আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في أنزل الله نصره على المسلمين

পৃষ্ঠা - ২৬৬৮


মৃশরিকদের ১৪০ জন লোককে নিহত ও বন্দী করেছিলেন ৷ তন্মধ্যে ৭০ জন নিহত হয়েছিল আর
৭০ জন বন্দী হয়েছিল ৷

তারপর এ রিওয়ায়াংতও পুর্বোল্লিখিত আবু সুফিয়ান ও উমর (রা)-এর মধ্যকার বাক্য
বিনিময়ের বর্ণনা রয়েছে ৷ এ বর্ণনাটি ইমাম বুখারী (ব) যুহড়ায়র ইবন মুআবিয়া থেকে সংক্ষিপ্ত
আকারে উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইসরাঈল সুত্রে আবুইসহাক থেকে তার একটি দীর্ঘ বর্ণনা ইতিপুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আফফান আনাস ইবন মালিক (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে মুশরিকগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর প্রচন্ড আক্রমণ চালিয়েছিল ৷
এক পর্যায়ে তার সাথে মাত্র ৭ জন আনসারী সাহাবী এবং একজন কৃরায়শী সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি
বললেন, কেউ যদি কাফির শত্রুদেরকে আমার নিকট থেকে সরিয়ে দিতে পারে তবে সে জান্নাতে
আমার সাথী হতে পারবে ৷ একথা শুনে একজন আনসারী সাহাবী এগিয়ে এলেন এবং
কাফিরদেরকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষে যুদ্ধ শুরু করলেন এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন ৷ শত্রুগণ
দ্বিতীয়বার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ঘিরে ফেলল ৷ তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি ওদেরকে সরিয়ে দিয়ে
সে জান্নড়াতে আমার সাথী হবে ৷ এ ঘোষণা শুনে অন্য একজন সাহাবী এগিয়ে এলেন এবং যুদ্ধ
করে শহীদ হলেন ৷ এভাবে ৭ জন সাহাবীই শহীদ হয়ে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, আমার
এ সাহাবীগণের প্রতি সুবিচার করা হয়নি ৷

মুসলিম (র) এই হাদীছ হুদবা ইবন খালিদ সুত্রে হাম্মাদ ইবন সালড়ামা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী তার দালাইল’ গ্রন্থে তার সনদে উমারা ইবন গুয্রা সুত্রে আবু যুবায়র থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , জাবির (রা ) বলেছেন, উহুদ দিবসে মুসলিম সৈন্যগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ছেড়ে
ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ মাত্র ১ ১জন আনসারী সাহাবী এবং তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ তার সাথে ছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন পাহাড়ে আরোহণ করছিলেন ৷ ইতেড়ামধ্যে মুশরিকগণ তাদের কাছাকাছি
এসে পৌছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওদেরকে প্রতিরোধ করার কি কেউ নেই ন্ হযরত তালহা
(রা ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে তালহা ! তুমি যেমন
আছ তেমন থাক ৷ তখন একজন আনসারী সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আছি ৷ এ
কথা বলে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতিরক্ষার্থে যুদ্ধ শুরু করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার অন্য
সাথিগণ উপরের দিকে উঠে গেলেন ৷ ইতোমধ্যে উক্ত আনসারী সাহাবী শহীদ হলেন এবং
শত্রুগণ রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর কাছাকাছি পৌছে গেল ৷ তিনি বললেন , ওদেরকে প্রতিরোধ করার কি
কেউ নেই ? হযরত তালহা (বা ) পুর্বের ন্যায় বললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে পুর্বের ন্যায় উত্তর
দিলেন, তখন একজন আনসারী সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আছি ৷ এ বলে তিনি যুদ্ধ
শুরু করলেন ৷ ইতোমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার অবশিষ্ট সাহাবীগণ আরো উপরে উঠে গেলেন ৷
কিছুক্ষ্যণর মধ্যে আনসারী সাহাবী শহীদ হয়ে গেলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) একাধিকবার
পুর্বের মত আহ্বান করলেন ৷ হযরত তালহা (বা) তার প্রভৃতির কথা জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বিরত রাখলেন ৷ অন্য একজন আনসারী সাহাবী অনুমতি চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অনুমতি দিলেন ৷ তারা একের পর এক যুদ্ধ করে শহীদ হয়ে গেলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্



صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبَيْهِ: مَا أَنْصَفْنَا أَصْحَابَنَا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فِي " الدَّلَائِلِ " بِإِسْنَادِهِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «انْهَزَمَ النَّاسُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَبَقِيَ مَعَهُ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَهُوَ يَصْعَدُ فِي الْجَبَلِ، فَلَحِقَهُمُ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ: أَلَا أَحَدٌ لِهَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: كَمَا أَنْتَ يَا طَلْحَةُ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: فَأَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَاتَلَ عَنْهُ، وَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ بَقِيَ مَعَهُ، ثُمَّ قُتِلَ الْأَنْصَارِيُّ فَلَحِقُوهُ، فَقَالَ: أَلَا رَجُلٌ لِهَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ مِثْلَ قَوْلِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِثْلَ قَوْلِهِ، فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: فَأَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَذِنَ لَهُ. فَقَاتَلَ مِثْلَ قِتَالِهِ وَقِتَالِ صَاحِبِهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَصْعَدُونَ، ثُمَّ قُتِلَ فَلَحِقُوهُ، فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مِثْلَ قَوْلِهِ الْأَوَّلِ، وَيَقُولُ طَلْحَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَيَحْبِسُهُ فَيَسْتَأْذِنُهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ لِلْقِتَالِ