আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৫০৩

মুশরিকদের চোখ-মুখ লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন এবং মুখে উচ্চারণ করেন প্রু; ধ্এ ;া১ট্র
ওদের চেহারা ৰিবর্ণ হোক ৷ তখন তার সাহাবীগণ অতি দ্রুত তীর কাছে ফিরে আসেন ৷ রাবীগণ
বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) এ সময় বলেছিলেন : ,াশুপু ৷ র্শে,১ ,প্লুখু ৷ “এখন যুদ্ধের চরম
মুহুর্ত ৷ তারপর আল্লাহ তার দৃশমনদের সম্পুর্ণরুপে পর্বুদংঘ্র করেন ৷ শত্রুদের প্ৰতেকের
চোখে-মুখে নিক্ষিপ্ত কংকর লেগে যায় ৷ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তারা পলায়ন করে ৷ মুসলমানরা তাদের
পশ্চাদ্ধাবন করে অকাতরে হত্যা করেন ৷ এ যুদ্ধে আল্লাহ্ তাআলা ওদের নারী ও শিশুদেরকে
গনীমত হিসেবে মুসলমানদেরকে প্রদান করেন ৷ এ দিকে সেনাপতি মালিক ইবন আওফ ও তার
গোত্রের সর্দারপণ পালিয়ে তায়েফের দুর্গে প্রবেশ করে ৷ এ সময় রাসুভৈলর প্ৰতি আল্লাহর সাহায্য
ও নীল ইসলামের অপ্রতিরোধ্য শক্তি ন্প্রতাক্ষ করে মক্কার বহু সংখ্যক থেকে ইসলাম গ্রহণ করে ৷
ইমাম বায়হাকী এটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ওয়াহব বলেন, ইউনুস কাহীর ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব থেকে
বর্ণনা করেন ৷ আব্বাস (রা) বলেছেন : হুনায়ন যুদ্ধে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে অংশ গ্রহণ
করি ৷ আমি ও আবু সুফিয়ান ইবন হারিছ সর্বক্ষণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে থাকি ৷ কখনও তার
থেকে পৃথক হইনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাদা রং-এর খচ্চরের উপর থাকেন ৷ এ খচ্চরঢি তাকে
ফারওয়া ইবন নৃফাছা আল-জুযামী উপচৌকন স্বরুপ দান করেছিলেন ৷ যুদ্ধ শুরু হলে মুসলমানরা
পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার খচ্চরটিকে কাফিরদের দিকে এগিয়ে
নেন ৷ আব্বাস (রা) বলেন, খচ্চরটি যাতে দ্রুত না চলে সে জন্যে আমি তার লাণাম ধরে টেনে
রাখি ৷ আর আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রিকাব ধরে রাখেন ৷ রাসুলুস্লাহ্ (না) তখন
আব্বাসকে বললেন : তুমি হুদায়বিয়ার বাবলা বৃক্ষের নীচে বায়আত গ্রহণকারীদেরকে আহ্বান
কর ৷ আব্বাস (রা) বলেন, ণাভী যেমন তার বাছুরকে সােহাগের জন্য ছুটে যায়, তেমনি আমার
আওয়ায শুনার পর তারা ছুটে আসে যেন আমি তাদের প্রতি অনুরুপ সোহাপ প্রকাশ করেছি ৷ তারা
জবাবে বললো আমরা হাযির, আমরা হাযির ৷ তারা এসে কাফিরদের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হয় ৷
আনসারদের আহ্বান করে বলা হয় এা;১৷ ৷ ,;: ৷ হে আনসার সম্প্রদায় ! এরপর
নির্দিষ্টভারে বনুল হারিছ ইবন খাযরাজকে হে বনুল হারিছ বলে আহ্বান করা হয় ৷ এ সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খচ্চরের উপর থেকে মাথা উচু করে রণক্ষেত্রের দিকে তাকান এবং যুদ্ধ প্রত্যক্ষ
করেন ৷ তখন তিনি বলেন, এখন হচ্ছে যুদ্ধের সব চাইতে উত্তেজনাকর অবস্থা ৷ এরপর তিনি
কিছু কংকর হাতে নিয়ে সেগুলো কাফিরদের প্রতি নিক্ষেপ করেন ৷ তারপরে বললেন, মুহামাদ্দের
প্রতিপালকের কসম ! ওরা পরাজিত হয়েছে ৷ আব্বাস বলেন, তখন আমি স্বচক্ষে দেখার জন্যে
যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ দেখলাম, যুদ্ধ তার আপন অবস্থায় আছে ৷ আব্বাস বলেন,
আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন কাফিরদের দিকে কংকর নিক্ষেপ করেন, তখন থেকে
দেখলাম, তাদের যুদ্ধের গতিতে তটি৷ পড়েছে, তলােয়ারের ধার ভৌতা হয়ে গিয়েছে এবং ময়দান
ছেড়ে পেছনের দিকে ধাবিত হচ্ছে ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছ আবু তাহিরের সুত্রে ইবন ওহব
থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়াও তিনি মুহাম্মাদ ইবন রাফি আবদুর রায্যাক মামার
সুত্রে যুহ্রী থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম মুসলিম ইকরামা ইবন আমার সালামা ইবন আকওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে,


مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَخْتِلُهُ مِنْ وَرَائِهِ لِيَقْتُلَهُ، فَأَسْرَعْتُ إِلَى الَّذِي يَخْتِلُهُ، فَرَفَعَ يَدَهُ لِيَضْرِبَنِي فَأَضْرِبُ يَدَهُ فَقَطَعْتُهَا، ثُمَّ أَخَذَنِي فَضَمَّنِي ضَمًّا شَدِيدًا حَتَّى تَخَوَّفْتُ، ثُمَّ تَرَكَ فَتَحَلَّلَ، فَدَفَعْتُهُ ثُمَّ قَتَلْتُهُ، وَانْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ وَانْهَزَمْتُ مَعَهُمْ، فَإِذَا بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي النَّاسِ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا شَأْنُ النَّاسِ؟ قَالَ: أَمْرُ اللَّهِ. ثُمَّ تَرَاجَعَ النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَنْ أَقَامَ بَيِّنَةً عَلَى قَتِيلٍ فَلَهُ سَلَبُهُ " فَقُمْتُ لِأَلْتَمِسَ بَيِّنَةً عَلَى قَتِيلِي، فَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَشْهَدُ لِي، فَجَلَسْتُ، ثُمَّ بَدَا لِي فَذَكَرْتُ أَمْرَهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَائِهِ: سِلَاحُ هَذَا الْقَتِيلِ الَّذِي يَذْكُرُ عِنْدِي، فَأَرْضِهِ مِنِّي. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: كَلَّا لَا يُعْطِيهِ أُضَيْبِعًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَيَدَعُ أَسَدًا مِنْ أُسُدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ. قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ فَأَدَّاهُ إِلَيَّ، فَاشْتَرَيْتُ بِهِ خِرَافًا، فَكَانَ أَوَّلَ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمُسْلِمٌ كِلَاهُمَا عَنْ قُتَيْبَةَ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ رِوَايَةِ نَافِعٍ أَبِي غَالِبٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ الْقَائِلَ لِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَلَعَلَّهُ