আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة تبوك

خروج الرسول صلى الله عليه وسلم إلى تبوك وخلفه علي بن أبي طالب على أهله

পৃষ্ঠা - ৩৬২২
রহম করুন, যে একাকী পথ চলছে, একাকী মৃত্যুবরণ করবে আর একাকী পুনরুথিত
হবে ৷ তখন তিনি বাহন থেকে নেমে এসে নিজের দায়িত্বে মৃতের জন্য জানাযা ও দাফনের
ব্যবস্থা করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান পর্যায়ের ৷ তবে ছিহাহ গ্রন্থসমুহে এ রিওয়ায়াত
বর্ণিত হয়নি ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আব্দুর রা যযা ক (ব) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
উকায়ল (ব) অ ৷ল্লাহ্ পাকের এ ক লা৷ম- :স্পো৷ ণ্শ্রুণ্ণ্শুম্ ৰু,দ্র : স্ ১’১৷ (,াপ্লু১ট্ট৷ “(যায়৷ সংকট কালে
তার অনুপমন করেছিল) প্রসং ×গে আমাদের খবর দিয়েছেন ৷ ”

তিনি বলেন, দু জন দু’ জন ও তিন তিন জনে একটি বাহন উট নিয়ে তারা তাবুক
অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তারা বের হয়েছিলেন প্রচণ্ড পরমের সময় ৷ একদিন গিপাসা
তাদের করে করে ফেললে তারা তাদের উটের ভুড়ি নিংড়িয়ে তার পানি পান করার
উদ্দেশ্যে সেগুলিকে যবাই করতে লাপলেন ৷ এমনই ছিল পানি সংকট, অর্থ সংকট ও বাহন
ৎকটের অবস্থা ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, আমর ইবনৃল হারিস (র)আবৃদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে র্বণন৷ করেছেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে বলা হল, সংবল্টপুর্ণ
সময়ের বিষয় আমাদেরকে কিছু শুনান ৷ উমর (রা) বললেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা তাৰুক
অভিযানে বের হলাম ৷ আমরা মধ্যবর্তী একটি মনযিলে অবস্থান নিলাম ৷ সেখানে তীব্র পিপাসা
আমাদের করে করে ফেলল ৷ এমনকি আমাদের মনে হতে লাগল যে, পিপাসায় আমাদের
ঘাড়ের রগের বীধন ছিড়ে যাবে ৷ আমাদের কেউ তার বাহনের খোজ খবর নিতে গেলে এমন
প্রবল ধারণা না নিয়ে ফিরে আসত না যে, এখনই তার গর্দড়ানের রগ ছিড়ে যাবে ৷ এ দুর্যোগের
কারণে কেউ কেউ তীর উট যবাই করে তার ভুড়ির ণ্লদ নিংড়িয়ে পানি পান করত এবং
অবশিষ্ট কিছু থাকলে তা কলিজ৷ বরাবর বুঝে না ৷লিশ করে একটু শান্তি খুজত ৷ পরিস্থিতির এ
ভয়াবহতা দেখে আবুবকর সিদ্দীক (রা) বললেন-

ইয়৷ রাসুলা ল্লাহৰু দু আ র মাধ্যমে কল্যাণ প্রদানে আল্লাহ আপনাকে অভ্যস্ত করেছেন ৷ তাই

আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর ক ৷ছে দু আ করুন ৷ তিনি বললেন, তোমারও ত ৷ই পসন্দ ?
তিনি বললেন, জী হা, বর্ণনাক ৷রী বলেন, তখন নবী করীম (সা) তা ৷র দু হতে আকাশের দিকে
তুলে ধরলেন এবং আসমানের বা ৷রী বর্ষণের উপক্রম না হওয়া পর্যন্ত হাত নামালেন না
তারপর আকাশ মুষলধারে বারি বর্ষণ করল এবং লোকেরা যার কাছে যা ছিল তা পানি ভর্তি
করে ফেলল ৷ আমরা এ ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে দেখলাম যে, তা বাহিনীর বেষ্টনী
সীমা অতিক্রম করেনি ৷ এ হাদীসের সনদ উত্তম তবে সিহ৷ ৷হ গ্রন্থসমুহের ইমামপণ এ সনদে
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেন নি ৷

আসিম ইবন উম৷ ৷র ইবন৷ কাত ৷দা (র)-এর গোত্রীয় একদল লোকের উপস্থিতিতে ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন যে, এ ঘটনা ঘটেছিল তাবুক বাহিনীর ’হিজর’ এলাকায় অবস্থানকালে ৷ সে সময়
তারা তাদের জনৈক মুনাফিক সাথীকে বলেছিল, রে দৃর্ভাপা! এ বারি বর্ষণের ঘটনার পরেও কি
তীর রাসুল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আছে ? জবাবে লোকটি বলে উঠল, ও তো একখান৷ চলম্ভ


عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا ".» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ نَفَرٌ مِنِ الْمُسْلِمِينَ أَبْطَأَتْ بِهِمُ النِّيَّةُ حَتَّى تَخَلَّفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ شَكٍّ وَلَا ارْتِيَابٍ ; مِنْهُمْ كَعْبُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي كَعْبٍ أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَمُرَارَةُ بْنُ رَبِيعٍ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ أَخُو بَنِي وَاقِفٍ، وَأَبُو خَيْثَمَةَ أَخُو بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، وَكَانُوا نَفَرَ صِدْقٍ لَا يُتَّهَمُونَ فِي إِسْلَامِهِمْ. قُلْتُ: أَمَّا الثَّلَاثَةُ الْأُوَلُ فَسَتَأْتِي قِصَّتُهُمْ مَبْسُوطَةً قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَهُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا حَتَّى إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ أَنْفُسُهُمْ وَظَنُّوا أَنْ لَا مَلْجَأَ مِنَ اللَّهِ إِلَّا إِلَيْهِ} [التوبة: 118] (التَّوْبَةِ: 118) وَأَمَّا أَبُو خَيْثَمَةَ فَإِنَّهُ عَادَ وَعَزَمَ عَلَى اللُّحُوقِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا سَيَأْتِي. [خُرُوجُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ وَخَلْفَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ] فَصْلٌ (خُرُوجُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ وَاسْتِخْلَافُهُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ) . قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: ثُمَّ اسْتَتَبَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَفَرُهُ وَأَجْمَعَ السَّيْرَ، فَلَمَّا خَرَجَ يَوْمَ الْخَمِيسِ ضَرَبَ عَسْكَرَهُ عَلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬২৩
وَمَعَهُ زِيَادَةٌ عَلَى ثَلَاثِينَ أَلْفًا مِنَ النَّاسِ، وَضَرَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ عَدُوُّ اللَّهِ عَسْكَرَهُ أَسْفَلَ مِنْهُ، وَمَا كَانَ فِيمَا يَزْعُمُونَ بِأَقَلِّ الْعَسْكَرَيْنِ، فَلَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَخَلَّفَ عَنْهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَأَهْلِ الرَّيْبِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَخْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَدِينَةِ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيَّ قَالَ: وَذَكَرَ الدَّرَاوَرْدِيُّ أَنَّهُ اسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا عَامَ تَبُوكَ سِبَاعَ بْنَ عُرْفُطَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَرَهُ بِالْإِقَامَةِ فِيهِمْ فَأَرْجَفَ بِهِ الْمُنَافِقُونَ، وَقَالُوا: مَا خَلَّفَهُ إِلَّا اسْتِثْقَالًا لَهُ وَتَخَفُّفًا مِنْهُ. فَلَمَّا قَالُوا ذَلِكَ أَخَذَ عَلِيٌّ سِلَاحَهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى لَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجُرْفِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالُوا فَقَالَ «: كَذَبُوا وَلَكِنِّي خَلَّفْتُكَ لِمَا تَرَكْتُ وَرَائِي، فَارْجِعْ فَاخْلُفْنِي فِي أَهْلِي وَأَهْلِكَ، أَفَلَا تَرْضَى يَا عَلِيُّ أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى، إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» ؟ فَرَجَعَ عَلِيٌّ وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ هَذِهِ الْمَقَالَةَ وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬২৪
وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُخَلِّفُنِي فِي النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» وَأَخْرَجَاهُ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ نَحْوَهُ. وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ - وَخَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ - فَقَالَ: «يَا عَلِيُّ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ زَادَ مُسْلِمٌ: وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ كِلَاهُمَا عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا خَيْثَمَةَ رَجَعَ بَعْدَ مَا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَّامًا
পৃষ্ঠা - ৩৬২৫


মেঘের কাণ্ডা (এতে রাসুল হওয়ার প্রমাণের কি আছে?) তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর উটনী হারিয়ে গেলে সাহাবীগণ তার সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(না) তার কাছে উপস্থিত উমার৷ ইবন হাযম আল আনসারী (বা) কে বললেন, এক ব্যক্তি বলেছে,
এই মুহাম্মদ তোমাদেরকে তার নবী হওয়ার দাবী করে এবং আসমানের খবর শুনায় অথচ তার
নিজের উটনীটি কোথায় তা সে জানে না ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-

“আমি তো আল্লাহ্র কসম ! আল্লাহ আমাকে যা জানিয়ে দেন তা ছাড়া কোন কিছুই জানি
না ৷ আর আল্লাহ অবশ্যই উপত্যকায় তার হদীস আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ একটি গাছ তার
লাপামের দড়ির সাথে জড়িয়ে তাকে আটকে ব্লেখেছে ৷” তখন তারা সেখানে গিয়ে উটনীটি নিয়ে
আসলেন ৷ পরে উমার৷ (বা) জানতে পারলেন যে, এ উক্তি করেছিল যায়দ ইবনুল লুসায়ত ৷ আর
উমার৷ (রা) রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে হাযির হওয়ার পুর্বক্ষাণও উক্ত যায়দ উমারা (রা) এর
তাবুতেই অবস্থান করছিল ৷ তাই উমার৷ (রা) ফিরে গিয়ে ক্রোধে যায়দের ঘাড় মটকাৰ্ত উদ্ধত
হলেন ৷ তিনি বললেন-

আমার তাবুতে একটা আস্ত বিভিষীকা অবস্থান করছে আর আমি তার বিন্দুমাত্র খবর রাখি
না ৷ আল্লাহর দুশমন৷ আমার এখান থেকে বেরিয়ে যা ৷ আর কখনো যেন (তার ছায়া দেখতে না
পাই ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এ যায়দ পরে তওবা করে র্থাটি ঈমানদার হয়েছিলেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেছেন যে, আমৃভ্যু সে অকল্যাণের জন্য অভিযুক্ত ছিল ৷

হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, আমরা ইবনু মাসউদ (রা) থেকে বাহন হারানোর ঘটনার
সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ হাদীস রিওয়ায়াত করেছি ৷ তারপর তিনি আমাশ (র) সুত্রে বর্ণিত হাদীস
রিওয়ায়াত করেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) সে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আবু মুআবিয়া
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অথবা আবু সাঈদ থুদরী (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, তাবুক অভিযান
কালে তীব্র ক্ষুৎ পপাসা লোকদের পর্বুদস্ত করলে তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি কি
আমাদের অনুমতি দেবেন? তাহলে আমরা আমাদের পানিবাহী উটগুলি যবাই করে যেতে পারি
এবং আমাদের পায়ে যেগুলির চর্বি মালিশ করতে পারি ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন-

তা ই কর ৷ তখন উমর (রা) এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন করা হলে তো বাহনের
স্বল্পতা দেখা দেবে ৷ তার চ ইতে বরং আপনি এখনো পর্যন্ত লোকদের কাছে বিদ্যমান
যৎসামান্য পাথেয় নিয়ে এক স্থানে সঞ্চিত করতে বলুন এবং তাতে তাদের জন্য বরকতের
দু আ করে দিন ৷ আল্লাহর কাছে আমাদের আশ ৷,৩ তিনি তাতে বরকত দেবেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, হী তাই ঠিক ৷ তিনি চামড়ার একটি দস্তরখান আনিয়ে তা বিছিয়ে দিলেন ৷ তারপর
লোকদের তাদের কাছে থাকা অবগ্রিষ্টি পাথেয় নিয়ে আসতে বললেন ৷ লোকেরা মার কাছে যা
ছিল তা নিয়ে আসতে লাগল ৷ কেউ এক মুঠাে ভুট্টা নিয়ে আসলেন, কেউ আনলেন এক মুঠাে
খেজুর, আবার কেউ কেউ নিয়ে অ্যাসলেন রুটির টুকরো ৷

এভাবে বিছানাে চামড়ার উপরে সামান্য পরািমণ জমা হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ (না) তাতে
বরকতের দুআ করলেন ৷ তারপর তাদের বললেন, তোমরা তোমাদের পাত্রগুলোতে তুলে
নিতে থাক ৷ ভীর৷ যার র্ষার পাত্র ভরে নিতে থাকলেন ৷ এমনকি বাহিনীর কাছে বিদ্যমান সব


إِلَى أَهْلِهِ فِي يَوْمٍ حَارٍّ، فَوَجَدَ امْرَأَتَيْنِ لَهُ فِي عَرِيشَيْنِ لَهُمَا فِي حَائِطِهِ، قَدْ رَشَّتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا عَرِيشَهَا، وَبَرَّدَتْ فِيهِ مَاءً، وَهَيَّأَتْ لَهُ فِيهِ طَعَامًا، فَلَمَّا دَخَلَ قَامَ عَلَى بَابِ الْعَرِيشِ فَنَظَرَ إِلَى امْرَأَتَيْهِ وَمَا صَنَعَتَا لَهُ، فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الضِّحِّ وَالرِّيحِ وَالْحَرِّ وَأَبُو خَيْثَمَةَ فِي ظِلٍّ بَارِدٍ وَطَعَامٍ مُهَيَّأٍ وَامْرَأَةٍ حَسْنَاءَ، فِي مَالِهِ مُقِيمٌ! مَا هَذَا بِالنَّصَفِ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَا أَدْخُلُ عَرِيشَ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا حَتَّى أَلْحَقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَيِّئَا زَادًا. فَفَعَلَتَا، ثُمَّ قَدَّمَ نَاضِحَهُ فَارْتَحَلَهُ، ثُمَّ خَرَجَ فِي طَلَبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَدْرَكَهُ حِينَ نَزَلَ تَبُوكَ وَقَدْ كَانَ أَدْرَكَ أَبَا خَيْثَمَةَ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ الْجُمَحِيُّ فِي الطَّرِيقِ يَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَرَافَقَا، حَتَّى إِذَا دَنَوْا مِنْ تَبُوكَ قَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ لِعُمَيْرِ بْنِ وَهْبٍ: إِنَّ لِي ذَنْبًا فَلَا عَلَيْكَ أَنْ تَخَلَّفَ عَنِّي حَتَّى آتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَفَعَلَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ النَّاسُ: هَذَا رَاكِبٌ عَلَى الطَّرِيقِ مُقْبِلٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُنْ أَبَا خَيْثَمَةَ ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ وَاللَّهِ أَبُو خَيْثَمَةَ. فَلَمَّا بَلَغَ أَقْبَلَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: " أَوْلَى لَكَ يَا أَبَا خَيْثَمَةَ! ". ثُمَّ أَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَبَرَ، فَقَالَ خَيْرًا، وَدَعَا لَهُ بِخَيْرٍ» . وَقَدْ ذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قِصَّةَ أَبِي خَيْثَمَةَ بِنَحْوٍ مِنْ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَأَبْسَطَ، وَذِكَرَ أَنَّ خُرُوجَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى تَبُوكَ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৬
كَانَ فِي زَمَنِ الْخَرِيفِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَقَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ، وَاسْمُهُ مَالِكُ بْنُ قَيْسٍ، فِي ذَلِكَ: لَمَّا رَأَيْتُ النَّاسَ فِي الدِّينِ نَافَقُوا ... أَتَيْتُ الَّتِي كَانَتْ أَعَفَّ وَأَكْرَمَا وَبَايَعْتُ بِالْيُمْنَى يَدِي لِمُحَمَّدٍ ... فَلَمْ أَكْتَسِبْ إِثْمًا وَلَمْ أَغْشَ مُحَرَّمَا تَرَكْتُ خَضِيبًا فِي الْعَرِيشِ وَصِرْمَةً ... صَفَايَا كِرَامًا بُسْرُهَا قَدْ تَحَمَّمَا وَكُنْتُ إِذَا شَكَّ الْمُنَافِقُ أَسْمَحَتْ ... إِلَى الدِّينِ نَفْسِي شَطْرَهُ حَيْثُ يَمَّمَا قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ جَعَلَ لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَتَخَلَّفُ، فَيَقُولُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَخَلَّفَ فُلَانٌ. فَيَقُولُ: " دَعُوهُ، إِنْ يَكُ فِيهِ خَيْرٌ فَسَيُلْحِقُهُ اللَّهُ بِكُمْ، وَإِنْ يَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَقَدْ أَرَاحَكُمُ اللَّهُ مِنْهُ ". حَتَّى قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَخَلَّفَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبْطَأَ بِهِ بَعِيرُهُ. فَقَالَ: " دَعُوهُ، إِنْ يَكُ فِيهِ خَيْرٌ فَسَيُلْحِقُهُ اللَّهُ بِكُمْ، وَإِنْ يَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৭
أَرَاحَكُمُ اللَّهُ مِنْهُ ". فَتَلَوَّمَ أَبُو ذَرٍّ بَعِيرَهُ، فَلَمَّا أَبْطَأَ عَلَيْهِ أَخَذَ مَتَاعَهُ فَجَعَلَهُ عَلَى ظَهْرِهِ، ثُمَّ خَرَجَ يَتَّبِعُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاشِيًا، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ مَنَازِلِهِ، وَنَظَرَ نَاظِرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ مَاشٍ عَلَى الطَّرِيقِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُنْ أَبَا ذَرٍّ ". فَلَمَّا تَأَمَّلَهُ الْقَوْمُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ وَاللَّهِ أَبُو ذَرٍّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا ذَرٍّ يَمْشِي وَحْدَهُ، وَيَمُوتُ وَحْدَهُ، وَيُبْعَثُ وَحْدَهُ» . قَالَ: فَضَرَبَ الدَّهْرُ مِنْ ضَرْبِهِ، وَسُيِّرَ أَبُو ذَرٍّ إِلَى الرَّبَذَةِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى امْرَأَتَهُ وَغُلَامَهُ فَقَالَ: إِذَا مِتُّ فَاغْسِلَانِي وَكَفِّنَانِي مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ ضَعَانِي عَلَى قَارِعَةِ الطَّرِيقِ، فَأَوَّلُ رَكْبٍ يَمُرُّونَ بِكُمْ فَقُولُوا: هَذَا أَبُو ذَرٍّ. فَلَمَّا مَاتَ فَعَلُوا بِهِ كَذَلِكَ، فَاطَّلَعَ رَكْبٌ، فَمَا عَلِمُوا بِهِ حَتَّى كَادَتْ رِكَابُهُمْ تَطَأُ سَرِيرَهُ، فَإِذَا ابْنُ مَسْعُودٍ فِي رَهْطٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: جِنَازَةُ أَبِي ذَرٍّ. فَاسْتَهَلَّ ابْنُ مَسْعُودٍ يَبْكِي، وَقَالَ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا ذَرٍّ يَمْشِي وَحْدَهُ، وَيَمُوتُ وَحْدَهُ، وَيُبْعَثُ وَحْدَهُ» . فَنَزَلَ فَوَلِيَهُ بِنَفْسِهِ حَتَّى أَجَنَّهُ. إِسْنَادُهُ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৮


পাত্রই র্তীরা ভরে ফেললেন ৷ এছাড়া র্তীরা যখন তৃপ্তি ভরে খাওয়ার পরও কিছু বেচে রইল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ
নেই; এবং আমি অবশেই আল্পাহ্র রসুল দ্বিধাহীনভড়াবে যে কেউ এ বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর
সাথে মিলিত হবে ভীকে জান্নড়াতে প্ৰবেশে বাধা দেওয়া হবে না ৷ ’

ইমাম মুসলিম (র) এ হাদীসখানি আবু কুরায়ব (র) আমাশ (র) সুত্রে উল্লেখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) হড়াদীসখানি আবু হুরায়রা (বা) থেকে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তবে এ রিওয়ায়াতে তিনি তড়াবুক’ নামটি উল্লেখ না করে বলেছেন “রাসুলুল্লাহ
(সা) স্বয়ং অংশ গ্রহণ করেছিলেন এমন কোন যুদ্ধে এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷

তাবুক অভিযান কালে রাসুলুল্লাহ (সা) এর হিজর এলাকায় অবস্থিত ছামুদ
জাতির আবাসস্থল অতিক্রম করার কথা

ইব ন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) হিজর অতিক্রমকালে সেখানে অবতরণ
করলেন ৷ লোকজন সেখানকার কুয়াে থেকে পানি ভুললেন ৷ বিকেল হলে রাসুলুল্লাহ (না)
বললেন, এ কুয়োর পানি তোমরা এতটুকুও পান করবে না, তা দিয়ে সালারুতর জন্য উযুও
করবে না ৷ আর তা দিয়ে রুটি তৈরীর যে আটা মড়াখিয়েছ তা উটকে খাইয়ে দাও ৷ €তড়ামরা
নিজেরা তার কিছুই খাবে না ৷” ইবন ইসহাক (র) এ বিবরণটি সনদ বিহীনভাবে এভাবে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ আর ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন, ইয়ামুর ইবন বিশর (র) আবদুল্লাহ ইবন উমার
(রা) থেকে র্বণনা করেন যে, হিজর অতিক্রমকালে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “যারা নিজেদের
উপর জুলুম অনাচার করেছিল, তাদের বাসস্থানে তোমরা কান্নারত অবস্থা ব্যতিরেকে প্রবেশ
কর না এ অড়াশংকায় যে, যে দুর্দশা তাদেরকে পেয়ে বলেছিল, তা তােমাদেরকেও যেন
পাের না বলে ৷ ”তিনি নিজে হড়াওদড়ায় থেকেই চাদরে চেহারা ঢেকে নিলেন ৷ বৃখারী (র)ও
হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম মালিক (র) ইবন উমার
(রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) তার সংপীদের বললেন, “কড়ান্নড়ারত
হওয়া ব্যতীত এ আযাবে নিপতিতদের মাঝে প্রবেশ কর না; আর কান্নারত হতে না পারলে
ওদের এলাকায় প্রবেশই কর না এ আশংকায় যে, যে বিপদ তাদের উপর পতিত হয়েছিল
তা তোমাদের উপরও যেন পতিত না হয় ৷ বৃখারী (র) এ হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে ইমাম
মালিক ও সুলায়মান ইবন বিলাল (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) অন্য একটি
সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে সকলের রিওয়ায়ড়াতই আব্দুল্লাহ ইবন দীনার (র)
সুত্রে বর্ণিত ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ (র) ইবন উমার (রা) সুত্রে বলেন, তাবুক
অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের নিয়ে হিজার ছামুদের পরিত্যক্ত বাড়ি ঘরের কাছে অবস্থান
নিলেন ৷ ছামুদ জাতি যে সব কুয়াের পানি ব্যবহার করতো লোকজন সেগুলি থেকে পানি তুলে
আটা মাখড়াল এবং উনানে গোশতের হাড়ি চড়াল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) হাড়িগুলো উলটিয়ে
ফেলে দেওয়ার হুকুম দিলেন এবং মাখড়ান আটা উট পালকে খাইয়ে দেওয়ার হুকুম দিলেন ৷


مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ} [التوبة: 117] (التَّوْبَةِ: 117) . قَالَ: خَرَجُوا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ الرَّجُلَانِ وَالثَّلَاثَةُ عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، وَخَرَجُوا فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، فَأَصَابَهُمْ فِي يَوْمٍ عَطَشٌ حَتَّى جَعَلُوا يَنْحَرُونَ إِبِلَهُمْ لِيَعْصِرُوا أَكْرَاشَهَا وَيَشْرَبُوا مَاءَهَا، فَكَانَ ذَلِكَ عُسْرَةً فِي الْمَاءِ وَعُسْرَةً فِي النَّفَقَةِ وَعُسْرَةً فِي الظَّهْرِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: حَدِّثْنَا عَنْ شَأْنِ سَاعَةِ الْعُسْرَةِ. فَقَالَ عُمَرُ: خَرَجْنَا إِلَى تَبُوكَ فِي قَيْظٍ شَدِيدٍ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا وَأَصَابَنَا فِيهِ عَطَشٌ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّ رِقَابَنَا سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَذْهَبُ فَيَلْتَمِسُ الرَّحْلَ فَلَا يَرْجِعُ حَتَّى يَظُنَّ أَنَّ رَقَبَتَهُ سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْحَرُ بَعِيرَهُ فَيَعْتَصِرُ فَرْثَهُ فَيَشْرَبُهُ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ عَلَى كَبِدِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَا رَسُولَ اللَّهِ «، إِنَّ اللَّهَ قَدْ عَوَّدَكَ فِي الدُّعَاءِ خَيْرًا، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَقَالَ: " أَتُحِبُّ ذَلِكَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ نَحْوَ السَّمَاءِ، فَلَمْ يُرْجِعْهُمَا حَتَّى قَالَتِ السَّمَاءَ، فَأَظَلَّتْ ثُمَّ سَكَبَتْ، فَمَلَئُوا مَا مَعَهُمْ، ثُمَّ ذَهَبْنَا نَنْظُرُ فَلَمْ نَجِدْهَا جَاوَزَتِ الْعَسْكَرَ» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৯
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ قَوْمِهِ أَنَّ هَذِهِ الْقَضِيَّةَ كَانَتْ وَهُمْ بِالْحِجْرِ، وَأَنَّهُمْ قَالُوا لِرَجُلٍ مَعَهُمْ مُنَافِقٌ: وَيْحَكَ! هَلْ بَعْدَ هَذَا مِنْ شَيْءٍ؟ ! فَقَالَ سَحَابَةٌ مَارَّةٌ. وَذَكَرَ أَنَّ نَاقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَلَّتْ، فَذَهَبُوا فِي طَلَبِهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَارَةَ بْنِ حَزْمٍ الْأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ عِنْدَهُ -: إِنَّ رَجُلًا قَالَ: هَذَا مُحَمَّدٌ يُخْبِرُكُمْ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَيُخْبِرُكُمْ خَبَرَ السَّمَاءِ وَهُوَ لَا يَدْرِي أَيْنَ نَاقَتُهُ. وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ، وَقَدْ دَلَّنِي اللَّهُ عَلَيْهَا، هِيَ فِي الْوَادِي قَدْ حَبَسَتْهَا شَجَرَةٌ بِزِمَامِهَا ". فَانْطَلَقُوا فَجَاءُوا بِهَا فَرَجَعَ عُمَارَةُ إِلَى رَحْلِهِ، فَحَدَّثَهُمْ عَمَّا جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَبَرِ الرَّجُلِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ فِي رَحْلِ عُمَارَةَ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ زَيْدُ بْنُ اللُّصَيْتِ وَكَانَ فِي رَحْلِ عُمَارَةَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ، فَأَقْبَلَ عُمَارَةُ عَلَى زَيْدٍ يَجَأُ فِي عُنُقِهِ وَيَقُولُ: إِنَّ فِي رَحْلِي لَدَاهِيَةً وَأَنَا لَا أَدْرِي، اخْرُجْ عَنِّي يَا عَدُوَّ اللَّهِ، فَلَا تَصْحَبْنِي. فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: إِنَّ زَيْدًا تَابَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَزَلْ مُصِرًّا حَتَّى هَلَكَ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَيْنَا مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ شَبِيهًا بِقِصَّةِ الرَّاحِلَةِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৬৩০
مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - شَكَّ الْأَعْمَشُ - قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَنَنْحَرُ نَوَاضِحَنَا، فَأَكَلْنَا وَادَّهَنَّا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " افْعَلُوا ". فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ، وَلَكِنِ ادْعُهُمْ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ، وَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ فِيهَا بِالْبَرَكَةِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ فِيهَا الْبَرَكَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". فَدَعَا بِنِطَعٍ فَبَسَطَهُ، ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِكَفِّ ذُرَةٍ، وَيَجِيءُ الْآخَرُ بِكَفٍّ مِنَ التَّمْرِ، وَيَجِيءُ الْآخَرُ بِكِسْرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النِّطَعِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ يَسِيرٌ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَرَكَةِ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: " خُذُوا فِي أَوْعِيَتِكُمْ ". فَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ حَتَّى مَا تَرَكُوا فِي الْعَسْكَرِ وِعَاءً إِلَّا مَلَئُوهُ وَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، وَفَضَلَتْ فَضْلَةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لَا يَلْقَى اللَّهَ بِهَا عَبْدٌ غَيْرُ شَاكٍّ فَيُحْجَبُ عَنِ الْجَنَّةِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبَى كُرَيْبٍ عَنْ أَبَى مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَلَمْ يَذْكُرْ غَزْوَةَ تَبُوكَ بَلْ قَالَ: كَانَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا.