আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

غزوة الطائف

غزوة الطائف

غزوة الطائف

পৃষ্ঠা - ৩৫৪৩

তাদের সেনাপতি স্বয়ং নবী করীম (সা) ৷ তিনি অতি দৃঢ়পদ ৷ পবিত্র-চিত্ত ৷ ধৈর্যশীল ও
সংযমী ৷

সঠিক সিদ্ধাম্ভদাতা, প্রজ্ঞাশীল, জ্ঞানী ও সহিষ্ণু ৷ চঞ্চল ও আরেগপ্রবণ নন ৷

আমরা আনুগত্য করি আমাদের নবীর ৷ আমরা আনুগত্য করি এমন প্রতিপালকের যিনি অতি
দয়ালু ও আমাদের প্রতি করুণাময় ৷

তোমরা যদি আমাদের কাছে শাস্তির প্রস্তাব দাও, তবে আমরা তা গ্রহণ করবো ৷ আর
তোমাদেরকে বানাবো আমাদের জন্যে শক্তি ও শাস্তির বাহক ৷

আর যদি তোমরা অস্বীকার কর, তা হলে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো ধৈর্যের
সাথে আমাদের তৎপরতা কখনও দ্বিধাযুক্ত ও দুর্বল হয়ে না ৷

আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব যতক্ষণ বেচে থাকবাে ; অথবা তোমরা ফিরে আসবে ইসলামের
দিকে আনুগত্যের সাথে ও ভদ্রভাবে ৷

আমরা যুদ্ধ করবো, কারও কোন পরোয়া করবো না, যার সাশেইিচু মুকাবিলা হোক না কেন ৷
স্থায়ী বাসিন্দা ও অস্থায়ী বাসিন্দা সকলকেই আমরা সমানে ধ্বংস করবো ৷

কত গোত্রই তো আমাদের বিরুদ্ধে এলো — যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল দৃঢ় সংকল্পকারী ৷
আরও এসেজ্যি তাদের মিত্ররা ৷

তারা এসেছিল আমাদের উদ্দেশ্যে ৷ তারা ধারণা করেছিল তাদের সমকক্ষ কেউ নেই ৷
আমরা তাদের নাক-কান কেটে দিয়েছিলাম ৷

কেটেছিলাম ভারতীয় হালকা শানিত তরবারি দ্বারা ৷ এর সাহায্যে আমরা তাদেরকে ঘাড় ধরে
তাড়িয়ে নিয়ে আমি-

আল্লাহর নির্দেশ পালন ও ইসলামের দিকে যাতে দীন প্রতিষ্ঠিত হয় — ভারসাম্যপুর্ণ ও
একনিষ্ঠভাবে ৷

আর যাতে লোকে ভ্যুল যায় লাত , উঘৃযা ও উদকে এবং আমরা ছিনিয়ে নিব ওদের গলার হার
ও কানের দৃল ৷

এর ফলে মানুষ স্থিতি ফিরে পায় ও শান্তি লাভ করে ৷ আর যারা বিরত হবে না তারা হবে
অপমানিত ৷”

ইবন ইসহাক বলেন : কিনানা ইবন আবদ ইয়ালীল ইবন আমর ইবন উমায়র ছাকাফী উক্ত
কবিতার জবাব দেয় ৷

আমি বলি, এ ঘটনার পর কিনানা ইবন আবদ ইয়ালীল ছাকীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি
দলের সাথে এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট একই সাথে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ মুসা ইবন উকবা,
আবু ইসহাক, আবু উমার ইবন আবদুল বাবু, ইবনুল আহীর প্রমুখ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷
বিৎ মাদায়িনী বলেছেন যে , কিনানা ইসলাম গ্রহণ করেনি; বরং সে রােমে চলে যায় এবং খৃক্ট ধর্ম

গ্রহণ করে তার মৃত্যুও সেখানে হয় !


[غَزْوَةُ الطَّائِفِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (غَزْوَةُ الطَّائِفِ) . قَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: «قَاتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَحَاصَرَ الطَّائِفَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَمَانٍ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَ فَلُّ ثَقِيفٍ الطَّائِفَ أَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ مَدِينَتِهَا، وَصَنَعُوا الصَّنَائِعَ لِلْقِتَالِ، وَلَمْ يَشْهَدْ حُنَيْنًا وَلَا حِصَارَ الطَّائِفِ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَلَا غَيْلَانُ بْنُ سَلَمَةَ; كَانَا بِجُرَشَ يَتَعَلَّمَانِ صَنْعَةَ الدَّبَّابَاتِ وَالْمَجَانِيقِ وَالضُّبُورِ. قَالَ: ثُمَّ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ حِينَ فَرَغَ مِنْ حُنَيْنٍ فَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي ذَلِكَ: قَضَيْنَا مِنْ تِهَامَةَ كُلَّ رَيْبٍ ... وَخَيْبَرَ ثُمَّ أَجْمَمْنَا السُّيُوفَا نُخَيِّرُهَا وَلَوْ نَطَقَتْ لَقَالَتْ ... قَوَاطِعُهُنَّ دَوْسًا أَوْ ثَقِيفَا فَلَسْتُ لِحَاضِنٍ إِنْ لَمْ تَرَوْهَا ... بِسَاحَةِ دَارِكُمْ مِنَّا أُلُوفَا