আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة تبوك

ذكر أقوام تخلفوا من العصاة

পৃষ্ঠা - ৩৬৬৩
আল-বিদায়া ওয়ান ৫৭

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ জর রাসুলের প্রতি আয়াত নাযিল করেলন fl

“আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসড়ারদিগের প্ৰতি,
এবং (তোমরা) সত্যরাদীদিগের অন্তর্ভুক্ত হও” (৯ : ১ ১ ৭ ১ ১ ৯ ) ৷ তাই আল্লাহর কসম করে
বলছি, আল্লাহ আমাকে ইসলাম গ্রহণের হিদায়াত প্রদানের নিয়ড়ামতের পরে রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর কাছে সত্য বলার তাওফীক প্রদানই আমার দৃষ্টিতে তীর সবচাইতে বড় নিরামতরুপে
ৰিরে০ি৩ ৷ কারণ তার ফলে এমন হয় নি যে, আমি কি ভীর কাছে মিথ্যা বলতাম, আর
মিথুকরা যেমন ধ্বংস হয়েছে আমিও তেমনি ধ্বংস হয়ে যেতাম ৷

কেননা, মিথ্যারাদীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক যখন ওহী নাযিল করলেন, তখন কোন ব্যক্তির
জন্য কথিত চরম মন্দ কথাই তাদের প্রসঙ্গে বললেন ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন-


ক্রোঠু , “ ন্শ্ দ্বণ্ঠুন্ চুপ্ট্রুংব্রৰুস্ফুাৰুশ্লো১শুণ্ন্শ্গ্ঠুণ্হুণুঠুসৌংম্পু ম্পুদ্াৰুণ্এ;শ্ এঞ্জি ” £ব্রশু : ১সৌংর্শীষ্ট্টশ্
“তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা আল্লাহর শপথ করবে যাতে তোমরা তাদেরকে
উপেক্ষা কর ৷ আল্লাহ্ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের প্রতি তুষ্ট হবেন না (৯ : ৯৫-৯৬) ৷

কাব (রা) বলেন, বিশেষ করে আমাদের তিনজনকে প্ৰভীক্ষা’ করতে বলা হয়েছিল ৷ মারা
এসে মিথ্যা শপথ করে রাসুলের বাহ্যিক মঞ্জুরী লাভ করছিল এবং তিনি তাদের পুন৪ রায়আত
করে নিয়ে তাদের জন্য ইসৃতিপফার করছিলেন ৷ তাদের থেকে পৃথক করে রাসুলুল্লাহ (সা)
আমাদের ব্যাপারটি স্থগিত রেখে দিলেন এবং আল্লাহর ফায়সালা হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি ৰিলম্বিত
থাকে ৷ এ ৰিষয়েই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, র্ণীঙুএগ্রী১ ঞম্রা হ্নহুদ্ত্তগ্রো ষ্দ্যু “এবং (তিনি ক্ষমা
করলেন) অপর তিনজনকেও যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত’ রাখা হয়েছিল (৯ : ১ ১৮) ৷

এ আয়াতে ৷ড্রুদ্বুা; শব্দ দিয়ে আল্লাহ আমাদের যুদ্ধ থেকে পশ্চাতবডীতিার কথা উল্লেখ
করেন নি, বরং এখানে শব্দটির অর্থ তিনি যে আমাদের প্ৰভীক্ষায় রেখেছিলেন এবং যারা
হলফসহ ওমর-অজুহাত পেশ করলে তা কবুল করা হয়েছিল তাদের থেকে আমাদের বিষয়টি
ৰিলন্বিত রাখা হয়েছিল তাই বুঝানো হয়েছে ৷

মুসলিম (র) যুহ্বী (র) এর সনদ মাধ্যমে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) ও যুহ্রী (র) থেকে বুখারী (র)-এর বর্ণনানুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমার তাফসীর’
গ্রন্থে আমি ইমাম আহমদ (র)এর মুসনাদের ররাতে তা বর্ণনড়া করেছি ৷ এ বর্ণনায় কিছু
অতিরিক্ত কথাও রয়েছে ৷

পশ্চাদবতীদৈর প্রসঙ্গ
আলী ইরন তালহা আল ওরালিবী (র) আল্লাহ তাআলার রাণী-




: ধ্ৰুন্ র্দু--ণ্ ইে নাঃএএদ্ভহুহ্রপ্রুথ্ ঢু দ্র ঢঠু;ষ্টুঝু;হুক্রে;ন্প্রুৰু কুপুব্লুদ্বুছুশুব্লুন্ট্রু ব্লুশুঠুট্ট্রুদ্বু
ন্টুট্রিটুদ্বুণ্ট্রুন্নন্নুব্লুন্নুবুদ্বুশু:
এবং অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকর্মের সাথে

মার অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে; আল্লাহ হয়ত তাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম


فَأَهْلِكَ كَمَا هَلَكَ الَّذِينَ كَذَبُوا، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِلَّذِينَ كَذَبُوا حِينَ أَنْزَلَ الْوَحْيَ شَرَّ مَا قَالَ لِأَحَدٍ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَكُمْ إِذَا انْقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوا عَنْهُمْ} [التوبة: 95] إِلَى قَوْلِهِ: {فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَرْضَى عَنِ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ} [التوبة: 96] (التَّوْبَةِ: 95، 96) قَالَ كَعْبٌ: وَكُنَّا تَخَلَّفْنَا أَيُّهَا الثَّلَاثَةُ عَنْ أَمْرِ أُولَئِكَ الَّذِينَ قَبِلَ مِنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ حَلَفُوا لَهُ فَبَايَعَهُمْ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمْ، وَأَرْجَأَ رَسُولُ اللَّهِ أَمْرَنَا حَتَّى قَضَى اللَّهُ فِيهِ، فَبِذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا (التَّوْبَةِ: 118) . لَيْسَ الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ مِمَّا خُلِّفْنَا مِنَ الْغَزْوِ، وَإِنَّمَا هُوَ تَخْلِيفُهُ إِيَّانَا وَإِرْجَاؤُهُ أَمْرَنَا عَمَّنْ حَلَفَ لَهُ وَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَبِلَ مِنْهُ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ بِنَحْوِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. عَنِ الزُّهْرِيِّ مِثْلَ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ وَقَدْ سُقْنَاهُ فِي " التَّفْسِيرِ " مِنْ " مُسْنَدِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ "، وَفِيهِ زِيَادَاتٌ يَسِيرَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [ذِكْرُ أَقْوَامٍ تَخَلَّفُوا مِنَ الْعُصَاةِ] ِ غَيْرِ هَؤُلَاءِ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ طَلْحَةَ الْوَالِبِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا، عَسَى اللَّهُ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [التوبة: 102] (التَّوْبَةِ: 102) قَالَ: كَانُوا عَشَرَةَ رَهْطٍ تَخَلَّفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৪


দয়ালু (৯ : ১০২) ৷ এ প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি
বলেছেন, এরা ছিলেন, দশজন; যারা তাবুক অভিযানে রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহগামী হন নি ৷
তার প্ৰতব্রাবর্তনকালে এরা উপস্থিত হলে এদের সাতজন নিজেদেরকে মসজিদের স্তম্ভসমুহের
সাথে বেধে রাখলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) এদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলেন, এরা
কারা ? লোকেরা বলল, আবু লুবাব৷ (রা) এবং তার সঙ্গী-সাথীরা; তারা আপনার সহপামী হয়
নি; (অপরাধবােধের জন্য স্বীকৃতিস্বরুপ এখন নিজেদেরকে বেধে রেখেছে) যাতে আপনি
তাদের যুক্ত করে দেন এবং তাদের ওযর মঞ্জুর করেন ৷ তিনি বললেন-

শ্জৌষ্ ৫শু ট্রুএটী ওে ৷দ্বুটুহুশু ব্লেৰুট্টণ্
“আমিও আল্লাহর কসম করে বলছি ! আমি তাদের মুক্ত করব না, তাদের ওযরও গ্রহণ

করব না; যতক্ষণ না আল্লাহ্ই তাদের যুক্ত করে দেন ৷ ওরা আমার প্ৰতি বিমুখ রয়েছে এবং
মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ ণমনে বিরত রয়েছে ৷

তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ উক্তি পৌছলে র্তার৷ বললেন, আমরাও নিজেদের যুক্ত
করছি না, যতক্ষণ না আল্লাহই আমাদের মুক্ত করছেন ৷ তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল
করলেন ণ্ণ্ণ্হু১ইএ-৷ ,এ)ৰুং৷ :ঙু)১াঙু (অর্থাৎ অন্য যারা তাদের অপরাধ স্বীকার করলো) এ
আঘাতের ৰু ,ণ্; (হয়ত) শব্দটি আক্ষরিক অর্থে আশাব্যঞ্জক হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা
নিশ্চয়তা বিধায়ক অর্থে হয়ে থাকে ৷

এ আয়াতটি নাযিল হলেও রাসুলুল্লা হ্ (সা) এ সং বাদ দিয়ে তাদের কাছে লোক পাঠ্য ৷লেন
এবং তাদের মুক্ত করে দিয়ে তাদের ওযর-অপরাণতার মঞ্জুরী দিলেন ৷ তখন তারা তাদের
নিজেদের ধন-সম্পদ নিয়ে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ৷ এই আমাদের ধন-সম্পদ, (যা
জিহাদে প্রতিবন্ধক হয়েছিল) আপনি আমাদের তরফে এগুলো সাদাক৷ করে দিয়ে আমাদের
জন্য মাণফিরাত কামনা করুন! তিনি বললেন, “ তোমাদের মাল সম্পদ গ্রহণে আমি আদিষ্ট হই
নি ৷ তখন আল্লাহ নাযিল করলেন ’

ছুগ্লু; £ণ্ন্’াহ্রন্:ৰুষ্ট্র



“তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা গ্রহণ করবে ৷ তা দিয়ে তুমি তাদের পবিত্র করবে এবং

পরিঃশাধিত করবে ৷ তুমি তাদের জন্য দু আ করবে৷ তোমার দু আাদের জন্য প্রশা ৷ন্তিকর ৷

আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ ওরা কি জা নে না যে, আল্লাহ তার রান্দাদের তাওরা কবুল করেন

এবং সাদাকা’ গ্রহণ করেন? আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়ালু ৷ এবং আল্লাহর আদেণের

প্ৰভীক্ষায় অপর কতকের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রইল তিনি তাদের শাস্তি দিবেন, না-কি ক্ষমা
করবেন ৷ আল্লাহ সবজ্ঞ, প্ৰজ্ঞাময় (৯ : ১০৩ ১০৬) ৷

এ শেযােক্তরা হলেন তারা হারা নিজদেরকে ম্ভম্ভের সাথে আবদ্ধ করেন নি ৷ তাদের বিষয়টি
স্থগিত রাখা হয় ৷ অবশেষে নাযিল হল আল্লাহর বাণী-


فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَلَمَّا حَضَرَ رُجُوعُهُ أَوْثَقَ سَبْعَةٌ مِنْهُمْ أَنْفُسَهُمْ بِسَوَارِي الْمَسْجِدِ، وَكَانَ مَمَرُّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَجَعَ مِنَ الْمَسْجِدِ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا مَرَّ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ: " مَنْ هَؤُلَاءِ؟ " قَالُوا: أَبُو لُبَابَةَ وَأَصْحَابٌ لَهُ، تَخَلَّفُوا عَنْكَ حَتَّى تُطْلِقَهُمْ وَتَعْذُرَهُمْ قَالَ: " وَأَنَا أُقْسِمُ بِاللَّهِ لَا أُطْلِقُهُمْ وَلَا أَعْذُرُهُمْ حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، هُوَ الَّذِي يُطْلِقُهُمْ، رَغِبُوا عَنِّي، وَتَخَلَّفُوا عَنِ الْغَزْوِ مَعَ الْمُسْلِمِينَ ". فَلَمَّا أَنْ بَلَغَهُمْ ذَلِكَ قَالُوا: وَنَحْنُ لَا نُطْلِقُ أَنْفُسَنَا حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ هُوَ الَّذِي يُطْلِقُنَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ} [التوبة: 102] الْآيَةَ. " وَعَسَى " مِنَ اللَّهِ وَاجِبٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ فَأَطْلَقَهُمْ وَعَذَرَهُمْ فَجَاءُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ أَمْوَالُنَا فَتَصَدَّقْ بِهَا عَنَّا، وَاسْتَغْفِرْ لَنَا، فَقَالَ: " مَا أُمِرْتُ أَنْ آخُذَ أَمْوَالَكُمْ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [التوبة: 103] إِلَى قَوْلِهِ {وَآخَرُونَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ اللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْ} [التوبة: 106] (التَّوْبَةِ: 103، 106) . وَهُمُ الَّذِينَ لَمْ يَرْبِطُوا أَنْفُسَهُمْ بِالسَّوَارِي فَأُرْجِئُوا حَتَّى نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {لَقَدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ} [التوبة: 117] إِلَى قَوْلِهِ: {وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا} [التوبة: 118] إِلَى آخِرِهَا (التَّوْبَةِ: 117، 118) . وَكَذَا رَوَاهُ عَطِيَّةُ بْنُ سَعْدٍ الْعَوْفِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَمُجَاهِدٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ أَبِي لُبَابَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৫


১ ¢§

“আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও অড়ানসারদের প্রতি যারা (৯ :
১ ১ ৭ ১ ১৮) ৷ অর্থাৎ যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল ৷ আতিয়্যা ইবন সাঈদ আল
আওফী (র) ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব, মুজাহিদ ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) ও আবু লুবাবা (রা)-এর এ
সময়কার ঘটনা এবং বনু কুরায়যা অভিযানকালীন ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ বনু কুরড়ায়যা
অভিযানের পরেও তিনি নিজেকে বেধে রেখেছিলেন এবং পরে তার তাওবা কবুল হয়েছিল ৷
পরবর্তীতে তিনি তাবুক অভিযান থেকে পশ্চাতে রয়ে গেলেন এবং পুর্বের ন্যায় নিজেকে বেধে
রাখলেন অবশেষে আল্লাহ র্তাকে ক্ষমা করলেন ৷

তিনি তার সব মাল-সম্পদ সাদাকা করে দিয়ে বিমুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে বললেন, সাদাকা করার তোমার জন্য এক-তৃভীয়াংশ্ইি যথেষ্ট শ্রো৷ এা১ ব্লু) এ;হ্রহ্রৰু
মুজাহিদ ও ইবন ইসহাক বলেছেন, এ সম্পর্কেই নাযিল হল ণ্ঙ ১এ ং১হু ম্রগু এ১ং :ঙু)১ঙু“এবং
অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে”(১ : ১০২) ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব
বলেছেন, এ ঘটনার পর থেকে তার (আবু লুবাবা বা) জীবনে কল্যাণ ও সাধুতাই পরিলক্ষিত
হয়েছে রাদিয়াল্লাহ আনহ ওয়া আরযাহু’ ৷

আমি বলি, এ তিন বর্ণনাকারী (সাঈদ, মুজাহিদ ৩ ইবন ইসহাক) আবু লুবাবা (রা)-এর
সাথে তার অন্যান্য সঙ্গীদের কথা উল্লেখ না বল্পার কারণ সম্ভবত এই যে, তিনি যেন তাদের
সকলের প্রতিনিধির মর্যাদার অতিরিক্ত হিঃল্যাং যেমন ইবন আব্বাস (রা)এর বর্ণনা থেকে
স্পষ্ট বুঝা যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ হাফিজ বারহাকী (র) আবু আহমদ আয যুবায়রী
(র) সুত্রেইবন মাসউদ (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন, তাতে তিনি বললেন,

! মোঃ ঙ্ ণ্ৰু ! মোঃ -, ণ্শু ! মোঃ -, ণ্ৰু ণ্ইএএ ধ্:এন্আে দো খো ট্ট^ ণ্র্ন্তঔশ্ ঠো
“অবশ্যই তোমাদের মাঝে মুনাফিকরা রয়েছে ৷ এখন আমি যার নাম উচচারণ করব, সে
যেন দাড়িয়ে যায় ৷ দীড়াও হে অমুক ! র্দাড়াও হে অমুক ! র্দাড়াও হে অমুক !”
এভাবে একে একে ছত্রিশজনের নাম নিলেন ৷ তারপর বললেন-
খ্যাঃ ঘো এ৩১প্রীঞগু খোং^ ৰু£১ৰু তাে ণ্ড্রুশ্শু ঞা
তোমাদের মাঝে কিৎবা বললেন, তোমাদের মধ্য হতে কিছু মুনাফিক রয়েছে, তাই
তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, চাদরে মুখাবৃত এক ব্যক্তির পাশ
দিয়ে উমর (রা) যাচ্ছিলেন ৷ তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল ৷ উমর (রা) বললেন, তোমার
ব্যাপার কী? সে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বক্তব্য বিষয়ে উমরকে অবহিত করলে তিনি বললেন,
আজীবন তোমার জন্য অভিসম্পাত !

আমি বলি, তাবুক অভিযান থেকে পশ্চড়াতে অবস্থানকারীরা মুলত চার ধরনের লোক ছিল ৷
এক অনুমতিপ্রাপ্ত ও ছাওয়াবের অংশীদার, যেমন আলী ইবন আবু তালিব, মুহাম্মদ ইবন


وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَرَبْطِهِ نَفْسَهُ حَتَّى تِيبَ عَلَيْهِ، ثُمَّ إِنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَرَبَطَ نَفْسَهُ أَيْضًا حَتَّى تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأَرَادَ أَنْ يَنْخَلِعَ مِنْ مَالِهِ كُلِّهِ صَدَقَةً فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ الثُّلُثُ ". قَالَ مُجَاهِدٌ وَابْنُ إِسْحَاقَ: وَفِيهِ نَزَلَ {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ} [التوبة: 102] الْآيَةَ. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: ثُمَّ لَمْ يُرَ مِنْهُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْإِسْلَامِ إِلَّا خَيْرٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قُلْتُ: وَلَعَلَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ لَمْ يَذْكُرُوا مَعَهُ بَقِيَّةَ أَصْحَابِهِ، وَاقْتَصَرُوا عَلَى أَنَّهُ كَانَ كَالزَّعِيمِ لَهُمْ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ سِيَاقُ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيِّ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عِيَاضٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ مِنْكُمْ مُنَافِقِينَ فَمَنْ سَمَّيْتُ فَلْيَقُمْ قُمْ يَا فُلَانُ قُمْ يَا فُلَانُ قُمْ يَا فُلَانُ ". حَتَّى عَدَّ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ فِيكُمْ - أَوْ إِنَّ مِنْكُمْ - مُنَافِقِينَ فَسَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ» . قَالَ: فَمَرَّ عُمَرُ بِرَجُلٍ مُتَقَنِّعٍ وَقَدْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ مَعْرِفَةٌ فَقَالَ: مَا شَأْنُكَ؟ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بُعْدًا لَكَ سَائِرَ الْيَوْمَ. . قُلْتُ: كَانَ الْمُتَخَلِّفُونَ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَرْبَعَةَ أَقْسَامٍ ; مَأْمُورُونَ مَأْجُورُونَ كَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، وَمَعْذُورُونَ وَهُمُ الضُّعَفَاءُ وَالْمَرْضَى وَالْمُقِلُّونَ وَهُمُ الْبَكَّاءُونَ، وَعُصَاةٌ مُذْنِبُونَ وَهُمُ الثَّلَاثَةُ وَأَبُو لُبَابَةَ وَأَصْحَابُهُ الْمَذْكُورُونَ، وَآخَرُونَ مَلُومُونَ مَذْمُومُونَ وَهُمُ الْمُنَافِقُونَ.