আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

سرية أوطاس

পৃষ্ঠা - ৩৫২৭

“এবং নারীর মধ্যে ণ্তামাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্যে
নিষিদ্ধ (৪ নিসা : ২৪) ৷

আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, এ আয়াতের কারণে আমরা তাদের সাথে মিলিত হওয়া বৈধ
মনে করি ৷ তিরমিযী এবং নাসাঈও এ হাদীছ উছমান বাত্তী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম তার
সহীহ গ্রন্থে শুব৷ আবু সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ,
মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ এ হাদীছ সাঈদ ইবন আবুআরুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া
মুসলিম, শু’বা ও তিরমিযী হুমাম আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন :
আওতাস যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ অনেক বন্দী দাসী প্রা হন ৷ এসব দাসীর মুশরিক
স্বামী বর্তমান ছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর কিছু সংখ্যক সাহাবী এ সব দাসীদের ভোগৃ সস্তোগ
থেকে বিরত থাকেন এবং এ কাজকে তারা পাপ মনে করেন ৷ তখন এ প্রসংগে নিম্নোক্ত আয়াত
নাযিল হয় :

৷ ’,

“এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দামী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্যে
নিষিদ্ধ (৪ নিসা : ২৪) ৷

হাদীছের উপরোক্ত বর্ণনাটি আহমদ ইবন হাম্বলের পাঠ থেকে গৃহীত ৷ বর্ণিত হাদীছের এ
সুত্রে আলকামা হাশিমীর নামটি তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি একজন নির্ভরযোগ্য (ছিকা)
রাবী এবং হাদীছটি মাহফুয শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ৷

উপরোক্ত আয়াত থেকে দলীল গ্রহণ করে প্রাথমিক যুগের একদল আলিম বলেন যে, দাসী
বিক্রী করলে তালাক হয়ে যায় ৷ ইবন মাসউদ, উবাই ইবন কা’ব, জাবির ইবন আবদুল্লাহ্, ইবন
আব্বাস (বা) , সাঈদ ইবন মুসায়িাব ও হাসান বসরী (র) থেকে এরুপ মত বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু
অধিকাৎশ আলিম এ মতের বিরোধী ৷ তারা বারীরার ঘটনাকে দলীল হিসেবে পেশ করেন ৷
কেননা, বারীরাকে বিক্রী করে দেওয়ার পর তার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে তাকে
ইখতিয়ার দেওয়া হয় ইচ্ছে করলে সে তার বিবাহ রেখে দিতে পারে অথবা ইচ্ছে করলে
ভেৎগে দিতে পারে ৷ যদি কেবল বিক্রী করার দ্বারইি তালাক হয়ে যেত , তা হলে তাকে এখতিয়ার
দেওয়া হতো না ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমি তাফসীর গ্রন্থে করেছি ৷ অবশ্য আহকামুল
কাবীর” অধ্যায়ে আমি এ সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷ এ ছাড়া আওতাস যুদ্ধের
বন্দী দাসীদের ঘটনা থেকে দলীল গ্রহণ পুর্বক প্রাথমিক যুগের আলিমদের একটি দল এ মত
পোষণ করেন যে, ঘুশরিক বীদীর সাথে মিলন-ক্রিয়া বৈধ ৷ কিন্তু জমহুর উলামা এ মতের
বিরোধী ৷ তারা বলেন, এ ঘটনা একটি ব্যতিক্রমী বিষয় ৷ হতে পারে তারা হয়তো বা ইসলাম
গ্রহণ করেছিল ; কিৎবা তারা ছিল আহলে কিতাব ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার স্থান
“আহকামুল কাবীর অধ্যায় ৷

হুনায়ন ও আওতাস যুদ্ধে যারা শহীদ হন

১ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুক্তদাস আয়মান ইবন উবায়দ ৷ যিনি আয়মান ইবন উষ্মে আয়মান
নামে খ্যাত ৷


أَبُو عَامِرٍ ثُمَّ حَمَلَ عَلَيْهِ آخَرُ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ أَبُو عَامِرٍ وَهُوَ يَدْعُوهُ إِلَى الْإِسْلَامِ وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ عَلَيْهِ. فَقَتَلَهُ أَبُو عَامِرٍ ثُمَّ جَعَلُوا يَحْمِلُونَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ ذَلِكَ، حَتَّى قَتَلَ تِسْعَةً، وَبَقِيَ الْعَاشِرُ، فَحَمَلَ عَلَى أَبِي عَامِرٍ وَحَمَلَ عَلَيْهِ أَبُو عَامِرٍ وَهُوَ يَدْعُوهُ إِلَى الْإِسْلَامِ وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ عَلَيْهِ. فَقَالَ الرَّجُلُ: اللَّهُمَّ لَا تَشْهَدْ عَلَيَّ. فَكَفَّ عَنْهُ أَبُو عَامِرٍ فَأَفْلَتَ، فَأَسْلَمَ بَعْدُ، فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَآهُ قَالَ: " «هَذَا شَرِيدُ أَبِي عَامِرٍ» " قَالَ: وَرَمَى أَبَا عَامِرٍ أَخَوَانِ; الْعَلَاءُ وَأَوْفَى أَبْنَاءُ الْحَارِثِ مِنْ بَنِي جُشَمَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَأَصَابَ أَحَدُهُمَا قَلْبَهُ وَالْآخِرُ رُكْبَتَهُ فَقَتَلَاهُ، وَوَلَّى النَّاسُ أَبَا مُوسَى فَحَمَلَ عَلَيْهِمَا فَقَتَلَهُمَا، فَقَالَ رَجُلٌ مَنْ بَنِي جُشَمَ يَرْثِيهِمَا: وَإِنَّ الرَّزِيَّةَ قَتْلُ الْعَلَاءِ ... وَأَوْفَى جَمِيعًا وَلَمْ يُسْنَدَا هُمَا الْقَاتِلَانِ أَبَا عَامِرٍ ... وَقَدْ كَانَ ذَا هَبَّةٍ أَرْبَدَا هُمَا تَرَكَاهُ لَدَى مَعْرَكٍ ... كَأَنَّ عَلَى عِطْفِهِ مُجْسَدَا فَلَمْ يَرَ فِي النَّاسِ مِثْلَيْهِمَا ... أَقَلَّ عِثَارًا وَأَرْمَى يَدَا وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حُنَيْنٍ بَعَثَ أَبَا عَامِرٍ عَلَى جَيْشٍ إِلَى أَوْطَاسٍ، فَلَقِيَ دُرَيْدَ بْنَ الصِّمَّةِ فَقُتِلَ دُرَيْدٌ وَهَزَمَ