আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

فصل في كيفية الوقعة وما كان في أول الأمر من الفرار ثم كانت العاقبة للمتقين

পৃষ্ঠা - ৩৪৯৬

(না)-এর সাথে কোন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ আমি হুনায়নের যুদ্ধে তার
সাথে অংশ গ্রহণ করেছি ৷ সে যুদ্ধে ঘুশরিক বাহিনী অতি প্রত্যুষে অঘোদের উপর হামলা চালায় ৷
তখন দেখলাম, আমাদের অশ্বারোহী বাহিনী আমাদের পশ্চাতে রয়েছে ৷ আরও দেখলাম,
মুশরিকদের মধ্যে এক ব্যক্তি প্রবল বেগে আমাদের উপর আক্রমণ করে আমাদেরকে দলত-
মথিত করে চলছে ৷ এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাহন থেকে অবতরণ করলেন ৷ এরপর
আল্লাহ্ তাদেরকে পরাজিত করলেন এবং তারা রণে-তৎগ দিয়ে পলায়ন করলো ৷ মুসলমানদের
বিজয় দেখে রাসুলুল্লাহ্ (না) এক জায়গায় দীড়ালেন ৷ এরপর একের পর এক মৃসলমানরা
াত্রুদের বন্দী করে তার কাছে নিয়ে আসতে থাকেন ৷ আর তিনি তাদেরকে ইসলামের উপর
বায়আত করতে থাকেন ৷ এ সময় নবী (না)-এর জনৈক সাহাবী বিনীতভান্থব জানলে অহ্মি মানত
করেছি, যে মুশরিক লোকটি যুদ্ধের সময় আমাদেরকে দলিত মথিত করেছিল, যে যদি বন্দী হয়ে
আসে তবে আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেব ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) নীরব থাকেন ৷ এ সময়
সে লোকটিকে বন্দী করে নিয়ে আসা হল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে দেখেই সে বলে উঠলো, হে
আল্লাহর নবী ! আমি আল্লাহর নিকট তওবা করেছি ৷ রাৰী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কথা শুনার
পরে নীরব থাকলেন এবং তাকে বায়আত করা হতে বিরত থাকলেন ৷ উদ্দেশ্য ছিল এই যে,
যাতে অপর লোকঢি এ সুযোগে তার মানত পুরণ করতে পারে ৷ কিন্তু সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দিকে তাকিয়ে তীর নির্দেশের অপেক্ষা করছিলো ৷ বিনা অনুমতিতে হত্যা করতে সে ভয়
পাচ্ছিলাে ৷ নবী (না) যখন দেখলেন, যে কিছুই করছে না তখন তিনি তাকে বন্য়আত করেন ৷
তখন সে বললাে, হে আল্লাহর নবী ! আমার মানতের কি হলো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি
তো দীর্ঘক্ষণ বায়আত করা থেকে বিরত ছিলাম যাতে তুমি তোমার মানত পুরণ করতে পার ৷ সে
বলল্যে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি আমাকে একটু ইংগিত দিলেন না কেন ? তিনি বললেন, হত্যার
জন্যে ইংগিত করা নবীর জন্যে শোভা পায় না ৷ এ ঘটনা ইমাম আহমদ এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট ইয়াযীদ আনাস ইবন মালিক (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, হুনায়নের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দৃআ করেছিলেন : “হে আল্পাহ্
আপনি যদি চান আজকের দিনের পর এ পৃথিবীতে আর আপনার ইবাদত করার প্রয়োজন
নেই ৷ এ হাদীছের সনদে বর্ণনাকারীদের সংখ্যা মাত্র তিনজন এবং এটি বুখারী ও মুসলিমের
শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ তবে অন্য কোন হাদীছ সংকলনকারী এই সনদে এ হাদীছ বর্ণনা করেননি ৷
ইমাম বুখারী মুহাম্মাদ ইবন যাশৃশারের সুত্রে আবুইসহাক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বারা ইবন আযিব (রা) থেকে শুনেছেন, যখন কায়েম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস
করেছিলো, হুনায়ন যুদ্ধে আপনারা কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ?”
তিনি বললেন, তবে বাসুলুল্লাহ্ (সা) জ্যি পালিয়ে যাননি ৷ হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা ছিল সুদক্ষ
ভীরন্দাজ ৷ কিন্তু আমরা যখন তাদের উপর আক্রমণ করলাম তখন তারা ছত্রতত্গ হয়ে যায় ৷
এরপর আমরা গনীমত সংগ্রহের দিকে মনোনিবেশ করলাম ৷ ঠিক তখনি আমরা তাদের ভীৱন্দাজ
বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হই ৷ তখন আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তীর সাদা রংয়ের খচ্চরের উপর
আরোহী অবস্থায় দেখেছি ৷ আর আবুসুফিয়ান (ইবনুলংহারিছ) তীর খচ্চরের লাগাম ধরে ছিলেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন : আমি আল্লাহর নবী, এতে কোন মিথ্যা নেই ৷” ষ্ ;৷ ৷ ৷ )


بْنُ عَوْفٍ بِمَنْ مَعَهُ إِلَى حُنَيْنٍ فَسَبَقَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهَا، فَأَعَدُّوا وَتَهَيَّئُوا فِي مَضَايِقِ الْوَادِي وَأَحْنَائِهِ، وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَتَّى انْحَطَّ بِهِمُ الْوَادِي فِي عَمَايَةِ الصُّبْحِ، فَلَمَّا انْحَطَّ النَّاسُ ثَارَتْ فِي وُجُوهِهِمُ الْخَيْلُ فَشَدَّتْ عَلَيْهِمْ، وَانْكَفَأَ النَّاسُ مُنْهَزِمِينَ لَا يُقْبِلُ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ، وَانْحَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ الْيَمِينِ يَقُولُ: أَيْنَ أَيُّهَا النَّاسُ؟ هَلُمُّوا إِلَيَّ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ، أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. قَالَ: فَلَا شَيْءَ، وَرَكِبَتِ الْإِبِلُ بَعْضُهَا بَعْضًا، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَ النَّاسِ، وَمَعَهُ رَهْطٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَأَخُوهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ - وَقِيلَ الْفُضَيْلُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ - وَأَيْمَنُ ابْنُ أَمِّ أَيْمَنَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَمِنِ النَّاسِ مَنْ يَزِيدُ فِيهِمْ قُثَمَ بْنَ الْعَبَّاسِ، وَرَهْطٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَالْعَبَّاسُ آخِذٌ بِحَكَمَةِ بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ وَهُوَ عَلَيْهَا قَدْ شَجَرَهَا. قَالَ: وَرَجُلٌ مِنْ هَوَازِنَ عَلَى جَمَلٍ لَهُ أَحْمَرَ، بِيَدِهِ رَايَةٌ سَوْدَاءُ فِي رَأْسِ رُمْحٍ طَوِيلٍ أَمَامَ هَوَازِنَ، وَهَوَازِنُ خَلْفَهُ إِذَا أَدْرَكَ طَعَنَ بِرُمْحِهِ، وَإِذَا فَاتَهُ النَّاسُ رَفَعَ رُمْحَهُ لِمَنْ وَرَاءَهُ فَاتَّبَعُوهُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ