আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في قتال أم عمارة نسيبة بنت كعب المازنية يوم أحد

পৃষ্ঠা - ২৬৯১


আমি বলি, হযরত হুযায়ফ৷ র ৷প৩ ৷ ইয়ামান নিহত হওয়ার পটভুমি এই যে ইয়ামান এবং
ছাবিত ইবন ওয়াক্শ দুজনে মহিলাদের সাথে টিলাব উপর অবস্থান করছিলেন ৷ বার্ধক্য ও দৃর্বলতার
প্রেক্ষিতে৩ ৷ ওখানে ছিলেন ৷ তারা বললেন, গাধার তৃষ্ণা (স্বল্প সময়) ব্যতীত আমাদের
জীবনেরণ্ডে ৷ কিছু অবশিষ্ট নেই ৷ একথা বলে তারা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ ঘটনাক্রমে
র্তারা বেরিয়েছিলেন মুশরিকদের নিকটস্থ পথে ৷ ফলে মুশরিকর৷ ছাবিত (রা)-কে হত্যা করে ৷
আর ভুলবশত মুসলমানগণ ইয়ামান (রা) (ক শহীদ করে :ফলেন ৷ হযরত হুযায়ফা( (বা)
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার পিতার রক্তপণের দাবী ক্ষমা করে সে ন ৷ গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে
ঘটনার সাথে জড়িত ক ৷উকে তিনি দােষারুপ করেননি ৷

কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ পুনঃন্থাপন

ইবন ইসহাক বলেন, সেদিন কাতাদা ইবন নুমানের একটি চোখে আঘাত লেগেছিল ৷
চোখটি স্থানচ্যুত হয়ে তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে চােখটি যথাস্থানে
বসিয়ে দেন ৷ পরে দুই চোখের মধ্যে এটিই বেশী সুন্দর ও ত্তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে উঠে ৷ হযরত
জাবির (বা) থেকে হাদীছে বর্ণিত আছে যে, উহুদ দিবসে কাতাদা ইবন নু’মানের চোখে আঘাত
লাগে ৷ চাে ৷খটি তার মুখের উপর ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটি য়থান্থানে বসিয়ে দেন৷ পরে
দুচোখের মধ্যে সেটিই সুন্দর ও প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷ অন্য চোখ মাঝে মাঝে রেম্পোগ্নস্ত হত;
কিন্তু এটি কোন দিন বোপাক্রাত হত না ৷

দারাকুতনী স্বয়ং কাতাদার বরাতে এ বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেছেন, উহুদ
দিবসে আমার দুচােখেই আঘাত লাগে ৷ দুচোখ আমার পালের উপর ঝুলে পড়ে ৷ এ অবস্থায়
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসি ৷ তিনি চোখ দুটো যথান্থানে বসিয়ে দেন এবং একটু লালা
লাগিয়ে দেন ৷ ফলে দুটো ৷ই প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷

তবে তার একটি চোখে আঘাত লাগার প্রথম বংানাটি বিশুদ্ধত ৩র ৷ এজনােই উমার ইবন

আবদুল আযিয়ের শাসনামলে কাতাদার পুত্র যখন তার নিকট উপস্থিত হয় তখন তিনি বলেছিলেন,
আপনি (ক ? উত্তরে ছন্দাক ৷রে৩ তিনি বলেছিলেন :

ট্টটুা৷ দ্বু১ক্ট্র৷ ট্রু,ট্রু৷ ৷ঠুা
আমি সেই ব্যক্তির পুত্র যার চোখ ঝুলে৩ তার গানের উপর পড়েছিল ৷ এরপর মুস্তাফা (সা )
স্বহস্তে সুন্দরভ ৷বে সেটি যথান্থানে ত৷ ৷াপুনঃন্থ পন করেছিলেন ৷
র্দুাঠ্র্চু
এরপর সেটি হয়ে গেল তেমন যেমনটি ছিল ইতিপুর্বে ৷ বাহ্ ! কী চমৎকার ওই চোখ ! বাহ
কী চমৎকার ওই গন্ডদেশ ৷

তখন উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেও কবিতার ছন্দে ঐ ঘটনার প্রশংসা করে সাদর
অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে মুল্যবান উপচৌকন প্রদান করেন ৷


[فَصْلٌ فِي قِتَالِ أُمِّ عُمَارَةَ نَسِيبَةَ بِنْتِ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةِ يَوْمَ أُحُدٍ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَاتَلَتْ أُمُّ عُمَارَةَ نَسِيبَةُ بِنْتُ كَعْبٍ الْمَازِنِيَّةُ يَوْمَ أُحُدٍ، فَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ أُمَّ سَعْدٍ بِنْتَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ كَانَتْ تَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ عُمَارَةَ، فَقُلْتُ لَهَا: يَا خَالَةُ، أَخْبِرِينِي خَبَرَكِ. فَقَالَتْ: خَرَجْتُ أَوَّلَ النَّهَارِ أَنْظُرُ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ وَمَعِي سِقَاءٌ فِيهِ مَاءٌ، فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي أَصْحَابِهِ، وَالدَّوْلَةُ وَالرِّيحُ لِلْمُسْلِمِينَ، فَلَّمَا انْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ انْحَزْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُمْتُ أُبَاشِرُ الْقِتَالَ، وَأَذُبُّ عَنْهُ بِالسَّيْفِ، وَأَرْمِي عَنِ الْقَوْسِ، حَتَّى خَلَصَتِ الْجِرَاحُ إِلَيَّ. قَالَتْ: فَرَأَيْتُ عَلَى عَاتِقِهَا جُرْحًا أَجْوَفَ لَهُ غَوْرٌ، فَقُلْتُ لَهَا: مَنْ أَصَابَكِ بِهَذَا؟ قَالَتْ: ابْنُ قَمِئَةَ أَقْمَأَهُ اللَّهُ، لَمَّا وَلَّى النَّاسُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلُ يَقُولُ: دُلُّونِي عَلَى مُحَمَّدٍ، لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. فَاعْتَرَضْتُ لَهُ أَنَا وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأُنَاسٌ مِمَّنْ ثَبَتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبَنِي هَذِهِ الضَّرْبَةَ، وَلَقَدْ ضَرَبْتُهُ عَلَى ذَلِكَ ضَرَبَاتٍ، وَلَكِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ كَانَتْ عَلَيْهِ دِرْعَانِ.