আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

خروج النبي صلى الله عليه وسلم بأصحابه في أثر أبي سفيان

পৃষ্ঠা - ২৭৩৫

কান্নাকাটি করছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : কিন্তু হামযার জন্যে কোন ক্রন্দনকারী নেই ৷ তিনি
হাময৷ (রা)এর জন্যে ইসৃতিগফারও করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর এই বক্তব্য শুনেছিলেন
হযরত সাদ ইবন ঘুআয, সাদ ইবন উবাদা, মুআয ইবন জাবাল এবং আবদ্যু;া৷হ্ ইবন রাওয়াহ৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একথা শুনে তারা নিজেদের মহল্লায় যান এবং মদীনায় সকল ক্রন্দনকারী
মহিলাকে একত্রিত করেন ৷ তারা মহিলাদেরকে বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা হামযা
(রা)এর জন্যে না কেদে তোমরা কোন শহীদের জন্যে র্কাদভ্রুব না ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন যে, মদীনায় হামযার জন্যে কাদার কেউ নেই ৷ ঐতিহাসিকদের ধারণা যে, ক্রন্দনকারী
মহিলাদেরকে একত্রিত করেছিলেন আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহ৷ ৷ হযরা১ হাময৷ (রা ) এর জন্যে যখন
মহিলাগণ কান্নাকাটি করছিলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ব্যপার কী ? আনসারগণ তাদের
মহিলাদেরকে একত্রিত করেছেন বলে তাকে জানানো হল ৷ তিনি আনসারদের জন্যে ইসতিগফার
করলেন এবং তাদের প্রশংসা করলেন ৷ তারপর তিনি বলাম্পো, আমি মুলত কথাটি এ উদ্দেশ্যে
বলিনি, আর আমি এরুপ কান্নাকাটি পসন্দ করি না ৷ বন্তুত তিনি এরুপ কান্নাকাটি নিষিদ্ধ করে
দিলেন ৷ ইবন লাহ্ইয়াহ্ আবুল আসওয়াদ সুত্রে উরওয়াহ্ ইবন যুবায়র থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন

মুসা ইবন উকবা বলেন, মুসলমানদের কান্নাকাটি ও শোক প্রকাশের এ সময়ে মুনাফিকরা
নানা ষড়যগ্রে লিপ্ত হয় ৷ তারা মুসলমানদের দুঃখ ও হতাশা বৃদ্ধি এবং তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে জোর প্রচেষ্টা চালায় ৷ এ সময়ে ইয়াহ্রদীদের বিশ্বাসঘাতকতা ও শত্রুতা
প্রকাশ্য রুপ নেয় ৷ মুনাফিকদের অপপ্ৰচার ও উত্তেজনা সৃষ্টির ফলে মদীনা ফুটম্ভ কড়াইয়ের ন্যায়
টগবগ করতে থাকে ৷ ইয়াহুদীরা বলছিল যে, মুহাম্মাদ যদি নবী হতেন তবে শক্রপক্ষ তার উপর
জয়ী হতে পারতনা এবং তিনি এভাবে যখমপ্রাপ্ত ও বিপদ্যাস্ত হতেন না ৷ বরং তিনি ক্ষমতালোভী
(নাউযুৰিল্লাহ্) ৷ সকল ক্ষমতা করায়ত্ত করাই তার উদ্দেশ্য ৷ মুনাফিকর৷ ইয়াহুদীদের মত
উস্কানিমুলক প্রচারণা চালাচ্ছিল ৷ তারা মুসলমানদেৱকে বলতে লাগল যে , তোমরা যদি আমাদের
অনুসরণ করে ফিরে আসতে তবে এই বিপদেৱ সম্মুখীন হতেনা ৷ এ প্রেক্ষাপটে অনুগত
মুসলমানদের আনুগত্যের প্রশংসা, মুনাফিকদের অপকর্মের বিবরণ এবং শহীদ মুসলমানদের প্ৰতি

সাম্ভনা স্বরুপ আল্লাহ্ তা জানা এ আয়াত নাযিল করলেন : ;,,; এ্া ৷ ;,প্রু ন্ৰু,ছুছু ১া ,

ষ্ ,

৷ স্মরণ করুন ৷ যখন আপনি আপনার
পরিজনবশ্চেরি নিকট থেকে প্ৰ৩ ত্যুষে বের হয়ে যুদ্ধের জন্যে মু’মিনদেরকে ঘাটিতে স্থাপন
করছিলেন ৷ এবং আল্লাহ্ সর্বগ্রোতা, সর্বজ্ঞ (৩ আলে-ইমরান : ১ ২১) ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমরা এ
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

আহত হওয়া সত্বেও রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) ও সাহাবাগণের আবু সুফিয়ানের
পশ্চাদ্ধাবন

উহুদ যুদ্ধের বর্ণনা এবং সেখান থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মদীনায় প্রত্যাবর্তনের বিবরণ


[خُرُوجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ فِي أَثَرِ أَبِي سُفْيَانَ] ذِكْرُ خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ عَلَى مَا بِهِمْ مِنَ الْقُرْحِ وَالْجِرَاحِ، فِي أَثَرِ أَبِي سُفْيَانَ ; إِرْهَابًا لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ حَتَّى بَلَغَ حَمْرَاءَ الْأَسَدِ وَهِيَ عَلَى ثَمَانِيَةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ بَعْدَ اقْتِصَاصِهِ وَقْعَةَ أُحُدٍ وَذِكْرِهِ رُجُوعَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى الْمَدِينَةِ: وَقَدِمَ رَجُلٌ مِنَ أَهْلِ مَكَّةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ وَأَصْحَابِهِ، فَقَالَ: نَازَلْتُهُمْ فَسَمِعَتْهُمْ يَتَلَاوَمُونَ ; يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: لَمْ تَصْنَعُوا شَيْئًا ; أَصَبْتُمْ شَوْكَةَ الْقَوْمِ وَحْدَهُمْ، ثُمَّ تَرَكْتُمُوهُمْ، وَلَمْ تَبْتُرُوهُمْ، فَقَدْ بَقِيَ مِنْهُمْ رُءُوسٌ يَجْمَعُونَ لَكُمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ وَبِهِمْ أَشَدُّ الْقَرْحِ، بِطَلَبِ الْعَدُوِّ ; لِيَسْمَعُوا بِذَلِكَ، وَقَالَ: لَا يَنْطَلِقَنَّ مَعِي إِلَّا مَنْ شَهِدَ الْقِتَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ أَنَا: رَاكِبٌ مَعَكَ. فَقَالَ: لَا، فَاسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ عَلَى الَّذِي بِهِمْ مِنَ الْبَلَاءِ، فَانْطَلَقُوا