আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في قتال أم عمارة نسيبة بنت كعب المازنية يوم أحد

পৃষ্ঠা - ২৬৯২

উহুদ যুদ্ধে উম্মে আমার প্রমুখের বীরত্ব প্রদশ্নি

ইবন হিশাম বলেন, উম্মু আমারা নাসীব৷ বিনৃত কাব মাযিনী (বা) উহুদ দিবসে যুদ্ধে অংশ
গ্রহণ করেন ৷ এ প্রসত্বুগ সাঈদ ইবন আবু যায়দ আনসারী বলেন যে উম্মু সাদ বিন্ত সাদ ৩ইবন
সম্পর্কে কিছু বলুন ৷ তিনি বললেন, ওই দিন আমি সকাবুলর দিকে বের হয়ে পড়ি ৷ লোকজন কী
করছে আমি তা দেখছিলাম ৷ আমার সাথে একটি পানি ভর্তি মশক ছিল ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট পর্যন্ত পৌছে যাই ৷ সেখানে তার সাহাবীগণ ছিলেন ৷ তখন মুসলমানদের
বিজয়ের পালা চলছিল ৷ কিন্তু পরবতীৰিত যখন মুসলমানগণ পরাজিত হলেন, তখন আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট গিয়ে আশ্রয় নিলাম ৷ আমি তাবুক রক্ষা র জবুন৷ সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত
হই ৷ তরবারি পরিচালনা কবুর এবং তীর নিক্ষেপ করে শত্রুদেরকে দুরে তাড়িয়ে দিই ৷ এতে
আমি যখন হই ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি তবে কী ৷ধে যখমের চিহ্ন ৷দাখছি ৷ সেটি ছিল বৃত্তাকার
গভীর গত ৷ কে এই আঘাত করেছিলত ৷আমি তাবুক জিজ্ঞেস কবি ৷ ৷হুন্শুনি বললেন , ওই আঘাত
করেছিল অভিশপ্ত ইবন কামিয়া ৷ সাথিগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) থেকে দুরে চলে যাওয়ার পর সে এসে
বলল, মুহাম্মাদ কোথায় আমাকে দেখিয়ে দাও ৷ সে বেচে থাকলে আমার রক্ষা নেই ৷ আমি নিজে,
মুসআব ইবন উমায়র এবং অন্য কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-বুক রক্ষার জন্যে দাড়িয়ে গেলাম ৷
তখন সে আমার উপর এই আক্রমণ চালায় আমি তাকে পা ৷ল্ট৷ কয়েকবার আক্রমণ করি ; কিন্তু
আল্লাহর সেই দৃশমন দুটো ৷লৌহবর্ম পরিহিত ছিল যার কলেত তার গায়ে আঘাত লাগেনি ৷

ইবন ইসহাক বলেন , আবু দৃজানা নিজে ঢাল স্বরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) — এর সম্মুখে দাড়িয়ে যান ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে মুখ করে একটুখানি ঝুবুক অবস্থান (নন ৷ শত্রুর তীরগুলাে তার
পিঠে এসে বিধবুত থাকে ৷ তাতে করে বহু তীর তার পিঠে বিদ্ধ হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন,
আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ত৷ র ধনুক দিয়ে তীর
নিক্ষেপ করেছিলেন ৷ এক পর্যায়ে ধ্নুবুকর মাথা দু ”টি ভেঙ্গে যায় ৷ কাত ৷দা ইবন নু মান ওই ধনুক
নিয়ে যান ৷ সেটিত ৷ব ৷নিকটই থাকত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বানু আদী ইবন নাজ্জার গোত্রের লোক কাসিম ইবন আবদুর রহমান
বলেছেন, আনাস ইবন মালিকের চাচা আনাস ইবন নাযর গিয়ে পৌছলেন উমর ইবন খাত্তাব ও
তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ সহ কতক মুহাজির ও আনসার সাহাবীর নিকট ৷ তারা সকলে তখন হাত
গুটিয়ে বসে রয়েছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন কেন ? তারা বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো নিহত হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবর্তমাবুন
আপনাদের বেচে থাকার কী অর্থ ? বরং উঠুন, যুদ্ধ করুন যে জন্যে রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) প্রাণ দিয়েছেন
আপন৷ ৷রাও সে উদ্দেবুশ্য প্রাণ বিসর্জন দিন ৷ এরপর তিনি শত্রুবুদর মুখোমুখি হলেন ৷ এবং যুদ্ধ
করবুত করতে শহীদ হলেন ৷ত তার নাম অনুসাবুরই আনাস ইবন মালিকের নাম রাখা হয় ৷ হুমায়দ
আততাবীল আমাকে জ লিখেছেন যে, আনাস ইবন মালিক বলেছেন, উহুদের দিবসে আমরা
আনাস ইবন নাযবুরর দেহে ৭০টি আঘাত দেখেছি ৷ একমাত্র তার বোন ব্যতীত অন্য কেউ তার
লাশ সনাক্ত করতে পারেনি ৷ তবে হাতের আঙ্গুল দেখে তিনি তাকে সনাক্ত করেছিলেন ৷ ইবন


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَترَّسَ أَبُو دُجَانَةَ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، يَقَعُ النَّبْلُ فِي ظَهْرِهِ، وَهُوَ مُنْحَنٍ عَلَيْهِ، حَتَّى كَثُرَ فِيهِ النَّبْلُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى عَنْ قَوْسِهِ حَتَّى انْدَقَّتْ سِيَتُهَا، فَأَخَذَهَا قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ فَكَانَتْ عِنْدَهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ أَخُو بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ قَالَ: انْتَهَى أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي رِجَالٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَقَدْ أَلْقَوْا بِأَيْدِيهِمْ، فَقَالَ: فَمَا يُجْلِسُكُمْ؟ قَالُوا: قُتِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَمَا تَصْنَعُونَ بِالْحَيَاةِ بَعْدَهُ؟ ! قُومُوا فَمُوتُوا عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ اسْتَقْبَلَ الْقَوْمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَبِهِ سُمِّيَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ. فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَقَدْ وَجَدْنَا بِأَنَسِ بْنِ النَّضْرِ يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ ضَرْبَةً، فَمَا عَرَفَهُ إِلَّا أُخْتُهُ، عَرَفَتْهُ بِبَنَانِهِ.