আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة تبوك

إقامة الرسول صلى الله عليه وسلم بتبوك

পৃষ্ঠা - ৩৬৪৮


আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহান্ধ্ণ্ইংৰু৪ ৪৩

পেশ করেছিলেন ৷ তার বর্ণনায় আরো রয়েছে যে, আয়লা প্রধান ইয়াহান্না ইবন রুবা

উকায়র্দিরের পর্বিণর্ডির কথা শুনে সব্ধিবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায়ই রাসুলুল্লাহ (সা)এর
দরবারে হাযির হয়েছিলেন ৷ ফলে তাকুক রাসুলুল্লাহ (না)-এর সযীপে তাদের দুজনের
একত্রিত আগমন ঘটেছিল ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র)বিলাল ইবন ইয়াহয়া (র) থেকে দুমাতুল জড়ানৃদাল অভিযানে
আবু বকর সিদ্দীক (রা) যুহাজিরদের সেনাপতি ছিলেন, আর খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)
যেদুইনদের দায়িত্বে ছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত ৷

তাবুক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশ রাতের মত (অর্থাৎ বিশ দিনের কম)
সময় তাবুকে অবস্থান করার পরে মদীনায় উদ্দেশ্যে ফিরতি সফর শুরু করলেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, পথে ওয়াদি আল মুশাক্কাক নামক উপত্যকায় পাথর ফেটে নিপর্ত ক্ষীণ ধারার
প্রবহমান একটি ফোরারা ছিল ৷ যার পানি একজন দুজন কিৎবা তিনজন পথিকের পিপাসা
মেটাতে পারত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-

এ্যা১ প্রুও; এে ণ্াস্ মোঃ ওে ;গ্রো এ্যা১ নৌ ৷১ব্র ষ্ঠাং

“যারা ঐ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে পৌছবে, তারা আমাদের পৌছা পর্যন্ত তার পানি
একটুও তুলবে না ৷ ”

বর্পনাকারী বলেন, ঘুনাফিকদের একটি ছোট দল তার পুর্বে সেখানে পৌছে তার সব পানি
তুলে নিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে পৌছে ফোয়ারার কাছে র্দাড়ালেন ৷ কিন্তু তাতে পানির
কোন চিহ্ন দেখতে না পেয়ে বললেন, এ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে কে পৌছেছে ?’
তাকে বলা হল, ইয়া রাসুলল্লোহ! অমুক অমুক ৷ তিনি বললেন, আমার আগমনের পুর্বে তার
পানি তুলতে আমি কি তাদের নিষেধ করিনি ? তখন তিনি তাদের অভিসম্পাদ দিলেন ও
তাদের জন্য বদদুআ করলেন ৷ তারপর সেখানে অবতরণ করে ক্ষীণ ধারাঢির কাছে হাত
রেখে আল্লাহ্ মালুম তিনি কি যেন তার হাতে ঢড়ালতে থাকলেন ৷ তারপর তা ধারামুখে ছিটিয়ে
দিলেন এবং ফোয়ারা মুখটি হাত দিয়ে মুছে দিলেন ৷ পরে দীর্ঘ সময় ধরে দুআ করলেন ৷
ফলে পাথর বিদীর্ণ করে পানি বেরুতে লাগল ৷ দর্শক শ্রোতাদের মনে হচ্ছিল, বড্রের গুমগুম
আওয়াঘের ন্যায় আওয়ড়ায করে পানি বেরিয়ে আসছে ৷ লোকেরা পানি পান করল এবং যার
যার প্রয়োজন মত তুলে রাখল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন

“এই ৰু^এ শ্যে ওে ৰু^ প্লোপৌএ এে-ন্গ্রা ধ্ট্টন্তপ্রু স্পো রুৰুং ত্রুংগু ষ্ঠাং ) ণ্ৰু:১ইষ্ এেগ্র
“ তোমরা অনেক দিন বেচে থাকলে কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ) তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে

যারা অনেক দিন বেচে থাকবে তারা শুনতে পারে যে, এ পানির আশপাশে এ উপত্যকায় সবুজ
শ্য“ামলের সমারােহ ঘটছে ৷”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম ইবনৃল হারিছ আত-তায়ষী (র)
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করতেন যে, মাঝ রাতে আমি জেগে উঠলাম, তখন


[إِقَامَةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ] فَصْلٌ (إِقَامَةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ) . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بِتَبُوكَ لَمْ يُجَاوِزْهَا، ثُمَّ انْصَرَفَ قَافِلًا إِلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ وَكَانَ فِي الطَّرِيقِ مَاءٌ يَخْرُجُ مِنْ وَشَلٍ، يَرْوِي الرَّاكِبَ وَالرَّاكِبَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ، بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي الْمُشَقَّقِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَبَقَنَا إِلَى ذَلِكَ الْمَاءِ فَلَا يَسْتَقِيَنَّ مِنْهُ شَيْئًا حَتَّى نَأْتِيَهُ ". قَالَ: فَسَبَقَهُ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ فَاسْتَقَوْا مَا فِيهِ، فَلَمَّا أَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرَ فِيهِ شَيْئًا فَقَالَ: " مَنْ سَبَقَنَا إِلَى هَذَا الْمَاءِ؟ " فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فُلَانٌ وَفُلَانٌ. فَقَالَ: " أَوَلَمْ أَنْهَهُمْ أَنْ يَسْتَقُوا مِنْهُ حَتَّى آتِيَهُ؟ " ثُمَّ لَعَنَهُمْ وَدَعَا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ نَزَلَ فَوَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ الْوَشَلِ، فَجَعَلَ يَصُبُّ فِي يَدِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَصُبَّ، ثُمَّ نَضَحَهُ بِهِ وَمَسَحَهُ بِيَدِهِ، وَدَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ، فَانْخَرَقَ مِنَ الْمَاءِ - كَمَا يَقُولُ مَنْ سَمِعَهُ - مَا إِنَّ لَهُ حِسًّا كَحِسِّ الصَّوَاعِقِ، فَشَرِبَ النَّاسُ وَاسْتَقَوْا حَاجَتَهُمْ مِنْهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَئِنْ بَقِيتُمْ أَوْ مَنْ بَقِيَ مِنْكُمْ لَيَسْمَعَنَّ بِهَذَا الْوَادِي وَهُوَ أَخْصَبُ مَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَمَا خَلْفَهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ: قُمْتُ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ وَأَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَرَأَيْتُ شُعْلَةً مِنْ نَارٍ فِي نَاحِيَةِ الْعَسْكَرِ، فَاتَّبَعْتُهَا أَنْظُرُ إِلَيْهَا. قَالَ: فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ ذُو الْبِجَادَيْنِ قَدْ مَاتَ وَإِذَا هُمْ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৯


রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে তাবুক অভিযানে ছিলাম ৷ দেখলাম, বাহিনীর এক প্রান্তে একটি
আগুনের শিখা জ্বলছে ৷ সেটা কি তা দেখার জন্য আমি যে দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ দেখি কি,
সেখানে রয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা), আবু বকর (রা) ও উমর (রা) ৷ আরো দেখলাম, যুল
বিজাদায়ন (দুই কম্বলওয়ালা) আব্দুল্লাহ ইনতিকাল করেছেন এবং তারা তার জন্য কবর খনন
করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) কবরের মাঝে দাড়িয়ে আর আবু বকর ও উমর (রা) লাশ তার
দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন ৷ তিনি তখন বলছিলেন, ণ্ওগ্র ছো ষ্া১১ৰু “তোমাদের ভাইকে আমার
কাছে এগিয়ে দাও ৷” র্তার৷ দু’জন লাশ কবরে নামিয়ে দিলেন ৷ তাকে কিবলামুথী করে শুইয়ে
দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, নশ্; গ্রাএপ্লুএেন্ ধ্শ্; ৷ন্ৰু ::াগ্লু ধ্£১-হ্রমোঃষ্ ১ন্ষ্ শুা৷ ণ্শু-শ্রা ইয়া আল্লাহ !
আমি এ যাবত তার উপর তুষ্ট ছিলাম ৷ আপনিও তার উপর তুষ্ট হোন ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন,
বর্ণনার এ পর্যায়ে ইবনু মাসউদ (বা) তার মনােবাঞ্চা প্রকাশ করে বলতেন, হায় আমি যদি এ
কবরের বাসিন্দা হতাম ৷ প্

ইবন হিশাম (র) বলেন, যুল ৰিজাদায়ন’ নামকরণের কারণ হল ইসলাম গ্রহণ করার পর
তিনি হিজরত করতে মনস্থ করলে তার গোত্র তাকে বাধা দিল এবং তার জন্য সংকট সৃষ্টি
করল ৷ এ সুযোগে তিনি বেরিয়ে পড়লেন ৷ তখন তার পারে একটি মোটা কম্বল ব্যতিরেকে
আর কোন বস্ত্র ছিল না ৷ তিনি সেটিকে দুই ভাগ করে এক অংশ দিয়ে লুৎগি রুপে পরলেন
এবং অপর অংশ চাদর রুপে গায়ে দিলেন ৷ এভাবে রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে হাযির হলে
তার নাম পড়ে গেল যুল বিজাদায়ন-দুই কম্বলধারী ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ইবনৃ শিহাব যুহরী (র) আবু রুহ্ম কুলছুম ইবনুল হুসায়ন
আল-গিফারী (রা) ইনি হ্পারধিয়ার নুষ্মন্ ৩লে বায়আত গ্রহণকারী সাহাবীগণের অন্যতম ৷
তিনি বলতেন, তাবুক অভিযানে আমি রাসুলুল্লাহ (সা)এর সাথে ছিলাম ৷ এক রাতে আমি
তার সহ্যাত্রী হলাম ৷ তখন আমরা অড়াখমার অঞ্চলে সফর করছিলাম ৷ আমার ভীষণ তন্দ্রা
পেল ৷ আমি সযত্নে জাগ্রত থাকার প্রয়াস পাচ্ছিলাম ৷ কেননা, আমার বাহন নবী করীম (সা)-
এর বাহনের পাশাপাশি চলছিল ৷ আর এ নিবল্টবর্তী অবস্থানের কারণে পা-দনীিতে তার পায়ের
সাথে আমার ছেড়ায়া লেগে যাওয়ার আশংকা ছিল ৷ তাই আমি আমার বাহনটি সতর্ক নিয়ন্ত্রণে
রেখে চলছিলাম ৷ কিন্তু পথিমধ্যে একসময় নিদ্রা আমাকে পরাভুত করে ফেললে আমার বাহন
তার বাহনকে ধাক্কা দিল এবং পাদানীতে তার পায়ের উপর চাপ লাগল ৷ তখন তার ইস’
আওয়ড়াজে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ৷ আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আমার জন্য ইসতিগফার
করুন ৷ তিনি বললেন, এগিয়ে চল ৷

তারপর তিনি তাবুক অভিযান থেকে পশ্চাতে অবস্থানকারীদের গিফার গোত্রের লোকদের
সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন এবং আমি তাকে সে বিষয়ে বলতে থাকলাম ৷ এক
পর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন-

ণ্শুণ্ঠফুট্রু১ধ্স্ ধো
“লাল বর্ণের চেহড়ারায় দীর্ঘকড়ার মড়াকুন্দ লোকদের খবর কি ? আমি তাদের পিছিয়ে থাকার
বিষয় র্তাকে বর্ণনা করলাম ৷




قَدْ حَفَرُوا لَهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُفْرَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يُدَلِّيَانِهِ إِلَيْهِ، وَإِذَا هُوَ يَقُولُ: " أَدْنِيَا إِلَيَّ أَخَاكَمَا ". فَدَلَّيَاهُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا هَيَّأَهُ لِشِقِّهِ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ أَمْسَيْتُ رَاضِيًا عَنْهُ فَارْضَ عَنْهُ» . قَالَ: يَقُولُ ابْنُ مَسْعُودٍ: يَا لَيْتَنِي كُنْتُ صَاحِبَ الْحُفْرَةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ إِنَّمَا سُمِّيَ ذَا الْبِجَادَيْنِ ; لِأَنَّهُ كَانَ يُرِيدُ الْإِسْلَامَ، فَمَنَعَهُ قَوْمُهُ وَضَيَّقُوا عَلَيْهِ، حَتَّى خَرَجَ مِنْ بَيْنِهِمْ وَلَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا بِجَادٌ، وَهُوَ الْكِسَاءُ الْغَلِيظُ فَشَقَّهُ بِاثْنَتَيْنِ، فَائْتَزَرَ بِوَاحِدَةٍ وَارْتَدَى بِالْأُخْرَى، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسُمِّيَ ذُو الْبِجَادَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَكَرَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ عَنِ ابْنِ أَخِي أَبِي رُهْمٍ الْغِفَارِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ الْحُصَيْنِ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ يَقُولُ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ تَبُوكَ، فَسِرْتُ ذَاتَ لَيْلَةٍ مَعَهُ وَنَحْنُ بِالْأَخْضَرِ، وَأَلْقَى اللَّهُ عَلَيَّ النُّعَاسَ، فَطَفِقْتُ أَسْتَيْقِظُ وَقَدْ دَنَتْ رَاحِلَتِي مِنْ رَاحِلَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيُفْزِعُنِي دُنُوُّهَا مِنْهُ ; مَخَافَةَ أَنْ أُصِيبَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ فَطَفِقْتُ أَحُوزُ رَاحِلَتِي عَنْهُ حَتَّى غَلَبَتْنِي عَيْنِي فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَزَاحَمَتْ رَاحِلَتِي رَاحِلَتَهُ وَرِجْلُهُ فِي الْغَرْزِ، فَلَمْ أَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِقَوْلِهِ: " حَسِّ ". فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرْ لِي. قَالَ: " سِرْ ". فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُنِي
পৃষ্ঠা - ৩৬৫০


তিনি আবার ৷শুগু “ক্ষুদে কােকড়ানাে চুল কালো
লোকদের খবর কি ? আমি বললাম, আল্লাহর কলম! আমাদের মাঝে এ ধরনের লোকদের
পরিচয়-অবস্থিতি তাে আমার জানা নেই ৷ তিনি বললেন, ৰু১ট্রুণ্ প্াহ্র;৷ ণ্;;১ ণ্প্লুপু স্লে১া ৰু ,১প্রু
“নিশ্চয়ই আছে ৷ শাবাকাসাদাখ কুয়াের এলাকায় যারা পশু চরায় ৷ ” আমি তখন গিফাবীদের
মাঝে তাদের অবস্থান স্মরণ করার চেষ্টা করে প্রথমে ব্যর্থ হলাম ৷ কিন্তু তখনই আবার আমার
মনে পড়ল যে, ওরা তো আসলাম গোত্রের একটি শাখা ৷ যারা আমাদের (পিফারীদের) সাথে
মিত্রতা বদ্ধ ৷ তখন আমি বললাম, হা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ ওরা আনলামীদের একটি শাখা গোত্র ৷
আমাদের সাথে মিত্রতাবদ্ধ ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, “তাদের উটপালের মধ্য হতে একটি
উটের পিঠে একজন স্বতং র্ত মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠিয়ে দিতে কোন জিনিস
তাদেরকে বিরত রাখল ? আমার আপন জ্যাদর মাঝে যাদের পশ্চ৷ ৷তবর্তিতা আমার জন্য
অধিকতর পীড়াদায়ক-ত ৷র৷ হল যুহাজির আনসার গিফার ও আসলাম গোত্রের লোকজন ৷

ইবনৃ লাহী আ (র) ফরওয়াহ্ ইবনুবৃ ৰুবারর (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ কারণ, বাসুলুল্লাহ
(সা) তাবুক থেকে মদীনায় উদ্দেশ্যে জ্যিতি সফরে রওয়ানা করলেন ৷ য়ুনাফিকদের একটি দল
পথে অবস্থিত কোন গিরিপথে তার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে তাকে খঃাদে ফেলে দেওয়ার
চক্রাত করল ৷ তিনি তাদের এ অ্যাংর খবর পেয়ে গেলেন ৷ তাই তিনি মুল বাহিনীকে
সমতলের পথ ধরে চলার হুকুম দিয়ে নিজে পাহাড়ী পথ অবলম্বন করলেন ৷ ষড়যন্ত্রকারীরাও
মুখােশাবৃত হয়ে তার সাথে পাহাড়ী পথ ধ্রল ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) আম্মার ইবন ইয়াসির (বা) ও
হুযায়ফা ইবনৃল ইয়ামান (রা)-কে তীর সাথে পায়ে হেটে স্কোর হুকুম দিলেন ৷ আম্মার (বা) তার
বাহনের লাগাম হাতে এবং হষায়ফ্৷ (বা) পিছন থেকে উট ছুাকাতে হীকাতে চলতে লাগলেন ৷
চলতে চলতে রাংতঃ আধারে র্তীরা নিকটেই ঢক্রাম্ভকারীদের কােলাহল শুনতে পেলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) এর মেযাজে বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দেখা দিল ৷ হুযায়ফা (রা)৩ তা উপলব্ধি করে
পিছনে ফিরে কে ৷৷লাহলক ৷রীদের কাছে পৌছলেন ৷ তখন তার হাতে ছিল একটি ণ্ক ৷কড়া মাথা
লাঠি ৷ তিনি ওদের বাহনওলির মাথায় তার লাঠি ঠুকতে লাগলেন ৷ হুযায়ফা (বা) কে দেখে
তাদের ধারণা হল যে, ৷ ও তা দেব ৩য়ং কর য়৬য়প্রের কথা জেনে ফেলেছেন ৷ তাই৩ ৷র৷ দ্রুত
হটে গিয়ে মুল বাহিনীর সাথে মিশে গেল ৷ হুযায়ফা (বা) এগিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ ( সা)-এর সাথে
মিলিত হলেন ৷ তিনি দ্রুত চলার হুকুম দিলে তারা দ্রুতগতিতে গিরিপথটি অতিক্রম করে
সমতলের লোকদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) হুযায়ফা (বা) কে
বললেন, ঐ লোকগুলিকে তুমি চিনতে পেরেছ ? তিনি বললেন, রাতের আমারে ওদের বাহনওলি
ছাড়া কাে ন বা৷ওনক ৷ ৷>নরু৩ পাব৷ আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি ৷ ৩ারপর ৷ ৩ ৷ ন বলণেন, €তষ্মেরা
দুজন এই দলটির ব্যাপারে জা ন কি ? তারা বললেন, ত্মী ন৷ ৷ তখন তিনি তার উপরে তাদের
আক্রমণের চক্রাস্তের কথা এ দু জনকে অবহিত করলেন এবং৩ তাদের নাম ব্যক্ত করে তাদের
দুজনকে তা গোপন রাখতে বললেন ৷ ৩ার৷ বল ণে ন ইয়৷ রাসুলাল্লাহভ্র আপনি কি তাদের কভ্রল
করার হুকুম দেবেন ন৷ ? তিনি বললেন,












عَمَّنْ تَخَلَّفَ عَنْهُ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَأُخْبِرُهُ بِهِ، فَقَالَ وَهُوَ يَسْأَلُنِي: " مَا فَعَلَ النَّفَرُ الْحُمْرُ الطِّوَالُ الثِّطَاطُ الَّذِينَ لَا شَعْرَ فِي وُجُوهِهِمْ؟ " فَحَدَّثْتُهُ بِتَخَلُّفِهِمْ قَالَ: " فَمَا فَعَلَ النَّفَرُ السُّودُ الْجِعَادُ الْقِصَارُ؟ " قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَعْرِفُ هَؤُلَاءِ مِنَّا. قَالَ: " بَلَى، الَّذِينَ لَهُمْ نَعَمٌ بِشَبَكَةِ شَدَخٍ ". فَتَذَكَّرْتُهُمْ فِي بَنِي غِفَارٍ، فَلَمْ أَذْكُرْهُمْ، حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّهُمْ رَهْطٌ مِنْ أَسْلَمَ كَانُوا حُلَفَاءَ فِينَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أُولَئِكَ رَهْطٌ مِنْ أَسْلَمَ حُلَفَاءُ فِينَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا مَنَعَ أَحَدَ أُولَئِكَ حِينَ تَخَلَّفَ أَنْ يَحْمِلَ عَلَى بَعِيرٍ مِنْ إِبِلِهِ امْرَأً نَشِيطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ إِنَّ أَعَزَّ أَهْلِي عَلَيَّ أَنْ يَتَخَلَّفَ عَنِّي ; الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ وَغِفَارٌ وَأَسْلَمُ» . . وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: لَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ تَبُوكَ إِلَى الْمَدِينَةِ، هَمَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ بِالْفَتْكِ بِهِ، وَأَنْ يَطْرَحُوهُ مِنْ رَأْسِ عَقَبَةٍ فِي الطَّرِيقِ، فَأُخْبِرَ بِخَبَرِهِمْ، فَأَمَرَ النَّاسَ بِالْمَسِيرِ مِنَ الْوَادِي، وَصَعِدَ هُوَ الْعَقَبَةَ، وَسَلَكَهَا مَعَهُ أُولَئِكَ النَّفَرُ وَقَدْ تَلَثَّمُوا، وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ أَنْ يَمْشِيَا مَعَهُ عَمَّارٌ آخِذٌ بِزِمَامِ النَّاقَةِ وَحُذَيْفَةُ يَسُوقُهَا، فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ سَمِعُوا بِالْقَوْمِ قَدْ غَشُوهُمْ، فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبْصَرَ حُذَيْفَةُ غَضَبَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ وَمَعَهُ مِحْجَنٌ، فَاسْتَقْبَلَ وَجُوهَ رَوَاحِلِهِمْ بِمِحْجَنِهِ، فَلَمَّا رَأَوْا حُذَيْفَةَ ظَنُّوا أَنْ قَدْ أُظْهِرَ عَلَى مَا أَضْمَرُوهُ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، فَأَسْرَعُوا حَتَّى خَالَطُوا النَّاسَ، وَأَقْبَلَ حُذَيْفَةُ حَتَّى أَدْرَكَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৫১


মুহাম্মদ (সা) তার সহচরদের হত্যা করে’ এমন কথা লোকেরা রলড়াবলি করুক তা আমি
পসন্দ করি না ৷ ’

ইবনু ইসহাক (র) এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনায় রয়েছে যে, নবী করীম
(সা) শুধু হুযায়ফা ইবনুল য়ামান (বা) কেই তাদের নড়াম-ধাম জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং এটাই
অধিকতর যুক্তি সংগত ৷ আল্লাহই সর্বজ্বধিক অবগত৷ ’

আবুদ দারদা (রা) এর একটি উক্তিও এ বক্তব্য সমর্থন করে ৷ কেননা, কোনও প্রসং গে
তিনি ইবনু মাসউদ (রা) এর সাগিরদ আলকামা (র) কে বলেছিলেন-“তোমাদের মাঝে
অর্থাৎ কুফাবাসীদের মাঝে কি রাসুল (সা) এ র দি ণ্৷ র ৷ ৫৩ র লহা>র ইবণু মাসউদ (রা) নেই ?
তোমাদের মাঝে কি রাসুল (সা) এর রহস্যের ধারক-যা একমাত্র সে ব্যতিরেকে আর কেউ
জড়ানেনন্, অর্থাৎ হুযারফা (রা) যেই? তোমাদের মাঝে কি সেই ব্যক্তি যেই যাকে আল্লাহ
পাক মুহাম্মদ ( না) এর জবানীতে শ দ্বয়৩ ড়ান থেকে পড়ানড়াহ দিয়েছেন অর্থাৎ আত্মার (রা) ষ্
এছাড়া আমরা আযীরুল মু ’মিনড়ান উমর (রা) থেকেও এরুপ ৰিওয়ায়াত বর্ণনা করছি যে,
তিনি হুযায়ফা (রা) কে বলেছিলেন, “ তোমাকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে বলছি, আমার
নাম কি তাদের মাঝে রয়েছে ?” তিনি বললেন, জী না ৷ তবে আপনি ব্যতীত আর কাউকে
সম্ভাব্য অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা করব না ৷ (অর্থাৎ আর কেউ এভাবে জিজ্ঞাসা করলে তাকে
হী বা না জবাব দিব না ৷ যাতে প্রকারান্তরে রাসুল (না)-এর রহস্য ফীস না হয়ে
যায় ৷ অনুরাদক) ৷

আমার মতে তাদের স০ খ্যা ছিল চৌদ্দ জন ৷ তবে কেউ কেউ বলেছেন বারো জন ৷ ইবনু
ইসহাক (র) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) হুযায়ফা (রা) কে৩ তাদের কাছে পাঠালে
তিনি তাদেরকে তার কাছে সমবেত করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে তাদের
কর্মকাণ্ড ও তার বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্তের কথা অবহিত করলেন ৷ এ পর্যায়ে ইবনু ইসহড়াক
(র) তাদের নামের পুর্ণাঙ্গ তালিকা পেশ করে মন্তব্য করেছেন যে, এদের সম্বন্ধেই মহীয়ানঃ
পরীয়ান আল্লাহ নাযিল করলেন, গ্রাপ্লু ণ্ষ্ ঙ্ঘ স্পেঙু “তারা বা সংকল্প করেছিল তা করতে
পারে নি (৯ : ৭৪) ৷

রায়হাকী (র) বর্ণনা করেছেন, মুহাম্মদ ইবন মাসলামড়া (র) হুযায়ফা ইবনৃল য়ামান (বা)
থেকে-তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাহন উটনীর লাপাম ধরে তার আগে আগে
চলছিলাম ৷ আর আম্মার (রা) পিছন থেকে উট হাকাচ্ছিলেন ৷ কিৎবা আমি পিছন থেকে
হাকাচ্ছিলাম আর আত্মার (বা) তার আগে আগে লাপাম টেনে চলছিলেন ৷ আমরা পাহা,
মাটির কাছাকাছি পৌছলে বারো জন আরোহীকে তার পথ বোধ করে দাড়িয়ে থাকতে
দেখলাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না) এর মনোযোগ আকর্ষণ করলাম ৷ তিনি
তাদেরকে চ্যালেঞ্চ করলে তারা পালিয়ে পা ঢাকা দিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বললেন,
লোকগুলিকে তোমরা চিনতে পােরছ ? আমরা বললাম, জী না, ইয়া রড়াসুলাল্লাহা তারা তো
মুখোশাবৃত ছিল ৷ তবে আমরা তাদের রাহনগুলো চিনতে পেরেছি ৷ তিনি বললেন,





১ এ ধরনের গোপন বিষয়াদি একমাত্র হুযায়ফা (বা) র কাছেই সং রক্ষিত থাকত ৷-ন্ অনুবাদক


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُمَا فَأَسْرَعَا حَتَّى قَطَعُوا الْعَقَبَةَ، وَوَقَفُوا يَنْتَظِرُونَ النَّاسَ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُذَيْفَةَ: " هَلْ عَرَفْتَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ؟ " قَالَ: مَا عَرَفْتُ إِلَّا رَوَاحِلَهُمْ فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ حِينَ غَشِيتُهُمْ. ثُمَّ قَالَ: " عَلِمْتُمَا مَا كَانَ مِنْ شَأْنِ هَؤُلَاءِ الرَّكْبِ؟ " قَالَا: لَا. فَأَخْبَرَهُمَا بِمَا كَانُوا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ، وَسَمَّاهُمْ لَهُمَا وَاسْتَكْتَمَهُمَا ذَلِكَ فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا تَأْمُرُ بِقَتْلِهِمْ؟ فَقَالَ: " أَكْرَهُ أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ ". . وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ، إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَعْلَمَ بِأَسْمَائِهِمْ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ وَحْدَهُ، وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَشْهَدُ لَهُ قَوْلُ أَبِي الدَّرْدَاءِ لِعَلْقَمَةَ صَاحِبِ ابْنِ مَسْعُودٍ: أَلَيْسَ فِيكُمْ - يَعْنِي أَهْلَ الْكُوفَةِ - صَاحِبُ السَّوَادِ وَالْوِسَادِ؟ - يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ - أَلَيْسَ فِيكُمْ صَاحِبُ السِّرِّ الَّذِي لَا يَعْلَمُهُ غَيْرُهُ؟ - يَعْنِي حُذَيْفَةَ - أَلَيْسَ فِيكُمُ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ - يَعْنِي عَمَّارًا. وَرَوَيْنَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لِحُذَيْفَةَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِاللَّهِ أَنَا مِنْهُمْ؟ قَالَ: لَا وَلَا أُبَرِّئُ بَعْدَكَ أَحَدًا. يَعْنِي حَتَّى لَا يَكُونَ مُفْشِيًا سِرَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَقَدْ كَانُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ رَجُلًا وَقِيلَ: كَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَجَمَعَهُمْ لَهُ فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ وَبِمَا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ. ثُمَّ سَرَدَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৫২


দ্বু১ধ্এৰু ৬; ৰু )দ্বুগ্লু১ম্র ; ১দ্বু ড়ু০ট্রু প্রুব্রএ ণ্দ্বুৰু ষ্ এ এগ্লুট্রষ্ট্রক্রোক্ট প্শ্বটু১
“এরা কিয়ামত পর্যন্ত চলমান মুনাফিক পােষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত ৰু আর ওদের সংকল্পের কথা কি
তোমরা অনুধাবণ করেছ ?
আমরা বললড়াম ,জী না ৷ তিনি বললেন,
ৰু€-ৰু^ ংএঘ্রন্ন্নী ক্রোন্ é ত্রা এস্পেএ ধ্,?ন্ং১এপ্লু ঠো fi)
“তাদের ইচ্ছা ছিল গিরিপখে আল্লাহর রাসুলকে আক্রমণ করে তাকে সেখানে ফেলে
দেওয়া ৷ ”
আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তাদের গোত্রের কাছে কেন করমানঃ পাঠাচ্ছেন না,
যাতে করে প্রতি গোত্র তাদের অভিযুক্ত ব্যক্তির ছিন্ন মস্তক আপনার কাছে পাঠিয়ে দেয় ? তিনি
বললেন-

ন্টিংব্লুওণ্১

আরবরা পরস্পরে এমন কথা বলাবলি করবে যে, মুহাম্মদ তার দলের সহায়তায় লড়াই
করে করে অবশেষে আল্লাহ তাকে বিজয়ী করলে তাদের বিপক্ষে হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু
করেছে ৷ তা আমি পসন্দ করি না ৷ ” তারপর বললেন, ন্এএএ fl; ণ্শুশু ণ্পৌ ইয়া আল্লাহ !
তাদের পায়ে দৃবায়লা নিক্ষেপ করুন ৷ আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! দুবায়লা কি ? তিনি
বললেন-

চুে০ি
“তা হল অজােনর শিষ্য, যা তাদের প্রত্যঙ্গের মর্মমুলে মৃত্যুবান রুপে আঘাত হানরে, তাতে
সে হলোক হার যাবে ৷

সাহীহ মুসলিমে রয়েছে শুবা (র)কায়স ইবন উবাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি আত্মার (রা)কে বললাম, আচ্ছা, আলী (রা) এর ব্যাপারে আপনারা যে কর্মপন্থা
অনুসরণ করলেন, বলুন তো, তা কি আপনাদের নিজস্ব (ইজতিহাদী) অভিমত ছিল, নাকি
এমন কোন বিষয় ছিল যার অংগীকার আল্লাহর রাসুল (না) আপনাদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন
? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসুল (না) আমাদের নিকট থেকে এমন কোন বিষয় অংপীকার নেন
নি, যা আপামর মুসলিম জনতার কাছ থেকে যেন নি ৷ তবে হুযায়ফা (রা) রাসুলুল্লাহ (না)
থেকে আমাকে খবর দিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন,
স্পে é হে^১ত্রী হ্রএগু ৰুভ্রুন্-’১ ন্-ইছা ওেগ্রী১ং-? >? গ্রাৰুষ্ংৰু’ ণ্€ট্টগ্রা এে ষ্-ং এ^ৰুৰুণ্শ্ শ্রো ষ্-হুৰু১এেন্ ত্এ



“আমার আলহড়ারের মাঝে এমন বার জন ঘুনাফিক রয়েছে, যাদের আট জন ততক্ষণ পর্যন্ত
জাপ্লাওে প্ররেশ করতে পারবে না ৷ যতক্ষণ না কোন উট সুইয়ের ছিদ্র দিয়ে প্ৰৰিষ্ট হয় ৷ ”

কাতাদা (র) থেকে অন্য একটি সুত্রের রিওয়ায়াতে রয়েছে ; আমড়ার উম্মতের মাঝে বার
জন যুনাফিক রয়েছে, যারা সুইয়ের ছিদ্র দিয়ে প্ৰবিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত জান্নড়াতে প্রবেশ করবেঃ

ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো



إِسْحَاقَ أَسْمَاءَهُمْ، قَالَ: وَفِيهِمْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَهَمُّوا بِمَا لَمْ يَنَالُوا} [التوبة: 74] (التَّوْبَةِ: 74) . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: «كُنْتُ آخِذًا بِخِطَامِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقُودُ بِهِ وَعَمَّارٌ يَسُوقُ النَّاقَةَ - أَوْ أَنَا أَسُوقُ وَعَمَّارٌ يَقُودُ بِهِ - حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَقَبَةِ إِذَا أَنَا بِاثْنَيْ عَشَرَ رَاكِبًا قَدِ اعْتَرَضُوهُ فِيهَا. قَالَ: فَأَنْبَهْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَرَخَ بِهِمْ فَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ عَرَفْتُمُ الْقَوْمَ؟ ". قُلْنَا: لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ كَانُوا مُتَلَثِّمِينَ، وَلَكِنَّا قَدْ عَرَفْنَا الرِّكَابَ. قَالَ: " هَؤُلَاءِ الْمُنَافِقُونَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهَلْ تَدْرُونَ مَا أَرَادُوا؟ ". قُلْنَا: لَا. قَالَ: " أَرَادُوا أَنْ يَزْحَمُوا رَسُولَ اللَّهِ فِي الْعَقَبَةِ فَيُلْقُوهُ مِنْهَا ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ لَا تَبْعَثُ إِلَى عَشَائِرِهِمْ حَتَّى يَبْعَثَ إِلَيْكَ كُلُّ قَوْمٍ بِرَأْسِ صَاحِبِهِمْ؟ قَالَ: " لَا، أَكْرَهُ أَنْ تُحَدِّثَ الْعَرَبُ بَيْنَهَا أَنَّ مُحَمَّدًا قَاتَلَ بِقَوْمٍ، حَتَّى إِذَا أَظْهَرَهُ اللَّهُ بِهِمْ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ يَقْتُلُهُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ ارْمِهِمْ بِالدُّبَيْلَةِ ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الدُّبَيْلَةُ؟ قَالَ: " شِهَابٌ مِنْ نَارٍ يَقَعُ عَلَى نِيَاطِ قَلْبِ أَحَدِهِمْ فَيَهْلِكُ» . .
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৩
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ: قُلْتُ لِعَمَّارٍ: أَرَأَيْتُمْ صَنِيعَكُمْ هَذَا فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عَلِيٍّ ; أَرَأْيًا رَأَيْتُمُوهُ أَمْ شَيْئًا عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَلَكِنْ حُذَيْفَةُ أَخْبَرَنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «فِي أَصْحَابِي اثَنَا عَشَرَ مُنَافِقًا، مِنْهُمْ ثَمَانِيَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ» . وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ قَتَادَةَ: «إِنَّ فِي أُمَّتِي اثْنَيْ عَشَرَ مُنَافِقًا لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ، ثَمَانِيَةٌ مِنْهُمْ تَكْفِيكَهُمُ الدُّبَيْلَةُ ; سِرَاجٌ مِنَ النَّارِ يَظْهَرُ بَيْنَ أَكْتَافِهِمْ حَتَّى يَنْجُمَ مِنْ صُدُورِهِمْ» . . قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَيْنَا عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ، أَوْ خَمْسَةَ عَشَرَ، وَأَشْهَدُ بِاللَّهِ أَنَّ اثْنَيْ عَشَرَ مِنْهُمْ حَرْبٌ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ، وَعَذَرَ ثَلَاثَةً أَنَّهُمْ قَالُوا: مَا سَمِعْنَا الْمُنَادِي وَلَا عَلِمْنَا بِمَا أَرَادَ. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ " قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ - هُوَ ابْنُ هَارُونَ - أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «لَمَّا أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِذٌ بِالْعَقَبَةِ،