আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة تبوك

فصل في من تخلف معذورا من البكائين وغيرهم

পৃষ্ঠা - ৩৬১৮
মোঃ জ্জান্দু৷ নিহাহৃৰুন্ংংং

ক্কা ম্পোষ্ল্দোম ৷ আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নড়াত , যার নিম্ন
ন্মো নদী বয়ে চলে, যেখানে তারা স্থায়ী হবে, এটাই মহা সাফল্য ৷ মরুবাসীদের মধ্যে কিছু
অজুহাত পেশ করতে আসলো ণ্লাকেরা যাতে করে অব্যাহতি পেতে পারে এবং যারা
আল্পাহ্কে, তার রাসুলকে মিথ্যা কথা বলেছিল তারা বসে রইল ৷ তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছে অচিরেই তাদের বেদনাদায়ক শান্তি হবে ৷ যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং বাবা ব্যয়
নির্বাহে অসমর্থ তাদের কোন অপরাধ নেই ৷ যদি তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অবিমিশ্র
অনুরাগী হয়, যারা সৎকর্যশীল তাদের বিরুদ্ধে কোন অতািবাগের হেতৃ নেই ৷ আল্লাহ
ক্ষমড়াশীল, পরম দয়াবান ৷ আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই বাবা বাহনের জন্য আসলে তুমি
তাদেরকে বলেছিলে, তােমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷’ তারা অ্যাং ভরা চোখে
ফিরে গেল এ দু৪থে যে, ব্যয় করার মত সামর্থ তাদের নেই ৷ অত্যিযাগের হেতৃ ভো রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে যারা ৰিত্তবান হওয়া সত্বেও তোমার কাছে অব্যাহতি ঢেয়েছে ৷ তারা অভ
পুররাসিনীদের সংগে থাকা পসন্দ করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাদের অন্তর সােহর করে দিয়েছিল, ফলে
তারা বুঝতে পারে না” (৯ : ৮৬-৯৩) ৷

আল্লাহর গোকর যে, তাফসীর গ্রন্থে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার আমি যথেষ্ট আলোচনা
করেছি ৷ এখানে উদ্দিষ্ট হচ্ছে, অশ্রুসিক্তদের কথা আলোচনা করা, যারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে এ বাসনা নিয়ে হাযির হয়েছিল যে, তিনি তাদেরকে বাহন দিবেন, যাতে করে তারা এ
যুদ্ধে তার সহযোগী হতে পারেন ৷ কিন্তু তারা তার কাছে আরোহণ যোগ্য বাহন না পেয়ে
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে এবং কিছু ব্যয় করতে না পারার আক্ষো:প র্কাদতে তাদতে
ফিরে গিয়েছিলেন ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, আনসারী ও অন্যদের সহ এদের সংখ্যা ছিল লাভ ও (১) আমর ইবন
আওফ গোত্রের সালিম ইবন উমায়র; (২) বনু হারিছার উলবা ইবন যায়দ; (৩) বনু মাযিন
ইবন নাজ্জারের আবু লায়লা আব্দুর রহমান ইবন কাব; (৪) বনু সালমড়ার আমর ইবন আল
হস্ফোম ইবনুল জামুহ; (৫) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুগাফকাল আল-মুযড়ানী তবে কারো কারো মতে
ইনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন হামর১ আল-ঘুযড়ানী; (৬) বনু ওয়াকিফ-এর হারামী ইবন আব্দুল
আনা ও (৭) ইরবায ইবন সারিরাঃ আল ফাযারী (বা) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, ইবন ইয়ামীন ইবন উমায়র ইবন
কাব আন-নাযড়ারী আবু লায়লা ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুগাফফালের সাথে দেখা করলেন ৷ তখন
তারা দুজন তাদছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের কান্নার কারণ কি? তারা বললেন, আমরা
বাহন লাভের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের বাহন
রুপে দিতে পারেন এমন কিছু তার কাছে পেলাম না ৷ আর আমাদের নিজেদের কাছেও তার
অভিযান সহগামী হওয়ার সামর্থ নেই ৷ তখন ইবন ইয়ামীন তাদের দৃ’জনকে তার একটি
পানিবাহী উট দিলেন, এবং পাথেয় স্বরুপ কিছু খুরমাও দিলেন ৷ তারা পালাক্রমে বাহনে চড়ার
নিরতে উটের পিঠে হাওদা চড়ালেন এবং নবী করীম (না)-এর সহগামী হলেন ৷



১ সম্ভবতঃ ছাপার ভুলে আমরকে হামর বলা হয়েছে ৷


خِطَامًا وَلَا عِقَالًا قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنٍ بِهِ. [فَصْلٌ فِي مَنْ تَخَلَّفَ مَعْذُورًا مِنَ الْبَكَّائِينَ وَغَيْرِهِمْ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ أَنْ آمِنُوا بِاللَّهِ وَجَاهِدُوا مَعَ رَسُولِهِ اسْتَأْذَنَكَ أُولُو الطَّوْلِ مِنْهُمْ وَقَالُوا ذَرْنَا نَكُنْ مَعَ الْقَاعِدِينَ - رَضُوا بِأَنْ يَكُونُوا مَعَ الْخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُونَ - لَكِنِ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ جَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَأُولَئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ - أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ - وَجَاءَ الْمُعَذِّرُونَ مِنَ الْأَعْرَابِ لِيُؤْذَنَ لَهُمْ وَقَعَدَ الَّذِينَ كَذَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ سَيُصِيبُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ - لَيْسَ عَلَى الضُّعَفَاءِ وَلَا عَلَى الْمَرْضَى وَلَا عَلَى الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنْفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِنْ سَبِيلٍ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ - وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ - إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ وَهُمْ أَغْنِيَاءُ رَضُوا بِأَنْ يَكُونُوا مَعَ الْخَوَالِفِ وَطَبَعَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ} [التوبة: 86 - 93] (التَّوْبَةِ: 86 - 93) قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِ هَذَا كُلِّهِ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬১৯

তোমার দাবী আমরা অবশ্যই পুরণ করছি ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, তখন আবু মুসা (বা) তাদের
কঃয়কজ্জাক নিয়ে সেই লোকদের কাছে গেলেন, যারা প্রথমে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর অস্বীকৃতি
ও পরে র্তার বাহনদানের প্রত্যক্ষদর্শী রুপে তার কথাবার্তা শ্যুনছিলেন ৷ তারা আবু মুসা (রা)-
এর সাথে আগত লোকদের কাছে তার বক্তব্যের অবিকল বক্তব্যই ব্যক্ত করে তার
সতবােদীতার সাক্ষ্য দিলেন ৷

বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে আবু কুরায়ব (র) সুত্রে আবু মুসা (বা) থেকে উক্ত হাদীসখানি
তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে গ্রহণ করেছেন ৷ আবু মুসা (বা) থেকে গৃহীত তাদের আর একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে-আবু মুসা (বা) বলেন, আশআরী গোত্রের একটি ছোট দল নিয়ে আমি
ৱাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে আসলাম ৷ উদ্দেশ্য, তিনি আমাদের বাহন দিবেন ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি তোমাদের বাহন দিব না ৷ আর আমার কাছে এমন কিছু £নইও
যা তোমাদের বাহনরুপে দিতে পারি ৷ আবু মুসা (বা) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর
কাছে গণীমত লব্ধ উট নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি আমাদের জন্য উজ্জ্বল সাদা কুজৰিশিষ্ট
ছয়টি উটের হুকুম দিনে আমরা সেগুলি গ্রহণ করলাম ৷ পরে আমরা বলাবলি করলাম যে,
আমরা হয়তো রাসুলুল্পাহ (না)-কে তার কসমের ব্যাপারে অমনােযোগী করে ফেলেছি ৷
আল্লাহর কলম! এভাবে আমরা (আমাদের বাহনে) বরকত পাব না ৷ তাই, তাকে কসমের
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা তার কাছে ফিরে গিয়ে বললাম, (আপনি তাে বাহন
না দেওয়ার কলম করেছিলেন) তিনি বললেন-

ঞষ্এ

আমি তো তোমাদের বাহন দেই নি; বরং আল্লাহ্ই তোমাদের বাহন দিয়েছেন ৷”
একটু পরেই বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি ইনশাআল্লাহ্ যখনই কোন কলম করি না
কেন, তার বিপরীত কাজটি তার চাইতে উত্তম প্ৰতিভাত হওয়া মাত্র সে উত্তম কাজটিই
আমি সম্পাদন করি এবং কসমের কাফফারা আদায় করে দেই ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন,
মুসলমানদের একদল লোকের নবী করীম (না)-এর দরবারে অনুপস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে
গিয়েছিল ৷ এমনকি তাবুক অভিযানে তারা রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে পশ্চাতেই রয়ে গিয়েছিল ৷
তবে তাদের মনে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন বনু সালিমা গোত্রের করি
তার ইবন মালিক ইবন আবু আর (না), বনু আমর ইবন আওফ গোত্রের যুরারা ইবন রাবী
(বা) , বনু ওয়াকিফ গোত্রের হিলাল ইবন উমাইয়া (না) ও বনু সালিম ইবন আওফ গোত্রের
আবু খায়ছামা (বা) ৷ এরা সকলেই ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও ইসলামের ব্যাপারে কপটতার
অতিযোগমুক্ত ৷

গ্রহকারেৱ মন্তব্য : এদের প্রথম তিন জনের ঘটনা একটু পরে বিশদতাবে বিবৃত হচ্ছে
এবং এ তিন জনের কথাই আল্লাহ্ পাক এ আয়াতে বর্ণনা করেছেন-

ঢুও


وَالْمَقْصُودُ ذِكْرُ الْبَكَّائِينَ الَّذِينَ جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَحْمِلَهُمْ، حَتَّى يَصْحَبُوهُ فِي غَزْوَتِهِ هَذِهِ، فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهُ مِنِ الظَّهْرِ مَا يَحْمِلُهُمْ عَلَيْهِ، فَرَجَعُوا وَهُمْ يَبْكُونَ ; تَأَسُّفًا عَلَى مَا فَاتَهُمْ مِنِ الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالنَّفَقَةِ فِيهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانُوا سَبْعَةَ نَفَرٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَغَيْرِهِمْ ; فَمِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ سَالِمُ بْنُ عُمَيْرٍ وَعُلْبَةُ بْنُ زَيْدٍ أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، وَأَبُو لَيْلَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ كَعْبٍ أَخُو بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ، وَعَمْرُو بْنُ الْحُمَامِ بْنِ الْجَمُوحِ أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغَفَّلِ الْمُزَنِيُّ وَبَعْضُ النَّاسِ يَقُولُونَ: بَلْ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الْمُزَنِيُّ. وَهَرَمِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَخُو بَنِي وَاقِفٍ، وَعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ الْفَزَارِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَلَغَنِي أَنَّ ابْنَ يَامِينَ بْنَ عُمَيْرِ بْنِ كَعْبٍ النَّضَرِيَّ لَقِيَ أَبَا لَيْلَى وَعَبْدَ اللَّهَ بْنَ مُغَفَّلٍ وَهُمَا يَبْكِيَانِ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكُمَا؟ قَالَا: جِئْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَحْمِلَنَا، فَلَمْ نَجِدْ عِنْدَهُ مَا يَحْمِلُنَا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نَتَقَوَّى بِهِ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ. فَأَعْطَاهُمَا نَاضِحًا لَهُ فَارْتَحَلَاهُ، وَزَوَّدَهُمَا شَيْئًا مِنْ تَمْرٍ، فَخَرَجَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. زَادَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَمَّا عُلْبَةُ بْنُ زَيْدٍ فَخَرَجَ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّى مِنْ لَيْلَتِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ بَكَى وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَمَرْتَ بِالْجِهَادِ وَرَغَّبْتَ فِيهِ، ثُمَّ لَمْ تَجْعَلْ عِنْدِي مَا أَتَقَوَّى بِهِ، وَلَمْ تَجْعَلْ فِي يَدِ رَسُولِكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَحْمِلُنِي عَلَيْهِ، وَإِنِّي أَتَصَدَّقُ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ بِكُلِّ مَظْلَمَةٍ أَصَابَنِي فِيهَا ; فِي مَالٍ أَوْ جَسَدٍ أَوْ عِرْضٍ. ثُمَّ أَصْبَحَ مَعَ النَّاسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৬২০

বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে শুবা (র) সুত্রে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কড়াস (বা) থেকে এ
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) তার যুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন,
শুবা (র)সাদ ইবন আবু ওয়ড়াককাস থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাবুক
অভিযান কালে বাসুলুল্লাহ (সা) আলী (বা)-কে মদীনায় রেখে যেতে চাইলে তিনি বললেন, ইয়া
বাসুলাল্লাহ! আমাকে নারী ও শিশুদের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন-

তুমি কি আমার সাথে এমনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া পসন্দ কর না, যেভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন
হারুন (আ) মুসা (আ) এর সাথে ? তবে কি না, আমার পরে আর কোন নবী নেই ৷ ’ বৃখারী ও
মুসলিম (র) ও শুবা (র) থেকে বিভিন্ন সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া
বুখারী (র) এ হাদীসটি শুবা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমাদ (র) বলেন, কুতারবা ইব;ন সাঈদ (র) সাদ সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আলী (বা) কে লক্ষ্য করে বাসুলুল্লাহ (সা) কে আমি বলতে ওদ্ভনছি, যখন তিনি তার
কোন যুদ্ধাতিযড়ানে পমনকালে আলী (বা)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন তখন আলী (বা)
বলেছিলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ৷ আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের সাথে পশ্চাতে রেখে যাচ্ছেন ?
তিনি ইরশাদ করলেন

“আলী! তুমি কি আমার তুলনায় তেমন মর্যাদার হওয়া পসন্দ কর না, যেমন মর্যাদা ছিল
মুসা (আ) এর তুলনায় হারুন (আ)-এর ৷ তবে, আমার পরে আর কোন নবী নেই কিন্তু ৷”

মুসলিম ও তিরমিষী (র) ও কুতায়বা (র) থেকে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবার
মুসলিম ও মুহাম্মদ ইবন আব্বাস (র)শ্ষ্এবা উভরে হাতিম ইবন ইসমড়াঈল (র) থেকে বর্ধিত
আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিয়ী (র) মন্তব্য করেছেন এ বর্ণনা সুত্রে হদীসখানি
হসােনণ্গায়ীব’-(এককসুত্রে বর্ণিত উত্তম হাদীস) ৷

আবু খায়সামা (বা) প্রসংগ : ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর সফর
আরম্ভ করার বেশ কিছু দিন পরে এক প্রচণ্ড পরমের দিনে আবু খড়ায়সামা (বা) তার পরিবার
পরিজনের মধ্যে ফিরে আসলেন ৷ তিনি দেখলেন যে, তার দেয়াল ঘেবা বাগান-বাড়িতে তার দু
শ্রী দুটি তাবুতে প্রভীক্ষারত ৷ তারা প্রত্যেকে আপন আপন তাবুতে পানি ছিটিয়ে স্নিগ্ধ করেছেন
এবং স্বামীর জন্য ঠাণ্ডা পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন ৷ বাড়িতে ঢুকে তারা দরজায়
দাড়িয়ে, তিনি তাদের উভয়কে দেখলেন এবং তার জন্য তাদের ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে
বললেন, বাসুলুল্লাহ (সা) মরুর লু হাওয়ার ঝাপটা ও প্রখর তাপের মাঝে রয়েছেন ৷ আর
আবু খড়ায়সামা স্নিগ্ধ ছড়ায়ায় টটকা খাবার ও সুন্দরী ত্রীর জড়াচলে তার ৰিত্ত ভৈবভবের মধ্যে
অবস্থান করবে এটা ইনসাফের ব্যাপার হতে পারে না ৷ আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের
কারো তাবৃতেই প্রবেশ করছি না ৷

যতক্ষণ না আল্লাহ্র রাসুল (সা)এর সাথে মিলিত হচ্ছি ৷ তোমরা আমার জন্য পাথেয়র
ব্যবস্থা করে দাও ৷ ’ তারা তা করে দিলে আবু খায়সামা (বা) তার উট নিয়ে এসে তার পিঠে
হাওদা বসালেন এবং বাসুলুল্লাহ (সা) এর অনুপমন করে দ্রুত পথ অতিক্রম করে তার তাবুতে
উপণীত হওয়ার প্রাক্কালে তার সাথে মিলিত হলেন ৷ পথে আবু খড়ায়ছামা (বা)-এর সাথে


الْمُتَصَدِّقُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ؟ " فَلَمْ يَقُمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَ: " أَيْنَ الْمُتَصَدِّقُ؟ فَلْيَقُمْ ". فَقَامَ إِلَيْهِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَبْشِرْ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ كُتِبْتَ فِي الزَّكَاةِ الْمُتَقَبَّلَةِ» ". وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا حَدِيثَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحَارِثِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «أَرْسَلَنِي أَصْحَابِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ لَهُمُ الْحُمْلَانَ، إِذْ هُمْ مَعَهُ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ، وَهُوَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ أَصْحَابِي أَرْسَلُونِي إِلَيْكَ لِتَحْمِلَهُمْ. فَقَالَ: " وَاللَّهِ لَا أَحْمِلُكُمْ عَلَى شَيْءٍ ". وَوَافَقْتُهُ وَهُوَ غَضْبَانُ وَلَا أَشْعُرُ، فَرَجَعْتُ حَزِينًا مِنْ مَنْعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ مَخَافَةِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي فَأَخْبَرْتُهُمْ بِالَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ أَلْبَثْ إِلَّا سُوَيْعَةً إِذْ سَمِعْتُ بِلَالًا يُنَادِي: أَيْنَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ؟ فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ: أَجِبْ، رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوكَ. فَلَمَّا أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " خُذْ هَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ ". لِسِتَّةِ أَبْعِرَةٍ ابْتَاعَهُنَّ حِينَئِذٍ مِنْ سَعْدٍ فَقَالَ: " انْطَلِقْ بِهِنَّ إِلَى أَصْحَابِكَ، فَقُلْ:
পৃষ্ঠা - ৩৬২১


পশ্চড়াদবর্তীদের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মন্তব্য প্রসৎগ

ইউনুস ইবন বুকায়র (র)আবদুল্লাহ ইবন মড়াসউদ (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) তাবৃক অভিযানে রওয়ানা হলে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন অযুহাতে পেছনে থেকে যেতে
লাগল ৷ এদের কারো বিষয় সাহাবীগণ বলতেন, ইরা রাসুলাল্লাহ ! অমুক পিছনে রয়ে গিয়েছে ৷
তিনি বলতেন, ৫ছড়ে দাও তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকলে অচিরেই আল্লাহ তাকে
তোমাদের সাথে মিলিত করবেন; আর অন্য কিছু হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের
নিরাপদ করেছেন ৷” এক সময় বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আবুযর (রা) পিছনে রয়ে গিয়েছেন,
তার উট তাকে দেরী করিয়ে দিয়েছে ৷ তিনি জর সম্বন্ধেও একই কথা বললেন-“ছেড়ে দাও !
র্তার মাঝে কোন কল্যাণ থেকে থাকলে অচিরেই আল্লাহ্ জকে তোমাদের সাথে মিলিত
করবেন; আর অন্য রকম হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের নিরাপদ করেছেন ৷

এ দিকে আবুযর (বা) তার মন্থর গতি উটকে পালাগালি করলেন ৷ কিন্তু তাতেও তার
মহুরতা না কমলে তিনি নিজের আসরাবপত্র কাধে তুলে নিলেন এবং পায়ে হেটে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর অনুপমনে এগিয়ে চললেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) কোন মধ্যবর্তী মনযিলে অবস্থান
নিলেন ৷ তখন মুসলিম কাফেলার একজন পর্যবেক্ষক দুরে তাকিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
দুরের ঐ ল্যেকটি পায়ে হেটে পথ অতিক্রম করছে ৷ আল্লাহর কসম ! ৮ সে তো আবুযরই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, fi ন্হুধ্ (ন্ও এ যেন আবুযর হয় ৷ লোকেরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পথিককে
পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ৷ আল্লাহর কসম ! সে তো আবুযরই ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন-


আল্লাহ্ আবুযরকে রহম করুন ৷ সে একাকী চলছে, একাকী মৃতুবরণ করবে আর একাকী
পুনরুথিত হবে ৷

এ প্রসংগে বংনািকারী বলেন, আবুযর (রা) থেটিড়া জীবন সেভাবেই কাটিয়েছিলেন ৷ তিনি
এক সময় রাবযায়১ নির্বাসিত হলেন ৷ তার মৃত্যু সমাপত হলে তিনি দ্রী ও গোলামকে বললেন,
আমার মৃত্যু হলে তোমরা দুজন রাতের বেলা আমাকে গোসল দেবে এবং কাফন পরিয়ে
আমার লাশ প্রধান সড়কের উপর রেখে দেবে এবং তোমাদের নিকট দিয়ে পমনকারী প্রথম
কাফেলাকে বলবে, ইনি আবুযর ৷ ’ যথা সময় তীর মৃত্যু হলে স্তী ও গোলাম মৃতের অত্তিম
অসিয়ত পালন করলেন ৷ তখন একটি কাফেলা দৃষ্টি গোচর হল ৷ তাদের অবপতির পুর্বেই
জদের বড়াহনওলো পথিমধ্যে রাখা জানাযা মাড়িয়ে যাওয়ার উপত্রুম করল ৷ দেখা গেল, ইবন
মাসউদ (রা) কুফাবাসীদের একটি কাকেলা নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন ৷ তিনি বললেন, কী
ব্যাপার ? তাকে বলা হল, এটা আবুযর (রা)-এর লাশ ৷ ইবন মাসউদ (রা) চিৎকার করে
কেদে উঠলেন এবং বললেন, “আল্লাহর রাসুল (সা) সত্যই বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ আবুযরকে



১ রাবড়াযা (ডট্টহুা) মদীনা থেকে কিছু দুরে একটি নির্জন স্থানের নাম ৷


إِنَّ اللَّهَ - أَوْ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلَاءِ فَارْكَبُوهُمْ ". فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلَاءِ، وَلَكِنْ وَاللَّهِ لَا أَدَعُكُمْ حَتَّى يَنْطَلِقَ مَعِي بَعْضُكُمْ إِلَى مَنْ سَمِعَ مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَأَلْتُهُ لَكُمْ، وَمَنْعَهُ لِي فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ، ثُمَّ إِعْطَاءَهُ إِيَّايَ بَعْدَ ذَلِكَ، لَا تَظُنُّوا أَنِّي حَدَّثْتُكُمْ شَيْئًا لَمْ يَقُلْهُ. فَقَالُوا لِي: وَاللَّهِ إِنَّكَ عِنْدَنَا لَمُصَدَّقٌ وَلَنَفْعَلَنَّ مَا أَحْبَبْتَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو مُوسَى بِنَفَرٍ مِنْهُمْ، حَتَّى أَتَوُا الَّذِينَ سَمِعُوا مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَنْعِهِ إِيَّاهُمْ، ثُمَّ إِعْطَائِهِ بَعْدُ، فَحَدَّثُوهُمْ بِمَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَبُو مُوسَى سَوَاءً» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنَ الْأَشْعَرِيِّينَ لِيَحْمِلَنَا، فَقَالَ: " وَاللَّهِ مَا أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ ". قَالَ ثُمَّ جِيءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَأَمَرَ لَنَا بِسِتِّ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَأَخَذْنَاهَا، ثُمَّ قُلْنَا: تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينَهُ وَاللَّهِ لَا يُبَارَكُ لَنَا. فَرَجَعْنَا لَهُ فَقَالَ: " مَا أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنِّي وَاللَّهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا أَحْلِفُ