আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

في مرجعه عليه الصلاة والسلام عن الطائف وقسمة غنائم هوازن التي أصابها يوم حنين

পৃষ্ঠা - ৩৫৫৮

বক্তব্য হচ্ছে, “আমাদের সন্তান ও নারীরাই আমাদের নিকট অধিকতর প্রিয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “আমার ও বনু আবদুল মুত্তালিবের অধিকারে যারা আছে তাদেরকে তোমাদের
দিয়ে দিলাম ৷ আর আমি যখন সবাইকে নিয়ে সালাত শেষ করবো তখন তোমরা দাড়িয়ে বলবে-
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাধ্যমে সকল মুসলমানের নিকট এবং সকল মুসলমানের মাধ্যমে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমাদের নারী ও সন্তানদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার সুপারিশের আবেদন
জানাচ্ছি ৷ ঐ সময় আমি আমার অধিকারভুক্তদেরকে তোমাদের দিয়ে দিব এবং অন্যদেরকেও
দেয়ার জন্যে সুপারিশ করবো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন যুহরের সালাত আদায় করলেন,
তখন তারা দাড়িয়ে সেই আবেদন করলো যা তিনি শিখিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, “আমার ও বনু আবদুল মুত্তালিবের অধিকারে যারা আছে তাদেরকে তোমাদের দেওয়া
হলো ৷ তখন মুহাজিরগণ বললেন, “আমাদের অধিকারে যারা আছে তারা তো রাসুলুল্লাহ্রই” ৷
এরপর আনসারগণ জানালেন, আমাদের করায়ত্তে যারা আছে তারাও রাসুলুল্পাহ্র জন্যে ৷ আক্রা
ইবন হাবিস উঠে বললো : “আমি ও বনু তামিম এতে একমত নই ৷ উয়ায়না বললো, “আমি ও
বনু ফাযারা এতে রাজি নই” ৷ আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী বল নো , আমার ও বনু সুলায়মেরও
সেই কথা ৷ তখন বনু সুলায়ম প্রতিবাদ করে বললো, “না , বরং আমাদের ভাগে যারা আছে তারাও
রাসুলুল্লাহ্র জন্যে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আব্বাস ইবন মিরদাস বনু সুলায়মকে বললো,
“তোমরা আমাকে দুর্বল করে দিলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তোমাদের মধ্যে যারা এই
বন্দীদের অংশ রেখে দিতে চাও, তাদেরকে প্রতিটি বন্দীর পরিবর্তে আগামী প্রথম যুদ্ধলব্ধ গনীমত
থেকে ছয়গুণ বেশী দেওয়া হবে ৷ সুতরাং তোমরা তোমাদের এসব বন্দী নারী ও শিশুদেরকে
ওদের কাছে ফিরিয়ে দাও ৷ এরপর তিনি সাওয়ারীতে আরোহণ করে সেখান থেকে যাত্রা করেন ৷
অন্যান্য সাথীরা তীর অনুসরণ করে চলেন ৷ পিছন থেকে তারা দাবী জানাতে থাকে ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! যুদ্ধলব্ধ গনীমতের মালগুলো আমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিন ৷ এ কথার চাপ দিতে
দিতে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে একটি বৃক্ষের কাছে নিয়ে গেল ৷ এক পর্যায়ে তার মায়ের চাদর
পর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে গেল ৷ তিনি বললেন, “ লোকেরা ! তোমরা আমার চাদর ফিরিয়ে দাও ৷ যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কসম ! ণ্গটি৷ তিহামা অঞ্চলে যত বৃক্ষ আছে, সেই পরিমাণ
গনীমতের মাল যদি আমার হাতে থাকে, তবে তার সবগুলোই তোমাদের মধ্যে বন্টন করে দিব ৷
এ ব্যাপারে আমাকে কৃপণ, ভীত ও মিথ্যাবাদী পাবে না ৷ এরপর তিনি একটি উটের কাছে যান
এবং তার কুজ থেকে একটি পশম নিয়ে হাতের দৃ’আত্গুলের মধ্যে রেখে উপরে হাত উঠিয়ে
বলেন : লোকসকল ! তোমাদের গনীমতের সালের মধ্যে, এমন কি এই সামান্য পশমের মধ্যেও
এক পঞ্চামংশ (খুমুস) ব্যতীত আমার কোন অধিকার নেই ৷ আর সেই খুমুসও পরে তোমাদের
মধ্যেই বন্টন হয়ে যায় ৷ সুতরাং তোমাদের কাছে সুই-সুতা থাকলে তাও জমা দিয়ে দাও ৷
কেননা, গনীমতের মাল খিয়ানতকারী কিয়ামতের দিন লাঞ্চুন৷ আগুন ও কলংকের সম্মুখীন হবে” ৷
এ কথা শুনে জ্যনক আনসারী এক তােড়া পশমের সুতা হাযির করে বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আমি আমার উটের পিঠে জখম ঢাকার গদি সেলাই করার জন্যে এটি নিয়েছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন : এগুলোর মধ্যে আমার প্রাপ্য অংশ তোমাকে দিয়ে দিলাম ৷ তখন আনসারী
লােকটি বললেন, এ সামান্য বিষয়টি যখন এতই জটিল স্তরে পৌছে গেছে তখন এর কোন

৭৮ ——

إِنَّ رَبَّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَقَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، فَإِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَلْ أَسَتَأْنِي بِهِمْ; لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُخْرِجَ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ يَعْبُدُهُ وَحْدَهُ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا ".» فَنَاسَبَ قَوْلُهُ: " بَلْ أَسَتَأْنِي بِهِمْ ". أَنْ لَا يَفْتَحَ حِصْنَهُمْ لِئَلَّا يُقْتَلُوا عَنْ آخِرِهِمْ، وَأَنْ يُؤَخَّرَ الْفَتْحُ لِيَقْدَمُوا بَعْدَ ذَلِكَ مُسْلِمِينَ فِي رَمَضَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [فِي مَرْجِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَنِ الطَّائِفِ وَقِسْمَةِ غَنَائِمِ هَوَازِنَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ حُنَيْنٍ] فَصْلٌ فِي مَرْجِعِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنِ الطَّائِفِ وَقِسْمَةِ غَنَائِمِ هَوَازِنَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ حُنَيْنٍ قَبْلَ دُخُولِهِ مَكَّةَ مُعْتَمِرًا مِنَ الْجِعْرَانَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ انْصَرَفَ عَنِ الطَّائِفِ عَلَى دَحْنَا، حَتَّى نَزَلَ الْجِعْرَانَةَ فِيمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَعَهُ مِنْ هَوَازِنَ سَبْيٌ كَثِيرٌ، وَقَدْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَوْمَ ظَعَنَ عَنْ ثَقِيفٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا وَائْتِ بِهِمْ ".» قَالَ: ثُمَّ أَتَاهُ وَفْدُ هَوَازِنَ بِالْجِعْرَانَةِ، وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَبْيِ هَوَازِنَ سِتَّةُ آلَافٍ مِنَ الذَّرَارِيِّ