আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

غزوة الطائف

غزوة الطائف

غزوة الطائف

পৃষ্ঠা - ৩৫৫৪

এবং ষুর্গীরা ইবন শু’বা (রা)-এর সাথে কথা বলেন ৷ মুগীরা বললেন, ইয় ৷ রাসুলাল্লাহ্ ! সাখার
আমার ফুফীকে বন্দী করেছে ৷ অথচ তিনি অন্যান্য মুসলমানগহুণর মত ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) সাখারহুক ডেকে বললেন : কোন সম্প্রদায় যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন
তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তায় এসে যায় ৷ সুতরাং মুগীরার ফুফীকে তার কাছে দিয়ে দাও” ৷
তখন সাখার তাকে মুগীরা র কাছে ফিরিয়ে দেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) )বনু সুলায়হুমর জলাশয়
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷৩ তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং জলাশয় থেকে
পালিয়ে যায় ৷ সাখার বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ জলাশয়ের দায়তু আমাকে ও আমার
গােত্রহুক দিবেন কি ? তিনি বললেন, ই৷ দিলাম ৷ এরপর সাখার সেখানে যান ৷ এদিকে
সুলায়ম গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করে ৷ তখন তারা সাখাহুরর কাছে এসে তাদের জলাশয়
ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় ৷ কিন্তু সাখার তা দিতে অস্বীকার করেন ৷ অবশেষে তারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে এসে আরয করে, “ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা ইসলাম গ্রহণ করে
সাখাহুরর কাছে এসে আমাদের জলাশয় ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করি ৷ কিভু সাখার তা দিতে
অস্বীকার করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “(হ সাখার ! কোন সম্প্রদায় যখন ইসলাম
গ্রহণ করে তখন তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তা লাভ করে ৷ সুতরাং তৃমি তাদের জলাশয়
ফিরিয়ে দাও ৷ সাখার বলহুলনং “ত্মী হ্যা, হুহ আল্লাহর নবী ! আমি তাই করবো ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আমি৩ ৷কিয়ে দেখলাম সাখার একজন মহিলাকে ধরে আমার ও জলাশয় আটকে রাখার
কারণে লজ্জা য় রাসুলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা মুবারহুকর রঙ পরিবর্তিত হয়ে লাল হয়ে গেছে ৷ আবু
দাউদ একাই এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর সনদে মতহুভদ আছে ৷

আমি বলি, আল্লাহর রহস্যময় কুদরাভের দাবী ছিল ৷ ঐ বছর৩ তাহুয়ফ বিজয় না হওয়া ৷ কেননা
এ সময় তাহুয়ফ বিজিত হলে সেখানকার অধিবাসীরা হত্যার ব্যাপকতায় ৰিনাশ হয়ে যেত ৷ কারণ,
ইহু৩ তাপুবে বর্ণিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর পর ৩ ৷হুযহুয় গমন
করেছিলেন, তাদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং রিসালাহুতর দা ৷য়িৎ পালনের
পক্ষে তাকে সাহায্য করার আহ্বান জ৷ ৷নিয়েছিহুলন ৷ বিক্ষ্মতা ৷রা তাকে মিথ্যাবাদী বহুল প্রত্যাখ্যান
করোছল ৷ফলে অতি ৩ভগ্ন হৃদয়ে৩ তিনি সেখান থেকে প্র৩ ৷৷বতন করেছিলেন এবং কাবনুছ ছায়া ৷যালিব
না পৌছা পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে ৩পারেননি ৷ এখানে পৌছে তিনি একখণ্ড হুমঘ দেখতে পান ৷
মেঘের মধ্যে ছিলেন জিবরাঈল (সা) ৷ তিনি শুনতে পান, পাহাড়ের দায়িতৃপ্রাপ্ত হুফহুরশত৷ তাকে
তােক বলছেন : “ হে মুহাম্মাদ ! আপনার প্রতিপালক আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার
কওমের লোকেরা যা কিছু বলেছে এবং যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সবই তিনি শুহুনহুছন ৷ এখন
আপনি যদি চান তবে আমি তাদের উপর দুটি পাহাড় দু দিক থেকে হুচহুপ দিয়ে পিহুষ ফেলি ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “বরং তাদের জন্য আমাকে আরও কিছু অবকাশ দিন ৷ হতে পারে
তাদের বংশে এমন লোক জন্ম নিহুব যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সাথে অন্য
কিছুই শরীক করবে না ৷ সুতরাং তিনি যে অবকাশ চেয়েছিলেন সেই অবকাহুশর দাবী ছিলো ঐ
বছর তাহুয়ফ দুর্গ বিজিত না হওয়া ৷ কেননা বিজিত হলে হত্যার মাধ্যমে তারা নির্মুল হয়ে যেত ৷
বরং বিজয় বিলম্বিত হওয়ইি ছিল রাঞ্চুনীয়, যাতে ৩পরের বছর রমযান সালে ইসলাম গ্রহণের জন্যে
তারা মদীনা ৷য় আসতে পারে ৷ কিছু পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ইনশাআল্লাহ ৷


الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ «قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحْرَقَتْنَا نِبَالُ ثَقِيفٍ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا ".» ثُمَّ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَى يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُكَدَّمِ عَمَّنْ أَدْرَكُوا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا: حَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الطَّائِفِ ثَلَاثِينَ لَيْلَةً أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُمْ، وَلَمْ يُؤْذَنْ فِيهِمْ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَجَاءَهُ وَفْدُهُمْ فِي رَمَضَانَ فَأَسْلَمُوا. وَسَيَأْتِي ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَهَذِهِ تَسْمِيَةُ مَنِ اسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِالطَّائِفِ فِيمَا قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فَمِنْ قُرَيْشٍ; سَعِيدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ وَعُرْفُطَةُ بْنُ جَنَّابٍ حَلِيفٌ لِبَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الْأَسَدِ بْنِ الْغَوْثِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رُمِيَ بِسَهْمٍ فَتُوُفِّيَ مِنْهُ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ مِنْ رَمْيَةٍ رُمِيَهَا يَوْمَئِذٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَدِيٍّ، وَالسَّائِبُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيٍّ السَّهْمِيُّ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَجُلَيْحَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ وَمِنَ الْأَنْصَارِ ثُمَّ مِنَ الْخَزْرَجِ ; ثَابِتُ بْنُ الْجِذْعِ السُّلَمِيُّ، وَالْحَارِثُ بْنُ سَهْلِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْمَازِنِيُّ، وَالْمُنْذِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَنْ بَنِي سَاعِدَةَ، وَمِنَ الْأَوْسِ ; رُقَيْمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَوْذَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَقَطْ، فَجَمِيعُ مَنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ اثَنَا عَشَرَ رَجُلًا; سَبْعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ،