আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৫০২

নারী, শিশু ও জীব-ত্তক্ষ্ম ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) শত্রু বাহিনীর গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্যে আবদুল্লাহ
ইবন আবু হাদরাদকে গোয়েন্দা হিসেবে প্রেরণ করেন ৷ তিনি শত্রুদের মধ্যে মিশে গিয়ে রাত্রি
যাপন করেন ৷ তখন তিনি শুনতে পেলেন মালিক ইবন আওফ তার বাহিনীকে সম্বোধন করে
বলছে ৷ “ভোর বেলা তোমরা মুসলিম বাহিনীর উপর একযোগে অতর্কিতে হামলা করবে ৷
তরবারিগুলোর খাপসমুহ ভেঙ্গে ফেলবে ৷ তোমাদের পশুগুলোকে এক লাইনে রাখবে এবং
মহিলাদেরকে আলাদা লাইনে কাতাববন্দী করে রাখাব ৷” সকাল হলে আবু সুফিয়ান, সাফওয়ান ও
হাকীম ইবন হিযাম আলাদা হয়ে মুসলিম বাহিনীর পিছনে গিয়ে অবস্থান নেয় ৷ সেখানে থেকে
তারা লক্ষ্য করছিলো যে দেখা যাক বিপদ কাদের ঘাড়ে চাপে ৷ মুসলিম বাহিনীকে সারিবদ্ধভাবে
র্দাড় করার হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাদা খচ্চরে আরোহণ করে মুসলিম সৈন্যদের লাইনের
সম্মুখে আসেন এবং যুদ্ধ করার নির্দেশ দান করেন ৷ যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন এবং ধৈর্য ধারণ
করলে বিজয়ের সুসংবাদ দেন ৷ এমতাবস্থায় মুশরিক বাহিনী মুসলিম বাহিনীর উপর একযোগে
অতর্কিতে হামলা চালায় ৷ ফলে মুসলিম বাহিনী সহসা ছত্রভত্গ হয়ে পড়ে ৷ তারপরে যুদ্ধক্ষেত্রে
থেকে দ্রুত পলায়ন করে ৷ হারিছা ইবন নু’মান বলেন, মুসলিম বাহিনী পলায়ন করে যাওয়ার পর
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে যারা অবশিষ্ট ছিল তাদের সংখ্যা হবে আনুমানিক একশ’ ৷
বর্ণনাকারিগণ বলেন : কুরায়শদের এক ব্যক্তি সাফওয়ান ইবন উমাইয়ার পাশে গিয়ে বললো,
সুসংবাদ শুনুন মুহাম্মাদ ও তার সাথীরা পরাজিত হয়েছে ৷ আল্লাহর কসম ৷ তারা আর ঐক্যবদ্ধ
হয়ে মাথা উচু করে র্দাড়াতে পারবে না ৷ তখন সাফওয়ান তাকে বললাে , তুমি আমাকে আরব
বেদুঈনদের বিজয়ের সুসংবাদ দিচ্ছ ষ্ আল্লাহর কসম ! কোন কুরায়শীর নেতৃত্ব বেদৃঈনের নেতৃত্ব
অপেক্ষা আমার কাছে অধিক পসন্দনীয়, এ
কথা বলার জন্যে সাফওয়ান ঐ ব্যজ্যি উপর ণ্ক্রাধাষিত হয় ৷

উরওয়া বলেন : সাফওয়ান তার এক পােলামকে যুদ্ধের সংকেত জানার জন্যে পাঠিয়ে দেয় ৷
সে ফিরে এসে জানানো যে, আমি শুনতে পেলাম মুসলমানরা এই বলে ডাকাডাকি করছে হে
বনু আবদুঃ৷ রহমান ! হে বনু আবদুল্লাহ ৷ হে বনু উবায়দৃল্লাহ্ ! তার বক্তব্য শুনে সাফওয়ান বললাে ,
মুহাম্মাদ জয়লাভ করেছেন ৷ যুদ্ধে তারা এই সাৎকেতিক শব্দ ব্যবহার করে ৷

বর্ণনাকারিগণ বলেন : যুদ্ধের প্ৰচগুতা যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ভাবিয়ে তোলে তখন তিনি
তার বাহন খচ্চরের রিকাবদ্বয়ের উপর দাড়িয়ে দৃ’হাত ভুলে আল্লাহর নিকট দৃআ করেন এবং
বলেন : “হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েহ্নেষ্ক তা পুরণ করুন ৷ হে আল্লাহ ! ওরা
যেন আমাদের উপর জয়লাভ করতে না পারে ৷” দৃআ শেষে তিনি তার সাহাবীদেরকে যুদ্ধের
প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে আহ্বান করেন হে হুদায়বিয়ার বায়আত গ্রহণকারী সাহাৰীগণ ! আল্লাহ্কে
ভয় কর, আল্লাহ্কে ভয় কর, তোমরা তোমাদের নবীর কাছে ফিরে এসো ৷ তিনি তাদেরকে আরও
উদ্বুদ্ধ করে বলেন : হে আল্লাহর সাহায্যকারিগণ ! হে আল্লাহর রাসুলের সাহায্যকারিগণ ! হে
খাযরাজ গোত্রের লোকজন ! হে সুরা বাকারার সাথীপণ ! এভাবে নিজে আহ্বান করার পর তিনি
কোন কোন সাহাবীকে অনুরুপভাবে আহ্বান করার জন্যে আদেশ করেন ৷

বর্ণনাকারিগণ বলেন : এ সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজের হাতে এক মুঠাে কংকর নিয়ে


وَرَائِهِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ بِالسَّيْفِ، فَقَطَعْتُ الدِّرْعَ، وَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ، ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ، فَأَرْسَلَنِي فَلَحِقْتُ عُمَرَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ النَّاسِ؟ فَقَالَ: أَمْرُ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ رَجَعُوا، وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ " فَقُمْتُ فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي؟ ثُمَّ جَلَسْتُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي؟ ثُمَّ جَلَسْتُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي؟ ثُمَّ جَلَسْتُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، فَقُمْتُ فَقَالَ: " مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ؟ " فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ رَجُلٌ: صَدَقَ، سَلَبُهُ عِنْدِي، فَأَرْضِهِ مِنِّي. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَاهَا اللَّهِ إِذًا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسُدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَيُعْطِيَكَ سَلَبَهُ؟! فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " صَدَقَ فَأَعْطِهِ ". فَأَعْطَانِيهِ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلَمَةَ، فَإِنَّهُ لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الْإِسْلَامِ» وَرَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا النَّسَائِيَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ بِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ نَظَرْتُ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَاتِلُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَآخَرُ