আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৪৯৯

কাতাদা ! তোমার কি হয়েছে?” তখন আমি তাকে বিষয়টি জানালাম ৷ এ সময় এক ব্যক্তি উঠে
বললাে, আবু কাতাদা ঠিকই বলেছেন ৷ তীর দ্রব্য-সামগী আমার কাছে আছে ৷ তবে সেগুলো
আমাকে দিয়ে দেওয়ার জন্যে তাকে সম্মত করে দিন ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন, “না,
আল্লাহর কসম ৷ তা হতে পারে না ৷ আল্লাহর সিংহদের মধ্যে এক সিংহ যে আল্লাহ্ ও তার
রাসুলের পক্ষে যুদ্ধ করেছে, তার যুদ্ধলব্ধ দ্রব্যাদি রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমাকে দিয়ে দিবেন : এ হতে
পারে না ৷ ” নবী (সা) বললেন : আবু বকর ঠিকই বলেছেন ৷ সুতরাং দ্রব্যগুলি তুমি তাকে দিয়ে
দাও ৷ আবু কাতাদা বলেন, তখন সে নিহতের দ্রব্যগুলো আমাকে ফেরত দিয়ে দিল ৷ পরবআত
এ দ্রব্যণ্সাম্গ্রীয় বিনিময়ে আমি বনুসালিমার একটি বড় খেজুর বাগিচা খরিদ করি ৷ আর এটাই
ছিল ইসলাম গ্রহণ করার পর আমার প্রথম উপার্জিত সম্পদ ৷ নাসাঈ ব্যতীত অন্যান্য
হাদীছবেত্তাগণ এ হাদীছটি ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ভিন্ন সনদে ইমাম বুখারী বলেন : লায়ছ ইবন সা’দ সুত্রে আবুকতােদা থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, হনায়ন যুদ্ধের দিন আমি দেখতে পেলাম, একজন মুসলমান ও একজন মুশরিক
লড়াই করছে ৷ অপর একজন মুশরিক যুদ্ধরত মুশরিকের পক্ষ অবলম্বন করে পিছনের দিক থেকে
চুপিসারে মুসলমান ণ্লাকটিকে হত্যা করতে চাইছে ৷ আমি দ্রুত গতিতে ঐ লোকটির কাছে
গেলাম ৷ সে আমাকে আঘাত করার জন্যে তার হাত উত্তোলন করলো ৷ কিন্তু তার পুর্বেই আমি
পাল্টা৷ আঘাত ছেলে তার হাত কেটে ফেললাম ৷ সে তার অপর হাত দিয়ে আমাকে ভীষণভাবে
জাপটে ধ্ৱলো এতে আমি মৃত্যুর আশংকা করলাম ৷ তারপরে সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ধড়াস
করে মাটিতে পড়ে যায় ৷ আমি আর একটি আঘাত করে তাকে হত্যা করে ফেলি ৷ যুদ্ধের এক
পর্যায়ে মুসলমানরা রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷ তাদের সাথে আমিও পলায়ন করি ৷ পথে উমর
ইবন খাত্তাব্ (রা)-ণ্ক লোকজনের সাথে দেখে জিজ্ঞেস করলাম : “ব্যাপার কি ? মানুষের এ
অবস্থা কেন ? তিনি বললেন, “সবকিছু আল্লাহর হুকুমেই হয় ৷ এরপর সমস্ত লোক রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর কাছে এসে সমবেত হয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা করলেন : “যে ব্যক্তি প্রমাণ
দিতে পারবে যে, সে কোন মুশরিককে হত্যা করেছে তা হলে ঐ নিহত ব্যক্তির সংগে থাকা
দ্রব্য-সামগ্রী সে-ই পাবে ৷ তখন আমি দীত্যিয় আমার হাতে নিহত হওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে প্রমাণের
সন্ধান করলাম ৷ কিন্তু আমার পক্ষে কোন সাক্ষ্য না পেয়ে আমি বসে পড়লাম ৷ এরপর এক
সুযোগে আমি বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উল্লেখ করলাম ৷ তখন সেই মজিলেসের এক
ব্যক্তি বললাে, “উল্লিখিত নিহত ব্যজ্যি অস্ত্রপাতি আমার কাছে আছে ৷ এখন এ বন্তুগুলো আমার
কাছে থাকার ব্যাপারে তাকে রাযী করে দিন ৷ ” তখন আবু বকর (রা) বললেন, “তা কখনও হতে
পারে না ৷ আল্লাহর সিংহদের মধ্য থেকে এক সিংহ যে আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষে যুদ্ধ করেছে
তাকে বাদ দিয়ে কুরায়শের এক নগণ্য ব্যক্তিকে তিনি এটা কিছুতেই দিবেন না ৷ আবু কাতাদা
বলেন, তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) দাড়িয়ে গেলেন এবং নিহতের দ্রব্য-সামঘীগুলো তার কাছ থেকে
নিয়ে আমাকে দিয়ে দেন ৷ পরে এ সব দ্রব্য দ্বারা আমি একটা থেজুরের বাগান খরিদ করি ৷ আর
ঙুটইি ছিল আমার প্রথম উপার্জিত সম্পদ ৷ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়েই এ হাদীছ
লায়ছ ইবন সাদের সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নাফি আবু


سَنَةً. قَالَ: ثُمَّ كَانَ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ كَانَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ، فَتَمَّتْ لَهُ سِتُّونَ سَنَةً، ثُمَّ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ. قَالَ: بِسِنِّ أَيِّ الرِّجَالِ هُوَ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: كَأَشَبِّ الرِّجَالِ وَأَحْسَنِهِ وَأَجْمَلِهِ وَأَلْحَمِهِ. قَالَ: يَا أَبَا حَمْزَةَ وَهَلْ غَزَوْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، غَزَوْتُ مَعَهُ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَخَرَجَ الْمُشْرِكُونَ بَكْرَةً، فَحَمَلُوا عَلَيْنَا حَتَّى رَأَيْنَا خَيْلَنَا وَرَاءَ ظُهُورِنَا، وَفِي الْمُشْرِكِينَ رَجُلٌ يَحْمِلُ عَلَيْنَا فَيَدُقُّنَا وَيَحْطِمُنَا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ، فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ فَوَلَّوْا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَأَى الْفَتْحَ، فَجُعِلَ يُجَاءُ بِهِمْ أُسَارَى رَجُلًا رَجُلًا فَيُبَايِعُونَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عَلَيَّ نَذْرًا، لَئِنْ جِيءَ بِالرَّجُلِ الَّذِي كَانَ مُنْذُ الْيَوْمِ يَحْطِمُنَا لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَهُ. قَالَ: فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجِيءَ بِالرَّجُلِ، فَلَمَّا رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، تُبْتُ إِلَى اللَّهِ. قَالَ: وَأَمْسَكَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَايِعَهُ لِيُوفِيَ الْآخَرُ نَذَرَهُ. قَالَ: وَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَأْمُرَهُ بِقَتْلِهِ، وَيَهَابُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَا يَصْنَعُ شَيْئًا بَايَعَهُ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، نَذْرِي؟! قَالَ: " لَمْ أُمْسِكْ عَنْهُ مُنْذُ الْيَوْمِ إِلَّا لِتُوفِيَ نَذْرَكَ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا أَوْمَأْتَ إِلَيَّ؟ قَالَ: " إِنَّهُ لَيْسَ لِنَبِيٍّ أَنْ يُومِيَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.