আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৫০৬

করেন ৷ রাবী বলেন, আমার চাইতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অধিক নিকটে থাকা এক ব্যক্তি আমার
নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক মুঠো মাটি হাতে নিয়ে প্রুশু৷ ৷ :া১এে বলে
শত্রুদের মুখমন্ডলের দিকে নিক্ষেপ করেন ৷ ইয়া’লা ইবন আতা বলেন, ঐ যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী
যােদ্ধাদের সন্তানরা তাদের পিতাদের বরাত দিয়ে আমাদের কাছে বর্ণনা কারহ্নেব্ক্ত যে, শত্রুপক্ষেব
এমন কেউ অবশিষ্ট জ্যি না যার চোখ-মুখ ঐ মাটি দ্বারা পরিপুর্ণ না হয়েছিল ৷ তারা বলেছেন,
আমরা আকাশ থেকে একটি ঝনঝন আওয়ায শুনতে পাই ৷ লোহার থালার উপর দিয়ে এক খণ্ড
লোহা গড়িয়ে দিলে যে রকম আওয়ায হয় ঐ আওয়াযটি ছিল ঠিক এ আওয়াষের মতই ৷
অবশেষে আল্লাহ্ তাদেরকে পরাজিত করেন ৷ আবু দাউদ সিজিসতানী তীর সুনান গ্রন্থে মুসা ইবন
ইসমাঈলেব সুত্রে হামাদ ইবন সালাম! থেকে এ ঘটনা অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে আবল্লোহ্ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বল্যেছা, হুনায়ন দিবসে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে ল্পিাম ৷ এক পর্যায়ে মুসলিম মুজাহিদ্যা
তাকে রেখে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায় ৷ তবে মুহাজির ও আনসাবদের মধ্য থেকে মাত্র
আশি জ্যা ণ্লাক তীর কাছে থেকে যান ৷ আর আমরা কিছু সংখ্যক লোক আশি কদম পিছিয়ে
গিয়ে অবস্থান করি ৷ তবে আমরা পিট ফিরিয়ে চলে যাইনি ৷ উক্ত আশি জনের উপর আল্লাহ্
প্রশান্তি নাযিল করেন ৷ ইবন মাসউদ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর খচ্চরে আরোহণ করে কয়েক
কদম অগ্রসর হন ৷ ৰিক্ষ্ম খচ্চরটি তাকে নিয়ে আকরািকা হয়ে চলে ৷ ফলে তিনি জিন থেকে
কিছুটা ঝুকে পড়েন ৷ আমি তখন বললাম, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি সোজা হয়ে মাথা উচু
করুন ৷ আল্লাহ্ আপনাকে উপরে উঠাবেন ৷ তিনি বললেন : “আমার কাছে এক মুঠো মাটি
দাও ৷” এরপর তার হাতে এক মুঠো মাটি দেওয়ার পর তিনি তা শত্রুদের মুখের দিকে ছুড়ে
মারেন ৷ ফলে দেখা গেল তাদের সকলের চোখ সে মাটিতে ভরে গিয়েছে ৷ এরপর তিনি
জিজ্ঞেস করলেন : মুহাজির ও আনসাররা ণ্কাথায় ?” আমি বললাম, “ঐ (তা তারা ওখানে
আছেন ৷” তিনি বললেন, তাদেরকে এখানে আমার জন্যে আওয়ায দাও ৷” আমি আওয়ায
দিলাম ৷ আওয়ায শুনে তীরা চলে আসলেন ৷ তীদ্যে৷ ডান হাতে ছিল তলোয়ার ৷ তলোয়ারগুলো
ছিল সাদা-কাল মিশ্রিত উজ্জ্বল চকচকে ৷ এ সময় মুশরিকরা পচাৎ দিকে পলায়ন করে ময়দান
ত্যাগ করে ৷ ইমাম আহমদ উক্ত সনদে একইি এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বায়হাকী আবুআবল্লোহ হাফিয এর সুত্রে ইয়ায ইবন হারিছ আনসারী থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বালাছা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হক্তেরাযিনরুদঃ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে বার
হাজার মুসলিম সৈন্যসহ আগমন করেন ৷ হ্না৷য়নের এ যুদ্ধে তায়েফের অধিবাসীদের মধ্য হতে
যারা নিহত হয়, তাদ্যে৷ সংখ্যা ছিল বদর যুদ্ধে নিহত মুশব্লিকদের সংখ্যার অনুরুপ ৷ রাৰী ইয়ায
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক মুঠাে কংকর হাতে নিয়ে তা আমাদের মুখমণ্ডলের দিকে নিক্ষেপ
করেন ৷ এর ফলে আমাদের পরাজয় অনিবার্ষ হয়ে দাড়ায় ৷ ইমাম বুখারী তার ইতিহাস গ্রন্থে এ
হাদীছ উল্লেখ করেহ্নো ; কিংস্থ সেখাৰ্ন ইয়ায়ের নাম নেই ৷

মুসাদ্দাদ বলেন, আমাদের কাছে জাফর ইবন সুলায়মান, হুনায়ন যুদ্ধে কাষিস্মদের পক্ষে
অৎশগ্রহণকারী আনক ব্যক্তি বর্ণনা করেন, “আমরা ও রাসুলুল্লাহ্র বাহিনী যখন পরস্পর মুখোমুৰী


مُدْبِرِينَ، فَقَالَ حَارِثَةُ بْنُ النُّعْمَانِ: لَقَدْ حَزَرْتُ مَنْ بَقِيَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَدْبَرَ النَّاسُ، فَقُلْتُ: مِائَةُ رَجُلٍ. قَالُوا: وَمَرَّ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ بِصَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ فَقَالَ: أَبْشِرْ بِهَزِيمَةِ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، فَوَاللَّهِ لَا يَجْتَبِرُونَهَا أَبَدًا. فَقَالَ لَهُ صَفْوَانُ: تُبَشِّرُنِي بِظُهُورِ الْأَعْرَابِ! فَوَاللَّهِ لَرَبٌّ مِنْ قُرَيْشٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ رَبٍّ مِنَ الْأَعْرَابِ. وَغَضِبَ صَفْوَانُ لِذَلِكَ. قَالَ مُوسَى: وَبَعَثَ صَفْوَانُ غُلَامًا لَهُ فَقَالَ: اسْمَعْ لِمَنِ الشِّعَارُ؟ فَجَاءَهُ فَقَالَ: سَمِعْتُهُمْ يَقُولُونَ: يَا بَنِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَا بَنِي عَبْدِ اللَّهِ، يَا بَنِي عُبَيْدِ اللَّهِ. فَقَالَ: ظَهَرَ مُحَمَّدٌ. وَكَانَ ذَلِكَ شِعَارَهُمْ فِي الْحَرْبِ. قَالُوا: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا غَشِيَهُ الْقِتَالُ قَامَ فِي الرِّكَابَيْنِ وَهُوَ عَلَى الْبَغْلَةِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى اللَّهِ يَدْعُوهُ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أَنْشُدُكَ مَا وَعَدْتَنِي، اللَّهُمَّ لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَظْهَرُوا عَلَيْنَا ". وَنَادَى أَصْحَابَهُ وَذَمَّرَهُمْ: " يَا أَصْحَابَ الْبَيْعَةِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ اللَّهَ اللَّهَ، الْكَرَّةَ عَلَى نَبِيِّكُمْ ". وَيُقَالُ: حَرَّضَهُمْ فَقَالَ: " يَا أَنْصَارَ اللَّهِ وَأَنْصَارَ رَسُولِهِ، يَا بَنِي الْخَزْرَجِ، يَا أَصْحَابَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ ". وَأَمَرَ مِنْ أَصْحَابِهِ مَنْ يُنَادِي بِذَلِكَ. قَالُوا: وَقَبَضَ قَبْضَةً مِنَ الْحَصْبَاءِ، فَحَصَبَ بِهَا وُجُوهَ الْمُشْرِكِينَ وَنَوَاحِيَهُمْ كُلَّهَا، وَقَالَ: " شَاهَتِ الْوُجُوهُ ". وَأَقْبَلَ أَصْحَابُهُ إِلَيْهِ سِرَاعًا يَبْتَدِرُونَ، وَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " الْآنَ حَمِيَ الْوَطِيسُ ". فَهَزَمَ اللَّهُ أَعْدَاءَهُ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ حَصَبَهُمْ مِنْهَا، وَاتَّبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَهُمْ، وَغَنَّمَهُمُ اللَّهُ نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ، وَفَرَّ مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ حَتَّى دَخَلَ حِصْنَ الطَّائِفِ هُوَ وَأُنَاسٌ