আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

الأمور الحادثة سنة تسع من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৩৬৯৪


উপলব্ধি হল যে, সমাৰেশে (মিনা-মুযদালিফায় সমবেত) সকলেই আরাফাতে প্রদত্ত আবু
বকর (রা)-এর অতিতাষণে উপস্থিত ছিল না ৷ তাই আমি যে আয়াতগুলো নিয়ে প্রতিটি র্তাবুতে
ঘুরে ঘুরে তা তাদের পড়ে গোনাতে লাখলাম ৷ তারপর আলী (রা) বললেন, (শেষের) এ
ঘটনার কারাণ আমার মনে হয় তোমাদের ধারণা জন্মেছে যে, এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল
দশই জিলহজ কুরবানীর দিনে; কিন্তু আসলে তা ছিল আরাফা দিবস ৯ই জিলহজ তারিখ ৷
আত্-তড়াফসীর এ পর্যায়ে চুড়ান্ত বিশ্নেবণধর্ষী আলোচনা করা হয়েছে এবং সেখানে হাদীস ও
আছারসমুহের (বাণীমালার) সনদ নিয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে ৷ সমস্ত প্রশংসা ও
অনুগ্রহ আল্পাহ্রই ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, মদীনা থেকে আবু বকর (রা)-এর সাথে তিনশ সাহাবীর একটি
জামাআত এ সফরে গিয়েছিলেন ৷ এদের মাঝে আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-ও ছিলেন ৷
আবু বকর (রা) নিজে পড়াচঢি কুরবানীর উট নিয়েছিলেন; রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর হাতে
পাঠিয়েছিলেন ৰিশটি এবং পরে আলী (রা)-কে তীর পশ্চাতে পাঠালে আরজ’ নামক স্থানে
আলী (রা)এর সাথে মিলিত হলেন এবং হজ উপলক্ষে সমবেত জনতার সামনে (আরাফাতে)
সুরা তাওবার ঘোষণা প্রদান করলেন ৷

এক নজরে নবম হিজরীর ঘটনাবলী

এ বছর অর্থাৎ হিজরী নবম সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মাঝে রয়েছে তাবুক অভিযান
রজব মাসে; যার বিবরণ ৰিবৃত হয়েছে ৷ ওয়াক্কিদী (র)এর মতে এ বছরেই রজব মাসেই
আবিসিনীর রাজ (বর্তমান ইথিশুপিরা) নজ্যেশী (রা)-এর মৃত্যু হয় এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাহাৰীগণের কাছে তার মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেন ৷ এ বছরেরই শাবন্ন মাসে রাসুলুল্লাহ্
(সা) দৃহিতা উম্মু শো (বা) ইস্তিকাল করেন ৷ আসমা বিনৃত উমারস ও সাফিয়্যা ৰিনৃত
অৰেদুণ মুত্তালিব তাকে গোসল দেন ৷ মতান্তরে কতিপয় আনসারী মহিলা তাকে গোসল
দিয়েছিলেন; উম্মু আতিয়্যা (মা) ছিলেন যাদের অন্যতমা ৷

মন্তব্য : শেষোক্ত ঘটনাটি সহীহ্ গ্রন্থদ্বয় বুখারী, মুসলিম থেকেই প্রমাণিত ৷ এছাড়া
হাদীসে এ কথাও প্রড়ামাণ্যরুপে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী আলায়হিস সালাম যখন কন্যার জানাযার
নামায আদায় করে তাকে দাফন করতে মনস্থ করলেন, তখন বললেন, “আজ রাতে ত্রী
সহবাস করেছে এমন কেউ কবরে অবতরণ করবে না ৷ ফলে তার স্বামী উছমান (বা)
উল্লিখিত কারণে বিরত রইলেন এবং আবু তালহা আল-আনসারী (বা) তাকে কবরে নামালেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ বক্তব্যের লক্ষো উছমান (বা) না হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বিদ্যমান,
বরং এ বক্তব্যের লক্ষ্য হবেন সাহাবী জামাআত্তের সে লোকেরা র্ষার৷ কবর খনন ও দাকনর্দ্ধ
কাফন ইত্যাদি কাজে অগ্রণী স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকা পালন করতেন ৷ যেমন আবু উবারদা,
আবু তালহা (রা) প্রমুখ ও র্তীদের সহযােগীবৃন্দ ৷ কাজেই রাসুল (সা)এর বক্তব্যের অন্তর্নিহিত
উদ্যেশ্য হল (মারা দাফন-কাফনের কাজে স্বেচ্ছাসেবা করে থাকে) সে লোকদের মাঝে যে
অন্য রাত্রিডে শ্রী সহবাস করে নি এমন নােকই কবরে অবতরণ করবে ৷ অতএব, উছমান (বা)
এ বক্তব্যের লক্ষ্য উপলক্ষ্য কিছুই নন এবং তীর বিরত থাকাকে উপরিউক্ত কারণে সাব্যস্ত করা


يَا عَلِيُّ فَأَدِّ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُمْتُ، فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ آيَةً مِنْ " بَرَاءَةَ "، ثُمَّ صَدَرْنَا فَأَتَيْنَا مِنًى، فَرَمَيْتُ الْجَمْرَةَ، وَنَحَرْتُ الْبَدَنَةَ ثُمَّ حَلَقْتُ رَأْسِي، وَعَلِمْتُ أَنَّ أَهْلَ الْجَمْعِ لَمْ يَكُونُوا حُضُورًا كُلُّهُمْ خُطْبَةَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ عَرَفَةَ، فَطَفِقْتُ أَتَتَبَّعُ بِهَا الْفَسَاطِيطَ أَقْرَؤُهَا عَلَيْهِمْ. قَالَ عَلِيٌّ: فَمِنْ ثَمَّ إِخَالُ حَسِبْتُمْ أَنَّهُ يَوْمُ النَّحْرِ، أَلَا وَهُوَ يَوْمُ عَرَفَةَ.» وَقَدْ تَقَصَّيْنَا الْكَلَامَ عَلَى هَذَا الْمَقَامِ فِي " التَّفْسِيرِ ". وَذَكَرْنَا أَسَانِيدَ الْأَحَادِيثِ وَالْآثَارِ فِي ذَلِكَ مَبْسُوطًا بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَقَدْ كَانَ خَرَجَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ مِنَ الْمَدِينَةِ ثَلَاثُمِائَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مَعَهُ بِخَمْسِ بَدَنَاتٍ، وَبَعَثَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعِشْرِينَ بَدَنَةً، ثُمَّ أَرْدَفَهُ بِعَلِيٍّ فَلَحِقَهُ بِالْعَرْجِ فَنَادَى بِ " بَرَاءَةَ " أَمَامَ الْمَوْسِمِ. . [الْأُمُورُ الْحَادِثَةُ سَنَةَ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ] فَصْلٌ (الْأُمُورُ الْحَادِثَةُ سَنَةَ تِسْعٍ) . كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي فِي سَنَةِ تِسْعٍ - مِنَ الْأُمُورِ الْحَادِثَةِ غَزْوَةُ تَبُوكَ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৫
رَجَبٍ مِنْهَا كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي رَجَبٍ مِنْهَا مَاتَ النَّجَاشِيُّ صَاحِبُ الْحَبَشَةِ وَنَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى النَّاسِ. وَفِي شَعْبَانَ مِنْهَا - أَيْ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - تُوُفِّيَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَغَسَّلَتْهَا أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَصَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَقِيلَ: غَسَّلَهَا نِسْوَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِيهِمْ أُمُّ عَطِيَّةَ. قُلْتُ: وَهَذَا ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا صَلَّى عَلَيْهَا وَأَرَادَ دَفْنَهَا قَالَ: " «لَا يَدْخُلُهُ أَحَدٌ قَارَفَ اللَّيْلَةَ أَهْلَهُ» ". فَامْتَنَعَ زَوْجُهَا عُثْمَانُ لِذَلِكَ، وَدَفَنَهَا أَبُو طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ أَرَادَ بِهَذَا الْكَلَامِ مَنْ كَانَ يَتَوَلَّى ذَلِكَ مِمَّنْ يَتَبَرَّعُ بِالْحَفْرِ وَالدَّفْنِ مِنَ الصَّحَابَةِ كَأَبِي عُبَيْدَةَ وَأَبِي طَلْحَةَ وَمَنْ شَابَهَهُمْ فَقَالَ: " «لَا يَدْخُلُ قَبْرَهَا إِلَّا مَنْ لَمْ يُقَارِفْ أَهْلَهُ مِنْ هَؤُلَاءِ» ". إِذْ يَبْعُدُ أَنَّ عُثْمَانَ كَانَ عِنْدَهُ غَيْرُ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَذَا بَعِيدٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا صَالَحَ مَلِكَ أَيْلَةَ وَأَهْلَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ وَصَاحِبَ دَوْمَةِ الْجَنْدَلِ كَمَا تَقَدَّمَ إِيضَاحُ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي مَوَاضِعِهِ. وَفِيهَا هَدْمُ مَسْجِدِ الضِّرَارِ الَّذِي بَنَاهُ جَمَاعَةُ الْمُنَافِقِينَ صُورَةَ مَسْجِدٍ، وَهُوَ دَارُ حَرْبٍ فِي الْبَاطِنِ فَأَمَرَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৬
فَحُرِّقَ. وَفِي رَمَضَانَ مِنْهَا قَدِمَ وَفْدُ ثَقِيفٍ فَصَالَحُوا عَنْ قَوْمِهِمْ وَرَجَعُوا إِلَيْهِمْ بِالْأَمَانِ، وَكُسِّرَتِ اللَّاتُ كَمَا تَقَدَّمَ، وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ رَأْسُ الْمُنَافِقِينَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فِي أَوَاخِرِهَا، وَقَبْلَهُ بِأَشْهُرٍ تُوُفِّيَ مُعَاوِيَةُ بْنُ مُعَاوِيَةَ اللَّيْثِيُّ - أَوِ الْمُزَنِيُّ - وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ نَازِلٌ بِتَبُوكَ إِنْ صَحَّ الْخَبَرُ فِي ذَلِكَ، وَفِيهَا حَجَّ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالنَّاسِ عَنْ إِذْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَفِيهَا كَانَ قَدُومُ عَامَّةِ وُفُودِ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ، وَلِذَلِكَ تُسَمَّى سَنَةُ تِسْعٍ سَنَةَ الْوُفُودِ، وَهَا نَحْنُ نَعْقِدُ لِذَلِكَ كِتَابًا بِرَأْسِهِ اقْتِدَاءً بِالْبُخَارِيِّ وَغَيْرِهِ.