আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

في مرجعه عليه الصلاة والسلام عن الطائف وقسمة غنائم هوازن التي أصابها يوم حنين

পৃষ্ঠা - ৩৫৬৮

একত্রিত করেন ৷ তীদের উপস্থিতিতে তাবু কানায় কানায় ভরে যায় ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
“এখানে কি তোমরা ব্যতীত অন্য কেউ আছে ”৷ তারা জানালেন, অন্য কেউ নেই, তবে
আমাদের ভাগ্নেরা আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, £কান কাওমের ভাপ্নেরা সে কওমেরই
অন্তর্ভুক্ত” ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি এই এই কথা বলেছো” ? তারা বললেন “ব্জী
হী৷ বলেছি” ৷ তিনি বললেন : “ তোমরা হলো আমার সেই প্রভীকতৃল্য পেশোক যা দেহের সাথে
সরাসরি মিশে থাকে ৷ আর অন্যান্য লোক হচ্ছে সেই পােশাকের ন্যায় , যা আলগাভাবে দেহের
উপরে বুালান থাকে (াট্ট ৷ ৷ এা৷ ৷ , ,এে৷ ৷ ণ্:ৰু; ৷ ) ৷ তোমরা কি সভুষ্ট নও যে, অন্যান্য
লোকজন উট বকরী সাথে নিয়ে যাবে ৷ আর তোমরা আল্লাহর রাসুলান্ক সাথে নিয়ে তোমাদের
বাড়ীতে যাবে : তারা বললেন, জী ইা৷ , অবশ্যই আমরা সন্তুষ্ট” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
তোমরা আমার পরিবারভুক্ত ও নিরাপদ স্থান ৷ সব লোক যদি উপত্যকা দিয়ে চলে, আর
আনসাররা যদি গিরিপথ দিয়ে যায়, তা হলে আমি আনসারদের গিরিপখ দিয়েই যাব ৷ হিজঃত না
হলে আমি একজন আনসারীই হতাম” ৷ রাবী বলেন, হামাদ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একশঢি
করে উট প্রদান করেন ৷ যাদেরকে দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন ৷
উল্লিখিত সুত্রে এ হাদীছ ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটা মুসলিমের শর্ত
অনুযায়ী উত্তীর্ণ ৷ ইমাম আহমদ বলেন : ইবন আবুআদী হুমায়দ আনাস সুত্রে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছিলেন : “হে আনসার সম্প্রদায় ও আমি কি তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আসিনি,
যখন তোমরা ছিলে পথভ্রষ্ট ? তারপয়ে আল্লাহ আমার মাধ্যমে ভোমাদেরকে সঠিক পথ
দেখিয়েছেন, আমি কি তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আসিনি, যখন তোমরা ছিলে পরস্পর
বিচ্ছিন্ন ৷ এরপর আল্লাহ্ আমার দ্বারা ণ্তামাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন ? আমি কি তোমাদের
নিকট এমন অবস্থায় আসিনি, যখন তোমরা ছিলে একে অপরের শত্রু ৷ এরপর আল্লাহ তোমাদের
মধ্যে আন্তরিক সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে দিয়েছেন ;” তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি ঠিকই
বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “াতামরা কেন এ কথা বলছো না যে,
আপনি ভীতিগ্নস্ত অবস্থায় অমােদের কাছে এসেছিলেন, আমরা আপনাকে নিরাপত্তা দিয়েছি, ৷ আপনি
বিতাড়িত হয়ে এসেছেন আমরা আপনাকে আশ্রয় দিয়েছি ৷ আপনি অসহায় অবস্থায় এসেছিলেন,
আমরা আপনাকে সাহায্য করেছি”? জবাবে তারা বললেন, “বরং আমাদের উপরই রয়েছে আল্লাহ
ও তার রাসুলের অনুকম্পা ও অনুগ্রহ ৷ এ হাদীছের সনদ ছুলাহী (মাত্র তিনজন বর্ণনাকারী) এবং
বুখারী ও মুসলিমের শর্তে উত্তীর্ণ ৷ সুতরাং আনাস ইবন মালিক (রা) বর্ণিত এ হাদীছটি
মুতাওয়াতির হাদীছের মর্যাদার সমতুল্য ৷ অন্যান্য সাহাবী থেকেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম
বুখারী বলেন : মুসা ইবন ইসমাঈল আৰল্লোহ্ ইবন যায়দ ইবন আসিম সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি
বলেছেন, হুনায়ন দিবসে আল্লাহ যখন তার রাসুল (সা) কে গনীমত দান করেন, তখন তিনি
ইসলামের দিকে মন আকৃষ্ট করার জন্যে মানুষের মধ্যে তা বন্টন করে দেন ৷ এ সাল থেকে
আনসারদের কিছুই দেননি ৷ অন্য ণ্লাকদের বা দিয়েছেন আনসারদের তা না দেয়ায় যেন তাদের
মনে ক্ষোভের সঞ্চার হলো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের উদ্দেশ্যে বললেন ৷; “হে আনসার
সম্প্রদায় ! আমি কি ভোমাদেরকে পথভ্রষ্ট পাইনি ? যারপরে আল্লাহ আমার দ্বারা তোমাদের সঠিক
পথ দেখিয়েছেন : তোমরা কি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলে না ? যারপরে আল্লাহ আমার সাহায্যে


الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ نَاسٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، حِينَ أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مَا أَفَاءَ مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي رِجَالًا الْمِائَةَ مِنَ الْإِبِلِ، فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ؟! قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: فَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَقَالَتِهِمْ، فَأَرْسَلَ إِلَى الْأَنْصَارِ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةِ أَدَمٍ، وَلَمْ يَدْعُ مَعَهُمْ غَيْرَهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ؟ ". فَقَالَ فُقَهَاءُ الْأَنْصَارِ: أَمَّا رُؤَسَاؤُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَمْ يَقُولُوا شَيْئًا، وَأَمَّا نَاسٌ مِنَّا حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمْ فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا، وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَإِنِّي لَأُعْطِي رِجَالًا حَدِيثِي عَهِدٍ بِكُفْرٍ أَتَأَلَّفُهُمْ، أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالْأَمْوَالِ، وَتَذْهَبُونَ بِالنَّبِيِّ إِلَى رِحَالِكُمْ؟ فَوَاللَّهِ لَمَا تَنْقَلِبُونَ بِهِ خَيْرٌ مِمَّا يَنْقَلِبُونَ بِهِ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ رَضِينَا. فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَسَتَجِدُونَ أَثَرَةً شَدِيدَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِنِّي عَلَى الْحَوْضِ ". قَالَ أُنْسٌ: فَلَمْ يَصْبِرُوا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ جَدِّهِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ الْتَقَى هَوَازِنُ، وَمَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةُ آلَافٍ وَالطُّلَقَاءُ، فَأَدْبَرُوا، فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ ". قَالُوا: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ، لَبَّيْكَ نَحْنُ بَيْنَ يَدَيْكَ. فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ ". فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ، فَأَعْطَى الطُّلَقَاءَ وَالْمُهَاجِرِينَ، وَلَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ