আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৫০০

গালিব আনাসের সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, উপরে উল্লিখিত বক্তব্যটি উমর ইবন খাত্তাবের ৷
সম্ভবতঃ উমর (রা) আবু বকর (রা)-এর বক্তব্য সমর্থন করার বর্ণনাকারী উমর (বা)-এর বক্তব্য
বলে ধরে নিয়েছেন ৷ অথবা হতে পারে বর্ণনাকারী বিষয়টি গুলিয়ে ফেলে এরুপ বলেছেন ৷
আল্লাহ-ই সমধিক জ্ঞাত ৷

হাফিয বায়হাকী হাকিমের সুত্রে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
হুনায়ন যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না) মুসালমানদের ছত্রতংগ অবস্থা দেখে আব্বাস (বা) কে ডেকে
বললেন, তুমি আনসার ও হুদায়বিয়ার সাথীদের ফিরে আসার জন্যে আহ্বান কর এবং বল,
বৃক্ষের নীচে বায়আত
গ্রহণকারী হুদায়বিয়ার সাথীরা বলে সাড়া দিলেন ৷ সকলেই
নিজ নিজ উট থামাবার চেষ্টা করলেন ৷ কিন্তু ণ্কানক্রমেই তাতে সক্ষম হলেন না ৷ তখন তীরা
নিজেদের র্কাধের উপর থেকে বর্ম ছুড়ে ফেলে শুধু ঢাল-তলােয়ার নিয়ে আমার ধ্বনি অনুসরণ
করে অগ্রসর হতে থাকেন ৷ এভাবে আসতে আসতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট একশত লোক
পৌছে গেলেন ৷ তখন তীরা শত্রুর মুখোমুখি হয়ে যুদ্ধ শুরু করে দেন ৷ প্রথম দিকে আহ্বান ছিল
আনসারদের প্রতি আর শেষের দিকে ছিল খাযরাজদের প্রতি ৷ যুদ্ধের ময়দানে এরা চরম
ধৈর্য-শৈর্যের পরিচয় দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাহনের রিকবেদ্বয়ে পা রেখে যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে দৃষ্টি
প্রসারিত করেন ৷ মুসলিম সৈন্যদের বীরতুপুর্ণ যুদ্ধ অবলােকন করে বলে উঠলেন : ষ্ ^ ;,১৷ ৷
, ষ্,া৷ এটাই যুদ্ধের চরম উত্তেজ্যাপুর্ণ মুহুর্ত ৷ রাবী বলেন, আল্লাহর কসম ! পলায়নকরীি
লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ফিরে আসার অল্পক্ষণের মধ্যেই যুদ্ধের চুড়ান্ত ফায়সালা হয়ে
গেল ৷ দেখা গেল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট শত্রু-পক্ষের বহু বন্দীকে সারিবদ্ধ করে রাখা
হয়েছে ৷ অবশিষ্টদের মধ্যে এক অংশ আল্লাহ্র ইচ্ছামত যুদ্ধের ময়দানে নিহত হয় ; এবং আর
এক অংশ রণাংগন থেকে পালিয়ে যায় ৷ এ যুদ্ধে আল্লাহ্ তীর রাসুলকে পনীতম হিসেবে শত্রুদের
প্রচুর সম্পদ ও তাদের সম্ভান-সত্ততি বন্দীরুপে দান করেন ৷

ইবন লাহয়া’ আবুল আসওয়াদের সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন এবং মুসা ইবন উকবা
তীর মাগাযী গ্রন্থে যুহরী থেকে উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ্ তাআলা বাসুলুল্পাহ্ (না)-কে মক্কা বিজয়
দান করলে তিনি সেখানে তীর প্রতিনিধি নিয়োগ করে হাওয়াযিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান ৷
মক্কার সাধারণ নাগরিকরাও এ সময় তীর সহযাত্রী হয়, কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি ৷ তাদের মধ্যে
কেউ যায় বাহনে চড়ে, কেউ যায় পায়ে হেটে ৷ এমন কি তাদের ত্রীরা পর্যন্ত অভিযানে শরীক হয় ৷
এ সব লোক তখনও পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷ এরা যায় দর্শক হিসেবে এবং গনীমতের আশা
নিয়ে ৷ এতদ্সত্তেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও সাহাবাগণের উপর কোন বিপর্যয় আপতিত হলে তাতে
তাদের কোন প্রকার আপত্তি ও মনঃপীড়া ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে ছিল আবু সুফিয়ান
ইবন হারব এবং সাফওয়ান ইবন উমাইয়া ৷ সাফওয়ড়ানের সংগে ছিল তার মুসলমান শ্রী ৷
সাফওয়ান তখনও ছিল মুশরিক ৷ বিন্তু ধর্মের বিভিন্নতা সত্বেও তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেনি ৷
বর্ণনাকারিগণ বলেন, এ যুদ্ধে মুশরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল মালিক ইবন আওফ নাসরী ৷ তার
সংগে জি দুরায়দ ইবন সাম্মা ৷ বয়সের ভাবে তার শরীর র্কাপছিল ৷ মুশরিক বাহিনীর সাথে ছিল

৭২

وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ ثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ مِنْ دُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ إِنْ تَشَأْ لَا تُعْبَدْ بَعْدَ الْيَوْمِ» إِسْنَادُهُ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ثَنَا غُنْدَرٌ ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ «سَمِعَ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ - وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ: أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ؟ - فَقَالَ: لَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَفِرَّ; كَانَتْ هَوَازِنُ رُمَاةً، وَإِنَّا لَمَّا حَمَلَنَا عَلَيْهِمُ انْكَشَفُوا، فَأَكْبَبْنَا عَلَى الْغَنَائِمِ، فَاسْتَقْبَلَتْنَا بِالسِّهَامِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ، وَإِنَّ أَبَا سُفْيَانَ آخِذٌ بِزِمَامِهَا، وَهُوَ يَقُولُ: " أَنَا النَّبِيُّ لَا كَذِبَ ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ عَنْ شُعْبَةَ بِهِ وَقَالَ: أَنَا النَّبِيُّ لَا كَذِبْ ... أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ إِسْرَائِيلُ وَزُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ: ثُمَّ نَزَلَ عَنْ بَغْلَتِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ. زَادَ مُسْلِمٌ: وَأَبِي مُوسَى. كِلَاهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ بِهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ