আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

أمر الرسول صلى الله عليه وسلم بجمع الغنائم

مرور النبي صلى الله عليه وسلم بالمرأة التي قتلها خالد

পৃষ্ঠা - ৩৫২৩

দৃরায়দকে হত্যা করার বিবরণ শুনায় ৷ বর্ণনা শুনে তার মা বললেন ৷ “আল্লাহর কসম ! সে তো
তোমার মাদেরকে তিন তিনবার যুক্ত করেছিল ৷”

দৃরায়দ নিহত হওয়ার পর তার কন্যা উমারা বিনৃত দৃরায়দ যে শোক পথাে রচনা করেছিল,
ইবন ইসহাক তা উল্লেখ করেছেন ৷ তার কিছু অংশ নিম্নে দেওয়া হল ও

এস্পো
এক্রা

“তারা বলেছে, আমরা দৃরায়দকে হত্যা করেছি ৷ আমি বলেছি, তারা সত্য কথাই বলেছে ৷
ফলে আমার অশ্রু অবিরতভাবে আমার আমার উপর ঝরে পড়ছে ৷

যদি ঐ শক্তি বিদ্যমান না থাকতো যা সষুদয় জাতিকে গ্রাস করে নিয়েছে, তা হলে বনু
সুলায়ম ও বনু কা ’ব দেখতাে, কিভাবে হুকুম মান্য করা হয় ও আনুগত্য করতে হয় ৷

তখন প্রাতঃকালে তাদেরকে আঘাত হানতাে প্রকাশ্যে ও অপ্ৰকাশ্যে এক বিরাট বিশাল
বাহিনী ৷ তখন বিপদ মুসীবত স্থায়ীভাবে তাদের ঘাড়ে চেপে বসতাে ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : যুশরিক বাহিনীর মধ্য হতে যারা আওতাসের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল
তাদের পশ্চাদ্বাবন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু আমির আশআরীকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি
পরাজিতদের মধ্যেকার কিছু লোকের নাপাল পেয়ে যান ৷ দুর থেকে উভয় দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু
হয় ৷ একটি তীর এসে আবু আমির (রা)-এর গায়ে পতিত হয় এবং তাতেই তিনি শহীদ হন ৷
তারপর তার চাচাত ভাই আবুমুসা আশআরী (রা) পতাকা ধারণ পুর্বক তাদের বিরুদ্ধে লড়ইিয়ে
অবতীর্ণ হন ৷ আল্লাহ্ তাকে এ লড়াইয়ে বিজয় দান করেন এবং শত্রুদেরকে পরাজিত করেন ৷
ণ্লাকমুখে জানা যায় যে, যে ব্যক্তি আবু আমির আশআরী (রা) কে তীরবিদ্ধ করেছিল যে হল
দুরায়দের পুত্র সালামা ৷ তার নিক্ষিপ্ত তীর আবু আমিরের হীটুতে লাগে এবং এতেই তিনি নিহত
হন ৷ এ প্ৰসংগে সালামা কবিতায় বলে :


“আমার সম্পর্কে যদি জানতে চাও, তা হলে শুনে নাও আমার নাম সালামা ৷ আমি
সামাদীরের পুত্র ৷ এ পরিচয় তার জন্যে দেওয়া যে তাকে ভালরুপে জানতে চায় ৷ আমি
মুসলমানদের মাথায় তলােয়ারের আঘাত হানি ৷

ইবন ইসহাক বলেন : কবিতা ও ঘটনা বর্ণনায় পারদর্শী জনৈক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আমার
নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আওতাসের দিন দশজন মুশরিকের সাথে আবু আমির (রা)-এর
মুকাবিলা হয় ৷ এ দশজনই ছিল পরস্পরের ভাই ৷ তাদের মধ্যে একজন আবুআমিরের উপর
হামলা করে ৷ ফলে আবু আমির (রা) ও তার উপর হামলা করেন ৷ তিনি তাকে ইসলাম গ্রহণ

৭৪

[أَمْرُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَمْعِ الْغَنَائِمِ] فَصْلٌ (أَمْرُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَمْعِ الْغَنَائِمِ) . وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَنَائِمِ فَجُمِعَتْ مِنَ الْإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالرَّقِيقِ، وَأَمَرَ أَنْ تُسَاقَ إِلَى الْجِعْرَانَةِ فَتُحْبَسَ هُنَاكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْغَنَائِمِ مَسْعُودَ بْنَ عَمْرٍو الْغِفَارِيَّ. [مُرُورُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَرْأَةِ الَّتِي قَتَلَهَا خَالِدٌ] فَصْلٌ (مُرُورُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَرْأَةِ الَّتِي قَتَلَهَا خَالِدٌ) . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ يَوْمَئِذٍ بِامْرَأَةٍ قَتَلَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَالنَّاسُ مُتَقَصِّفُونَ عَلَيْهَا، فَقَالَ لِبَعْضِ أَصْحَابِهِ: " أَدْرِكْ خَالِدًا فَقُلْ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَاكَ أَنْ تَقْتُلَ وَلِيدًا أَوِ امْرَأَةً أَوْ عَسِيفًا» هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو ثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ حَدَّثَنِي الْمُرَقَّعُ بْنُ صَيْفِيٍّ عَنْ جَدِّهِ رَبَاحِ