আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

ذكر الصلاة على حمزة وقتلى أحد

পৃষ্ঠা - ২৭১৭

কষ্টকর ছিল বিধায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ অনুমতি ৩দিয়েছিলেন ৷ দুজনের মধ্যে যার কুরআন জানা ছিল
বেশী তাকে সম্মুখে রেখে অন্যজনকে পেছনে রেখেছেন ৷ সাধারণতঃ পরস্পর সহচর ও সাথী
ছিলেন এমন দুজন দুজন করে এক কবরে দাফন করেছিলেন ৷ যেমন হযরত জাবিরের পিতা
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন হারাম এবং আমর ইবন জামুহ এই দৃ’জনৰ্;ক এক কবরে রাখেন ৷
কারণ, তারা দৃজনে পরস্পর বন্ধু ছিলেন ৷ শহীদদেরকে গোসল দেয়৷ ন্ য়নিঃ ৷ বরং তাদের জখমও
রক্তসহ তাদেরকে দাফন করা হয় ৷ এ প্রসং গে ইবন ইসহাক যুহরী ন্যুত্র আবদুল্লাহ ইবন ছা লাবা
ইবন শু আয়র থেকে বর্ণনা করেছেন যে উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (স ) শন্ হীদদেরকে দাফন করে
ফিরে এসে বললেন, আমি ওদের পক্ষে সাক্ষী রইলাম ৷ যারাই গ্রাংণ্প্লো র প্ণ্থে আহত হয় আল্লর্বা ধ্ছু

তা আলা কিয়ামত দিবসে৩ ড়াদেরকে উপন্থি ত করবেন এ অবস্থায় যে ত্যা দর ক্ষ স্থুানন্ত্র ৷’থকে রক্ত
ঝরতে থাকবে ৷ ওই রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়; কিন্তু ঘ্রাণ হা ষ্ মিশ্কের ন্যায় ৷ মুসা ইবন
ইয়াসার শুনেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রা)-কে তিনি বলছিলেন যে , আবুল কাসিম (সা ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে আহত হয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন অবস্থার
পুনরুজ্জীতি করবেন যে , তার ক্ষতন্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকবে ৷ রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়
কিন্তু তার ঘাণ হবে মিশকের ন্যায় ৷ এই হাদীছ অন্য সনদেও সহীহ্ বুখড়ারী এবং সহীহ্ মুসলিমে
উদ্ধৃত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন আসিম শ্ণ্ ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ দিবসে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন শহীদদের দেহ থেকে
লোহা ও চামড়া জাতীয় সব বস্তু খুলে নেয়া হয় ৷ তিনি বলেছিলেন, ওদেরকে রক্ত ও পরনের জামা
কাপড় সহ দাফন করে দাও ! আবু দাউদ ও ইবন মাজা (র) এটি আলী ইবন আসিম থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ তার সুনান-ই-আবু দাউদ গ্রন্থে বলেছেন , কা“নবী হিশাম
ইবন আমির থেকে সুত্রে বলেন, উহুদ দিবসে আনসারগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
হয়ে বললেন, আমরা তাে এখন আহত এবং ক্লান্ত, এখন আমাদেরকে কী নির্দেশ দেবেন?
রাসৃল্লুল্লাহ্ (সা) বলরু ন্ষ্ , সবইি মিলে কবর খনন কর! কবর খনন করবে বড়বড় ও প্রশস্ত করে ৷
তারপর দৃ-তিনজন করে এক কবরে দাফন করে দাও ৷ তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কাকে
সামনে র ৷খরৰু তিনি বললেন, যার কুরআন বেশী জানা আছে ৷ ইমাম আবু দাউদ এই হাদীছ ছাদরী
হিশাম ইবন আমির সুত্রেও উল্লেখ করেছেন ৷ সেই বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
( সহ ) বলেছেন তোমরা কবর খনন করবে গভীর করে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, কতক মুসলমান
তাদের আত্মীয় শহীদদের লাশ মদীনায় নিয়ে গিয়ে ওখানে দাফন করেছিলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্
(সা) তা থেকে বারণ করেছেন এবং বলেছেন, ওরা যেখানে শহীদ হয়েছে সেখানেই তাদেরকে
দাফন কর ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন ইসহাক জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
সুত্রে বলেছেন, আমার আব্বা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন ৷ আমার বোনেরা আমাকে পাঠিয়েছিল একটি
উট সহকারে এবং বলেছিল এই উট নিয়ে পিতার লাশের নিকট যাও এবং তাকে উঠিয়ে এনে
মদীনায় বানু সালিমা গোত্রের কবরন্থানে দাফন কর ৷ হযরত জাৰির বলেন, আমার কয়েকজন
সাখী নিয়ে আমি আমার পিতার লাশেব নিকট আসি ৷ এই সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবগত হলেন ৷


يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَيُّهُمْ يُقَدَّمُ؟ قَالَ: أَكْثَرُهُمْ قُرْآنًا.» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ فَذَكَرُهُ، وَزَادَ " وَأَعْمِقُوا ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِ احْتَمَلَ نَاسٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَتْلَاهُمُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَفَنُوهُمْ بِهَا، ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ: ادْفِنُوهُمْ حَيْثُ صُرِعُوا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، وَعَتَّابٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي يَزِيدَ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «اسْتُشْهِدَ أَبِي بِأُحُدٍ فَأَرْسَلَنِي أَخَوَاتِي إِلَيْهِ بِنَاضِحٍ لَهُنَّ، فَقُلْنَ: اذْهَبْ فَاحْتَمِلْ أَبَاكَ عَلَى هَذَا الْجَمَلِ، فَادْفِنْهُ فِي مَقْبَرَةِ بَنِي سَلَمَةَ. فَقَالَ: فَجِئْتُهُ وَأَعْوَانٌ لِي، فَبَلَغَ ذَلِكَ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ بِأُحُدٍ فَدَعَانِي فَقَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُدْفَنُ إِلَّا مَعَ إِخْوَتِهِ " فَدُفِنَ مَعَ أَصْحَابِهِ بِأُحُدٍ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.»