আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في قتال أم عمارة نسيبة بنت كعب المازنية يوم أحد

পৃষ্ঠা - ২৬৯৭

পানি পান করলেন না ৷ সেটি দিয়ে রক্ত ধুয়ে নিলেন এবং মাথায় ঢাললেন ৷ তিনি তখন রলছিলেন ,
“যারা নবীর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের উপর আল্লাহর অসন্তুষ্টি কঠোর হোক ! এ বিষয়ে
ইতিপুর্বে পযাপ্ত সংখ্যক সহীহ হাদীছ আমরা উল্লেখ করেছি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা) গিরি সংকটে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে উল্লিখিত
সাহাবীপণ ছিলেন ৷ কুরায়শের একটি দল তাদেরকে লক্ষ্য করে উপরে উঠতে লাগল ৷ ইবন
হিশাম বলেন, ওই দর্লে খালিদ ইবন ওলীদও ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ ( না) তখন
বললেন হে আল্লাহ্ ! ওরা আমাদের নিকট পর্যন্তও যেন না অত্যেতে পারে ৷

হযরত উমার (বা) ও কতক মুহাজির মুসলমান ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে
ওদেরকে পাহাড় থেকে নামিয়ে দিলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা ) একটি পা থরে উঠতে প্রয়াস পেলেন ৷
কিন্তু তার পরিধানে দুটো লৌহবর্য ছিল ৷ ফলে তিনি পাথরের উপর উঠতে পারলেন না ৷ এ
অবস্থায় তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ বসে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার পিঠে উঠলেন ৷ তালহা
র্তাকে নিয়ে পাথরের উপরে উঠে এলেন ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ — যুবায়র (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, সেদিন আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে তালহা যা করেছিলেন তার
প্রেক্ষিতে তিনি বলছিলেন “তালহার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে গিয়েছে ৷

ইবন হিশাম বলেন, আফরার আযাদকৃত গোলাম উমর বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শরীরে
আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় ওই দিন যুহরের নামায বসে বসে আদায় করেন ৷ মুসলমানপণও বসে বসে
নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা বলেছেন,
আমাদের মধ্যে জনৈক আগন্তুকের আগমন ঘটেছিল তার পরিচয় কারো নিকট জানা ছিল না ৷
তাকে কুযমান’ নামে ডাকা হচ্ছিল ৷ তার সম্পর্কে আলোচনা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলতেন “ সে
অবশ্যই জড়াহান্নামী” ৷ উহুদ দিবসে মুসলমানদের সপক্ষে সে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে ৷ ৭৮ জন
মুশরিককে সে একাই হত্যা করে ৷ যে খুব শক্তিশালী ছিল ৷ এক পর্যায়ে শত্রু পক্ষের আঘাতে
আঘাতে সে অচল হয়ে পড়ে ৷ বানু যফর গোত্রের এলাকায় তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার
সম্পর্কে মুসলমানপণ বলতে থাকেন যে, হে কুয়মান, তুমি আজকে ভীষণ কষ্ট ভোগ করেছ ৷ এর
বিনিময়ে পুরস্কারের সুসংবাদ গ্রহণ কর! সে বলল, কেমন সুসংবাদ নেব , আমি তো লড়াই করেছি
আমার সম্প্রদায়ের ইজ্জত রক্ষার্থে, তা নাহলে আমি আদৌ লড়াই করতাম না ৷ এক পর্যায়ে তার
ক্ষতস্থানে ভীষণ ব্যথা শুরু হয় ৷ নিজের ভুণ থেকে সে একটি তীর বের করে সেটি দ্বারা
আত্মহত্যা করে ৷ এ রকম একটি ঘটনা খায়বারের যুদ্ধেও ঘটেছিল, তার বিবরণ অবিলম্বে আসবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন আবদুর রাঘৃযাক আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমরা রড়াসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সাথে খায়বারের যুদ্ধে উপ ত ছিলাম ৷ ইসলাম
গ্রহণের দাবীদার এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এই লোকটি
জাহান্নামী’ ৷ যুদ্ধ শুরু হল, লোকটি প্রচণ্ড লড়াই করছিল ৷ এক পর্যায়ে সে আহত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)ষ্কে জানানো হল যে, যে ব্যক্তিকে আপনি জাহড়ান্নড়ামী বলেছিলেন সে তো প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছে
আজ এবং আহত হয়ে মারা গেছে ৷ তিনি বললেন, যে জাহান্নড়ামীই বটে ৷ র্তার এ কথায় কারো

১ :

حِينَ صَنَعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذَ مَا صَنَعَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ عُمَرُ مَوْلَى غُفْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظَّهْرَ يَوْمَ أُحُدٍ قَاعِدًا مِنَ الْجِرَاحِ الَّتِي أَصَابَتْهُ، وَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ خَلْفَهُ قُعُودًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ فِينَا رَجُلٌ أَتَى لَا يُدْرَى مَنْ هُوَ، يُقَالُ لَهُ: قُزْمَانُ. فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا ذُكِرَ لَهُ: إِنَّهُ لَمِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ قَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقَتَلَ وَحْدَهُ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَ ذَا بَأْسٍ، فَأَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ، فَاحْتُمِلَ إِلَى دَارِ بَنِي ظَفَرٍ. قَالَ: فَجَعَلَ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقُولُونَ لَهُ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَبْلَيْتَ الْيَوْمَ يَا قُزْمَانُ فَأَبْشِرْ. قَالَ: بِمَاذَا أُبْشِرُ؟ فَوَاللَّهِ إِنْ قَاتَلْتُ إِلَّا عَنْ أَحْسَابِ قَوْمِي، وَلَوْلَا ذَلِكَ مَا قَاتَلْتُ. قَالَ: فَلَمَّا اشْتَدَّتْ عَلَيْهِ جِرَاحَتُهُ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ فَقَتَلَ بِهِ نَفْسَهُ. وَقَدْ وَرَدَ مِثْلُ قِصَّةِ هَذَا فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ.