আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

غزوة الطائف

غزوة الطائف

غزوة الطائف

পৃষ্ঠা - ৩৫৪৬

শিবির উঠিয়ে পশ্চাতে নিয়ে যান এবং তায়েফের বর্তমান মসজিদের নিকটে স্থাপন করেন ৷ বনু
ছাকীফ ইসলাম গ্রহণের পর এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিল ৷ আমর ইবন উমইিয়া ইবন ওহবের
তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয় ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেন যে, এ মসজিদে এমন একটি স্তম্ভ ছিল যে,
প্রতি দিন সকালে সুর্য উদয়ের সময় এর থেকে একটি আওয়ায শেন্তো যেত ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফবাসীকে বিশ দিনের অধিক অবরোধ করে রাখেন ৷ ইবন হিশাম
বলেন, অবরােধকাল ছিলসতের দিন ৷

উরওয়া ও মুসা ইবন উকবা ইমাম যুহরী থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফের
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ বন্দীদেরকে জিইররানায় রেখে যান ৷ তাদের সংখ্যা এতো অধিক ছিল যে,
মক্কার র্তাবু পরিপুর্ণ হয়ে যায় ৷ তায়েফের দুর্গের কাছাকাছি গিয়ে তিনি শিবির স্থাপন করেন ৷ তের
দিনেরও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন ৷ এখানে থেকেই তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷
তারাও দুর্গের ভিতর থেকে যুদ্ধ করে ৷ দুর্গের ভিতর থেকে এক ঝাক্ত ব্যতীত কেউ বাইরে
বেরিয়ে আসেনি ৷ যে ব্যক্তি হলো যিয়াদের বৈপিত্রেয় ভইি আবুবাকরা ইবন মাসরুহ ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) র্তাকে মুক্ত করে দেন ৷ দুর্গের অভ্যন্তরে অনেকেই আহত হয় ৷ মুসলমানগণ
তায়েফবাসীদের অনেক আৎগুর গাছ কেটে ফেলেন যাতে তারা ক্রোধে জ্বলতে থাকে ৷ তখন
ছাকীফ গোত্রের লোকজন এ কাজে বাধা দিয়ে বলে, সম্পদের ক্ষতি সাধন করো না ৷ কেননা,
এগুলো হয় তোমাদের অধিকারে আসবে না হয় আমাদের দখলে থাকবে ৷ উরওয়া বলেন :
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলিম বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যেন প্রত্যেকে পাচটি করে খেজুর গাছ ও পচেটি
করে আৎগুর গাছ কেটে ফেলে ৷ তিনি একজন ঘোষণাকারীকে পাঠিয়ে এই ঘোষণা জারী করেন
যে, যে কেউ দুর্গ থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে আসবে সে মুক্ত ৷ এ ঘোষণার পর শত্রু
পক্ষের কয়েক ব্যক্তি অতি কষ্টে বের হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট এসে পৌছে ৷ তাদের মধ্যে
বিবাদ ইবন আবু সুফিয়ানের বৈপিত্রেয় ভাই আবু বাকরা ইবন মাসরুহও ছিলেন ৷ তিনি তাদের
সবাইকে মুক্ত করে দেন এবং তাদের ভরণ-পােষণ ও দেখাশুনার জন্যে এক একজনকে এক
একজন মুসলমানের দায়িত্বে দিয়ে দেন ৷

ইমাম আহমদ ইয়াযীদের সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : কোন
গোলাম তার মুনিবের নিকট থেকে পালিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করলে
তিনি তাকে মুক্ত করে দিতেন ৷ তায়েফ যুদ্ধের সময় তিনি এরুপ দুজনকে মুক্ত করেন ৷ ইমাম
আহমদ আবদুল কুদদুস ইবন বকর ইবন খুনায়সের সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফবাসীকে চার দিক থেকে অবরোধ করেন ৷ সে সময় দুজন
গোলাম বের হয়ে তার কাছে চলে আসে ৷ তিনি দু’জনকেই আযাদ করে দেন ৷ তাদের একজন
হচ্ছেন আবু বকরা (রা) ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নীতি ছিল যে , কোন গোলাম তার কাছে চলে
আসলে তাকে আযাদ করে দিতেন ৷ ইমাম আহমদ আরও বলেন : নাসর ইবন রিআব
ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, তায়েফ যুদ্ধের দিন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
ঘোষণা দেন যে, কোন গোলাম আমাদের কাছে বেরিয়ে আসলে সে মুক্ত ৷ এ ঘোষণার পর
কতিপয় গোলাম তার কাছে বেরিয়ে আসে ৷ এদের একজন আবু বকরা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
সবাইকে মুক্ত করে দেন ৷ এ হাদীছ উপরোক্ত সনদে ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷


وَزَعَمَ الْمَدَائِنِيُّ أَنَّهُ لَمْ يُسْلِمْ، بَلْ صَارَ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ فَتَنَصَّرَ وَمَاتَ بِهَا -: فَمَنْ كَانَ يَبْغِينَا يُرِيدُ قِتَالَنَا ... فَإِنَّا بِدَارٍ مَعْلَمٍ لَا نَرِيمُهَا وَجَدْنَا بِهَا الْآبَاءَ مِنْ قَبْلِ مَا تَرَى ... وَكَانَتْ لَنَا أَطْوَاؤُهَا وَكُرُومُهَا وَقَدْ جَرَّبَتْنَا قَبْلُ عَمْرُو بْنُ عَامِرٍ ... فَأَخْبَرَهَا ذُو رَأْيِهَا وَحَلِيمُهَا وَقَدْ عَلِمَتْ إِنْ قَالَتِ الْحَقَّ أَنَّنَا ... إِذَا مَا أَبَتْ صُعْرُ الْخُدُودِ نُقِيمُهَا نُقَوِّمُهَا حَتَّى يَلِينَ شَرِيسُهَا ... وَيُعْرَفَ لِلْحَقِّ الْمُبِينِ ظَلُومُهَا عَلَيْنَا دِلَاصٌ مِنْ تُرَاثِ مُحَرِّقٍ ... كَلَوْنِ السَّمَاءِ زَيَّنَتْهَا نُجُومُهَا نُرَفِّعُهَا عَنَّا بِبِيضٍ صَوَارِمَ ... إِذَا جُرِّدَتْ فِي غَمْرَةٍ لَا نَشِيمُهَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ شَدَّادُ بْنُ عَارَضٍ الْجُشَمِيُّ فِي مَسِيرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ:. لَا تَنْصُرُوا اللَّاتَ إِنَّ اللَّهَ مُهْلِكُهَا ... وَكَيْفَ يُنْصَرُ مَنْ هُوَ لَيْسَ يَنْتَصِرُ إِنَّ الَّتِي حُرِّقَتْ بِالسُّدِّ فَاشْتَعَلَتْ ... وَلَمْ تُقَاتِلْ لَدَى أَحْجَارِهَا هَدَرُ إِنَّ الرَّسُولَ مَتَى يَنْزِلْ بِلَادَكُمُ ... يَظْعَنْ وَلَيْسَ بِهَا مِنْ أَهْلِهَا بَشَرُ