বললেন, স্বাগতম হে প্রতিনিধিদল ! ইজ্জাতর সাথে অনৃতড়াপ বিহীন আগমন
হোক ! তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা বৃহৎ রাবীআ গোত্রের একটি শাখা; আমরা
অনেক দুর-দুরান্ত থেকে আপনার কাছে এসেছি ৷ মুযারী কাফেরদের ঐ পােত্রটি আপনার এবং
আমাদের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করে রয়েছে ৷ তাই পবিত্র মাস ছাড়া অন্য সময় আপনার কাছে
আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ সুতরাং আমাদের কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিন, আমাদের
পশ্চাতে রয়ে যাওয়া লোকদের আমরা যে বিষয়ের আহবান আমার এবং সে মতে আমরা
জান্নাতে প্রবেশ করব ৷ রাসুলুল্লাহ (স্যু) বললেন, আমি চারটি বিষয় তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি
আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ তোমাদের নির্দেশ করছি এক আল্লাহ্র প্রতি ঈমানের; জান
কি, অল্লোহ্র প্রতি ঈমান কাকে বলে, এক আল্পাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ ইবাদাভ্রুতর
অধিকারী নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া ; সালাত কায়েম
করা, যাকৃড়াত আদায় করা এবং রমযানের সিয়াম পালন করা ৷ এ ছাড়া তোমরা গণীমতের এক
পঞ্চমাংশ (বায়তৃল মালকে) আদায় করবে ৷ চারটি বিষয় তোমাদের নিষেধ করছি লাউয়ের
খােল, সবুজ কলসি, খোদাই করা গাছের গুড়ি এবং আলকাতরা দেওয়া কলসি (থেকে পান
করা, কেননা এগুলো থেকে মদ পান করা হতো) (কোন কোন রিওয়ায়াতে ন্গ্)ন্;া৷ শব্দের
স্থলে ;ৰুএগ্ৰা শব্দ রয়েছে ৷ শব্দদ্বয়ের অর্থ অভিন্ন আল্কাতরা মাখড়ানাে পাত্র) ৷ £তামরা নিজেরা
এ বিষগুলির সংরক্ষণ করবে এবং তোমাদের পশ্চাতবভীচিদরকে এদিকে আহ্বান করবে ৷
বুখারী ও মুসলিম (র)-ও শুবা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) অন্য
একটি সনদে সাঈদ ইবন আবু আরুবা (র) থেকে আবু সাঈদ (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
দিয়েছেন ৷ যুসলিমের রিওয়ায়ড়াত অতিরিক্ত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল কারন-এর
দলীয় প্রধান আশাজ্জ (না)-কে বলেছিলেন,

৪া১ ১া৷এ টা১া৷ ,) ম্পু ): ন্ৰু১৷ ৷ণ্স্পে ওো১ এ,ও :া
“তোমার মধ্যে এমন দুটি স্বভাব রয়েছে যা মহান আল্লাহ পসন্দ করেন সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য ৷
অন্য এক রিওয়ায়াতে রয়েছে “আল্লাহ এবং তার রাসুল যা পসন্দ করেন ৷
আশাজ্জ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, এ দু’টি আমি সাধনা করে অর্জন করেছি ; নাকি আল্লাহ
জ্জাতভ্যবেই আমাকে তা দান করেছেন ? তিনি বললেন, হ্ণ্এণ্ এা ১ ঞা ঞ আল্লাহ

লাতভ্যবে তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি বললেন, যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহ্র, যিনি
আৰু এমন দুটি জন্মগত গুণ দিয়েছেন যা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রিয় ৷

ইমাম আহ্মাদ (র) বলেন, বনু হাসিমের আযাদকৃত গোলাম আবু সাঈদ (র)আল
ষ্শ্ৰী (বা) সুত্রে বলেন, আমি এবং আলু ঘুনযির ইবন আমির আল আশাজ্জ্ব অথবা


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، يَا مُحَمَّدُ - وَفِي رِوَايَةٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ - فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ حَمْدِي لَزَيْنٌ، وَإِنَّ ذَمِّي لَشَيْنٌ. فَقَالَ: " ذَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ".» . [حَدِيثٌ فِي فَضْلِ بَنِي تَمِيمٍ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ «عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَا أَزَالُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ بَعْدَ ثَلَاثٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُهَا فِيهِمْ: " هُمْ أَشَدُّ أُمَّتِي عَلَى الدَّجَّالِ ". وَكَانَتْ فِيهِمْ سَبِيَّةٌ عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَ: " أَعْتِقِيهَا ; فَإِنَّهَا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ ". وَجَاءَتْ صَدَقَاتُهُمْ فَقَالَ: " هَذِهِ صَدَقَاتُ قَوْمٍ - أَوْ: قُومِي - ".» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ بِهِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ يَرُدُّ عَلَى مَا ذَكَرَهُ صَاحِبُ " الْحَمَاسَةِ " وَغَيْرُهُ مِنْ شِعْرٍ مِنْ ذَمِّهِمْ، حَيْثُ يَقُولُ: تَمِيمٌ بِطُرُقِ اللُّؤْمِ أَهْدَى مِنَ الْقَطَا ... وَلَوْ سَلَكَتْ طُرُقَ الرَّشَادِ لَضَلَّتِ وَلَوْ أَنَّ بُرْغُوثًا عَلَى ظَهْرِ قَمْلَةٍ ... رَأَتْهُ تَمِيمٌ مِنْ بَعِيدٍ لَوَلَّتِ
পৃষ্ঠা - ৩৭১১


আমির ইবনৃল ঘুনযির রাসুললুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাষির হলাম ৷ সংগীদের মাঝে একজন
আর পাগল লোক ছিল ৷ কাফেলা সফর করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদের কাছে পৌছল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখামাত্র সকলে বাহন থেকে লাফিয়ে পড়ে ছুটতে লাগলেন ৷ কাছে গিয়ে
তার? রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে চুমু থেলো ৷ দলপতি আল আশাজ্জ পরে ধীরে সুন্থে তার
বাহন বীধলেন এবং পােশাকের থলে বের করে সেটি খুললেন এবং দৃখানা সাদা কাপড় বের
করে তা পরিধান করলেন ৷

এরপর কাফেলার বাহনগুলো বাধার কাজ সম্পন্ন করে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর খিদমতে হাজির
হলেন, তিনি বললেন, হে আশাজ্জ্ব ! তোমার মাঝে এমন দুটি স্বভাব-গুণ রয়েছে যা মহান
আল্পাহ্ ও তার রাসুল পসন্দ করেন গুণ দুটি হলো সহিষ্ণুতা ও হৈর্য ৷ আশাজ্জ (রা) বললেন,
“ইয়া রাসুলাল্লাহ ! এ দুটি আমার সাধনা-অর্জিত নাকি আল্লাহ্ জম্মগত ভাবে তা আমাকে দান
করেছেন ?” তিনি বললেন, “বরং আল্পাহ্ জন্মগতভাবেই তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি
বললেন, “যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দুটি জন্যাত গুণ দান করেছেন যা
মহান আল্লাহ্ ও তার রাসুল (না)-এর পসন্দনীয় ৷ এ সময় আল ওয়াযি (বা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্পাহ ৷ আমার সাথে আমার এক মামা রয়েছেন, যিনি কিছুটা অপ্ৰকৃতস্থ তার জন্য
আল্লাহর কাছে দৃআ করে দিন ৷ তিনি বললেন, যে কোথায় ? তাকে আমার কাছে নিয়ে
এসো ৷ ” আলু ওয়াযি (বা) বলেন, আমি তখন আল আশাজের পন্থা অনুসরণ করে মামাকে
দৃথানা কাপড় পৰিয়ে নিয়ে আসলাম ৷ নবী করীম (সা) মামাকে পিছন থেকে ধ্রৈ উপরে
তুলতে লাগলেন ৷ এত উপরে তৃললেন যে, আমরা নবী করীম (না)-এর বগলের শুভ্রতা
দেখতে পেলাম ৷ এরপর মামার পিঠে থাপ্পর মেরে নবী করীম (সা) বললেন, “আল্পাহ্র
দুশমন ! বেরিয়ে যা ! মামা মুখ ফেরালে দেখলাম তিনি একজন সুস্থ ও প্রকৃতস্থ মানুষের
দৃষ্টিতে আমাদের দেখছেন ৷

হাফিজ বায়হাকী (র)-এর রিওয়ায়াত ? হুদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাদ (র) সুত্রেহুদ
(র) এর দাদা মাযীদা আল-আবদী (বা) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (না) তার সাহাবীদের
সাথে আংলাচনাকালে বলে উঠলেন-
ষ্এ)ৰুএৰু হ্ঙ্কো
অনতিবিলন্সে এ দিক থেকে এক কাফেলার আগমন ঘটবে, যারা পুবাঞ্চলবাসীদের মাঝে
শ্রেষ্ঠ ৷ তখন হযরত উমর (রা) উঠে যে দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ একটু পরে তিনি তেরজন
আরোহীর সাক্ষাত পেলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের বংশ কি ? তারা বলল,আবদুল
কায়স’ ৷ উমর (রা) বললেন, আমাদের এ দেশে আপনাদের আগমনের হেতু কি ? আপনারা
, কি ব্যবসা করবেন ? তারা বলল, না ৷ উমর (রা) বললেন, শুনুন ! নবী কৰীম (সা) এই মাত্র
আপনাদের কথা আলোচনা করেছেন এবং আপনাদের সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য করেছেন ৷ পরে
তারা উমর (রা)-এর সাথে নবী করীম (সা) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের বললেন, ইনিই
আপনাদের কাংখিত ও উদ্দীষ্ট ব্যক্তি ৷ এ কথা শোনা মাত্র কাফেলার লোকেরা বাহন থেকে
লাফিয়ে পড়ল ৷ কেউ তো দ্রুত হেটে, কেউ লাফাতে লাফাতে এবং কেউ কেউ দ্রুত দৌড়ে
নবী করীম (সা) এর সামনে এসে সকলে তার হাত ধরে চুঘু খেতে লাগল ৷ দলপতি আল


[وَفْدُ بَنِي عَبْدِ الْقَيْسِ] ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ: بَابُ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا قُرَّةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: «قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنْ لِي جَرَّةً يُنْتَبَذُ لِي فِيهَا نَبِيذٌ فَأَشْرَبُهُ حُلْوًا فِي جَرٍّ، إِنْ أَكْثَرْتُ مِنْهُ فَجَالَسْتُ الْقَوْمَ فَأَطَلْتُ الْجُلُوسَ، خَشِيتُ أَنْ أَفْتَضِحَ. فَقَالَ: قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا النَّدَامَى ". فَقَالَ: يَا رَسُولُ اللَّهِ، إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ مُضَرَ، وَإِنَّا لَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ، فَحَدِّثْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الْأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ، وَنَدْعُو بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا. قَالَ: " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ ; الْإِيمَانُ بِاللَّهِ هَلْ تَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ؟ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغَانِمِ الْخَمْسِ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ ; مَا يُنْتَبَذُ فِي الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ
পৃষ্ঠা - ৩৭১২


আশাজ্জ কাফেলার ৰাহনগুলির কাছে রয়ে গেলেন এবং সেগুলি যথাযথভাবে বসিয়ে দিয়ে বেধে
রাখলেন ৷ পরে কাফেলার আসবাবপত্র সুশৃৎখল করে ধীরে সুস্থে হেটে এসে নবী করীম (সা)-
এর হাত ধরে চুমু খেলেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তোমার মাঝে দুটি গুণ রয়েছে যা
আল্লাহ্ ও তীর রাসুল পসন্দ করেন ৷” আশাজ্জ বললেন, এ দু’টি কি আমার জন্মপতভাবে
আল্লাহ প্রদত্ত নাকি আমার সাধনা-অর্জিত ? তিনি বললেন “বরং জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত ৷” আশাজ্জ
বললেন, সকল হাম্দ সে আল্লাহর যিনি আমাকে এমন জন্মপত স্বভাবসহ সৃষ্টি করেছেন, যা
আল্লাহ ও তীর রাসুলের প্রিয় ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, (আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি কাফেলার সাথে) আবদুল
কায়সৈর অন্যতম সদস্য আল জারুদ ইবন আমর ইবন হানাশ (রা) ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে এসেছিলেন ৷ ইবনু হিশাম (র)-এর বর্ণনা মতে ইনি আলু জারুদ ইবন বিশ্ব ইবনৃল
মুআল্লা এবং তিনি খৃস্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন ৷

ইবন ইসহাকহাসান (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আলু জারুদ রাসুলুল্লাহ (সা)
এয়ষিদমতে উপনীত হলে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করলেন এবং
মুসলমান হওয়ার আহ্বান জানালেন ৷ জারুদ (রা) বললেন, হে মুহাম্মাদ ! আমি একটি ধর্মের
অনুসারী এবং এখন আপনার ধর্মের খাতিরে আমার ধর্ম ত্যাগ করছি ৷ আপনি কি আমার ধর্মের
ব্যাপারে দায়দায়িতৃন্ৰহন করবেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,

ণ্১া;া

“ ই৷ আমি এ কথার দায়-দায়িৎ নিচ্ছি, আল্লাহ্ তোমাকে তোমার সাবেক ধর্মের চাইতে
উত্তম ধর্মের পথ দেখিয়েছেন ৷” বর্ণনাকারী বলেন, তখন সংগীদের সহ জারুদ ইসলাম গ্রহণ
করলেন ৷

তারপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে বাহ্এেণ্৷ জো আমোঃণ্৷ জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “আল্লাহর কলম ! আমার কাছে এমন কিছু নেই যা তোমাদের বাহন রুপে দিতে
পারি ৷” জারুদ বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্! এখান থেকে আমাদের অঞ্চল পর্যন্ত বিভিন্ন পথে-
প্রান্তার অনেক হারানো উট পাওয়া যায় ৷ সে গুলির পিঠে বলে কি আমরা আমাদের দেশে
পৌছতে পারি তিনি বললেন , fl ৷প্রু এাও ৷ণ্১া১ন্ ঞাএাদ্বু এাপ্রু৷ >৷ “না, তা করবে না
কিছুতেই! কেননা ওগুলি ণ্ডে ৷ জাহান্নামের ইন্ধন” ৷ বর্ণনাকা রী বলেন এরপর জা রুদ (রা) স্বষ্
গোত্রে ফিরে গেলেন এবং আমৃত্যু দ্বীনের উপর সুদৃঢ় নিষ্ঠ৷ ৷বান মুসলমান ছিলেন ৷ রিদ্দা এর
যুগে১ তিনি জীবিত ছিলেন ৷

তখন তার কওমের নও মুসলিমরা আল গারুর ইবনৃল মুনযির ইবন নুমান ইবনৃল
যুনযিরের প্ররোচনায় ব্যাপক ধর্যত্যাগে উদ্ধৃদ্ধ হলে জারুদ (বা) তাদের মাঝে র্দ৷ ড়িয়ে বক্তৃতা
করলেন ৷ প্রথমে কালিমা ইশ ৷৷হাদাত ও হকের সাক্ষ্য উচ্চারণ করে ইসলামের প্রতি তাদেরকে
আহ্বান জা ৷নিয়ে বললেন, “ লোক সকল ! আ ৷যি সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ ব্যতীত আর





১ রাসুলুল্লা হ্ (না) এর ওফ ৷তের পরে, আবু বকর (রা ) এর খিলা ফতের গ্রারম্ভে যে সব নও মৃসলিম৩৷ ৷দের সাবেক
ধ্মে ফিরে গিয়েছিল, তাদের এ ব্যাপক ধর্ম-ত্যাগকে ইসলামী ইনিহসে রিদ্দা (প্রত্যাবর্তন ও ধমতাগ) বলা হয় ৷


مِنْ حَدِيثِ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ بِهِ، وَلَهُ طُرُقٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي حَمْزَةَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ " قَالُوا: مِنْ رَبِيعَةَ. قَالَ: " مَرْحَبًا بِالْوَفْدِ غَيْرِ الْخَزَايَا وَلَا النَّدَامَى ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا حَيٌّ مِنْ رَبِيعَةَ، وَإِنَّا نَأْتِيكَ مِنْ شُقَّةٍ بَعِيدَةٍ، وَإِنَّهُ يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ، وَإِنَّا لَا نَصُلْ إِلَيْكَ إِلَّا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ، فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، آمُرُكُمْ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ وَحْدَهُ، أَتَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ؟ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغَانِمِ الْخُمُسَ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ ; عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ - وَرُبَّمَا قَالَ: وَالْمُقَيَّرِ - فَاحْفَظُوهُنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭১৩
وَادْعُوا إِلَيْهِنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ ".» وَقَدْ أَخْرَجَهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِحَدِيثِ قِصَّتِهِمْ بِمِثْلِ هَذَا السِّيَاقِ، وَعِنْدَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَشَجِّ عَبْدِ الْقَيْسِ: " إِنْ فِيكَ لَخَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْحِلْمُ وَالْأَنَاةُ ". وَفِي رِوَايَةٍ: " يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَخَلَّقْتُهُمَا أَمْ جَبَلَنِي اللَّهُ عَلَيْهِمَا؟ فَقَالَ: " بَلْ جَبَلَكَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا ". فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خُلُقَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ.» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَمِعْتُ هِنْدَ بِنْتَ الْوَزَّاعِ تَقُولُ: أَنَّهَا سَمِعَتِ الْوَزَّاعَ يَقُولُ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَشَجُّ الْمُنْذِرُ بْنُ عَامِرٍ أَوْ عَامِرُ بْنُ الْمُنْذِرِ وَمَعَهُمْ رَجُلٌ مُصَابٌ، فَانْتَهَوْا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَبُوا مِنْ رَوَاحِلِهِمْ، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبَّلُوا يَدَهُ، ثُمَّ نَزَلَ الْأَشَجُّ فَعَقَلَ رَاحِلَتَهُ، وَأَخْرَجَ عَيْبَتَهُ فَفَتَحَهَا، فَأَخْرَجَ ثَوْبَيْنِ أَبْيَضَيْنِ مِنْ ثِيَابِهِ فَلَبِسَهُمَا، ثُمَّ أَتَى رَوَاحِلَهُمْ فَعَقَلَهَا، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا أَشَجُّ إِنَّ فِيكَ خَصْلَتَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৭১৪

ছুমামা (রা) এর ঘটনা
মুসায়লড়ামা কাঘৃঘাব সহ আগত বনু-হানীফা : গোত্রের প্রতিনিধিদল প্রসংপ

বুথায়ী (র) বলেন, “অনুচ্ছেদ : বনু-হানীফা গোত্রের প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবন উছাল
(রা)এর ঘটনা প্রসংগ ৷

আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আবু হুরড়ায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী
করীম (সা) নাজ্বদ অভিমুখে অশ্বারোহী একটি বাহিনী পাঠালেন ৷ তারা ছুমামা ইবন উছাল
নামে বনু হানীকা গোত্রের এক ব্যক্তিকে বন্দী করে নিয়ে এল এবং তাকে মসজিদের একটি
মায়ের সাথে বেধে রাখল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে তার কাছে এসে বললেন, ম্র এ১এএ ৷ৰু
ত্রুএে হে ছুমামা তোমার মনের কথাটি কি ?” সে বলল, যে মুহাম্মাদ ! আমার মানাতাব
উত্তর ! তুমি আমাকে হত্যা করলে একজন দামী রক্তধারীকে (অর্থাৎ গোত্র পতিকে) হত্যা
করবে ; অনুগ্রহ দেখালে তা একজন কৃতজ্ঞের প্ৰতি অনুগ্রহ হয়ে, আর সম্পদ তোমার কামা
হলে তোমার যা চাহিদা তা করতে পার ৷” এ জবাবের পর বাসুলুল্লাহ্ (সা) পরের দিন পর্যন্ত
তার ব্যাপারটি মুলতবি রাখলেন ৷ পরের দিন আবার একই কথা বললেন, “ছুমামা ৷ তেঘোর
মনের তার কি?” যে বলল, আমার কথা যে একই, যা (আমাকে বলেছি “তুমি অনুঅহ করলে
তা হবে একজন কৃতজ্ঞের প্ৰতি অনুগ্রহ ৷” তখন তাকে ঐ অবস্থায় রেখে দেয়া হল এবং তৃতীয়
দিলণ্দৰী করীম (না) তাকে বললেন, হে ছুমামা তোমার মনের তার কি?” যে বলল, কথা
তাই না তোমাকে পুর্বেই বলেছি ৷ নবী কয়ীম (সা) বললেন, ণ্পুতড়ানরা ছুমামাকে মুক্ত করে
দাও ৷’ তখন সে মসজিদের কাছাকাছি একটি খেজুর বাগানে গিয়ে গোসল করল এবং পরে
মসজিদে প্রবেশ করে বলে উঠল “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন
ইলড়াহ্ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ হে মুহাম্মাদ ! আল্লাহর কলম ! এ পৃথিবীর
বুকে ইতােপুর্বে আপনার ঢেহারার চাইতে অধিকতর অপলন্দনীয় আর কোন চেহারা আমার
ছিল না; এখন আপনার চেহারা আমার কাছে সৰ্বাধিক প্রিয় চেহারায় পরিণত হয়েছে ৷ আল্লাহর
কলম, ইতােপুর্বে আমার নিকট আপনার ধর্মের চাইতে অধিকতর অপসন্দনীর আর কোন ধর্ম
আমার কাছে ছিল না; আর এখন আপনার ধর্ম আমার সর্বাধিক প্রিয়া ধর্মে পরিণত হয়েছে ৷
আল্লাহর কলম ৷ আপনার শহরের চাইতে অধিকতর অপ্রির কোন শহর আমার কাছে ছিল না ;
এখন আপনার শহর আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় শহরে পরিং ত হয়েছে ৷ আপনার অশ্বারোহী
বাহিনী আমাকে বন্দী করে এ নেছে ; অথচ উনরা পালনের নিয়তে আমি (বরিয়েছিলড়াম ৷ এখন
আপনার অভিমত কি ? রত্বসুলুল্লাহ্ (না) তাকে সুসংবাদ দিয়ে উমরড়া পালনে যেতে বললেন ৷
ছুমামা (বা) মক্কায় উপনীত হলে জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল “তুমি কি ধমম্ভিরিত হয়ে এসেছো
ম্র তিনি বললেন, না, আমি তো মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আল্লাহ্র


يُحِبُّهُمَا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَرَسُولُهُ ; الْحِلْمُ وَالْأَنَاةُ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا تَخَلَّقْتُهُمَا أَوْ جَبَلَنِي اللَّهُ عَلَيْهِمَا؟ فَقَالَ: " بَلْ جَبَلَكَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا ". قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خُلُقَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَرَسُولُهُ. فَقَالَ الْوَازِعُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ مَعِي خَالًا لِي مُصَابًا فَادْعُ اللَّهَ لَهُ. فَقَالَ: " أَيْنَ هُوَ؟ ائْتِنِي بِهِ ". قَالَ: فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ الْأَشَجُّ ; أَلْبَسْتُهُ ثَوْبَيْهِ، وَأَتَيْتُهُ، فَأَخَذَ طَائِفَةً مِنْ رِدَائِهِ يَرْفَعُهَا حَتَّى رَأَيْنَا بَيَاضَ إِبِطِهِ، ثُمَّ ضَرَبَ بِظَهْرِهِ فَقَالَ: " اخْرُجْ عَدُوَّ اللَّهِ ". فَوَلَّى وَجْهَهُ وَهُوَ يَنْظُرُ بِنَظَرِ رَجُلٍ صَحِيحٍ» . وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ هُودِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ مَزِيدَةَ الْعَصَرِيَّ «قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُ أَصْحَابُهُ إِذْ قَالَ لَهُمْ: " سَيَطْلُعُ مِنْ هَاهُنَا رَكْبٌ هُمْ خَيْرُ أَهْلِ الْمَشْرِقِ ". فَقَامَ عُمَرُ فَتَوَجَّهَ نَحْوَهُمْ فَلَقِيَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَاكِبًا فَقَالَ: مَنِ الْقَوْمُ؟ قَالُوا: مِنْ بَنِي عَبْدِ الْقَيْسِ. قَالَ: فَمَا أَقْدَمَكُمْ هَذِهِ الْبِلَادَ؟ التِّجَارَةُ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: أَمَا إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ ذَكَرَكُمْ آنِفًا فَقَالَ خَيْرًا. ثُمَّ مَشَوْا مَعَهُ حَتَّى أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عُمَرُ لِلْقَوْمِ: هَذَا صَاحِبُكُمُ الَّذِي تُرِيدُونَ. فَرَمَى الْقَوْمُ بِأَنْفُسِهِمْ عَنْ رَكَائِبِهِمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ مَشَى، وَمِنْهُمْ مَنْ هَرْوَلَ، وَمِنْهُمْ مَنْ سَعَى، حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذُوا بِيَدِهِ فَقَبَّلُوهَا وَتَخَلَّفَ الْأَشَجُّ فِي الرِّكَابِ حَتَّى أَنَاخَهَا، وَجَمَعَ مَتَاعَ الْقَوْمِ، ثُمَّ جَاءَ
পৃষ্ঠা - ৩৭১৫


ষ্মে ! ৰ্ৰীলোঃ)-এব্র অনুমতি ব্যতিরেকে ইয়ামামা থেকে তোমাদের জন্য ণমের একটি
দ্যে স্কো না

ৰুখাৰী (র) তার গ্রন্থের অন্যত্র এবং মুসলিম আবু দাউদ, নাসাঈ (র) প্রমুখ কুতায়বা আলু
লায়ছ (র) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীসখানি বিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে বুখাবী (র) কতৃক এ
ঘটনাটি প্রতিনিধিদল প্রসঙ্গে উল্লেখ করার ব্যাপারে চিন্তার অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, ছুমামা
(বা) স্বেচ্ছা প্রণোদিত প্রতিনিধি রুপে আগমন করেননি ৷ বরং তিনি এসেছিলেন রাসুল (সা)-
এর বাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে এবং (প্রতিনিধি দলের মযদিড়ায় না রেখে) তাকে মসজিদের
খানের সাথে বেধে রাখা হয়েছিল ৷ তা ছাড়া নবম হিজবীতে আগমনকন্রী প্রতিনিধি দলের
তালিকায় তার নাম উল্লেখ করার ও ভিন্নমত পােবণ করার যৌক্তিকতা রয়েছে ৷ কারণ, বৃখাবী
(র) প্রদত্ত বর্ণনা ধারা থেকে বড়াহ্যত প্রতীয়মান হয় যে, ঘটনাটি ছিল মক্কা বিজয়ের কিছু
আগের ৷ কেননা, মক্কাবাসীরড়া ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে তাকে তুমি কি নতুন ধর্মের দীক্ষা
নিয়েছো’ বলে লজ্জা দিয়েছিল ৷ যার প্রতি উত্তরে তিনি এই বলে মক্কাবড়াসীদের হুমকি
দিয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তিনি তাদের জন্য ইয়ামাম৷ থেকে
রসদ হিসাবে ণমের একটি দানাও পাঠাবেন না ৷ এ আলোচনা প্রতীয়মান করে যে, মক্কা
তখন পর্যন্ত দারুল হারব’ ছিল এবং তখন পর্যন্ত মক্কাবাসীরা ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷”
আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ এ সব কারণে হাফিজ বায়হড়ার্কী (র) ছুমামা ইবন উছাল (রা)র
ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের পুর্ববর্তী ঘটনারুপে উল্লেখ করেছেন ৷ এটিই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আমরা
বুখরীি (র)এর অনুসরণে ঘটনাটি এখানেই উল্লেখ করলাম ৷

বুখারী (র) অ্যার৷ বলেছেন আবুল ইয়ামান (র)ইবনু আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, ভণ্ড নবী মুসায়লামাতুল কাবমাব ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যুগে র্তার কাছে
এসেছিল ৷ সে বলতে লাগল-“মুহস্ফোদ তার মৃত্যুর পরে কতৃৎ আমার হাতে দিয়ে যাওয়ার
ঘোষণা দিলে আমি তার আনুগত্য স্বীকার করব ৷ তার সাথে ছিল তার গোত্রের একটি বিশাল
দল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ছাবিত ইবন কড়ায়স ইবন শাম্মাস (বা) কে সাথে নিয়ে তার নিকট
গেলেন ৷ তখন তার হাতে একটি থেজুরের ভাল ৷ তিনি গিয়ে সহচর পরিবেষ্টিত মুসারলামার
সামনে দাড়িয়ে বললেন, ” “( ক ৰু১৩, ণেধুএহু ধুরে র ব্যাপার) তুমি যদি আমার কাছে এ ছোট্ট
খেজুর ডালটিও দাবী কর তাও আমি তোমাকে দেব না; আর তুমি তোমার ব্যাপারে আল্লাহর
করসড়ালাকে রদ করতে পারবে না ৷ আর তুমি মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহই তোমাকে শাস্তি
দেবেন ৷ আর আমাকে যা দেখানো হয়েছে তাতে যাকে দেখেছি; আমি নিঃসন্দেহে তোমাকে
সেই লেড়াকটিই মনে করছি ৷” আর এ ছাৰিত-ই আমার পক্ষ হয়ে তোমাকে জবাব দেবে ৷
তারপর নবী কবীম ( সা) সেখান থেকে বিদায় নিলেন ৷ ইবনু আব্বাস (রা) বলেন, পরে আমি
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)এর উবি আমাকে যা দেখানাে হয়েছে তোমাকে সেই লোকটিই মনে
করছি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আবু হরাররা (বা) আমাকে “খবর” দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেনৰুশুৰু





১ বিশুদ্ধতর উচ্চারণ হচ্ছে মুসারলিমা দ্র আল-মুনজিদ


يَمْشِي حَتَّى أَخَذَ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبَّلَهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ فِيكَ خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: جَبْلٌ جُبِلْتُ عَلَيْهِ أَمْ تَخَلُّقٌ مِنِّي؟ قَالَ: " بَلْ جَبْلٌ ". فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى مَا يُحِبُّ اللَّهُ وَرَسُولُهُ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَارُودُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَنَشٍ أَخُو عَبْدِ الْقَيْسِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ هُوَ الْجَارُودُ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْمُعَلَّى فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ وَكَانَ نَصْرَانِيًّا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَّمَهُ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ، وَدَعَاهُ إِلَيْهِ، وَرَغَّبَهُ فِيهِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي كُنْتُ عَلَى دِينٍ، وَإِنِّي تَارِكٌ دِينِي لِدِينِكَ، أَفَتَضْمَنُ لِي دِينِي؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ، أَنَا ضَامِنٌ أَنْ قَدْ هَدَاكَ اللَّهُ إِلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ ". قَالَ: فَأَسْلَمَ وَأَسْلَمَ أَصْحَابُهُ، ثُمَّ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحُمْلَانَ فَقَالَ: " وَاللَّهِ مَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ ". قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ بِلَادِنَا ضَوَالَّ مِنْ ضَوَالِّ النَّاسِ أَفَنَتَبَلَّغُ عَلَيْهَا إِلَى بِلَادِنَا؟ قَالَ: " لَا، إِيَّاكَ وَإِيَّاهَا فَإِنَّمَا تِلْكَ حَرْقُ النَّارِ ". قَالَ: فَخَرَجَ الْجَارُودُ رَاجِعًا إِلَى قَوْمِهِ، وَكَانَ حَسَنَ الْإِسْلَامِ صُلْبًا عَلَى دِينِهِ، حَتَّى هَلَكَ وَقَدْ أَدْرَكَ الرِّدَّةَ، فَلَمَّا رَجَعَ مِنْ قَوْمِهِ مَنْ كَانَ أَسْلَمَ مِنْهُمْ إِلَى دِينِهِمُ الْأَوَّلِ مَعَ الْغَرُورِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ قَامَ الْجَارُودُ فَتَشَهَّدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ وَدَعَا إِلَى الْإِسْلَامِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৩৭১৬
اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأُكَفِّرُ مَنْ لَمْ يَشْهَدْ. وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ إِلَى الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى الْعَبْدِيِّ فَأَسْلَمَ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ ثُمَّ هَلَكَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ رِدَّةِ أَهْلِ الْبَحْرَيْنِ وَالْعَلَاءُ عِنْدَهُ أَمِيرًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْبَحْرَيْنِ. وَلِهَذَا رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَوَّلُ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ - بَعْدَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي مَسْجِدِ عَبْدِ الْقَيْسِ بِجُوَاثَى مِنَ الْبَحْرَيْنِ. . وَرَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ بِسَبَبِ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، حَتَّى صَلَّاهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ فِي بَيْتِهَا.» . قُلْتُ: لَكِنْ فِي سِيَاقِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ قُدُومَ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ كَانَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ ; لِقَوْلِهِمْ: وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ مُضَرَ، لَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৭১৭


শ্অ্যাং

“আমি নিদ্রড়ামগ্ন ছিলাম, ইতোমধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার কাকন রু তা
আমাকে চিম্ভারুিষ্ট করল, ত খন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল “ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গেল ৷ ন্

আমি (সপুে দেখা) কাকন দৃটিরব্যাধ্যা করলাম দুই ষিথ্যাৰাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনাসী, অন্য জন মুসায়লামা ৷

তারপর বৃখারী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-
এে
ড়ুণ্এেগ্ ৮,প্রুওড্রুঢ় এে১হ্র অ্যাং
“আমার নিদ্রামগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভআেরসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমরে
হাতে সোনার দু ’টি কাকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ও রী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দৃটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল : আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি ররৈছি ৷ সান্আ এর লোকটি ও ইয়ামামড়া-
এর ল্যেকটি ৷”

বুখারী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আ ল জা ৷বৃমী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ বিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মুসারলামাভুল কায্যাব মদীনায় এসে বিনৃতুল হারিছ-এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ বিনৃতুল
হারিছ ইবন কুরায়য্ ছিল তার পত্নী মহিলাটি ছিল আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবন কুরায়য-এর
মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তীর সাথে ছিলেন ছাবিত ইবন কায়স ইবন শন্মোস
(রা)-যিনি খাতিবু রাসুলিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর রাসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি যুসায়লামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে ’ কথা বললেন, মুসায়লামা তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুয়ত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
জন্যে করে দিতে পারেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ড ড়ালটিও
দাবী করলে তা ও অমি তোমাকে দেব না ! আর আমি নিশ্চিত ই তে আমাকে সেই লােকটি বলে
মনে করছি যাকে আ ড়ামি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷ আর এ ছবি ইবন কারন; সেই
আমার পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রড়া)-কে জিজ্ঞাসা
করলাম, ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমার কাছে বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, আমি নিদ্রামগ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেয়া হয়েছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

[قِصَّةُ ثُمَامَةَ وَوَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَمَعَهُمْ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابِ] ُ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَقِصَّةِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ ; حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قَبْلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ. فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ " قَالَ: عِنْدِي خَيْرٌ يَا مُحَمَّدُ، إِنْ تَقْتُلْنِي تَقْتُلْ ذَا دَمٍ، وَإِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ مِنْهُ مَا شِئْتَ. فَتَرَكَهُ حَتَّى كَانَ الْغَدُ ثُمَّ قَالَ لَهُ: " مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ " فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ. إِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ. فَتَرَكَهُ حَتَّى بَعْدَ الْغَدِ فَقَالَ: مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟ فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ. فَقَالَ: " أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ ". فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، يَا مُحَمَّدُ، وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ وَجْهٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ وَجْهِكَ، فَقَدْ أَصْبَحَ وَجْهُكَ أَحَبَّ الْوُجُوهِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ دِينٌ أَبْغَضَ
পৃষ্ঠা - ৩৭১৮


ঠো ? ১এ নৌ এেম্পুচ্গ্ — ৰুংওএৰুএণ্ শু-লোঃট্ট ত্যুঃট্র (,এে ড্রোগ্লু এে১;৷ ,এ্ন্ ৰু:ন্ৰুএ ণ্ওএে এে৷ ঘু প্রুহু

আমি দিদ্রামগ্ন ছিলাম, ইতেড়ামধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার র্কাকন ৷ তা’
দ্যো স্তিাব্লিষ্টি করল, তখন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল“ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গোল ৷

আমি (সভ্রুপ্ন দেখা ) কাকন দুটির ব্যাখ্যা করলাম দুই যিথ্যাবাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনড়াসী, অন্য জন ম্বসারলামা ৷

তারপর বুখাবী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
ৰ্সুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন
ণ্র্ণী-ন্ গ্রা
আমার নিদ্রম্নেগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভাণ্ডারসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমার
হাভে ণ্সানার দুটি র্কীকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ভারী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দুটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল ৷ আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি রভৈয়ছি ৷ সানৃআষ্ এর লোকটি ও ইয়ামামা-
এর ল্যেকটি ৷”

বুখাবী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আল জাবৃঘী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদৃল্লাহ্ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ রিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মৃসায়লামাতুল কাঘৃযাব মদীনায় এসে ৰিনতুল হারিছ এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ ৰিনতুল
হারিছু ইবন কুরড়ারঘৃ ছিল তার পত্নী মহিলড়াটি ছিল আবদুল্লাহ্ ইবনুল হারিছ ইবন কুরড়ায়যণ্এর
যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তার সাথে ছিলেন ছড়াৰিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস
(না)-যিনি খাতিবু রড়াসুলিল্লাহ্’ অর্থাৎ আল্লাহর রড়াসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
ম্বনুলুল্লাহ্ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি ঘুসায়লড়ামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে কথা বললেন, মুসারলামা র্তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুরত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
দান! করে দিতে পারেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ডালটিও
দাৰী করলে তা ও আমি তোমাকে দেব না ৷ আর আমি নিশ্চিতই তোমাকে সেই ল্যেকটি বলে
ম্নেব্বছি যাকে আমি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷” আর এ ছড়াৰিত ইবন কারন; সেই
ন্বৰ্র পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রত্ত্বসুলুল্লাহ্ (সা) চলে গেলেন ৷ ” আবদুল্লাহ্
(ৰ্) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রা ) কে জিজ্ঞাসা
স্নান, ইবন আব্বাস (বা) বললেন, আমার কাছে বণ্নাি দেয়া হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মোঃ, আমি ন্থিদামপ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেশ্ হংয়ছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়


إِلَيَّ مِنْ دِينِكَ، فَأَصْبَحَ دِينُكَ أَحَبَّ الدِّينِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ مِنْ بَلَدٍ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ بَلَدِكَ، فَأَصْبَحَ بَلَدُكَ أَحَبَّ الْبِلَادِ إِلَيَّ، وَإِنَّ خَيْلَكَ أَخَذَتْنِي وَأَنَا أُرِيدَ الْعُمْرَةَ، فَمَاذَا تَرَى؟ فَبَشَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتَمِرَ، فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ قَالَ لَهُ قَائِلٌ: صَبَوْتَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أَسْلَمْتُ مَعَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا وَاللَّهِ لَا يَأْتِيكُمْ مِنَ الْيَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ قُتَيْبَةَ عَنِ اللَّيْثِ بِهِ. وَفِي ذِكْرِ الْبُخَارِيِّ هَذِهِ الْقِصَّةَ فِي الْوُفُودِ نَظَرٌ ; وَذَلِكَ أَنَّ ثُمَامَةَ لَمْ يَفِدْ بِنَفْسِهِ، وَإِنَّمَا أُسِرَ وَقُدِمَ بِهِ فِي الْوَثَاقِ، فَرُبِطَ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ. ثُمَّ فِي ذِكْرِهِ مَعَ الْوُفُودِ سَنَةَ تِسْعٍ نَظَرٌ آخَرُ ; وَذَلِكَ أَنَّ الظَّاهِرَ مِنْ سِيَاقِ قِصَّتِهِ أَنَّهَا قُبَيْلُ الْفَتْحِ، لِأَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ عَيَّرُوهُ بِالْإِسْلَامِ وَقَالُوا: أَصَبَوْتَ؟ فَتَوَعَّدَهُمْ بِأَنَّهُ لَا يَفِدُ إِلَيْهِمْ مِنَ الْيَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ مِيرَةً، حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّ مَكَّةَ كَانَتْ إِذْ ذَاكَ دَارَ حَرْبٍ لَمْ يُسْلِمْ أَهْلُهَا بَعْدُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلِهَذَا ذَكَرَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ قِصَّةَ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَهُوَ أَشْبَهُ، وَلَكِنْ ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا اتِّبَاعًا لِلْبُخَارِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ ثنا شُعَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ ثنا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدِمَ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ اتَّبَعْتُهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৭১৯


হল ৷ তখন আমাকে হুকুম দেয়া হলে আমি যে দুটিকে কু দিলাম ৷ ফলে যে দুটি উড়ে গেল ৷
আমি যে দু’টির ব্যাখ্যা করলাম দুই মিথ্যাবাদী যারা আমার পরে ভণ্ডনবীরুপে আত্মপ্রকাশ
করবে, রাৰী উবায়দুল্লাহ বলেন, এদের একজন হল আল আনাসী যাকে ফিরুয (বা)
ইয়ামানে হত্যা করেছিলেন এবং অন্যতম হল মুসায়লামাতুল কাঘৃযাব ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু হনীিফা গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দরবারে আগমন করল ৷ তাদের মাঝে ছিল মুসায়লামা ইবন ছুমাম৷ ইবন কান্থীর ইবন হাবীব
ইবনৃল হারিছ ইবনশ্ আবদুল হারিহু ইবন হাম্মায় ইবন যুহ্ল ইবনৃয় যাওল ইবন হানীফা ৷ তার
উপনাম ছিল আবুছুমামা, মতাম্ভরে আবু হারুন ৷ রাহমান নামেও তাকে ডাকা হত এবং সে কারণে
তাকে রাহমাতুল ইয়ামামা ও বলা হত ৷ নিহত হওয়ার সময় তার বয়স হয়েছিল একশত পঞ্চাশ
বছর ৷ কিছু (ও ড ৷জী তার জ ৷ন৷ ছিল ৷ বোতলে ডিম ভরে ফেলার ক ৷রস৷ ৷জি সে দেখাতে পারত
এবং সেই ছিল এর উদ্ভাবক ৷ পাথীর পা ৷৷লক কেটে তা পুনরায় জোড় লাগিয়ে দিত ৷ সে দাবী
করত যে, পাহাড় থেকে একটি হরিণী তার ক ৷দ্ভুছ আসে এবং সে তার দুধ দােহন করে ৷

আমি বলি, তার হত্যাকাণ্ড আলোচনাকালে তার বিষয় আরো কতক অভিনব ব্যাপার উল্লেখ
করব তার উপরে আল্লাহর লানত হোক ৷”

ইবনু ইসহাক (র) বলেন, এ এ ৷ ৩ ৷ ণ্া৷ ধ সগোর অবতরণ ক্ষেত্র ছিল অন্যতম আনসারী না ৷জ্জায়ী
মহিলা বিনতুল হ বিছএব বাড়িতে ত৷ মদিন৷ বাসী জনৈক অ৷ ৷লিম আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে,
বনু হানীফার লোকেরা মুসায়লামাকে বস্ত্রাবৃত করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে নিয়ে এসেছিল,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন সাহাবীগ ণের মধ্যে উপনিবেশরত ছিলেন এবং তার হাতে ছিল পাতাযুক্ত
একটি খেজুর ড ৷,ল বস্ত্রাবৃত অবস্থায়৩ তাকে নিয়ে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ক ৷ ছে উপনীত হলে
সে তার সাথে কথা বলল এবং কিছু দাবী করল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন,“৩ তুমি আমার
কাছে এ খেজুর ড৷ ৷লটি দাবী করলে তা ও আমি তোমাকে দে ব না ৷”

ইবন ইসহাক (র) আরও বলেন, ইয়ামামাৰাসী বর্বৃ হানীফা ৷র এক বৃদ্ধ ব্যক্তি আমাকে
উল্লেখিত বর্ণন৷ ৷র সাথে ব্যতিক্রম পুর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন ৷৩ তার দাবী মতে বনু হানীফা ৷র লোকেরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হওয়ার সময় ঘুসায়লামা কে তাদের তাবুতে রেখে
এসেছিল ৷৩ তারা ইসলাম গ্রহণ করার পরে তাবুতে তার অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তারা বলল,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা আমাদের এক সৎগীকে বাহন দেখা শুনার কজে৩ তাবুতে রেখে এসেছি ৷
বর্ণনাক৷ রী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আংকও ৮ালের তাগ্যান৷ সদস্যদের সমপরিমাণ
উপচৌকন প্রদানের হুকুমের দিয়ে বললেন, এেৎ ন্ণ্ব্লু,>মট্ট১ন্ন্ :১১-৷ fl গ্র মযদাি ও অবস্থানে সে
তোমাদের মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তিটি নয় ৷ ”-এ কথা বলার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উদ্দেশ্য হলো
যেহেতু সে তার সাথীদের আসরা রপত্রের দেখাশুনার দায়িতু পালন করছিল ৷ বর্পনাকারী বলেন,
এরপর তারা রাসুলাল্লাহ (সা)-এর দরবার থেকে প্ৰস্থান করল এবং যুসায়লড়ামাকে রাসুলাল্লাহ্
(সা) এর দেয়া উপচৌকন তার কাছে নিয়ে গেল ৷ প্রতিনিধি দল ইয়ামা মায় ফিরে গেলে আল্লাহর
দুশমন ধর্মত্যাগ করে মিথ্যা নবুয়ঙে র দাৰীদার হয়ে বসল ৷ সে বলতে লাগল (নবুয়তের)
ৰিষয়টিরুট্রুত তো আ ৷মি তার অৎশীদার, তা ৷র সহগামী দলের লোকদের সাক্ষী বানিয়ে সে বলল,
তোমরা তার কাছে আমার কথা উল্লেখ করলে তিনি কি এ কথা বলেননি যে, সে (তামাদেয়

(হ্রাশ্রোা€র্নো০ ওো৷া





وَقَدِمَهَا فِي بَشَرٍ كَثِيرٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِطْعَةُ جَرِيدٍ، حَتَّى وَقَفَ عَلَى مُسَيْلِمَةَ فِي أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذِهِ الْقِطْعَةَ مَا أَعْطَيْتُكَهَا، وَلَنْ تَعْدُوَ أَمْرَ اللَّهِ فِيكَ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ، وَهَذَا ثَابِتٌ يُجِيبُكَ عَنِّي ". ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَسَأَلْتُ عَنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّكَ أُرَى الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ ". فَأَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ فِي يَدَيَّ سِوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ فَأَهَمَّنِي شَأْنُهُمَا، فَأُوحِيَ إِلَيَّ فِي الْمَنَامِ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ بَعْدِي ; أَحَدُهُمَا الْعَنْسِيُّ وَالْآخَرُ مُسَيْلِمَةُ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِخَزَائِنِ الْأَرْضِ، فَوُضِعَ فِي كَفِّي سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ، فَكَبُرَا عَلَيَّ، فَأُوحِيَ إِلَيَّ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَذَهَبَا، فَأَوَّلْتُهُمَا الْكَذَّابَيْنِ اللَّذَيْنِ أَنَا بَيْنَهُمَا ; صَاحِبَ صَنْعَاءَ، وَصَاحِبَ الْيَمَامَةِ» .
পৃষ্ঠা - ৩৭২০
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عُبَيْدَةَ بْنِ نَشِيطٍ - وَكَانَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ - أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: «بَلَغَنَا أَنَّ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَنَزَلَ فِي دَارِ بِنْتِ الْحَارِثِ، وَكَانَ تَحْتَهُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ كُرَيْزٍ، وَهِيَ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ - وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: خَطِيبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضِيبٌ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ لَهُ مُسَيْلِمَةُ: إِنْ شِئْتَ خَلَّيْتُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْأَمْرِ ثُمَّ جَعَلْتَهُ لَنَا بَعْدَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْقَضِيبَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ، وَهَذَا ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ وَسَيُجِيبُكَ عَنِّي ". فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ رُؤْيَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي ذَكَرَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ذُكِرَ لِي أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭২১
মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তি নয় é তার এ কথা বলার একমাত্র কারণ এটাই যে, তিনি জানেন যে, ঐ
বিষয়টিতে আমিও তার শয়ীক ৷ এরপর সে তাদের জন্য গদ্য কাব্য ও ছন্দেশ্ববদ্ধ উক্তি রচনা
করতে লাগল ৷ কুরআনের সমকক্ষতার দাবীতে তার রচিত গদ্য কাব্যের নমুনা-


আল্লাহ্ গর্জাভীকে নিয়ামাত দিয়েছেন; তার অভ্যন্তর থেকে স্পন্দনশীল প্রাণ উদপত করেছেন-
অন্তঃতক (গর্ত ফুল) ও অদ্রের মাঝ দিয়ে; আর তাদের জন্য মদ ও ব্যভিচার বৈধ করেছেন এবং
তাদের সালাত রহিত করে দিয়েছেন (নাউযু বিল্লাহ) ৷ এতদৃসত্তেও সে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নবী
হওয়ার সাক্ষ্য দিত ৷ বনু হানীফা তার এ দাৰীতে তার সাথে একাত্মতা ঘোমণা৷ করল ৷-ইবনৃ
ইসহাক (র) বলেন, এ দুই বর্ণনার মাঝে কোনটি ঘটেছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন ৷

সুহায়লি (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, আবৃ-রাহ্হাল ইবন উনৃফুওয়া (যার নাম ছিল নাহার
ইবন উনফুওয়া) ইসলাম গ্রহণ করে কুরআন শিক্ষা করেছিল এবং কিছু কালের জন্য রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাহচর্য লাভ করেছিল ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম
করেছিলেন ৷ তখন সে আবুহৱায়রা ও ফুরাত ইবন হায়্যান (রা)-এর সাথে বসা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের বললেন, ১ ৷ এট্রশু ;গ্রো ৰু ক্ট আো৯ ণ্র্চ১১ “তোমাদের কোন একজনের (সাড়ির)
দাত জাহান্নামে উহুদ পাহারুডঃ মত (ৰিরাটাকার) হবে ৷ ” (অর্থাৎ তোমাদের কোন একজন
জাহান্নামী হবে ৷) রাসুল (সা)-এর এ বক্তব্যের ফলে তারা দুজন সব সময় নিজেদের (ঈমানের)
ব্যাপারে শংকিত থাকতেন ৷

অবশেষে আর-রাহ্হাল ধর্ম ত্যাগ করে ঘুসায়লামার দলভুক্ত হল এবং তার পক্ষে এ রুপ
মিথ্যা সাক্ষ্য দিন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে (নবুয়তের) বিষয়টিতে তাকে শরীক করে
নিয়েছেন ৷ সে কুরআন শরীফ থেকে তার যুখস্ত করা আয়াতসমুহ ঘুসায়লামাকে শিথিয়ে দিল ৷
যুসায়লামা সেগুলি তার নিজের দাবী করে প্রচার করতে লাগল ৷ পরিণতিতে বনু হানীফার জন্য
চরম বিভ্রান্তির কারণ হল ৷ য়ামামা যুদ্ধে যায়দ ইবনুল খাত্তাব আর-রাহ্হালকে হত্যা করলেন
(পরবর্তী বর্ণনা দ্রষ্টব্য) ৷সৃহায়লি (র) বলেন, যুসায়লামার মুআঘৃযিনের নাম ছিল হুজায়র ৷ তার
সময় উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল মৃহকাম ইবনুত ভুফায়ল ৷ এ দিকে সাজাহ১-এর সাথে
এদের জাতাত হয়ে গেল ৷ সাজাহ-এর উপনাম ছিল উম্মু সাদির ৷ যুসায়লামা তাকে বিয়ে করে ৷
এ ছাড়া এ দৃজনের অবৈধ সম্পর্কের অশ্লীল কাহিনীও রয়েছে ৷ সাজাহ-এর মুঅড়াঘৃযিনের নাম
ছিল যুহায়র ইবন আমৃর মতাস্তরে জানবাে ইবন তারিক ৷ কারো কারো মতে শাৰাত ইবন রিবৃঈ
এ দায়িত্ব পালন করতো ৷ পরে শাৰাত মুসলমান হয়ে যায় এবং উমর ইবনৃল খাত্তাব (রা)-এর
শাসনামলে সাজাহও ইসলাম গ্রহণ করে খাটি যুসলিমের জীবন যাপন করে ৷



১ সাজাহ (রুাৰু) (মৃ ৫৫ হি৬৭৫ খৃ) নবী (সা)ন্এর ওফাতের পরে ইসলমের বি রুদ্ধে বনু তামীম
গোত্রের উস্কানীদাত্রী নবুয়তেরদাবীদার ৷ মুসায়্লামার সাথে আতাত কারিনী ও পরে তার পত্নী ৷ কথিত আছে
যে, ঘুসায়লামা নিহ্ত হওয়ার পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে বসরড়ায় হিজরত করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ أَنَّهُ وُضِعَ فِي يَدَيَّ سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ، فَفُظِعْتُهُمَا وَكَرِهْتُهُمَا، فَأُذِنَ لِي فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ ". فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: أَحَدُهُمَا الْعَنْسِيُّ الَّذِي قَتَلَهُ فَيْرُوزُ بِالْيَمَنِ، وَالْآخَرُ مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ.» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ بَنِي حَنِيفَةَ، فِيهِمْ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْكَذَّابُ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ هُوَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ ثُمَامَةَ، وَيُكَنَّى أَبَا ثُمَامَةَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ: هُوَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ ثُمَامَةَ بْنِ كَبِيرِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ هِفَّانَ بْنِ ذُهْلِ بْنِ الدُّوَلِ بْنِ حَنِيفَةَ، وَيُكَنَّى أَبَا ثُمَامَةَ، وَقِيلَ أَبَا هَارُونَ. وَكَانَ قَدْ تَسَمَّى بِالرَّحْمَنِ، فَكَانَ يُقَالُ لَهُ: رَحْمَنُ الْيَمَامَةِ. وَكَانَ عُمُرُهُ يَوْمَ قُتِلَ مِائَةً وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَكَانَ يَعْرِفُ أَبْوَابًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭২২


ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাকের বরাতে বর্ণনা করেন, যুসায়লাম৷ রাসুলুল্লাহ
(স ) এর দরবারে এ মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল “আল্লাহর রাসুল মুসায়লামার পক্ষ থেকে
আল্লাহর রাসুল মুহম্মেদ (সা) এর প্রতি ৩৷ সালামুন আলায়কা; তারপর আমি ঐ বিবরটিতে
আপনার অংশীদার হয়েছি ৷ এ বন আমাদের জন্য অর্ধেক আর কুরায়শীদের জন্য অর্ধেক ৷ তবে
কুরায়শীরা এমন জাতি যারা বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন করে ইনসাফ করে না ৷ দুজন দুত এ
চিঠি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে নিয়ে আসে ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (না) লিখলেন, বিসমিল্লাহিব
রাহমানির রড়াহীম! আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে যিথ্যারাদী ভণ্ড ঘুসায়লামার


“হিদায়াত ও সন্ব তার অনুসারীদের প্রতি সা ৷লাম ৷ তারপর পৃথিবী আল্লাহর ম ৷,লিকান৷ তিনি
তার বান্দাদেব মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে এর উত্তরাধিকার দান করেন; শুভ পরিণাম মুত্তাকী ও
আল্লাহ্ভীরুদের জন্যই” ৷

ইবন ইসহাক বলেন চিঠি আদান প্রদানের এ ঘটনা দশম হিজরীর শের ভাগের ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাক (র) থেকে সা দ ইবন তারিক (নুআয়ম ইবন
মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুসায়লামাতুল কায্মাব এর দুতদ্বয় তার চিঠি
নিয়ে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) এর কাছে আসার সময় তাদের দু’জনকে লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) কে
আমি বলতে শুনেছি “তোমরা দু’ জনও কিতাব কথার বিশ্বাসী ষ্ তারা বলল, জী হা তিনি
বললেন

এ৷ খুড্রুা

দুতর৷ অবাধ্য না হলে তা ৷মি অবশ ৷৷ই তোমাদের পর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷

আবু দ ৷উদ তায়ালিসী (র) বলেন, আল মাসউদী (র)আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা)
থেকে ৰ্নন৷ করেন ৷ তিনি বলেছেন, ইবনুন নাওয়াহ৷ ও ইবন উছাল যুসায়লামাতুল কাবৃবাব-
এর দুতরুপে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাদের বললেন, “ তোমরা কি এ
সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল? তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেই যে, মুসায়লাম৷ আল্লাহর
রাসুল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি আল্লাহ এবং তার রাসুলগণের প্রতি ঈমান এনেছি ৷
একান্তই যদি আমি £কান দুতকে হত্যা করতাম, তাহলে তোমাদের দুজনকে অবশ্যই হত্যা
করতাম ৷” রাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা ) বলেন, “তখন থেকে দুত হত্যা না করার বিধান
চালু হয়ে গেল ৷” আবদুল্লাহ (বা ) আরও বলেন, পরব৩ ইতবন উছালের মৃত্যু হয় ৷ আর
ইবনৃন নাওয়াহ৷ আমার মনে সব সময় কাটার মত বিবতে থাকে ৷ অবশেষে আল্লাহ তাকে
কাবুতে এনে দিলেন ৷ হাফিজ রায়হাকী (র) বলেন, উছাম৷ ইবন উছাল (রা) ইসলাম গ্রহণ
করলেন এবং তার ইসলাম গ্রহণের কথা বর্ণিত আছে ৷ আর ইবনুন নাওয়াহা সম্পর্কে আবু
মাকারিয়া৷ ইবন আবু ইসহাক আল মুযানী (র)কায়স ইব ন আবু হাযিম (র) থেকে আমাদের
এ তথ্য দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর কাছে এসে
বলল, আমি বনু হানীফ৷ গোত্রের কোন একটি মসজিদের পম্পে দিয়ে পথ চলছিলাম ৷ তখন


النِّيرَجَاتِ فَكَانَ يُدْخِلُ الْبَيْضَةَ إِلَى الْقَارُورَةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ، وَكَانَ يَقُصُّ جَنَاحَ الطَّيْرِ ثُمَّ يَصِلُهُ، وَيَدَّعِي أَنَّ ظَبْيَةً تَأْتِيهِ مِنَ الْجَبَلِ فَيَحْلِبُ لَبَنَهَا. قُلْتُ وَسَنَذْكُرُ أَشْيَاءَ مِنْ خَبَرِهِ عِنْدَ ذِكْرِ مَقْتَلِهِ، لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَنْزِلُهُمْ فِي دَارِ بِنْتِ الْحَارِثِ، امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، ثُمَّ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، فَحَدَّثَنِي بَعْضُ عُلَمَائِنَا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ «أَنَّ بَنِي حَنِيفَةَ أَتَتْ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْتُرُهُ بِالثِّيَابِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ، مَعَهُ عَسِيبٌ مِنْ سَعَفِ النَّخْلِ فِي رَأْسِهِ خُوصَاتٌ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يَسْتُرُونَهُ بِالثِّيَابِ كَلَّمَهُ وَسَأَلَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْعَسِيبَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي شَيْخٌ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ مِنْ أَهْلِ الْيَمَامَةِ، أَنَّ حَدِيثَهُ كَانَ عَلَى غَيْرِ هَذَا، وَزَعَمَ أَنَّ وَفْدَ بَنِي حَنِيفَةَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَلَّفُوا مُسَيْلِمَةَ فِي رِحَالِهِمْ، فَلَمَّا أَسْلَمُوا ذَكَرُوا مَكَانَهُ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا قَدْ خَلَّفْنَا صَاحِبًا لَنَا فِي رِحَالِنَا وَفِي رَكَائِبِنَا يَحْفَظُهَا لَنَا. قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ مَا أَمَرَ بِهِ لِلْقَوْمِ وَقَالَ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا ". أَيْ لِحِفْظِهِ ضَيْعَةَ أَصْحَابِهِ، ذَلِكَ الَّذِي يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৩
انْصَرَفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَاءُوا مُسَيْلِمَةَ بِمَا أَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْيَمَامَةِ ارْتَدَّ عَدُوُّ اللَّهِ وَتَنَبَّأَ وَتَكَذَّبَ لَهُمْ، وَقَالَ: إِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ. وَقَالَ لِوَفْدِهِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ: أَلَمْ يَقُلْ لَكُمْ حِينَ ذَكَرْتُمُونِي لَهُ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا؟ " مَا ذَاكَ إِلَّا لِمَا كَانَ يَعْلَمُ أَنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ. ثُمَّ جَعَلَ يَسْجَعُ لَهُمُ السَّجَعَاتِ وَيَقُولُ لَهُمْ فِيمَا يَقُولُ ; مُضَاهَاةً لِلْقُرْآنِ: لَقَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى الْحُبْلَى أَخْرَجَ مِنْهَا نَسَمَةً تَسْعَى مِنْ بَيْنِ صِفَاقٍ وَحَشَا. وَأَحَلَّ لَهُمُ الْخَمْرَ وَالزِّنَا، وَوَضَعَ عَنْهُمُ الصَّلَاةَ، وَهُوَ مَعَ هَذَا يَشْهَدُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ نَبِيٌّ، فَأَصْفَقَتْ مَعَهُ بَنُو حَنِيفَةَ عَلَى ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ الرَّجَّالَ بْنَ عُنْفُوَةَ وَاسْمُهُ نَهَارُ بْنُ عُنْفُوَةَ كَانَ قَدْ أَسْلَمَ وَتَعَلَّمَ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ، وَصَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةً، وَقَدْ مَرَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَفُرَاتِ بِنْ حَيَّانَ، فَقَالَ لَهُمْ: " «أَحَدُكُمْ ضِرْسُهُ فِي النَّارِ مِثْلُ أُحُدٍ» ". فَلَمْ يَزَالَا خَائِفَيْنِ حَتَّى ارْتَدَّ الرَّجَّالُ مَعَ مُسَيْلِمَةَ وَشَهِدَ لَهُ زُورًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَكَهُ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ، وَأَلْقَى إِلَيْهِ شَيْئًا مِمَّا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৪


তারা এমন কিরঅড়াত পড়ছিল যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়ড়া সাল্লাঘের প্রতি আল্লাহ পাক
নাযিল করেন

অর্থ গম পিষিয়ে আটা প্রস্তুতকারিণীদের শপথ! আটা য়াখিয়ের খামীর প্ৰন্তুতকারিণীদের
শপথ ! খামীর দিয়ে কটি প্রন্তুতকারিনীদের শপথ! রুটির টুকর৷ দিয়ে ছরীিদ১ প্ৰস্ত্রতকড়ারিনীদের
শপথ! গ্রামে গ্রামে উদরপুজ্যিারিপীদের শপথ ! বর্ণনাকড়ারী বলেন, আবদুল্লাহ (বা) তাদের
কাছে বাহিনী পাঠালে তাদের ধরে নিয়ে আসা হল ৷ এদের সৎ থ্যা ছিল সতুর এবং এদের
£নতহু ৷ দ ৷ ঞ্জো৷ ৩া৷বধুদ্বত্রাহু ইবণুন নাওয়াহ৷ ৷, বর্ণনড়াকারী বলেন, ইবন মাসউদ (রা) এর হুকুমে
অভিযুক্ত ইবন নাওয়ড়াহড়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল ৷ তারপর ইবন মাসউদ (রা) বললেন, এদের
মাধ্যমে কোন মতলব হাসিলের অবকাশ আমরা শয়তানকে দেব না; বরং আমরা এদের
সিরিয়ার বিতাড়িত করছি; আশা করি আল্লাহ আমাদের পক্ষে তাদের জন্য যথেষ্ট হবেন ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, বনু হড়ানীফা প্রতিনিধি দলের সদস্য ৎথ্যা ছিল দরুশ্ ৷র অধিক ৷
তাদের নেতৃতু দিচ্ছিল সালমা ইবন হানজাল৷ ৷ দলীয় সদস্যদের মাঝে ছিল আর রাহ্হাল ইবন
উনফুওয়৷ , তালুক ইবন আলী, আলী ইবন সিনান ও ঘুসায়লামা ইবন হাবীব আল কাবযাব ৷
মাসলামা বিনতুল হারিছএর বাড়িতে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হল এবং তাদের জন্য
য়থারীতি অ ড়াপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হল ৷ পুবদ্রিহ্র ও রাতে তাদের খাবার পৰিবে ন করা হত ৷
কখনো গোশত রুটি , কখনো দুধ রুটি ৷ আবার কখনো তবু রুটি, কখনো ঘি ও কটি এবং
থুরমা খেজুর দিয়ে তাদের আখ্যায়িত করা হচ্ছিল ৷ মসজিদে নবৰীতে উপস্থিত হলে তারা
ইসলাম গ্রহণ করল ৷ কিন্তু তখন তারা ঘুসায়লামাকে তাদের অবস্থান ক্ষেত্রে তাদের বাহনের
প্ৰহরায় রেখে এসেছিল ৷ তারা ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলে (রড়াসুলুল্লাহ্ সা) তাদের প্ৰতোককে
পাচ উকিয়া (দৃইশ দিরহায়) করে রৌপ্য মুদ্রা উপচৌকন দিলেন এবং তারা বাহন পাহারায়
রেখে আসা মুসায়লামার কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকেও অন্যদের সয়পরিমাণ প্রদানের
নির্দেশ দিয়ে বললেন, ৷ৰুা£প্রু ণ্£)এন্এ এেৰু নন্৷ ক্রো “শোনা সে তোমাদের তুলনায় নিকৃষ্ট নয় ৷”
সদস্যরা তার কাছে ফিরে গিয়ে তার সম্পর্কে রাসুল (সা) এর ব ওণ্ব ৷ তাঞে অবগত কর লে সে
বলল, “তিনি এ কথা এ কারণে বলেছেন, যেহেতু তিনি জানেন যে, ( নবুয ) বিষয়টি
তারপরে আমার জন্য সাব্যম্ভ রয়েছে ৷” পরবর্তীতে যে এ বক্তব্যে অৰিচলতা দেখিয়ে অবশেষে
নবুয়তের দাবী করে বসল ৷

ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে একটি পা ৷ত্র দিয়েছিলেন, যাতে
তার ওযুর অবশিষ্ট পানি ছিল ৷ তিনি তাদের উপড়াসনালয় (তলে ফেলে সে স্থানে ঐ পানি ছিটিয়ে
দিয়ে জায়গাটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করার নির্দেশ দিলেন ৷ তারা এ নির্দেশ পালন করল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবনের শেষ সময়ের আলোচনায় আল-আসওয়াদ আলআনসীর নিহত







১ ছাবীদ ( ১াদ্বুএ) গোশরুত র ঝোলে কটির টুকরা তিজিয়ে রেখে তৈরি তৎকালীন আরববড়াসীদের আকর্ষণীয়
খাবার ৷
২ বর্তমানের ইরাক ইত্যাদিসহ তৎকালের বৃহত্তর সিরিয়া ৷


يَحْفَظُهُ مِنَ الْقُرْآنِ، فَادَّعَاهُ مُسَيْلِمَةُ لِنَفْسِهِ فَحَصَلَ بِذَلِكَ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ لِبَنِي حَنِيفَةَ، وَقَدْ قَتَلَهُ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَ مُؤَذِّنُ مُسَيْلِمَةَ يُقَالُ لَهُ: حُجَيْرٌ. وَكَانَ مُدَبِّرُ الْحَرْبِ بَيْنَ يَدَيْهِ مُحَكَّمَ بْنَ الطُّفَيْلِ وَأُضِيفَ إِلَيْهِمْ سَجَاحٌ، وَكَانَتْ تُكَنَّى أُمَّ صَادِرٍ، تَزَوَّجَهَا مُسَيْلِمَةُ وَلَهُ مَعَهَا أَخْبَارٌ فَاحِشَةٌ، وَاسْمُ مُؤَذِّنِهَا زُهَيْرُ بْنُ عَمْرٍو وَقِيلَ: جَنَبَةُ بْنُ طَارِقٍ. وَيُقَالُ: إِنَّ شِبْثَ بْنَ رِبْعِيٍّ أَذَّنَ لَهَا أَيْضًا، ثُمَّ أَسْلَمَ. وَقَدْ أَسْلَمَتْ هِيَ أَيْضًا أَيَّامَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَحَسُنَ إِسْلَامُهَا. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ كَانَ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَكَ، فَإِنَّ لَنَا نِصْفَ الْأَمْرِ، وَلِقُرَيْشٍ نِصْفُ الْأَمْرِ، وَلَكِنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ. فَقَدِمَ عَلَيْهِ رَسُولَانِ بِهَذَا الْكِتَابِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ " قَالَ: وَكَانَ ذَلِكَ فِي آخِرِ سَنَةِ عَشْرٍ. يَعْنِي وُرُودَ هَذَا الْكِتَابِ.
পৃষ্ঠা - ৩৭২৫


হওয়ার বিবরণ আসবে ৷ মুসায়লামাতুল কায্যাবের নিধন ও বনু হানীফার পরবর্তী অবস্থার
বিবরণ আসবে আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর খিলাকতকালের আলোচনায় ইনশাআল্লাহ্ ৷

নাজরানের প্রতিনিধি দল

বুখারী (র) বলেন, আব্বাস ইবনৃল হুসায়ন (র)হুয়ায়ফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি
বলেছেন, নাজরানের দুই নেতা আন-আকিব ও আস-সারািদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মুবাহালা’১ করার উদ্দেশ্যে তীর কাছে এল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সাথীদ্বয়ের একজন অন্যজনকে
বলল, কাজটি করো না ৷ কেননা, বম্ভেবেই যদি সে নবী হয়ে থাকে, আর তারপরেও আমরা
তার সাথে ঘুবাহালায় অবতীর্ণ হই তা হলে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী বংশধর সফলতা
লাভে বঞ্চিত থাকবে ৷ তাই তারা বলল, আমরা আপনার দাবী পুরণে সম্মত আছি; আপনি
আমাদের সাথে একজন বিশ্বস্ত’ মানুষ পাঠিয়ে দিন; বিশ্বস্ত নয় এমন ক ৷উকে নয়, একমাত্র
একজন বিশ্বম্ভ ব্যক্তিকেই পাঠাবেন ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন, আমিধ্রু আমাদের সাথে অরশইি
একজন বিশ্বম্ভ পরম বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে পাঠাব ৷ মোঃব্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাহাবীপণ
সকলেই চরম ঔৎসুক্যের দৃষ্টিতে৷ ত ৷কিয়ে থাকলেন ৷
নবী, করীম (সা) বললেন, ওঠো হে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ! তিনি উঠে দীড়ালে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, , ন্ন্ ব্লুাম্বু৷ :১১১ গ্লু, ন্৷ ৷ ট্র১ এ হল এ উম্মত (মুহম্মেদী)-এর আমীন’
(বিশ্বস্ত ব্যক্তি) ৷ বুখারী (র) অন্যত্র এবং মুসলিম (র) উল্লিখিত সুত্রে শুবা (র) থেকেও
হাদীসখানি রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ হাফিয আবু বকর বায়হাকী (র) , বলেন, আবু আবদুল্লাহ
আল-হাফিয ও আবু সাঈদ মুহম্মেব ইবন মুসা ইবনৃল ফায্ল (র)সালামা ইবন ইয়াসু তার
দাদা থেকে (মধ্যবর্তী রাবী ইউনুস (র) বলেছেন যে, সালামার দাদা খৃস্টধর্য থেকে ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ৷) সুরা তাসীন সুলায়মান২ নাযিল হওয়ার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নাজরানবাসীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ৷ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহের
নামে ৷ আল্লাহর নবী ও রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে নাজরানের প্রধান পাদ্রীর কাছে,
ইসলাম গ্রহণ কর, নিরাপত্তা পাবে; আ ৷যি তোমাদের কাছে

ণ্ধো
ণ্র্দু-ন্ষ্করা তাংন্

’,ৰুস্রা৷এ প্রু)১প্রু ,ন্নুও১১া



১ ঘুবাহাল৷ সত্য ও হকপন্থী হওয়ার দাবীতে চ্যালেঞ্জ প্ৰদানক৷ ৷বী দৃই পক্ষের প্রত্যেক পক্ষ তার সন্তানসন্ততি
(ও ত্রী পরিজন) নিয়ে খোলা মাঠে উপস্থিত হয়ে বিষয়ের ও আকৃতির সাথে কান্নাক৷ টি করার পরে পরস্পরের জন্য
বদদৃআ করে এবং মিথ্যা ও বাতিলপন্থীদের উপরে আল্লাহর লানত ও অভিনম্পাত নাযিল হওয়ার দৃআ করে ৷
হক ও বাতিলের মাঝে ফায়সালা করার জন্য গৃহীত এ ব্যবস্থাকে ঘুবাহালা বলা হয় ৷ অনুবাদক

২ সুরা আনৃ-নামৃল, যাতে সারা রানীকে লেখা হযরত সুলায়মান (আ ) এর চিঠি সম্পর্কিত আয়াত ; এওা
ণ্ন্া১)ষ্ট্র৷ রয়েছে ৷


قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فَحَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ جَاءَهُ رَسُولَا مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ بِكِتَابِهِ، يَقُولُ لَهُمَا: " وَأَنْتُمَا تَقُولَانِ مِثْلَ مَا يَقُولُ؟ " قَالَا: نَعَمْ. فَقَالَ: " أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَضَرَبْتُ أَعْنَاقَكَمَا ".» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «جَاءَ ابْنُ النَّوَّاحَةِ وَابْنُ أُثَالٍ رَسُولَيْنِ لِمُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُمَا: " أَتَشْهَدَانِ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَقَالَا: نَشْهَدُ أَنَّ مُسَيْلِمَةَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ، وَلَوْ كُنْتُ قَاتِلًا رَسُولًا لَقَتَلْتُكُمَا ".» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: فَمَضَتِ السُّنَّةُ بِأَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَأَمَّا ابْنُ أُثَالٍ فَقَدْ كَفَاهُ اللَّهُ، وَأَمَّا ابْنُ النَّوَّاحَةِ فَلَمْ يَزَلْ فِي نَفْسِي مِنْهُ حَتَّى أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَمَّا أُسَامَةُ بْنُ أُثَالٍ فَإِنَّهُ أَسْلَمَ، وَقَدْ مَضَى الْحَدِيثُ فِي إِسْلَامِهِ، وَأَمَّا ابْنُ النَّوَّاحَةِ فَأَخْبَرَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْمُزَكِّي أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنِّي مَرَرْتُ بِبَعْضِ مَسَاجِدِ بَنِي حَنِيفَةَ وَهُمْ يَقْرَءُونَ قِرَاءَةً
পৃষ্ঠা - ৩৭২৬
مَا أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالطَّاحِنَاتِ طَحْنًا، وَالْعَاجِنَاتِ عَجْنًا، وَالْخَابِزَاتِ خَبْزًا، وَالثَّارِدَاتِ ثَرْدًا، وَاللَّاقِمَاتِ لَقْمًا. قَالَ: فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ فَأُتِيَ بِهِمْ، وَهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَرَأْسُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ النَّوَّاحَةِ. قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ فَقُتِلَ، ثُمَّ قَالَ: مَا كُنَّا بِمُحْرِزِينَ الشَّيْطَانَ مِنْ هَؤُلَاءِ، وَلَكِنَّا نَحُوزُهُمْ إِلَى الشَّامِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكْفِيَنَاهُمْ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ وَفْدُ بَنِي حَنِيفَةَ بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا عَلَيْهِمْ سَلْمَى بْنُ حَنْظَلَةَ وَفِيهِمْ ; الرَّجَّالُ ابْنُ عُنْفُوَةَ وَطَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ وَعَلِيُّ بْنُ سِنَانٍ وَمُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْكَذَّابُ فَأُنْزِلُوا فِي دَارِ رَمْلَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ وَأُجْرِيَتْ عَلَيْهِمُ الضِّيَافَةُ، فَكَانُوا يُؤْتَوْنَ بِغَدَاءٍ وَعَشَاءٍ ; مَرَّةً خُبْزًا وَلَحْمًا، وَمَرَّةً خُبْزًا وَلَبَنًا، وَمَرَّةً خُبْزًا، وَمَرَّةً خُبْزًا وَسَمْنًا، وَمَرَّةً تَمْرًا يُنْثَرُ لَهُمْ. فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَسْجِدَ أَسْلَمُوا، وَقَدْ خَلَّفُوا مُسَيْلِمَةَ فِي رِحَالِهِمْ، وَلَمَّا أَرَادُوا الِانْصِرَافَ أَعْطَاهُمْ جَوَائِزَهُمْ خَمْسَ أَوَاقٍ مِنْ فِضَّةٍ، وَأَمَرَ لِمُسَيْلِمَةَ بِمِثْلِ مَا
পৃষ্ঠা - ৩৭২৭


“ইবরাহীম, ইসহাক₹ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহ্ এর হামদ বর্ণনা করছি ৷ তারপর আমি
তােমাদ্যে৷ দাওয়াত দিচ্ছি বান্দার পুজা বর্জন করে আল্লাহর ইবাদতে র দিকে আসতে; আমি
তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি বান্দার সা র্বভৌমতৃ বর্জন করে আল্লাহর সার্বভৌমভ্রু হ্র দিকে
আসতে ৷ তাতে যদি তোমরা অস্বীকৃত হও তাহলে জিযয়া’ প্রদানে সম্মত হও; তাতেও
অস্বীকৃত হলে৩ ৫৩ামাদের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করছি ৷ ওয়াসৃসালামা”

চিঠি পাদ্রীর কাছে পৌছলে তা পাঠ করে সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং তার দেহে প্রবলতাবে
র্কাপন ধরে ৷ চিঠির বিষয় আলোচনা করার জন্য সে নাজরানের বিশিষ্ট বাসিন্দা শুরাহ্বীল ইবন
ওদাআকে ডেকে পাঠাল ৷ শুরাহ্বীল ছিল হামাদানের লোক ৷ কোন গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে
এ ব্যক্তির আগে অন্য কাউকে ডাকা হত না ৷ এমনকি অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ
আল আতহাম, আস-সাব্যিদ ও আল-আকিবকেও না ৷ শুরাহ্বীল উপস্থিত হলে পাদ্রী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্রটি তার কাছে দিলেন ৷ যে তা পাঠ করলে পাদ্রী তাকে বললেন, আবু
মারয়াম ! এখন তোমার মতামত কি০ শুরাহ্বীল বলল, আল্লাহ পাক ইসমাঈল (আ) এর
বংশধরদের মাঝে;নবী পাঠাবার যে ওয়াদ৷ ইব্রাহীম (আ)-কে দিয়েছেন তা আপনি অবগত
আছেন ৷ আপনার কি বিশ্বাস হয় যে, এ লোকই সেই প্রতিশ্রুত নবী ! তা যাই হোক, নবুয়তের
ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই ৷ পার্থিব কো ন ব্যাপার হলে আমি সে ব্যাপারে আপনাকে
কোন সুপরামর্শ দিতে পা রতা৷ম এবং সে জন্য যথাসাধ্য যতুবান হত তাম ৷ পাদ্রী তাকে বলল,
আচ্ছা একটু পাশে বসে অপেক্ষা কর ৷ শুরাহ্বীল পাশে সরে গিয়ে বসে পড়ল ৷ প্রধান পাদ্রী
তখন নাজরানের আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন শুরাহ্বীলকে ডেকে পাঠাল ৷ সে
ছিল হিময়ার গোত্রের শাখা যু অড়াসবাহ্ গোত্রের লোক ৷ তাকে দিয়ে পত্রটি পাঠ করিয়ে তার
মতাতমত জিজ্ঞেস করা হল ৷ সেও শুরাহ্বীলের অনুরুপই জবাব দিল ৷ পাদ্রী তাকে পাশে সরে
বসে থাকতে বলল ৷ সে তাই করল ৷ পাদ্রী আবার নাজরানের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি জব্বার
ইবন ফায়যকে তােক পাঠাল ৷ সে ছিল বনুল-হ হামাস-এর শাখা গো ৷ত্র বনুল হারিছ ইবন কাব
এর লোক ৷ পাদ্রী যথারীতি তাকেও চিঠি পড়তে বলল এবং তার মতামত জিজ্ঞেস করল ৷ তার
জবাবও ছিল শুরাহ্বীল ও আবদুল্লাহ্র জবাবের অনুরুপ ৷ পাদ্রী তাকেও সরে বসতে বললে সে
উঠে গিয়ে এক পাশে বসল ৷ পাদ্রী যখন দেখল যে, সমস্যাটির সমাধানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
অভিন্ন মত পোষণ করছেন তখন সে নাকুস১ পেটাবার নির্দেশ দিল এবং তার নির্দোশ
পীজসিমুহে দৃশ্যমানভ৷ বে আগুন জ ৷লানাে হল এবং মোটা কম্বল ওড়ানাে হল ৷ নাকুস পেটাবার
আওয়ায পেয়ে এবং কম্বল ওড়ানাে দেখে গোটা উপ৩ ক্যের চড়াই উৎর৷ ই থেকে লোকজন
এসে সমবেত হতে লাগল ৷ উপত্যকা টি দৈর্ঘ্য ছিল দ্রু৩পামী সওয়ারের একদিনের পথ ৷
এখানে ছিল তিহাত্তরঢি জনপদ এবং এক লাখ বিশ হাজার যোদ্ধা ৷ পাদ্রী সমবেত লোকদের
সামনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চিঠি পড়ে শেড়ানাল এবং এ বিষয় ৩াপুের ম৩াম৩ জ্বানওে ৷>৷ ৷ই০৷ ৷
তাদের বুদ্ধিমান শ্রেণী এ ঐকমত্যে উপনীত হল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে যথাযথ

ৎবাদ ও তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা ওরাহ্বীল ইবন ওদাআ আল-হামাদানী, আবদুল্লাহ ইবন





১ নাকুস ( পৌগ্রা) পীর্জ্যসমুহে রক্ষিত ইবাদতের সময় নির্দেশক কাষ্ঠখণ্ড বা লৌহদণ্ড; ঘণ্টা ৷


أَعْطَاهُمْ لِمَا ذَكَرُوا أَنَّهُ فِي رِحَالِهِمْ، فَقَالَ: " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ بِشَرِّكُمْ مَكَانًا ". فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَيْهِ أَخْبَرُوهُ بِمَا قَالَ عَنْهُ، فَقَالَ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ عَرَفَ أَنَّ الْأَمْرَ لِي مِنْ بَعْدِهِ. وَبِهَذِهِ الْكَلِمَةِ تَشَبَّثَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، حَتَّى ادَّعَى النُّبُوَّةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مَعَهُمْ بِإِدَوَاةٍ فِيهَا فَضْلُ طَهُورِهِ، وَأَمَرَهُمْ أَنَّ يَهْدِمُوا بَيْعَتَهُمْ، وَيَنْضَحُوا هَذَا الْمَاءَ مَكَانَهَا وَيَتَّخِذُوهُ مَسْجِدًا، فَفَعَلُوا، وَسَيَأْتِي ذِكْرُ مَقْتَلِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ فِي آخِرِ حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَقْتَلِ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ بَنِي حَنِيفَةَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [وَفْدُ أَهْلِ نَجْرَانَ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْحُسَيْنِ ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ: عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «جَاءَ الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ صَاحِبَا نَجْرَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدَانِ أَنْ يُلَاعِنَاهُ. قَالَ: فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَا تَفْعَلْ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلَاعَنَّاهُ لَا نُفْلِحُ نَحْنُ وَلَا عَقِبُنَا مِنْ بَعْدِنَا. قَالَا: إِنَّا نُعْطِيكَ مَا سَأَلْتَنَا وَابْعَثْ مَعَنَا رَجُلًا أَمِينًا، وَلَا تَبْعَثْ مَعَنَا إِلَّا أَمِينًا. فَقَالَ: " لَأَبْعَثَنَّ مَعَكُمْ رَجُلًا أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ ". فَاسْتَشْرَفَ لَهَا أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: " قُمْ يَا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ ". فَلَمَّا قَامَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا أَمِينُ
পৃষ্ঠা - ৩৭২৮


শুরাহ্ৰীল আলআসবাহী ও জব্বার ইবন ফায়্য আল হারিহীকে পাঠিয়ে দেবে ৷ বংনািকাৰী
বলেন, প্রতিনিধি দলটি রওনা হয়ে গেল ৷ মদীনায় উপনীত হয়ে তারা সফরের কাপড়-চােপড়
খুলে রেখে ইয়ামনী পোশাক ও সোনার আংটি পরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে
তাকে সালাম করল ৷ তিনি সালামের জবাব দিলেন না ৷ তারা তীর কথা শোনার জন্য সুদীর্ঘ
সময় অপেক্ষা করে রইল ৷ কিন্তু তিনি তাদের সাথে কোন কথা বললেন না ৷ (সম্ভবত) তাদের
গায়ে ঐ বিশেষ পোশাক ও সোনার আংটি থাকার কারণে ৷ প্ তারা তখন উছমান ও আবদুর
রহমান ইবন আওফ (রা)-এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল ৷ এ দুজনের সাথে তাদের পুর্ব পরিচিত
ছিল ৷ এ দু’জনকে তারা নৃহাজির আনসারদের একটি মজলিসে খুজে পেল ৷ তারা বলল, হে
উছমান৷ আবদুর রহমান ! তোমাদের নবী আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ তাকে
জবাব দেয়ার জন্য আমরা এসেছিলাম ৷ আমরা তার কাছে গিয়ে তাকে সালাম করলাম, কিন্তু
তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না ৷

উপরন্তু আমরা সুদীর্ঘ সময় তার কথা বলার প্ৰভীক্ষায় রইলাম ৷ আমাদের চরম ক্লান্তি
সত্বেও তার মধ্যে কথা বলার কোন লক্ষণ দেখতে পেলাম না ৷ এখন তোমাদের দুজনের মত
কি ? আমাদের ফিরেযাওয়াট৷ কি তোমরা ভাল মনে কর ? তারা দু’জন মজলিসে উপস্থিত আলী
(রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবুল হাসান! এদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি? আলী
(রা) উছমান ও আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-কে বললেন, আমার মনে হয় তারা এই
নতুন পোশাক ও আংঢি খুলে তাদের সফরের পোশাক পরে পুনরায় তার কাছে যেতে পারে ৷
রেশভুষা পান্টিয়ে তারা পুনরায় গিয়ে সালাম করলে নবী করীম (না) তাদের সালামের জবাব
দিয়ে বললেন,

“কলম সেই সত্তা র, যিনি আমাকে সতাসহ পাঠিয়েছেন, আমার কাছে তাদের প্রথমবারের
আগমনক৷ লে নিশ্চয়ইশ ৷য়ত ৷ন তাদের সাথে ছিল ৷ (৩ তাই আ ৷মি তা ৷দের সালামের জবাব দেই নি

এবং কথাও বলিনি) ৷ তারপর তিনি তাদের থােজ-খবর নিলেন এবং তারাও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করল ৷ ”

তাদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল ৷ অবশেষে তারা বলল, “ঈসা (আ)
সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?” আমরা তো আমাদের স্বজাতির কাছে ফিরে যাচ্ছি ৷ আর আমরা
যেহেতু খৃস্ট ধর্মাবলম্বী; তাই আপনি যদি নবীই হয়ে থাকেন ঈসা (আ) সম্পর্কে আপনার মন্তব্য
অবশ্যই আমাদের আনন্দিত করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ মুহুর্তে তার সম্বন্ধে বিশেষ
কোন বক্তব্য নেই; তাই ৷তামবা আমাদের এখানে অপেক্ষা কর; আমি ঈসা (আ) সম্পর্কে

আল্লাহ পাকের কালাম তোমাদের অবগত করব ৷ পরের দিনের সকাল হল ৷ ইতোমধ্যে আল্লাহ্
তাআলা এ আয়াত নাযিল $§?fi¥——fl



াদ্বু£া১দ্বু৷ ল্লুব্লু১ ৷দ্বুা৷রু:র্দু চুাম্বুহ্রা৷র্চএ ) এ;ান্নুাদ্বু ,াহ্র ’ , ণ্াহু ওা;াছু শুণ্ড্র প্রুস্পো৷ ব্লু) ত্রুদ্বু£ওযু


هَذِهِ الْأُمَّةِ ".» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو سَعِيدٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ الْفَضْلِ قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ ثنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ يَسُوعَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ يُونُسُ: وَكَانَ نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمَ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ نَجْرَانَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ " طس " سُلَيْمَانَ: " بِاسْمِ إِلَهِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ، مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى أُسْقُفِّ نَجْرَانَ، وَأَهْلِ نَجْرَانَ، إِنْ أَسْلَمْتُمْ فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكُمْ إِلَهَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ ; أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَدْعُوكُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ مِنْ عِبَادَةِ الْعِبَادِ، وَأَدْعُوكُمْ إِلَى وِلَايَةِ اللَّهِ مِنْ وِلَايَةِ الْعِبَادِ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَالْجِزْيَةُ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ، آذَنْتُكُمْ بِحَرْبٍ وَالسَّلَامُ» . فَلَمَّا أَتَى الْأُسْقُفَّ الْكِتَابُ فَقَرَأَهُ فُظِعَ بِهِ وَذُعِرَ بِهِ ذُعْرًا شَدِيدًا، وَبَعَثَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: شُرَحْبِيلُ بْنُ وَدَاعَةَ - وَكَانَ مِنْ أَهْلِ هَمْدَانَ، وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ يُدْعَى إِذَا نَزَلَتْ مُعْضِلَةٌ قَبْلَهُ، لَا الْأَيْهَمُ وَلَا السَّيِّدُ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৭২৯


“আল্লাহর নিকট ঈসা (আ)-এর দৃষ্টান্ত আদমের মত ৷ তাকে তিনি মাটি হতে সৃষ্টি করেছিলেন;
তারপর তাকে বলেছিলেন, হও’, ফলে সে হয়ে গেল ৷ এ সত্য তোমার প্ৰতিপালকের নিকট
থেকে সুতরাং সংশয়বাদীদের অন্তভুক্তি হয়েড়া না ৷ তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ
বিষয়ে তোমার সাথে তর্ক করে, তাকে বল, এসো, আমরা ডেকে আনি আমাদের ছেলেদের ও
£তামাদের ছেলেদের, আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের, আমাদের নিজদের ও
তোমাদের নিজেদের; তারপর আমরা কাকুতি-মিনতি করে মিথ্যারাদীদের উপর দেই আল্লাহর
লানত” (৩ : ৫৯-৬১) ৷

কিন্ত তারা আয়াতে উল্লিখিত প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানাল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের পরের দিন
সকালে মুবাহালার’ জন্য বেরিয়ে আসলেন ৷ তিনি তখন হাসান ও হুসড়ায়ন (রা)-কে একটি
মোটা চাদরে জড়িয়ে সাথে নিলেন এবং ফাতিমা (বা) তার পিছনে হেটে চলছিলেন ৷ তখন নবী
করীম (সা) এর একাধিক সহধর্মিনী ছিলেন ৷ শুরাহ্বীল তার সঙ্গীদ্বয়কে বলল, তোমরা তো
জান যে, আমাদের উপত্যকার চড়াই উতরইিয়ের সকল লোকজন সমবেত হলে তারা আমার
মতের বিপরীতে কিছুই করে না ৷ আমি আল্লাহর কসম ! একটা কঠিন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি ৷
কেননা, আল্লাহর কলম! যদি এ লোকঢি কখনো একজন পরাক্রমশালী সম্রটি হয়ে যায়, আর
আমরাই তার সুরক্ষিত স্থানে আঘাতকারী ও তার আহ্বান প্ৰত্যড়াখ্যানকারী প্রথম আরব সড়াব্যন্ত
হই, তাহলে আমাদের চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন না করা পর্যন্ত তার এবং তার সহচরদের মন
থেকে এ আঘাত মুছে যাবে না ৷ অথচ আমরাই তাদের নিকটতম আরব প্রতিবেশী ৷

আর যদি লোকটি বান্তবেই নবী ও প্রেরিত পুরুষ হয়ে থাকে আর আমরা তার সাথে
পারস্পরিক অভিসম্পাত প্রদানের দুআয় লিপ্ত হই ৷ তা হলে এ পৃথিবীর বুকে আমাদের একটি
প্রাণীও বেচে থাকবে না ৷ সাথীদ্বয় তাকে বলল, আবু মারয়াম ! তা হলে তোমার মতে এখন কী
করক্কুঞ্চুন্ণ্সে বলল, আমার মত হলো, তার হাতেই ফায়সালড়ার তার ছেড়ে দেই; কারণ, তাকে
এমন কোন লোক বলে মনে হয় না যে কখনো অন্যায় ফায়সালা দেবে ৷ তারা দু’জন বলল,
ঠিক আছে, তোমার বুদ্ধি ও চিন্তা মতই কাজ কর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সাথীদ্বয়ের পরামভুন্ণ্রি
পর শুরাহ্বীল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাে, “আপনার সাথে থুবাহালায়
অবতীর্ণ হওয়ার চাইতে একটি উত্তম বিকল্প প্রস্তাব আমার কাছে রয়েছে ৷ তিনি বললেন, তা
কী? শুরাহ্বীল বললাে, আজ সকাল হতে সল্যা পর্যন্ত এবং সল্যা হতে সকাল পর্যন্ত আপনি
চিন্তড়া-তাবনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হোন, তারপর আপনি আমাদের ব্যাপারে যে
ফায়সালা দেবেন তাই মেনে নেয়া হবে ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-

é; ংৰুষ্ছুহুশুখু দ্বু
এও
তোমার পেছনে এমন কেউ তো থাকতে পারে যে তোমাকে দােষারােপ করবে! শুরাহ্রীল

বলল, তা আমার সঙ্গীদ্বরকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন ৷ জিজ্ঞাসিত হয়ে তারা দুজন বলল,
“থেটি৷ উপত্যকা শুরাহবীলের কথায়ই উঠা-বসড়া করে ৷”


الْعَاقِبُ - فَدَفَعَ الْأُسْقُفُّ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شُرَحْبِيلَ فَقَرَأَهُ، فَقَالَ الْأُسْقُفُّ: يَا أَبَا مَرْيَمَ مَا رَأْيُكَ؟ فَقَالَ شُرَحْبِيلُ: قَدْ عَلِمْتَ مَا وَعَدَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ فِي ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ مِنَ النُّبُوَّةِ، فَمَا يُؤْمَنُ أَنْ يَكُونَ هَذَا هُوَ ذَاكَ الرَّجُلَ، لَيْسَ لِي فِي النُّبُوَّةِ رَأْيٌ، وَلَوْ كَانَ أَمْرٌ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا لَأَشَرْتُ عَلَيْكَ فِيهِ بِرَأْيٍ وَجَهِدْتُ لَكَ. فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ: تَنَحَّ فَاجْلِسْ. فَتَنَحَّى شُرَحْبِيلُ فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَبَعَثَ الْأُسْقُفُّ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شُرَحْبِيلَ. وَهُوَ مِنْ ذِي أَصْبَحَ مِنْ حِمْيَرٍ، فَأَقْرَأهُ الْكِتَابَ، وَسَأَلَهُ عَنِ الرَّأْيِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ قَوْلِ شُرَحْبِيلَ فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ: تَنَحَّ فَاجْلِسْ. فَتَنَحَّى فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَبَعَثَ الْأُسْقُفُّ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ يُقَالُ لَهُ: جَبَّارُ بْنُ فَيْضٍ. مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ أَحَدِ بَنِي الْحِمَاسِ فَأَقْرَأَهُ الْكِتَابَ، وَسَأَلَهُ عَنِ الرَّأْيِ فِيهِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ قَوْلِ شُرَحْبِيلَ وَعَبْدِ اللَّهِ فَأَمَرَهُ الْأُسْقُفُّ فَتَنَحَّى فَجَلَسَ نَاحِيَةً، فَلَمَّا اجْتَمَعَ الرَّأْيُ مِنْهُمْ عَلَى تِلْكَ الْمَقَالَةِ جَمِيعًا، أَمَرَ الْأُسْقُفُّ بِالنَّاقُوسِ فَضُرِبَ بِهِ، وَرُفِعَتِ الْمُسُوحُ فِي الصَّوَامِعِ، وَكَذَلِكَ كَانُوا يَفْعَلُونَ إِذَا فَزِعُوا بِالنَّهَارِ، وَإِذَا كَانَ فَزَعُهُمْ لَيْلًا ضَرَبُوا بِالنَّاقُوسِ، وَرُفِعَتِ النِّيرَانُ فِي الصَّوَامِعِ، فَاجْتَمَعَ حِينَ ضُرِبَ بِالنَّاقُوسِ وَرُفِعَتِ الْمُسُوحُ، أَهْلُ الْوَادِي أَعْلَاهُ وَأَسْفَلُهُ، وَطُولُ الْوَادِي مَسِيرَةُ يَوْمٍ لِلرَّاكِبِ السَّرِيعِ، وَفِيهِ ثَلَاثٌ وَسَبْعُونَ قَرْيَةً، وَعِشْرُونَ وَمِائَةُ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَأَلَهُمْ عَنِ الرَّأْيِ فِيهِ، فَاجْتَمَعَ رَأْيُ أَهْلِ الرَّأْيِ مِنْهُمْ عَلَى أَنْ يَبْعَثُوا
পৃষ্ঠা - ৩৭৩০
شُرَحْبِيلَ بْنَ وَدَاعَةَ الْهَمْدَانِيَّ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ شُرَحْبِيلَ الْأَصْبَحِيَّ وَجَبَّارَ بْنَ فَيْضٍ الْحَارِثِيَّ فَيَأْتُوهُمْ بِخَبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ الْوَفْدُ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالْمَدِينَةِ وَضَعُوا ثِيَابَ السَّفَرِ عَنْهُمْ، وَلَبِسُوا حُلَلًا لَهُمْ يَجُرُّونَهَا ; مِنْ حِبَرَةٍ وَخَوَاتِيمَ الذَّهَبِ، ثُمَّ انْطَلَقُوا حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمُوا، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمُ السَّلَامَ، وَتَصَدَّوْا لِكَلَامِهِ نَهَارًا طَوِيلًا، فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ وَعَلَيْهِمْ تِلْكَ الْحُلَلُ وَالْخَوَاتِيمُ الذَّهَبُ، فَانْطَلَقُوا يَتَّبَّعُونَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَكَانُوا يَعْرِفُونَهُمَا، فَوَجَدُوهُمَا فِي نَاسٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فِي مَجْلِسٍ، فَقَالُوا: يَا عُثْمَانُ وَيَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ إِنَّ نَبِيَّكُمْ كَتَبَ إِلَيْنَا بِكِتَابٍ، فَأَقْبَلْنَا مُجِيبِينَ لَهُ، فَأَتَيْنَاهُ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ سَلَامَنَا، وَتَصَدَّيْنَا لِكَلَامِهِ نَهَارًا طَوِيلًا، فَأَعْيَانَا أَنْ يُكَلِّمَنَا، فَمَا الرَّأْيُ مِنْكَمَا؟ أَتَرَوْنَ أَنْ نَرْجِعَ؟ فَقَالَا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ فِي الْقَوْمِ: مَا تَرَى يَا أَبَا الْحَسَنِ فِي هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ لِعُثْمَانَ وَلِعَبْدِ الرَّحْمَنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ: أَرَى أَنْ يَضَعُوا حُلَلَهُمْ هَذِهِ وَخَوَاتِيمَهُمْ، وَيَلْبَسُوا ثِيَابَ سَفَرِهِمْ، ثُمَّ يَعُودُوا إِلَيْهِ. فَفَعَلُوا فَسَلَّمُوا فَرَدَّ سَلَامَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: " وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ، لَقَدْ أَتَوْنِي الْمَرَّةَ الْأُولَى وَإِنَّ إِبْلِيسَ لَمَعَهُمْ ". ثُمَّ سَاءَلَهُمْ وَسَاءَلُوهُ، فَلَمْ تَزَلْ بِهِ وَبِهِمُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى قَالُوا لَهُ: مَا تَقُولُ فِي عِيسَى؟ فَإِنَّا نَرْجِعُ إِلَى قَوْمِنَا، وَنَحْنُ نَصَارَى يَسُرُّنَا إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا أَنْ نَسْمَعَ مَا تَقُولُ فِيهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩১


এ আলোচনার পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুবাহালা না করে ফিরে গেলেন ৷ পরের দিন সকালে
তারা তার কাছে আসলে তিনি তাদের এ সনদপত্র লিখে দিলেন ৷ “বিসমিল্লাহিব রাহমানির
রাহীম ! এ হল আল্লাহ্র রাসুল উত্মী ও নিরক্ষব নবী মুহাম্মদ (না)-এর পক্ষ থেকে
নাজরানবাসীদেব প্রদত্ত সনদ-এ সুত্রে যে তাদের সযুদয় লাল ও সাদা (সোনারুপা) ও সব
দাসন্দাসীর উপরে তীর হুকুমের অধিকার সাবস্তে হয়েছে ৷

তবে তিনি তাদের প্রতি অনুকম্পা করে এ ব্যাপক অ্যাংৰুাৰু বার্ষিক মাত্র দৃহাজার জোড়া
বস্তে সীমিতকরণে সদয় সম্মতি দিলেন যা সমান দুই কিম্ভিতে অর্থাৎ প্রতি রজব সালে এক
হাজার জোড়া ও প্রতি সফর সালে এক হাজার জোড়ারুগে পরিশোধ্য ৷ ” এরপরে অন্যান্য
আনুষঙ্গিক শর্তসমুহ উল্লেখ করা হল এবং আবু সুফিয়ান ইবন হাবব, পড়ায়লান ইবন আমর , বনু
নাসরা গোত্রের মালিক ইবন আওক, আক্রা ইবন হাষিস আল-হানজালী ও মুগীরা (বা)
সনদের সাক্ষীরুপে রইলেন ৷ প্রতিনিধি দল সনদপত্র হাতে পেয়ে স্বদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে
গেল এবং মথাসময় নাজরড়ানে উপনীত হল ৷ সেখানে প্ৰ ধান পড়াদ্রীর সাথে তার ভৈবমড়াত্রেয় তাই
আবু আলকামা বিশ্ব ইবন মুআবিয়া উপস্থিত ছিলেন ৷ বিশ্ব পিতৃ সুত্রে পাদ্রীর চাচাত তাইও
ছিলেন ৷ প্রতিনিধি দল সনদপত্রটি পাদ্রীর হাতে তুলে দিল ৷ পড়াদ্রী ও তার ভাই প্রতিনিধি
দলকে স্বাগতম জানাবার জন্য নগর প্রান্ত পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিল ৷ ভাই এর সাথে আরোহী
অবস্থায় থেকেই পাদ্রী পত্রটি পড়তে শুরু করল ৷ হঠাৎ মিশরের উদ্রী তাকে গিঠ থেকে উপুড়
করে ফেলে দিলে সে চিঠিটিকে কুলক্ষণে সাবম্ভে করে বদ দৃআ দিয়ে উঠল এবং তাতে সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে ইঙ্গিতের আশ্রয় নিল না ৷ পাদ্রী তখন তাকে বলল, আল্লাহ্র
কসমদ্ভ তুমি তো একজন প্রেরিত পুরুষ ও নৰীকে বদ দৃআ দিয়ে ফেললে ! ৰিশৃর বলল, তাই
নাকি ? তাহলে আল্লাহ্র কলম! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে উপনীত হওয়ার আগে এ বড়াহনের
পদী লাগামের একটি পিট থুলব না ৷ এ কথা বলামাত্রই সে তার উটনীর মুখ মদীনা তাভিঘৃখী
করে দিল ৷ পড়াদ্রীও তার উটনীর মুখ যে দিকে ফিরিয়ে ভাইকে বলল, দেখ , আমার বক্তাব্যর
অর্থ বুঝে নাও ৷ আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল যে, আমরা আরবের সেরা অভিজাত বংশ ও
ঐকবদ্ধ গোষ্ঠি হওয়া সত্বেও আমরা তার অনুসারণী হয়ে পেছি, কিৎবা তার ডাকে সাড়া
দিয়েছি, কিৎবড়া আরবের অন্য কেউ করেনি এমন আনৃকুল্য তার প্রতি প্রদর্শন করেছি ৷ এমন
ধারণার শংকত্ত্ব আমার পক্ষ থেকে আরবদের না হয়ে যায় ৷ ৰিশৃর বলল, আল্লাহ্র কসমৰু
তোমার মাথা থেকে যে দৃর্বুদ্ধি রেরিয়েছে তা আমি কোন দিন গ্রহণ করব না ৷ ৰিশৃর এ কথা
বলে পাদ্রীকে পিছনে রেখে তার উটের পেটে পােড়ালীর আঘাত করল এবং এ ছড়া কাটতে
কৰুটতে এগিয়ে চললন্শ্

এরৰুৰু

তোমার পড়ানে এগিয়ে চলছে উদ্রী র্কাপছে তার হাওদা ও তার ৰীবন; গর্ভে রয়েছে তার
বাচচা ; এখন তার ধর্ম খৃস্টধর্মের প্ৰতিকুলে ৷ ”

ৰিশৃর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী সময়ে শহীদ না
হওয়া পর্যন্ত তীর বশ্চেইি অৰিচল থাকেন ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا عِنْدِي فِيهِ شَيْءٌ يَوْمِي هَذَا، فَأَقِيمُوا حَتَّى أُخْبِرَكُمْ بِمَا يَقُولُ اللَّهُ فِي عِيسَى ". فَأَصْبَحَ الْغَدُ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَذِهِ الْآيَةَ " {إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْمُمْتَرِينَ فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ} [آل عمران: 59] " [آلِ عِمْرَانَ: 59 - 61] فَأَبَوْا أَنْ يُقِرُّوا بِذَلِكَ فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ بَعْدَ مَا أَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ، أَقْبَلَ مُشْتَمِلًا عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ فِي خَمِيلٍ لَهُ، وَفَاطِمَةُ تَمْشِي عِنْدَ ظَهْرِهِ لِلْمُلَاعَنَةِ، وَلَهُ يَوْمَئِذٍ عِدَّةُ نِسْوَةٍ، فَقَالَ شُرَحْبِيلُ لِصَاحِبَيْهِ: قَدْ عَلِمْتُمَا أَنَّ الْوَادِيَ إِذَا اجْتَمَعَ أَعْلَاهُ وَأَسْفَلُهُ لَمْ يَرِدُوا وَلَمْ يَصْدُرُوا إِلَّا عَنْ رَأْيِي، وَإِنِّي وَاللَّهِ أَرَى أَمْرًا ثَقِيلًا، وَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ مَلِكَا مُتَقَوِّيًا، فَكُنَّا أَوَّلَ الْعَرَبِ طَعَنَ فِي عَيْنِهِ وَرَدَّ عَلَيْهِ أَمْرَهُ، لَا يَذْهَبُ لَنَا مِنْ صَدْرِهِ وَلَا مِنْ صُدُورِ أَصْحَابِهِ حَتَّى يُصِيبُونَا بِجَائِحَةٍ، وَإِنَّا أَدْنَى الْعَرَبِ مِنْهُمْ جِوَارًا، وَلَئِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ نَبِيًّا مُرْسَلًا فَلَاعَنَّاهُ ; لَا يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِنَّا شَعْرٌ وَلَا ظُفْرٌ إِلَّا هَلَكَ. فَقَالَ لَهُ صَاحِبَاهُ: فَمَا الرَّأْيُ يَا أَبَا مَرْيَمَ؟ فَقَالَ: رَأْيِي أَنَّ أُحَكِّمَهُ فَإِنِّي أَرَى رَجُلًا لَا يَحْكُمُ شَطَطًا أَبَدًا. فَقَالَا لَهُ: أَنْتَ وَذَاكَ. قَالَ: فَتَلَقَّى شُرَحْبِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ خَيْرًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩২

আল-বিদায়া ওয়ান নিঃহায়া ১১১

বর্গনাকা বী বলেন, প্রতিনিধি দল নাজরানে প্রবেশ করে আার রাহিব ইবন আবু শাম্মারা
যুবায়াদীর কাছে পৌছল ৷ গীর্জা চুড়ায় অবস্থুান রড় যাজককে লক্ষ্য করে পাদ্রী বলল, তিহামা’
অঞ্চলে একজন নবী প্রেরিত হয়েছেন ৷ এরপর সে য়রুজককে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে
নাজরানের প্রতিনিধি দলের গমন, নবী করীম (সা) এর তাদের কা ছে ঘুবাহালার প্রভাব ও
তাদের তাতে আীকৃতির আনৃপুর্বিক বর্ণনা দিল এবং বিশ্ব ইবন মুআবিয়ার (মদীনায় গিয়ে
মুসলমান হওয়ার) বিষয় অবহিত করল ৷ যাজক বলল, তোমরা আমাকে নামিয়ে দাও; অন্যথায়
আমি গীজাব এই উচু চুড়া’ থেকে লাফিয়ে পড়ব ৷ তারা তাকে নামিয়ে দিলে যে নিজের সঙ্গে কিছু
হাদিয়ার উপকরণ নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (সা) কাছে গিয়ে উপস্থিত হল ৷ আজকাল খলীফারা যে চাদর
পরিধান করেন তাও ছিল সে হ দিয়াব একটি ৷ আর ছিল একটা বড় থেয়ালা ও একটি লাঠি ৷ যে
কিছু দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে অবস্থান করে ওহী শ্রবণ করে তারপরাদেশে ফিরে যায়া
তখন পর্যন্ত তার ইসলাম গ্রহণের সৌতাগ্য হয়নি ৷ সে পুনরায় ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,
কিন্তু তাও তার ভাগ্যে জুটল না এবং ইতোমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গোল ৷ প্রধান
পাদ্রী আবুল হারিছও রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর দরবারে এসেছিল ৷৩ তার সাথে ছিল আল সায়িাদ, আল
আকিব ও তার ৫৭াত্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা তার কাছে অবস্থান করে আল্লাহর কালাম
শুনল ৷ এ পাদ্রী এবং তার স্থলাভিষিক্ত নাজরানের পরবর্তী পাদ্রীদের জন্য এ সনদ লিখে দেয়া
হল, বিসমিল্লাহির রাহমানিব ৱাহীম ৷



ধ্)গ্ঐ১ :মৌৰু ম্মু ব্লু
ষ্ভোঙে মু ব্লু ণ্শ্র;া৷ মোঃ এএৰু

নবী মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে পাদ্রী আবুল হারিছ ও নাজরানের অন্যান্য পাদ্রীবর্গ,
জ্যোতিষবর্গ, ও যাজকদের জন্য এবং তাদের অধিকারভুক্ত যাবতীয় ৰিষয়াদিব জন্য আল্লাহ ও
তার রাসুলের নিরাপত্তা রইলাে ৷ কোন পাদ্রীকে তার পাদ্রীপদ হতে ,কােন যাজককে তার পদ
থেকে এবং কোন জ্যোতিষকে তার পদ থেকে রদ বদল বা অপসারণ করা হবে না ৷ তাদের
অধিকার ও কতৃ প্ৰতিপত্তি এবং তাদের পুর্বাবস্থার কোন রুপ পরিবর্তন ঘটানো হবে না ৷
যতদিন তারা শৃগ্রলা রক্ষা করে চলবে, কল্যাণকামী থাকবে, জুলুম না করবে ও নিপীড়ন
নির্যাতনে লিপ্ত না হবে ততদিন তাদের জন্য আল্লাহ ও তার বাসুলের নিরাপত্তা থাকবে ৷ লিখক
মুগীরা ইবন শুবা ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, নাজরানেব খৃস্টান প্রতিনিধিদল সত্তুবজন সদস্য
ছিলেন৷ এদের মাঝে নেতৃস্থানীয় ছিল চৌদ্দজন ৷৩ ৩ারা হল: (১) আল আকিব যার নাম ছিল
আবদুল মাসীহ্; (২) আল সায়িব্রদ যার নাম ছিল আল আতহাম (মতা ভরে আল আবহাম);
(৩) আবু হারিছা ইবন আলকামা; (৪) আওস ইবনুল হারিছ; (৫) যায়দ; (৬) কায়স; (৭)
ইয়াযীদ; (৮) নুবায়হ; (৯) থুওয়ায়লিদ; (১০) উমর; (১১) খালিদ; (১২) আবদুল্লাহ; (১৩)
ইয়ানাস; ( ১ : ) আবার এ চৌদ্দজঃনব শীর্ষে ছিণোপ ৩ালোঃ তিনজন ৷ প্রথম আল আকিব ৷

ওেতাে



مُلَاعَنَتِكَ فَقَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " فَقَالَ: حُكْمُكَ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ وَلَيْلَتَكَ إِلَى الصَّبَاحِ، فَمَهْمَا حَكَمْتَ فِينَا فَهُوَ جَائِزٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَعَلَّ وَرَاءَكَ أَحَدٌ يُثَرِّبُ عَلَيْكَ؟ " فَقَالَ شُرَحْبِيلُ: سَلْ صَاحِبَيَّ. فَسَأَلَهُمَا فَقَالَا: مَا يَرِدُ الْوَادِيَ وَلَا يَصْدُرُ إِلَّا عَنْ رَأْيِ شُرَحْبِيلَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَافِرٌ - أَوْ قَالَ: جَاحِدٌ - مُوَفَّقٌ ". فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُلَاعِنْهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ أَتَوْهُ، فَكَتَبَ لَهُمْ هَذَا الْكِتَابَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا كَتَبَ مُحَمَّدٌ النَّبِيُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَجْرَانَ، أَنْ كَانَ عَلَيْهِمْ حُكْمُهُ فِي كُلِّ ثَمَرَةٍ وَكُلِّ صَفْرَاءَ وَبَيْضَاءَ وَرَقِيقٍ، فَأَفْضَلَ عَلَيْهِمْ وَتَرَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَلَى أَلْفَيْ حُلَّةٍ، فِي كُلِّ رَجَبٍ أَلْفُ حُلَّةٍ، وَفِي كُلِّ صَفَرٍ أَلْفُ حُلَّةٍ» . وَذَكَرَ تَمَامَ الشُّرُوطِ إِلَى أَنْ قَالَ: شَهِدَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَغَيْلَانُ بْنُ عَمْرٍو وَمَالِكُ بْنُ عَوْفٍ مِنْ بَنِي نَصْرٍ، وَالْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيُّ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَكَتَبَ، حَتَّى إِذَا قَبَضُوا كِتَابَهُمُ انْصَرَفُوا إِلَى نَجْرَانَ فَتَلَقَّاهُمُ الْأُسْقُفُّ وَوُجُوهُ نَجْرَانَ عَلَى مَسِيرَةِ لَيْلَةٍ مِنْ نَجْرَانَ، وَمَعَ الْأُسْقُفِّ أَخٌ لَهُ مِنْ أُمِّهِ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّهِ مِنَ النَّسَبِ يُقَالُ لَهُ: بِشْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ. وَكُنْيَتُهُ أَبُو عَلْقَمَةَ فَدَفَعَ الْوَفْدُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৩
الْأُسْقُفِّ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَقْرَأُهُ وَأَبُو عَلْقَمَةَ مَعَهُ وَهُمَا يَسِيرَانِ، إِذْ كَبَتْ بِبِشْرٍ نَاقَتُهُ، فَتَعِسَ بِشْرٌ غَيْرَ أَنَّهُ لَا يُكَنِّي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْأُسْقُفُّ عِنْدَ ذَلِكَ: قَدْ وَاللَّهِ تَعَّسْتَ نَبِيًّا مُرْسَلًا. فَقَالَ لَهُ بِشْرٌ: لَا جَرَمَ، وَاللَّهِ لَا أَحُلُّ عَنْهَا عَقْدًا حَتَّى آتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَضَرَبَ وَجْهَ نَاقَتِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةِ، وَثَنَى الْأُسْقُفُّ نَاقَتَهُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: افْهَمْ عَنِّي، إِنِّي إِنَّمَا قُلْتُ هَذَا لِيَبْلُغَ عَنِّي الْعَرَبَ ; مَخَافَةَ أَنْ يَرَوْا أَنَّا أَخَذْنَا حَقَّهُ، أَوْ رَضِينَا نُصْرَتَهُ، أَوْ بَخَعْنَا لِهَذَا الرَّجُلِ بِمَا لَمْ تَبْخَعْ بِهِ الْعَرَبُ، وَنَحْنُ أَعَزُّهُمْ وَأَجْمَعُهُمْ دَارًا. فَقَالَ لَهُ بِشْرٌ: لَا وَاللَّهِ لَا أَقْبَلُ مَا خَرَجَ مِنْ رَأْسِكَ أَبَدًا. فَضَرَبَ بِشْرٌ نَاقَتَهُ وَهُوَ مُوَلٍّ الْأُسْقُفَّ ظَهرَهُ، وَارْتَجَزَ يَقُولُ: إِلَيْكَ تَغْدُو قِلْقًا وَضِينُهَا ... مُعْتَرِضًا فِي بَطْنِهَا جَنِينُهَا مُخَالِفًا دِينَ النَّصَارَى دِينُهَا حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ، وَلَمْ يَزَلْ مَعَهُ حَتَّى قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ: وَدَخَلَ الْوَفْدُ نَجْرَانَ، فَأَتَى الرَّاهِبَ لَيْثَ بْنَ أَبِي شِمْرٍ الزُّبَيْدِيَّ وَهُوَ فِي رَأْسِ صَوْمَعَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: إِنَّ نَبِيًّا بُعِثَ بِتِهَامَةَ. فَذَكَرَ لَهُ مَا كَانَ مِنْ وَفْدِ نَجْرَانَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৪


ইনি হলেন দল নেতা, তাদের মধ্যে সর্বাধিক ধীমান ও প্রধান উপদেষ্টা; যার ফায়সালা তাদের
সকলে এক বড়াকে৷ মেনে নিত ৷ দ্বিতীয় আস সায়িাদ; ৰিপদে-আপদে তাদের আশ্রয়স্থুল ও
বাহন সরবধাহকাৰী ৷ তৃতীয় আবু হারিছা ইবন আলকামা প্রধান পাদ্রী ও শ্রেষ্ঠ বক্তিতৃ ৷ আবু
হারিছা ছিল বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের আরব বংশীয় লোক ৷ কিন্তু খৃস্টধর্ম গ্রহণ করার
কারণে এবং ধর্মে তার অবিচলতা প্রত্যক্ষ করে রোমহুনরা তাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত
করেছিল এবং তীর প্রতি শ্রহ্মার ম্পির্ণষ্াণ্ধ্রন্প তার জন্য গীআ নির্মাণ করে দিয়েছিল ও তাকে
প্রচুর অর্থৰিত্ত দিয়ে তার সার্বিক সেবা-যত্নের ব্যবস্থা করেছিল ৷ খৃস্টবর্মে একান্ত নিষ্ঠা সত্বেও
সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সত্যতা অনুধাবন করেছিল ৷ কিন্তু পদমর্যাদা ও আভিজাত্যের অহংকার
সত্য গ্রহণে তার জন্য অম্ভরড়ায় হয়ে র্দাড়িয়েছিল ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাক থেকে উদ্ধৃত করেছেন বৃরায়দা ইবন সৃফিয়ান (র)
সুত্রে বর্ণনা করেছেন কুবৃবৃ (মতাভরে কুয) ইবন আলকামড়া থেকে বর্ণনা করেন ৷ তবে এ
বর্ণনায় প্রধান ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা চৌদ্দজনের স্থলে চব্বিশজন বলে উল্লেখ রয়েছে ৷

নাজরান থেকে রওনা হলে আবু হারিছা তার একটি খাচচরে আরোহী হল ৷ তার ভাই কুরয ইবন
আলকমো তার পাশে পাশে পথ চলছিল ৷ হঠাৎ আবু হারিছাব খচচর আছাড় থােল কুবৃয বলে
উঠল, “দুরের ল্যেকটি নিপাত যাক !” সে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-কে লক্ষ্য করে এ কথাটি বলেছিল ৷ আবু
হারিছা বলল, বরং তোমারই সর্বনাশ হোক ! কৃবৃয বলল, ভাইজান৷ আপনি তা বলছেন কেন? আবু
হারিছা বলল, “আল্লাহ্র কসম! তিনি অবশ্যই সেই নবী যার প্রতীক্ষায় আমরা দিন গুনজ্জিাম ৷
কুরয তাকে বলল, আপনি যখন বিষয়টি জ্যনেনই, তা হলে আপনার জন্য তীকে মেনে নিতে বাধা
কোথায় ? সে বলল, এ ণ্লাকেরা আমাদের জন্য কত ফীই না করেছে; আমাদের মর্যাদা দিয়েছে,
সম্পদ দিয়েছে ও সব রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে সেবা-বণ্ড্র করেছে আর ৩ার৷ ওার ৰিরোধিতায়
অনড় ৷ এখন আমি ঐরুপ কিছু করলে তারা আমাদের সর্বব ছিনিয়ে নেরে ৷ কুরয তখন তার
মনের কথাটি গোপন রেখে চলে গেল এবং পরে মুসলমান হয়ে গেল ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, মসজিদে নববীতে প্রবেশ করার সময় প্রতিনিধির৷ জাক
জমকপুর্ণ উত্তম রেশ-তুষায় প্রবেশ করেছিল ৷ তখন আসরের সালড়াতের সময় হয়ে গিয়েছিল ৷
তারা পুর্ধমুখী হয়ে সালাত আদায় করতে শুরু করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তাদেরকে বাধা
দিও না ৷ ” পরে তাদের মধ্য হতে আবু হারিছা ইবন আলকামড়া, আস সায়িাদ ও আল আকিব
ঘুখপড়াত্রের দায়িত্ব পালন করল ৷ তখন তাদের সম্পর্কে সুরা আল-ইমরানের প্রথম দিকের
আয়ড়াতসর্মুহ এবং মুবাহালা’ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হল ৷ কিন্তু তারা তাতে রাজি হলো না
এবং তাদের সঙ্গে একজন বিশ্বস্ত লোককে পাঠাবাব আবেদন করলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের
সাথে আবু উবায়দা ইবনৃল জাবৃরাহ্ (রা)কে পড়াঠাদ্ভলন ৷ (যেমন ইতােপুর্বে বুখারী (র)-এর
রিওয়ায়াতে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ (আমার তাফসীর গ্রন্থের সুরা আল-ইমরানে আমি বিষয়টির
আনৃপুর্বিক বর্ণনা দিয়েছি ৷ আল্লাহ্ই যাবতীয় হাম্দ ও অনুকম্পার অধিকারী) ৷






رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ عَرَضَ عَلَيْهِمُ الْمُلَاعَنَةَ فَأَبَوْا، وَأَنَّ بِشْرَ بْنَ مُعَاوِيَةَ دَفَعَ إِلَيْهِ فَأَسْلَمَ، فَقَالَ الرَّاهِبُ: أَنْزِلُونِي وَإِلَّا أَلْقَيْتُ نَفْسِي مِنْ هَذِهِ الصَّوْمَعَةِ. قَالَ: فَأَنْزَلُوهُ فَأَخَذَ مَعَهُ هَدِيَّةً، وَذَهَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا هَذَا الْبَرْدُ الَّذِي يَلْبَسُهُ الْخُلَفَاءُ، وَقَعْبٌ، وَعَصَا، فَأَقَامَ مُدَّةً عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ الْوَحْيَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ، وَلَمْ يُقَدَّرْ لَهُ الْإِسْلَامُ، وَوَعَدَ أَنَّهُ سَيَعُودُ، فَلَمْ يُقَدَّرْ لَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ الْأُسْقُفَّ أَبَا الْحَارِثِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ السَّيِّدُ وَالْعَاقِبُ وَوُجُوهُ قَوْمِهِ، فَأَقَامُوا عِنْدَهُ يَسْمَعُونَ مَا يُنَزِّلُ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَكَتَبَ لِلْأُسْقُفِّ هَذَا الْكِتَابَ وَلِأَسَاقِفَةِ نَجْرَانَ بَعْدَهُ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأُسْقُفِّ أَبِي الْحَارِثِ وَكُلِّ أَسَاقِفَةِ نَجْرَانَ وَكَهَنَتِهِمْ وَرُهْبَانِهِمْ، وَكُلِّ مَا تَحْتَ أَيْدِيهِمْ مِنْ قَلِيلٍ أَوْ كَثِيرٍ، جِوَارُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، لَا يُغَيَّرُ أُسْقُفٌّ مِنْ أُسْقُفَّتِهِ، وَلَا رَاهِبٌ مِنْ رَهْبَانِيَّتِهِ، وَلَا كَاهِنٌ مِنْ كَهَانَتِهِ، وَلَا يُغَيَّرُ حَقٌّ مِنْ حُقُوقِهِمْ وَلَا سُلْطَانِهِمْ، وَلَا مِمَّا كَانُوا عَلَيْهِ، عَلَى ذَلِكَ جِوَارُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ أَبَدًا، مَا نَصَحُوا وَأَصْلَحُوا عَلَيْهِمْ، غَيْرَ مُثْقَلِينَ بِظُلْمٍ وَلَا ظَالِمِينَ " وَكَتَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ وَفْدَ نَصَارَى نَجْرَانَ كَانُوا سِتِّينَ رَاكِبًا، يَرْجِعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৫


হয়ে আক্ষেপে বলতে লাগল, হায় বনু আমির! বিদেশ বিভুয়ে এক সালুলী রমণীর ঘরে উটের
প্লেগে আক্রান্ত হয়ে আমি মরছি !

ইবন হিশাম (র) বলেন, কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে (আমির বলেছিল) উটেৱ টিউমারের
ন্যায় টিউমার ৷ আর সালুলী রমণীর মরে মৃত্যু! হাফিজ বায়হাকী (র)-এব বর্ণনায় যুবায়র ইবন
বাক্কারষুলা ইবন জামীল (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমির ইবনুত তুফায়ল
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে আসলে তিনি তাকে বললেন, আমির! মুসলমান হয়ে যাও ! সে
বলল, এ শর্তে মুসলমান হতে পারি যে, পল্লী এলাকা আমার আর শহর এলাকা তোমার
থাকবে ৷ তিনি বললেন, না (তা হতে পারে না) ৷ পুনরায় বললেন, মুসলমান হয়ে যাও! সে
বলল, এ শর্তে মুসলমান হতে পারি যে, পল্লী আমার, আর শহর তোমার থাকবে ৷

তিনি বললেন, না ৷ সে তখন এ কথা বলতে বলতে চলে গেল আল্লাহ্র কলম ! £হ
মুহাম্মদ ! দ্রুতগামী সুঠাম দেহী অশ্ব বাহিনী ও উদ্ধত উচ্ছল পদাতিক বাহিনী দিয়ে আমি এ
শহর ভরে ফেলব, আর মদীনায় প্রতিটি থের্জুর গাছে একটি করে ঘোড়া র্বীধব ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, ইয়৷ আল্লাহ্ ! আমিরের ব্যাপারে আপনি আমার জন্য যথেষ্ট হোন এবং তার
কওমকে হিদায়াত দান করুন! আমির বেরিয়ে পড়ল এবং মদীনায় নগর প্রান্তে উপনীত হয়ে
সালুলীয়্যা নাষী তার গোত্রের এক নারীর সাক্ষাত পেল ৷ ঘোড়া থেকে নেমে পড়ে ঐ রমণীর
ঘরে রাত কাটালো ৷ পলনালীতে টিউমার দেখা দেয়ায় সে বলুন হাতে নিয়ে লাফ দিয়ে ঘোড়ার
পিঠে উঠে বসল এবং এ কথা বলে বলে চক্কর দিতে লাগল, উটের টিউমার আক্রান্ত!
সালুলীয়ার ঘরে মরণ ! এ অবস্থায়ই তার মৃতদেহ ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেল !

হাফিজ আবু উমর ইবন আবদুল বার (র) তীর আল ইসভীআব গ্রন্থে সাহাবীগণের নামের
তালিকায় উল্লিখিত রাবী মুলা’ (না)-এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে বলেছেন, ইনি হলেন মুলা ইবন
কাহীফ আবৃ-যড়াবাবী আল কিলাবী আল আমিরী, বনু আমির ইবন সাসাআ-এর লোক ৷ তিনি
কুড়ি বছর বয়সে রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং একশ’ বছর
ইসলামী জীবন অতিবাহিত করেন ৷ বাশ্মীতার জন্য তাকে দুই রসনাধারী নামে অভিহিত করা
হত ৷ তার ছেলে আবদুল আষীয তার কাছ থেকে হাদীসের রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমির
ইবনুত তুফায়লের উটের টিউমার আর সালুলিয়ড়ার ঘরে মরণ!’ উক্তিটি তিনিই রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার (র) বলেন, জাম ইয়া (মতান্তরে ফাতিমা) বিনৃত আবদুল
আষীয ইবন ঘুলা ইবন কাহীফ ইবন হামীল ইবন খালিদ ইবন আমৃর ইবন ঘুআবিয়া, ইনি
হলেন আর যুবাব ইবন কিলড়াব ইবন রাবীআ ইবন আমির ইবন সাসাআযুলা (বা) থেকে
বর্ণিত যে, তিনি বিশ বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ডান হাত স্পর্শ করে তার কাছে বায়আত হয়েছিলেন ৷ তিনি
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে তার উট পাল নিয়ে এসে ৰিনৃত লাবুন (তিন বছরের মাদী উট)
দিয়ে উটপালের যাকাত আদায় করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরে আবু হ্বারর! (র!)-এর
সাহচর্যে অবস্থান করেন এবং মুসলমান হওয়ার পরেও একা’ ৰহ্ব ব্জীৰিত ৰ্াৰেন ৷ তার
বাগািতার কারণে তাকে “দুই রসনার্বাৰী ৰ্ল৷ হত ৷


أَمْرُهُمْ إِلَى أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْهُمْ، وَهُمْ الْعَاقِبُ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْمَسِيحِ وَالسَّيِّدُ وَهُوَ الْأَيْهَمُ وَأَبُو حَارِثَةَ بْنُ عَلْقَمَةَ وَأَوْسٌ وَالْحَارِثُ وَزَيْدٌ وَقَيْسٌ وَيَزِيدُ وَنُبَيْهٌ وَخُوَيْلِدٌ وَعَمْرٌو وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ وَيُحَنَّسُ وَأَمْرُ هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةَ عَشَرَ يَئُولُ إِلَى ثَلَاثَةٍ مِنْهُمْ، وَهُمْ ; الْعَاقِبُ وَكَانَ أَمِيرَ الْقَوْمِ وَذَا رَأْيهِمْ وَصَاحِبَ مَشُورَتِهِمْ، وَالَّذِي لَا يَصْدُرُونَ إِلَّا عَنْ رَأْيِهِ وَالسَّيِّدُ وَكَانَ ثِمَالَهُمْ وَصَاحِبَ رَحْلِهِمْ وَأَبُو حَارِثَةَ بْنُ عَلْقَمَةَ وَكَانَ أُسْقُفَّهُمْ وَحَبْرَهُمْ، وَكَانَ رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، وَلَكِنْ دَخَلَ فِي دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَعَظَّمَتْهُ الرُّومُ وَشَرَّفُوهُ، وَبَنَوْا لَهُ الْكَنَائِسَ، وَمَوَّلُوهُ وَأَخْدَمُوهُ ; لِمَا يَعْرِفُونَ مِنْ صَلَابَتِهِ فِي دِينِهِمْ، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ يَعْرِفُ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ صَدَّهُ الشَّرَفُ وَالْجَاهُ عَنِ اتِّبَاعِ الْحَقِّ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ عَنْ كُرْزِ بْنِ عَلْقَمَةَ قَالَ: قَدِمَ وَفْدُ نَصَارَى نَجْرَانَ سِتُّونَ رَاكِبًا، مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ رَجُلًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَالْأَرْبَعَةُ وَالْعِشْرُونَ مِنْهُمْ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ إِلَيْهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৬
يَئُولُ أَمْرُهُمْ ; الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ وَأَبُو حَارِثَةَ أَحَدُ بَنِي بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، أُسْقُفُّهُمْ وَصَاحِبُ مِدْرَاسِهِمْ، وَكَانُوا قَدْ شَرَّفُوهُ فِيهِمْ، وَمَوَّلُوهُ وَأَخْدَمُوهُ وَبَسَطُوا عَلَيْهِ الْكَرَامَاتِ، وَبَنَوْا لَهُ الْكَنَائِسَ ; لِمَا بَلَغَهُمْ عَنْهُ مِنْ عِلْمِهِ وَاجْتِهَادِهِ فِي دِينِهِمْ، فَلَمَّا تَوَجَّهُوا مِنْ نَجْرَانَ جَلَسَ أَبُو حَارِثَةَ عَلَى بَغْلَةٍ لَهُ، وَإِلَى جَنْبِهِ أَخٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ: كُرْزُ بْنُ عَلْقَمَةَ. يُسَايِرُهُ إِذْ عَثَرَتْ بَغْلَةُ أَبِي حَارِثَةَ فَقَالَ كُرْزٌ: تَعِسَ الْأَبْعَدُ. يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ أَبُو حَارِثَةَ: بَلْ أَنْتَ تَعِسْتَ. فَقَالَ لَهُ كُرْزٌ: وَلِمَ يَا أَخِي؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَلنَّبِيُّ الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُهُ. فَقَالَ لَهُ كُرْزٌ: وَمَا يَمْنَعُكَ وَأَنْتَ تَعْلَمُ هَذَا؟ فَقَالَ: مَا صَنَعَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ ; شَرَّفُونَا وَمَوَّلُونَا وَأَخْدَمُونا، وَقَدْ أَبَوْا إِلَّا خِلَافَهُ، وَلَوْ فَعَلْتُ نَزَعُوا مِنَّا كُلَّ مَا تَرَى. قَالَ: فَأَضْمَرَ عَلَيْهَا مِنْهُ أَخُوهُ كُرْزٌ حَتَّى أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ لَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ النَّبَوِيَّ دَخَلُوا فِي تَجَمُّلٍ وَثِيَابٍ حِسَانٍ، وَقَدْ حَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَقَامُوا يُصَلُّونَ إِلَى الْمَشْرِقِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوهُمْ ". فَكَانَ الْمُتَكَلِّمُ لَهُمْ أَبَا حَارِثَةَ بْنَ عَلْقَمَةَ وَالسَّيِّدَ وَالْعَاقِبَ حَتَّى نَزَلَ فِيهِمْ صَدْرُ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ وَالْمُبَاهَلَةُ، فَأَبَوْا ذَلِكَ وَسَأَلُوا أَنْ يُرْسِلَ مَعَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৭


গ্রন্থকারের মন্তব্য : স্পষ্টত আমির ইবনুত তুফায়ল এর ঘটনা ঘটেছিল মক্কা বিজয়ের পুর্বে ৷
যদিও ইবন ইসহড়াক (র) ও বায়হ্যর্কী (র) এরা উভয়েই ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের পরবর্তী
ঘটনারুপে উল্লেখ করেছেন ৷ আমার এ বক্তব্যের সুত্র হল ই(তাপু(র্ব উল্লিখিত হাফিজ বড়ায়হাকী
(র)আনড়াস (রা) থেকে গৃহীত রিওয়ড়ায়াত ৷ যাতে বিবই মাউনার ঘটনা, আমির ইবনৃত
তুফায়ল কর্তৃক আনাস (রা) এর মামা হারাম ইবন মিলহান(ক হত্যা এবং আমিরেব প্রতারণার
শিকার হয়ে আমির ইবন উমইিয়৷ ব্যতীত বিরই মাউনার সাহাবী কা(ফলড়ার সকলেরই
শাহাদাতপ্রাপ্তিব ঘটনা বিবৃত হয়েছে ৷

আওযায়ী (র) বলেন, ইয়ড়াহ্য়ড়া (র) বলেছেন, এরপর থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রিশ দিন যাবত
কজ(রর সালড়াতে আ ড়ামির ইবনৃতত্যুঃ ফায়ল(ক এই বলে বদ দৃ আ করলেন

এোগুঘ্র ণ্ব্লুম্রা
ইয়া আল্লাহ্ ৷ আমির ইবনুত তুফায়লেব ব্যাপারে আমার পক্ষে যথেষ্ট হোন যে (কান
উপায় আপনার মর্ষী হয় ৷ ’

ফলে আল্লাহ তাকে প্লেগে আক্রান্ত করলেন

হন্মোম (র)অ ন্যেন (র) থেকে ইবন মিলহড়ানের ঘটনা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, আনাস
(রা) বলেন, আমির ইবনুত তৃবন্ ৷ য়ল রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর কাছে এসে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব (পশ
করে বলেছিল, এর (কান একটি গ্রহণ কর ৷ এক সমতল ও কৃষি (ক্ষত্রের বড়াসিন্দারা (তামার,
মরু ও পশুচারণ ক্ষেত্রের বড়াসিন্দারড়া আমার থাকবে; দুই (তামার পরে আমি ( তমাব উত্তরসুরী
হব; তিন অন্যথায় পাত্ফান গোত্রের এক হাজার হলুদে-লাল উট ও এক হাজার হলুদে-লড়াল
উটনী নিয়ে (তামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷

বর্ণনাকড়ারী বলেন, এরপরে (স একটি (ময়েলোকের (ডরায় রাত কাটার এবং (সেখানে
(প্লগক্রোত হয়ে) বলতে থাকে, হার! উটের (প্লগ ! আর অমুক গোত্রের (ময়ে মানুষের বাড়িতে
মরণ! আমার ঘোড়ড়াটি নিয়ে এসো ঘোড়া নিয়ে আসা হলে তাতে (স চড়ে বসল এবং তার
পিঠে তার জীবনলীলড়া নাম হলো ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, আমিরের এ দৃর্দশা (দখে তার সাথীরা বিক্ষিপ্ত হয়ে বনু আমির
পােত্রে উপস্থিত হলো ৷ সেখানে পৌছলে গোত্রের লোকেরা এসে বলল, আররাদ ! ওদি(ক খবর
কী? (স বলল, কিছুই না ! আল্লাহর কলম! (লড়াকটি আমাদেরকে এমন কিছুর ইবড়াদত করার
ষ্হ্বান জানাচ্ছিল যে, (লড়াকটি আমার এখানে থাকলে আমার মন তার যে, তীর (মরে (মরে
নৌ লোকণ্টাকে শেষ করে (বলি ৷ এ উক্তি করার একদিন কিৎরা দুই দিন পরে আরবড়াদ
অর একটি উট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সেটি সাথে নিয়ে (বর হল ৷ আল্লাহ্ তার এবং তার
fl! উপরে বজ্রপাত ঘটড়ালেন ৷ ফলে সে এবং তার উটটি ভস্বীভুত হয়ে যায় ৷ ইবন ইসহড়াক
(ৰ্) আরও বলেন, আববড়াদ ইবন কায়স ছিল মায়ের দিক থেকে লড়াবীদ ইবন রাবীআর তাই ৷
শ্গ্ৰীৰু তাই আররাদের মৃত্যুতে লাবীদ (শাকগাথা রচনা করল ৷

মুদ্বু৷ কাউকে (রহইি দেয় না , পুত্র বৎসল পিতাকেও না, আদরেব পুত্রকেও না ৷


أَمِينًا، فَبَعَثَ مَعَهُمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ كَمَا تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [وَفْدُ بَنِي عَامِرٍ وَقِصَّةُ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ وَأَرْبَدَ بْنِ قَيْسٍ] ٍ لَعَنَهُمَا اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ بَنِي عَامِرٍ، فِيهِمْ ;» عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ وَأَرْبَدُ بْنُ قَيْسِ بْنِ جَزْءِ بْنِ خَالِدِ بْنِ جَعْفَرٍ وَجَبَّارُ بْنُ سُلْمَى بْنِ مَالِكِ بْنِ جَعْفَرٍ وَكَانَ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ رُؤَسَاءَ الْقَوْمِ وَشَيَاطِينَهُمْ، وَقَدِمَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ عَدُوُّ اللَّهِ، عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُرِيدُ الْغَدْرَ بِهِ، وَقَدْ قَالَ لَهُ قَوْمُهُ: يَا عَامِرُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْلَمُوا فَأَسْلِمْ. قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ آلَيْتُ أَلَّا أَنْتَهِيَ حَتَّى تَتْبَعَ الْعَرَبُ عَقِبِي، أَفَأَنَا أَتْبَعُ عَقِبَ هَذَا الْفَتَى مِنْ قُرَيْشٍ؟ ! ثُمَّ قَالَ لِأَرْبَدَ: إِنْ قَدِمْنَا عَلَى الرَّجُلِ، فَإِنِّي سَأَشْغَلُ عَنْكَ وَجْهَهُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ فَاعْلُهُ بِالسَّيْفِ. فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَامِرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৮
الطُّفَيْلِ يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: " لَا وَاللَّهِ حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَحْدَهُ ". قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: وَجَعَلَ يُكَلِّمُهُ، وَيَنْتَظِرُ مِنْ أَرْبَدَ مَا كَانَ أَمَرَهُ بِهِ، فَجَعَلَ أَرْبَدُ لَا يُحِيرُ شَيْئًا، فَلَمَّا رَأَى عَامِرٌ مَا يَصْنَعُ أَرْبَدُ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، خَالِنِي. قَالَ: " لَا حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ". فَلَمَّا أَبَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا وَرِجَالًا. فَلَمَّا وَلَّى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ ". فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَامِرٌ لِأَرْبَدَ: أَيْنَ مَا كُنْتُ أَمَرْتُكَ بِهِ، وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ رَجُلٌ أَخْوَفَ عَلَى نَفْسِي مِنْكَ، وَايْمُ اللَّهِ لَا أَخَافُكَ بَعْدَ الْيَوْمِ أَبَدًا. قَالَ: لَا أَبًا لَكَ! لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ، وَاللَّهِ مَا هَمَمْتُ بِالَّذِي أَمَرْتَنِي بِهِ إِلَّا دَخَلْتَ بَيْنِي وَبَيْنَ الرَّجُلِ حَتَّى مَا أَرَى غَيْرَكَ، أَفَأَضْرِبُكَ بِالسَّيْفِ؟ ! وَخَرَجُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ بَعَثَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ الطَّاعُونَ فِي عُنُقِهِ، فَقَتَلَهُ اللَّهُ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ، فَجَعَلَ يَقُولُ: يَا بَنِي عَامِرٍ، أَغُدَّةً كَغُدَّةِ الْبِكْرِ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ؟ ! قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: أَغُدَّةً
পৃষ্ঠা - ৩৭৩৯

আরবাদের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি শঙ্কিত, সিমাক’ ও আসাদ নক্ষাংদ্বভৈয়র কুপ্রভাবে
আমি ভীত নই ৷
ওহে ক্রন্দসী চোখ ! আরবাদের জন্যে তখন তুমি র্কাদলে না কেন যখন আমরা ও
নারীর৷ ভীষণ কষ্টের মধ্যে অবস্থান করছিলাম ?

ওরা হৈ হল্লোড় আর চিৎকার জুড়ে দিলে তাতে আরবাদ কােন পরোয়৷ করে নি; ওরা
সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৷ইতম্ভত করলে আরবাদ যথার্থ সিদ্ধ ৷ন্ত দিয়ে দিতা

এমনিতে সে মিঠে অমায়িক ছিল ৷ ভারত তার সাথে মিশ্রণ ছিল জন্মুগত কটুত্বের ৷

ওহে ক্রন্দসী চোখ ! তখন কেন র্কাদলে না যখন তীব্র হিম প্রবাহ হাতপায়ে ঠক্ঠকানি
এ নে দিয়েছিল ৷

পানিতে ঠাসা ভারী বাদল মওসৃমের শেষ বৃষ্টি যখন এনে দিল ৷

পহীন বট্টনর মা নল সিংহের চেয়ে অধিক বাহাদুর চরম উচ্চল্পিাষ্কষ ৰারব্যের পরীক্ষিত ৷
দৃষ্টি৩ তার সার্বিক বাসন৷ অর্জনে সফল হয় না যে রাতে উত্তম অশ্বদলও ডীরু হয়ে যায় ৷
জুরাদ বনের অনুড়া হরিণীদের ন্যায় মিলাপ মাতমের স্গাতাউ ৷

ভীষণ ৷দৃর্যোগ পুর্ণ দিনে বীর অশ্বারােহীকে আঘাতকারী রজ্র-ৰিদ্যুত আমাকে বথিত করেছে ৷
সেদিন ত্রেন্াধ উনাত্ত দৃর্ধর্ষ যোদ্ধা, ঝাপিয়ে পড়ে বারং বার ৷

অভিজাত কুলীন সভাংনর৷ ৷যতই অধিক হো ক না কনত তাদের পরিণতি স্বল্পতায় পর্যবসিত হয় ৷

ন্থবন্৷ ইনহাক (র) এ ক্ষেত্রে একটি সুদীর্ঘ শ্যেকর্গাথার বিবরণ দিয়েছেন হ্া৷ লাবীণ তার
বৈমাত্রেয় ভাই আরবাদ ইবন কায়সের নৃঙুা(৩ র ৷> ন৷ কশ্নেছিণে৷ ৷ আমরা ত্ক্ষেপ করার
উদ্দেশ্যে নমুনা স্বরুপ স্বল্প পরিমাণ উল্লেখ করে যে বিশাল গাথা ছেড়ে দিচ্ছি ৷ ইবন হিশাম
(র) আরো ৷বলেন যায়দ ইবন আসলাম ইবন আব্বাস (বা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ
পরিপ্রেক্ষিতে ৩আল্লাহ্ পাক আমির ও আরবাদ সম্পর্কে নিম্নের আয়া৩ তসমুহ নাযিল করলেন-



প্রু ণ্শ্’ , ণ্ ) : × ’ ণ্ ষ্ )

ণ্া১১১া৷ লীেন্ন্ত্র ৷ওদ্বু ধ্ছু,দ্রও৷ এও এন্১এ ৷; ন্া;; ন্ৰুৰুা৷



“প্রভ্রু৩ ত্যক নারী যা গর্ভে ধারণ করে এবং ঙারায়ুওে যা ৷ ক ছু কমে ও রা£৬ আল্লাহ্ তা জানেন
এবং তার ৰিধানে প্রতিটি বস্তুরই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ৷আছে ৷ যা অদৃশ্য ও দৃশ৩ামান, তিনি
তা অবগত ; তিনি মহান, সবার উপরে মর্যাদারান ৷ তোমাদের মধ্যে যে কথা গোপন রাখে ও
যে তা প্রকাশ করে, যে রাতে আতাগােপন করে এবং দিনে যে চলাফের৷ করে, তারা
সনানভাৰেই আল্লাহর অবগত ৷ মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে একের পর একজন করে
পাহারাদার থাকে; ও ৷ র৷ অশ্নোহুর গ্রাপেশে তার (অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা)এর) (হকর্চভ্রুভ্র
করে ( ১৩ : ৮ ১ ১ ) ৷ তারপর আররাদের বিষয় উল্লেখ করে তা অপনৃভুদ্রর বর্ঘন:র ত্ম্যল্লহ্
প্ন্ধ ইরশ্ন্ন্ করেন-







كَغُدَّةِ الْإِبِلِ وَمَوْتًا فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ؟ . وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَوَلَةَ، عَنْ أَبِيهَا، عَنْ جَدِّهَا مَوَلَةَ بْنِ جَمِيلٍ قَالَ: أَتَى عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: " يَا عَامِرُ أَسْلِمْ ". فَقَالَ: أُسْلِمُ عَلَى أَنَّ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ؟ قَالَ: " لَا " ثُمَّ قَالَ: " أَسْلِمْ ". فَقَالَ: أُسْلِمُ عَلَى أَنَّ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ؟ قَالَ: " لَا ". فَوَلَّى وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا جُرْدًا وَرِجَالًا مُرْدًا، وَلَأَرْبِطَنَّ بِكُلِّ نَخْلَةٍ فَرَسًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرًا وَاهْدِ قَوْمَهُ ". فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَهْرِ الْمَدِينَةِ صَادَفَ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِهِ، يُقَالُ لَهَا: سَلُولِيَّةٌ. فَنَزَلَ عَنْ فَرَسِهِ، وَنَامَ فِي بَيْتِهَا، فَأَخَذَتْهُ غُدَّةٌ فِي حَلْقِهِ، فَوَثَبَ عَلَى فَرَسِهِ وَأَخَذَ رُمْحَهُ، وَأَقْبَلَ يَجُولُ وَهُوَ يَقُولُ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبِكْرِ، وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ. فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ حَالُهُ حَتَّى سَقَطَ عَنْ فَرَسِهِ مَيِّتًا. وَذَكَرَ الْحَافِظُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي " الِاسْتِيعَابِ " فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ مَوَلَةَ هَذَا، فَقَالَ: هُوَ مَوَلَةُ بْنُ كُثَيْفٍ الضَّبَابِيُّ الْكِلَابِيُّ الْعَامِرِيُّ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، فَأَسْلَمَ وَعَاشَ فِي الْإِسْلَامِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَكَانَ يُدْعَى ذَا اللِّسَانَيْنِ ; مِنْ فَصَاحَتِهِ، رَوَى عَنْهُ ابْنُهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪০
عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَهُوَ الَّذِي رَوَى قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبَعِيرِ وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ. . قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَتْنِي ظَمْيَاءُ بِنْتُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَوَلَةَ بْنِ كُثَيْفِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ خَالِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ الضِّبَابُ بْنُ كِلَابِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، قَالَتْ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَوَلَةَ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَسَحَ يَمِينَهُ، وَسَاقَ إِبِلَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَدَّقَهَا بِنْتَ لَبُونٍ، ثُمَّ صَحِبَ أَبَا هُرَيْرَةَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَاشَ فِي الْإِسْلَامِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَكَانَ يُسَمَّى ذَا اللِّسَانَيْنِ ; مِنْ فَصَاحَتِهِ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّ قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ مُتَقَدِّمَةٌ عَلَى الْفَتْحِ، وَإِنْ كَانَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْبَيْهَقِيُّ قَدْ ذَكَرَاهَا بَعْدَ الْفَتْحِ، وَذَلِكَ لِمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنْبَأَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيَّ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ إِسْحَاقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسٍ فِي قِصَّةِ بِئْرِ مَعُونَةَ وَقَتْلِ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ حَرَامَ بْنَ مِلْحَانَ - خَالَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - وَغَدْرِهِ بِأَصْحَابِ بِئْرِ مَعُونَةَ، حَتَّى قُتِلُوا عَنْ آخِرِهِمْ سِوَى عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪১


“ কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যদি আল্লাহ্ অকল্যাণের ইচ্ছা করেন, তবে তা বদ করার কেউ
(নই এবং তিনি ব্যভী৩ তাদের কোনও অভিভা ৷বক (নই ৷ তিনিইি ওে তামাদের দেখান বিজলী যা

শ্ৎকা ও আশা সঞ্চার করে এবং তিনি সৃষ্টি করেন তা ৷রী যেঘমাল৷ ৷ বজ্রপর্জন ও ফিবিশতারা
সভয়ে তার সপ্রশৎ স মহিম৷ ও পৰিত্রতা ঘোষণা করে এবং তিনি বজ্রপাত করেন এবং যাকে
ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন; তবুও তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়, অথচ তিনি
হলেন মহম্পেক্তি০ স্পিা৷লী (১৩ : ১ ১১৩) ৷”

গ্রন্থকারের কথা৪ আমার তাফসীর গ্রন্থে সুরা রাদ অং শে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার বিশদ
আলোচনা করেছি (আল্লাহ পাকের যেহেরবানী এবং প্রশৎ সা তারই জন্য) ৷ এছাড়া
উপরোল্লিখিভ ইবন হিশামের (র) ছিন্ন সুত্রে বর্ণনার সনদও আমি পেয়েছি ৷ হাফিজ আবুল
কাসিম সুলায়মান ইবন আহমদ তাররার্নী (র)-এর আল ঘুজামুল কাবীর’ গ্রন্থে ৷ তিনি বলেন,
মাসআদ৷ ইবন সাদ আল আত্তার (র)ইবন আব্বাস (যা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
আরবাস ইবন কায়স ইবন জায ইবন খালিদ ইবন জাফর ইবন কিলাব ও আমির ইবনুত
তুফায়ল ইবন মালিক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মদীনায় এল ৷ তারা তার
কাছে পৌছে তার সামনে আসন নিল ৷ তখন আমির ইবনুত তুফায়ল বলল, “আমি ইসলাম
গ্রহণ করলে তুমি আমাকে কী সুযোগ সুবিধা দিয়ে? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, মুসলিম জনতার
যা সুযোগ-সুবিধা ৫তামারও তাই হয়ে ৷

আর তাদের যা দায়িত্-কর্তব্য তোমার উপরেও তাই বর্তাবে’ ৷ আমির বলল, আমি
মুসলমান হয়ে গেলে তোমার পরে ৫নতৃৎ কর্তৃতৃ আমাকে দিতে রাযী আছ কি ? রাসুলুল্লাহ্
বললেন, “তা তোমার জন্য বাতােমার সম্প্রদায়ের জন্য হচ্ছে না; তবে তোমার জন্য রয়েছে
ঘোড়ার লাগান ৷ “সে বলল, তা আমি তো এখনও নাজ্বদ অঞ্চলের ঘোড়ার লাপাম নিয়ন্ত্রণ
করছি; এখন তুমি শহরাঞ্চলের ক৩ ৩ৎ নাও, আর আমাকে পল্লীর সেতৃতৃ দাও !” রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “কখনো না ৷” আমির নবী করীম (সা) এর কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময়
বলল, “আল্লাহর কলম! আমি তোমার বিরুদ্ধে এ মদীনায় ঘোড়নঃওয়ার ও পদাতিক বাহিনী
দিয়ে ভরে ফেলব! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহ্ তেমাকে প্রতিহত করবেন ৷”

আমির ও আররাদ প্রস্থান করার পর আমির আরবাদকে বলল, আ ৷মি কথাচ্ছলে মুহাম্মদকে
তোমার ব্যাপারে অমনােযোপী করে (ফলন, সে সুযােগে৩ তুমি তরবারি দিয়ে তার কাজ সাবাড়
কার দেবে ৷ এতে তুমি মুহাম্মদকে হত্যা করে ফেললেও তার পক্ষের লোকেরা বেশী থেকে
বেশী রক্তপণ গ্রহণে ৷রাযী হয়ে বা যে এবং যুদ্ধ রিঃাহে লিপ্ত হওয়া পসন্দ করবে না ৷ আমরা
সচ্ছন্দে তাদের রক্তপণ দিয়ে দেব ৷ আরবাদ বলল, ঠিক আছে,৩ তাই হবে ৷ এ শল৷ পরামর্শের
পরে তারা দু’ জন আবার তার কাছে ফিরে এল ৷ আমির বলল, হে মুহ্রাম্মদ ! আমার সাথে একটু
এসো! একাকী কিছু কথা বলি ৷ নবী করীম (সা) উঠে তার সাথে দেয়ালের কাছে নির্জনে গিয়ে
র্দড়োলেন এবং কথা বলতে লাগলেন ৷ ওদিকে আরৰাদ তার তরবাবি খাপ যুক্ত করতে চেষ্টিত
হন ৷ কিন্তু তরবারির হাতলে তার হাত অনুভুতি ৩শুন্য হয়ে গোল ৷ আর তাই তরবারি৷ চ ৷লনার
ৰ্প্সত৷ সে হারিয়ে ফেলল ৷ আমির আরবাদের দেরি দেখে অস্থির হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দৃষ্টি ঘোরালেন এবং আরবাদ ও তার কর্মকাণ্ড প্ৰতাক্ষ করে৷ সেখান থেকে ফিরে চলে এলেন ৷


قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: قَالَ يَحْيَى: فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو عَلَى عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ ثَلَاثِينَ صَبَاحًا: «اللَّهُمَّ اكْفِنِي عَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ بِمَا شِئْتَ، وَابْعَثْ عَلَيْهِ مَا يَقْتُلُهُ» . فَبَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِ الطَّاعُونَ. وَرَوَى عَنْ هَمَّامٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسٍ فِي قِصَّةِ حَرَامِ بْنِ مِلْحَانَ قَالَ: وَكَانَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ قَدْ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أُخَيِّرُكَ بَيْنَ ثَلَاثِ خِصَالٍ ; يَكُونُ لَكَ أَهْلُ السَّهْلِ وَيَكُونُ لِي أَهْلُ الْوَبَرِ، وَأَكُونُ خَلِيفَتَكَ مِنْ بَعْدِكَ، أَوْ أَغْزُوكَ بِغَطَفَانَ بِأَلْفِ أَشْقَرَ وَأَلْفِ شَقْرَاءَ؟ . قَالَ: فَطُعِنَ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ فَقَالَ: أَغُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبِكْرِ وَمَوْتٌ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي فُلَانٍ، ائْتُونِي بِفَرَسِي. فَرَكِبَ فَمَاتَ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ أَصْحَابُهُ حِينَ وَارَوْهُ، حَتَّى قَدِمُوا أَرْضَ بَنِي عَامِرٍ شَاتِينَ، فَلَمَّا قَدِمُوا أَتَاهُمْ قَوْمُهُمْ، فَقَالُوا: مَا وَرَاءَكَ يَا أَرْبَدُ؟ قَالَ: لَا شَيْءَ، وَاللَّهِ لَقَدْ دَعَانَا إِلَى عِبَادَةِ شَيْءٍ لَوَدَدْتُ لَوْ أَنَّهُ عِنْدِي الْآنَ، فَأَرْمِيَهُ بِالنَّبْلِ حَتَّى أَقْتُلَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪২
الْآنَ. فَخَرَجَ بَعْدَ مَقَالَتِهِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ مَعَهُ جَمَلٌ لَهُ يَبِيعُهُ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَعَلَى جَمَلِهِ صَاعِقَةً فَأَحْرَقَتْهُمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَرْبَدُ بْنُ قَيْسٍ أَخَا لَبِيدِ بْنِ رَبِيعَةَ لِأُمِّهِ، فَقَالَ لَبِيدٌ يَبْكِي أَرْبَدَ: مَا إِنْ تُعَرِّي الْمَنُونُ مِنْ أَحَدِ ... لَا وَالِدٍ مُشْفِقٍ وَلَا وَلَدِ أَخْشَى عَلَى أَرْبَدَ الْحُتُوفَ وَلَا ... أَرْهَبُ نَوْءَ السِّمَاكِ وَالْأَسَدِ يَا عَيْنُ هَلَّا بَكَيْتِ أَرْبَدَ إِذْ ... قُمْنَا وَقَامَ النِّسَاءُ فِي كَبَدِ إِنْ يَشْغَبُوا لَا يُبَالِ شَغْبَهُمُ ... أَوْ يَقْصِدُوا فِي الْحُكُومِ يَقْتَصِدِ حُلْوٌ كَرِيمٌ وَفِي حَلَاوَتِهِ ... مُرٌّ لَطِيفُ الْأَحْشَاءِ وَالْكَبَدِ وَعَيْنِ هَلَّا بَكَيْتِ أَرْبَدَ إِذْ ... أَلْوَتِ رِيَاحُ الشِّتَاءِ بِالْعَضَدِ فَأَصْبَحَتْ لَاقِحًا مُصَرَّمَةً ... حِينَ تَجَلَّتْ غَوَابِرُ الْمَدَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৩


আরবাদ ও আমিরও বেরিয়ে পড়ল এবং ওয়াকিম নামক হান্:দ্বুরা১ (পাথুরে এলাকায়) পৌছে
সেখানে অবস্থান নিল ৷ সাদ ইবন যুআয ও উসারদ ইবন হযড়ায়র (বা) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে
সেখানে পৌছে বললেন, আল্লাহর দুশমনদ্বয় তোমাদের উপরে আল্লাহ লানত পডুকষ্ উঠে
র্দাড়াও ৷ আমির জিজ্ঞেস করল, সাদ তোমার সঙ্গী এ লোকটি কে? সাদ (রা) বললেন, এ হল
উসায়দ ইবন হুযাররও একাই একশ’ ৷ পরে ওরা দুজন চলে (গল ৷ রাক্ম নামক স্থানে
পৌছলে বজ্রপাতে আরবাদের মৃত্যু ঘটে ৷ আমির হড়াবৃরার থাকাকালে আল্লাহ তার গায়ে
ফৌড়া উঠিয়ে দিলেন ৷ ফৌড়ার বিষ তাকে কাবু করে ফেললে সে সাবুল ণ্গাত্রের এক
মেয়েল্যেকের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হল ৷ সে তার গলার ফৌড়াটিতে হাত বুলাতে
বুলাতে বলতে থাকলণ্শ্ হায় ! অবশেষে উটের টিউমারে পেয়ে বসল, তাও এক সালুলীয়া
রমণীর বাড়িতে ৷

অর্থাৎ এভাবে মরেও সে শান্তি পাচ্ছিল না ৷ তাই সে তার ঘোড়া আনিয়ে তাতে চড়ে বসল
এবং তাকে দ্রুত দৌড়াতে সচেষ্ট হল ৷ মিঃ ফিরতি পথে অরধারিত মৃত্যু তাকে ঘোড়ার
পিঠেই পেয়ে বসল ৷ এ দুজনের ব্যাপারে আল্লাহ্ ,£৷ এও এস্ ও ণ্এস্- ^ৰুত্রষ্ নাযিল করলেন ৷
পরবর্তী আয়াতে আরবাদ ও তার নিধন উপৰজ্জণের উল্লেখ করে ইরশাদ করলেন, এবং তিনি
বজ্রপাত করেন এবং মাঝে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন ৷ এ বর্ণনায় পুর্বোল্লিখিত আমির ও
আরবাদের ঘটনার প্ৰতি ইঙ্গিত রয়েছে ৷ কেননা, এতে সাদ ইবন যুআয (রা)-এর আলোচনা
বিদ্যমান (আল্লাহ্ই সম্যক অবগত) ৷

তুফায়ল ইবন আমির আদু-দাওসী (বা)-এর মক্কায় প্রতিনিধিরুপে আগমন ও ইসলাম
গ্রহণের কথা ইতােপুর্বে বিবৃত হয়েছে এবং প্রসঙ্গত সেখানে তার চোখের সামনে আল্লাহ্ প্রদত্ত
আলোকবর্তিকা এবং আল্লাহর কাছে তার দৃআ করার পরে তা তার লাঠি প্রান্তে স্থানান্তরিত
হওয়ার কথাও আলোচিত হয়েছে ৷ সেখানেই বিশদ বর্ণনা রয়েছে বিধায় এখানে প্রতিধিনি
তালিকায় তার পুনরুল্লেখের প্রয়োজন দেখছি না ৷ যেমনটি বায়হাকী (র) প্রমুখ করেছেন ৷

কওমের প্রতিনিধি হয়ে যিমাম ইবন ছালাবা-এর আগমন

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবনুল ওলীদ (র)ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন, সাদ ইবন বকর গোত্র যিমাম ইবন ছালাব৷ (না)-কে তাদের
প্রতিনিধিরুপে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ণ্খদমতে পাঠাল ৷ তিনি এসে মসজিদের দরজার তার
উটটি বসালেন ৷ পরে সেটিকে বেধে রেখে মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার
সাহাবীদের নিয়ে বসা ছিলেন ৷ যিমাম ছিলেন একজন সুঠামদেহী পুরুষ ৷ তার ফ্রা’ মাথার
ভতি দুটি বেনী ছিল ৷ তিনি এগিয়ে গিয়ে সাহারা পরিবেষ্টিত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে
দাড়িয়ে বললেন, তােমাদের মাঝে আবদুল মুত্তালিব-এর বংশধর কে? রাসুলুল্পাহ্ (সা)
বললেন, এ্যা ১-ষ্ণ্ণ্ :-১ শ্নো “আমিই আবদুল যুত্তালিবের বংশধর ৷ তিনি বললেন, হে
মুহাম্মদ ! নবী করীম (সা ) বললেন, বল ! তিনি বললেন, হে আবদুল মুত্তালিৰের বংশধর ! আমি



১ হাবৃর৷ (ও > ) মরুভুমির মাঝে মধ্যে কাল ভাঙ্গাচােরা কৎকরমরতুমি ৷ যার ৰুহ্শ্নোন্ম মনে হয় যেন
আগুনে কলসানাে ৷


أَشْجَعُ مِنْ لَيْثِ غَابَةٍ لَحِمٍ ذُو نَهْمَةٍ فِي الْعُلَا وَمُنْتَقَدِ ... لَمْ تَبْلُغِ الْعَيْنُ كُلَّ نَهْمَتِهَا لَيْلَةَ تُمْسِي الْجِيَادُ كَالْقِدَدِ ... الْبَاعِثُ النَّوْحَ فِي مَآتِمِهِ مِثْلَ الظِّبَاءِ الْأَبْكَارِ بِالْجَرَدِ ... فَجَّعَنِي الْبَرْقُ وَالصَّوَاعِقُ بِالْ فَارِسِ يَوْمَ الْكَرِيهَةِ النَّجِدِ ... الْحَارِبِ الْجَابِرِ الْحَرِيبِ إِذَا جَاءَ نَكِيبًا وَإِنْ يَعُدْ يَعُدِ ... يَعْفُو عَلَى الْجَهْدِ وَالسُّؤَالِ كَمَا يَنْبُتُ غَيْثُ الرَّبِيعِ ذِي الرَّصَدِ ... كُلُّ بَنِي حُرَّةٍ مَصِيرُهُمُ قُلٌّ وَإِنْ أَكْثَرُوا مِنَ الْعَدَدِ ... إِنْ يُغْبَطُوا يُهْبَطُوا وَإِنْ أَمِرُوا يَوْمًا يَصِيرُوا لِلْهلَاكِ وَالنَّقَدِ وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ لَبِيدٍ أَشْعَارًا كَثِيرَةً فِي رِثَاءِ أَخِيهِ لِأُمِّهِ أَرْبَدَ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৪
بْنِ قَيْسٍ تَرَكْنَاهَا اخْتِصَارًا وَاكْتِفَاءً بِمَا أَوْرَدْنَاهُ، وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ لِلصَّوَابِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَذَكَرَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي عَامِرٍ وَأَرْبَدَ: {اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِمِقْدَارٍ - عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْكَبِيرُ الْمُتَعَالِ - سَوَاءٌ مِنْكُمْ مَنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَنْ جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ - لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: 8 - 11] (الرَّعْدِ: 8 - 11) . يَعْنِي مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ أَرْبَدَ وَقَتْلَهُ، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَالٍ - هُوَ الَّذِي يُرِيكُمُ الْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنْشِئُ السَّحَابَ الثِّقَالَ - وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَنْ يَشَاءُ وَهُمْ يُجَادِلُونَ فِي اللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ الْمِحَالِ} [الرعد: 11 - 13] [الرَّعْدِ: 11 - 13] . قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ فِي سُورَةِ " الرَّعْدِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَقَدْ وَقَعَ لَنَا إِسْنَادُ مَا عَلَّقَهُ ابْنُ هِشَامٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَرَوَيْنَا مِنْ طَرِيقِ الْحَافِظِ أَبِي الْقَاسِمِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَحْمَدَ الطَّبَرَانِيِّ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ " حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا مَسْعَدَةُ بْنُ سَعْدٍ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৫


আপনাকে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞেস করলো এবং আমার জিজ্ঞাসার ভাষা হবে কঠোর ৷ এতে আপনি
কিছু মনে করবেন না ৷ নবী কবীর (সা) বললেন, শ্ব “না, আমি
কিছু মনে করবো না ৷ তোমার যা মনে তার জিজ্ঞেস করতে পার ৷” তিনি বললেন, আপনার
উপাস্য ও আপনার পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের উপাস্যের নামে দোহাই দিয়ে আমি আপনাকে
জিজ্ঞেস করছি“ আল্লাহ্ই কি আপনাকে আমাদের রাসুল করে পাঠিয়েছেন ? নবী কবীম (সা)
বললেন, “আল্লাহ্র কলম ! তাই ঠিক! যিমাম বললেন, আপনার ও আপনার ও আপনার
পুর্ববর্তী এবং পরবভীদৈর উপস্যে আল্পাহ্র নামে দোহাই দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে
আমাদের এ নির্দেশ প্রদানের হুকুম করেছেন যে, আমরা যেন এককভারে র্তারই ইবাদত করি
ও র্তার সাথে কােন কিছু শরীক না করি এবং আমাদের পুর্বপুরুষের উপাষ্য এ অংশীদারদের
বর্জন করি ? নবী করীম (সা) বললেনশ্ণ্-ন্ণ্

আল্লাহ্র নামে বলছি, ভু৷ তাই ৷ যিমাম বললেন, আপনার পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের উপড়াস্য
আল্লাহ্র নামে দোহাই দিয়ে বলছি ৷ আল্লাহ্ই কি আপনাকে হুকুম দিয়েছেন, যেন আমরা এ
পাচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করি? নবী করীম (সা) বললেন, হী ৷ বনািকড়ারী বলেন, তারপর
যিমাম (বা) ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় বিষয়াবলী তথা যাকাত, সিয়াম, হজ্জ ইত্যাদি এবং
ইসলামী শবীআতের অন্যান্য জরুরী বিষয় এক একটি করে উল্লেখ করে পুরন্থিরুপ দোহাই
দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকলেন ৷ অবশেষে তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র
আল্লাহ্ ব্যতিয়েকে আর কোন ইলাহ্ নেই, আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহ্র
রাসুল ৷ আমি এ সব ফরয পালন করে বার এবং আপনি যা যা নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে
বিরত থাকর ৷ আর এতে কোন প্রকার ঘাটতি বাড়তি করব না ৷

তারপর ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তার উটের কাছে গেলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
রাসুলুলাহ্ (সা) তখন বললেন, গ্লুা১এ৷ এশু১ স্পো ঙু১ এ-এে ) “দুই £বনীধারী যদি সত্য
কথা বলে থাকে তবে সে জান্নড়াতে যাবে ৷” বর্ণনাকাবী বলেন, যিমাম তার উটের কাছে এসে
তার বাধন খুললেন এবং স্বদেশ অভিমুখে পথে বেরিয়ে পড়লেন ৷ স্বগােত্রে পৌছলে লোকেরা
তীর কাছে সমবেত হল ৷ কওমের সামনে এ সময় ণ্ভীব প্রথম উক্তি ছিল “লাভ ও উয্মা
প্রতিমা কতই না নিকৃষ্ট ! লোকেরা বলল, আহা যিমাম ! রাখ ! তোমার কি শ্বেতী ও কুষ্ঠ রোগের
তর নেই, তোমার কি উন্মাদ হয়ে যাওয়ার তর নেই! যিমাম বললেন, তোমাদের সর্বনাশ
হোক ! ও দুটি আল্লাহ্র কলম ৷ ওরা কোন অনিষ্ট করতে পারে না, কোন কল্যাণও বয়ে
আনতে পারে না ৷ আল্লাহ্র একজন রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তার কাছে কিতাব নাযিল
করেছেন; যা দিয়ে তিনি তোমাদের দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে চান ৷

আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, একমাত্র আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই মার কোন
শরীক নেই; আর মুহাম্মদ (সা) তীর বান্দা ও রাসুল ৷ এখন আমি তীর কাছ থেকে তোমাদের
জন্য র্তার আদেশ ও নিযেধের বার্তা দিয়ে এসেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ্র কলম ! সেদিন
সদ্যা নাগাদ জনপদের লোকদের মাঝে এমন কোন পুরুষ কিংবা নাৰী রইল না, যে ইসলাম
গ্রহণ কারনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, ইবন আব্বাস (বা) ৰ্লক্রো আিম ইবন হালাবা (রা ) এর
ষ্ইিতে শ্রেষ্ঠ কোন গোত্রীয় প্রতিনিধির কণা জ্জাষ্ৰ্ত্ন র্দী


أَبِيهِمَا، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَرْبَدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ جَزْءِ بْنِ خَالِدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابٍ وَعَامِرَ بْنَ الطُّفَيْلِ بْنِ مَالِكٍ قَدِمَا الْمَدِينَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْتَهَيَا إِلَيْهِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَجَلَسَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ: يَا مُحَمَّدُ، مَا تَجْعَلُ لِي إِنْ أَسْلَمْتُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَكَ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْكَ مَا عَلَيْهِمْ ". قَالَ عَامِرٌ: أَتَجْعَلُ لِيَ الْأَمْرَ إِنْ أَسْلَمْتُ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ ذَلِكَ لَكَ وَلَا لِقَوْمِكَ وَلَكِنْ لَكَ أَعِنَّةُ الْخَيْلِ ". قَالَ: أَنَا الْآنَ فِي أَعِنَّةِ خَيْلِ نَجْدٍ، اجْعَلْ لِي الْوَبَرَ وَلَكَ الْمَدَرَ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا "، فَلَمَّا قَفَا مِنْ عِنْدِهِ، قَالَ عَامِرٌ: أَمَا وَاللَّهِ لَأَمْلَأَنَّهَا عَلَيْكَ خَيْلًا وَرِجَالًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَمْنَعُكَ اللَّهُ ". فَلَمَّا خَرَجَ أَرْبَدُ وَعَامِرٌ قَالَ عَامِرٌ: يَا أَرْبَدُ أَنَا أَشْغَلُ عَنْكَ مُحَمَّدًا بِالْحَدِيثِ، فَاضْرِبْهُ بِالسَّيْفِ فَإِنَّ النَّاسَ إِذَا قَتَلْتَ مُحَمَّدًا لَمْ يَزِيدُوا عَلَى أَنْ يَرْضُوا بِالدِّيَةِ، وَيَكْرَهُوا الْحَرْبَ، فَسَنُعْطِيهِمُ الدِّيَةَ. قَالَ أَرْبَدُ: أَفْعَلُ. فَأَقْبَلَا رَاجِعَيْنِ إِلَيْهِ، فَقَالَ عَامِرٌ: يَا مُحَمَّدُ، قُمْ مَعِي أُكَلِّمْكَ. فَقَامَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَلَّيَا إِلَى الْجِدَارِ، وَوَقَفَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَلِّمُهُ، وَسَلَّ أَرْبَدُ السَّيْفَ، فَلَمَّا وَضَعَ يَدَهُ عَلَى السَّيْفِ، يَبِسَتْ يَدُهُ عَلَى قَائِمِ السَّيْفِ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ سَلَّ السَّيْفِ، فَأَبْطَأَ أَرْبَدُ عَلَى عَامِرٍ بِالضَّرْبِ، فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى أَرْبَدَ وَمَا يَصْنَعُ، فَانْصَرَفَ عَنْهُمَا، فَلَمَّا خَرَجَ أَرْبَدُ وَعَامِرٌ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَا بِالْحَرَّةِ، حَرَّةِ وَاقِمٍ، نَزَلَا، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا سَعْدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৬
مُعَاذٍ وَأُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ فَقَالَا: اشْخَصَا يَا عَدُوَّيِ اللَّهِ، لَعَنَكَمَا اللَّهُ. فَقَالَ عَامِرٌ: مَنْ هَذَا يَا سَعْدُ؟ قَالَ: أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرِ الْكَتَائِبِ. فَخَرَجَا حَتَّى إِذَا كَانَا بِالرَّقَمِ أَرْسَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى أَرْبَدَ صَاعِقَةً فَقَتَلَتْهُ، وَخَرَجَ عَامِرٌ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْخُرَيْمِ، أَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ قُرْحَةً فَأَخَذَتْهُ، فَأَدْرَكَهُ اللَّيْلُ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي سَلُولٍ، فَجَعَلَ يَمَسُّ قُرْحَتَهُ فِي حَلْقِهِ وَيَقُولُ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْجَمَلِ فِي بَيْتِ سَلُولِيَّةٍ! يَرْغَبُ عَنْ أَنْ يَمُوتَ فِي بَيْتِهَا، ثُمَّ رَكِبَ فَرَسَهُ فَأَحْضَرَهَا حَتَّى مَاتَ عَلَيْهَا رَاجِعًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمَا {اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ} [الرعد: 8] إِلَى قَوْلِهِ: {وَمَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَالٍ} [الرعد: 11] قَالَ: الْمُعَقِّبَاتُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ يَحْفَظُونَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ أَرْبَدَ وَمَا قَتَلَهُ بِهِ فَقَالَ: {وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَنْ يَشَاءُ} [الرعد: 13] الْآيَةَ. . وَفِي هَذَا السِّيَاقِ دَلَالَةٌ عَلَى تَقَدُّمِ قِصَّةِ عَامِرٍ وَأَرْبَدَ وَذَلِكَ لِذِكْرِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ وُفُودُ الطُّفَيْلِ بْنِ عَامِرٍ الدَّوْسِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৭

ইমাম আহমদ (র) ও ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম আর যুহরী (র)ইবন ইসহাক থেকে
অনুরুপ ব্রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ্ এ হাদীছব্রিওয়য়োভ করেছেন সালামা ইবনুল ফাঘৃল
থেকে, তিনি মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ ৷ এ
বর্ণনা অবশ প্রমাণ করে যে যিমাম (রা) মক্কা বিজয়ের আগেই তার কওমের কাছে ফিরে
গিয়েছিলেন ৷ কেননা, উঘৃযা ৰিগ্রহটিকে মক্কা বিজয়ের সময়ই খালিদ ইবন ওলীদ (রা)
মিলমার করে দিয়েছিলেন ৷

ওয়াকিদী (র) বলেছেন, আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সাবৃরা (ব) ইবন আব্বাস
(রা) থেকে কনাি করেন, তিনি বলেন, বনু সাদ ইবন বকর গোত্র পঞ্চম হিজরীর রজব মাসে
সুঠামদেহী, দুই রেনীধারী যিমাম ইবন ছালাবা (রা) কে প্রতিনিধি বানিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর দরবারে পাঠাল ৷ যিমাম এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সামনে দাড়িয়ে তাকে বিজ্যি প্রশ্ন
করলেন এবং প্রশ্ন করতে তিনি কঠোর তার ও কর্কশ তারা অবলম্বন করলেন ৷ তার প্রশ্নের
বিষয় ছিলপ্শ্ কে জকে রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছে? কি দিয়ে পাঠিয়েছে? এবং ইসলামী
শরীআণ্ডে র জকরী বিষয়গুলো কী কী? রাসুলুল্লাহ্ (না) তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন ৷ তিনি
মুসলমান হয়ে স্বগোত্রে ফিরে ণ্গলেন ৷ তখন (তা তিনি সম্পুর্ণভাবে শিরক ও অ ংশীৰাদ
নিযুক্ত ৷ তিনি তার কওমের লোকদেরকে তাদের জন্য আদিষ্ট ও নিষিদ্ধ বিষয়ে অবগত
করলেন ৷ ফলে সল্যা নেমে আসা পর্যন্ত ঐ জনপদে ইসলাম কবুল করেনি এমন একটি পুরুষ
বা একটি নড়ারীও অবশিষ্ট রইল না ৷ তারা তখন মসজিদ নিমণি করল এবং আমান দিয়ে তাতে
সালড়াত আদায় করল ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাশিম ইবনুল কাসিয় (র)আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে কােন বিষয় জিজ্ঞেস করা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা
হয়েছিল ৷ তাই কোন বুদ্ধিদীপ্ত রেদুঈন এসে তাকে কোন বিনয় জিজ্ঞেস করলে আমরা তাতে
আনন্দিত হতাম ৷ কেননা, তাতে দীনের প্রয়োজনীয় কিছু দে ৷নাের আমাদের সুযোগ হত ৷
একবার এক রেদুঈন এসে তাকে বলল, হে মুহাম্মদ ৷ আপনার দুত আমাদের কাছে গিয়ে
বলেছে যে, আপনি দাবী করে থাকেন যে, আল্লাহ্ আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন ৷ নবী
করীয় (সা) বললেন, যে যথার্থটি বল্যেছ ৷ ল্যেকটি বলল, তা হলে আকড়াশসমুহ কে সৃষ্টি
করেছে? তিনি বললেন, আল্লাহ ৷ লোকটি বলল, তা হলে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কে ? তিনি
বললেন, আল্লাহ ৷ লেড়াকটি বলল, তা হলে এই পর্বতমালা দাড় করিয়ে দিয়ে তাতে কত কি
সৃষ্টি করেছে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ ৷ লেড়াকটি বলল, তা হলে আসমানের স্রষ্টা ও যঘীনেব
স্রষ্টা ও পর্বতমালা স্থাপনকড়ারী সত্তার কলম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই আপনাকে রাসুল করে
পাঠিয়েছেন কি ? তিনি বললেন, ইড়া ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত একথাও বলেছে যে, দিন
রাতে আমাদের পাচরার সালাত আদায় করতে হবে ৷ তিনি বললেন, হী ৷ য়থাংইি বলেছে ৷
ল্যেকটি বলল, তা হলে যিনি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, তার কলম ! আল্লাহ্ই কি
আপনাকে এরুপ নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হী ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত বলেছে
যে, আমাদের বনসম্পদে আমাদের যাকাত আদায় করতে হবে ৷ তিনি বললেন, য়থার্থই
বলেছে ৷ ল্যেকটি বলল, তা হলে যিনি আপনাকে রাসুল বড়ানিয়েছেন তার কন্যা ! সে আল্লাহ্ই
কি আপনাকে এ বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হী ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত


عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ وَإِسْلَامُهُ، وَكَيْفَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ نُورًا بَيْنَ عَيْنَيْهِ، ثُمَّ سَأَلَ اللَّهَ فَحَوَّلَهُ لَهُ إِلَى طَرَفِ سَوْطِهِ وَبَسَطْنَا ذَلِكَ هُنَالِكَ، فَلَا حَاجَةَ إِلَى إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، كَمَا صَنَعَ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ. [قُدُومُ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَافِدًا عَلَى قَوْمِهِ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ] ٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَعَثَتْ بَنُو سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَدِمَ إِلَيْهِ وَأَنَاخَ بَعِيرَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ عَلَّقَهُ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ وَكَانَ ضِمَامٌ رَجُلًا جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ، فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَيُّكُمُ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ". فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ. قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنِّي سَائِلُكَ وَمُغَلِّظٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ، فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ. قَالَ: " لَا أَجِدُ فِي نَفْسِي، فَسَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ ". فَقَالَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ، آللَّهُ بَعَثَكَ إِلَيْنَا رَسُولًا؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৮


আরও বলেছে যে, বছরে এক মাস আমাদের সিয়াম পালন করতে হবে ৷ তিনি বললেন, যে
বথাইে বলেছে ৷ লােকটি বলল, যিনি আপনাকে রাসুল বড়ানিয়েছেন তার শপথ ! সে আল্লাহ্ই
কি আপনাকে এ বিষয় নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হা ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত এ
কথাও বলেছে যে, আমাদের মাঝে যারা আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌছার ব্যাপারে সুস্থ সমর্থ,
তা সে র ২ড্ডা সস্পাম্পে করতে হবে ৷ তিনি বললেন, মথার্থাং বলেছে ৷ বর্ণনাকায়ী বলেন, এর
পরে সােকটি চলে গেল এবং এ কথা বলে পেল, “যিনি আপনাকে রাসুল বানিয়েছেন, তার
কন্যা! এ সব বিষয়ের উপরে কিছু বাড়াবও না, এ থেকে কিছু কমাবােও না ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, “ সে যদি যথার্থ বলে থাকে, তার অবশ্যই যে জান্নশ্বতে যাবে ৷ ” আনাস ইবন মালিক
(রা) থেকে একাধিক সনদে ও শব্দের তারতম্যসহ বিশদ বর্ণনাযুক্ত হয়ে এ হড়াদীছখানা সহীহ্
গ্রন্থদ্বয় বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ মুসলিম (র) হাদীছখানি
উল্লিখিত আবুন নাবর হাশিম ইবন কাসিমসনভ্রুদই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র) এ
সনদে (অনুচ্ছেদ শিরেন্যেম) রুপে উল্লেখ্য করেছেন এবং অন্য একটি সনন্দে পুৰ্বানুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (ব) বলেছেন, হাজ্জাজ (র) আমির থেকে বংনাি করেন যে, তিনি জানান
ইবন মালিক (রা) কে বলতে বলেছেন আমরা মসজিদ (নববীতে) রাসুলুল্পাহ (না)-এর কাছে
উপবিষ্ট ছিলাম ৷ তখন উটের পিঠে আরোহী এক ব্যক্তি এসে তীর উটটি মসজিদের আঙিনায়
বেধে রেখে এগিয়ে এসে বলল, £তা“মাদের মাঝে মুহাম্মদ কে ?’ রাসুলুল্লাহ (সা)-সাহাবীদেব
মধ্যে হেলান দিয়ে বলা অবস্থার ছিলেন ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা বললাম,হেলান দিয়ে
বলা এই কর্সা ব্যক্তি’ল্যেকটি বলল, হে আবদুল মুত্তালিব পুত্র, রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
এই যে আমি, বল! ল্যেকটি বলল, £হ মুহাম্মদ! আমি তোমাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করব ৷
আমার জিজ্ঞাসার ধরন কঠোর হবে ৷ তাতে কিন্তু তুমি মনে মনে আমার উপর রেগে যেয়াে না ৷
নবী করীম (সা) বললেন, তোমার যা মনে আসে জিজ্ঞেস করতে পার ৷ ল্যেকটি বলল,
(তামার প্রতিপালক এবং তোমার পুর্ববভীদৈর প্ৰতিপালকের নামে আমি তোমাকে জিজ্ঞেসা
করছি আল্লাহ-ই তোমাকে বিশ্ব মানবের রাসুল রুপে পাঠিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ণ্শুন্শ্রা
ণ্শ্ও আল্লাহ্ সড়াক্ষী হী ! ল্যেকটি বলল, তা হলে আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাকে বলছি, বছরের
এ মাসটিতে আমাদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ আল্লাহ-ই তোমাকে দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্
(সা ) বললেন ণ্শুও ণ্ন্ৰুগ্রা ইা৷ আল্লাহর নামে বলছি হ্ ল্যেকটি বলল, আপনার নিয়ে আসা
বিষয়াবলীর প্ৰতি আমি বিশ্বাস স্থাপন করছি ৷ আর আমি আমার সম্প্রদায়ের তন্নে সকলের
দুত ৷ আমর নাম যিমাম ইবন ছালবাে বনু সাদ ইবন বকর গোত্রের প্রতিনিধি ৷ বুখারী, আবু
দাউদ, নাসাঈ , ইববু মাজা প্রমুখ ইমামপণও বিভিন্ন সনদে হাদীসখানা রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷

যিমাদ আল আবদীর প্রতিনিধি রুপে আগমন

হিজরড়াতেব পুর্বে যিমাদ (ইবন ছালবো) আল আবদী (রা)১ মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
দরবারে এসেছিলেন ৷ প্রতিনিধি রুপে তার যে আগমন এবং তীর নিজের ও র্তার সম্প্রদায়ের





১ ইবনু হিশামের বর্ণনার যিমাম ইবন ছালাবড়া আস নাদী (রঙ ) :

ধ্া৷

بَعْدَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنَّ تَأْمُرَنَا أَنْ نَعْبُدَهُ وَحْدَهُ، وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا، وَأَنْ نَخْلَعَ هَذِهِ الْأَنْدَادَ الَّتِي كَانَ آبَاؤُنَا يَعْبُدُونَ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: ثُمَّ جَعَلَ يَذْكُرُ فَرَائِضَ الْإِسْلَامِ فَرِيضَةً فَرِيضَةً ; الزَّكَاةَ، وَالصِّيَامَ، وَالْحَجَّ، وَشَرَائِعَ الْإِسْلَامِ كُلَّهَا، يَنْشُدُهُ عِنْدَ كُلِّ فَرِيضَةٍ مِنْهَا، كَمَا يَنْشُدُهُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا، حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَالَ: فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَسَأُؤَدِّي هَذِهِ الْفَرَائِضَ، وَأَجْتَنِبُ مَا نَهَيْتَنِي عَنْهُ، ثُمَّ لَا أَزِيدُ وَلَا أَنْقُصُ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرِهِ رَاجِعًا. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ صَدَقَ ذُو الْعَقِيصَتَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ". قَالَ: فَأَتَى بَعِيرَهُ فَأَطْلَقَ عِقَالَهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ، فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ: بِئْسَتِ اللَّاتُ وَالْعُزَّى. فَقَالُوا: مَهْ يَا ضِمَامُ اتَّقِ الْبَرَصَ، اتَّقِ الْجُذَامَ، اتَّقِ الْجُنُونَ. فَقَالَ: وَيْلَكُمْ، إِنَّهُمَا وَاللَّهِ لَا يَضُرَّانِ وَلَا يَنْفَعَانِ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ رَسُولًا، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا اسْتَنْقَذَكُمْ بِهِ مِمَّا كُنْتُمْ فِيهِ، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَقَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِهِ بِمَا أَمَرَكُمْ بِهِ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا أَمْسَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَفِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৯
قَالَ: يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَمَا سَمِعْنَا بِوَافِدِ قَوْمٍ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فَذَكَرَهُ، وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ سَلَمَةَ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. وَفِي هَذَا السِّيَاقِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ قَبْلَ الْفَتْحِ ; لِأَنَّ الْعُزَّى خَرَّبَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَيَّامَ الْفَتْحِ. وَقَدْ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَعَثَتْ بَنُو سَعْدِ بْنُ بَكْرٍ فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ وَكَانَ جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ، وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فَأَغْلَظَ فِي الْمَسْأَلَةِ ; سَأَلَهُ عَمَّنْ أَرْسَلَهُ، وَبِمَا أَرْسَلَهُ، وَسَأَلَهُ عَنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ، فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ، فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ مُسْلِمًا قَدْ خَلَعَ الْأَنْدَادَ، فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا أَمَرَهُمْ بِهِ وَنَهَاهُمْ عَنْهُ، فَمَا أَمْسَى فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ فِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا، وَبَنَوُا الْمَسَاجِدَ وَأَذَّنُوا بِالصَّلَاةِ. . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ ثنا سُلَيْمَانُ - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنَّا نُهِينَا أَنْ نَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ، فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ الْعَاقِلُ، فَيَسْأَلُهُ وَنَحْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৫০
১২২ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহড়াৰুইান্ামোঃন্তে
ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কিত বিবরণ আমরা ইতােপুর্বে ইমাম আহমাদ (র) এর বরাতে ইয়াহ্য়া
ইবন আদম (র)ইবনু আব্বাস (রা)-এর বর্ণিত হাদীসসহ বিন্তুতভারেপেশ করে এসেছি ৷
তইি এখানে তার পুনরুল্লেখ প্রয়োজনীয় মনে করছি না ৷ (আল্লাহ্রই জন্য সব হড়ামৃদ ও তারই
সব অনুকম্পা ! ) ৷

তায়’ গোত্রের প্রতিনিধি রুপে নারদ আল-থারন (না)-এর আগমন

ইবনু ইসহন্ক (র) বলেন, তার গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে আগমন
করল ৷ দলের সর্দার যায়দ আলু থারল ও সে প্রতিনিধি দলে ছিনুেন ৷ নবী কয়ীম (না)-এর
কাছে এসে তারা তার সাথে আলাপ আলোচনা করল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের ইসলাম গ্রহণের
আহ্বান জানালে র্তারা মুসলমান হয়ে গেলেন এবং নিষ্ঠাবান মুসলমান হিসাবে জীবন যাপন
করেন ৷ যায়দ আল থায়ল সম্পর্কে রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছিলেন, তায়’ গোত্রের ৰিশ্বস্ত নন এমন
লোকদের কেউ কেউ আমাকে হাদীছ ওনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেছেন-

এন্াক্ট্র এেগ্রষ্
“আরবের যে সব লোকের গুণ ও মাহত্যোর কথা আমাকে গােনানাে হয়েছে, তারা আমার
কাছে আসার পরে তাদের দেখে আমি তাদেরকে তাদের সম্পর্কিত বর্ণনার চইিতে নিম্ন স্তরের

পেয়েছি ৷ জ্যি মায়দ আল থারল ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ কেননা, তার ভিতরে যে পরিমাণ
সদগুণ রয়েছে যে পরিমাণ আমি আগে শুনতে পইিনি ৷”

তারপর রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তার নাম আৎশিক পরিবর্তন করে তাকে যায়দ আল থারর
(কল্যাণ পুর্ণ নারদ) নামে অভিহিত করলেন এবং তাকে ফায়দ নামক স্থানটি ও তার
পার্শ্ববর্তী তুখওসমুহ জাগীর রুপে দান করে তার লিখিত সনদ দিয়ে দিলেন ৷ যায়দ স্বগােত্রে
ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার থেকে রওয়ানা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
বললেন, যায়দ মদীনায় জ্বরের হাত থেকে বেচে গেলে ? “(রড়াসুলুল্লাহ্ (না) অবশ্য জ্বর
বুঝানাের জন্য হুম্মা (, ,-এ ) বা উম্মু মিলদাম (ণ্এৰুএ ণ্৷ ) শব্দ ব্যবহার করেননি (তবে তার
স্থলে কী শব্দ ব্যবহার করেছিলেন রানী তা সংক্ষণ করে রাখতে পারেননি) ৷ বর্ণনড়াকারী
বলেন, ফিরতি সফরে নারদ নাজদে এলাকার ফারদা’ নামের কুয়োটির কাছে পৌছলে জ্বরে
আক্রান্ত হলেন এবং তাতে মারা গেলেন ৷ মৃত্যুর উপস্থিতি অনুভব করে তিনি নিদ্যোক্ত
পংক্তিদ্বয় রচনা করেছিলেন ৷

১ ৷ আমার সংগী সাথীরা কাল সকালে পুর্ব দেশের পানে এগিয়ে যাবে; আমি নাজদের
ফারদাতে একটি নির্জন ঘরে পরিত্যক্ত হয়ে থাকর ৷

২ ৷ কতই না এমন দিন ছিল যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে এমন সেবা পরড়ায়ণা
সেবিকার৷ আমার ওশ্রদ্বষা করত, যাদের সেবার কেউ সুস্থ না হলে তার আর জীবনের আশা
থাকতো না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, যায়েদের মৃত্যু হয়ে গেলে তার শ্রী নিজের অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও
ধর্যপরায়ণতার স্বল্পতা বশতঃ স্বামীর সাথে রক্ষিত সনদ ও নথিপত্র তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে


نَسْمَعُ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَتَانَا رَسُولُكَ فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ الْأَرْضَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَمَنْ نَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ وَجَعَلَ فِيهَا مَا جَعَلَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ، وَخَلَقَ الْأَرْضَ وَنَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِنَا وَلَيْلَتِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةً فِي أَمْوَالِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي سَنَتِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا حَجَّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: ثُمَّ وَلَّى، فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا لَا أَزِيدُ عَلَيْهِنَّ شَيْئًا، وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُنَّ شَيْئًا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ» ". وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا بِأَسَانِيدَ وَأَلْفَاظٍ كَثِيرَةٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৫১
وَأَخْرَجَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِنَحْوِهِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ ثنا لَيْثٌ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «بَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا فِي الْمَسْجِدِ، دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ، فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَرَسُولُ اللَّهِ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانِيهِمْ قَالَ: فَقُلْنَا: هَذَا الرَّجُلُ الْأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ. فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ أَجَبْتُكَ ". فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشْتَدٌّ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلَا تَجِدْ عَلَيَّ فِي نَفْسِكَ. فَقَالَ: " سَلْ مَا بَدَا لَكَ ". فَقَالَ الرَّجُلُ: أَنْشُدُكَ بِرَبِّكَ وَرَبٍّ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنَّ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ، وَأَنَا رَسُولٌ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي، وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ، أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ بِهِ، وَهَكَذَا رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৫২
(এবং এ ভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র স্মৃতি সম্বলিত একটি ঐতিহাসিক দলীল বিলুপ্ত হয়ে
যায়) ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : সাহীহ বৃখারীতে আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, আলী (রা)
ইয়ামড়ান থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে মাটি মেশানাে কিছু (অপরিশ্যেধিত) সোনা
পাঠিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সোনা উপস্থিত চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দিয়েছিলেন ৷
তারা হলেন যায়দ আল-খড়ায়ল, আলকামা ইবন উলাছা আকরা, ইবন হাৰিস ও উতবা ইবন
বদর (রা) ৷ আলী (রা) কে য়ড়ামানে কর্মভার দিয়ে পাঠানো প্রসংগে পরবর্তীতে আরো বিশদ
আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

আদী ইবন হাতিম তাঈ (রা) এর কাহিনী

ইমাম বুখারী (র)-ভীর সাহীহ্ গ্রন্থে অনুচ্ছেদ সংযোগ করেছেন

তার প্রতিনিধি দল ও আদী ইবন হাতিম (রা) সম্পর্কিত হাদীস

মুসা ইবন ইসমাঈস (র)আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন,
আমরা উমড়ার ইবনৃল খভােব (রা) এর দরবারে একটি প্রতিনিধি দল রুপে উপস্থিত হলাম ৷
তিনি দলের এক এক জনকে নাম-ধামসহ ডাকতে লাগলেন, আমি বললাম, আষীরুল যুমিনীন
আমাকে কি আপনি চিনতে পারছেন না? তিনি বললেন, কেন নয় ? তুমি তো ইসলাম গ্রহণ
করেছো-যখন লোকজন কৃফরীতে লিপ্ত ছিল, এরা যখন পিছু হটছিল, তখন তুমি এগিয়ে
আসছিলে; এরা যখন চুক্তি তংপ করছিল, তুমি তখন চুক্তি রক্ষা করে চলছিলে, আর তুমি
সত্যের পরিচয় পেয়েছিলে এদের কাছে তা অজ্ঞাত থাকা কালেই ৷ আদী (রা) বললেন, তা
হলে আমার কোন দুঃখ নেই ৷ কোন পরোয়া নেই ৷

ইবন ইসহাক (র)-বলেছেন, আদী ইবন হাতিম (রা) এর নিজস্ব যে উক্তি আমার কাছে
পৌছেছে তা হল-তিনি বলতেন, আরবের কোন পুরুষ এমন নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কথা শুনে র্তাকে আমার চাইতে অধিক অপসন্দ করেছে ৷ তবে আমি স্বভাবে ছিলাম শরীফ
এবং ধর্মে ছিলাম খৃষ্টবাদের অনুসারী ৷ আমার কাজ ছিল চৌখ উত্তল করার জন্য গোত্র মাঝে
ঘুরে রেড়ানাে ৷ মনে মনে আমি ছিলাম একটা বিশেষ ধর্মের অনুসারী আর প্রকাশ্য আমার
সাথে আমার গোত্রের আচরণ বিচারে একজন রাজা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আবির্ভাবেৱ কথা
শুনে আমার গা জুলতে লাগল ৷ আমি আমার আরবী গোলামকে বললড়াম যে নাকি আমার
উটপালের রাখালীর কাজেও নিয়োজিত ছিল হে হতভাপা ৷ আমার উটপাল থেকে কতকগুলি
মোটা তাজা ৫পড়াষমান৷ উট বাছাই করে সেগুলিকে আমার কাছে কাছে ণ্রাখবি ৷ আর যখন
শুনতে পারি যে, মুহাম্মদের বাহিনী এ দেশের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন অবিলম্বে আমাকে
সে সংবাদ জ্ঞাত করৰি ৷ গোলাম তাই করল ৷ কিছুদিন পরে এক সকালে সে এসে আমাকে
খবর দিল যে, হে আদী ! মুহাম্মদের অশ্বড়ারােহী বাহিনী তোমাকে ঘিরে ফেলতে এগিয়ে
আসছে ৷ তোমার যা করার তা এখনই করতে পড়ার ৷ কেননা, আমি দুর থেকে কতকপুলি ফুদ্ধ
পতাকা দেখতে (পরে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে লোকেরা আমাকে বলেছে যে র্লো
মুহাম্মদের বাহিনী ৷ আদী (রা) বলেন, আমি গোলড়ামকে বললাম, আমার যে ট্যাংক


أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ عَنِ اللَّيْثِ بِهِ، وَالْعَجَبُ أَنَّ النَّسَائِيَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقٍ آخَرَ، عَنِ اللَّيْثِ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ وَغَيْرُهُ مِنْ أَصْحَابِنَا عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَذَكَرَهُ، وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَلَعَلَّهُ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ مِنَ الْوَجْهَيْنِ جَمِيعًا. [قُدُومُ ضِمَامٍ الْأَسَدِيِّ] فَصْلٌ (فِي قُدُومِ ضِمَامٍ الْأَسَدِيِّ) . وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قُدُومِ ضِمَادٍ الْأَزْدِيِّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَإِسْلَامِهِ وَإِسْلَامِ قَوْمِهِ، كَمَا ذَكَرْنَاهُ مَبْسُوطًا بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৩


আমার কাছে নিয়ে আর ৷ গোলাম সেগুলিকে কাছে নিয়ে আসলে আমি আমার পরিবার ও
সন্তানদের নিয়ে সেগুলির পিঠে চড়ে বসলার এবং গোলামকে বললাম শাম <’দা;শ
(তৎকালীন বৃহত্তর সিরিয়া তথা আরবের উত্তরাঞ্চল, আমার স্বধর্ষী খৃষ্টানদের কাছে
আমাদেরকে নিয়ে চল ৷ আমি ৰিজন (প্রাভরের) পথ ধরে চললার ৷ আর হাতিমের এক কন্যা
(আমার বোন)-কে ঐ জনপদেই রেখে গেলাম ৷ সিরিয়ার উপনীত হয়ে আমি সেখানে অবস্থান
করতে লাপলার ৷ আমার প্রস্থানের পর পরই রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর ঘোড়সওয়ার বাহিনী গোত্রের
উপর চড়াও হল এবং অন্যান্যদের মাঝে হাতির কন্যাও তাদের হাতে বন্দী হলো এবং তাঈ
গোত্রের বন্দীদের সাথে সেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে নীত হল ৷ আমার সিরিয়ার পালিয়ে
যাওয়ার সংবাদ রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে পৌছে গিয়েছিল ৷ বণ্নািকারী (আদী (রা)) বলেন,
হাতির কন্যাকেও মসজিদের দরজার কাছে বন্দীদের আটকে রাখার জন্য তৈরী রেষ্টনীর মভৈধ্য
রেখে দেয়া হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখান থেকে য়েতে লাগলে হাতির কন্যা তার উদ্দেশ্য
দাড়িয়ে বলল, যে ছিল স্থির প্রতিজ্ঞ ও অকুতােভয় এক নারী-হ্নে আল্লাহ রাসুল আমার পিতার
মৃত্যু হয়েছে, অনড়াথের ভরসা হারিয়ে গিয়েছে ৷ আমাকে অনুকম্পা করুন, আল্লাহ আপনাকে
অনৃকস্পা করবেন ৷ নবী কবীর (সা) বললেন, এ১এট্ট) é»; তোমার আমার পাত্র ( ১ষ্টী ;) কে?
হাতির কন্যা বললো “আদী ইবন হাতির (আমার ভাই) ৷ তিনি বললেন, রা৷ ওে এএগ্রো
শু’খষ্ রুন্ন্ম্;দ্বু ওহেভ্র আল্লাহ্ ও তার রড়াসুলের কাছ থেকে পালায়নকারী ৷ বন্দিনী বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না) আর কিছু না বলে চলে গেলেন ৷

পরের দিন আমার কাছ দিয়ে তিনি যেতে লাগলে আমি আগের দিনের কথার পুনরাবৃত্তি
করলাম; তিনিও আগের দিনের মত জবাব দিলেন ৷ বন্দিনী বলেন, তৃতীয় দিলে তিনি আমার
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তখন নিরালা আমাকে পেয়ে বলেছে ৷ কিন্তু তার পিছনের এক লোক
আমাকে ইংপিত করল, যেন আমি দাড়িয়ে তার সাথে কথা বলি ৷ হাতির কন্যা বলল, আমি
তখন তার উদ্দেশ্য ড়ান্া৷ড়িৰে৷ বললার, ইয়া রাসুলুল্লাহ্৷ বাপ মরে গিয়েছে, ভরসা হারিয়ে
গিয়েছে ৷ এখন আমাকে দ্যা৷ করুন অল্লোহ্ আপনাকে দয়া করবেন ৷ নবী কবীর (সা)
ৰু,ও,১১৷ ণ্শু এক্রীা
আমি তাই করলাম (তোমাকে মুক্তি দিলাম) ভরে চলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ো না ;
তোমাকে তোমার দেশে পৌছিয়ে সেরে তোমার গোত্রের এমন নির্ভরয়েগ্যে লোক পাওয়া গেলে
আমাকে জানাভ্রুব ৷ আমি তখন নবী কবীর (সা)এর সাথে কথা বলার জন্য ইংগিত প্রদানকারী
ল্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ আমাকে বলা হল তিনি হচেছন আলী ইবন আবু তালিব
(রা) ৷ আমি সফরের প্রস্তুতি নিলাম ৷ তখন বন্বলী বা কুযাআ গোত্রের কিছু লোকের আগমন
ঘটল ৷ আমার ইচ্ছা ছিল সিরিয়ার আমার ভাইয়ের কাছে চলে যাবো ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে গিয়ে বললার, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আমার গোত্রের একটি কাকেল৷ এসেছে,
যাদের উপরে ভরসা করে আমি আমার গম্ভব্যে পৌছতে পারি ৷ হাতির কন্যা বলেন, তিনি
আমাকে পোষাক, বাহন ও প্রয়োজনীয় পাথের দিলেন এবং আমি তাদের সাথে বের হয়ে


[وَفْدُ طَيِّئٍ مَعَ زَيْدِ الْخَيْلِ] ِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَهُوَ زَيْدُ بْنُ مُهَلْهِلِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُنْهِبٍ أَبُو مُكْنِفٍ الطَّائِيُّ وَكَانَ مِنْ أَحْسَنِ الْعَرَبِ وَأَطْوَلِهِمْ رَجُلًا، وَسُمِّي زَيْدَ الْخَيْلِ لِخَمْسِ أَفْرَاسٍ كُنَّ لَهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَلَهُنَّ أَسْمَاءٌ لَا يَحْضُرُنِي الْآنَ حِفْظُهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ طَيِّئٍ، وَفِيهِمْ زَيْدُ الْخَيْلِ وَهُوَ سَيِّدُهُمْ فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ كَلَّمُوهُ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْإِسْلَامَ، فَأَسْلَمُوا فَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ مِنْ رِجَالِ طَيِّئٍ: «مَا ذُكِرَ لِي رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ بِفَضْلٍ، ثُمَّ جَاءَنِي إِلَّا رَأَيْتُهُ دُونَ مَا يُقَالُ فِيهِ، إِلَّا» زَيْدَ الْخَيْلِ فَإِنَّهُ لَمْ يَبْلُغْ كُلَّ الَّذِي فِيهِ ". ثُمَّ سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ الْخَيْرِ وَقَطَعَ لَهُ فَيْدَ وَأَرَضِينَ مَعَهُ، وَكَتَبَ لَهُ بِذَلِكَ، فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاجِعًا إِلَى قَوْمِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ يَنْجُ زَيْدٌ مِنْ حُمَّى الْمَدِينَةِ فَإِنَّهُ ". قَالَ: وَقَدْ سَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاسْمٍ غَيْرِ الْحُمَّى
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৪


সিরিয়ার উপনীত হলাম ৷ “আদী (বা) বর্ণনা করেন, আল্লাহর কসম ! আমি (সিরিয়ার) আমার
পরিবারের মাঝে বসা ছিলাম ৷ দুরে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম এক মহিলা আরােহী আমাদের বসতির
দিকে ঢালু পথে নেমে আসছে ৷ “আদী (রা) বলেন, হাতিম কন্যা? “আদী বলেন, একটু পরেই
দেখি কি সে তো সেই ৷ সে আমার সামনে এসে র্দাড়ানাে মাএই কোন প্রকার ভুমিকার আশ্রয়
না নিয়ে মুখের উপর বলতে লাগল, নিমকহারাম , জ্যলিম ৷ নিজের বউ ছেলে মেয়েদের নিয়ে
আসতে (পরেছো আর তোমার জন্মদাতার শেষ স্মৃতি এক অবলাকে দুশমনের দরা-মায়ার
উপর ছেড়ে আসতে তোমার বাধল্যে না ? আমি বললাম দোমটি আমার , মন্দ কথা উচ্চারণ
করে মুখ খারাপ কর না ; আল্লাহর কলম, আমার বলার মত সৎপত কোন যুক্তি নেই, তোমার
অভিযোগে সত্যিই আমি অভিযুক্ত ৷ আদী বলেন তখন সে বাহন থেকে নামল এবং আমার
সাথে অবস্থান করতে লাগল ৷

একদিন আমি তাকে বললাম, যে ছিল স্থির বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন নারী এ ল্যেকটি সম্পর্কে
তোমার অভিমত কী? যে বলল, আমার অভিমত হল আল্লাহর কলম ৷ তুমি অবিলম্বে তার
সাথে মিলিত হয়ে ৷ কেননা, ব াম্ভবে সে যদি নবী হয় তা হলে তার কাছে আগে পমনকারী হবে
বিশেষ মাহাতোরে অধিকারী ৷ আর যদি ল্যেকটি রাজা-বাদশাহ্ হয় ৷ তবে তোমার বর্তমান
মর্যাদার কোন হানি না হয়ে বরং তা বৃদ্ধি পাবে, তু তো যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান ৷ আমি
বললাম , অড়াল্লাহর কলম! এটাই যুক্তিযুক্ত কথা ৷ আদী (বা) বলেন, তখন আমি বেরিয়ে
পড়লাম এবং মদীনায় রা”সুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপনীত হলাম ৷ তারপর আমি মসজিদে তার
সাথে সাক্ষাত করে তাকে সালাম করলাম ৷ তিনি বললেন, আগন্তুকের পরিচয় কী ? আমি
বললাম, আদী ইবন হাতিম ৷ রড়াসুলুল্পাহ্ (সা) উঠে র্দাড়ালেন এবং আমাকে নিয়ে তার ঘরের
দিকে রওয়ানা হলেন ৷ আল্লাহর কসম৷ তিনি আমাকে তার সাথে নিয়ে চলতে উদতি হওয়ার
মুহুর্তে অতি দুর্বল এক বৃদ্ধা নারী তার সাথে সাক্ষাত করতে এসে তাকে র্দাড়াতে বলল ৷ তিনি
দীর্ঘক্ষণ র্দাড়িয়ে দাড়িয়ে তার সাথে তার প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করলেন ৷ আদী বলেন,
তখন আমি মনে মনে বললাম, ল্যেকটি রাজা বাদশাহ; তো নয় ৷ আদী বলেন, তারপর
রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে সাথে নিয়ে বয়ে প্রবেশ করলেন এবং থেজুরের ছাল ভর্তি একটা
চামড়ার আসন এসে আমার পাশে রেখে দিয়ে বললেন, রস এটিতে ৷ আদী বলেন, আমি
বললাম ববং আপনিই বসুন ৷ তিনি বললেন, না তুমিই ৷ আমি নদীতে বললাম আর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাটিতেই বসে পড়লেন ৷ আদী বলেন , আমি মনে মনে বললাম , এটাও কোন
রাজার আচরণ হতে পারে না ৷ তারপর আলোচনা শুরু করে তিনি বললেন, ণ্ওা (;গ্লু প্রু১; এ্ন্ন্া
ট্া-উ;প্র্ন্তন্ এ; ণ্এ৷ অড়াদী ইবন হাতিম, তুমি না রাকুসী১ ধর্যমতের অনুপড়ামী-ছিলে ? আমি বললাম
জী হী , তাই ৷ তিনি বললেন, &-:,»«!- এএ্যাই ৰুন্গ্রুগ্লু:মোংএ (,ন্র্ন্তম্র ণ্গ্র তুমি কি লুষ্ঠিত সম্পদের
চৌথ (চতু ৎা) উসুল করার জন্য গোত্র মাঝে ঘুরে বেড়াতে না ? আদী বললেন, আমি
বললাম জী হী , তাই ৷ তিনি বললেন, এথুএ , ,এন্ এএ এ্যা১শ্ষ্ (,;হ্নএ্ ণ্১ এ্যাট্র ;)এে কিন্তু, তোমার
বর্মমত অনুসারে তা তো ভৈবধ ছিল না ৷ আদী বলেন, আমি বললাম , ঠিক তাই ৷ আল্লাহর
কলম! “আদী বলেন, তখন আমি উপলব্ধি করলাম যে, তিনি প্রেরি৩ ণ্ম্৷ ধী , ৩া৷ণ্াত্া১ অড্ডা৩
ৰিমরই তার জানা ৷ একটু পরে বললেন

৫০ ৷ড়া



وَغَيْرِ أُمِّ مَلْدَمٍ، لَمْ يُثْبِتْهُ. قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى مِنْ بَلَدِ نَجْدٍ إِلَى مَاءٍ مِنْ مِيَاهِهِ يُقَالُ لَهُ: فَرْدَةُ. أَصَابَتْهُ الْحُمَّى، فَمَاتَ بِهَا، وَلَمَّا أَحَسَّ بِالْمَوْتِ قَالَ: أَمُرْتَحِلٌ قَوْمِي الْمَشَارِقَ غُدْوَةً ... وَأَتْرُكُ فِي بَيْتٍ بِفَرْدَةَ مُنْجِدِ أَلَا رُبَّ يَوْمٍ لَوْ مَرِضْتُ لَعَادَنِي ... عَوَائِدُ مَنْ لَمْ يُبْرَ مِنْهُنَّ يَجْهَدِ قَالَ وَلَمَّا مَاتَ عَمَدَتِ امْرَأَتُهُ بِجَهْلِهَا وَقِلَّةِ عَقْلِهَا وَدِينِهَا - إِلَى مَا كَانَ مَعَهُ مِنَ الْكُتُبِ فَحَرَقَتْهَا بِالنَّارِ. قُلْتُ: وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ «بَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا، فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَرْبَعَةٍ ; زَيْدِ الْخَيْلِ وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ وَالْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ» . الْحَدِيثَ. وَسَيَأْتِي ذِكْرُهُ فِي بَعْثِ عَلِيٍّ إِلَى الْيَمَنِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [قِصَّةُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ الطَّائِيِّ] قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " الصَّحِيحِ ": وَفْدُ طَيِّئٍ وَحَدِيثُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৫


০ : ৷৷ওে fl ই$

১২৬ আল-যিদায়! ওয়ান নিহ!য়!

০£ষ্ট্রপ্রুপ্লু৷ এা;এ
ঠেগ্রৰু
ঠো এে)ষ্
র্গো এে

আদী ! এ ধর্মের অনুসারীদের অভাব অনটনই সম্ভবত এ ধর্ম গ্রহণের পথে তোমার জন্য
অতর!য় হয়ে রয়েছে ৷ আল্লাহর কসম অদুর ভবিষ্যতে এদের জন্য সম্পদের চল নামবে এমন
কি তা গ্রহণ করার মত লোক খুজে পাওয়া যাবে না ৷ এবং এ ধর্ম গ্রহণে £৩ !মার দৃষ্টিতে এ
ধর্মানুসারীদের সংখ্যা স্বল্পতা ও তাদের শত্রুর আ !ধিক্য সম্ভবত তোমার জন্য বাধা হয়ে রয়েছে ৷
আল্লাহর কসম ! অদুর ভবিষ্যতে তুমি শুনতে পারে যে, কোন নারী (এক!কিনী) তার উটে চড়ে
ক!দিসিয়! থেকে সফর আরম্ভ করে নিঃশঙ্ক ঢিত্তে এ ব!য়তুল্লাহর যিয়ারতে আসবে ৷ এবং
সম্ভবত এ ধর্ম গ্রহণে তোমার জন্য আঃর!য় হয়ে রয়েছে এ ব্যাপারটি যে, রড়াজক্ষমতা ও
প্রতিপত্তি তুমি অন্যদের অধিকারে দেখতে পাচ্ছ ! আল্লাহর কসম! অদুর ভবিষ্যতে তুমি শুনতে
পারে যে, ব্যৰিলন ও প্রাচ্য দেশীয় (পারস্যের) শ্বেত তবনসমুহ এদের হাতে বিজিত হয়ে
গিয়েছে ৷

আদী (র! ) বলেন, তখনই আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম ৷ বর্ণন!ক! রী বলেন, উল্লিখিত তিনটি
বিষয়ের দুটি আমি মোঃ ত্যক্ষ করেছি; তৃতীয়টি এ খন পর্যন্ত ঘটেনি ৷ আল্লাহর কসম! তা !!অবশ্ !!ই
ঘটবে ৷ ব্যবিলন ও প্রাচ্যের শ্বেত তরনওলি ৰিজিত হতে ৩আমি দেখেছি ৷ আর দেখেছি, কোন
নারী (এক! !কিনী) তার উটে চড়ে সুদুর ক! !দিসিয়! থেকে সফর করে নির!পদে নিঃশংক!য় এ
ব!যতুল্লাহর হজ্জ সম্পাদন করেছে ৷ আল্লাহর কসম! তৃতীয়টিও অবশ্যই বাস্তবায়িত হয়ে ৷
এমনভাবে সম্পদের ঢল ন!মবে যে, ত! নেওয়ার মত চাহিদা ক!রাে থাকবে ন! ৷

ইবন ইসহ!ক (র) এ বিবরণটি এভাবেই সনদ বিহীন বণ্নাি করেছেন৷ তবে একাধিক সুত্রে
এর সমর্থক রিওয়!য!ত রয়েছে ! যেমন ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা ফর (র)
আদী ইবন হ!তিম (র!) থেকে , তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঘোড়স!ওয়ার বাহিনী
আমাদের এলাকায় অভিযানে এল ৷ আমি তখন অ!কয!বেআকর!ব!য়১ অবস্থান করছিল!ম ৷
তার! আমার ফুফুকে সহ আরে! কিছু লোককে বন্দী করে নিয়ে পেল ৷ তাদেরকে ব!সুলুল্লাহ
(সা) এর কাছে নিয়ে আস! হলেও তার! তার সামনে স!রিবদ্ধ হয়ে দাড়!ল ৷ তখন আমার ফুফু
বললেন ইয়! র!সুলুল্লাহ্ ! ভরসা দুরে সরে গিয়েছে; সন্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে; আমি এক
অভিনয় বৃদ্ধা, আমাকে দিয়ে তে! কোন কাজ হবে না, তাই আমার প্রতি অনকম্মা করুন,
আল্লাহ আপনার প্ৰতি অনুকম্মা করবেন ৷ নবী করীম (স!) বললেন, তোমার তরল! ক ? ফুফু



১ দামেশকের একটি জিলা শহর ও বন্দর ইয়!ম!ম!র একটি স্থান !

ণোণোণো

مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ ثنا أَبُو عَوَانَةَ ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: أَتَيْنَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي وَفْدٍ، فَجَعَلَ يَدْعُو رَجُلًا رَجُلًا يُسَمِّيهِمْ، فَقُلْتُ: أَمَا تَعْرِفُنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: بَلَى، أَسْلَمْتَ إِذْ كَفَرُوا، وَأَقْبَلْتَ إِذْ أَدْبَرُوا، وَوَفَيْتَ إِذْ غَدَرُوا، وَعَرَفْتَ إِذْ أَنْكَرُوا. فَقَالَ عَدِيٌّ: لَا أُبَالِي إِذًا. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ فَكَانَ يَقُولُ، فِيمَا بَلَغَنِي: مَا رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ كَانَ أَشَدَّ كَرَاهَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَمِعَ بِهِ مِنِّي، أَمَّا أَنَا فَكُنْتُ امْرَأً شَرِيفًا، وَكُنْتُ نَصْرَانِيًّا، وَكُنْتُ أَسِيرُ فِي قَوْمِي بِالْمِرْبَاعِ، وَكُنْتُ فِي نَفْسِي عَلَى دِينٍ، وَكُنْتُ مَلِكًا فِي قَوْمِي ; لِمَا كَانَ يُصْنَعُ بِي، فَلَمَّا سَمِعْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهْتُهُ، فَقُلْتُ لِغُلَامٍ كَانَ لِي عَرَبِيٍّ، وَكَانَ رَاعِيًا لِإِبِلِي: لَا أَبًا لَكَ، أُعْدُدْ لِي مِنْ إِبِلِي أَجْمَالًا ذُلُلًا سِمَانًا، فَاحْتَبِسْهَا قَرِيبًا مِنِّي، فَإِذَا سَمِعْتَ بِجَيْشٍ لِمُحَمَّدٍ قَدْ وَطِئَ هَذِهِ الْبِلَادَ فَآذِنِّي، فَفَعَلَ، ثُمَّ أَنَّهُ أَتَانِي ذَاتَ غَدَاةٍ فَقَالَ: يَا عَدِيُّ مَا كُنْتَ صَانِعًا إِذَا غَشِيَتْكَ خَيْلُ مُحَمَّدٍ، فَاصْنَعْهُ الْآنَ ; فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَايَاتٍ، فَسَأَلْتُ عَنْهَا فَقَالُوا: هَذِهِ جُيُوشُ مُحَمَّدٍ. قَالَ: قُلْتُ: فَقَرِّبْ إِلَى أَجْمَالِي، فَقَرَّبَهَا فَاحْتَمَلْتُ بِأَهْلِي وَوَلَدِي، ثُمَّ قُلْتُ: أَلْحَقُ بِأَهْلِ دِينِي مِنَ النَّصَارَى بِالشَّامِ. فَسَلَكْتُ الْجُوشِيَّةَ وَخَلَّفْتُ بِنْتًا لِحَاتِمٍ فِي الْحَاضِرِ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৬




বললেন, আদী ইবন হাতির ৷ তিনি বললেন, যে নাকি আল্লাহ্ ও ও৷ র রাশুলকে ছেমে,ষ্
পালিয়েছে ?

বচ্নািকারীনী বলেন, তিনি আমাকে মুক্তি দিলেন ৷ তিনি চলে যেতে লাগলে তার পাশের
এক ব্যক্তি ফুক্যু ধারণার তিনি ছিলেন আলী (রা) আমাকে বললেন, তীর কাছে রড়াহনের
আবেদন কর ৷ তিনি আবেদন করলে নবী করীম (মা) তাকে তা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ আদী (রা) বলেন, ফুফু আমার কাছে চলে এলেন এবং আমাকে বললেন, তুমি এমন
জঘন্য আচরণ করেছো, যা তোমার বড়াপ কখনো করতেন না ৷ তিনি আমাকে এ কথাও
বললেন, আমার হোক কিৎরা নিরাশারষ্শ্ তার কাছে যাও ৷ অযুক তার কাছে গিয়েছিল ৷ যে
কিছু পেয়ে এসেছে; অমুক তার কাছে গিয়েছিল, খালি হাতে তাকে ফিরতে হয়নি ৷ আদী
বলেন, আমিও তার কাছে গেলাম ৷ দেখি কী ? তার কাছে এক নারী ও কয়েকটি (কিৎরা
একটি) শিশু ৷ আদী (রা)-এ পর্যায়ে নবী করীম (না)-এর কাছে ঐ নারী ও শিশুর সহজ
নিকটবর্তী তার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ (আদী বলেন,) আমি তখন উপলব্ধি করলাম যে এ
সােকটি পারস্য ন্মােট বা রােমক ন্য়োট নয় ৷ নবী করীম (মা) তাকে বললেন-
? ণ্ন্ত্র১ (fl প্রু১;ড্রু

<: <) শু)ণ্; ঞা গ্লু )ম্রা গ্লু ত্রড়ু ,ন্নু (, এৰুদ্বু ) £৷ ঞা ,াপ্রু ৰু,৷ এপ্লুব্রা

“ তোমাকে পালাতে বাধ্য করল কে ? এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ যেই ৷ এ
কথার স্বীকারোক্তি তোমাকে পালাতে বাধ্য করেছে ? তা হলে এক আল্লাহ্ ছাড়া আরো ইলাহ
আছে কী ? কোন বিষয়টি তোমাকে পালাতে বাধ্য করল? আল্লাহ সর্ব গ্রেষ্ঠ’ এ কথার স্বীকৃতি
প্রদানই তোমাকে পলায়নে বাধ্য করল কি ? তা হলে মহান ও মহীয়ান আল্লাহর চাইতে বড়
কেউ আছে কি ?

আদী বলেন, আমি মুসলমান হয়ে গেলাম ৷ দেখলাম তাতে র্তার চেহারা আনন্দে উচ্ছল
হয়ে উঠেছে ৷ তিনি বললেন, ৰু,৷ (আল
কুরআনে উল্লিখিত) অভিশপ্ত হল ইয়াহদীরা আর ভ্রান্ত হল খৃস্টানরা ৷ আদী (রা) বলেন, তখন
লোকেরা তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানার পরে বললেন,

এেশ্ংস্শুহু জ্যো

“তারপর হে লোক সকল, তোমাদের কর্তব্য তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে
কিছু না কিছু দান কর ৷ (ফলে লোকেরা সাদাকার মালামাল নিয়ে আসাতে লাগল ৷) কেউ এক
সা১ দান করল, কেউ সা এর অংশ বিশেষ ৷ আবার কেউ এক ঘুঠো পরিমাণ , কেউ তার
চইিতেও কম ৷ ”

(মধ্যবর্তী রাবী) শৃবা (র) বলেন, আমার যতদুর মনে পড়ে এ হাদীসে এ কথাও রয়েছে
কেউ একটি থুরমা কেউ থুরমার টুকরা নবী কবীম (সা) আরো বললেনগুৰু



১ স” ( ছুহু ৰু সা ) আট রলোঃাট পাউণ্ড; প্রায় দোয়া তিন কেজি :


قَدِمْتُ الشَّامَ أَقَمْتُ بِهَا وَتُخَالِفُنِي خَيْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتُصِيبُ ابْنَةَ حَاتِمٍ فِيمَنْ أَصَابَتْ، فَقُدِمَ بِهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَبَايَا مِنْ طَيِّئٍ، وَقَدْ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَرَبِي إِلَى الشَّامِ. قَالَ: فَجُعِلَتِ ابْنَةُ حَاتِمٍ فِي حَظِيرَةٍ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، كَانَتِ السَّبَايَا تُحْبَسُ بِهَا، فَمَرَّ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَتْ إِلَيْهِ، وَكَانَتِ امْرَأَةً جَزْلَةً فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَ الْوَالِدُ، وَغَابَ الْوَافِدُ، فَامْنُنْ عَلَيَّ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ. قَالَ: " وَمَنْ وَافِدُكِ؟ " قَالَتْ: عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ: " الْفَارُّ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ؟ " قَالَتْ: ثُمَّ مَضَى وَتَرَكَنِي حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ مَرَّ بِي، فَقُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، وَقَالَ لِي مِثْلَ مَا قَالَ بِالْأَمْسِ. قَالَتْ: حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ الْغَدِ مَرَّ بِي وَقَدْ يَئِسْتُ، فَأَشَارَ إِلَيَّ رَجُلٌ خَلْفَهُ أَنْ قُومِي فَكَلِّمِيهِ. قَالَتْ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَ الْوَالِدُ، وَغَابَ الْوَافِدُ، فَامْنُنْ عَلَيَّ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ. فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ فَعَلْتُ، فَلَا تَعْجَلِي بِخُرُوجٍ حَتَّى تَجِدِي مِنْ قَوْمِكَ مَنْ يَكُونُ لَكِ ثِقَةً حَتَّى يُبَلِّغَكِ إِلَى بِلَادِكِ، ثُمَّ آذِنِينِي ". فَسَأَلَتْ عَنِ الرَّجُلِ الَّذِي أَشَارَ إِلَيَّ أَنْ كَلِّمِيهِ فَقِيلَ لِي: عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَتْ: فَأَقَمْتُ حَتَّى قَدِمَ رَكْبٌ مِنْ بَلِيٍّ أَوْ قُضَاعَةَ. قَالَتْ: وَإِنَّمَا أُرِيدُ أَنْ آتِيَ أَخِي بِالشَّامِ، فَجِئْتُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ قَدِمَ رَهْطٌ مِنْ قَوْمِي، لِي فِيهِمْ ثِقَةٌ وَبَلَاغٌ. قَالَتْ: فَكَسَانِي وَحَمَلَنِي، وَأَعْطَانِي نَفَقَةً، فَخَرَجْتُ مَعَهُمْ حَتَّى قَدِمْتُ الشَّامَ. قَالَ عَدِيٌّ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَقَاعِدٌ فِي أَهْلِي إِذْ نَظَرْتُ إِلَى ظَعِينَةٍ تُصَوِّبُ إِلَى قَوْمِنَا. قَالَ: فَقُلْتُ: ابْنَةُ حَاتِمٍ؟
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৭
قَالَ: فَإِذَا هِيَ هِيَ، فَلَمَّا وَقَفَتْ عَلَيَّ انْسَحَلَتْ تَقُولُ: الْقَاطِعُ الظَّالِمُ، احْتَمَلْتَ بِأَهْلِكَ وَوَلَدِكَ وَتَرَكْتَ بَقِيَّةَ وَالِدِكَ عَوْرَتَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: أَيْ أُخَيَّةُ لَا تَقُولِي إِلَّا خَيْرًا، فَوَاللَّهِ مَا لِي مِنْ عُذْرٍ، لَقَدْ صَنَعْتُ مَا ذَكَرْتِ. قَالَ: ثُمَّ نَزَلَتْ فَأَقَامَتْ عِنْدِي، فَقُلْتُ لَهَا وَكَانَتِ امْرَأَةً حَازِمَةً: مَاذَا تَرَيْنَ فِي أَمْرِ هَذَا الرَّجُلِ؟ قَالَتْ: أَرَى وَاللَّهِ أَنْ تَلْحَقَ بِهِ سَرِيعًا، فَإِنْ يَكُنِ الرَّجُلُ نَبِيًّا فَلِلسَّابِقِ إِلَيْهِ فَضْلُهُ، وَإِنْ يَكُنْ مَلِكًا فَلَنْ تَزِلَّ فِي عِزِّ الْيَمَنِ وَأَنْتَ أَنْتَ. قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا الرَّأْيُ. قَالَ: فَخَرَجْتُ حَتَّى أَقْدُمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي مَسْجِدِهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: " مَنِ الرَّجُلُ؟ " فَقُلْتُ: عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَانْطَلَقَ بِي إِلَى بَيْتِهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَعَامِدٌ بِي إِلَيْهِ إِذْ لَقِيَتْهُ امْرَأَةٌ ضَعِيفَةٌ كَبِيرَةٌ فَاسْتَوْقَفَتْهُ، فَوَقَفَ لَهَا طَوِيلًا تُكَلِّمُهُ فِي حَاجَتِهَا، قَالَ: قُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاللَّهِ مَا هَذَا بِمَلِكٍ. قَالَ: ثُمَّ مَضَى بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ تَنَاوَلَ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ مَحْشُوَّةً لِيفًا فَقَذَفَهَا إِلَيَّ فَقَالَ: " اجْلِسْ عَلَى هَذِهِ ". قَالَ: قُلْتُ: بَلْ أَنْتَ فَاجْلِسْ عَلَيْهَا. قَالَ: " بَلْ أَنْتَ ". فَجَلَسْتُ وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَرْضِ. قَالَ: قُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاللَّهِ مَا هَذَا بِأَمْرِ مَلِكٍ. ثُمَّ قَالَ: " إِيهِ يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ أَلَمْ تَكُ رَكُوسِيًّا؟ " قَالَ: قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: " أَوَلَمْ تَكُنْ تَسِيرُ فِي قَوْمِكَ بِالْمِرْبَاعِ؟ " قَالَ: قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: " فَإِنَّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ يَحِلُّ لَكَ فِي دِينِكَ ". قَالَ: قُلْتُ: أَجَلْ وَاللَّهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৮


fl” ১এে গ্রা :াগ্লু
£দ্বট্রকু এে
খুৰু )প্লোৰু
শ্লে
“ £তড়ামাদের প্রতেদ্রকেই আল্লাহর সামনে দাড়াবে; তিনি তখন বলবেন না আমি তোমাদের
এখন বলে দিচ্ছি (তিনি বললেন) আমি কি তোমাকে শ্রবণশক্তি সম্পন্ন চোখ কান দিয়েছিলাম
না ? ও চক্ষুম্মান বানিয়েছিলাম না ? আমি কি তোমাকে সন্তান ও সম্পদ দিরেজ্জিক্ষ্মম না? তা
থেশ্রো ধু১ মি নিজের তথ্যে কী পরিমাপ পাঠিয়েছ ? তখন যে নিজের সামনে পিছনে ভাবে বামে
তাকাবে, কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে না ৷ তখন নিজের চেহারা দিয়ে দোমখের আগুন (ঠকানো
ব্যতীত আর কোন উপায় থাকবে না ৷ তাই তোমরা আগুন থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা কর এক
টুকরা থুরমা দিয়ে হলেও ৷ আর তাতেও সমর্থ না হলো অন্তত নরম কথা দিয়ে (যস্ফোকারীকে
তুষ্ট করে দাও ) ৷ তোমরা ক্ষুধার জ্বালা ভোগ করবে এ আশংকা আমার সেই; আল্লাহ অবশ্যই--
তোমাদের সহায় হবেন এবং ণ্তামাদের অবশ্যই অচেল সম্পদ দিবেন কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ্
তিনি বলেছিলেন) তোমাদের অবশ্যই বিজয় দেয়া হবে ৷ এমন কি (একাকী) হাণ্ডদানাশীনা
নারী হীরড়া থেকে য়াছরিব (মদীনা) পর্যন্ত নিরাপদে সফর করবে ৷ বেশীর চে বেশী তার
হাওদায় চোরের হাত লাগার আশংকা থাকবে ৷
তিরমিযী (র)ও এ হড়াদীছ রিওয়ায়াত করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন ৷ হাসড়ানুন পারীবুন
একক সুত্রে উত্তম; সিমাক (র)-এর সুত্র ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এ হাদীসের পরিচিতি আমি
পাই নি৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, ইয়াষীদ (র) হুযায়ফা (রা)-এর পুত্র আবু
উৰায়ড়াদা জনৈক ব্যক্তির বরাতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি আদী ইবন হাতিম (রা) কে
বললাম, আপনার পক্ষ থেকে একটি হড়াদীছ আমার নিকট পৌছেছে, তা আমি আপনার কাছে
সরাসরি কাছে শুনতে অস্যেহী ৷ তিনি বললেন ঠিক আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর (আমাদের
এলাকার) অভিযান সংবাদ পেয়ে তার আপমনে আমি যারপরনাই বিতৃষ্ণ হয়ে পড়লাম ৷ তাই
আমি দেশ ত্যাগ করে রোম সীমান্তে উপনীত হলাম ৷ (অন্য এক রিওয়ড়ায়াত মতে রোম
সম্রাটের দরবারে উপনীত হলাম ৷ আদী (রা)বলেন ৷ কিন্তু নবী করীম (না)-এর আগমনের
প্রতি ৰিতৃষ্ণার চাইতে আমার এ পরবর্তী অবস্থান আমার কাছে অধিকতর অসহনীয় হয়ে
উঠল ৷ আমি মনে মনে বললাম , আল্লাহর কসমগু আমি তো ঐ ল্যেকটার কাছেও যেতে
পারতড়াম ৷ পরে সে মিথ্যাবাদী হলে সে আমার কোন অনিষ্ট করতে পারতনা; আর সত্যবাদী
হলে তা আমি উপলব্ধি করতাম ৷ আদী (রা) বলেন, এ ভাবনার পর আমি তার কাছে যাওয়ড়ার
সিদ্ধান্ত নিলাম ৷ সেখানে পৌছলে লোকেরা বলে উঠল আদী ইবন হাতিম ? আমি রাসুলুল্লাহ্
“আদী ইবন হাতিম
ইসলাম গ্রহণ করে নাও নিরাপত্তা লাভ করবে ৷ আদী (রা) বলেন, আমি বললাম, আমি তো
একটা ধর্ম অনুসরণ করে চলছি ৷ তিনি বললেন, এও এথ্১৷ ণ্ণ্৷ ৷ও “ তোমার ধর্মের সম্পর্কে




وَعَرَفْتُ أَنَّهُ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ يَعْلَمُ مَا يُجْهَلُ. ثُمَّ قَالَ: " لَعَلَّكَ يَا عَدِيُّ إِنَّمَا يَمْنَعُكَ مِنْ دُخُولٍ فِي هَذَا الدِّينِ مَا تَرَى مِنْ حَاجَتِهِمْ، فَوَاللَّهِ لَيُوشِكَنَّ الْمَالُ أَنْ يَفِيضَ فِيهِمْ حَتَّى لَا يُوجَدَ مَنْ يَأْخُذُهُ، وَلَعَلَّكَ إِنَّمَا يَمْنَعُكَ مِنْ دُخُولٍ فِيهِ مَا تَرَى مِنْ كَثْرَةِ عَدُوِّهِمْ وَقِلَّةِ عَدَدِهِمْ، فَوَاللَّهِ لَيُوشِكَنَّ أَنْ تَسْمَعَ بِالْمَرْأَةِ تَخْرُجُ مِنَ الْقَادِسِيَّةِ عَلَى بَعِيرِهَا حَتَّى تَزُورَ هَذَا الْبَيْتَ لَا تَخَافُ، وَلَعَلَّكَ إِنَّمَا يَمْنَعُكَ مِنْ دُخُولٍ فِيهِ أَنَّكَ تَرَى أَنَّ الْمُلْكَ وَالسُّلْطَانَ فِي غَيْرِهِمْ، وَايْمُ اللَّهِ لَيُوشِكَنَّ أَنْ تَسْمَعَ بِالْقُصُورِ الْبِيضِ مِنْ أَرْضِ بَابِلَ قَدْ فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ ". قَالَ فَأَسْلَمْتُ. قَالَ: فَكَانَ عَدِيٌّ يَقُولُ: مَضَتِ اثْنَتَانِ وَبَقِيَتِ الثَّالِثَةُ وَاللَّهِ لَتَكُونَنَّ ; وَقَدْ رَأَيْتُ الْقُصُورَ الْبِيضَ مِنْ أَرْضِ بَابِلَ قَدْ فُتِحَتْ وَرَأَيْتُ الْمَرْأَةَ تَخْرُجُ مِنَ الْقَادِسِيَّةِ عَلَى بَعِيرِهَا لَا تَخَافُ حَتَّى تَحُجَّ هَذَا الْبَيْتَ وَايْمُ اللَّهِ لَتَكُونَنَّ الثَّالِثَةُ ; لَيَفِيضُ الْمَالُ حَتَّى لَا يُوجَدَ مَنْ يَأْخُذُهُ. هَكَذَا أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ هَذَا السِّيَاقَ بِلَا إِسْنَادٍ، وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ. فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ سَمِعْتُ سِمَاكَ بْنَ حَرْبٍ سَمِعْتُ عَبَّادَ بْنَ حُبَيْشٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: «جَاءَتْ خَيْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا بِعَقْرَبٍ، فَأَخَذُوا عَمَّتِي وَنَاسًا، فَلَمَّا أَتَوْا بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَصُفُّوا لَهُ. قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَأَى الْوَافِدُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৫৯
,


আমি তোমার চা ৷ইত বেশী অবগত ৷ ” আমি বললাম, আমার ধর্ম সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে
বেশী জানেন? তিনি বললেন, হা, তুমি রড়াক্ষুসী’ ধর্মমস্তু৩ র অনুসারী হয়েও তোমার গোত্রের
চৌথ’ খেয়ে থাক নয় কি ? অ ৷মি বললাম, আমি তা অস্বীকার করছি না ৷ তিনি বললেন, ণ্ণ্১
এশু১ ল্লুাএ)প্ এওাও ;;ৰুা, ৰুন্ঞ্চশঃৰু)া৷ এে ;া৷ “অথচ €৩ তামার ধর্মে এটা অবৈধ ৷ আ ৷মি
বললাম হা, ত ই ৷ ” তার এ বক্তব্যের সামনে আমাকে মাথা নত করে দিতে ৩হল ৷ তখন তিনি
বললেন-
fi , স্পো৷ ওড্রুণ্ড্র ম্মু :প্রু গোা৷ ড়ুদ্বু১ ণ্া;ধ্ম্র এে ;,ব্লুও ণ্থুঘু ৷ এ^ এ;এে প্রু১া৷ ,া; ৷ ন্১৷ ৷া

ঙ)ন্;১া৷ শু;ও৷ ;ৰুপ্রু৷ ণ্,ৰু,;গ্র

শ্যেন, ইসলাম গ্রহৰ্;ণ (ও আমার জন্য বাধা কি তা আ ৷মি ভাল করেই জানি ৷ তোমার ধারণা,
দুর্বল শ্রেণীর লোকের এ দীনের অনুসারী হয়েছে ৷ যাদের কোন শক্তি সামর্থ্য নেই, ও দিকে
গোটা আরব তাদের প্ৰতিপক্ষে র্দাড়িয়েছে ৷ হীরা শহর কোথায় তুমি জান ? আমি বললাম, তা
দেখার সুযোগ হয়নি ৷ তবে ল্যেকমুখে তার কথা শুনেছি ৷ তিনি বললেন-
গ্লুছুন্দ্দু ক্রোটুা:ষ্ ন্ )ৰুা১ক্রা ষ্ঠাং এ্যা৷ গ্লুগ্লু ন্ত্ত é; )গ্রা ঞে ব্লুওা৷ স্পো : ১ ব্লু ৷ তা;ন্নুও প্রু১া৷ড্রুদ্র
“যার অধিকারে আমার জীবন তার কলম! অড়াল্লাহ্ অবশ্যই এ দীনকে এমন পুর্ণতা দিবেন
যে, কোন হাওদানাশীনা সুদুর হীরা থেকে সফর করে এসে বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করবে, তাতে
কোন লোকের আশ্রয় দানের প্রয়োজন তার হবে না ৷
আর হুরযুয পুত্র খসরুর ধনাগার অবশ্যই ৰিজিত হবে ৷ আদী বলেন, আমি বললাম, সম্রাট
হ্বযুঘের পুত্রের ধনাগার ? তিনি বললেন-
১১৷ র্থাং ম্ শু-ৰু১ এগ্রা ঠোঞ্চশ্ওএ১ ১গ্রা ঞ)শ্ৰু ণ্ঐ
হী! হুরমুয পুত্র খসরুর ধনভান্ডারই ৷ আর সম্পদের এত ছড়াছড়ি হবে যে, তা নেওয়ার
মত কোন লোক খুজে পাওয়া যাবে না ৷ আদী ইবন হাতিম (বা) বলেন, এই তো আমি
দেখছি হাওয়াদানাশীনা কারো নিরাপত্তা সংগ ছাড়া ই হীরা থেকে এসে বায়তুল্লাহ্ তাওয়ড়াফ
ৰৰ্র যাচ্ছে ৷ আর খসরুর ভাণ্ডার বিজেতা দলে তে তা আমি নিজেই শরীক ছিলাম ৷ তার তৃতীয়
ৰিষরটিও অবশ্যই বা ৷স্তবায়িত হবে, কেননা, তা তো আল্লাহর রাসুল (সা) বলে গিয়েছেন ৷

পরে ইমাম আহমদ (র) আর একটি রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন ৷ ইউনুস ইবন মুহাম্মদ
(ৰ্) আবু উবায়দা ইবন হুযায়ফা জনৈক ব্যক্তি সুত্রে বর্ণনা করেন আর হাম্মদ ও হিশাম (র)-
এ! রিঃয়ায়াত জনৈক ব্যক্তি থেকে না বলে সরাসরি মুহাম্মদ ইবন আবু উবায়দা (র) থেকে
ঝাদ্ব হ্যরছে ৷ তিনি বলেন, আমি লোকজনের কাছে আদী ইবন হাতিম (রা)-র ঘটনা সম্পর্কে
নিঃসা করে বেড়াতাম, অথচ তিনি আমার পাশেই থাকতেন, তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা
ৰ্শ্ইসাম না ৷ বর্ণনাকড়ারী বলেন, অবশেষে একদিন তার কাছে? গিয়ে সরাসরি তাকে জিজ্ঞাসা
ৰ্ষ্াম ৷ তিনি বললেন, আচ্ছা, পােন তবে৩ তারপর পুর্ণ বিবরণ টি আমাকে শুনালেন ৷ হাফিয
সুক্ষ্ম ৰাষহাকী (র) বলেন, আবু আমর আল আদীব (র) অড়াদী ইবন হাতিম (বা) সুত্রে


وَانْقَطَعَ الْوَلَدُ، وَأَنَا عَجُوزٌ كَبِيرَةٌ مَا بِي مِنْ خِدْمَةٍ، فَمُنَّ عَلَيَّ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ. فَقَالَ: " وَمَنْ وَافِدُكَ؟ " قَالَتْ: عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ: " الَّذِي فَرَّ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ؟ " قَالَتْ: فَمُنَّ عَلَيَّ. فَلَمَّا رَجَعَ وَرَجُلٌ إِلَى جَنْبِهِ تَرَى أَنَّهُ عَلِيٌّ قَالَ: سَلِيهِ حُمْلَانًا. قَالَ فَسَأَلَتْهُ فَأَمَرَ لَهَا. قَالَ عَدِيٌّ: فَأَتَتْنِي فَقَالَتْ: لَقَدْ فَعَلْتَ فَعْلَةً مَا كَانَ أَبُوكَ يَفْعَلُهَا. وَقَالَتْ: ائْتِهِ رَاغِبًا أَوْ رَاهِبًا، فَقَدْ أَتَاهُ فُلَانٌ فَأَصَابَ مِنْهُ، وَأَتَاهُ فُلَانٌ فَأَصَابَ مِنْهُ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا عِنْدَهُ امْرَأَةٌ وَصِبْيَانٌ أَوْ صَبِيٌّ، فَذَكَرَ قُرْبَهُمْ مِنْهُ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ لَيْسَ مَلِكَ كِسْرَى وَلَا قَيْصَرَ. فَقَالَ لَهُ: " يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ مَا أَفَرَّكَ؟ أَفَرَّكَ أَنْ يُقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ فَهَلْ مِنْ إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ؟ ! مَا أَفَرَّكَ؟ أَفَرَّكَ أَنْ يُقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ؟ فَهَلْ شَيْءٌ هُوَ أَكْبَرُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟ ! " فَأَسْلَمْتُ فَرَأَيْتُ وَجْهَهُ اسْتَبْشَرَ وَقَالَ: " إِنَّ الْمَغْضُوبَ عَلَيْهِمُ الْيَهُودُ، وَإِنَّ الضَّالِّينَ النَّصَارَى ". قَالَ: ثُمَّ سَأَلُوهُ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ فَلَكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ أَنْ تُرْضَخُوا مِنَ الْفَضْلِ ارْتَضَخَ امْرُؤٌ بِصَاعٍ، بِبَعْضِ صَاعٍ، بِقَبْضَةٍ، بِبَعْضِ قَبْضَةٍ " - قَالَ شُعْبَةُ: وَأَكْثَرُ عِلْمِي أَنَّهُ قَالَ: " بِتَمْرَةٍ، بِشِقِّ تَمْرَةٍ " - وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَاقِي اللَّهِ فَقَائِلٌ مَا أَقُولُ: أَلَمْ أَجْعَلْكَ سَمِيعًا بَصِيرًا؟ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ مَالًا وَوَلَدًا؟ فَمَاذَا قَدَّمْتَ؟ فَيَنْظُرُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ، وَعَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬০


বর্ণনা করেন ! আমি নবী করীম (সা)এর কাছে বসা ছিলাম, তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে
তাকে থাদ্যাভাবের অভিযোগ জানাল ৷ আর এক ব্যক্তি এসে বাহনের অনটনের অভিযোগ
জানাল ৷ নবী করীম (না) বললেন, হে আদী ইবন হাতিম ৷ তুমি কখনো হীর৷ নগরী দেখেছে৷ ?
আমি বললাম তা আমি দেখি নি, তবে তার কথা আমি শুনেছি তিনি বললেন,
“তোমার জীবন দীর্ঘায়িত হলেও ভুমি দেখতে পাবে ৷ হওদানশীন৷ নারী হীর৷ থেকে সফর
করে এনে কা বা ঘরের তাওরাক করে যাচ্ছে;
মহান মহীয়ান আল্লাহ্ ব্যতীত কাউকে ভয় পাওয়ার তার জন্য কোন কারণ নেই ৷ আদী
(রা) বলেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, তা হলে তার গোত্রের বদমাশ গুলোণ্ণ্যার৷ এ গোটা
পথে ছিনতাই রাহাজানীর আগুন জানিয়ে রেখেছে এদের অস্তিতৃ টিকে থাকবে কী করে ? (অথচ
নবী করীম (সা) বলে যাচ্ছিলেন) তোমার জীবন দীর্ঘ হলে আমরা খসরু বিন হুরয়ুযের
ধনভাণ্ডার জয় করে আনব ৷ আমি বললাম, স্ম্রাট খসক বিন হুরযুয এর? তিনি বললেন (হী )
এে
হুরমুয পুত্র খসকই ৷ আর তোমার জীবন দীর্ঘয়ীত হলে৩ তুমি দেখবে কোন মানুষ ঘুঠোভরা
সোনা বা রুপ৷ নিয়ে দান-খররাত গ্রহণকারীকে খুজে বেড়াৰে কিন্তু তা নেওয়ার মত কাউকে
খুজে পাবে না ৷ তোমাদের প্রত্যেকে এমন একদিন আল্লাহ্র সামনে র্দাড়াবে যখন তার ও
আল্লাহর মাঝে কোন দো ভাষী থাকবে না ৷ সে তার ডান দিকে তাকাবে, কিন্তু জাহান্নাম
ব্যতীত আর কিছুই দেখতে পাবে না , বাম দিকে নজর দিয়েও যে জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছুই
দেখতে পাবে না ৷

আদী (রা) বলেন, এ পর্যায়ে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনলাম
া ব্লুন্ধুাৰু
“এক টুকর৷ খুরমা দান করে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে আত্মরক্ষা কর ৷ এক টুকরা
খুরম৷ দানের সামর্থ্যও যদি না থাকে তা হলে উত্তম কথা বলে যাঞ্চা কারীকে বিদায় করবে ৷ ”

আদী (র৷ ) বলেন, আমি তো দেখেছি হাওদানাগ্রি শিনী নারী কুক৷ থেকে সফর করে এনে
বায়তুল্লাহ্ তাওয়াক করে যাচ্ছে মহান মহীয়ান আল্লাহ ছাড়া কারো ভয়ে সে শংকিত নয় ৷
আর কসক বিন হুরষুয এর ধন তাণ্ডার বিজেতাদের অনা৩ তম ছিলাম আমিও ৷ আর কিছু দিন
তোমরা বেচে থাকলে আবুল কা ৷সিম (না)-এর অন্য কথাটির বাস্তবারনও তোমরা দেখতে
পাবে ৷

বুখাৰী (র) মহশ্যেদ ইবনৃল হাকাম (র) উল্লিখিত সনদে হাদীসটি আনুপুর্বিক ব্রিওরারাত
করেছেন ৷ তিনি অন্য একটি সুত্রেওখ্; তা রিওরায়াত ৩করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ও নসােট (র) ও
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আদী (বা) থেকে এ কাহিনী রিওয়ারাতকারীদের মরে আমির ইকুন


يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ فَلَا يَجِدُ شَيْئًا، فَمَا يَتَّقِي النَّارَ إِلَّا بِوَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوهُ فَبِكَلِمَةٍ لَيِّنَةٍ، إِنِّي لَا أَخْشَى عَلَيْكُمُ الْفَاقَةَ، لَيَنْصُرَنَّكُمُ اللَّهُ وَلَيُعْطِيَنَّكُمْ أَوْ لَيَفْتَحَنَّ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَسِيرَ الظَّعِينَةُ بَيْنَ الْحِيرَةِ وَيَثْرِبَ أَوْ أَكْثَرَ مَا تَخَافُ السَّرَقَ عَلَى ظَعِينَتِهَا» ". وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَعَمْرِو بْنِ أَبِي قَيْسٍ كِلَاهُمَا عَنْ سِمَاكٍ ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ سِمَاكٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ - هُوَ ابْنُ حُذَيْفَةَ - عَنْ رَجُلٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ: حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكَ أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْكَ. قَالَ: نَعَمْ، لَمَّا بَلَغَنِي خُرُوجُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهْتُ خُرُوجَهُ كَرَاهِيَةً شَدِيدَةً، فَخَرَجْتُ حَتَّى وَقَعْتُ نَاحِيَةَ الرُّومِ - وَفِي رِوَايَةٍ: حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى قَيْصَرَ - قَالَ: فَكَرِهْتُ مَكَانِي ذَلِكَ أَشَدَّ مِنْ كَرَاهَتِي لِخُرُوجِهِ. قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَوْ أَتَيْتُ هَذَا الرَّجُلَ فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا لَمْ يَضُرَّنِي، وَإِنْ كَانَ صَادِقًا عَلِمْتُ. قَالَ: فَقَدِمْتُ فَأَتَيْتُهُ، فَلَمَّا قَدِمْتُ، قَالَ النَّاسُ: عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬১
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: «يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ أَسْلِمْ تَسْلَمْ " ثَلَاثًا. قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي عَلَى دِينٍ. قَالَ: " أَنَا أَعْلَمُ بِدِينِكَ مِنْكَ ". فَقُلْتُ: أَنْتَ أَعْلَمُ بِدِينِي مِنِّي؟ ! قَالَ: " نَعَمْ، أَلَسْتَ مِنَ الرَّكُوسِيَّةِ، وَأَنْتَ تَأْكُلُ مِرْبَاعَ قَوْمِكَ؟ " قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: " هَذَا لَا يَحِلُّ لَكَ فِي دِينِكَ ". قَالَ: نَعَمْ. فَلَمْ يَعْدُ أَنْ قَالَهَا فَتَوَاضَعْتُ لَهَا. قَالَ: " أَمَا إِنِّي أَعْلَمُ الَّذِي يَمْنَعُكَ مِنَ الْإِسْلَامِ ; تَقُولُ: إِنَّمَا اتَّبَعَهُ ضَعَفَةُ النَّاسِ وَمَنْ لَا قُوَّةَ لَهُ، وَقَدْ رَمَتْهُمُ الْعَرَبُ. أَتَعْرِفُ الْحِيرَةَ؟ " قُلْتُ: لَمْ أَرَهَا وَقَدْ سَمِعْتُ بِهَا. قَالَ: " فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى تَخْرُجَ الظَّعِينَةُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْبَيْتِ فِي غَيْرِ جِوَارِ أَحَدٍ، وَلَيَفْتَحَنَّ كُنُوزَ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ ". قَالَ: قُلْتُ: كِسْرَى بْنَ هُرْمُزَ؟ ! قَالَ: " نَعَمْ كِسْرَى بْنَ هُرْمُزَ وَلَيُبْذَلَنَّ الْمَالُ حَتَّى لَا يَقْبَلَهُ أَحَدٌ ". قَالَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ فَهَذِهِ الظَّعِينَةُ تَخْرُجُ مِنَ الْحِيرَةِ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ فِي غَيْرِ جِوَارٍ، وَلَقَدْ كُنْتُ فِيمَنْ فَتَحَ كُنُوزَ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَكُونَنَّ الثَّالِثَةُ ; لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ قَالَهَا» . ثُمَّ قَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ حُذَيْفَةَ عَنْ رَجُلٍ - وَقَالَ حَمَّادٌ عَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ: عَنْ رَجُلٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৬২


শুরাহ্বীল (র) ও রয়েছেন ৷ তার বিবরণও পুবর্বনৃরুপ ৷ তবে এতট্রুকু ব্যবধান রয়েছে যে, নবী
করীম (সা ) বলেছেন, “আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো ভর এবং বকধী পা ণে গেকত্বের ৩র ছাড়া
আর কোন আশংকা থাকবে না ৷

সহীহ্ বুখারীতে শুবড়া (ব ) হতে বর্ণিত হাদীস এবং মুসলিম শরীফে যুহারব ইবন মুআবিয়া
(র) (উভয় সনদ) আদী ইবন হাতিম (বা) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন,
জাহান্নামেব আগুন থেকে আত্মবক্ষা কর এক টুকরা খুরমা দিয়ে হলেও ৷ আর মুসলিম শরীফের



“তোমাত্বদব মধ্যে মার সমর্থ হয় যে, এক টুকরা খুরমা দিয়ে হলেও জাহান্নামের আগুন
থেকে নিজেকে আড়াল করতে পারে, সে যেন তা করে ৷” এটি পুর্ববর্তী বর্ণনার জন্য একটি
সমর্থক সুত্র ৷

হাফিব বারহাকী (র) আরো বলেছেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজ (ব ) কুমায়ল ইবন
যিয়াদ (র) থেকে, তিনি বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (বা) বলেন, “সৃবহানাহাল্লড়াহ্! হার ,
পুণ্য কাজে অনেক মানুষের কতই না অনীহা ৷ বিস্ময়কর সে লোকটি , যার কাছে তার কোন
মুসলমান তাই কোন অভাব নিয়ে এল, অথচ সে নিজেকে কল্যাণের যােণ্যপাত্র বানানো
পসন্দ করল না ৷ ছাওয়াবের আশা কিৎবা আযাবের তার তার যদি কিছু করার ইচ্ছা নাও হয়,
তবু চারিত্রিক সৌন্দর্য অ্যাগামী হওয়া অন্তত তার জন্য বাঞ্চুনীর ৷ কারণ , তা সফলতার পথ
নির্দেশ করে ৷ তখন এক ব্যক্তি তার সামনে দাড়িয়ে বলল, আমীরুল মুমিনীন ! আপনার জন্য
আমার মাবা প কুরবড়ান হোন ! আপনি কি এ বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে শুনেছেন ?
তিনি বললেন, হা, এর চাইতে উত্তম কথাও শুনেছি ৷ তার গোত্রের বন্দীদের নিয়ে আসা হলে
রক্তিম বর্ণ, অবরা, ধীর চরণা, সতেজ লম্বা সরু গ্রীবা, তীক্ষ্ণ নাসিকড়া, মুভৌল দেহবল্লবী ও
সুগঠিত মস্তক, মাংসল গোড়ালী, পুরু গোছা , পুষ্ট উরুদ্বয়, হলেকা €কষ্মের, ক্ষীণ কটি, মসৃন
পিঠ এক তরুণী র্দাড়াল ৷ আলী (রা) বলেন, তাকে দেখে আমি মুগ্ধ অভিভুত হলড়াম এবং
ম্ৰ মনে বললাম, পনীমতে প্রাপ?৷ আমার অংশে তাকে দিয়ে দেয়ার জন্য আমি রাসুলুল্লাহ্
(স্ম)-এর কাছে আবেদন জানার ৷

কিন্তু সে যখন মুখ খুলে কথা বলল, তখন তার বড়াগিাতা আমাকে তার রুপ সৌন্দর্যের
ৰ্ধ্ দুলিয়ে দিল ৷ সে বলল, হে মুহাম্মদ! আপনি ভাল মনে করলে আমাদের মুক্ত করে
ঘিব্ক্ত পারেন এবং আমাদের বন্দীভৈতু আরব পােত্রগুলােকে শত্রুর বিপদে আনন্দিত হবার
মোঃ না দিতে পারেন ৷ কেননা, আমি আমাদের গোত্র প্ৰ ধানের কন্যা ৷ আমার পিতা
মোঃ সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করতেন ৷ বিপদগ্রস্তকে বিপদমুক্ত করতেন, ক্ষুধার্তকে
ব্লিক্কুষ্ করতেন, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দিতেন, অতিথিদেব আপ্যায়ন করতেন, মানুষকে
ল্টো ব্বতে ভালৰাসতেন ৷ সালামের প্রসার ঘটাতেন এবং কখনো কোন অভাবগ্রস্ত
স্লে কুষ্ হাতে ফিরিয়ে দিতেন না ৷ আমি (দানৰীব) হাতিম তায়ষ্ এর কন্যা ৷ রাসুলুল্লাহ্
শ্যে ৰ্গ্ন্বেন-




قَالَ: كُنْتُ أَسْأَلُ النَّاسَ عَنْ حَدِيثِ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، وَهُوَ إِلَى جَنْبِي وَلَا أَسْأَلُهُ، قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: نَعَمْ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو عَمْرٍو الْأَدِيبُ أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ الْإِسْمَاعِيلِيُّ أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ أَنْبَأَنَا سَعْدٌ الطَّائِيُّ أَنْبَأَنَا مُحِلُّ بْنُ خَلِيفَةَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: «بَيْنَا أَنَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَشَكَى إِلَيْهِ الْفَاقَةَ، وَأَتَاهُ آخَرُ فَشَكَى إِلَيْهِ قَطْعَ السَّبِيلِ. قَالَ: " يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ هَلْ رَأَيْتَ الْحِيرَةَ؟ " قُلْتُ: لَمْ أَرَهَا، وَقَدْ أُنْبِئْتُ عَنْهَا. قَالَ: " فَإِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ لَا تَخَافُ أَحَدًا إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ". قَالَ: قُلْتُ فِي نَفْسِي: فَأَيْنَ دُعَّارُ طَيِّئٍ الَّذِينَ سَعَّرُوا الْبِلَادَ؟ " وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتُفْتَحَنَّ كُنُوزُ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ ". قُلْتُ: كِسْرَى بْنُ هُرْمُزَ؟ ! قَالَ: " كِسْرَى بْنُ هُرْمُزَ ". " وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الرَّجُلَ يَخْرُجُ بِمِلْءِ كَفِّهِ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، يَطْلُبُ مَنْ يَقْبَلُهُ مِنْهُ فَلَا يَجِدُ أَحَدًا يَقْبَلُهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৩

গ্রা

“হে বালিকা, এ সবই প্রকৃত ঈমানদারের গুণ ৷ তোমার পিতা মুসলমান হলে আমরা তার
জন্য দয়াদ্র হতাম ৷ একে যুক্ত করে দাও ৷ তার পিতা চারিত্রিক উৎকর্ষকে তালবাসতেন ৷ আর
আল্লাহ্ চারিত্রিক উৎকর্য পসন্দ করেন ৷”

তখন আবু বুরদা ইবন নিয়ার (বা) র্দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আপনিও তো
চারিত্রিক উৎকর্ষ পসন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,

এেম্রা দ্বু

“যীর হাতে আমার জীবন সেই পবিত্র সত্তার কসম ! চারিত্রিক মাধুর্য ছাড়া কেউ জান্নাতে
যেতে পারবে না ৷ এ হাদীসের মতন ভাষ্য উত্তম; তবে এর সনদ ও উৎস অতি দুর্লভ ৷

আমরা ইতােপুর্বে জাহিলিয়্যাত যুগে ওফাতপ্রাপ্ত বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের আলোচনা প্রসঙ্গে
হাতিম তায়-এর জীবন চরিত আলোচনা করে এসেছি ৷ সেখানে মানুষের সাথে তীর বদান্যতা
ও অনুগ্রহ অনুকস্পার ৰিষয়টিও উল্লিখিত হয়েছে ৷ তবে কিনা আখিরাতে এ সৰের সুফলপ্রাপ্তি
ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত ৷ আর হাতিম ছিলেন সে সব লোকের অন্তর্ভুক্ত যারা জীবনে একবারও
এ কথা বলেন নি যে, “আমার প্রতিপালক! শেষ বিচার দিনে আমার অন্যায়-অপরাধগুলো
ক্ষমা করে দিও ৷ ”

ওয়াকিদীর ধারণার নবম হিজরীর রাবীউছ-ছানী মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (রাক্ষে তার
গোত্রের এলাকায় অভিযানে পাঠিয়েছিলেন ৷ তিনি নিজের সাথে একদল যুদ্ধ বন্দী নিম্নে
এসেছিলেন, যাদের মাঝে আদী ইবন হাতিম-এর কন্যাও ছিলেন ৷ এ ছাড়া তিনি তাদের
প্রতিমা মন্দিরে রক্ষিত দু’টি তরবারিও নিয়ে এসেছিলেন ৷ যার একটির নাম ছিল আর রাসুব’
( ৷প্রুন্)া৷ অন্তর্ভেদী) এবং অপরটির নাম ছিল আলযিব ষাম (ণ্ং১ক্টষ্ সৃজ্জী) ৷ হ্যৰিছ
ইবন আবু সস্ফোরা (মতাম্ভরে আবু ইসহাক) তরবারি দৃৰাৰি ঐ; মোঃ উদ্দেশ্যে মানত
করেছিল ৷

দাওস গোত্র ও তাদের নেতা তুফায়ল ইবন অ!মৃক্স (শ্ন)-এৰ্ ৰনৈা
আবু নুআয়ম (র)আবু হুরাররা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি ৰ্ণেম্, স্কো ইবন
আমৃর বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে বলালন, দ্যষ্ঙ্গীৰু৷ ৰ্ৰ্ন্ব হয়ে ও
ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করে ধ্বংসের পথ ধরেছে ৷ আপনি জ্জক্ষ্ম ৰ্!হে ডো ন্যে বদ
দুআ করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-

fl; এৰুস্ গ্লু ক্রো ন্প্রুম্রা “ইয়া আল্লাহ্ দাওসীদের হিদারাত নঙ্গীৰ্ ৰ্ঘৰ এবং তাদের
(ইসলামে) এনে দিন!” বুখারী (র) এ সুত্রে একাকী এ হাদীস ৰুনাি স্কো ৷ পরবর্তী সনদে
তিনি বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল আলা (র)আবু হরায়রা (বা) ৷ৰ্ৰে ৰর্ণৰ্ ৰ্নরন, তিনি
বলেছেন, নবী করীম (না)-এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পথিময্যে অমি এ পর্যউ আবৃত্তি


مِنْهُ، وَلَيَلْقَيَنَّ اللَّهَ أَحَدُكُمْ يَوْمَ يَلْقَاهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ، فَيَنْظُرُ عَنْ يَمِينِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ، وَيَنْظُرُ عَنْ شِمَالِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ ". قَالَ عَدِيٌّ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَإِنْ لَمْ تَجِدْ شِقَّ تَمْرَةٍ، فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ". قَالَ عَدِيٌّ: فَقَدْ رَأَيْتُ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْكُوفَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْبَيْتِ، لَا تَخَافُ إِلَّا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَكُنْتُ فِيمَنِ افْتَتَحَ كُنُوزَ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ وَلَئِنْ طَالَتْ بِكُمْ حَيَاةٌ سَتَرَوْنَ مَا قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَكَمِ عَنِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ بِهِ بِطُولِهِ، وَقَدْ رَوَاهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ سَعْدَانَ بْنِ بِشْرٍ عَنْ سَعْدٍ أَبِي مُجَاهِدٍ الطَّائِيِّ عَنْ مُحِلِّ بْنِ خَلِيفَةَ عَنْ عَدِيٍّ بِهِ، وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ سَعْدٍ أَبَى مُجَاهِدٍ الطَّائِيِّ بِهِ. وَمِمَّنْ رَوَى هَذِهِ الْقِصَّةَ عَنْ عَدِيٍّ عَامِرُ بْنُ شُرَحْبِيلَ الشَّعْبِيُّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَقَالَ: " لَا تَخَافُ إِلَّا اللَّهَ وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهَا ". وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَعِنْدَ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلِ بْنِ مُقَرِّنٍ الْمُزَنِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৪



“হায় দুংখ-কষ্টের বিপদ-সং কুল দীঘল রজনী; তবুও তো কুফ্রস্থান থেকে সে রাত
আমাকে মুক্তি দিয়েছে!”

পথিমধ্যে আমড়া ড়ার একটি গোলাম পালিয়ে (গল ৷ আমি নবী করীম (সা) এর কাছে উপনীত
হয়ে তার হাতে বায়আত করলাম ৷ তখন সেখানে থাকাক ড়ালে দেখতে পেলাম, গোলামঢি
আসছে! নবী করীম (সা) আমাকে বললেন, আবু হুরায়রা! ঐ যে তোমার গোলাম এসে
পড়েছে ৷ আমি বললাম, মহান-মহীয়ান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে সে মুক্ত! আমি তাকে
মুক্ত করে দিলাম ৷ ইসমড়াঈল ইবন আবু খালিদ (র)-এর হাদীস সমষ্টি হতে বুখারী (র) একাকী
এ হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷

মন্তব্য : বুখারী (র) বর্ণিত হাদীস মতে তৃফায়ল ইবন আমর (না)-এর এ আগমন ছিল
হিজরতের আগে ৷ আর হিজরতের পরে তার আগমনের কথা স্বীকার করে নিলেও তা ছিল
মক্কা বিজয়ের আগে (অর্থাৎ নবম হিজরীতে নয় ৷ বরং সপ্তম হিজয়ীতে) ৷ কেননা, দাওসীদের
আগমনকালে আবু হুরায়রা (রা)-ও তাদের দলভুক্ত ছিলেন ৷

আর আবু হুরায়রা (না)-এর আগমন ঘটেছিল যখন নবী করীম (সা) খায়বার অবরোধ করে
রেখেছিলেন ৷ মদীনায় নবী করীম (না)-কে না পেয়ে আবু হুরায়রা (বা) খায়বারের উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়লেন এবং খায়বার বিজিত হওয়ার পরে তার খিদমতে পৌছলেন ৷ তাই খায়বারের
গনীমত থেকে দাওসীদের অনির্ধারিদ্ভ হিস্সারুপে কিছু সম্মড়ানী দেয়া হয়েছিল ৷ প্রসঙ্গটি
আমরা যথান্থানে বিশদভ্যবে বর্ণনা করে এসেছি ৷

ইয়ামনেৰাসী ও আশআরীদেব্ল আগমন
বুখারী (র) বলেন, শুবা (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ নবী কবীম (সা) বলেন-
পৌএ ণ্ৰুশ্রো
ণ্দ্বু;া৷ ঞা é; এাল্গুা৷এ ক্রোভৈ ঠোা৷ প্রুা১০৷ শুদ্বু ষ্১াপ্লু১া৷এ
ইয়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে, ওরা নরম মন ! কোমল প্রাণ; ঈমান তো
, ইন্নামানের, হিকমত ও প্রজ্ঞাও ইয়ড়ামড়ানের ৷ গর্ব ও অহংকার উটপালের মড়ালিকদের মাঝে;
ধশান্তি ও ভৈস্থর্য ছাগলপালের মড়ালিকদের মাঝে ৷” মুসলিম (র) ও ভাষা (র) থেকে এ
হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অন্য এক সনদে বুখারী (র) আবুল ইয়ড়ামান (র) আবু
হ্বায়রা (বা) সুত্রে নবী করীম (সা) থেকে, তিনি বলেন, “ইয়ড়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে
এসেছে, দৃরু দৃরু মন, কোমল প্রাণ; ফিক্হ তথা দীনের বুৎপত্তি ইয়ামড়ানবাসীদের, হিকমত ও
ঞ্চা ইয়ামানবাসীদের ৷ অন্য এক সনদে ইসমাঈল (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা
ৰদরন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন
ষ্ক্রো৷ ঢেও গ্লুা৷ ৷১া৯ ৷১া৯ গ্রোাগ্লু :াপ্রু :এ্যা ৷
ঈমান হল ইয়মােনী; আর ফিত্না ঐ দিকে; ঐ দিকেই উদিত হয় শয়তানের শিংা
কুশ্ন্াম (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন শুআয়ব (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে ৷ অন্য


تَمْرَةٍ» وَلَفْظُ مُسْلِمٍ: " «مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَتِرَ مِنَ النَّارِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ» ". طَرِيقٌ أُخْرَى فِيهَا شَاهِدٌ لِمَا تَقَدَّمَ: وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ ثنا أَبُو سَعِيدٍ عُبَيْدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْكُوفِيُّ ثنا ضِرَارُ بْنُ صُرَدٍ ثنا عَاصِمُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُنْدُبٍ عَنْ كُمَيْلِ بْنِ زِيَادٍ النَّخَعِيِّ قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَا سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا أَزْهَدَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فِي خَيْرٍ، عَجَبًا لِرَجُلٍ يَجِيئُهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ فِي الْحَاجَةِ فَلَا يَرَى نَفْسَهُ لِلْخَيْرِ أَهْلًا، فَلَوْ كَانَ لَا يَرْجُو ثَوَابًا وَلَا يَخْشَى عِقَابًا، لَكَانَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُسَارِعَ فِي مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ ; فَإِنَّهَا تَدُلُّ عَلَى سُبُلِ النَّجَاحِ. فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَمَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ ; لَمَّا أُتِيَ بِسَبَايَا طَيِّئٍ وَقَفَتْ جَارِيَةٌ حَمْرَاءُ، لَعْسَاءُ، ذَلْفَاءُ، عَيْطَاءُ، شَمَّاءُ الْأَنْفِ، مُعْتَدِلَةُ الْقَامَةِ وَالْهَامَةِ، دَرْمَاءُ الْكَعْبَيْنِ، خَدْلَةُ السَّاقَيْنِ، لَفَّاءُ الْفَخِذَيْنِ، خَمِيصَةُ الْخَصْرَيْنِ، ضَامِرَةُ الْكَشْحَيْنِ، مَصْقُولَةُ الْمَتْنَيْنِ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهَا أُعْجِبْتُ بِهَا، وَقُلْتُ: لَأَطْلُبَنَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْعَلُهَا فِي فَيْئِي. فَلَمَّا تَكَلَّمَتْ أُنْسِيتُ جَمَالَهَا مِنْ فَصَاحَتِهَا. فَقَالَتْ: يَا مُحَمَّدُ، إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُخَلِّيَ عَنَّا، وَلَا تُشْمِتْ بِنَا أَحْيَاءَ الْعَرَبِ، فَإِنِّي ابْنَةُ سَيِّدِ قَوْمِي، وَإِنَّ أَبِي كَانَ يَحْمِي الذِّمَارَ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৫
وَيَفُكُّ الْعَانِيَ، وَيُشْبِعُ الْجَائِعَ، وَيَكْسُو الْعَارِيَ، وَيَقْرِي الضَّيْفَ، وَيُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَيُفْشِي السَّلَامَ، وَلَمْ يَرُدَّ طَالِبَ حَاجَةٍ قَطُّ، أَنَا ابْنَةُ حَاتِمِ طَيِّئٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا جَارِيَةُ هَذِهِ صِفَةُ الْمُؤْمِنِينَ حَقًّا، لَوْ كَانَ أَبُوكِ مُسْلِمًا لَتَرَحَّمْنَا عَلَيْهِ، خَلُّوا عَنْهَا ; فَإِنَّ أَبَاهَا كَانَ يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ، وَاللَّهُ يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ ". فَقَامَ» أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهُ يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ الْجَنَّةَ إِلَّا بِحُسْنِ الْخُلُقِ ". هَذَا حَدِيثٌ حَسَنُ الْمَتْنِ، غَرِيبُ الْإِسْنَادِ جِدًّا، عَزِيزُ الْمَخْرَجِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرْجَمَةَ حَاتِمٍ الطَّائِيِّ فِي أَيَّامِ الْجَاهِلِيَّةِ عِنْدَ ذِكْرِنَا مَنْ مَاتَ مِنْ أَعْيَانِ الْمَشْهُورِينَ فِيهَا، وَمَا كَانَ يُسْدِيهِ حَاتِمٌ إِلَى النَّاسِ مِنَ الْمَكَارِمِ وَالْإِحْسَانِ، إِلَّا أَنَّ نَفْعَ ذَلِكَ فِي الْآخِرَةِ مَعْذُوقٌ بِالْإِيمَانِ، وَهُوَ مِمَّنْ لَمْ يَقُلْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ: رَبِّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ. وَقَدْ زَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبً فِي رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ إِلَى بِلَادِ طَيِّئٍ فَجَاءَ مَعَهُ بِسَبَايَا، فِيهِمْ أُخْتُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، وَجَاءَ مَعَهُ بِسَيْفَيْنِ كَانَا فِي بَيْتِ الصَّنَمِ، يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا: الرَّسُوبُ، وَالْآخَرُ الْمِخْذَمُ. كَانَ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي شِمْرٍ قَدْ نَذَرَهُمَا لِذَلِكَ الصَّنَمِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ:
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৬


এক সনদে বুখারী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, ও না (র)আবু মাসউদ (বা) থেকে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
ঞেঠো এগ্রা
ষ্ঠাং ঠেচ্ৰ্বা শ্’গ্রা
“ঈমান এখানে (এ কথা বলার সময়) তিনি ইয়ামানের দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷ কর্কশ
ভাবা, দৃর্ব্যবহার ও হৃদয়ের কাঠিন্য উটপালের পিছনে চিৎকারে অভ্যস্তদের মাঝে যে দিকে
শয়তানের দুটি শিং উদিত হয় ৷

অর্থাৎ রড়াবীঅ৷ ও মুযার গোত্রদ্বয় ৷ বুখারী (র) অন্যত্র এবং মুসলিম (র)-ও ইসমাঈল ইবন
আবু খড়ালিদ (র) আবু মাসউদ উকবা ইবন আমৃর (বা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তারপর উল্লেখ করেছেন সুফিয়ান ছাওয়ী (র)ইমরান ইবন হুসায়ন (বা) এর রিওয়ায়াত ৷
তিনি বলেন, বনুত তামীমের লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, “তামীমীরা!
সুসৎ বাদ গ্রহণ কর ’তার৷ বলল--

“সুসৎ বাদ যখন দিলেনই, তবে আমাদের কিছু দান-দক্ষিণাও করুন না ৷ তাদের এ
বেপরোয়৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চেহারা বিবর্ণ হল ৷৩ তখন ইয়ামানবাসী একদল লোক
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এলে তিনি তাদের বললেন, “তামীযীর৷ যখন সুসং বাদ গ্রহণে আগ্রহী
হল না, তখন তোমরা তা গ্রহণ কর !” তার৷ বলল, আমরা তা গ্রহণ করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !
তিরমিষী ও নসােঈ (র)-ও এ হাদীস উল্লিখিত সনদে ছাওয়ী (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

১ব্র ,;

“এসব হাদীসই ইয়ামানী প্রতিনিধি দলের মাহাত্ম্য নির্দেশ করে ৷ তবে এগুলোতে
প্রতিনিধিরব্পে তাদের আগমনের সময় নির্দেশিকা নেই ৷” তামীঘী প্রতিনিধি দলের আগমনকালে
পরবর্তী সময়ে হলেও তাতে আশআরীদের আগমন তার স কলীেন হওব৷ অনিবার্য নয় ৷ বরং
তাদের আগমন ঘটেছিল আরো আগে ৷

কেননা, আশআরীদের অন্যতম সদস্য ক ;” ঘুস৷ স্রভ্রশআরী (না)-এর সৃহবত ও নবী
সাহচর্যকাল জাফর ইবন আবু তালিব (রা)-ও তার সঙ্গীদের সহ্বত লন্সে সমকলীেন ৷ যারা
প্রথমবার হিজরত করে আৰিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) গিয়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
খায়বার বিজয়কালে সেখানে উপনীত হয়েছিলেন ৷ আমরা যখাস্থানে এর বিশদ বিবরণ পেশ
করে এসেছি ৷ সে সাথে নবী বত্রীম
)১১১ ৰুর্দুএএ আল্লাহর কসম! আমি বুঝতে পারি না, কোনটি আমার জন্য অধিক আনন্দদায়ক
জা ফরের প্রত্যাগমন কিৎবা খায়বার বিজয় উড়িটি সেখানে উল্লিখিত হয়েছে ৷ মন্ ৷ন আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷



১ অর্থাৎ তামীমীদের প্রত্যাথ্যাত সুসৎবাদ ইয়ামানীদের প্রদান করার উভয় প্রজ্যো দল সমকালীন হওয়া
জরুরী নয় ৷ যেহেতু সুসৎবাদ গ্রহগকারী ইয়ামানীর৷ ঐ সময়ই প্রতিনিধিরুপে এস্নি এমন প্রমণে নেই ৷ বরৎ
পুরেই তাদের আগমনের প্রমাণ রয়েছে ৷ অতএব, এখানে উল্লিখিত ইয়ামানীর৷ মদীনায় অবস্থান রত ইয়ামানী

কিৎবা ঐ সময় সাধারণ সফরে আগত ইয়ামানীর৷ হতে পারে ৷ অনুবাদক


[قِصَّةُ دَوْسٍ وَالطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو] حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ ذَكْوَانَ - هُوَ عَبْدُ اللَّهِ أَبُو الزِّنَادِ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «جَاءَ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ دَوْسًا قَدْ هَلَكَتْ، عَصَتْ وَأَبَتْ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ ".» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ فِي الطَّرِيقِ: يَا لَيْلَةً مِنْ طُولِهَا وَعَنَائِهَا ... عَلَى أَنَّهَا مِنْ دَارَةِ الْكُفْرِ نَجَّتِ وَأَبَقَ غُلَامٌ لِي فِي الطَّرِيقِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَايَعْتُهُ، فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ إِذْ طَلَعَ الْغُلَامُ، فَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، هَذَا غُلَامُكَ " فَقُلْتُ: هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَأَعْتَقْتُهُ.» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ قُدُومِ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو فَقَدْ كَانَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، ثُمَّ إِنْ قُدِّرَ قُدُومُهُ بَعْدَ الْهِجْرَةِ فَقَدْ كَانَ قَبْلَ الْفَتْحِ ; لِأَنَّ دَوْسًا قَدِمُوا وَمَعَهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَكَانَ قُدُومُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৭

বাহ্রায়ন ও ওমান এর ঘটনা

কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সুত্রে বর্ণিত যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে বলেছিলেন, বাহরায়নের মাল এসে পড়লে তোমাকে এই এই এই পরিমাণ দিয়ে
দিতাম, এই পরিমাণ তিনি তিনবার বললেন ৷ কিন্তু বাহবায়নের মাল আসার আগেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ আবু বকর (রড়া) খলীফা হলে তার কাছে সে মালামাল
এল ৷ তিনি এক ঘোষককে এ যেষ্মেণড়া দিতে বললেন, “নবী করীম (সা) এর কাছে যার কোন
পড়াওনা বা ওয়াদা রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে ৷ জারির (বা) বলেন, আমি আবু বকর
(রা)এর কাছে গিয়ে জকে জানালাম যে, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “বাহরায়নের মাল
এসে পড়লে তোমাকে এত, এত এবং এত পরিমাণ দিয়ে দিতাম ৷ তিনবার বলেছিলেন ৷
জারির (বা) বলেন, আবু বকর (বা) আমার কথায় মনোযোগ দিলেন না ৷ তাই পরে আবার
আমি তার সাথে লড়াক্ষাত করে আমার দাবী জানালার ৷ কিন্তু তখনও তিনি আমাকে কিছু দিলেন
না ৷ তৃতীয়বার আমি তার কাছে যাওয়ার পরেও তিনি আমাকে কিছু দিলেন না ৷ তখন আমি
তাকে বললাম , বারবার আমি আপনার কাছে এলায, কিন্তু আপনি আমাকে কিছুই দিলেন না ৷
হয় আপনি আমাকে কিছু দিয়ে দিন, না হয় বখিলী করুন ৷ তিনি বললেন, তুমি বখিলী’ ও
কিপটেষী করার কথা বললে? কিপটিমির চাইতে জঘন্য বদভ্যাস আর কী হতে পারে ? তিনি
কথাটি তিনবার বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, যতবারই আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি,
আমার সিদ্ধান্ত ছিল তোমাকে দেয়ার ৷ এক্ষেত্রে বুখরীি (র) হাদীসটি অনুরুপই রিওরায়াত
করেছেন ৷ মুসলিম (র) ও আমৃর আন নাকিদ (র)সুফিয়ড়ান (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওরড়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আঘৃর (র)জারির ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) কে বলতে শুনেছি,আমি আবু বকর (রড়া)এর কাছে গোলে তিনি (কিছু মুদ্রা
দিয়ে) বললেন, এগুলো গুণে ফেল ৷ গুণে দেখলাম পাচশ রয়েছে, তিনি বললেন, ওর সাথে
আরো দ্বিগুণ নিয়ে যাও ৷’

বৃখারী (র) আলী ইবনুল মাদীনী (র)জারির (বা) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অন্যত্র বুখারী (র) এবং মুসলিম (র)ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন৷ তার
অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছেন্শ্ আবু বকর (বা) তাকে নির্দেশ দিলে তিনি আজলা ভরে
দিরহড়াম ( রৌপ্যযুদ্রা) তুললেন এবং সেগুলো ওণে দেখলেন যে তাতে গাচশ’ রয়েছে ৷ তখন
আবু বকর (বা) আরো দৃবার তার সমপরিমাণ দিয়ে দানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ অর্থাৎ
তাকে প্রদত্ত মোট মুদ্রার পরিমাণ ছিল দেড়হজাের দিরহাম ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফারওয়া ইবন মিসৃসীক আলমুরড়াদীর প্রতিনিধিরুপে আগমন

ইব ন ইসহাক (র) বলেন,কিনদার সামত রজােদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফারওয়া ইবন
মিসৃসীক আল-মুরাদী রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷ ইসলামের আরিভাবের
প্রাক্কালে তার গোত্র মুরাদ’ ও পার্শ্ববর্তী হামাদড়ান গোত্রের মাঝে লড়াই বেধেছিল এবং তাতে


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَاصِرٌ خَيْبَرَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ بَعْدَ الْفَتْحِ، فَرَضَخَ لَهُمْ شَيْئًا مِنَ الْغَنِيمَةِ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ مُطَوَّلًا فِي مَوَاضِعِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: [قُدُومُ الْأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ الْيَمَنِ] وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً، وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الْإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالْفَخْرُ وَالْخُيَلَاءُ فِي أَصْحَابِ الْإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ فِي أَهْلِ الْغَنَمِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ، أَضْعَفُ قُلُوبًا، وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً، الْفِقْهُ يَمَانٍ، وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ ".» ثُمَّ رَوَيَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالْفِتْنَةُ هَاهُنَا ; هَاهُنَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৮


হামাদানীৱা তার পােত্ররুক পরিজিত করে ও তাদের রভ্রুক্তা বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ৷ এ যুদ্ধ
ইয়ড়াওযুর-রাদ্ম নামে পরিচিত ৷ এতে হামাদানীদের সেনাপতি ছিল আল-আজদা ইবন
মালিক ইবন হিশামের মতে তার নাম ফ্লি মালিক ইবনুল হুরড়ায়ম আল-হড়ামাদানী ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া ইবন মিসৃসীক ঐ যুদ্ধের স্মরণে কবিতা রচনা করেছিলেন
(সারাংশ) ৷

সুঠামদেহী অশ্বদল টণবগিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ছুটে এল ৷ যুদ্ধে জয়-পরড়াজর অনিবার্য ৷
আমরা বিজয়ী হলে সে কোন নতুন ব্যাপার নয় ৷ আর অণত্যা পরাজিত হলে ভীরুতা আমাদের
কাবু করেছে এমন মনে করার কোন কারণ নেই ৷ ও তো নির্ধারিত মৃত্যু, যা কাউকেই খাতির
করে না ৷ কালচক্রের আবর্তন এমনি, কখনো এরুপ, কখনো ওরুপ, উথাল-পাথাল করাই তার
কাজ ৷ আনন্দের পালা কখনো দীর্ঘ মেয়াদী হয়, আবার তা ওলট-পালট হয়ে আটা-পেষা করে
দেয় ৷ আমাদের দৃর্যোগে কেউ উল্লসিত হলে একটু পরেই সে কালের কুটচক্র সে টের পেয়ে
যাবে ৷ অতীতের রাজ-রজােড়ার চিরস্থায়ী হলে আমরাও চিরদিন টিকে থাকতাম, অভিজাত
ালাকেরইি শুধু বেচে থাকলে আমরাও অমর হতাম ৷ যা হোক, কালক্রে আমাদের সেরা
লোকদের নিঃশেষ করে দিয়েছে, যেমনটি পুর্ববর্তী ষুশেও ঘটেছে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওরা ইবন মিসৃসীক কিন্দার রাজ্যাবর্গের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ

করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমনের ডো রওনা করলে এ কবিতা রচনা করলেন
খ্যাঃ গ্র
ৰু;প্লুএশু

“কিন্দার রাজাদের মাঝে যখন প্রত্যক্ষ করলাম (অনৈক্য ও ঐক্যে) অনীহা-ব্যধিগ্নস্থের এক
পা যেমন অন্য পায়ের সাথে বিশ্বাস তলের আচরণ করে; আমি আমার বাহনটি কাছে নিয়ে
এলাম ঘৃহাম্মদ এর কাছে পৌছার উদ্দেশ্যে তীর অনুগ্নহ ও পুণ্য প্ৰভার আকর্ষচুণ ৷”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপনীত হলে যদ্দুর আমি
জানি তিনি তাকে বললেন-

ওএেহ্রাপ্লু

“কারওয়ড়া আর-রাদম’ যুদ্ধে তোমার গোত্রের যে পরিণতি হয়েকাি তা কি তোমার মনহ্রকষ্টের
কারণ হয়েছে?”

ফারওয়া বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এমন কোন সচেতন লোক কি আছে যার দেত্রে আমার
গোত্রের আর রড়াদম’ দিবসের পরিণতির ন্যায় দৃয়েগৈর সম্মুখীন হলে তার মনঃষ্কষ্ট হয় না ষ্
রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাকে এই বলে সাভুনা দিলেন শ্বা ণ্স্থ্রা ণ্গ্ এ ষ্দ্ৰ ১) ষ্ ণ্১ এা১ ধ্৷ ৷া
),ও গােন, ঐ ঘটনা তোমার গোত্রের জন্য ইসলাম গ্রহণ ও স্ফোলোঃ লোঃই বৃদ্ধি
করেছে ৷ পরে তাকে মুরাদ ষাবীদ ও যুবকাি মোঃসৃহ্যে৷ ন্যে ন্মোনিঙ্গেগ্ মোঃ এবং
তার সাথে খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস (ৱাক্লে সাদক্যের ল্টোন্মো ঠােলন ৷
রড়াসুলুল্পাহ্ (না)-এর ওকাত পর্যন্ত খালিদ (রা) ন্মোাহ (ন্ন)-ম্র ম্াৰে অর লোঃর
অবস্থান রত ছিলেন ৷


ثُمَّ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْإِيمَانُ هَاهُنَا - وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْيَمَنِ - وَالْجَفَاءُ وَغِلَظُ الْقُلُوبِ فِي الْفَدَّادِينَ عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الْإِبِلِ مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ رَبِيعَةَ وَمُضَرَ ".» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو. ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ مُحْرِزٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «جَاءَتْ بَنُو تَمِيمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَبْشِرُوا يَا بَنِي تَمِيمٍ ". فَقَالُوا: أَمَّا إِذْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا. فَتَغَيِّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلُهَا بَنُو تَمِيمٍ ". فَقَالُوا: قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ.» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى فَضْلِ وُفُودِ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَلَيْسَ فِيهِ تَعَرُّضٌ لِوَقْتِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৬৯
وُفُودِهِمْ. وَوَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ، وَإِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا قُدُومُهُمْ لَا يَلْزَمُ مِنْ هَذَا أَنْ يَكُونَ مُقَارِنًا لِقُدُومِ الْأَشْعَرِيِّينَ، بَلِ الْأَشْعَرِيُّونَ مُتَقَدِّمٌ وَفْدُهُمْ عَلَى هَذَا، فَإِنَّهُمْ قَدِمُوا صُحْبَةَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ فِي صُحْبَةِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَأَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ كَانُوا بِالْحَبَشَةِ، وَذَلِكَ كُلُّهُ حِينَ فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ، وَتَقَدَّمَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَاللَّهِ مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أُسَرُّ ; أَبِقُدُومِ جَعْفَرٍ أَوْ بِفَتْحِ خَيْبَرَ؟» ". وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [قِصَّةُ عُمَانَ وَالْبَحْرَيْنِ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ قَدْ جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا ". ثَلَاثًا. فَلَمْ يَقْدَمْ مَالُ الْبَحْرَيْنِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ أَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى: مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ أَوْ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنِي. قَالَ جَابِرٌ: فَجِئْتُ أَبَا بَكْرٍ، فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَوْ جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا ". ثَلَاثًا. قَالَ: فَأَعْطَانِي. قَالَ جَابِرٌ: فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ فَسَأَلْتُهُ، فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ الثَّالِثَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭০
فَلَمْ يُعْطِنِي، فَقُلْتُ لَهُ: قَدْ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، فَإِمَّا أَنْ تُعْطِيَنِي، وَإِمَّا أَنْ تَبْخَلَ عَنِّي. قَالَ: أَقُلْتَ: تَبْخَلُ عَنِّي؟ قَالَ: وَأَيُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنَ الْبُخْلِ؟ - قَالَهَا ثَلَاثًا - مَا مَنَعْتُكَ مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُعْطِيَكَ.» هَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ هَاهُنَا وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَهُ: وَعَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: جِئْتُهُ فَقَالَ لِي أَبُو بَكْرٍ: عُدَّهَا فَعَدَدْتُهَا. فَوَجَدْتُهَا خَمْسَمِائَةٍ، فَقَالَ: خُذْ مِثْلَهَا مَرَّتَيْنِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ - هُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ - عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، عَنْ جَابِرٍ كَرِوَايَتِهِ لَهُ، عَنْ قُتَيْبَةَ، وَرَوَاهُ أَيْضًا هُوَ وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرٍ بِنَحْوِهِ، وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى لَهُ أَنَّهُ أَمَرَهُ فَحَثَى بِيَدَيْهِ مِنْ دَرَاهِمَ، فَعَدَّهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُمِائَةٍ فَأَضْعَفَهَا لَهُ مَرَّتَيْنِ، يَعْنِي فَكَانَ جُمْلَةُ مَا أَعْطَاهُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةِ دِرْهَمٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৭১


যাবীদ এর কড়ারুফ্ফার সাথে আমৃব ইবন মাদীকারাব এর আগমন

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আবির্তাবের খবর ছড়িয়ে পড়লে আমর ইবন
মাদীকরােব কায়স ইবন মাকশুহ আল-যুরাদীকে বললেন, হে কায়স ! তু তো তোমার গোত্রের
সরদার ৷ আমরা সবাই এ কথা শুনেছি যে, হিজাঘে কুরায়শ বংশীয় মুহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির
আবির্ভাব হয়েছে, মীর নবী হওয়ার কথা আলোচিত হচ্ছে ৷ চলো না, কাছে গিয়ে জকে দেখে
শুনে আসি ৷ যদি ল্যেকটি সত্যি নবীই হয়ে থাকেন, তবে তা আমাদের কাছে গোপন থাকবে
না ৷ আমরা র্তার সাক্ষাতে জর আনুগত্য ৷:ঘামণা করে আসর ৷ অন্যথায় আমরা ব্যাপারটি বুঝে
ফেলব ৷ কিন্তু কারন তাতে স্বীকৃত হল না এবং তার প্ৰস্তাবকে বোকামী ঠাউরিয়ে উপহাস
ধ্বং ৷ আমৃর ইবন মাদীকন্মোব (রা) সফর করে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপনীত
হলেন এবং নবী কবীম (না)-এর প্ৰতি ঈমান এনে র্তার নবুওয়তের স্বীকৃতি দিয়ে মুসলমান
হয়ে গেলেন ৷ কায়স ইবন মাকশুহ-এর কাছে এ স বাদ পৌছলে তার বিকদ্ধাচরণ ও তার
মতামতকে অবজ্ঞা করার কথা উল্লেখ করে সে আমরকে হুমকি দিল ৷ আমর ইবন মাদীকারড়াব
(রা) সে হুমকির জবাব দিলেন এ কবিতায় (সারকথা ) ৷

সানআ দিবসে £৩ লোঃ;ক একটা ভ ৷ল কাজের পরামর্শ দিয়েছিলাম, আল্লাহর ভর ও ন্যায়
সঙ্গত কাজে প্ৰন্তুভির ৷ গাধাব আত্মগবিমা আ ড়ার গুড় (দখলে ৷ পিঠে সিংহবাইি অশ্ব আমাকে
আশান্বিত করল ৷ বর্ষ যেন ম্ফটিক স্বচ্ছ পানির বিশাল হ্রদ ৷ বল্লম ফিরিয়ে দেয় নিঘিঘে ৷
লক্ষচ্যুত করে তার কলা ৷ এসো না একদিন ৷ £কশরধারী সিংহের সাক্ষাত পেয়ে যাবে; আসতে
পারে বন রাজের ঞ্চাস্ত থাবন্থ বিস্তীর্ণ কাধের £কউ আসে যদি যুঝে দেখতে ,তাকে উপরে
উঠিয়ে আছড়ে মায়ে, মগজ বের করে দেয়, চুর্গ-বিচুর্ণ করে তাকে ছাড়ে, তারপর যেন ক্ষুধাব
তাড়নড়ায় তাকে গিলে ফেলে প্রায় ৷ মুশরিক দৃরাচড়ারদ্র সামনে থাক, ৰাড়াবাড়ি করো না ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, আম্র ইবন মাদীকরােব (বা) স্বগােত্র বনু বাবীদেই অবস্থান
করলেন ৷ গোত্রের শাসন কভুত্বেগ্ নিয়োজিত ছিলেন ফারওয়া ইবন মিসৃন্সীক (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ওফাতের পরে আমৃর ইবন মদ্বঙ্গীকরােবও ধমত্যাগীদেব দলত্যুঃ হল এর ৎ ফারওয়া
ইবন মিনৃসীক (রা) কে বাস করে কবিতা লিখন-

“ফারওয়ড়ার রাজতু; আর বলো না, এমন নিকুষ্ট আর দেখি নি; পাধায় নড়াকে দড়ি বেধে
দেয়া হয়েছে; আবু উমায়রকে যদি কখনো দেখ , তাহলে দেখবে :িস্পোভ্রুচপনা ও গাদ্দারীর এক
ৰিদঘুটে প্রতিচ্ছৰি ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : পরে আবার মাদীকারাব ইসলাম ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেন এবং উত্তমতারে
ইসলামী জীবন যাপন করেন ৷ আবু বকর ও উমর (রা) এর যুগে বিভিন্ন বিজয় অভিযানে অংশ
গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য ণ্বড়াহাদুর এবং বীরতে, খ্যাতি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যের
অধিকারী একজন কবি ৷ নাহাওয়ড়ান্দ অভিযানে অংশ গ্রহণের পরে ২১ হিজবীতে ইন্তিকাল
করেন ৷ কারো কারো মতে কাদিসিয়ার যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করে লাভ করেন ৷ আবু আমর
ইবন আবদুল বড়াবৃর (র) বলেন, র্তার প্রতিনিধিরুপে আগমনের সময় ছিল নবম হিজরীতে ৷
ইবন ইসহাক ও ওয়াকিদীর বর্ণনা মতে দশ্যা হিজরীতে ৷ ইমাম শড়াফিঈ (র)-এর উক্তিতে
দ্বিতীয় মতের প্রতি সমর্থন লক্ষণীয় ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত
— ১ ৮


[وُفُودُ فَرْوَةَ بْنِ مُسَيْكٍ الْمُرَادِيِّ] ِّ أَحَدِ، رُؤَسَاءِ قَوْمِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ فَرْوَةُ بْنُ مُسَيْكٍ الْمُرَادِيُّ مُفَارِقًا لِمُلُوكِ كِنْدَةَ، وَمُبَاعِدًا لَهُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ بَيْنَ قَوْمِهِ مُرَادٍ وَبَيْنَ هَمْدَانَ وَقْعَةٌ قُبَيْلَ الْإِسْلَامِ، أَصَابَتْ هَمْدَانُ مِنْ قَوْمِهِ حَتَّى أَثْخَنُوهُمْ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمٍ يُقَالُ لَهُ: الرَّدْمُ. وَكَانَ الَّذِي قَادَ هَمْدَانَ إِلَيْهِمُ الْأَجْدَعُ بْنُ مَالِكٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: مَالِكُ بْنُ خُرَيْمٍ الْهَمْدَانِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ فَرْوَةُ بْنُ مُسَيْكٍ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ: مَرَرْنَ عَلَى لِفَاتَ وَهُنَّ خُوصٌ ... يُنَازِعْنَ الْأَعِنَّةَ يَنْتَحِينَا فَإِنْ نَغْلِبْ فَغَلَّابُونَ قِدْمًا ... وَإِنْ نُغْلَبْ فَغَيْرُ مُغَلَّبِينَا وَمَا إِنْ طِبُّنَا جُبْنٌ وَلَكِنْ ... مَنَايَانَا وَطُعْمَةُ آخَرِينَا كَذَاكَ الدَّهْرُ دَوْلَتُهُ سِجَالٌ ... تَكُرُ صُرُوفُهُ حِينًا فَحِينَا
পৃষ্ঠা - ৩৭৭২
ষ্ষ্৮ আঃ

ইউনুস (র) ইবন ইঈইরুি (র) ণ্চুরট্বষ্-উঃদ্ধৃত করেছেন, কারো কারো মতে আমর ইবন
মাদীকারাব নবী কবীম (না)-এর কাছে আসেন নি এবং এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি কবিতায়
বলেছিলেন-

“নবী কৰীম (সা) এর প্রতি ঈমান স্থাপনে আমার মন প্রাণ সুদৃঢ়, যদিও চাক্ষুষভাবে আমি
নবীকে দেখিনি ৷ সারা বিশ্বের নেতা, মর্যাদার আল্লাহ্র সর্বাধিক নিব১ট্টবর্তী ৷ আহুত্রাহুর কাছে
থেকে নড়ামুস ও ওহী নিয়ে এলেন, তাতে আল আমীন’ ছিলেন ইলাহী মদদপ্রাপ্ত ৷ জ্ঞান ও
প্ৰজ্ঞার ধারা; আলেড়াৰুবর্তিকা, সে আলো আমাদের অন্ধৎ ঘুচিয়ে পথ দেখলে ৷ নতুন পথের
আমরা যাত্রী হয়েছিলাম ইচছায়-অনিচ্ছায় ৷ অবশেষে প্রকৃত মাবুদের ইবাদতে নিরত হলাম ৷
অথচ ইতোপুর্বে আমরা অজ্ঞতার শিকার হয়ে মুর্তি পুজায় লিপ্ত থাকতড়াম ৷ তিনি আমাদের
মাঝে সৌহড়ার্দবোধ জন্মালেন ৷ আমরা তাই তাই হয়ে গেলাম ৷ আমরা যে দেশ্চেইি থাকি না
কেন, তার জন্য হোক শান্তি ও প্ৰশান্তি ৷ নবী কবীম (না)-কে দেখার সৌতাণ্য হয়নি যদিও,
ঈমানের সাথে তার অনৃগামী হয়েছি তবুও ৷

কিনদার প্রতিনিধি দল নিয়ে আশআছ ইবন কায়স এর আগমন

ইবন ইসহ্যক (র) বলেন, কিন দা প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আল আশআছ ইবন কায়স
(রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে এসেছিলেন ৷ ষুহরী (র) আমাকে এ বিবরণ শুনিয়েছেন যে,
কিনদার আশিজন আরােহীসহ তিনি এসেছিলেন ৷ তারা এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদে
প্রবেশ করলেন ৷ তখন তারা সুন্দর করে ভীদের মাথা আচড়ে রেখেছিলেন এবং চওড়া ৷:রশমী
পাড় বসানো হিবারা জুব্বায় আচ্ছাদিত ছিলেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সামনে এলে তিনি
তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ইসলাম গ্রহণ করো নি? তারা বললেন, অবশ্যই ! তিনি
বললেন, তবে তোমাদের পারে এ রেশমী জুব্বা কেন? বর্ণনব্কারী বলেন, তারা তখনই সে
কাপড় ছিড়ে কেড়ে ফেলে দিলেন ৷ তারপর আশআছ ইবন কায়স নবী করীম (সা)ফে
বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! আমরা মুরার খেক্যের বংশধর ৷ আপনিও যুরার থেক্যের সন্তান ৷ ১
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হেসে বললেন, এ বংশ সুত্র দিয়ে তারা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ও
রাৰীআ ইবনুল হারিছ এর সাথে বংশীয় নৈকটোর প্রতি ইঙ্গিত করতে তার ৷ কারণ, ওরা দুজন
ব্যবসা করতেন এবং বাণিজ্য উপলক্ষে সারা আরবে ঘুরে £বড়াতেন ৷ একবন্মে র্তারা জিজ্ঞাসিত
হলেন ৷ তোমরা কোন বংশেরর লোক? তারা জবাব দিলেন আমরা ঘৃরার থেক্যের বংশধর ৷
এ কথা বলে তারা কিনদার সাথে বংশ সুত্র সম্পৃক্ত শ্লেওে (া>প্লেছিণে প , শাওে ঐ পর দেশে
মান-মর্যাদা পাওয়া যায় ৷ কেননা, কিনদা ছিল রাজ বংশ ৷ এতে কিনদীদের বিশ্বাস জন্মাল যে,
কুরারশীরা তাদের সমগােত্রীয় ৷ আব্বাস ও রাবীআ (রা )এর উক্তিটি ছিল এর যুক্তি ৷ ঘুরার
থেকাে’ হল কিনদীদের পুর্বপুরুষ হারিছ ইবন আম র ইবন মুআবিয়া ইবনুল হারিছ ইবন
মুআৰিয়া ইবন ছাওর ইবন মারতা ইবন মুআবিয়া ইর্বৃন কিনদী (মতান্তরে কিনদা) ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের বললেন-







১ মরুভুমির এক প্রকার গাছ ৷ একটু কষ্যর মরুচারীরা চিৰিয়ে যায় ৷ বেশী পরিমাণ খেলে মুখের ছাল উঠে
যায় ৷ অনুৰাদক


فَبَيْنَا مَا نُسَرُّ بِهِ وَنَرْضَى وَلَوْ لُبِسَتْ غَضَارَتُهُ سِنِينَا ... إِذِ انْقَلَبَتْ بِهِ كَرَّاتُ دَهْرٍ فَأَلْفَيْتَ الْأُولَى غُبِطُوا طَحِينَا ... فَمَنْ يُغْبَطْ بِرَيْبِ الدَّهْرِ مِنْهُمْ يَجِدْ رَيْبَ الزَّمَانِ لَهُ خَئُونَا ... فَلَوْ خَلَدَ الْمُلُوكُ إِذًا خَلَدْنَا وَلَوْ بَقِيَ الْكِرَامُ إِذًا بَقِينَا ... فَأَفْنَى ذَلِكُمْ سَرَوَاتِ قَوْمِي كَمَا أَفْنَى الْقُرُونَ الْأَوَّلِينَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا تَوَجَّهَ فَرْوَةُ بْنُ مُسَيْكٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُفَارِقًا مُلُوكَ كِنْدَةَ قَالَ: لَمَّا رَأَيْتُ مُلُوكَ كِنْدَةَ أَعْرَضَتْ ... كَالرِّجْلِ خَانَ الرِّجْلَ عِرْقُ نَسَائِهَا قَرَّبْتُ رَاحِلَتِي أَؤُمُّ مُحَمَّدًا ... أَرْجُو فَوَاضِلَهَا وَحُسْنَ ثَرَائِهَا قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى فَرْوَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ، فِيمَا بَلَغَنِي: «يَا فَرْوَةُ هَلْ سَاءَكَ مَا أَصَابَ قَوْمَكَ يَوْمَ الرَّدْمِ؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ ذَا الَّذِي يُصِيبُ قَوْمَهُ مَا أَصَابَ قَوْمِي يَوْمَ الرَّدْمِ، لَا يَسُوءُهُ ذَلِكَ؟! فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৩


এে : “fl: ১’ব্লু স্ ৷ ট্রুব্লব্লুও ১৷ হ্ষ্া$ গ্লু)হু ফো৷ স্ট্রু১ :১১ ঙ্কুা
“তা নয় (বরৎ ) আমরা তাে নাষ্র ইবন কিনানাণ্এর ব০ শধর; (বৎশ সুত্র ভেজাল করে)
আমরা আমাদের মাতৃকুলের প্রতি কলৎক লেপন করব না ৷ পিতৃকুলকেও অস্বীকার করব না ৷ ”
তখন আশআছ ইবন করেন তার সঙ্গীদের বললেন-ৰু

“আল্লাহর কসম ৷ হে কিনদাবাসীরা! এরপর ঐ কথা কাউকে বলতে শুনলে আমি তাকে
আশি ঘা চাবুক লাগবে ৷ ” অন্য একটি সুত্রে এ বিবরণ অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম
আহমদ ইবন হাবল (র) বলেন, বড়াহ্য (র) ও আফ্ফান (র) আশআহ ইবন কায়স (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কিনদী প্রতিনিধি দলের সাথে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
দরবারে হড়াযির হলাম ৷ আফ্ফানের বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়ােছ “তাদের মাঝে আমি শ্রেষ্ঠ বলে
পরিগণিত হচ্ছিলাম না ৷ আশআছ বলেন, আমি বললাম, ইয়া রড়াসুলাল্লন্বহ্ ! আমরা তো
পরস্পর জ্ঞাতি ভাই? আপনারা আমাদের গোত্রের (অর্থাৎ আমাদের গোত্র অভিন্ন) ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন আমরা তাে নাবৃর ইবন কিনানা-এর বংশধর ৷ আমরা মাতৃকুলের প্ৰতি কৎলক
হ্মেপন ব্বাব না, পিকু সম্বন্ধে অনীহ্য দেখান না ৷ জন ক্ষাংছ (বা) মোঃ, অব
দ্যো প্নে! সেন সৌং নাৰ্; র ইবন ন্সিানার ৰলীের মোঃ ব্যাপারে যে কাউঃক

ঘা ধ্াগ্ৰ্ন্দ দািত ষ্ৰ্ব, আঃ তাবশ্যই ম্পেবাদের শরীআর্তী সাজা) হদ্দরুপে চাবুক
ষ্ ;
বু ইবন মাজা (র) আবু বকর ইবন আবু শায়রা প্রমুখ সুত্রে এ হাদীস রিওরায়তে করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াত সুরায়জ ইবনুন নু মান (র) আশআছ ইবন
কায়স (রা) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিনদী প্রতিনিধি দলের সাথে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কাছে এসে তিনি আমাকে বললেন, তােমার কোন সন্তান আছে কি ? আমি বললাম, আপনার
এখানে আমার জন্য রওনা করার মুহুর্তে ৰিনৃতু জামাদ এর মরে আমার একটি পুত্র সন্তানের
জন্ম হয়েছে; আমার মনের বাসনা তার স্থলে যদি ক <ব্লমেব জন্য পরি৩ ট্রুপ্তিকর কিছু হত ৩! নবী
করীম (সা) বললেন
ক্রো ণ্ব্লুন্ঙ্কুগু :ঙ গ্রাট্র ক্রা ব্লুঢু৷ ম্মু

“ও রকম করে বলো না ৷ কেননা, ওরা চোখের শীতলতা নয়ন মনি; আর মরে গেলে
তাতে রয়েছে বিনিময়’ ৷ তা ছাড়া তুমি যাই বলো না কেন, ওরা ভীকতায় হেতু, দৃশ্চিন্তার
কারণ, ওরা নিশ্চয় ভীরুতা আসে, দৃশ্চিম্ভার জন্মায় ৷ ” আহমদ (র) একাকী এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সনদের বিচারে হাদীসখানি জায়িদ অতি উত্তম ৷

নবী করীম (না)-এর খিদমতে আশা ইবন মাযিন-এর আগমন

আবদুল্লাহ ইবন আহমদ (র) বলেন, আব্বাস ইবন আবদুল আজীম আল আম্বায়ী (র)
নাদলা ইবন তৃরায়ফ ইবন নাহসাল আল হিরমাযী (র) থেকে বর্ণনা করেন, এ মর্মে যে, আল
আশা নামে পরিচিত তাদের গোত্রের একজন লোক যাব প্রকৃত নাম ছিল আবদুল্লাহ আল
আ ওয়ার এবৎ৩ তার শ্রীর নাম ছিল মুআযা ৷ একবার আশা পরিবার-পরিজনের খাদ্য সংগ্রহের


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا إِنَّ ذَلِكَ لَمْ يَزِدْ قَوْمَكَ فِي الْإِسْلَامِ إِلَّا خَيْرًا ".» وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى مُرَادٍ وَزُبَيْدٍ وَمَذْحِجٍ كُلِّهَا، وَبَعَثَ مَعَهُ خَالِدَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَكَانَ مَعَهُ فِي بِلَادِهِ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. [قُدُومُ عَمْرِو بْنِ مَعْدِ يكَرِبَ فِي أُنَاسٍ مِنْ زُبَيْدٍ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ قَالَ لِقَيْسِ بْنِ مَكْشُوحٍ الْمُرَادِيِّ، حِينَ انْتَهَى إِلَيْهِمْ أَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا قَيْسُ، إِنَّكَ سَيِّدُ قَوْمِكَ وَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ يُقَالُ لَهُ: مُحَمَّدٌ. قَدْ خَرَجَ بِالْحِجَازِ، يُقَالُ: إِنَّهُ نَبِيٌّ. فَانْطَلِقْ بِنَا إِلَيْهِ حَتَّى نَعْلَمَ عِلْمَهُ، فَإِنْ كَانَ نَبِيًّا كَمَا يَقُولُ، فَإِنَّهُ لَنْ يَخْفَى عَلَيْنَا، وَإِذَا لَقِينَاهُ اتَّبَعْنَاهُ، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ عَلِمْنَا عِلْمَهُ. فَأَبَى عَلَيْهِ قَيْسٌ ذَلِكَ، وَسَفَّهَ رَأْيَهُ، فَرَكِبَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْلَمَ وَصَدَّقَهُ وَآمَنَ بِهِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ قَيْسَ بْنَ مَكْشُوحٍ، أَوْعَدَ عَمْرًا وَقَالَ: خَالَفَنِي وَتَرَكَ أَمْرِي وَرَأْيِي. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ فِي ذَلِكَ: أَمَرْتُكَ يَوْمَ ذِي صَنْعَا ... ءَ أَمْرًا بَادِيًا رَشَدُهْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৪
أَمَرْتُكَ بِاتِّقَاءِ اللَّهِ ... وَالْمَعْرُوفِ تَتَّعِدُهْ خَرَجْتَ مِنَ الْمُنَى مِثْلَ الْ ... حُمَيِّرِ غَرَّهُ وَتِدُهْ تَمَنَّانِي عَلَى فَرَسٍ ... عَلَيْهِ جَالِسًا أَسَدُهْ عَلَيَّ مُفَاضَةٌ كَالنَّهْ ... يِ أَخْلَصَ مَاءَهُ جَدَدُهْ تَرُدُّ الرُّمْحَ مُنْثَنِيَ السِّ ... نَانِ عَوَائِرًا قِصَدُهْ فَلَوْ لَاقَيْتَنِي لَلَقِي ... تَ لَيْثًا فَوْقَهُ لِبَدُهْ تُلَاقِي شَنْبَثًا شَثْنَ الْ ... بَرَاثِنِ نَاشِزًا كَتَدُهْ يُسَامِي الْقِرْنَ إِنْ قِرْنٌ ... تَيَمَّمَهُ فَيَعْتَضِدُهْ فَيَأْخُذُهُ فَيَرْفَعُهُ ... فَيَخْفِضُهُ فَيَقْتَصِدُهْ فَيَدْمَغُهُ فَيَحْطِمُهُ ... فَيَخْضِمُهُ فَيَزْدَرِدُهْ ظَلُومُ الشِّرْكِ فِيمَا أَحْ ... رَزَتْ أَنْيَابُهُ وَيَدُهْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৫
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ فِي قَوْمِهِ مِنْ بَنِي زُبَيْدٍ وَعَلَيْهِمْ فَرْوَةُ بْنُ مُسَيْكٍ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْتَدَّ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ فِي مَنِ ارْتَدَّ وَهَجَا فَرْوَةَ بْنَ مُسَيْكٍ فَقَالَ: وَجَدْنَا مُلْكَ فَرْوَةَ شَرَّ مُلْكٍ ... حِمَارًا سَافَ مَنْخِرُهُ بِثَفْرِ وَكُنْتَ إِذَا رَأَيْتَ أَبَا عُمَيْرٍ ... تَرَى الْحُوَلَاءَ مِنْ خُبْثٍ وَغَدْرِ قُلْتُ: ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَشَهِدَ فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً فِي أَيَّامِ الصَّدِيقِ، وَعُمَرَ الْفَارُوقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ، وَالْأَبْطَالِ الْمَشْهُورِينَ، وَالشُّعَرَاءِ الْمُجِيدِينَ، تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ بَعْدَمَا شَهِدَ فَتْحَ نَهَاوَنْدَ وَقِيلَ: بَلْ شَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ. قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: وَكَانَ وُفُودُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ تِسْعٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ عَشْرٍ. فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ. قُلْتُ: وَفِي كَلَامِ الشَّافِعِيِّ مَا يَدُلُّ عَلَيْهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ مَعْدِ يكَرِبَ لَمْ يَأْتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ قَالَ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৬


জন্য হজর এলাকার উদ্দেশ্যে সফরে বের হলেন ৷ তার অনুপস্থিতির সুযোগে তার ত্রী-স্বাঘীর
আেবাধ্যতায় ঘর ছেড়ে পালাল এবং ঐ £ পাত্রেরই ঘুতারবড়াফ ইবন নড়াহশানের কাছে আশ্রয় নিল ৷
ঘুতাররাক তাকে অন্দরে আশ্রয় দিল ৷ আশা ফিরে এসে স্তীকে ঘরে পেলেন না ৷ র্তাকে বলা
হল, র্তার শ্রী ঘর ছেড়ে যুতাররিফ এর কাছে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ কথা জানতে পেয়ে তিনি
যুতাররিদেব কাছে গিয়ে বললেন, ঢাচাত তাই! আমার বউ মুআযা কি (তামার এখানে আছে?
থাকলে আমার সাথে তাকে দিয়ে দাও ৷ মুতাররিদ বলল, না আমার এখানে (নই ৷ আর
থাকলেও তোমার হাতে তুলে দিতাম না ৷ যুতাররিদ আশার চেয়ে উচু স্তরের নেতা ছিল ৷ আশা
গোত্র থেকে বের হয়ে এসে নবী কবীম (সা) এর শরণ প্রার্থী হয়ে কবিতায় বললেন-

“ওহে মানব সরদার, ওহে আরবের শ্রেষ্ঠ বিচারক ! আপনার সকাশে এক যুখরা রমণীর
নামে অভিযোগ ! সে যেন দলের মাঝে (নরবাঘের) অবাধ্যা ৷ এ শক্ত দেহী বাঘিনী; তারই জন্য
খাদ্য অন্বেরণে গত রজর মাসে আমি বেরিয়েছিলড়াম ৷

আমার অনুপস্থিতির সুযোগে সে বীধন ছিড়ে পালাবার পথ ধরল ৷ দম্পেতা অঙ্গীকার ভঙ্গ
করে সে লেজগুটিয়ে ছুট দিল ৷ আমাকে নিক্ষেপ করে পেল অম্ভহীন সমস্যা ও সংকটের মাঝে;
ঐ জাতটি এমনই মন্দ এবং অকল্যাণের প্রতিযোগিতায় অজেয় এবং ওরা সর্বদা বিজয়ীদের
পক্ষপুটে থাকে ৷ নবী কবীম (না)-ও তার ৷;শব উক্তিটির স্বীকৃতি দিয়ে বললেন, এ্যা )এণ্ :ওে
ঙা০ দো প্ৰতিযোগীতার ওরা নিকৃষ্ট বিজয়ী তার সর্বদাই ওরা বিজয়ীদেরই হয়ে থাকে ৷ আশা
নবী কবীম (সা) এর কাছে তার দ্রীর পলায়ন বৃত্তান্ত থেশ করলেন এবং যে যে তার স্বগােত্রীয়
য়ুতাবৃরিদের অন্দরে রয়েছে সে কথা জানিয়ে তার সাহায্যপ্রাথী হলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
মুতাররিদের কাছে আশার জন্য সুপারিশ করে চিঠি লিখলেন ত্যুঃ)শ্রি ও১া ৰুৰু ট্টং১ণ্১ ওাগ্লু৷ )গ্র
শ্ম,ঠো “ এ লোকের শ্রী মুআযকে খুজে বের করে তা কে তার হাতে ফ্রের৩ দেয়ার ব্যবস্থা করবে ৷
নবী কবীম (সা) এর চিঠি তার কাছে পৌছল ৷ তা তাকে পড়ে গােনান হলে সে যেয়ে
ল্যেকটিকে বলল, যুআযা এ হল তোমার ব্যাপারে থােদ নবী কবীর (সা) এর চিঠি ৷ এ বন
আমি তোমাকে তার কাছে প্ৰত্যার্পণ করছি ৷ মুআয বলল, আমার পক্ষে তার কাছ থেকে
ওয়াদা অঙ্গীকার নাও এবং তার নবীর যিম্মা নাও যে সে আমাকে আমার অপরাধের শাস্তি
দেবে না ৷ সেরুপ অঙ্গীকার নিয়ে যুতারবিদ ঘুআযাকে আশার হাতে প্রত্যার্পণ করলে আশা এ
কবিতা রচনা করলেন-

“যুআযার প্ৰতি আমার অনুরড়াগ এমন নয় যে, চোপলখোরদের ফ্লুপলছুগো ৩াওে ৩াঞ্চা
ধরাবে কিৎবা কালের প্ৰলন্বিত হওয়ন্নে তাতে তটিড়া পড়বে এবং আমার অনুপস্থিতিতে মন্দ’
পুরুধেরা তাকে কান যন্ত্র দিয়ে যে ফুসলিয়েছিল, তার যে কুকর্মের জন্যেও নয় ৷

পােত্রীর দোকজনসহ্সৃরাদ ইবন আবদুল্লাহ্আল-আযুদীর আগমন, জারাশ প্রতিনিধি দলের আগমন
ইবন ইসহাক (র) বলেন, আঘৃদ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সুরাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্ আল-আৰ্বুদী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন এবং মুসলমান হয়ে পুর্ণাঙ্গ
ইসলামী জীবন যাপন ব্বভে লগ্যেলন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে তার গোত্রের মুসলমানদের
আমীর মনোনীত করেছিলেন এবং মৃসলমন্যেদর সাথে নিয়ে চারপাশের ইয়ামানী মুশরিক

৫০ ৷ড়া





إِنَّنِي بِالنَّبِيِّ مُوقِنَةٌ نَفْ ... سِي وَإِنْ لَمْ أَرَ النَّبِيَّ عَيَانَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ طُرًّا وَأَدْنَا ... هُمْ إِلَى اللَّهِ حِينَ بَانَ مَكَانَا جَاءَنَا بِالنَّامُوسِ مِنْ لَدُنِ اللَّهِ ... وَكَانَ الْأَمِينَ فِيهِ الْمُعَانَا حُكْمُهُ بَعْدَ حِكْمَةٍ وِضِيَاءٍ ... فَاهْتَدَيْنَا بِنُورِهَا مِنْ عَمَانَا وَرَكِبْنَا السَّبِيلَ حِينَ رَكِبْنَ ... اهُ جَدِيدًا بِكُرْهِنَا وَرِضَانَا وَعَبَدْنَا الْإِلَهَ حَقًّا وَكُنَّا ... لِلْجَهَالَاتِ نَعْبُدُ الْأَوْثَانَا وَائْتَلَفْنَا بِهِ وَكُنَّا عَدُوًّا ... فَرَجَعْنَا بِهِ مَعًا إِخْوَانًا فَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَالسِّلْمُ مِنَّا ... حَيْثُ كُنَّا مِنَ الْبِلَادِ وَكَانَا إِنْ نَكُنْ لَمْ نَرَ النَّبِيَّ فَإِنَّا ... قَدْ تَبِعْنَا سَبِيلَهُ إِيمَانَا [قُدُومُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ فِي وَفْدِ كِنْدَةَ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فِي وَفْدِ كِنْدَةَ، فَحَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ أَنَّهُ قَدِمَ فِي ثَمَانِينَ رَاكِبًا مِنْ كِنْدَةَ، فَدَخَلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْجِدَهُ قَدْ رَجَّلُوا جُمَمَهُمْ وَتَكَحَّلُوا، عَلَيْهِمْ جُبَبُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৭
الْحِبَرَةِ قَدْ كَفَّفُوهَا بِالْحَرِيرِ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُمْ: «أَلَمْ تُسْلِمُوا؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " فَمَا بَالُ هَذَا الْحَرِيرِ فِي أَعْنَاقِكُمْ؟ " قَالَ: فَشَقُّوهُ مِنْهَا فَأَلْقَوْهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَحْنُ بَنُو آكِلِ الْمُرَارِ، وَأَنْتَ ابْنُ آكِلِ الْمُرَارِ. قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " نَاسِبُوا بِهَذَا النَّسَبِ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَرَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ» ". وَكَانَا تَاجِرَيْنِ، إِذَا شَاعَا فِي الْعَرَبِ فَسُئِلَا: مِمَّنْ أَنْتُمَا؟ قَالَا: نَحْنُ بَنُو آكِلِ الْمُرَارِ. يَعْنِي يَنْتَسِبَانِ إِلَى كِنْدَةَ لِيَعِزَّا فِي تِلْكَ الْبِلَادِ ; لِأَنَّ كِنْدَةَ كَانُوا مُلُوكًا، فَاعْتَقَدَتْ كِنْدَةُ أَنَّ قُرَيْشًا مِنْهُمْ لِقَوْلِ عَبَّاسٍ وَرَبِيعَةَ: نَحْنُ بَنُو آكِلِ الْمُرَارِ. وَهُوَ الْحَارِثُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حُجْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ ثَوْرِ بْنِ مُرْتِعِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ كِنْدِيِّ. وَيُقَالُ: ابْنُ كِنْدَةَ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُمْ: «لَا، نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، لَا نَقْفُوا أُمَّنَا، وَلَا نَنْتَفِي مِنْ أَبِينَا» . فَقَالَ لَهُمُ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ: وَاللَّهِ يَا مَعْشَرَ كِنْدَةَ لَا أَسْمَعُ رَجُلًا يَقُولُهَا إِلَّا ضَرَبْتُهُ ثَمَانِينَ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مُتَّصِلًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৮
بَهْزٌ وَعَفَّانُ قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنِي عَقِيلُ بْنُ طَلْحَةَ - وَقَالَ عَفَّانُ فِي حَدِيثِهِ: أَنْبَأَنَا عَقِيلُ بْنُ طَلْحَةَ السُّلَمِيُّ - عَنْ مُسْلِمِ بْنِ هَيْصَمٍ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ أَنَّهُ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ كِنْدَةَ - قَالَ عَفَّانُ: لَا يَرَوْنِي أَفْضَلَهُمْ - قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا نَزْعُمُ أَنَّكُمْ مِنَّا. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ لَا نَقْفُو أُمَّنَا وَلَا نَنْتَفِي مِنْ أَبِينَا ".» قَالَ: قَالَ الْأَشْعَثُ: فَوَاللَّهِ لَا أَسْمَعُ أَحَدًا نَفَى قُرَيْشًا مِنَ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ إِلَّا جَلَدْتُهُ الْحَدَّ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، وَعَنْ هَارُونَ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُغِيرَةِ ثَلَاثَتُهُمْ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ قَالَ: «قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ كِنْدَةَ فَقَالَ لِي: " هَلْ لَكَ مِنْ وَلَدٍ؟ " قُلْتُ: غُلَامٌ وُلِدَ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭৯


গোত্রগুলোর সাথে জিহাদ করার নির্দেশ দিলেন ৷ সৃবদে (বা) ফিরে গিয়ে জারাশ’ দুর্গ অবরোধ
করলেন ৷ সেখানে ইয়ামানের কয়েকটি পেত্রে অড্রয় ব্যির্শ্বছুল ৷ খাছ আমীরা সুরাদ (রা)-এর
অভিযান সম্পর্কে শুনতে পেয়ে আগে-ভাগে ইয়ামানীদের সত র্কু কঃ ব্র দিয়েছিল ৷ প্রায় একমাস
কাল তিনি তাদের অবরোধ করে রইলেন ৷ তারা দুর্গের মোঃ লোঃ ব্বল৷ ৷সুরাদ (বা)
অবরোধ তুলে নিয়ে ফিরে যেতে লাগলেন ৷ তার বাহিনী স্তো র্নোঙ্ঘ কাছে পৌছলে
প্রতিপক্ষ ধারণা করল যে, সুরাদ (বা) ব্যর্থ হয়ে ফিরে য়ন্ক্রো৷ দৃর্গহোড় বেব্রিরে র্তীরা তাকে
ধাওয়া করলে তিনি ণিছন ফিরে রুখে র্দজ্যোন্সেন এবংত ক্রোব্র পইিকক্টো হ্যৰে হত্যা ব্বালন ৷
ওদিকে জদ্ররশে’ ৰ্ঙ্কঙ্গীক্স খ্যাঃ দৃক্ষ্য কােক ল্যাং (সম্বফ্তে ব্ক্ত!হে ঠােয় পাঠিয়েজ্জি ৷
একদিন মোরব পরে ঐ লেকে দু ক্ষা নবী কৰীম (না)-এর কাছে থাকা কালে তিনি বললেন,
’ন্গু , é ১স্র-ন্থ ছোশ্ আল্লাহ্ব্র কোন দেশে শাকার রয়েছে? জরােশী লোক দু জন দাড়িয়ে
বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমাদের দেশে কাশার নামে একটি পাহাড় আছে ৷ জড়ার ড়াবাশীদের
কাছে পাহাড়ঢি এ নামেই পরিচিত ছিল ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন, এ্যাএ )ন্ধ্রএ ওে “ গ্র
-)র্চ-শ্ না; ওটি কশোর নয়, বরং ওটির নাম শ কোর ৷৩ তারা বলল, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্! সেটির হাল
অবস্থা কি ? তিনি বললেন, ঠোশ্বা :১১ ; )১১র্ন্ত শ্এমা গ্র১-ত্র ম্রা সেখানে এখন আল্লাহ্র
পশুগুলােকে যবা ইিকুরবানী করা হচ্ছে ৷ বর্ণনাকরী বলেন, লোক দুটি উঠে গিয়ে আবু বকর
(বা) কিৎবা উছমান (রা) এর কাছে বসলে তিনি তাদের বললেন, কী সর্বনড়াশ রাসুলুল্পাহ্ (না)
তো এখন তোমাদের দু জনকে তোমাদের গোত্রেরগ ণ মৃত্যুর সংবাদ দিচ্ছিলেন ৷ যাও, তার
কাছে গিয়ে আল্লাহর কাছে দৃ আ করার দরখাস্ত কর, যেন তিনিও তামাদের কওমের বিপদ
তুলে নেন ৷ তারা দৃ’ জন উঠে গিয়ে তার কাছে অনুরুপ আবেদন জানালে তিনি বললেন, ণ্ণ্ঠো
ণ্শুশ্-ৰুশ্ন্ ৫এএ ইয়া আল্লাহ ’ তাদের বিপদ তুলে নিন! তারা স্বগোত্রে ফিরে দেখল যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সংবাদ প্রদানের দিনেই তড়াদের কওম দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছিল ৷ পরে বেচে থাকা
জারাশবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সকাশে এসে ইসলাম গ্রহণ
করেছিল এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইসলামী জীবন যাপন করেছিল ৷ তাদেরকে তাদের
জনপদের আশপাশে পড্ডারণের খাসভুমি দেয়া হয়েছিল ৷

হিময়ারী রাজাদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে আগমন

ওয়াকিদী বলেন, এ আগমন হয়েছিল নবম হিজরীর রমযান মাসে ৷ ইবন ইসহাক (র)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তাবুক থেকে প্রত্যাপযনকালে তার কাছে হিময়া রী রাজন্যবর্গের
ইসলাম গ্রহণের সং বাদ পৌছল ৷ এ রাজন্যবর্গের মাঝে ছিল আল হড়ারিছ ইবন আবদ কুলাল,
নৃআয়ম ইবন আবদ কুলাল ৷ যু-রাঈন, মাআফির ও হমোদানের নেতা আন নু মান ৷ হিযয়ারী
রাজা যুরআ য়ু-য়াযান মালিক ইবন যুর রা আর রাহাবীকে তার ঐ গোত্রকুলের ইসলাম গ্রহণ
সম্পর্কিত সং বাদ এবং শিরক ও অংশীবাদের সাথে তাদের সম্পর্ক ত্যাগের খবর দিয়ে পাঠাল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের চিঠির জবাবে লিখলেন--
গ্লু£া৮প্রু ঞ; প্লু প্রু১ ঠো

৫০ ৷ড়া



لِي فِي مَخْرَجِي إِلَيْكَ مِنَ ابْنَةِ جَمْدٍ، وَلَوَدِدْتُ أَنَّ مَكَانَهُ شَبِعَ الْقَوْمُ. قَالَ: " لَا تَقُولَنَّ ; ذَلِكَ فَإِنَّ فِيهِمْ قُرَّةَ عَيْنٍ، وَأَجْرًا إِذَا قُبِضُوا ثَمَّ، وَلَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ إِنَّهُمْ لَمَجْبَنَةٌ مَحْزَنَةٌ، إِنَّهُمْ لَمَجْبَنَةٌ مَحْزَنَةٌ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَهُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ جَيِّدُ الْإِسْنَادِ. [قُدُومُ أَعْشَى بَنِي مَازِنٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عُبَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَنَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي الْجُنَيْدُ بْنُ أُمَيْنِ بْنِ ذِرْوَةَ بْنِ نَضْلَةَ بْنِ طَرِيفِ بْنِ بُهْصُلٍ الْحِرْمَازِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي أُمَيْنٌ، عَنْ أَبِيهِ ذِرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ نَضْلَةَ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: الْأَعْشَى. وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَعْوَرِ كَانَتْ عِنْدَهُ امْرَأَةٌ يُقَالُ لَهَا: مُعَاذَةُ. خَرَجَ فِي رَجَبٍ يَمِيرُ أَهْلَهُ مِنْ هَجَرَ، فَهَرَبَتِ امْرَأَتُهُ بَعْدَهُ نَاشِزًا عَلَيْهِ، فَعَاذَتْ بِرَجُلٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: مُطَرِّفُ بْنُ نَهْشَلِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৮০
كَعْبِ بْنِ قُمَيْثِعِ بْنِ ذُلَفِ بْنِ أَهْضِمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحِرْمَازِ، فَجَعَلَهَا خَلْفَ ظَهْرِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ لَمْ يَجِدْهَا فِي بَيْتِهِ، وَأُخْبِرَ أَنَّهَا نَشَزَتْ عَلَيْهِ، وَأَنَّهَا عَاذَتْ بِمُطَرِّفِ بْنِ نَهْشَلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ: يَا ابْنَ عَمِّ، أَعِنْدَكَ امْرَأَتِي مُعَاذَةُ؟ فَادْفَعْهَا إِلَيَّ. قَالَ: لَيْسَتْ عِنْدِي، وَلَوْ كَانَتْ عِنْدِي لَمْ أَدْفَعْهَا إِلَيْكَ. قَالَ: وَكَانَ مُطَرِّفٌ أَعَزَّ مِنْهُ. قَالَ: فَخَرَجَ الْأَعْشَى حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَاذَ بِهِ وَأَنْشَأَ يَقُولُ: يَا سَيِّدَ النَّاسِ وَدَيَّانَ الْعَرَبْ ... إِلَيْكَ أَشْكُو ذِرْبَةً مِنَ الذِّرَبْ كَالذِّئْبَةِ الْغَبْسَاءِ فِي ظِلِّ السَّرَبْ ... خَرَجْتُ أَبْغِيهَا الطَّعَامَ فِي رَجَبْ فَخَلَّفَتْنِي بِنِزَاعٍ وَهَرَبْ ... أَخْلَفَتِ الْوَعْدَ وَلَطَّتْ بَالذَّنَبْ وَقَذَفَتْنِي بَيْنَ عَصْرٍ مُؤْتَشَبْ ... وَهُنَّ شَرُّ غَالِبٍ لِمَنْ غَلَبْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ: " «وَهُنَّ شَرُّ غَالِبٍ لِمَنْ غَلَبْ ".» فَشَكَى إِلَيْهِ امْرَأَتَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৮১


ট্ট ”)স্:ব্লভ্রুধ্ৰুক্লীণু“;স্বীন্ন্ট্ শুশ্;রুশ্ন্হ্লাৰুহু মোঃ ণ্১)ত্রী এেংএ ট্রে০ এেএঞ্চে ণ্ঘ্র&০০এ ৰু-ষ্ ৫-ন্’ণ্এ ষ্শু ঠো
ণ্ট্টট্টণ্হুণ্ড্রট্টড্রু ন্ৰু৷ ঠো ০ক্টএগ্লু৷ ণ্র্ন্তাডাঃ শুব্লু এা৷ :গ্লু ঞন্ধ্র গ্লুট্৷ ণ্র্চুট্রব্লুদ্বু ণ্ৰুএট্টঠুস্ফুগ্লু ৷াধ্া৷দ্বু ণ্র্চুৰুাদ্র ০
ণ্এেৰু এ্যাদ্বু ক্ষোহু এ্যা ০দ্বু মোঃ দ্বু
এট্রি দ্বু
এন্০ এেশ্যা হের্ন্ত ;ন্এএ
দ্বোৰুধ্রু
ঞ ভোএ )ন্ৰুর্চু )ট্রুশ্পুর্টু
এেএে ট্রেএ
লুপ্লু ১দ্বুশু ৷ এট্র






“ঘিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহ্র রাসুল ও নবী মুহাম্মদের পক্ষ হতে আল হারিছ
ইবন আবদ কুলাল ও নুআয়ম ইবন আবদ করলে এবং য়ু রাঈন, মাআফিব ও হামাদানের
নেতা আন নৃমান এর প্রতি তারপর আমি তোমাদের কাছে সে আল্পাহ্র হাম্দ বয়ান করছি,
যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ৷ রোমানদের দেশ (তাবুক) থেকে আমাদের প্রত্যাবর্তনকালে
তোমাদের দুতের আগমন সংবাদ আমি পেয়েছি ৷ দুত মদীনায় আমার সাথে স্যক্ষাত করে
তোমাদের স০ বাদাদি এবং ওদিককার খবরাখবর অবগত করেছে ৷ তোমাদের ইসলাম গ্রহণ
মুশরিকদেব সাথে ণ্ত ড়ামাদের যুদ্ধ বিগ্রহের কথাও যে আমাদের জানিয়েছে ৷ আল্লাহ তোমাদেরকে

তীর হিদায়াত্ব তর :াথ দেখিয়েছেন ৷

এখন তোমরা যদি কল্যাণ ও শৃগ্রলার পথ অনুসরণ করে চলতে থাক এবং আল্লাহ্ ও তীর
রাসুলের আকৃাত্য পালনে সালাত প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত আদায় কর ৷ গনীমতে আল্লাহ্র হক ও
নবী করীম (সা) এবং তীর মনোনীত লোকদের হিসৃসা এক :াংঞ্চমা শ মথারীতি আদায় কর
যমীনের যাকাতররপ আল্লাহ্ ঘু মিনদের যিম্মায় যা নির্ধারিত করেছেন তা আদায় করতে থাক
ঝর্ণার পানি ও বৃষ্টির পানিতে উৎপন্ন ফসলের দশমড়াং শ (উশর)

আর বালতি দিয়ে সেচের পানিতে উৎপন্ন ফসলের ৰিশভাগের এক ভাগ এবং পরে যাকাতের
নির্ধারিত অংশ চল্লিশটি উটে একটি ৰিনতুল লাবুন’ (ত তভীয় বছরে পদার্পণ করেছে এমন মাদী
উট) যাকাত দিতে ৩হবে ৷ অনুরুপ ত্রিশটি উটে একটি ইবন লাবুন (তৃতীয় বছর শুরু হয়েছে
এমন বয়সের নর উট) , প্রতি পাচ উটে একটি ছাগল এবং দশ উটে দুটি ছাগল; চল্লিশটি গরুতে
একটি :ার্ণ বয়স্ক গকগাভী (তৃতীয় বছর শুরু হয়েছে এমন) আর ত্রিশটি গরুতে একটি তাবী


وَمَا صَنَعَتْ بِهِ، وَأَنَّهَا عِنْدَ رَجُلٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: مُطَرِّفُ بْنُ نَهْشَلٍ، فَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُطَرِّفٍ: «انْظُرِ امْرَأَةَ هَذَا، مُعَاذَةَ، فَادْفَعْهَا إِلَيْهِ ".» فَأَتَاهُ كِتَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُرِئَ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهَا: يَا مُعَاذَةُ، هَذَا كِتَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيكِ، فَأَنَا دَافِعُكِ إِلَيْهِ. فَقَالَتْ: خُذْ لِي عَلَيْهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ أَنْ لَا يُعَاقِبَنِي فِيمَا صَنَعْتُ. فَأَخَذَ لَهَا ذَلِكَ عَلَيْهِ، وَدَفَعَهَا مُطَرِّفٌ إِلَيْهِ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: لَعَمْرُكَ مَا حُبِّي مُعَاذَةَ بِالَّذِي ... يُغَيِّرُهُ الْوَاشِي وَلَا قِدَمُ الْعَهْدِ وَلَا سُوءُ مَا جَاءَتْ بِهِ إِذْ أَزَالَهَا ... غُوَاةُ الرِّجَالِ إِذْ يُنَاجُونَهَا بَعْدِي [قُدُومُ صُرَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَزْدِيِّ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ ثُمَّ وُفُودِ أَهِلِ جُرَشَ بَعْدَهُمْ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ صُرَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَزْدِيُّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدٍ مِنَ الْأَزْدِ، فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَأَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَنْ أَسْلَمَ مِنْ قَوْمِهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُجَاهِدَ بِمَنْ أَسْلَمَ مَنْ يَلِيهِ مِنْ أَهْلِ الشِّرْكِ مِنْ قَبَائِلِ الْيَمَنِ، فَذَهَبَ فَحَاصَرَ جُرَشَ وَبِهَا قَبَائِلُ مِنَ الْيَمَنِ، وَقَدْ ضَوَتْ إِلَيْهِمْ خَثْعَمُ حِينَ سَمِعُوا بِمَسِيرِهِ إِلَيْهِمْ، فَأَقَامَ عَلَيْهِمْ قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ، فَامْتَنَعُوا فِيهَا مِنْهُ، ثُمَّ رَجَعَ عَنْهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ قَرِيبًا مِنْ جَبَلٍ يُقَالُ لَهُ: شَكَرُ. فَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ وَلَّى عَنْهُمْ مُنْهَزِمًا، فَخَرَجُوا فِي طَلَبِهِ، فَعَطَفَ عَلَيْهِمْ فَقَتَلَهُمْ قَتْلًا شَدِيدًا، وَقَدْ كَانَ أَهْلُ جُرَشَ بَعَثُوا مِنْهُمْ رَجُلَيْنِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَبَيْنَمَا هُمْ عِنْدَهُ بَعْدَ الْعَصْرِ إِذْ قَالَ: «بِأَيِّ بِلَادِ اللَّهِ شَكَرُ؟ " فَقَامَ الْجُرَشِيَّانِ، فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِبِلَادِنَا جَبَلٌ يُقَالُ لَهُ: كَشَرُ، وَكَذَلِكَ يُسَمِّيهِ أَهْلُ جُرَشَ. فَقَالَ: " إِنَّهُ لَيْسَ بِكَشَرَ، وَلَكِنَّهُ شَكَرُ ". قَالَا: فَمَا شَأْنُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: " إِنَّ بُدْنَ اللَّهِ لَتُنْحَرُ عِنْدَهُ الْآنَ ". قَالَ: فَجَلَسَ الرَّجُلَانِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، أَوْ إِلَى عُثْمَانَ، فَقَالَ لَهُمَا: وَيْحَكُمَا! إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْآنَ لَيَنْعَى لَكُمَا قَوْمَكُمَا، فَقُومَا إِلَيْهِ، فَاسْأَلَاهُ أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ فَيَرْفَعَ عَنْ قَوْمِكُمَا. فَقَامَا إِلَيْهِ فَسَأَلَاهُ ذَلِكَ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ارْفَعْ عَنْهُمْ ". فَرَجَعَا، فَوَجَدَا قَوْمَهُمَا قَدْ أُصِيبُوا يَوْمَ أَخْبَرَ عَنْهُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،» ثُمَّ جَاءَ وَفْدُ أَهْلِ جُرَشَ بِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ حَتَّى قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْلَمُوا وَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ، وَحَمَى لَهُمْ حَوْلَ قَرْيَتِهِمْ. [قُدُومُ رَسُولِ مُلُوكِ حِمْيَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَكَانَ ذَلِكَ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ تِسْعٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ كِتَابُ مُلُوكِ حِمْيَرَ وَرُسُلُهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৭৮২
জ্জাব্লুইাদার৷ ওয়ান নিহড়ায়াজােমোঃ ১৪৩

(এক বছর পুর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরে পড়েছে) বড়ো-ৰাচ্যুধী; শুধু চল্লিশটি সাইমা’১ ছাগল হলে
একটি ছাগল ৷

উল্লিখিত পরিমাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘু-’মিনদের উপরে নির্ধারিত ফরয’ যাকাতের
পরিমাণ ৷ কেউ ভাল কাজ আরো বাড়িয়ে করলে তা তার জন্য উত্তম হবে ৷ আর যে অন্তত
উল্লিখিত পরিমাণ আদায় করবে এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুমিনদ্দো সাহায্য-সহায়তা করবে,
সে ঈমানদারৰ্দর অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অন্যান্য ঈমানদারদের ন্যায় কর্ডা-অধিকার ও বিধি-
নিবেধ তার জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের ষিম্মা সাব্যম্ভ হবে ৷
আর ইয়ড়াহুদী-খৃস্টানদের কেউ মুসলমান হলে সেও যু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তার জন্য
অন্যান্য ঈমানদারদের মত অধিকার দায়িতৃ বর্তাবে ৷ কিন্তু যারা তাদের ইয়াহুদী-বৃস্ট ধর্মে
অনড় হয়ে থাকবে, তাদের-ধর্ম থেকে তাদের বিচুত করা হবে না ৷

উপরন্তু তাদের প্রত্যেক ৰরষ্ক পুরুষ, নারী (স্বাধীন ও) দাস নির্বিশেষে এক দীনার
(স্বর্ণযুদ্রড়া) পুর্ণাঙ্গ ও নিখুত জিযিয়া দিতে হবে; কিংবা সমযুভৈল্যর ঘুআফিয়ী’ বস্ত্র বা সমপরিমাণ
অন্যান্য কাপড় ৷ যারা এ পরিমাণ জিযিয়া আল্লাহর রড়াসুলের হাতে সমর্পণ করবে, তাদের
জন্যও আল্লাহ ও তার রাসুনের যিম্মা সাব্যস্ত হবে, আর যারা এতে অস্বীকৃত হয়ে তারা আল্লাহ
ও তার রড়াসুলের দুশমন

তারপর আল্লাহর রাসুল নৰী মুহাম্মদ যুরআ বুয়ামান এ মর্মে চিঠি পাঠালেন যে,
ণ্ওদ্’ ণ্ন্নুপ্লুষ্ গ্খ্রি
০, এা৮শু
ণ্া ৷ এর , ,ত্ত্ব১;ন্ ও গাোশুগ্লুা৷ ও ,;ষ্ :হু এ্যা গ্লু,৷ ণ্র্দুষ্ এ,,ৰু, :১া৷: ন্১া, ঞা ন্৷ ৷ থাঃ গ্লু;া
ৰুএ এ্যা ষ্ঠাং
এ ণ্গ্র শ্বগ্লু
এপৌ

ওাও,,,

“আমার দুতগণ তোমার কাছে পৌছলে তাদের সাথে সদ্ব্যবহাবের আমি নির্দেশ দিচ্ছি;
দুঃশণ হলেন মৃআয ইবন জ্যবাল, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ, মালিক ইবন উৰাদা, উকৰা ইবন
ঝার, মালিক ইবন মুবৃরা (না)-ও তাদের সহযোগীবৃন্দ ৷ তোমাদের যাকাতসাদাকাগুলো

fl: তোমাদের প্রতিপক্ষের জিযিয়া সমুদয় সংগ্রহ করে তা আমার দুতদের হাতে সমর্পণ
ৰ্াৰ দুত স্লের প্রধান হল যুআয ইবন জবােল ৷ সে যেন সন্তুষ্ট চিত্তে আমার কাছে ফিরে



১ গ্ইম ( হুন্) বছরের অধিকাংশ সময় ক্টাধ্ন মুক্ত খোলা মাঠে চার বেড়ানাে পশু উট, গরু, ছাপল
র্মীআি) ল্লনুবাদক


بِإِسْلَامِهِمْ مَقْدِمَهُ مِنْ تَبُوكَ وَهُمْ ; الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ كُلَالٍ، وَنُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ كُلَالٍ، وَالنُّعْمَانُ قَيْلُ ذِي رُعَيْنٍ وَمَعَافِرَ وَهَمْدَانَ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ زُرْعَةُ ذُو يَزَنَ مَالِكَ بْنَ مُرَّةَ الرَّهَاوِيَّ بِإِسْلَامِهِمْ وَمُفَارَقَتِهِمُ الشِّرْكَ وَأَهْلَهُ، «فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ النَّبِيِّ إِلَى الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالنُّعْمَانِ قَيْلِ ذِي رُعَيْنٍ وَمَعَافِرَ وَهَمْدَانَ أَمَّا بَعْدَ ذَلِكُمْ ; فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكُمُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، فَإِنَّهُ قَدْ وَقَعَ بِنَا رَسُولُكُمْ مُنْقَلَبَنَا مِنْ أَرْضِ الرُّومِ، فَلَقِيَنَا بِالْمَدِينَةِ، فَبَلَّغَ مَا أَرْسَلْتُمْ بِهِ، وَخَبَّرَ مَا قَبِلَكُمْ، وَأَنْبَأَنَا بِإِسْلَامِكُمْ، وَقَتْلِكُمُ الْمُشْرِكِينَ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ هَدَاكُمْ بِهُدَاهُ، إِنْ أَصْلَحْتُمْ وَأَطَعْتُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَأَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ، وَآتَيْتُمُ الزَّكَاةَ، وَأَعْطَيْتُمْ مِنَ الْمَغَانِمِ خُمُسَ اللَّهِ، وَسَهْمَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفِيَّهُ، وَمَا كُتِبَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ فِي الصَّدَقَةِ ; مِنَ الْعَقَارِ عُشْرُ مَا سَقَتِ الْعَيْنُ وَسَقَتِ السَّمَاءُ، وَعَلَى مَا سَقَى الْغَرْبُ نِصْفُ الْعُشْرِ، وَأَنَّ فِي الْإِبِلِ فِي الْأَرْبَعِينَ ابْنَةَ لَبُونٍ، وَفِي ثَلَاثِينَ مِنَ الْإِبِلِ ابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ، وَفِي كُلِّ خَمْسٍ مِنَ الْإِبِلِ شَاةٌ، وَفِي كُلِّ عَشْرٍ مِنَ الْإِبِلِ شَاتَانِ، وَفِي
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৩


সে (নিজে) জর বন্দো ও রাসুল ৷ দুত মালিক ইবন ঘুবৃরা আর রাহাবী আমাকে বলেছে যে,
তুযিই হিময়ড়ারীদের মাঝে সবার আগে ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণকারী; তুমি যুশরিকদের
সাথে লড়াই করে যাচ্ছে; কল্যাণের সৃসংবাদ নাও ; হিময়ারীদের সাথে সদাচরণের নির্দেশ
তোমাকে দিচ্ছি; বিশ্বাস ভঙ্গ কর না, পরস্পর সহযোগিতা বর্জন করে৷ না ৷ আল্লাহ্র রাসুল
তোমাদের ধনী-গরীব সকলের অতিঃাবক ৷

সাদাকা মুহাম্মদ ও তার পরিবারবর্গের জন্য বৈধ নয় ৷ তা হল যাকাত’ যা দিয়ে মুসলমান
অতাবগ্রস্তদের ও পথচারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় ৷ দুত মালিক সংবাদ পৌছে দিয়ে
এবং বিশ্বস্ততা রক্ষা করে তার দায়িৎ যথাযথ পালন করেছে; তাই র্তার সাথে নৌজন্যমুলক
আচরণের উপদেশ দিচ্ছি ৷ আমি তোমাদের কাছে আমার সুযোণ্য স্বজনদের পাঠাচ্ছি, যারা
ধার্মিকতড়া ও বিদ্যাবত্তায় সেরা ৷ তাদের প্রতি নৌজন্য-সৌহারুর্কা উপদেশ দিচ্ছি ৷ তাদের প্রতি
লক্ষ্য রাখা হবে ৷ ওরাসৃসালড়াঘু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্পাহি ওরা বারাকাতুহু ৷”

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাসান (র)আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, ঘু
রাযানের দুত মালিক রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এক জোড়া বস্ত্র হাদিয়া দিয়েছিলেন, যা তেত্রিশটি
বড় উট ও তেত্রিশটি বড় উটনীর বিনিময়ে খরিদ করা হয়েছিল ৷ আবু দাউদ (র)-ও
হড়াদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আম্র ইবন আওন আল ওয়াসিভী (র)আনাস (রা)
সুত্রে ৷

হাফিজ বড়ায়হাকী (র) এভাবে রিওয়ায়ড়াত করেছেনআমৃর ইবন হাবুাম (রড়া)-এর চিঠির
বিবরণ আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজ (র)ইসহাক (র) আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন
আম্র ইবন হাঘৃম (রা) থেকে বর্ণিত ৷ আবু বকর (রা) বলেন, এ হল আমাদের কাছে

ৎরক্ষিত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চিঠি যা তিনি আম্র ইবন হাঘৃম (আমার দাদা) (রা)-কে
ইয়ামান পাঠাবার সময় তাকে লিখে দিয়েছিলেন ৷ তাকে ইয়ামানবাসীদের কিতাব ও সুন্নাহ্র
তালীম দেওয়া এবং তাদের যাকাত উসুল করার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছিল ৷ নবী
কল্পীম (সা) তাকে একটি ফরমান ও অঙ্গীকারপত্র লিখে দিলেন এবং যথাযথ নির্দেশ দিলেন ৷
তিনি লিখলেন-


ণ্ঙ্কো ণ্১এ
াম্রা এণ্ড
ধ্গ্এ ১শুপ্টি পৌএণ্ট্টস্র ঠো ষ্


كُلِّ أَرْبَعِينَ مِنَ الْبَقَرِ بَقَرَةٌ، وَفِي كُلِّ ثَلَاثِينَ مِنَ الْبَقَرِ تَبِيعٌ جَذَعٌ أَوْ جَذَعَةٌ، وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ مِنَ الْغَنَمِ سَائِمَةٍ وَحْدَهَا شَاةٌ، وَإِنَّهَا فَرِيضَةُ اللَّهِ الَّتِي فَرَضَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ فِي الصَّدَقَةِ، فَمَنْ زَادَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَمَنْ أَدَّى ذَلِكَ وَأَشْهَدَ عَلَى إِسْلَامِهِ وَظَاهَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، فَإِنَّهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، لَهُ مَا لَهُمْ وَعَلَيْهِ مَا عَلَيْهِمْ، وَلَهُ ذِمَّةُ اللَّهِ، وَذِمَّةُ رَسُولِهِ، وَإِنَّهُ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ يَهُودِيٍّ أَوْ نَصْرَانِيٍّ، فَإِنَّهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، لَهُ مَا لَهُمْ وَعَلَيْهِ مَا عَلَيْهِمْ، وَمَنْ كَانَ عَلَى يَهُودِيَّتِهِ أَوْ نَصْرَانِيَّتِهِ فَإِنَّهُ لَا يُرَدُّ عَنْهَا وَعَلَيْهِ الْجِزْيَةُ ; عَلَى كُلِّ حَالِمٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى، حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ، دِينَارٌ وَافٍ مِنْ قِيمَةِ الْمَعَافِرِ أَوْ عِوَضُهِ ثِيَابًا، فَمَنْ أَدَّى ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، فَإِنَّ لَهُ ذِمَّةُ اللَّهِ، وَذِمَّةُ رَسُولِهِ، وَمَنْ مَنَعَهُ فَإِنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. أَمَّا بَعْدُ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ مُحَمَّدًا النَّبِيَّ أَرْسَلَ إِلَى زُرْعَةَ ذِي يَزَنَ أَنْ إِذَا أَتَاكَ رُسُلِي فَأُوصِيكُمْ بِهِمْ خَيْرًا ; مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ، وَمَالِكُ بْنُ عُبَادَةَ، وَعُقْبَةُ بْنُ نَمِرٍ، وَمَالِكُ بْنُ مُرَّةَ وَأَصْحَابُهُمْ، وَأَنِ اجْمَعُوا مَا عِنْدَكُمْ مِنَ الصَّدَقَةِ وَالْجِزْيَةِ مِنْ مَخَالِيفِكُمْ، وَأَبْلِغُوهَا رُسُلِي، وَإِنَّ أَمِيرَهُمْ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، فَلَا يَنْقَلِبَنَّ إِلَّا رَاضِيًا. أَمَّا بَعْدُ ; فَإِنَّ مُحَمَّدًا يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّهُ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ إِنَّ مَالِكَ بْنَ مُرَّةَ الرَّهَاوِيَّ قَدْ حَدَّثَنِي أَنَّكَ أَسْلَمْتَ مِنْ أَوَّلِ حِمْيَرَ، وَقَتَلْتَ الْمُشْرِكِينَ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৪


ঞর্ন্তএ : ম্বা ংস্পে৩প্নেৰ্বা
মোঃস্ ১১৮ গুশ্শুম্রা শুএ্ন্ ;শ্রো মোঃ :৷ গোপ্রু; শ্রোণ্ ষ্াণ্ জ্যো :ৰুহু এঙ১শু ৮৮
প্লুন্;১ ণ্ধ্ৰু১ন্ গ্লু :ও :৷ গাোা৷ র্গো:যুঃ :ত্রে শুদ্বু প্রু;;:া১৷ ৰুৰুগ্লু );ড্রুঘ্রন্ এে:হুণ্াওৰুব্লু ১াএ প্া৷ জা৷ প্ গ্রব্লুগ্লু
দ্বুশ্:১ন্৷ ঠো
ধ্৷ এগো ১! :১শু ঞা ন্নো৷ ণ্;শুদ্বুধ্রুণ্এ্ ঢেওপ্লু ৰু ন্ও১ এ্;া৷; ৷ ম্পো ;১ওাপ্রুন্ধ্রা৷এ গ্লু১ক্রো৷ জা শ্;১ ব্লু
ঠোএ ভো ৷ণ্ড্র-ক্রা গ্রিহে৯এএ এগ্রীফোষ্’ ৷ণ্ড্রক্রা ণ্শুন্’-ৰু:ন্ন্এ ণ্ন্টেঙু-?এ ং ৪ংন্সী ছুধ্-ষ্-ষ্ৰু-ষ্ ফ্রোগ্রা )^ৰু-ন্’এ
এম্পেরৈ
ষ্-ন্ধ্ ফোএ স্পো ন্ন্হৈংএ ফো হে-ও^ং শু-ন্২ ন্ন্এ গ্রাঙ্ >৯ওন্’ ঠোএ ম্পেৰু-’ মোঃ ঠোএ
প্লে ব্লুএ১০এ প্রু ঞ;ৰুক্কুশুা৷া; প্রুদ্দুও ৮; ধ্× ৷ প্রু২ ণ্ওশ্রো৷ প্রু ১ন্নুাৰু ষ্ট্ট : ),ণ্ দ্বু এ্যা৷ ঞা
¢< শুএ্দু ক্রো৷ ঞা শু ষ্;১৷ ৷ল্ইন্ ৷প্রুক্রো৷ প্াগ্রা৷ এে ণুপ্রুন্নুস্ গ্লো৷ ৰু ন্দ্বু^৷ প্রুন্নু এাদ্বুয়ু ১া
ফো হে-< শু-ট্ট অিইহু এগ্রা ৷)ং ৷১;শ্লেএ ;ষ্এএ ংৰু-ন্’ট্ট ৫ভো ঞএৰুষ্ং é) এেচ্ষ্এে ঠেগ্রা ষ্ঠাং এৰুৰুং
শু-শ্রা ধ্টুা ন্-গুশ্০;৩শু
হৃন্১
) শু-ংৰুশ্নএ এৰুই ণ্১ৰু১ হেৰু ত্রুৰুংএ ৰুও-ৰুং এশুহ্নি ন্ গ্রাএ পট্টম্নই )ংইএ শু;ষ্এ এদ্বুও-ও ত্রুৰুং £)$ ষ্ঠাংএ ভোং
ট্টহুশু
৭ৰুাক্ট্র;; ণ্ঠুহুএ , মোঃ ব্লেৰুণ্ণ্ ট্টা এাদ্বুপ্রু ৰু প্প্লুণ্১ :ব্লুওশুদ্বু ৰুন্ধ্রদ্বু ঝা ষ্ষ্াগ্লুদ্বু ধ্দুা ১ স্১ণ্; বাখ্দ্বু ঞা১
খ্:ষ্া£মোঃ ণ্ঞা দ্রাণ্১ঞা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, এটা আল্লাহ্ ও তার রড়াসুলের চিঠি ৷ হে ঈযানদারগণ ৷
অঙ্গীকারসমুহ রক্ষা করে চল; এ হচ্ছে আল্লাহ্র রাসুলের পক্ষ থেকে আম্র ইবনঃ হাঘৃম (রা)-

ণ্ক ইয়ামানে পাঠাবার সময় তাকে প্রদত্ত ফরমান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অল্লোহ্র যাবতীয় আদেশ
নির্দোশ র্তাকে ভয় করে চলার নির্দেশ দিলেন ৷

কেননা, যারা আল্লাহ্কে ভয় করে চলে এবং যারা সৎকর্মর্শীল আল্লাহ্ তাদের সাথে
থাকেন ৷” তিনি তাকে আল্লাহ্র আদেশ অনুসারে যথাযথভাবে হক ও ন্যায়কে আকড়ে থাকার
নির্দেশ দিলেন এবং মানুষকে কল্যাণের সুসৎবড়াদ ও তার আদেশ দিতে বললেন ৷ মানুষকে
কুরআন শেখাংত এবং দীনের বুৎপত্তি অর্জনের নির্দেশ দিলেন ৷ পবিত্র না হয়ে কুরআন স্পর্শ
করা নিষেধ করতে বললেন ৷ লোকদের যা যা অধিকার ও যা যা কর্তব্য তা তাদের জানিয়ে
দিতে বললেন ৷ ন্যায়ের ক্ষেত্রে তাদের সাথে কোমল আচরণ ও জুলুমের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার
উপদেশ দিলেন ৷ কেননা, আল্লাহ্ যাবতীয় জুলুম-অনাচার হারায় করে দিয়েছেন এবং তা
নিষিদ্ধ করেছেন ৷ ” তিনি ইরশাদ করেছেন

মা

৫০ তো

— ১ ৯

فَأَبْشِرْ بِخَيْرٍ، وَآمُرُكَ بِحِمْيَرَ خَيْرًا، وَلَا تَخُونُوا وَلَا تَخَاذَلُوا، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ هُوَ مَوْلَى غَنِيِّكُمْ وَفَقِيرِكُمْ، وَإِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلَا لِأَهْلِ بَيْتِهِ، وَإِنَّمَا هِيَ زَكَاةٌ يُزَكَّى بِهَا عَلَى فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ وَابْنِ السَّبِيلِ وَإِنَّ مَالِكًا قَدْ بَلَّغَ الْخَبَرَ وَحَفِظَ الْغَيْبَ، فَآمُرُكُمْ بِهِ خَيْرًا، وَإِنِّي قَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ مِنْ صَالِحِي أَهْلِي وَأُولِي دِينِهِمْ وَأُولِي عِلْمِهِمْ، فَآمُرُكُمْ بِهِمْ خَيْرًا، فَإِنَّهُمْ مَنْظُورٌ إِلَيْهِمْ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ".» وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنٌ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنْ مَالِكَ ذِي يَزَنَ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُلَّةً قَدْ أَخَذَهَا بِثَلَاثَةٍ وَثَلَاثِينَ بَعِيرًا وَثَلَاثَةٍ وَثَلَاثِينَ نَاقَةً. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْنٍ الْوَاسِطِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَاذَانَ الصَّيْدَلَانِيِّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا حَدِيثَ كِتَابِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ قَالَ: هَذَا كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَنَا، الَّذِي كَتَبَهُ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ يُفَقِّهُ أَهْلَهَا، وَيُعَلِّمُهُمُ السُّنَّةَ، وَيَأْخُذُ صَدَقَاتِهِمْ، فَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا وَعَهْدًا، وَأَمَرَهُ فِيهِ أَمْرَهُ فَكَتَبَ: «بِسْمِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৫


জেনে রাখ ! আল্লাহর লানত জালিমদের উপরে ৷ যারা আল্লাহর পথ থেকে (লোকদের)
বিরত রাখে ৷ তিনি তাকে লোকদের জান্নাত এবৎত ৷র উপযোগী আমলের সৃসং বাদ দেয়ার ও
লোকদের জাহান্নাম এবং জাহান্নামণামী আমলের ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে বললেন ৷
লোকদের সাথে নৌহার্দ সহৃদয়তার আচরণ করতে বললেন, যাতে তারা দীনের বুৎপত্তি
অর্জনের অবকাশ পায় ৷ লোকদের শেখাতে বললেন, হজ্জ ও হড়াজ্জর ফরযসমুহ, তার সুন্নাহ্
সম্মত পদ্ধতি ও তার নিদর্শনাবলী এবং যে সব ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট করণীয় ৷
আল হাজ্জ্বল’ আকবার ৷ বড় হজ্জ হল প্রচলিত হজ্জই, আর ছোট হজ্জ হল, উমর৷ ৷ কোন
মুসল্লীর জন্য (ছতর আবৃত হয় না এমন) ছোট এক কাপড়ে সালাত আদায় করা নিষেধ করতে
বললেন, তবে কাপড় বড় হলে তা বাড়াধের দৃ’দিক থেকে উল্টে৷ করে জড়িয়ে নেয়৷ চলবে; এক
খণ্ড কাপড় (সেলাইবিহীন) ভুাটুতে জড়িয়ে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হতে পারে এমন ইহতিবা১ আসন
নিঘেধ করতে বললেন ৷

অনুরুপ চুল ছড়িয়ে পড়ে ঘাড় ঢেকে দিলে তা খোলা রাখা নিষেধ করতে হবে ৷ আরো
নিষেধ করতে বললেন, কোন দাঙ্গা-হাঙ্গাম৷ দেখা দিলে জাহিলী যুগের পন্থায় গোত্রীয় দলাদলি
ও সাম্প্রদায়িক কােন্দলের প্রশ্রর দিতে বরং তেমন ক্ষেত্রে একক লা-শরীক আল্লাহর পথে
অর্থাৎ ন্যায়ের পক্ষাবলম্বনের আহ্বান জানাতে হবে ৷ কেউ আল্লাহর দিক আহ্বান না করে
গোত্রীয় পক্ষপাতের উসকানী দেয়ার চেষ্টা করলে তরবাবি দিয়ে তাদের গতি রুদ্ধ করতে হবে,
যতক্ষণ না তারা একক লা-শরীক আল্লাহর জন্য আওয়াজ তুলতে বাধ্য হয় ৷ তাদের উযু
পুর্ণাঙ্গ করার আদেশ দিতে হবে ৷ মুখমণ্ডল, কনুইসহ হাত ও গিরাসহ পা ধোয়৷ এবং মাথা
মাসেহ্ করা যেমন মহান-মহীয়ান আল্লাহ্ হুকুম করেছেন ৷ তারা আদিষ্ট হবে যথাসময়ে সালাত
প্রতিষ্ঠায়, রুকু-সিজদাহ পুর্ণাঙ্গ করার সাথে সাথে; ফজর আদায় করতে হবে ভোরের আধার
বিদ্যমান থাকাকালে, যুহর সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়লে, আসর সালাত সুর্য পুর্ণ প্রতায় পৃথিবীতে
আলো বিকিরণকালে, মাণরিব রাতের আগমনীমাত্র আসমানের সিতারার জ্বলজুল করে ওঠার
আগেই, আর ইশা রাতের প্রথম ভাগে ৷ তিনি তাদেরকে আদেশ করলেন গনীমত থেকে
আল্লাহ্র নির্দেশিত পঞ্চমড়াৎশ আদায় করতে ৩৷ আর ভুমির (উৎপন্ন জাত ফসলের) যাকাত
প্রাকৃতিক পানির দ্বারা ফসল উৎপাদিত হলে উশর এক-দশমাংশ ৷ আর সেচকৃত পানির দ্বারা
হলে বিশ ভাগের একভাগ ৷ আর (পশুর যাকাত) প্রতি দশটি উটে দুটি ছাপল ৷ প্রতি কুড়িটি
উটে চারটি ছাগল, প্রতি চল্লিশটি গরুতে একটি (পুর্ণ বয়স্ক) গরু, প্রতি ত্রিশটি ণরুতে একটি
তড়াৰী’ দৃ’বছর বয়সের নব মাদা; উন্মুক্ত মাঠে চরা সাইম৷ মেষ ছাণল শুধু চল্লিশটি হলে একটি
ছাগল এ হল মু’মিনদের যিম্মায় আল্লাহ্র নির্ধারিত ফরয ৷ কেউ বেশী দিলে তা তার জন্য
কল্যাণ বয়ে আনবে ৷ ইয়াহুদী খৃস্টানদেব কেউ মুসলমান হলে মনের ভেতর হতে একবিষ্ঠ
মুসলিম হয়ে দীন-ইসলাম আনুণত করে চললে সেও ঘু’মিন জামাআতের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য
হবে ৷ তার জন্য অন্যান্য ঈমানদার সমতুল্য অধিকার ও দায়-দায়িতৃ বর্তাবে ৷ অ র করা
তাদের ইয়াহুদী-খৃস্ট ধর্ম আকড়ে থাকবে, তাদের সে ধর্ম পবিবতন করানে ৷হ না; তবে
প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, নারী স্বাধীন ও দাস এর (জন্য তার মনিরের) যিদায় শ্কটি পুর্ণাঙ্গ



১ ইহতিবা ( ণ্ ’¢ ) গামছা ইত্যাদি দিয়ে ইাটু গোহ৷ পিঠ কঢ়ন্দুম্ £লেলোঃ ঘোঢ় ষ্াতিঃহ্ব গ্হ্ব


الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1] (الْمَائِدَةِ: 1) عَهْدًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ حِينَ بَعْثِهِ إِلَى الْيَمَنِ ; آمُرُهُ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي أَمْرِهِ كُلِّهِ، فَإِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوْا وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ ".» وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِالْحَقِّ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ، وَأَنْ يُبَشِّرَ النَّاسَ بِالْخَيْرِ وَيَأْمُرَهُمْ بِهِ، وَيُعَلِّمَ النَّاسَ الْقُرْآنَ وَيُفَقِّهَهُمْ فِي الدِّينِ، وَأَنْ يَنْهَى النَّاسَ فَلَا يَمَسَّ أَحَدٌ الْقُرْآنَ إِلَّا وَهُوَ طَاهِرٌ، وَأَنْ يُخْبِرَ النَّاسَ بِالَّذِي لَهُمْ وَالَّذِي عَلَيْهِمْ، وَيَلِينُ لَهُمْ فِي الْحَقِّ، وَيَشْتَدُّ عَلَيْهِمْ فِي الظُّلْمِ، فَإِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ الظُّلْمَ وَنَهَى عَنْهُ، فَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ {أَلَا لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ} [هود: 18] (هُودٍ: 18، 19) وَأَنْ يُبَشِّرَ النَّاسَ بِالْجَنَّةِ وَبِعَمَلِهَا، وَيُنْذِرَ النَّاسَ النَّارَ وَعَمَلَهَا، وَيَسْتَأْلِفَ النَّاسَ حَتَّى يَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ، وَيُعَلِّمَ النَّاسَ مَعَالِمَ الْحَجِّ وَسُنَنِهِ وَفَرَائِضِهِ، وَمَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ، وَالْحَجُّ الْأَكْبَرُ الْحَجُّ، وَالْحَجُّ الْأَصْغَرُ الْعُمْرَةُ، وَأَنْ يَنْهَى النَّاسَ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ صَغِيرٍ، إِلَّا أَنْ يَكُونَ وَاسِعًا فَيُخَالِفُ بَيْنَ طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ، وَيَنْهَى أَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَيُفْضِي بِفَرْجِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَلَا يَنْقُضَ شَعْرَ رَأْسِهِ إِذَا عَفَا فِي قَفَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৬


দীনার কিংবা তার বদলে কাপড় (জিযিয়াস্বরুপ) ধার্য হবে ৷ যে তা আমার করবে তার জন্য
আল্লাহ্ ও তীর রাসুল (না)-এর নিরাপত্তা-যিম্মা সাব্যস্ত হবে, আর যে তা আদায়ে অস্বীকৃত
হবে সে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) এবং সকল ঈমানদারের দৃশমন ৷ মুহাম্মদের উপরে
আল্লাহ্র রহমত বর্ধিত হোক ! এবং তার প্ৰতি সালাম, রহমত ও বরকত নাযিল হোক ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, সুলায়মান ইবন দাউদ (র) আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন
আমর ইবন হাযম (রা) , তার পিতা তীর দাদা থেকে এ হাদীস অবিচ্ছিন্ন সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন এবং তাতে পুর্বোল্লিখিত যাকাত দিয়াত ইত্যাদি সম্পর্কিত বর্ণনায় কিছু কম-বেশী
রয়েছে ৷

গ্রন্থকারের মন্তব্য : নাসাঈ (র) ও তার সুনান গ্রন্থে এবং আবু দাউদ তার মারাসীল’ এ ও এ
হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ প্রতিনিধি দল’ পরিচ্ছেদ শেরে ইয়ামানের লোকদের তালীমদ তাদের
যাকাত ও পনীমতের পঞ্চমাংশ উসুলের দায়িতৃ দিয়ে নবী করীম (না)-এর আমীরগণকে
পাঠানোর বিষয়টি আমরা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্! সে আমীরগণ হলেন যুআয ইবন
জাবাল, আবু মুসা, খালিদ ইবনুল ওলীদ ও আলী ইবন আবু তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহুম ৷

জারীর ইবন আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রা) এর আগমন ও তার ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গ

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আর কাতান (র) মুগীরা ইবন শাবৃল (র) সুত্রে বলেন, জায়ীর
(রা) বলেছেন, মদীনায় কাছাকাছি পৌছে আমি আমার উটঢি বসালড়াম এবং চামড়ার থলেটি
খুলে আমার নতুন পোশাক পরলাম ৷ পরে মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ভাষণ দিচ্ছেন ৷ লোকেরা আমার দিকে চোখের ইশারা করতে লাগল ৷ আমি আমার পাশের
লোকটিকে বললাম, আল্লাহর বান্দা! আল্পাহ্র রাসুল (না) কি আমার কথা আলোচনা
করেছেন? লোকটি বলল, হী ৷ তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন, মাঝে তোমার কথা বলেছেন এবং উত্তম
বলেছেন ৷ তিনি বলেছেন-

গ্রাএ ড়ু১মোঃ ণ্হুহ্রমুণ্ষ্ এ১১;ষ্

ঐ দরজা দিয়ে (কিংবা তিনি বলেছেন, ঐ পথ দিয়ে) ইয়ামানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লোকটি
প্রবেশ করবে; তবে কিনা তার মাথায় রয়েছে রাজকীয় পশমী চাদর ৷

জারীর (র) বলেন, আমি মহানমহীয়ান আল্লাহ পাকের দেয়া প্রাচুর্য-সৌতাগ্যের জন্য তার
প্রশংসা করলাম ৷ রাবী আবু কাতান বলেন, আমি তাকে (রাবী ইউনুসকে) বললাম, আপনি এ
হাদীস সরাসরি জারীর (রা)-এর কাছে শুনেছেন? নাকি মুপীরা ইবন শাবলের কাছে? তিনি
বললেন, হী ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীস আবু নুআয়ম ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সনদে এ
রিওয়ায়াতাট উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ হাদীসের সনদ বুখারী-যুসলিমেরর্ম্পর্তানৃরুপ ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (র) জারীর (রা) থেকে, তিনি বলেছেন-

“আমি মুসলমান হওয়ার পর থেকে আল্লাহর রাসুল (সা) কখনো আমাকে তার ঘরে প্রবেশে
বাধা দেন নি এবং মতবার আমাকে দেখেছেন, আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি দিয়েছেন ৷
আবু দাউদ ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তা-এর সকল ইমাম এ হাদীসখানা উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে


وَيَنْهَى النَّاسَ إِنْ كَانَ بَيْنَهُمْ هَيْجٌ أَنْ يَدْعُوا إِلَى الْقَبَائِلِ وَالْعَشَائِرِ، وَلْيَكُنْ دُعَاؤُهُمْ إِلَى اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، فَمَنْ لَمْ يَدْعُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَدَعَا إِلَى الْعَشَائِرِ وَالْقَبَائِلِ فَلْيَعْطِفُوا بِالسَّيْفِ حَتَّى يَكُونَ دُعَاؤُهُمْ إِلَى اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَيَأْمُرَ النَّاسَ بِإِسْبَاغِ الْوُضُوءِ وُجُوهَهُمْ وَأَيْدِيَهُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ، وَأَرْجُلَهُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، وَأَنْ يَمْسَحُوا رُءُوسَهُمْ كَمَا أَمَرَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَأُمِرُوا بِالصَّلَاةِ لِوَقْتِهَا، وَإِتْمَامِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، وَأَنْ يُغَلَّسَ بِالصُّبْحِ، وَأَنْ يُهَجَّرَ بِالْهَاجِرَةِ، حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ، وَصَلَاةُ الْعَصْرِ وَالشَّمْسِ فِي الْأَرْضِ مُبَدَّدَةٌ، وَالْمَغْرِبُ حِينَ يُقْبِلُ اللَّيْلُ وَلَا تُؤَخَّرُ حَتَّى تَبْدُوَ النُّجُومُ فِي السَّمَاءِ، وَالْعِشَاءُ أَوَّلُ اللَّيْلِ، وَأَمَرَهُ بِالسَّعْيِ إِلَى الْجُمُعَةِ إِذَا نُودِيَ بِهَا، وَالْغُسْلِ عِنْدَ الرَّوَاحِ إِلَيْهَا، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنَ الْمَغَانِمِ خُمُسَ اللَّهِ، وَمَا كُتِبَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ مِنَ الصَّدَقَةِ مِنَ الْعَقَارِ فِيمَا سَقَتِ الْعَيْنُ وَفِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ الْعُشْرُ، وَمَا سَقَى الْقَرَبُ فَنِصْفُ الْعُشْرِ، وَفِي كُلِّ عَشْرٍ مِنَ الْإِبِلِ شَاتَانِ، وَفِي عِشْرِينَ أَرْبَعُ شِيَاهٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৭


বুখারীঘুসলিমে এ অধিক বিবরণ রয়েছে, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ অভিযোগ
করলাম যে, আমি ঘোড়৷ র পিঠে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারি না ৷” তখন তিনি আমার বুকে

তার হাত বুলিয়ে দু আ করলেন ৷া১ন্ৰুণ্ ৷প্লুএ্া :াএন্ৰুঙু শ্লো৷ হে আল্লাহ তাকে স্থির র খুন
এবং তাকে হিদায়ড়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্ত করুন ৷

বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজ (র) ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ
অথবা কায়স ইবন আবু হাযিম (র) থেকে, তিনি জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) থেকে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন এক ব্যক্তিকে আমার কাছে পাঠালেন ৷ (আমি তার কাছে গেলে)
তিনি বললেন, জারীর? কী উদ্দেশ্যে ওোমার আগমন? আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু
আপনার হাতে হাত রেখে ইসলাম কবুল করার উদ্দেশ্যে এসেছি ৷ আবীর (রা) বলেন, তিনি
আমার পারে একটি চাদর জড়িয়ে দিলেন এবং উপস্থিত তার সহচরদের উদ্দেশ্যে বললেন-

-০,ণ্ণ্গ্রঘ্রএন্ ণ্ঙুএ ণ্প্লু;হ্ন ণ্ম্রা :ি) কোন কওমের কোন সভ্রদ্বন্ত লোক ণ্তামাদের কাছে আসলে
তোমরা তার সম্মান করবে ৷ পরে আমাকে বললেন, হে জারীর! আমি £তামাকে আহ্বান করছি
এ সাক্ষ্য দানের প্রতি যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহ্র
রাসুল ৷ আর এ জন্য যে, তুমি আল্পাহ্র আখিরাত দিবস ও তাকদীরের ভাল-মন্দে বিশ্বাস
স্থাপন করবে ৷ ফরয সালাতসমুহ আদায় করবে এবং ফরয যাকাত আদায় করে দিয়ে ৷ অ৷ ৷মি

তাই করলাম ৷ ফলে এরপর থেকে তিনি যখনই আমাকে দেখতে তন, আমার মুখের দিকে
তাকিয়ে ঘৃচকি হাসভেন ৷ এ সুত্রে এ হাদীসখানি গয়ীব পর্যায়ের ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ আল কাত্তান (র) জারীর ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) থেকে, তিনি বলেন, আমি সালাত প্রতিষ্ঠা, যাকাত প্রদান ও প্রতিটি মুসলিম
ব্যক্তির জন্য কল্যাণকামী’ হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে বায়আত হয়েছিলাম ৷
সহীহ্ বুখারী-মুসলিমে এ হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (র) সুত্রে ; অনুরুপ
যিয়াদ ইবন উলাছ৷ (র) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন আবু সাঈদ
(র) জারীর (রা) থেকে, তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে বায়আংতর
শর্ত দিন, কেননা, আপনিই তা ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন, তোমাকে এ শর্তে বায়আত করে
নিচ্ছি যে, তুমি একমাত্র আল্লাহ্র ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে শৰীক করবে না, সালাত
কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবেঃ ৷ মুসলমানের কল্যাণ ও হিত কামনা করবে এবং শিল্পক-
এর সম্পর্ক মুক্ত থাকবে ৷ নাসা ৷ঈ (র) এ হাদীসখানা একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, জারীর (রা) ইসলাম গ্রহণ করলে নবী কল্পীম (সা) র্তাকে
যুল ’থালাসাহ কািহ ধ্বংস করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিষেছিসুলন এটি হল খ্যহুআম ও বড়াব্জীলা
গোত্রের মুর্তি ৷ যাকে তার৷ ইয়ামানের কা বা নামে অভিহিত কঃতাে ৷ এ নামকরণের উদ্দেশ্য
ছিল মক্কায় অবস্থিত কা বার প্রতিদ্বব্দী দাড় করানো এ জন্য মক্কার কাবাকে তারা শামের
(সিরিয়ার) কা ৷ব৷ নাম দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জারীর (রা)-কে বললেন )ণ্ ,ৰু ;:প্রু ১৷ ৷
-দ্দৌর্ণী এে১ “যুল খালড়াসার আপদ থেকে তুমি আমাকে মুক্ত করবে কি? তখন জারীর (বা)
নবী করীম (সা) এর কাছে এ অনুযােগ করলেন যে তিনি ঘোড়ার পিঠে স্থির হয়ে বসে
থাকতে পারেন না ৷ নবী করীম (সা) জাৰীরের বুকে তার ঘুবারক হাত বৃলিয়ে দিয়ে দিলে তা


وَفِي أَرْبَعِينَ مِنَ الْبَقَرِ بَقَرَةٌ، وَفِي كُلِّ ثَلَاثِينَ مِنَ الْبَقَرِ تَبِيعٌ أَوْ تَبِيعَةٌ جَذَعٌ أَوْ جَذَعَةٌ، وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ مِنَ الْغَنَمِ سَائِمَةٍ وَحْدَهَا شَاةٌ، فَإِنَّهَا فَرِيضَةُ اللَّهِ الَّتِي افْتَرَضَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ مِنَ الصَّدَقَةِ فَمَنْ زَادَ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَإِنَّهُ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ يَهُودِيٍّ أَوْ نَصْرَانِيٍّ إِسْلَامًا خَالِصًا مِنْ نَفْسِهِ فَدَانَ دِينَ الْإِسْلَامِ فَإِنَّهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، لَهُ مَا لَهُمْ وَعَلَيْهِ مَا عَلَيْهِمْ، وَمَنْ كَانَ عَلَى يَهُودِيَّتِهِ أَوْ نَصْرَانِيَّتِهِ فَإِنَّهُ لَا يُغَيَّرُ عَنْهَا، وَعَلَى كُلِّ حَالِمٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ دِينَارٌ وَافٍ أَوْ عِوَضُهُ مِنَ الثِّيَابِ، فَمَنْ أَدَّى ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُ ذِمَّةَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَذِمَّةَ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَنْ مَنَعَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ عَدُوُّ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالْمُؤْمِنِينَ جَمِيعًا، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَالسَّلَامُ عَلَيْهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ". قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ هَذَا الْحَدِيثَ مَوْصُولًا بِزِيَادَاتٍ كَثِيرَةٍ وَنُقْصَانٍ عَنْ بَعْضِ مَا ذَكَرْنَاهُ فِي الزَّكَاةِ وَالدِّيَاتِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. قُلْتُ وَمِنْ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيُّ فِي " سُنَنِهِ " مُطَوَّلًا، وَأَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْمَرَاسِيلِ "، وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ وَأَلْفَاظِهِ فِي " السُّنَنِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَسَنَذْكُرُ بَعْدَ الْوُفُودِ بَعْثَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأُمَرَاءَ إِلَى الْيَمَنِ لِتَعْلِيمِ النَّاسِ وَأَخْذِ صَدَقَاتِهِمْ وَأَخْمَاسِهِمْ ; مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَأَبَا مُوسَى، وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَعَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৮


কার্যকরী হলো ৷ তিনি দৃআ করেছিলেন, ইয়া আল্লাহ! তাকে স্থিরতা দান করুন এবং তাকে
হিদায়াতপ্রাও ও পথ প্রদর্শক করুন! ফলে এরপরে তিনি আর কখনো ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে
যান নি ৷ তিনি তার কওমের দেড়শ’ দৃর্ধর্ষ আহমাসা নিয়ে যুল খালাসা অভিযানে রওনা হয়ে
গেলেন এবং উপাসনালয়টি ধ্বংস করে তা পুড়িয়ে দিমােন ৷ তার ও পা ণ্ষ্ধু১ প দেখলে মনে হত
যেন পড়াচড়ার দপদগে য়া ভরা উট ৷ অভিযান শেরে আবীর (রা) আবু আরবাত নামের এক
দ্রুতপামী সাওয়ারকে এই সুসংবাদের বর্তোবাহীরুপে নবী কবীম (সা) এর কাছে পাঠালেন ৷
বিজয়ের সৃসংবব্বদ শুনে নবী কবীম (সা) আহমব্বস’ সােড় সাওয়ড়ার ও পদাতিকদের জন্য পাচ
পড়াচবড়ার বরকতের দুআ করলেন ৷ হড়াদীসখানি বুখাবী-মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে বিনদতাবে
বর্ণিত হয়েছে ৷ মক্কা বিজয় প্রসঙ্গে খালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-এর হাতে বড়ায়তুল উবযা’ ধ্বংস
হওয়ার আলোচনার পরে প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে আমরা এ বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে
এসেছি ৷ বাহ্যত জড়াবীর (রা) এর ইসলাম গ্রহণের সময়টি ছিল মক্কা বিজয়ের বেশ পরে ৷

কারণ, ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হিশাম ইরনুল কাসিম (র) জাবীর ইবন আবদুল্লাহ
আল-বড়াজালী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি মুসলমান হয়েছিলাম সুরা মইিদা নাযিল
হওয়ার পরে ৷ আমি মুসলমান হওয়ার পরে রত্বসুলুল্লাহ্ (না)-কে উযুতে পা ধোয়ার পরিবর্তে
মােজার উপরে মড়াসেহ করতে দেখেছি ৷ আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন এবং
এর সনদ রেশ উত্তম, যদি না মধ্যবর্তী রড়াবী মুজাহিদ (র) ও আবীর (রড়া)এর মাঝে সংযোগ-
ছিন্নতা থেকে থাকে ৷ এছাড়া বুখাবী-মুসলিমে উল্লিখিত হয়েছে যে, আবদুল্লাহ ইবন নাসউদ (রা)
এর শাগিরদগণ সোজা মাসেহ সম্পর্কিত জারীর (রড়া)এর হাদীসে আনপাপ্লুত হওেন ৷ এ কারণে
যে, আবীর (রা) সুরা মাইদা নাযিল হওয়ার পরে ম্সলমান হয়েছিলেন ৷২

বিদায় হজ্যের আলোচনায় বিবৃত হয়ে যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবীর (রা) কে বলেছিলেন,
“আবীর ! লোকদের আওয়াজ থামিয়ে শুনতে বলবিণেষভাংব আবীর (রা) কে আওয়াজ
থামড়াতে বলার কারণ হল ৷ তিনি ছিলেন বয়সে বালক এবং গায়ে পতরে মোটা সােটা৩ তার
আকার এমন কি তার জুতার দৈর্ঘ্য ছিল এক হাত ৷ তিনি ছিলেন লুশ্ৰী ঢেহড়ারড়ার অধিকারী ৷ তা
সত্বেও তিনি সবসময় দৃষ্টি অবনত করে রড়াখওেণ্৷ ৷ এ কারণে বিশুদ্ধ সনদে তার এ রিওয়ড়ায়াত
পাওয়া যায়ণ্শ্তিনি বলেন (অনাত্মীয়ার দিকে) হঠাৎ নজর পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি
ব্ক্তকৃচুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম ৷ তিনি বললেন, এ)ণ্এহু এ)শ্ষ্টন্ধ্ “ তোমার দৃষ্টি
ষ্ৰনত করে ফেলার ৷

দ্যোড়াহ্ (সা) সকাশে ইয়ামানের অন্যতম রজাে ওয়াইল ইবন হুজ্বর ইবন রড়াবীআ ইবন
সৈব্র অ্যাহাযরড়াযী ইবন হুনড়ায়দ এর প্রতিনিধিরুপে আগমন ৷









১ ক্টক্সৰ্ৰ স্বীকুষ্তিপ্রাপ্ত যােদ্ধাদের আহমাস (বীরশ্রেষ্ঠ বা বীর উত্তম) নামে অভিহিত করা হত ৷
২ সুত্র স্খাইদার টবুতে পা ধোয়ার হকুম রয়েছে ৷ সৃতরাৎ এ সুরা নাযিল হওয়ার পরবর্তী সময়ে মোযা
ঘ্নে ঙ্গ র্বিন্থ ব্রিতয়ায়ন্ত সাবস্তে হলে মাসেহ বৈধ হওয়া অবহিত ও সর্বকালীনরুপে প্রমাণিত হতে পারে ৷

ত্রুক্রে
স্বষ্ ণ্গ্দুব্ক্ত ণ্ডু ষ্ৰে ক্সব্রহে ৰ্!র অর্থ শিশু, প্রায় তরুণ কিশোর ৷ তবে শব্দটি :প্লু (সায়িতান ) হলে অর্থ
-fi ষ্ মোঃ দ্দৌ ৰ্র্ধ্বব স্রন্ওরক্তে অনেক দুরে পৌছে ৷


[قُدُومُ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ وَإِسْلَامُهُ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ قَالَ: وَقَالَ جَرِيرٌ: «لَمَّا دَنَوْتُ مِنَ الْمَدِينَةِ أَنَخْتُ رَاحِلَتِي، ثُمَّ حَلَلْتُ عَيْبَتِي، ثُمَّ لَبِسْتُ حُلَّتِي، ثُمَّ دَخَلْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فَرَمَانِي النَّاسُ بِالْحَدَقِ فَقُلْتُ لِجَلِيسِي: يَا عَبْدَ اللَّهِ، ذَكَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، ذَكَرَكَ بِأَحْسَنِ الذِّكْرِ. فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ إِذْ عُرِضَ لَهُ فِي خُطْبَتِهِ، وَقَالَ: " يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ أَوْ مِنْ هَذَا الْفَجِّ مِنْ خَيْرِ ذِي يَمَنٍ إِلَّا أَنَّ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةَ مَلَكٍ ". قَالَ جَرِيرٌ: فَحَمِدْتُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى مَا أَبْلَانِي» : وَقَالَ أَبُو قَطَنٍ: فَقُلْتُ لَهُ: سَمِعْتَهُ مِنْهُ؟ أَوْ: سَمِعْتَهُ مِنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَإِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ يُونُسَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৯
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ - وَيُقَالُ: ابْنُ شُبَيْلٍ - عَنْ عَوْفٍ الْبَجَلِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَلَيْسَ لَهُ عَنْهُ غَيْرُهُ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرٍ بِقِصَّتِهِ: «يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةُ مَلَكٍ ".» الْحَدِيثُ وَهَذَا عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: «مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمْتُ، وَلَا رَآنِي إِلَّا تَبَسَّمَ فِي وَجْهِي» . وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " زِيَادَةٌ: «وَشَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي لَا أَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِي،» وَقَالَ: «اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ عَنْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯০


আবু উমার ইবনু আবদুল বার (র) বলেছেন, ওয়ইিল হাদ্রামাওত অঞ্চলের অন্যতম
গোত্রপ্রধান ছিলেন এবং তার পিতা ছিলেন একজন সামম্ভ রাজা ৷ কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(না) তার আগমনের আগেই সাহাৰীদের কাছে আগাম সুসৎ বাদ দিয়ে বলেছিলেন ৷ ণ্<প্রুও৷ ,ন্
এঙুগ্রা :ক্রো ন্ঞা “অবশিষ্ট রাজপুত্রটিও তোমাদের কাছে আসছে” ৷

ওয়াইল এসে পড়লে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের পাশে বসালেন এবং
তার জন্য নিজের চাদর বিছিয়ে দিয়ে তাকে সম্মান দেখালেন এবং বললেন ,,এ এএধ্-ষ্ “
-০-৬ ৬ : শ্ছাএে ঞাদ্বু “হে আল্লাহ্৷ ওয়াইল তার সন্তান ও তার সন্তানের সন্তানদের বরকত
দিন ৷ নবী করীম (সা) তাকে হাদ্রামাউত-এ বিভিন্ন উপ গোত্রের শাসনকর্তা নিয়োগ করে তার
সাথে তিনটি চিঠি দিয়েদিলেন ৷ একটি চিঠি ছিল ঘুহাক্তির ইবন আৰু উমায়্যার নামে ৷ একটি
গোত্রপ্রধান ও রাজাদের নামে এবং তাকে একটি অঞ্চলে ক্তায়াগা দিয়ে দিলেন এবং মুআবিয়া
ইবন আবু সুফিয়ান (বা) কে তার সাথে পাঠালেন ৷ আবু সুফিয়ান (বা) পায়ে হেটে তার সাথে
চললেন ৷ তিনি ওয়াইলের কাছে পাথুরে মরুর খরতাপের পায়ে হাটার অসুৰিধার কথা বললে
ওয়াইল বলল, উংটর ছায়ায় ছায়ায় পথ চলো ৷ ম্বুআবিয়া (বা) বললেন, তাতে আমার পায়ের
কি জুড়াবে ? আমাকে তাে তোমার (পিছনে বসিয়ে) সহ-আরােহী করে নিতে পার ৷ ওয়া ৷ইল
বললেন, চুণ থাকা রাজাদের সহ-আরোহী হওয়ার যোগ্য৩ ৷ তোমার নেই ৷ এ ঘটনার পরেও
ওয়া ৷ইল দীর্ঘদিন বেচে ছিলেন ৷ মুআৰিয়া (রা) যখন খলীফা ও আমিরুল মুমিনীন, তখন
একবার ওয়াইল তার দরবারে প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন ৷ মু আৰিয়া (বা) তার কথা স্মরণ
করতে পারলেন ৷ তবুও তাকে উঞ্চ সযর্ধনা জা ৷নিয়ে কাছে বসালেন এবং সেদিনের ঘটনা তাকে
স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷ তাকে মুল্যবান উপচৌকন গ্রহণের অনুরোধ করলে ওয়াইল তাতে
অসম্মতি জানিয়ে বললেন, আমার চেয়ে যার অধিক প্রয়োজন রয়েছে এমন কাউকে তা দিয়ে
দেবেন ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) এ আলোচনার আৎশিক উল্লেখ করেছেন এবং বুখারী (র) তার
তারিখ গ্রন্থে বিষয়টির কতক বিবরণ দিয়েছেন বলেও বায়হাকী (র) ইংগিত করেছেন ৷ ইমাম
আহমাদ (র) বলেছেন ৷ হাজ্জাজ (র) (আলকামাহর পিতা) ওয়াইল থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একটি ভুমি জায়পীররুপে দিয়েছিলেন ৷ তিনি আরো বলেন, আমার
সাথে মুআবিয়াকে পাঠালেন এ কথা বলে যে, তাকে ঐ ভুমি দিয়ে দিবে কিৎবা তিনি
বলেছিলেন তাকে তাতে কর্মকর্তা নিয়োগ করবে ৷ ওয়াইল বলেন, (পথে) ঘুআৰিয়৷ আমাকে
বলল, আমাকে তোমার উটের পিছনে বসিয়ে নাও ৷

আমি বললাম, তুমি রাজাদের সহ-আরোহী হতে পড়ার না ৷ ওয়াইল বলেন, তখন সে বলল,
আমাকে তোমার জুত৷ পরতে দাও ৷ আমি বললাম উটেব ছায়াকে জুতারুপে ব্যবহার করনা
কেন? ওয়াইল বলেন, মুআবিয়৷ (বা) খলীফা মনোনীত হলে আমি তার দরবারে গেলাম ৷ তিনি
আমাকে তার সাথে মসনদে বসালেন এবং পুর্ববর্তী সে ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷
(মধ্যবর্তী রাবী) সিমাক (র) বলেন, ওয়াইল বলেন, তখন আমার মনে হল হার, যদি তাকে
উটের পিঠে আমার সামনে তুলে নিতাম ৷

আবু দা ৷উদ ও তিরমিযী (র) শু বা (ব) সুত্রে এ হাদিসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং
তিরমিযী (র)৩ তাকে বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ৷


وَزَادَ فِيهِ: «يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةُ مَلَكٍ ".» فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ السَّمَّاكُ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سَلَّامٍ السَّوَّاقُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ الْخُرَاسَانِيُّ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عُمَرَ الْأَحْمَسِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «بَعَثَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا جَرِيرُ، لِأَيِّ شَيْءٍ جِئْتَ؟ " قُلْتُ: أُسْلِمُ عَلَى يَدَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَأَلْقَى عَلَيَّ كِسَاءً، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " إِذَا أَتَاكُمْ كَرِيمُ قَوْمٍ فَأَكْرِمُوهُ ". ثُمَّ قَالَ: " يَا جَرِيرُ، أَدْعُوكَ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ، وَتُصَلِّيَ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ، وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ ". فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يَرَانِي إِلَّا تَبَسَّمَ فِي وَجْهِي.» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «بَايَعْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯১
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِقَامِ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ، وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ شَقِيقٍ - يَعْنِي أَبَا وَائِلٍ -، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اشْتَرِطْ عَلَيَّ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِالشَّرْطِ. قَالَ: «أُبَايِعُكَ عَلَى أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ لَا تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَنْصَحَ الْمُسْلِمَ، وَتَبْرَأَ مِنَ الْمُشْرِكِ ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ جَرِيرٍ. وَفِي طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنِ الْأَعْمَشِ وَعَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي نُخَيْلَةَ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قُدَامَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৭৯২

লাকীত ইবন আমির আল-মুনতাফিক আবু রাযীন আল-উকায়লীর ন্
প্রতিনিধিরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে আগমন

আবদুল্লাহ ইব ন ইমাম আহমাদ (র) বলেন, ইবরাহীম ইবন হামযা ইবন মুহম্মদ ইবন
হামযা ইবন মুসআব ইবনুয যুবায়র আয-যুবায়রী (রা) আমার কাছে লিখলেন, তোমার কাছে
এ হড়াদীসটি লিখে পাঠাচ্ছি, আমি তা মুহাদ্দিছপনের সামনে পেশ করেছি এবং যেমন আমি
তোমার কাছে লিখছি তেমন-ই শুনেছি ৷ তুমি এ হাদীসখন্মো বর্ণনা করতে পার ৷ আবদুর
রাহমান ইবনৃল মুপীরা আল-হিযামী (র) লার্কীত ইবন আমির (রা) সুত্রে বচ্নাি করেন (অন্য
একটি রিওয়াতে আসিম ইবন লাকীত) (রা)-বলেন, লার্কীত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে
প্রতিনিধিরুপে বের হলেন, তার সংপী ছিলেন নড়াহীক ইবন আসিম ইবন মালিক ইবনুল
যুনতাফিক ৷ লাকীত (বা) বলেন, আমি ও আমার সংপী বেরিয়ে পড়লাম এবং রজব মাসের
শেষ দিকে আমরো মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে উপস্থিত হলাম ৷ আমরা যখন তার
কাছে পৌছলাম তখন তিনি সরে ফজরের নামায শেষ করেছেন ৷ তিন থুতব৷ দেয়ার উদ্দেশ্যে
লোকদের সামনে দাড়িয়ে বললেন,
৷ শ্লোাপ্রুা৷ ৷ প্রুা
,৷ ৰু ,,:;, ;প্রু১১ মোঃ ;) ধ্াৰু৷ ণ্শু শ্ব ৷ ঞা ঞ , এ,ব্লু, ৷ এে ণ্াণ্৷ ৷ ,া৷দ্বুন্নু শ্যিব্র ক্রো দু;,া
াসৌং৷ ১’ট ৷ )টুহুন্পুষ্


লোক সকল ! শ্যেন! আজ চারদিন যাবত আমি তোমাদের কাছে আমার আওয়ায গোপন
করে রেখেছি ৷ গােন ! এখন আমি তোমাদের কিছু ৷শানড়াতে চাই, শোনা তোমাদের মাঝে এমন
কেউ আছে কি যাকে তার সম্প্রদায় এই দায়িতু দিয়ে পাঠিয়েছে যে, যাও আল্লাহর রাসুল কী
বলেন, তা আমাদের পক্ষ হয়ে উত্তমরুপে জেনে শুনে আস ৷ তাই আমার বলছি (কান খুলে মন
দিয়ে) শুনে নাও ! এমন না , হয় যে, তার মনের ফিসফিসানি কিৎবা সাথীর বকবকানী তাকে
অমনোযােগী করে দেয় কিৎবা বিভ্রান্তি বিচ্যুতি তাকে ভুলিয়ে দেয় ৷ গােন৷ আমি দায়িত্বশীল
এবং আমি দীনের দাওয়াত পৌছে দিয়েছি তো ? তাই কান পেতে শ্যেনতে থাক ৷ আর জীবনে
বেচে থাক ৷ শোন! স্থির হয়ে বসাে (শান্ত নিরব হয়ে) বলো; লার্কীত (বা) বলেন, লোকেরা
বসে পড়ল এবং আমি ও আমার সাথী উঠে দীড়ালাম ৷ যখন বুঝলাম যে, তার মন ও দৃষ্টি
আমাদের প্ৰতি পুর্ণ নিবদ্ধ হয়েছে, তখন বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনার কাছে অদৃশ্য
জগতের কী কী ইলম রয়েছে? আল্লাহর কসম ! তিনি হাসলেন এবং মাথা ঝাকালেন ৷ তিনি
বুঝে ফেলেছিলেন যে, আমি র্তাকে পরীক্ষায় ফেলতে চাচ্ছি ৷ তিনি বললেন,

ণ্গ্রা >“ মোঃ শ্ন রু৮-ভো ঞ গ্রামোঃধ্ হ্র:ওৰুএএহু এ্যা-শ্রা)ং é!» এএ


وَائِلٍ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ. وَرَوَاهُ عَنْ جَرِيرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَيْرَةَ، رَوَاهُ أَحْمَدُ مُنْفَرِدًا بِهِ. وَابْنُهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَرِيرٍ، رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا مُنْفَرِدًا بِهِ. وَأَبُو جَمِيلَةَ وَصَوَابُهُ أَبُو نُخَيْلَةَ، وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَالنَّسَائِيُّ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ جَرِيرٍ، فَذَكَرَهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ هُوَ أَبُو نُخَيْلَةَ الْبَجَلِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا بَعْثَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ حِينَ أَسْلَمَ إِلَى ذِي الْخَلَصَةِ - بَيْتٍ كَانَ يَعْبُدُهُ خَثْعَمٌ وَبُجَيْلَةُ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ. يُضَاهُونَ بِهِ الْكَعْبَةَ الَّتِي بِمَكَّةَ، وَيَقُولُونَ لِلَّتِي بِبَكَّةَ: الْكَعْبَةُ الشَّامِيَّةُ. وَلِبَيْتِهِمْ: الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ؟ ". فَحِينَئِذٍ شَكَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَا يَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِيهِ وَقَالَ: " اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ". فَلَمْ يَسْقُطْ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ فَرَسٍ، وَنَفَرَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৯৩
ذِي الْخَلَصَةِ فِي خَمْسِينَ وَمِائَةِ رَاكِبٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ أَحْمَسَ، فَخَرَّبَ ذَلِكَ الْبَيْتَ، وَحَرَّقَهُ حَتَّى تَرَكَهُ مِثْلَ الْجَمَلِ الْأَجْرَبِ، وَبَعَثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشِيرًا يُقَالُ لَهُ: أَبُو أَرْطَاةَ. فَبَشَّرَهُ بِذَلِكَ، فَبَرَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَيْلِ أَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ.» وَالْحَدِيثُ مَبْسُوطٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، كَمَا قَدَّمْنَاهُ بَعْدَ الْفَتْحِ اسْتِطْرَادًا بَعْدَ ذِكْرِ تَخْرِيبِ بَيْتِ الْعُزَّى عَلَى يَدَيْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ إِسْلَامَ جَرِيرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنِ الْفَتْحِ بِمِقْدَارٍ جَيِّدٍ، فَإِنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلَاثَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ مَالِكٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ: إِنَّمَا أَسْلَمْتُ بَعْدَ مَا أُنْزِلَتِ الْمَائِدَةُ، وَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ بَعْدَ مَا أَسْلَمْتُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُنْقَطِعًا بَيْنَ مُجَاهِدٍ وَبَيْنَهُ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ أَصْحَابَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ كَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ فِي مَسْحِ الْخُفِّ ; لِأَنَّ إِسْلَامَ جَرِيرٍ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৯৪


তোমার মহান মহীয়ান প্ৰতিপালক পাচটি অদৃশ্য বিষয়ের চাৰিকড়া ঠি নিজের কাছে গুটিয়ে
রেখেছেন, যা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না ৷ তিনি হা৩ (এর পাচ আ গুল) দিয়ে ইংগিত
করলেন ৷ আমি বাংলার, সেগুলি কী কী ? তিনি বললেন-
ণ্ষ্ণ্১ ;;শৌন্ত্ত ম্এ ণ্ন্নীণ্শ্

; প্লু)ব্লক্লো৷ণ্হ্র)ন্ণ্ড্রপ্রুণ্০১ভ্রহুব্লু১১ন্াএট্রুদ্বুব্লৰুপ্লুদ্দুহ্রন্দ্বু ট্রুাণ্ৰুএণ্ড্র

“( ১ )মৃত্যুর ইলম, তিনি জানেন তোমাদের প্রত্যেকের নৃক্যু লগৃঢি, কিং ণ্তামরা তা জান
না; (২) বীর্য জ্ঞান তিনি জানেন, মায়ের গর্ভে যীর্যের স্টোন, (তামরা যা জান না; (৩)
তিনি জানেন আগামী কাল কী ঘটলে; তুমি কী খ্ারে, তুমি তার কািচুই জান না; (৪) তিনি
জানেন, কবে কোথায় বৃষ্টি হবে, কাঠিন দুর্তিক্ষ তোমাদের উপর ক্ষেকে বসে (তোমরা নিরাশ
অস্থির হয়ে পড়) , তিনি তোমাদের আইরভা দেখে হঙ্গোত থাকেন ৷ তিনি তো জানেন যে,
তোমাদের অবস্থার পরিবর্ভা নিকটবর্তী;

লার্কীত (বা) বলেন, এ পর্যায়ে আমি বললাম, যে প্ৰতিপালক হাসেন, ’ তার কল্যাণের
অভাব আমরা কোন দিন বোধ ব্বব না;
র্দুএদ্বু ট্রে)ট্টশ্ওএ
এেঠু; র্দু১£া

“(৫ ) আর কিয়ামাত দিবসের ইলম (তিনিই জানেন, আর কেউ জানেন না) ৷ আমরা
বললাম ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ লোকেরা যা আগে না, আর আপনি যা জানেন তার কিছু আমাদের
শিখিয়ে দিন ৷ কেননা, আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের লোক যে, সত্যের প্রতি আমাদের
আনৃগত্যের ন্যায় আনুগত্য কেউ দেখাতে পারে না ৷ আমরা মাঘৃহিজ গোত্রের শাখা, যারা
আমাদের উর্ধতন, আর খাছআম যারা আমাদের বন্ধুস্থানীয় ও আমাদের স্ব-সমাজ, যার আমরা
অন্তর্ভুক্ত৩ তিনি বললেন, ৫৩ ৷মাদের জন্য নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তোমরা (পৃথিবীতে) অবস্থান
করবে, তারপর তোমাদের নবী ওফা৩ প্রাপ্ত হবেন ৷ তারপর একটা নির্ধারিত সময় তোমরা
অবস্থান করবে তারপর একটি বিকট আওয়ায পাঠানো হবে ৷ তোমরা ম৷ বুদের শপথ! সে
আওয়াযে পৃথিবীর বুকের প্রতিটি প্রাণী মরে যাবে; ওে আমার প্রতিপালকের নৈকট্য প্রাপ্ত
ফিরিশতাকুলও ৷ তারপর তোমার মহান-মহীয়ান প্রতিপালক পৃথিবীর সব দিকে নজর ৰুলাবেন,
গো টা বিশ্ব তখন শুন্য পড়ে থাকবে ৷

তারপর তোমার প্ৰতিপালক আর শের কাছ থেকে আসমানকে বর্ষণমুখর করে দিবেন, যার
ফলে প্রতিটি নিহত ও মৃত ব্যক্তির কবর ফেটে যাবে এবং মাথার দিক থেকে তাকে আকৃতিযুক্ত
করে তোলা হবে ৷ সে সোজা হয়ে বসে পড়বে ৷ তোমার মহান-মহীয়ান প্ৰতিপালক বলবেন


وَسَيَأْتِي فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «اسْتَنْصِتِ النَّاسَ يَا جَرِيرُ ".» وَإِنَّمَا أَمَرَهُ بِذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ صَبِيًّا، وَكَانَ ذَا شَكْلٍ عَظِيمٍ، كَانَتْ نَعْلُهُ طُولُهَا ذِرَاعٌ، وَكَانَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَجْهًا، وَكَانَ مَعَ هَذَا مِنْ أَغَضِّ النَّاسِ طَرْفًا، وَلِهَذَا رَوَيْنَا فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَظَرِ الْفَجْأَةِ فَقَالَ: " أَطْرِقْ بَصَرَكَ» ". [وِفَادَةُ وَائِلِ بْنِ حُجْرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَحَدِ مُلُوكِ الْيَمَنِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وِفَادَةُ وَائِلِ بْنِ حُجْرِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ يَعْمَرَ الْحَضْرَمِيِّ أَبِي هُنَيْدٍ، أَحَدِ مُلُوكِ الْيَمَنِ، عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: كَانَ أَحَدَ أَقْيَالِ حَضْرَمَوْتَ، وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ مُلُوكِهِمْ. وَيُقَالُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَ أَصْحَابَهُ قَبْلَ قُدُومِهِ بِهِ وَقَالَ: «يَأْتِيكُمْ بَقِيَّةُ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ ".» فَلَمَّا دَخَلَ رَحَّبَ، بِهِ وَأَدْنَاهُ مِنْ نَفْسِهِ، وَقَرَّبَ مَجْلِسَهُ، وَبَسَطَ لَهُ رِدَاءَهُ، وَقَالَ: «اللَّهُمَّ بَارِكْ فِي وَائِلٍ وَوَلَدِهِ وَوَلِدِ وَلَدِهِ ".»
পৃষ্ঠা - ৩৭৯৫
وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى الْأَقْيَالِ مِنْ حَضْرَمَوْتَ، وَكَتَبَ مَعَهُ ثَلَاثَ كُتُبٍ ; مِنْهَا كِتَابٌ إِلَى الْمُهَاجِرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ وَكِتَابٌ إِلَى الْأَقْيَالِ وَالْعَبَاهِلَةِ، وَأَقْطَعَهُ أَرْضًا، وَأَرْسَلَ مَعَهُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، فَخَرَجَ مَعَهُ رَاجِلًا، فَشَكَى إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ حَرَّ الرَّمْضَاءِ، فَقَالَ: انْتَعِلْ ظِلَّ النَّاقَةِ. فَقَالَ: وَمَا يُغْنِي عَنِّي ذَلِكَ؟ لَوْ جَعَلْتَنِي رِدْفًا. فَقَالَ لَهُ وَائِلٌ: اسْكُتْ فَلَسْتَ مِنْ أَرْدَافِ الْمُلُوكِ. ثُمَّ عَاشَ وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ حَتَّى وَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فَعَرَفَهُ مُعَاوِيَةُ، فَرَحَّبَ بِهِ وَقَرَّبَهُ وَأَدْنَاهُ، وَأَذْكَرَهُ الْحَدِيثَ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ جَائِزَةً سَنِيَّةً فَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهَا، وَقَالَ: أَعْطِهَا مَنْ هُوَ أَحْوَجُ إِلَيْهَا مِنِّي. وَأَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بَعْضَ هَذَا، وَأَشَارَ إِلَى أَنَّ الْبُخَارِيَّ فِي " التَّارِيخِ " رَوَى فِي ذَلِكَ شَيْئًا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعُهُ أَرْضًا. قَالَ: فَأَرْسَلَ مَعِي مُعَاوِيَةَ أَنْ أَعْطِهَا إِيَّاهُ - أَوْ قَالَ: أَعْلِمْهَا إِيَّاهُ - قَالَ: فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَرْدِفْنِي خَلْفَكَ. فَقُلْتُ: لَا تَكُونُ مِنْ أَرْدَافِ الْمُلُوكِ. قَالَ: فَقَالَ: أَعْطِنِي نَعْلَكَ. فَقُلْتُ: انْتَعِلْ ظِلَّ النَّاقَةِ. قَالَ: فَلَمَّا اسْتُخْلِفَ مُعَاوِيَةُ أَتَيْتُهُ، فَأَقْعَدَنِي مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، فَذَكَّرَنِي» الْحَدِيثَ. قَالَ سِمَاكٌ: فَقَالَ: وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ حَمْلَتُهُ بَيْنَ يَدَيَّ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ.